date
stringclasses 5
values | title
stringlengths 6
64
| subtitle
stringlengths 3
47
⌀ | author
stringlengths 4
56
⌀ | comment
stringlengths 1
3
⌀ | ref
stringlengths 109
465
| section
stringclasses 15
values | media
stringclasses 2
values | page
int64 1
5
| tags
stringlengths 4
118
⌀ | content
stringlengths 295
16.5k
| article_id
int64 1.57M
1.57M
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
2019-01-02 | ২০০ টাকায় মিলবে বিপিএলের টিকিট | null | খেলা ডেস্ক | ৫ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572954/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9F | sports | online | 2 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট | বিপিএল শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি। খেলা মাঠে গড়াতে এখনো তিন দিন বাকি আছে. তবে টিকিট মিলবে এর আগেই। আগামীকাল সকাল থেকেই শুরু হবে এবারের বিপিএলের টিকিট বিক্রি। সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় মিলবে বিপিএলের টিকিট।আজ বিপিএল জানিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা পর্বের টিকিট পাওয়া যাবে। মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম ও শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটের পার্শ্ববর্তী বুথে মিলছে ঢাকার ম্যাচগুলোর প্রথম পর্বের টিকিট। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বুথে টিকিট বিক্রি হবে। ছাদবিহীন সাধারণ গ্যালারির টিকিট মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা. ছাদযুক্ত গ্যালারির টিকিট মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। ক্লাব হাউস ও ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। আর গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে খেলোয়াড়দের কাচ থেকে দেখার সুযোগ পেতে দরকার হবে ২ হাজার টাকার টিকিট। ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২০ জানুয়ারিতে। আর তৃতীয় পর্বের টিকিট মিলবে ৩১ জানুয়ারিতে।সিলেটের দর্শক টিকিট কিনতে পারবেন ১৪ জানুয়ারি থেকে। তবে সিলেটের বুথ বিভাগীয় স্টেডিয়াম নাকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসানো হবে. সে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। বিপিএলের চট্টগ্রাম অংশের টিকিট মিলবে ২৪ তারিখ থেকে। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও জহর আহমেদ স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী বুথেই মিলবে টিকিট। আগ্রহী দর্শক চাইলে সহজ ডটকম থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন বিপিএলের টিকিট। এলিমিনেটর ও ফাইনালের টিকিটের মূল্য এবং বিক্রির দিনক্ষণ পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। | 1,572,954 |
2019-01-02 | গাইড ও কোচিং জেনারেশন | null | মোকাররম আলাভী. হুবেই (চীন) থেকে | ১ | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572953/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | durporobash | online | 2 | null | আমাদের পিছিয়ে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো বই বিমুখতা। বই পড়ার সূচকে আমাদের অবস্থান সারা বিশ্বের একদম তলানির দিকে। কিন্তু গাইড পড়ার দিকে সবার চাইতে এগিয়ে। প্লে গ্রুপে ভর্তি হবে তার জন্য গাইড। পরীক্ষায় পাস করতে হবে তার জন্য গাইড। ভর্তি পরীক্ষা তার জন্য গাইড। চাকরির পরীক্ষা তার জন্য গাইড। শুধু গাইড আর গাইড। আমরা বাচ্চাদের গাইড পড়তে দিই। গল্পের বই দেখলে কেড়ে নেই এমনভাবে যেন তারা অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছে! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা টেক্সট বুক পর্যন্ত দেখে না. বাইরের বই তো দূরের কথা। নোট আর লেকচার পড়ে পড়ে পাস। বেশ চলছে...। আরেক অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। প্রায় সবকিছুর জন্যই কোচিং আছে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যের পরিমাণ দেখলে চক্ষু চড়কগাছ। যেভাবে এগোচ্ছে দেশ. কিছুদিন পরে সৃষ্টিশীল মানুষ অথবা সৃজনশীলতা বলতে কিছুই থাকবে না! খালি থাকবে সৃজনশীল প্রশ্ন আর বস্তা বস্তা গাইড। আপনি এমন আজব শিক্ষাব্যবস্থা আর মেধার অবমূল্যায়ন পৃথিবীর আর কোথাও দেখবেন না। আমরা শিশুদের মেধাকে বিকশিত হতে না দিয়ে গলা টিপে হত্যা করছি। তাদের যখন দেওয়ার কথা মুক্ত খোলা হাওয়া. তখন তাদের কাঁধের ওপরে তুলে দিচ্ছি বইয়ের বোঝা। সেই ভারে তো সে আর পারছে না মাথা তুলে দাঁড়াতে। তার মেরুদণ্ড আক্ষরিক অর্থেই বাঁকা করে দিচ্ছি।এই জেনারেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো কবি নেই. সাহিত্যিকে নেই. শিল্পী নেই. গায়ক নেই. নায়ক নেই. চলচ্চিত্রকার নেই. বিজ্ঞানী নেই। আছে কিছু করপোরেট গবেট আর গোলাম! সবাই এটাকে লক্ষ্য করে ছুটছে তো ছুটছেই!এখনই সর্বোচ্চ সময় কিছু একটা করার জাগরণের। শিক্ষাব্যবস্থাকে আপাদমস্তক পরিবর্তনের! নতুবা আমরা জাতি হিসেবে আস্তাকুঁড়ে বিলীন হয়ে যাব। যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তা স্বপ্নই রয়ে যাবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব হাতড়ে বেড়াতে হয়. এ দায় কার? ... মোকাররম আলাভী: ইছাং. হুবেই. চীন। ইমেইল: <[email protected]> | 1,572,953 |
2019-01-02 | সেই বিপিএলে ফিরে কেমন লাগছে আশরাফুলের | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৪৫ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572951/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0 | sports | online | 2 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট|মোহাম্মদ আশরাফুল | দুদিন পরই বিপিএল। দলগুলো এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে অনুশীলন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন আশরাফুলও। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পাঁচ বছর পর বিপিএলে ফিরছেন বাংলাদেশ দলের এ সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ( বিপিএল) যে ফিক্সিং মুক্ত নয়. সেটি প্রমাণিত হয়েছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সংস্করণে. ২০১৩ সালেই। আর সেই ফিক্সিং জড়িত থাকায় যার নামটা সবার আগে আসে—মোহাম্মদ আশরাফুল। পরে তিনি স্বীকার করেন. ক্ষমা চান. কঠিন শাস্তিও পান। অন্ধকার পর্বটা পেছনে ফেলে আবারও বিপিএলে আশরাফুল। ফিরে কেমন লাগছে তাঁর? মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি একাডেমি মাঠে এখন প্রতিদিন বসছে তারকাদের মেলা। স্থানীয় খেলোয়াড়ের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন এরই মধ্যে। কাল-পরশু থেকে প্রতিটি দলে যোগ দিতে শুরু করবেন বিদেশি তারকারাও। এই তারকাদের ভিড়ে আশরাফুলের দিকে আলাদা নজর পড়ার একটাই কারণ. গত আগস্টে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় পাঁচ বছর পর আশরাফুল ফিরছেন বিপিএলে। খেলবেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। এ টুর্নামেন্টে ফিরে একটু অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে আশরাফুলের. ‘খুবই ভালো লাগছে। গত দুই বছর প্রথম শ্রেণি এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলছি। কিন্তু এই খেলাগুলো আসলে টিভিতে সম্প্রচার হয় না। বিপিএল একটি আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট। এখানে খেলতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। চিটাগাং ভাইকিংসের মালিককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে নেওয়ার জন্য। আর যেহেতু খেলাটি জানি এবং আমার অভিজ্ঞতা আছে সুতরাং চেষ্টা করব সুযোগ পেলে ভালো খেলার।’ যে টুর্নামেন্টে লেখা হয়েছিল কলঙ্কিত অধ্যায়. সেটিতে ফিরে আশরাফুলকে শুধু ভালো খেললেই হবে না সতর্ক থাকতে হবে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। আশরাফুল অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন. আর ভুল নয়. তিনি ফিরে আসতে চান দুর্দান্ত চেহারায়.‘আমি যে অন্যায় করেছিলাম সেটার শাস্তি পেয়েছি। এ কারণে পাঁচ বছর নয় মাস বাইরে ছিলাম এ সংস্করণ থেকে। যেহেতু আমি অন্যায় স্বীকার করেছি এবং প্রায়শ্চিত্ত করেছি এবং গত দুটি বছর আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি। মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলেছি. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বলেন. বিসিএলের এই মৌসুমটা বলেন। আমি চেষ্টা করব আমার যারা ভক্ত আছেন. তারা অপেক্ষায় আছে যেন আবার ফিরে আসতে পারি। তাদের জন্য হলেও চেষ্টা করব এ বিপিএলে ভালো খেলতে। যদি ফিরে আসতে পারি. একটা উদাহরণ তৈরি হবে। দীর্ঘ সময় বাইরে থেকেও আবার পারফরম্যান্স দিয়ে ফিরে আসা একটা চ্যালেঞ্জও বলে মনে করি।' আপাতত ভাবনায় বিপিএল থাকলেও আশরাফুলের স্বপ্ন জাতীয় দল। গত আগস্টে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠে যাওয়ার পর প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন. তাঁর স্বপ্ন ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা। আজ সংবাদমাধ্যমকেও একই কথা বলেছেন আশরাফুল. ‘যেহেতু আমি একজন ব্যাটসম্যান. সুতরাং আমি যদি ফিট থাকতে পারি বিশ্বাস করি আরও চার-পাঁচ বছর খেলতে পারব। আপনি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখেন তাহলে দেখবেন অনেকেই আছে এমন। সেটা নির্ভর করবে ফিটনেসের ওপরে। গত দুই বছরের চেয়ে এখন আমি নিজেকে অনেক ফিট মনে করছি। ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স ঠিক থাকলে যত লম্বা সময় খেলা যায়। আর বাংলাদেশ দলে তো অবশ্যই খেলতে চাই। তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছি বাংলাদেশের হয়ে. ২০০৩. ২০০৭ এবং ২০১১ সালে। ২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে হয়তো তখন সুযোগ পেতে পারতাম। সামনে যেহেতু ২০১৯ বিশ্বকাপ রয়েছে. যদিও আমি সেটি নিয়ে এখন চিন্তা করছি না। তার পরেও মনে করি যে যদি ভালো করতে পারলে আমার অভিজ্ঞতাগুলো হিসাব করতে পারে।’ | 1,572,951 |
2019-01-02 | ‘জনগণের প্রতি দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে’ | null | বাসস. ঢাকা | ১৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572952/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF | bangladesh | online | 2 | সরকার|শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন | আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ নির্বাচনে তাঁর দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি অব্যাহতভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন. ‘নির্বাচনের পর দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে।’ শেখ হাসিনা আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন. ‘জনগণের সেবা করাটা একটি বড় কাজ এবং আমি যত দিন বেঁচে থাকব এটা অব্যাহত রাখব।’ তিনি বলেন. ‘নির্বাচনের পর দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে।’ এ সময় তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাওয়ারও অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ স্কাউটস এবং গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা. উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা বলেন. রোববারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় সব সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। ‘সমাজের সর্বস্তরের জনগণ আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল এবং এ জন্য আমি তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি.’ বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।শেখ হাসিনা তাঁর সন্ত্রাস. জঙ্গিবাদ এবং মাদকবিরোধী অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন. ‘বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের জঞ্জালের কোনো স্থান হবে না।’ আওয়ামী লীগের সভাপতি তাঁর দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে আসা বিভিন্ন সংস্থার সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানান। | 1,572,952 |
2019-01-02 | নির্বাচনের পোস্টার সরানো শুরু | null | আবদুস সালাম | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572950/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81 | bangladesh | online | 2 | ছবির গল্প|একাদশ সংসদ নির্বাচন | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার দুই দিন পরও রাজধানীর সড়ক ও অলিগলি থেকে সরানো হয়নি নির্বাচনী পোস্টার। এতে করে সৌন্দর্য হারাচ্ছে নগর। এদিকে বুধবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি নিজ হাতে ঢাকা-৬ আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদের নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ছবিগুলো বুধবারের। | 1,572,950 |
2019-01-02 | আরও ৬ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র হচ্ছে | null | অনলাইন ডেস্ক | ২৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572949/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A7%AC-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87 | bangladesh | online | 2 | ভিসা|ভারত | ৬ জানুয়ারি থেকে ঠাকুরগাঁও ও বগুড়াতে এবং ১২ জানুয়ারি থেকে কুমিল্লা. নোয়াখালী. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সাতক্ষীরায় ছয়টি নতুন ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। আজ বুধবার ভারতীয় হাই কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে নয়টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু রয়েছে। এই ছয়টি নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্রসহ এই সংখ্যা দাঁড়াবে মোট ১৫। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. ‘বাংলাদেশে জুড়ে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু এবং প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ. ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সুদৃঢ় করতে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের সহযোগিতায় ভারতীয় হাই কমিশনের অব্যাহত প্রচেষ্টারই প্রতিফলন এটি।’ | 1,572,949 |
2019-01-02 | কে আছেন. কে নেই? | null | ইব্রাহীম চৌধুরী | null | https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572948/%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87 | northamerica | online | 2 | আমেরিকা|যুক্তরাষ্ট্র | যাঁরা তাঁকে ঘৃণা করেন. প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের নতুন বছরের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ‘ফেক মিডিয়া’—যারা নিত্যদিন ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর. তাদেরও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন. ‘শান্ত থাকো। আমেরিকার যে উন্নয়ন আসছে. তা নিয়ে আনন্দ করো।’ তাঁর ভাষায়. সামনে অনেক বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে আমেরিকায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সীমান্ত–দেয়ালে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দে কংগ্রেস একমত না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত বন্ধ রয়েছে। ওয়াশিংটনে বসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পড়েছেন উত্তপ্ত রাজনৈতিক বৈরিতায়। তাঁর স্বভাবসুলভ উপহাসে ভরা ছিল নববর্ষের টুইট বার্তা। সমালোচকদের শান্ত থাকার কথা তিনি বলেছেন। ২০১৯ সালের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাঁর হোয়াইট হাউস গোছাতে হবে। অস্থির হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কে আছেন. কে নেই—তা হলফ করে কেউ বলতে পারবেন না। কার কোন সময় প্রস্থান ঘটছে. কে কোন সময় চলে যাচ্ছেন—তা নিয়ে হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হয় খোদ আমেরিকার রাজনীতিবিদ বা সংবাদমাধ্যমেরও। বছরের শুরুতেই দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে ভাবতে হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। জেফ সেশনের প্রস্থানের পর উইলিয়াম বারকে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। কংগ্রেসের শুনানিতে উইলিয়াম বার যে কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন. তা এখনই অনুমান করা হচ্ছে। উইলিয়াম বার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। এবারে রবার্ট ম্যুলারের চলমান তদন্ত নিয়ে শুনানিতে উইলিয়াম বার কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন। জেফ সেশনের প্রস্থানের পর অ্যাটর্নি জেনারেলের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ম্যাথিউ উইটেকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ডিসেম্বরের ২০ তারিখে তাঁর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিদেশনীতির সঙ্গে ভিন্নমতের কারণেই তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন ছেড়ে যাচ্ছেন। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন থেকে দেখানো হচ্ছে ম্যাটিস অবসরে যাচ্ছেন। প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান ১ জানুয়ারি থেকে জেমস ম্যাটিসের দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন. তিনি শিগগিরই নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোনয়ন দেবেন। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জ্যাক কেইন. সিনেটর টম কটন ও লিন্ডসে গ্রাহাম প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন—এমন আলোচনা হচ্ছে। যদিও সিনেটর গ্রাহাম ইঙ্গিত দিয়েছেন. তিনি ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্ত হতে অনিচ্ছুক। তাঁরা সবাই আবার সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছেন। ইন্টেরিয়র সেক্রেটারি রায়ান জিঙ্কেও চলে যেতে হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে। জমি ইজারা দেওয়া এবং চার্টার ফ্লাইটে ভ্রমণ নিয়ে তিনি নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে আটকা পড়ছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শিগগিরই তাঁর বিকল্প খুঁজতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডেপুটি ইন্টেরিয়র সেক্রেটারি ডেভিড বার্নহার্ডথ দায়িত্ব পেতে পারেন রায়ানের। এ পদের জন্য কংগ্রেসম্যান রব বিশপ. সিনেটর ডিন হেলার এবং সাবেক কংগ্রেসম্যান সিন্থিয়া লিমিসের নাম উচ্চারিত হচ্ছে।ফক্স নিউজের একসময়ের উপস্থাপক হেইদার ন্যুয়ার্ট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পরিচিত হয়ে ওঠেন মুখপাত্র হিসেবে। জাতিসংঘে আমেরিকার স্থায়ী দূত হিসেবে নিকি হেলির প্রস্থানের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেইদার ন্যুয়ার্টকে এ পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। হেইদার ন্যুয়ার্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদেশনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোকাবিলা করার লড়াই সামাল দিতে হবে। তাঁর এ নিয়োগ নিশ্চিত করতে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা কতটা হামলে পড়েন. তা এখন দেখার অপেক্ষায়।হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগের প্রধান মিক ম্যালভানি। জন কেলির প্রস্থানের পরই চিফ অব স্টাফ কে হচ্ছেন. এ নিয়ে আলোচনা চলছিল। চিফ অব স্টাফের জন্য কংগ্রেসের শুনানির প্রয়োজন হয় না। অস্থির হোয়াইট হাউসে এ পদটিতে আবার কে আসছেন. এ নিয়ে নানা কানাঘুষা চলেই আসছে। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে উইলবার রস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তাঁর প্রস্থান নিয়ে সংবাদমাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে। এ পদে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের প্রধান লিন্ডা ম্যাকমাহন নিয়োগ পেতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম দিকের সমর্থক উইলবার রস। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী রসের বয়স আর কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপহাস করেছেন বলে সংবাদ বেরিয়েছে।পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান পদেও নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে পত্রিকায় সংবাদ বেরিয়েছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিন নেলসেন মধ্য মেয়াদি নির্বাচনের পরই বিদায় নিচ্ছেন. এমন কথা শোনা গেলেও এখনো আছেন। অভিবাসী দমনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির কঠিন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যস্ত ক্রিস্টিন নেলসনও থাকছেন না শেষ পর্যন্ত—এমন কথাই শোনা যাচ্ছে। এসব পদপদবি ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কমপক্ষে এক ডজন উচ্চ পদে পরিবর্তন আসতে পারে শিগগিরই। তাঁদের কেউ স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন. কেউ পড়েছেন প্রেসিডেন্টের রোষানলে। সংবাদ বিশ্লেষকেরা মনে করেন. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই জানেন না তাঁর প্রশাসনে কে আছেন. কে নেই! সামনের দিনগুলো একদিকে নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত তল্লাশি সামাল দেওয়া. নিজের প্রশাসন গুছিয়ে আনাসহ কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া ডেমোক্র্যাটদের সামাল দিতে গিয়ে নিজে কতটা বেসামাল হন. তা দেখার জন্যই অপেক্ষা এখন। ইব্রাহীম চৌধুরী. আবাসিক সম্পাদক. প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণ। ibrahim. chowdhury@prothomalo. com | 1,572,948 |
2019-01-02 | মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে স্মৃতির অবগাহন | null | উইলি মুক্তি | null | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572947/%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%A8 | durporobash | online | 2 | null | বর্ষাকালের ঝুম বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বিকট শব্দে বিজলি চমকাচ্ছে। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার রিমঝিম জল তরঙ্গের মতো চমৎকার মনোমুগ্ধকর ধ্বনির এই আওয়াজ বধির পরির কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। ভাবলেশহীন পরি একা একা ঘরের সামনের পাটাতনের ওপর বসে আছেন। বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ভিজে গিয়ে পরার শাড়িটা গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। মনের মাঝে প্রচণ্ড ঝড় নিয়ে স্মৃতির অবগাহনে পরি ফিরে যায় বহু বছর আগে. তাঁর শৈশবে। অসহনীয় প্রচণ্ড কানের ব্যথায় একদিন মাঝরাতে ছোট্ট পরির ঘুম ভেঙে যায়। ব্যথার কারণে কিছুক্ষণ পর পর ফুঁপিয়ে কাঁদছে। একটু একটু করে তিন দিন থেকেই ব্যথাটা হচ্ছে। কানে আঙুল দিয়ে পানির মতো কিছু একটা অনুভব করল পরি। পরির মা পাশের ঘর থেকে উচ্চ স্বরে জিজ্ঞেস করেন. কাঁনদস কেন? কান ব্যথা করে মা. পরি উত্তর দেয়। আইচ্ছা এহন ঘুমা. কালকা নুরুছুনের লগে ডাক্তারের কাছে পাডামুনে (নুরুছুন বাড়ির ম্যানেজার)। তারপরও পরির গোঙানির আওয়াজ পাওয়া যায়। বড় বোন আদর করে সান্ত্বনা দেয়. লক্ষ্মী বইন আমার এহন ঘুমা কালকা ডাক্তারের কাছে নিয়া গেলে মিষ্টি ওষুধ দিব তোরে। দেহিছ কানের ব্যথা এক্কেবারে ভালো হইয়া যাইব। বড় বোনের আদর আর সান্ত্বনা পেয়ে ব্যথা নিয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করে পরি। পরদিন যথারীতি নুরুছুন পরিকে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। কান পরীক্ষা করে ডাক্তার দেখল কানের থেকে তরল জাতীয় কিছু একটা গড়িয়ে পড়ছে। নুরুছুন ডাক্তারকে বলেন. পুসকুনিতে গোছল করতে যাইয়া কানে পানি ঢুকছে ডাক্তার সাব। ওষুধ দেন ঠিক হইয়া যাইব। ডাক্তার পরির কানে একটি ওষুধের বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা ওষুধ ওর কানে ঢেলে দিলেন। ফেনার মতো কী যেন বের হলো। কিন্তু মুহূর্তেই চিৎকার করে পরি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। বেশ কিছু ঘণ্টা পর পরি চোখ খুলে দেখে মা আর ভাই বোনেরা সবাই ওর পাশে বসে কাঁদছে। কানের ব্যথায় পরিও কাঁদতে থাকে। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের চিকিৎসার কিছুদিনের মধ্যে পরি সুস্থ হয়ে ওঠে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ভুল করে অ্যাসিড জাতীয় কিছু একটা ঢেলে দিয়েছিল পরির কানে। যে কারণে পরির একটি কানের পর্দা ছিঁড়ে গিয়ে চিরতরে অকেজো হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে কানে কথা অস্পষ্ট হতে থাকে। মদনগঞ্জ শহরের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য বড় ব্যবসায়ী সৈয়দ মতিউর রহমান মিঞার সাত কন্যা আর তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় কন্যা হচ্ছে পরি। অসম্ভব সুন্দরী ও সুশ্রী বলে বাবা মা নাম রেখেছেন পরি বানু। বনেদি পরিবার। ব্যাপারী বাড়িতে গদির মধ্যে পুরো দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মহাজনদের আনাগোনায় বাড়ি গমগম করে। সমগ্র বাড়িতে লোকজন. আত্মীয়স্বজন. কাজের লোক. খানাপিনা সব সময়ই জমজমাট থাকে। বড় বড় হাঁড়িতে রসনার আয়োজন করা হয় প্রতিদিন। কখনো কেউ শূন্য হাতে এ বাড়ি হতে ফেরত যায় না। এত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে নিজের জগতে পরি ছিল নিতান্তই একা অসহায়।আট বছরের পরি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কানে কম শুনতে পায় বলে সবাই ওর সঙ্গে জোরে কথা বলে। স্কুলে গিয়েও তেমন একটা সুবিধা করতে পারছিল না। তাই একসময় পরির স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গেল। পরির অপারগতা পরিকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে দিল। বড় সংসারে ছোট ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করা. মাকে সাহায্য করা যেন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল পরির ভাগ্যে। দূর থেকে মা মরিয়ম বেগম মেয়েকে দেখতেন আর আঁচলে চোখ মুছতেন।দিন গড়িয়ে যেতে লাগল। ভাইবোনদের সবাই লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে গেল। কিন্তু পরি অজ্ঞতার আবরণে অন্ধকার সাগরে আবৃত হয়ে রইল। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেল। এক এক করে ছোট বোনদেরও বিয়ে হয়ে যেতে লাগল। কিন্তু পরির কথা কেউই ভাবছে না। নিজেকে লুকিয়ে পরি গোপনে কাঁদে। একদিন দাদির কাছে পরির কষ্ট ধরা পড়ে যায়। দাদি জিজ্ঞাসা করাতে কাঁদতে কাঁদতে আফসোস করে পরি বলে. বাবায় ছোট বোনদের বিয়া দিয়া দিতাছে. আমার বিয়ার কথা কেউ ভাবে না. কয়ও না। আমারে কি বাবায় কোনো দিন বিয়া দিব না? দাদি আশ্বাস দিয়ে বলেন. সবুর কর. কান্দিস না. আমি তোর বাপের লগে কথা কমুনে। দাদির কথা অনুযায়ী পরির জন্য পাত্র খোঁজ করা শুরু হলো। যথারীতি পরির উপযুক্ত ভালো একজন পাত্র দেখে ধুমধাম করে পরিরও বিয়ে দিয়ে দেওয়া হলো। আনন্দে পরির চেহারা এখন ঝলমল করে। সবাই ওকে দেখে মনের মধ্যে শান্তি পায়। ভরসা পায় এই ভেবে যে পরি এখন ভালো আছে। সুখে আছে শ্বশুরবাড়িতে। পুরোনো দিনের প্রচলন. মেয়েদের প্রথম সন্তান তাদের বাবার বাড়িতে হয়। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা পরিকে তার স্বামী বাবার বাড়িতে রেখে যায় বাচ্চা প্রসবের জন্য। পরিকে পেয়ে বাড়ির সবাই অনেক খুশি। পরির জীবনে সুখের সীমা নেই। নতুন অতিথির আগমনের আশায় সবার মাঝেই একটি প্রস্তুতি চলতে থাকে। কিন্তু হায়. বিধির কী বিধান মাস খানেক পর একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান পরির কোল জুড়ে পৃথিবীতে এল ঠিকই কিন্তু পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত. জন্মান্ধ হয়ে। চোখ দুটো কেমন ঘোলাটে সাদা। নবজাতকের আগমনে পরির স্বামী ও শাশুড়ি আসে দেখা করতে পরির বাবার বাড়িতে। শুরু থেকেই পরির সমস্যা। তার ওপর অন্ধ বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এই নিয়ে পরির শাশুড়ি তার বাবা-মাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলেন। অতঃপর পরির শাশুড়ি ওদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসম্মতি প্রকাশ করলেন। পরির বাবা-মা তাদের এই অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে গেলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন পরিকে তারা আর শ্বশুরবাড়িতে পাঠাবেন না। মানুষের দুর্বল মুহূর্তে অন্যের দ্বারা বিরোধ করা অপ্রাসঙ্গিক কিছু শব্দ অন্তরাত্মায় কতখানি ওলটপালট করে দেয় যে ভুক্তভোগী সেই একমাত্র বুঝতে পারেন। অশ্রুসজল চোখে পরি দরজায় দাঁড়িয়ে স্বামী আর শাশুড়ির চলে যাওয়া দেখল। কিছুদিন পর মায়ের অবাধ্য হয়েও পরির স্বামী গোপনে দুই দুবার পরির সঙ্গে দেখা করতে আসে। বউ ও সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরির বাবা-মাকে অনুরোধ করে। কিন্তু পরির বাবা-মা নিজের সন্তানের কষ্টের কথা ভেবে আর নিজেদের অহংকারী আত্মমর্যাদা যেন কোনো ভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সমাজের কাছে. এ জন্য পরির স্বামীকে বারণ করে দিলেন সে যেন এ বাড়িতে আর কখনো না আসে। বিহ্বল নির্বাক পরি বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের ওপর আর কোনো কথা বলার সাহস পেল না। স্বামী আবারও নিতে আসবে কেবল এই আশায় বুক বেঁধে শূন্য আকাশের পানে চেয়ে পরি প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে লাগল। বছর ঘুরে বছর আসে। দেখতে দেখতে দুই বছর পার হয়ে যায়। খবর আসে পরির স্বামী আবার বিয়ে করেছেন। এই কথা শুনতে পেরে পরির সমস্ত সাজিয়ে রাখা স্বপ্ন. দিন রাতের অপেক্ষা আর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আছড়ে পড়ল দুই চোখের জল হয়ে। নিজের কষ্ট সামাল দিয়ে উঠতে অনেকটা সময় কেটে গেল পরির। কোনোরকম অভিযোগবিহীন মায়ের সংসারের কাজ আর নিজের বাচ্চা দেখাশোনা করে দিন অতিবাহিত করতে লাগল। বাচ্চাটার চোখ দুটোর দিকে তাকালে কেমন মায়া হয়। সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চাটির চোখ ঘোলাটে সাদা হয়ে আছে। পরির এক ছোট বোন স্বামীর বাড়ি থেকে বাড়িতে বেড়াতে এসে মরিয়ম বেগমকে অনুরোধ করল. বাচ্চাটিকে চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার। ঢাকায় নিয়ে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে হয়তো ও দেখতে পাবে। কথামতো পরি আর তার বাচ্চাটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলো চোখের ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন অপারেশন করলে হয়তো এই চোখ ভালো হয়ে যাবে তবে সময় লাগবে। আনন্দের অশ্রু ফেলতে ফেলতে পরি বাচ্চাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে হরবর করে মাকে সব কথা এক নিশ্বাসে জানাল। মরিয়ম বেগম পরিকে আশ্বস্ত করলেন. তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হবে অপারেশনের জন্য। পরি আনন্দে আত্মহারা. ছেলেকে নিয়ে আশার আলো দেখতে পেল। দিন গড়িয়ে যেতে থাকে। পরিও দুদিন পরপরই মাকে তাগিদ দিতে থাকে। আজ যাই কাল যাই করে মরিয়ম বেগম বড় সংসারের নানাবিধ ঝামেলার কারণে অতটা মনোযোগ দিতে পারেননি। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই একদিন বাচ্চাটি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। মরিয়ম বেগমকে পরি বাচ্চাটির জ্বরের কথা জানানোর পর ডাক্তার দেখানো হয় কিন্তু মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রচণ্ড জ্বরে বাচ্চাটিকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সন্তানকে হারিয়ে পরি পাগলের মতো হয়ে যায়। রাত দুপুরে দৌড়ে কবরস্থানে চলে যায়। ছেলের কবরের পাশে বসে বিলাপ করে কাঁদে। বাড়ির লোকজন জোর করে তাকে ধরে নিয়ে আসে। তাতেও পরি শান্ত হয় না। পাগলের মতো দৌড়ে যায় মা মরিয়ম বেগমকে মারতে। চুল ধরে টেনে বলে. তুই আমার পোলারে মারছস। ডাক্তারের কাছে নেছ নাই ওষুধ দেছ নাই। আমার সোনা মানিক মইরা গেছে। আমারে ফালায় থুইয়া গেছে গা। তুই মারছস আমার মানিকরে তুই মারছস। পরির চোখ মুখ ঠিকরে বোবা আর্তনাদ বেরিয়ে আসে। আক্ষেপ করে সেই সময় বলে আজকে আমার স্বামী থাকলে আমার জাদু সোনা মইরা যাইত না। মরিয়ম বেগম মেয়ের এই কষ্টে নির্বাক হয়ে যান। এ কী হলো? বাস্তবতা এতটাই কঠিন যে কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এভাবেই পরির পাগলামি চলতে থাকে। এক সময় একদম নিশ্চুপ হয়ে যায় পরি। আর কারও সঙ্গে কথা বলে না কাঁদেও না। একাকিত্বকে আঁকড়ে ধরে সামনের দিনগুলো নিরানন্দভাবে অতিবাহিত করতে থাকে। এক সময় বোনদের সবার বিয়ে হয়ে যায়। ভাইরাও বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে নিয়ে আসে। কয়েক বছর পর পরির বাবা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান। যুগের পরিবর্তন ও ঘর বাড়ির পরিবর্তন হলো। নতুন নতুন মানুষদের আগমন হলো কিন্তু পরি যেমনটি ছিল তেমনিই আছে। ভাবলেশহীন শূন্য দৃষ্টিতে বারান্দার এক কোনায় বসে থেকে নৈসর্গিক জীবনের পথচলা পরির নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়। বেশ কিছু বছর পর পরির মা তার বড় বউয়ের হাতে পরিকে দেখে রাখার সমস্ত দায়িত্বভার দিয়ে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করলেন। পরি সম্পর্কে আমার আত্মীয়। যখনই বাংলাদেশে যেতাম পরিচয় দেবার পর পুরো চেহারায় হাসি টেনে এনে মাথায় মুখে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন. রুসনের মাইয়া আইছে. রুসনের মাইয়া। পুলাও নান. মানসো নান (পোলাও রান্না কর. মাংস রান্না কর)। চোখে তেমন দেখতে পেতেন না তারপরও খুশিতে তার বড় বড় চোখ দুটি চকচক করে উঠত। বারো বছর আগে আমার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল। শেষবার আমাকে আর চিনতে পারেননি। ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কারণ চোখে দেখতে পেতেন না. কানে তো শুনতেই পেতেন না। কিছু জানতে চাইলে উত্তরও পাওয়া যেত না। এখন সেই পরি অসুস্থ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা তাকে দেখাশোনা করে। হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে থাকেন। যেন অথর্ব নির্জীব একটি শরীর যার কোনো ভাষা নেই. চাহিদা নেই। বেঁচে আছেন নির্মোহ দৃষ্টি নিয়ে নিজের খেয়ালে নিজের ধ্যানে। যেন বেঁচে থাকাটা তার জন্য দুঃসহ এক শাস্তি। ক্যানসারে আক্রান্ত পরির শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু অংশে পচন ধরেছে। বিছানায় চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে শুয়ে থাকেন। শরীরের কোনো যন্ত্রণা এখন আর তার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। মাঝে মাঝে শরীরের কিছু অংশ মৃত বলে দাবি করে। কিছু মাছি গায়ের ওপর বসে থাকে। তারপরও তার মুখে উফ্ পর্যন্ত নেই। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। আচ্ছা মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কী মৃত মানুষের শরীরের গন্ধ মাছিগুলো টের পেয়ে যায়? সারাক্ষণই গায়ের ওপর বসে কানের কাছে ভন ভন করে একটি মাছি। মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে স্মৃতির অবগাহনে পরি প্রহর গুনে যাচ্ছেন অন্তিম শয্যার। উইলি মুক্তি: নিউইয়র্ক. ডুক্তরাষ্ট্র। | 1,572,947 |
2019-01-02 | বিবেক ওবেরয় প্রধানমন্ত্রী! | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572946/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%93%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80 | entertainment | online | 2 | বলিউড | বলিউডে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক। আর তা তৈরি হবে ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই। জানা গেছে. ছবিতে নরেন্দ্র মোদির চরিত্রে অভিনয় করবেন বিবেক ওবেরয়। আমাজনের ওয়েব সিরিজের পর এই ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে ফিরছেন এই তারকা। ছবিটি তৈরি করবেন ২০১৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ‘মেরি কম’ ছবির পরিচালক ওমাং কুমার। এরপর তিনি আরেকটি বায়োপিক তৈরি করেছেন। সরবজিৎ সিংকে নিয়ে তৈরি তাঁর এই ছবির নাম ‘সরবজিৎ’। ছবিটি তৈরি হবে ৭০ এমএম প্রযুক্তিতে। পরিচালক ওমাং কুমারের এই ছবিতে থাকবে নরেন্দ্র মোদির জীবনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত। চা-বিক্রেতা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশে প্রধানমন্ত্রী হওয়া—সবই থাকবে গল্পে। দিল্লি থেকে বারোদা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ছবিটির শুটিং হবে। আরও থাকবে উত্তরাখন্ড আর হিমাচল প্রদেশও। নির্বাচনের আগে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলে তা দেশের জনগণের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে. এমনটাই আশা করছেন উদ্যোক্তারা। দেশের নরেন্দ্র মোদির ভক্তরা যদি ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসেন. তাহলেই নাকি বাণিজ্যিক দিক থেকে ছবিটি ব্যবসাসফল হবে। বিবেক ওবেরয় এখন দক্ষিণের মালয়ালাম ছবি ‘লুসিফা’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সর্বশেষ তাঁকে শেষ দেখা গেছে কন্নড় ছবি ‘কমান্ডো’ আর তামিল ছবি ‘বিবেগম’-এ। | 1,572,946 |
2019-01-02 | ৬৪ মিলিয়নে কিনে আবার ফেরত! | null | খেলা ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572945/%E0%A7%AC%E0%A7%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A4 | sports | online | 2 | ফুটবল|ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ|আন্তর্জাতিক ফুটবল | জানুয়ারির দলবদলে ৬৪ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচকে কিনেছে চেলসি। কিন্তু গ্রীষ্মের আগে তাঁকে ডর্টমুন্ড ছাড়তে রাজি নয়. তাই কিনেই আবার ধারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিসিচকে উইঙ্গার উইলিয়ান এ মৌসুমে নেই পুরোনো ছন্দে। ডান প্রান্তে খেলার জন্য চেলসির প্রয়োজন একজন উইঙ্গার। ওদিকে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ পণ করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলবেনই। দুই দুইয়ে চার মিলেছে যখন. তখন আর বাধা কিসে! ৬৪ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে তাই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে পুলিসিচকে নিয়ে এসেছে চেলসি। তবে এখনই মার্কিন উইঙ্গারকে মাঠে নামাতে পারছে না চেলসি। কিনে আবার ডর্টমুন্ডেই ধারে পাঠিয়ে দিয়েছে তাঁকে। চলতি মৌসুম শেষ করে তবেই ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাবেন এই প্রতিভা। শুরু হয়েছে জানুয়ারির দলবদল। দল বদলের বাজারে অনেক গুঞ্জন থাকলেও এখন পর্যন্ত পুলিসিচের মোটা অঙ্কের দল বদলের খবরটিই আগুন ছড়িয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে বরুসিয়াতে খেলছেন ২০ বছর বয়সী উইঙ্গার। ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি আছে তাঁর। ব্যক্তিগতভাবে চুক্তি নবায়ন না করার ইচ্ছে আগেই জানিয়েছেন। সে সঙ্গে যোগ হয়েছে চেলসির আগ্রহ। দুইয়ে দুই মিলে পুলিসিচ এখন ইংলিশ ক্লাবটির সম্পত্তি। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে নাম লেখাতে পেরে নিজেকে বিশেষ একজন ভাবছেন পুলিসিচ. ‘কিংবদন্তি এক ক্লাবে নাম লেখাতে পেরে নিজেকে বিশেষ একজন মনে হচ্ছে।’ দেশের জার্সিতে ২৩ ম্যাচে নয় গোল আছে পুলিসিচের। চলতি মৌসুমে বরুসিয়ার জার্সিতে ১৮ ম্যাচে গোল করেছেন তিনটি। কিন্তু নতুন কোচের কাছে তাঁর চেয়ে জাডোন সানচোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আর তাঁকে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না বলে মনে করেন বরুসিয়া ক্লাব পরিচালক মিশেল জোর্ক. ‘ক্রিস্টিয়ানোর সব সময় স্বপ্ন ছিল সে প্রিমিয়ার লিগে খেলবে। ফলে তাঁর সঙ্গে আমরা চুক্তি করতে পারছিলাম না। এর মধ্যে চেলসির প্রস্তাবটাও ছিল লাভজনক।’ | 1,572,945 |
2019-01-02 | ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ খেতে চান? | null | বিনোদন ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572944/%E2%80%98%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E2%80%99-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | entertainment | online | 2 | বলিউড | ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ খেতে চান? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন. এ আবার কেমন কথা! কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন. সত্যিই তা-ই। খাবার হিসেবে ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। ভারতে নয়. আপনি ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ খেতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিন শহরে। জানা গেছে. সেখানে স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় বলিউডের এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই তারকার নামে বিক্রি হচ্ছে দোসা।দীপিকা পাড়ুকোন ফ্যান ক্লাবের টুইট থেকে খবরটি জানতে পেরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি তো অবাক! শুরুতে ভেবেছেন. এটা শুধুই ভক্তের পাগলামি। পরে দেখেছেন. সত্যি সত্যি সেখানে ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ নাম দোসা বিক্রি হচ্ছে। এর দাম ১০ ডলার। মেন্যুর ওপরের দিকে আছে আইটেমটি। কারণ এরই মধ্যে এটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে। সবকিছু দেখে তিনি টুইটারে সেই রেস্তোরাঁর মেনুর ছবি দিয়ে লিখেছেন. ‘কারও খিদা লেগেছে?’যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের পুনাতেও ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ নামে পরোটার থালি পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে সবাই ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ খাচ্ছেন. সেখানে তাঁর স্বামী রণবীর সিং কী বলবেন? সব দেখে রণবীর সিং বলেন. ‘তাঁর স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের নামে যেখানে যা খাবার পাওয়া যাচ্ছে. তিনি সব খাবেন।’ | 1,572,944 |
2019-01-02 | বল মনে করে খেলছিল শিশুরা | null | প্রতিনিধি. নারায়ণগঞ্জ ও সংবাদদাতা. ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572943/%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE | bangladesh | online | 2 | নারায়ণগঞ্জ|বিস্ফোরন | নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ময়লার স্তূপ থেকে ক্রিকেট বলের মতো দেখতে স্কচটেপ মোড়ানো চারটি বল কুড়িয়ে পায় শিশুরা। এই বল নিয়ে খেলার সময় ঘটে গেল বিস্ফোরণ। আহত হলো তিন শিশু। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বলসদৃশ বস্তু আসলে ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত শিশুরা হলো পশ্চিম রসুলপুর আবদুল মান্নানের ভাড়াটে টিটু মিয়ার দুই ছেলে আসিফ (৫) ও আরিফ (৩) এবং একই বাড়ির ভাড়াটে আবুল হোসেনের মেয়ে আঁখি (১২)। গুরুতর আহত আঁখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয় । এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়. সকাল ১০টায় পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় আবদুল মান্নানের বাড়ির পাশে একটি ময়লার স্তূপ থেকে ক্রিকেট বলের মতো দেখতে চারটি বল কুড়িয়ে নিয়ে আসে তাঁর ভাড়াটেদের তিন শিশু। ওই তিন শিশু ঘরের ভেতরে বলসদৃশ বস্তু নিয়ে খেলার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখে আঁখির মুখ এবং অপর দুই শিশুর শরীর ও হাত-পা পুড়ে গেছে। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় আঁখি প্রথম আলোকে বলে. ‘ আমরা খেলা করছিলাম। আসিফ কুড়িয়ে বল আকৃতির স্কচটেপ প্যাঁচানো চারটি বল আনে। আমরা খেলা করতে করতে একটি বিকট শব্দ হয়।’ আঁখির ডান হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। সে রসুলপুর আইডিয়াল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন. ‘তিনটি ককটেল আমরা উদ্ধার করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ | 1,572,943 |
2019-01-02 | সব সম্ভাবনাই আছে: জি এম কাদের | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572942/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 2 | রাজনীতি|এরশাদ|জাতীয় পার্টি|আওয়ামী লীগ | জাতীয় পার্টি (জাপা) সরকারে নাকি বিরোধী দলে থাকবে. তা সংসদীয় দল ও মহাজোটের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হবে। এমনকি জাতীয় সরকারও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ বুধবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন জি এম কাদের। জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের রাজনৈতিক উত্তরসূরি জি এম কাদের বলেন. ‘আমরা দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের সঙ্গে মহাজোট গঠন করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আজকের সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে. আমাদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণের পর সংসদীয় দল সিদ্ধান্ত নেবে—আগামী দিনে আমাদের রাজনীতিটা কোন দিকে প্রবাহিত হয়। দলের সাংসদেরাই বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর মহাজোটের সঙ্গে বসেও আমাদের সমস্যা ও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করব।’ জি এম কাদের বলেন. সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন এবং সরকার ও বিরোধী দলের থাকা না-থাকার বিষয় সম্পর্কে সংসদীয় দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্যরাও সংসদীয় দলকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন. ‘পার্লামেন্টে (সংসদে) শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যদি মনে করা হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হচ্ছে না... এটি আগেও হয়েছে। ’৭৩ সালে আওয়ামী লীগের সিটের (আসন) সংখ্যা দুই-তিনটি বাদে সবগুলোই ছিল। এটা তো জনগণের ইচ্ছা। গণতন্ত্রে তো জনগণের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু হওয়ার উপায় নেই। হয়তো জাতীয় সরকার হতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে। নির্বাচনে রেজাল্ট যেটা আসে সেটার ওপর ভিত্তি করে সংসদ চলবে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বলেন. ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংসদে সরকারি দলের (আওয়ামী লীগ) পরই এখন আমাদের (জাতীয় পার্টি) অবস্থান। আমরা মহাজোট গঠন করে নির্বাচন করেছি। তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ও আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার মিলেমিশে করেছি। সেই অবস্থান থেকেই আমাদের সামনে অগ্রসর হতে হবে। ভবিষ্যতে অবস্থান বুঝে যদি কোনো প্রয়োজন হয়. দেশের স্বার্থে তখন সেটা দেখা যাবে। জোটের সঙ্গে আছি। জোটের সব নেতা-কর্মী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। কাজেই এখনো আমরা একভাবেই আছি। একভাবেই থাকতে চাই। মন্ত্রিপরিষদে থাকার বিষয়টিও সংসদীয় দল ও মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরোধী দলের নেতা হওয়ার বিষয়টিও আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। এখন আমি সম্ভাবনার বিষয়টি বলতে চাই না। সব ধরনের সম্ভাবনাই আছে।’ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কি না? জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন. ‘আমার এলাকায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে. এইটুকু বলতে পারব। অন্য এলাকায় হয়েছে কি না. তা বলতে পারব না। যেহেতু আমার এলাকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’ আজ সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে। এতে দলের জি এম কাদের. মসিউর রহমান. কাজী ফিরোজ রশীদ. ফয়সল চিশতী. আবু হোসেন বাবলা. লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন. সালমা ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিদায়ী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেখা যায়নি। আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি সরকারে না বিরোধী দলে. সিদ্ধান্ত কাল | 1,572,942 |
2019-01-02 | বিপিএলে বিদেশি তারকারা কে কোন দলে? | null | খেলা ডেস্ক | ১৮ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572940/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87 | sports | online | 2 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট | বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুম শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি। জাতীয় দলের টানা সূচির ডামাডোলে অনেকেরই হয়তো মনে নেই তারকারা কে কোন দলে খেলছেন এবারের বিপিএলে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের আগে তাই প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আরেকবার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি তারকারা কে কোন দলে খেলছেন অবশেষে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। নির্ধারিত সময়ের একটু পরেই হচ্ছে এবারের বিপিএল। তবে এতে আগ্রহের কমতি হয়নি কোনো। এবার বিপিএল সাজছে আরও বাড়তি রঙে। এবারই যে প্রথম এবি ডি ভিলিয়ার্স. স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারদের দেখা যাবে বিপিএলে। বিপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বিদেশি তারকারা মোড় ঘুড়িয়ে দেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্কোয়াড গড়তে তাই ভালো বিদেশি খেলোয়াড়ের বিকল্প নেই। প্রতিটি দলই তাই চেষ্টা করেছে সম্ভাব্য সেরা খেলোয়াড়টিই বেছে নিতে। তবে এবার যেমন স্মিথদের বিপিএলে দেখা যাচ্ছে তেমনি বিগ ব্যাশের কারণে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর মতো তারকাদের পাওয়া যাচ্ছে না। বিপিএলে বিদেশি তারকাদের দল রংপুর রাইডার্সক্রিস গেইল. এবি ডি ভিলিয়ার্স. অ্যালেক্স হেলস. রাইলি রুশো. ওশান টমাস. শেলডন কটরেল. শন উইলিয়ামস. রবি বোপারা। ঢাকা ডায়নামাইটসকাইরন পোলার্ড. রোভম্যান পাওয়েল. আন্দ্রে রাসেল. সুনীল নারাইন. ইয়ান বেল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসস্টিভেন স্মিথ. শহীদ আফ্রিদি. এভিন লুইস. লিয়াম ডসন. শোয়েব মালিক. থিসারা পেরেরা। খুলনা টাইটানসকার্লোস ব্রাফেট. লাসিথ মালিঙ্গা. ডাভিড মালান. ইয়াসির শাহ. পল স্টারলিং. ব্রেন্ডন টেলর. ডেভিড ভিসে। সিলেট সিক্সারসডেভিড ওয়ার্নার. আন্দ্রে ফ্লেচার. ইমরান তাহির. মোহাম্মদ ইরফান. নিকোলাস পুরান. সোহেল তানভীর। রাজশাহী কিংমোহাম্মদ হাফিজ. সেকুগে প্রসন্ন. রায়ান টেন ডেসকাট. ইসুরু উদানা। চিটাগং ভাইকিংসমোহাম্মদ শেহজাদ. লুক রনকি. সিকান্দার রাজা. দাসুন শানাকা. ক্যামেরন ডেলপোর্ট. নাজিবুল্লাহ জাদরান। | 1,572,940 |
