content
stringlengths 40
35k
|
---|
আগামী নভেম্বরের মধ্যে পোশাক-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।মজুরি বোর্ডের সদস্যদের সাত দিনের বিদেশ সফর, ঈদের ছুটি, খসড়া সুপারিশের ওপর জনমত নেওয়া, শ্রম মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা, আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই (ভেটিং) শেষ করে চূড়ান্ত সুপারিশ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া, তাতে নভেম্বর পার হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।তবে মজুরি বোর্ডের একাধিক সদস্য মনে করেন, সদিচ্ছা থাকলে এটা সময়মতো দেওয়া সম্ভব।মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চার দিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এ অবস্থায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গত সোমবার গভীর রাতে মালিক ও শ্রমিকনেতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে সভা করেন। ওই বৈঠক থেকে নভেম্বরের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার জন্য মজুরি বোর্ডকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।নভেম্বরে মজুরি ঘোষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রমসচিব মিকাইল শিপার প্রথম আলোকে বলেন, মজুরি বোর্ডের বৈঠকের পর যে নিয়মিত কাজকর্ম রয়েছে তাতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লেগে যাবে। আর মজুরি বোর্ডের খসড়া প্রতিবেদনে যদি কোনো পক্ষের দ্বিমত থাকে, তাহলে রিভিউ (পুনর্মূল্যায়ন) করার সুযোগ থাকবে। তিনি বলেন, ‘তবে আমরা চেষ্টা করব পর পর সভা করে দ্রুত খসড়া প্রতিবেদন জমা দিতে।’এই পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা তাঁদের দায়িত্বে থাকা পোশাক কারখানাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে শ্রমিকদের শান্ত রাখতে সভা করবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে শ্রমিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হবে।আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন আর সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর দেশীয়-আন্তর্জাতিকভাবে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বেতন, জীবনমান বাড়ানোর দাবি জোরালো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন এ কে রায়কে প্রধান করে সিরাজুল ইসলাম, আরশাদ জামাল, কাজী সাইফুদ্দিন, কামাল উদ্দিন, ফজলুল হক ও সচিব মো. আবু হাসনাতকে নিয়ে মজুরি বোর্ড গঠিত হয়।বোর্ডে শ্রমিকনেতারা সর্বনিম্ন আট হাজার ১১৪ টাকা মজুরি দাবি করেন। বিপরীতে মালিকপক্ষ ৬০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। শ্রমিকেরা এখন ন্যূনতম মজুরি পান তিন হাজার টাকা। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে মজুরির এই ব্যাপক ব্যবধান দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। নিয়মানুযায়ী, চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিতে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে বোর্ড।গঠনের পর মজুরি বোর্ডের সদস্যরা কয়েকটি বৈঠক করেছেন। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। কিন্তু বোর্ডের আগের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ অক্টোবর বোর্ডের পরবর্তী সভা হবে। এর আগে তাঁরা ঢাকায় আরও একটি কারখানা পরিদর্শনে যাবেন। এরপর তারা ‘অন্য দেশের শ্রমিকদের কীভাবে মজুরি দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আধুনিক ধারণা নিতে ও অধিকতর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে’ ২৯ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড সফর করবেন। থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কার্যালয়ে বৈঠক করবেন তাঁরা।শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আইএলও এ সফরের সব খরচ বহন করবে। এক সপ্তাহ পর ৪ বা ৫ অক্টোবর তাঁরা দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরে যাবেন চট্টগ্রামে, দুটি কারখানা পরিদর্শন করতে। তার পরই শুরু হবে ঈদের ছুটি। ছুটির পর ২১ অক্টোবর মজুরি বোর্ডের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টানা পাঁচ দিন বৈঠক করেও বোর্ড যদি খসড়া সুপারিশ শ্রম মন্ত্রণালয়কে জমা দেয়, তবে মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করবে। এরপর তা মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। ১৫ দিন ওয়েবসাইটে থাকবে। তারপর সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে এবং আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিংয়ের জন্য প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তারপর চূড়ান্ত সুপারিশ শেষে গেজেট প্রকাশ।মজুরি বোর্ডের বিদেশ সফর জরুরি কি না, জানতে চাইলে শ্রমসচিব বলেন, ‘আধুনিক মজুরি স্কেল ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্যই মজুরি বোর্ডের সদস্যদের এ সফর আয়োজন করতে আমরা আইএলওকে অনুরোধ জানিয়েছি।’বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি ও মজুরি বোর্ডের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনার বিষয়টি বিভ্রান্তিকর। সবার যদি সদিচ্ছা থাকে তবে ২১ অক্টোবর মজুরি বোর্ডের পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় স্বল্পসময়ের মধ্যে মতামত দিলে অক্টোবরেই মজুরি ঘোষণা হয়ে যাবে।সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে—জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষকেই অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এমনকি সদস্যদের সবার সম্মতি নিয়ে ২১ অক্টোবরের আগেই এক বা একাধিক বৈঠক করতে পারেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান।পরিস্থিতি শান্ত রাখার পরামর্শ: গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ১১ জন নেতার সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় বৈঠক করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। বৈঠকে মন্ত্রী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নেতারা বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মাইকিং করা, বারবার সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।জানতে চাইলে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয় পরিষদের সদস্য কামরুল আহসান বলেন, ‘আমাদের যাঁরা প্রতিনিধি আছেন, তাঁদের নিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করব। এ ছাড়া বহিরাগত যারা রয়েছে, যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সব শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ থাকব। সামনে ঈদ, তাই কোনো অজুহাতে যেন শ্রমিকেরা বেতন-বোনাস পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে। আমরা দর-কষাকষির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করব।’শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হলে কী করবেন, জানতে চাইলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আগে থেকেই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে শ্রমিকেরা যেন বাঁচার মতো মজুরি পান, সেটাই আমরা আশা করছি।’মজুরি বোর্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি শ্রমিকনেতা ফজলুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। বিজিএমইএ যদি মজুরি বোর্ডের পরবর্তী সভায় যৌক্তিক প্রস্তাব দেয়, তবে এর মধ্যেই হয়ে যেতে পারে। আর বিজিএমইএ আগের মতো অবাস্তব প্রস্তাব দিলে সময় লাগতে পারে।বগুড়ার আদমদীঘিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ১১ প্যাকেট জিরাও উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনির শাহানাজ বেগম (২৬) ও চা-বাগান এলাকার শেফালী বেগম ওরফে বিউটি (২৭) নামের দুই নারীকে আসামি করে পুলিশ মামলা করেছে। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজামেঞ্চল হক বলেন, আদমদীঘির ছাতিয়ান গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের পাশের রাস্তায় ওই দুই নারী মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল বহন করছে জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায়। তাঁরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালামাল রাস্তায় ফেলেই পালিয়ে যান। আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি।সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো গতকাল রোববার।বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নিহত শ্রমিকদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে দিনটি স্মরণ করে। এসব সমাবেশ থেকে তাজরীনের মালিককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার পাশাপাশি দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।জুরাইন কবরস্থানে সকালে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় গার্মেন্টস শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। পরে এক স্মরণ সমাবেশে তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বক্তারা। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তাজরীনের মালিককে গ্রেপ্তার করা না হলে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।পরিষদের সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মাহবুবুর রহমান, জুলহাস নাইন প্রমুখ।গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শোকসভা ও প্রদীপ প্রজ্বালনের আয়োজন করে কর্মজীবী নারী। সমাবেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরেন কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক।ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল গতকাল সকালে জুরাইন কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। পরে এক সমাবেশে শ্রমিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনসের হতাহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ কারখানা ও ভবন মালিকের বিচারের দাবিতে গতকাল সকালে সমাবেশ ও মিছিল করেছে। রানা প্লাজার সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার পর সারা বিশ্ব থেকে যে পরিমাণ সাহায্য এসেছে তা দেওয়া হলে একেকজন শ্রমিক ১০ লাখ টাকা করে পেতেন।সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আক্তার, নাট্যশিল্পী অরূপ রাহী ও বন্যা মির্জা বক্তব্য দেন।সামাজিক সংগঠন প্রয়াসের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরের বিপ্লব উদ্যান প্রাঙ্গণে গরিব শীতার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা প্রয়াসের সভাপতি হাসান মুরাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি৪ বাংলাদেশের ভাইস জেলা গভর্নর মো. মোস্তাক হোসাইন। ১৬ ডিসেম্বর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের পরিচালক মুমিনুল হক, মানবাধিকার কর্মী সন্তোষ কুমার নন্দী, শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, প্রয়াসের পরিচালক মহসীন উল কাদের, চৌধুরী সাহাদাত হোসেন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মোরশেদ আলম, মো. ইসমাইল, বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, আলমগীর মো. ফারুক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। |
ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকার দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীর তেজগাঁও, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টঙ্গী, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারে সড়ক অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৮৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোষের মুখে ছুটি ঘোষণা করা হয় শতাধিক কারখানায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল নয়টার দিকে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কুড়িল বিশ্বরোডের উড়ালসেতুর ওপরে ও নিচে অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ইউরোজোন, গাজী টাওয়ার, মোহাম্মদীয়া, ক্ল্যাসিক, কেনিয়া পোশাক কারখানার প্রায় চার হাজার শ্রমিক অবরোধে অংশ নেন। এ সময় বিমানবন্দর সড়কসহ সংশ্লিষ্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।বিশ্বরোড রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বরত পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।গতকাল সকালে তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে ওই কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করা হলে শ্রমিকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশ তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সকালে ইন্টারস্টপ অ্যাপারেলস ও ডিবাইন টেক্সটাইলসহ প্রায় সব কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। আগুন ধরিয়ে দেয় রাস্তায়। কালিয়াকৈর থানার পুলিশ এসে ধাওয়া করলে শ্রমিকেরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকার পোশাকশ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা সেখানকার দুটি কারখানার প্রধান ফটক ও নিরাপত্তারক্ষীদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। র্যাব-১-এর সদস্যরা লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পৃথক দুটি ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ভাঙচুর ও নাশকতার আশঙ্কায় গাজীপুর সদর উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের খান টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। খবর পেয়ে কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে দুই কারখানার শ্রমিকেরা একত্র হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে মির্জাপুর থানার ওসি, সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, বিক্ষোভের মুখে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের চারটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার মাসকট গ্রুপের শ্রমিকেরা সকালে কারখানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাশের রেডিয়েন্স গ্রুপের শ্রমিকেরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন এবং বিভিন্ন কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় কাঠগড়াসহ আশপাশের অন্তত ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জিরাবো এলাকায় গিয়ে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।টঙ্গীর বিসিকি শিল্প এলাকার রেডিসন ওয়াশিং ও রেডিসন অ্যাপারেলস কারখানার তিন হাজার শ্রমিক সকালে কারখানার সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে এ হামলা চালায় বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। পরে টঙ্গী মডেল থানার পুলিশ লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।রেডিসন অ্যাপারেলস কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের ওপর কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসী বা কারখানা কর্তৃপক্ষ হামলা করেনি। পরে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার শিলাঞ্চলের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান লিবার্টি, মাইক্রো ফাইবার, পলমল গ্রুপ ও ওসমান নিটেক্স কারখানার শ্রমিকেরা সকালে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা আশপাশের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদেরও নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বের হতে না দিলে শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় গিয়ে ১০-১২টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের সরে যেতে অনুরোধ জানালে আস্তে আস্তে যান চলাচল শুরু হয়।প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টঙ্গী ও মির্জাপুর প্রতিনিধি।গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।এর মধ্যে গাজীপুরে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন, বন্দরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুজন এবং মির্জাপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:টঙ্গী (গাজীপুর): সদর উপজেলার নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল পৌনে নয়টার দিকে সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার দক্ষিণে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে গাজীপুরগামী একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার রুদ্রপুর হোতাপাড়া এলাকার বাসচালক মো. কাওসার (৩৫), শিশিচালার হাতেম আলী (৪৫) ও জমির উদ্দিন (৩৫), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুরহাট এলাকার আরিফুল ইসলাম (২৪) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বাইরহাটি গ্রামের মো. শামীম (২৮)।পুলিশ হতাহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরালে প্রায় আধা ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়ন (২২), শ্যামল মিয়া (২২), মো. ইব্রাহিম (৩০), মো. আরিফ হোসেন (১৮), মো. তৌফিক (২০) ও মো. হীরা (৩৫); সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার বলাই কর্মকার ও ময়মনসিংহের মো. ওবায়দুল (২৮)। অন্যদের নাম জানা যায়নি। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ: বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান জানান, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুর এলাকায় গাজীপুরগামী একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকানের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জাকির হোসেন (৩০) ও হারুন মিয়া (২৮) নামের দুজন নিহত হন। ঘটনার পর পর কাভার্ড ভ্যান রেখে এর চালক ও সহকারী পালিয়ে যান।মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার শুভুল্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এসআই পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত হন পিকআপের তিনজন ও বাসের দুই আরোহী। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার আবদুল গফুর (৩৬) ও জামালপুরের খোরশেদ আলম (৩৮)। তাঁরা পিকআপ ভ্যানে ছিলেন।মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ থানার এসআই বাহার উদ্দিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ১ নম্বর মেরুং ইউনিয়নের মেরুং খাদ্যগুদামটি মাইনী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। খাদ্যগুদামটির পাশেই চলে এসেছে নদীর পানি চলাচলের গতিপথ। নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খাদ্যগুদামটি যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ৫০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্যগুদামটি নদীগর্ভে চলে গেলে সরকারি খাদ্যশস্য মজুত রাখা সম্ভব হবে না।সরেজমিনে মেরুং ঘুরে দেখা যায়, মেরুং খাদ্যগুদামসহ হাজাছড়া এলাকার অধিকাংশ চাষাবাদের জমি মাইনী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। মেরুং খাদ্যগুদামটির পাশ ঘেঁষেই নদীর পানির গতিপথ চলে এসেছে।এক নম্বর মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জানান, মেরুং এলাকার আটটি বাঙালি গুচ্ছগ্রাম ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের মাসিক খয়রাতি রেশন মজুত রাখার একমাত্র সরকারি খাদ্যগুদাম এটি। মেরুং এলাকার খাদ্যগুদামটিসহ হাজাছড়ার অনেক এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। খাদ্যগুদামটি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নদীগর্ভেই চলে যাবে। গুদামটি নদীগর্ভে চলে গেলে ১২ কিলোমিটার দূরের উপজেলা সদর খাদ্যগুদাম থেকে খাদ্যশস্য ছাড় করে আনতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।মেরুং খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমু চাকমা বলেন, এত দিন খাদ্যগুদামের পাশে নদীতে একটি বাঁশবাগান থাকার কারণে কোনোরকমে মাটি ধরে ছিল। কয়েক দিন আগে বাঁশবাগানটিও নদীগর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যেকোনো মুহূর্তে গুদামটি নদীতে মিশে যাবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজুলল জাহিদ বলেন, ‘মেরুং এলাকার মাইনী নদীর ভাঙন এলাকাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। খাদ্যগুদামটি নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।সম্প্রযুগ (সমমনা প্রগতিশীল যুব গোষ্ঠী) পাঠাগারের উদ্যোগে সংবর্ধনা, প্রাথমিক মেধাবৃত্তি বৃত্তি প্রদান, শিক্ষক সম্মাননা ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান ২০ ডিসেম্বর ফটিকছড়ির ধর্মপুর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি রাশেদ সরোয়ার।প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা গভর্নর এস এম শামসুদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক, লায়ন্স ক্লাবস চিটাগাং মেট্রোপলিটনের সভাপতি এম জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, সমপ্রযুগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম ও মোহাম্মদ ইউনুছ।বক্তব্য দেন মেজবাহ উদ্দিন, শাহাজাহান চৌধুরী, মনসুর উদ্দিন আহমেদ, লোকমানুল আলম, আবু বকর, মোরশেদুল হক চৌধুরী, মোমিনুল হক, এস এম নুরুল আজাদ, খোরশেদুল আলম, মো. আইয়ুব চৌধুরী, আবদুছ ছালাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। |
তৈরি পোশাকশিল্পের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন এই শিল্পের মালিকেরা। এই শিল্পে এভাবে নৈরাজ্য চললে তাঁরা ঈদের বেতন-বোনাস দিতে পারবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোমলমতি নারী-পুরুষ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে পোশাকশিল্পে অগ্নস্ফুিলিঙ্গ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।পোশাকশিল্পে চলমান অস্থিরতার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে মালিকপক্ষ এভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে। সংবাদ সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ছিল বস্ত্র খাতের মালিকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান। এ সময় সংগঠনগুলোর বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গণমাধ্যমে পোশাকশিল্পকে নিয়ে কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে, যা একান্তভাবে অনভিপ্রেত। পোশাকশিল্পের জন্য প্রচণ্ড মানহানিকর ও ক্ষতিকর।প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ মনে করে বিজিএমইএ। তারা বলে, গত সোমবার একটি জাতীয় পত্রিকায় পোশাকশিল্পের মজুরি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যমূলক ও অসত্য। তবে তারা পত্রিকাটির নাম উল্লেখ করেনি। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এটি পোশাকশিল্পের শান্তি বিনষ্ট তথা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোশাকশিল্পের মজুরি সর্বনিম্ন, যা মোটেও সত্য নয়।’সোমবার বিবিসিও একটি প্রতিবেদন করে। বিজিএমইএ প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বলেছে, বাংলাদেশের একটি পোশাক কারখানায় এক পালায় ১৯ ঘণ্টা করে শ্রমিককে কাজ করতে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেও মালিকপক্ষ ছাড় দেয় না। প্রতিবেদনটির কঠোর সমালোচনা করে সংগঠনটি বলেছে, এটি মোটেও সত্য নয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে একজন সাংবাদিক বলেন, আপনারা নাম উল্লেখ না করলেও প্রতিবেদনটি প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি বা প্রথম আলোর কী স্বার্থ যে তারা এমন প্রতিবেদন করবে? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেয়নি বিজিএমইএ। তবে সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক এবং এই শিল্পের প্রেক্ষাপটে একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জড়িত। এগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি মনে করেন, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সমস্যার সমাধান হতে পারে না। মজুরি বোর্ড শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিতে পারবে।গার্ডিয়ান-এর মতো বিখ্যাত পত্রিকায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে প্রতিবেদনেরও কড়া সমালোচনা করেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। তাঁরা বলেন, পোশাকশিল্পে কমপ্লায়েন্স বা কর্মপরিবেশ ইস্যুতে যখন ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে নিয়ে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে কাজ হচ্ছে, তখন এমন বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ দেশীয় পোশাকশিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা কাম্য নয়।প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আরেকজন সাংবাদিক বলেন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কিছু রুগ্ণ পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে চায়। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একদল শিল্পের মালিক উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, তারা তাদের শিল্প ছেড়ে দিতে চান সিপিডির কাছে, গণমাধ্যমের কাছে, টক শোতে সমালোচনাকারীদের কাছে...।তবে রাতে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁরা কখনোই এমন কারখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে চাননি।নাম না বললেও প্রথম আলোতে প্রকাশিত পোশাকশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে প্রতিবেদনের তথ্য খণ্ডন করে সম্মেলনে দাবি করা হয়, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে শ্রম আইনে বিবেচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কাজের পরিবেশ, ঝুঁকি ও মান। বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও ক্ষতিকর বস্তু বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার প্রবণতা, কর্মপরিবেশ, কায়িক পরিশ্রম ইত্যাদির বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন শিল্পে মজুরি ভিন্ন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে একজন নির্মাণশ্রমিক, একজন ট্যানারি শ্রমিকের কর্মপ্রকৃতি, পরিবেশ ও ঝুঁকি পোশাক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশি। আবার চাতালশ্রমিকের শ্রমকাল মৌসুমের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে পোশাক খাতের মতো সারা বছর কাজের সুযোগ থাকে না। এ প্রসঙ্গে পোশাকশিল্পের চেয়ে আরও অন্তত পাঁচটি খাতে শ্রমিকের নিম্ন মজুরি রয়েছে বলে তথ্য দেয় বিজিএমইএ। তবে এ খাতগুলো পোশাক খাতের মতো এত বড় নয়, সংগঠিতও নয়।তৈরি পোশাক খাতে চলমান অস্থিরতা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত কয়েক দিনে অনেক কারখানায় উৎপাদন হয়নি। এই নৈরাজ্য চলতে থাকলে অনেক মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে সক্ষম হবেন না।ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক ও শ্রমিকদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দর-কষাকষি হবে বলে মনে করেন বিটিএমএর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন। তিনি বলেন, ন্যূনতম মজুরি সম্মানজনক অবস্থানে আসতে হবে। বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলছি না। তবে আমাদের সক্ষমতা দেখতে হবে। উসকানিমূলক কথা বলা উচিত হবে না।’ যৌক্তিক ও সামর্থ্য অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের আহ্বান জানাান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী।বিএনপির সরকারবিরোধী কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগের মাদারীপুর জেলা শাখা গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। যুবলীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা এক হাজারের বেশি মোটরসাইকেলে করে এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি মাদারীপুর শহরসহ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর হয়ে পুনরায় মাদারীপুর এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধিই।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে লাভ করলে সেটা নিজের আর ক্ষতি হলে তার দায় সরকারের। সবার মধ্যে এই মানসিকতা। যদিও শেয়ারবাজারের সঙ্গে সরকারের তেমন কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকে নিয়মকানুন না মেনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০০৯ সালের আগে শেয়ারবাজারের যেসব আইনকানুন ও বিধিবিধান ছিল, সেগুলো খুবই দুষ্টু। এ কারণে ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। এই ধরনের বড় ধস খারাপ, এ কথা স্বীকার করতেই হবে। তবে আইনকানুন ও বিধিবিধানের সংস্কারের ফলে গত দুই বছর ধরে শেয়ারবাজার পরিপূর্ণ (কমপ্লিটলি) স্থিতিশীল।পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিজস্ব ভবনের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে আগারগাঁওয়ে নিমির্তব্য এই ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পর অনেকে আমাকে তুলাধুনা করেছেন। অনেকে আমার পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। সে সময় বলেছিলাম, আমি যার তার কথায় পদত্যাগ করি না। নিজের ইচ্ছা আর প্রধানমন্ত্রীর হুকুমে আমি পদত্যাগ করব।’ বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের পদত্যাগের প্রস্তাব করেছিলেন বলেও অর্থমন্ত্রী জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ওপর আস্থা রেখে নানা পরামর্শ দিয়ে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন বলেও মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (অর্থমন্ত্রী) আমলা থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তাই সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে উনি আবেগতাড়িত (সেন্টিমেন্টাল) হয়ে পড়তেন। আমি তাঁকে ধৈর্য ধারণ করতে বলতাম।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। তাই সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে। কারও কথা শুনে গুটিয়ে যাওয়ার স্বভাব আমার নেই। মধ্যরাতে টকশোতে টক টক কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের সবাইকে আমি চিনি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন হয়। আর এ দেশের মানুষও দুই মাস পর কথা ভুলে যায়। এ সময় তিনি সমালোচক ও সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশে প্রায় ৩৩৫টি সংবাদপত্র আছে। তারা যখন খবরের কিছু পায় না, তখন নিজেরা মনের মাধুরী মিশিয়ে খবর তৈরি করে।সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী গ্রামে একটি পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী উত্তর পাড়ার ভরত চন্দ্র দাসের বাড়িতে একটি পারিবারিক মন্দিরে এলাকাবাসী পূজা অর্চনা করতেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে কে বা কারা হামলা করে মন্দিরে রক্ষিত দুটি প্রতিমার মধ্যে একটি ভেঙে রেখে যায়। সকালে এলাকাবাসী তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।বেলকুচি থানার ওসি আবদুল হাই জানান, গতকাল সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ, বাসে আগুন ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে জুয়েলকে জড়ানোর প্রতিবাদে ছাত্রদল সারা দেশে এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিকে ঘিরে এসব সহিংসতা ঘটে। প্রথম আলোর মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির পাঠানো খবর:মানিকগঞ্জ: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা ও সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের কয়েক শ নেতা-কর্মী কলেজটির ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী কলেজ ছাত্র সংসদের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন। এতে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শিকদার, কর্মী মেহেদী হাসান ও সৌরভ আহত হন।ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শহরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জড়ো হন। পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে কলেজে গিয়ে ছাত্রদলের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে তাঁরা শহরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান এবং আরেক দফা পোস্টার ছেঁড়েন। হামলার প্রতিবাদে বিএনপি-ছাত্রদল তাৎক্ষণিক সমাবেশ করে।জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, সমাবেশ চলার সময় ছাত্র সংসদের ভেতর থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করে কলেজ থেকে বের করে দেন।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালালে তাঁদের পাঁচ-সাতজন আহত হয়েছেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাংশের নেতা-কর্মীরা গতকাল মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে আগুন দেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে থেকে সকাল ১০টার দিকে মিছিল বের করেন ছাত্রদলের সোহেল গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মিছিলকারীরা তিতাস পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় মহাসড়কে আধা ঘণ্টার জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সাভার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ছাত্রদলের তিনজন কর্মীকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আহসান হাবিব এবং বাংলা বিভাগের মনিরুজ্জামান সাগর ও ফারুক হোসেন।নারায়ণগঞ্জ: শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গতকাল দুপুরে ছাত্রদলের মিছিলে পটকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি পুলিশের বাধায় ২ নম্বর রেলগেট ঘুরে মণ্ডলপাড়ার দিকে যাওয়ার সময় সাত-আটটি পটকার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে নেতা-কর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহমেঞ্চদ অভিযোগ করেন, ‘মিছিলে পেছন থেকে কে বা কারা পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানি না। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের এজেন্টরাই এই পটকা ফুটিয়েছে।’নারায়ণগঞ্জ শহরের সৈয়দ আলী চেম্বারের সামনে জেলা ১৪ দল ও চাষাঢ়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমান গতকাল শুক্রবার পৃথক সমাবেশ করেছেন।‘বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল নগরের ডায়মন্ড চত্বরে মঞ্চ করে সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় আবৃত্তি, গণসংগীত ও পথনাটক পরিবেশিত হয়। বিকেল পর্যন্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ১৪ দলের নেতারা।সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক সম্পাদক হিমাংশু সাহা, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন প্রমুখ।অন্যদিকে বিকেল চারটায় শহরের চাষাঢ়ায় রামকৃঞ্চ মিশনের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করে ‘গণসমাবেশে’ বক্তব্য দেন শামীম ওসমান।রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে তিন খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও কাউকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, সঠিক প্রক্রিয়ায় মামলা পরিচালিত হচ্ছে। অপরদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সার্বেয়াতলী ও পাশের খেদারমারা ইউনিয়নে আদিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।বিজিবি আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায়ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে আশপাশের এলাকায় দুই পক্ষের সশস্ত্র লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।লোকজনের আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে সশস্ত্র সংঘাত হতে পারে। তবে কোনো পক্ষই স্থানীয় লোকজনের এ আশঙ্কার বিষয়টি স্বীকার করেনি।এদিকে গতকাল রোববার বিজিবির বাঘাইছড়ি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। উপস্থিত লোকজন সাম্প্রতিক সহিংসতা, অস্ত্রের মহড়া, বন্দুকযুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।বক্তারা জানান, শিজক এলাকার হত্যাকাণ্ডের পরদিন শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বিজিবি জোন থেকে মাত্র এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জীবতলী এলাকায়ও দুর্বৃত্তরা কমপক্ষে সাতটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এর আগে ১৩ নভেম্বর উপজেলা সদর ইউনিয়নের মারিশ্যা এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় বন্দুকধারীদের তৎপরতা বেড়েছে।সভায় বক্তারা গত বৃহস্পতিবার সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলা যেন অন্য খাতে প্রবাহিত না হয় এবং প্রকৃত অপরাধীদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়, সে ব্যাপারে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।এ সময় বিজিবির জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তিমান চাকমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ, কাচালং কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দে, কাচালং বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রসেন চাকমা, তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জ্ঞানময় চাকমা, বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সুমেধ চাকমা ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি আকছার উদ্দিন। বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার সার্বেয়াতলী ইউনিয়নের শিজক কলেজের সামনে একদল দুর্বৃত্তের হামলায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির দুই নেতা ও স্থানীয় এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত শশাঙ্ক মিত্র চাকমার স্ত্রী ঝরনা চাকমা বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমাসহ জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) ও ইউপিডিএফের ১৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে তাদের কোনো সদস্যের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা: গতকাল প্রথম আলোর বিশাল বাংলায় প্রকাশিত ‘বাঘাইছড়িতে তিন খুনের তদন্ত শুরু, চেয়ারম্যানসহ আসামি ১৭’ শীর্ষক সংবাদে আইও পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুন্নবীর উদ্ধৃতি দিয়ে ‘দুর্বৃত্তরা কোন দিক থেকে এসেছে, কোন দিকে গেছে তা দেখেছি’ ছাপা হয়েছে। আইও নুরুন্নবী তা বলেননি বলে উল্লেখ করে জানান, তিনিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে দুর্বৃত্তদের আসা-যাওয়ার স্থানটি জেনেছেন।পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সভা ২৪ ডিসেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরল আনোয়ারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এ কে এম এনামুল হক ও চেয়ারম্যান জহির আহম্মদ। সভায় স্প্রিং-২০১৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১০ জানুয়ারি, ২০১৪ বিকেল সাড়ে তিনটায় সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি ফরম জমা দিতে পারবেন।সভায় আরও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এম মজিবুর রহমান, এহসানুল হক, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফজল আহম্মেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। |
রাজশাহীতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আঞ্চলিক শিক্ষাভবনে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাজশাহী কলেজের এক ছাত্রকে আটক করেছে। হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সহিংসতার ঘটনা ঘটল।‘রাজশাহীতে টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে সহিংসতা’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, গত কয়েক দিন ধরে সহিংসতা চলতে থাকায় নগরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এ উদ্বেগ নিরসনে প্রশাসনের তরফে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এ ছাড়া সহিংসতার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপালেও এর দায়দায়িত কেউ নিচ্ছে না। খবর প্রকাশের দিন আবারও নতুন করে সহিংসতা ঘটল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী কলেজে গতকাল সকাল থেকে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদলের কলেজ শাখার নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে সোনাদিঘির মোড়ে রাস্তা আটকে সমাবেশ করেন। সে সময় পুলিশ তাঁদের পাহারায় ছিল। সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়। পরে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে সমাপ্তর নেতৃত্বে নগরের মনিচত্বর থেকে আরেকটি মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা ওই কলেজের সামনে গিয়ে রাস্তায় খড় জ্বেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা রাস্তার অপর পাশে রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষাভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। নেতা-কর্মীরা ভবনের দোতলা পর্যন্ত এক পাশের সব জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।সূত্র আরও জানায়, নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে পুলিশ গিয়ে মিছিলকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। তাঁরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। ১০ মিনিট সংঘর্ষ চলার পর র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। পরে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যান।এ ব্যাপারে শফিকুল আলম বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে জুয়েলকে তথ্যমন্ত্রীর বাসায় হামলার ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে তাঁরা মিছিল বের করেন। রাস্তায় আগুন জ্বেলে প্রতিবাদ জানান। পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কিছু ঢিল শিক্ষাভবনে গিয়ে লাগতে পারে। পুলিশ শাহ আলম নামের প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রকে আটক করেছে।শিক্ষাভবনের উপপরিচালক শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই জানালার কাচ ভেঙে কক্ষের ভেতরে আসতে শুরু করে। তিনি সামান্য আঘাত পেয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে লোক পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজের সামনে অবরোধ করে রাস্তায় আগুন জ্বালান ও শিক্ষাভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে এক ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেও জানান তিনি।খাদ্য নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন এবং কৃষিপণ্যের লাভজনক মূল্য নির্ধারণে জাতীয় মূল্য কমিশন গঠনের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস) ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন পাসের নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, পরিচালক কাতব আলী, সেলিম উদ্দিন খান প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।বেলা গড়ালেই মলিন আবছা অন্ধকার ঘনিয়ে আসে এখন। খুব তাড়াতাড়ি নেমে আসে সন্ধ্যা। আকাশে জমে ওঠে হালকা কুয়াশার স্তর। গা শিরশির করা হিমেল স্পর্শ বুলিয়ে দেয় মৃদু হাওয়া। এসবই জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমার্ধ প্রায় ফুরিয়ে এল। দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলে এখন বেশ শীত। বরাবরই রাজধানীতে শীত আসে একটু দেরিতে। এখনো গরম কাপড়চোপড় দেখা যাচ্ছে না নগরবাসীর গায়ে। কোট-জাম্পার-চাদরের বাক্সবন্দী দশা ঘুচতে শুরু করেছে, তবে লেপ-কম্বলের আরও অন্তত সপ্তাহ দুয়েক আটক থাকতে হবে। সাধারণত ডিসেম্বরের আধাআধি না যাওয়া পর্যন্ত ঢাকার শীত লোকজনকে লেপ মুড়ি দিতে বাধ্য করার মতো শক্তিমান হয়ে ওঠে না। আবার ফেব্রুয়ারি শুরু হতে না হতেই হাওয়া বদলের রেশ।দাপুটে হোক বা দুর্বল, রাজধানীতে কিন্তু শীত নিয়ে রকমারি আয়োজনের কোনো ঘাটতি থাকে না। হেমন্তের শুরু থেকেই পাড়া-মহল্লা, বাজার, অফিস এলাকার ফুটপাত দিয়ে বসে গেছে পিঠা তৈরির দোকান। বিকেল থেকে ভাপা, চিতই, তেলের পিঠা বিক্রি হচ্ছে দেদার। কাঁচাবাজারে শিম, মুলা, কপি, বরবটি, টমেটোসহ শীতের সবজিগুলো এসেছে শীত আসার আগেই। খেজুরের রস দুর্লভ, তবে চলে এসেছে নতুন পাটালি। রসনায় শীতের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে পুরোপুরি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পড়েছে শীতের সাড়া। নানা ধরনের আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে উঠছে ঢাকার মঞ্চ-মিলনায়তনগুলো।অগ্রহায়ণের পাকা ফসল কৃষিনির্ভর আমাদের জনজীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। শীতকালটি তাই আমাদের দেশে আনন্দময়, উৎসবমুখর হয়ে আছে আবহমানকাল থেকে। আবার উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রচণ্ড শীতে দরিদ্র অসহায় মানুষের প্রাণহানিও ঘটে। আনন্দের গায়ে লেগে যায় বিষাদের দাগ। এসব আর্তজনের জন্য সহমর্মিতার হাতও বাড়িয়ে দেন বহু মানুষ।টেস্ট সিরিজ হারের ক্ষতটা এখনো তরতাজা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষতটা আরও গভীর হয়েছে চোটের আঘাতে। বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইলকে দেশে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিমানে ওঠা ক্যারিবীয়রা হারিয়ে ফেলেছে মারলন স্যামুয়েলসকেও। অন্যদিকে অনেক দিন পর জেসি রাইডারকে ফিরে পেয়ে আরও উজ্জীবিত নিউজিল্যান্ড। আরেকটি সিরিজ হারই কি অপেক্ষা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য?আজ থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের আগে অবশ্য ক্যারিবীয় অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো ভাবছেন অন্য রকম। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আজ অকল্যান্ডে, দিবারাত্রির ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে অধিনায়ক ব্রাভো মনে করিয়ে দিলেন টেস্ট ও ৫০ ওভারের পার্থক্যটা, ‘খেলাটির সংক্ষিপ্ত সংস্করণেই আমরা বেশি স্বচ্ছন্দ। টেস্ট সিরিজটা হতাশার ছিল, তবে আশার কথা ছেলেরা ওটাকে পেছনে ফেলে এসেছে। এটা (ওয়ানডে) পুরোপুরিই অন্য রকম।’দুর্বৃত্তদের আক্রমণে মৃত্যুর দুয়ার দেখে আসা রাইডার ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেই। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন মার্টিন গাপটিলও। এদের ফিরে পাওয়া, আট বছরের মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়, মানসিক দিক দিয়ে তো স্বাগতিক দলই এগিয়ে থাকে! কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম অবশ্য এমন ভাবেন না। ব্রাভোর মতো ম্যাককালামও মনে করিয়ে দিলেন টেস্ট ও ওয়ানডের পার্থক্যটা, ‘দুই দলই বক্সিং ডেটা শুরু করব সমান অবস্থানে থেকে। এটা আমি আগেও বলেছি, এটা পুরোপুরিই ভিন্ন খেলা। টেস্ট দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই খুশি। এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে ভিন্ন একটি দলের দিকে। আমরা জানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নতুন অনেক খেলোয়াড়, আমাদেরও অবশ্য তা-ই।’ এএফপি। |