2019-01-02 | ফেনীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই | null | প্রতিনিধি. ফেনী | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572941/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E2%80%99-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87 | bangladesh | online | 2 | অপরাধ|ফেনী|বন্দুকযুদ্ধ | ফেনীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাগনভূঁঞা উপজেলা সিলোনীয়া বাজার এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।নিহতরা হলেন মো. আসাদ (৪২) ও ইমামুল হক আকন্দ (২৪)। দুজনই মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।র্যাব জানায়. ফেনী সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মপুর থেকে একদল মাদক পাচারকারী বড় ধরনের মাদক পাচার করছে—এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা রাতেই সেখানে হাজির হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক পাচারকারীরা একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দ্রুত পালায়। র্যাবও তাদের পিছু নেয় এবং ধাওয়া করে। একপর্যায়ে দাগনভূঁঞা উপজেলা সিলোনীয়া বাজার এলাকায় পৌঁছে মাদক পাচারকারীরা কাভার্ডভ্যান ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাঁরা (পাচারকারীরা) র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেন। এ ছাড়া একটি ওয়ান শুটার গান. ১৩টি গুলি ও ২৫০ কেজি গাঁজা এবং একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেন। আজ বুধবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কোনো স্বজন লাশ নিতে হাসপাতাল মর্গে যায়নি। র্যাব-৭. ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান. নিহত দুজনই মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় র্যাবের ফেনী ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দাগনভূঁঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। | 1,572,941 |
2019-01-02 | অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দিকে মার্কিন বাহিনীর কাঁদানে গ্যাস | null | অনলাইন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572938/%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87 | northamerica | online | 2 | যুক্তরাষ্ট্র|আমেরিকা | যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশী লোকজনকে রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ১৫০ জনের একটি দল মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাধার মুখে পাথর ছুড়তে শুরু করে। এর জবাবে কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্প্রে (মরিচের গুঁড়ামিশ্রিত স্প্রে) ছোড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ সময় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার এএফপির খবরে জানানো হয়. গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত বছরের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ঘটনা ঘটল। অভিবাসনপ্রত্যাশী পাঁচ হাজার অভিযাত্রীর মধ্যে সবশেষ খ্রিষ্টীয় নববর্ষের বিকেলে তিজুয়ানা. মেক্সিকো. সান দিয়েগোর ঠিক দক্ষিণে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় দেড় হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান নিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষুব্ধ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এএফপির প্রতিবেদকের সামনেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ঘটনাটি ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়. সেখানে এক শ জনের মতো জড়ো হয়েছিল। মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজন গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে প্লায়াস দ্য তিজুয়ানা নামক জায়গায় জড়ো হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় স্থানটি প্রায়ই অবৈধ অভিবাসীদের বহির্গমন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সীমান্ত এলাকাটি বেড়া দিয়ে ঘেরা। অপর প্রান্তে মার্কিন বাহিনীকে নজরদারি করতে দেখা যায়। রাত বাড়লে দুই পাশের লোকজন খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনে মেতে ওঠে। ওই সময় অভিবাসীরা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী কমপক্ষে দুটি কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে অভিবাসীরা ফিরে যান। সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়া অভিবাসী দলে নারী. পুরুষ. কিশোর-কিশোরী ও শিশু ছিল। ওই চেষ্টার পর ওই দলের একটি অংশ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নেয় এবং পরে অন্যরা সেখানে এসে যোগ দেয়। নববর্ষ শুরু হওয়ার অল্প কিছু পরে কয়েক জন অভিবাসী পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে টহলে থাকা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অবস্থান বোঝার চেষ্টা করে। ওই দলটি দৌড়ে সীমান্তে যাওয়ার সেকেন্ডের মধ্যে মার্কিন বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এক বিবৃতিতে ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) জানিয়েছে. নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর পর ৪৫ জন অভিবাসীর প্রথম দলটি মেক্সিকোর দিকে ফিরে গেছে। একটু পরই তারা সিবিপি কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে। | 1,572,938 |
2019-01-02 | সব অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য সমাধানের আহ্বান | বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য | প্রতিনিধি. লন্ডন | ২২ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572937/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | international | online | 2 | যুক্তরাজ্য|নির্বাচন|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ | বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত সব অভিযোগের স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে এমন আহ্বান জানান দেশটির পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড। তিনি জানান. নির্বাচনের ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল তিনি লক্ষ করেছেন। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন. নির্বাচন ঘিরে গ্রেপ্তার এবং বাধা প্রদানের বিশ্বাসযোগ্য ঘটনাগুলোর পাশাপাশি এসব ঘটনা যে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারকে সীমিত করেছে অথবা প্রচারণা থেকে বিরত রেখেছে. সেসব বিষয়ে তিনি অবগত। নির্বাচনের দিন অনিয়মের কারণে ভোটারদের ভোট দিতে না পারার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ. স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য সমাধানের আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে মার্ক ফিল্ড নির্বাচনী প্রচারকালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সংঘাতের ঘটনাগুলোর নিন্দা জানান। নির্বাচনের দিন প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রিয়জন হারানো পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রিটিশ এই প্রতিমন্ত্রী। মার্ক ফিল্ড বলেন. যেকোনো কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য অবাধ. সুষ্ঠু. নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য। নিজেদের বিরোধগুলো নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করা এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খোঁজা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবৃতি তিনি আরও বলেন. বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্ব রয়েছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে। অধিকতর স্থিতিশীল. সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা. তাতে যুক্তরাজ্য অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। | 1,572,937 |
2019-01-02 | নারীদের ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন | null | অমর সাহা. কলকাতা | null | https://www.prothomalo.com/international/article/1572936/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AC%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8 | international | online | 2 | ভারত|নারী | ভারতের কেরালার নারীরা গতকাল মঙ্গলবার ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের লাখ লাখ নারী। লিঙ্গবৈষম্যের প্রতিবাদে এবং শবরীমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মান্য করার দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় উত্তর কেরালার কাসারগড় থেকে দক্ষিণ কেরালার তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত লম্বা এই মানববন্ধনে অংশ নেন রাজ্যের লাখ লাখ নারী। এই মানববন্ধনে সায় ছিল রাজ্যের বামদলীয় সরকারের। এতে অংশ নেয় রাজ্যের ১৭৬টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। একই দিন এই মানববন্ধনকে সমর্থন জানিয়ে কোঝিকোড়ের মুথালাকুলামে সমান্তরাল আরেকটি ‘সৌভ্রাতৃত্ব বন্ধন’ তৈরি করেন কেরালার পুরুষ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টজনেরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেরালার ঐতিহ্যবাহী শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশাধিকার দিলে এ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়ায় কেরালার বিভিন্ন এলাকায়। লিঙ্গবৈষম্যের প্রতিবাদে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় পালন করতে এই মানবপ্রাচীর তৈরি করেন রাজ্যের নারীরা। গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের চেষ্টা সত্ত্বেও শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে ঢুকতে পারেননি ঋতুমতী নারীরা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা বলছেন. শিক্ষা. স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কেরালা সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বহন করে। তবে এখন কেরালার নারীদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে। এর প্রতিবাদেই এই মানববন্ধন। তবে মানববন্ধন করতে গিয়ে যাতে কোনো যানজটের সৃষ্টি না হয়. সেই লক্ষ্যে গতকাল দুপুর থেকে ইডুকি. কোঝিকোড়. কান্নুর. তিরুবনন্তপুরমসহ বিভিন্ন জেলার স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। মানববন্ধনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতসহ অন্য নেতারাও। এদিকে এই মানববন্ধনের প্রতিবাদ করেছে কেরালায় বিজেপির নারী মোর্চার সভাপতি কেটি রেমা। তিনি বলেন. এই মানববন্ধন সফল হলেও লিঙ্গবৈষম্যের ইস্যু এখানে প্রাধান্য পায়নি। বরং এটাকে মনে হয়েছে সিপিএমের সমাবেশ। | 1,572,936 |
2019-01-02 | নারী নির্যাতনে অপরাধীরা পার পাবে না: কাদের | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৩৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572939/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87 | bangladesh | online | 2 | নির্বাচন|ওবায়দুল কাদের|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|বিএনপি | নির্বাচনের পরপর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধী যারাই হোক. কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। সাক্ষাত শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন. এ বিষয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের আইজির সঙ্গে কথা হয়েছে। একজন ডিআইজি সেখানে গেছেন। প্রশাসন এ ব্যাপারে তৎপর. সরকারও কঠোর অবস্থানে আছে। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নবনির্বাচিত সাতজন সাংসদ শপথ নাও নিতে পারেন বলে গণমাধ্যমে যেসব খবর এসেছে- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন. তাঁদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। জনগণের রায়কে তাঁরা সম্মান করবেন এটাই আশা করি। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন. ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।’ আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেপ্তার | 1,572,939 |
2019-01-02 | আমরা তোমাদের ভুলব না | null | শাওন রায় | null | https://www.prothomalo.com/bondhushava/article/1572935/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BE | bondhushava | online | 3 | null | মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীর কথায় যুদ্ধদিনের স্মৃতি। পিনপতন নীরবতায় সেই স্মৃতিকথা শুনছেন বন্ধুরা। এ চিত্র গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ শিরোনামের আয়োজনের। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। এতে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের গেরিলা যোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আয়োজন। ছিল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন। এরপর স্মৃতির ডালি খুলে বসেন ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন. ‘১৯৫২ সালে বাঙালি যখন ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল. তখনো চিন্তা করেনি বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন. সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে। কিন্তু ১৯৭০–এ নিবার্চনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ের পর যখন শাসনভার বুঝিয়ে দেয়নি. তখন বাঙালি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙালি যখন স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে. ঠিক তখনই বাঙালিকে মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত করতে বর্বর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ করতে তৈরি হয়েছিল নীলনকশা। ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় বুদ্ধিজীবীদের।’ ১৯৭১ সালে ডা. মাহফুজুর রহমান ছিলেন চট্টগ্রামের একটি গেরিলা দলের কমান্ডার। তিনি তখনকার সম্মুখ সমরের গল্পও শোনান বন্ধুদের। তিনি বলেন. ‘সে সময় চট্টগ্রাম ছিল একটি গলির মতো। অল্প কয়েকটি ভবন ছিল। সবচেয়ে বড় কথা এই শহরের মানুষগুলো পাশে ছিল। আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। খেতে দিয়েছে। এই মানুষগুলো পাশে না থাকলে হয়তো এত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’ তিনি বলেছেন. ‘আমরা যুদ্ধ করেছি স্বাধীন. অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশের জন্য। কত যোদ্ধা তিনি দেখেছেন. নিজের শরীরের সঙ্গে বোমা লাগিয়ে জয় বাংলা বলে শত্রুর ঘাঁটিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। | 1,572,935 |
2019-01-02 | নোয়াখালীতে গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেপ্তার | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. নোয়াখালী | ২১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572932/%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | অপরাধ|নোয়াখালী|ধর্ষণ|নারী নির্যাতন|নারীর প্রতি সহিংসতা | নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. স্বপন (৩৫)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০)। নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর কাছে শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন. এখনো পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার কারণে কাত হয়ে ফিরতে পারেন না। সারা শরীরে নির্যাতনের জায়গাগুলোতে রক্ত জমে কালো হয়ে গেছে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন. মামলায় মো. সোহেল (৩৫). মো. হানিফ ৩০). মো. স্বপন (৩৫). মো. চৌধুরী (২৫). মো. বেচু (২৫). বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০). আবুল (৪০). মোশারফ (৩৫) ও ছালা উদ্দিনের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা করার পর এ পর্যন্ত দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান. বাদশা ও স্বপনকে গ্রেপ্তারের পর থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাঁরা ঘটনার বিষয়ে কিছু স্বীকার করেননি। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন. ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। গতকাল মঙ্গলবার থানা থেকে অনুরোধপত্র পাঠানোর পর তাঁরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। তবে পরীক্ষার ফলাফল এখনো তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি। আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পৃথক দুটি দল ঘটনার তদন্তে নোয়াখালীতে গেছে। তদন্ত দলের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারী. তাঁর স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি বাদ পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন. বাদী যা যা বর্ণনা করেছেন. তাই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি তিনি কোনো কিছু বাদ গেছে বলে দাবি করেন. তাঁরা তদন্তে সেটিও খতিয়ে দেখবেন। গত রোববার রাতে একদল যুবক ওই নারীর ঘরে ঢুকে প্রথমে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মারধর করে। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। | 1,572,932 |
2019-01-02 | বিপিএলে দেশি তারকারা কে কোন দলে? | null | খেলা ডেস্ক | ১৪ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572933/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87 | sports | online | 3 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট | বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুম উপলক্ষে দল সাজানো হয়ে গেছে বহু আগেই। তবে জাতীয় দলের টানা সূচির ডামাডোলে অনেকেরই হয়তো মনে নেই তারকারা কে কোন দলে খেলছেন এবারের বিপিএলে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের আগে তাই প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আরেকবার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোন তারকা খেলছেন কোন দলে বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুম উপলক্ষে দল সাজানো হয়ে গেছে বহু আগেই। তবে জাতীয় দলের টানা সূচির ডামাডোলে অনেকেরই হয়তো মনে নেই তারকারা কে কোন দলে খেলছেন এবারের বিপিএলে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের আগে তাই প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আরেকবার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোন তারকা খেলছেন কোন দলে অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে. আগামী ৫ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। সব দলই নিজেদের স্কোয়াড সাজিয়ে নিয়েছে এরই মাঝে। মাঠের লড়াইয়েই জানা যাবে. কারা সেরা দল গড়ল। আর কোন দলে খামতি রয়ে গেছে একটু। কিন্তু তার আগে একটু ধারণা পেতে চাওয়ার সহজ উপায় সব দলে থাকা তারকাদের খোঁজ নেওয়া। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা কে কোন দলে রয়েছেন সেটা দেখে নিলেই কাজটা অনেকটা এগিয়ে যায়। এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত নজর কাড়া কিছু তারকা থাকেন . যারা এখানেই জ্বলে ওঠেন। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা অনেক ক্রিকেটারই বিপিএলে জ্বলে ওঠে নজরে আসতে চান। তারাও থাকছে দেশি তারকাদের মাঝে। এবারের দলবদলে মূল তারকাদের অধিকাংশই আগে থেকেই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু মুশফিকুর রহিমই চিটাগং ভাইকিংসে যুক্ত হয়েছেন। রংপুর রাইডার্সমাশরাফি বিন মুর্তজা. মোহাম্মদ মিঠুন. নাজমুল ইসলাম অপু। ঢাকা ডায়নামাইটসসাকিব আল হাসান. রুবেল হোসেন. নুরুল হাসান সোহান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসতামিম ইকবাল. এনামুল হক. আবু হায়দার. ইমরুল কায়েস. মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। খুলনা টাইটানসমাহমুদউল্লাহ. আরিফুল হক. নাজমুল হোসেন শান্ত. তাইজুল ইসলাম। সিলেট সিক্সার্সলিটন দাস. সাব্বির রহমান. তাসকিন আহমেদ. নাসির হোসেন। রাজশাহী কিংসমোস্তাফিজুর রহমান. সৌম্য সরকার. মুমিনুল হক. মেহেদী হাসান. ফজলে মাহমুদ. আরাফাত সানী। চিটাগং ভাইকিংসমুশফিকুর রহিম. আবু জায়েদ রাহী. মোহাম্মদ আশরাফুল. মোসাদ্দেক হোসেন. নাঈম হাসান. খালেদ আহমেদ। | 1,572,933 |
2019-01-02 | বলিউডে বছরের প্রথম বাগদান | null | বিনোদন ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572931/%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | entertainment | online | 3 | বলিউড | বলিউডে নতুন বছরের প্রথম দিন সবাই তখন ব্যস্ত শুভেচ্ছা জানাতে আর নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার নানা আয়োজন নিয়ে। কিন্তু এর মধ্যেই হয়ে গেল এমি জ্যাকসনের বাগদান। বয়ফ্রেন্ড জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ ছবি দেখা গেছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গত বছর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও দেন তাঁরা। তাতে দেখা গেছে. কোনো একটি দ্বীপে তাঁর চমৎকার সময় কাটাচ্ছেন। তাঁদের ঘনিষ্ঠতা দেখে তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছেন. তাঁরা বিয়েটা আর বাকি রাখছেন কেন? এবার জানা গেছে. ১ জানুয়ারি তাঁরা চুপিচুপি আংটি বদল করেছেন। ইনস্টাগ্রামে জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে নিজের অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে এমি জ্যাকসন লিখেছেন. ‘নতুন জীবন শুরু হলো। তোমাকে ধন্যবাদ এই মুহূর্তে আমাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন করার জন্য।’ ইনস্টাগ্রামে দেওয়া জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে এমি জ্যাকসনের অন্তরঙ্গ ছবিটি জাম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তোলা। তাই ধারণা করা হচ্ছে. থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জাম্বিয়াতে জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে নিরিবিলিতে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন বলিউডের এই তারকা। জর্জ পানাইয়োতু একজন ব্রিটিশ ধনকুবের। বিলাসবহুল হোটেলের ব্যবসা তাঁর। হিলটন. পার্ক প্লাজা আর ডাবল ট্রি হোটেলের মালিক তিনি। এমি জ্যাকসনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক দিনের। তাঁরা একসঙ্গে থাকছেন. বেড়াচ্ছেন. একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। এমি জ্যাকসন সম্প্রতি রজনীকান্ত আর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘টু পয়েন্ট জিরো’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। গত বছর ২৯ নভেম্বর ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি এরই মধ্যে দারুণ ব্যবসাসফল হয়েছে। ছবিটি মুক্তির সময় এমি জ্যাকসন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন. ‘ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনটাও সাজাতে চাই।’ ২৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ মডেল এমি জ্যাকসন ২০১০ সাল থেকে অভিনয় করছেন ভারতের চলচ্চিত্রে। এরই মধ্যে তিনি তামিল. তেলেগু ও হিন্দি ভাষার ১৬টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে এমি তাঁর মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ওই সময়ে তামিল পরিচালক এ এল বিজয়ের চোখে পড়েন তিনি। সুযোগ পান চলচ্চিত্রে। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তামিল ছবি ‘মাদরাসাপত্তিনম’। এরপর মডেলিংয়ের পাশাপাশি ভারতের ছবিতে অভিনয় করছেন। বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি ‘এক দিওয়ানা থা’ মুক্তি পায় ২০১২ সালে। তেলেগু ভাষায় তাঁর প্রথম ছবি ‘ইয়েভাদু’। তাঁর দ্বিতীয় হিন্দি ছবি প্রভু দেবার ‘সিং ইজ ব্লিং’। এই ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘ফ্রিকি আলী’ ছবিতে এমি অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে। এমি জ্যাকসন ‘মিস টিন লিভারপুল’ ও ‘মিস টিন গ্রেট ব্রিটেন’ খেতাব জয় করেন। ‘মিস টিন ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জেতেন ২০০৯ সালে। পরের বছর ‘মিস ইংল্যান্ড’ প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম রানারআপ হন। জর্জ পানাইয়োতুর আগে এমি জ্যাকসন প্রেম করেছেন প্রতীক বাব্বরের সঙ্গে। ২০১২ সালে তাঁরা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘এক দিওয়ানা থা’ ছবিতে। ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু প্রতীক বাব্বর আর এমি জ্যাকসনের প্রেম জমে ক্ষীর। তখন এমনও শোনা গেছে. প্রতীক বাব্বর আর এমি জ্যাকসন একসঙ্গে থাকা শুরু করেছেন। জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে এমি জ্যাকসনের বাগদান তো হলো. তাঁদের বিয়েটা কবে হচ্ছে? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে. হয়তো এ বছরই তাঁরা বিয়ে করবেন। | 1,572,931 |
2019-01-02 | ঐক্যফ্রন্টকে মাথা গরম না করার পরামর্শ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৩৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572930/%E0%A6%90%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AE | bangladesh | online | 3 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন. ঐক্যফ্রন্ট যা (আসন) পেয়েছে. তা নিয়েই তাদের আসা উচিত। অতীতের মতো একই ভুলের পুনরাবৃত্তি তারা করবে না। কেননা. অতীতের ভুলের জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাদের মাথা গরম না করে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসা উচিত। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় ১৪-দলীয় জোটের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এই মন্তব্য করেন। নাসিম বলেন. মহাজোটের এই বিশাল জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অবিস্মরণীয় বিজয়ের মাধ্যমে জনগণ সন্ত্রাসী দলকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন. তরুণ ও নারীরা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন. তাতে পরিষ্কার বোঝা যায়. জনগণ কোনো জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব চায় না। নাসিমের ভাষ্য. নির্বাচন সামনে রেখে একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। একটি টালবাহানার ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বাংলার জনগণের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণে মহাজোট অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করেছে। পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া থেকে ঐক্যফ্রন্টকে বিরত থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান নাসিম। তিনি বলেন. পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া হাস্যকর ব্যাপার। যেখানে ভারত. চীন. কাতার. শ্রীলঙ্কাসহ সারা বিশ্ব থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে. সেখানে স্মারকলিপি দেওয়া হাস্যকর ব্যাপার। সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন. এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দুটি রায় দিয়েছে। একটি হচ্ছে জঙ্গি. সন্ত্রাসমুক্ত শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে রায়। আরেকটি হচ্ছে যাঁরা রাজাকার. জামায়াত. সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী সম্প্রদায়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে অশান্তির রাজনীতি করেন. তাঁদের বর্জন এবং চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া. সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। | 1,572,930 |
2019-01-02 | মার্চেই ফিরছেন রোনালদো. আর মেসি? | null | খেলা ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572929/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF | sports | online | 3 | ফুটবল|মেসি|ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো|পর্তুগাল|আর্জেন্টিনা | সবকিছু ঠিক থাকলে পর্তুগালের হয়ে ১৫৫তম ম্যাচটি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলবেন আগামী ২২ মার্চ। লিওনেল মেসিও জাতীয় দলে ফিরছেন বলে আভাস মিলেছে সবকিছু ঠিক থাকলে পর্তুগালের হয়ে ১৫৫তম ম্যাচটি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলবেন আগামী ২২ মার্চ। লিওনেল মেসিও জাতীয় দলে ফিরছেন বলে আভাস মিলেছে বছরের শেষভাগটা জাতীয় দলের বাইরে কাটিয়েছেন দুজনই। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকেই বিশ্রামে সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসিকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল. আর কখনো হয়তো আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলতেই দেখা যাবে না তাঁকে! আর রোনালদোকে নিয়ে লোকেরা বলেছে অন্য কথা—হয়তো ধর্ষণ কেলেঙ্কারির কারণেই পর্তুগালের অধিনায়ককে জাতীয় দলে ডাকা হচ্ছে না! সংবাদমাধ্যম আর ফুটবল সমর্থকদের এসব কথার মাঝে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মেসি ও রোনালদো। কিন্তু দুই দলেরই কোচরা বলে গেছেন. সময় হলেই জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে তাঁদের। আর্জেন্টিনার ভারপ্রাপ্ত কোচ স্কালোনি তো দিন কয়েক আগেও বলেছেন. নতুন বছরেই দেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন মেসি। আর রোনালদো? এ বছর পর্তুগালের হয়ে তাঁর মাঠে ফেরার খবরটি নিজেই দিয়েছেন। পর্তুগালের ক্রীড়া দৈনিক রেকর্ডকে ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো বলেছেন. ‘২০১৯ সালে (জাতীয় দলে) ফিরতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’ ফ্রান্সের কাছে ৪–৩ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপরই মেসি ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে আর খেলবেন না. থাকবেন বিশ্রামে। রোনালদো ও রকম ঘোষণা না দিলেও বিশ্বকাপের পর আর জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যচ খেলেননি। এই সময়ে ৬টি ম্যাচ খেলেছে পর্তুগাল। ৩টি জয়ের পাশাপাশি ৩টি ম্যাচে করেছে ড্র। জায়গা করে নিয়েছে নেশনস লিগের চূড়ান্ত পর্বে। এই ম্যাচগুলোতে রোনালদো কেন খেলেননি? এত দিন পর সেটা জানিয়েছেন রোনালদো নিজেই। পর্তুগালের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এ মৌসুমেই জুভেন্টাসে নাম লেখানো তারকা ফরোয়ার্ড। নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে তাঁর একটু বেশি পরিশ্রম করার প্রয়োজন ছিল। জুভেন্টাসে একটু বেশি সময় দিতেই জাতীয় দল থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন রোনালদো। রেকর্ড পত্রিকায় তিনি বলেছেন. ‘আমি বলেছিলাম. মৌসুমের প্রথম অর্ধে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারব না। তারাও রাজি হয়েছিল। আমার এখন ৩৩ বছর বয়স। মাত্রই একটি দেশ থেকে আরেকটি দেশে এসেছি। এখানকার কাজের ধরন. সতীর্থ. ব্যক্তিগত রুটিন—সবই নতুন ছিল। আমার মনে হয়েছে. মৌসুমের প্রথম অর্ধে জাতীয় দলে বিশ্রামে থাকাটাই ভালো হয়েছে।’ রোনালদোর কৌশলটা কাজেও লেগেছে বলতে হবে। জুভেন্টাসের হয়ে সব প্রতিযোগিতায় খেলা ২৪ ম্যাচে গোল করেছেন ১৫টি. গোলে সহায়তা ৮টি। জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম গোল পেতে অবশ্য ৪ ম্যাচ লেগেছে রোনালদোর। সিরি ‘আ’র চতুর্থ ম্যাচে সাসসুয়োলোর বিপক্ষে জোড়া গোল দিয়ে সেই যে শুরু. আর পেছন ফিরে তাকাননি। ১৯ ম্যাচ শেষে ১৪ গোল নিয়ে সিরি ‘আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন পর্তুগাল অধিনায়কই। তা না হয় হলো. কিন্তু নতুন বছরে পর্তুগালের হয়ে কবে মাঠে নামবেন রোনালদো? খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না তাঁর ভক্তদের। সবকিছু ঠিক থাকলে ২২ মার্চ লিসবনে ইউক্রেনের বিপক্ষে ইউরো ২০২০–এর বাছাইপর্বের ম্যাচটি দিয়েই জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরবেন রোনালদো. যেটি হবে পর্তুগালের হয়ে তাঁর ১৫৫তম ম্যাচ। মেসি কবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরবেন. সে দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থা আভাস দিয়ে রেখেছে. আগামী কোপা আমেরিকার আগেই জাতীয় দলে দেখা যাবে মেসিকে। ২০১৯ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো কোপার আসর বসছে। এবারের আয়োজক ব্রাজিল। জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের কোপা আমেরিকা। | 1,572,929 |
2019-01-02 | ৭১ বছরের ইতিহাস ডাকছে কোহলির ভারতকে | null | খেলা ডেস্ক | ১৬ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572928/%E0%A7%AD%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87 | sports | online | 3 | ভারত|অস্ট্রেলিয়া|ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেট | ১৯৪৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে ভারত। কখনো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি। এবার সেই উজ্জ্বল সম্ভাবনার সামনে বিরাট কোহলির ভারত ১৯৪৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে ভারত। কখনো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি। এবার সেই উজ্জ্বল সম্ভাবনার সামনে বিরাট কোহলির ভারত একটা কীর্তি এরই মধ্যে গড়েছে ভারত। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে দুটি টেস্ট জিতেছে তারা। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখা তাই নিশ্চিত তাদের। কিন্তু বিরাট কোহলিরা আরও বড় কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে। সিডনিতে বাংলাদেশ সময় কাল বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু সিরিজের শেষ টেস্টটা না হারলেই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে ফিরবে কোনো ভারতীয় দল। সুযোগটা কি নিতে পারবেন কোহলিরা? এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে. না নিতে পারার কোনো কারণ নেই। ঐতিহ্যগতভাবেই অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলে ভারত সিডনিতে খেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে সবচেয়ে বেশি। কারণ অন্য যেকোনো মাঠের চেয়ে সিডনি অনেক বেশি স্পিনবান্ধব। এখানেই ভারত কিছুটা সুযোগ পায় নিজেদের শক্তিটা দেখানোর। কোহলিরা এবার সেই সিডনিতে নামছেন সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। এমন দারুণ মঞ্চ আর কবে পেয়েছে ভারত! আরও একটা জায়গায় এবার এগিয়ে ভারত। চিরকাল অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ভালো পেস বোলারের অভাবে ভুগেছে ভারত। সেই দলেরই পেসার জসপ্রীত বুমরা এখন পর্যন্ত ২০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। যেখানে তিন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স. মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউডের উইকেট যথাক্রমে ১৪. ১২ ও ১১টি করে। এর আগে কখনো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে পারেননি কোনো ভারতীয় পেসার। যদি চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে সিডনি স্পিনিং উইকেটই থাকে. তাহলেও লাভটা হবে সম্ভবত ভারতেরই। হ্যাঁ. অস্ট্রেলিয়া দলেও এই সময়ের অন্যতম সেরা স্পিনার নাথান লায়ন আছেন। পার্থে যিনি ৮ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন । তবে একা লায়নের কাঁধে সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে মনে হয় না নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। পার্থে ভারত কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার না খেলালেও মেলবোর্নেই দলে ফিরিয়েছে রবীন্দ্র জাদেজাকে। ৫ উইকেট নিয়ে সেটার প্রতিদানও দিয়েছেন জাদেজা. যেখানে লায়ন পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। ওদিকে অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৬ উইকেট নিয়ে চোটে পড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিট হয়ে গেছেন প্রায়। স্পিনবান্ধব উইকেট হলে সিডনিতে তাঁর ফেরা প্রায় নিশ্চিত। অধিনায়ক কোহলিই আভাস দিয়েছেন. ‘ও ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেসের খুব কাছাকাছি। আমার মনে হয়. সিরিজের শেষ টেস্টটা খেলার জন্য সে মুখিয়ে আছে।’ স্পিনের লড়াইয়ে জেতার জন্যই সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া দলে ডাকা হয়েছে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার মারনাস লাবুশেনকে। মেলবোর্নে সুযোগ পাওয়া মিচেল মার্শের জায়গা নিতে পারেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার দুশ্চিন্তা অবশ্য শুধু স্পিন নয়. ব্যাটিংও। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি নেই কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের। প্রথম ছয়জনের মধ্যে ৩০-এর ওপরে গড় শুধু পাঁচ নম্বরে ব্যাট করা ট্রাভিস হেডের। মেলবোর্নের দুই ইনিংসে ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ করেছেন ৮ ও ৩। কিন্তু বিকল্প ওপেনারের এতই অভাব যে তাকেই রেখে দিতে হচ্ছে দলে! এমনি এমনি তো আর স্মিথ-ওয়ার্নারের জন্য আক্ষেপ করছেন না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার নিজেই বলেছেন. ‘দলের দরজায় যারা কড়া নাড়ছে. ওদের কারও ব্যাটিং গড়ই ভালো নয়। আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে।’এ সুযোগটা কেন নেবে না ভারত! | 1,572,928 |
2019-01-02 | সালমান বাটের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছেন আফ্রিদি! | null | খেলা ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572927/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BF | sports | online | 3 | ক্রিকেট|পাকিস্তান|শহীদ আফ্রিদি | স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন সালমান বাট। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেছেন. পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন. কিন্তু আফ্রিদিই নাকি তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন সালমান বাট। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেছেন. পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন. কিন্তু আফ্রিদিই নাকি তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কফিন ঢুকে পড়েছিলেন তিনি নিজেই। আর সালমান বাটের দাবি সত্যি হলে সেই কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার কাজ করেছেন শহীদ আফ্রিদি। স্পট ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন বাট। সঙ্গে মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। কারাভোগও করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পূরণ করে তিনজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন। আমির তো পাকিস্তান দলেই নতুন করে জায়গা করে নিয়েছেন। বাট আর আসিফেরও সে সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বাটের দাবি. শহীদ আফ্রিদির জন্যই ২০১৬ সালে সুযোগ আসার পরও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তাঁর। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাটকে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তখনকার অধিনায়ক আফ্রিদি বেঁকে বসেছিলেন। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিটিভিকে বাট সে ঘটনাই বলেন. ‘২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় একদিন কোচ ওয়াকার ইউনিস ফোন করে আমাকে লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) যেতে বলেন। সেখানে ওয়াকার ও ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার আমার ফিটনেস সম্পর্কে খোঁজ নেন। নেটে ব্যাটিংও দেখেন। আমি জাতীয় দলে ঢোকার মুখেই ছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক আফ্রিদির আপত্তির মুখে আমি সুযোগ পাইনি।’ ওয়াকার ইউনিস তাঁকে আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাট. ‘ওয়াকার ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেন. নতুন করে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে খেলার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না।’ বাট তো এক পায়েই খাড়া ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। আফ্রিদি যে তাঁর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন. সেটি বাট জেনেছিলেন ওয়াকারের কাছ থেকেই. ‘ব্যাপারটা আমি ওয়াকার ভাইয়ের কাছ থেকেই জানি। তিনি বলেন. আফ্রিদি আমাকে দলে নিতে চায় না। কিন্তু আমি এ নিয়ে আফ্রিদিকে কিছুই জিজ্ঞেস করিনি। আমি মনে করেছি. ব্যাপারটা ঠিক হবে না। আমি এটাও জানি না. আফ্রিদির সমস্যাটা কোথায় ছিল। কে বা কারা তাঁকে আমার দলভুক্তির বিষয়ে তাঁর মধ্যে নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দিয়েছিল।’ জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে বেশ হতাশ বাট। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না. কী করলে তিনি নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন. ‘আমি জানি না আর কী করলে জাতীয় দলে সুযোগ পাব। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি রান করে যাচ্ছি। বোর্ডের ঠিক করে দেওয়া পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমি মনে করি. পুরো ব্যাপারটা আমাদের ব্যাখ্যা না করা খুব বড় অবিচার।’ ৩৫-এ পা দিয়ে ফেলা বাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা আর তেমন নেই। ২০১৬ সালে সুযোগটা পেলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতেও পারত। | 1,572,927 |
2019-01-02 | সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ ৫ ডিগ্রির নিচে | null | প্রতিনিধি. পঞ্চগড় | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572926/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A7%AB-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87 | bangladesh | online | 3 | আবহাওয়া|শৈত্যপ্রবাহ|পঞ্চগড় | পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার জেলার সর্বোত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস. যা গত তিন দিনের চেয়ে বেশ কমেছে। তবে সকাল সকাল মিলেছে সূর্যের দেখা।রাতভর কুয়াশা আর সকাল সকাল সূর্য ওঠার কারণে কয়েক দিন ধরেই দিন সেখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ওঠানামা করছে। রাতভর হিমেল বাতাস থাকার কারণে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে বলে জানান তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষকেরা।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়. আজ সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এই তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এর আগের দিন সোমবার সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. সামিউজ্জামান বলেন. সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া দুপুর ১২টায় তেঁতুলিয়ার বাতাসে আর্দ্রতা ২৮ শতাংশ ছিল. যা বিকেলে হওয়ার কথা ছিল বলে তিনি জানান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল নয়টার বুলেটিনে বলা হয়. শ্রীমঙ্গল. পাবনা. নওগাঁ. চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। | 1,572,926 |
2019-01-02 | সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ. ঘরবাড়ি ভাঙচুর | null | প্রতিনিধি. ফরিদপুর | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572925/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | অপরাধ|ফরিদপুর|সহিংসতা | ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০জন। পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও পরে শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে দুই দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে. ফুকরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হায়দার সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের কাউছার মাতুব্বারের বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রাত ৮টার দিকে ফুকরা বাজারে হায়দার সিকদারের সমর্থক লাল মিয়ার সঙ্গে কাউছার মাতুব্বারের সমর্থক রুহুল মোল্লার কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে লাল মিয়া আহত হয়। এই ঘটনার পর রাতেই উভয় দলের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল. কাতরা. সড়কি. ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জের ধরে আজ সকাল ৭টার দিকে উভয় দলের সমর্থকেরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাকছুদুল ইসলাম. ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা) সার্কেল এফএম মহিউদ্দীন. সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন. সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে দুই দফায় ২৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় এবং শটগানের ৩২টি গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭জনকে আটক করা হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। ওসি আরও বলেন. সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। | 1,572,925 |
2019-01-02 | শেখ হাসিনার জন্য দল সামলানো দুষ্কর হবে: কাদের সিদ্দিকী | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৫৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572924/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | কাদের সিদ্দিকী|আওয়ামী লীগ|শেখ হাসিনা|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|বিএনপি | কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেছেন. শেখ হাসিনার জন্য নিজের দল সামলানো দুষ্কর হবে। এ ছাড়া এই নির্বাচনকে কলঙ্কের নির্বাচন অভিহিত করে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নতুন করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন. ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন কোনো কিছুতে আনন্দ নেই। একদলীয় পার্লামেন্ট পৃথিবীর কোথাও শুভ ফল আনতে পারেনি। এখানেও পারবে না। নিজের দলকে সামলানো শেখ হাসিনার জন্য এত দুষ্কর হবে যে একসময় বিরক্ত হয়ে শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করেও চলে যেতে পারেন।’ কাদের সিদ্দিকীর অভিযোগ. ‘ভাড়া করা কিছু কিছু বিদেশি পর্যবেক্ষক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বললেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অস্বাভাবিক কারচুপির নির্বাচন. ত্রুটিতে ভরা কলঙ্কিত নির্বাচন।’ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কারচুপির মাধ্যমে ভোটে জিতলেও আওয়ামী লীগ মানুষের সমর্থন নিয়ে কখনো জিততে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। এবারের নির্বাচনে দেশের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন. ‘দেশের পর ক্ষতি হয়েছে শেখ হাসিনার. নির্বাচন–পদ্ধতির ও বঙ্গবন্ধুর এবং দেশে নির্বাচন–পদ্ধতির অপমৃত্যু ঘটেছে। এ বিজয় আগামী অল্প দিনের মধ্যেই সবচেয়ে নিন্দার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। কারণ. অতিরিক্ত খেলে হজম হয় না। বাংলাদেশের অন্তর থেকে বর্তমান সরকার ও সরকারের নেত্রী ধুয়েমুছে উঠে গেছেন।’ ঐক্যফ্রন্টের জয়ী প্রার্থীদের শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন. শরিক হিসেবে তিনি শপথ নেওয়ার পক্ষে নন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটভুক্ত হয়ে এবারের নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ চারটি আসনে লড়েছিল। লিখিত বক্তব্যে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়. এ বছর নানা টানাপোড়েন থাকলেও দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান এবং ন্যূনতম নীতি-নৈতিকতাকে পদদলিত করে এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তারা বলে. সরকারদলীয় কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিলেমিশে আগেই নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে। এ ছাড়া ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে দলটি। এই নির্বাচন বাতিল করে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার. যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ। | 1,572,924 |
2019-01-02 | রেমন্ড: শত কোটি ডলারের সাম্রাজ্য নিয়ে বাপ-বেটার যুদ্ধ | null | অনলাইন ডেস্ক | ৯ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572923/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B6%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | international | online | 3 | ভারত | রেমন্ড গ্রুপের নাম শোনেননি—এমন লোক কম। ভারতের এই প্রতিষ্ঠানের পোশাকের খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশেও রেমন্ড জনপ্রিয়। তবে শত কোটি ডলারের খ্যাতনামা এই প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে ক্ষমতার যুদ্ধ। তাও নিজেদের লোকের মধ্যে। আরও স্পষ্ট করে বললে বাপ-বেটার মধ্যে। বাবা এখন কপাল চাপড়ে বলছেন. কেন ছেলেকে এত ক্ষমতা দেওয়ার মতো ভুল করলেন! ছেলের কারণে তিনিই নিজে এখন বিলাসবহুল বাড়ি ও বিশাল আকারের প্রতিষ্ঠানছাড়া হতে যাচ্ছেন! বাপ-বেটার এই দ্বন্দ্বের খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়. বিজয়পাত সিংহানিয়া শত কোটি ডলারে পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের সাম্রাজ্য নিজের পরিবারের ভেতরেই রাখবেন বলে ভেবেছিলেন। সেই ভাবনা থেকে তিন বছর আগে উপহার হিসেবে ছেলে গৌতম সিংহানিয়ার হাতে রেমন্ড গ্রুপের কর্তৃত্ব তুলে দেন। তখন থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এখন বাবা বিজয়পাত সিংহানিয়া মনে করছেন. ছেলে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং তাঁকে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ৮০ বছর বয়সী বিজয়পাতের দাবি. আবেগতাড়িত হয়ে তিনি ওই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিজয়পাত সিংহানিয়া ছোট টেক্সটাইল ব্যবসা থেকে আজ ধনকুবের হয়েছেন। রেমন্ড গ্রুপকে এখন বলা হয় পশমি সুতার স্যুট উৎপাদনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। এই গ্রুপের সিমেন্ট. ডেইরি ও প্রযুক্তি বাণিজ্যও রয়েছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ক্রেডিট সুসির প্রতিবেদন অনুসারে. বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা পারিবারিক বাণিজ্যের দিকে দিয়ে বিশ্বে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে পরিবারগুলোর মধ্যে ক্ষমতার সুষ্ঠু বণ্টন ও নতুন প্রজন্মের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টার ব্যাপারে কিছু বিশ্লেষকের মত হচ্ছে. ভারতে এ ধরনের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আরও সুশাসন নিশ্চিতের জন্য বৈশ্বিক করপোরেট মান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। ভারতের আরেক আলোচিত ধনী আম্বানি পরিবারেও এমন যুদ্ধ হয়েছে। কোনো একটি মান নির্ধারণ করা থাকলে এ ধরনের লড়াই রোধ করা সম্ভব। বর্তমানে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। বাবা ধিরুভাইয়ের মৃত্যুর পর রিলায়েন্স গ্রুপ নিয়ে মুকেশ আম্বানির সঙ্গে তাঁর ভাই অনিলের বছরের পর বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ভারতের আরেক শিল্পপতি ওয়েভ গ্রুপের মালিক পন্টি চাধাকে তাঁর ভাই হারদিপ সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ২০১২ সালে গুলি করে হত্যা করেন। পারিবারিক ওষুধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান র্যানবেক্সি ও রেলিগের নিয়ে ধনকুবের দুই ভাই শিবেন্দর সিং ও মালবিন্দর সিংয়ের মধ্যেও লড়াইয়ের অভিযোগ রয়েছে। রেমন্ড গ্রুপ নিয়ে বাপ-বেটার যুদ্ধের সূত্রপাত হয় ২০১৫ সালে ছেলে গৌতমের হাতে বাবা বিজয়পাত প্রতিষ্ঠানের ৩৭ শতাংশ অংশীদারত্ব তুলে দেওয়ার পর। বিজয়পাত জানান. চুক্তি অনুসারে তিনি মুম্বাইয়ের মালাবার হিল এলাকায় সিংহানিয়া পরিবারের ৩৬ তলার জে কে হাউসের একটি অ্যাপার্টমেন্ট পান। বাজারের দরের চেয়ে বেশ কম দাম ধরা হয় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটির। গৌতম রেমন্ড বোর্ডকে পরামর্শ দেন যে অ্যাপার্টমেন্টটিকে যেন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান সম্পদ বিক্রি হিসেবে ধরা হয়। বিরোধ চরমে ওঠে তখন. যখন বোর্ড এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতি অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ তুলে বিজয়পাতের ‘চেয়ারম্যান ইমেরিটাস’ খেতাব নিয়ে নেয়। বিজয়পাত অভিযোগ করেন. তাঁকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর পদ এবং তাঁকে দেওয়া ভারত সরকারের শীর্ষ উপাধি ‘পদ্মভূষণ’ চুরি করে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান. দুই বছর ধরে ছেলের সঙ্গে তিনি কথা বলেন না। এখন ছেলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা করছেন। বাবা-মায়ের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হলে ২০০৭ সালের ভারতের এক আইন অনুসারে ওই বাবা-মা সন্তানদের উপহার হিসেবে দেওয়া সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারেন। বিজয়পাত সেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন। ৯৩ বছরের পুরোনো রেমন্ড গ্রুপকে ছেলে গৌতমের হাতে তুলে দেওয়াকে ‘চরম নির্বুদ্ধিতা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিজয়পাত সিংহানিয়া। বিজয়পাত আরও বলেন. জীবদ্দশায় কোনো বাবা-মা তাঁর সম্বল যেন কখনো সন্তানদের হাতে তুলে দেওয়ার মতো ভুল না করেন। তবে গৌতম বলেছেন. তিনি শুধু তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সঠিক কাজ করেছেন। রেমন্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছেলে হিসেবে তাঁর দায়িত্বের চেয়ে আলাদা। তাঁর বাবা বিজয়পাত বোর্ডের সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নিয়েছেন। তিনি বলেন. ‘আমি ভুক্তভোগী। আমি কি কোনো ভুল করেছি? বাবার কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পুরো খেলাই পাল্টে গেছে। প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানোর জন্য আমি এখন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারি. যা আগে পারতাম না।’ তবে বাপ-বেটার এই লড়াইয়ের আপাতদৃষ্টিতে কোনো প্রভাব পড়েনি রেমন্ড গ্রুপে। ২০১৮ সালে প্রথম আট মাসে ৫০ শতাংশ লাভ বেড়েছে প্রতিষ্ঠানের। রেমন্ড গ্রুপ সম্প্রতি ইথিওপিয়াতে একটি বড় কারখানা খুলেছে। ৫৫টিরও বেশি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। | 1,572,923 |
2019-01-02 | খুলনার সাংবাদিকের তিন দিনের রিমান্ড | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. খুলনা | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572922/%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1 | bangladesh | online | 3 | নির্বাচন|খুলনা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন | খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় সাংবাদিক মো. হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বুধবার খুলনার বিচারিক হাকিম আদালত-৩-এর বিচারক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হেদায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারিক হাকিম আদালত-৩-এর বিচারক নয়ন বিশ্বাসের আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। হেদায়েত হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি। খুলনা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষও তিনি। গতকালই তাঁদের কমিটি নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। দুপুরে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন. গত সোমবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় হেদায়েতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল মোবাইল ফোনে প্রথম আলোকে ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী বলেন. ‘নির্বাচনের লিখিত ফলাফলের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করায় রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ওই মামলা করা হয়েছে।’ | 1,572,922 |
2019-01-02 | জাতীয় পার্টি সরকারে না বিরোধী দলে. সিদ্ধান্ত কাল | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572921/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | bangladesh | online | 3 | রাজনীতি|জাতীয় পার্টি | জাতীয় পার্টি সরকারে না বিরোধী দলে থাকবে. সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে কাল বৃহস্পতিবার। কালই দলের নবনির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেবেন। এরপর দলের সংসদীয় বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে তারা মহাজোটের সঙ্গেও আলোচনা করবে। আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মসিউর রহমান এ কথা জানান। সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে। এতে দলের কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের. কাজী ফিরোজ রশীদ. ফয়সল চিশতী. আবু হোসেন বাবলা. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী. সালমা ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। গত সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে অবশ্য দেখা যায়নি। সংসদে বিরোধী দল হতে গেলে ১০ শতাংশ আসন (৩৮টি) থাকতে হয়. সেখানে জাতীয় পার্টির আছে ২২টি আসন। এ বিষয়ে এবং মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে—সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন. ‘এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনসংখ্যার দিক দিকে আওয়ামী লীগের পরই আমাদের অবস্থান। আমরা মহাজোটে ছিলাম. এখনো আছি। ভবিষ্যৎ বুঝে দেখা হবে।’ | 1,572,921 |
2019-01-02 | উপজেলা নির্বাচন মার্চে হতে পারে | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572920/%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 | bangladesh | online | 3 | নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন|উপজেলা পরিষদ নির্বাচন|রাজনীতি|উপজেলা নির্বাচন | চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে পারে। আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হয়। ছয় দফায় এই নির্বাচন হয়। এটি ছিল দেশের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন। আজ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন. আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দেশে ১৯৮৫ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই বছর ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ৪৭৫টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়। উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী. পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। | 1,572,920 |
2019-01-02 | গায়েবি ভোটে জিতেছে আ.লীগ: রিজভী | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৫২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572919/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%AD%E0%A7%80 | bangladesh | online | 3 | রাজনীতি|আওয়ামী লীগ|বিএনপি|জালিয়াতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সহিংসতা | বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একতরফা নির্বাচনের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল যুগ সৃষ্টি হলো না। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জেতেনি. তাঁর দল জিতেছে গায়েবি ভোটে। আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন. ‘মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন সরকার তৈরি হবে. তা হবে গভর্নমেন্ট অব দ্য বিজিবি. বাই দ্য র্যাব এবং ফর দ্য পুলিশ।’ রিজভী বলেন. এই মহাডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাঁদের ‘গলাবাজির’ জোরে ভোট নিয়ে মহাজালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাইছেন। কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ কিছুই এড়ায়নি। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের ‘খারাপ’ নির্বাচনের চেয়েও ‘কুৎসিত’। রিজভী অভিযোগ করেন. ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর দেশ আরও একধাপ বর্বর যুগে প্রবেশ করল। নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতা করে এখন জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর চলছে পৈশাচিক বর্বরতা। মূর্খের অহংকারে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের বাড়িঘর. দোকানপাট ও বাজার। সেগুলোয় অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রিজভী বলেন. বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘরছাড়া. এলাকাছাড়া করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করার রীতিমতো হিড়িক শুরু হয়েছে। নানা হয়রানিসহ শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আক্রমণে অনেকে নিহত হয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান. কৃষিখামার. সহায়-সম্পদের ওপর বেপরোয়া হানা দেওয়া হচ্ছে অবিরাম। | 1,572,919 |
2019-01-02 | ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী পোস্টার অপসারণের ঘোষণা | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৫ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572917/%E0%A7%AA%E0%A7%AE-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE | bangladesh | online | 3 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন|রাজধানী | আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব নির্বাচনী পোস্টার. ফেস্টুন অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ বুধবার সকালে পুরান ঢাকার সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ কাজ উদ্বোধনের সময় তিনি এ ঘোষণা দেন। সাঈদ খোকন বলেন. গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে উৎসব মুখর পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রার্থীরা পোস্টার-ফেস্টুন ও ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। আমরা এই প্রচার সামগ্রী অপসারণের মধ্য দিয়ে নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন ঢাকা উপহার দিতে চাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় পোস্টার সামগ্রী অপসারণ করবে ডিএসসিসি। এই সময়ের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনও কাজ করবে।মেয়র সাঈদ খোকন বলেন. এই সময়ের মধ্যে ডিএসসিসির একার পক্ষে সব পোস্টার অপসারণ কিছুটা কঠিন হবে। তাই নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের ও রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন। আমরা সবাই মিলে এই শহরকে সুন্দর করে নগরবাসীকে উপহার দিতে চাই।পরে সাঈদ খোকন নিজ হাতে ঢাকা-৬ আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদের নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ করেন। | 1,572,917 |
2019-01-02 | প্রবাসী বন্ধুরা কে কোথায়? | null | বন্ধুসভা ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/bondhushava/article/1572912/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F | bondhushava | online | 3 | null | প্রবাসী বন্ধুরা আমরা আপনাদেরই খুঁজছি। আপনাদের উপস্থিতি চাইছি বন্ধুসভার ফেসবুকে. গ্রুপে ও ওয়েবসাইটে।আপনারা কোথায় আছেন. কী করছেন. কেমন আছেন—সে কথা আমরা জানতে চাই অন্যদেরও জানাতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের লিখুন নিয়মিত।প্রবাসে কত বিচিত্র বিষয় আছে আপনার চোখের সামনেই. সে সব বিষয় নিয়েও লিখুন। আপনার মাধ্যমে সে কথা জানুক অন্য বন্ধুরাও।লেখার সঙ্গে ছবি দেবেন। দন্ত্যস রওশন. সভাপতিপ্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ | 1,572,912 |
2019-01-02 | আ.লীগের জয় প্রত্যাশিত. ভোটের সংখ্যা নিয়ে সংশয় | প্রথম আলোকে মাইকেল কুগেলম্যান | বিশেষ প্রতিনিধি. যুক্তরাষ্ট্র | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572910/%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%9F | bangladesh | online | 3 | নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন. সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর দুর্বলতার কারণেই আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে যে ব্যবধানে ক্ষমতাসীন দল এই বিজয় অর্জন করে. তা যুক্তিকে হার মানায়। প্রথম আলোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধির কাছে এক লিখিত মন্তব্যে কুগেলম্যান এই মন্তব্য করেন।কুগেলম্যান বলেন. সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো যেভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল. তাতে আওয়ামী লীগ যে এই নির্বাচনে জয়যুক্ত হবে. তা আগে থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। তারাই ছিল এই নির্বাচনে ‘ফেবারিট’ দল। তবে নির্বাচনী ফলের সম্পূর্ণ একপেশে অবস্থা সন্দেহের উদ্রেক করে। কোনো রাজনৈতিক দল. তা সে যত জনপ্রিয় হোক না কেন. ৯৫ শতাংশের অধিক আসন দখল করবে—এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। সন্দেহের সেটাই কারণ।কুগেলম্যান মনে করেন. এই ফলাফল কয়েকটি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। নির্বাচনের আগে যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর হামলা চালানো হয় এবং এরপর আগামী পাঁচ বছরের জন্য আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জন. তাতে বাংলাদেশ ক্রমে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে—এটা বললে অত্যুক্তি হবে না।বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই মার্কিন বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন. বিরোধী দলগুলোর পুনর্নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়িত না হলে তারা দেশজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলো এখন এতটা দুর্বল যে তাদের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় যা হতে পারে. তা হলো বিক্ষিপ্ত সহিংস হামলা।আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলগুলোর সহাবস্থান দীর্ঘমেয়াদি খুব সুখকর হবে না বলেই মনে করেন কুগেলম্যান। এর ফলে দেশে একধরনের রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হতে পারে। তিনি এও মনে করেন. ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ হয়তো বিরোধীদের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে তাদের দিকে সমঝোতার হাত বাড়াতে পারে। তবে বাংলাদেশ সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তিক্ততা এখন এতটাই যে এমন কিছু আশা করা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে। | 1,572,910 |
2019-01-02 | শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন সোনিয়া গান্ধীর | null | ইউএনবি. ঢাকা | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572908/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | নির্বাচন|শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সোনিয়া গান্ধী|কূটনৈতিক সম্পর্ক | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।ইহসানুল করিম বলেন. ‘গত রবিবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ায় ভারতীয় কংগ্রেস দলের নেতা সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।’বার্তায় সোনিয়া গান্ধী বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি. অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন বলেও জানান প্রেস সচিব। | 1,572,908 |
2019-01-02 | ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পালাবদল বিভক্তি কেবল বাড়াবেই | null | বিশেষ প্রতিনিধি. যুক্তরাষ্ট্র | null | https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572906/%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%87 | northamerica | online | 4 | null | বৃহস্পতিবার থেকে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণভার চলে যাচ্ছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের হাতে। গত দুই বছর কংগ্রেসের উভয় কক্ষই ছিল ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসনের সমক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় শাখা হলেও রিপাবলিকান কংগ্রেস ট্রাম্পের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে গেছে। কিন্তু এখন অবস্থা বদলে যাবে. তা ট্রাম্পও বুঝতে শুরু করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়া কোনো প্রস্তাব পাসই তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। সে কথার প্রথম লক্ষণ পাওয়া গেল গতকাল মঙ্গলবার। এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাজেট প্রশ্নে অব্যাহত অচলাবস্থা ও ফেডারেল সরকারের ‘বন্ধ’ থামাতে মতবিনিময়ের জন্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃবৃন্দকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি উভয় দলের নেতাদের বুঝিয়ে বলতে চান সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য তাঁর প্রস্তাবিত ‘দেয়াল’ এত জরুরি কেন। এই ‘দেয়াল’ নিয়ে মতান্তরের কারণে প্রায় ১০ ধরে ফেডারেল সরকারের এক–চতুর্থাংশের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে আছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন. মেক্সিকোর সঙ্গে নিরাপত্তাদেয়াল নির্মাণে আগামী বাজেটে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ না করা হলে তিনি সেই বাজেট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা বলছেন. তাঁরা দেয়ালের জন্য এক পয়সাও দেবেন না. তবে সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত। ডেমোক্র্যাটরা এই ‘বন্ধের’ জন্য সব দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্পের ঘাড়ে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে এক প্রকাশ্য বৈঠকে ট্রাম্প জানান. সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য তিনি সরকারের কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে প্রস্তুত। এই কাজের জন্য তিনি গর্বিত বোধ করবেন। কিন্তু তাঁর অনুগত সমর্থকেরা ছাড়া রিপাবলিকান দলের প্রধান নেতাদের কেউই ট্রাম্পের এই বন্ধের সমর্থনে এগিয়ে আসেননি। ডেমোক্র্যাটদের একগুঁয়ে মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সমঝোতার একটি চেষ্টা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব রেখেছিলেন. আড়াই বিলিয়ন ডলার দিলেই ট্রাম্প সন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু সে প্রস্তাব ডেমোক্র্যাটরা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে নতুন কংগ্রেসে সম্ভাব্য ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির জানিয়েছেন. বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম দিনই তাঁরা সরকারের কাজকর্ম পুনারম্ভের জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাব পাস করবেন। তাঁরা দুটি ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। প্রথম প্রস্তাবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ছাড়া বাকি সব ফেডারেল সরকারের এক বছরের বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে একই রকম একটি প্রস্তাব আগেই গৃহীত হয়েছে। তাঁদের দ্বিতীয় প্রস্তাবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর করা হবে। এতে সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য চলতি বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হবে. কিন্তু ট্রাম্পের দেয়ালের জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হবে না। উভয় পক্ষকে আলাপ-আলোচনার জন্য সময় দিয়ে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই আংশিক বাজেট প্রস্তাব তাঁরা গ্রহণ করবেন। হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে. ট্রাম্প এমন প্রস্তাব কিছুতেই সমর্থন করবেন না। কিন্তু তার বদলে অন্য আর কী তিনি করবেন. সে কথাও পরিষ্কার নয়। ট্রাম্পের দেয়ালের ব্যাপারে ডেমোক্র্যাটরা এতটা খেপে আছেন যে বিনিময়ে কিছু না পেলে এই কাজে তাঁরা কোনো অর্থ বরাদ্দ করবেন বলে মনে হয় না। কোনো কোনো রিপাবলিকান নেতা মনে করেন. অভিবাসন প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটদের দাবি মেনে নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা রফা হতে পারে। তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে ‘ডাকা’ কর্মসূচিভুক্ত বৈধ কাগজপত্রবিহীন তরুণ অভিবাসীদের বৈধকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জানিয়েছেন. দেয়াল বাবদ অর্থ বরাদ্দ হলে এমন একটি সমঝোতা ট্রাম্পের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। | 1,572,906 |
2019-01-02 | ক্ষোভ আর কষ্ট নিয়ে চলে গেলেন কাদের খান | null | বিনোদন ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572905/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | entertainment | online | 4 | বলিউড | কাদের খানের জন্ম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হলেও তাঁর পড়াশোনা. শিক্ষকতা এবং পরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া—সবকিছুই হয়েছে মুম্বাইয়ে। রাজেশ খান্না অভিনীত ‘দাগ’ ছবি দিয়ে ১৯৭৩ সালে বলিউডে অভিনয়জীবন শুরু করেন কাদের খান। বলিউডে তিনি অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক ছবিতে। ২৫০টি ছবির সংলাপ লিখেছেন। তাঁর অভিনীত শেষ ছবি ‘হোগ্যায়া দিমাগ কা দাহি’ মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর। বলিউডের প্রখ্যাত এই অভিনেতা আর নেই। কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। কাদের খানের মৃত্যুর পর সামনে এসেছে তাঁর কিছু ক্ষোভ আর কষ্টের কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনেকেই বলছেন. কাদের খান চলচ্চিত্রকে অনেক দিয়েছেন. কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে কিছু ক্ষোভ নিয়ে চলে যেতে হলো। যে মুম্বাই তাঁকে এত যশ. খ্যাতি আর সম্মান দিয়েছে. মৃত্যুর আগে তিনি সেই শহরকে ত্যাগ করে চলে যান টরন্টোতে. ছেলে সরফরাজ খানের কাছে। এ সময় তাঁর মনে ছিল অনেক কষ্ট। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মুম্বাই আনতে চাননি তাঁর পরিবার। যদিও বার্তা সংস্থা পিটিআইকে সরফরাজ খান বলেছেন. ‘মুম্বাই নয়. বাবাকে টরন্টোতে দাফন করা হবে। এখানে আমাদের পুরো পরিবার রয়েছে। আমরা সবাই এখানেই থাকি। তাই বাবার শেষ কাজও এখানেই হবে।’ কী সেই ক্ষোভ আর কষ্ট? হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে. ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননার জন্য কাদের খানের নাম ছিল বিবেচনায়। তখন কাদের খানের অসুস্থতা ক্রমেই বাড়ছে। তাই আগ্রহীরা চেয়েছিলেন. কাদের খানের জীবদ্দশায় যেন তাঁকে এই রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়। খবরটি পৌঁছে গিয়েছিল কাদের খানের কাছেও। তখন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন. ‘সরকার যদি মনে করে এই সম্মান পাওয়ার মতো কাজ আমি করেছি. তাহলে আমি তা পেতে পারি। তবে আমাকে যেন এই সম্মান দেওয়া হয়. এর জন্য এত মানুষ সরকারকে অনুরোধ করেছেন. তাঁদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’ শেষ পর্যন্ত ‘পদ্মশ্রী’ পাননি কাদের খান। ‘হোগ্যায়া দিমাগ কা দাহি’ ছবির প্রচারণার সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। সেটাই ছিল তাঁর শেষ সাক্ষাৎকার। যাঁরা পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন. সেই তালিকা দেখে কাদের খান বলেছিলেন. ‘খুব ভালো কথা যে আমি পদ্মশ্রী পাইনি।’ তবে তিনি আঙুল তুলেছিলেন সংশ্লিষ্টদের ‘সততা’র দিকে। ব্যাপারটি তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন. ‘জীবনে কখনো চাটুকারিতা করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। এখন যে অভিনেতাদের পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে. তাঁদের দিলে আমার আর দরকার নেই।’ কাদের খান আরও বলেছিলেন. ‘পুরস্কার জীবনে বড় কথা নয়। কিন্তু কাদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে. সেটা বড় কথা। আগে এ ধরনের পুরস্কারের জন্য প্রাপকদের বাছাই করা হতো সততার সঙ্গে। কিন্তু সেই দিন আর নেই। মানুষ এখন খুব বেশি স্বার্থপর। ঠিকমতো সম্মান দিতেও ভুলে গেছে। যাঁরা এই বছর পদ্মশ্রী পেলেন. তাঁদের মতো যোগ্যতা আমার নেই। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই. যাঁরা পদ্মশ্রীর জন্য আমার নাম পাঠিয়েছেন।’ বলিউডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন. তাঁদের ব্যাপারে কাদের খানের ছিল তীব্র আপত্তি। সেই সাক্ষাৎকারে সহকর্মীদের রাজনীতি থেকে ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন. ‘ফিরে এসো. রাজনীতি তোমাদের লক্ষ্য নয়।’ | 1,572,905 |
2019-01-02 | নতুন সাংসদদের শপথ আজ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572904/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF | bangladesh | online | 4 | নির্বাচন কমিশন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় সংসদ | সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা জানান। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন. নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের প্রস্তুতি নিতে সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ হবে। নবনির্বাচিত সাংসদদের গেজেট গত মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানান নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৭টি আসন। বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি। একাদশ সংসদে তারাই বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। বিএনপি জোটের সাংসদেরা শপথ না-ও নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তারা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন. নির্বাচিতরা শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। | 1,572,904 |
2019-01-02 | যমুনা নদীতে মাছ ধরা | null | সোয়েল রানা. বগুড়া | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572902/%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%BE | bangladesh | online | 4 | ছবির গল্প|যমুনা নদী|বগুড়া | বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রৌহদহ গ্রাম। ভাঙনের কবলে পড়া গ্রামটির কিছু অংশ মাত্র টিকে আছে। সেখানে আছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা। একটু নিচুতেই জেলেদের বেঁধে রাখা ২০ থেকে ২৫টি ছোট নৌকা। সেখানে দল বেঁধে বসবাস করেন কয়েকজন জেলে। ছবিগুলো ১ জানুয়ারির। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রৌহদহ গ্রাম। ভাঙনের কবলে পড়া গ্রামটির কিছু অংশ মাত্র টিকে আছে। সেখানে আছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা। একটু নিচুতেই জেলেদের বেঁধে রাখা ২০ থেকে ২৫টি ছোট নৌকা। সেখানে দল বেঁধে বসবাস করেন কয়েকজন জেলে। ছবিগুলো ১ জানুয়ারির। | 1,572,902 |
2019-01-02 | ইয়েস স্যার-ইয়েস ম্যাডাম বদলে ‘জয়হিন্দ’ | null | অমর সাহা. কলকাতা | ৭ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572899/%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E2%80%99 | international | online | 4 | ভারত|নরেন্দ্র মোদি|বিজেপি | ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে স্কুলে আর ছাত্রছাত্রীদের নাম ডাকার সময় বলা যাবে না. ইয়েস স্যার. ইয়েস ম্যাডাম বা প্রেজেন্ট স্যার. প্রেজেন্ট প্লিজ ইত্যাদি। সেখানে বলতে হবে জয় হিন্দ বা জয় ভারত। এই অভিনব নিয়ম চালু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন থেকে। গত সোমবার গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পর নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রাথমিক. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদ। এতে বলা হয়. ছোট থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ‘দেশপ্রেম বোধ জাগিয়ে তোলার’ লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। রাজ্যের সব সরকারি. বেসরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলকে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এই নিয়মের আওতায় থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং বলেছেন. একজন ছাত্রছাত্রী স্কুলে কমপক্ষে ১০ হাজার বার ইয়েস স্যার. ইয়েস ম্যাডাম বা প্রেজেন্ট স্যার ইত্যাদি বলে। কিন্তু তার বদলে যদি ছাত্রছাত্রীরা ১০ হাজার বার ‘জয়হিন্দ’ বা ‘জয় ভারত’ বলে তাতে করে ছাত্রছাত্রীদের মনে দেশপ্রেম বাড়বে। যদিও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন. রাজনীতিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুজরাটের বিজেপি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ভারতের মধ্য প্রদেশে সাবেক বিজেপি শাসিত সরকার গত বছরের মে মাসে এই একই ধরনের নির্দেশ জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল. বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রোল বা নাম ডাকার সময় বলতে হবে’জয় হিন্দ’। মধ্যপ্রদেশে গত শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। | 1,572,899 |
2019-01-02 | ‘বর্ণবাদী’ গান্ধী এবং আফ্রিকার প্রতিশোধ | null | চৌধুরী মুফাদ আহমদ | ৫ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572895/%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%80%E2%80%99-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%A7 | opinion | online | 4 | আন্তর্জাতিক|ভারত|আফ্রিকা | কিছুদিন আগে আফ্রিকার দেশ ঘানার রাজধানী আক্রায় ইউনিভার্সিটি অব ঘানা থেকে গান্ধীজির মূর্তিটি সরিয়ে ফেলতে হলো! ২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি মূর্তিটি উন্মোচন করার পরপরই সেটি সরানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে ওঠে। তাঁরা তাঁদের দাবির পক্ষে একটি পিটিশনে গান্ধীকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন. দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময় তিনি ভারতীয়দের আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের চেয়ে উন্নততর জাতি হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তাঁর বিভিন্ন লেখায় আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের ‘বর্বর’. ‘অসভ্য’. ‘কাফ্রি’ বলে উল্লেখ করেছেন। গান্ধীর বিরুদ্ধে ভারতে বর্ণপ্রথা টিকিয়ে রাখা সমর্থন করার অভিযোগও করা হয় এই আবেদনে।এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘#GhandiMustFall’ নামে একটি আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়। মূর্তিটির পতনকে আন্দোলনকারীরা তাঁদের বিজয় হিসেবে দেখছেন। আফ্রিকার অন্য আরেকটি দেশ মালাওয়িতে গান্ধীজির মূর্তি স্থাপনের একটি উদ্যোগ আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি স্থগিত করেছেন সে দেশের হাইকোর্ট।দুই. একজন ধনাঢ্য গুজরাটি মুসলমান ব্যবসায়ীর আইন উপদেষ্টা হিসেবে বিলেতফেরত ব্যারিস্টার মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৯৩ সালে ভারত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন ফ্রক কোট ও পাগড়ি পরে। ১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে গুজরাটি সাধারণ কৃষকের পোশাকে তিনি বোম্বে (বর্তমানে মুম্বাই) বন্দরে জাহাজ থেকে নামেন। ইতিমধ্যে ভারতের মানুষের কাছে তাঁর যে ইমেজ গড়ে উঠেছিল. তা বর্ণবাদ ও ব্রিটিশবিরোধী এক সন্ত-রাজনীতিবিদের ইমেজ. যিনি অহিংস সত্যাগ্রহ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন. জেল-জুলুমকে তুচ্ছ করেছেন। কিছুদিন পর তাঁকে রবীন্দ্রনাথ ‘মহাত্মা’ উপাধি দেন। কিন্তু গান্ধীজি দক্ষিণ আফ্রিকায় আসলে কী করেছিলেন. সে বিষয়ে ভারতের. এমনকি আফ্রিকার মানুষের ধারণা ছিল ভাসা–ভাসা। গান্ধীর নিজের লেখা এবং তাঁর ভক্ত জীবনীকারদের লেখা থেকে তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকার জীবনের একটি খণ্ডিত চিত্র পাওয়া যেত। বছর দুয়েক আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকীয় দুজন অধ্যাপক আশ্বিন দেশাই ও গুলাম ওয়াহেদের গবেষণা গ্রন্থ ‘দ্য সাউথ আফ্রিকান গান্ধী: স্ট্রেচার বেয়ারার অব দ্য এম্পায়ার’ প্রকাশের পর গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকায় জীবন সম্পর্কে চমকপ্রদ সব তথ্য বেরিয়ে আসে। সামনে উঠে আসে গান্ধীজির অন্য এক রূপ। তিন. ঊনবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় মূলত দুই ধরনের ভারতীয় ছিলেন—আখ চাষের খামারে. কয়লাখনিতে ও রেললাইন নির্মাণকাজে নিয়োজিত দরিদ্র চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক এবং গুজরাট থেকে আসা মুসলমান ও হিন্দু ব্যবসায়ী সমাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার দখলদার শ্বেতাঙ্গরা কালো আফ্রিকানদের মতো ভারতীয়দেরও বর্ণবাদী বৈষম্যের দৃষ্টিতে দেখত। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর গান্ধীজিও এই বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হন এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। তবে তাঁর আন্দোলন ছিল ভারতীয়দের. মূলত ভারতীয় ব্যবসায়ী শ্রেণির প্রতি ইউরোপীয়দের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে। গান্ধীর যুক্তি ছিল. ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রজা হিসেবে। ব্রিটেনের মহারানির ১৮৫৮ সালের ঘোষণা অনুযায়ী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সব প্রজার সমান অধিকার থাকার কথা। তাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের শ্বেতাঙ্গদের সমান সামাজিক অধিকার থাকা উচিত। ১৮৯৪ সালে তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন নাটাল ন্যাশনাল কংগ্রেসের সেক্রেটারি হন। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক শাসকদের নানা বৈষম্যমূলক কালাকানুনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের নিয়ে নিরলসভাবে তিনি অহিংস ‘সত্যাগ্রহ আন্দোলন’ গড়ে তোলেন। নানা কারণে নির্যাতিত. অপমানিত হন. জেল খাটেন। চার. কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর বর্ণবাদী ইউরোপীয়দের নির্মম শোষণ-নির্যাতনে গান্ধী কোনো সমস্যা দেখেননি। ‘আফ্রিকা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ বলেছেন. ‘কালো ঘোমটার নিচেঅপরিচিত ছিল তোমার মানবতা রূপউপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।’ গান্ধীজির দৃষ্টিতেও আফ্রিকার কালো মানুষদের মানবতার রূপ উপেক্ষিত হয়েছে। তাদের ‘ভাষাহীন ক্রন্দন ধ্বনি’ তাঁর কানে পৌঁছায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ গান্ধী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু এটি মেনে নিতে পারেননি যে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা ‘সভ্য’ ভারতীয়দের আফ্রিকার ‘অসভ্য কাফ্রিদের’ কাতারে নামিয়ে দেবে। তাই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের বোঝানোর চেষ্টা করেন. ভারতীয়রা আসলে ইউরোপীয়দের মতো একই ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত! কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের থেকে ভারতীয়দের পৃথক সুবিধার জন্য গান্ধী শ্বেতাঙ্গ কর্তৃপক্ষের কাছে নিরলস দেনদরবার করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর ওঠাবসা–চলাফেরা ছিল বিত্তশালী ভারতীয় ব্যবসায়ী ও শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে। কৃষ্ণাঙ্গদের সংস্পর্শ তিনি এড়িয়ে চলতেন। তাঁর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আফ্রিকার বিপুলসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ জনগণের স্বার্থের কোনো সম্পর্ক ছিল না। গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসান চাননি. চেয়েছেন সেই ব্যবস্থা অটুট রেখে ভারতীয়দের. বিশেষত ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য শ্বেতাঙ্গদের মতো সুযোগ-সুবিধা। পাঁচ. দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর আন্দোলনের কোনো ব্রিটিশবিরোধী চরিত্র ছিল না। তিনি একান্তভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী ব্রিটিশ সরকারের অনুগত ছিলেন। ১৮৯৯ সালে ‘বোয়ার যুদ্ধে’. অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতকার (সেটেলার) ওলন্দাজ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধে. গান্ধী অ্যাম্বুলেন্স বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আহত ব্রিটিশ সৈন্যদের পরিচর্যায় নিয়োজিত হন এবং ‘সার্জেন্ট মেজর’ পদ লাভ করেন। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের তৈরি বিভিন্ন ‘কনসেনট্রাশন ক্যাম্পে’ হাজার হাজার বোয়ার এবং কৃষ্ণাঙ্গ নারী-শিশু প্রাণ হারায়। ব্রিটিশদের এই নির্মমতা গান্ধীকে বিচলিত করেনি। ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ জুলুরা বিদ্রোহ করলে ব্রিটিশ সরকার নির্মমভাবে এই বিদ্রোহ দমন করে। এই যুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার জুলু নিহত. সাত হাজার আহত ও ত্রিশ হাজার গৃহহারা হয়। এই অসম যুদ্ধেও গান্ধী শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স বাহিনী তৈরি করেন। তিনি জুলুদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের দিয়ে সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করার প্রস্তাবও করেন! গান্ধী তাঁর এই ব্রিটিশ আনুগত্যের জন্য যারপরনাই গর্বিত ছিলেন। ভারতে ফিরে আসার পাঁচ বছর পর ১৯২০ সালে ভারতবাসী ইংরেজদের কাছে লিখিত এক খোলা চিঠিতে তিনি বলেন. ‘আমি বিনীতভাবে বলতে চাই যে গত টানা ২৯ বছর আমি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যেরূপ সহযোগিতা করেছি. আর কোনো ভারতীয় তা করেনি। আমি যেরূপ বৈরী পরিবেশে এই সহযোগিতা করেছি. অন্য কেউ হলে বিদ্রোহ করত।’ ছয়. তবে শ্বেতাঙ্গদের সহিংসতার বিরুদ্ধে গান্ধীর আপসকামী রাজনীতি ও অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনে বিশেষ ফল না হওয়ায় গান্ধীর প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয়দের আস্থা ধীরে ধীরে কমে আসে। তাঁর নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের মিশনারি স্কুলে শিক্ষিত সন্তানেরা ভারতকে নয়. দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের দেশ মনে করত। তারা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থমুখিন গান্ধীর আন্দোলনে অনাগ্রহী হয়ে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। শুধু কৃষ্ণাঙ্গরাই নয়. দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনে ১৯১৩ সালের আগে ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের কোনো সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে হলে তিন পাউন্ড ট্যাক্স দেওয়ার একটি আইনের বিরুদ্ধে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছিল। ১৯১৩ সালে গান্ধী ও তাঁর ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সমর্থনে তিন পাউন্ড ট্যাক্সের বিরুদ্ধে খনিশ্রমিকদের আন্দোলন গড়ে ওঠে। গান্ধীর অনাগ্রহ সত্ত্বেও এই আন্দোলন দ্রুত চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় আখশ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস আকার ধারণ করে গান্ধীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই আন্দোলনের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গান্ধী ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ. তিনি বুঝতে পেরেছিলেন. তাঁর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অকার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতি ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। সাত. এদিকে ভারতের রাজনীতিতে তখন গান্ধীর মতো একজন নেতার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। কারণ. ভারতে তখন আবেদন-নিবেদনের রাজনীতির পর্ব শেষ হয়ে মধ্যবিত্তের মধ্যে সহিংস সন্ত্রাসবাদী বা ‘বিপ্লবী’ আন্দোলন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকারের প্রয়োজন ছিল ভারতের জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অনুগত ও নির্ভরযোগ্য একজন লোক। আবার ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়েরও দরকার ছিল একজন দক্ষ কিন্তু বিশ্বস্ত লোক. যিনি আন্দোলনে যাতে তাঁদের স্বার্থ রক্ষিত হয়. তা নিশ্চিত করতে পারবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই দুপক্ষের স্বার্থে কাজ করা পরীক্ষিত লোক ছিলেন গান্ধী। তাই দেখি. গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারত আসার আগে বিলেত যাচ্ছেন। সেখানে লর্ড হার্ডিঞ্জ গান্ধীকে ‘হিন্দ’. অর্থাৎ ভারতে আসার আগেই ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ বা ‘হিন্দুস্থানের বাদশাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাসে গান্ধী তৎকালীন বোম্বে পৌঁছান। ভারতে পৌঁছার পর কয়েক বছরের মধ্যেই পরম ব্রিটিশভক্ত ‘মহাত্মা’ গান্ধী ভারতের শিল্পপতি-ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সমর্থনে ভারতের ‘ব্রিটিশবিরোধী’ রাজনীতিতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন এবং তাঁর মতাদর্শের আদলে কংগ্রেসের রাজনৈতিক চরিত্র নির্ধারণ করেন। চৌধুরী মুফাদ আহমদ. প্রাবন্ধিক [email protected] | 1,572,895 |
2019-01-02 | নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আহ্বান ইইউর | null | অনলাইন ডেস্ক | ১৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572894/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 4 | নির্বাচন|সহিংসতা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|দুর্নীতি | বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ যথাযথভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন। ইইউর মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়. ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক ফলাফল জানিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়. গত ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ও বিরোধীদের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আকুল আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। নির্বাচনের দিন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো বাধা থেকেই যায়. যা নির্বাচনী প্রচার ও ভোটকে কলঙ্কিত করেছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব অনিয়মের অভিযোগ যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা এবং পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি করা নিশ্চিত করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়. ‘ইইউর প্রত্যাশা বাংলাদেশ গণতন্ত্র. মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে আমরা আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ | 1,572,894 |
2019-01-02 | ভোট বাগাতে নতুন কৌশল বিজেপির | null | অমর সাহা. কলকাতা | ৫ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572892/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0 | international | online | 4 | ভারত|বিজেপি|নরেন্দ্র মোদি | ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচনে উদ্বাস্তুদের ভোট নিশ্চিত করতে এবার মোদি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে নতুন করে সংশোধনী আনছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে. দেশের উদ্বাস্তু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। পাশাপাশি যেসব সংখ্যালঘু উদ্বাস্তু ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী রয়েছেন. তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। গত সোমবার নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দিল্লিতে যৌথ সংশোধনী কমিটির এক বৈঠক শেষে এই সংশোধনী আনার কথা বলেছেন কমিটির সদস্য বিজেপির সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। তিনি বলেছেন. বাঙালি. বিশেষ করে হিন্দু উদ্বাস্তুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে। বৈঠকে এই সংশোধনী আনার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই সংশোধনী পাস হলে আসামে চলতি জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) প্রক্রিয়ায় নাম বাদ পড়া বাঙালি হিন্দুদের সমস্যা মিটে যাবে। কারণ. এনআরসিতে যাঁদের নাম ওঠেনি বা পর্যাপ্ত নথি দিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি. তাঁদের বিরুদ্ধে আর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আসামে এনআরসি তালিকায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি যেসব বাঙালিকে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী রাখা হয়েছে. তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র আগরওয়াল ৭ জানুয়ারি লোকসভায় এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করবেন। বিলে বলা হয়েছে. প্রতিবেশী বাংলাদেশ. পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু. খ্রিষ্টান. বৌদ্ধ. শিখ. পার্শি ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন. তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের ‘বিদেশি’ তকমা দিয়ে ক্যাম্পে বন্দী রাখা যাবে না। পাশাপাশি এখন যেসব সংখ্যালঘু হিন্দু ডিটেনশন ক্যাম্পে রয়েছেন. তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। ৭ জানুয়ারি লোকসভায় এই সংশোধনী পেশ করার কথা থাকলেও চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ. ৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এদিকে ৪ জানুয়ারি আসামের শিলচর থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির। সেই নির্বাচনী প্রচার সভায় মোদি নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কোনো কথা বলবেন কি না. সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। যদিও ২০১৪ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের সময় মোদি ঘোষণা দিয়েছিলেন উদ্বাস্তুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে নাগরিকত্বের স্বাদ পায়নি উদ্বাস্তুরা। | 1,572,892 |