‘পানি না থাকায় গোসল করতে পারিনি নয় দিন ধরে। খাবারও পাচ্ছি দেরিতে। টয়লেট সারছি টিস্যু দিয়ে। এক ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে অনেক বন্দীকে। দুর্গন্ধে দম ফেলা কষ্টকর।’ গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন কারাগারের বাসিন্দা নূর মিয়া ও রহিমা বেগম। শুধু তাঁরাই নন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের চার হাজার ৭৫৫ জন বন্দী এবং চার শ কর্মকর্তা-কর্মচারী পানি সংকটে পড়েছেন।সংকট নিরসনে কারা কর্তৃপক্ষ ওয়াসাকে চিঠি দিলেও সুরাহা হচ্ছে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন বন্দীরা। এ অবস্থায় কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারণ, বর্তমানে ২০ জন দুর্ধর্ষ আসামি, ১৭ জেএমবির নেতা, ১১ ফাঁসির আসামি এবং জামায়াত-শিবিরের ৫০০ নেতা-কর্মী রয়েছেন।বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে কারাধ্যক্ষ রফিকুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, নয় দিন ধরে পানি নেই। বাইরে থেকে কিনে এনে কোনোমতে কাজ সারা হচ্ছে। গোসলসহ প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়ায় বন্দীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ সুযোগে দুর্ধর্ষ আসামিরা সাধারণ বন্দীদের উসকে দিচ্ছে। এ জন্য কারাগারের প্রতিটি ওয়ার্ডে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, নষ্ট পানির পাম্পগুলো মেরামত করতে ওয়াসাকে একাধিকবার চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।কারাগার সূত্র জানায়, প্রতিদিন হাজার হাজার বন্দীর জন্য সকালে নাশতা, দুপুরে ও রাতে খাবার পরিবেশন করা হয়। এ জন্য ৩০টি রান্নার চুলা রয়েছে। রান্নাসহ যাবতীয় কাজে পানির প্রয়োজন। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুটি পানির পাম্পই নষ্ট। কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের শান্ত রাখতে বাইরে থেকে পানি কিনে আনছে। কেনা পানি নিয়ে রান্না ও টয়লেটের প্রয়োজন সাড়া হচ্ছে। এই কারাগারে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে তিন হাজার বন্দীর। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বন্দী বেশি হওয়ায় তাঁদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এখন গোসলের পানি না পাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৪২০ ফুট লম্বা পাম্পে বালু জমেছে। পরিষ্কার করার পর বোঝা যাবে, পাম্পটি চলবে কি না। মেরামতের কাজ চলছে। আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাতিকাটা টরকী গ্রামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৪) বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মীর মো. আবদুল হান্নান। বিয়ে আয়োজনের অভিযোগে ছাত্রীর বাবা এবং বিয়ের কাজী এলফানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি।আবাসিক ছাত্রাবাসের সামনে টেবিল-চেয়ার পেতে বসে আছেন শিবিরের কয়েকজন কর্মী। ছাত্রাবাসে থাকার জন্য কোনো ভর্তি-ইচ্ছুক আসতেই পড়ছেন তাঁদের জেরার মুখে। কোথায় থেকে আসছেন? কার কক্ষে থাকবেন? এমন হাজারো প্রশ্ন। পরে মুঠোফোন নম্বর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুককে। রাত নামতেই ভর্তি-ইচ্ছুকের ডাক পড়ে শিবিরের নির্ধারিত কক্ষে। সেখানে বিভিন্নভাবে শিবিরের কর্মকাণ্ড বোঝানো হচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুককে। পরে হলের ক্যানটিনে নেওয়া হচ্ছে শতভাগ কমন পড়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ‘কথিত মডেল টেস্ট’ পরীক্ষা। আবার ঘুমানোর আগে ভর্তি-ইচ্ছুকদের থাকার প্রতিটি কক্ষে পাঠানো হচ্ছে মশানিরোধক বিভিন্ন ওষুধ। কোথায়ও কোথায়ও তোশক নিয়ে হাজির শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মীরা। এভাবে নিজ দলে ভেড়ানোর জন্য ভর্তি-ইচ্ছুকদের দেওয়া হচ্ছে নানা প্রণোদনা। একাধিক ভর্তি-ইচ্ছুক ও তাঁদের অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বর্তমানে ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাত্রাবাসগুলোতে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার ভর্তি-ইচ্ছুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক ছাত্রাবাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শিবিরের। এই ছাত্রাবাসগুলো হলো আমানত, সোহরাওয়ার্দী, আলাওল, স্যার এফ রহমান ও আবদুর রব। এই পাঁচটি হলে অবস্থান করা ভর্তি-ইচ্ছুকদের দলে ভেড়ানোর জন্য নানাভাবে মগজ ধোলাই করে আসছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। পাঁচটি ছাত্রাবাসের সামনেই বসানো হয়েছে ‘হেল্প ডেস্ক’। যেখানে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা ছাত্রাবাসে আসতেই তাদের সব তথ্য টুকে নেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ভর্তি-ইচ্ছুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রাবাসে আসার প্রথম দিনই তাঁদের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে নিয়েছেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।ভর্তি-ইচ্ছুকেরা আরও বলেন, শতভাগ কমন পড়ার নামে যে মডেল টেস্ট শিবির নিচ্ছে, সেখান থেকে একটিও কমন পড়েনি। এসব ভর্তি-ইচ্ছুক আশঙ্কা করছেন, তাঁদের সব তথ্যই শিবিরের হাতে চলে যাওয়ায় পরে তাঁদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হতে পারে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমার এক আত্মীয় আমার কক্ষে অবস্থান করছেন। তাঁকে পরীক্ষার আগের রাতেও সাহায্য করার নামে বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। এতে তাঁর পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটছে।’ তবে ভর্তি-ইচ্ছুকদের নিজ দলে ভেড়াতে প্রণোদনা দিয়ে আসার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ভর্তি-ইচ্ছুকেরা দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন। অচেনা ক্যাম্পাসে শিবির তাঁদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের শিক্ষা প্রকল্প ‘অ্যাডভোকেট চন্দ্রশেখর নাথ মেধাবৃত্তি’ পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর পাঠাগার মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা পরিদর্শন করেন নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিজয় লক্ষ্মী দেবী। এ সময় পটিয়া প্রেসক্লাব, পাঠাগার ও মেধাবৃত্তি পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। |
একটি না, দুটি না, তিন-তিনটি দৈত্য বধ! প্রাইম দোলেশ্বরকে অঘটনঘটনপটীয়সী বলবেন, নাকি বলবেন এবারের লিগের আরেক ফেবারিট?এর আগে আবাহনী আর শেখ জামালকে লজ্জা ‘উপহার’ দেওয়ার পর কাল দোলেশ্বর ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। ওয়ালটন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে কালকের সবচেয়ে বড় ঘটনা এটাই। দিনের অন্য দুই ম্যাচে ভিক্টোরিয়া ৮৫ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে এবং গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স শেষ ওভারে গিয়ে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিসিএসকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এ ম্যাচে হাতে গোনা দর্শকদের যথেষ্টই বিনোদিত করল গাজী ট্যাংকের সেঞ্চুরিয়ান স্কট স্টাইরিসের ব্যাট।বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠের উইকেট এখন আর খুব বেশি মন্থর নয়। তবে কাল মন্থর হয়ে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং। ওপেনার সৈকত আলীর ৯১ বলে ৫২ রানের ইনিংসটাই তার প্রমাণ। দলের ৪৮.৫ ওভারে করা ১৮২ রানে যে সেটারই প্রভাব! মিডল অর্ডারে শ্রীলঙ্কান লাহিড়ি থিরিমান্নে (৬৮ বলে ৫১ রান) ছাড়া রান-বলের লড়াইয়ে সবাই অনেক অনেক পিছিয়ে। এটা যে শুধু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই, তা নয়। দোলেশ্বরের বোলিং-ফিল্ডিংও হলো দারুণ। হাসান্থা ফার্নান্দোর বলে শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে যেমন জিয়ার দুর্দান্ত ক্যাচটা নিলেন মেহেদী মারুফ।ফার্নান্দো অবশ্য ওই একটা উইকেটই পেয়েছেন। তিনটি করে উইকেট পেয়ে এদিক দিয়ে এগিয়ে সোহাগ গাজী আর তিলকারত্নে সামপাথ। শ্রীলঙ্কান এই অলরাউন্ডার পরে ব্যাট হাতেও রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দোলেশ্বর যখন পরাজয়েরই শঙ্কায় দুলছিল, স্বদেশি রোশান শিভাঙ্কা সিলভার (৬৩*) সঙ্গে সামপাথের (৩৪) ৮৯ রানের জুটিই জয়ের দিকে নিয়ে যায় দলকে। চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে মোহামেডান ও গাজী ট্যাংকের মতো প্রাইম দোলেশ্বরের পয়েন্টও এখন ৬।এবারের লিগে এখন পর্যন্ত দুবার এক শর নিচে অল আউট হওয়া সিসিএস নিশ্চিতভাবেই কাল গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিল নিজেদের ব্যাটিংয়ের পর। ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৫৫—গাজী ট্যাংকের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার মতোই ছিল ব্যাপারটা। কিন্তু ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েও সিসিএস জিততে পারল না মূলত অভিজ্ঞতার কারণে। গাজীর ২৬ রানের মধ্যে উসমান তারিক আর আফতাব আহমেদের উইকেট তুলে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন সিসিএসের আসিফ আহমেদ। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েস (৫৪) ও স্টাইরিস (১০২) মিলে ৮৬ রান যোগ করে সামলে নেন সে বিপর্যয়। আর তুলির শেষ আঁচড়টা দিলেন রকিবুল হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে হামিদুলের (২৩*) সঙ্গে ১৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৫৮। তাতে চার বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল দুই ছক্কাও—রকিবুল যেন বদলাতে শুরু করেছেন নিজেকে!ফতুল্লায় ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কলাবাগান। এনামুল ও শালিকা করুনানায়েকের পঞ্চাশের সুবাদে ২৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। জবাবে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৪৭তম ওভার পর্যন্ত খেলেও ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি। চতুর্থ ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় ভিক্টোরিয়ার। সমান ম্যাচে কলাবাগানের তৃতীয় পরাজয়।সং ক্ষি প্ত স্কো র ভিক্টোরিয়া: ৪৮.৪ ওভারে ২৩১ (সৌম্য ৫, এনামুল বিজয় ৭০, মাইশুকুর ১০, করুনানায়েকে ৭০, নাসির ৭, মিলিন্দা ৭, জুবায়ের ২৬, শরীফ ১১, এনামুল ১, বীরাকুন ২*, মনির ২; রাসেল ২/৫৪, চিন্থাকা ২/৩১, ফরহাদ ২/১৪, সাজু ০/৫৮, জিহান ৩/৩৮, নাদিফ ১/৩০)। কলাবাগান কেসি: ৪৬.৫ ওভারে ১৪৬ (মিঠুন ২১, মাহবুবুল ২৬, নাদিফ ১০, জিহান ২২, নাঈম ৫, কাপুগেদারা ৩, তাসামুল ৩৪, ফরহাদ ১৫, রাসেল ০, সাজু ৩, চিন্থাকা ২*; বীরাকুন ০/৩১, শরীফ ০/১৪, মনির ২/২৭, মিলিন্দা ২/৩৩, নাসির ৩/২১, এনামুল ৩/২০)। ফল: ভিক্টোরিয়া ৮৫ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শালিকা করুনানায়েকে (ভিক্টোরিয়া)। সিসিএস: ৫০ ওভারে ২৫৫/৭ (উত্তম ৪, অমিত ৩৭, আসিফ ১৪, সালমান ৭৩, রুপাসিঙ্গে ৫৫, নাজমুল মিলন ১৩, নুরুল হাসান ১৯*, পারাবাতানি ৩, তুষারা ২০*; রুবেল ২/৪৫, বীরারত্নে ০/২৭, আরাফাত সানি ৩/৫০, উসমান ০/৪২, নাঈম জুনিয়র ১/৪৪, নূর হোসেন ০/১৯, স্টাইরিস ১/২১)। গাজী ট্যাংক: ৪৯.১ ওভারে ২৫৯/৫ (উসমান ৫, ইমরুল ৫৪, আফতাব ৭, স্টাইরিস ১০২, রকিবুল ৫৮*, বীরারত্নে ০, হামিদুল ২৩*; তুষারা ১/৪৯, আসিফ ২/৪৭, বিশ্বনাথ ০/৫০, ইমামুল ০/৩৫, পারাবাতানি ১/৫৩, নাজমুল ১/২৪)। ফল: গাজী ট্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্কট স্টাইরিস (গাজী ট্যাংক)। প্রাইম ব্যাংক: ৪৮.৫ ওভারে ১৮২ (সৈকত ৫২, জিয়া ২, টেলর ১২, থিরিমান্নে ৫১, মাহমুদুল ২, জীবন ২, তাইবুর ৩৪, ফরিদউদ্দিন ১৬, তাপস বৈশ্য ১, এনামুল জুনিয়র ০, রহমান ১; ফার্নান্ডো ১/৩৪, ফরহাদ ২/২৩, সোহাগ ৩/২৯, সামপাথ ৩/৩৪, তাইজুল ০/৩৫, সাব্বির ১/২৩)। প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৫.৪ ওভারে ১৮৩/৫ (রবিউল ১২, মেহেদী ৩১, সাব্বির ০, মমিনুল ২১, শিভাঙ্কা ৬৩*, সামপাথ ৩৪, ফরহাদ ১৪*; তাপস ১/৩৩, রহমান ১/২৯, ফরিদউদ্দিন ১/১০, জীবন ০/৩৬, এনামুল জুনিয়র ২/৪২, তাইবুর ০/২২, মাহমুদুল ০/৬)। ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তিলকারত্নে সামপাথ (প্রাইম দোলেশ্বর)।বাঙ্গালী নদীর শাখায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বসতভিটা ও তিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার লোকজনকে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে।ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ তারেক ও তাঁর সমর্থকেরা ওই স্থানে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই মাস আগে জেলা প্রশাসক ওই বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও তা অপসারণ করা হয়নি।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার গোপালপুর মৌজা ও ধুনট উপজেলার আরাজি বিলচাপড়ী মৌজার উত্তর সীমানা দিয়ে বাঙ্গালী নদী বিভক্ত হয়ে ধুনটের বিলচাপড়ী মৌজা দিয়ে এর একটি এবং শেরপুরের গোপালপুর ও চৌবাড়িয়া মৌজায় আরেকটি শাখা দিয়ে বথুয়াবাড়ী মৌজায় গিয়ে মূল নদীতে গিয়ে পড়েছে। ছয় মাস আগে ধুনটে শাখা নদীর এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী এলাকায় অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এ পানি শেরপুরের প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মূল নদীতে পড়ছে। এতে পানির চাপ ও তীব্র স্রোতের কারণে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অভিযোগ করেন, বাঁধের কারণে উপজেলার শালফা, চৌবাড়িয়া, বরইতলী ও বথুয়াবাড়ী গ্রামের অর্ধশত পরিবারের বসতভিটা এবং ২০০ বিঘা তিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ৩০০ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ভাঙন এক-দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে শেরপুর-ধুনট সড়ক ও নবনির্মিত বথুয়াবাড়ী সেতু হুমকির মুখে পড়বে। জলাবদ্ধতার কারণে বরইতলী, শালফা ও গজারিয়া গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।চৌবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, এখন তাঁদের প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটছে। কখন বুঝি কার জমি হারিয়ে যায়। চৌবাড়িয়া গ্রামের রুবেল আহমেঞ্চদ বলেন, অবৈধ বাঁধ অপসারণের জন্য তাঁরা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয় থেকে এ বাঁধ যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের ১ অক্টোবর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও তা অপসারণ করা হয়নি।শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সরোয়ার জাহান জানান, বাঁধ অপসারণ না করার বিষয়টি তিনি গত বুধবার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।আমাদের ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ আ.লীগ নেতার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই দিনই বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আইনজীবী ইকবাল কবির তিন দিনের মধ্যে নদী থেকে বাঁধ অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ ও বন, পানিসম্পদ, ভূমি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ সেপ্টেম্বর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বাঁধ অপসারণ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ধুনটের ইউএনওকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ইউএনও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ।আওয়ামী লীগ নেতা এম এ তারেক বলেন, ‘তিনটি গ্রামের মানুষ ভাঙন থেকে জমি রক্ষা করতে নিজেদের উদ্যোগে আড়িয়ামারা খালে বাঁধ নির্মাণ করেছে। আমি এ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নই।’ধুনটের ইউএনও হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকার শাপলা চত্বরে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আবারও মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল মাদ্রাসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ কর্মসূচি দেন।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ সোমবার বেলা তিনটায় হাটহাজারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।হেফাজতে ইসলামের পরবর্তী কর্মসূচি: ২৯ নভেম্বর দেশের সব উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। এ ছাড়া ২৪ নভেম্বর চাঁদপুরে, ৩০ নভেম্বর টাঙ্গাইলে, ৯ ডিসেম্বর দিনাজপুরে, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে, ২০ ডিসেম্বর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, বগুড়া, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীতে শানে রেসালত মহাসমাবেশ।লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, হেফাজতে ইসলাম কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানো এবং ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করছে না। অভিযোগ করা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে অব্যাহত কুৎসা রটনা, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অপপ্রচারে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৮ দলের নেত্রীর ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি জুড়ে দিয়ে ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে পোস্টারিং করা হচ্ছে।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা শামসুল আলম ও হাফেজ তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক আশরাফ আলী নিজামপুরী।‘আমি এক মহা আনন্দের সংবাদ তোমাদের জানাতে এসেছি। এই আনন্দ জাতির সমস্ত মানুষের জন্যই সঞ্চিত হয়ে আছে। আজ দাউদ নগরে তোমাদের ত্রাণকর্তা জন্মেছেন, তিনি সেই খ্রিষ্ট, স্বয়ং প্রভু।’পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে আসা যিশুখ্রিষ্টের আগমনবার্তা এভাবেই ধ্বনিত হয়েছিল দেবদূতের কণ্ঠে। তাঁর সেই জন্মের মহাক্ষণ বড়দিন ছিল গতকাল বুধবার। দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় এই উৎসব উদ্যাপন করে আনন্দঘন পরিবেশে।সকাল থেকেই রাজধানীর গির্জাগুলো পূর্ণ হয়ে ওঠে ভক্তদের পদচারণে। প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনের শুরু।গতকাল সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার রানি গির্জা) সকাল নয়টায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পবিত্র এই দিনে আমরা ধর্মীয় প্রার্থনার সঙ্গে দেশের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেছি। সবার সর্বাঙ্গীণ চেষ্টা আর শুভবোধের উদয়ে দেশজুড়ে বিরাজমান শঙ্কা দূর হবে।’রাজধানীর রমনা গির্জায় দুবার প্রার্থনা পরিচালিত হয়। একবার বাংলায়, আরেকবার বিদেশিদের জন্য ইংরেজিতে।ঢাকাসহ দেশের সব গির্জা ও পাঁচতারা হোটেলেও ছিল বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছিল দৃষ্টিনন্দন করে।এর মধ্যে সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল শিশুদের জন্য ফ্যাশন শো, পাপেট শো, ব্যান্ড শোর আয়োজন করা হয়। নাচ, গান ও খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর সময় কাটায় শিশুরা। সান্তা ক্লজের কাছ থেকে উপহার পেতে ব্যগ্র ছিল তারা।দিনটি ছিল সরকারি ছুটি। বড়দিন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। |
এক অ্যাশেজের ঝাঁজ রয়ে গেছে এখনো। আরেক অ্যাশেজের আঁচ লাগতে শুরু করেছে এর মধ্যেই। পিঠাপিঠি অ্যাশেজের দ্বিতীয়টির ঘণ্টা বেজে গেছে ইংলিশ স্কোয়াড ঘোষণায়। তবে এর আগেই মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু করে দিয়েছেন ড্যারেন লেম্যান। ইংল্যান্ডের দল ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে অস্ট্রেলিয়া কোচ বলেছেন, ইংল্যান্ডের খেলার ধরন বিরক্তিকর!স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে মন্তব্যের কারণে কদিন আগেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে লেম্যানকে। জরিমানাও গুনতে হয়েছে। তবে তাতে যে খুব একটা দমে যাননি অস্ট্রেলিয়ার কোচ, এই মন্তব্যই তার প্রমাণ। কথাটি বলেছেন তিনি বিবিসি রেডিওর এক অনুষ্ঠানে, যেটির উপস্থাপক ছিলেন আবার সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন। সাবেক ইয়র্কশায়ার সতীর্থের কাছে ভনের প্রশ্ন ছিল, ইংল্যান্ডের খেলার স্টাইল কেমন লাগে। লেম্যানের ঝটপট উত্তর, ‘বিরক্তিকর, এই ধরনের ক্রিকেট আমি কখনোই খেলতে চাইব না। কখনো কখনো তাদের ওভার-রেট একটু বাড়তির দিকে দেখলে ভালো লাগবে আমার।’লেম্যানের ইঙ্গিত হয়তো গত অ্যাশেজের শেষ টেস্ট নিয়ে। ইংল্যান্ড ড্রয়ের জন্য অনেক ধীরগতিতে খেলেছে এবং ইচ্ছে করেই দেরি করে বোলিং করেছে বলে সেই সময় বেশ হইচই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে লেম্যানের মন্তব্যের জবাবটাও আসতে দেরি হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান কোচকে খোঁচা দিয়ে কেভিন পিটারসেন টুইট করেছেন, ‘লেম্যান বলেছেন আমাদের ক্রিকেট বিরক্তির। অ্যাশেজের স্কোরলাইনটা ঠিক মনে পড়ছে না আমার...৩-০ নাকি প্রায় ৪-০!’ইংল্যান্ডকে কাবু করার উপায়ও নাকি খুঁজে পেয়েছেন দীর্ঘদিন কাউন্টিতে খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘ইংল্যান্ডের কিছু ব্যাপার আমরা বের করতে পেরেছি। সামনের সিরিজে সেসব আমাদের অবশ্যই কাজে লাগবে। অ্যাশেজের শেষ তিন টেস্টে আমরা যেভাবে খেলেছি, তা আমার খুবই ভালো লেগেছে। দলের শরীরী ভাষা ও আগ্রাসন ভালো লেগেছে।’প্রসঙ্গটি উঠেছিল ইংল্যান্ডের দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনেও। সেখানে প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অফ স্পিনার জিওফ মিলারের কথা, ‘খেলার ধরন কন্ডিশনের সঙ্গে বদলায়। দেশে একরকম, দেশের বাইরে আরেক রকম। আমার খুশি যে আমাদের দল যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।’ ইসিবির ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মরিস মনে করিয়ে দিয়েছেন দলের সাফল্যের কথা, ‘আমাদের খেলার স্টাইল নিয়ে আমি খুবই তৃপ্ত। গত পাঁচ বছরে পারফরম্যান্সই আমাদের হয়ে কথা বলেছে। অ্যালিস্টার কুক অধিনায়ক হওয়ার পর গত এক বছরে আমরা চার টেস্ট সিরিজের তিনটি জিতেছি, বাকিটি হয়েছে ড্র। এর মধ্যে ছিল গত ২৮ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভারতে সিরিজ জয়, ছিল ৩-০ তে অ্যাশেজ জয়। আমাদের স্টাইল ও লক্ষ্য হলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো জেতা, সেটি আমরা ধারাবাহিকভাবেই করতে পেরেছি।’যুক্তি, পাল্টা যুক্তি, খোঁচা—সব মিলিয়ে কথার লড়াই জমে উঠতে শুরু করেছে এখনই। লেম্যান যেহেতু দৃশ্যপটে আছেন, কথার লড়াই সামনে আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ওয়েবসাইট।সকালে একবার সম্ভাবনা জেগেছিল খেলা শুরু হওয়ার। তবে সম্ভাবনা পর্যন্তই। দিনভর ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টিতে চা-বিরতি পর্যন্তও সব কভার উঠল না মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে। অগত্যা চা-বিরতির ঠিক আগে ম্যাচ রেফারি জানিয়ে দিলেন, খেলা হবে না। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া পঞ্চম দিন শেষে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের ফলাফল তাই ড্র। কিন্তু এই ফলাফল যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারছে না বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে!বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ মানেই ছিল অসম লড়াই। কিন্তু এবারের চট্টগ্রাম টেস্ট চিত্রনাট্য বদলে দিল। ঢাকা টেস্টের আগে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামও যেখানে জেতার কথা বলেননি, সেখানে মুশফিক বলেছিলেন, এই টেস্টটা তাঁরা জিততে চান। প্রত্যাশিত ফলাফল না আসায় কাল সিরিজ শেষে আশাহত শোনাল বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠ, ‘ড্র করার জন্য তো আপনি কোনো ম্যাচ খেলেন না। অবশ্যই জেতার জন্য খেলেন। আমাদের টার্গেটও সেটাই ছিল। আমরা টেস্টটা জিততে চেয়েছিলাম, ড্র করতে নয়।’ অবশ্য স্বীকারও করেছেন, প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটা খুব ভালো না হওয়ার পর ফলাফল হিসেবে ড্রটাও স্বস্তির।চতুর্থ দিন শেষে তিন রকম ফলের সামনে দাঁড়িয়েছিল ঢাকা টেস্ট। শেষ দিনটা বৃষ্টিতে খেয়ে না নিলে এই টেস্টে কী হতো, তা বলা একটু মুশকিলই। তবে মুশফিক বাস্তবতা মানছেন। মুশফিকের প্রতিধ্বনি কোচ শেন জার্গেনসেনের মুখেও, ‘আমার মনে হয়, সিরিজ ড্র হওয়ায় দুই দলই খুশি। তবে এই টেস্ট আমাদের জন্য একটা সুযোগ হয়ে এসেছিল, যেটা আমরা হাতছাড়া করেছি। তার পরও আমি গর্বিত। এটাকে উন্নতি হিসেবেই দেখছি, কারণ আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেড কোচ হওয়ার পর আমরা একটা টেস্টে ভালো খেললেও অন্যটাতে সে রকম খেলিনি।’ফলাফলের অংশটুকু বাদ দিলে সিরিজের কোনো কিছু নিয়েই বাংলাদেশ দলের অতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম টেস্টে সোহাগ গাজীর ব্যাটিং-বোলিং, ঢাকায় সাকিবের বোলিং, নিজেকে বদলে তামিম ইকবালের অমন ধৈর্যশীল ইনিংস, কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই টেস্টেই মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। অধিনায়কের তৃপ্তিটাও এখানেই, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ভালো খেলা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলা। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস পর টেস্ট খেলেছি বলে কাজটা সহজ ছিল না। সিরিজের আগে আমরা সেভাবে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। আমাদের জন্য তাই এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। খেলোয়াড়েরা যেভাবে পারফর্ম করেছে, আমি এটাকে ব্যতিক্রমই বলব।’একটা টেস্ট ভালো খেলে পরের টেস্টে সেই ভালোটা ধরে রাখার উদাহরণ কমই আছে বাংলাদেশ দলের। নিউজিল্যান্ড সিরিজ ব্যতিক্রম সেখানেও। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং প্রত্যাশা পূরণ না করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল-তামিম বড় কিছুরই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মুশফিকের দৃষ্টিতে ব্যতিক্রম এটাও, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং যদি খেয়াল করে দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, ওই একই পিচে তারা কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে খেলেছে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।’ সাকিবের ৫ উইকেট বা তামিমের ধৈর্যশীল ৭০ রানের ইনিংসটা ঢাকা টেস্টের প্রাপ্তির খাতায় থাকলেও তাঁদের কাছে প্রত্যাশা কখনো কখনো আরও বেশি। চট্টগ্রাম টেস্টে সে প্রত্যাশা তাঁরা কেউই পূরণ করতে পারেননি। তার পরও ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই টেস্ট নিয়েই গর্ব করা যাচ্ছে দলে পারফরমারের সংখ্যা বাড়ায়। ‘আমাদের দল আগের চেয়ে পরিণত হচ্ছে। আগেও বলেছি, আমাদের পারফরমারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আশা করছি, তারা এটা ধরে রাখবে’—বলছিলেন মুশফিকও।ছোটখাটো কিছু অতৃপ্তিও আছে অধিনায়কের। তামিমের সঙ্গে এনামুল হকের (বিজয়) ওপেনিং জুটি একটি। কোনো কোনো ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও আছে অসন্তুষ্টি। এ ছাড়া পেসারদের কাছেও ছিল আরও কিছু প্রত্যাশা। তার পরও সবকিছু মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলে ড্র অর্জন বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতায় মোটা হরফেই লেখা থাকবে।সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা এবার ওয়ানডে সিরিজেও নিয়ে যেতে চান মুশফিকুর রহিম। ২৯ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। অধিনায়ক কাল সরাসরিই বলে দিলেন, সে সিরিজেও জয়ই লক্ষ্য তাঁদের, ‘প্রথম কথা, আমরা সিরিজটা জিততে চাই। তার জন্য আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ড দুর্বল দল নয়। তার পরও টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও খুব ভালো ফলাফল করব, ইনশা আল্লাহ।’কথাটা কি একটু জোর দিয়েই বললেন মুশফিক? বলতেই পারেন। ২০১০ সালে এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই তো ‘বাংলাওয়াশ’ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সে স্মৃতি ম্যাককালামরাও নিশ্চয়ই ভোলেননি।বাংলাদেশ: ২৮২ ও ২৬৯/৩; নিউজিল্যান্ড: ৪৩৭; ফল: ম্যাচ ড্রনির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠিত হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটগুলোতে পুরোনো মন্ত্রীদেরই নাম এখনো রয়ে গেছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো দীপু মনিকে মন্ত্রী হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়লেও মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে মন্ত্রীর ঘরে তাঁকে মন্ত্রী দেখানো হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নুরুল ইসলাম নাহিদকে দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে আগের মন্ত্রীদের নাম রয়েছে। একই অবস্থা আইন, সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের।চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর কর্মসূচির শুরুতে ছিল নিয়মিত সমাবেশ। এতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবশেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র গেরিলা প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। |
নানা চাপে তাঁর ক্যারিয়ারে এখন অমানিশার অন্ধকার। সাফ ফুটবলে ভালো না খেলা, বাফুফের তদন্ত কমিটির সামনে সময়মতো হাজির না হওয়া, নতুন মৌসুমের জন্য দুই ক্লাব থেকে টাকা নেওয়া—জাহিদ হোসেন এখন ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত নাম। এসব নিয়েই টাঙ্গাইল থেকে কাল ফোনে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন এই ফুটবলার কোথায় আছেন এখন?জাহিদ হোসেন: টাঙ্গাইলে আমার বাড়িতেই আছি। মনটা খুব খারাপ। মন খারাপ কেন? ফুটবল খেলে ভালোই তো টাকা পাচ্ছেন। শেখ রাসেল নাকি ৩৭ লাখ টাকায় আপনার সঙ্গে চুক্তি করেছে?জাহিদ: ধুর, এখন চুক্তি-টুক্তির কথা বলবেন না তো! আমার মন খারাপ কেন আপনারা তো জানেন। এই যে আমাকে নিয়ে কী হচ্ছে এসব? চারদিকে যা হচ্ছে, শুনে আমি খুবই হতাশ। এই অবস্থা তো আপনি নিজেই ডেকে এনেছেন। সাফে খারাপ খেলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু তদন্ত কমিটির সামনে সময়মতো এলেন না কেন?জাহিদ: কই, আমি তো ফেডারেশনে গিয়েছি কাল (পরশু)। ১২টায় টাঙ্গাইল থেকে রওনা দিই। ঢাকায় যেতে যেতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তাই সময়মতো হাজির হতে পারিনি কমিটির সামনে। আপনাকে তদন্ত কমিটি ডেকেছিল রোববার। আপনি এলেন সোমবার। তার মানে, এসব আপনি পাত্তা দেন না?জাহিদ: না, না, পাত্তা দেব না কেন? আসলে আমার জ্বর ছিল। ফেডারেশন থেকে ফোন করে আমাকে পায়নি। প্রথম আলোতে ‘জাহিদ নিখোঁজ’ নিউজটা দেখে জানতে পারি, আমাকে ডেকেছে তদন্ত কমিটি। তারপর নিজের ইচ্ছাতেই তো এলাম। কিন্তু আপনার এসব ব্যাখ্যায় বাফুফে সন্তুষ্ট নয়। এখন যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় ফেডারেশন?জাহিদ: শাস্তি পাওয়ার মতো কিছু করিনি আমি। সাফে খারাপ খেলেছি, এটা আমি স্বীকার করেছি। এখানে শাস্তি দেওয়ার কী আছে? আপনি কোচকে অভিযুক্ত করে পত্রিকায় বক্তব্য দিয়েছেন। কোচ আপনাকে প্রেসিং করে খেলতে বলায় আপনি অসন্তুষ্ট!জাহিদ: ঘরোয়া ফুটবলে তো দেখেন, আমি কীভাবে খেলি। আমি অ্যাটাকিং প্লেয়ার। অত প্রেসিং করতে পারি না। এবার সাফে কোচ আমাকে প্রেসিং করতে বলেছেন। সেটা আমি অত ভালো পারিনি। খেলা না উঠলে কী করব! অনেকে তো বলছেন, সামনের দলবদলের জন্য আপনি পা বাঁচিয়ে খেলেছেন। এটা কি সত্য?জাহিদ: পা বাঁচানোর চিন্তা করে মাঠে নামি না। সব সময়ই চাই সেরাটা খেলতে। কিন্তু খেলা না উঠলে কী করার আছে, বলুন! কোচ ডি ক্রুইফ তো ইঙ্গিত করেছেন, আপনাকে আর জাতীয় দলে ডাকবেন না...জাহিদ: এটা কোচের সিদ্ধান্ত। কাঠমান্ডু সাফে নেপাল ম্যাচের পরদিন কোচ আমাকে তাঁর রুমে ডেকে বললেন, ‘তোর কী হয়েছে, বল তো!’ আমি বললাম, আমার খেলা ওঠেনি। ভারত ম্যাচে তো আমাকে নামানোই হয়নি। পাকিস্তান ম্যাচে তিনটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। তবু কোচ বিরতির সময় আমাকে তুলে নেন। মোহামেডানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি শেখ রাসেলেই নাকি থেকে যাচ্ছেন। এই ঘটনায়ও তো শাস্তি পেতে পারেন।জাহিদ: আমি তো কোনো অন্যায় করিনি। মোহামেডানের টাকা ফেরত দেবে শেখ রাসেল। এখানে আমার কোনো দায় নেই। আমাকে শাস্তি দেওয়ার কোনো কারণও দেখছি না। তার পরও দিলে কী করার আছে! এলাকার লোকজন কী বলছেন। আপনি এত ভালো খেলোয়াড়, অথচ মেধা কাজে লাগালেন না...জাহিদ: এলাকার লোকে বলে, কী, ভালো খেলতে পারলি না কেন? আমি বলি, হয়ে গেছে। এটা আমার আম্মাকেও বলি। যিনি এখন আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মুক্তা বেগম (৩৫) ও মৃত্তিকা আখতার (৭) নামের মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়কের বারাইহাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়ক দিয়ে নজরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী মুক্তা ও মেয়ে মৃত্তিকা নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী গ্রামে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। ফুলবাড়ীর বারাইহাট নামক স্থানে পৌঁছালে দিনাজপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খায় মোটরসাইকেলটি। এতে মা-মেয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত নজরুল ইসলামকে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।হতাহত ব্যক্তিরা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে নোয়াখালীতে গতকাল রোববার সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১৮-দলীয় জোট।বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শহরের পৌর বাজার থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে বিকেল চারটার দিকে পৌর বাজারের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ।সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমগীর, শহর জামায়াতের আমির রুহুল আমিন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, জামায়াতের নেতা তাজুল ইসলাম ও বিএনপির নেতা সহিদুল ইসলাম।দীঘিনালায় বিক্ষোভ: দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।বিকেলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা।বেসরকারি সংগঠন সেন্টার ফর লিডারশিপ অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড প্রমোশন ফাউন্ডেশন ও শাইনিং ইয়ুথ ক্লাব চিটাগাংয়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শীতবস্ত্র ও নগদ অনুদান সংগ্রহ এবং বিতরণ কর্মসূচি।ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর নাসিরাবাদের তুলাতুলি বস্তিতে প্রায় ৫০০ জন দুস্থ মানুষ এবং বায়েজিদের এডু-আলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি। |
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পোশাক তৈরির একটি কারখানার ওয়াশিং মেশিনের ভেতর ফেলে এক শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ভান্নারা এলাকার চায়না কিচেন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা থেকে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত শ্রমিক মো. উজ্জ্বল মিয়া (১৬) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার শিবপুর সেনেরপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে। সে ওই কারখানায় ওয়াশিংয়ের সহযোগী পদে কাজ করত।কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, সকালে ওয়াশিং মেশিনের পাশে উজ্জ্বল, তার সহকর্মী মো. খলিলুর রহমান (২৮) ও আবু বকর বসে একে অপরকে ছোট ইটের টুকরা ছুড়ছিল। একপর্যায়ে খলিল উজ্জ্বলকে কোলে তুলে পাশে থাকা ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ফেলে দিয়ে সুইচ চালু করে দেন। এতে উজ্জ্বলের মাথা ও মুখমণ্ডল থেঁতলে যায় এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনার পরপর খলিলুর কারখানা থেকে পালিয়ে যান।কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কারখানা থেকে আবু বকরকে আটক করে। উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।কারখানার ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হবে।সৈয়দপুর ক্রিকেট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি আয়োজিত গোল্ডকাপ টি টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলায় রংপুর কিংস ইলেভেন ক্লাবকে ৩৯ রানে পরাজিত করে সৈয়দপুরের ন্যাশনাল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় রেলওয়ে মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।খেলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সৈয়দপুর ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাব নির্ধারিত ২০ ওভারের বৃষ্টিবিঘ্নিত ১৮ ওভারের খেলায় ৯ উইকেটে ১৪৬ রান করে। জবাবে ১৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে রংপুর কিংস ইলেভেন ক্রিকেট ক্লাব ১৬ ওভার ২ বলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে।খেলায় সৈয়দপুর ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের সৌরভ ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং একই ক্লাবের কামঞ্চী ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন।পরে টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক এস এম মাহ্ফুজুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান।এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি জাওয়াদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আয়োজক কমিটির সদস্য এজাজ আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রফিকুল ইসলাম।শেষে প্রধান অতিথি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি ও প্রাইজমানি তুলে দেন।৪ অক্টোবর সৈয়দপুর ক্রিকেট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সৈয়দপুর গোল্ডকাপ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়। টুর্নামেন্টে পাকিস্তান ও ভারতের দুটি ক্রিকেট ক্লাব ছাড়াও ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, ঈশ্বরদীসহ মোট ২২টি ক্রিকেট ক্লাব অংশ নেয়।কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় গত শনিবার রাতে স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলে নুর মোহাম্মদ ওরফে কালা সোনার (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় পুলিশ নদীর ফিশারিঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।কালা সোনা কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় জেলেরা জানান, কালা সোনা ও খুরুশকুলের দুলাল মিয়া শনিবার রাত আটটার দিকে বাঁকখালী নদীতে একটি ডিঙিনৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নামেন। রাত আটটার দিকে মহেশখালী থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি স্পিডবোট নৌকাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি উল্টে যায় এবং দুই জেলে ভাটার টানে হারিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর দুলাল মিয়াকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও কালা সোনা নিখোঁজ থাকেন।চলছে মাছ ধরার মৌসুম। ঘেরে মাছও আছে। কিন্তু ক্রেতা নেই, দাম কমে গেছে অর্ধেক। বিক্রি না হওয়ায় মাছের জন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত খাবার জোগাতে হচ্ছে। ফলে লোকসান বাড়ছে। আবার কেউ কেউ ঘেরকে চিংড়ি পোনা ছাড়ার উপযোগী করতে বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামেই মাছ বেচে ঘের খালি করছেন। তাঁরা গুনছেন লোকসান।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের প্রায় এক মাসের অবরোধ-হরতালে এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার মাছচাষিরা। দেশের অন্যতম প্রধান চিংড়ি উৎপাদনকারী এ জেলার অর্থনীতি মূলত মাছ চাষনির্ভর। অবরোধ-হরতালে একদিকে মাছ বিক্রি ও সরবরাহ বন্ধ থাকায় এবং অন্যদিকে মাছ চাষের উপকরণের দাম বাড়ায় চাষিরা পড়েছেন আর্থিক ক্ষতিতে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, জেলায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়। এর অধিকাংশ জমিতে বাগদা চিংড়ির সঙ্গে লোনা পানির মাছ ভেটকি, ভাঙান, টেংরা, বেলে ও পার্শে চাষ হয়। পাশাপাশি ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে মিঠা পানির তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেবলেট ও গ্রাসকার্পসহ আরও কিছু মাছ চাষ হয়। এ ছাড়া গলদা চিংড়িও চাষ হয়। চিংড়ি ছাড়া চাষ হওয়া সব মাছকেই সাদা মাছ বলা হয়।আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জেলায় প্রতিবছর ৬৫ হাজার মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়। জেলার চাহিদা ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বাকি মাছ যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। মাছ ধরার মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিন গড়ে ৬০ টন মাছ চালান হয়। লোনা পানির মাছ সারা বছরই কমবেশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। মাছ চাষ থেকে সাতক্ষীরায় প্রতিবছর এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা আয় হয়।ঘের মালিকেরা জানান, গত ২৬ নভেম্বর অবরোধ শুরুর পর থেকে মাছ সরবরাহ বলতে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল এ অবস্থা। এ সময়ে জেলায় যেটুকু মাছ বেচাকেনা হয়, তা বিক্রি হয় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে। চিংড়ির মৌসুম শেষ বলে অধিকাংশ ঘেরেই এখন চিংড়ি নেই। নতুন পোনা ছাড়ার জন্য ঘের খালি করা প্রয়োজন হলেও মাছের ক্রেতা মিলছে না। ক্রেতা পেয়ে কেউ কেউ অর্ধেক দামে মাছ বেচছেন। কারণ, চিংড়ি চাষের নতুন মৌসুম শুরুর আগেই ঘেরের পানি শুকিয়ে সার ও চুন দিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। ঘের প্রস্তুত করে নতুন পানি তুলে পোনা ছাড়ার আগ পর্যন্ত মাস খানেক সময় লাগে।জেলার দেবহাটার নোড়ারচকের চিংড়িচাষি শশী সরকার বলেন, মাছ বিক্রিতে লোকসান ও উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁদের এবার বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এ জন্য ব্যাংক ঋণ নিতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ না পেলে মহাজনের দ্বারস্থ হতে হবে।সাতক্ষীরা বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রব বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চম দফার অবরোধ শেষ হলেও গতকাল বাজারে তেমন মাছ আসেনি। যা এসেছে, তা অন্য জেলায় পাঠানোর আগ্রহ ছিল না ব্যবসায়ীদের। অবরোধ-হরতাল আপাতত থামলেও ব্যবসায়ীরা মাছ পাঠানোর সাহস পাচ্ছেন না।আবদুর রব বলেন, গত কয়েক দিনে সব রকম মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কমেছে। বড়আকারের তেলাপিয়া প্রতি কেজি ৫০ টাকার কমে বিক্রি হয়। অথচ স্বাভাবিক সময়ে বিক্রি হতো ৭৫ থেকে ১০০ টাকায়।মাছচাষিরা বলেন, এ বছর অনেক বেশি মাছ উৎপাদন হওয়ায় তাঁরা সন্তুষ্ট। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না। দেবহাটার মঞ্জুর হাসান বলেন, মাছের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগ উঠে আসা নিয়ে তিনি শঙ্কিত।সাতক্ষীরা থেকে মাছ কিনে ঢাকায় চালান দেন আলী হোসেন ও মনিরুল ইসলাম। তাঁরা বলেন, ঢাকায় এক ট্রাক মাছ পাঠাতে আগে লাগত ২৫ হাজার টাকা, অচলাবস্থায় তা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজারে। গতকালও ট্রাক ভাড়া কমেনি। |
আবার দাঁড়ালেন তিনি সেই ট্র্যাকে। চকিতে কি ফিরে গেলেন ২৫ বছর আগের এই দিনটায়?সর্বশেষ এই ট্র্যাকে পা রেখেছিলেন ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। বেলা দেড়টায়। সিউল অলিম্পিক স্টেডিয়ামের টইটম্বুর গ্যালারি তখন গর্জে উঠছিল ক্ষণে ক্ষণে। ছবি তোলার ভালো একটা জায়গা পেতে ভোর ছয়টা থেকে বসে ছিলেন আলোকচিত্রীরা। টিভির পর্দায় চোখ শত কোটি মানুষের। তিনি দাঁড়ালেন ৬ নম্বর লেনে। স্টার্টিং পিস্তলের আওয়াজ বেরোতেই ছুটলেন গুলির বেগে। পরবর্তী ৯.৭৯ সেকেন্ডে এমন কিছু হয়ে গেল, এই ধরণীতে যা আগে কেউ কখনো দেখেনি। সেই প্রথম ৯.৮০ সেকেন্ডের নিচে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করলেন কেউ। বেন জনসন তখন ইতিহাস গড়ার নায়ক, ভেঙে দিয়েছেন আগের বছরই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গড়া নিজের বিশ্ব রেকর্ড। তখনো পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত লড়াইয়ে হেরে গেলেন কিংবদন্তি কার্ল লুইস।এসব প্রায় সবারই জানা। জানা পরের ইতিহাসটাও। আনন্দ স্বর্গে জনসনের স্থায়িত্ব ছিল ৪৮ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। ২৭ সেপ্টেম্বর ভোররাত নাগাদ চাউর হয়ে যায় ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন জনসন। ওই দিনই পরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানায়, অ্যানাবলিক স্টেরয়েড স্ট্যানোজোলল নেওয়ায় কেড়ে নেওয়া হয়েছে জনসনের পদক, মুছে ফেলা হয়েছে রেকর্ড। সিউলের সবচেয়ে অভিজাত হোটেল দ্য শিলায় যখন হাজার খানেক সাংবাদিক হাপিত্যেশ করছেন একটি ‘কোটের’ জন্য, জনসন তখন কানাডার বিমানে! যেটিকে বলা হচ্ছিল ‘রেস অব দ্য সেঞ্চুরি’, জনসন-কলঙ্কে সেটিই পরিচিতি পেয়ে যায় ‘ডার্টিয়েস্ট রেস ইন দ্য হিস্ট্রি’। অ্যাথলেটিকসের ইতিহাসে ২৪ সেপ্টেম্বর দিনটির পরিচয় ‘কালো দিন’।এমনিতে সিউল তাঁকে তাড়া করে ফেরে প্রতিদিন। প্রতিবছর এই দিনটায় নিশ্চয়ই আরও বেশি করে ফিরে যান সিউলে। তবে সেই কালো দিন আর কুৎসিততম দৌড়ের রজতজয়ন্তীতে আক্ষরিক অর্থেই ফিরে গেলেন সিউলের সেই ট্র্যাকে। সেই ডোপপাপী কলঙ্কিত নায়কই এখন বিশ্বজুড়ে ড্রাগবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘চুজ দ্য রাইট ট্র্যাক’ ক্যাম্পেইনের হয়ে। তবে পুরো বিশ্ব যেভাবেই দেখুক, ওই লড়াই, সেই দিনটি ঠিকই আলাদা জায়গা নিয়ে আছে জনসনের হূদয়ে, ‘এখানে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। এটিই সেই জায়গা, যেখানে গড়া হয়েছিল ইতিহাস। কেউ হয়তো বলতে পারে বাজে ইতিহাস, কিন্তু আমি তা সেভাবে দেখি না।’ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার পর জনসন স্বীকার করেছিলেন দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড নেওয়ার কথা। ১৯৮৯ সালে রেকর্ড বই থেকে মুছে ফেলা হয় জনসনের গড়া আগের বিশ্ব রেকর্ডটিও। তবে অলিম্পিকের ওই দৌড়ের জন্য ডোপ নেওয়ার কথা স্বীকার করেননি কখনোই। বারবার বলেছেন ষড়যন্ত্র করে পানীয়র সঙ্গে স্ট্যানোজোলল মিশিয়ে দেওয়ার কথা। কালও উগরে দিলেন পুরোনো ক্ষোভ, ‘আমাকে শূলে চড়ানো হয়েছিল এবং ২৫ বছর পরও আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। খুনি ও ধর্ষকদের জেলে পাঠানো হয়, কিন্তু একদিন তারা ছাড়া পায়। আমি জানি, আমি ভুল করেছিলাম। জানি, নিয়ম তো নিয়মই। তবে নিয়ম সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। কিন্তু খেলাধুলায় সব সময়ই বড় ভূমিকা রাখে রাজনীতি।’‘ভুল করেছি’ কথা থেকেই স্পষ্ট, এই ৫১ বছর বয়সে এসে কিছুটা হলেও আক্ষেপ বাসা বেঁধেছে মনে। সেটা স্বীকারও করলেন। তবে আক্ষেপ নিয়েও আবার পড়ে থাকতে চান না, ‘অবশ্যই আমি অনুতপ্ত, অনুশোচনা হয়। কিন্তু এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ইস্যু নয়। ওটা আমি মেনে নিয়েছি এবং তাকিয়েছি সামনে। অতীতে পড়ে থাকার কোনো মানে নেই। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, কোনো ড্রাগ ছাড়াই আমি ওই অলিম্পিক শিরোপা জিততে পারতাম।’শেষ কথাটায় যেন বেরিয়ে এল সেই পুরোনো বারুদ! এএফপি।রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শ্রেণীকক্ষে ঢুকে এক ছাত্রকে পিটুনির ঘটনায় নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রশিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে বাগমারা থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা তালিকাভুক্ত করে।আসামি আবদুর রশিদ একই সঙ্গে নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোড়সার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মামলার অন্য চার আসামি হলেন স্থানীয় আফজাল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাজ্জাদ হোসেন ও নূরুল ইসলাম।মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি খাসপুকুরের দখল নিয়ে উপজেলার বেনিপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর সঙ্গে আবদুর রশিদের বিরোধ চলে আসছিল। তৈয়বের ছেলে শফিকুল ইসলাম পড়ে রশিদের গোড়সার উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রশিদের লোকজন বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিশু শফিকুলকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ শফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই সময়ে ঘটনাটি এলাকায় আলোচিত হয়।আহত স্কুলছাত্রের বাবা তৈয়ব অভিযোগ করেন, ওই সময়ে তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলছাত্রের ওপর নির্মম হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে আবদুর রশিদ বলেন, পুকুর নিয়ে তৈয়ব আলীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ থাকলেও শিশুপুত্রের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন।প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গতকাল রোববারের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘ফাঁস’ হওয়া প্রশ্নপত্র গতকাল অনুষ্ঠিত পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে গেছে বলে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ‘ফাঁস’ হয়েছে বলে জানা গেছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাও মনে করেন প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। তবে তাঁরা নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে রাজি হননি।মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৬ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চরম অস্থিতিশীলতা। এ অবস্থায় পরীক্ষার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না তারা।জানতে চাইলে সচিব কাজী আখতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।একাধিক অভিভাবক প্রথম আলোয় ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে যদি শিশু বয়সে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘খারাপ’ একটি বিষয় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরও ভয়াবহ হবে। এ জন্য তাঁরা এখনই এর প্রতিকার চান। তাঁরা বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মূল প্রশ্নের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মিলে যাচ্ছে।তবে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, একশ্রেণীর অভিভাবকই অতি উৎসাহী হয়ে ‘ফাঁস’ হওয়া প্রশ্ন তাঁদের সন্তানদের কাছে সরবরাহ করছেন।শিক্ষক ও অভিভাবকদের সূত্রমতে, ২০ নভেম্বর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রথম দিনে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুরে একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও সাতক্ষীরায় চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এর পরের পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ‘ফাঁস’ হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় গত শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।শিশু-কিশোর সংগঠন পূর্বাশার আলো কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২২ ডিসেম্বর শীতার্ত মানুষজনের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সরওয়ার মোর্শেদ। এতে অতিথি ছিলেন দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ-এর সম্পাদক ও সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ উমর ফারুক ও মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন বোরহান উদ্দিন মোহাম্মদ, হেলাল উদ্দিন, এ এস এম ইসলামাবাদী গাজী, শফিউল আজম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পূর্বাশার আলো সবসময় কল্যাণের কাজ করে যায়। আগামী দিনে দেশের যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে জনসাধারণের পাশে থাকবে। বিজ্ঞপ্তি। |