2019-01-02 | ভারতে ওয়েবসাইটে ভুয়া খবর ছড়ালে আরও শাস্তি | null | অনলাইন ডেস্ক | ২ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572891/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF | international | online | 4 | ভারত|ভুয়া খবর | ভুয়া খবর ও শিশু পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে সাজা বাড়িয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রস্তাবিত আইনে বিধি লঙ্ঘন করলে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার কঠোর সাজার ব্যবস্থা রাখা হবে। আজ বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়। খবরে বলা হয়. তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কয়েক দিন পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রতিনিধিরা অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বেআইনি বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে প্রস্তাবিত আইনের ব্যাপারে তাদের মতামত জানান। এই একটি মূল ক্ষেত্রে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন. আইন ভঙ্গ করলে বা সহায়তা করতে না চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনে সংশোধন আনার পর তা হোয়াটসঅ্যাপ. ফেসবুক. গুগল. টুইটার ও টেলিগ্রামের মতো জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। ভুয়া খবরের উৎস শনাক্ত করা. এনক্রিপশনের সুযোগ পাওয়া (এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউ তথ্যে প্রবেশ করতে পারে না). রাজনীতি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে এমন বিষয়. শিশু হয়রানি ও প্রতিশোধমূলক পর্নো চিত্র ছড়ানোর ব্যাপারে এসব যোগযোগমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের মতবিরোধ ছিল। আরেক সরকারি কর্মকর্তা জানান. তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এখন যেসব শাস্তির বিধান রয়েছে. তা যথেষ্ট নয়। এটা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক আয় রয়েছে. সেই তুলনায় সাজা অনেক কম। ডেটা সুরক্ষা বিলে সাজা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। পুনিত ভাসিন নামের ভারতের একজন সাইবার আইন বিশেষজ্ঞের মতে. ভুয়া খবর ঠেকানোর প্রবণতা রোধে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে খুব কমই ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতের এমন কোনো আইন নেই. যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ইস্যুতে কাজ করতে বলা যায়। একমাত্র ভারতের দণ্ডবিধি অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ডেটা স্থানীয়করণসহ ভারতের এ–সংক্রান্ত আইনটিকে আরও কঠোর করা উচিত এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান। এর আগে গত জুলাই মাসে রাজ্য সভায় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক মন্ত্রী রবি শংকর বলেছিলেন. অপরাধ সংঘটন. ঘৃণা ছড়ানো. জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়া এবং অর্থ পাচারে ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে আইন করা হবে। তিনি আরও বলেছিলেন. ভারতে বিদেশি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানকে ভারতের আইন ও বিচার বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। | 1,572,891 |
2019-01-02 | ৩০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশু উদ্ধার | null | অনলাইন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/international/article/1572884/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | international | online | 4 | ইউরোপ|রাশিয়া | রাশিয়ায় ধসে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১১ মাসের শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে শিশুটি ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকে ছিল। শিশুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য মস্কোয় পাঠানো হয়েছে। শিশুটির জ্ঞান থাকলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়. রাশিয়ার মাগনিতোগোরস্ক শহরে গত সোমবার ১০তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে এখনো পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩২ জন। গ্যাস–সংযোগের ছিদ্র থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ধসে যায়। ভবনটিতে ৪৮টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে এবং এতে বাসিন্দা রয়েছেন ১২০ জন। উদ্ধার হওয়া শিশুটির ব্যাপারে বলা হয়েছে. ছেলেশিশুটির নাম ইভান। এর আগে তার মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। রাজধানী মস্কো থেকে ১ হাজার ৬৯৫ কিলোমিটার দূরত্বে মাগনিতোগোরস্ক শহরে দিনের বেলাতেই তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে. প্রচণ্ড শীতের কারণে শিশু ইভানের গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে. মাথায় আঘাত আছে. পায়ের একাধিক জায়গা ভেঙে গেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে উড়োজাহাজে করে মস্কো নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পায়োত্রর গ্রিতসেনকো নামের একজন উদ্ধারকর্মী জানান. দোলনায় কম্বলে মোড়া ছিল শিশুটি। আন্দ্রেই ভালমান নামের আরেকজন উদ্ধারকর্মী শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান। তিনি সেটা জানানোর পর শব্দের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যন্ত্রপাতি বন্ধ করে নীরবতা আনা হয়। তখন শোনা যায়. সত্যিই শিশুর কান্না। তাঁরা শিশুটিকে থামতে বলার সঙ্গে সঙ্গেই সে থেমে যায়। এরপর তারা শিশুটির উদ্দেশে জিজ্ঞেস করেন. ‘তুমি কোথায়?’। শিশুটি তখন আবার কান্না শুরু করে। ঘটনাটি দলের প্রধানকে জানানোর পর তিনি শিশুটিকে উদ্ধারে সবাইকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে যুক্ত হতে বলেন। এর আগে সোমবার ভবনটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভবনটিকে কিছুটা উপযোগী করে তোলার পর উদ্ধারকাজ শুরু করার কথা ছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান. তিনি ঘুম ভেঙে দেখতে পান. নিচে পড়ে যাচ্ছেন। দেয়াল ধসে পড়েছে। তাঁর মা চিৎকার করছেন এবং তাঁর ছেলে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই চাপা পড়ে গেল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় আজ মাগনিতোগোরস্ক শহরে শোক দিবস পালন করা হবে। সেখানে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শহরের সব ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। | 1,572,884 |
2019-01-02 | গলায় দড়ি দেওয়ার আগ মুহূর্তে যা মনে হলো... | null | মানসুরা হোসাইন. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572862/%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B | bangladesh | online | 4 | নারী নির্যাতন | যৌন হয়রানির পর মনে হয়েছিল. আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চিন্তা এল. আগ মুহূর্তে মনে হলো জীবনে ভালো কোনো অর্জন কি নেই? আছে তো। কোনো প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল পাওয়া বা অন্য কোনো অর্জনের পর তো কত লোক শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। তাহলে শুধু একটি মাত্র ঘটনার জন্য আত্মহত্যা করা কি ঠিক? না. ঠিক না। বরং যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে অন্যদের সচেতন করতে হবে। হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনে সমর্থন দিতে হবে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের প্রযোজনায় হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে একটি পরিবেশনার চিত্র এটি। এতে অভিনয় করেন মূকাভিনয়শিল্পী কামরুন্নাহার মৌসুমী। তিনি এই সংগঠনে দ্বিতীয় মেয়াদে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কামরুন্নাহার মৌসুমী জানালেন. এখনো পর্যন্ত এই আন্দোলন নিয়ে এটিই প্রথম পরিবেশনা। শুধু এই আন্দোলন নয়. সমাজে ঘটে যাওয়া অনেক অসংগতি এ শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া সন্তানকে মা ডাস্টবিনে ফেলবেন কি না. টক শোগুলোতে কী হয় অথবা পরিবারে টেলিভিশনের রিমোট নিয়ে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা ভারতের বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয় মূকাভিনয়ের মাধ্যমে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়। টিএসসির নির্দিষ্ট কক্ষে সংগঠনের শিল্পীরা রিহার্সেল করছিলেন। ঠোঁটে লিপস্টিক. মুখে বিশেষ ধরনের সাদা পাউডার. হাতে–পায়ে সাদা মোজা. গায়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা পোশাক। সাজসজ্জা বলতে গেলে এই। তবে শিল্পীরা জানালেন. সাদা মানে ভালো. কালো মানে অন্ধকার. এভাবে এই সাজসজ্জার মাধ্যমেই ফুটিয়ে তোলা হয় মূলভাব। কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর মনে হলো. এই শিল্পীরা কত কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু মুখে একটুও শব্দ নেই। তাঁদের পুরো শরীর. চোখ কিন্তু অনেক কথা বলে যাচ্ছে। তাই হয়তো এই সংগঠনের স্লোগান: না–বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা। ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের প্রতিষ্ঠা হয় ২০১১ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ সংগঠনকে বার্ষিক অনুদান দিচ্ছে। চলতি বছরে এ সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায় হবে তৃতীয় আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব হবে। গত বছর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন. ‘শুধু বিনোদন নয়. এই শিল্প আমাদের দেশে সত্যিকারের সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তথ্যকে আরও স্পষ্ট ও শক্তিশালী করবে। সমাজের নানা অসংগতি. অব্যবস্থাপনা. অপসংস্কৃতি. কুসংস্কার. মাদক. ধর্মের বাড়াবাড়ি. ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলোকে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে।’ সংগঠনটির শিল্পীরা শুধু দেশে নয়. ভারত. দক্ষিণ কোরিয়া. আর্মেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনী করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। আলাপের সময় ষাটের দশকের শেষ দিকে কলকাতায় যোগেশ দত্তের কাছে মূকাভিনয়ে হাতেখড়ি পাওয়া পার্থ প্রতিম মজুমদারের কথাও বারবার বললেন সংগঠনের শিল্পীরা। কেননা. দেশের মূকাভিনয়শিল্প নিয়ে কথা বলতে গেলে প্যারিসপ্রবাসী এই মূকাভিনয়শিল্পীর নাম বলতেই হবে। ২০১৩ সালে প্যারিস থেকে এই শিল্পী প্রথম আলোয় এক লেখায় লেখেন. ‘কথা না বলেও আমরা অনেক কথা বলি. ভাষা ব্যবহার না করেও আমরা দেহ দিয়ে এমন অঙ্গভঙ্গি করি. যা ভাষা উচ্চারণের চেয়েও অনেক বেশি প্রকট ও শক্তিশালী। যাকে নাম দেওয়া হয়েছে “বডি ল্যাংগুয়েজ” বা “দৈহিক ভাষা”। এগুলোকে সম্মিলিত করেই একটা শিল্পের জন্ম হয়েছে. যার নাম “মূকাভিনয়”।’ ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের প্রতিষ্ঠাতা মীর লোকমান প্রথম আলোকে বলেন. ২০০৯-১০ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মূকাভিনয় বিষয়ে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে। ২০১১ সালের দিকে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে সংগঠনের শিল্পীরা রাস্তায় বিভিন্ন পারফর্ম করতেন। দেশে অনেক আগে থেকেই এ শিল্পের যাত্রা শুরু। তবে সেভাবে চর্চার অভাবে মানুষের কাছে তখন বিষয়টি খুব বেশি পরিচিত ছিল না। কেমন-কেমন করে তাকিয়ে থাকতেন। বর্তমানে কেমন করে তাকানোর পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মূকাভিনয় রাখার চেষ্টা করা হয়। মীর লোকমান বলেন. এটি একটি নির্বাক শিল্পমাধ্যম। সাহসের অভাবে বা সমাজ বাস্তবতায় যে কথাগুলো বলা সম্ভব না. তা–ই বলে দেওয়া হচ্ছে এ শিল্পের মাধ্যমে। সমাজ-রাষ্ট্রের অন্যায়–অত্যাচারের বিপরীতে এ শিল্প কাজ করছে। বলা যায়. নির্বাক ভাষায় শক্তিশালী আওয়াজ তোলা হচ্ছে। এতে দর্শক ও শিল্পীদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক থাকে। সরাসরি চোখে চোখে কথা হয়। গল্পগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই সমসাময়িক বিষয় থেকে বেছে নেওয়া হয় বলে তা দর্শকদের কাছে পরিচিতই থাকে। গল্প পরিচিত না হলেও খুব সমস্যা হয় না। সহজ ভাষায় গল্প বলা হয় বলে দর্শকেরা তা বুঝতে পারেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি জানালেন. পূর্ণাঙ্গ কমিটির মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তাঁর দায়িত্ব। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কামরুন্নাহার মৌসুমী জানালেন. পরিবারের সহায়তা ছাড়া এ শিল্পের সঙ্গে বেশি দিন টিকে থাকা সম্ভব না। এ শিল্পে এখনো পর্যন্ত নারীদের সংখ্যা অনেক কম। নেতৃত্বের জায়গায় নারীরা নেই বললেই চলে বলে খানিকটা আক্ষেপও প্রকাশ করেন তিনি। | 1,572,862 |
2019-01-02 | ফেসবুকে বিশ্বাস রাখিব কেমনে? | null | অর্ণব সান্যাল | ১ | https://www.prothomalo.com/technology/article/1572860/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87 | technology | online | 4 | ফেসবুক|পরামর্শ | শুধু ক্ষমা চাইতে চাইতেই গত বছরটা কাটিয়ে দিলেন মার্ক জাকারবার্গ। সঙ্গে ছিল সমস্যা কাটিয়ে ওঠার আশ্বাসও। কিন্তু সেই আশ্বাসবাণী বারংবার শুনতে শুনতে বড্ড পানসে হয়ে গেছে। এখন আর ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা তাতে আস্থা রাখেন কিনা সন্দেহ! একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ফেসবুকে বিশ্বাস ধরে রাখাটাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে ফেসবুকের নতুন ‘স্ক্যান্ডাল’ প্রকাশিত হয়েছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের তথ্য অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করেছে ফেসবুক। অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে—আমাজন. অ্যাপল. মাইক্রোসফট. নেটফ্লিক্স. স্পটিফাই ও ইয়ানডেক্সের মতো প্রতিষ্ঠান। এগুলোকে নিজেদের গ্রাহকদের তথ্যে প্রবেশাধিকার দেয় ফেসবুক। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে. ফেসবুকের ২০১৭ সালের কিছু অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এ খবর জানা গেছে। নথিতে দেখা গেছে. বছরের পর বছর ধরে গ্রাহকদের তথ্যে অন্য প্রতিষ্ঠানকে প্রবেশাধিকার দিয়ে আসছিল ফেসবুক। এতে করে সব পক্ষই লাভবান হচ্ছিল। তবে এ নিয়ে ফেসবুক কখনোই গ্রাহকদের সামনে টুঁ শব্দটি করেনি! ২০১৮ সালের শুরুটাও ছিল এমনি। গত মার্চ মাসের ১৭ তারিখে ফাঁস হয় কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ড। জানা যায়. লাখ লাখ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের প্রতিষ্ঠানটি। ওই ঘটনায় মাত্র কয়েক ঘণ্টায় কমে গিয়েছিল ফেসবুকের স্টক শেয়ারের দাম। এরপর থেকে পুরো বছরজুড়েই নানা ঘটনায় নেতিবাচক আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান। গত মার্চের শেষ ভাগেই গড়ে ওঠে ‘ডিলিট ফেসবুক’ আন্দোলন. যা জারি ছিল বছরের শেষ অবধি। এপ্রিলে জানা যায়. ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে ছিল ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্য। এই গ্রাহকেরা জানতেনই না যে. তাদের তথ্য অন্যের হাতে চলে গেছে। সিএনএন বলছে. অ্যাপল. মাইক্রোসফট ও স্যামসাংসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফেসবুকের তথ্য আদান-প্রদানের সম্ভাবনার কথা যায়। এটি গত ৩ জুনের খবর। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন সিনেট কমিটিকে ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ জানান. ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ তৎপরতার বিষয়টি সার্বিকভাবে বোঝা তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহার করে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি ঠেকাতে পুরোপুরি সফল হয়নি ফেসবুক। ওই মাসেই জানা যায়. নজিরবিহীন সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এবং ৩ কোটি ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ফেসবুকের ব্যর্থতার তালিকা আরও লম্বা করে দেয় ডিসেম্বর মাসটি। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে. মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিন নাকি সব ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নাম দেখতে পেত। এই অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ নথিতে দেখা গেছে. ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বার্তা দেখার অনুমতি ছিল নেটফ্লিক্স ও স্পটিফাই-এর। অন্যদিকে আমাজনকে ব্যবহারকারীদের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা দেখার অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। মার্ক জাকারবার্গ অবশ্য প্রতিবাদ করে বলতেই পারেন. ‘চেষ্টা তো কম করিনি।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে. সেই চেষ্টা আদতে কতটুকু আন্তরিক? এই প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে উঠে গেছে জাকারবার্গের পদত্যাগের দাবিও। অবশ্য সংবাদমাধ্যম ওয়্যারড জানাচ্ছে. ফেসবুকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেকোনো বিরোধিতা সামাল দেওয়ার উপায় জানা আছে জাকারবার্গের। শেরিল স্যান্ডবার্গের অবস্থাও তেমনই। সুতরাং জাকারবার্গের সরে যাওয়া অনেকটাই অসম্ভব। দ্য টাইমসের দাবি. ১৫০ টিরও বেশি কোম্পানির সঙ্গে ফেসবুকের তথ্য আদানপ্রদানের চুক্তি আছে। বলা হচ্ছে. ফেসবুক এর ব্যবহারকারীদের তথ্যে জেনেশুনেই প্রবেশাধিকার দিয়েছিল এবং তার পরিধি ছিল ব্যাপক। ফেসবুক অবশ্য বছরজুড়েই ভাঙা রেকর্ডের মতো একই কথা শুনিয়ে গেছে। তা হলো—‘ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্যের অপব্যবহার হয়নি’. ‘ব্যবহারকারীদের তথ্য বিক্রি করা হয়নি’। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন. আদতে অন্য কোম্পানির কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য বিক্রিই করেছে ফেসবুক। হয়তো তথ্যের বদলে ট্যাঁকে ডলার আসেনি. কিন্তু এসেছে অন্যান্য মূল্যবান সুবিধা। এভাবেই চলেছে বিনিময় প্রক্রিয়া। সেটি বিক্রি নয়তো কি? এত বিতর্ক ও সমালোচনার চড়া মূল্যও দিতে হয়েছে ফেসবুককে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে. ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ নিজে হারিয়েছেন প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। সিএনবিসি বলছে. ২০১৮ সালে ফেসবুকের স্টক শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ তো গেল আর্থিক ক্ষতির হিসাব। অন্যদিকে ফেসবুককে ছেড়ে গেছেন হোয়াটসঅ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা জান কোউম। বিদায় বলে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামের সহপ্রতিষ্ঠাতা কেভিন সিসট্রম ও মাইক ক্রিগারও। এ ছাড়া ফেসবুকের নেতৃস্থানীয় কর্মীদের অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন সাধের প্রতিষ্ঠান। শুধু চলে গিয়েই ক্ষান্ত হননি তাঁরা. গলা চড়িয়েছেন সমালোচনাতেও। নিন্দুকেরা বলছেন. জাকারবার্গের ফেসবুক এখন ‘অত্যন্ত ধনী’ ও ‘ক্ষমতাবান’ একটি প্রতিষ্ঠান। হাবভাবে মনে হচ্ছে. কাউকেই পরোয়া করছে না এটি। প্রশ্ন হলো—ফেসবুক কি পৃথিবীকে আরও নিরাপদ করবে? নাকি ক্ষমতাবান করপোরেশনের মতো রোজগারের জন্য যা খুশি তাই করবে? ২০১৮ সাল নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন. গত বছরের সমস্যাগুলো ঠিক করতে এক বছর সময় লেগে যেতে পারে। না পারলে হয়তো এবারও ক্ষমা চেয়ে নেবেন। দিন শেষে ব্যবহারকারীদের বলে দেবেন. ‘উই আর সরি’! | 1,572,860 |
2019-01-02 | ফেনীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২ | null | প্রতিনিধি. ফেনী | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572859/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E2%80%99-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%A8 | bangladesh | online | 4 | অপরাধ|ফেনী|বন্দুকযুদ্ধ|চট্টগ্রাম বিভাগ | ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি. নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সিলোনিয়া বাজার এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন আসাদ (৪২) ও ইমামুল আকন্দ (২৪)। তাঁরা দুজনই মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিল ফাহিম। তিনি জানান. র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান. ১৩টি গুলি. ২৫০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেছে। নিহত দুজনের লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। | 1,572,859 |
2019-01-02 | কিতাবের ফুটবল মাঠে থাকলেই হয়! | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৩ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572858/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%87-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B9%E0%A7%9F | sports | online | 4 | ফুটবল|কাজী সালাউদ্দিন | নতুন বছরের শুরুতে গতকালই বাফুফের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ফুটবলসূচি। আশার কথা. কাগজে-কলমে আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া মিলিয়ে ক্যালেন্ডারজুড়ে ফুটবল আর ফুটবল। নতুন বছরের শুরুতে গতকালই বাফুফের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ফুটবলসূচি। আশার কথা. কাগজে-কলমে আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া মিলিয়ে ক্যালেন্ডারজুড়ে ফুটবল আর ফুটবল। শিরোনামেই সন্দেহের আভাস দেখে ভড়কে গেলে চলবে না। বাংলাদেশের ফুটবলের অতীত রেকর্ড জানা থাকলে এটা সন্দেহ নয়. বাস্তবতার নিরিখে নিজেদের আটকে রাখা। বার্ষিক সূচি প্রকাশ করতে জুড়ি নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। কিন্তু কেতাবে লেখা বাস্তবে মানা হয় কম। নিকট অতীতে মাঠে বল গড়ানোর চেয়ে ফেডারেশনের কথার খেলাই দেখা গেছে বেশি। নতুন বছরের শুরুতে গতকালই বাফুফে দিয়ে দিয়েছে একটি ফুটবলসূচি। আশার কথা. কাগজে-কলমে বছরজুড়ে শুধু ফুটবল আর ফুটবল। ফিফা বা এএফসির নির্ধারিত সূচি তো আছেই. বোর্ডের নিজস্ব অনেক পরিকল্পনাও আছে ফুটবল নিয়ে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুটির সূচিতে গরমিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই. বিপত্তিটা বাধে বাফুফের নিজেদের আয়োজনে। তবে নতুন বছরের নতুন আশা; ২০১৯ সালে নতুন মোড়কে নিজেদের মেলে ধরবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। বিশ্ব ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে ১৯২ স্থানে থেকে ২০১৮ সাল শেষ করেছে বাংলাদেশ। টানা চতুর্থবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্ব থেকে নিয়েছে বিদায়। কিন্তু ২০১৮ সালকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা বলে আখ্যায়িত করেছেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে খেলতে পারার সুবাদেই বাফুফে সভাপতির এমন দাবি। নতুন বছরে গত বছরের ধারাটাই ধরে রাখতে চান তিনি. ‘২০১৮ সালটা সেরা ছিল। সে ধারাটাই ধরে রাখতে চাই। জানুয়ারিতেই শুরু হয়ে যাবে প্রিমিয়ার লিগ। এরপর ধারাবাহিকভাবে সেকেন্ড ডিভিশন. ফার্স্ট ডিভিশন ও থার্ড ডিভিশন শুরু হবে. যাতে খেলোয়াড়েরা ধারাবাহিকভাবে খেলে যেতে পারেন।’ বাফুফের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন বছরে কমপক্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বছরের শেষ দিকে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ তো আছেই। প্রাক-বাছাই না বাছাইপর্ব খেলতে হবে. সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি. ‘জাতীয় দল আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। খেলার আগে আমি খেলোয়াড়দের দুই সপ্তাহের জন্য চাই ক্লাবের কাছ থেকে। যখন ইচ্ছা দল পাঠাতে তিনটি দেশ—জাপান. কোরিয়া ও কাতার সম্মতি দিয়ে রেখেছে।’ কয়েক বছর থেকেই বছরব্যাপী ব্যস্ত থাকে মেয়েদের ফুটবল। বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় দল মিলিয়ে নতুন বছরেও থাকবে সেই ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে যোগ হতে পারে মেয়েদের লিগ. ‘এই মাসের শেষে ক্লাবগুলোকে ও কিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে মেয়েদের লিগ খেলার ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের জবাবের ওপর নির্ভর করবে মেয়েদের লিগ।’ ২০১৪ সালে শেষ আয়োজিত হয়েছিল মেয়েদের ঘরোয়া লিগ। এরপর গত বছর আয়োজন করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। ২০১৯ সালের ফুটবল সূচি নিম্নে দেওয়া হলো। এর সঙ্গে কিছু সংযোজন হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র দল ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ (১৮-২৬ মার্চ. ৩-১১ জুন)বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ (সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর)এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্ব (বাহরাইনে ১৮-২৬ মার্চ) সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ (আগস্ট) এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই (১৪-২২ সেপ্টেম্বর) সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ (সেপ্টেম্বর) এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাই (১-৬ অক্টোবর) ঘরোয়াপ্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব (১৮ জানুয়ারি-৩০ এপ্রিল)চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (৪ ফেব্রুয়ারি-১৭ এপ্রিল)পাইওনিয়ার লিগ (মার্চ-এপ্রিল) দ্বিতীয় বিভাগ (জানুয়ারি থেকে মার্চ) প্রথম বিভাগ (এপ্রিল থেকে জুন) তৃতীয় বিভাগ (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) প্রিমিয়ারের অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ (১০ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর)। নারী ফুটবল১২-২২ মার্চ নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ মিয়ানমারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ১-১৯ এপ্রিল বাংলাদেশে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৮/১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপআগস্টে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৮ ঘরোয়া ফুটবল | 1,572,858 |
2019-01-02 | সোনালির জন্মদিনে যা লিখলেন গোল্ডি | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572857/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF | entertainment | online | 4 | বলিউড | স্বামী গোল্ডি বেহেলকে কেক খাইয়ে দিচ্ছিলেন বলিউড তারকা সোনালি বেন্দ্রে। স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ছিল এই বলিউড তারকার ৪৪তম জন্মদিন। ছবিটির সঙ্গে এক আবেগঘন পোস্ট লিখেছেন বলিউড তারকার স্বামী।নিজের পোস্টে গোল্ডি লিখেছেন. ‘শুভ জন্মদিন সোনালি। লোকে বলে সঙ্গীকে হতে হয় প্রিয় বন্ধু. নিজের আয়না ও লড়াই করার শক্তি। তুমি আমার জন্য এর সবগুলো বা তার চেয়েও বেশি। ২০১৮ সাল তোমার জন্য একটা কঠিন বছর ছিল। কিন্তু তুমি সাহসের সঙ্গে সময়টির মোকাবিলা করেছ। আমি গর্বিত। সব সময় ইতিবাচক থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু তুমি সেটা থাকতে পারো। তোমার জীবনের বিশেষ এই দিনে কামনা করি. সব সময় তোমার মঙ্গল হোক।’জন্মদিনে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন সোনালি। সাদা শার্ট ও রুপালি স্কার্ট পরা সোনালিকে দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছিল কাল। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হৃতিকের সাবেক স্ত্রী সুসান খান. গায়ত্রী ওবেরয়. অভিনেতা কুনাল কাপুর প্রমুখ।গত বছর ক্যানসার ধরা পড়ে সোনালির। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে গত ৩ ডিসেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ের নিজের বাড়িতে ফেরেন এই অভিনেত্রী। সোনালি এখন অনেকটা সুস্থ। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।২০১৮ সাল সোনালি বেন্দ্রের জন্য ছিল একটি দুঃস্বপ্নের বছর। রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরেছেন তিনি। বছর শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। চুল কেটে ফেলার আগে শেষবার ব্লো-ড্রাই করার একটি ছবিতে তিনি লিখেছেন. ‘আবারও চুলগুলো উঠতে শুরু করেছে। নতুন বছরে হয়তো আবার ব্লো-ড্রাই করতে পারব। এই জার্নিটা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’ তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস | 1,572,857 |
2019-01-02 | টিভিতে আজকের খেলা সূচি | null | খেলা ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572856/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF | sports | online | 4 | ক্রিকেট|ফুটবল|আজকের খেলা | টেলিভিশনের পর্দায় আজ যেসব খেলা দেখবেন: ৪র্থ টেস্ট-১ম দিন সনি সিক্স অস্ট্রেলিয়া-ভারত আগামীকাল ভোর ৫-৩০ মি. ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ ও ১ চেলসি-সাউদাম্পটন রাত ১-৪৫ মি. নিউক্যাসল-ম্যান ইউনাইটেড রাত ২টা হপম্যান কাপ সনি টেন ২ ফ্রান্স-জার্মানি সকাল ৮টা অস্ট্রেলিয়া-স্পেন বেলা ৩-৩০ মি. এনবিএ সনি টেন ১ এলএ ক্লিপার্স-ফিলাডেলফিয়া সকাল ৯-৩০ মি. মেয়েদের বিগ ব্যাশ সনি সিক্স থান্ডার-সিক্সার্স সকাল ৯-৫০ মি. বিগ ব্যাশ লিগ সনি সিক্স থান্ডার-স্কর্চার্স বেলা ২-১৫ মি. রঞ্জি ট্রফি স্টার স্পোর্টস ২ বাংলা-দিল্লি সকাল ৯-৩০ মি. টেনিস স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ মহারাষ্ট্র ওপেন বেলা ৩-১৫ মি. ব্যাডমিন্টন স্টার স্পোর্টস ১ প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগ সন্ধ্যা ৭-২০ মি. | 1,572,856 |
2019-01-02 | চীনে কি আমির ক্রেজ শেষ? | null | অনলাইন ডেস্ক | ৪ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572855/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7 | entertainment | online | 4 | বলিউড | অমিতাভ বচ্চন ও আমির খানের ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ ভারতের বক্স অফিসের ইতিহাসে অন্যতম ব্যর্থ একটি সিনেমা। সিনেমাটি চীনে মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। কিন্তু মিস্টার পারফেকশনিস্টের আগের সিনেমাগুলো থেকে এ সিনেমা আয় করেছে অনেক কম। এরপরই বলা শুরু হয়েছে. চীনে কি আমির ক্রেজ শেষ হতে চলল। ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’কে বলো হচ্ছে বলিউডের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের একটি সিনেমা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ছবির আয় ১৪৫ কোটি রুপির সামান্য বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারেও সুবিধা করতে পারেনি ছবিটি। চীনে আমির খানের জনপ্রিয়তা অন্য যেকোনো ভারতীয় তারকার চেয়ে বেশি। সেখানে তাঁর সিনেমা হাজারো কোটি রুপি ব্যবসার রেকর্ডও গড়েছে। কিন্তু প্রথম দিনে ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’-এর আয় প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। শুক্রবারের আয় সাড়ে ১০ লাখ ডলারের মতো। ভারতীয় রুপিতে পৌনে ১১ কোটি রুপি। অন্যদিকে. আমিরের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ প্রথম দিনে আয় করে ৬১ লাখ ডলারের কাছাকাছি। ‘দঙ্গল’ আয় করেছিল ২৫ লাখ ডলার। ভারতের মতো চীনেও ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। চলচ্চিত্রের বাণিজ্যবিষয়ক গবেষক ত্বরণ আদর্শ বলেছেন. ৩৩৫ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি ভারতের মতো চীনের বাজারেও ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ছবিটি গত তিন দিনে মাত্র ৩২ কোটি রুপি আয় করেছে চীনের বাজার থেকে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্রের বাজার চীনে আমিরের যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও ছবিটির ধস ঠেকাতে পারেনি। ত্বরণ আদর্শ গত সোমবার টুইটে লেখেন. বিগ বাজেটের ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ ছবিটির সঙ্গে একই সময়ে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবি চীনে মুক্তি পায়। আমিরের ছবিটি প্রতিযোগিতা করতেই পারেনি। শুক্র থেকে রোববার তিন দিনে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ছবিটির মোট আয় ছিল ৪৮ লাখ ডলার। অবশ্য চীনের দর্শক টানতে আমির সেখানে ছুটে গিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় অংশও নিয়েছিলেন। এমনকি জনি ডেপ ও জ্যাকি চ্যানের সঙ্গেও একটি অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। উল্লেখ্য. গত বছরের মে মাসে আমিরের ‘দাঙ্গাল’ ছবিটি চীনে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে আয় করেছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার বা ৯৭ কোটি রুপি এবং বেশ কিছুদিন টানা চলে রেকর্ড ১ হাজার ৪০০ কোটি রুপি আয় তুলেছিল সেখান থেকে। কিছুদিন আগে ভারতীয় দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আমির খান। তিনি জানান. নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু দর্শকদের বিনোদন দিতে পারেনি। তাই দুঃখিত। বিজয় কৃষ্ণ আচারিয়া পরিচালিত সিনেমাটিতে নায়িকা হয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ফাতিমা সানা শেখ। কয়েক দিন আগে নেটফ্লিক্সে ওয়েব সিরিজ ‘সিলেকশন ডে’র প্রিমিয়ারে উপস্থিত হয়ে ফাতিমা জানান. ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’-এর ব্যর্থতা দুঃখজনক। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি। | 1,572,855 |
2019-01-02 | হলোগ্রাফি এবং পদার্থবিজ্ঞানের মেসি | null | ড. সাজিদ হক | ৭ | https://www.prothomalo.com/technology/article/1572854/%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF | technology | online | 4 | গবেষণা | আজকে যে বিষয়টা দিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাই. সেই ধারণাটার জন্ম স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো. এর গ্রহণযোগ্যতা এখন আর স্ট্রিং তত্ত্ব সঠিক কি না. তার ওপর নির্ভর করে না। এটি এখন সমগ্র পদার্থবিদ্যার সম্পদ। বিষয়টি হচ্ছে ‘হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ’ নামে একটা কনজেকচার (conjecture). যা AdS/CFT correspondence নামে বেশি পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রবক্তা হুয়ান মালদাছেনা (Juan Maldacena) এখনকার পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। হুয়ান মালদাছেনা আর্জেন্টিনার লোক। কাজ করেন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সংযুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি. সংক্ষেপে IAS-এ। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করার জন্য এর থেকে ভালো কোনো জায়গা এই গ্রহে নেই। এখানেই কাজ করতেন আইনস্টাইন। আমার এক গুয়াতেমালান পদার্থবিদ বন্ধু তাঁর স্থপতি বাবাকে মালদাছেনার পরিচিতি দিতে গিয়ে বলেছিল. ‘ও হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের মেসি’। অপেক্ষাকৃত তরুণদের ভেতর মালদাছেনার থেকে বড় পদার্থবিদ আছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না। তাই এখনকার পদার্থবিজ্ঞানে মালদাছেনার গুরুত্ব বোঝাতে এর থেকে যথার্থ বিবৃতি আর হয় না। আজকে হুয়ান মালদাছেনার এই হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ নিয়ে আলোচনা করব। এই ধারাবাহিক লেখায় আমরা স্ট্রিং তত্ত্বের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনার একটা মূল বক্তব্য ছিল এই তত্ত্ব বিভিন্ন ধারণা ও বিষয়কে একীভূত করে। মজার ব্যাপার হলো. একীভূতকরণ ছাড়াও স্ট্রিং তত্ত্বের কাছ থেকে একেবারে নতুন কিছু ব্যাপার আমরা পাই। এর একটি হলো গণিতের কাছে পদার্থবিদ্যার ঋণ শোধ। ব্যাখ্যা করি. গত কয়েক শ বছরের গণিত ও পদার্থবিদ্যার সম্পর্ক পর্যালোচনা করলে দেখা যায়. পদার্থবিদ্যা গণিত থেকে কেবল নিয়েই গেছে. বিনিময়ে গণিতে বেশি কিছু যোগ করতে পারেনি। সম্পর্কটা অনেকটাই একমুখী। কিন্তু এই ব্যাপারটা এখন আর সত্যি নয়। স্ট্রিং তত্ত্ব গণিত গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন ধারণা ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। এর একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে মিরর সিমেট্রি (Mirrorsymmetry) বলে একটা বিষয়। এই গাণিতিক ধারণা স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে এসেছে। বিষয়টা একটু জটিল. সুযোগ পেলে অন্য কোথাও আলোকপাত করব। আজকের মূল আলোচনায় ফেরা যাক। আমার ধারণা. গত বিশ-পঁচিশ বছরে স্ট্রিং তত্ত্ব এবং তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় কাজটা হচ্ছে হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ বা AdS/CFTcorrespondence। এটা মূলত একটা কনজেকচার (conjecture)। কারণ. এই ধারণা এখনো ঠিক গাণিতিকভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি. কিন্তু এর বিশুদ্ধতা নিয়ে পদার্থবিদদের মনে কোনো সন্দেহ নেই বলা চলে। এর হাজার হাজার গাণিতিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ একটা আজব ধরনের প্রস্তাব করে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের দুটি তত্ত্বের ভেতর একধরনের দ্বৈতবাদের কথা বলে। তত্ত্বগুলো এতটাই আলাদা যে এদের ভেতর কোনো রকম মিল চিন্তাই করা যারা না। আরও বড় কথা হলো. তত্ত্ব দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান. কাল ও মাত্রায় সংজ্ঞায়িত। হুয়ান মালদাছেনা আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে এই অদ্ভুত প্রস্তাবটা দিয়ে সবাইকে একরকম হকচকিয়ে দেন এবং হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ নিয়ে লেখা তাঁর গবেষণাপত্রটা এখন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বেশিবার সাইটেড পেপারগুলোর একটি। এর সাইটেসন সংখ্যা ১৪ হাজারের ওপরে। সাইটেসন সংখ্যা হচ্ছে কতবার এই গবেষণাপত্র অন্য গবেষকেরা তাঁদের গবেষণাপত্রের কাজে ব্যবহার করেছেন. তার একটা হিসাব। এই সাইটেসন নম্বরটার গুরুত্ব বোঝাতে বলে রাখি স্বয়ং আইনস্টাইনের স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটার সাইটেসন নম্বর ৪ হাজারের একটু কম। যদিও সাইটেসন নম্বরই একটা গবেষণাপত্রের গুরুত্বের মূল মাপকাঠি নয়. তাই এভাবে সরাসরি তুলনা ঠিক যথার্থ নয়। যা হোক. এই ধারণা ব্যাখ্যা করার আগে একটা ব্যক্তিগত গল্প বলা যেতে পারে। কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইমনস সেন্টারে গিয়েছিলাম স্ট্রিং থিওরির একটা কর্মশালায়। লক্ষ করেছি বাংলাদেশের গবেষকেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অন্তর্মুখী হন. নতুন পরিবেশে তাদের খাপ খাওয়াতে বেশ সময় লাগে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এর অন্য একটা কারণ হতে পারে আমার ব্যক্তিগত হীনম্মন্যতা। বিজ্ঞান ও গণিতে আমাদের অর্জন বড় কম—বলার মতো না আসলে। জাতিগত অন্তর্মুখিতা বা ব্যক্তিগত হীনম্মন্যতা—যেকোনো কারণেই হোক. লাঞ্চের সময় অন্য সবার সঙ্গে না বসে আমি একেবারে একা একটা ভিন্ন টেবিলে বসলাম। মাথা নিচু করে খাচ্ছি এমন সময় একজন সামনে এসে জিজ্ঞেস করল. সে কি আমার সঙ্গে বসতে পারে? তাকিয়ে দেখি ব্যক্তিটি হচ্ছেন হুয়ান মালদাছেনা। আমার পিএইচডি অ্যাডভাইজার আর মালদাছেনা দুজনেই একই সময় প্রিন্সটনে পিএইচডি করেছেন এবং বেশ ভালো বন্ধু। কাজেই মালদাছেনার সঙ্গে কথা শুরু করতে আমার তেমন সমস্যা হয়নি। তবে সার্বিকভাবে মালদাছেনার সঙ্গে এই লাঞ্চটা খুব ভালো যায়নি। তখন আমি যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করছিলাম. তা নিয়ে ওকে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম। সত্যি বলতে কি. ওর উত্তর আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। তা ছাড়া মিনিট দশেকের মধ্যেই আমাদের টেবিলে লোক জমে গেল। সবাই মালদাছেনার কাছে কিছু না কিছু শুনতে চায়। হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদে ফিরে আসা যাক। এই দ্বৈতবাদ যে দুটি ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বকে সম্পৃক্ত করে. তার একটি হলো এক বিশেষ ধরনের কোয়ান্টাম বলবিদ্যার তত্ত্ব. যাকে কনফরমাল ফিল্ড থিওরি (সংক্ষেপে CFT) বলা হয়। সহজভাবে চিন্তা করার জন্য এটাকে তড়িৎ চুম্বকীয় বলের কোয়ান্টাম তত্ত্বের মতো মনে করা যেতে পারে। ধরা যাক এই তত্ত্ব চার মাত্রার বিশ্বে সংজ্ঞায়িত। এখন গাণিতিকভাবে এই চার মাত্রার সঙ্গে আমরা একটি (বা একাধিক) বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারি। ঠিক এই রকমই একটা বেশি মাত্রার বিশ্বে দ্বিতীয় তত্ত্বটি সংজ্ঞায়িত। আরও মজার বিষয় হচ্ছে. এই দ্বৈত তত্ত্ব একটি বিশেষ ধরনের মহাকর্ষীয় তত্ত্ব। বিশেষ এই অর্থে যে এই মহাকর্ষীয় তত্ত্বের একটা নির্দিষ্ট জ্যামিতিক গঠন আছে. যাকে আমরা অ্যান্টি ডি সিটার স্পেস (সংক্ষেপে AdS) বলি। এ কারণেই এই দ্বৈতবাদকে AdS/CFT correspondence বলা হয়। মালদাছেনা তাঁর প্রথম প্রস্তাবে এই দ্বৈত তত্ত্ব একটা দশ মাত্রার সুপার স্ট্রিং তত্ত্ব ধরেছিলেন। আর মাত্রার এই ভিন্নতার জন্যই এই দ্বৈতবাদকে হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ বলা হয়। মাত্রার ভিন্নতা ছাড়াও তত্ত্ব দুটির আরও কিছু অদ্ভুত বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য আছে। তার একটি হলো. বেশি মাত্রার মহাকর্ষীয় তত্ত্বের ওপর গাণিতিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা বহু ক্ষেত্রেই অনেক সহজ. কম মাত্রার দ্বৈত তত্ত্বটির তুলনায়। এটাই মূলত এই হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদের মূল শক্তি। যেসব কম মাত্রার দ্বৈত তত্ত্ব বেশ জটিল. আমরা পদার্থবিদ্যার প্রচলিত গাণিতিক অস্ত্র দিয়ে যাদের ঘায়েল করতে পারি না. তাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ দ্বৈত তত্ত্বটা ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা যা করার এই তত্ত্বের ওপর করে দ্বৈতবাদের অভিধান ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত জটিল তত্ত্বটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই হলোগ্রাফিক দ্বৈতবাদ স্ট্রিং তত্ত্বের এক বিরাট সাফল্য। আজকাল এই ধারণা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। তত্ত্ব হিসেবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি স্ট্রিং তত্ত্বকে নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। এই ধারাবাহিক লেখাটা অসম্পূর্ণ হবে যদি তার কিছুটা এখানে উল্লেখ না করা হয়। সমালোচনার কেন্দ্রে আছে মূলত তত্ত্বের সঙ্গে পরীক্ষা–নিরীক্ষাকে সম্পৃক্ত করতে না পারার অক্ষমতা। এর মূল কারণটা আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। স্ট্রিং পরীক্ষাগারে দেখা বা এ–সম্পর্কিত কিছু সরাসরি পরিমাপ করা আমাদের বর্তমান পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার ক্ষমতার অনেক বাইরে। আসলে স্ট্রিং তত্ত্ব এক্সপেরিমেন্ট থেকে বহুদূর অগ্রগামী। বিজ্ঞানে তত্ত্ব এবং এক্সপেরিমেন্টের উন্নতি হওয়া উচিত হাত ধরাধরি করে. এ ক্ষেত্রে সেই ব্যাপারটা মোটেই ঘটেনি। দ্বিতীয়ত. এই তত্ত্ব জটিল গণিত দিয়ে বাঁধা। অন্য বিষয়ের লোকজন তো বাদই দিলাম. বহু সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানীর গণিতে সেই দক্ষতা থাকে না. যা দিয়ে এই তত্ত্বকে ঠিকমতো বোঝা সম্ভব হয়। আসলে বহুমাত্রিক জগতের ধারণা যেমন চিন্তা করা কঠিন. তার গাণিতিক বর্ণনাও বেশ জটিল একটা বিষয়। একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতে পারে। ধরুন. আপনার কাছে মোটাসোটা একটা বই আছে। বইটার পাতাগুলোর পুরুত্ব খুবই কম. কাজেই পৃষ্ঠাসংখ্যা অনেক বেশি। ধরা যাক. এই বইয়ের ৫০ নম্বর পাতায় একটা পোকার ছবি আছে। এই পাতাকে আপনি কল্পনা করতে পারেন একটা দুই মাত্রার বিশ্বের সঙ্গে. যেখানে কেবল দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে. কিন্তু উচ্চতা বলে কিছু নেই। এখন কল্পনাকে আরও বাড়িয়ে ৫০ নম্বর পাতার এই পোকাকে ধরে নিন জীবন্ত। যেহেতু একটা দুই মাত্রার বিশ্বে (৫০ নম্বর পাতা) এই পোকার বাস. কাজেই এই পোকাকেও হতে হবে দুই মাত্রার. অর্থাৎ এর কোনো উচ্চতা থাকবে না। আশা করি আমাকে অনুসরণ করতে পারছেন। এখন ধরা যাক. এই পাতার ওপর আপনি একটা চায়ের কাপ রাখলেন। এখন প্রশ্ন হলো. পোকাটি কি চায়ের কাপটা দেখতে পাবে বা এটা যে একটা চায়ের কাপ. তা বুঝতে পারবে? আসলে পারবে না। কারণ. পোকাটার জগতে উচ্চতা বলে কিছু নেই। কাজেই কাপটার যে অংশ দুই পাতার ওপরে আছে. সেই বৃত্তাকার তলাটা শুধু বুঝতে পারবে। কাজেই একটা দুই মাত্রার পোকার জন্য তিন মাত্রার চায়ের কাপ সম্পূর্ণ অজানাই থেকে যাবে। একইভাবে আমরা একটা চার মাত্রার (তিনটি স্থান মাত্রা ও সময়) জগতে বাস করি। কাজেই দশ মাত্রা নিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক কোনো ছবি তৈরি করতে পারে না। দশ মাত্রার মহাবিশ্ব আমাদের জন্য ভয়াবহ রকমের জটিল। তবে পার্থক্য হলো আমরা মানুষ. পোকা না. আমাদের হাতে আছে ‘গণিত’ নামের একটা অসম্ভব শক্তিশালী অস্ত্র। এই গণিত দিয়ে আমরা এই বাড়তি মাত্রাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে পারি। এই মাত্রাগুলো কী রকমের হতে পারে. তা ধারণা করতে পারি। কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। এই বাড়তি মাত্রাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে বর্তমান গণিতও মনে হচ্ছে পুরোপুরি সক্ষম নয়। এই বাড়তি মাত্রাগুলো বোঝার জন্য এখনকার গণিত থেকে সবচেয়ে বোধগম্য যে ধারণা আমরা পাই. তার নাম হচ্ছে ‘কালাবি ইয়াও ম্যানিফোল্ড’। কালাবি ইয়াও ম্যানিফোল্ড হচ্ছে একটা ছয় মাত্রার বিশ্ব. যার জ্যামিতিক প্রকৃতি আমাদের জানা। কাজেই স্ট্রিং তত্ত্বের বাড়তি ছয় মাত্রার কমপ্যাকটিফাইড (আগের লেখায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে) বিশ্বকে আমরা কালাবি ইয়াও হিসেবে ধরে নিই। কারণ. কালাবি ইয়াও ম্যানিফোল্ডের বাইরে অন্য ধরনের স্থান সম্পর্কে আমাদের পুরোপুরি জ্ঞান নেই। কিন্তু এই বাড়তি মাত্রাগুলো যে কালাবি ইয়াও ধরনের হবে. তার কোনো প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। মাত্রা বেশি থাকায় আর একটা খুব বড় সমস্যা তৈরি হয়। আবার বইয়ের উদাহরণটাতে ফিরে যাওয়া যাক। আগেই বলছি. তিন মাত্রার বইয়ের ভেতর বহু দুই মাত্রার পাতা ঢোকানো আছে। প্রতিটা পাতা আমাদের দুই মাত্রার পোকাটার জন্য একটা সম্ভাব্য বিশ্ব হতে পারে। তেমনিভাবে দশ মাত্রার মহাবিশ্বে অসংখ্য অসংখ্য চার মাত্রার বিশ্ব থাকতে পারে। কল্পকাহিনিতে এদের প্যারালাল মহাবিশ্ব (ParallelUniverse) হিসেবে দেখানো হয়। সমস্যাটা হলো. এখান থেকে আমাদের পরিচিত চার মাত্রার বিশ্ব খুঁজে বের করা বালুর ট্রাকের ভেতর থেকে সুই খুঁজে বের করার থেকেও অনেক অনেক গুণ বেশি কঠিন। এই কঠিন প্রশ্নের একটা উত্তর অনেকে এভাবে দেন যে আমরা সেখানেই বাস করি. যেখানে আমরা বাস করতে পারি। আমরা সেই মহাবিশ্বে বাস করি. যেখানে পৃথিবী নামক বাসযোগ্য গ্রহ তৈরি হয়েছে. যেখানে অনেক মৌলিক কণা যেমন ইলেকট্রন. প্রোটন এসব আছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব সব জায়গাতে দেখতে এক রকম এবং তা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যদি এসব না থাকত. তাহলে আমদের অস্তিত্বও থাকত না এবং এই সব দেখার. চিন্তা করার জন্যও কেউ থাকত না। এই বিচিত্র সমাধানকে এনথ্রপিক সমাধান বলা হয় এবং বহু পদার্থবিদ এটা মানতে পারেন না। বলা ভালো. এখন পর্যন্ত এই বিষয়টার খুব ভালো কোনো সমাধান আমাদের নেই। এসব কিছু মিলিয়েই স্ট্রিং তত্ত্ব যেন অন্য ভুবনের তত্ত্ব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিমত হলো. এই তত্ত্বের খুব সামান্য অংশই আমরা আসলে বুঝি। স্ট্রিং তত্ত্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অনেকটা বিশাল হাতির শরীরের এক জায়গা স্পর্শ করে হাতি সম্পর্কে ধারণা করার মতো। কাজেই অনেক মৌলিক প্রশ্নের উত্তরই আমরা জানি না। তা ছাড়া পদার্থবিজ্ঞানের বক্তব্য তো পাথরে খোদাই করা নয়. এর ধ্যানধারণা বহমান। নতুন চিন্তা. নতুন ধারণা আগের অসম্পূর্ণ ধারণাকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে চলেছে। আর আমাদের মনে রাখা উচিত. মহান তত্ত্ব ছাড়া কোনো বিজ্ঞান খুব বেশি আগাতে পারে না। আজকের দিনে আমরা শুধু পর্যবেক্ষণ এবং তা থেকে পাওয়া তথ্য–উপাত্তকেই বিজ্ঞান হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তথ্য–উপাত্ত আমাদের কেবলই বিভিন্ন পরিমাপকের মধ্যকার correlation সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। কিন্তু চিন্তার বিপ্লব আনতে হলে. এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কীভাবে কাজ করে. তা বুঝতে হলে প্রয়োজন বিশুদ্ধ তত্ত্বের। যেমন নিউটন. আইনস্টাইন বা ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক দিয়ে গেছেন। এডওয়ার্ড উইটেন কোনো এক জায়গায় স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে বলেছিলেন. ‘যে তত্ত্বের সঙ্গে এত চমৎকার গণিত জড়িয়ে আছে. তার সবকিছু ভুল হতে পারে না।’ বিবৃতিটা সুন্দর এবং অর্থবহ. তবে এর প্রমাণ হবে ভবিষ্যতের পদার্থবিদদের হাতে। আমরা আশা করব. এই বিষয়ে বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানীদের কিছুটা হলেও ভূমিকা থাকবে। ড. সাজিদ হক: শিক্ষক ও গবেষক. স্ট্রিং থিওরি অ্যান্ড কসমোলজি. ইউনিভার্সিটি অব উইন্ডসর. কানাডাই-মেইল: [email protected] লেখকের এ বিষয়ে আগের লেখা— ১. ‘থিওরি অব এভরিথিং’ ২. প্রথম স্ট্রিং বিপ্লব ৩. দশ-মাত্রিক মহাবিশ্ব ও সুপার স্ট্রিং তত্ত্ব | 1,572,854 |
2019-01-03 | প্রিয়তার মাথায় বিশ্বমুকুট | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573102/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%9F | bangladesh | print | 1 | রাজধানী|মুক্তিযুদ্ধ | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা ওড়ান প্রিয়তা ইফতেখার। জিম্বাবুয়ের হারারেতে. দ্য ভেন্যু অ্যাভান্ডলেতে অন্য প্রতিযোগীরা যখন ঝলমলে পোশাকে হাজির হন. সেখানে প্রিয়তা সাদা শাড়ি পরে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি সেজে তুলে ধরেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা। কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠের গান. গোলাগুলির আওয়াজ. জয়বাংলা ধ্বনি—সব মিলে দর্শকদের প্রথমে বুঝতে কষ্ট হলেও পরে যখন পুরো ইতিহাস জানলেন. তখন হলভর্তি দর্শক করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন প্রিয়তাকে। তারপরই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি নারীর মাথায় উঠল ‘মিস কালচার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-২০১৮’–এর মুকুট। গতকাল প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে প্রিয়তা ইফতেখার তাঁর মুকুট জয়ের গল্প শোনান। এ মুকুট জয়ের আগেই তিনি জয় করেন ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। মিস কালচার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করে ৫০টি দেশ। সর্বশেষ একটি দেশের প্রতিযোগীর মাথায় এ মুকুট তুলে দেয় জিম্বাবুয়ের ডেস্টিনেশন মার্কেটিং ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ। প্রিয়তা ইফতেখার নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগম এবং শিশুসাহিত্যিক. সংগঠক ও সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খানের (দাদাভাই) নাতনি। প্রিয়তার বাবা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং মা রীনা ইয়াসমীন আহমেদ মারা গেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে গত এক বছর বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষকদের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। প্রিয়তা মুকুট (রেপ্লিকা) নিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৯ ডিসেম্বর। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের হাত থেকে মুকুট নিতে শিগগিরই তিনি সে দেশটিতে যাবেন বলে জানালেন। প্রিয়তা বলেন. বিজয়ী হিসেবে আগামী এক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যকেও তুলে ধরতে হবে। প্রিয়তা দেখালেন. তাঁর নকশিকাঁথার গাউনে গোল করে কাটা জাতীয় পতাকার পাশেই জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের সিগনেচার (গোল্ড) ব্যাজ লাগানো আছে। এতিম মেয়ে শিশুদের জন্য কোনো ফাউন্ডেশন গঠন এবং নানি নূরজাহান বেগমের ‘বেগম ক্লাব’কে নতুন করে চালু করতে চান। | 1,573,102 |
2019-01-03 | একজন নোবেলম্যান | null | হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক | ৯ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573055/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | entertainment | print | 1 | আনন্দ|বাংলা গান | এক নজরে নোবেল পুরো নাম: মাঈনুল আহসান। ডাকনাম: নোবেল বাবা: মোজাফফর এইচ নান্নু মা: নাজমা বেগম গ্রাম: লতিফপুর. গোপালগঞ্জ ভাইবোন: দুই ভাই. এক বোন। প্রথম স্কুল: ঢাকার গুলশানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। শেষ কলেজ: দ্য ক্যামব্রিজ স্কুল. কলকাতা। প্রথম গিটার: সিগনেচার ব্রান্ডের একটি গিটার। সারেগামাপায় গাওয়া প্রথম গান: জেমসের ‘বাবা’। প্রশ্ন করলাম. আপনার প্রথম শেখা গান কোনটা? নোবেল চোখটা মিটি মিটি করলেন বার কয়েক। অনেকক্ষণ আলাপের পর বোঝা গেল এটা তাঁর অভ্যাস। বললেন. খুব ছোটবেলায় বাবা বাড়িতে গানের ক্যাসেট আনতেন। সেগুলো সবাই মিলে শুনতাম। শুনে শুনে আইয়ুব বাচ্চু. জেমস. হাসানের গান তুলতাম। ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’. ‘চারদিকে উৎসব’ গানগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গ ধরেই নোবেলের ছোটবেলায় প্রবেশ করা। ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার গানবিষয়ক রিয়্যালিটি শো সারেগামাপা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঈনুল আহসান নোবেল এখন জনপ্রিয় মুখ। এই তরুণের গান শুনে মুগ্ধ এখন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতারা। তাঁর গান শুনে অনেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুকে. কখনো মনে হয়েছে জেমস গাইছেন। আবার লোকগানও মানিয়ে গেছে নোবেলের পানির মতো সহজ কণ্ঠে। জি বাংলা সূত্রে এত দিনে সবাই জেনে গেছেন নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বাবা ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মা গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে নোবেল সবার বড়। বড় ছেলে হিসেবে বাবা–মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশোনা শেষ করে ‘বড়’ কিছুই হবেন। কিন্তু গান যখন গলার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে ফেলল. তখন নোবেল বুঝে গিয়েছিলেন তাঁকে আসলে গানেই থাকতে হবে। গান গেয়েই পূরণ করতে হবে মা–বাবার সেই ‘বড়’ হওয়ার স্বপ্ন। গোপালগঞ্জ–খুলনা–ঢাকা–কলকাতা নোবেল জন্মেছেন গোপালগঞ্জে। কিন্তু বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন জায়গায়। বাবার ছিল পরিবহনের ব্যবসা। সেই সূত্রে কখনো খুলনা. কখনো ঢাকায় কেটেছে ছোটবেলা। আঙুলের কর গুনে নোবেল বললেন. আমি থ্রি. ফোর. ফাইভ. সিক্স পর্যন্ত গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়েছি। ক্লাস সেভেনে ভর্তি হই ঢাকার একটি স্কুলে। কিন্তু সেখানে ভালো লাগে না। যাই খুলনায়। ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি ওখানে। একের পর এক স্কুল বদলাতে বদলাতে আমি কাহিল হয়ে যাই। একেকবার একেক পরিবেশ. একেক নিয়মকানুন. নতুন নতুন বন্ধু। এরপর নাইনে এসে আবার ভর্তি হই গোপালগঞ্জের একটি স্কুলে। কিন্তু সেখানে বেশিদিন থাকতে পারি না। একটা মারামারির ঘটনায় আমাকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়। তখন বাবা দেশেই রাখতে চান না। পাঠিয়ে দেন দার্জিলিং। পাশের শহর কাশিয়াংয়ে হিমালি বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষার্থী হয়ে যাই সে বছর। ভর্তি হই নাইনে। একটানা বলে থামেন নোবেল। এই ফাঁকে নোবেল সম্পর্কে একটা বাড়তি তথ্য দেওয়া যেতে পারে। গুছিয়ে কথা বলা মানুষ নোবেল। একটানা কথা বললে থামানো কঠিন হয়ে যায়। নাইনে তিনবার. বাসাবদল চারবার হাসতে হাসতে নোবেল বলেন. জানেন. আমি ক্লাস নাইনেই তিনবার পড়েছি। দুইবারের হিসাব মিলল। আরেকবার? প্রশ্ন টেবিলে তোলার আগেই উত্তর প্রস্তুত করেছেন নোবেল। হিমালি বোর্ডিং স্কুলের নাইন শেষ করেছি। কিন্তু আর ওখানে পড়তে ইচ্ছা করেনি। এসে ভর্তি হই কলকাতার হাজরার একটি স্কুলে। আবার নাইনে! এবার হিসাব মেলে। দ্য কেমব্রিজ স্কুলের শিক্ষার্থী হয়ে পাস করেন এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের ও লেভেল এবং এ লেভেল। এর মধ্যে আর গানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি? রে রে করে ওঠেন নোবেল। কী বলেন. এর মধ্যে গানের জন্যই আমাকে বাসা বদলাতে হয়েছে চারবার! উৎসুক হয়ে উঠি। নোবেল উৎসাহ মেটান। এর মধ্যে আমার সঙ্গী হয়েছিল ৬০০ টাকা দিয়ে কেনা একটা পুরোনো সিগনেচার ব্যান্ডের গিটার। যেটা এখনো আছে। সেই গিটার নিয়ে সব জায়গায় হেড়ে গলায় গান গাইতেন। গান গাইবেন বলে কলকাতায় বাসা নিয়েছিলেন গলির শেষ মাথায়। নীরব. সুনসান এলাকায় রাত তিনটায় চিৎকার করে উঠত নোবেলের গলা। ফলে যা হওয়ার তা–ই হয়। ছাড়তে হয় সেই বাসা। একবার দুবার নয়. চারবার। পরে কলকাতার এক বন্ধু নিজেদের বাগানবাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন নোবেলকে। সেখানেই নিয়মিত গানের চর্চাটা চালাতে থাকেন নোবেল। যে কারণে বাবার সঙ্গে অভিমান এইচএসসি পাস করে সোজা ঢাকায়। সময়টা ২০১৪। তত দিনে পুরোদস্তুর গানের সঙ্গে প্রেম হয়ে গেছে নোবেলের। বাবা–মাকে সোজা জানিয়ে দেন. বই–খাতা কিংবা বড় চাকরি নয়. আমার প্রেম আসলে গানের সঙ্গে। এই প্রেম ভাঙা যাবে না। এমন বার্তা পেয়ে কোনো মা–বাবাই চিন্তামুক্ত হতে পারবেন না। নোবেলের বাবাও পারেননি। ছেলেকে নিয়মিত পড়াশোনার জন্য বারবার বলতে থাকেন। মায়ের চাপ ছিল। কিন্তু অনড় নোবেল। উদাহরণ দিতেন. ‘জিম মরিসন মাত্র সেভেন পাস. আমাদের গুরু জেমস পড়াশোনা না করে বাসা ছেড়েছিলেন। আমিও তাঁদের মতো হব।’ বাবা উত্তর দিতেন. ‘তুমি তাঁদের মতো কখনোই হতে পারবা না। পারলে হয়ে দেখাও? জেমস একজনই!’ নোবেল উত্তর দিতেন. ‘আমিও একজনই। আমি তাঁদের মতোই হব। আমি জেমস না হতে পারি. নোবেল হব।’ নোবেল জানান. সারেগামাপার সফলতা আসার আগেই বাবার সঙ্গে নিয়মিত কথা–কাটাকাটি হতো। পরিবার থেকে বলত. পড়াশোনা প্রথমে. দ্বিতীয় হোক গান। কিন্তু নোবেল গানকেই প্রথম অবস্থানে জায়গা দেন। কারণটা পরিষ্কার। নোবেল বলেন. আমার একটা বিশ্বাস ছিল. মিউজিক আমাকে বদলে দেবে। মিউজিক আমাকে আপন করে নেবে। যেটা চাকরি–বাকরি থেকে সম্ভব না। প্রশ্ন করি. বাড়ি থেকে বড় কোনো চাপ আসেনি? এবার নোবেল খানিকটা আড়মোড়া ভাঙেন বোধ হয়। আমি আসলে কোনো কিছুই গায়ে মাখাই না। আমি আমার গতিতে আগাই। বাবা হয়তো বলতেন. পড়াশোনা না করলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। আমি বলতাম. ছেলে হিসেবে তো বাড়িতে আমারও অধিকার আছে। নোবেলের ভাষায়. আমাদের (বাবা–ছেলের) অনেকটা টম অ্যান্ড জেরির সম্পর্ক ছিল। আমি জানতাম বাবা তাঁর জায়গায় একদম ঠিক। কিন্তু আমিও যে ঠিক. এটা প্রমাণ করার জন্য তো সময় লাগবে। এই কারণে ধৈর্য ধরে থাকতাম। যা বলছে বলুক. আমি আমার মতো করে এগিয়ে যাই। গানে নোবেলের অনুপ্রেরণা এই সময়ে নোবেলের গানের শ্রোতা কোটি কোটি। কিন্তু জানেন কি. কোন শ্রোতাদের অনুপ্রেরণায় আজকের নোবেলের জন্ম? প্রশ্ন করতে হয় না। নোবেল আগ্রহী হয়েই বলা শুরু করেন। আমি যখন কলকাতায় ছিলাম. তখন বন্ধুদের কাছ থেকে গিটারের কর্ড শিখি। গান গাওয়া শিখি। ওই সময় আমার বাসার সামনে কয়েকজন শ্রোতা নিয়মিত আসত। ওরা আশপাশের বাড়ির। সিনিয়র বন্ধু সব। এখনো আমার নাম মনে আছে. হেমন্ত. হ্যাপি. আদিবসহ কয়েকজন। ওরা ছিল আমার নিয়মিত শ্রোতা। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে দিনের শেষে আমার একটা গান শুনে যেত। ওরা আমার প্রথম অনুপ্রেরণা। উৎসাহদাতা। ওরা না থাকলে হয়তো এত দ্রুত গানে আসা কঠিন হয়ে যেত। ২০১৬ সালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন গানটাই করবেন নোবেল। গড়ে তোলেন একটা ব্যান্ডও। সেখানে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন। সেটা এই সময়ে এসে খুব কাজে লেগেছে বলে জানান নোবেল। নোবেলের সে রকম কোনো ওস্তাদ নেই। নেননি কোথাও প্রশিক্ষণও। একজন নোবেলম্যান তারপরের গল্প সবারই জানা। নোবেল অংশ নেন জি বাংলার অডিশনে। বিচারকদের শোনান জেমসের ‘বাবা’ গানটি। ভিডিও কলের মাধ্যমে আরও কয়েকবার অডিশন দেন। তারপর পান কলকাতার টিকিট। বাকিটা তো ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী দুই বাংলার ‘সারেগামাপা’র শ্রোতারা। এখন নোবেল স্বপ্ন দেখছেন একটা ব্যান্ড করার। দলের নাম দিয়েছেন নোবেলম্যান। এই নামে একটা ইউটিউব চ্যানেলও আছে তাঁর। ইচ্ছা আছে নোবেলম্যান ছড়িয়ে যাবে দেশ–বিদেশে। তাঁর গলায় ভর করে ছড়িয়ে যাবে বাংলা গানও। | 1,573,055 |
2019-01-03 | ‘না বলা শিখুন’ এবং... | সমাজ | মাসুদ আহমেদ | ২ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573052/%E2%80%98%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8%E2%80%99-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82 | opinion | print | 1 | রাজনীতি | এ অধিবাসের সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পকার তাঁর এক নাটকে এক বিশিষ্ট চরিত্রের মুখ দিয়ে একটি কথা বলিয়েছিলেন। আড়াই দশক আগের হলেও তা হয়তো অনেক দর্শকই ভুলে যাননি। কথাটি ছিল ‘পারলেন না তো না বলতে?’ ‘না’ বলা শিখুন। এই বাক্যটি তাৎপর্যপূর্ণ নানা দিক থেকে। তা হলো. সমাজের একশ্রেণির মানুষের অন্যায্য অভিপ্রায়. তা থেকে আত্মরক্ষার কৌশল এবং এই লেখকের ব্যক্তিমানস চেনার চেষ্টা। তা প্রাসঙ্গিক হবে না যদি এ সঙ্গেই যেকোনো রাজনৈতিক আমলে যেকোনো সংবাদপত্রে একটি নির্দিষ্ট সংবাদ পরিবেশনার শিরোনাম মনে করে দেখি। ওটি হলো. কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা সমাজের যেকোনো প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার খবর ছাপানোর সময় সাংবাদিকেরা একটি স্ট্যান্ডার্ড বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। ‘মন্ত্রী মহোদয় ধৈর্যসহকারে তাঁদের বক্তব্য শ্রবণ করেন।’ এ থেকে বোঝা যায় বক্তব্য ছিল জোরালো. দীর্ঘ. দাবি পেশমূলক অনেকাংশে অযৌক্তিক. অন্যায্য এবং বিরক্তি ও ধৈর্যচ্যুতি উত্পাদক। নইলে মহোদয়কে ধৈর্য ধরে বক্তব্য শুনতে হবে কেন? তিনি জনপ্রতিনিধি। কূটনীতি তাঁর নিত্য অনুষঙ্গ। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সব দাবি বা বক্তব্য বাস্তবায়ন না করতে পারলেও এবং সেগুলো যুক্তিসংগত না হলেও তিনি মুখের ওপর না বলে নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারেন না। তাই তাঁর সাক্ষাৎ ও বক্তব্য শ্রবণ অব্যাহত থাকে। কিন্তু এই জনপ্রিয় লেখক তাঁর পাঠকদের সরাসরি শিখিয়েছেন ‘না’ বলতে। নিজের সম্পদ. সময়. খ্যাতি ও সামগ্রিক স্বার্থ অটুট ও অব্যাহত রাখতে এর প্রয়োজন ছিল। এই লেখক কোনো বিশিষ্ট বা সাধারণ উদীয়মান লেখকের কোনো সাহিত্যকর্মের প্রশংসা বা পর্যালোচনা প্রায় করেননি। লেখক উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জন করলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়. হাসপাতাল বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা নবীন লেখক প্রকল্পও তিনি স্থাপন করেননি। অন্যের সাহিত্যকর্ম পর্যালোচনা করলে সেই লেখকের খ্যাতির মাত্রা আরম্ভ হতে পারত। পাঠকের চোখে এটা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয় যে কোনো নবীন লেখকের লেখার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠিত ও বিশিষ্ট লেখকেরা কেউ কিছু বলছেন কি না। খ্যাতির যাত্রার সঙ্গে অর্থাগমও বেড়ে যেত। নবীন লেখক প্রশিক্ষণও একই ফল দিত। ফলে তাঁর নিজের ওই দুটি ক্ষেত্র কিছুটা হলেও কম মনোযোগ পাওয়া আরম্ভ হতো বলে তাঁর আশঙ্কা ছিল। তেমনি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে তাঁর সম্পদ বেশ খানিকটা হ্রাস পেত। কাজেই ‘না বলা শিখুন’ যে তাঁর না বলে উপায় ছিল না। আমাদের মননে. দর্শনে. বিশ্বাসে ও নীতিতে যা সুপ্ত হয়ে থাকে. মুখ ফুটে তা একদিন প্রকাশ পাবেই। যেমন যিনি পান করা পছন্দ করেন তিনি কোথাও গেলে তা খুঁজবেন। পাঠাভ্যাস যাঁর মজ্জাগত. তিনি খোঁজেন বই। রাজনীতি বা খাদ্যে যাঁর প্রবণতা. তিনিও কোনো সমাবেশে এই বিষয়ের আলোচনা তুলবেনই। তেমনি আত্মপরতা যাঁর প্রধান ঝোঁক. তা–ও বের হয়ে আসবেই। কোনো সন্দেহ নেই যে এই লেখকের অন্তত পাঁচটি সাহিত্যকর্ম মানোত্তীর্ণ ও রসোত্তীর্ণ তো অবশ্যই হয়েছে। এগুলো মহাকালোত্তীর্ণও হবে। সেটি একদিক। কিন্তু জীবনের আরও পরিণত সত্তার এই ‘না বলা’ দর্শনের পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন এই লেখক অবিস্মরণীয়ভাবে। ২.কিন্তু বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ শিল্পী এই সব ক্ষেত্রে কী করেছেন এবং বলেছেন. তা দেখা যাক। তিনি আরম্ভ করলেন ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’ বলে। এটি এক বড় ‘হ্যাঁ’ বলা শিখুন। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বেশ পর তাঁর তো নভোচারী হয়ে যাওয়ার কথা। তার বদলে তিনি কাছে টেনেছেন এবং প্রশংসা করেছেন পূর্ব বাংলার জসীমউদ্দীনকে. সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখাকেও মোটেই অবহেলা করেননি। আর নজরুল? তা বলাই বাহুল্য। যে সম্মান এবং পরামর্শ তিনি তাঁকে দিয়েছেন. তা বিরল নয়. তার কোনো উদাহরণ নেই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে। শরত্চন্দ্রকে আলোর পাদপীঠে তিনিই এনেছিলেন। মেজদিদি উপন্যাস পড়ে তিনি মুগ্ধ হয়ে এক কেশতেল কোম্পানিকে বললেন এই নবীন প্রতিভাকে একখানি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। এই স্বীকৃতি তাঁকে জনমনোযোগের মধ্যে আনা শুরু করল। পাবনায় বাঘাবাড়ী ঘাটের যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এখনো খাঁটি গরুর দুধ পাই. সেই স্থাপনার সমুদয় জমি তাঁরই দান করা। আর ‘শান্তিনিকেতন’-এ তাঁর সংগীত শিক্ষা গ্রহণকারীদের সংখ্যা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য হতে পারে। এই কবিশ্রেষ্ঠ ওই প্রাঙ্গণের ব্যাপক অর্থনৈতিক ব্যবহার করতে পারতেন। সাহিত্য তাঁর প্রাণ হলেও রাজনীতির ক্ষেত্রেও মাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি তাঁর বিশ্বমাপের উদারতা এবং ইতিবাচকতার অকাট্য প্রমাণ রেখে গেছেন। ১৯৩৮ সালে ‘হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন. ‘আজ ভারতের মুসলমানরা একটি স্বাধীন স্বদেশভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম করিতেছে. ইহার জন্য তাহাদের চাইতে আমাদের দোষই বেশি। সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিসাবে আমরা কি কখনো তাহাদিগকে কাছে টানিয়া বুকে জড়াইয়া ধরিয়াছি?’ তিনি ধূর্ত হলে বলতে পারতেন যে রাজনীতি বা কংগ্রেস আমার পেশা নয়. অধীত বিষয় নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমি কেন কিছু বলব? তার বদলে সম্প্রদায়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিপন্ন এক ভিন্ন মানব সম্প্রদায়ের পক্ষে তিনি এই বিবৃতি দেন। যাঁর চোখে পড়েছে ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ. আকাশ ভরা সূর্য তারা’র মতো অপরিমেয় বিশাল সব বিষয়. তিনি তো এমনি মহৎই হবেন। কেবল নিজের স্বার্থ রক্ষা করে নয় বরং সবারটা রক্ষা করে আমরা মহৎ হতে পারব। তার জন্য ভালো মানুষকে ভালোবেসে এবং খারাপদের বিশ্বাস করে কাছে টেনে সংশোধন করার কাজে আমাদের ব্রতী হতে হবে। নইলে বিশ্বকবির কাছ থেকে শুধু জাতীয় সংগীত নিলে হবে? এটা ঠিক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ও বাংলা ভাগের প্রস্তাবে কবিগুরু সম্মত হননি। কিন্তু ১৯০৫ আর ১৯৩৮-এ তাঁর বয়স এক ছিল না। তিনি নিজেই বলেছেন. ‘কৃতকর্মের ফল বোঝা অল্প বয়সের কর্ম নহে।’ মুসলমানদের স্বার্থে কথা বলে তাঁর সব ‘পাপ’ স্খালন হয়েছে। আর দ্বিতীয়বার সুখের সন্ধান করা তো দূরের কথা মাত্র। ৪১ বছর বয়স থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে তিনি স্ত্রীবিহীন জীবনযাপন করেও দেখিয়েছেন—মৃত স্ত্রীর পবিত্র স্মৃতির মধ্যে আর কারও স্থান হওয়া অনুচিত। মাসুদ আহমেদ. কথাসাহিত্যিক. সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল | 1,573,052 |
2019-01-03 | জুলিয়া রবার্টসের অজানা ১০ | null | null | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573050/%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A7%A7%E0%A7%A6 | entertainment | print | 1 | হলিউড|আনন্দ | ১. এই হলিউড অভিনেত্রীর আসল নাম কিন্তু জুলিয়া নয়. জুলি রবার্টস। যখন আমেরিকার অভিনয়শিল্পীদের সংস্থায় নাম লেখাতে গিয়েছিলেন. তখন দেখা গেল জুলি রবার্টস নামে একজন অভিনয়শিল্পী আগে থেকেই আছেন তালিকায়। তাই সহজ পথটাই বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের নাম একটুখানি বদলে রাখতে হয়েছে জুলিয়া। ২. মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসের শরীরে আছে স্কটল্যান্ড. আয়ারল্যান্ড. সুইডেন. জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের রক্ত। পরিবারের মধ্যে জুলিয়ার বড় ভাই এরিক আন্থনি রবার্টস আর বড় বোন লিসা রবার্টসও অভিনয়শিল্পী হয়েছেন। ৩. ছোটবেলায় জুলিয়ার স্বপ্ন ছিল পশুচিকিৎসক হওয়ার। ৪. মাত্র ১৩ বছর বয়সেই জুলিয়া রবার্টস প্রথম কাজে যোগ দেন। ছোট্ট একটি পিৎজার দোকানে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করেছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন। সেখানে তিনি বেঁচে থাকার জন্য কাজ করার পাশাপাশি অভিনয়বিদ্যার ওপর পড়াশোনা করেন। ৫. মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে স্টিল ম্যাগনোলিয়াস ছবিতে জুলিয়া রবার্টস প্রথমবারের মতো অস্কারে মনোনয়ন পান। পরে ২০০০ সালে এরিন ব্রোকোভিচ ছবিতে অভিনয় করে তিনি অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব দুটো পুরস্কারই পান। ৬. মোনালিসা স্মাইল ছবিতে অভিনয় করার জন্য তিনি পেয়েছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। হলিউডে তখন পর্যন্ত কেউ এত বেশি সম্মানী পাননি। ৭. মেকআপ নেওয়ার পর অন্য সবার মতো বসে থাকেন না তিনি। সটান শুয়ে পড়েন। তিনি বিশ্বাস করেন. এতে তাঁর কাজ সবচেয়ে ভালো হয়। ৮. জনপ্রিয় ম্যাগাজিন পিপল ১২ বার জুলিয়া রবার্টসকে এই গ্রহের সেরা সুন্দরীর অভিধা দিয়েছে। ৯. জুলিয়া রবার্টস কিন্তু বাঁহাতি। হলিউডে কিন্তু বাঁহাতি শিল্পীর সংখ্যা কম নয়। যেমন টম ক্রুজ. কিয়ানু রিভসও বাঁহাতি। ১০. অনেক দিন পর্যন্ত তাঁর বদভ্যাস ছিল দাঁতে নখ কাটার। অনেকেরই থাকে। তবে তিনি দাঁত দিয়ে হাতের নখ কাটতেন না। কাটতেন পায়ের নখ। শরীর কতটা বাঁকা করে কাজটা করতে হতো. ভেবে দেখুন। | 1,573,050 |
2019-01-03 | ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার আমি নই: মৃণাল সেন | সাক্ষাৎকার | মন্তব্য | ১ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573044/%E0%A6%A1%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8 | entertainment | print | 1 | আনন্দ|আলাপন | এক নজরে মৃণাল সেন জন্ম ১৪ মে. ১৯২৩ জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় পড়ালেখা উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর থেকে কলকাতায় যান। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চর্চা কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। প্রথম চলচ্চিত্র রাতভোর শেষ চলচ্চিত্র আমার ভুবন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২৭ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৪ প্রামাণ্যচিত্রের সংখ্যা ৫ উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নীল আকাশের নিচে বাইশে শ্রাবণ পুনশ্চ কলকতা ট্রিলজি—ইন্টারভিউ কলকাতা ৭১ পদাতিক কোরাস মৃগয়া একদিন প্রতিদিন আকালের সন্ধানে খারিজ পরশুরাম খন্দর ইত্যাদি। বাংলা বাদে অন্য ভাষার চলচ্চিত্র মাটির মনীষ (ওড়িয়া) ভুবন সোম (হিন্দি) ওকা উরি কথা (তেলেগু) উৎসবে অংশগ্রহণ কান. বার্লিন. মস্কো. শিকাগো. মন্ট্রিল. ভেনিস. কায়রোসহ বিশ্বের নামকরা নানা চলচ্চিত্র উৎসব। বিচারক কান. বার্লিন. মস্কো. ভেনিস. টোকিও. তেহরান. শিকাগোসহ ভারত ও এর বাইরের নানা চলচ্চিত্র উৎসব। আত্মজীবনীমূলক বই অলওয়েজ বিং বর্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পদ্মভূষণ দাদাসাহেব ফালকে কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস (ফ্রান্স) ও অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপসহ (রাশিয়া) চলচ্চিত্র ও এর বাইরের আরও অনেক পুরস্কার। সূত্র: মৃণালসেন ডট অর্গ নাসির আলী মামুন: আপনি ১৯৪০-এ কলকাতা গেলেন. কেমন ছিল চল্লিশের কলকাতা? মৃণাল সেন: মারমুখী. ভয়ংকর! মানুষ বন্যার জলের মতো এদিক থেকে ওদিক...ছুটছে। আপাতত মনে হলো. কোনো গন্তব্য নেই তাদের। অনেক কুকুর খাবারের খোঁজে শহরময় শোরগোল করে চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা গলিতে ওদের চেঁচামেচি। ছোট শহরগুলো থেকে চাকরি ও আশ্রয়ের জন্য প্রতিদিন মানুষ এসে কলকাতায় ভিড় করছে। তারা কেউ ফিরে যেতে পারছে না। বৃদ্ধ–শিশু বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সবাই মিলে গাদাগাদি অবস্থা। শ্বাস নিতে পারছে না শহর কলকাতা। শিশুদের মুখগুলো কেমন ভীতিকর পাণ্ডুর নিস্তব্ধ। চোখের দিকে তাকালেই আঁতকে উঠতে হয়। আমার পকেটশূন্য. তাদের দিকে তাকানো যায় না। সবাই মানুষ. কোনো ধর্ম নেই। কে হিন্দু কে মুসলমান চেনার দরকার নেই। রাজনৈতিক আন্দোলনের বিপক্ষে এ যেন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়. যা আমার সম্পূর্ণ অচেনা। ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাড়ির সামনের আবর্জনার মধ্য থেকে মানুষ ও কুকুর খাবার খুঁজতে থাকে. এমন দৃশ্য দেখে বাড়িতে ফিরে যেতে চাইলাম। তা ছাড়া কলকাতায় কোনো থাকার জায়গার পাকা ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। আমি তখন প্রায় সতেরো বা কিছু বেশি বয়সের এক ক্লান্ত যুবক। পূর্ব বাংলার এক ছোট্ট শহর থেকে এসেছি। সবকিছুই আমার জন্য নতুন। ভয়ার্ত সব চিত্র দেখে বাড়ি ফেরার কথা ভাবতে হচ্ছিল। পূর্ব বাংলা থেকে প্রতিদিন মানুষজন আসছে। কলকাতার প্রধান রাস্তাগুলোর দুপাশ শরণার্থীদের ভিড়ে ঠাসা। রাস্তায় না–খাওয়া মানুষদের দেহ পড়ে আছে. এটা যেন স্বাভাবিক অবস্থা কলকাতা নগরের। কিন্তু আমার মতো ছোট শহর ফরিদপুর থেকে আসা একজন. এমন দৃশ্য দেখে অস্থির হয়ে গেলাম। কী করব. বুঝতে পারছিলাম না। নিজেকে স্ট্রেনজার মনে হতে লাগল।কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। একদিকে রাজনৈতিক আন্দোলন অন্যদিকে মানবিক বিপর্যয়—সব মিলিয়ে এমন একটা অবস্থা. যা এখনো গায়ে কাঁটা দেয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন গান্ধীজির নেতৃত্বে তখন এমন এক অবস্থানে. তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ. এসব থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি হচ্ছিল না। কাগজ খুললেই একদিকে মানুষের মৃতদেহ এবং একই সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন...কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সিনেমার খবর থাকত। সবই আমি পড়তাম অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে। মানে এসব কিছু-কিছু আছে...খণ্ড খণ্ড. কোথায় যে রেখেছি...লিখেছি. ছিল. এখন কোথায় গেছে বলতে পারব না। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে অপ্রত্যাশিত এবং ভয়ংকর অধ্যায়. তা যেন সিনেমার মতো মফস্বলের এক যুবকের বুকের ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত করে দিয়ে গেল। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যে দৃশ্য দেখতে হলো. তা ছিল আমার জন্য নতুন কোনো দুর্ঘটনা। কলকাতার পথে পথে ঘুরে যা প্রত্যক্ষ করলাম. সেটি অভাবিত এবং বর্বর। পীড়া দিতে লাগল. আমরা কি মানুষ! ব্রিটিশরাও চাচ্ছিল রাজনীতি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে। অসহায় মানুষদের দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি করেছে তারা. আমল দেয়নি। স্বাভাবিকভাবে ওদের সিদ্ধান্ত ছিল. ভারতীয়দের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখা। ধনী ও প্রভাবশালীরা ওদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে ব্যবসা করছিল। কলকাতায় নিয়মিত রেশনিং প্রায় বন্ধ। খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে রাখা হয়েছে। চিনি ও দুধ নাগালের বাইরে. বাচ্চারা খাবে কী. মরতে হচ্ছে! রাতে শহর কলকাতায় মহড়া. লাইট থাকে না. বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝেমধ্যে সাইরেন বেজে ওঠে। এসব বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে ভাবলাম. আর কত দিন...আমি চলে গেলাম ফরিদপুর। মামুন: ফরিদপুরে কী দেখলেন? মৃণাল: তেমন কিছু না। ছিমছাম. পদ্মাপারের সেই ছোট শহর। শহরের মধ্য দিয়ে গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড সরাসরি কলকাতায় চলে গিয়েছে। এখানে রাতে বাতি নেই। ঘোড়ার গাড়ি. সাইকেল। বাড়িতে এসে কদিন বেশ মাছ-ভাত খেলাম। সবাই আমাকে দেখতে আসে. বলে. আমার ওজন নাকি কমেছে। খাচ্ছি-দাচ্ছি আর গল্প করছি। সহপাঠীরা এসে সবাই জানতে চাইছে. স্বাধীনতা আন্দোলনের কী অবস্থা. কত দূর। বন্ধুরা কলকাতার গল্প শুনতে জাপটে ধরছে। জানলাম. আমাদের শহরের বেশ কিছু হিন্দু পরিবার. যাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল. তারা কলকাতায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি প্রায় সকালে গিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির হয়ে কলকাতার রাস্তায় যা দেখেছি তা সবিস্তারে বলতে লাগলাম. যাতে তারা দুর্দশায় মধ্যে গিয়ে বিপদে না পড়ে। আমার গল্প শুনে তাদের অভিভাবকেরা বিশ্বাস করেনি আমাকে. তারা চলে গেল বাস্তবতা জেনেও। দেখলাম. এক রাতের মধ্যে কয়েকটি হিন্দু পরিবার প্রতিবেশী মুসলমানদের কাছে না বলে চলে গেল ভারতে। বন্ধুরা চলে যাচ্ছে। আমি দেখলাম. একা হয়ে যাচ্ছি। আমার বাড়ির কাছে রাজেন্দ্র কলেজ. প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে একদিন দেখা করতে গেলাম। তিনিও আমাকে পরামর্শ দিলেন হায়ার স্টাডি করতে. কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করতে। আলীপুরের কাছে অরোরা টকিজ-এ গিয়ে সিনেমা দেখলাম কলকাতা থেকে কি যেন ওটা...অ্যা অ্য এ্যা। দেখি. মনে করতে পারছি না। মামুন: আপনি তো প্রথম পাঁচ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে অরোরা সিনেমা হলে গেলেন। সেখান থেকে আপনার মনে হলো... মৃণাল: সাউন্ড। নির্বাক ছবি দেখছিলাম মায়ের পাশে বসে। একটা সিনেমায় দেখা গেল. বৃষ্টির মধ্যে নায়িকা দৌড়ে চলে যাচ্ছে। তখন হঠাৎ সিনেমা হলের টিনের ছাদে বৃষ্টির আওয়াজ। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন প্রথম আমার মনে হচ্ছিল. সিনেমার জন্য সাউন্ড অপরিহার্য। সাউন্ড ছাড়া চলচ্চিত্র হতে পারে না। মামুন: আপনি চার্লি চ্যাপলিনের অনেক ছবি দেখেছেন। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আপনার বই লিখতে হলো কেন? মৃণাল: আপনি যেভাবে বলছেন সেটি মনে হচ্ছে আমাকে দিয়ে কেউ কাজটি করিয়েছে। চ্যাপলিন পৃথিবীর বহু নামীদামি ব্যক্তিদের দখল করে নিয়েছে। আমি যখন সিনেমায় ঢুকিনি তখন ‘চার্লি চ্যাপলিন’ লিখেছিলাম। সত্যজিৎ রায় প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছিলেন ১৯৫৩-তে। পরে আমি সিনেমায় হাত দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত চ্যাপলিন আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সত্যজিৎ রায়ও বহুবার তাঁর প্রশংসা করেছেন। চ্যাপলিন এমন একজন ব্যক্তি. তিনি শুধু অভিনেতা নন। পৃথিবীর মানুষদের জন্য তিনি এক মানবিক প্রতিনিধি। আজ পর্যন্ত অন্য কোনো অভিনয়শিল্পীর মধ্যে চার্লি চ্যাপলিনের মতো কাউকে দেখি না। তাঁর অভিনয় আসলে কৌতুক নয়. অন্য এক আয়োজন চ্যাপলিনের সারা জীবনের পুরো সময়টায়। তিনি আমার কাছে শান্তি ও মানবতার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আমাদের মহাত্মা গান্ধীও চ্যাপলিনকে খুব পছন্দ করতেন। ওর পক্ষে বেশি ব্যাখ্যা করার দরকার আছে মনে করি না। চ্যাপলিনের নাতনি কলকাতায় আমার বাসায় দেখা করতে এসেছিল। মামুন: কলকাতার যেসব স্পর্শকাতর এবং মানবিক বিপর্যয়ের কথা বললেন আপনার সিনেমায় সেগুলোর প্রতিফলন—দেখলাম না কেন? মৃণাল: আমি তো আগেই বলে দিয়েছি এসব হবে না। ফিল্ম নিয়ে কোনো কথা বলব না আমি...। মামুন: আপনি ফরিদপুর আর কলকাতার কথাই বলুন... মৃণাল: আপনারা আমার সিনেমাগুলো দেখেননি। মামুন: দেখেছি. আমি নাম ধরে বলতে পারি। মৃণাল: আচ্ছা শুনুন. আমি অন্যদের মতো কাহিনিনির্ভর ছবি তৈরি করিনি। আপনাদের বুঝতে দেরি হলে আমার তো কোনো দোষ নেই। কলকাতার ওপরে তো আমি কয়েকটি সিনেমা বানিয়েছি। বাস্তবতার বাইরে আমি যাইনি. অন্যরা কী করেছে সেটা দেখুন। আপনি যেটা জানতে চাইছেন. সেটা বলছি...ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার আমি নই। আমার সিনেমা জ্ঞান ও প্রমাণ দিয়ে বুঝতে হবে। | 1,573,044 |
2019-01-03 | কিম কী চান. তা ট্রাম্পকে শুনতে হবে | যুক্তরাষ্ট্র–উত্তর কোরিয়া | হ্যারি জে কাজিয়ানিস | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573043/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87 | opinion | print | 1 | আন্তর্জাতিক | গত মঙ্গলবার নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের ভাষণের পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় যে অচলাবস্থা চলছে. মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তা ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে এ আলোচনায় সাফল্যের জন্য পরমাণু অস্ত্র সমর্পণের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া কী চায়. সে ব্যাপারে ট্রাম্পকে মনোযোগ দিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন. তাঁর আশ্বাসবাণী ও হাসির বিনিময়ে কিম জং–উন তাঁর দেশকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করবেন—এমনটা হবে না। তিনি নিশ্চিতভাবেই এর জন্য উচ্চ মূল্য দাবি করবেন। পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য তাঁর দেশ কয়েক দশক সময় ব্যয় করেছে এবং প্রচুর সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কিম দেখেন তাঁর রক্ষাকবচ হিসেবে। তাঁর মতে. এই কর্মসূচির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানতে পারে না। কিম জং–উনের নববর্ষের বক্তব্য উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির ব্যাপারে তাঁর চিন্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা আমাদের কাছে খুলে দিয়েছে। সুখবর হচ্ছে যে কিম তাঁর বক্তব্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন. তিনি আরও একবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন. পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের টেকসই উপায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে অনিচ্ছুক। এমনকি উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে. তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে ইচ্ছুক নয়। কিম তাঁর বক্তব্যে বলেন. ‘আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মঙ্গলের জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। তবে বিশ্ববাসীর সামনে করা প্রতিশ্রুতি না রেখে ট্রাম্প যদি নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যান. তাহলে আমাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন উপায় খুঁজতে হবে।’ অন্য কথায়. যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছাড় না পেলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার হুমকি দিলেন কিম। কিম বলেন. ‘আমরা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করব না এবং পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার ঘটাব না। এটা আমরা আগেও বলেছি এবং এখন আবারও বলছি। যদি যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতি পালন করে. তাহলে তা আমাদের দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। কিন্তু যদি তারা আগের মতোই আচরণ করতে থাকে. তাহলে তা কারও জন্য ভালো হবে না। কিন্তু আমি আশা করছি. তারা সেটা বন্ধ করবে।’ এর অর্থ হচ্ছে. কিম এই বার্তা দিচ্ছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়. তাহলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে তারা কোনো পদক্ষেপ নেবে না। যদি কিম তাঁর বক্তব্যে সত্যনিষ্ঠ হন. তাহলে বলা যায় যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি করতে যাচ্ছে. তবে তা হবে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ছাড়ের বিনিময়ে। তার মধ্যে হয়তো থাকতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও। কিমের বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি একতরফাভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করবেন না। কেউ এতে অবশ্য বিস্মিত হয়নি এবং কিমের বক্তব্যে আমাদেরও আহত হওয়া উচিত হবে না। কেননা. সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প ও কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে আরও বলা হয় যে কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়া কাজ করবে। এসব কথা খুবই সহজবোধ্য. কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এবং পত্রপত্রিকায় পাঠানো বিবৃতিতে চুক্তির বক্তব্যকে বদলে দিয়ে বলা শুরু করেন যে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্র সমর্পণ করবে। আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা চাইছেন যে উত্তর কোরিয়া কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই তার সব পরমাণু অস্ত্র সমর্পণ করবে। এটা একটা শুভ ইচ্ছা বটে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার মতো পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশ তা করবে. এমনটা আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। উত্তর কোরিয়ার কাছে দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাইড্রোজেন বোমা আছে. যা অন্য কোনো পরমাণু ক্ষমতাধর দেশের কাছে নেই। তবে কিমের ‘নতুন উপায়’–এর অর্থ এই নয় যে তারা ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষায় ফিরে যাবে. যা উত্তর কোরিয়ার ওপর আঘাত হানতে যুক্তরাষ্ট্রকে উসকে দেবে। আমরা চাইলেই ২০১৯ সালকে কোরীয় উপদ্বীপকে ঘিরে আরেকটি উত্তেজনার বছরে পরিণত করাটা এড়াতে পারি। আমি বলতে চাই. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার এটাই সময়। কিন্তু সে জন্য তাঁকে বাস্তবানুগ হতে হবে। উত্তর কোরিয়া কী চায়. তা শুনতে হবে। ট্রাম্পের এটা আশা করা উচিত হবে না যে বড় ধরনের কোনো বিনিময় ছাড়া উত্তর কোরিয়া নিজেকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করবে। ফক্স নিউজথেকে নেওয়া. ইংরেজি থেকে অনূদিত হ্যারি জে কাজিয়ানিস. যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের ডিফেন্স স্টাডি বিভাগের পরিচালক | 1,573,043 |
2019-01-03 | দারুণ একটা বছর গেল জয়ার | তারার কথা | আনন্দ প্রতিবেদক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573038/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | entertainment | print | 1 | চলচ্চিত্র|আনন্দ | ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল সাইফুল ইসলাম পরিচালিত পুত্র ছবিটি। ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত বিসর্জন । দুই ছবির পার্থক্য হলো. একটি বাংলাদেশের ছবি আরেকটি কলকাতা থেকে আসছে আমদানি–রপ্তানি নীতিমালায় ভর করে। তবে দুই ছবির একটা মিল আপনার মন গর্বে ভরিয়ে দেবে। সেটি হলো দুই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমাদের দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ২০১৮ কিংবা ২০১৯. দুটো বছর শুরুই হলো জয়া আহসানকে দিয়ে। মাঝখানে চলে গেছে ১২ মাস। এ ১২ মাসে বসে ছিলেন না এই অভিনেত্রী। বরং বিগত বছরগুলোর চেয়ে ২০১৮ সালেই নতুন করে জ্বলে উঠেছেন যেন। এটাকে জ্বলে ওঠা না বলে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হওয়া বলাই ভালো।২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ও প্রযোজিত দেবী চলচ্চিত্রটি। সরকারি অনুদানে নির্মিত এ ছবিটি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। পরিচালক অনম বিশ্বাসের প্রথম পরিচালনা। জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’র প্রথম চলচ্চিত্র এটি।তবে এত কিছুর চেয়ে প্রযোজক জয়া গত বছর ছিলেন দাপুটে। একটা ছবিকে কী করে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে. কতটা প্রচারণা করলে দেশে–বিদেশে দর্শকের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায়—এটাই দেখিয়েছেন তিনি।প্রযোজক জয়াকে প্রসঙ্গ ধরিয়ে দিতেই গত মঙ্গলবার বললেন. ‘আমি তেমন কিছুই করিনি। যতটুকু করেছি এটা সততার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছি। আমি তো আসলে একটা দায়িত্ব নিয়েছিলাম। দেবীর দায়িত্ব। সেই দায়িত্বটা পালন করেছি মাত্র। একজন প্রযোজক হিসেবে এটা তো আমাকে করতেই হবে।’জয়া আহসান এমনই। বরাবরই কাজকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেন। যখন কথা হচ্ছিল তখন তিনি ভারতে। আগামীকাল কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর অভিনীত বিজয়া চলচ্চিত্রটি। কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছবিরই প্রথম কিস্তি ছিল বিসর্জন। বিজয়া নিয়ে কথা তো হলোই। বললেন দেবী নিয়ে তাঁর ভ্রমণের একটা অংশও।‘আমার ছবিটা সাধারণ দর্শকেরা যেভাবে পছন্দ করেছেন। তেমনি সমালোচকেরা করেছেন। এ দুটো মহলের পছন্দের তালিকায় ওঠা সহজ ছিল না। এ ক্ষেত্রে আমি নিজেকে সফল বলতে পারি।’এতটুকু বলে জানিয়ে রাখলেন. প্রবাসেও ছবিটির জয়জয়কার। বললেন. ‘নানা দেশে ছবিটির প্রদর্শনী শেষে যে পরিমাণ দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি. সেটা ভোলার নয়। একই সঙ্গে ব্যবসাও করেছে। তবে এটা আমার একার অর্জন নয়। ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার। তাদের নিয়েই দারুণ একটা বছর গেল আমার।’কথা শেষ করার আগে আগে বললেন. ‘বিসর্জন ছবিটি সবাইকে হলে গিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। ছবিটি হয়তো কলকাতার. কিন্তু এটার প্রেক্ষাপট পুরোটাই বাংলাদেশের। গল্প. চরিত্র সবই।’নতুন বছরটাও জয়ার জন্য ভালো যাবে. এমন প্রত্যাশা শুধু জয়ার ভক্তদের নয়. স্বয়ং জয়ারও। বছরের শুরুতেই মুক্তি পেতে যাওয়া বিজয়া নিয়ে প্রচারণায় আছেন। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবেন তাঁর প্রযোজনায় দ্বিতীয় ছবি ফুড়ুৎ–এর কাজ।তবে বছর শেষে জয়ার জন্য সুখবর আরও একটা এসেছে। ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার বর্ষসেরা বাঙালি নারী অভিনেত্রীর তালিকায় আছে জয়ার নাম। জানা গেছে. কলকাতায় মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমার অভিনেত্রীদের মধ্যে পত্রিকাটির বিবেচনায় বছরের (২০১৮) সেরা হয়েছেন আটজন অভিনেত্রী। সে তালিকার শুরুর দিকেই রয়েছে ঢাকার অভিনেত্রী জয়ার নাম। সৃজিত মুখার্জির এক যে ছিল রাজা ছবিতে ‘মৃণ্ময়ী’ চরিত্রে অভিনয়ের সূত্রে এ তালিকাভুক্তি। জয়া অবশ্য সব অর্জন ঢেলে দিলেন তাঁর ভক্তদের দুয়ারে। বাংলাদেশের মানুষদের কাছে। | 1,573,038 |
2019-01-03 | ২০১৮ ভালো ছিল. ২০১৯ বেছে কাজ করব: মনোজ | null | শরীফ নাসরুল্লাহ | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573037/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%9C | entertainment | print | 1 | আনন্দ|টেলিভিশন | ফুল ফোটানোর খেলা ও কথা হবে তো? নাটক দিয়ে পরিচিত মুখ মনোজ প্রামাণিক। দিব্যি অভিনয় করে যাচ্ছেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন তো আছেই। গত বছরের কাজের খতিয়ান হিসাব করে যে কথাটি মনোজ প্রামাণিকের মুখ থেকে বের হলো. সেটি হলো—বেশ ভালো কেটেছে বছরটি। কেন?কারণ খুঁজতে চোখ ফেরানো যাক তাঁর কাজের দিকে। এই বছরেই বেশ কিছু ভালো কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি। একক নাটক তো করছেনই হরদম। সঙ্গে ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী. অমিতাভ রেজাদের মতো নির্মাতাদের পরিচালনায় অভিনয়। মিষ্টি প্রেমের গল্প থেকে একেবারে সিরিয়াস চরিত্র—সবকিছুতেই মনোজ ছিলেন স্বাভাবিক। মনোজের বছরটিকে তাই ভালো না বলে উপায় নেই। মনোজের ভাষ্য. ‘২০১৮ বছরটি শুরু করেছিলাম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা শনিবার বিকেল–এর শুটিং দিয়ে। এরপর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’ প্রকল্পের নাটক। এর মধ্যে ছিল শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত শহরের নতুন গান নাটকটি। ওই সময় মঞ্চেও একটি কাজ করেছিলাম নিখোঁজ সংবাদ নামে। ওটাও আমার জন্য একটা মাইলফলক ছিল। গত বছর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এক পর্বের নাটক করি। এ ছাড়া বিয়ের দাওয়াত রইল টেলিছবিটিও উল্লেখ করার মতো। এটি পরিচালনা করেছিলেন রেদওয়ান রনি। বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপন এ বছর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে আমার ক্যারিয়ারে। আরেকটি সিনেমাও করেছি এ বছর—ইতি তোমারই ঢাকা। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে অমনিবাস চলচ্চিত্র এটি।’মনোজ জানান. আরও একটি সিনেমার কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এখনই সে বিষয়ে বলতে মানা আছে। সময় এলেই বলবেন। তবে এ বছরটি কিন্তু টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও বেশ কাজ করেছেন তিনি। বছরটি অনলাইনে কেমন গেছে মনোজের? উত্তর ছিল. ‘গত বছরে অনলাইনে বেশ কিছু কাজ করেছি। আইফ্লিক্সের পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। বায়োস্কোপ লাইভের একটা ওয়েব ফিল্ম করেছি। ইউটিউবের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে করেছি। এখানে যেটা হয় যে ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা যায়। অনলাইনের কাজগুলো ভালো ছিল। এই প্ল্যাটফর্ম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। মানুষের কাছে যাচ্ছে। এটাকে আমার কাছে মনে হয় সম্ভাবনাময় একটি দিক। আমি এখানে আরও কাজ করতে চাই।’গত বছরের অভিজ্ঞতায় নতুন বছরে কী উন্নতি করতে চান তিনি? মনোজ বলেন. ‘আসলে খুব তাড়াতাড়ি করে নাটকে কাজ করতে হয়। প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় লাগে। আরও সময় নিয়ে যদি কাজ করা যেত তাহলে আরও ভালো করতে পারতাম। তা ছাড়া তাড়াহুড়োর কারণে স্ক্রিপ্ট অনেক দুর্বল হয়। এ ক্ষেত্রে যদি যত্ন নেওয়া হয় তাহলে আরও ভালো কাজ হবে।’ সবিকছু মিলে এই ছিল মনোজের গত বছরের সালতামামি। এককথায় বছরটিকে মনোজ বললেন. ‘ভালো ছিল।’ টেলিভিশন. অনলাইন. বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র—সব জায়গায় বছরজুড়ে কাজ করছেন মনোজ। আগামী বছর নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা কী? মনোজ বলেন. ‘নির্দিষ্ট করে ওই রকম পরিকল্পনা করতে পারছি না। আমি যেটা করতে চাই যে আরেকটু বেছে বেছে কাজ করব। বেশি বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই।’ | 1,573,037 |
2019-01-03 | জ্বলে উঠবে বাংলা গানের মঙ্গলদীপ | null | রাসেল মাহ্মুদ | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573036/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA | entertainment | print | 1 | বাংলা গান|আনন্দ | লুভা নাহিদ চৌধুরী মহাপরিচালক. বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কলকাতায় বাংলাদেশের শিল্পীদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সেখানকার শিল্পীরাও নিয়মিত বাংলাদেশে গান করতে আসেন। এই খণ্ড খণ্ড পরিবেশনার বাইরে একই মঞ্চে আমরা তাঁদের উপস্থাপন করতে চেয়েছি. এর পেছনে একটি উদ্দেশ্য আছে। বাংলা গানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পথচলা একেবারেই ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গের ছিল একটি প্রতিষ্ঠিত সংগীত ও চলচ্চিত্রাঙ্গন। কিন্তু ৫০–এর দশক থেকে এখন পর্যন্ত নানা ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের পথ চলতে হয়েছে। নানা চড়াই–উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে নিজেদের খুঁজে পেতে হয়েছে। আমাদের সংগীতে সেসবের প্রভাব রয়েছে। প্রেম–ভালোবাসার পাশাপাশি আমাদের গানের একটি বড় জায়গাজুড়ে আছে দেশচেতনা। নানা যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি। দুই বাংলার এ দুই গল্পের সম্মেলনে বাংলা গানের একটি তৃতীয় গল্প তৈরি হতে পারে এ উৎসবের মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গকে আমরা আমাদের সংগীতের পথচলার ইতিহাসটি জানাতে চাই। এতে সামগ্রিকভাবে বাংলা গানকে উপলব্ধি করতে সুবিধা হবে উভয় পক্ষের। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এ যাত্রায় যুক্ত হয়েছে বন্ধন ব্যাংক. দ্য বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও নাথিং বেয়ন্ড সিনেমা। একালের ‘তুমি যাকে ভালোবাসো স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো’ থেকে সেকালের ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’। নচিকেতার ‘নীলাঞ্জনা’ বা বাপ্পা মজুমদারের ‘পরী’। এক জায়গায় বসে যদি গানগুলো শোনা যায়. কেমন হয়? পাশাপাশি দুই বাংলার দুই প্রজন্মের শিল্পীরা যদি শোনান তাঁদের গান বাঁধার পেছনের গল্পটি. শ্রোতার জন্য সেটি হবে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। বাংলা গানের অনুরাগীরা সেই সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। কলকাতার নজরুল মঞ্চে কাল শুক্রবার বিকেলে রবীন্দ্রসংগীত গাইবেন বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ভারতের লোপামুদ্রা মিত্র। পরদিন নজরুলসংগীত গাইবেন খায়রুল আনাম শাকিল ও ইন্দ্রানী সেন। কাল সেখানে বসছে বাংলা গানের আসর ‘বাংলা উৎসব’। এই আসরের মধ্য দিয়ে জ্বলে উঠবে বাংলা গানের আরেক মঙ্গলদীপ। তিন দিনের এই উৎসবে প্রায় সব ধরনের বাংলা গান শোনাবেন দুই বাংলার স্বনামখ্যাত ও জনপ্রিয় শিল্পীরা। সেই ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগে পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যায়। সেই থেকে তারা বাংলায় হেসেছে. কেঁদেছে এবং গেয়েছে। ভাষা এক হলেও দুই বাংলার গানে ছিল ভিন্ন ব্যথা. আকুতি. ভিন্ন সুর। সেসবের কিছুটা প্রতিবেশীরা জানেন. বেশির ভাগের খোঁজ তাঁদের রাখা হয়নি। স্যাটেলাইট চ্যানেল ও ইউটিউবের কল্যাণে গান বিনিময় তো হলো অনেক। এবারে গানের ভেতরকার আকুতিগুলো শুনবেন তাঁরা। বিশেষ করে নানা অভিঘাতের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া বাংলাদেশের গানগুলোর ঘটনা তো একেবারেই আলাদা। দুই বাংলার অংশগ্রহণে যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ভারতের বন্ধন ব্যাংক. দ্য বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং নাথিং বেয়ন্ড সিনেমা। দুই বাংলার শিল্পীরা নিয়মিত দুই দেশের মঞ্চ ও টেলিভিশনে গান করেন। কিন্তু এ ধরনের উৎসব মঞ্চের আয়োজন এবারই প্রথম। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মনে করেন. বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করার জন্য এ এক দারুণ উৎসব। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দুই বাংলার মানুষকেই সমৃদ্ধ ও আনন্দিত করবে। অন্যদিকে নজরুলসংগীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের মতে. দুই বাংলার সংগীত বিনিময়ে এই উৎসব একটি ব্যতিক্রম মাত্রা যুক্ত করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়. অতুলপ্রসাদ সেন. রজনীকান্ত সেন ও কাজী নজরুল ইসলাম—এই পঞ্চকবির গান থাকবে বাংলা উৎসবে। থাকবে আধুনিক ও পুরোনো দিনের বাংলা গান. রাগপ্রধান গান. চলচ্চিত্রের গান. লোকগান এবং ব্যান্ডের গান। রূপঙ্কর বাগচীর ‘এ তুমি কেমন তুমি’ কিংবা সামিনা চৌধুরীর ‘কবিতা পড়ার প্রহর’ গানগুলো তাঁদের কণ্ঠে একের পর এক বেজে উঠলে সেই অভিজ্ঞতা দুই বাংলার শ্রোতাদের জন্যই হবে অনন্য। এই উৎসবে গাইবে দুই বাংলার দুটি ব্যান্ড। ঢাকার চিরকুট ও কলকাতার চন্দ্রবিন্দু। চিরকুটের শিল্পী শারমিন সুলতানা সুমি বলেন. ‘চমৎকার গোছানো একটি উৎসব হতে যাচ্ছে এটি। বাংলা গান নিয়ে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াই। এবার এতজন শিল্পীর সঙ্গে এক মঞ্চে গাইব. এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো লাগার একটি ব্যাপার হবে। আমাদের বিশ্বাস. ওপার বাংলার শ্রোতারাও আমাদের গান পছন্দ করেন।’ | 1,573,036 |