বিদ্যালয়জুড়ে হইহুল্লোড়। মাঠে বিশাল মঞ্চ। যুক্তির ঝলকে হাততালিতে ফেটে পড়ছে পুরো বিদ্যালয়। উৎসবের আলো ছড়িয়ে রয়েছে সবখানে।এ রকম আনন্দমুখর আয়োজনে সম্পন্ন হলো ফার্ম ফ্রেশ বন্ধুসভা বিতর্ক উৎসব ২০১৩-এর রামপুরা অংশের প্রতিযোগিতা। ‘যুক্তির ঝলকে মঙ্গল আলোকে বিতর্ক শিখি আলোকিত হই’ স্লোগানে রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দিন কথার খই ফুটল বিতার্কিকদের মুখে। বিতার্কিক, বিচারক, দর্শক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আয়োজক—সবাই ছিলেন এই বর্ণময় আয়োজনের অংশ।প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ভিকারুন নিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তা হন বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের মেহেরুন নাহার মৌরি। রানার্সআপ দল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী শাখা। সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান হলো রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৬টি বিদ্যালয়। বিজয়ী ও রানার্সআপ দলকে একটি করে ট্রফি এবং প্রত্যেক তার্কিককে একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।সকালে বিতর্ক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান। চূড়ান্ত বিতর্কের আগে গান করেন মাহমুদুজ্জামান বাবু। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, বিতর্কের মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষা ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার নির্বাহী সভাপতি সাইদুজ্জামান।রাজধানীজুড়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে এর আগে পুরান ঢাকা ও মিরপুর অঞ্চলে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।চালের দাম বাড়লে শহরের ভোক্তারা কষ্টে থাকে। আর ধানের দাম কমলে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র কৃষক। কৃষি খাতে গত পাঁচ বছরের চিত্রটি ছিল ঠিক এ রকমই।সরকারের পুরো সময়জুড়ে দেশের বেশির ভাগ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। সারের দাম তিন দফা কমানো, বীজ সহজলভ্য করা আর ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন কৃষককে উৎপাদনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের শুরুর দুই বছর কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ভালো দামও পেয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় বছরে এসে দাম কমতে শুরু করে। চতুর্থ ও পঞ্চম বছরে এসে ধান-চাল-পাট ও আলুর দাম এতটাই কমেছে যে কৃষককে রীতিমতো লোকসান গুনতে হয়।গত পাঁচ বছরে আউশ ও আমনের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রণোদনা। এক কোটি ৪০ লাখ কৃষক পেয়েছেন কৃষি উপকরণ-সহায়তা কার্ড। প্রথমবারের মতো ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এবারই প্রথম আমন মৌসুমে ধান-চাল ও বোরো মৌসুমে গম সংগ্রহ করেছে খাদ্য বিভাগ।ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন আর পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে অবিস্মরণীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাঁচ বছরে ৪৪টি ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। ব্রির বিজ্ঞানীরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিঙ্কসমৃদ্ধ জাতসহ প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু আট ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন।কৃষি অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত ভোটের রাজনীতিতে সস্তায় চাল খাওয়ার সহজ সমীকরণের পথে হেঁটেছে সরকার। সরকারের শেষ দুই বছরে চালের দাম কম রাখার রাজনীতির হিসাব-নিকাশের কারণে উপেক্ষিত হয়েছে কৃষকের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার স্বার্থ।কৃষক যখন ফসল তুলে হাট ও মোকামে নিয়ে আসেন, তখন সরকারের ধান-চাল ও পাট ক্রয় শুরু হয় না। আর কৃষকের ফসল যখন সস্তায় ফড়িয়া ও মিলমালিকের গোলায় পৌঁছায়, তখন সরকারের সংগ্রহ শুরু হয়। এই চক্র ভাঙার কোনো চেষ্টা পাঁচ বছরে দেখা যায়নি। ফলে ধান, পাট ও আলুর উৎপাদন বৃদ্ধির যে হার সরকারের প্রথম তিন বছরে দেখা গিয়েছিল, শেষ দুই বছরে তা স্থবির হয়ে গেছে।কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সরকারের কৃষিবিষয়ক নীতিগুলো দেশের সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। প্রথম আলোকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছে কোনো অলৌকিক ক্ষমতা ছিল না। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থের মধ্যে সমন্বয় আনার চেষ্টা করেছি।’২০০৮ সালের পুরো সময়জুড়ে দেশে-বিদেশে খাদ্যপণ্য ও কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড করেছিল। সে সময় দেশে প্রতি কেজি টিএসপি সার ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, ডিএপি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং এমওপি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অ-ইউরিয়া সারের দাম তিন দফা কমানো হয়। অন্যদিকে ইউরিয়া সারের দাম দুই দফা বাড়ানো হলেও সরকারের শেষ সময়ে এসে তা কমানো হয়। বর্তমানে এক কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২, ডিএপি ২৬ টাকা, এমওপি সার ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সরকারের কৃষি খাতের পাঁচ বছরের অর্জনকে মূল্যায়ন করে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সরকারের ভূমিকা ছিল ইতিবাচক এবং কৃষকবান্ধব। তবে ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি ঠিকমতো হয়নি। চালের দাম কম থাকায় ভোক্তারা খুশি থেকেছে, কিন্তু এর বিনিময়ে কৃষক লোকসান গুনেছেন। এই শাঁখের করাত থেকে মুক্ত হতে যে সাহসী উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, তা দেখা যায়নি।এদিকে, বিজ্ঞানীরা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করলেও তাঁদের জন্য নতুন সুখবর ছিল না। পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের পর মাকসুদুল আলমের স্বপ্নযাত্রা দলটিকে ২০১০ সালের ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবর্ধনা দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় বিজ্ঞানীদের আলাদা বেতন কাঠামো ও সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা শওকত আলীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ ব্যাপারে সরকারকে একটি সুপারিশও দিয়েছিল। অথচ ওই সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়ন হয়নি।সরকারি সংস্থায় বিজ্ঞানীরা চাকরিতে খুশি থাকতে না পেরে গত এক যুগে প্রায় ৩০০ বিজ্ঞানী বিদেশে বা বিদেশি সংস্থায় চলে গেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুধু বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ২০০ বিজ্ঞানী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। বিদেশে ও দেশি-বিদেশি সংস্থায় এই মেধাপাচারের ধারা এখনো চলছে।সরকারের শেষ সময়ে কৃষি খাতের বাইরে থাকা বিজ্ঞানীদের চাকরির বয়স বাড়ানোসহ বিভিন্ন প্রণোদনার ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু কৃষিবিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করে এমন ছয়টি সংস্থার বিজ্ঞানীরা উপেক্ষিতই থেকেছেন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞানীদের চাকরির বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন।স্কুল-কলেজের শিক্ষায় অগ্রগতি, উচ্চশিক্ষায় অস্থিরতাসাফল্য আছে, দৈন্যদশা কাটেনিগর্ভবতী মায়েদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে কি আসন্ন সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে? সারা দুনিয়ায় এ নিয়ে আছে নানা বিভ্রান্তি ও বিতর্ক। নানা দেশে গর্ভবতী মায়েদের অনেক খাবার খেতে বারণ করা হয় এ কারণে। আমাদের দেশে মায়েদের গর্ভাবস্থায় বোয়াল মাছ, ডিম, কচু, বেগুন ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয়।গবেষণা বলছে, মায়ের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে গর্ভের শিশুর অ্যালার্জির তেমন সম্পর্ক নেই; যদিও অ্যালার্জি বিষয়টি বংশ- গতিবাহিত হতে পারে। মা-বাবা বা আত্মীয়স্বজনের অ্যালার্জি, হাঁপানি, একজিমা ইত্যাদি থাকলে শিশুদেরও হতে পারে।আসন্ন শিশুর অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতে তাই গবেষকেরা খাবার নয়, অন্য কিছুর ওপর জোর দিচ্ছেন। গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা যাবে না, এমনকি ধূমপায়ীর পাশেও থাকা যাবে না। এড়াতে হবে সব রকমের ক্ষতিকর ওষুধ, নেশাদ্রব্য ও অ্যালকোহল। কৃত্রিম রং ও গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর আহার করতে হবে। আর ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। এনএইচএস, অস্ট্রেলিয়া।প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি কর্মশালার ৩৬তম ব্যাচে ভর্তি শুরু হয়েছে। কর্মশালায় বাংলা প্রমিত উচ্চারণ, আবৃত্তি, উপস্থাপনা, সংবাদপাঠ, মাইক্রোফোনের ব্যবহার ও শিল্পকলার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী সাত ফেব্রুয়ারি কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে।ফরম পাওয়া যাবে- বাতিঘর (চেরাগি পাহাড় মোড়), মউর দোকান ও হায়দারের দোকান (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), অজন্তা লাইব্রেরি (চকবাজার), কারেন্ট বুক সেন্টার (জলসা মার্কেট), রংধনু রেকর্ডিং সেন্টার (সেন্ট্রাল প্লাজা), শাহ জালাল সুইটস ( নাসিরাবাদ মহিলা কলেজের সামনে), রুমি ফটোস্ট্যাট ও ফাহিম এন্টারপ্রাইজ (কমার্স কলেজের পাশে), শফির দোকান (শিল্পকলা একাডেমি), বিশদ বাংলা ( মেহেদীবাগ) ও কথাকলিতে (মোমিন রোড)। বিস্তারিত ফোনে (০১৭১১-৯৮৩০০৮) জানা যাবে। বিজ্ঞপ্তি। |
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ঘন ঘন গতিরোধকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এসব গতিরোধক তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন কাজী শরিফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু দাইয়ান, মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বগুড়ার ধুনটে সাংসদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় একটি রেজ্যুলেশন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ দিকে সোনামুখী সড়কের পূর্ব পাশে সরকারি পাঁচ শতাংশ জমি আছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় বগুড়া-৫ আসনের (ধুনট-শেরপুর) সাংসদের নাম দিয়ে ওই জমিতে ১০-১২টি দোকানঘর নির্মাণ করার জন্য একটি রেজ্যুলেশন করেন। ওই সভায় সাংসদ উপস্থিত ছিলেন না। ২৪ অক্টোবর সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সাংসদের উপস্থিতিতে মথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এই জাল রেজ্যুলেশনের বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। সাংসদ বিষয়টি জানতে পেরে দোকানঘর নির্মাণ ও জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন।মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, প্রতিবাদ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি ইউএনও ও ওসিকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।টি আই এম নুরুন্নবী দাবি করেন, সাংসদের নির্দেশেই সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণের জন্য সেপ্টেম্বর মাসের উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় রেজ্যুলেশন করা হয়েছে। অক্টোবর মাসে সমন্বয় কমিটির সভায় সাংসদ ওই রেজ্যুলেশন অনুমোদন করেছেন। তিনি মথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যানকে কোনো হুমকি দেননি।সাংসদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে আমি দেশের বাইরে থাকায় উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলাম না। তাঁরা কীভাবে আমার বরাত দিয়ে রেজ্যুলেশন করেছেন, তা আমার জানা নেই। সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করার কোনো আইন নেই। এ কারণে আমি বিষয়টি জানার পর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’ইউএনও হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাংসদ সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত না থাকায় চেয়ারম্যান সাহেব তাঁর (সাংসদ) সঙ্গে অন্যভাবে কথা বলে রেজ্যুলেশন করেছিলেন। পরে সাংসদের নির্দেশে ওই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।’জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল রোববার জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের দশম সাক্ষী পীযূষ কান্তি ঘড়াই ও ১১তম সাক্ষী মুকুল রানী দাস। পীযূষ কান্তি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন।বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ রাষ্ট্রপক্ষের এই দুই সাক্ষীর জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাহিদ ইমাম। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ইউসুফ হাজির ছিলেন। এই দুই সাক্ষীর জবানবন্দির আগে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী আবদুর রউফ মল্লিককে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।জবানবন্দিতে পীযূষ কান্তি (৬০) বলেন, তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ বাজারে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। একাত্তরের ১৭ মে মোরেলগঞ্জ বাজারে ইউসুফের নির্দেশে রাজাকাররা স্বাধীনতাকামী ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৩০০-৪০০ দোকান লুট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি তিনি দূর থেকে দেখেছেন। একাত্তরের ১৯ মে রাতে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে ইউসুফ মোরেলগঞ্জ বাজার থেকে শান্তি রঞ্জন, সত্য রঞ্জন, কেশব চন্দ্র, অমর দাস ও তাঁকেসহ ছয়জন হিন্দুকে আটক করেন। পরে ইউসুফের নির্দেশে রাজাকাররা তাঁদের নির্যাতনের পর গুলি করে একে একে শান্তি রঞ্জন, সত্য রঞ্জন, কেশব চন্দ্রকে হত্যা করে। এ সময় তিনি ও অমর দাস কৌশলে পালিয়ে বাঁচেন।পীযূষ কান্তি বলেন, একাত্তরের ১৩ মে ইউসুফের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিককে বারুইখালী ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে। ইউসুফের নির্দেশে ২৯ জুলাই রাজাকাররা মোরেলগঞ্জ বাজারের চিকিৎসক আবদুল মজিদকে হত্যা করে।এরপর জবানবন্দিতে মুকুল রানী দাস (৬৫) বলেন, একাত্তরের ১৯ মে রাজাকাররা তাঁর স্বামী শান্তি রঞ্জন দাস, দেবর সত্য রঞ্জন, কেশব চন্দ্র, ভাই শংকর চন্দ্র দাস, বৃদ্ধ কাকা শ্বশুর সন্তোষ কুমার দাসকে ধরে নিয়ে যায়। বৃদ্ধ হওয়ায় কিছু দূর যাওয়ার পর সন্তোষকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি তাঁকে জানান, ইউসুফ অন্যদের ধরে নিয়ে গেছেন। দু-তিন ঘণ্টা পর তিনি (সাক্ষী) গুলির শব্দ পান। পরে তিনি পীযূষের কাছে শোনেন, ইউসুফের নির্দেশে রাজাকাররা তাঁর স্বামী ও অপর চারজনকে হত্যা করেছে। পীযূষ ও অমর সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন।পিযূষ কান্তি ও মুকুল রানীকে জেরার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।নেইমারের বড়দিনের আনন্দটাকে দ্বিগুণ করে দিলেন রোনালদো। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি প্রশংসায় ভাসালেন উত্তরসূরিকে। বললেন, বর্তমান ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ঠিকই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবেন নেইমার। এমনকি নেইমার হতে পারেন দক্ষিণ আমেরিকা বা ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।গত গ্রীষ্মেই সান্তোস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বার্সেলোনায়। জুন-জুলাইয়ে ব্রাজিলকে কনফেডারেশনস কাপের শিরোপা জেতানো নেইমার কাতালান ক্লাবটিতেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন দ্রুতই। বড়দিনের ছুটিতে যাওয়ার আগে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। শেষ তিনটি ম্যাচে মেসির অনুপস্থিতি বার্সেলোনাকে বুঝতেই দেননি। উত্তরসূরির পারফরম্যান্স দেখে রোনালদো মুগ্ধ, ‘এটা বলা যায়, নেইমার গ্রেট খেলোয়াড় হবে। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সে ইতিহাস গড়বে।’ ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা আরও বলেছেন, ‘সে ঠিক পথেই আছে। সে অসাধারণ খেলোয়াড়। সাফল্য পেতে কী করতে হবে, সেদিকেই তার মনোযোগ।’ ওয়েবসাইট। |
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় চর রমজান সোনাউল্লাহ-৬ বালুমহালের ইজারাদার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আবু নাঈম ইকবালের লোকজনের সঙ্গে ভাটিবন্দর গ্রামবাসীর সমঝোতা হয়েছে।সমঝোতা অনুযায়ী, চার গ্রামবাসীকে গত সোমবার রাতে মুক্তি দিয়েছেন আবু নাঈমের লোকজন। একই সঙ্গে তাঁরা গ্রামের তীর ঘেঁষে আর বালু তুলবেন না ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরই বালুমহালের লোকজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কবির হোসেন। সোমবার সকালে আবু নাঈমের লোকজন তাঁর বালুমহালের সীমানার বাইরে গিয়ে মেঘনা নদীর ভাটিবন্দর গ্রামের পাশ থেকে বালু তোলেন। গ্রামবাসী বাধা দিলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিখোঁজ হন চারজন। ওই ঘটনায় রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইজারাদার আবু নাঈম ও গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠকে বসে মীমাংসা করে দেন।ফেরত আসা কাজল, ইয়াসিন, সোহাগ ও সাগর জানান, গ্রামবাসী দুটি ট্রলারে করে বালু উত্তোলনকারীদের বাধা দিতে গেলে একটিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। একটি নদীতে ডুবিয়ে দেন বালু উত্তোলনকারীরা। এ সময় ট্রলারে থাকা অন্য ব্যক্তিরা সাঁতরে তীরে ওঠেন। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা ওঠেন বালু উত্তোলনকারীদের খননযন্ত্রে। এরপর তাঁদের বেঁধে খননযন্ত্রসহ মুন্সিগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।আন্দোলনকারীদের একজন জাহানারা জানান, মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ইজারাকৃত বালুমহাল ছাড়াও মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গ্রামের কাছ থেকে বালু তুলছে। এ কারণে ইতিমধ্যে মেঘনার তীরবর্তী গ্রাম ভুরবুড়িয়া, খাসের চর, জিয়ানগর, কালির চরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাটিবন্দর গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।সোনারগাঁ থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, গ্রামবাসীর সঙ্গে বালু সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এ কারণে গ্রামবাসীও তাঁদের লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী মনোয়ারুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় গত মঙ্গলবার ফেন্সি আরা বেগম (৪২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ফেন্সি আরা উপজেলার খট্টামাধবপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ সরদারের স্ত্রী এবং ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।আবদুর রশিদ জানান, ছয় মাস আগে ফেন্সির পিঠে একটি টিউমার দেখা দেয়। ওই টিউমারের চিকিৎসা করানোর জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ফেন্সিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী মনোয়ারুল ইসলাম জরুরি বিভাগে এসে টিউমার দেখে অস্ত্রোপচার করলে ভালো হবে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটসংলগ্ন নাজমা ফার্মেসিতে নিয়ে যান। এ সময় তিনি এক হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন। তাঁর কথায় রাজি হয়ে প্রথমে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়।আবদুর রশিদ অভিযোগ করেন, এরপর মনোয়ারুল ইসলাম ওই ফার্মেসির একটি কক্ষে রোগীকে শুইয়ে টিউমারের পাশে একটি ইনজেকশন দেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর পুরো শরীরে ঝাঁকুনি দেয় ও চিৎকার করতে থাকেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঘটনা বুঝতে পেরে মনোয়ারুল সটকে পড়েন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক রায়হান বলেন, ‘জয়পুরহাটে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে আমাকে ডাকা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এসে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময় দেখি, রোগী নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে আছে।’স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) গোলাম-উর রহমান বলেন, ‘রোগীকে আমার কাছে আনার পর দেখি, তিনি মারা গেছেন। এরপর আমি তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের চালককে বলি। পরে লাশ তাঁর স্বজনেরা দাফন করেন।’এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা সহকারী মনোয়ারুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় তাঁর দায়িত্ব থাকলেও তাঁর পরিবর্তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফার এনামুল হক দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ ছাড়া একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।নাজমা ফার্মেসির মালিক মেহেদী বলেন, ‘অনেক চিকিৎসক আমার দোকানের ওই কক্ষে ছোট অস্ত্রোপচার করেন। সেদিন মনোয়ারুল ইসলামও ওই রোগীকে অস্ত্রোপচার করার জন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে লোকাল ইনজেকশন দেন। তারপর রোগী মারা যায়।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোলায়মান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। তবে তাঁকে কী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, তা লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। মনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিনাজপুরের সিভিল সার্জনকে (ভারপ্রাপ্ত) জানানো হয়েছে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ সিভিল সার্জনকে দেওয়া হয়েছে।’থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আহসান হাবীব বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচির মধ্যেও গতকাল রোববার চট্টগ্রামে সুষ্ঠুভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানা গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে।গতকাল সকালে ছিল ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা। নগরের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে দেখা গেছে, অভিভাবকদের জটলা। হরতালের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকেই নিয়ে আসেন তাদের অভিভাবকেরা। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন।নগরের দামপাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ অভিভাবক মেরিনা হোসেন জানান, ‘হরতালের মধ্যে পরীক্ষা হবে। তাই খুব টেনশন কাজ করছিল। তাই মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’মাসুদ হোসেন নামে অপর অভিভাবক বলেন, ‘হরতালের কারণে যানবাহন সমস্যার কথা ভেবে পরীক্ষা শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বেরোতে হয়েছে।দেশব্যাপী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির ভাঙচুর, বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে এক সভা ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।আদালত ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সহসভাপতি উত্তম কুমার দত্তের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কানু রাম শর্মা। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনুপম চক্রবর্তী, নিরঞ্জন কুমার চৌধুরী, সুকোমল ভট্টাচার্য্য, দীপক কুমার দত্ত, অপূর্ব চরণ দাশ, অর্পণ পাল, দীশু কান্তি দাশ, উত্তম রায় প্রমুখ।সভায় বক্তারা নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। এ ছাড়া, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও ২ জানুয়ারি প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি। |
সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নুরুন্নবী রুবেল (২২) নামে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে পাঁচটি গাড়িতে আগুন ও অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছেন ওই এলাকার লোকজন ও তাঁর সহপাঠীরা।এদিকে, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ বুধবার আট ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে আন্তজেলা বাস মালিক সমিতি।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সোয়া নয়টার দিকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত-আটজন ছাত্র সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাঁরা চট্টগ্রামগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস থামাতে চাইলে চালক না থামিয়ে নুরুন্নবীর ওপর তুলে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাটের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আইয়ুব খানের ছেলে নুরুন্নবী ছিলেন বিবিএ ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিরা ক্যাম্পাস এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সহপাঠীরা সীতাকুণ্ডের সিরাজ ভুঁইয়ার রাস্তার মাথা, ইকোপার্ক এলাকা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় তিনটি স্টারলাইন বাস, একটি ট্রাক ও অপর একটি বাসে আগুন এবং অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত অবরোধ চলে। বেলা দেড়টায় উপজেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। বৈঠকে ছাত্ররা ওই বাসচালকের বিচার, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ও সীতাকুণ্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বাস সার্ভিসের দাবি জানান। পরে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেন।এদিকে, কথায় কথায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ ভোর ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আট ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে আন্তজেলা বাস মালিক সমিতি। দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বিআরটিসি ভবনের কার্যালয়ে বৈঠকে সমিতি এই সিদ্ধান্ত নেয়। ধর্মঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রাম থেকে আন্তজেলার ৬০টি পথে এবং অভ্যন্তরীণ ৫৭টি পথের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতে ১১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০১৩ সালের বার্ষিক গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপের (বৈশ্বিক লৈঙ্গিক সমতা) প্রতিবেদনে ১৩৬ দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫। ২০১২ সালে অবস্থান ছিল ৮৬।রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, অর্থনৈতিক সমতা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতার ভিত্তিতে ২০০৬ সাল থেকে ডব্লিউইএফ এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্ক্যানডেনেভীয় দেশ আইসল্যান্ড। এর পরের তিনটি স্থানও স্ক্যানডেনেভীয় দেশগুলোর দখলে। দ্বিতীয় ফিনল্যান্ড, তৃতীয় নরওয়ে ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে সুইডেন।দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির অবস্থান ৫৫তম। ২০১২ সালেও একই অবস্থানে ছিল শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ভুটানের অবস্থান ৯৩। গত বছরের চেয়ে চার ধাপ এগিয়ে ভারতের অবস্থান এবার হয়েছে ১০১। অপর দিকে পাকিস্তান ৩ ধাপ পিছিয়ে ১৩৫তম অবস্থানে গেছে।এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের অবস্থা খুবই নাজুক। চীনের অবস্থান ৬৯। অন্যদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের অবস্থান ১০৫তম।স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে সাফল্য দেখিয়ে এশিয়া অঞ্চলে শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন। ফিলিপাইনের অবস্থান পঞ্চম, গত বছর দেশটির অবস্থান ছিল অষ্টম। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় গত বছর নারী-পুরুষের বৈষম্যমূলক অবস্থানের কোনো ধরনের হেরফের হয়নি। ডব্লিউইএফ ওয়েবসাইট, বিবিসি।কিডনি থেকে শুরু করে বন্দুক, গাড়ি, কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন, শিল্পকর্মের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) তৈরির মতো কাজে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির ব্যবহারে আগামী কয়েক দশকে আমাদের জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপারটা অনেকটা ইন্টারনেটের বহুমাত্রিক প্রভাবের সঙ্গে তুলনীয়।যেভাবে কাজ করে ডিজিটাল অনুরূপ থেকে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) কঠিন বস্তু হুবহু তৈরি করতে পারে এই বিশেষ প্রিন্টার। যন্ত্রাংশ উৎপাদন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এই প্রযুক্তি।১. কম্পিউটার-সহায়ক সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়।২. প্রিন্টারে সিএডি ফাইল পাঠানো হয়।প্লাস্টিক ফিলামেন্টে মোটরের মাধ্যমে প্লাস্টিক গলিয়ে একটি সরু মুখ (নজল) দিয়ে বের করা হয়।৩. প্রিন্টারটি তরল, গুঁড়া, কাগজ বা ধাতব বস্তুর স্তর তৈরি করে এবং পর্যায়ক্রমে একটি কাঙ্ক্ষিত বস্তুর অনুরূপ গঠন করে।যেসব পরিবর্তন আসবেঅস্ত্রশস্ত্রযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান চলতি মাসের শুরুতে একটি বন্দুকের (শটগান) রেপ্লিকা তৈরি করেছে। শটগানটি ১৯১১ সালের তৈরি। তবে থ্রিডি প্রিন্টারে অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়াটি এখনো অনেক ব্যয়বহুল, জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং বিপজ্জনক বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন। শিল্পকলাফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরের বিখ্যাত কোনো ভাস্কর্যের রেপ্লিকা থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি করা সম্ভব? গবেষকেরা সেই চেষ্টা করে চলেছেন। তবে সমস্যা হলো, জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কড়া নিয়মকানুনের কারণে বিভিন্ন ধ্রুপদি শিল্পকর্ম গবেষকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।মোটরগাড়িকানাডায় প্লাস্টিক ও স্টিল ব্যবহার করে থ্রিডি প্রিন্টারে একটি ত্রিমাত্রিক মোটরগাড়ি (উর্বি) তৈরি করা হয়েছে। নির্মাতা জিম কর বলছেন, ভবিষ্যতে তিনি এই গাড়ির দাম ১৬ হাজার মার্কিন ডলারে সীমিত রাখতে পারবেন।অলংকারথ্রিডি প্রিন্টার সাশ্রয়ী ও দ্রুততর সময়ে বিভিন্ন অলংকার তৈরি করতে পারে। এ প্রযুক্তিতে একটি গয়না থেকে সহজেই শত শত প্রতিরূপ তৈরি করা সম্ভব।কৃত্রিম হাত-পা নিখুঁতভাবে স্থাপনযোগ্য কৃত্রিম হাত-পা তৈরিতে থ্রিডি প্রিন্টার কার্যকর হতে পারে। এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশও তৈরি করবে থ্রিডি প্রিন্টার।প্রতিস্থাপনযোগ্য যন্ত্রাংশমহাকাশযানের যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য পোশাকের বিরল বোতাম পর্যন্ত তৈরি করতে পারবে থ্রিডি প্রিন্টার।সূত্র: লাইভসায়েন্স/এএফপিবিশ্ব যুব দাবায় ফাহাদের হারসংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইনে বিশ্ব যুব দাবার পরশু অষ্টম রাউন্ডে কাজাকিস্তানের আরলেনের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের ফাহাদ রহমান। আট খেলায় ফাহাদের পয়েন্ট ছয়। সে ১৪তম স্থানে ছিল পরশু পর্যন্ত। গত রাতে নবম রাউন্ডে ফাহাদ খেলছিল ভারতের কুশাগ্রের মহানের সঙ্গে। ১১ রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতায় খেলছে মোট ১৫০ জন খুদে দাবাড়ু।বাংলাদেশের দুটি রুপাকলকাতায় আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় দুটি রুপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে আবির হাসান ও অনূর্ধ্ব-১১ বিভাগে বৃষ্টি।দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলকুল দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে কাল জয় পেয়েছে প্রান্তিক ক্রীড়াচক্র। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রান্তিক সাব্বিরের একমাত্র গোলে হারিয়েছে ইউরো ফেমাসকে। দিনের অন্য খেলায় পিডব্লিউডি স্পোর্টিং ক্লাব গোলশূন্য ড্র করেছে সাধারণ বীমা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে।জেলা ফুটবল লিগপ্রাইম ব্যাংক জেলা ফুটবল লিগে কাল সুনামগঞ্জে হিরিক গ্রুপ এসসি কুটির হ্যাটট্রিকের সুবাদে ৫-০ গোলে শাহবাগ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে। |
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সান্ত্বনা মার্কেটের সামনে সিটি করপোরেশনের ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দোকানটির ওপর ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসির) ২০০ কেভির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার রয়েছে।মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক অনিল কুমার জানান, পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে মার্কেটের মালিকপক্ষ একজনকে দোকানটি ভাড়া দিয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানান, সান্ত্বনা মার্কেটের পাশেই বেইলি স্কুল ও বেইলি টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স। মার্কেটের বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, যেখানে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই ফুটপাত দিয়ে চলাচল করে পথচারীরা। দোকান নির্মাণের ফলে তাদের চলাচল ব্যাহত হবে।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের (পশ্চিম) নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল মান্নান চৌধুরী জানান, ডিপিডিসির ২০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমারের নিচেই শুধু নয়, আশপাশে কোনো স্থাপনা নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিলেটে ছাত্রলীগ-যুবলীগ পাল্টা কর্মসূচি আগের রাতে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় গতকাল শুক্রবার ১৮-দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনের বেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগ একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।বিএনপি ও জোটের শরিক দলগুলোর কয়েক হাজার নেতা-কর্মী গতকাল দুপুর থেকে কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুরো এলাকা লোকারণ্যে পরিণত হয়। তবে সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মহানগর ১৮-দলীয় জোটের সভাপতি এম এ হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দিলদার হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের, মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নাসিম হোসাইন, সহসভাপতি বদরুজ্জামান, নোমান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম জালালী প্রমুখ বক্তব্য দেন।সমাবেশে বক্তারা মহাজোট সরকারকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁরা বলেন, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। বক্তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনেরও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশ শুরুর আগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সামসুজ্জামানের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রংমহলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানেও বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বক্তৃতা করেন। রংমহল পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র। এদিকে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণায় গতকাল সিলেট নগর ছিল অন্য রকম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক ছিল। নগরে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। বিপণিবিতানগুলো ছিল বন্ধ।সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আয়ুব প্রথম আলোকে জানান, একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আহ্বান করায় রাতে উভয় পক্ষের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাদের সমাবেশ প্রত্যাহার করে নেয়।সমাবেশ আহ্বান করে প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রসঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান বলেন, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি: ‘চট্টগ্রামে গ্যাসসংকট থেকে উত্তরণ এবং ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন, দুপুর ১২টায়, আগ্রাবাদ চেম্বার মিলনায়তনে।বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট: জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন, দুপুর ১২টায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে।মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি: আজিমুশশান গাউছুল আজম কনফারেন্স, বেলা একটায়, লালদীঘি ময়দানে।ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন—ইপসা: এইচআইভি ও এইডস বিষয়ে মতবিনিময় সভা, সকাল সাড়ে ১০টায়, ও আর নিজাম রোডের আশার আলো সোসাইটি কার্যালয়ে।সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘আঠারো বছর বয়স’ ছোটগল্প থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।# দুজন মনোবিজ্ঞানীর মতবাদসিগমন্ড ফ্রয়েড: ১৬-১৮ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা সমলিঙ্গীয় প্রেমের আসক্তিতে ভোগে। স্বীয় সৌন্দর্য ও পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে অত্যধিক সচেতন হয়ে ওঠে এ বয়সেই (সাইকো-এনালাইটিক তত্ত্ব)এরিক-এরিকসন: ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সের স্তরটি না-শিশু না-যুবক। এ বয়সে সমাজচিন্তাই প্রবল হয়ে ওঠে। সমাজের উন্নতির জন্য প্রতিবাদীও হয়ে ওঠে। সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধাচরণ করে এ বয়সেই (সাইকো-সোশ্যাল তত্ত্ব)ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?খ. আঠারো বছর বয়সের জীবনবোধকে কবি কেন তীব্রতা ও প্রখরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন?গ. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবির মনোভাবের সঙ্গে সিগমন্ড ফ্রয়েডের বক্তব্যের বৈপরীত্যটি ব্যাখ্যা করো।ঘ. কবির দৃষ্টিভঙ্গি যেন এরিকসনের বক্তব্যের প্রতিফলন—বিশ্লেষণ করো।উত্তর: ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।উত্তর: খ. আঠারো বছর বয়সের জীবনবোধকে কবি তীব্রতা ও প্রখরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।আঠারো বছর বয়সে মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মনোজগতেও পরিবর্তন ঘটে। অদম্য মানসিক শক্তি তাজা প্রাণে জোগায় অমিত তেজ। প্রাণশক্তিতে বলীয়ান তরুণেরা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেতে চায়। আশপাশের সবকিছুই তাদের সংবেদনশীল মনকে তীব্রভাবে নাড়া দেয়। চিন্তা-চেতনায় থাকে সূর্যের আলোর মতো প্রখর দীপ্তি। সে কারণে কবি এ বয়সের জীবনবোধকে তীব্রতা ও প্রখরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।উত্তর: গ. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তরুণদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। আর সিগমন্ড ফ্রয়েড এ বয়সের স্বভাব বৈশিষ্ট্যের তুলনায় শারীরিক দিকটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে, ১৬-১৮ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা সমলিঙ্গীয় প্রেমের আসক্তিতে ভোগে। কিন্তু এ কবিতায় কবির এ জাতীয় কোনো মনোভাব ব্যক্ত হয়নি। কবির মতে, ১৮ বছর বয়সী তরুণেরা মানসিক শক্তিতে বলীয়ান। তাই তারা স্বপ্ন দেখে নব নব অগ্রগতি সাধনের। আর সেই সব বাস্তবায়নে নিত্যনতুন করণীয় সম্পাদনের জন্য নব নব শপথে বলীয়ান হয়ে সে এগিয়ে যায় দৃঢ় পদক্ষেপে।আবার ফ্রয়েড এ বয়সের ছেলেমেয়েদের নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতনতার কথা বলেছেন। কিন্তু ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় এ জাতীয় মনোভাব প্রকাশ পায়নি। কবির মতে, দেশ ও মানবতার জন্য যুগে যুগে মানুষ এ বয়সেই এগিয়েছে বেশি। নানা দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা ও উদ্যোগ এ বয়সের তরুণদের মনকে ঘিরে ধরে। কবির ভাষায়—আঠারো বছর বয়সেই অহরহবিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।উত্তর: ঘ. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কবির এ দৃষ্টিভঙ্গি এরিকসনের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।এরিক-এরিকসন ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সের স্তরটির ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটি দিকের উল্লেখ করেছেন। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় ও তারুণ্যের স্বভাব বৈশিষ্ট্যের দুটি দিক লক্ষণীয়।এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্ত শপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজ-জীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স আবার হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর। এ সময় দক্ষতার সঙ্গে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে তার পদস্খলন হতে পারে। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। কবির ভাষায়—দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভারক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।তথাপি এরিকসনের মতো কবিও তরুণদের জয়গান গেয়েছেন। কারণ, সব ব্যক্তিস্বার্থ তুচ্ছ করে যুগে যুগে এ বয়স সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য রক্তমূল্য দিতে জানে—এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য।’কবি তাই এ বয়সের নেতিবাচক দিকের তুলনায় ইতিবাচক দিককেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। |
ভালোবেসে সমর্থকেরা ডাকেন ‘সন্ত ইকার’। ইকার ক্যাসিয়াসকে ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদ—একসময় অকল্পনীয় ছিল দৃশ্যটা। কিন্তু সেই ক্যাসিয়াসেরই এখন জায়গা হচ্ছে না দলে। লিগে কোনো ম্যাচ খেলেননি এই মৌসুমে। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১৫ মিনিট পরই চোটের কারণে বদলি! সব মিলিয়ে স্প্যানিশ গোলরক্ষক যে খুব কঠিন সময় পার করছেন, সেটা স্বীকার করেছেন রিয়াল কিংবদন্তি রোনালদো দ্য ফেনোমেননও।হোসে মরিনহোর শেষ সময়টাতে চোটের কারণে প্রথম জায়গা হারিয়েছিলেন ক্যাসিয়াস। তবে সুযোগ পেয়ে ডিয়েগো লোপেজও প্রমাণ করেছেন ক্যাসিয়াসের জায়গা নিতে প্রস্তুত তিনি। এই মৌসুমে কার্লো আনচেলত্তি কোচ হয়ে আসার পরও বেঞ্চেই সময় কাটাতে হচ্ছে ক্যাসিয়াসকে।অনেক দিন পর চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েও চোটের কারণে আবার চলে যান মাঠের বাইরে। এ অবস্থায় লোপেজকে সরিয়ে আবারও রিয়াল দলে জায়গা ফিরে পাওয়াটা ক্যাসিয়াসের জন্য কঠিন হবে বলেই মনে করছেন রোনালদো, ‘অনেক দিন তার এমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। সে ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষকদের একজন। লোপেজ আমার সঙ্গেও অনুশীলন করেছে এবং সে খুবই ভালো। আমার মনে হয় না, তাকে বেছে নিতে আনচেলত্তির খুব সমস্যা হয়েছে।’ক্যাসিয়াসের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু চিন্তিত হলেও রোনালদো আশাবাদী তাঁর সাবেক দল বার্সেলোনার নতুন তারকা নেইমারের ব্যাপারে। তবে বার্সায় আরও ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে নেইমারের আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করেন রোনালদো, ‘আমি মনে করি, ভালো খেলোয়াড়েরা সব সময়ই একে অন্যকে বুঝতে পারে। নেইমারের শুরুতে কিছুটা কঠিন সময় যাবে। তবে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলে একসময় খুব ভালো করবে।’বার্সেলোনা ও রিয়াল দুটি ক্লাবের হয়েই খেলা এই ব্রাজিল কিংবদন্তি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর দুই সাবেক ক্লাবকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। তবে পাশাপাশি দুই জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও শিরোপার বড় দাবিদার বলে মনে করেন তিনি, ‘রিয়াল, বার্সা তো সব সময়ই ফেবারিট। আমার বিশ্বাস, লড়াইটা হবে জার্মানির দুই ক্লাব আর বার্সা ও রিয়ালের মধ্যে।’ ওয়েবসাইট।ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা যোগাযোগ রাখছে—এ মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন রাহুল গান্ধী।ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা আমার দপ্তরে আসেন। তিনি আমাকে জানান, পাকিস্তানের লোকজন মুজাফফরনগরে সহিংসতায় নিহত মুসলিমদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছে। ওই কর্মকর্তা আমাকে আরও জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানি প্রচারণায় প্রভাবিত না হতে ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।’রাহুল বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা মুজাফফরনগরের মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদে জড়িত হওয়ার উসকানি দিচ্ছে।রাহুল গান্ধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) দায়ী করেন। তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘এই সাম্প্রদায়িকতার আগুন নেভাবে কে? জাফরান ব্রিগেড দেশে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করছে। কংগ্রেসকেই এই আগুন নেভাতে হবে।’ বিজেপির ভূমিকা ভারতের নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতার ওপর প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।রাহুলের এ বক্তব্য ভারতে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। তাঁর কথাকে ‘খুব দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করেছেন ভারতের মুসলিম নেতারা। শিয়া নেতা মাওলানা সাইফ আব্বাস নাকভি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য মুসলমানদের কেবল খারাপভাবে চিত্রিতই করেনি, তা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে শক্তিশালীও করেছে।রাহুলের মন্তব্যকে ‘সবচেয়ে দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে মাওলানা আবুল ইরফান মিঞা ফারাঙ্গী মহালী এ জন্য অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তিনি বলেন কংগ্রেসের মতো একটি জাতীয় দলের একজন নেতা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন সস্তা ও বেদনাদায়ক মন্তব্য করতে পারেন না।বিজেপি এবং উত্তর প্রদেশের ক্ষমতাসীন দল সমাজবাদী পার্টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিজেপি রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করবে। দলটির মুখপাত্র শাহনেওয়াজ হোসাইন বলেন, ‘রাহুলের মন্তব্য দুঃখজনক। এ জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ সমাজবাদী পার্টির আজম খান বলেছেন, একজন কনিষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে জনসভায় এভাবে বক্তব্য দেওয়া রাহুলের ঠিক হয়নি। এমন কোনো বিষয় তাঁর জানা থাকলে তিনি তা উত্তর প্রদেশ বা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে পারতেন।একজন তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। এতে অন্তত ৬২ জন মারা যায়। এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।খেলার অনুশীলনের পাশাপাশি খেলা দেখেও মানুষ নিজের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন সিডনির একদল গবেষক বলছেন, অন্যের খেলা দেখার সময় দর্শকের হূদ্স্পন্দন ও শারীরিক অন্যান্য প্রক্রিয়ার গতি বাড়ে। পরিণামে শ্বাস-প্রশ্বাস, ত্বকে রক্তপ্রবাহ ও ঘাম নিঃসরণ প্রভৃতিও গতিশীল হয়। এতে শারীরিক সামর্থ্য কিছুটা হলেও বাড়ে। অবশ্য কেবল নিজে পরিশ্রম করলেই কর্মক্ষমতা বাড়ে বলে এত দিন পর্যন্ত ধারণা প্রচলিত ছিল। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ভন মেসফিল্ড। ফ্রন্টিয়ার্স ইন অটোনোমিক নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে এ গবেষণা নিবন্ধ গতকাল রোববার প্রকাশিত হয়। শারীরিক পরিশ্রমের কোনো দৃশ্য যখন কেউ দেখেন, তখন তাঁর মাংসপেশির সংবেদনশীল স্নায়ুর তৎপরতাও বেড়ে যায়। এএফপি।আনোয়ারায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২০ ডিসেম্বর সকালে অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রামরু, সংশপ্তক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বের হয়ে শোভাযাত্রাটি আব্দুল জলিল স্মৃতি মিলনায়তন্রেএসে শেষ হয়। পরে সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী সৌরভ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহম্মদ ছৈয়দ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা্রএকরাম উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল ও মৎস্য কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিবাসী অধিকার কর্মসূচির কর্মসূচি কর্মকর্তা অরূপ রতন ভৌমিক।এতে বক্তারা সঠিক উপায়ে বিদেশ গমন এবং বিদেশ থেকে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। —আনোয়ারা প্রতিনিধি |
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার ২০০ টাকা পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তবে সব ধরনের পোশাক কারখানার জন্য এটি দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে মনে করে সিপিডি।এই মজুরির ৮০ শতাংশ বা ছয় হাজার ৫৬০ টাকা প্রথম বছরে শ্রমিকদের দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে মূল বেতন চার হাজার ৩০০ টাকা, বাড়িভাড়া (মূল বেতনের ৪০ শতাংশ) এক হাজার ৭২০ টাকা এবং চিকিৎসাভাতা ৫৪০ টাকা। আর দ্বিতীয় বছরে বাকি ২০ শতাংশ বা এক হাজার ৬৪০ টাকা যোগ হয়ে মোট মজুরি দাঁড়াবে আট হাজার ২০০ টাকায়।রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এমনই বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে সিপিডি। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথি ছিলেন।বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।দারিদ্র্যের উচ্চসীমা, প্রকৃত ব্যয় এবং পুষ্টিগুণসম্মত খাদ্য—এই তিনটি বিষয়কে ভিত্তি ধরে শ্রমিকদের মজুরি কেমন হওয়া উচিত, তা বিশ্লেষণ করেছে সিপিডি। এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যসংখ্যা, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে ব্যয় এবং মূল্যস্ফীতি।সিপিডির হিসাবে, দারিদ্র্যের উচ্চসীমা ভিত্তি ধরে একজন বিবাহিত শ্রমিকের মাসে মজুরি ছয় হাজার ৪৪৪ টাকা, প্রকৃত ব্যয়কে ভিত্তি ধরে বিবাহিত শ্রমিকের আট হাজার ২১৬ ও অবিবাহিত শ্রমিকের সাত হাজার ১৭৪ টাকা এবং পুষ্টিগুণসম্মত খাদ্যকে ভিত্তি ধরে বিবাহিত শ্রমিকের ১৭ হাজার ৮৩৭ ও অবিবাহিত শ্রমিকের ছয় হাজার ৭৫০ টাকা মজুরি হওয়া উচিত।এসব উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকুক, তা সিপিডি চায় না। আবার দেশীয় বাস্তবতায় ১৭ হাজার ৮৩৭ টাকাও মজুরি দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণে শ্রমিকের জন্য সিপিডি ন্যূনতম আট হাজার ২০০ টাকা মজুরির সুপারিশ করছে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডকে শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় বিবেচনায় নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।উল্লেখ্য, মজুরি বোর্ডের কাছে শ্রমিকপক্ষ আট হাজার ১১৪ টাকা ও মালিকপক্ষ তিন হাজার ৬০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা।মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভালো মজুরি যেন শ্রমিকেরা পান, সে ধরনের মানসিকতা পোশাকমালিকদের থাকতে হবে। আবার আন্তর্জাতিক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশের তৈরি পোশাকের ৬৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরও শ্রমিকদের জীবনমান বাড়াতে কাজ করতে হবে।নজরুল ইসলাম খান বলেন, যখন শ্রমিকদের মজুরি ছিল ৬২৭ টাকা, তখনো মালিকেরা বলেছিলেন এত মজুরি দিলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। মজুরি কয়েক গুণ বেড়ে তিন হাজার টাকা হয়েছে। এখনো বলছেন, এত মজুরি দিলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এই জায়গায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।পোশাকমালিকদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিল বাড়ছে, প্রতিবছর করের পরিমাণ বাড়ছে। প্রতিবাদ করতে পারেন? প্রতিবাদ করতে পারেন শুধু শ্রমিকের মজুরি বাড়ানোর সময়। এটা বন্ধ করেন।’নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১০ সালের ওয়েজ বোর্ডে শ্রমিকের বাড়িভাড়া রাখা হয়েছে ৮০০ টাকা। ৮০০ টাকায় বাড়ি কেন, বারান্দাও ভাড়া পাওয়া যাবে না।ইসরাফিল আলম বলেন, মজুরি বাড়ানোই বড় কথা নয়। এই মজুরিকে সুরক্ষা দিতে হবে। এক মাস পর যদি বাড়িভাড়া বেড়ে যায়, তখন শ্রমিকেরা কী করবেন? মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পোশাকশ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে এ খাত চালাতে পারবেন না।মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পোশাকমালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সবদিকই বেড়ে যাচ্ছে। আগে একটি কারখানা ছিল, এখন ১০টি কারখানা হয়েছে। আগে ২৫০ জন শ্রমিক কাজ করতেন, এখন করেন ২০ হাজার। খালি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বেলায় আপনারা নেই।’মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল শ্রমিকের বর্তমান মজুরি যে যথেষ্ট নয়, তা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আট ঘণ্টার মজুরি যদি যথেষ্ট হতো, তাহলে অতিরিক্ত কাজের (ওভারটাইম) জন্য শ্রমিকেরা এত উদ্গ্রীব হতেন না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, দেশের পোশাকশিল্প দুই হাজার কোটি ডলারের। টাকার অঙ্কে ১৬ হাজার কোটি টাকা (এক ডলারকে ৮০ টাকা ধরে)। প্রতি ১০০ ডলার রপ্তানিতে মালিকেরা যদি দুই ডলার মুনাফা করেন, তাহলে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা তাঁদের মুনাফা থাকে। এ টাকা থেকে যদি মালিকেরা ২৫ শতাংশ ছাড় দেন, তাহলেই শ্রমিকদের আট হাজার টাকা করে মজুরি দেওয়া সম্ভব হবে।সংলাপ অনুষ্ঠানে সাংসদ অপু উকিল ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, বিলসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক সুলতান হোসেন, শ্রমিকনেতা কামরুল আনাম, জাহানারা বেগম, তৌহিদুর রহমান, শামীমা নাসরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। শ্রমিকনেতারা এ সময় বলেন, এখন যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা শুধু মালিকদের দিক থেকে মাত্র ৬০০ টাকা মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাবের কারণেই হয়েছে। অথচ মজুরি ভিক্ষা না, দয়ার দান না, মজুরি শ্রমিকের কর্মের দাম। এর ন্যায্যমূল্য দিতেই হবে।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাসেই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার যাবতীয় আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে।গতকাল শুক্রবার সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সদর উপজেলার খাদিনগর ইউনিয়নের বাইশটিলা পয়েন্টে ওই জনসভা হয়।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত-শিবির এ দেশ এবং দেশের অস্তিত্ব কখনো মেনে নেয়নি। তারা দেশের শান্তি ও মঙ্গল চায় না। তারা সব সময়ই দেশকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় তৎপর। এদের বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম, এদের বিরুদ্ধেই আগামী নির্বাচন। বর্তমানসরকার দেশে জঙ্গিবাদকে কঠোরভাবে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে।’সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ প্রমূখ।জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে দুই সদস্যের (এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন) ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল রোববার এ দিন ধার্য করেন। কারাগারে আটক সুবহানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।গতকাল সুবহানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানান আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যেসব অভিযোগ এনেছে, তার কোনোটিতেই আইনগত শর্ত পূরণ করা হয়নি। যে এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, সে এলাকা থেকে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসামির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান উল্লেখ করে সুবহানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো সঠিক নয়।অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।সুবহানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগসহ গত ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাবনার একটি ফৌজদারি মামলায় সুবহানকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয়। ওই সময় থেকে তিনি কারাগারে আছেন।তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা চলছে: একই ট্রাইব্যুনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চৌধুরীকে গতকালও জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক। বিকেলে জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।সংঘাত-সংঘর্ষ পরিহার করার জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণফোরাম। জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে বিতর্কিত এই নির্বাচনী তফসিল স্থগিত এবং হরতাল-অবরোধ ও মানুষ হত্যা বন্ধ করে জাতীয় সংলাপ শুরুর তাগিদ দিয়েছে দলটি।গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে সরকারের অনমনীয় মনোভাব এবং একতরফা নির্বাচনী তফসিলে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ইতিমধ্যে এই নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার অজুহাতে ১৮-দলীয় জোট হরতাল-অবরোধের নামে অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টি করছে।দুই জোটের সাংঘর্ষিক রাজনীতির কারণে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত জাতীয় ঐক্য দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমঝোতার মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণফোরাম। বিজ্ঞপ্তি। |
চটগ্রাম নগরের ব্যস্ততম এলাকা কাজীর দেউড়ি। এ মোড়ের ঠিক উত্তর-পূর্ব কোণে দুইতলা ভবনের অবস্থান। নকশা লঙ্ঘন করে নির্মাণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভবনটি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) প্রায় তিন বছর আগে ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য মালিককে চূড়ান্ত নোটিশ দেয়। পরবর্তী সময়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ভবনের পাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করে।নকশা লঙ্ঘনের অভিযোগে আট বছরে এ রকম প্রায় সাড়ে চার হাজার ভবন মালিককে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েই দায় সেরেছে (চউক)। ইমারত নির্মাণ আইনের ৬(১) ধারা অনুযায়ী এসব নোটিশ দেওয়া হয়। সংস্থাটির যথাযথ তদারকির অভাবে নির্মিত এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারণ বিশাল কাজ। চউকের বিদ্যমান স্বল্প জনবল দিয়ে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমার আমলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অপসারণের কাজ চলছে।কাজীর দেউড়ি দুইতলা ভবন মালিক জাভেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যায়িত করে ভবনটি ভেঙে ফেলতে চউকের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরে চউক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভবনটি এখনো আগের মতোই আছে।’চউকের মোট আয়তন এক হাজার ১৫২ বর্গকিলোমিটার। নগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের একাংশ এর অন্তর্ভুক্ত। এসব এলাকার নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনের জন্য আছেন মাত্র ১২ জন পরিদর্শক। চউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত আট মাসে আরও ৩২টি নকশা বহির্ভূত ভবন চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অপসারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক মালিককে ৫০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।চউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার ভবন মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি চারটি ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে অন্তত ১০ শতাংশ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে মানুষ সচেতন ও সতর্ক হতো।’ নির্মাণাধীন ভবন যথাযথভাবে তদারকি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, ‘ভবনগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য চউকের উপযুক্ত জনবল ও স্বতন্ত্র কোনো বিভাগ নেই। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অধিকাংশ ভবন গড়ে উঠেছে। এতে ভবনগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে।’চউকের অথারেইজেশন কর্মকর্তা-১ মোহাং মনজুর হাসান জানান, বিধিমালা মেনেই ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখলে নকশাবহির্ভূত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। নির্মাণাধীন ভবন তদারক করার জন্য দুই অঞ্চলে অন্তত ৪০ জন পরিদর্শকের প্রয়োজন।মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন নজরদারির হাত থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মুঠোফোন বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট মুক্ত। কারণ, এ দুটির কোনোটিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেই। গতকাল শুক্রবার এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।যুক্তরাজ্যেরগার্ডিয়ান পত্রিকা গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, এনএসএ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৩৫ জন নেতার ফোনে আড়ি পেতেছেন।এনডিটিভি মার্কিন নজরদারির বিষয়ে মনমোহন অবহিত কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নেই। তিনি ব্যক্তিগত ই-মেইলও ব্যবহার করেন না। এনডিটিভি।ফেরি-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট নৌপথে যানবাহন পারাপার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ইলিশা ও মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে শতাধিক যান আট-দশ দিন পর্যন্ত আটকে থাকছে। এই কারণে বাসযাত্রী ও ট্রাকচালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই নৌপথে নিয়মিত কামেনী, কস্তুরী ও কিষানী নামে তিনটি ফেরি চলাচল করত। অক্টোবরের শেষ দিকে ইঞ্জিনে ক্রটি দেখা দেওয়ায় কামেনী নামের ফেরিটি সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে কস্তুরী ও কিষানী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দুই-এক দিন পর পর একটি ফেরি বিকল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই নৌপথের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর পড়েছে। এই কারণে চালকেরা ভাটার সময় বেশি যানবাহন নিয়ে ফেরি চালাতে চাচ্ছেন না। এসব কারণে দুই ঘাটে যানবাহন আটকে থাকছে। গতকাল রোববার ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে শতাধিক বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস আটকে থাকতে দেখা যায়।লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট থেকে মুঠোফোনে জাকির হোসেন নামের এক ট্রাকচালক জানান, গত ১০ দিন ধরে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে শতাধিক ট্রাক আটকে আছে। চালকেরা ডুবোচরের দোহাই দিয়ে ধারণক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে ফেরি চালাচ্ছেন।যাত্রী, চালক ও যানবাহনের মালিকেরা অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিসি যথাযথভাবে সংস্কার না করায় প্রায়ই এই নৌপথের ফেরি বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বলেন, এই নৌপথ দিয়ে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। ইলিশা ফেরিঘাটে কথা হয় ট্রাকচালক আবদুল লতিফের সঙ্গে। তিনি জানান, দিনের পর দিন ঘাটে থাকায় মাছ, গরু ও কাঁচামালবোঝাই ট্রাকগুলোর চালকদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে।বিআইডব্লিউটিসি ইলিশা ও মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডুবোচরের কারণে ভাটার সময় ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। ইলিশাঘাট এবং লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী চ্যানেল এলাকার মেঘনায় ডুবোচর পড়ায় ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায়ই ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় দুই পাড়ে বাস ও ট্রাক আটকে থাকছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।আিইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশেই ফেরি-সংকট আছে। মাওয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের ফেরি নিয়ে এমনিতেই সমস্যায় আছি। আশা করি, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নভেম্বরের শেষ নাগাদ দুটি নতুন ফেরি দিতে পারব।’এক দল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আরেক দল মাত্র ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে। এক দলের অতীতটা সমৃদ্ধ। আরেক দলের প্রচণ্ড টাকার জোর। এমন দুটি দল মুখোমুখি হলে জমাট লড়াই হতে বাধ্য। আজ লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচটা আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়াবে বলেই আভাস।ইউরোপিয়ান ফুটবলে এখন বড়দিনের ছুটির আমেজ। ব্যতিক্রম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। গতকাল বড়দিন পালন করে আজই ইংলিশ লিগের খেলোয়াড়দের নেমে পড়তে হচ্ছে মাঠে। বক্সিং ডেতে মাঠে নামবে লিগের ২০টি দলই। তবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ম্যাচটাই। এক ও তিনের লড়াই বলে কথা!একসময় লিভারপুলই ছিল ইংল্যান্ডের সফলতম দল। তিন বছর আগেও সবচেয়ে বেশিবার লিগ জয়ের রেকর্ডটি ছিল লিভারপুলের দখলেই। যদিও ১৮টি লিগ শিরোপার সর্বশেষটি লিভারপুল জিতেছিল ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। সেই থেকেই অলরেডরা নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার আবার অ্যানফিল্ডে শিরোপার হাতছানি। ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। তবে কোচ ব্রেন্ডান রজার্স এখনই অত দূর ভাবতে চান না। তাঁর আপাতত লক্ষ্য শীর্ষে থেকে বছরটা শেষ করা।লিভারপুল কোচ এটাও ভালো করেই জানেন, তাঁর এই লক্ষ্য পূরণ করাটাও খুবই কঠিন হবে। আজই যেমন তাদের পড়তে হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি নামক দৈত্যের সামনে। ম্যাচটা সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদে, যেখানে আগের ৮ ম্যাচেই জিতেছে সিটি। এই ৮ ম্যাচে তারা গোল করেছে ৩৫টি! বিপরীতে খেয়েছে মোটে ৫টি গোল। সিটির দুর্গে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য গোল করা কতটা কঠিন, রজার্সের অজানা থাকার কথা নয়। তার মধ্যে লিভারপুল কোচ চোটের জন্য দলে পাচ্ছেন না অধিনায়ক জেরার্ড, ফরোয়ার্ড স্টারিজ ও এনরিককে। তাতে কী, সুয়ারেজ আছেন না? সিটির কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির ভয় লিগে সর্বোচ্চ ১৯ গোল করা সুয়ারেজকে নিয়েই, ‘লিভারপুল খুবই ভালো দল এবং এই মুহূর্তে সুয়ারেজ দুর্দান্ত ফর্মে।’ সুয়ারেজের পাল্টা জবাব হতে পারতেন যিনি, সিটির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করা সেই সার্জিও আগুয়েরো চোটের কারণে ছিটকে পড়েছেন আগেই। তবুও পেলেগ্রিনি আশাবাদী।লিভারপুল হারলে আর্সেনালের সুযোগ থাকবে আবার শীর্ষে ওঠার। লিভারপুলের সমান ৩৬ পয়েন্ট হলেও আর্সেনাল দুইয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায়। আর্সেন ওয়েঙ্গার দল যাচ্ছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েস্ট হামের মাঠে। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা চেলসি নিজেদের মাঠে খেলবে সোয়ানসি সিটির সঙ্গে। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যাচ্ছে হাল সিটির মাঠে। এএফপি। |
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে আবাহনী ফুটবল দলের নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন এক অস্ট্রেলিয়ান। দু-এক দিনের মধ্যেই নাথান হলকে আবাহনী নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।নাথান থাকেন ব্যাংককে। থাই মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ি করেছেন সেখানে। স্ত্রীর ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। আর তিনি ফুটবল কোচিং করিয়ে বেড়ান। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের দুটি শীর্ষ ক্লাবে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ভারতীয় ফুটবলেও পরিচিতি আছে। আই লিগে বাইচুং ভুটিয়ার দল সিকিম ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন গত মৌসুমে।নাথানের বয়স মাত্র ২৯! ফুটবল বেশি দিন খেলেননি। কোচিংয়েই যাবতীয় মনোযোগ দিয়েছেন। ফিটনেসের ওপর অনেক পড়াশোনা আছে। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে এটাও মনে ধরেছে আবাহনীর অন্যতম পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদের। নাথানকে টিকিট পাঠিয়ে গত দুই দিন আগে ঢাকায় এনেছেন তিনি। গতকালই দুই পক্ষে আলোচনা হয়েছে।সেই আলোচনা শেষে কাজী নাবিল বলছিলেন, ‘আমরা তো বয়স্ক কোচ আনতেই অভ্যস্ত। তবে এখন সারা বিশ্বেই তরুণ কোচদের প্রাধান্য। নাথান মাত্র ২৯ বছর বয়সী হওয়ায় এটা তাঁর জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া এই অঞ্চলে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা নাথানের বাড়তি যোগ্যতা। তাঁকে আমরা বলেছি, আগামী পরশু (কাল) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে দ্রুতই তিনি চলে আসবেন। আপাতত ব্যাংককে ফিরে যাচ্ছেন আজই (গতকাল)।’আবাহনীর হাতে দুজন ইংলিশ, একজন ডাচ কোচের বায়োডাটাও আছে। তবে ডাচ কোচ নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানালেন নাবিল। বাকি কোচদের মধ্যে একজনের বয়স ৩২। তাঁকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে নাবিলের কথায় মনে হলো, নাথানকেই বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, ‘একজন ইংলিশ কোচের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তবে নাথানকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখছি।’উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত তিন মৌসুম আবাহনীতে ছিলেন দুজন ইরানি কোচ। প্রথমজন আলী আকবর পোরমুসলিমি মোটামুটি সাফল্য দিয়ে গেলেও গত বছর আবাহনী তাঁকে বাদ দিয়ে নেয় তাঁরই কোচিং শিক্ষক আরদেশির পোরনেমাতকে। কিন্তু পোরনেমাতের আবাহনী গত মৌসুমে মাঠে কোনো সাফল্যই পায়নি। লিগ শিরোপা হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে। ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্বেই বিদায়।তাই এবার আর ইরানি কোচে আস্থা রাখছেন না আবাহনীর কর্মকর্তারা। চোখ তাঁদের ইউরোপিয়ান কোচেই। আর তিনি যদি হন নাথানের মতো ২৯ বছরের তরুণ, তাহলে তো হবে আরও বড় এক চমক!আওয়ামী লীগের বহুল বিতর্কিত নেতা ও সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কৃতী খেলোয়াড় সম্রাট হোসেন এমিলিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের অভ্যর্থনা কক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে এমিলি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।এদিকে সাংবাদিকদের কাছে ওই অভিযোগ করার পর দুটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ-সংক্রান্ত খবর প্রচারিত হয়। এর পরপরই পুলিশ এমিলিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘণ্টা খানেক পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমিলি নারায়ণগঞ্জ যুবলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক।এমিলি অভিযোগ করেন, গতকাল সকাল আটটার দিকে শহরের খানপুরের বাসা থেকে দ্বিগুবাবুর বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে তিনি বের হন। পথে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে প্রাইভেট কার পার্ক করে ক্লাবের সভাপতি মো. সোলায়মান কখন ক্লাবে আসবেন, তা নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে জানতে চান। এ সময় শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আসিফ হাসান মাহমুদ ওরফে মানু ও অপর একজন অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ক্লাবের অভ্যর্থনা কক্ষে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে পিস্তল হাতে শামীম ওসমান আসেন। শুরু করেন অকথ্য ভাষায় গালাগালি। একপর্যায়ে তাঁকে লাথি মারেন ও মুখে পিস্তলের নল ঢুকিয়ে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন।শামীম ওসমান কেন মারধর করলেন, এমন প্রশ্নের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ এমিলি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এমিলি জানান, মারধরের খবরে তাঁর বাক্প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী দাবি করে এমিলি বলেন, ‘আল্লাহর দরবারে এর বিচার দিয়ে রাখলাম। প্রশাসনের কাছে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কেউ সুবিচার পায়নি।’এদিকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করার পর খানপুর হাসপাতাল জামে মসজিদ থেকে জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। একই সময় নারায়ণগঞ্জে ওই দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল, এমিলি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শহরে কয়েকটি রিকশা ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এম সোলায়মান জানান, শুক্রবার হওয়ায় তিনি সকালে ক্লাবে যাননি। এ ধরনের কোনো ঘটনার খবরও তাঁর জানা নেই।অন্যদিকে অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমিলির সঙ্গে আমার দেখাই হয়নি। তা ছাড়া সে মাদকাসক্ত। তাকে মারধরের কোনো প্রশ্নই আসে না।’শামীম ওসমান ধনীদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের রেস্টহাউসের একটি কক্ষে গত বৃহস্পতিবার রাত কাটান। ওই রাতে তাঁর নিরাপত্তায় কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডারও সেখানে অবস্থান করে। এমিলির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এমিলি এ বছর খানপুর বরফকল গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। প্রতিবছর এই হাট থেকে শামীম ওসমানকে মোটা অঙ্কের চাঁদা ও কয়েকটি গরু উপহার দেওয়া হয়। শামীম ওসমানের পক্ষে তাঁর একজন শ্যালক এ উপহার গ্রহণ করেন। চলতি বছর এমিলি চাঁদা ও গরু দেননি। এতে ক্ষুব্ধ হন শামীম ওসমান।এর আগে শামীম ওসমান ২০১১ সালের ১৮ জুন জেলা প্রশাসকের সমেঞ্চলন কক্ষে এক সভায় সাংসদ সারাহ্ বেগম কবরীকে লাঞ্ছিত ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়েছিলেন।যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩ (৭, ৮ ও ৯) নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে এক ভ্যানচালকের ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আত্মসাৎ করা টিন ফেরত পেতে ওই ভ্যানচালক উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত অভিযোগে ভ্যানচালক জানান, পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ভ্যানচালক নুর ইসলাম সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে নয় ফুটের আটটি টিন পান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে রহিমা বেগমের উপস্থিতিতে তিনি টিনগুলো বুঝে নেন। এরপর রহিমা বেগম নুর ইসলামকে কৌশলে বুঝিয়ে টিনগুলো নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।পরবর্তী সময়ে ওই টিন দিয়ে রহিমা বেগম নিজের ঘর মেরামত করেন। কয়েক দিন আগে নুর ইসলাম তাঁর ঘর মেরামতের জন্য রহিমা বেগমের কাছে টিন চাইতে গেলে তিনি তাঁর কাছে আট হাজার টাকা দাবি করেন। আত্মসাৎ করা ওই টিন ফেরত পেতে নুর ইসলাম ২১ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেন।উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত শনিবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নুর ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বাস করে টিনগুলো মহিলা মেম্বরের বাড়িতে রাহিলাম। এহন ঘরে টিন দেব। কিন্তু টিন চাতি গেলি মেম্বর আমার কাছে আট হাজার টাহা চাচ্ছে। ওই টিন তিনি নিজের ঘরে লাগাইছেন। মেম্বর এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না কত্তি বলেছে।’ রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি কোনো টিন আত্মসাৎ করিনি। প্রতিপক্ষ একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে আমার বিরুদ্ধে ভ্যানচালককে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করিয়েছে।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মাদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশের পর ওই মহিলা সদস্যকে গতকাল রোববার আমার কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। তিনি ত্রাণের কোনো টিন নেননি বলে দাবি করেছেন। আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক বলেন, ‘আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ২৯ ডিসেম্বর। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। গত নভেম্বরের শুরুতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ২০ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কয়েক দফায় পরীক্ষা পিছিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর শেষ করা হয়।অন্যদিকে, ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছিল দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২৯ লাখ। ওই পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে তিন দফায় পেছাতে হয়। অবশ্য বরাবরের মতো এবারও ডিসেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।বই উৎসব ২ জানুয়ারি: ২ জানুয়ারি সারা দেশে ‘বই উৎসব’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ জানুয়ারি আখেরি চাহার সোম্বা থাকায় এক দিন পর ২ জানুয়ারি এই উৎসব করা হচ্ছে।এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা শিক্ষাবর্ষের প্রথম কর্মদিবসেই বই উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’ |
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই শুনানি গ্রহণ করেন।বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আজ বুধবারও শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।গতকাল আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সাঈদী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির জন্য ৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। সকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রস্তুতির জন্য তিন সপ্তাহ সময় চান। রাষ্ট্রপক্ষে এর বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানি শেষে আদালত দুপুর ১২টায় আদেশের সময় ধার্য করেন।বিরতির পর দুপুর ১২টার দিকে কার্যক্রম শুরু হলে আদালত ওই আবেদন নাকচ করে শুনানি শুরু করতে বলেন। পরে সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক শুনানি শুরু করেন। বেলা একটা পর্যন্ত চলা শুনানিতে আবদুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ১২০ পৃষ্ঠার মধ্যে ২১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়েন। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে জামায়াতের অপর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বেঞ্চ। তবে সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির বেঞ্চে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেই, অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসা বালীকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্যগুলোতে আলাদা করে দণ্ড দেওয়া হয়নি। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। আসামিপক্ষ আপিলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে সাঈদীকে খালাসের আরজি জানায়। অন্যদিকে ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দণ্ড না হওয়ায় আপিলে এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, বহুল আলোচিত কয়লাখনি কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রয়েছেন। মনমোহন বলেন, তিনিও আইনের ঊর্ধ্বে নন।মনমোহন সিং ২০০৫ সালে একটি ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলন করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিড়লার হিন্দালকো কোম্পানিকে অনুমতি দিয়ে একটি চুক্তিতে সই করেন। ওই চুক্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই কথিত কেলেঙ্কারি ভারতে ‘কোল-গেট’ নামে পরিচিত হয়েছে। এ নিয়ে মনমোহনের সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ওই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিরোধী দল বিজেপি।মস্কো ও বেইজিং সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার বিমানে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনমোহন বলেন, ‘আমি এ দেশের আইনের ঊর্ধ্বে নই। তাই এ ব্যাপারে সিবিআই বা যে কেউ যদি কিছু জানতে চায়, তাহলে কোনো কিছু গোপন করব না।’এর আগে গত শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে মনমোহন সিং ওই কয়লাখনি বরাদ্দ দেওয়ার দায়ভার গ্রহণ করে নেন। পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তবে এই প্রথম মনমোহন ওই কেলেঙ্কারির বিষয়ে খোলামেলাভাবে বিবৃতি দিলেন।হিন্দালকোকে ওই কয়লাখনি বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারতের শিল্পপতি কুমার মঙ্গলাম বিড়লা ও সাবেক কয়লা সচিব পি সি পারাখের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে একটি এজাহার দায়ের করেছে সিবিআই।নওয়াজের সমালোচনা: কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে ভারতের দাবির প্রতিও পূর্ণসমর্থন জানিয়েছেন তিনি।চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পথে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মনমোহন সিং নওয়াজকে উদ্দেশ করে বলেন, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা ও ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে যা ঘটছে, তা দুই দেশের কারও জন্য মঙ্গলজনক নয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।নগরকান্দা কলেজ সরকারি করার ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দুই ভরি ওজনের সোনার নৌকা-সংবলিত ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে।এ উপলক্ষে কলেজের উদ্যোগে নৌকার আদলে ১৫টি তোরণ নির্মাণ ও মঞ্চটি সাজানো হয়।গতকাল রোববার দুপুরে ফরিদপুরের নগরকান্দা কলেজসংলগ্ন মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নগরকান্দা কলেজ সরকারি হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে সাজেদা চৌধুরীকে কলেজের পক্ষ থেকে দুই ভরি ওজনের সোনার নৌকা-সংবলিত একটি সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ও তাঁর তিন ছেলে আয়মন আকবর, সাজেদ আকবর ও সাহাদত আকবর বক্তব্য দেন।নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘নগরকান্দাকে নগরে পরিণত করতে চেয়েছি। কিছু কাজ বাকি আছে, সময় পেলে সে কাজটুকুও করে যাব। আপনাদের দোয়ায় আজ আমি এ পর্যন্ত এসেছি। এখানকার জনগণের সুবিধার্থে নগরকান্দায় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন, যাতে আগামী দিনে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারি।’সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর মিয়া, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সর্দার, সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজের উদ্যোগে নৌকা-সংবলিত ১৫টি তোরণ ও সাজেদা চৌধুরীর কর্মকাণ্ড নিয়ে ২৫০টি ফেস্টুন স্থাপন করা হয়।দলের সঙ্গে সহ-অধিনায়ক হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দুর্ভাগ্য মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের। শেষ মুহূর্তে আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে পড়লেন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দল থেকে। তাঁর পরিবর্তে আজ বাংলাদেশ যুবদলের সঙ্গী হয়ে দুবাইয়ের বিমানে উঠবেন জাকির হাসান। পরশু যেদিন দল ঘোষণা হলো, উইকেটকিপার জসীম উদ্দিন অনুশীলন করতে গিয়ে চোটটা পেয়েছিলেন সেদিনই। পরে এক্স-রেতে ধরা পড়ে তাঁর ডান হাতের তর্জনীর হাড় ফেটে গেছে। দলের বাইরে চলে যেতে হলো সে কারণেই। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৮ ডিসেম্বর শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট। |
চট্টগ্রামের সংবাদপত্র প্রকাশনা জগতে মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে। তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রথমে সাপ্তাহিক কোহিনূর এবং পরে দৈনিক আজাদী প্রকাশ করে সমগ্র চট্টগ্রামকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করেছেন।গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি সাংবাদিক এম এম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক পথিকৃৎ ব্যক্তি। তিনি আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছেন।’শেরপুর জেলা শহরের নওহাটায় বিসিক শিল্পনগরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলায় কয়েক শ বস্তা আলু পচে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কৃষকেরা অভিযোগ করেন, সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন তাজ হিমাগারে চলতি মৌসুমে এক লাখ ২০ হাজার বস্তা (প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন) আলু সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নির্দিষ্ট মানের তাপমাত্রা না রাখা ও খরচ বাঁচানোর জন্য ঈদের সময় বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়াসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাজ কোল্ড স্টোরেজ নামের ওই হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, হিমাগারের সামনের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পচা আলু ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানে একটি ট্রলিতে ২০ বস্তা আলুর মধ্যে পাঁচ বস্তা পচা আলু রয়েছে।শেরপুর সদর উপজেলার ঝাউয়েরচর গ্রামের আলুচাষি মো. আবদুল কুদ্দুছ (৪০) জানান, তিনি ওই হিমাগারে ৪০ বস্তা (প্রায় সাড়ে তিন মেট্রিক টন) গ্রানুলা জাতের আলুবীজ সংরক্ষণের জন্য জমা রাখেন। কিন্তু ১২ অক্টোবর হিমাগার থেকে ওই আলু বের করার পর দেখা যায়, সেগুলো পচে গেছে।তাজ হিমাগারের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয়। কখনোই হিমাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় শিক্ষকেরা অপমান করায় এসএসসি পরীক্ষার্থী জীবন মৃধার (১৬) আত্মহত্যার ঘটনাটি এক লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে। ফলে জীবন মৃধার পরিবার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।গত শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকেরা জীবনের বাবা মান্নান মৃধার সঙ্গে এক লাখ টাকা প্রদান ও বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া তাঁর ছোট ছেলে সাগরকে এসএসসি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়ার ব্যয় বহন করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সমঝোতা করেন।প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র রায় বলেন, যেহেতু দরিদ্র পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তাই অভিভাবক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের উপস্থিতিতে সহায়তা হিসেবে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এক লাখ টাকা ও বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া জীবনের ছোট ভাই সাগরকে এসএসসি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সমঝোতা হয়। এ অর্থ বিদ্যালয়ের তহবিল থেকেই দেওয়া হবে।মান্নান মৃধা সমঝোতার কথা স্বীকার করেছেন।উপজেলার চৌধুরী আবদুল হামিদ একাডেমীর দশম শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র জীবন মৃধা এসএসসির ফরম পূরণের টাকা জমা দেওয়ার পর রসিদ না দেওয়ায় বিষয়টি জানতে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে যায়।এ সময় উপস্থিত শিক্ষকেরা তাকে অপমান করলে ওই দিন দুপুরেই সে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার প্রথম আলোয় একটি খবর ছাপা হয়।সশস্ত্র বাহিনী আজ বৃহস্পতিবার থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এবার নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৫০ হাজারের কম-বেশি হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার অর্ধেকের বেশি (৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি) আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও নির্বাচনী ব্যয় খুব একটা কমছে না। একতরফা এই নির্বাচনের ব্যয়ও শেষ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে সিংহভাগ টাকা ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা খাতে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনেও (ষষ্ঠ সংসদ) নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় ছিল প্রায় চার গুণ।নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী উপজেলা ও থানায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও সড়কে নিরাপদে যানবাহন চলাচলে এবং স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও কাজ করবে। নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৬০ হাজারের মতো সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।কমিশন সচিবালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোন জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর কত সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঠিক করবেন। কী পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হবে, তা নিজ নিজ বাহিনীর সদর দপ্তর নির্ধারণ করবে। সশস্ত্র বাহিনী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে এবারের নির্বাচনী ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ২০০ কোটি টাকা। এখন ১৫৪ আসনে নির্বাচন না হওয়ায় তা কমে ১২০ কোটি বা এর কম-বেশি হতে পারে। এর মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের ভাতা বাবদ ব্যয় হবে ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ বিভাগ থেকে ১৪৭ কোটি টাকা, সশস্ত্র বাহিনী থেকে ৫৪ কোটি, আনসার থেকে ২০৬ কোটি এবং কোস্টগার্ড থেকে ৬৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এখনো বাজেট প্রস্তাব দেয়নি।কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব হিসাবে কিছুটা কাটছাঁট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ব্যয় ৫০০ কোটি টাকার বেশি বা কম হতে পারে।জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ সাদিক গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নির্বাচন পরিচালনা খাতে ব্যয় কমবে। কিন্তু অন্যান্য খাতে ব্যয় খুব একটা কমবে না। এ কারণে সার্বিক ব্যয় তেমন কমবে না।আগামী ৫ জানুয়ারি ১৪৬টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা ৩৮৬ জন। মোট ভোটারের সংখ্যা চার কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭০ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮ হাজার ১২৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯০ হাজার ৭২৪টি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ৬১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ১৮ হাজার ১২৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯০ হাজার ৭২৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং এক লাখ ৮১ হাজার ৪৪৮ জন পোলিং অফিসার।নবম সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় ছিল ১৬৫ কোটি ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ছিল ৬৭ কোটি ২১ লাখ চার হাজার এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় ছিল ৯৭ কোটি ৭৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এই হিসাবে দশম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় বাড়ছে নবম সংসদ নির্বাচনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ।১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ২৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ছিল সাত কোটি ২১ লাখ ৯৩ হাজার। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ব্যয় ছিল ৩৭ কোটি চার লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় সাত কোটি ৬২ লাখ ৯৬ হাজার এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে ২৯ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হওয়া ৪০ কোটি ছয় লাখ ২৩ হাজার টাকার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ২১ কোটি ২৭ লাখ ২২ হাজার এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ এক হাজার টাকা ব্যয় হয়। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৭২ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার টাকার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে ৪২ কোটি সাত লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। |
নোয়াখালীর হাতিয়ার দরবেশ বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু এমরান বাহিনীর প্রধান এমরান ডাকাত ও গণপিটুনিতে তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনায় হাতিয়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানভির আহম্মদ বন্দুকযুদ্ধ ও গণপিটুনি এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দুটি করেন। অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আবদুর রব ওরফে সাধু মাঝিকে (৫২) আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গণপিটুনির ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনির ঘটনার মামলা তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের মামলায় সোমবার রাতে অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হওয়া সাধু মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।এসআই তানভির আহমঞ্চদ প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্রসহ আটক সাধু মাঝিকে নিয়ে গতকাল এমরান বাহিনীর অন্য দস্যুদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও গণপিটুনিতে নিহত দুই দস্যুর লাশ নিতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে স্বজনদের কেউ আসেনি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দুটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে হাতিয়া উপকূলের জলদস্যু বাহিনীর প্রধান এমরান ও তাঁর সহযোগী জসিমকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের বায়োজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ। সোমবার সকালে নোয়াখালীর সুধারাম থানা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুলিশের হেফাজত থেকে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে রাত সোয়া নয়টার দিকে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের (বয়ারচর) দরবেশ বাজারের কাছে বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশ অভিযান চালালে এমরান বন্দুকযুদ্ধে ও জসিম গণপিটুনিতে মারা যান। এ সময় সাধু মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়।মার্কিন ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) হামলার ফলে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনবিষয়ক সংকটের সমাধান শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিন দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফেরার পথে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।হোয়াইট হাউসে গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন নওয়াজ শরিফ। বৈঠকে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা, আফগান শান্তি প্রক্রিয়া ও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।নওয়াজ লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, পাকিস্তানের জনগণের চাওয়ার মতো করেই শিগগিরই ড্রোন ইস্যুর সমাধান হবে। আমি মনে করি, এখন যেকোনোভাবেই হোক এই বিষয়টির একটি সুরাহা হবে।’যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সার্বিকভাবে জানাতে গিয়ে নওয়াজ বলেন, ‘আমরা সব ইস্যু নিয়েই আলোচনা করেছি। আমার মতে, এর আগেই সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। যা হোক, আমরা সবকিছু নিয়েই কাজ করব। আমি মনে করি, পাকিস্তানের রাজনীতিকে শঠতা ও ভণ্ডামি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’মার্কিন ড্রোন হামলা কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধের শামিল—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এ মন্তব্য সম্পর্কে নওয়াজ বলেন, ‘এটা যারা বলেছে, তাদের নিজেদের বিষয়। আমি ড্রোন হামলার বিষয়টি সরাসরি আলোচনা করেছি। সরাসরি আলোচনার আলাদা গুরুত্ব আছে।’আফিয়া ও শাকিল আফ্রিদির বিষয়ে আলোচনা হয়নি: যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আফিয়া সিদ্দিকীর বিষয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি মার্কিন নেতারা। তবে একটি বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন নওয়াজ। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কারণ, আমরা মনে করি এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।’আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাসদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে আফিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।শাকিল আফ্রিদিকে নিয়েও নওয়াজের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হয়নি মার্কিন নেতাদের। তবে ওয়াশিংটনে নওয়াজের সফরসঙ্গী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব জলিল আব্বাস জিলানি বলেছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া শাকিলের ভাগ্য আদালতেই নির্ধারিত হবে।মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সঙ্গে পকিস্তানের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর জলিল এ কথা বলেন। ডন।রাজধানীর বিজয়নগরে গতকাল রোববার বিকেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেল চারটার দিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী ব্যানার নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আধা ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী জনসমক্ষে প্রচার না করার জন্য আইনের ফাঁকফোকর খুঁজছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।গত মঙ্গলবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির এ অধিকার অর্জিত হয়েছে। এর ফলে জনগণ প্রার্থী সম্পর্কে জেনে, শুনে ও বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে। জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করাও এ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, প্রার্থীদের পেশা ও সম্পদের বিবরণীসহ আট ধরনের তথ্য সর্বসাধারণের জানার জন্য তা প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা করাকে আদালত নাগরিকের বাকস্বাধীনতা তথা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আদালতের রায়ের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে বিষয়টি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান এবং সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের হলফনামা জনসমক্ষে প্রকাশ বন্ধ হলে সমাজে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকে যেমন একদিকে উৎসাহিত করা হবে, অন্যদিকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতাড়িত করা হবে। বিজ্ঞপ্তি। |