2019-01-03 | আফ্রিকা কেন গান্ধীর বিরুদ্ধে | জাতীয়তা | আলতাফ পারভেজ | ৩ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573028/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87 | opinion | print | 1 | আলতাফ পারভেজ|আন্তর্জাতিক | গত ১২ ডিসেম্বর ঘানায় গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা ‘সংবাদ’ হিসেবে পুরোনো হয়ে গেছে। তবে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। গড়ার সময় থেকে এই ভাস্কর্য নিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। ঘানার ঘটনার দুই মাস আগে মালাউইয়েও গান্ধীর ভাস্কর্য নির্মাণের একটি প্রকল্প বিক্ষোভের মুখে স্থগিত করেন আদালত। গান্ধীর অনেক জীবনীকারই বলেন. ভারত আফ্রিকাকে একজন মোহনদাস দিয়েছিল আর আফ্রিকা ফিরিয়ে দিয়েছে একজন ‘মহাত্মা’কে। কিন্তু এ মুহূর্তে পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০১৬ থেকে আফ্রিকাজুড়ে গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। চীনকে মোকাবিলায় ভারত যখন গান্ধীর ইমেজ সামনে রেখে আফ্রিকায় ব্যাপক কূটনৈতিক আয়োজনে লিপ্ত. তার মধ্যেই শুরু ভাস্কর্যবিরোধী এই সামাজিক আন্দোলন। এই বছরই ভারতে উদ্যাপিত হচ্ছে গান্ধীর জন্মের দেড় শ বছর পূর্তি। ঠিক এই সময় গান্ধীবিরোধী মনোভাবের ঢেউ ভারতের জন্য অস্বস্তির। একটি বই পরিস্থিতি বদলে দিলগান্ধী আফ্রিকায় ২১ বছর কাটিয়েছিলেন। ২৩ বছর বয়সে তিনি সেখানে যান। ১৮৯৩ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত তাঁর আফ্রিকার দিনগুলো নিয়ে সম্প্রতি সাড়াজাগানো এক গবেষণা করেছেন অশিন দেশাই ও গোলাম ভাহেদ। তাঁরা উভয়েই আফ্রিকার সমাজ ও ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। দেশাই জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিদ্যা পড়ান এবং ভাহেদ খাওজুলু নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক। ২০১৬ সালে প্রকাশিত ‘সাউথ আফ্রিকান গান্ধী: স্ট্রেচার বেয়ারার অব এম্পায়ার’ নামের তাঁদের গবেষণা নিয়ে দুই বছর ধরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। আফ্রিকায় ভারতীয়দের উপস্থিতির পুরোনো সব বয়ানকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তাঁরা। গান্ধী সাদাদের বিরুদ্ধে কালোদের মুক্তির সংগ্রাম থেকে স্থানীয় ভারতীয়দের অধিকারের লড়াইকে পৃথকভাবে দেখতেন। এতে কীভাবে সাদারা লাভবান হচ্ছিল. সেটাই বইটির মুখ্য বিষয়। আফ্রিকায় ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার নিয়ে লড়াই করলেও গান্ধী মনে করতেন. ক্ষমতায় সাদাদেরই থাকা সংগত। দেশাই ও ভাহেদ দেখান. আফ্রিকায় তাঁর তৎপরতার সঙ্গে পরবর্তীকালে লেখা গান্ধীর আত্মজীবনীর মিল নেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধী কালোদের নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন. যা বর্ণবাদী। ১৮৯৩ সালে নাটাল পার্লামেন্টকে লেখা এক চিঠিতে দেখা যায়. গান্ধী মনে করছেন. কালোদের চেয়ে আফ্রিকার ভারতীয়রা ‘উন্নত’। কালোদের তিনি ‘কাফির’ বলেছিলেন. এমনও প্রমাণ মেলে ১৯০৪-এর এক স্মারকলিপিতে। ১৯০৫-এ ডারবানে যখন প্লেগ লাগে. গান্ধী তার জন্য দায়ী করেন ‘নোংরা’ আফ্রিকানদের। ‘নেটিভ’ কালোদের থেকে ভারতীয়দের পৃথকভাবে বাস করার সুপারিশ ছিল তাঁর। এসব ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে তরুণেরা এখন বলছে. গান্ধীকে আদর্শ হিসেবে আফ্রিকায় মানায় না আর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাস্কর্য আফ্রিকার নায়কদেরই গড়া উচিত. কোনো বর্ণবাদীর নয়। ক্রোধের ভাবাবেগে এ–ও বলা হচ্ছে. আফ্রিকায় গান্ধীর ভাস্কর্য থাকলে ভারতে ১৯১৯-এ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল ডায়ারের মূর্তি স্থাপনেও আপত্তি ওঠা উচিত হবে না! তবে আফ্রিকায় সবাই গান্ধীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে. এমন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর ভাস্কর্য প্রথম গড়েছিলেন খোদ নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৩ সালে। এখনো আফ্রিকাজুড়ে গান্ধীর অহিংসার দর্শনের প্রচুর অনুরাগী। তাঁদের মতে. জীবনের শুরুতে করা কালোদের বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য দিয়ে গান্ধীর পুরো জীবন ও অবদানকে বিচার করা সংকীর্ণতা হবে। অন্তত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার মতো নজির স্থাপন অপ্রয়োজনীয়। গান্ধীর এই মন্তব্যগুলো হয়তো কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতাড়িত ছিল. যা ক্ষমার যোগ্য এবং বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে বিচারযোগ্য নয়। এসব মন্তব্য এড়িয়েও গান্ধীর মূল্য আছে। গান্ধী নিজেও সাদাদের বর্ণবাদী সামাজিক নীতির দ্বারা বহু সময় নির্যাতিত হয়েছেন। আফ্রিকায় চীন-ভারত ‘যুদ্ধ’ ও গান্ধী২০১৬ সালের ১৬ জুন ঘানায় গান্ধীর ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করেছিলেন তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ভারতীয় অনুদানে এটি নির্মিত। এ সময় ঘানা থেকে বহুদূরের মালাউইয়েও গান্ধীর ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছিল ভারতের সহায়তায়। বহুকাল ধরে আফ্রিকার দক্ষিণে গান্ধীকে সামনে রেখে ভারত প্রভাব বাড়াতে তত্পর। আফ্রিকার অনেক দেশেই দুই-তিন প্রজন্ম ধরে ব্যবসায় ভারতীয়রা প্রভাবশালী। এই প্রভাবকে ভূরাজনৈতিকভাবে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে গান্ধীর উপস্থিতিকে ভারত ব্র্যান্ডিং করতে চাইছে মহাদেশজুড়ে। ওই অঞ্চলের অনেক শহরে গান্ধীর ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ২০১৮-এর জুলাইয়ে জানিয়েছে. আফ্রিকায় তাদের দূতাবাসের সংখ্যা ২০২১ সালের মধ্যে ১৮টি বাড়িয়ে ৪৭-এ উন্নীত করা হবে। চীন ইতিমধ্যে যা ৫০ করেছে। আফ্রিকার ৫৪ দেশে চীনের বাণিজ্যের আকার ভারতের চেয়ে তিন গুণ বড়। তবে নয়াদিল্লি এই অবস্থা বদলাতে তত্পর। ২০১৬ সালে প্রণব মুখার্জির ঘানা সফর ছিল সেই লক্ষ্যে নতুন অভিযানের শুরু। কিন্তু আক্রায় গান্ধীর ভাস্কর্য উদ্বোধনের কিছুদিন পরই তার খানিকটা ভেঙে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় শিক্ষকেরাও এর অপসারণের আন্দোলনে যুক্ত হন। অনলাইনে শুরু হয় হ্যাশট্যাগযুক্ত ‘গান্ধী মাস্ট ফল’ প্রচারণা। শেষ পর্যন্ত ভাস্কর্যটি ভাঙতেই হয়। মালাউই ও ঘানার সরকার এবং আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য লুকাচ্ছে। মালাউইয়ের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন. গান্ধী কোনো দিন সেখানে যাননি. কেবল ভারতের প্রভাব দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে তাঁদের রাজধানীতে ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছিল। ভাস্কর্য প্রকল্পটি ছিল বিশাল আকারের এক বাণিজ্যিক চুক্তির প্রচ্ছদ মাত্র. জনদাবি সত্ত্বেও যে চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি সরকার। একইভাবে আক্রার কালো তরুণেরাও শুধু ব্যক্তি গান্ধীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল না. নিজ দেশ থেকে ইউরো-এশিয়ান ভাবাদর্শের অবসান চাইছিল। এই তরুণেরা আফ্রিকায় ইউরোপীয় ও ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে বলছে। এই আধিপত্যের রেশ ইতিহাসের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে সমাজে ব্যাপকভাবে আছে এখনো। ব্রিটিশ ও ফরাসি অধীনতার সময় আফ্রিকায় শিল্প স্থাপনের নামে বিপুল জমি ভারতীয়দের দখলে যায়। তার অনেকাংশই এখনো বহাল তবিয়তে ভারতীয়দের হাতে আছে। এই বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়েই মূর্তি ভাঙার ক্ষোভটি বোঝা দরকার। আফ্রিকায় উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামে নির্যাতিতরা তাদের পাশে দেখেনি ভারতীয়দের। আফ্রিকার আজকের তরুণেরা তাদের নতুন জানাশোনা নিয়েই গান্ধীকে সহ্য করতে পারছে না। তারা বলছে. রাজনৈতিক চিন্তা ও আদর্শে যদি সংশোধন ও প্রত্যাখ্যান থাকতে পারে. তাহলে সাহিত্য-গান-ভাস্কর্যের মতো প্রতীককে ঘিরেও তা থাকতে হবে। এ রকম যুক্তিতর্কের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর একটি ভাস্কর্য সাদা রঙে মুড়ে দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। স্পষ্টত বিনিয়োগ ও বর্ণবাদকে একসঙ্গে আর নিতে চাইছে না আফ্রিকা। কালোদের এই ক্ষোভ গত বছর অন্য গোলার্ধেও আঘাত হানে। কানাডায় জুলাইয়ে আফ্রিকান স্টাডিজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বিক্ষোভ করেছে কার্লেটন ক্যাম্পাস থেকে গান্ধীর ভাস্কর্য সরানোর জন্য। ঘানার ঘটনায় অনুপ্রাণিত অটোয়ার আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের এক নেতা বলেন. ইতিহাসের পুনঃপাঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হওয়া উচিত। ২০১৬-এর অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়াতেও গান্ধীর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে অনুরূপ গণবিক্ষোভ হয়। প্রতিবাদের নৈতিক শক্তি নেই ভারতেরভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি গান্ধীপন্থী দল না হলেও ঘানা. মালাউই ও অটোয়ার ঘটনা দেশটির অনেকের জন্যই বিব্রতকর। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত না হলেও ভারতে মোহনদাস করমচাদ গান্ধী জাতির পিতৃতুল্য। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর নৈতিক শক্তিতে টান পড়েছে। কিছুদিন আগে ত্রিপুরার বিলোনিয়া কলেজ স্কয়ার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লেনিনের ভাস্কর্য নামানো হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে দ্রাবিড় জাতীয়তাবাদী রামস্বামী পেরিয়ার এবং উত্তর ভারতে বি আর আম্বেদকরের ভাস্কর্যও দেশটিতে বহুবার আক্রান্ত হয়েছে গত বছর। গান্ধীর বিরুদ্ধে আফ্রিকায় বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ থাকলেও লেনিন-আম্বেদকর-পেরিয়ারের বিরুদ্ধে হাতুড়ি হাতে নেওয়া হিন্দুত্ববাদীরা তেমন কোনো অভিযোগ তোলেনি। এই অন্ধ জাতীয়তাবাদী জিঘাংসা আফ্রিকায় পাথুরে ভাস্কর্য ভাঙার বহু আগে খোদ গান্ধীকেই একদা হত্যা করেছিল ভারতে। আফ্রিকায় গান্ধীর দ্বিতীয় মৃত্যুযাত্রায় ভারত তাই শোকও প্রকাশ করতে পারছে না। আলতাফ পারভেজ: ইতিহাস গবেষক | 1,573,028 |
2019-01-03 | দর্শক হওয়া কঠিন! | null | তানজিন তিশা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573026/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A8 | entertainment | print | 1 | আনন্দ|আলাপন | ● সাধারণ দর্শক হিসেবে অভিনেত্রী তানজিন তিশার অভিনয় কেমন লাগে?সুযোগ পেলেই নিজের কাজ দেখি। ইউটিউবে খুঁজে খুঁজে দেখি কোন কাজটা কীভাবে নিলেন দর্শক. আমি নিজে কতটা পরিপক্ব হলাম। কিন্তু দর্শক হিসেবে যদি নিজের অভিনয়ের মূল্যায়ন করতে বলেন. তাহলে সেটা আমি পারব না। এ ব্যাপারে আমার পক্ষে দর্শক হওয়া কঠিন!● যদি ‘ইউটার্ন’ টেলিছবিতে আপনার অভিনয়কে মূল্যায়ন করতে বলি. তাহলে ১০-এ নিজেকে কত নম্বর দেবেন?আমি তো এখন অর্ধেক নম্বরও দেব না। কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম টেলিছবি। খুবই অপরিপক্ব অভিনয় করেছি। আমি জানি না দর্শক কেন কীভাবে আমাকে গ্রহণ করলেন। আমি এটার জন্য সেরা নবীন শিল্পী হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েও অবাক হয়েছি। আমি এই টেলিছবিতে আমাকে অভিনয় করানোর জন্য আমার পরিচালক রেদওয়ান রনিকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তাঁরই কৃতিত্বে ইউটার্ন এতটা প্রশংসিত হয়েছে। তবে আমি নিজের অভিনয়কে ১০-এ ১ নম্বরের বেশি দেব না।● নাটকে কোন নায়কের বিপরীতে অভিনয় করতে ভালো লাগে?আফরান নিশো।● অভিনয়. মডেলিং. উপস্থাপনা—এর মধ্যে কোনটি বেশি ভালোবাসেন?আমি উপস্থাপনা খুব কম করেছি। দুই বা তিনটি অনুষ্ঠান হবে। তা-ও শখের বশে। আর মডেলিং করেছি টানা তিন–চার বছর। সেটাও আমার খুব প্রিয়। কিন্তু আপাতত অভিনয়টাকে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। তাই এ তিনটির মধ্যে অভিনয়কে এগিয়ে রাখব আমি।● বিয়ের পিঁড়িতে কবে বসছেন?আমি নিজেই এখন প্রস্তুত নই। আমার মনে হয় বিয়ের জন্য আমার বয়স এখনো অনেক কম। এখনো অনেক কাজ বাকি. লক্ষ্য অর্জন বাকি। তাই বিয়ে নিয়ে আপাতত ভাবছি না।● আপনি এত বেশি ইনোসেন্ট কেন?আমিও মাঝেমধ্যে এটা ভাবি. আমি এত ‘ইনোসেন্ট’ কেন? আমার ব্যক্তিত্বে দুটি বৈশিষ্ট্য প্রবল। আমার সরলতা আর বদমেজাজ। মানে আমি খুব শর্ট টেম্পার্ডও। সবাই হয়তো আমার ইনোসেন্সটা দেখে. শর্ট টেম্পারটা দেখে না।প্রশ্নগুলো করেছেন: শিমুল আহম্মেদ. সাতক্ষীরা | 1,573,026 |
2019-01-03 | শেয়ারবাজার নিয়ে নতুন স্বপ্ন | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/economy/article/1573024/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A8 | economy | print | 1 | শেয়ারবাজার | • গত বছর শেষে ডিএসইর প্রায় সব সূচক ছিল নেতিবাচক• সেখানে ভোটের পর নতুন বছরের শুরুটা আশা জাগাচ্ছে• বুধবার ডিএসইর লেনদেন পৌঁছেছে ৬৯৬ কোটি টাকায়• এটি আগের দিনের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা বেশি • গত বছর শেষে ডিএসইর প্রায় সব সূচক ছিল নেতিবাচক• সেখানে ভোটের পর নতুন বছরের শুরুটা আশা জাগাচ্ছে• বুধবার ডিএসইর লেনদেন পৌঁছেছে ৬৯৬ কোটি টাকায়• এটি আগের দিনের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা বেশি ২০১৮ সালটি শেয়ারবাজারের জন্য ছিল মন্দার বছর। সদ্য বিদায়ী বছরটিতে সূচক. লেনদেন. বিদেশি বিনিয়োগ. বাজার মূলধনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকের পতন ঘটেছে। তবে ভোটের পরে শুরু হওয়া নতুন বছরটি আশা জাগাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনে। গত দুই দিনে বাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল বুধবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন পৌঁছেছে ৬৯৬ কোটি টাকায়. যা আগের দিনের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা বেশি। গত দুই দিনে বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট। তাতেই মন্দার বছর কাটিয়ে শেয়ারবাজার আশা জাগাচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারের সব সূচক খারাপ থাকলেও ডিএসইর হাত ধরে বছরটিতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ দেশে এসেছে। ডিএসইর মালিকানার ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে গত বছর যুক্ত হয়েছে চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত জোট। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ও কর্মসূচি (স্কিম) অনুযায়ী চীনের জোটের কাছে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর এ শেয়ার বিক্রি করা হয়। যদিও এ শেয়ার বিক্রি নিয়েও তুমুল আলোচনা তৈরি হয়। কারণ. ডিএসই চীনের জোটের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে চাইলেও বিভিন্ন মহল থেকে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নেতৃত্বে গঠিত জোটের কাছে এ শেয়ার বিক্রির চাপ তৈরি করা হয়। শেষ পর্যন্ত ডিএসইর সদস্যদের অনড় অবস্থানের কারণে চীনের জোটের কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বছর শেয়ারবাজারের সাফল্য বলতে চীনের জোটের যুক্ত হওয়ার ঘটনা। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মোটেই সুখকর বছর ছিল না ২০১৮ সালটি। বছরটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৮৫৯ পয়েন্ট বা ১৪ শতাংশ কমে গেছে। এ সূচক বছরের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৩১৮ পয়েন্টের অবস্থানে উঠলেও বছরের শেষ ভাগে এসে তা সর্বনিম্ন ৫ হাজার ২০৪ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী. ২০১৮ সালে ২৪২ কার্যদিবসে ঢাকার বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। যেখানে ২০১৭ সালে লেনদেন হয়েছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। মোট লেনদেন কমে যাওয়ায় দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে সদ্যবিদায়ী বছরে। ২০১৮ সাল শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমে নেমে এসেছে ৫৫২ কোটি টাকায়। ২০১৭ সাল শেষে যেখানে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০১৮ সালে এসে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩২৩ কোটি টাকা। জানতে চাইলে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন. ‘২০১৮ সালে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রি ছিল আমাদের তথা শেয়ারবাজারের জন্য এক ঐতিহাসিক ঘটনা। বছরের লম্বা সময় ধরে আমরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তাই বছরটিতে নতুন আর কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৯ সালে এসে নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ যুক্ত হবে ডিএসইতে। যার সুফল পাবেন বাজারের সঙ্গে যুক্ত সবাই।’ মাজেদুর রহমান বলেন. ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য আলাদা এসএমই বোর্ড চালুর প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে আনা হয়েছে। আশা করছি এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যেই সেটি চালু করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ইটিএফ চালুর কাজও প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে চলতি বছর বন্ড লেনদেনের উদ্যোগ. শেয়ারবাজারের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য গঠিত সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ নামে নতুন কোম্পানি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে. গত বছরটিতে উল্লেখ করার মতো ভালো কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। ফলে বাজারের গভীরতা বাড়েনি। এ কারণে বছরজুড়েই বিভিন্ন বাজে কোম্পানির শেয়ার নিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারসাজির ঘটনা ঘটে। এসব কারসাজির মাধ্যমে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হলেও কারসাজির বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শক্ত কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। সূচক ও লেনদেনে মন্দাভাব থাকলেও গত বছর বাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১২টি সিকিউরিটিজ। তা সত্ত্বেও বাজার মূলধন আগের বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমে নেমে আসে ৩ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকায়। | 1,573,024 |
2019-01-03 | উৎসবে. বিরহে ২০১৮-এর বলিউড | null | null | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573025/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1 | entertainment | print | 1 | আনন্দ|বলিউড | টপচার্ট হলিউড ১. আকুয়াম্যান (জেসন মোমোয়া. অ্যাম্বার হার্ড. উইলেম ডেফো. নিকোল কিডম্যান) ২. ম্যারি পপিনস রিটার্নস (এমিলি ব্লান্ট. কলিন ফার্থ. মেরিল স্ট্রিপ) ৩. বাম্বলবি (হেইলি স্টেইনফেল্ড. জন সিনা) ৪. স্পাইডার–ম্যান ইনটু দ্য স্পাইডার-ভার্স (অ্যানিমেশন) ৫. দ্য মিউল (ব্র্যাডলি কুপার. মাইকেল পেনা. ডাইয়ানে উইস্ট) সূত্র: বক্সঅফিস মোজো সংগীত ১. থ্যাংক ইউ. নেক্সট (আরিয়ানা গ্রান্ডে) ২. উইদাউট মি (হ্যালসে) ৩. অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ (মারায়া ক্যারি) ৪. সিকো মোড (ট্রাভিস স্কট) ৫. সান ফ্লাওয়ার (পোস্ট ম্যালন ও সোয়ে লি) সূত্র: বিলবোর্ড (দ্য হট ১০০) বলিউড ১. সিম্বা (রণবীর সিং. সারা আলী খান. অজয় দেবগন) ২. জিরো (শাহরুখ খান. ক্যাটরিনা কাইফ. আনুশকা শর্মা) ৩. কেদারনাথ (সুশান্ত সিং রাজপুত. সারা আলী খান) ৪. থাগস অব হিন্দোস্থান (অমিতাভ বচ্চন. আমির খান. ক্যাটরিনা কাইফ. ফাতিমা সানা শাইখ) ৫. ২.০ (রজনীকান্ত. অক্ষয় কুমার. অ্যামি জ্যাকসন) সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা হ্যাশট্যাগ মি টু কয়েক মাস আগে বলিউডের বুকে আছড়ে পড়েছিল হ্যাশট্যাগ মি টু ঝড়। এই ঝড় রীতিমতো নগ্ন করে দেয় একের পর এক বলিউড ব্যক্তিত্বকে। হলিউড থেকে বলিউডে এই ঝড় আসে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর হাত ধরে। প্রায় ১০ বছর আগে হর্ন ওকে প্লিজ ছবির সেটে এই বলিউড সুন্দরী যৌন হেনস্থার শিকার হন। তনুশ্রী এই অভিযোগ এনেছিলেন বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। এরপর একের পর এক বলিউড অভিনেতা. পরিচালক. প্রযোজক ও লেখকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ওঠে। জালে বন্দী সমগ্র দুনিয়া ক্রমে নেটের জালে (ওয়েব) বন্দী হতে চলেছে। এখন মুঠোফোনে চলে এসেছে সমগ্র গ্ল্যামার দুনিয়া। নেটফ্লিক্স. অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সৌজন্যে ট্রেনে. বাসে. চলতে চলতে দেখতে পাওয়া যায় সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ। তাই ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে গাঁটের কড়ি খরচ করার দিন ক্রমে ফুরিয়ে আসছে। এখন বিনোদন জগৎ আপনার মুঠোফোনে বন্দী। এই নতুন ডিজিটাল দুনিয়ার জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়ছে। প্রেম-ভাঙন ২০১৮তে কিছু নতুন প্রেমের জন্ম হয়েছে. আবার কিছু প্রেমের ভাঙন হয়েছে। তবে এ বছর আলোচিত প্রেমগুলোর শীর্ষে আছে আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুরের প্রেম। ২০১৯–এ নাকি তাঁদের দুই হাত এক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের ডিভোর্স হয় ২০১৭ সালে। ডিভোর্সের পরপরই মালাইকা ও অর্জুন কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। ২০১৮–তে সেই গুঞ্জন সত্যি হয়ে সবার সামনে আসে। ২০১৯–এ এই জুটিও বিয়ে করতে পারেন। আরবাজের জীবনেও এসেছেন জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানি। ২০১৮ সালে দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যায় অর্জুন রামপাল ও মেহর জেসিয়ার। অর্জুনের জীবনে এসেছেন আফ্রিকান মডেল গ্যাব্রিয়েলা ডেমেট্রিএডস। ডিভোর্সের পর ফারহান আখতারের সঙ্গে শিবানি দান্ডেকরের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এদিকে হাঁটুর বয়সী এক মডেলের প্রেমে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তথা সাবেক বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন। প্রেমিক রহমান স্যলকে নাকি বিয়ে করতে চলেছেন সুস্মিতা। ঘর বাঁধলেন যাঁরা গত বছরের মে মাসে অভিনেত্রী সোনম কাপুর বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আনন্দ আহুজাকে। এর পরপরই চুপিসারে বিয়ে সেরে ফেলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া এবং অভিনেতা অঙ্গদ বেদী। দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং এক স্বপ্নের বিয়ে উপহার দেন বলিউডকে। ইতালির লেক কেমোর ভিলা ডেল বাল্বিনেলো প্যালেসে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করেন বলিউডের এই রোমান্টিক জুটি। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বলিউড. তথা হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাসের বিয়ে হয়। ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ঈশা বলিউড তারকা নন। তবে এই বিয়েতে প্রায় সমগ্র বলিউড শামিল হয়েছিল। এই মৌসুমে বিয়ে উৎসবের সমাপ্তি হয় কৌতুক অভিনেতা তথা সঞ্চালক কপিল শর্মার বিয়ে দিয়ে। তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা গিন্নিকে ঘটা করে বিয়ে করেন। নবীন এক ঝাঁক ২০১৮ সালে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় এক ঝাঁক নবাগত পা রাখলেন। সবার নজর ছিল শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী এবং সাইফ-অমৃতার কন্যা সারার দিকে। জাহ্নবী অভিনীত ধড়ক ছবিটি বেশ ভালোই সাড়া পায়। সারা আলী খানের অভিষেক নিয়েও বলিউডে রীতিমতো সরগরম ছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সারার দুটি ছবি মুক্তি পায়। সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাঁর প্রথম ছবি কেদারনাথ মুক্তি পায়। ক্যারিয়ারের শুরুতে সবার মনে জায়গা করে নেন এই তারকা–কন্যা। এরপর রোহিত শেঠির সিম্বা ছবিতে তাঁকে রণবীরের সিংয়ের বিপরীতে দেখা যায়। প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা বিনোদ মেহেরার পুত্র রোহন মেহেরা বাজার ছবির মাধ্যমে বিটাউনে পা রাখলেন। খ্যাতনামা পরিচালক অনিল শর্মার পুত্র উৎকর্ষের অভিষেক ছবি জিনিয়াস। সালমান খানের ভগ্নিপতি আয়ুশ শর্মাও লাভ যাত্রী ছবির মাধ্যমে বলিউডে এলেন। এ ছাড়া বনিতা সান্ধু. মিথিলা পালকর. দুলকর সালমান. কৃতিকা কামরা. মৌনি রায়. ঈশান খত্তর. সুমিত ব্যস. আয়শা শর্মা. অবিনাশ তিওয়ারি. তৃপ্তি ডিমরি. শিখা তলসানিয়া. রাধিকা মদনসহ আরও অনেক নবাগতর অভিষেক হয়েছে এ বছরই। ছোট ছবি বড় ধামাকা ২০১৮–তে অনেক বড় বাজেটের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আবার কম বাজেটের ছবি দারুণ ব্যবসা করেছে। রাজ কুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত ভৌতিক কমেডি ছবি স্ত্রী বক্স অফিসে দুর্দান্ত সফলতা পায়। বাজিমাত করে আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত দুটি ছবি—অন্ধাধুন ও বাধাই হো। আয়ুষ্মান. টাবু ও রাধিকা আপ্তে অভিনীত থ্রিলার–নির্ভর ছবি অন্ধাধুন শুধু বক্স অফিস নয়. চিত্র সমালোচকদেরও মন জয় করে। এ বছরের সেরা ছবির শীর্ষে উঠে এসেছে শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ছবিটি। আয়ুষ্মান অভিনীত বাধাই হো ছবিটি পায় আশাতীত সাফল্য। মাত্র ২৯ কোটি রুপিতে নির্মিত ছবিটি ব্যবসা করে ২২০ কোটি রুপি। আলিয়া ভাট অভিনীত রাজি ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সবার মন জয় করে। ৩০ কোটি বাজেটের ছবিটি প্রায় ২০০ কোটির ব্যবসা করে। বরুণ ধাওয়ান ও আনুশকা শর্মা অভিনীত সুই ধাগা. সোনু কি টিটু কি সুইটি. ১০২ নট আউট কম বাজেটের ছবি হয়েও ভালোই সাফল্য পেয়েছে। রানী মুখার্জি অভিনীত হিচকি ছবিটি শুধু দেশে নয়. দেশের বাইরেও ছক্কা হাঁকিয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বাজিমাত করেছেন রণবীর কাপুর। একাধিক ফ্লপের পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। রাজ কুমার হিরানী পরিচালিত সঞ্জু ছবিটি তাঁকে রাতারাতি সুপারস্টার বানিয়ে দেয়। তিন খান—খানখান বলিউড সাম্রাজ্যকে রীতিমতো শাসন করে এসেছেন তিন খান। ২০১৮ সালে সালমান. আমির. শাহরুখ—এই তিন খানেরই বাজার বেশ মন্দা। সালমান খানের রেস থ্রি ছবি সবাইকে হতাশ করে। জঘন্য পরিচালনার জন্য অনেকে রেমো ডি’সুজাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখ দেখে আমির খানের থাগস অব হিন্দোস্থান। যশরাজ ব্যানারের ছবিটিতে আমির ছাড়াও ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বছরের শেষে আরেকটি চূড়ান্ত ব্যর্থতা শাহরুখ খানের জিরো ছবিটি। | 1,573,025 |
2019-01-03 | হলিউড ২০১৯! | null | সাদিয়া ইসলাম | ৩ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573020/%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF | entertainment | print | 1 | আনন্দ|হলিউড | ফ্রোজেন টু ফ্রোজেন কেবল শিশুদের নয়. বড়দেরও ভালো লেগেছিল। সেই ভালো লাগা নিয়ে অ্যানা–এলসা আবার আসছে ফ্রোজেন টু নিয়ে। এ ছবিটি মুক্তি পাবে ২২ নভেম্বরে। অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার–এন্ডগেম মার্ভেল ইউনিভার্সের অন্যতম বড় বাজেটের চলচ্চিত্র অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার–এর শেষ পর্ব আসছে ২৬ এপ্রিল। মাত্র দিন কয়েক আগে গত হওয়া বছর থেকেই ছবিটি নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। ইতিমধ্যে ছবির ট্রেলার ভক্তদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে। স্পাইডারম্যান ফার ফ্রম হোম অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার–এ ‘থানোস’–এর এক তুড়িতে উড়ে গিয়েছিল ‘স্পাইডারম্যান’। এরপর কি ঘটেছে তাঁর ভাগ্যে? সে কি আর ফিরবে? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার–এন্ডগেম–এ। আর এর পর আবার পর্দায় ফিরে আসবে অতিমানব ‘স্পাইডারম্যান’। এবারের ছবিটির নাম স্পাইডারম্যান: ফার ফ্রম হোম। টয় স্টোরি ৪ টয় স্টোরি সিরিজের ছবিগুলো নিয়ে বাচ্চা–তরুণ–প্রবীণ সবারই কম–বেশি আগ্রহ থাকে। ২০১৯ সালে সেই টয় স্টোরির চতুর্থ কিস্তি আসতে যাচ্ছে। কেমন ব্যবসা করবে এই অ্যানিমেশন ছবিটি? জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ২০ জুন পর্যন্ত। ক্যাপ্টেন মার্ভেল গত বছরের অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার ছবির শেষে ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছবির একটি আঁচ পাওয়া যায়। এর পর থেকে শুরু হয় কৌতূহল। সেই কৌতূহলে ইতি টানা হবে এ বছরের ৮ মার্চ। সেই দিন মুক্তি পাবে ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছবিটি। ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ হিসেবে অভিনেত্রী ব্রি লারসনকে এরই মধ্যে ট্রেলারে দেখতে পেয়েছেন দর্শকেরা। সেটা নিয়ে রয়েছে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্টার ওয়ারস: এপিসোড ৯ ২০১৮ সালে স্টার ওয়ারস সিরিজের হান সোলো ছবিটি প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু ২০১৯ সালে ধারণা করা হচ্ছে হলিউডের জনপ্রিয়তম এই সিরিজটির নতুন ছবি পুরোনো অবস্থান ফিরে পাবে। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে স্টার ওয়ারস: এপিসোড ৯। জোকার ব্যাটম্যানের চিরশত্রু জোকারকে নিয়ে পুরো একটা চলচ্চিত্রের ঘোষণা ডিসি কমিকের ভক্তদের মধ্যে রোমাঞ্চ তৈরি করেছিল। এ বছর তো আসছে আস্ত ছবিটিই। ছবিতে দেখা যাবে ‘জোকার’ কীভাবে জোকার হয়ে উঠল. সেই গল্প। এবারের ছবিতে ‘জোকার’ চরিত্রে অভিনয় করবেন ওয়াকিম ফিনিক্স। এটি মুক্তি পাবে ৪ অক্টোবর। ইট: চ্যাপ্টার টু ২০১৭ সালের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ইট। পিলে চমকে দেওয়া সেই ছবির দ্বিতীয় পর্ব আসছে চলচ্চিত্র বছরের ৬ সেপ্টেম্বর। এখনো ট্রেলার বা ছবির গল্পের ব্যাপারে তেমন একটা কিছু প্রকাশ করেনি ছবির পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। শুধু জানা গেছে. প্রথম ছবির খুদে শিল্পীরা এবারের ছবিতে বড় হয়ে যাবে. তারা ফিরবে তাদের শৈশবের স্মৃতিময় শহরে ২৭ বছর পর। ফিরবে ভয়ংকর ‘ইট’–এ। | 1,573,020 |
2019-01-03 | একজন মাদক ব্যবসায়ী. অন্যজন কৃষকের সন্তান | শ্রীলঙ্কায় মাদকসহ গ্রেপ্তার ২ | নিজস্ব প্রতিবেদক. বগুড়া ও প্রতিনিধি. জয়পুরহাট | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573019/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 1 | আইন ও বিচার|শ্রীলঙ্কা|মাদক | • গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোয় মাদকবিরোধী অভিযান • অভিযানে হেরোইন–কোকেনসহ দুই বাংলাদেশি আটক• আটক মাদকের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি টাকা• গ্রেপ্তার জামাল ২০১৭ সালে বগুড়ায় ইয়াবাসহ ধরা পড়েন• ধরা পড়া রাফিউলের বাবা রফিকুল অবস্থাপন্ন কৃষক • গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোয় মাদকবিরোধী অভিযান • অভিযানে হেরোইন–কোকেনসহ দুই বাংলাদেশি আটক• আটক মাদকের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি টাকা• গ্রেপ্তার জামাল ২০১৭ সালে বগুড়ায় ইয়াবাসহ ধরা পড়েন• ধরা পড়া রাফিউলের বাবা রফিকুল অবস্থাপন্ন কৃষক শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বিপুল পরিমাণ মাদকের চালানসহ আটক দুই বাংলাদেশির অন্যতম মোহাম্মদ জামালউদ্দিন বগুড়ার পুলিশের নথিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের একটি মামলা বগুড়ার আদালতে বিচারাধীন। অন্যজন জয়পুরহাটের দেওয়ান রাফিউল ইসলাম অবস্থাপন্ন কৃষক পরিবারের সন্তান। সেখানে তাঁর বা তাঁর পরিবারের কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। শ্রীলঙ্কার পুলিশ গত ৩১ ডিসেম্বর কলম্বোর মাউন্ট লাভিয়ানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেনসহ ওই দুই বাংলাদেশিকে আটক করে। আটক মাদকের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫২ কোটি টাকা। বগুড়ার পুলিশ বলেছে. শ্রীলঙ্কায় ধরা পড়ার আগে মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ৩০টি ইয়াবা বড়িসহ শহরের রূপকথা হাউজিং এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে জামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছিলেন। তদন্ত শেষে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক নাছিম উদ্দিন একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলাটি বগুড়ার একটি আদালতে বিচারাধীন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন. মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী পুলিশের নথিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দুজনই মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। জামালের বাড়ি ময়মনসিংহে. বগুড়ায় বিয়ে করে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। আদালতে ইয়াবা পাচারের মামলা বিচারাধীন থাকলেও বগুড়ার ঠিকানায় জামালউদ্দিনের নামে গত বছরের ৭ নভেম্বর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। তাঁর নামে একাধিক ব্যাংক হিসাবের হদিস পাওয়া গেছে এবং এসব ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে। পুলিশ সূত্র বলেছে. গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকায় জামালের বাসায় গিয়ে তাঁর কক্ষ তল্লাশি করে। এ সময় জামালের শাশুড়ি ও স্ত্রীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ জামালের শয়নকক্ষ থেকে একটি মুঠোফোন উদ্ধার করে। ওই মুঠোফোনে দেখা গেছে. ধরা পড়ার আগে জামাল শ্রীলঙ্কা থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। জামালের স্ত্রী শামিমা জামাল প্রথম আলোকে বলেন. তাঁর স্বামী সপ্তাহখানেক আগে শ্রীলঙ্কায় গেছেন। সেখান থেকে ফোনও করেছেন। তবে মাদকের বিপুল চালানের সঙ্গে জামালের ধরা পড়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে. শ্রীলঙ্কায় জামালের সঙ্গে ধরা পড়া দেওয়ান রাফিউল ইসলামের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের রামনগর চাঁদপুর গ্রামে। তাঁর বাবা দেওয়ান রফিকুল ইসলাম অবস্থাপন্ন কৃষক। রাফিউলরা চার ভাই ও দুই বোন। তাঁদের মধ্যে সবার ছোট রাফিউল ২০০৮ সালে জয়পুরহাট শহরের শহীদ জিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকায় গিয়ে একটি বায়িং হাউজে চাকরি নেন। চাকরি করা অবস্থায় কাপড়ের ব্যবসা–সংক্রান্ত কাজে তাঁকে বিদেশে যাতায়াত করতে হতো বলে তাঁর পরিবার জানত। তবে তিনি চীন ছাড়া অন্য কোন কোন দেশে যাতায়াত করেছেন. তা তাঁর পরিবার বলতে পারেনি। ১০-১২ দিন আগে রাফিউল কাপড়ের ব্যবসার কাজে শ্রীলঙ্কায় যাবেন বলে বাড়িতে থাকা তাঁর মামাতো ভাই রামিন হোসেনকে মুঠোফোনে জানিয়েছিলেন। জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন. শ্রীলঙ্কায় রাফিউলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি পুলিশ জেনেছে। ওই পরিবারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে জয়পুরহাট সদর থানায় ওই পরিবারের কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। | 1,573,019 |
2019-01-03 | পুরোনো বিশৃঙ্খলায় সড়ক. ঝরছে রক্ত | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573018/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%9D%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 1 | সড়ক দুর্ঘটনা|দুর্ঘটনা|চট্টগ্রাম | • নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো ভুলেছেন সবাই• বেপরোয়া চালকেরা. পিষ্ট মানুষ • নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো ভুলেছেন সবাই• বেপরোয়া চালকেরা. পিষ্ট মানুষ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী ইপিজেডের ভেতর নিজের কর্মস্থলের সামনেই গত ২৯ ডিসেম্বর বাসচাপায় নিহত হয়েছিলেন তিনজন। দুর্ঘটনায় নিহত কেইপিজেডের কর্মকর্তা আবদুল লতিফের থেঁতলে যাওয়া শরীরটা দ্রুততম সময়ে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করার চেষ্টাতেই ছিলেন তাঁর ছেলে মামুনুর রশীদ। বাবার এ রকম একটা ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে মাথায় আর অন্য কিছুই কাজ করছিল না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের নেতা মামুনের। যাওয়ার আগে কেবল পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন. তাঁর বাবার দাফনের আগেই যেন ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার হন। এক সপ্তাহ হতে চলল। ওই ঘটনায় কোনো মামলাই হয়নি. পুলিশও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এর মধ্যেই দেশের রাস্তায় ঝরে গেছে অনেক রক্ত। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার. নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর সড়কে বাসচাপায় দুই তরুণী নিহত হওয়ার পর পুলিশ জানল বাসচালকের কোনো লাইসেন্সই নেই। অথচ মো. জুনায়েদ নামের ওই বাসচালক আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে দিনের পর দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের প্রায় পুরোটাই ঢাকার সড়কগুলো ছিল শিক্ষার্থীদের দখলে। সরকারদলীয় লোকজনের লাঠিপেটা আর মামলার মুখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ক্ষান্ত দেয়। তবে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সড়কে যান চলাচল ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়। পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও নিজেদের ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা বলেছিল। তবে বছর শেষে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নির্বাচনের ডামাডোলে ব্যস্ত পুলিশ সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিই ভুলতে বসেছে। লাইসেন্স নেই বাসচালকেরদুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আগস্টে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে চলাচলরত সব ধরনের যানবাহনের চালককে লাইসেন্স দেখাতে বাধ্য করে। তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে পুলিশকেও। ওই ঘটনার পরম্পরায় ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকেও বারবার লাইসেন্স ছাড়া কাউকে চালক না রাখতে বলা হয়েছিল। লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে কয়েক দিন পুলিশকে বেশ তৎপরও দেখা গিয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি আবার আগের মতোই। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মালিবাগে বাসচাপায় নিহত হন পোশাকশ্রমিক নাহিদ পারভীন পলি (২১) ও তাঁর বান্ধবী মিম আক্তার (১৫)। ঘটনার প্রতিবাদে ওই সড়কে ব্যাপক ভাঙচুর করে আটকে রাখেন শ্রমিকেরা. দুটি বাসে আগুনও দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান. ওই দুই তরুণী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময়ই সুপ্রভাত ও তুরাগ পরিবহনের দুটি বাস আগে যাওয়ার পাল্লা দিয়ে মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে নামছিল। দুর্ঘটনার পর পুলিশ সুপ্রভাত পরিবহন বাসের চালক মো. জুনায়েদকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ এনে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন নিহত মিমের মা জরিনা বেগম। হাতিরঝিল থানার ওসি আবু মো. ফজলুল করিম বলেন. চালক জুনায়েদ কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তাঁর শিক্ষানবিশ লাইসেন্স রয়েছে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ ও বিআরটিএর কর্মকর্তা বলেছেন. সড়কে গাড়ি চালানোর জন্য শিক্ষানবিশ লাইসেন্স দেওয়া হয় না। এই লাইসেন্স নিয়ে কেউ বাসের মতো গণপরিবহন চালানোর কথা নয়। তিনজনের মৃত্যুর পরও...গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে যখন শ্রমিকেরা কেইপিজেডের নিজ নিজ কারখানায় ঢুকছিলেন. তখনই একটি কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক সারি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় নিয়ন্ত্রণ হারানো দ্রুতগতির একটি বাস। ধাক্কা খেয়ে প্রথম বাসটি সামনের আরেকটি বাসকে ধাক্কা দেয়। ইপিজেডের ভেতরে ইয়ংওয়ানের একটি কারখানায় ঢোকার জন্য সেদিক দিয়ে শ্রমিকেরা যাচ্ছিলেন। তিন বাসের মধ্যে পড়ে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। শেষ পর্যন্ত তিনজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল লতিফ. রাজিয়া সুলতানা ও মো. ইকবাল। নিহত আবদুর লতিফের ছেলে মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন. বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যান। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার কর্ণফুলী থানা থেকে তাঁকে ফোন করে মামলা করবেন কি না. সেটা জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন. ‘আমি তো তখন দিশেহারা। পুলিশকে বললাম. ভাই. আমাদের চাওয়ার কিছু নেই. খালি আমার বাবাকে কবরে শোয়ানোর আগে ওই ড্রাইভাররে ধরেন। আমরা চলে আসলাম। এখন পুলিশ জানতে চাচ্ছে মামলা করব কি না।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহসম্পাদক মামুন বলেন. ৬ জানুয়ারি থেকে তাঁর স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা। এখনো তিনি পরিবারের সঙ্গে টাঙ্গাইলেই রয়েছেন। দিশেহারা অবস্থা পুরো পরিবারটির। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন. ওই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ একটি এজাহার দিয়েছে। এখন হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ মামলার বাদী হবেন. নাকি কেইপিজেড. সেই সিদ্ধান্ত আজ (বৃহস্পতিবার) হবে। ফিরেছে পুরোনো ব্যবস্থাশিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজধানীর সড়কে চলা অনিয়ম তাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গত সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। কিন্তু মাসের শেষে তিনিই ‘কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সফলতা’ আসেনি বলে স্বীকার করেন। এরপর নির্বাচনের কারণে পুলিশের তৎপরতাও কমে যায়। পরিবহনসংশ্লিষ্ট একাধিক বাস ও লেগুনামালিক. চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়. আগস্টের আন্দোলনের পর পুলিশ গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স ও ফিটনেস পরীক্ষা করেছে. মামলাও হয়েছে প্রচুর। কিন্তু দুই মাস পরই তাঁরা আবার আগের ব্যবস্থায় ফিরে গেছেন। পুরোনো সেই ব্যবস্থার নাম ‘মানতি’। অর্থাৎ পুলিশের কোনো একজন বা একদল কর্মকর্তার সঙ্গে মাসভিত্তিক টাকার বিনিময়ে একটা অলিখিত ছাড়পত্র নেওয়া। সেই গাড়িটি কোন কোন সড়কে চললে সেই মানতির আওতায় থাকবে. তা-ও বলে দেওয়া হয়। ওই সব সড়কে কোনো পুলিশ গাড়িটি আটকালে চালক ফোনে সেই ‘মানতি’ করা কর্মকর্তার কাছে ফোন করে ফোনটি ধরিয়ে দেন গাড়ি আটকানো কর্মকর্তাকে। এভাবেই চলছে এখন। একজন লেগুনামালিক গতকাল বলেন. আগস্টের ‘ওই ঝামেলার’ পর তিনি নিজেই গাড়ি চালানো শুরু করেন। এখন আবার অন্যদের কাছে লেগুনা দৈনিক জমার ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে দোকান করছেন। তিনি বলেন. ‘ছোট গাড়ির ছোট ড্রাইভার. মানতি করা থাকলি পরে কুনো সমস্যা নাই।’ লেগুনামালিকেরা বলছেন. আবারও শিশু-কিশোর চালকেরা তাঁদের গাড়িগুলো চালাচ্ছেন। গাড়ির সব ঠিক থাকলেও মামলা হয় যদি মানতি করা না থাকে। আর মানতি করা থাকলে বাতিল গাড়িও রাস্তায় চালাতে পারেন তাঁরা। চালকের লাইসেন্স আছে কি না. সেই বালাইও থাকে না। বেশির ভাগ লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে এই বিষয়গুলো সামলানো হয়। কারওয়ান বাজারের একজন মিনিট্রাকচালক বলেন. ‘পুলিশরে ট্যাকা না দিয়া কেউ ঢাকা শহরো গাড়ি (ট্রাক) চালাইতে পারে না। ট্যাকা দিলে সব ঠিক. না থাকলে নতুন গাড়িতেও মামলা।’ তিনি বলেন. পরিবহন ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ঝামেলা হোক. এটা চান না বলে টাকা দিয়েই সমাধান খোঁজেন। পুলিশের ওয়েব পোর্টাল ডিএমপি নিউজে দেখা যায়. ঢাকার পুলিশ প্রতিদিন গড়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে চার হাজার মামলা করছে। এর অর্ধেকর বেশি মোটরসাইকেল. উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি। | 1,573,018 |
2019-01-03 | মধুচন্দ্রিমা নয়. পরিবারের সঙ্গে মাইলি-লিয়াম | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573015/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE | entertainment | print | 1 | বিদেশের গান | মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইলি সাইরাস ও অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেতা লিয়াম হেমসওর্থের বিয়ের খবরটা হুট করেই আসে। আর বিয়েটাও হয় একেবারে অন্য রকম আয়োজনে। এবার বিয়ের পর তাঁদের মধুচন্দ্রিমাটাও হলো অন্য রকমভাবে। একে মধুচন্দ্রিমা না বলে পারিবারিক পুনর্মিলনী বলা চলে। নবদম্পতি গত ২৩ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই চলে গেলেন লিয়ামের ভাই অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থের বাড়ি। সেখানে উদযাপন করলেন ইংরেজি নববর্ষ। বিয়ের পর তারকারা যেখানে বিলাসবহুল আর অভিজাত সব জায়গায় মধুচন্দ্রিমা কাটানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন. সেখানে সদ্য বিবাহিত মাইলি সাইরাস আর লিয়াম হেমসওর্থের বেলায় দেখা গেল ব্যতিক্রম। ভক্তরা ধারণা করেছিলেন. মাইলি ও লিয়াম তাঁদের বিবাহিত জীবনের প্রথম নববর্ষ বুঝি কোনো স্কি রিসোর্টে উদ্যাপন করবেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে ইনস্টাগ্রামে দেখা গেল. পরিবারকে নিয়ে বেশ ঘটা করে নবদম্পতি নিজেদের ছুটির দিন কাটাচ্ছেন। অভিনেত্রী এলসা পাটাকির দেওয়া একটি পোস্টে প্রথমে দেখা যায় তিনি তাঁর স্বামী ক্রিস হেমসওর্থকে জড়িয়ে ধরে আছেন। পরের ছবিটিতে ক্রিস. এলসার সঙ্গে মাইলিকেও দেখা যায়। দীর্ঘদিন প্রেমের পর লিয়াম ও মাইলি ২৩ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। শুরুতে কথা ছিল ধুমধাম করেই বিয়ে করবেন তাঁরা। কিন্তু গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মালিবুতে দাবানলের আগুনে পুড়ে যায় লিয়াম-মাইলির বাড়ি। সেখানেই বিয়ের কথা ছিল তাঁদের। পরে আর বেশি জাঁকালো আয়োজনে যাননি তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে ঘরোয়া আয়োজনে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইট। | 1,573,015 |