ওল্ড ট্রাফোর্ডের পরিবেশ থমথমে। হতাশার ছায়াটা স্পষ্ট। লুইস সুয়ারেজের প্রত্যাবর্তন আজ ডেভিড ময়েসের দলের এই হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে! আজ যে লিভারপুল-ইউনাইটেড দ্বৈরথ। ইংলিশ ফুটবলের দুই পুরোনো শত্রু মুখোমুখি হচ্ছে লিগ কাপের ম্যাচে।১ সেপ্টেম্বরই মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। অ্যানফিল্ডের সেই ম্যাচে ইউনাইটেডকে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে লিভারপুল জেতে ১-০ গোলে। সেদিক দিয়ে ইউনাইটেডের জন্য এটা প্রতিশোধের সুযোগও। ডেভিড ময়েসের দল প্রতিশোধ নিতে পারবে? নাকি আরেকটি হতাশার রাতই অপেক্ষা করছে তাদের জন্য?এমনিতেই দল নিয়ে কোচ ময়েস আছেন চাপের মুখে। গত মৌসুমে এই দলটার হাতেই লিগ শিরোপা তুলে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। নতুন কোচের হাতে পড়ে সেই ইউনাইটেডই লিগে করেছে গত নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু! লিভারপুলের কাছে হারের পর গত রোববার ম্যানচেস্টার সিটির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ৪-১ গোলে। তার আগে চেলসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। ফল, পাঁচ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ইউনাইটেড পিছিয়ে ৫ পয়েন্টে!নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী সিটির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ইউনাইটেডের আত্মবিশ্বাসকেই দিয়েছে নাড়িয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, কোচ ময়েসের কৌশল নিয়েও। কিন্তু ইউনাইটেডের মতো দলকে কি আর ভেঙে পড়লে চলে? সিটির বিপক্ষে ফ্রিকিক থেকে দলের একমাত্র গোলটি করা রুনি তাই গাইছেন আশাবাদী গান। বলছেন, লিভারপুলের ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াবে দল। প্রতিপক্ষ লিভারপুল, এটাই যেন রুনিদের ভেতরের আগুনটা জ্বালিয়ে দিচ্ছে, ‘এটা আমাদের জন্য আদর্শ ম্যাচ। লিভারপুলের বিপক্ষে যেকোনো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, হোক প্রীতি ম্যাচ, ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ বা প্রিমিয়ার লিগ।’ ইউনাইটেডের জন্য স্বস্তির খবর, চোট কাটিয়ে আজ ফিরছেন সিটির ম্যাচে খেলতে না পারা রবিন ফন পার্সি। ম্যাচটাও ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে।একটা অস্বস্তির খবরও আছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজই লিভারপুলে ফিরছেন সুয়ারেজ। গত ২১ এপ্রিল চেলসির সার্বিয়ান ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের হাত কামড়ে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ক্লাবের হয়ে খেলতে না পারলেও জাতীয় দলে সুয়ারেজের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। দলের সেরা খেলোয়াড়কে ফিরে পেয়ে লিভারপুলের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। কোচ ব্রেন্ডান রজার্স বলছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মাঠে নেমে সে থাকবে ক্ষুধার্ত।’ এএফপি।চার দশক আগে মোতালেব হাওলাদার থাকতেন অন্যের গোয়ালঘরে। গৃহস্থের গরু মাঠে চরানোর বিনিময়ে পেতেন শুধু তিন বেলা আহার। মোতালেব (৬০) এখন অবস্থাপন্ন কৃষক। ১৮টি মহিষ আর দুই একর জমির মালিক তিনি। বড় ছেলে চাকুরে, ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদের মাঝ বরাবর অবস্থিত ক্ষুুদ্র দ্বীপ মাঝেরচর। দ্বীপের চারদিকে চোখজুড়ানো ঘন সবুজ বন আর দিগন্তজোড়া ফসলের খেত। এক সময় দ্বীপের প্রায় সবাই ছিলেন গরিব জেলে। প্রত্যন্ত এই দ্বীপের মানুষ নিরলস শ্রমের মাধ্যমে ফসল ফলিয়ে ভাগ্য বদলেছেন। কালের স্রোতে মাঝেরচর এখন সচ্ছল মানুষের গ্রাম।পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও দ্বীপটির সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব। ‘আধুনিক আদর্শ গ্রাম হিসেবে মাঝেরচর পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দ্বীপটি হতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র ও ফিশিং জোন।’দ্বীপের নাম মাঝেরচর: ১৯৪০-এর দশকে মঠবাড়িয়ার বেতমোড় রাজপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ-উত্তর প্রান্তে বলেশ্বর নদের বুক চিরে জেগে ওঠা এ দ্বীপে জনবসতি শুরু হয় ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। ৮৬৩ একর আয়তনের দ্বীপটি নদের মধ্যবর্তী বলে স্থানীয়ভাবে নাম রাখা হয় ‘মাঝেরচর’। ভূমিহীন মানুষ প্রথম সেখানে বসতি গড়ে।দ্বীপটিতে রয়েছে বন বিভাগের ৫৮৩ একর কৃত্রিম বন এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ৩২০ একর বাড়ি ও ফসলি জমি। বর্তমানে ২২০টি পরিবারের হাজারের বেশি মানুষ সেখানে বসবাস করছে। শুরুতে মাছ ধরা ছিল এখানকার প্রধান পেশা। লেখাপড়া ছিল না বললেই চলে। বংশপরম্পরায় দ্বীপের বাসিন্দারা হয়ে যেতেন জেলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীতে জলদস্যু আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে চলত তাদের জীবন।মাঝেরচরে প্রথম বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। ওই বাঁধ দ্বীপবাসীর জীবন বদলে দেয়। বাঁধ নির্মাণের পর দ্বীপের বাসিন্দা নূরুল আমিন (৭০) ও সৈয়দ ফরাজী (৫৫) প্রথম রবিশস্য আবাদ শুরু করেন। উর্বর মাটিতে লকলক করে বড় হয় ফসল। কয়েক বছরে তাঁরা রবিশস্য ফলিয়ে মোটা টাকা পান। তাঁদের দেখে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন রবিশস্য আবাদে। এভাবে গত ১০-১২ বছরে সেখানে ঘটে যায় কৃষি বিপ্লব। সেই সঙ্গে উন্নতি ঘটে শিক্ষাব্যবস্থার। উন্নত হতে থাকে জীবনমানের।একদিন সেখানে: উপজেলা সদর থেকে সড়ক ও নৌপথ মিলিয়ে ১৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছানো যায় মাঝেরচর। ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের সাংরাইল ঘাট থেকে খেয়া নৌকায় বলেশ্বর নদ পাড়ি দিয়ে মাঝেরচরের শানবাঁধানো ঘাটে পা রেখেই আন্দাজ করা গেল দ্বীপের সৌন্দর্য। বিশাল নারিকেল বাগান। খেতজুড়ে আমন ফসল।দ্বীপটিকে দেখে মনে হলো সাজানো-গোছানো পরিপাটি আধুনিক কোনো গ্রাম। দেখা হলো কাঞ্চন হাওলাদার (৭০) নামে এক কৃষকের সঙ্গে। উপজেলার বেতমোর গ্রামের কাঞ্চন স্বাধীনতার পরপরই পরিবার নিয়ে চলে আসেন মাঝেরচর। প্রথমে মাছ ধরে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। গত দুই দশকে রবিশস্য ফলিয়ে চার একর জমির মালিক হয়েছেন। বাড়িতে তুলেছেন টিনের ঘর।সৈয়দ ফরাজীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি জানালেন রবিশস্য আবাদ শুরুর সেই গল্পটা। বললেন, ‘ইলিশ ধরার মৌসুম শেষে খেতে আমন আবাদ শুরু হতো। এরপর দীর্ঘ সময় হাতে কাজ থাকত না। একসময় ঋণগ্রস্ত হয়ে যাই। যশোর বেড়াতে গিয়ে রবিশস্যের আবাদ দেখে পুলকিত হই। মাঝেরচরে ফিরে মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ ও মরিচের চাষ শুরু করি। একসময় মিষ্টি আলু, গোল আলু, মুগ ডাল, উচ্ছে, মরিচ, ভুট্টা, ঝিঙা, তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে।গল্পে গল্পে কেটে গেল বেলা। পড়ন্ত বিকেলে আমাদের খেয়া নৌকা সাংরাইল ঘাটে নোঙর করল। ঘাটজুড়ে তখন চলছিল নৌকায় ইলিশ নিয়ে ফেরা জেলেদের কোলাহল।ফলন ও বাজার: পৌষে ধান কাটার পর দ্বীপে শুরু হয় রবিশস্য আবাদের কর্মযজ্ঞ। প্রতি বিঘায় মরিচ উৎপন্ন হয় কমপক্ষে ১৫ মণ, কুমড়া ১৮০০-২০০০টি, বাঙ্গি ১০০০-১২০০টি। কৃষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হয়। এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়া, গিমা কুমড়া, বাঙ্গি ও আলু চাষে লাভ হয় আরও বেশি।দ্বীপের মাটির উর্বরতাশক্তি বেশি হওয়ায় সেখানে ফসল ফলাতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে, এমনটা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রসময় মণ্ডল। এ কারণে কৃষক কম খরচে অধিক ফসল ফলাতে পারেন।এখন তাঁদের ফলানো সবজি স্থানীয় বাজারগুলোর পাশাপাশি মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সবজি কিনতে ব্যাপারীরা ট্রলার নিয়ে সরাসরি দ্বীপে চলে আসেন।সম্ভাবনা ও দুঃখ: সত্তর দশকে মাঝেরচরে লেখাপড়া জানা মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না। বর্তমানে সেখানে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশের বেশি। মাঝেরচর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২২৪ জন। এ ছাড়া ৩৬ জন বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। তারা খেয়া নৌকায় করে দ্বীপ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যায়।সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপবাসীর সাহায্যে এগিয়ে আসে দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা। ব্রিটিশ বিজনেস গ্রুপ দ্বীপের ১২৫টি পরিবারকে পাকা ঘর, একটি আশ্রয়কেন্দ্র, শানবাঁধানো খেয়াঘাট ও এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করে দেয়। প্রতিটি ঘরে সৌরবিদ্যুৎ সুবিধার সোলার প্যানেল, বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারসহ নানা উপকরণ সহায়তা দেয়।সিডর পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পর দ্বীপটি এখন রূপ নিয়েছে আধুনিক গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, দ্বীপটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার।এত সম্ভাবনার মধ্যেও আছে দুঃখ। মাঝেরচরের বেড়িবাঁধের তিন-চারটি স্থান সিডর ও আইলায় ভেঙে যাওয়ার পর মেরামত করা হয়নি। জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় দ্বীপবাসীকে চিকিৎসা নিতে দুর্গম নৌপথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে।ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত এবং স্বাস্থ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর জোর দাবি জানালেন বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস। তাঁর কথা, ‘সমস্যাগুলোর সমাধান করলে মাঝেরচর হতে পারে একটি মডেল দ্বীপ।’পূরবী জুয়েলার্সের মালিক জগন্নাথ ঘোষের ছেলে তূর্য ঘোষ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন, দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ওপর শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি আবদুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে শাহাদাত হোসেন লিটন ওরফে খোঁড়া লিটন ও তাঁর ভাই আল মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং আবু সাঈদ ও শামসুন নাহার শিউলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর আসামি ফরহাদ আলমকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ে ওই পাঁচজনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহসীন রশিদ, আমিনুল ইসলাম ও খবির উদ্দিন ভূইয়া। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ভীষ্মদেব চক্রবর্তী। রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তূর্য ঘোষের মা সুচিত্রা রানী ঘোষ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।’ জগন্নাথ ঘোষ বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তূর্য ঘোষকে উত্তরা থেকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। পরে তাঁর মা-বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার পেয়েও তূর্যকে মুক্তি না দিয়ে রামপুরার একটি বাসায় হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তূর্যের বাবা উত্তরা থানায় অপহরণ মামলা করেন, যা পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়। এ মামলায় শিউলীসহ তিনজন আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রামপুরার বিল থেকে তূর্যর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।মিশ্র বছর। সাফল্যের পাশে হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে ব্যর্থতাও।২০১৩ সালে দেশের ফুটবল অঙ্গন কখনো আশায় বুক বেঁধেছে। কখনো ঝোড়ো হাওয়ায় আশার পাল গেছে ফুটো হয়ে।ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক—সালতামামিটা দুটি ক্যানভাসেই উঠে আসে। ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের নানা উপাদান। ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ, লিগ, সুপার কাপ—এই চারটি আয়োজনই মাঠে গড়িয়েছে বিদায়ী বছরে। যেটি আশাপ্রদ।নতুন লিগ চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে এ বছর। ফেডারেশন-সুপার কাপও ঘরে তুলে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের শেখ রাসেল নিজেদের প্রতিষ্ঠা করল এই ২০১৩ সালেই।প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগুন লিগের মেজাজে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা। খেলোয়াড়েরা পেয়েছেন তুলনামূলক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ। ভালো খেলার তাগিদও দেখিয়েছেন স্থানীয় খেলোয়াড়েরা। তাই যথারীতি বিদেশিদের দাপটে স্থানীয় খেলোয়াড়েরা এ বছর অন্তত হারিয়ে যাননি পর্দার আড়ালে।‘তারকার অভাব’ খানিকটা মুছে দিয়ে আবির্ভূত সনি নর্দে নামের এক ফুটবলার। শেখ রাসেলের জার্সি গায়ে প্রথমে চোখ কেড়েছেন। কদিন আগে শুরু হওয়া নতুন মৌসুমে শেখ জামালের হয়ে মাতিয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন, তাঁর দল মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ঘরে তুলেছে দ্বিতীয়বারের মতো। পেশাদারি অবকাঠামো তৈরি করে শক্ত ভিতের ওপর শেখ জামালের দাঁড়িয়ে যাওয়াটা ইতিবাচক দিক।ঢাকার বাইরের বন্ধ থাকা বেশির ভাগ লিগ আলোর মুখ দেখাটা ছিল বড় সাফল্য। ঢাকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ ও পাইওনিয়ার লিগ আগের মতো আর অনিয়মিত নয়। খেলোয়াড় উঠে আসার পাইপলাইন সচলই থেকেছে এ বছর। শীর্ষ লিগে পাতানো খেলার বিষবাষ্পকে একটু দূরে রাখা গেছে, বিষয়টা স্বস্তির।উচ্চ বেতনে দুজন ডাচ কোচ আনাটাও বলার মতো ঘটনা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অসীম সাহসিকতায় এই প্রথম বিদেশি কোচের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ পেশাদার চুক্তি হলো। কিন্তু মুদ্রার অন্য পিঠ হতাশার আবরণে মোড়া। ঘরোয়া ফুটবল ভালো কাটলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো সাফল্যই নেই। উপরন্তু মানসম্মান নিয়েই টান পড়েছে।ফেব্রুয়ারিতে ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের অধীনে অল্প কদিনের প্রস্তুতিতেই কাঠমান্ডুর এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বেশ ভালোই করে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের কাছে ১-০ হারের পর নেপালের বিপক্ষে ২-০ জয়, নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডসকে ৪-০ গোলে হারানো। ভাগ্যের মারপ্যাঁচে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সিঁড়িটা বাংলাদেশের পায়ের নিচ থেকে সরে যাওয়া ছিল দুর্ভাগ্যজনক।সেই সিঁড়ি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতেই সাফ টুর্নামেন্ট শোচনীয় ব্যর্থতার এক প্রামাণ্য দলিল। তিন ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট—গ্রুপ থেকেই বিদায় আট দলের মধ্যে সপ্তম। ইচ্ছে করে পা বাঁচিয়ে খেলার অভিযোগ ওঠে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে। সত্যানুসন্ধান কমিটির তদন্ত বলির পাঁঠা বানায় ডাচ ট্রেনার ইয়ামালিকে। তাঁর এবং ডাচ গোলরক্ষক কোচের বিদায় সাফের পরপরই।সাফ-ব্যর্থতার কালি গায়ে থাকতে থাকতেই ইরাকে এফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে কুয়েতকে হারানো (১-০) আন্তর্জাতিক সাফল্য বলে উচ্ছ্বসিত হতেই পারেন কর্তারা। ওই টুর্নামেন্টে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে বিদায়। তবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে নেপালের কাছে ৫-১ গোলের লজ্জাজনক হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। ঘরোয়া ফুটবলের অগ্রগামিতার প্রতিফলন নেই যুব ফুটবলে।দুই ডাচ কোচকেই এখন কি না বোঝা মনে করছেন কর্তারা! ডি ক্রুইফ এবং তাঁর সহকারী রেনে কোস্টারের পেছনে মাসে খরচ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তাঁদের বেতন বকেয়া পড়েছে। সিলেট একাডেমি দুই বছর পার হলেও চালু করতে না পারা, কোচদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনাও দৃশ্যমান না হওয়া, বাফুফের শূন্য তহবিল—সব মিলিয়ে কঠিন সংকটে পড়েই বছরটা শেষ করছে বাফুফে।কানাগলি থেকে দেশের ফুটবল মহাসড়কে ওঠা জরুরি এখন। সেই প্রেরণা হয়েই কি না বছরের শেষে ঢাকায় এল বিশ্বকাপের ট্রফি। আজকের শিশুরা একদিন হয়তো বিশ্বকাপে ওড়াবে লাল-সবুজ পতাকা। সেটি অনেক দূরের যাত্রা। তার আগে সালাউদ্দিনের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলার পরিকল্পনা হোঁচট খাচ্ছে আর্থিক সংকট আর দেশের বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।বাফুফের আর্থিক সংকট দূর হোক। রাজনীতিতে আসুক স্থিতিশীলতা। ভিশন ২০২২ নিয়ে জোর কদমে এগোনো দরকার। ২০১৪ সালে এই স্বপ্নই দেখবে বাংলাদেশের ফুটবল। |
৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল চলাকালীন এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।কর্মসূচি চলাকালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ওয়ার্ডে না থাকার কারণে চিকিৎসাসেবায় কিছুটা ব্যাঘাত হয়। তবে পরিচ্ছন্নতা, ওষুধ আনা-নেওয়া, রোগী নিয়ে যাওয়া ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলো এ সময় দেখা দেয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসাব্যবস্থায় কোনো ব্যাঘাত হয়নি।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল গনি বলেন, কর্মচারীরা তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাঁদের বলে তাড়াতাড়ি কাজে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। শ্রমিক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমাবেশটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তাঁরা মিছিল করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।এ সময় পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মোহাম্মদ সহিদ উদ্দিন, সহসভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। পাঁচ দফার মধ্যে রয়েছে ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা, স্থায়ী পে-কমিশন ঘোষণা।প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষ আলাদা স্থানে সমাবেশ করেছে। ১১টি শর্তে জেলা প্রশাসন বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দলটিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।বিকেল চারটায় নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদের অনুসারীরা এবং একই সময়ে নগরের চকবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হকের অনুসারীরা সমাবেশ করেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নগরে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেননি।জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কুমিল্লা নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিলের ওপর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী, ফয়েজগঞ্জ, কোটবাড়ি ও পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।ওই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১০টায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচরের মহাসড়কসংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করেন।এদিকে বেলা তিনটায় জেলা প্রশাসন ১১ শর্তে বিএনপির দুই পক্ষকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। এসব শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কোনো ধরনের দা-কুড়াল, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র সমাবেশে না আনা, সমাবেশে কোনো ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান না দেওয়া, নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শেষ করা। এদিকে নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় বিএনপি বড় ধরনের মহড়া দেয়। এতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদসহ ১৮-দলীয় জোট ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন।চকবাজারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের অনুসারীরা সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাহিদ চৌধুরী প্রমুখ। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও ঢাকায় অবস্থান করার কারণে মেয়র ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত হননি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মনিরুল হক চৌধুরী বিকেল চারটায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী বাজারে সমাবেশ করেন।কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘কান্দিরপাড়কে কেন্দ্র করে একাধিক কর্মসূচি দেওয়ায় আমরা নিষেধাজ্ঞা দিই। পরে ভিন্ন জায়গায় দলগুলো সমাবেশ করতে চাইলে আমরা শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিই।’মাদারীপুরের রাজৈরে গতকাল রোববার ট্রাক ও যাত্রীবাহী মহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দিন পটুয়াখালীর বাউফল ও দুমকি উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:কালকিনি (মাদারীপুর): রাজৈর উপজেলার কালীবাড়ি মোড়ে গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে বৈদ্যুতিক খুঁটিবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি মহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত এবং চারজন আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজৈরের মোল্লাকান্দি গ্রামের আক্তার হোসেন (২৮), পশ্চিম রাজৈর গ্রামের নাজমুল শেখ (৩০) ও জালাল শেখ (২৫)।টেকেরহাট থেকে মাদারীপুরগামী একটি মহেন্দ্রর সঙ্গে কালীবাড়ি মোড়ে ওই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়।বাউফল (পটুয়াখালী): বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মিলঘর এলাকায় গতকাল সকাল আটটার দিকে সড়ক পার হচ্ছিলেন আবদুল গাজী (৭৯)। এ সময় একটি টমটম তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি উপজেলার ভরিপাশা গ্রামে।পটুয়াখালী: দুই ভাই স্বপন ও রাকিব গতকাল মোটরসাইকেলে করে দুমকি থেকে বাউফলের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তালতলী বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুই ভাই ছিটকে পড়েন। মাথায় আঘাত পেয়ে বড় ভাই স্বপন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন রাকিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। স্বপনের বাড়ি বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের আমরখালী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মতিয়ার রহমান।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে সেই অনুপাতে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। নেই রোগীর তুলনায় প্রয়োজনীয় শয্যাও। এ কারণে রোগীর চাপ সামাল দিতে বেশ গলদঘর্ম হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। সম্প্রতি হরতাল-অবরোধের আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাপ আরও বেড়েছে।ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপ সামাল দেওয়াসহ বিভিন্ন অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে এ বছরের নভেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বার্ন ইউনিটকে ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করার প্রশাসনিক আদেশ জারি করেছে। তবে তা বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। চিঠি চালাচালিতেই সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, বার্ন ইউনিটকে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক সার্জারি’ নামে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১২ নভেম্বর প্রশাসনিক আদেশ জারি করে। এরপর বর্তমান বার্ন ইউনিটের পাশে দুই বিঘা জমিতে বিশতলা ভবন নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখায় আবেদন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক শহীদুল্লাহ ও কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ইউনিট আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালে তা ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু প্রতিবছর রোগীর সংখ্যা বেড়ে চললেও বাড়েনি ইউনিটের আওতা।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। ২০০৪ সালে এখানে ভর্তি হয় এক হাজার ২৮৫ জন রোগী, ২০০৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৫৭৩ জন। ২০০৬ সালে নয় হাজার ৫৭৬, ২০০৭ সালে ১৬ হাজার ১৫০, ২০০৮ সালে ১৮ হাজার ৭৫০, ২০০৯ সালে ১৯ হাজার ৬৭, ২০১০ সালে ২০ হাজার দুই, ২০১১ সালে ২৪ হাজার ১৫৬ এবং ২০১২ সালে ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছে। সাকল্যে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৪৯ হাজার ২১৪ জন। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান এখনো করা হয়নি। হরতাল-অবরোধের আগুনে এ বছর দগ্ধ রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।বার্ন ইউনিট সৃষ্টির পর থেকে শয্যা অনুপাতে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়েনি চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন রোগী এলে তা কোনোমতে সামাল দেওয়া গেলেও দুর্যোগের সময় ব্যবস্থাপনা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।বার্ন ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬০ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে বার্ন ইউনিট। এর মধ্যে ৪২ জনই হচ্ছেন শিক্ষানবিশ। প্রতিদিন গড়ে এ ইউনিটে ভর্তি থাকে ৩৫০ জন রোগী। সেবিকা দরকার ১৫০ জন। কিন্তু আছেন ৭০ জন। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীও প্রয়োজনের তুলনায় কম।চিকিৎসকেরা বলছেন, একজন সাধারণ রোগীর চেয়ে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে হতে হয়। এখানে দর্শনার্থী ছাড়াও এক রোগীর মাধ্যমে আরেক রোগী সংক্রমিত হতে পারে। এ জন্য প্রত্যেক রোগীর নিবিড় চিকিৎসা দরকার। কিন্তু দর্শনার্থী ও স্থানের অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না।বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন রকমের প্রশাসন দিয়ে চলছে বার্ন ইউনিট। দেশে এই মুহূর্তে যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ দরকার, সেখানে আছেন মাত্র ৩০ জন। এর সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় থাকা বার্ন ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এ জন্য বার্ন ইউনিটকে দ্রুত ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা আবশ্যক। |
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নতুন জাহাজভাঙাশিল্প গড়ার জন্য উপকূলের ভূমি ইজারা দানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ইজারা নবায়নও করা হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে সীতাকুণ্ড উপকূলে কোনো খাস উপকূলীয় ভূমি ইজারা দান ও নবায়ন না করার জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।জানা গেছে, ২০০৯ সালে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি উপকূলে জাহাজভাঙাশিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৫ হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ ধ্বংসের পর এই মামলা করা হয়েছিল। তাদের কাজকর্মে ভূমি কিংবা বন বিভাগ থেকে বাধা না দেওয়ার জন্য নূরুনবী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেছিলেন। মামলা চলাকালীন নূরুনবী জায়গাটি এস কে স্টিলের কাছে বিক্রি করে দেন। তাদের পক্ষে হাইকোর্ট একটি আদেশও দেন। পরে বন বিভাগ থেকে একটি রিট পিটিশন (১৪৫৭ ও ১৪৫৮) করা হয়।অনুসন্ধানে জানা গেছে, আপিল বিভাগের আদেশের পর গত চার মাসে নতুন করে একটি জাহাজভাঙাশিল্পকে উপকূলের ভূমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০টি জাহাজভাঙাশিল্পের ইজারা নবায়ন করা হয়েছে। জানতে চাইলে সীতকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি নতুন শিপইয়ার্ড ইজারা পেয়েছে। এ ছাড়া ১০-১৫টি ইয়ার্ডের ইজারা নবায়ন করা হয়েছে।’ গত ২০ মে মামুন সীতাকুণ্ড ভূমি কার্যালয়ে যোগদান করেন। আপিল বিভাগের আদেশ থাকারপরও কীভাবে নতুন ইজারা ও নবায়ন করা হচ্ছে জানতে চাইলে মামুন বলেন, ‘কোনো নিষেধাজ্ঞার কাগজ আমি পাইনি।’জেলা প্রশাসন থেকে দাবি করা হয়, কেবল সোনাইছড়ি মৌজা এলাকার জন্য ইজারা ও ইজারা নবায়নের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম এ এইচ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একটি কী আদেশ ছিল এটা এ মুহূর্তে আমার মনে নেই। তবে আদেশে পুরো সীতাকুণ্ড এলাকার জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে মনে হয় না।’খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ হয়ে সীতাকুণ্ড ভূমি কার্যালয় জাহাজভাঙাশিল্পের ইজারা দেওয়া-নেওয়া করে থাকে। আপিল বিভাগের আদেশের পর সোনাইছড়ি মৌজায়ও ইজারা নবায়ন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বন বিভাগের দাবি, এই আদেশটি পুরো সীতাকুণ্ড উপকূলের জন্য প্রযোজ্য। এ ব্যাপারে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বরাবরে গত ৭ জুলাই লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে উপকূলীয় ভূমি ইজারা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সুনীল কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি ইজারা দান কিংবা ইজারা নবায়ন করতে নিষেধ করেছেন। এটা শুধু সোনাইছড়ির জন্য প্রযোজ্য নয়।’হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি কম্পিউটার ও একটি মাল্টিপ্রজেক্টর খোয়া গেছে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুরোনো ও কম দামের কম্পিউটার কিনে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনের জন্য সরকার ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিনটি কম্পিউটার দেয়। পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালুর জন্য সম্প্রতি লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি মাল্টিপ্রজেক্টরও দেওয়া হয়। এই কার্যক্রম চালুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি কম্পিউটার কক্ষ বরাদ্দ ও শিক্ষক নিয়োগ দেয়।গত শনিবার কম্পিউটার কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষক আনোয়ার আলী জানান, কম্পিউটার কক্ষে তিনটি কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও মডেম নির্ধারিত স্থানে নেই। তিনি কক্ষের দরজা তালা লাগানো অবস্থায় পান এবং তালা খুলে কম্পিউটার কক্ষে ঢোকেন। ওই কক্ষের দরজা-জানালাও ছিল ঠিকঠাক।তবে এ ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও রহস্যজনক কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। বরং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্কুল পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকেরা পুরোনো ও কম দামি কম্পিউটার কিনছেন বলে অভিযোগ এনেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সূত্র জানায়, গত শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য আবদুল হাকিম সরকারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ নভেম্বরের স্থগিত ‘এ’ ও ‘এইচ’ ইউনিটের পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর, ১৭ নভেম্বরের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১ ডিসেম্বর, ১৮ নভেম্বরের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর, ১৯ নভেম্বরের ‘ডি’, ‘ই’ ও ‘এফ’ ইউনিটের পরীক্ষা ৩ ডিসেম্বর এবং ২০ নভেম্বরের ‘জি’ ইউনিটের পরীক্ষা ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো চারটি পালায় অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১০টা প্রথম পালা, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পালা, বেলা দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত তৃতীয় পালা এবং বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চতুর্থ পালায় এসব পরীক্ষা হবে।অনিবার্য কারণে কোনো দিনের পরীক্ষা না হলে তা ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী শনিবার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১৬ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এ বছর আটটি ইউনিটের অধীনে ২২টি বিভাগে মোট এক হাজার ৪৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৫১ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।ভাবসম্প্রসারণ প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ দেওয়া হলো বাংলা ২য় পত্র থেকে একটি ভাবসম্প্রসারণ।ধনের মানুষ মানুষ নয়, মনের মানুষই মানুষভাবসম্প্রসারণ: যার ধনদৌলত আছে তিনি ধনী; তবে ধনীর যদি মন ছোট হয় তাহলে তিনি ধনী হয়েও প্রকৃত মানুষ বলে গণ্য হবেন না।যে ব্যক্তির মন উদার ও প্রশস্ত তিনিই প্রকৃত মানুষ। পার্থিব ঐশ্বর্যের অধিকারীকে সাধারণ মানুষের ওপর সাময়িক আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ দেয় বটে, কিন্তু তা কখনো তাঁদের অন্তরে স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। তাঁর মূর্খতা নিয়ে আড়ালে থেকে সবাই ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে এবং তাঁর মন্দ কাজের জন্য অভিশাপ দিয়ে থাকে। আবার অনেকেই তাঁকে মানুষ না বলে, পশু বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। কিন্তু যেসব ব্যক্তি জ্ঞানী, প্রতিভাবান, চরিত্রবান এবং পবিত্র হূদয়ের অধিকারী তাঁদের দেখলে মানুষের মাথা আপনিই নত হয়ে আসে এবং তাঁদের অন্তর অপূর্ব ভক্তিরসে সিক্ত হয়ে যায়। এসব মহৎ ব্যক্তি কখনো মানুষের কাছে সমাদর প্রত্যাশা করেন না, কিন্তু মানুষ তাঁদের ভক্তি ও সমাদর করে এবং চিরকাল তাঁদের স্মরণ করে থাকে। তাই মরেও তাঁরা এ জড় পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে, অনুদার ঐশ্বর্যশালীর সমাদর ক্ষণস্থায়ী। মরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে তাঁর নাম চিরতরে লুপ্ত হয়ে যায়। নিজের আত্মীয়স্বজনেরাও কখনো তাদের মনের রাজ্যে তাঁকে আর ঠাঁই দিয়ে রাখে না। মরার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নামেরও মৃত্যু হয়। আবার কেউ যদি পার্থিব ধন-ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও তা মানবকল্যাণে ব্যয় না করেন, তাহলে তাঁকে বলতে হবে তিনি নিতান্তই ছোট মনের অধিকারী। তাঁর দ্বারা সমাজ, দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ হতে পারে না। তাই জীবদ্দশায় যেমন তাঁকে কেউ ভালোবাসে না, তেমনি মৃত্যুর পরও কেউ তাঁকে স্মরণ করে না। সুতরাং ধনসম্পত্তি, অর্থকড়ি যাঁর আছে তিনি বড় নন। তারচেয়ে বরং যে বড় মনের অধিকারী তিনিই আসল মানুষ। বড় মনের মানুষ ভালোবাসে উদারভাবে, সুন্দরভাবে এবং সে ভালোবাসা নির্মল ও পবিত্র। কেবল ধনদৌলতের মাপকাঠিতে কোনো মানুষকে বিচার করা যায় না। দেখতে হবে ধনী ব্যক্তিটির মন কিরূপ, তার মন প্রশস্ত এবং উদার কি না? যদি এ ধনী ব্যক্তির মন ছোট হয় তাহলে তিনি প্রকৃতপক্ষে মানুষ নন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির প্রচুর ধন নেই, কিন্তু মন প্রশস্ত তিনিই প্রকৃত মানুষ। জীবনে সম্পদের প্রয়োজন আছে সত্য কিন্তু সম্পদকে কোনো অবস্থাতেই মনের ওপর স্থান দেওয়া চলে না। মন উদার প্রসন্নভাবে যখন মনুষ্যত্বকে একমাত্র মূলধন রূপে দেখে, তখন বিলাসদ্রব্যের পরিমাণে সে আটকে পড়ে না। আবার বিষয় বোধের জন্য যে ক্ষুদ্রতা ও স্বার্থপরতা জাগে, তাতে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব বাড়ে। কিন্তু চিত্তের ঐশ্বর্যকে বড় মনে করলে এ রকম সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এই মহান বাণীরই প্রতিফলন দেখি আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে। দেবাদিদেব মহেশ্বর বাইরের ঐশ্বর্য শূন্য হওয়ায় হিমালয় রাজকন্যা উমা তাঁর জন্য দুশ্চর তপস্যা করেন। শুধু দেবতা কল্পনা কেন, ইতিহাসের পাতাতেও দেখি বুদ্ধদেব প্রথম যৌবনেই বিলাসী জীবনের রাজসুখ ছেড়ে পথের মানুষের জন্য ভিক্ষাব্রত নিয়েছেন। চৈতন্যদেব জাগতিক প্রতিষ্ঠাবাসনা ছেড়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেছেন। চণ্ডীদাস রাজদরবারের লোভনীয় পদ ছেড়ে বৃন্দাবনের তীর্থধূলিতে বৈষ্ণব দর্শনের অনুপম ভাষ্য লিখেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধনের বাসনা ত্যাগ করে দীন-হীনের মতো জীবন যাপন করতেন। ফলে গোটা দুনিয়ায় তিনি মানুষের একান্ত আপন হয়ে উঠেছিলেন।বিত্তের হাতছানি তুচ্ছ করে যাঁরা চিত্তমুক্তির পথে পা বাড়িয়েছেন, তাঁরাই হয়েছেন শ্রেষ্ঠ। ঐশ্বর্যের পাহাড় দিয়ে জীবনকে মাপা হয় না। জীবনকে মাপা হয় অন্তরের মহত্বের নিরিখে। |
সরকারি পর্যায়ে নারী মাদকাসক্তদের জন্য আবাসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এ ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন সেবা থাকলেও তা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলকভাবে বিনা খরচে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু চিকিৎসায় পুরুষের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকলেও নারীদের জন্য নেই। এ ছাড়া জেলা অনুযায়ী মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির বিধান থাকলেও তা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে।মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় যুক্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা সেবনকারী নারীদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। নারী মাদকাসক্তের সংখ্যার সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধারণা, মোট মাদকাসক্তের ১০ থেকে ১৫ শতাংশই নারী। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে নারী মাদকাসক্তদের আবাসিক চিকিৎসার সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নারীদের জন্য ১০ শয্যার ওয়ার্ড চালুর বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মোট শয্যাসংখ্যা ৪০। ২০১২ সালে এ কেন্দ্রের বহির্বিভাগে এক হাজার ৬৫৯ জন রোগীর মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র পাঁচজন। এ ছাড়া একই প্রাঙ্গণে ২৫০ শয্যার আরেকটি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের অবকাঠামো তৈরি শেষ হলেও সেখানে জনবল নিয়োগ হয়নি। নারীদের জন্য আলাদা জনবলও চাওয়া হয়নি। আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় একটি করে আঞ্চলিক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর প্রতিটিতে পাঁচটি করে শয্যা রয়েছে। তবে খুলনার কেন্দ্রটি ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ। এসব কেন্দ্রের কোনোটিতেই নারীদের জন্য আবাসিক চিকিৎসার সুযোগ নেই। কেবল বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া হয়।১৯৯১ সাল থেকে কুমিল্লা, যশোর ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক সময় লজ্জা এবং সামাজিকতার কারণে নারী মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের লুকিয়ে রাখা হয়। মাদকাসক্তদের আবাসিক চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অজু করা ছাড়া যেমন নামাজ আদায় করা যায় না, তেমনি মাদকাসক্তদেরও দেহ ও মন থেকে মাদকের বিষ নিষ্ক্রিয় না করা পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব নয়। অন্যান্য রোগে অনাবাসিক চিকিৎসা নিয়ে রোগী ভালো হয়, কিন্তু মাদকাসক্তদের ক্ষেত্রে তা প্রায় অসম্ভব।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বেসরকারি পর্যায়ে ২০টি জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৬৯টি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মোট শয্যা ৮৭৫টি। ৪৪টি জেলায় সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো নিরাময় কেন্দ্র নেই। ২০০৯ সাল থেকে মানিকগঞ্জে আসক্তি পুনর্বাসন নিবাস ‘আপন’ নারী মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্রে ২৫ জন নারীর আবাসিক সুবিধা আছে। চলতি মাসে ১৩ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মোট ১৫ জন নারী চিকিৎসাধীন। গত বছর এ কেন্দ্র থেকে ৬০ জন নারী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।আপনের কাউন্সেলর খন্দকার আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অপুষ্টির চিকিৎসা, ব্যায়াম, খেলাধুলা, মানসিক আচরণ পরিবর্তনসহ একটি নিয়মের মধ্যে এনে সমন্বিতভাবে জীবনমুখী চিকিৎসা দিতে হয় মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের। সুইয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন, এমন নারীদের চিকিৎসা করছে কমিউনিটি হেলথ রিহ্যাবিলিটেশন, এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস (ক্রিয়া)। ক্রিয়ার প্রধান নির্বাহী তরুণ কান্তি গায়েন জানান, কেন্দ্রে মাসে ২০ থেকে ৩০ জন ছিন্নমূল নারী চিকিৎসার জন্য আসেন।উত্তরার বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র লাইট হাউস ক্লিনিকের সহকারী ব্যবস্থাপক তানভীর আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ৬০ শয্যার এ ক্লিনিকে সাত থেকে আটটি শয্যা নারীদের জন্য বরাদ্দ। এ কেন্দ্রটিতে মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরা আসছেন।১৯৭৬ সালে গুপ্তধন খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালিয়েছিল ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। কথিত গুপ্তধন অবিভক্ত ভারতের আমলের বলে খবর পেয়ে ভাগ চেয়ে বসেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছিল ইন্দিরা ও ভুট্টোর মধ্যে।ইতিহাসবিষয়ক একটি বইয়ে এ কথা বলা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক (১৯৪৭-২০০৭) নামের বইটি সম্পাদনা করেছেন অবতার সিং বাসিন। বাসিন লিখেছেন, ১৯৭৬ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা চলার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেনাবাহিনীকে গুপ্তধন খুঁজতে জয়গড় দুর্গে পাঠান। দুর্গটি আজও জয়পুরের রাজপরিবারের সম্পদ। জনশ্রুতি ছিল, জয়পুরের রাজা এবং মুঘল বাদশা আকবরের সেনাপতি মান সিংহ কয়েকটি অভিযানের সময় সোনাদানাসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ আলাদা করে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও এই লোককাহিনি প্রচলিত ছিল। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবী। ওই সময়টাকে জয়পুরের কথিত রাজকীয় সম্পদ খুঁজে বের করার সময় হিসেবে বেছে নেন ইন্দিরা।এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো গুপ্তধন খোঁজার এই খবর জেনে যান। তখন তিনি পাকিস্তানকে ভাগ থেকে বঞ্চিত না করতে ইন্দিরার প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দেন। ওই বছরের ১১ আগস্ট চিঠিটি লিখেছিলেন ভুট্টো। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দিরা ওই চিঠির কোনো জবাব দেননি। ওই সময় পর্যন্ত জয়পুরে গুপ্তধনের সন্ধানে হন্যে হয়ে বেড়ায় সেনাবাহিনী। তবে ফলাফল হয় শূন্য। খালি হাতে ফেরে তারা। এরপর ৩১ ডিসেম্বর ভুট্টোকে চিঠি দেন ইন্দিরা। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ভুট্টো যে দাবি তুলেছেন, তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, যে গুপ্তধনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়, দুর্ভাগ্যক্রমে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। টাইমস অব ইন্ডিয়া।ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে আসাদুল হক (২৮) নামের এক বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি একই উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।বিএসএফের টুঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল সকালে সীমান্তের ৬২ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব-পিলারের পাশে ভারতীয় অংশ থেকে ওই কৃষককে ধরে নিয়ে যান।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আসাদুল গতকাল সকাল সাতটার দিকে বেনীপুর সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখা থেকে ১০০ গজ ভারতীয় অভ্যন্তরে ঘাস কাটতে যান। ওই সময় বিএসএফের টুঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান।চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর নুরুল হক জানান, আসাদুলকে ফেরত পেতে বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আসাদুলকে ধরে নিয়ে যেতে দেখলেও বিএসএফের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাওন উদ্দিন ও ছাত্র-শিক্ষক সংস্কৃতি কেন্দ্রের (টিএসসিসি) প্রশিক্ষক সারোয়ার হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫০তম সিন্ডিকেট বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সিন্ডিকেটের সদস্যরা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন শাওন উদ্দিন। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন-বিরোধী সেলের কাছে অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ২০১০ সালের যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা অনুযায়ী শাওনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে। ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।অন্যদিকে এক শিক্ষকের বাসায় এক ছাত্রীকে সংগীত প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় টিএসসিসির প্রশিক্ষক সারোয়ারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট তাঁকেও বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষক শাওন উদ্দিন এবং টিএসসিসির প্রশিক্ষক সারোয়ার হোসেনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবা কানিজ বলেন, ‘যৌন হয়রানির দায়ে দুজনকে শাস্তি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো কমে আসবে বলে আমি মনে করি।’শাস্তির ব্যাপারে শাওন উদ্দিন বলেন, ‘এ অভিযোগে এর আগে বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই শাস্তি চলমান থাকার পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নতুন করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক কাগজ পেলে এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেব।’ সারোয়ারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। |
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সড়ক অবরোধ ও পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জনতার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আজ বুধবার সকাল ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পৌরসভায় হরতাল আহ্বান করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে কয়েক শ গ্রাহক রায়পুর পৌরসভার প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা মানববন্ধন করেন। কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুরুল আনোয়ার, রায়পুর পৌরসভার কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। পরে গ্রাহকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক ব্যক্তি নতুন বাজার এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা চালান। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কার্যালয়ের দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় কার্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরও ভাঙচুর করা হয়। পরে কার্যালয়ের ফটকের সামনে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে পুলিশ বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিপেটা করে। এ সময় রায়পুর পৌরসভার প্রধান সড়কে জনতা ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় রায়পুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রহিমসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। এ সময় আরও পাঁচ ব্যক্তি আহত হন। এরপর অন্তত ৩০টি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে রায়পুরে পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাকির হোসেনের ভাড়া বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।রায়পুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহের দিক থেকে জেলায় সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। তিন-চার ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা বিদ্যুতের দেখা মিলছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকা ও পৌরসভার প্রধান সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ব্যবসায়ী আমীর হোসেন বলেন, লোডশেডিং সমস্যার সমাধানের দাবিতে তাঁরা বুধবার সকাল ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পৌরসভায় হরতাল আহ্বান করেছেন।রায়পুরে পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন কার্যালয় ও তাঁর বাসায় হামলা চালিয়েছে। কার্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কিশোরগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী চান মিয়া ও তাঁর (চান মিয়া) বড় ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আ ম মো. সাঈদ এ রায় দেন।আদালত ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালে ২৭ এপ্রিল রাতে চান মিয়া ও তাঁর বড় ভাই সুরুজ আলীকে সঙ্গে নিয়ে নিজের (চান মিয়া) স্ত্রী শেলি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে এলাকায় আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন। ঘটনার পর শেলির বাবা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে চান মিয়া ও সুরুজকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। চান মিয়া বিচারিক হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।সাক্ষ্য শেষে আদালত ওই দিন চান মিয়া ও সুরুজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।একটি পরিবারের সদস্য পাঁচজন। এর মধ্যে পরিবারের কর্তাসহ চারজনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। সংসারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় অর্ধাহারে দিন কাটে তাঁদের। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থাই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি।শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের বড় সুন্দিপ গ্রামের শামসুদ্দিন তস্তার (৭০), তাঁর মেয়ে সুখতারা (২৪), নয়নতারা (২২), জোসনা ভানু (১৮) ও ছেলে ইকবাল হোসেন (২০) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তাঁদের মধ্যে সুখতারা গত ১০ আগস্ট বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছেন।গ্রামবাসী জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর শামসুদ্দিন তস্তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হন। ১৯৯৮ সালের বন্যার সময় পরিবারটি খাদ্যসংকটে পড়ে। ওই সময় তাঁর চারটি শিশুসন্তান জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অর্থাভাবে তাদের চিকিৎসা করাতে পারেননি। শিশু চারটি এক মাসের ব্যবধানে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। সরকারি ও বেসরকারি কোনো সংস্থা তাঁদের সহায়তা করেনি। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তর গত বছরের জুলাই থেকে নয়নতারাকে মাসে ৩০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছে। ইকবাল হোসেন একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছেন।শামসুদ্দিন তস্তার বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে আমার ছয়-সাত দিন জ্বর ছিল। ওই সময় থেকে আমার চোখ দুটি নাই। আমি অন্ধ মানুষ, একা চলতে পারি না। সন্তানেরা সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে যা আয় করে, তা-ই খেয়ে বেঁচে আছি। এভাবে মানুষ কী করে বাঁচে। আমাদের দুঃখ দেখার মতো কেউ কি পৃথিবীতে নাই?’শামসুদ্দিন তস্তারের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, ‘সন্তানদের মুখে ঠিকমতো খাবার দিতে পারি না। মা হয়ে এর চেয়ে কষ্টের আর কী আছে। টাকার অভাবে কারও চিকিৎসা করাইতে পারি নাই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনেকবার সাহায্য চেয়েছি। তারা কখনো কোনো সহায়তা করেনি।’ সিভিল সার্জন নিতীশ কান্তি দেবনাথ বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি ভিটামিন-এ এবং পুষ্টির অভাবে শিশুরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে থাকে। একসঙ্গে একটি পরিবারের চারটি শিশু ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হতে পারে।’অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য প্রয়োজন। এ লড়াইয়ে জিততে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষে সক্রিয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে তৎপর হতে হবে। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। এমন অবস্থান থেকে ঐক্যের আহ্বান দিতে হবে সরকারি দলকেই।গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে চাই ব্যাপকতম জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা চক্রের ধারণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ ওই আলোচনার আয়োজন করে।আলোচনা চক্রে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচনের আড়ালে যুদ্ধটা শুরু করেছে, যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল তারা। দেশি-বিদেশি সেই পরাজিত শক্তিরা আজ জয়ী হতে চায়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজাকারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে হবে। এ জায়গাতে গণচাপ, গণপ্রতিরোধের বিকল্প কিছু নেই।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, নাশকতা ও সহিংসতার জন্য সাধারণ মানুষ দুই পক্ষকে দায়ী করে। মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চায়। এ জায়গায় সামাজিক শক্তি মিলে যদি কিছু একটা করে। যদি সামাজিক উজ্জীবন ঘটানো যায়, তাহলে একটা ঐক্য হতে পারে। জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া মুক্তির পথ আছে বলে মনে হয় না।গবেষক ও শিক্ষক সলিমুল্লাহ খান বলেন, অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনার জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে। গণতান্ত্রিক জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। সাধারণ মানুষের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাড়াতে হবে।অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, সহিংসতার অগ্রমুখে আছে জামায়াত। জামায়াতের এই সহিংসতার মূল কারণ হচ্ছে, এটা তাদের মরা-বাঁচার প্রশ্ন। যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সফল হয়, তাহলে তো জামায়াতের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি শর্ত হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য ভাঙা।মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া বক্তব্য দেন। |
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশু বর্ধন নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে আটটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় দুবাইয়ের সারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটের ওই যাত্রীর কাছ থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করেন বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা।বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সেলিম শেখ প্রথম আলোকে জানান, বিশু বর্ধন নামের এক যাত্রীকে সন্দেহ হলে তাঁর শরীর তল্লাশি করে সোনার আটটি বার উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বারে ১০ তোলা করে মোট ৮০ তোলা সোনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি বিক্রির জন্য বিদেশ থেকে সোনার বারগুলো আনার কথা জানালেও তাঁকে বাহক বলে মনে হয়েছে।এ ঘটনায় কাস্টমস কর্মকর্তা আনিসুল হক বাদী হয়ে নগরের পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। পতেঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিনি বড়ুয়া গতকাল বিকেলে বলেন, মামলা করতে দেরি হওয়ায় বিশু বর্ধনকে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়নি। বুধবার পাঠানো হবে। কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে।আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে জগন্নাথপুর পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন এ অভিযোগ করেন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জগন্নাথপুর কার্যালয়ে দলের এক সভা হয়। ওই সভায় আবাব মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁকে (আবাব) সদস্যসচিব করে পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে।আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, দলীয় গঠনতন্ত্রের ২৯ ধারা অনুযায়ী দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা কমিটি উপজেলা কমিটি অনুমোদন করবে। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে জেলা কমিটি এ ধরনের কোনো কমিটি করতে পারে না। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ এম এ মান্নানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে বলেছি।কমিটি গঠন ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সভাপতি সাংসদ মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আমি জেলা কমিটির সভায় পাঠাতে বলেছি। জেলা কমিটির সভায় তা যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেব।’সাংসদ এম এ মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে এ ধরনের কমিটি গঠন করে দলের মধ্যে নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাদের অগঠনতান্ত্রিক আচরণে আমি হতাশ।’আজ ২৫ নভেম্বর ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষেরও। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ পক্ষ পালিত হবে। বাংলাদেশের নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে।নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদ্যাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মূলধারার জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য সমন্বয় করে তৈরি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশে ২৪ হাজার ৬৩১টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত নির্যাতনের ঘটনা চার হাজার ১৪৬টি।নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগে আজ বিকেল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা হবে। নারীপক্ষ ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে আজ বিকেল চারটায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি: দিবস ও পক্ষ পালন উপলক্ষে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে শতাধিক ছাত্রী, অধ্যাপক ও প্রভাষকদের উপস্থিতিতে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক পারভিন হাসান এবং ফেরদৌস আলী নারী নির্যাতন দূরীকরণে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। সমাজবিজ্ঞান ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মৌসুমী খানম ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক আনোয়ারুল কাইয়ুম পাটোয়ারী। নারী নির্যাতন দূরীকরণবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপআবাহনী-ইউসিবি বিসিবি একাদশপ্রাইম ব্যাংক সিসি-মোহামেডান(দুপুর ১২-৩০ ও বিকেল ৪-৩০ মিনিট,ভেন্যু: সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম) |
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পুরোনো সংস্কার ঝেড়ে ফেলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার তিনি এই আহ্বান জানান।ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাঁর দেশের জনগণকে রাষ্ট্রের অধিকার অনুমোদনের জন্য দুই বছর আগে জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মেলনে জোর দাবি করেছিলেন। সেই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ওবামা মধ্যপ্রাচ্য বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও আমরা তা মেটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’প্রায় তিন বছর থেমে থাকার পর চলতি বছরের জুলাইয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়। আলোচনার টেবিলে ফিরে আসায় ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসের প্রশংসা করেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘এখন চূড়ান্ত দফার আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে সীমান্ত ও নিরাপত্তা, উদ্বাস্তু ও জেরুজালেম প্রসঙ্গ। তাই আমাদের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।’ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সংকট দূর করতে নতুন করে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান ওবামা।ওবামা বলেন, দেশটির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সমঝোতার জন্য একটি ভিত্তি থাকা দরকার। কিন্তু এ পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো জয় করা কঠিন। এএফপি, বিবিসি।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের মধ্য লইয়ারকুল গ্রামে আবদুল মিয়া (৯) নামের এক শিশুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আবদুল লইয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।পুলিশ জানায়, মধ্য লইয়ারকুল গ্রামের মো. আকবর মিয়ার ছেলে আবদুলের লাশ গ্রামের ধানখেত থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী আবদুল মালেকের বাড়ির গাছ থেকে সুপারি চুরির দায়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিহির রঞ্জন দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আবদুলের মা শরিফা বেগম শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি প্রতিবেশী আবদুল মালেককে (৫০) আসামি করেছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই মালেককে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ছয় কৃষকের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত পৌনে সাতটার দিকে রায়গ্রামের মিলন বাগচীর বসতঘরে মুঠোফোন সেটের চার্জারে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের কারণে তাঁর ঘরে আগুন লেগে যায়। পরে ওই আগুন রতন বাগচী, চট্টুল বাগচী, সুধীর বাগচী, সুব্রত বাগচী ও রাজু পালের বসতঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাইন হল কাঁচাবাজারের ‘জনপ্রিয়’ নামের খাসির মাংসের দোকানের মালিক মো. সিরাজ আপাতত অবরোধ না থাকায় বেশ খুশি। আশা করছেন, তিন-চার দিন ভালো বিক্রি হবে। ভাবখানা এমন যে অবরোধ একেবারে উঠে গেলে তিনিই হবেন ঢাকা শহরের সবচেয়ে সুখী মানুষ।গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় সিরাজের দোকানে গিয়ে দেখা যায় নয়টি খাসি কেটে ঝুলিয়ে রাখা। তিনজন ক্রেতা অপেক্ষায়। সিরাজ বললেন, ‘জানের ওপর দিয়ে যাইতেছে সেই কোরবানির ঈদের পর থেইকা। তিন ভাই, কর্মচারী চারজন। গত এক মাসে দিনে এক-দুইটার (খাসি) বেশি বিক্রি করতে পারতেসি না।’তবে সিরাজের মতো খুশি নন চট্টগ্রামের বিভূতি পাল। বিভূতির সঙ্গে দেখা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। ছেলেকে তিনি সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে চান ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে। গতকাল ছিল ভর্তি পরীক্ষা। বেলা সাড়ে ১১টায় ওই স্কুল আর জগন্নাথ হলের মাঝের রাস্তায় তীব্র যানজট। অভিভাবক আর ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। মাইকে নানা রকম নির্দেশনা শোনা যাচ্ছে। ফুটপাতে সংবাদপত্র বিছিয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষায় বসে ছিলেন তিনি। বললেন, ‘২৯ ডিসেম্বরের পর কী হয়, সেটাই দেখার বিষয়। মনে তো হয় না খুব তাড়াতাড়ি দেশে শান্তি আসবে।’গত ২৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ দফায় ২১ দিন অবরোধ করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের মানুষ উৎকণ্ঠায় ছিলেন। না জানি কী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জানা গেল, ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি থাকছে না। অনেকেই বলেছেন, যাক বাঁচা গেল, চার দিন তো রাস্তাঘাট মুক্ত থাকবে।রাজধানীর পুরাতন এয়ারপোর্ট এলাকায় ‘দি বুকওয়ার্ম’ বইয়ের দোকানটি বেশ নিরিবিলি। দোকানের মালিকদের একজন রফিকুল হক বললেন, ‘আমাদের দোকানে হেঁটে আসার সুযোগ কম। একটু ধনিক শ্রেণীর ক্রেতা আসেন, গাড়িতে চড়ে। ৬০০ টাকার বই কিনতে ৪০ লাখ টাকার গাড়ির ঝুঁকি কেউ নিতে চান না। তাই অবরোধে আমাদের বিক্রি বন্ধই বলা চলে।’ অবরোধ চার দিন না থাকাতেই খুশি তিনি।একজন সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রনির্মাতা কলকাতা থেকে ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছেন। উঠেছেন গুলশানে শ্বশুরবাড়িতে। ঢাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে অবরোধের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখে তিনিও সাহস করে ইতিমধ্যে দু-এক জায়গায় গিয়েছেন। বললেন, ‘২৯ তারিখ পর্যন্ত অবরোধ থাকবে না, তবে আতঙ্ক ঠিকই থাকবে।’বেলা দেড়টায় কথা হয় মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের কয়েকজন চালক, মালিক ও ব্যবস্থাপকের সঙ্গে। তাঁরা একেবারে হতাশ। এস আই এন্টারপ্রাইজের বাস চলে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে।প্রতিষ্ঠানের ঢাকার ব্যবস্থাপক মো. হান্নান বলেন, ‘অবরোধে পরিবহন খাত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা ধ্বংসের পথে।’ তাঁদের আশঙ্কা, খালেদা জিয়া ঘোষিত ২৯ তারিখের ‘গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা’ শুরু হওয়ার আগেই সরকারপক্ষ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেবে।একটি বেসরকারি ব্যাংকের একজন নারী কর্মকর্তা গতকাল আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এবার চালের দাম কিছুটা হলেও কমবে।’ তবে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দ্বিমত পোষণ করলেন। তাঁদের বক্তব্য, চালের দাম বেড়েছে ট্রাকভাড়া তিন গুণ হওয়ার কারণে। শহীদুল্লাহ অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. সায়েম বলেন, ‘এই চার দিনে আড়তদার চাল গুদামে ঢোকাবেন, আর বলবেন এগুলো আগেই কেনা।’ব্যবসায়ীরা মনে করেন, হরতাল-অবরোধ দীর্ঘস্থায়ীভাবে বন্ধ না হলে পণ্যের বাজার চড়া থাকবে। |
এশিয়া কাপ হকির ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করা হবে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ। বিকেএসপির কোচ কাউসার আলীকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে এই তদন্ত কমিটি। কমিটির অন্য দুই সদস্য—সাবেক হকি খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম (কামাল) ও মামুনুর রশীদ।এশিয়া কাপে ব্যর্থতার কারণ জানার জন্য এরই মধ্যে কমিটি অধিনায়ক মামুনুর রহমান (চয়ন), জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রানা, মশিউর রহমান (বিপ্লব), ইমরান হোসেন (পিন্টু), ম্যানেজার আবদুর রশীদ ও দলের সঙ্গে যাওয়া সহকারী কোচ মাহবুব হারুনের সঙ্গে কথা বলেছে। কমিটির সদস্যরা কথা বলেছেন এশিয়া কাপ কাভার করতে মালয়েশিয়ায় যাওয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গেও। দলের জুনিয়র সদস্য অসীম, সিতুল, রুম্মনদেরও তদন্ত কমিটি তলব করবে বলে জানা গেছে।তদন্ত কমিটির প্রধান কাউসার আলী কাল বললেন, ‘এটা আসলে জেরা জাতীয় কিছু না। হকির উন্নতির জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। সবাইকে এটা ইতিবাচকভাবেই দেখতে বলেছি। সবার কাছে জানতে চেয়েছি, কোথায় কী সমস্যা ছিল। সবার সহযোগিতা চেয়েছি, এর বেশি কিছু না।’তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার আগেই প্রধান কোচ নাভিদ আলমের সঙ্গে কথা বলেন কাউসার আলী। এক মাসের ছুটিতে নাভিদ বর্তমানে পাকিস্তানে। যাওয়ার আগে নাভিদ তাঁর মতামত জানিয়ে গেছেন কমিটির কাছে। এবার অন্যদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল ইনামুল বারীর কাছে। আরও সপ্তাহ খানেক পর পাওয়া যেতে পারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন।কেউ দোষী হলে তদন্ত কমিটি কি কোনো শাস্তির সুপারিশ করবে? কাউসার আলীর কথা, ‘দল খারাপ করায় চারদিকে নানা রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের হকির জন্য ক্ষতিকর। পরের টুর্নামেন্টে যাতে এসবের কোনো প্রভাব না পড়ে, সেটারই পরামর্শ থাকতে পারে এই প্রতিবেদনের সারাংশে।’ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের খরচের জন্য ৬৫টি বিদ্যালয়ের বই পরিবহনের টাকা কেটে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার সরকারি-বেসরকারি ৬৫টি বিদ্যালয়ের বই পরিবহনের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় এক লাখ টাকা দিয়ে সদ্যবিদায়ী ইউএনও (বর্তমানে জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক-শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) রিপন চাকমার জন্য উপহারসামগ্রী কেনা হয়েছে।গত ৩ জুলাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনওর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা এই উদ্যোগের অগ্রভাগে ছিলেন।শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যের বই পরিবহনের জন্য খরচ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা পরিবহন খরচের টাকা পাননি।সদর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, রিপন চাকমা ২০০৯ সালের ২৫ মে ইউএনও হিসেবে এবং মো. আবদুস সালাম ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘এ বছর আমাদের স্কুলের জন্য বই পরিবহন খরচ এসেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু, সেই টাকা ইউএনওর বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য কেটে রাখা হয়।’ তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা বলেছেন, পরিবহন খরচের বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।এ বছর বই পরিবহন বাবদ ৮৫ হাজার ৮৬৮ টাকা পাওয়া ও তা খরচ হয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম।জানতে চাইলে রিপন চাকমা বলেন, ‘পরিবহন খরচের যা কিছু আছে, তা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আছে। আমার অনুকূলে খরচের চেক এলেও তা ক্রসচেক করে শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে দিয়েছি।’ পরিবহন খরচের টাকায় কেনা উপহারসামগ্রী নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁরা কোত্থেকে উপহার দিয়েছেন, সেটা আমি কী করে বলব।’বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সংকটের একমাত্র সমাধান প্রধানমন্ত্রী। যিনি রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, তাঁকে অবশ্যই তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচনকালে স্থগিত রাখার বিধান করে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। শুধু মৌখিক আশ্বাসে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।গতকাল রোববার বাংলাদেশ বার কাউন্সিল মিলনায়তনে নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ দাবি জানান। বার কাউন্সিল আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে তাঁর সমাপনী ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার চালাতে তিনি রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেয়েছেন। সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই। এটা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি রাজনৈতিক চমক বলে আমরা মনে করি।’বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব অঙ্গসংগঠন মাঠে থাকবে।গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে সদ্য প্রয়াত জোহরা তাজউদ্দীনের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচন থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানো যাবে না। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। কে এল, কে এল না; এটা আমাদের দেখার বিষয় না। কে পর্যবেক্ষক পাঠাল না, তাও আমাদের বিষয় না। আমরা কাউকে দাওয়াত করি নাই।’নীতিবান মানুষ হিসেবে জোহরা তাজউদ্দীন অমর হয়ে থাকবেন মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, তাজউদ্দীনের পরিবার আওয়ামী লীগে নীতিবাদী রাজনীতির অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়ে রেখেছে। |
বান্দরবান জেলা শহরের দুটি এলাকা ছাড়া বাকি অংশে দুদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। শঙ্খ নদ থেকে পানি উত্তোলনের একমাত্র মোটরটি বিকল হয়ে পড়ায় পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে সোমবার মোটর বিকল হয়ে পড়ে।পানি পরিশোধন ও সরবরাহকেন্দ্রের কর্মীরা বলেন, মিস্ত্রিরা অনেক চেষ্টা করেও মোটর সচল করতে না পারায় সেটি চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বিকল্প মোটর না থাকায় বালাঘাটা ও হাসপাতাল এলাকা ছাড়া জেলা শহরে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।সূত্র জানায়, লাল ব্রিজ এলাকার ঝরনা থেকে পানি আহরণ করে তা পরিশোধন করে সীমিত আকারে নিউ গুলশান ও হাসপাতাল এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।এদিকে পানির অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরের বাসিন্দারা।পৌরসভার মেয়র জাবেদ রেজা বলেন, সংকট এত প্রকট হয়ে উঠেছে যে তাঁরা কয়েকটি এলাকায় পানি বিতরণ করছেন। তিনি জানান, পৌরসভায় পানি সরবরাহের দায়িত্ব জেলা পরিষদ থেকে পৌরসভার কাছে হস্তান্তরের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ ও ডিপিএইচই পৌরসভার অনুরোধ উপেক্ষা করছে। অথচ তারা পানি সরবরাহের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পারছে না।নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, বুধবারের (আজ) মধ্যে মোটর চালু করা সম্ভব হতে পারে।পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো চেনা চেহারায় ফেরেনি। বাজারে ক্রেতাসমাগম গতকাল শুক্রবারও ছিল কম। এর মধ্যেও আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা।এ ছাড়া চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি মসুর ডালের দাম। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দর আগের মতোই চড়া। তবে কাঁচা মরিচ, শসা, পটোল, বেগুনসহ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাহিদা কম থাকায় ব্রয়লার মুরগির কেজি ১১০-১১৫ টাকায় নেমেছে।কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে পণ্যমূল্যের এই চিত্র পাওয়া গেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শঙ্কা থাকলেও পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। সামনে হরতাল হলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।’কারওয়ান বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ভালো মানের নাজিরশাইল ৫৬-৫৭ টাকা, মিনিকেট ৪৬-৪৭, পাইজাম ও ব্রি-২৮ জাতের চাল ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বাড়লেও বিক্রেতারা সঠিক কারণ বলতে পারলেন না। গত রমজান মাস থেকেই চালের দাম বাড়ছে। রমজান মাসে প্রতি কেজি ভালো মানের নাজিরশাইলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। প্রায় আড়াই মাসে সব ধরনের চালের দামই ধাপে ধাপে বেড়ে চলেছে।মনসুর আলী নামের এক চাল ব্যবসায়ী এবার চালের দাম বাড়ার জন্য দায়ী করলেন ট্রাকভাড়া বৃদ্ধিকে। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে ট্রাকচালকেরা গরু পরিবহন করে বেশি টাকা আদায় করেন। সে জন্য চাল পরিবহনে আগ্রহ কম দেখান। চাল পরিবহন করলেও আগের চেয়ে চার-পাঁচ হাজার টাকা বেশি নিয়েছেন। এ জন্য বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।গতকাল বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ১৩ থেকে ১৫, পটোল ২০, পেঁপে ১০-১৫, শিম ৫০-৬০, শসা ৩৫, করলা ৪০, বরবটি ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৩৫, গাজর ৬০, ঝিঙা ১২-১৫, বেগুন ৩০, কাঁচকলার হালি ১০-১২, মাঝারি আকারের বাঁধাকপি প্রতিটি ২০-২৫ ও ফুলকপি ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। চীনা আদা ১৫০ ও দেশি আদা ১০০ এবং রসুন ৬৫-৭০ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ২৭-২৮ ও হাঁসের ডিম ৩৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়।সবজি বিক্রেতা কালাম মিয়া জানান, ক্রেতা কম বলেই সবজির দাম কিছু কম।এদিকে পেঁয়াজের দামে হেরফের হয়নি। ঈদের কয়েক দিন আগের মতো দেশি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দু-একটি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায়ও বিক্রি হয়।পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের পপুলার বাণিজ্যালয়ের মালিক রতন সাহা বলেন, দেশের পেঁয়াজের বাজার অনেকটাই ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় বাজার স্থিতিশীল না হলে এবং দেশটি থেকে রপ্তানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দাম বাড়তিই থাকবে।দেশি মসুর ডালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে। বিদেশি মসুর ডাল আগের মতোই ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল (পাঁচ লিটার) কোম্পানি ভেদে ৫৭০-৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, চিনির দর কেজিতে এক থেকে তিন টাকা বেড়ে ৪৫-৪৮ টাকা হয়েছে।পূর্বশত্রুতার জের ধরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় দুর্বৃত্তরা এক কৃষকের তিন বিঘা জমির শিম ও ফুলকপির গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলেছে। উপজেলার গোবিন্দকাঠি গ্রামে গত শনিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দকাঠি গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র সরকার (৫০) তিন বিঘা জমিতে শিম ও ফুলকপির চাষ করেছেন। শনিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত শিম ও ফুলকপির গাছের গোড়া কেটে দিয়ে চলে যায়। এতে ওই কৃষকের দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।কার্তিক চন্দ্র বলেন, ‘আমাগের সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের বিরোধ আছে। তারাই আমাগে শেষ করে দেলে।’ ডুমুরিয়া থানার ওসি শাহ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ’৮৮ ও ’৯৬ সালের নির্বাচন আর আওয়ামী লীগের ২০১৩ সালের নির্বাচন এক নয়। আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা এত সহজ নয়।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। ১৭ মার্চের মধ্যেই দেশকে রাজাকারমুক্ত করা হবে। সেদিন দেশবাসী যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ উদ্যাপন করবে।মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর অনেকেই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ বিচার শেষ করতে পারবে না। আসলে আওয়ামী লীগ তো বিচার করেনি। আদালতে আইন তার নিজস্ব গতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে।’ |
তরুণ উদ্যোক্তাদের সফলতার অ আ ক খ জানাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আসছেন সফল উদ্যোক্তা সাবিরুল ইসলাম। এক দিনের এ সফরে ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন’ এর প্রচারণা চালানো হবে।এ সফর উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চিটাগং কসমোপলিটন। এ সংগঠনের উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সফর করবেন সাবিরুল।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. নিয়াজ মোরশেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি মো. রাইসুল উদ্দিন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জসিম আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিহাব মালেক, পরিচালক গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য মাফফিক আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুটি সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের লেখক সাবিরুল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি তরুণদের আলো ছড়ানো সাফল্যের গল্প শোনাবেন ও স্বপ্ন দেখাবেন।মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসতে গিয়ে ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ভ্যানচালক আবু সিদ্দিক।গত ৭ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়ারচর গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান আবু সিদ্দিকের (৬০) মা সৈয়দ বানু। পরদিন মুঠোফোনে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয় ঢাকায় অবস্থানরত আবু সিদ্দিককে। খবর পেয়ে তিনি রওনা দেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পৌঁছার পর সেখানকার বাসস্ট্যান্ড থেকে সর্বশেষ মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে বাড়ির লোকজনের কথা হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে পুনরায় আবু সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আবু সিদ্দিক তাঁর পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বস্তিতে থাকতেন বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় আবু সিদ্দিকের ছোট ভাই হাছু মিয়া ২৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।দেশের অগ্রগণ্য শিল্পী ও ভাষাসৈনিক মুর্তজা বশীর গুরুতর অসুস্থ। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।শিল্পীর বড় মেয়ে মুনিরা বশীর প্রথম আলোকে জানান, গত শুক্রবার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাতে শিল্পীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাঁর হূৎস্পন্দনও কমে আসে। শিল্পী ফুসফুস ও হূদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তবে চিকিৎসা শুরুর পর থেকে ধীরগতিতে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। শিল্পীর আরোগ্যের জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।বিরোধী দলের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে ‘গণতন্ত্রের ম্যাগনা কার্টা’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপিপন্থী পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানানো হয়।গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘প্রহসনের’ নির্বাচন স্থগিত করে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক দশম সংসদ নির্বাচনে এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনের নির্বাচিত হওয়াটাকে ‘মকারি’ (তামাশা) বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সিলেকশনের মাধ্যমে এই যে সরকার হচ্ছে তা অবৈধ, তাদের কথা মানবেন না। কিন্তু দেশ তো সরকারশূন্য থাকতে পারে না। ২৪ জানুয়ারি তো সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, তারপর কী হবে? বিরোধীদলীয় নেত্রীর উচিত এই সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার দাবি তোলা।’বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী বিরোধী দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে সফল করতে পারলে জাতি মুক্ত পাবে। আর না পারলে আমরা ইতিহাসের কছে দায়ী হব।’বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘২৯ তারিখ ঢাকায় আসার পর কী করবেন? ১৫৪ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর আর যে কয়টা আসন আছে, তা চুরি করার জন্য দুয়ার খুলে দেবেন? না কি কর্মীদের বলবেন, মথুরায় যেমন জালেম কংস রাজাকে বদ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তেমনি কি তিনি (খালেদা জিয়া) কর্মীদের বলবেন, যারা এ নির্বাচনে জড়িত হবে, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাবে; তোমরা রানে রানে টান দিয়ে তাদের ছিঁড়ে ফেলবে। যদি বলতে পারেন, তাহলে মনে করব, জাতির এই দুঃসময়ে তিনি যথার্থ নেতা হয়েছেন।’রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নবগঠিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, পেশাজীবী পরিষদের নেতা শওকত মাহমুদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আ ন হ আখতার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।শাজাহান খানের ব্যাখ্যা প্রতিবেদকের বক্তব্য১৫ ডিসেম্বর ‘আওয়ামী লীগের নৌকায় একঝাঁক বিতর্কিত মুখ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের একাংশের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নৌ-পরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী শাজাহান খান।মন্ত্রী দাবি করেন, প্রতিবদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমাজে তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। শাজাহান খান দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। সড়ক নিরাপত্তার পরিপন্থীও কোনো কাজ করেননি তিনি।বরং বর্তমান সরকারের আমলে তিনি চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছেন। সড়কে যাত্রী, পরিবহন ও শ্রমিকের সার্বিক নিরাপত্তা এবং চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন।প্রতিবেদকের বক্তব্যসরকার ক্ষমতায় আসার পর শাজাহান খান পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকদের জন্য আইন করে চাঁদার হার নির্ধারণের লিখিত প্রস্তাব দেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। শাজাহান খানের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের জন্য সারা দেশে প্রতিটি বাস থেকে দৈনিক ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।এ ছাড়া শাজাহান খানের সংগঠনের তালিকা ধরে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া ১৯৯০ সাল থেকে এক লাখ ৮৯ হাজার পেশাদার চালকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলেও এ ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে চালকের বিরুদ্ধে করা অন্তত পাঁচটি মামলায় চাপ দিয়ে ধারা শিথিল করান তিনি। দুর্ঘটনার পর চালকদের যাতে কঠিন শাস্তি না হতে পারে, সে জন্য মিছিল-সমাবেশে নেতৃত্ব দেন শাজাহান খান। |
কোনো টুর্নামেন্টের সময় পল্টন উডেনফ্লোর জিমনেসিয়ামে দৃশ্যটা প্রায়ই দেখা যায়। ইনডোর ঘুটঘুটে অন্ধকার। একটু বাতাস গায়ে লাগাতে বাইরে বসে আছেন খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। খেলোয়াড়েরা এটাতে অভ্যস্তই হয়ে গেছেন। ইদানীং আরেকটি বিষয়ও যোগ হয়েছে—গরমের মধ্যেই খেলা। পুরো ইনডোর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) হলেও খেলার সময় এটি কখনোই চালু থাকে না। তখন ইনডোর হয়ে পড়ে গুদামঘর। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে পরশু মিনিট দশেক এসি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু আবার নাকি ‘বিকল’ হয়ে পড়ে এসি! সেদিন টিটি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘দেখবেন, মন্ত্রী এলে ঠিকই চালু হয়ে যাবে।’ কাল ওয়ালটন উন্মুক্ত টিটির ফাইনালে অতিথি হয়ে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কী অবাক কাণ্ড—ভুলেও এসি ‘নষ্ট’ হলো না একবারের জন্যও!পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ হিসেবে এবার সরাসরি চলে এল রাজনৈতিক অজুহাত। আর সেটা তুলল শাসক দল কংগ্রেসই।এত দিন কম উৎপাদনকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করা হচ্ছিল। কখনো-সখনো মজুতদারিকেও। সাম্প্রতিক বন্যা ও বর্ষার দীর্ঘায়িত হওয়াকেও ফসল নষ্টের কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের নতুন ফসল ঘরে উঠলেই দাম আবার নাগালের মধ্যে চলে আসবে। অথচ কিলোপ্রতি দাম ১০০ রুপিতে পৌঁছামাত্রই পেঁয়াজে লেগে গেল রাজনীতির রং। দিল্লির খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী হারুন ইউসুফ সোজাসাপটা বলে দিলেন, এটা কংগ্রেসকে হারাতে বিজেপির চাল। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার রাজ্যের পেঁয়াজ দিল্লি আসতে না দিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষ-খেপানোর রাজনীতি করছে।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই মঙ্গলবার হারুন ইউসুফ এই অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত তাঁর বিরোধিতা করেননি। কারণ, তিনি বিলক্ষণ জানেন, অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ কী অঘটনই না ঘটাতে পারে। ১৯৯৮ সালে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির কারণ ছিল এই পেঁয়াজই।ভোট ও পেঁয়াজ আসলেই কতটা সম্পর্কযুক্ত, তা ভিন্ন তর্কের বিষয়। কিন্তু ঘটনা হলো, শীতের সবজি খেত থেকে বাজারে আসা সত্ত্বেও তা সাধারণের নাগালের বাইরে। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠছে আসন্ন ভোটের অন্যতম প্রধান কারণ কি না। ভোটে উতরাতে অর্থের প্রয়োজন, ব্যবসায়ীরা সেই অর্থের একাংশের জোগানদার। কাজেই অর্থদাতারা কি নানাভাবে সেই দানের অর্থ বাজার থেকেই তুলছেন? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এনসিপি। এই দলের নেতা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার এক মাস আগে বলেছিলেন, দিন পনেরোর মধ্যে দাম কমবে। দেখা গেল, দাম ৭০-৮০ রুপি থেকে বেড়ে ১০০ তে পৌঁছে গেল। বুধবার বললেন, আরও তিন সপ্তাহ এ অবস্থা থাকবে। তিনি দীর্ঘায়িত বর্ষার দোহাই দিয়ে বললেন, এখনই চীন, মিসর বা প্রতিবেশী পাকিস্তান থেকে আমদানি করা দরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে পেঁয়াজ রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে। খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস আবার রপ্তানি বন্ধের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, এটা অর্থনীতির পক্ষে খারাপ। রপ্তানিকারকেরাও অখুশি। রুপির দাম কমায় আমদানিতে তাঁদের পোয়াবারো। এদিকে সামনে দীপাবলি। উত্তর ভারতের সেরা উৎসব। তার পরেই ভোট। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের হাল টলমলে। পেঁয়াজের রাজনীতিকরণের তাগিদও হয়তো তাই এত তীব্র।সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনারসহ পুলিশের পাঁচটি ঊর্ধ্বতন পদে রদবদল হয়েছে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই রদবদলে এসএমপির কমিশনার (চলতি দায়িত্বে থাকা ডিআইজি) নিবাস চন্দ্র মাঝিকে সদ্য গঠিত টুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ থেকে গতকাল বুধবার সকালে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, সকাল আটটার দিকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর ফোন পেয়ে জরুরি বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা (১৭) ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরনে চেক লুঙ্গি ও কালো রঙের ফুলশার্ট ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।হাসপাতালের নৈশপ্রহরী সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই কিশোর তাঁদের বিশ্রামের কক্ষে ঢুকে পড়ে। তখন তাকে বের করে দেওয়া হয়। সকাল সাতটায় দায়িত্ব শেষে তিনি চলে যান। পরে ওই তরুণের লাশ পাওয়ার কথা তিনি শোনেন।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। |
বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮১তম আত্মাহুতি দিবস ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুলের সামনে স্থাপিত প্রীতিলতা ভাস্কর্যে গতকাল সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখা।পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন শফিউদ্দিন কবির আবিদ, সীমা দত্ত, অতুল সরকার, বিষুময় দেব, আরতি ভট্টাচার্য, নাসিমা আক্তার, আসমা আক্তার প্রমুখ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রীতিলতা ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতার শহীদী আত্মদান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করেছিল।শেরপুর জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক-মহাসড়কে বিপুলসংখ্যক নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এসব মোটরসাইকেলের চালকের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই।এদিকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন বিক্রির সময় নিবন্ধন করিয়ে ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তা মানছে না। ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।তথ্য অধিকার আইনের আওতায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) শেরপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালকের (প্রকৌশল) কাছে আবেদন করে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শতকের নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে শেরপুরে বিআরটিএর কার্যক্রম আংশিকভাবে শুরু হয়। তখন থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিআরটিএ, শেরপুর সার্কেল থেকে তিন হাজার ৩৩৭টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩২৫টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ বাবদ ওই (২০১২-১৩) অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৫ টাকা।অপরদিকে বিআরটিএ, শেরপুর কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৮৪১ জন চালককে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) দেওয়া হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯৯ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এ খাতে ওই বছর প্রায় দুই লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।গত ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর শেরপুর জেলা শহরে মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী ১০টি প্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা গেছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৩০টি মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। সেই হিসাবে এসব দোকান থেকে বছরে তিন হাজার ৬০০টি মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে। অনেকে বাইরে থেকে মোটরসাইকেল কিনে আনছেন।জেলায় কতসংখ্যক নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল চলছে, সরকারিভাবে তার কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। জেলায় বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল চলাচল করছে বলে হিসাব করে দেখান শহরের এক বাসিন্দা। অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এসব মোটরসাইকেলের পেছনে প্লেটে (ফলক) নম্বরের স্থলে অন টেস্ট, এ এফ আর অথবা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগানো আছে।এদিকে গত বছরের ১৪ আগস্ট বিআরটিএর চেয়ারম্যানের এক পত্রে বলা হয়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন বিক্রির সময় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করিয়ে গ্রাহকের কাছে তা হস্তান্তর করতে হবে। ওই পত্র বিআরটিএ, শেরপুর কার্যালয় থেকে সব মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন বিক্রির প্রতিষ্ঠানকেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা এজেন্ট/ডিলাররা সরকারের এ নির্দেশনা পালন করছেন না।জানতে চাইলে শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর এলাকায় অবস্থিত মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বাজাজ কর্নারের ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে প্রায় চার শ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। বিক্রির সময় প্রত্যেক গ্রাহককে নিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলা হয় এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় ফিও চাওয়া হয়। কিন্তু গ্রাহকের অনীহার কারণে বিআরটিএর নির্দেশনাটি তাঁদের পক্ষে প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি স্বীকার করেন।শহরের আরেক মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান টিভিএস উশিনের ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমাতে হবে। এ ছাড়া বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে নিবন্ধন ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হলে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।শেরপুর পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সিদ্দিকুর রহমান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে শেরপুর জেলায় যতসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল করে, তার ৮০ শতাংশেরই নিবন্ধন নেই। তিনি জানান, পুলিশ মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে চালকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছে।বিআরটিএর শেরপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) কাজী মো. মোরছালীন বলেন, নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেলের মালিকেরা শুধু নিবন্ধনের কর ও ফি-ই ফাঁকি দিচ্ছেন না, তাঁরা চালনার অনুমতিপত্র ও বিমা ছাড়াই সড়কে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন, যা ট্রাফিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।বঙ্গোপসাগরের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়া থেকে গত শনিবার গভীর রাতে পাঁচ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার শহিদ আল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেনরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার প্রতি একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দেশের মানুষ অনাদিকাল থেকে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছে। এ জন্য এই ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। খবর বাসসের। গতকাল বুধবার সকালে বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশেদা খানম উপস্থিত ছিলেন।আবদুল হামিদ বাংলাদেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতিতেও তাদের অবদান প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সংবর্ধনায় যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রেল ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মুজিবুল হক এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন উপস্থিত ছিলেন। |
দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গতকাল মঙ্গলবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। বেলুচিস্তানের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা আসাদ গিলানি বলেন, ভূমিকম্পে আওয়ারান এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক।আওয়ারানের উপকমিশনার আবদুল রশিদ বালুচ বলেন, আওয়ারান বাজার এলাকা থেকে বহু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মৃতদেহ দুর্গম অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্গম অঞ্চলে ধসে পড়া বাড়ির নিচে অনেকে আটকা পড়েছে। আওয়ারান ছাড়াও খুজদার এলাকার কিছু ভবন ধসে পড়েছে।রশিদ বলেন, উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বেলুচিস্তান প্রদেশের দালবানদিন এলাকার প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ২৩ কিলোমিটার গভীরে।আয়তনের দিক থেকে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। তবে লোকবসতি সবচেয়ে কম। ভূকম্পনের সময় করাচি ও হায়দরাবাদে লোকজন ঘরবাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসে। পাকিস্তানের প্রধান ভূতাত্ত্বিক মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।গত এপ্রিলে বেলুচিস্তানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিল। বিবিসি।ভারতে পাচারের আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্ত থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পিকআপ ভ্যানসহ ১২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা ওই মাছ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছেন।ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিগত আট বছরের ২০-২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ডেলটা লাইফ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১২ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২১০০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে, যা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের অধীনে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান। এজিএম শেষে পরিচালনা পর্ষদের সভায় মনজুরুর রহমান পুনরায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিজ্ঞপ্তি।এ বছর মুক্তি পেয়েছে ৫১টি চলচ্চিত্র। বেশ কিছুসংখ্যক ছবি আলোচনায় এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে অনেক ছবি। ছবি হিট হলেও লগ্নিকৃত টাকা ফিরে আসেনি অনেকের। আসুন ফিরে দেখা যাক ঢালিউড ২০১৩সুসংবাদ একেবারেই নেই তা তো নয়। যেমন, টেলিভিশন ছবিটি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের দর্শক বেড়েছে কিংবা ভালো মানের অসংখ্য ছবি হচ্ছে আমাদের দেশে, এ কথা কিন্তু আমরা বলতে পারছি না। ২০১৩ সালটি তাহলে কেমন গেল?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন একদল তরুণ। তাঁদের কাছে প্রশ্ন ছিল আমাদের, এ বছর চলচ্চিত্রের কোন বিষয়টি নজর কেড়েছে?তর্ক-বিতর্কের পর ওরা ওঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল: এবার ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র এসেছে। কম টাকায় ভালো চলচ্চিত্র তৈরি হওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া গেছে। এবার হয়তো আমাদের চলচ্চিত্র এগিয়ে যাবে। এ বছর মুক্তি পেয়েছে ৫১টি ছবি। এর মধ্যে পাঁচটি ছবি ছিল ৩৫ মিলিমিটারে নির্মিত। বাকিগুলো ডিজিটাল। কিন্তু এই ডিজিটাল ছবিগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি ছিল এতটাই দুর্বল যে এক বা দুই সপ্তাহের বেশি সেগুলো চালানো যায়নি কোনো হলে।আমাদের দেশে শহর ও গ্রামপর্যায়ে প্রেক্ষাগৃহ আছে ৪৫০ থেকে ৫০০টি। দুই কোটি টাকার বেশি খরচ করে যেসব চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো হিট হলেও লগ্নিকৃত টাকা উঠিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে প্রযোজক-পরিবেশকদের, কারণ আমাদের দেশে চলচ্চিত্র বাজারটি মোটামুটি দেড় কোটি টাকার। এ বছরের হিট বা মোটামুটি অনেক প্রেক্ষাগৃহে চলেছে, এমন ছবিগুলোর মধ্যে জোর করে ভালোবাসা হয় না ১৪০টি হলে, নিষ্পাপ মুন্না ২০২টি, জটিল প্রেম ২০০টি, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, অন্য রকম ভালোবাসা, দেহরক্ষী ১৭০টি,মাই নেম ইজ খান ১৫০টি, এর বেশী ভালোবাসা যায় না ১১০টি, প্রেম প্রেম পাগলামি ১৩৮টি, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ১০৬টি হলে মুক্তি পায়। ৯০ থেকে ২০০ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনীর পরও কোনো কোনো ছবি পুঁজির পুরোটা তুলে আনতে পারেনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভিডিও পাইরেসি ইত্যাদির কারণে দর্শকদের বড় একটা অংশ হলমুখো হয়নি। চলচ্চিত্র ব্যবসার কথা থাক। আমরা বরং খোঁজ নিয়ে আসি বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের হালহকিকতের। অনন্ত জলিলের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছবিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ। সে আলোচনায় মুখরোচক রসিকতাও কম ছিল না। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভিন্নধারার ছবি হিসেবে আলোচনায় থাকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর টেলিভিশন। এ ছাড়া সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের অন্তর্ধান, গাজী রাকায়েতের মৃত্তিকা মায়া, কাজী মোরশেদের একই বৃত্তে, বেলাল আহমেদের অনিশ্চিত যাত্রা ও রাজ্জাকের আয়না কাহিনী ভিন্নধারার ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। এ বছর শাকিব খান অভিনীত নয়টি ছবি মুক্তি পায়। নতুন তারকা বাপ্পীর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা সাত। অপু বিশ্বাসের তিনটি, মৌসুমীর দুটি, ফেরদৌসের দুটি, মাহির চারটি, ববির তিনটি, নিপুণের তিনটি, আঁচলের তিনটি, সাহারার তিনটি, আমানের চারটি, নিরবের তিনটি এবং ইমনের একটি করে ছবি মুক্তি পায়। আরিফিন শুভর দুটি ছবি মুক্তি পায় এ বছর। তাঁর অভিনয় আলোচনায় ছিল।কেমন হবে ২০১৪ সালটি? চলচ্চিত্র কি ৩৫ মিমি থেকে ডিজিটালের দিকেই পুরোপুরি যাত্রা করবে, নাকি পাশাপাশি চলবে দুটোই? চলচ্চিত্রে কি নতুন মুখের আনাগোনা বাড়বে, নাকি পুরোনোরাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন শিল্পটিকে? সে উত্তর তো এখন পাওয়া যাবে না। আমরা চোখ রাখব সামনের বছরের দিকে। মনে-প্রাণে চাইব, আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আসবে। অসাধারণ পরিচালনা-অভিনয়ে মুগ্ধ হবে দর্শক। |