2019-01-03 | প্রথমবার ওয়েব সিরিজে মোশাররফ করিম | null | বিনোদন প্রতিবেদক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573014/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B0%E0%A6%AB-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE | entertainment | print | 1 | টেলিভিশন | এবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ছয় পর্বের ওয়েব সিরিজটির তিন লেখকেরও একজন এই অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে লেখক হিসেবে আরও আছেন শামীম জামান ও ফজলুল সেলিম। তবে মূল গল্প ও সিরিজটি পরিচালনা করেছেন শামীম জামান। কদিন আগে এই সিরিজের শুটিং হলো মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। মোশাররফ করিম ছাড়াও এই সিরিজে অভিনয় করেছেন শামীম জামান. নাবিলা ইসলাম. ফারুক আহমেদ. তারেক স্বপন ও মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী ফারাহ। এরই মধ্যে শুটিং শেষ করে দেশে ফিরেছেন পরিচালক শামীম জামান। দেশে ফিরে তিনি বললেন. ‘দারুণ একটা গল্প। প্রাথমিকভাবে নাম দিয়েছি আলটিমেটাম। তবে নাম পরিবর্তন হতে পারে।। বঙ্গ বিডির জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। দর্শকেরা উপভোগ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ এখন মালয়েশিয়ায় আছেন মোশাররফ করিম। সেখান থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে বলেন. ‘অভিনয়ের সময় আমি আসলে জানি না. এটা ওয়েব সিরিজ. নাকি নাটক। আমার কাছে গল্প ও চরিত্রটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার চরিত্রটাই ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি। ওয়েব সিরিজ বা নাটক—যেটাই বলি. অভিনয়ের পাশাপাশি মিউজিক. সম্পাদনা সবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি. সব মিলিয়ে ভালোই হবে।’ জানা গেছে. প্রতিটি পর্বের দৈর্ঘ্য হবে ১০ মিনিট। ছয় পর্বের সিরিজটিতে মোট ৬০ মিনিটের একটা গল্প দেখবেন দর্শক। কমেডিনির্ভর গল্পটি প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন. ‘গল্পে দেখা যাবে. দেশে বিয়ে করে রেখে মালয়েশিয়া যান মোশাররফ করিম। সেখানে গিয়ে বিশেষ কারণে আরেকটা বিয়ে করেন। কিছুদিন পর দেশ থেকে এই বউও মালয়েশিয়া চলে যান। তারপর কী পরিণতি হয়. সেটাই দেখা যাবে গল্পে।’ এই সিরিজে অভিনয় শেষ করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন অভিনেত্রী নাবিলা। তিনি বলেন. ‘আমরা তিন দিনে কাজটি শেষ করেছি। সবার মধ্যেই ভালো করার চেষ্টা ছিল। গল্পটাও বেশ ভালো। আর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার আলাদা একটা মজা আছে। অনেক কিছু শেখা যায়। এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।’ পরিচালক শামীম জামান জানান. খুব তাড়াতাড়ি বঙ্গ বিডিতে সিরিজটির প্রচার শুরু হবে। | 1,573,014 |
2019-01-03 | নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573013/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A6%9C-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE | bangladesh | print | 1 | আইন ও বিচার|পুলিশ|অপহরণ | • সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পর নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার• চার শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ• তুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর আদালতে উপস্থাপন• কবে কোথা থেকে গ্রেপ্তার. সে তথ্য এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ• তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিসে হামলার অভিযোগ• স্বজনেরা বলছেন. অন্যায়ভাবে ছেলেদের জড়ানো হয়েছে • সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পর নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার• চার শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ• তুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর আদালতে উপস্থাপন• কবে কোথা থেকে গ্রেপ্তার. সে তথ্য এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ• তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিসে হামলার অভিযোগ• স্বজনেরা বলছেন. অন্যায়ভাবে ছেলেদের জড়ানো হয়েছে তুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আদালতে উপস্থাপন করেছে কাফরুল থানার পুলিশ। শিক্ষার্থীদের পক্ষে করা জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই চার শিক্ষার্থী আবু খালেদ মো. জাবেদ. বোরহান উদ্দিন. রেজাউল খালেক ও সৈয়দ মমিনুল হাসানকে গত বৃহস্পতিবার ‘ডিবি’ পরচিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের অভিভাবকেরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সন্তানদের সন্ধান দাবি করেন। তাঁরা জানান. বৃহস্পতিবার চার বন্ধু আজিজ সুপার মার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে বাসে মিরপুরে ফিরছিলেন। ফার্মগেটে বাস থেকে সাদাপোশাকের পুলিশ তাঁদের নামিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁদের হেফাজতে রাখার কথা ক্রমাগত অস্বীকার করে আসছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী সৈয়দ মমিনুল হাসানের বড় ভাই সৈয়দ ইদরাক গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন. ‘একটি মামলাসহ ডিবি পুলিশ চারজনকে কাফরুল থানায় দিয়ে যায় মঙ্গলবার রাতে। তারা (রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ থাকা শিক্ষার্থীরা) কাফরুল থানার পুলিশের নম্বর থেকে ফোন করে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারপরই আমরা জানতে পারলাম তারা বেঁচে আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক (বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ) আইনে মামলা দিয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা বলছেন. অন্যায়ভাবে তাঁদের ছেলেদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। কাফরুল থানার পুলিশ আদালতে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে. সেখানে এই চার শিক্ষার্থীকে বিএনপি–জামাতের সক্রিয় সদস্য. ‘দেশে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনকারী’. সন্ত্রাসী ও বোমাবাজ দুষ্কৃতকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ বলেছে. তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সহযোগীদের নিয়ে বোমা. ককটেল তৈরি ও এগুলো হেফাজতে রাখতেন। তাঁরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভিন্ন সময় যানবাহনের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জনগণের জানমালের ক্ষতি করে আসছিলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিটে বাইশটেকী. হাজী জব্বারের বাড়ির সামনে তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিসে তাঁরাই হামলা চালান। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ইউসুফ হাওলাদার. রফিকুল ইসলামদের হত্যা করা। সে জন্য তাঁদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন আসামিরা। পরে পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। মামলার ঘটনার বিষয়ে এই আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামিরা যে তথ্য দিয়েছেন. সেগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। অমিল পাওয়া গেলে আসামিদের রিমান্ডে পেতে পুলিশ আবেদন করবে। গ্রেপ্তার চার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ (২৫) এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগ. বোরহান উদ্দীন স্ট্যাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগ. রেজাউল খালেক মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। মমিনুল হাসান সদ্য ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছেন। আসামিদের কোথা থেকে কবে গ্রেপ্তার করা হলো এবং নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কী তথ্য পেল. জানতে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। খুদে বার্তা দিয়ে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলামউদ্দীন বলেন. তিনি এ বিষয়ে জানেন না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানেন। জিল্লুর রহমান ফোনও ধরেননি। | 1,573,013 |
2019-01-03 | পাঁচ মিনিটেই নতুন বিদ্যুৎ–সংযোগ | null | আজাদ রহমান. ঝিনাইদহ | ৩৫ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573012/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E%E2%80%93%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97 | bangladesh | print | 1 | ঝিনাইদহ|খুলনা বিভাগ|সরকার | • ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু• সরঞ্জাম নিয়ে ভ্যানযোগে বাড়িতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা• গ্রাহকের আবেদন পেলেই ফি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংযোগ • ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু• সরঞ্জাম নিয়ে ভ্যানযোগে বাড়িতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা• গ্রাহকের আবেদন পেলেই ফি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংযোগ ভ্যানগাড়িতে আছে মিটার. বিদ্যুতের তারসহ অন্য সরঞ্জাম। সঙ্গে আছেন দুজন লাইনম্যান ও একজন ওয়ারিং পরিদর্শক। প্রতিদিন সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তাঁরা। গ্রাহক বিদ্যুৎ নিতে চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পেয়ে যাবেন সংযোগ। কোনো হয়রানি নেই. দিতে হবে না কোনো বাড়তি অর্থ। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। আর এর উদ্যোক্তা হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শেখ আবদুর রহমান। তিনি জানান. গত ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই কার্যক্রম গোটা উপজেলায় সব বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ না পৌঁছানো পর্যন্ত চলবে। শুরুর পর প্রথম চার দিনে তাঁরা ৫৪টি নতুন সংযোগ দিয়েছেন। ঝিনাইদহের একটি উপজেলা হরিণাকুণ্ডু। ৮টি ইউনিয়নের এই উপজেলায় ১৩৬টি গ্রাম রয়েছে. যেখানে প্রায় ৩ লাখ লোকের বসবাস। চাঁদপুর নামের একটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৭টি ইউনিয়নে বর্তমানে ৩৭ হাজার ২১৫ জন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। পল্লী বিদ্যুৎ হরিণাকুণ্ডু জোনাল অফিসের এজিএম শেখ আবদুর রহমান জানান. দেশে এখনো বিদ্যুৎ নিতে গিয়ে গ্রাহকেরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। একটা সংযোগের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। অনেক সময় বাড়তি পয়সাও খরচ হয়ে যায়. যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শেখ আবদুর রহমান জানান. এই অবস্থা দেখে তাঁর মাঝেমধ্যেই খারাপ লাগত। তা ছাড়া সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। সেই জায়গায় গ্রাহক হয়রানির শিকার হবেন. এটা হতে পারে না। তাই তিনি বিকল্প উদ্যোগ নেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন সংযোগ কীভাবে দেওয়া যায়. সেই পরিকল্পনা নেন। সেই পরিকল্পনা থেকে তিনি এই ভ্যানগাড়িতে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এটাকে তিনি ‘আলোর ফেরিওয়ালা. পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং কার্যক্রম’ নাম দিয়েছেন। ওই নামেই চলছে তাঁর এই কার্যক্রম। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে. গত ২৪ ডিসেম্বর এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আলতাফ হোসেন। ওই দিনই ১৩টি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর ২৫ ডিসেম্বর ১৫ টি. ২৬ ডিসেম্বর ১৬টি ও ২৭ ডিসেম্বর ১১টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপর নির্বাচনের কারণে তাঁদের কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ ছিল. যা আবার শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান. ভ্যানে মিটার. তার থেকে শুরু করে সব ধরনের সরঞ্জাম থাকছে। দুজন লাইনম্যান ও একজন ওয্যারিং পরিদর্শক থাকছেন ওই ভ্যানে। তাঁরা গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। যে এলাকার বাসাবাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ নেই. সেই এলাকায় বেশি যাচ্ছেন. সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। যাঁরা নতুন সংযোগ নিতে আগ্রহী. তাঁদের সদস্য ফি বাবদ ভ্যাটসহ ১১৫ টাকা আর জামানত হিসেবে ৪০০ টাকা (বাণিজ্যিক হলে ৮০০) জমা দিতে হচ্ছে। আলোর ফেরিওয়ালাদের কাছে টাকা জমা নেওয়ার রসিদ বই থাকছে. তাঁরা সেখানে বসেই টাকা জমা করছেন। এরপর ওয়্যারিং পরিদর্শক ওয়্যারিং যাচাই করে ঠিক আছে জানালেই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় মাত্র পাঁচ–ছয় মিনিট সময় লাগছে। গ্রাহককে শহরে আসতে হচ্ছে না. আবেদনের পাঁচ মিনিটেই সংযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর কারণে পুরোনো গ্রাহকদের কোনো সমস্যা থাকলে সেটাও দ্রুত ঠিক করে নিতে পারছেন তাঁরা। বাড়িতে বসে নতুন সংযোগ পেয়েছেন এমন একজন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাকচুয়া গ্রামের রাসেল আহম্মদ। তিনি জানান. পল্লী বিদ্যুতের এই কার্যক্রম তাঁদের অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে। সংযোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে না। টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো লাগছে না। দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে না। মাত্র পাঁচ মিনিটেই নতুন সংযোগ পেয়ে যাচ্ছেন. যা এর আগে ভাবতেও পারেননি তাঁরা। আরেক গ্রাহক হরিণাকুণ্ডু পৌর শহরের মো. টুলু মিয়া জানান. পল্লী বিদ্যুতের এই কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে. সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কাছ থেকে জনগণ প্রকৃত সেবা পাচ্ছেন। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলতাফ হোসেন বলেন. হরিণাকুণ্ডু সমিতি যে কর্মসূচি নিয়েছে. তা অনুকরণীয়। ইতিমধ্যে তিনি এই কার্যক্রম চালুর জন্য অন্য অফিসগুলোকেও নির্দেশ দিয়েছেন। | 1,573,012 |
2019-01-03 | হাতিরঝিলে ৪৭টি ফ্ল্যাট বিক্রি করবে রাজউক | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573011/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%9D%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A7%AA%E0%A7%AD%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%89%E0%A6%95 | bangladesh | print | 2 | আবাসন|ঢাকা|হাতিরঝিল|রাজউক | হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় নির্মিত ৪৭টি ফ্ল্যাট বিক্রি করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। প্রায় ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলো কিনতে রাজউকের নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। পরে লটারির মাধ্যমে ফ্ল্যাট প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। রাজউকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজউক সূত্রে জানা গেছে. ৩১৬ বর্গফুটের ‘কমন স্পেস’সহ প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট। আগ্রহী ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম ও প্রসপেক্টাস অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড. রাজউক ভবন শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এ জন্য অফেরতযোগ্য ৫০০ টাকা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে একই ব্যাংকের শাখায় জামানত বাবদ চার লাখ টাকা জমা রাখতে হবে। জামানত জমার রসিদের মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও রাজউকের ওয়েবসাইট (www.rajukdhaka.gov.bd) থেকে আবেদনপত্রের ফরম ও প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করতে পারবেন। এ জন্য অফেরতযোগ্য ৬০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। প্রসপেক্টাসে বর্ণিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে। রাজউক বলছে. আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর কোনো কাগজপত্র যুক্ত করা যাবে না। অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ দরখাস্ত বাতিল বলে বিবেচনা করা হবে। হাতিরঝিল ছাড়াও উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে নির্মিত ও নির্মাণাধীন আরও কিছু ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেবে রাজউক। ফ্ল্যাটগুলোর আয়তন ১ হাজার ৬৫৪ বর্গফুট। এই প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রাজউকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে [email protected] এই ই–মেইল ঠিকানায় বা ০১৭৩০০১৩৯৪৫ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। | 1,573,011 |
2019-01-03 | ‘গালি বয়’ ছবির রণবীর–আলিয়া | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573010/%E2%80%98%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%9F%E2%80%99-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0%E2%80%93%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE | entertainment | print | 2 | বলিউড | এই সময়ের তরুণ দুই প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট। সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নির্মাতা জোয়া আখতার। এই ত্রয়ী মিলে নিয়ে এলেন সিনেমা—গালি বয়। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো সিনেমাটির পোস্টার। পোস্টারে দুজনেই ধরা দিলেন অন্য চেহারায়। ইতিমধ্যে সিনেমাটি বিশ্বের নামকরা একটি চলচ্চিত্র উৎসব ‘বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে’ আমন্ত্রিত হয়েছে। সিনেমার অভিনয়শিল্পীসহ সবার জন্য এ এক সুখবর বটে। পয়লা জানুয়ারি আলিয়া ভাট সিনেমাটির পোস্টারের একটি ছবি পোস্ট করেন। এর পরপরই গতকাল আবার রণবীর সিংও দুটি পোস্টার পোস্ট করেন। সেখানে একটি পোস্টারে দেখা যায় রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট হেডফোনে গান শুনছেন। রণবীরের সাদামাটা বেশ আর আলিয়ার মাথা হিজাব দিয়ে ঢাকা। অন্য দুটি পোস্টারে দেখা যায় হুডি পোলো শার্ট পরা রণবীর। সামনে থেকে সূর্যের আলোকশিখা আসছে। রণবীর সিং পোস্টারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন. ‘স্ট্রিট সিঙ্গারের কণ্ঠ’ আর আলিয়া লিখেছেন. ‘আমাদের সময় এসে গেছে।’ এই সিনেমায় রণবীর সিংকে দেখা যাবে স্ট্রিট সিঙ্গারের ভূমিকায়। সিনেমাটিতে অভিনয় করে বেশ অনন্দিত রণবীর সিং। এই সিনেমায় না থাকলে নাকি তিনি খুবই ঈর্ষায় ভুগতেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন. ‘দিব্যি দিয়ে বলছি. যদি আমি ছাড়া অন্য কেউ এ সিনেমায় থাকত. তাহলে আমি ঈর্ষায় জ্বলতাম। এটা মুম্বাই। এটা হিপহিপ। এটা তো আমাকেই মানায়।’ এই মুহূর্তে রণবীর সিংয়ের সিনেমা সিম্বা বক্স অফিসে চলছে তরতরিয়ে। বছরটি রণবীরের গেছে বেশ। পদ্মাবত দিয়ে শুরু করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। আর বছর শেষও করলেন সিম্বা দিয়ে অসাধারণভাবে। আলিয়া ভাটকে রাজি সিনেমার পরে অতিথি চরিত্র ছাড়া আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি গত বছর। হাতে আছে বড় বড় কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে কলঙ্ক ও ব্রহ্মাস্ত্র অন্যতম। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। | 1,573,010 |
2019-01-03 | এ নির্বাচন দুই পক্ষকে কী বার্তা দিল | নির্বাচন ২০১৮ | আবুল মোমেন | ৪১ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573009/%E0%A6%8F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2 | opinion | print | 2 | রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন|আবুল মোমেন | ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিশ্চিতভাবেই ভালো হয়েছে। এতে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল এবং ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতিও ভালোই ছিল। অবশ্য এ নির্বাচন নিশ্চয়ই ২০০৮ সালের মতো ভালো হয়নি. এর আগের তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সঙ্গেও তুলনীয় হবে না। এবারের নির্বাচনের সময় প্রধান বিরোধী দলের নেতা. প্রার্থী ও কর্মীদের অনেকের স্থান হয়েছে কারাগারে. অনেকেই ছিলেন গ্রেপ্তার–আতঙ্কে পলাতক এবং সম্ভাব্য মামলার ভয়ে দৌড়ের ওপর। এসব ঘটনা এবং নির্বাচনের আগের রাতে ও নির্বাচনের দিনে ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের লক্ষণীয় ব্যাপক তৎপরতাও নিশ্চয় কাঙ্ক্ষিত ছিল না। তবু পরাজিত পক্ষ যদি এই অভিযোগগুলো তুলে ধরে নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার সম্পূর্ণ উত্তর খুঁজে পেয়েছে মনে করে. তবে সম্ভবত তাদের মূল্যায়ন হবে অসম্পূর্ণ। এর বাইরে আরও কিছু কারণ রয়েছে এবং সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে হয়। অন্তত সে পর্যন্ত না এগুলো বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন অর্ধসমাপ্ত থেকে যাবে। বিজয়ী জোট দ্রুতই সরকার গঠন করতে চলেছে। নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করব না। আর সেই সঙ্গে বলব. জয়ী ও পরাজিত উভয় পক্ষের জন্যই এই নির্বাচন থেকে কিছু ভাবনার খোরাক রয়েছে এবং তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। ২০০৭ সালের এক–এগারোর পরে দৃশ্যত নিরপেক্ষ একটি সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছিল. তাতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি. কিন্তু বিএনপি হয়েছিল। তদুপরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধতার গুরুত্বই প্রধান. সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ঘাটতি ততটা দৃশ্যমান না হলেও বিএনপির রাজনীতি তাকে অস্বীকার ও লঙ্ঘন করেই গড়ে ওঠায় তাদের ব্যত্যয় প্রকটভাবে দৃশ্যমান। তার ওপর হাওয়া ভবনের দুর্নীতি. সমান্তরাল প্রশাসন চালিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও এ–সংক্রান্ত মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার দায় নিয়ে দলের উদীয়মান কান্ডারি তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবন প্রশ্নবিদ্ধ. এমনকি কলঙ্কিত হয়ে পড়ে। এর বিপরীতে গত দুই মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকরের পাশাপাশি পাঠ্যবই. গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনরুদ্ধার করেছে. জাতির মানসে এর গৌরববোধ ফিরিয়ে এনেছে। সরকারের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠান. সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান. সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য সংগঠন মিলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও আবেগকে এ সময়ে চাঙা করতে পেরেছে। আমার মনে হয়. ২০১৮ সাল নাগাদ দেশের রাজনীতি অনেকাংশে পঁচাত্তর–পরবর্তী পাকিস্তানবাদী রাজনীতিকে জবাব দিয়ে একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। রাজনীতিতে এই যে একটা বাঁকবদল ঘটে গেছে. তাকে বিএনপির নেতৃত্ব যথাযথ গুরুত্ব দেননি। এই পরিবর্তনের আরও প্রমাণ মেলে যখন দেখি এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় বরাবরের মতো ইসলাম বিপন্ন বা ভারতের আগ্রাসনের ধুয়া ওঠেনি। কোথাও এ ধরনের স্লোগান শোনা যায়নি। শেখ হাসিনাসহ মহাজোটের নেতারা তাঁদের উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়ে এর ধারাবাহিকতার জন্য ভোট চেয়েছেন। আর বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে ভোট প্রার্থনা করেছে। এতে নির্বাচনটি সরলভাবে উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলেই প্রতিভাত হতে পারে. এমনকি সেভাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য ভালো হবে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে রাজনীতিতে পাকিস্তানবাদকে তামাদি করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুজ্জীবনের দিকটির ওপর জোর দিলে। তবে এই সূত্রেই আরও কথা এসে যাবে। আগে বলেছি. মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি আওয়ামী লীগের দৃশ্যমান কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু বিগত মেয়াদ এবং সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে বিবেচনায় নিলে মানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শাঁস যে গণতন্ত্র. তার প্রতি সুবিচার হয়নি. হচ্ছে না। যদি এই চেতনার সূচনা ও বিকাশকে পূর্বাপর বিবেচনায় নেওয়া যায়. তাহলে দেখব জনগণের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমই এর ভিত্তি ও মূলকথা। কিন্তু সম্ভবত পঁচাত্তরের মর্মান্তিক ঘটনাবলি ও তার পরবর্তী ইতিহাস বিকৃতি. ন্যায়বিচারের পথ রোধ এবং দীর্ঘ একতরফা রাজনৈতিক দমনপীড়নের অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিবেচনায় বৈরী প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাস্ত করার আকাঙ্ক্ষা তীব্রতর করেছিল। এটি সম্ভবত তাদের ওপর এতটাই মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করেছিল যে. সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম. নাগরিক সমাজের সমমনা দক্ষ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া এবং নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ. গ্রহণযোগ্য রাখার সাহস তারা দেখাতে পারেনি। নির্বাচনের সকল পর্যায়ের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ একটুও হালকা হতে দেয়নি। গত ১০ বছরে. বিশেষ করে শেষ পাঁচ বছরে সরকার অবকাঠামো. বিদ্যুৎসহ সব ক্ষেত্রে যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েছে. তার সুফল মানুষ পেতে শুরু করেছে। দুর্নীতি. বেকারত্ব ও বৈষম্য থাকলেও অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রভাব জনজীবনে অনুভূত হচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে উদ্যোগী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ বেড়েছে। তা ছাড়া. বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং বয়স্ক ভাতার মতো সরকারি সহায়তা প্রকল্পগুলো দারিদ্র্যের বৃত্ত ভাঙার কাজে সহায়ক হয়েছে। তাই বলছিলাম. এটাই ছিল উপযুক্ত সময়. যখন আওয়ামী লীগ অনেকটাই চাপমুক্ত থেকে নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার ঔদার্য প্রদর্শনের ঝুঁকি নিতে পারত। তাহলেই পাকিস্তানবাদী রাজনীতির পক্ষে কোনো অজুহাত থাকত না এবং তার কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠোকা হয়ে যেত। সেই সঙ্গে আমাদের রাজনীতির অনেক কলঙ্কিত চরিত্রেরও রাজনৈতিক আয়ুর সমাপ্তি ঘটত। এ কথা মানতে হবে. গত ১০ বছরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনেতা হিসেবে অনেক পরিণত. দক্ষ এবং দূরদর্শী হয়ে উঠেছেন। আপাতত দেশে তাঁর সমকক্ষ রাজনীতিবিদ নেই। এ কথা আলোচিতও হচ্ছে যে তাঁরই ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ও ক্যারিশমার ওপর নির্ভর করেই আওয়ামী লীগের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান তৈরি হয়েছে। নির্বাচনোত্তর অনেক আলোচনা–সমালোচনাও তাঁর পক্ষেই চাপা দেওয়া সম্ভব। এবারে তাঁর কাছে জাতির প্রত্যাশা আরও বাড়বে. তাতে সন্দেহ নেই। তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই গণতন্ত্রের বাতাবরণ আরও মুক্ত ও উদার করবে—সে প্রত্যাশা নিশ্চয় অসংগত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক আদর্শে থেকেই রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে যদি বিভিন্ন ও বিচিত্র কণ্ঠস্বর সরব না থাকে. আলোচনা ন্যায্য সমালোচনাকে ধারণ না করে. প্রয়োজনে জনগণের অংশীদারত্বের পরিসর ও এর কার্যকারিতা বাড়ানো না যায়. তাহলে সমাজ তো গণতন্ত্রচর্চার জন্য তৈরি হবে না। সরকারও কর্তৃত্ববাদী হতে থাকবে. আর ক্ষমতা ঘিরে পেটোয়া বাহিনীর তৎপরতা ও উৎপাত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। আমাদের মনে থাকবে অন্তঃকোন্দলে জর্জরিত ছাত্রলীগের ক্যাডাররা শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারিকেও গ্রাহ্য করেনি। কর্তৃত্ববাদ. অনুদারতা ও অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতির বিপরীতে এখন সচেতন নাগরিক সমাজের মুখ্য দাবি সুশাসন। আমলাতন্ত্র. পুলিশ. গোয়েন্দা. সামরিক বাহিনী সবাইকে নিজ নিজ চৌহদ্দিতে নিয়মের গণ্ডিতে থেকেই দায়িত্ব পালন করতে হয়; যার মূলনীতি হলো নিরপেক্ষতা. সমতা ও ন্যায়। বলার ও করার স্বাধীনতা বস্তুত নাগরিকদের অধিকার। তাদের কোনো প্রভু থাকতে পারে না. কারণ বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি প্রজাতন্ত্র. প্রজারাই এ রাষ্ট্রের মালিক। যথার্থ গণতন্ত্র ছাড়া তাদের এ অধিকার নিশ্চিত করা যায় না। দীর্ঘ স্বৈরশাসন কিংবা বিবদমান রাজনীতির টানাপোড়েন এবং গণতান্ত্রিক আমলেও ক্ষমতার কর্তৃত্বপরায়ণতার খেসারত দিয়ে এ দেশের নাগরিক সমাজ দুর্বল. অনেকেই উঞ্ছবৃত্তিতে. কেউবা পক্ষপাতদুষ্টতায় ভোগেন এবং কেউ রীতিমতো স্তাবকে পরিণত হন। মহৎ শাসক নাগরিকদের এহেন হেনস্তার জীবন থেকে মুক্ত রাখেন। আবুল মোমেন: কবি. প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক | 1,573,009 |
2019-01-03 | ধানের শীষের ১৬১ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন | null | রিয়াদুল করিম. ঢাকা | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573007/%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AC%E0%A7%A7-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|ধানের শীষ|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | • মনোনয়নপত্র জমার সময় ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়• প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়• বিএনপি-জোটের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা এবার জামানত হারিয়েছেন • ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ১৪ জন জামানত হারিয়েছিলেন • মনোনয়নপত্র জমার সময় ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়• প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়• বিএনপি-জোটের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা এবার জামানত হারিয়েছেন • ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ১৪ জন জামানত হারিয়েছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের অন্তত ১৬১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। জামানত ফিরে পাওয়ার মতো প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। বিএনপি ছাড়াও ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলো ও ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে এবার নির্বাচনে লড়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ১৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছিলেন। নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ২০ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সংসদীয় আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান. তাহলে তাঁর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার জামানত হারানো বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার দুটি আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে. কুমিল্লা-২ আসনে তিনি জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে তাঁর জামানত রক্ষা করার জন্য ২৯ হাজার ৬০৪ ভোট প্রয়োজন ছিল। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৩৩ ভোট। বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ আসনে ১০ হাজার ৯৭০টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৩। অর্থাৎ জামানত রক্ষার জন্য মওদুদকে ৩৪ হাজার ৭৭ ভোট পেতে হতো। মওদুদের বিপরীতে ওবায়দুল কাদের পেয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৪ ভোট। এ ছাড়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আবদুল মঈন খান. গয়েশ্বর চন্দ্র রায়. খন্দকার মাহবুব হোসেন. আবদুল্লাহ আল নোমান. আলতাফ হোসেন চৌধুরী. হাফিজ উদ্দিন আহমদ. মজিবর রহমান সরোয়ার. চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ. মোহাম্মদ শাহজাহান. জেএসডির আবদুল মালেক রতন. জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এবার জামানত হারিয়েছেন। বিএনপি-জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদও জামানত হারিয়েছেন। তবে তিনি নিজের দলের প্রতীক ছাতা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এর আগে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল বিএনপির। সেবার বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। জামায়াত পেয়েছিল ২ টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই প্রার্থীদের প্রায় সবাই সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের ৩৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। খন্দকার মোশাররফ ৪৪ শতাংশ. মওদুদ আহমদ ৪৯ শতাংশ. মঈন খান ৩৯ শতাংশ. গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ৩৭ শতাংশ. মজিবর রহমান সরোয়ার ৪৪ শতাংশ. কামাল ইবনে ইউসুফ স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৩৩ শতাংশ. খন্দকার মাহবুব হোসেন ৩৮ শতাংশ. আবদুল্লাহ আল নোমান ৪৪ শতাংশ. মো. শাহজাহান ৪১ শতাংশ. জামায়াতের নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ইসি সূত্র জানায়. এবারের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি জামানত হারিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৮টি আসনে। এরপর ঢাকার ৩৪ টি. খুলনার ৩২ টি. বরিশালের ২০ টি. ময়মনসিংহের ১৯ টি. রাজশাহীর ১৫টি ও রংপুরের ৩টি আসনে জামানত হারিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯টি সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন ছাড়া ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। আর বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭ টি। অবশ্য ঐক্যফ্রন্ট এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেছে। এবারের নির্বাচনে শুধু আসনসংখ্যা নয়. বিজয়ী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হিসাব এবং ভোটের ব্যবধান অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ারও রেকর্ড হয়েছে। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. নির্বাচন হলে জামানতের প্রশ্ন আসত। বস্তুত কোনো নির্বাচন হয়নি. ভোট ডাকাতি হয়েছে। যাঁরা বেশি ডাকাতি করেছেন. তাঁদের ভোট বেশি পড়েছে। নির্বাচনের নামে যা হয়েছে. তা দেশের মানুষ দেখেছে। এবারের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়. ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে বরিশালে। বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের ২০ টিতেই ধানের শীষের প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা. ফেনী. নোয়াখালী এলাকায় বিএনপির শক্ত অবস্থান আছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এসব এলাকায়ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ বেশির ভাগ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসন ফেনী-১। এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মুন্সী রফিকুল আলম জামানত হারিয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৯৪ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য এই আসনে ভোট প্রয়োজন ছিল ৩০ হাজার ৭০। এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ২৫৬ ভোট। একইভাবে ফেনী-১ ও ২. নোয়াখালী ১.২. ৪.৫ ও ৬. লক্ষ্মীপুর-১.২ ও ৩ আসনেও ধানের শীষের প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী. শরীয়তপুর. ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের প্রায় সব আসনেই ধানের শীষের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের যাঁরা জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন. তাঁদের বেশির ভাগ উত্তরবঙ্গ. সিলেট ও ঢাকার। পঞ্চগড়. ঠাকুরগাঁও. দিনাজপুর. নীলফামারী. লালমনিরহাট. কুড়িগ্রাম. চাঁপাইনবাবগঞ্জ. রাজশাহী. সুনামগঞ্জ. সিলেট. হবিগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রায় সবাই জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার ১১টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের জামানত রক্ষা হয়েছে। তবে ঢাকা-২ ও ৩ এবং ঢাকা-১৯ ও ২০ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর জামানত রক্ষা হয়নি। জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. সাধারণত দেখা যায়. আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হারলেও তাদের একটি বড় ভোটব্যাংক থাকে। ১০ বছরের ব্যবধানে এভাবে একটি দলের ভোট কমে যাওয়া. যেখানে বিএনপির অবস্থান শক্ত বলে মনে করা হয়. সেখানেও দলটির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো ঘটনা অস্বাভাবিক। সঠিক তদন্ত হলে এর আসল কারণ বের হয়ে আসবে। আর বিএনপি যে অভিযোগ করছে. তারা যদি তথ্য-প্রমাণ আদালতে বা নির্বাচন কমিশনে হাজির করতে পারে. তাতে হয়তো কারণটা বোঝা যাবে। | 1,573,007 |
2019-01-03 | ডিজিটাল আইনে মামলা | আটক সাংবাদিককে মুক্তি দিন | মন্তব্য | ১ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573001/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE | opinion | print | 2 | সম্পাদকীয়: | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের পরে যখন সাংবাদিক সমাজ স্মরণে আনছিল যে. ডিজিটাল আইন বাতিলে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছিলেন. তখনই খুলনা থেকে প্রথম খবর এল সাংবাদিক গ্রেপ্তারের। খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের নির্বাচনের ফলাফলের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে। একটি তথ্যগত গরমিল–বিষয়ক রিপোর্ট নিয়ে যেভাবে জেলা. উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগ ডিজিটাল আইনে মামলা. গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়ল. তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে. তঁারা হচ্ছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’ ও ইংরেজি দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউনের’ খুলনা প্রতিনিধি হেদায়েত হোসেন মোল্লা এবং খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সহসভাপতি. ন্যাশনাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশিদুল ইসলাম। রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাতে একই তথ্য অন্তত চারটি সংবাদমাধ্যমে (সময় টিভি. বাংলাদেশ প্রতিদিন. বাংলা ট্রিবিউন ও মানবজমিন) পরিবেশিত হলো. অথচ সাংবাদিকেরাই ভুল করেছেন অনুমান করে তঁাদের বিরুদ্ধে মামলা. গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের মতো ঘটনা ঘটে গেল। হেদায়েত হোসেন আটক হওয়ার পর তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে আর রাশিদুল ইসলাম এখন আত্মগোপনে আছেন। যুক্তির নিরিখেই আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি. সাংবাদিকেরা ভ্রান্ত ছিলেন. সেটা অনুমানসিদ্ধ বিষয় হলে কেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ভুল করে থাকতে পারেন. সেটা অনুমানসিদ্ধ বিষয় হবে না? বিবিসির খবরে বলা হয়েছে. রিটার্নিং কর্মকর্তা শুরুতে যে তথ্য দিয়েছিলেন. তা–ই প্রচার করা হয়েছে। সেই তথ্য যদি ভুল হয়ে থাকে তবে তা প্রচারের দায়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কেন? আর কোনো তথ্যগত গরমিল–বিষয়ক রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি এভাবে আইন তার ‘নিজস্ব পথে’ চলতে শুরু করে. তাহলে তো যেকোনো সংবাদমাধ্যমের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না। যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে যে. তথ্যগত ভুল হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রথমে প্রতিবাদ জানান। এটা আত্মপক্ষ সমর্থন দেওয়ার সর্বজন স্বীকৃত সুযোগ। ডিজিটাল আইন সাংবাদিকদের ওপর প্রয়োগ না করার যে প্রতিশ্রুতি আমরা পেয়েছিলাম. সে বিষয়ে আমরা ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ আকর্ষণ করি। এই ধারায় যদি ডিজিটাল আইনের প্রয়োগ চলতে থাকে. তাহলে ইতিপূর্বে যে কারণে সমগ্র সাংবাদিক সমাজ মানববন্ধনে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ ও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিল. তা–ই সত্যে পরিণত হবে। আর সে ক্ষেত্রে স্বাধীন সাংবাদিকতা অধিকতর হুমকির মুখে থাকবে। এই ঘটনা ডিজিটাল আইন বাতিলের দাবিকে আরও যৌক্তিক করে তুলল। আমরা আবারও এই আইন বাতিলের দাবি জানাই। একই সঙ্গে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও আটক সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করছি। | 1,573,001 |
2019-01-03 | এপারে ‘বিসর্জন’. ওপারে ‘বিজয়া’ | null | বিনোদন প্রতিবেদক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573002/%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E2%80%99-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E2%80%99 | entertainment | print | 2 | চলচ্চিত্র | আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে ‘বিসর্জন’ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ‘বিজয়া’। দুই ছবিরই অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুটিতেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবি দুটি পরিচালনা করেছেন ভারতের কৌশিক গাঙ্গুলি। বছর দেড়েক আগে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া ‘বিসর্জন’ ছবিটি এবার বাংলাদেশে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা ছবি হিসেবে। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক পুরস্কারে ভূষিত আলোচিত এই ছবি বাংলাদেশে আমদানি করেছে ইন উইন এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান. শুক্রবার ঢাকার মধুমিতা. স্টার সিনেপ্লেক্স. বলাকা. শ্যামলী ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘বিসর্জন’। তিনি বলেন. তিন মাস আগে বাংলাদেশে ছবিটির সেন্সর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তির সময় বেশ আলোচনায় ছিল ছবিটি। পশ্চিমবঙ্গে বড় বড় পুরস্কারও জিতেছে এটি। তা ছাড়া ছবির মূল নায়িকা বাংলাদেশের জয়া আহসান। সে কারণে বাংলাদেশের দর্শকের কাছে ছবিটি নিয়ে আগ্রহও আছে। ‘বিসর্জন’ সিনেমা দিয়ে জয়া আহসান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফিল্মফেয়ার. জি সিনে অ্যাওয়ার্ড. সেরা বাঙালি এবিপি আনন্দ পুরস্কার. হায়দরাবাদ চলচ্চিত্র উৎসব. ওয়েস্ট বেঙ্গল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ও ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসহ নানা আয়োজনে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এদিকে একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘বিসর্জন’ ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তি ‘বিজয়া’। বর্তমানে ছবিটির প্রচারণায় কলকাতায় অবস্থান করছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। গতকাল বুধবার দুপুরে কলকাতা থেকে মুঠোফোনে তিনি জানান. শুক্রবার কলকাতার নন্দনে প্রিমিয়ার শো হওয়ার মধ্য দিয়ে ওই দিনই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে বিজয়া। বছরের প্রথম ছবি হিসেবে একই দিনে দুই দেশে ছবি দুটি মুক্তি পাচ্ছে—এ কারণে আনন্দিত জয়া। তিনি বলেন. ‘দুই দেশেই বছরের প্রথম ছবি হিসেবে আমার দুটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে। বিজয়া পশ্চিমবঙ্গের দর্শকের কাছে বহুল প্রতীক্ষিত ছবি।’ ‘বিসর্জন’ নিয়ে জয়া বলেন. ‘বিসর্জন বাংলাদেশের গল্পের ছবি. বাংলাদেশের মানুষের ছবি। ছবিটি হয়তো এরই মধ্যে ইউটিউবে অনেকেই দেখেছেন। তারপরও বাংলাদেশের দর্শকদের অনুরোধ করব. তাঁরা যেন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখেন।’ ছবি দুটিতে আরও অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়. কৌশিক গাঙ্গুলি প্রমুখ। | 1,573,002 |
2019-01-03 | সড়কে মৃত্যু | দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ কত দিনে? | null | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573000/%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | opinion | print | 2 | সম্পাদকীয়: | গত মঙ্গলবার মালিবাগের চৌধুরীপাড়া এলাকায় বাসের নিচে চাপা পড়ে দুই নারীর মৃত্যু. বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা সড়কপথে সার্বিক নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার একটি উদাহরণ মাত্র। সড়ক দুর্ঘটনায় একই দিনে ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ সারা দেশে আরও ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী. মালিবাগের একটি কারখানার শ্রমিক পারভিন পলি তাঁর সঙ্গে থাকা কিশোরী মিম আক্তারকে নিয়ে কারখানা থেকে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে মিম ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং পলিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসটি চাপা দেওয়ার আগে মিম ও পলি বাসের দিকে হাত তুলে চিৎকার করে সেটি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন. বাসটি তুরাগ পরিবহনের আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল। তদুপরি যেই দূরত্বে বাসটি ছিল. তাতে চালকের পক্ষে থামিয়ে দুর্ঘটনা এড়ানো কঠিন ছিল না। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কারখানা থেকে শত শত শ্রমিক এসে রাস্তায় বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হাতে শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর হয় এবং দুটি বাস পুড়ে যায়। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে কয়েক ঘণ্টা সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বাসচালককে আটকের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। এই যে সড়ক অবরোধ. মানুষের জানমালের ক্ষতি. দুর্ভোগ—সবকিছুর পেছনে সড়ক দুর্ঘটনা। যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা। এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী. বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। গত বছর বিমানবন্দর সড়কেও দুই বাসের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে দুই কলেজশিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে এবং দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস করে. যাতে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শাস্তির মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। আইনটিকে সবাই স্বাগত জানালেও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বিরোধিতা করে। এই আইন বাতিলের দাবিতে তারা ধর্মঘটও পালন করেছে। কিন্তু তারা এটি বুঝতে চাইছে না যে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কিংবা সড়ক নিরাপত্তা আইন পরিবহনশ্রমিক বা চালকদের বিরুদ্ধে নয়. বরং এই আইন যাত্রীদের পাশাপাশি তাদেরও নিরাপত্তা দেবে। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে. সড়ক নিরাপদ রাখতে হলে পরিবহনশ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাঁদের উপযুক্ত মজুরি. কর্মপরিবেশ ও চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়. দূরপাল্লার বাসে একনাগাড়ে ১৭–১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চালকদের কাজ করতে হয়। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল. সেটি কার্যকর করা জরুরি। পরিবহন খাতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। শ্রমিক সংগঠনের নামে স্বার্থান্বেষী মহল অপ্রশিক্ষিত ও অদক্ষ চালকদের দিয়ে কাজ করাতে উৎসাহী। এতে কথিত শ্রমিক সংগঠন লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন খাত। একটি দুর্ঘটনা পুরো পরিবারকে কাঁদায় ও নিঃস্ব করে দেয়। মালিবাগের দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক. যদিও মানুষের জীবনের ক্ষতি কোনো কিছুতেই পুষিয়ে নেওয়ার নয়। | 1,573,000 |
2019-01-03 | যে কম্বল এখন ছড়িয়ে গেল সব জেলায় | null | প্রতিনিধি. রায়গঞ্জ. সিরাজগঞ্জ | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572998/%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F | bangladesh | print | 2 | সিরাজগঞ্জ|শৈত্যপ্রবাহ | শৈত্যপ্রবাহে কদর বেড়েছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় তৈরি কম্বলের। কয়েক দিন শীত বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাজীপুরের কম্বল বিক্রির ধুম। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসছেন। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নানা রঙের কম্বল। গতকাল বুধবার উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বছর কুড়ি আগের ঘটনা। যমুনাবিধৌত কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট কাপড়ের কম্বল তৈরি শুরু করেন। ঢাকা. গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝুট কাপড় কিনে এনে সেলাইমেশিনে একটির সঙ্গে আরেকটির জোড়া দিয়ে তৈরি করা হতো এ কম্বল। এ কারণে এর নামকরণ হয় ঝুট কম্বল। সময় পার হয়. ধীরে ধীরে এ কাজে যুক্ত হন উপজেলার আরও কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ খুঁজে পান উপার্জনের নতুন পথ। তাঁরা দিনরাত একাকার করে তৈরি করেন কম্বল। একপর্যায়ে শিমুলদাইড় বাজার কম্বলের বড় বাজার হিসেবে গড়ে ওঠে। এরপর সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সীমানা পার হয়ে এ কম্বল ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রায় সব জেলায়। বাজারের তিনজন কম্বল ব্যবসায়ী বলেন. ঝুট কাপড়ের পাশাপাশি নতুন কাপড়ের কম্বলও তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে নতুন কাপড় কিনে এনে কেটে সেলাই করে এসব কম্বল তৈরি করা হয়। বাজারে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা দামের কম্বল পাওয়া যায়। প্রথম দিকে শুধু দুস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে ঝুট কাপড়ের কম্বল তৈরি করা হতো। এ কম্বল নারীরা বাড়িতে বসে সেলাইমেশিনে জোড়া দিয়ে তৈরি করতেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বাড়তে থাকে কম্বলের চাহিদা। সাধারণ কম্বলের সঙ্গে সঙ্গে বাহারি কম্বল তৈরিও শুরু হয়। উপজেলার শিমুলদাইড়. বরশীভাঙ্গা. সাতকয়া. শ্যামপুর. ছালাভরা. কুনকুনিয়া. পাইকরতলী. ঢেকুরিয়া. বরইতলা. মুসলিমপাড়া. মানিকপোটল. গাড়াবেড়. রশিকপুর. হরিনাথপুর. ভবানীপুর. মাথাইলচাপড়. রৌহাবাড়ি. পলাশপুর. বিলচতল. চকপাড়া. লক্ষ্মীপুর. বেলতৈল. চালিতাডাঙা. মাধবডাঙাসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে তৈরি হয় হরেক রঙের ও মানের কম্বল। এসব গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। ছালাভরা গ্রামের নার্গিস খাতুন. চায়না খাতুনসহ বেশ কয়েকজন বলেন. তাঁরা একটি কম্বল সেলাই করে ২৫ থেকে ৩০ টাকা মজুরি পান। রান্নাবান্নাসহ ঘরকন্নার কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি কম্বল সেলাই করেন। এতে তাঁর বাড়তি আয় হয়। তিনজন কম্বল ব্যবসায়ী বলেন. সাধারণ মাপের একটি লেপ তৈরি করতে ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু মানভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় কম্বল পাওয়া যায়। ফলে কম্বলের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিমুলদাইড় বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল হক. সোহেল রানা. আবদুল লতিফ ও রাশেদুল ইসলামসহ ১০ জন বলেন. এ বাজারে শতাধিক কম্বলের দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান থেকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলায় কম্বল সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্রেতারা পছন্দ করে দরদাম ঠিক করে টাকা পাঠালে এখান থেকে ট্রাকে কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিনই ট্রাকে করে কম্বল যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। রংপুর থেকে কম্বল কিনতে আসা ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন. উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এমনিতেই গরিব মানুষের কাছে কাজীপুরের ঝুট কাপড়ের কম্বলের কদর বেশি। দামে কম কিন্তু টেকসই আর ভালো ওম পাওয়া যায় এ কম্বলে। তা ছাড়া নতুন কাপড়ের কম্বলও তৈরি করা হচ্ছে। দেখতে সুন্দর ও নাগালের মধ্যে দাম থাকায় অনেকেই এসব কম্বল কিনছেন। এলাকার রফিকুল ইসলাম. সালমা খাতুন. সাইদুল ইসলামসহ পাঁচজন বলেন. ব্যবসায়ীরা ব্যক্তি উদ্যোগে কম্বলের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। অনেকে ঋণ করে অর্থের জোগান দেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন. কাজীপুরে ঝুট কাপড় ও নতুন কাপড়ে তৈরি হওয়া কম্বল এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। | 1,572,998 |
2019-01-03 | ভোটের ব্যবধানে বড় ফারাক | null | প্রণব বল. চট্টগ্রাম | ১৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572997/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চট্টগ্রাম|বিএনপি|আওয়ামী লীগ | ভোটের ব্যবধানে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবারের নির্বাচন। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট যেখানে ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে. সেখানে বিএনপি জোট পেয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অথচ এর আগের নির্বাচনগুলোতে এই দুই দলের ভোট ছিল প্রায় সমান। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে চারটিতে জিতেছিল। সেবার চট্টগ্রামে তারা ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ জোট জিতেছিল ১১টি আসনে। তাদের ভোট ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। বড় ব্যবধানে জয় ছিল জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলামের—প্রায় ৬০ হাজার ভোট। অন্যগুলোতে ব্যবধান ছিল প্রায় ৮ থেকে ৩৭ হাজার ভোটের। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়. আওয়ামী লীগ জোটের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন মিরসরাইয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ১২টি আসনে দুই লাখের বেশি ব্যবধানে জিতেছে আওয়ামী লীগ। ১৬ আসনে আওয়ামী জোট মোট ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছে। ১৬ আসনেই তারা জয়ী হয়েছে। এটি মোট প্রদত্ত ভোটের ৮৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। ১০টি আসনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তিনটিতে প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে ১৬ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থীরা মোট ৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৪৯ ভোট পান। এটি মোট প্রদত্ত ভোটের ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এই জোটের ১০ জন তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ২২ শতাংশ। সন্দ্বীপে বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোট। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন. ‘এটা তো প্রহসনের নির্বাচন। সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে এজেন্ট—কেউ কেন্দ্রে যেতে পারেননি। সরকারি দলের লোকজন আগের দিন রাত থেকে ভোট নিয়েছে। এ কারণে এই ব্যবধান।’ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফের কাছে হেরেছেন। এখানে তিনি ১৫ শতাংশ ভোট পান। তাঁর জামানত রক্ষা হলেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের জামানত। চট্টগ্রাম থেকে তিনি একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে আসন ছিল ১৫টি। সেবার বিএনপি–জামায়াত জোট ১৩টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ দুটি আসনে জেতে। মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ পেয়েছিল বিএনপি জোট। বিপরীতে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ভোটের ব্যবধানে এত ফারাকের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) প্রথম আলোকে বলেন. ‘এবার ভোটাররা ধারাবাহিকতা চেয়েছেন। পরিবর্তন চাননি। আমাদের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা যেভাবে উৎসাহ নিয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে গেছেন. সেভাবে বিএনপির নেতা–কর্মী–সমর্থকেরা যায়নি। এর মূল কারণ নেতৃত্ব–সংকট। বিএনপি জিতলে নেতৃত্বে কে থাকবেন. তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিলেন সমর্থকেরা। | 1,572,997 |
2019-01-03 | সর্বোচ্চ পাঁচবার জয়ী মতিন খসরু ও আলী আশরাফ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. কুমিল্লা | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572995/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|কুমিল্লা|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১১টি আসনের সব কটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার আলী আশরাফ পাঁচবার করে জয়ী হলেন। গত রোববার ভোট নেওয়ার পর রাতেই এসব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। জানতে চাইলে আবদুল মতিন খসরু বলেন. ‘এই জয় জনগণের জয়। এবার এত উন্নয়ন করব যে জনগণ আমাকে সারা জীবন স্মরণ করবে। সারা জীবন আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আদর্শ থেকে নড়িনি। এ কারণে বারবার মানুষ আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়। নির্বাচনের ফল অনুযায়ী. এ জেলায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল. রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চারবার করে জয়ী হলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া জয়ী হলেন তিনবার করে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাছিমুল আলম চৌধুরী. উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দুবার করে জয়ী হলেন। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন সেলিমা আহমাদ। কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবারসহ চারবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে টানা তিনবার জয়ী হয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ করলেন। কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী সেলিমা আহমাদ প্রথমবার নির্বাচনে এসেই জয়লাভ করেন। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন দুবার জয়ী হয়েছেন। তিনি এ আসনে চারবার প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র ও এবার আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হলেন। কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দুইবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দুবারই জয়ী হলেন। ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরু সাতবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবারসহ পাঁচবার জয়ী হলেন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই সর্বোচ্চবার জয়ী হলেন। ১৯৯১ সালেও তিনি জয়ী হন। তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর. কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন এবারসহ পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি টানা তিনবার জয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন। কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মো. আলী আশরাফ ১০টি নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি জয়ী হন পাঁচবার। ১৯৭৩ সালে স্বতন্ত্র থেকে তিনি নির্বাচিত হন। চারবার আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হন। কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছিমুল আলম চৌধুরী দুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুবারই জয়ী হলেন। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম পাঁচবার নির্বাচনে অংশ নেন। চারবার জয়ী হলেন। কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ. লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার অংশ নিয়েছেন। চারবার জয়ী হলেন। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সাতবার নির্বাচন করেন। তিনি চারবার জয়ী হলেন। | 1,572,995 |
2019-01-03 | ‘আমার এত ভোট গেল কই?’ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. সিলেট | ১৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572993/%E2%80%98%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%87%E2%80%99 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|সিলেট|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোহাম্মদ আবদুর রব মল্লিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন. ‘আমার পক্ষে শত শত কর্মী মাঠে কাজ করেছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল। আমাকে অনেকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু হিসাবের খাতায় আমার ভোট এত কম কেন? আমার এত ভোট গেল কই?’নির্বাচনের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আবদুর রব এ প্রশ্ন তোলেন। সিলেট-২ আসনে গণফোরাম মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান ৬৯ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৬ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩। জামানত হারানো প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন আবদুর রব। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুর রব বলেন. ‘আমি সব জরিপে এগিয়ে থাকার পরও আমার হাজার হাজার ভোট কারচুপি করে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’ একজন আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফলাফলে এমন রদবদল হয় বলে দাবি করেন আবদুর রব। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুর রব নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আসেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইউকে-বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান তিনি। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক আইএজি সদস্য ছিলেন। পেশায় আইনজীবী আবদুর রব বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে সিলেট-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালত বাতিল করলে তিনি তখন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এতেও বিফল হয়ে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ প্রতিবেদনে তাঁর অবস্থান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল দাবি করে আবদুর রব আরও বলেন. ‘ভোটের এক দিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেতা বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে বলেন. টাকা দিলে আমাকে বিজয়ী করা হবে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল. ফেয়ার নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হব। ১২৭টি ভোটকেন্দ্রে যেমন আমার এজেন্ট ছিল. তেমনি ছিল শত শত ভোটার। ফলফল ঘোষণার পর আমি হতবাক হয়ে যাই। এমনকি ফলাফল শুনে গত দুই দিন ধরে শত শত মানুষ আমার বাড়িতে ভিড় করে. তারাও ফলাফল মেনে নিতে পারেনি। তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল দাবি করেন।’ সংবাদ সম্মেলনে দুই উপজেলার অর্ধশত কর্মী–সমর্থকের মধ্যে মাওলানা সৈয়দ মোছলেহ উদ্দিন. মাওলানা আছাব আলী. সিলেট জেলা তরুণ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সমর আলী. বাবুল চক্রবর্তী. ব্যবসায়ী খালিক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। | 1,572,993 |
2019-01-03 | ২৭ বছর চেষ্টার পর জয় পেলেন জাহিদুর | null | প্রতিনিধি. পীরগঞ্জ. ঠাকুরগাঁও | ১৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572992/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0 | bangladesh | print | 2 | ঠাকুরগাঁও|নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|জাতীয় পার্টি|আওয়ামী লীগ | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ–রানীশংকৈল) তিন সাবেক সাংসদকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রংপুর বিভাগের মধ্যে তিনিই একমাত্র বিএনপির প্রার্থী. যিনি জয়ী হতে পেরেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি নির্বাচন করছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর মানুষের সহানুভূতির কারণে তিনি জয়ী হয়েছেন।পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম বলেন. ‘এ আসনে এবার মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির লোককে নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনয়ন দেওয়াটাই হয়েছে বড় ভুল। এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা ইমদাদুল হককে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে না দিয়ে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে কোনো শক্তিই নৌকাকে হারাতে পারত না। তা ছাড়া এ আসনের একটি বাড়িও খুঁজে পাওয়া যাবে না. যে বাড়িতে বিএনপির জাহিদুর তিন-চারবার যাননি। এ জন্য বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও অনেক ভোটার তাঁকে সহানুভূতির ভোট দিয়েছেন।’পীরগঞ্জ পৌর শহরের ব্যবসায়ী সুলতান আলমগীর সরকার বলেন. ‘জাহিদুর রহমান তাঁর অনেক সম্পদ বিক্রি করে বিএনপির রাজনীতি করছেন। ২৫-২৬ বছর ধরে নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি দুই উপজেলার সব জায়গার মানুষের সঙ্গে মিশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এবার মানুষ দল বিবেচনা করে নয়. তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েই তাঁকে ভোট দিয়েছেন। এ জন্যই তিনি এবার জয়ী হয়েছেন।’১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মকলেসুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সাংসদ হন। ওইবার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বিএনপি থেকে প্রথমবারের মতো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে পঞ্চম হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমদাদুল হক ৫৫ হাজার ৯৫৩ ভোট পেয়ে সাংসদ হন। সেবার বিএনপির প্রার্থী ছিলেন আবদুল মালেক। ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ লাঙ্গল প্রতীকে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচন করে সাংসদ হন। সেবার বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান ৮ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েও দলীয় নির্দেশে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। সেবার মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান ৪৬ হাজার ৫৪৫ ভোট পান। ২০১৪ সালের দশম নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে চতুর্মুখী লড়াই হয়েছে। নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মো. ইয়াসিন আলী. জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ. সাবেক সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. জাহিদুর রহমানের মধ্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রমতে. বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান (ধানের শীষ) পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হাজার ৭৮৯ এবং রানীশংকৈল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৩৭ হাজার ৭২১ মিলে ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭৯২ ভোট এবং রানীশংকৈল উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০৩ মিলে ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পান। এ ছাড়া মহাজোটের প্রার্থী মো. ইয়াসিন আলী (নৌকা) পীরগঞ্জ উপজেলায় ১২ হাজার ৫৩২ এবং রানীশংকৈল উপজেলায় ২৫ হাজার ৫৩১ মিলে ৩৮ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৬ হাজার ২৭৪ এবং রানীশংকৈল উপজেলায় ১০ হাজার ৯০৮ মিলে ২৭ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। তা ছাড়া এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় (সিংহ) ৫৪৮. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নাজিমউদ্দীন আহম্মেদ (হাতপাখা) ১ হাজার ৫৩. বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী প্রভাত সমীর শাহজাহান আলম (কাস্তে) ৯৭০ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. শাফি আল আসাদ (আম) ১০৯ ভোট পেয়েছেন। | 1,572,992 |
2019-01-03 | শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রের ফলাফলে লজ্জা পেলেন তিন প্রার্থী | null | প্রতিনিধি. সখীপুর. টাঙ্গাইল | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572991/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|টাঙ্গাইল|আওয়ামী লীগ|জাতীয় পার্টি | টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের তিন সাংসদ প্রার্থী শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল দেখে খুবই লজ্জা পেয়েছেন। ওই তিন প্রার্থী তাঁদের শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রে কেউ শূন্য. কেউ ৭ আবার কেউ ৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন. এই নির্বাচন ছিল প্রহসনের নির্বাচন। অতএব এ লজ্জা শুধু তাঁদের না. এ লজ্জা সারা জাতির। গত রোববারের নির্বাচনে এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলাম ২ লাখ ৭ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের কুঁড়ি সিদ্দিকী ধানের শীষ প্রতীকে ৭১ হাজার ১৪৪ ভোট পান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়. এই আসনে পাঁচজন প্রার্থী লড়েছেন। তাঁর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলাম বিয়ে করেছেন টাঙ্গাইল সদরে। ফলে এই আসনে তাঁর শ্বশুরবাড়ি নেই। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের কুঁড়ি সিদ্দিকী লেখাপড়া করছেন. এখনো তিনি বিয়েই করেননি। তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কাজী আশরাফ সিদ্দিকী বিয়ে করেছেন সখীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা গ্রামে। শ্বশুর-শাশুড়ি ভোট দিয়েছেন কাহারতা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে জামাই আশরাফ সিদ্দিকী লাঙ্গল প্রতীকে মাত্র ৪ ভোট পেয়েছেন। একই কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল লতিফের শ্বশুর-শাশুড়ির লোকজনও ভোট দিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে পাখা প্রতীকে আবদুল লতিফ ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭টি। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সফি সরকার বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বেড়বাড়িতে। এই আসনের বিজয়ী জোয়াহেরুল ইসলাম সম্পর্কে সফি সরকারের চাচাশ্বশুর হন। ওই কেন্দ্রে আম প্রতীকে ভোট পড়েছে শূন্য। শূন্য ভোট পেয়েছেন শুনে সফি বলেন. ‘ফলাফলে নিশ্চয়ই ভুল আছে।’ কাজী আশরাফ বলেন. ‘সরকার চুরি করে আমার সব ভোট নিয়ে গেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি নৌকা মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতাম।’ | 1,572,991 |
2019-01-03 | সাংসদদের শপথ আজ. আগ্রহ মন্ত্রিসভা নিয়ে | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572988/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|সরকার|শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|জাতীয় পার্টি|বিএনপি | • বেলা ১১টায় শপথ• ঐক্যফ্রন্টের সাংসদদের শপথ অনিশ্চিত• সংসদ নেতা ঠিক করতে আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা • শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে সংসদ সচিবালয় • জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। • ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন মন্ত্রিসভা. তবে শনি বা রোববারও হতে পারে • বেলা ১১টায় শপথ• ঐক্যফ্রন্টের সাংসদদের শপথ অনিশ্চিত• সংসদ নেতা ঠিক করতে আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা • শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে সংসদ সচিবালয় • জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। • ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন মন্ত্রিসভা. তবে শনি বা রোববারও হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন। বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে এই অনুষ্ঠান হবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত বিএনপি ও গণফোরামের সাত সাংসদ আজ শপথ নেবেন কি না. তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি। নির্বাচিত সাংসদদের শপথের পর আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে মন্ত্রীদের শপথ ও নতুন সরকার গঠন করা হতে পারে। এর আগে আজ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা ঠিক করা হবে। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন এবং তিনিই হবেন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী. এটা নিশ্চিত। এখন সবার আগ্রহ নতুন মন্ত্রিসভায় সদস্যহিসেবে কারা থাকছেন এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার কারা বাদ পড়ছেন তা নিয়ে। দুই দিন ধরেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেছে। এমনকি বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনা আছে। তবে বিষয়টি একেবারে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ পরিষ্কার করে বলতেও পারছেন না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতারাও ধারণা করে কথা বলছেন। সরকারি ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রের ধারণা. নতুন মন্ত্রিসভায় বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের আধিক্য থাকছে। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। সরকারি সূত্রমতে. আগামী শনি বা রোববার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা আছে। অবশ্য এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন এবং কলেবর সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন. এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি প্রয়োজন মনে করলে হয়তো কারও সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে কি না—এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন. এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ১০ জানুয়ারির আগেই সব হয়ে যাবে। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে ফলাফল স্থগিত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন বাদে গত মঙ্গলবার রাতে ২৯৮টি আসনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর ইসি সচিবালয় শপথের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে গতকাল জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দিয়েছে। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়. শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিদায়ী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ পড়াবেন। স্পিকার নিজেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী. নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ানোর আগে তিনি নিজে শপথ নেবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সদস্যরা প্রথমে শপথ নেবেন। এরপর ক্রমানুসারে অন্য দলের সাংসদেরা শপথ নেবেন। শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সচিবালয়ের স্বাক্ষর খাতায় সই করবেন। সংবিধান অনুযায়ী. জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার তিন দিনের মধ্যে শপথ করাতে হয় এবং ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে. শপথ অনুষ্ঠান শেষে আজ দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় সংসদ নেতা নির্বাচন করা হবে. যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি আসন। এর মধ্যে বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি ও গণফোরাম ২ টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সূত্রমতে. একাদশ সংসদে জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার মতো সরকারেও তারা থাকছে। যদিও জাতীয় পার্টি এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়নি। আজ বৃহস্পতিবার দলটির সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। | 1,572,988 |
2019-01-03 | উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইতালিতে ‘উধাও’! | null | অনলাইন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/international/article/1573115/%E0%A6%89.-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%89%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%93%E2%80%99 | international | online | 1 | উত্তর কোরিয়া|এশিয়া|ইতালি | ইতালিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ‘উধাও’ হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে জানা গেছে. ইতালিতে নিযুক্ত পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক নাকি একটি পশ্চিমা দেশের আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে এই খবর নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। উত্তর কোরিয়াও এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে. উধাও হয়ে যাওয়া কূটনীতিকের নাম জো সং-গিল। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ইতালিতে নিযুক্ত আছেন। পিয়ংইয়ংয়ের অত্যন্ত উচ্চপদের একজন কর্মকর্তার ছেলে জো সং-গিল। এর আগে ২০১৬ সালে লন্ডনে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নিজের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ওই কূটনীতিক দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ নেন। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন. রাষ্ট্রীয় উঁচু পদে থাকা কর্মকর্তারা পক্ষত্যাগের অর্থ হলো. তাঁরা কিম জং-উনের শাসনের প্রতিবাদ করছেন। এ ছাড়া পক্ষত্যাগকারী কূটনীতিকের অন্যান্য দেশের কাছে উত্তর কোরিয়ার স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করার সম্ভাবনাও থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারদলীয় সাংসদ কিম মিন-কি আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন. মেয়াদ শেষের আগেই দূতাবাস থেকে পালিয়ে গেছেন জো সং-গিল। গত নভেম্বরের শেষের দিকে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নভেম্বরের শুরুতেই পালিয়ে যান তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে. এখনো পর্যন্ত জো সং-গিলের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে. সেখানকার সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কোনো আবেদন করেননি জো। তাই ধারণা করা হচ্ছে. অন্য কোনো দেশের আশ্রয়ে আছেন জো সং-গিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় কিছু পত্রপত্রিকা জানিয়েছে. পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদেই আছেন জো। ৪৮ বছর বয়সী জো সং-গিল ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে রোমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায় কাজ শুরু করেন। তাঁর পরিবার উত্তর কোরিয়ায় বেশ প্রভাবশালী বলে জানা গেছে। ইতালিতে থাকা দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ. এই দূতাবাসটি জাতিসংঘের রোমভিত্তিক ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে। ফলে দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়। | 1,573,115 |
2019-01-03 | শপথ নেওয়া হলো না সৈয়দ আশরাফের | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১৩৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573114/%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 1 | আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন | জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক. বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নিয়েছেন। তবে শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে তাঁর চিঠিটি আজই স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭০ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ–সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান। সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোকজনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা. বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শোক জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক. স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম. গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন. বিদ্যুৎ.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ. সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। | 1,573,114 |
2019-01-03 | সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573113/%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 1 | দুর্নীতি|মামলা|রাজধানী | জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সড়ক ভবনের কার্যভিত্তিক একজন কার্যসহকারী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দুটি করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহারে বলা হয়. সড়ক বিভাগের কার্যভিত্তিক কার্যসহকারী মো. কামাল আক্তারুজ্জামান ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণিতে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। ২৮ লাখ টাকার ঋণ নেওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ অর্জন করেন তিনি। অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়. শাহিনুর বেগম একজন গৃহিণী। তাঁর স্বামী মো. কামাল আক্তারুজ্জামানের দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা অবৈধ অর্থ নিজের নামে ভোগদখলে রেখেছেন। তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৮ টাকার সম্পদ রয়েছে। সম্পদ বিবরণিতে তিনি প্রায় ৯৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। | 1,573,113 |
2019-01-03 | খোকার পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573112/%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE | bangladesh | online | 1 | অপরাধ|আইন ও বিচার|দুদক|মামলা | ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রী শাহনাজ ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন. সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন. সংস্থার সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়. দুজনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৩৬ লাখ টাকারও বেশি ঋণ নেওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এজাহারে আরও বলা হয়. মনিরুল ইসলাম খান মেয়রের এপিএস হলেও ব্যবসায়িক আয় দেখিয়েছেন। তাঁর আয়ের চেয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ বেশি। ঋণ নেওয়ার তথ্য দিলেও এর সপক্ষে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রদর্শন করতে পারেননি। তাঁর স্ত্রী শাহানাজ ইসলামের সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় দেখা গেছে. গৃহিণী হওয়ার কারণে তিনি কোনো আয় করেন না। মনিরুল ইসলাম তাঁর অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য স্ত্রী শাহানাজ ইসলামের নামে আয়কর নথি খুলে স্ত্রীর নামে ব্যবসার আয় ও ঋণ গ্রহণের মিথ্যা তথ্য প্রদর্শন করেছেন। প্রসঙ্গত. জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মনিরুল ইসলামের ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। | 1,573,112 |
2019-01-03 | উল্টো সুর মাহবুব তালুকদারের | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১২৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573111/%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95 | bangladesh | online | 1 | নির্বাচন কমিশন|সরকার|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন | নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের সঙ্গে বারবার ভিন্নমত পোষণ করে সরকারবিরোধীদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। প্রশংসিত সেই মানুষটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার তৃতীয় দিনের মাথায় এসে উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করলেন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের পিঠা উৎসবে অংশ নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেছেন. ‘নির্বাচন অংশীদারিমূলক হয়েছে।’ ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পর আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবে মাহবুব তালুকদার বলেন. ‘মনোরম পরিবেশে আপনাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমি খুব ভাগ্যবান. নিজে নিজেই বললাম। তার কারণ হলো. আমি আমার জীবনের প্রারম্ভে যখন সরকারের চাকরিতে আসি. তখন বঙ্গভবনে পাঁচ বছর সময় কাটিয়েছিলাম। চারজন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সেটা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। আর জীবনের শেষ পর্যায়ের এসে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সে জন্য আমি মনে করি. জীবনের প্রথম আমলা হিসেবে কাজ করা এবং জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পাঁচ বছর. এগুলো আমার জীবনে গৌরবগাথা হয়ে থাকবে।’ মাহবুব তালুকদার আরও বলেন. ‘আপনারা জানেন. আমাদের নির্বাচনের কোনো ধারাবাহিকতা নেই কিংবা ছিল না। আমরা কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে. কখনো সেনা-সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনো নির্বাচন করেছি দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু তা অংশীদারিমূলক হয়নি। এই প্রথম একটা অংশীদারি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। আমি মনে করি. এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে।’ মাহবুব তালুকদার আরও বলেন. ‘নির্বাচন যে এত বিশাল কর্মযজ্ঞ. এ বিষয়ে সত্যি আমার ধারণা ছিল না। কারণ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার কোনো সুযোগ কিংবা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কাজ করার কোনো সুযোগ আমার আমলা জীবনে কখনো হয়নি। এখানে এসে এই বিশাল কর্মকাণ্ড দেখে বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছি। কী নিরলস প্রচেষ্টায় আপনারা নির্বাচনকে সফল করেছেন. প্রত্যক্ষভাবে না থাকলে এটা আমি দেখতে পারতাম না. বুঝতে পারতাম না। আমি বিশেষ করে লক্ষ করেছি. এই বিশাল কর্মযজ্ঞের যিনি কেন্দ্রবিন্দু. আমাদের নির্বাচন কমিশনের সচিব মহোদয় এবং তাঁর সঙ্গে এখানে যাঁরা ছিলেন. তাঁরা কী নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে সফল করেছেন। সে জন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। যোদ্ধার মতোই তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে নিবিড় দাবি করে মাহবুব তালুকদার বলেন. ‘অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আমার প্রতিদিন দেখা হয়. যাঁদের সঙ্গে দুই বছরের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করেছি। আরও তিন বছর অতিবাহিত করতে পারব আশা করি। তাঁদের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক. তা নিবিড়। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গেও আমার একটা অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক রয়েছে. যেটার জন্য আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আপনারদের সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’ সবশেষে মাহবুব তালুকদার বলেন. ‘আমি একটা জিনিস সবার কাছে প্রত্যাশা করি। আমি মনে করি. আমার মতো বয়স্ক আর কেউ এখানে নেই। আপনাদের সবার দোয়া কামনা করি। আর অন্তরের অন্তস্তল থেকে আপনাদের সবাইকে দোয়া করি।’ | 1,573,111 |
2019-01-03 | যৌতুকের মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে | null | প্রতিনিধি. নেত্রকোনা | ৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573109/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 | bangladesh | online | 1 | যৌতুক|অপরাধ|আইন ও বিচার|পুলিশ|নারী নির্যাতন | নেত্রকোনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলামকে (৩৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের বাড়ি মদন উপজেলার শিবাশ্রম গ্রামে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। তাঁর স্ত্রীর নাম নিলুফার ইয়াসমিন ওরফে লাকী (২৪)। স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে. মদনের শিবাশ্রম গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৩ সালের ২২ জুন নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলি এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াদুদের মেয়ে নিলুফার ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মাজহারুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য নানানভাবে চাপ দেন। এরপর নিলুফার তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা এনে দেন। পরে তাঁর স্বামী মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০১৭ সালের ৩ মে স্ত্রী নিলুফারকে ৩ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন মাজহারুল। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নিলুফারকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন মাজহারুল। এতে মাজহারুলকে প্ররোচিত করেন তাঁর বড় ভাই ও মা। এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নিলুফার ইয়াসমিন বাদী হয়ে স্বামী মাজহারুল ইসলাম. শাশুড়ি হোসনা আক্তার ও ভাশুর আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠান। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মাজহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাক। | 1,573,109 |
2019-01-03 | বিপিএলকে অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার সেতু ভাবছেন ওয়ার্নার | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৫ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1573110/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | sports | online | 1 | অস্ট্রেলিয়া|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০ | অধিনায়ক হিসেবে আগেই তাঁর নাম ঘোষণা করে হয়েছিল। ওয়ার্নারকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিল সিলেট সিক্সার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। বল বিকৃতির অপরাধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নিষিদ্ধ সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক সংবাদমাধ্যম জানালেন তাঁর বিপিএল ভাবনা কাল ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ সকালে বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন. সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা—শুরু হয়ে গেছে ডেভিড ওয়ার্নারের বিপিএল-পর্ব। বল বিকৃতের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ ওয়ার্নার গত জুলাইয়ে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরেছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে. খেলেছেন সিপিএল। এবার এলেন বিপিএল খেলতে। আগামী মার্চে উঠে যাবে তাঁর নিষেধাজ্ঞা। মার্চে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ওয়ার্নারের ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একেবারের উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ওয়ার্নার অবশ্য বিষয়টা ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকদের হাতেই. ‘তারা আমাকে নেবে কি নেবে না. এটা নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। আমি যেটা করতে পারি. এই টুর্নামেন্টে এবং এর পর আইপিএলে রান করা। আমাকে সব সময় তৈরি থাকতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে দলে নির্বাচিত হতে আমি সেরা।’ ধারাবাহিক ভালো খেললে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই উপেক্ষা করবেন না তাঁকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জাতীয় দলে ফেরার একটাই উপায়. এই মুহূর্তে নানা দেশে যে টুর্নামেন্টে খেলছেন. সেগুলোয় ধারাবাহিক ভালো করা। কিন্তু বিপিএলে ভালো খেললেও কি নির্বাচকেরা বিবেচনায় নেবেন? টুর্নামেন্টটা কীভাবে ‘রেট’ করবেন ওয়ার্নার? ‘আন্তর্জাতিক সূচির মধ্যে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের পাওয়া অনেক কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে বিপিএলকেই দেখুন বিগ ব্যাশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। এর পর পিএসএল আছে। আইপিএল আছে। বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন সত্যি অনেক ভালো ব্যাপার। কিন্তু অনেক বিদেশি খেলোয়াড় এখানে আসতে পারেনি।’ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি. খেলতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়া দলে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি নিষিদ্ধ আগামী মার্চ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেও কোনো দিন হতে পারবেন না অধিনায়ক। বল বিকৃতির অপরাধে নিষেধাজ্ঞা এখনো শেষ হয়নি। তবে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন অনেকটাই। নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেমন কেটেছে সময়. সেই অভিজ্ঞতা বলেছেন ওয়ার্নার. ‘জীবন ভালোই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। যদি মাঠে থাকতাম. তাহলে তো এসব করতে পারতাম না। নিজের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনা ও ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাড়িতে একজন ভালো বাবা ও ভালো স্বামী হওয়া। এখন আবার সময় হয়েছে খেলার. সিলেট সিক্সার্সকে শীর্ষে নেওয়ার।’ আর সিলেটকে ওয়ার্নার শীর্ষে নিতে চান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে. ‘এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেট খেলা নিয়ে আজ ওয়াকারের (সিলেট কোচ) সঙ্গে কথা বলছিলাম। (এখানে) উইকেট নিচু ও মন্থর। এই কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন। তবে দেশে অনেক রান করে এসেছি। আর ঢাকা-চট্টগ্রামে আগেও খেলেছি। জানি. উইকেট কেমন হতে পারে। ছন্দটা ধরে নেওয়ার ব্যাপার মাত্র এবং নিশ্চিত করা যেন সিলেটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।’ | 1,573,110 |
2019-01-03 | অস্ট্রেলীয় ভাষ্যকারকে ব্ল্যাকআউট করে দিচ্ছে ভারত! | null | খেলা ডেস্ক | ২২ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1573108/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4 | sports | online | 1 | ভারত|ক্রিকেট|অস্ট্রেলিয়া | বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিরাগভাজন হয়েছিলেন হার্শা ভোগলে। চাকরি হারাতে হয়েছিল। দীর্ঘ দিন বেকার থাকার পর আবারও ক্রিকেট ধারাভাষ্য ও টিভি পণ্ডিত হিসেবে ফিরেছেন। ভোগলের মতো অতটা কঠিন না হলেও. বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা পেতে হচ্ছে কেরি ও’কিফকে। চলতি সিডনি টেস্টে যখনই তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন. তাঁর বদলে অন্যদের ধারাভাষ্য শোনাচ্ছে সনি ইএসপিএন। অনুমান করা হচ্ছে. আগের টেস্টে অভিষিক্ত মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলায় এই শাস্তি। অস্ট্রেলিয়ার হোম সিরিজ প্রচারের দায়িত্বে আছে ফক্স ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের ফিড নিয়েই যেটি ভারতে সম্প্রচার করছে সনি পিকচার নেটওয়ার্কের খেলার চ্যানেলগুলো। কোনো ঝামেলা না বাড়াতেই সনি ও’কিফকে ব্ল্যাকআউট করছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। খবরটি অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কেউ। তবে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে আগের টেস্টে করা তাঁর মন্তব্য ভারতীয় সমর্থকদের খেপিয়ে দিয়েছিল। এ নিয়ে টুইটারে এক পশলা ঝড় বয়ে গেছে। তিন ইনিংসের ক্যারিয়ার। দুটিতেই সত্তরের ইনিংস খেলে এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন মায়াঙ্ক। মেলবোর্নে অভিষেকের সময় মায়াঙ্কের ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল ধারাভাষ্য কক্ষে। কথা হচ্ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে। এ সময় ও’কিফ মন্তব্য করেন. মায়াঙ্কের ট্রিপল সেঞ্চুরিটি এসেছিল রেলওয়ের ক্যানটিন কর্মীদের নিয়ে গড়া দলের বিপক্ষে। কথাটার মধ্যে কতটা নিরীহ হাস্যরস ছিল. কতটা বিদ্রূপ; তা তো বলা কঠিন। তবে ভারতীয় সমর্থকেরা ভালোভাবে নেয়নি এই মন্তব্য। অনেকে বলছেন. এ ধরনের কথা বলা বর্ণবাদী আচরণের শামিল। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে এতটা হইচই হবে ভাববেই পারেন ও’কিফ। এর আগে তিনি বলেছেন. তাঁর বলা কথাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে. এটা অন্যায়। তিনি কী ভেবে কী বলেছেন. সেটা ধরে নিয়ে রায় দেওয়া ঠিক হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমাও চান। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। এত দিন সনি যেটা করত. সেটা হলো নিজেদের স্টুডিও থেকে ৩০ মিনিট ধারাভাষ্য দেওয়া হতো। এরপর অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ধারাভাষ্য দেখানো হতো। কিন্তু ও’কিফ যদি ধারাভাষ্য কক্ষে থাকেন. সে ক্ষেত্রে আর এ নিয়মে কাজ করা হচ্ছে না। ঘটনার দিন মার্ক ওয়াহ ব্যাখ্যা করছিলেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের ৫০ গড় অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ এর কাছাকাছি থাকবে. তখন মায়াঙ্কের ব্যাটিং দেখে ও’কিফ বলেছিলেন সে অনুযায়ী ত্রি শতক রেলওয়ের ক্যানটিনের ছেলেদের বিপক্ষে এসেছে। পরে এ মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন. ‘ভারতের প্রথম শ্রেণিতে আগারওয়াল অনেক রান করেছে এ নিয়েই কথা বলছিলাম। আমি মোটেও ভারতের ক্রিকেটের মান নিয়ে কথা বলিনি। ওটা মজা ছিল। অনেক বেশি রান তাই বলেছিলাম। যদি কেউ এতে মনঃক্ষুণ্ন হয় তবে দুঃখিত।’ রবি শাস্ত্রী এর কড়া উত্তর দিয়েছিলেন। মায়াডোর ৭৬ রানের ইনিংসের পর বলেছিলেন. ‘ও কেরিকে একটা জবাব দিয়েছে। আর সেটা হলো. যখন তুমি ক্যানটিন খুলবে তখন মায়াঙ্ক এসে কফির গন্ধ শুকে যাবে। সে দেখতে চায় ভারতে যে কফি ছিল সেটার গন্ধ ভালো নাকি এখানকারটা।’ এরপরও অবশ্য ও’কিফের আচরণ খুব একটা বদলায়নি। সে টেস্টের চতুর্থ দিনেই ভারতীয়দের নাম নিয়ে রসিকতা করেছেন। বলেছেন. ‘কেন আপনি আপনার ছেলের নাম চেতেশ্বর জাদেজা রাখবেন!’ | 1,573,108 |
2019-01-03 | বিএনপি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল: মেনন | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৪০ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573107/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A8 | bangladesh | online | 1 | নির্বাচন|সরকার|বিএনপি|রাশেদ খান মেনন | সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন. বিএনপি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে শিক্ষাব্যবস্থার যে উন্নয়ন করেছে. দেশের মানুষ আজ তার সুফল পাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে ‘বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন. ‘তারেক জিয়া ও তাঁর বন্ধুরা মিলে দেশটাকে ছেলেখেলায় পরিণত করেছিল। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে হ্যাটট্রিক করেছিল শুধু বিএনপির লুটপাটের কারণে।’ বিএনপি শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন. তখন শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা সময়মতো বই পেত না। নতুন শিক্ষক নিয়োগ হতো না. নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হতো। বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এখন বছরের প্রথম দিনই নতুন বই পাচ্ছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন রেজা. সমিতির ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান. টিঅ্যান্ডটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী কামরুজ্জামান প্রমুখ। | 1,573,107 |