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠানরত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের ভারোত্তোলনে হতাশ করলেন বাংলাদেশের মোল্লা সাবিরা। ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে ছয়জনের মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ। আর আর্চারির রিকার্ভ বোয়ে পঞ্চম হয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন। রামকৃষ্ণ ২৩তম ও সাদেকুল ইসলাম ২৬তম।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) অন্তত ৩৫ জন বিশ্বনেতার ফোনে আড়ি পেতেছিল। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ও এনএসএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার গার্ডিয়ান পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।ওই নথিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার একজন কর্মকর্তা ফোনে আড়িপাতার জন্য ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামের তালিকা এনএসএকে সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ওই ৩৫ জন বিশ্বনেতার নামও ছিল। এ আড়িপাতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, নিয়মিতই এ কাজ করত এনএসএ। গার্ডিয়ান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা আজ রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় তাঁদের এ বৈঠকটি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত তাঁরা আলোচনা করেন। তবে শেখ রেহানার সঙ্গে পঙ্কজ সরনের আলোচনার বিষয়বস্তুু সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গত ১১ নভেম্বর সকালে পঙ্কজ সরনের সঙ্গে তাঁর বাসায় দেখা করেন। বৈঠকের পাঁচদিন পর গত ১৬ নভেম্বর সবুজবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে ওই আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান ভারতীয় হাইকমিশনার। পঙ্কজ সরন বলেন, বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে সজীব ওয়াজেদ অবহিত করতে এসেছিলেন। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধি আবু রায়হান হত্যা মামলায় পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিম হোসেন (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বুধবার তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি ঘটনার সঙ্গে উপজেলা জামায়াতের আমির আসাদুজ্জামান মুকুলসহ ১৪ জন জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।গত ২১ নভেম্বর রাতে উপজেলার পারুলিয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আবু রায়হানকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার দুই দিন পর তাঁর মা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছিলেন।দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক কুমার বিশ্বাস জানান, উত্তর পারুলিয়া গ্রামের সামছুদ্দিন গাজীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন একজন শিবির কর্মী। তিনি আবু রায়হানকে হত্যা এবং ১২ ডিসেম্বর রাতে পারুলিয়া সেন্ট্রাল ফ্যাশন বস্ত্রালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে গতকাল তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন।ওসি আরও জানান, একটি কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুরের অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর যৌথ বাহিনী ইব্রাহিমকে পারুলিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম রেজাউল করিম তাঁকে এ অভিযোগে দুই বছরের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেন।ইব্রাহিমকে শিবির কর্মী বলে পুলিশের দাবি ও ওই জবানবন্দির ব্যাপারে জানতে উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারির সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এদিকে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে একই উপজেলার সখীপুর এলাকার আবুল কালামকে (২৫) যৌথ বাহিনী গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দুই বছর বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেন। দুজনকে পরে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। |
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির বিপণিবিতানে জিম্মি-সংকটের অবসান হয়েছে। দেশটির উহুরু কেনইয়াত্তা গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এই সংকট অবসানের ঘোষণা দেন।এর আগে বিপণিবিতান থেকে জঙ্গিদের হটাতে সেনাবাহিনী গত সোমবার অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয় এবং সন্দেহভাজন অপর ১১ জনকে আটক করা হয়।ওয়েস্টগেট মল নামের ওই বিপণিবিতানে গত শনিবার দুপুরে জঙ্গিরা হামলা চালায়। জঙ্গি হামলা এবং পরে সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ৬১ জন বেসামরিক নাগরিক ও ছয়জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ২০০ জন বেসামরিক নাগরিক।সর্বশেষ খবরে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিতে সমর্থ হয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবারও ওই এলাকায় গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন নজরদারির বিষয়ে চলতি বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চায় জার্মানি ও ফ্রান্স। এর মাধ্যমে গোয়েন্দাগিরির বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন নিয়ে ওয়াশিংটনকে চাপ দিতে চাইছে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ দুটি।জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নিজের মুঠোফোনে ও ফ্রান্সের নাগরিকদের সাত কোটি ফোনকলে মার্কিন আড়ি পাতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। বৈঠকের প্রথম দিন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইইউর প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রমপুই জার্মানি ও ফ্রান্সের এই অবস্থানের কথা জানান। এই সম্মেলনে আশ্রয়প্রার্থী ও কর বিষয়ে সংস্কারের বিষয় মূল আলোচ্য থাকলেও মার্কিন নজরদারি নিয়ে বিতর্ক সেগুলোকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে।ইইউর প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘বার্লিন ও প্যারিস ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহসংক্রান্ত বিষয়ে সমঝোতা চায়। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ আলোচনা চায় তারা। তবে অন্য কোনো দেশ চাইলে ওই আলোচনায় যোগ দিতে পারে।’ইউরোপের ২৮ দেশের সংগঠন ইইউ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইউরোপের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এবং এই অংশীদারিকে মূল্য দেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অংশীদারি ‘অবশ্যই শ্রদ্ধা, আস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে হতে হবে’।ইইউর অন্যতম সদস্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মিত্রতা দীর্ঘদিনের। তাই লন্ডনও ইইউর এই বিবৃতির সঙ্গে একমত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইইউর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অবশ্যই বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে...কিন্তু লন্ডন এই বিবৃতির সঙ্গে পুরোপুরি একমত।’ এ সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউর প্রেসিডেন্টের পাশে থাকলেও তিনি সাংবাদিকদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি।এর আগে সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেন, ‘মিত্রদের ওপর গোয়েন্দাগিরি গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে আস্থার সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। এখন এই আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।’এলিসি প্রাসাদেও আড়ি পাতার চেষ্টা হয়: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদেও যুক্তরাষ্ট্র আড়ি পাতার চেষ্টা করেছে বলে মনে করে প্যারিস। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ এ কাজ করে থাকতে পারে।এনএসএর গোপন নথির বরাত দিয়ে প্রকাশিত ফ্রান্সের লোঁ মদ পত্রিকার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা লিসা মনাকো তাঁর দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, নজরদারিসংক্রান্ত মার্কিন প্রকল্পগুলো আইনসংগত। তবে তিনি স্বীকার করেন, এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মিত্রদের কাছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এএফপি ও রয়টার্স।পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক এশিয়ার চার দিনব্যাপী ‘ক্যাশ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি রাজধানীর র্যাংগস ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম, ট্রেনিং কাউন্সেলর বদরুদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মামুন মাহমুদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রেনিং বিভাগের প্রধান মো. আজহারুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি।সুনামগঞ্জ জেলায় আজ বৃহস্পতিবার আধা বেলা হরতাল ডেকেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি আফসর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।পুলিশ জানায়, আফসারকে মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। |
অবশেষে আর্থিক পুরস্কার পেলেন গত বাংলাদেশ গেমসের রেকর্ডধারী অ্যাথলেটরা। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে রেকর্ড গড়া প্রতি খেলোয়াড় ও দলগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয় এক লাখ করে টাকা। গত বাংলাদেশ গেমসে সাইক্লিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন, আর্চারি ও অ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন ইভেন্টে ২২টি নতুন রেকর্ড হয়েছিল। গেমস শেষ হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর অ্যাথলেটদের পুরস্কৃত করল বিওএ।বরিশালে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রটি ফাঁকা পড়ে আছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবৈধ কেন্দ্রে চলছে মাছ কেনাবেচা। সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মাছ ব্যবসায়ীদের সরকারি স্থাপনায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালে নগরের বান্দ সড়কে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এক একর ২৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মাণ করা হয় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র। মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মাছের গুণগত মান রক্ষায় ট্রাক পার্কিং জোন, বরফকল, পানি সরবরাহসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা রয়েছে কেন্দ্রটিতে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরপর সরকারি কেন্দ্রটি চালু থাকলেও নব্বইয়ের দশকে কীর্তনখোলা নদীর চর ভরাট করে বেসরকারি উদ্যোগে একটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এই কেন্দ্রটি চালু রাখার ক্ষেত্রে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দেন বিএনপির মহানগর সভাপতি ও সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ার। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন্দ্রটি চালু করে মাছ ব্যবসায়ীদের এখানে নিয়ে আসে। এরপর দুই বছরের জন্য কেন্দ্রটি চালু ছিল।সরকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের অফিস সহকারী আবদুর রহমান বলেন, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও এখান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা অবৈধ স্থাপনায় ফিরে গেছেন। মাছ ওঠানো-নামানোসহ কেন্দ্রটি চালু না থাকায় এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। কেন্দ্রের সাবেক সহকারী বিপণন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, অবতরণকেন্দ্রে শতকরা ১ ভাগ রাজস্ব দিতেন ব্যবসায়ীরা। বছরে রাজস্ব আদায় হতো প্রায় দেড় কোটি টাকা। ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেনের সহযোগিতায় এই কেন্দ্র ছাড়েন ব্যবসায়ীরা।গত ১৫ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শওকত হোসেন পরাজিত হওয়ার পর ঈদুল ফিতরের আগে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি সেখানে শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের সাইনবোর্ড স্থাপন করে। বর্তমানে ওই নামে কেন্দ্রটি পরিচালিত হচ্ছে।মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বরিশালের ব্যবস্থাপক এ কে এম নূর মোহাম্মদ বলেন, সরকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রটি আধুনিক মানসম্পন্ন। এখানে মাছ ওঠানো-নামানোয় মাছের গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকত। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি কেন্দ্রটির পরিবেশ নোংরা এবং মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থাও ভালো নয়। ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক কারণে সরকারি কেন্দ্র ছেড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবতরণকেন্দ্রটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারি কেন্দ্রটি চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে।বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শওকত হোসেন বলেন, সরকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে জায়গা সংকটের কথা বলা হয়েছিল। তা ছাড়া সরকারি রাজস্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে এটি চালু করা হয়। তবে এটা কারও নামে করা হয়নি।নগর বিএনপির সভাপতি ও সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ওই চরে প্রথম দিকে শহীদ জিয়া মৎস্যকেন্দ্রের নামে কিছু জমি কেনা আছে। বাকিটা ব্যবসায়ীরা ভরাট করেছেন। তবে সরকার চাইলে এখান থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারে।বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম শাহনেওয়াজ কবীর বলেন, যেখানে বর্তমানে মাছের বাজার চলছে ওই জায়গা বিআইডব্লিউটিএর। ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিলেও আবার ওই স্থাপনাগুলো তোলা হয়েছে।বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ রাহবীর আল মুহি (২৪) নামের এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুহি চেলোপাড়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সদর থানার ওসি আবু হায়দার মো. ফয়জুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া।আইএফআইসি ব্যাংক ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্সের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বাংলালিংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাহ এ সারওয়ার এবং বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জিয়াদ শাতারার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। |
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ভূমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে আদিবাসীরা বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ-সমাবেশ করেছে।গতকাল মঙ্গলবার গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ব্যানারে ভূমির দাবিদার ৪৭টি পরিবারের সদস্য এবং বিদ্যালয় ও কলেজের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।এ সময় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উপজেলা আহ্বায়ক সুজন চাকমার সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জহেল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (এম এন লারমা) পক্ষের কলেজ শাখার সভাপতি আলো বিকাশ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ) সমর্থিত কলেজ শাখার সভাপতি রুপেশ চাকমা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে পূর্ণ চন্দ্র চাকমা প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৪ নম্বর দীঘিনালা ইউনিয়নের ২ নম্বর বাঘাইছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদর দপ্তর হলে ৫১ নম্বর বাঘাইছড়ি মৌজার শশী মোহন কার্বারিপাড়ার ২৪ পরিবার, নূতন চন্দ্র কার্বারিপাড়ার ২৩ পরিবারসহ মোট ৪৭ পরিবার তাদের ভূমি হারাবে।এ প্রসঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, বিজিবি সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পদক্ষেপ শুরু হয়েছে মাত্র। কাউকে জোরপূর্বক ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়েই ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।ফজলুল জাহিদ পাভেল আরও বলেন, ‘আমি গত সোমবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিন্তু, কেউ আমাকে এমন অভিযোগ করেনি। যা করা হবে, ভূমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে।’বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন। বৃষ্টি একটা বাধা হলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজটা ভালো খেলেই ড্র করেছি আমরা। টেস্ট দলে না থাকলেও দলের খেলোয়াড়দের চেয়ে কম আনন্দিত নই আমিও।টেস্টে নিউজিল্যান্ড আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। অনেক দিন ধরে খেলছে তারা। তাদের রেকর্ড ভালো, দলে ভালো ভালো খেলোয়াড়ও আছে। পেশাদারির দিক দিয়েও আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। গত এক বছর আমরা টেস্টে ভালো খেললেও নিউজিল্যান্ড খারাপ দল হয়ে যায়নি। সে হিসেবে এই ড্র আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।অন্যান্য সিরিজের তুলনায় এবার শুরু থেকেই একটা জিনিস ব্যতিক্রম ছিল। শুরু থেকেই টেস্ট সিরিজে জেতার কথা বলেছি। মুশফিকসহ দলের সবাই অনেক ইতিবাচক ছিল। আমার ধারণা, ভেতর থেকে আসা এই আত্মবিশ্বাসই দলকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে এবং সেটার প্রতিফলন দেখা গেছে পারফরম্যান্সেও। সোহাগ-মুমিনুলের পারফরম্যান্স তো ছিল বিশ্বমানের। তারা এত ভালো খেলেছে যে সাকিবের ৫ উইকেটও সেভাবে চোখে পড়ছে না। অথচ অন্য সময় দেখা যেত কেউ ৫-৬ উইকেট নিলে সেটা নিয়েই আমরা আলোচনা করতাম। এবার তা হচ্ছে না। তবে সাকিবের চোট কাটিয়ে ফেরাটাকেও এই সিরিজের বড় প্রাপ্তি বলব আমি। ওর ফেরাটা দরকার ছিল।টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর এখন ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যাবে স্বাভাবিক। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার, ২-৩ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডও আমাদের মতো ওয়ানডেতে ভালো খেলছে। টেস্টে তারা বেশির ভাগ সময় নিজেদের মাটিতেই ভালো খেলে। কিন্তু ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে তারা সব সময়ই ভারসাম্যপূর্ণ দল। কাজেই ওয়ানডে সিরিজে ভালো কিছু পেতে হলে আমাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা টেস্টে ভালো করেছে, তাদের ওয়ানডেতে আরও ভালো খেলতে হবে। অন্যদেরও সামর্থ্যের সেরাটা দিতে হবে।টেস্ট সিরিজের সাফল্য এদিক দিয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে আমাদের। তবে এটাও ঠিক, টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার হতাশা ওয়ানডে সিরিজটা খুব ভালোভাবে জিতে দূর করতে চাইবে নিউজিল্যান্ড। সেটা ওদের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করলেও আমাদের চ্যালেঞ্জটাও কঠিন করে দেবে। কাজেই সবকিছু নির্ভর করছে আমরা কেমন খেলি তার ওপর।ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে প্রায় ১০ মাস পর আমি আবার খেলায় ফিরব। চোটের কারণে শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দুটি খেলতে পারিনি। চোট কাটিয়ে ওঠায় আশা করি এবার পূর্ণ সামর্থ্য নিয়েই মাঠে নামতে পারব। আমার ও বাংলাদেশ দলের জন্য দোয়া চাই আমি সবার কাছে।রেললাইন সম্প্রসারণের বিভিন্ন দাবিতে গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পিরোজপুর শহরের উদয়ন মার্কেটে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ- টুঙ্গিপাড়া রেললাইন পিরোজপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ, খুলনা-পিরোজপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের বেকুটিয়ায় সেতু, মঠবাড়িয়ায় ইপিজেড নির্মাণ, নাজিরপুরে মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ স্থাপনের দাবি জানান। পিরোজপুর প্রতিনিধি।ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের নতুন শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে সিলেটের জিন্দাবাজারে। গতকাল শনিবার পূর্ব জিন্দাবাজারের আর বি টাওয়ারে নতুন শাখাটির উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হামিদ মিয়া, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এ এম সলিমুল্লাহ, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুল কদেরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি। |
৪২ বছর বয়সেও গ্র্যান্ড স্লামের এককে খেলছেন। মেয়ের বয়সী প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন। কিমিকো দাতে-ক্রুম সত্যিই এক বিস্ময়! হালের প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়েরাও অনুপ্রেরণা খোঁজেন জাপানি মেয়ের কাছ থেকে। আগ্নিয়েস্কা রাদভানস্কা যেমন। বিশ্বের ৪ নম্বর খেলোয়াড় রাদভানস্কা দাতে-ক্রুমের মতোই খেলতে চান দীর্ঘদিন। অন্তত ২০২০ টোকিও অলিম্পিক পর্যন্ত। ২৪ বছর বয়সী রাদভানস্কার তখন বয়স হবে ৩১। পোলিশ তারকা নিজেই বলেছেন, ‘আমি যদি ওই বয়সে কিমিকো দাতে-ক্রুমের মতো ফিট থাকতে পারি, আশা করি ২০২০ সালে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।’ ওয়েবসাইট।পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ শতক খাসজমি দখল করতে শেখ রাসেল সঞ্চৃতিসংঘের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে স্থানীয় একটি চক্র। এখন রাত-দিন মাটি ভরাটের কাজ চলছে।স্থানীয় আইউব আলী শেখের ছেলে লিপন শেখ এ চক্রের প্রধান বলে জানা গেছে। লিপনের মা সেলিনা বেগম জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নাজিরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান জানান, বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমোদন ছাড়া কেউ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পক্ষে কোনো সাইনবোর্ড বা কোনো স্থাপনা করতে পারেন না। উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া বাজারের পাশে যারা শেখ রাসেল সঞ্চৃতিসংঘের সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তারা একটি দুর্বৃত্ত চক্রের সদস্য।এ ব্যাপারে লিপন শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা সেলিনা বেগম জানান, লিপন তার চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুর মোতাহার মজুমদারের জমিতে এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। আপনারা তো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাহলে কীভাবে শেখ রাসেল সঞ্চৃতিসংঘের সাইনবোর্ড আপনার ছেলে লাগালেন—জবাবে তিনি বলেন, পেনাখালীর (উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের একটি গ্রাম) যুবলীগ নেতা টিপু সুলতানের পক্ষে এ সাইনবোর্ডটি লিপন লাগিয়েছে। মোতাহার মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।তবে যুবলীগ নেতা টিপু সুলতান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। যারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তাদের আমি চিনিও না।’গত ২৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, একটি শ্যালো ইঞ্জিনের সহায়তায় বাজারের পশ্চিম পাশে বালু ভরাট করা হচ্ছে। ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকা ফায়েকুজ্জামান জানান, লিপন শেখ তাদের ভাড়ায় এনেছে এবং তার দেখিয়ে দেওয়া জমিতে তারা বালু ভরাট করছে।নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৃণাল কান্তি দে জানান, বালু কাটা ও জমি দখলের সঙ্গ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।নাজিরপুর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবুল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে তারাবুনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে (২৩ নম্বর সামন্তগাতী মৌজায়) বলেশ্বর নদীতে চর জেগে ওঠে। এ চরটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। এ চরের প্রায় ৫০ শতক জমি দখল করে পাইলিং করে শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে বালু ভরাট করছে লিপন শেখ ও তার কয়েকজন সঙ্গী।জিয়া আনসারীলেখক, নাট্যকার ও টিভি ব্যক্তিত্ব জিয়া আনসারীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ নভেম্বর। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহীদের কাছ থেকে তাঁর জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিসুধীর দাসমুক্তিযোদ্ধা, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, লোকসংগীত গবেষক ও নাট্যব্যক্তিত্ব সুধীর দাসের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ নভেম্বর। এ উপলক্ষে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে তাঁর বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।এ বছরের শুরুর দিকের একটি ঘটনা। সেদিন খুব অনিচ্ছায় ঢুকেছিলাম জাতীয় গণগ্রন্থাগারের মিলনায়তনে। কামার আহমাদ সাইমন ও সারা আফরীনের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র শুনতে কি পাও? -এর বিশেষ প্রদর্শনী। তত দিনে চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা পুরস্কার জিতে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। দেখতে বসেই মজে গেলাম! মুখে বলার যোগ্য কোনো ভাষা নেই, চোখজুড়ে বিস্ময়! কামার ও তাঁর চলচ্চিত্রজগৎকে চিনেছি তখন। এর মধ্যেই জেনে গেছি, তারেক মাসুদের শেষ জীবনে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এই মানুষটি।শুনতে কি পাও?-এর সূত্রে এর পর থেকে কামার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একে একে বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েই যাচ্ছেন। সম্প্রতি একটি সিনেমার পাণ্ডুলিপির জন্য পেলেন ‘এশিয়ান পিচ’ পুরস্কার। এ সূত্রে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে ২১ ডিসেম্বর একরকম জোর করেই যাওয়া হলো তাঁর বনানী ডিওএইচএসের বাসায়। কামারের ভাষায়, এটা তাঁদের স্টুডিও।বাসায় ঢোকার মুখে শিল্পী এস এম সুলতানের ছবি।‘আমি প্রতিদিন এই ছবিকে সালাম দিই। সুলতানকে নিয়ে তারেক মাসুদের আদমসুরত দেখেছেন আপনি? ওই ছবিতে লাউয়ের মাচার দিকে তাকিয়ে থাকে এক কৃষক। আমি সেই কৃষকের উদ্দীপনা থেকে শক্তি পাই। কারণ, যে কৃষকের জমি উজাড় হয়, সে কিন্তু ত্রাণের অপেক্ষা করে না, ধ্বংসের পর খুঁজে দেখে তাঁর ঘরে কিছু বীজ আছে কি না।’—কামারের কথাগুলো শুনতে শুনতে এর মধ্যে আমরা এসে পড়েছি তাঁর কাজের ঘরে। ঘরের দুপাশের শেলফভর্তি ছবির সিডি, চলচ্চিত্রবিষয়ক বই। এক কোনায় ফ্রেমবন্দী হয়ে তাকিয়ে আছেন তারেক মাসুদ। সেদিকে তাকিয়ে বললেন কামার, ‘আমি তো তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি।’ ততক্ষণে ওই ঘরে সারা আফরীনও হাজির—কামারের জীবনসঙ্গী ও ছবির সঙ্গী। আজ আমাদের কথা হবে এ দম্পতির সঙ্গে।যেহেতু নতুন ছবি ও ছবির গল্প সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা, তাই কথা মূলত চলল শুনতে কি পাও?-কে ঘিরে। কেননা, ছবিটি এর মধ্যেই ফ্রান্সের সিনেমা দুঁ রিলে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ‘গ্রাঁপি’সহ নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। আমন্ত্রিত হয়েছে বিভিন্ন দুঁদে চলচ্চিত্র উৎসবে। ‘আমি ছিলাম তারেক ভাই (তারেক মাসুদ) পরিচালিত কাগজের ফুল ছবির প্রধান সহকারী পরিচালক। ২০০৯ সালে ছবির কাজ স্থগিত করেন তারেক ভাই। এ সময় আইলা আঘাত হানল দক্ষিণ বাংলাজুড়ে। আমি সেখানে গেলাম। পেলাম ছোট ছোট গল্প। এরপর মোটামুটি একটি স্টোরি লাইন তৈরি করে ক্যামেরা নিয়ে বসে পড়লাম সুতারখালি গ্রামে—ধারণ করলাম সৌমেন, রাখী ও রাহুলের গল্প।’—কথা শেষে দম নিচ্ছেন কামার। এ মুহূর্তে সারার দিকে চোখ ফেরানো যাক, ‘আমরা দুজনেই পড়তাম বুয়েটে, স্থাপত্যবিদ্যায়। এরপর কখন যে সিনেমার নেশায় বুঁদ হয়ে গেছি, টেরও পাইনি। আমরা অচিরেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুনতে কি পাও?-এর দেশব্যাপী প্রদর্শনী করব।’‘এখানেও আমাদের আদর্শ তারেক ভাই। রানওয়ে ছবিটির ক্ষেত্রে যেভাবে ঘুরে ঘুরে তিনি প্রদর্শনী করেছেন, আমরাও একইভাবে প্রদর্শনী করব। দর্শকই যদি না দেখতে পায় পুরস্কার জিতে কী লাভ?’—সারার মুখ থেকে কথা তুলে নিয়ে কথা বলতে বলতে কামার ছুড়ে দিলেন আরও কিছু বাক্য। শুনতে কি পাও?-এর বৃত্তান্ত শোনা হলো। এবার কামার তাঁর নতুন যে ছবির পাণ্ডুলিপির জন্য ‘এশিয়ান পিচ’ পুরস্কার পেলেন সে সম্পর্কে জানা যাক। ‘না, এখানে জানার তেমন কিছুই নেই। মাত্র ছবিটির পাণ্ডুলিপি তৈরি হয়েছে। নামও ঠিক হয়নি। প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়ার সময় নামের ক্ষেত্রে ওয়ার্কিং টাইটেল করে এটি জমা দিয়েছিলাম। পরে পাণ্ডুলিপিটি পুরস্কার জেতে। পুরস্কার জেতার অনুভূতি কি কখনো মন্দ হতে পারে? এর বেশি আর কী বলব, বলুন? আসলে সিনেমা আমার কাছে কেবল পণ্য নয়, এটা এখন আমাদের জীবনযাপনের অংশ।’—কথা শেষে কামার তাকালেন সারার দিকে। ওদিক থেকে ততক্ষণে ফুটে উঠেছে সম্মতিসূচক হাসি।কামার ও সারার সঙ্গে কথোপকথন সমাপ্তি পর্বে গড়ায়নি। এর পরও আমাদের মধ্যে টুকরো টুকরো অনেক কথা হয়েছে বটে; কিন্তু সেসব না লিখলেও এমন কোনো ক্ষতি নেই! |
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় দোকান মালিককে আর্থিক জরিমানা করেছেন।গতকাল মঙ্গলবার সকালে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত তিনটি খাবারের দোকানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রির দায়ে ৩৩ হাজার টাকা, কদমতলী এলাকায় দুটি ওষুধের দোকানকে ড্রাগ ও ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় দুই হাজার টাকা এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় একটি টায়ারের দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ককটেল, বিস্ফোরকসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদাউছ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইদুল শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ককটেল, ককটেল তৈরির সরঞ্জাম ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রামের আ. রাজ্জাক ফকির (২৮), নাসির ভূঁইয়া (২৬) ও সাইদুল শেখকে (২৬) আটক করা হয়। তাঁরা তিনজনই বিএনপির কর্মী। তিনি আরও বলেন, এই সময়ে বিএনপির কর্মীর বাড়ি থেকে এসব দ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা প্রমাণ করে, তাঁরা নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলেন। পরে তাঁদের নামে মামলা করা হয়।আজ ২৫ নভেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃশ্চিক রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৭। গুরুত্বপূর্ণ দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। শুভ রং— আকাশি, ম্যাজেন্টা, অফ হোয়াইট। শুভ রত্ন—চায়নিজ জেড, মুন স্টোন। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—জ্যোতির্বিদ, লুই রাদারফোর্ড, টিনা টার্নার, শিল্পপতি এন্ড্রু কার্নেগি। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। নতুন কাজে হাত দিয়ে সাফল্যের দেখা পাবেন। বেকারদের কেউ কেউ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)কর্মস্থলে বসদের কেউ কেউ আজ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে। বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশ যাত্রায় সফল হবেন। পাওনা আদায় হবে। আর্থিক লেনদেন শুভ। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃত পাবেন। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)শিল্প-সংস্থাপন কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে অগ্রগতি হতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। বেকারদের কেউ কেউ খণ্ডকালীন কাজের সন্ধান পাবেন। আজ কারও কারও মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে পারে।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। কর্মস্থলে সার্বিক পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রবাসী কারও সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)কর্মস্থলে তথ্য বিভ্রাটের কারণে সাময়িক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)কর্মস্থলে পদস্থদের আনুকূল্য পাবেন। বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)শিক্ষার্থীদের কারও কারও বিদেশে অধ্যয়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। কর্মস্থলে আজ আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। ফেসবুকে কারও সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। কর্মস্থলে অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণে কুশলী হোন। আজ আকস্মিকভাবে অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফেসবুকে কারও সঙ্গে মতবিনিময় থেকে মন দেওয়া নেওয়ার শুভ সূচনা হতে পারে। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নে কয়েক শ অসহায় মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আটজন চিকিৎসক নারী, পুরুষ, শিশুসহ প্রায় ৭০০ রোগীকে দেখে ব্যবস্থাপত্র ও কিছু ওষুধ দেন। স্থানীয় পাটিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েক ইউনিয়নের গ্রাম থেকে আসা রোগীরা এই সেবা নেন। বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবার আয়োজন করেন পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর আলী। কুষ্টিয়া অফিস। |
স্টিভেন ফিন, বয়েড র্যানকিন ও ক্রিস ট্রেমলেট—আগামী অ্যাশেজের ইংল্যান্ড দলে থাকা এই তিন ফাস্ট বোলারেরই উচ্চতা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি!দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক প্রভাবশালী নেতা বো শিলাইয়ের আপিল গতকাল শুক্রবার উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের দায়ে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রইল।চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং শহরের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক প্রধান বো শিলাই গত মাসে দোষী সাব্যস্ত হন। তখন তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে পূর্ব চীনের শানদং প্রদেশের উচ্চ আদালতে গত মাসেই আপিল করেছিলেন বো শিলাই। গতকাল শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে আদালত বলেন, ‘তাঁর (বো শিলাই) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁকে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ যথাযথ। তা বহাল থাকবে।’গতকাল আপিল আবেদনের ওপর শুনানি চলার সময় আদালতের দিকের সব কটি রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।চীনের একমাত্র রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। চীনের নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সম্প্রতি একদল নতুন নেতা দলের নেতৃত্বে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ অন্য নেতারা দুর্নীতি দমন করে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।বো শিলাইয়ের বিচার চলার সময় সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে বারবার প্রচার করা হয়, বিচার বিভাগের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। বিচার হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গত বছর বো শিলাইয়ের স্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হন। এর জেরে তখন বো শিলাইকে দলীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বিবিসি।চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি পণ্যের মান উন্নয়নে এ ইনকিউবেটর কাজ করবে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগে ‘আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ কর্মসূচির পরিচালকের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।পরিচালকের কার্যালয় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। তিনি ইতিমধ্যে সরকারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে। এ ইনকিউবেটর চালু হলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি স্নাতকেরা উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য এ ইনকিউবেটরে সহজ শর্তে ঋণ, দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্নাতকদের থাকার জন্য ডরমিটরিসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েট ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান, কম্পিউটার কৌশল বিভাগের প্রধান কৌশিক দেব প্রমুখ। ‘ডন কো পাকাড়না মুশকিল হি নেহি, না মুনকিন হ্যায়’—বলিউডি ছবি দেখেন, কিন্তু এই সংলাপ শোনেননি, এমন মানুষ বোধ হয় একটাও নেই। প্রায় ইতিহাস হয়ে যাওয়া এই এক সংলাপ মেরে হিরোগিরি থেকে ‘ডন’ সেজেই বাজিমাত করেছিলেন বিগ বি। বলিউড হিরোদের ভিলেন বনে যাওয়ার ট্রেন্ডটা চালু হয় সম্ভবত সেই সময় থেকেই। প্রায় তিন যুগ পর সেই ডন-এর রিমেক দিয়েই শাহরুখ খানও বলিউডের এই প্রজন্মকে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, ডিয়ার হিরোজ, হিরোগিরি দেখিয়ে ভিলেন ঠেঙিয়ে সরষেখেতে দুহাত বাড়িয়ে গানের তালে নাচানাচির দিন শেষ, ছবির ‘ভিলেন’ হয়েও কিন্তু ‘হিরো’ হওয়া যায়! তবে বিটাউনের পরিচিত নায়কদের এই ভিলেনরূপের জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে যে সিরিজটা, সেটা ‘ধুম’-ই। ভাবুন তো, ২০০৪ সালের আগে জন এব্রাহামকে নিয়ে বলার মতো কিছু ছিল? সেই বছরই ধুম যখন মুক্তি পেল, দর্শকমনে জনের প্রভাব এতই পড়েছিল যে মুম্বাই শহরে রাতারাতি বাইক চুরির সংখ্যা বেড়ে যায়। ‘ধুম’-এর প্রথম ছবিতে জনের চরিত্র ছিল একজন বাইক চোর।এরপর ২০০৬ সালেও ঘটল একই ঘটনা! ধুমের সিক্যুয়াল ধুম টুতে হূতিকের মতো স্টাইলিশ ভিলেনকে পেয়ে তাঁর চুরিবিদ্যার সুকৌশল নাকি কুকৌশলগুলোই গোগ্রাসে গিলে ফেলল দর্শকেরা। আর এবার? দেড় বছর আগেই শুরু হয়েছে ধুমের তৃতীয় ছবির শুটিং। সেই থেকেই এবারের ভিলেনকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই ধুমপ্রেমীদের। আর সেটা যে কতটা সত্যি তা ধুম থ্রির চোখ ধাঁধানো ট্রেইলার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। মাত্র তিন দিনেই ৪২ লাখ বার দেখা হয় এই ট্রেইলার! কারণ একটাই। হিরো হয়েও মিস্টার পারফেকশনিস্টের প্রথমবারের মতো ভিলেনরূপে আত্মপ্রকাশ।আমির খান তাঁর কাজের মহিমায় নিজেকে এমন অবস্থানে নিয়ে গেছেন যে আমির খান নামটাই এখন বলিউড ছবির সবচেয়ে বড় ব্যানার। ১৯৭৩ সালে ইয়াদো কি রাত ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়জীবন শুরু করা এই অভিনেতার ঝুলিতে কয়টি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার চেয়ে, কয়টি ছবি ব্যবসা সফল হয়নি তা খুঁজে বের করলেই বরং সময় বাঁচবে। আমির খানের ছবি মানেই ব্যবসাসফল হবেই হবে। তাই তো আমিরের বিপরীতে অভিনয় করার জন্য বলিউডের প্রত্যেক অভিনেত্রী প্রায় মুখিয়েই থাকেন। এই তো সেদিন অনিল কাপুরের মেয়ে সোনম কাপুর আক্ষেপ করেছেন, আমির খানের সঙ্গে অভিনয় না করলে তাঁর অভিনয়জীবন নাকি অপূর্ণ থাকবে। জুহি চাওলার কেয়ামত সে কেয়ামত তাক থেকে মাধুরীর দিল, কারিশমার রাজা হিন্দুস্তানি অথবা রানীর গোলাম কিংবা অসিনের গজনীর মতো বলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের প্রথম টার্নিং ছবিই আমির খানের হাত ধরে। ৪৮ বছর বয়সী এই তারকা এখনো যেমন গজনী ছবির সঞ্জয় সিংহানিয়ার মতো রাশভারী চরিত্রে মানিয়ে যান, তেমনি মানিয়ে যান থ্রি ইডিয়টস ছবির প্রথম বর্ষের ছাত্র ‘রাঞ্জো’ চরিত্রেও। আর এবার তো খলনায়ক চরিত্রেই নিজেকে উপস্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিলেন। আমির-ক্যাটরিনা জুটির ধুম থ্রি প্রথম দিনেই বলিউডের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনেই ভারতে আয় করেছে ৩৬ কোটি রুপিরও বেশি; যা ছাড়িয়ে গেছে বছরের অন্য ব্লকবাস্টার হিট ছবি চেন্নাই এক্সপ্রেস আর কৃষ থ্রিররেকর্ডকে। শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও বলিউড ছবির সব রেকর্ড ভেঙেছে ধুম থ্রি। প্রথম দিনেই আন্তর্জাতিক বক্স অফিসের টপচার্টে পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি। ভারতে একযোগে প্রায় চার হাজার ৫০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ধুম থ্রি, যা বলিউডের ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড। শুধু তা-ই নয়, মাত্র তিন দিনেই ধুম থ্রি ঢুকে পড়েছে ১০০ কোটির ক্লাবেও। যেভাবে আমিরের এই ধুম বক্স অফিসে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাতে বছরের বাকি কয়েক দিনেই হয়তো বলিউড ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবির রেকর্ডটিও নিজেদের করে নেবে ধুম থ্রি। বলিউডের জন্য এ বছরের শেষটা যে ধুমধাড়াক্কাপূর্ণভাবেই শেষ হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ধুম থ্রির পোস্টারে কী লেখা ছিল পড়েননি? ‘দিস ইয়ার উইল এন্ড উইথ অ্যা ধুম’। সাজিদুল হকজিনিউজ, ইন্ডিয়া টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা, ওয়ান ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া অবলম্বনে |
‘সুন্দরবন রক্ষায় যেকোনো মূল্যে সর্বনাশা রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প রুখতে হবে’—এই স্লোগান সামনে রেখে সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই লংমার্চে বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী অংশ নিচ্ছেন। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আগামী শনিবার তাঁদের বাগেরহাটে পৌঁছার কথা। গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, আসাদগেট-গাবতলী হয়ে সাভারের রানা প্লাজার সামনে গিয়ে প্রথম সমাবেশ করেন লংমার্চকারীরা।সমাবেশে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘মুনাফার নির্মম বলির প্রতীক হচ্ছে এই রানা প্লাজা। আমাদের সুন্দরবনকেও মুনাফাখোরেরা তাদের লোভের কবলে ফেলে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনটি ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, রামপাল প্রকল্পে লাভ হবে ভারত আর দেশি দখলদার ও কমিশনভোগীদের। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষতি চরম মাত্রায় ও সর্বব্যাপী।আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘একটি ভবন ভেঙে গেলে আবার নির্মাণ করা যায়। কিন্তু যে মানুষগুলো ওই ভবনে চাপা পড়ে মারা যায়, তারা আর ফিরে আসে না। তেমনি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে গিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস হলে তাকে আর ফিরে পাব না। তাই যেকোনো মূল্যে এই সর্বনাশা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন রুখে দিতে হবে।’এই সমাবেশ শেষে লংমার্চটি বেলা পৌনে তিনটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রাবিরতি করে। সেখানে লংমার্চকে স্বাগত জানাতে প্রতিবাদী সংগীতসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ সুন্দরবন রক্ষার এই লংমার্চে অংশ নিতে ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি প্রতিহত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।এরপর বিকেল সোয়া পাঁচটায় লংমার্চটি মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে পৌঁছে একটি পথসভা করা হয়। রাতে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে অবস্থান করেন লংমার্চকারীরা। আজ বুধবার সকালে লংমার্চটি আবার আরিচা হয়ে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর যাবে। ফরিদপুরে রাতে অবস্থান করবে।লংমার্চে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।ব্যাটসম্যান ইনিংস রান গড় সর্বোচ্চ ১০০/৫০মুমিনুল ৪ ৩৭৬ ১৮৮.০০ ১৮১ ২/০উইলিয়ামসন ৩ ২৫০ ৮৩.৩৩ ১১৪ ১/২তামিম ৪ ২১১ ৫২.৭৫ ৯৫ ০/২ওয়াটলিং ৩ ১৭৩ ৮৬.৫০ ১০৩ ১/১ফুলটন ৩ ১৪৬ ৪৮.৬৬ ৭৩ ০/২বোলার ওভার উইকেট গড় সেরা ৫/১০সোহাগ ৯২ ৮ ২৯.১২ ৬/৭৭ ১/০ওয়াগনার ৩৭ ৭ ১৬.৫৭ ৫/৬৪ ১/০সাকিব ৭৬ ৭ ৩০.১৪ ৫/১০৩ ১/০সোধি ৭২ ৬ ৪৪.১৬ ৩/৫৯ ০/০রাজ্জাক ১১০ ৫ ৭১.৮০ ৩/১৪৭ ০/০জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। বিশেষ করে নানা কাজের মধ্যেও প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন—এমন ব্যবহারকারীরা চাইলে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও অনেকেই ব্যবসায়িকভাবে সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোকে ব্যবহার করছেন। একাধিক সাইট ও সুবিধা ব্যবহারের ফলে অনেকেই নিয়মিতভাবে নজর রাখতে পারছেন না এসব কার্যক্রমে। আর এমন ব্যবহারকারীদের জন্যই গুগলের নতুন এ প্রকল্প।প্রকল্পটির ব্যাপারে জানা গেছে, গুগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনায় রোবট তৈরির চিন্তা করছে। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব প্যাটেন্টের জন্য আবেদনও করেছে। পাশাপাশি এর জন্য বিশেষ একটি সফটওয়্যারও তৈরি করতে চাইছে গুগল, যা ব্যবহারকারীর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সফটওয়্যারটির ব্যবহারকারীরা কীভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অংশ নেয়, ব্যবহার করে, সে বিষয়গুলো শিখতে পারবেন। ফলে, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে থাকা নিজের অ্যাকাউন্ট কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহূত অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পরিচালনায় সমস্যা পড়েন, তাঁদের হয়ে কাজ করবে সফটওয়্যারটি।গুগলের সফটওয়্যার প্রকৌশলী আশিষ ভাটিয়ার করা প্যাটেন্ট আবেদনে বলা হয়, সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং নিবন্ধিত ব্যক্তিদের সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর বার্তা, ছবি পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলোর তথ্য সংরক্ষণ করবে।এ ধরনের বিষয়গুলো জানা গেলেও ঠিক কবে এ সফটওয়্যার বাজারে আসবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। —বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলমজায়েদা বানুনেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া গ্রামের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক হুইপ এম এ করিম আব্বাসীর মা জায়েদা বানু (১০০) গত মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বুধবার বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়। নেত্রকোনা প্রতিনিধিন।আবদুল আওয়ালসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল আওয়াল (৫৮) গত মঙ্গলবার সরকারি বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর লায়নস ক্লাব-সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ।মোস্তফা কামালহাজারীবাগের সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা কামাল (৪৩) গত শনিবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। হাজারীবাগ পার্ক মাঠে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি। |
চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝটিকা মিছিল থেকে ককটেলের বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রশিবির। নগরের কোতোয়ালি থানার চন্দনপুরা এলাকার দলীয় কার্যালয় থেকে ছাত্রশিবিরের শীর্ষস্থানীয় ৩৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ ভাঙচুর চালায় ছাত্রশিবির। নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ চার দফা দাবি অবিলম্বে মানা না হলে কাল বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে আধা বেলা হরতালের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছাত্রশিবিরের ৩৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের সবাই চট্টগ্রাম নগর ও জেলা, কক্সবাজার জেলা ও নগরের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ও আছেন। নগরের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা ও নাশকতার সঙ্গে অনেকে জড়িত। ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রের সূত্র ধরে তাঁদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে।চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম গতকাল বিকেলে রিমান্ড শুনানি না করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গ্রেপ্তার হওয়া উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, প্রচার সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, কক্সবাজার জেলা শিবিরের সভাপতি কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আজিজুল হাকিম, চট্টগ্রাম কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ মো. শোয়াইব প্রমুখ।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. রেজাউল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৩৪ আসামিকে আদালতে হাজির করেছিল। সবার ১০ দিন করে রিমান্ডও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে কাল বুধবার (আজ) রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।’কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাশকতার উদ্দেশ্যে তাঁরা (ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী) মধ্যরাতে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।’এদিকে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ছাত্রশিবির গতকাল দুপুরে সিরাজউদ্দৌলা সড়কে ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিল থেকে ১২-১৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে পথচারী এক যুবক আহত হন।গতকাল ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ চার দফা দাবি না মানলে কাল বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে আধা বেলা হরতাল ডাকা হবে। চার দফা দাবির অন্য দাবিগুলো হলো নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, কথিত লুট করা মালামাল ফেরত ও ‘অতি-উৎসাহী’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।মাঠ থেকে হোটেলে ফিরে নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছেন বাকিরা। তিনি তখন ছুটছেন আবাহনী ক্লাবের দিকে। সারতে হবে কিছু জরুরি কাজ। রাতেই ওঠার কথা রাজশাহীর বাসে। ক্রিকেট ‘টেস্ট’ তো খেলে ফেললেন, ওদিকে চলছে আরেক টেস্ট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন লোকপ্রশাসন বিভাগে, চলছে থার্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। একটি পরীক্ষা আছে আজই। পরীক্ষা দিয়েই আবার উঠে পড়তে হবে ঢাকার বাসে। কালই যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর ম্যাচ!এত ব্যস্ততা সামনে। হোটেল থেকে আবাহনী ক্লাবে যাওয়ার পথে তার পরও একটি ব্যাপারই খেলা করছিল আল আমিন হোসেনের মাথায়, ‘সত্যিই টেস্ট খেলে ফেললাম!’প্রথম টেস্টের একাদশে ছিলেন না। দ্বিতীয় টেস্টেও খেলার আশা তাঁর নিজের খুব বেশি ছিল না। টেস্টের আগের দিন যখন একাদশ ঘোষণায় যখন শুনতে পেলেন নিজের নাম, বিশ্বাস হচ্ছিল না তখনো। রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় রাতে বিছানায় কাটল অস্থির সময়। মনে ভর করছিল কিছু ভয়ও। ম্যাচের দিন সকালে ওয়ার্মআপের সময়ও চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন কতজন! গা-গরমের সময় তাই ছিলেন দারুণ সাবধানী। টস হওয়ার পরই কেবল কমল অস্থিরতা, মনে এল স্বস্তি। খেলা শুরু হওয়ার পর অবশ্য উত্তেজনা সব ভুলে গিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে ফিরে এসেছে রোমাঞ্চ। টের পাওয়া যাচ্ছিল তাঁর কণ্ঠের কাঁপুনিতেও, ‘ওয়ার্মআপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভেতরে একটি অস্থিরতা ছিল। কোচ টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেওয়ার পর দারুণ একটা শিহরণ বয়ে যায় শরীরে। ওই সময়ের অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়। খেলা শুরু হওয়ার পর অবশ্য সেসব মাথায় ছিল না। খেলা শেষে এখন আবার মনে হচ্ছে, তাহলে টেস্ট খেলেই ফেললাম, স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল! আমি এখন টেস্ট ক্রিকেটার, ভাবতেই অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে মনে।’অভিষেকের উত্তেজনায় স্নায়ুর চাপ যে পেয়ে বসেনি, প্রমাণ দিয়েছেন প্রথম বলেই। নতুন বলে দলের ইনিংস শুরু করেছেন। প্রথমটি ছিল তাঁর ট্রেডমার্ক বল, অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথ থেকে অনেকটা লাফিয়ে ওঠা বল। অভিষেক টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ১৬ ওভারে ৫৮ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। বাংলাদেশের উইকেটে বাংলাদেশের পেসারদের কাছে প্রত্যাশা উঁচু তারে বাঁধা থাকে না কখনোই। সেটা যৌক্তিক কারণেই। বাস্তবতাটা জানেন বলেই নিজের পারফরম্যান্সে অখুশি নন আল আমিন। স্বপ্নের টেস্ট অভিষেকে নিজের কাছে প্রত্যাশায়ও তাই ছিল না কোনো আকাশকুসুম কল্পনা, ‘পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি নই, অখুশিও নই। আমাদের এখানে পেসারদের মূল কাজ স্পিনারদের সহায়তা করা। আমার ধারণা, আমি সেটি ভালোই করতে পেরেছি। উইকেট আরও বেশি পেলে ভালো লাগত, কিন্তু যা হয়েছে সেটাও খারাপ নয়। আমার বিশ্বাস, দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারলে আরও ভালো করতাম।’আল আমিনের প্রথম টেস্ট উইকেট দলের জন্য ছিল বড় একটা স্বস্তি। আউট করেছিলেন সেঞ্চুরিয়ান কোরি অ্যান্ডারসনকে। আল আমিনের কাছে উইকেটটি বড় একটা স্বস্তি ছিল আরেকটা কারণেও, ‘কতজন আছে, প্রথম উইকেটের দেখা পেতে অনেক সময় লাগে। আমি তো অনেক দ্রুতই পেয়েছি। একটা ভারও নেমে গেছে।’টেস্ট ক্রিকেটারকে আপাতত কিছুদিন ব্যস্ত থাকতে হবে পড়াশোনার ‘টেস্ট’ আর সাদা বলের ‘টেস্ট’ নিয়ে। পরীক্ষা আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে নিয়মিতই দৌড়াদৌড়ি করতে হবে ঢাকা-রাজশাহী। তবে ছুটোছুটি করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই এসব নয়, ভাবনা তাঁর দূর আকাশে। তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান দীর্ঘদিন। হতে চান লম্বা দৌড়ের ঘোড়া!রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মনির হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর সাবেক স্ত্রীসহ তিনজনকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মনিরের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার (২৭), তাঁর বর্তমান স্বামী শরিফ হোসেন (৩৫) ও শরিফের বন্ধু আনোয়ার হোসেন (৩৮)।জমি কেনা-বেচার ব্যবসায় জড়িত মনিরকে গত ১৭ এপ্রিল হত্যার পর লাশ সাত টুকরা করে দুটি বস্তা ও দুটি ব্যাগে ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মাদবর গদিঘরের চামচ কারখানার কাছে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মনিরের প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগম অজ্ঞাতব্যক্তিদের আসামি করে কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা মামলা করেন। মে মাসে ডিবি পুলিশ এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায়।ডিবি জানায়, তাদের একটি দল গতকাল ভোররাত চারটার দিকে কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগর থেকে স্বর্ণা ও শরিফকে গ্রেপ্তার করে। এই দম্পতির তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা মনিরকে হত্যা করে লাশ সাত টুকরা করার কথা স্বীকার করেছেন।মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ১৭ এপ্রিল স্বর্ণাকে দিয়ে কৌশলে মুঠোফোনে মনিরকে স্বর্ণাদের কামরাঙ্গীরচরের বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ টুকরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তালাক দিলেও স্বর্ণাকে আবার ফিরে পেতে আনোয়ারকে দুই লাখ টাকা দিয়েও মনির স্বর্ণাকে পাননি। মনির ওই টাকা ফেরত চাইলে আনোয়ার টাকা আত্মসাৎ করতে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন আনোয়ার, তাঁর সহযোগী ইব্রাহিম ও স্বর্ণার স্বামী শরিফ। সহায়তা করেন স্বর্ণা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।২০১৩ সালে অসংখ্য মেটাল গানের দল তাদের অ্যালবাম বের করেছে। মেটাল ধারার আদিপুরুষ থেকে শুরু করে বর্তমানের অনেক আধুনিক দলের অ্যালবাম এ বছর বের হয়েছে। তবে লাউডওয়্যার ম্যাগাজিন এসব অ্যালবামের মধ্য থেকে বেছে ২০১৩ সালের সেরা ১০টি অ্যালবাম নিয়ে একটি শীর্ষ তালিকা প্রকাশ করেছে। আনন্দ পাঠকদের জন্য সেই তালিকাটি তুলে দেওয়া হলো।১০. কুইনসরাইকবেশ কিছুদিন বিরতি দেওয়ার পর এ দলটির পুরোনো তিন সদস্য তাঁদের সঙ্গে ভোকাল হিসেবে টোড লা টোরেকে নিয়ে এ অ্যালবামটির কাজ করেন। তাদের সাবেক ভোকাল জিওক টেটের শূন্যস্থান পূরণ করেও নতুন ভোকাল আরও স্বকীয় কিছু গুণ তাঁর কণ্ঠের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। নামানুসারেই এবার তাদের অ্যালবামের নাম কুইনসরাইক রাখা হয়।৯. ইহসানব্ল্যাক মেটাল ভোকালিস্ট ভেগার্ড শ্যার ‘ইহসান’ ভিইটান পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘এম্পোরোর’-এর ভোকাল হিসেবে। তাঁর একক অ্যালবামগুলোও খুব নিরীক্ষাধর্মী ছিল। এ কারণে তিনি শ্রোতাদের মাঝে ভিন্ন একটা স্থান দখল করতে পেরেছেন। ডাস সিলেনব্রেহেন শীর্ষক তাঁর নতুন অ্যালবামটিতে তিনি অসাধারণ কিছু কাজ করেছেন।৮. কাইলেসাআলট্রাভায়োলেট শীর্ষক অ্যালবামটিতে তারা যেন যুগ যুগ ধরে মেটালের যে সৌন্দর্য, সেটা নিয়ে কাজ করেছে। তারা তাদের ভারী শব্দের সঙ্গে এবার অনেক সুরেলা গানও করেছে।৭. মোটরহেডকিংবদন্তি রক দল মোটরহেড তাদের ২১তম অ্যালবাম আফটার শক বের করেছে। তিনজন সদস্যের এ দলটি হার্ড রক, হেভি মেটালের ইতিহাসে আসনটি আরও আগেই পাকাপোক্ত করেছে। তাদের ৩৮ বছরের যাত্রাপথে নতুন এ অ্যালবামটি এখন বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। তারা যেন নতুন করেই নিজেদের আবার খুঁজে নিয়েছে।৬. ড্রিম থিয়েটারড্রিম থিয়েটারের ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার পর নতুন অ্যালবামটি পেয়ে খুশি। দলের নামানুসারেই এবার তাদের ড্রিম থিয়েটার অ্যালবামটি বের হয়েই সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রগ্রেসিভ মেটালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম হিসেবে তাতে অনবদ্য কিছু সৃষ্টি শ্রোতারা এ বছর পেলেন।৫. ব্ল্যাক স্যাবাথহেভিমেটালের পথিকৃৎ ব্ল্যাক স্যাবাথ এ বছর থার্টিন শীর্ষক অ্যালবাম বের করেছে। ওজি ওসবোর্ন, টনি আয়োমি, গিজার বাটলার ৩৫ বছর পর একসঙ্গে অ্যালবামটিতে কাজ করেন। অ্যালবামের গানগুলোতে ক্যানসার-আক্রান্ত গিটারিস্ট টমি আয়োমির অসাধারণ গিটারবাদন মনে রাখার মতো। আর ওজি ওসবোর্ন ও গিজার বাটলার তো আছেনই।৪. ডেফহেভেনএ দলটি পোস্ট রকের সঙ্গে ব্ল্যাক মেটাল ধারার মিশ্রণে গান করে। তাদের গানের আবহের মধ্যে শ্রোতা নিজেকে হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হবেন। মানবেদার শীর্ষক অ্যালবামটি অত্যন্ত পরিমিত একটি অ্যালবাম। যেখানে পোস্ট রক ও ব্ল্যাক মেটাল ধারা অত্যন্ত সুন্দরভাবে মেশানো হয়েছে।৩. দ্য ওশানজার্মান এ দলটি অল্প কয়েক বছরেই বেশ পরিচিতি পেয়েছে। পেলাগিয়াল শীর্ষক তাদের নতুন অ্যালবামে পোস্ট মেটাল ও মেটালকোর ধারার মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।২. গোস্ট বিসি২০১১ সালের সফল অ্যালবাম ওপাস এপোনিমাস-এর পর তাদের ইনফেস্টি সুনাম অ্যালবামটি কিছুদিন আগে বের হয়েছে। গির্জার সংগীতের সঙ্গে মেটালের সংমিশ্রণে তারা মূলত গান করে।১. গরগাটসশীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানটি ধরে আছে ‘গরগাটস’ নামক এই ডেথ মেটাল দলটি। কালারড স্যান্ডস শীর্ষক নতুন অ্যালবামটি শ্রোতাদের সামনে তাদের আবার তুলে ধরেছে। দীর্ঘ ১২ বছর বিরতির পর তারা এই অ্যালবাম বের করেছে। টেকনিক্যাল ডেথ মেটাল ধারার এ দল এবার তাদের গানে নতুনত্ব এনেছে। মনোয়ারুল হক |
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মহাসড়কে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কাজীর শিমলা নজরুল উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন না করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে। এতে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই কমিটি বাতিল ও নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এর পরও এলাকাবাসী অবরোধ তুলে না নিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি সাত দিনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।ইরানের সংস্কারপন্থী বিরোধীদলীয় নেতা মির হোসেন মুসাভির দুই মেয়েকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর নারী কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।মুসাভির মেয়ে নারগিস মুসাভি গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক লেখায় জানান, গৃহবন্দী মা-বাবাকে দেখতে গেলে তাঁরা মারধর ও অবমাননাকর আচরণের শিকার হন।নারগিস লিখেছেন, তাঁরা গত বুধবার শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আল-ঘাদির উপলক্ষে মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পান। এ জন্য তাঁরা তেহরানের যে বাড়িতে মা-বাবাকে বন্দী রাখা হয়েছে, তার কাছে এক গোয়েন্দা ‘সেফ হাউসে’ যান। সেখানেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পরে চলে আসার সময় দুই বোনকে মারধর করা হয়।২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সমাবেশের ডাক দিলে মির মুসাভিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তাঁকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। রয়টার্স।ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। তাঁর বিদায় উপলক্ষে আমাদের মিডিয়া হয়ে উঠেছিল শচীনময়। চমৎকার ব্যাপার। কিন্তু নিজ দেশের এত এত মন্ত্রী যে বিদায় নিলেন, তা নিয়ে চ্যানেলগুলোর কোনো মাথাব্যথাই নেই! কোনোমানে হয়?আরে ভাই, শচীন যেমন অসংখ্য রেকর্ড করেছেন, অতগুলো না হলেও আমাদের মন্ত্রীদের করা রেকর্ডও কিন্তু কম নয়। পার্থক্য হলো, শচীন করেছেন রানের রেকর্ড আর আমাদের মন্ত্রীদের রেকর্ড কথা বলার। মিডিয়ার সামনে, জনসভায়, সংসদে মন্ত্রীরা অনেক কথা বলেছেন। করেছেন রেকর্ডসংখ্যক কাজ! স্তম্ভ নাড়িয়ে ভবন ধসিয়ে দেওয়া কিংবা ঘরে তালা দিয়ে যাওয়ার মতো ঐতিহাসিক তত্ত্ব দিয়েছিলেন আমাদের মন্ত্রীরা। আজ সেই মন্ত্রীদের অনেকেই আমাদের মাঝে নেই, মানে মন্ত্রণালয়ে নেই। তাঁদের স্থানে এসেছেন নতুন মন্ত্রী। প্রায়ই তাঁদের মুখ মিডিয়ায় আসছে। কিন্তু এই মিডিয়া ভুলে গেছে পুরোনো মন্ত্রীদের, যা খুবই হতাশাজনক। দীর্ঘ পাঁচটি বছর নিরলসভাবে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন এই মন্ত্রীরা। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রতিদিনই কোনো না-কোনো ব্যাপারে পত্রিকা বা টিভির খবর হয়েছিলেন তাঁরা। কত কিছু উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতেন! এমনকি বেড়াতে গেলেও পেয়েছেন মিডিয়া কভারেজ। অথচ মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই মিডিয়া যেন ভুলেই গেছে তাঁদের। প্রতিদিন মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতেন যে মন্ত্রী, তাঁর সামনে এখন কোনো মিডিয়াই নেই।দীর্ঘদিনের রুটিন এত দ্রুত কি বদলে ফেলা যায়? সাবেক মন্ত্রীদের একটু মন খারাপ তো হতেই পারে। কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাঁদের মন খারাপ দূর করার জন্য মিডিয়াকেই এগিয়ে আসতে হবে। আগের মতো প্রতিদিনই সাবেক মন্ত্রীদের সামনে ক্যামেরা-মাইক নিয়ে উপস্থিত হয়ে এমন একটা ভাব করতে হবে, যেন তাঁরা এখনো মন্ত্রী, সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। পরে টিভিতে না দেখালেই তো হলো। সাবেক মন্ত্রীদের কথা বলার অভ্যাসটা অটুট থাকল। ভাগ্য ভালো হলে নতুন নতুন তত্ত্বও পাওয়া যেতে পারে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা নিয়ে ভাববে।জন ওয়াটসনের শেষ সংলাপগুলো মনে আছে? শার্লক হোমসের এপিটাফে ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দিয়ে কবর ছেড়ে চলে যাবে, এমন সময় হুট করে মনে পড়ার ভঙ্গিতে কান্না জড়ানো কণ্ঠে ওয়াটসন বলছে, ‘আরেকটা কথা। আরেকটা কথা। আরেকটা মিরাকল, শার্লক, আমার জন্য? আর মৃত হয়ে থেকো না। এই একটা কাজ আমার জন্য করতে পারবে না? অনেক হয়েছে, এবার থামো। এবার তো শেষ করো!’ওয়াটসন সমাধিক্ষেত্র ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত এক ছোট্ট দ্বীপের মতো দেখাচ্ছে তাকে। দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে। যেন দ্রুত এই দুঃসহ স্মৃতির কারাগার থেকেও বেরিয়ে যেতে চায়। আর ওয়াটসনের সেই বেরিয়ে যাওয়া দেখছে আর কেউ নয়, খোদ শার্লক হোমস!ঠিক এই জায়গাতেই শেষ হয়েছিল শার্লকের দ্বিতীয় মৌসুম। শার্লককে অদ্ভুত এক ফাঁদে আটকে ফেলে নিজের খুলিতে গুলি চালিয়ে দিয়েছিল তার চিরশত্রু মরিয়ার্টি। শার্লকের তখন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়া ছাড়া মুক্তি নেই। কারণ শার্লক আত্মহত্যা না করলে তার নিঃসঙ্গ জীবনে তিন বন্ধুকে মেরে ফেলার ছক সাজিয়েই রেখেছে মরিয়ার্টি। স্নাইপাররা তাক করে আছে ওয়াটসনের দিকে। ভোঁতা ছুরি নিয়ে মিসেস হাডসনের ঘরেও বসে আয়েশ করে চা খাচ্ছে ছদ্মবেশী আততায়ী।ওয়াটসনকে ফোনে সুইসাইড নোট দিয়ে সত্যি সত্যি লাফিয়ে পড়ল শার্লক। ধপ করে ফুটপাতে আছড়ে পড়ল তার দেহ। রক্তের স্রোত! ওয়াটসন নিজে নাড়ির স্পন্দন দেখে নিশ্চিত হলো—নেই! পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষটা কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করল! পৃথিবীর কাছে সে তখন ‘ফেক হিরো’!কিন্তু এটাই কি শেষ পরিণতি হতে পারে শার্লকের? না। এভাবে মরিয়ার্টির সঙ্গে খেলটাতে শার্লক কিছুতেই হার মানতে পারে না। শার্লক যে সত্যি সত্যি মারা যায়নি, সেটার ইঙ্গিত দ্বিতীয় মৌসুমের শেষ পর্বের একদম শেষেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসলেই কীভাবে নিজের বানোয়াট মৃত্যুর ছক সাজাতে পেরেছিল শার্লক, কীভাবে এড়াল মৃত্যু—এ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে ভক্তদের মনে। গুগলে এ নিয়ে খুঁজলেই মিলবে রাশি রাশি তত্ত্ব। ইউটিউবে শার্লকের বানোয়াট মৃত্যুতত্ত্বের রহস্যভেদ নিয়ে বানানো ভিডিওগুলোতে লাখ লাখ হিট।তবে আসল প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে এবার। নতুন বছরে শার্লক-ভক্তদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার নিয়ে আসছে বিবিসি। আবারও প্রচার শুরু হচ্ছে শার্লকের নতুন মৌসুমের। অবশ্য এরই আগে গতকাল বড়দিনের রাতে তারা প্রচার করেছে বিশেষ একটি পর্ব। ‘মেনি হ্যাপি রিটার্নস’ নামের এই পর্বে ঠিক কী দেখানো হবে, সেটি অবশ্য আগে থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছিল না। প্রথম দুটি মৌসুমের মতো তৃতীয় মৌসুমেও থাকছে মাত্র তিনটি পর্ব। ১ জানুয়ারি প্রচারিত হবে মার্ক গ্যাটিসের লেখা ও জেরেমি লাভরিংয়ের পরিচালনায় দি এম্পটি হাস। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা শার্লক হোমসের ৫৬তম ছোট গল্প দি অ্যাডভেঞ্জার অব দি এম্পটি হাউস অবলম্বনে লেখা হয়েছে পর্বটি। এই পর্বে দেখা যাবে দুই বছর লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা শার্লককে আবার দেখা গেছে। কারণ তার প্রিয় লন্ডন ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। শার্লকের ফিরে আসা ওয়াটসনকে অবশ্য মিশ্র অনুভূতির সামনে দাঁড় করাবে। কারণ সে এরই মধ্যে শার্লকবিহীন জীবনে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার বাদ দিয়ে ঘর-গেরস্থালি করা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু রক্তে অ্যাডভেঞ্চারের নাচন লাগলে ওয়াটসন কি আর বসে থাকতে পারবে?৫ জানুয়ারি প্রচার হবে দ্বিতীয় পর্ব—দ্য সাইন অব থ্রি। পর্বটি লিখেছেন স্টিফেন টমসন, পরিচালনা করেছেন কম ম্যাককার্থি। ১২ জানুয়ারি স্টিভেন মোফাটের রচনা ও নিক হুরানের পরিচালনায় হিজ লাস্ট ভাউ দিয়ে শেষ হবে এই মৌসুম। হয়তো শার্লক সিরিজটাই!শার্লকভক্তরা, রহস্যের রোমাঞ্চে আবার বুঁদ হতে তৈরি হয়ে যায়! ২২১ বি বেকার স্টিট আবার সরগরম হচ্ছে, এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে! রাজীব হাসানগার্ডিয়ান অবলম্বনে |
১ উইকেটে ১১২ রান। ক্ষীণ হলেও কি বাংলাদেশ শিবিরে তখন সান্ত্বনার জয়ের আশা জাগেনি! জেগে থাকলেও সেটা মুছে যেতেও সময় লাগেনি। ওই ১ উইকেটে ১১২ থেকে কাল শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েরা অলআউট হয়ে যায় ১৭৭ রানে। জবাবে ৩৮ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। ফল, সালমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হলো শতভাগ হার দিয়ে! তিনটি টি-টোয়েন্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার উদীয়মান মহিলা একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচসহ তিন ওয়ানডেতেই হার।কাল ১৫ রান করে ফারজানার আউটের পর আরেক ওপেনার আয়েশা ও রুমানার ব্যাট বড় রানের আশা জাগিয়েছিল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৯৩ রানের জুটি। রুমানা করেন ৪৩ রান। আয়েশা ৭০। সফরে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ১৭৭, বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চও। দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ৭০ রানে হারায় ২ উইকেট। তৃতীয় উইকেটে তৃষা ছেত্তি ও মারিজান ক্যাপের অবিচ্ছিন্ন ১০৮ রানের জুটিতে নিশ্চিত হয়েছে ৮ উইকেটের জয়। ছেত্তি ৭৬ ও ক্যাপ অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর রহমত কামনা করে গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ার বাসিন্দারা মহাসড়ক-সংলগ্ন স্থানীয় কবরস্থানের পাশে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় নবুওছিমদ্দিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে নিরাপদে সড়ক পারাপার ও দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছরোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।ঈদের দিন থেকে গত সোমবার পর্যন্ত দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়া ও নবুওছিমদ্দিন পাড়াসহ সড়কের আশপাশ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।ইউএনও মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, পর্যায়ক্রমে সড়কের পাশে অবস্থিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হবে।যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) আজ সোমবার স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।চুক্তির বিরোধিতা করে কয়েকটি বাম সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) আজ সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা নির্বাচনকালীন সরকারের রুটিন কাজের অংশ নয়। দল দুটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে আজ বেলা সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে।বলিউড১. ধুম থ্রি: আমির খান, অভিষেক বচ্চন, ক্যাটরিনা কাইফ২. আর...রাজকুমার: শহীদ কাপুর, সোনাক্ষী সিনহা৩. জ্যাকপট: সানি লিওন, শচীন জে জোশি৪. বুলেট রাজা: সাইফ আলী খান, সোনাক্ষী সিনহা৫. রাম-লীলা: রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোনসূত্র: বলিউড হাঙ্গামা হলিউড১. দ্য হবিট: মার্টিন ফ্রিম্যান, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ২. অ্যাঙ্করম্যান ২: দ্য লিজেন্ট কন্টিনিউস: উইল ফ্যারেল, স্টিভ ক্যারেল৩. ফ্রোজেন: ক্রিসটেন বেল, জোনাথন গ্রফ৪. আমেরিকান হ্যাসেল: জেনিফার লরেন্স, ক্রিস্টিয়ান বেল৫. সেভিং মি. ব্যাংকস: টম হ্যাংকস, এমা টমসনসূত্র: ইয়াহু মুভিজ |
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে ‘প্রধান শিক্ষক’ পদের এমপিওভুক্তির আবেদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর শহরের আচারগাঁও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগ তুলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে আবু বক্কর এ ধরনের আবেদন করার কথা অস্বীকার করেছেন।বিদ্যালয় সূত্র জানায়, আবু বক্কর ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজাদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, ১ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কথা উল্লেখ করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) মো. শফিউল্লাহ তাঁর কাছে ফোন করেন। শফিউল্লাহ জানতে চান, আচারগাঁও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না। তিনি (আজাদুর) খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কোনো নিয়োগ হয়নি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাউশিতে এমপিওভুক্তির ভুয়া আবেদন করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবু বক্করকে ২ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। ৯ সেপ্টেম্বরে এমপিওর আবেদন করার অভিযোগ অস্বীকার করে নোটিশের জবাব পাঠান ওই শিক্ষক।এ বিষয়ে মো. শফিউল্লাহ বলেন, মাউশির সংশ্লিষ্ট শাখায় এমপিওর আবেদনটি যাচাই করার সময় নিয়োগ-সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে মাউশি থেকে তাঁকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. আজাদুর রহমান ভূঁইয়া তাঁকে (শফিউল্লাহ) বলেন, যেকোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে তাঁর কার্যালয় জানার কথা। কিন্তু মাউশিতে এমপিওর আবেদন পেশ করা হলেও তাঁর কার্যালয় এ বিষয়ে কিছুই জানে না। জালিয়াতি না হলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।আবু বক্কর দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট কার্যালয় মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাঁর সমঞ্চান নষ্ট করেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।রাজা হওয়ার জন্য কোনো তাড়া নেই ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরসূরি প্রিন্স চার্লসের। কারণ, প্রিন্স অব ওয়েলস মনে করেন, রাজা হওয়া মানে বন্দিত্বের কারাগারে ঢোকা।প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী টাইম সাময়িকী। এ জন্য তারা কথা বলেছে প্রিন্সের খুব কাছের বন্ধু ও সহযোগীসহ ৫০ জনের সঙ্গে। তাঁদেরই একজন টাইমকে বলেছেন প্রিন্স চার্লসের ওই মনের কথাটি।আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন। এতে ব্রিটিশ রানির পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রিন্স চার্লস। তাঁর মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স হয়ে গেছে ৮৭ বছর। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে তিনি রাজত্ব করছেন। আর এই সময়ে কয়েক দশক ধরে দাতব্য কাজ করে চলেছেন তাঁর উত্তরসূরি বড় ছেলে চার্লস। আগামী মাসে ৬৫ বছরে পা দেবেন তিনি।টাইম সাময়িকীর নিবন্ধে বলা হয়েছে, রাজকীয় দায়িত্বের চেয়ে বরং অন্য অনেক দায়িত্ব পালন করে খুশি আছেন চার্লস। এ জন্য রাজত্ব গ্রহণে তাঁর কোনো অস্থিরতা নেই, বরং সেটি তাঁর জন্য চলতি দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত বোঝা হয়ে আসবে বলেই তিনি মনে করেন।তবে ব্রিটিশ রাজপরিবার গতকাল শুক্রবার চার্লসের রাজা হতে অনীহার কথা অস্বীকার করেছে। বিবিসি ও এএফপি।সোহানা সাবা। অভিনয়শিল্পী। সম্প্রতি মুরাদ পারভেজ পরিচালিত বৃহন্নলা ছবির শুটিং শেষ করেছেন। এটি তাঁর ৫ নম্বর চলচ্চিত্র। দেশ টিভিতে আজ প্রচারিত হবে সাবা অভিনীত ধারাবাহিক নাটক সিক্রেট সার্ভিস।সিক্রেট সার্ভিস...এই নাটকে আমি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। পেশাগত সাফল্যের ব্যাপারে খুবই সচেতন। সাফল্য পাওয়ার জন্য মেয়েটি যেকোনো কাজ করতে পারে।বাস্তবে আমি...আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। এটা ঠিক যে আমি অভিনয় করতে চেয়েছি, পরিচিতি পেতে চেয়েছি। কিন্তু এসবের জন্য কোনো উচ্চাশা ছিল না।বৃহন্নলা...এটি আমার পাঁচ নম্বর চলচ্চিত্র। শুটিং করেছি দাদার বাড়ি রাজবাড়ীর খামারবাড়িতে। ২২ দিনে পুরো ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ডাবিংয়ের কাজ শুরু হবে।দাদার বাড়িতে ছবির শুটিং...আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হলেও দাদার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগটা বরাবরই ছিল। গ্রামের প্রতি আমার ভালো লাগা অনেক বেশি কাজ করে। দাদার বাড়িতে কাজ করে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।‘আয়না’ টু ‘বৃহন্নলা’...কবরী সারোয়ার পরিচালিত আয়না আমার প্রথম ছবি। ২০০৬ সালে এটি মুক্তি পায়। তাই এই ছবিকে সব দিক থেকে এগিয়ে রাখব। এরপর মোরশেদুল ইসলামের খেলাঘর ছবিতে অভিনয় করি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই ছবি আমার অহংকারের জায়গা। অনেকেই বলেছেন, প্রিয়তমেষু ছবিতে নাকি আমি খুব ভালো অভিনয় করেছি। চন্দ্রগ্রহণ আমার পছন্দের সিনেমার একটি। আর আমাকে যাঁরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে চেনেন, তাঁদের জন্য বৃহন্নলা উপহার। এই ছবিতে ভালো অভিনয়ের চেষ্টা করেছি।নিজেই যখন ডিজাইনার...ডিজাইনের প্রতি আমার আগ্রহটা অনেক আগের। আমি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর স্নাতক করেছি। বিভিন্ন ঘরোয়া ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে আমি যে পোশাক পরি, তার বেশির ভাগই আমার ডিজাইন করা। আর চন্দ্রগ্রহণ ছবির পর বৃহন্নলা ছবির পোশাক ডিজাইন করেছি আমি।নাটকের কাজ...ছবির শুটিংয়ের জন্য মাঝে কোনো কাজই করা হয়নি। এখন আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি।মনজুর কাদেরআমার বাবা শিল্পী সোহরাব হোসেন। ছোটবেলায় যখন কাঁদতাম, আমার কান্নার শব্দ বাবাকে বুলিয়ে দিত সুরের প্রশান্ত পরশ, তিনি আমার নাম রেখেছিলেন গীতি—এ কথা তাঁরই মুখ থেকে শোনা। পাঁচ ভাইবোন আমরা। তিনি বন্ধুর মতো মিশতেন আমাদের সঙ্গে। খাবারের টেবিলে তাঁর ছিল নির্দিষ্ট একটি চেয়ার। বিকেলের নাশতায় আড্ডা জমে উঠত। শেষ হতো সন্ধে পার করে। জীবনের যত গল্প, সব বলতেন তখন। সেই কথায় উঠে আসতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, সুরসম্রাট আব্বাসউদ্দীন—আরও কত মুখ! আব্বাসউদ্দীনের সঙ্গে একটা কাহিনি প্রায়ই বলতেন তিনি। একবার ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠান করতে আব্বাসউদ্দীনসহ বাবা যাচ্ছেন ট্রেনে। নির্ধারিত গন্তব্যের পথে মধ্যবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামলে উৎসুক জনতা সে সময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীনকে দেখার জন্য ট্রেনের কামরায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল। তখনকার দিনে তো শিল্পীদের ছবিতে দেখার সুযোগ ছিল না; একজন শিল্পীকে মানুষ চিনত তাঁর নামে এবং বেতারে কণ্ঠ শুনে। এই সুযোগ কাজে লাগালেন আব্বাসউদ্দীন। বললেন, সোহরাব, এখন তুই আব্বাসউদ্দীন। তোর মোটা শরীরে জনতাকে সামলা, আমি পেছনে আছি। এ রকম কত গল্প বলতেন বাবা! সবই আজ স্মৃতি। নজরুলসংগীতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন বাঙালির হূদয়ে। মনে আছে, কাজী নজরুল ইসলাম যেদিন মারা যান, ভীষণ অসুস্থতায় ভিড় ঠেলে সেদিন কাছে যেতে পারেননি বাবা, দেখতে পারেননি তাঁর প্রিয় কাজীদার মুখ। মর্মবেদনায় কাতর হয়ে বাসায় ফিরে আমায় বললেন, কাগজ-কলম নিয়ে আয় তো মা। এরপর চোখ বুজে বলে যেতে লাগলেন তিনি, আর আমি লিখলাম। দেখলাম তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে ফোঁটায় ফোঁটায়। তৈরি হলো গান, ‘আমার গানের সুরের পাখি হারিয়ে ফেলেছি তাই, তাই আজ আমি এই সভাতে বেসুরো গান গাই।’ বাবা চলে গেছেন ২৭ ডিসেম্বর ২০১২। তাঁকে ছাড়া আমরা, তাঁর সন্তানেরাও যেন বেসুরো গলায় গান গেয়ে চলেছি! রাহাত আরা: সোহরাব হোসেনের মেয়ে |
সারা দেশে আবার লোডশেডিং বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনে রাজধানী ঢাকায় এলাকাভেদে তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টার মধ্যে হয়েছে আরও দু-তিনবার।চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। গ্যাসের অভাবে সেখানকার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। খুলনা, বগুড়া, দিনাজপুর ও বরিশালেও ব্যাপক লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ আগস্ট গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লোডশেডিং কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি অবশ্য তা বলেছিলেন অতীতের অসহনীয় লোডশেডিং দেশবাসী যাতে ভুলে না যায় এবং তাঁর সরকারের আমলে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কথা যাতে মনে করে সে জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের কথায় ইঙ্গিত ছিল দৈনিক দুই থেকে তিনবার লোডশেডিংয়ের। কিন্তু গত কয়েক দিনে শহরাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে তার দ্বিগুণ। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ।সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রায় এক মাস আগে সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমাতে হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের চারটি কূপের উৎপাদন ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে গ্যাস সরবরাহ আরও কমেছে।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, রমজান মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দৈনিক গ্যাস দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রায় ১০০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ কোটি ঘনফুট।পিডিবির হিসাবেই গতকাল বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। তবে এই হিসাবে কিছু গরমিল আছে। পিডিবি গতকাল সর্বোচ্চ চাহিদা ধরেছে ছয় হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরেছে পাঁচ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রকৃত চাহিদা এখন সাত হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। এ ছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহূত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেই (অক্সিলারি)। সর্বোপরি গত কয়েক দিনে গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে।বর্তমান সরকারের আমলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট। গ্যাসের উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৬০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ওপর একক নির্ভরতা কাটাতে ‘জ্বালানি বহুমুখীকরণ’ বা মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের (এনার্জি মিক্স) যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ফলে বর্তমান সরকারের প্রথম বছরে যেমন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে সার কারখানা বন্ধ রাখতে হতো, এখনো তেমন করতে হচ্ছে। একইভাবে সার কারখানাগুলো চালু রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি বিদ্যুতের বিভ্রাটও বেড়েছে। অনেক এলাকা থেকে গ্রাহকেরা এমন অভিযোগ করেছেন। তবে বিভ্রাটের জন্য গ্রাহকেরও দায় আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সে পরিমাণ বিদ্যুৎ বরাদ্দ (লোড স্যাংশন) করিয়ে নেন না।বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পায়রা নদীর তীরবর্তী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশে বন বিভাগের অর্থায়নে রোপণ করা শতাধিক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র প্রতি রাতেই গাছগুলো কেটে সাবাড় করছে বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।আমতলী বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৫-৯৬ সালে বন বিভাগের অর্থায়নে সমবায়ের ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দপ্তর থেকে বৈঠাকাটার নদী মোহনা পর্যন্ত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চারা লাগানো হয়। রোপণ করা গাছের ৫৫ শতাংশের মালিক স্থানীয় উপকারভোগী সমিতির সদস্যরা, ১০ শতাংশের মালিক বন বিভাগ, ১০ শতাংশের মালিক ট্রি ফার্মিং ফান্ড, ২০ শতাংশের মালিক পাউবো এবং ৫ শতাংশের মালিক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।এলাকার দরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছল, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও স্থানীয় জনগণকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকার এ প্রকল্প হাতে নেয়।স্থানীয় উপকারভোগী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম অভিযোগ করেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্র প্রতি রাতেই গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।এ ব্যাপারে বন বিভাগকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।বন বিভাগের আমতলী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের পর থেকে এ পর্যন্ত চোর চক্র রাতের আঁধারে বহু গাছ কেটে নিয়ে গেছে। চক্রটি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় উপকারভোগী সমিতির সদস্যরা কোনো ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না।তিনি আরও জানান, উপকারভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে আমতলী ওয়াপদা অফিসের পেছনের জলাশয় থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১৭টি দামি গাছ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লেখা রয়েছে, ‘রশীদ ছাড়া কাউকে টাকা দেবেন না’। লেখাটা দেখি আর ভাবি, ইশ্! আমার নাম যদি মো. রশীদ হতো, তাহলে লেখাটার ঠিক পাশেই লিখে দিতাম, মি. রশীদের বিকাশ নাম্বার ০১৭১৮৬...।আফসোস! আফসোস! আমার নাম রশীদ না!মেডিকেলের খুব কম স্যারই স্টুডেন্ট লাইফে আমার আচার-আচরণ নিয়ে ভালো কিছু বলতে পেরেছেন। অথচ সম্প্রতি আমি যখন মেডিকেল থেকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট তুললাম, তখন দেখলাম আমাদের অধ্যক্ষ, যিনি একজন বিখ্যাত চিকিৎসকও, তিনি লিখেছেন, আচরণগত দিক থেকে আমি ভালো। আমার চরিত্রও প্রশংসনীয়! ধন্যবাদ স্যার! বড় ডাক্তারদের ডায়াগনোসিস আসলেই পারফেক্ট!দুই চিকিৎসক কথা বলছিলেন। একজন বললেন, ‘আমি সপ্তাহে চার দিন বসি।’ অন্যজন বললেন, ‘আমি তিন দিন।’পাশ দিয়ে যেতে যেতে আমি ভাবি, বাকি দিনগুলোতে কি তারা দাঁড়িয়েই থাকেন!রোগী এল পেটে ব্যথা নিয়ে, শিক্ষানবিশ ডাক্তার নিয়ম অনুযায়ী পেটে চাপ দিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করছেন।ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে কথোপকথন—: লাগে?: হ্যাঁ, লাগে।: এখানে লাগে?: হ্যাঁ, লাগে।: এইখানেও লাগে?: হ্যাঁ, লাগে।: আশ্চর্য! এখন লাগে?: হুম, লাগে।বিরক্ত হয়ে ডাক্তার বলে উঠলেন, ‘আরে ভাই কী বলেন! সবখানেইব্যথা লাগে?’রোগীর জবাব, ‘না স্যার, ব্যথার জায়গাটা ছাড়া বাকিটুকুতে আরাম লাগে।’আমার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, ‘চিকিৎসকেরা কী দেখে কোনো লোককে মৃত ঘোষণা করেন?’বাস্তবতা ভিন্ন হলেও বন্ধুকে বললাম, ‘অন্যরা যাই দেখুক আমি যখন দেখি পুরুষের হূদস্পন্দন বন্ধ আর স্ত্রীলোকের মুখ বন্ধ, তখন আমি তাকে মৃত ঘোষণা করে দিতে পারি।’সম্প্রতি এক আড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকা এক ডাক্তার ভাই হতাশ কণ্ঠে বলছিলেন, ‘আগে দম্পতিরা চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইত, তারা আর ছেলেমেয়ে নিতে পারবে কি না। এখন জানতে চায় বাড়িওয়ালার কাছে!’একবার এক অধ্যাপক তাঁর ফাঁকিবাজ ছাত্র সুমনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ধরো, তোমার কাছে লাস্ট স্টেজের একজন ক্যানসারের রোগী খুব খারাপ অবস্থায় এল। তখন তুমি কী করবে?’সুমন বলল, ‘স্যার, আমার আর কিছুই করা লাগবে না, যা করার ক্যানসার নিজেই করবে।’শেফালী ঘোষ নামটি চট্টগ্রামের মানুষের মনে গেঁথে আছে চিরদিনের মতো। কর্ণফুলী যত দিন বয়ে চলবে, তত দিন শেফালী থাকবেন। কেননা তাঁর গানে সূর্য ওঠার অসাধারণ বর্ণনার সঙ্গে প্রিয় বিরহের বেদনা একাকার যেমন হয়েছে, তেমনি চিরপ্রবহমান জলধারা কর্ণফুলীর কথাও উঠে এসেছে—‘সূর্য উডের অভাই লাল মারি/ রইস্যা বন্ধু যারগই আমার বুকে শেল মারি’ (লাল রং ছড়িয়ে দিয়ে সূর্য উঠছে, রসিক বন্ধু আমার বুকে তির ছুড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে)। এই শিল্পীকে হারিয়ে চট্টগ্রামবাসীর কেটে গেল সাত বছর। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।বেশির ভাগ গান তিনি গেয়েছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। কিন্তু তাঁর সেই গানের সুর ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ১৯৬৩ সালের কথা। শেফালীর বয়স তখন ২২। সে সময় চট্টগ্রাম বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক ছিলেন আশরাফুজ্জামান। তিনি শেফালী ঘোষ আর আঞ্চলিক গানের সম্রাট শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে ডেকে পাঠালেন। প্রস্তাব দিলেন আঞ্চলিক ভাষায় গান গাইতে। দুজনে রাজি হলেন। শেফালী ঘোষ আর শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের সেই দ্বৈত কণ্ঠের গান ইথারে ছড়িয়ে পড়লে হইচই পড়ে গেল সবখানে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান তাঁকে জনপ্রিয়তার এমন শীর্ষ এক পর্যায়ে নিয়ে গেল যে কোনো পালাগান, অনুষ্ঠান আর শেফালী ছাড়া জমল না। মানুষ কি ভুলবে সেই কথাগুলো, ‘আঁধার ঘরত রাত হাডাইয়ুম হারে লই’ (অন্ধকার ঘরে রাত কাটাব কারে নিয়ে), ‘ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দেওয়ানা’ কিংবা ‘পালে কী রং লাগাইলিরে মাঝি, সাম্পানে কী রং লাগাইলি’, আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো রয়ে যাবে শেফালীর গানে। শিল্পী হিসেবে শ্রেষ্ঠ যে পুরস্কার তিনি পেয়েছেন তা হলো, অগুনতি মানুষের ভালোবাসা। মৃত্যুর এক বছর পর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন একুশে পদক। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর যখন উপদ্রুত উপকূল মৃত্যু-উপত্যকায় পরিণত হয়, তখন শেফালী গেয়ে উঠলেন তাঁর বিখ্যাত গান ‘ভাঙা গাছর নয়া টেইল/পাতা মেলি দেহার খেইল/পঙ্খি আবার উড়ের ফিরের...।’ ধ্বংসস্তূপ থেকে, গলিত লাশের গন্ধ থেকে উঠে এসে আবার জীবনের হাল ধরার এমন প্রেরণাদায়ী গান গেয়েছিলেন বলেই জীবনমুখী শিল্পী শেফালী ঘোষ বেঁচে আছেন জীবনের কোলাহলে। |
খেলোয়াড়দের বেতন বেড়েছে, কমেছে খেলোয়াড় বিক্রি করে পাওয়া আয়। তার পরও আগের মৌসুমের তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে আয় বেড়েছে আর্সেনালের। ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরা তো দারুণ খুশি। এতটাই যে, সামনের দলবদলে কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে খরচ করার জন্য আরও বেশি অর্থ দিতে আপত্তি নেই তাঁদের।আর্থিকভাবে আর্সেনালকে চাঙা করার পেছনে একটা বড় ভূমিকা এমিরেটস এয়ারলাইনসের সঙ্গে নতুন স্পনসরশিপ চুক্তি। ফলে কিছুদিন আগে ক্লাব রেকর্ড ৬৮ মিলিয়ন ইউরোয় আর্সেনাল কিনে নিয়েছে জার্মান প্লে-মেকার মেসুত ওজিলকে। তবে ক্লাবের চেয়ারম্যান চিপস কেসউইক জানিয়েছেন এখানেই শেষ নয়, সামনে আরও বড় বড় তারকা কেনার চেষ্টা করবে গানাররা, ‘ওজিলের চুক্তির মাধ্যমে আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিয়েছি সবার কাছে। ওয়েঙ্গার আবারও যখন বড় লগ্নি করতে চাইবে, আমরা তাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ তবে তারকা ফুটবলারদের কেনার পাশাপাশি সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার ও পরিচর্যার নীতিতেও আর্সেনাল অটল থাকবে বলেও জানিয়েছেন কেসউইক, ‘তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি নবায়নই প্রমাণ করে আমরা ওদের ব্যাপারে কতটা মনোযোগী। ওদের পরিচর্যা করার নীতিতে আমরা অটল থাকব।’ এএফপি।চুয়াডাঙ্গায় সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ বোরো খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় অভিযানের সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে বাজারে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সরকারি গুদামে এক ছটাক ধানও বিক্রি করছেন না।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার হাজার ৭৭৬ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ১৬৪ মেট্রিন টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে চলতি বছরের ২ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলায় অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ১৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রতি কেজি চালের দাম ২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।অভিযানের শেষ দিন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ ১৪৫ মিলমালিকের কাছ থেকে তিন হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়ে কোনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি। এ অবস্থায় সরকার এই সংগ্রহের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ায়। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে আরও ৩১১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ সম্ভব হলেও কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। চাল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোনারুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ সাত মিলমালিকের সনদ বাতিলসহ কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।সদর উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের কৃষক তসলিম উদ্দিন জানান, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে নানা হয়রানিতে পড়তে হয়। কারণ, ধানের দাম বেশি হলে সে সুবিধা নেয় একটি সুবিধাভোগী চক্র। কৃষকদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তা ছাড়া এ বছর ধানের সরকারি মূল্য বাজারের তুলনায় কম হওয়ায় কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এম আবদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালকলমালিক প্রথম আলোকে জানান, চালকলের লাইসেন্স বাতিলসহ কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় লোকসান মেনে নিয়েই চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিজ উদ্দিন জানান, বাকি দিনগুলোয় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা চলছে। তবে ধান পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে তেহরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তি অন্তর্বর্তী সমঝোতায় পৌঁছেছে। এর আওতায় ইরান একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ না করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কিছু অংশ প্রত্যাহার করা হবে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান অন্তর্বর্তী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তেহরান বলছে, তারা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ছেড়ে দেয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।গত বুধবার জেনেভায় দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এতে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় জার্মানি ও নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। নির্ধারিত দিনের বৈঠক শেষে আলোচনা চতুর্থ দিনে গড়ায়। শেষ দিন গতকাল রোববার দুই পক্ষের মধ্যে অন্তর্বর্তী সমঝোতা হয়।সমঝোতা অনুযায়ী ইরান পাঁচ শতাংশের বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, নতুন করে কোনো সেন্ট্রিফিউজ চালু বা পরবর্তী প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করতে পারবে না এবং আর্ক পারমাণবিক চুল্লির নকশা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কাছে সরবরাহ করতে হবে। বিনিময়ে আগামী ছয় মাস তেহরানের ওপর ছয় বিশ্বশক্তি পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, সোনা ও মূল্যবান ধাতুসহ বেশ কিছু খাতে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে—যাতে তেহরানের প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ইরান বর্তমানে যে পরিমাণ তেল রপ্তানি করছে, তা অব্যাহত থাকবে।সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘ইরানকে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখতে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। তবে এই সমঝোতায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ইরান সমঝোতার শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ‘আশা করি, আমাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারে ছাড় দেয়নি। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই সমঝোতাকে ‘নতুন দিগন্তের সূচনা’ বলে অভিহিত করেন।উদারপন্থী বলে পরিচিত রুহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তেহরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই সমঝোতা হলো।জেনেভা আলোচনায় ছয় জাতির পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন। বৈঠকের শেষ দিনে আলোচনায় যোগ দেন ছয় বিশ্বশক্তির পরররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। অ্যাশটন বলেন, ‘আমি উচ্ছ্বসিত। অবশেষে আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী। সমন্বিত একটি চুক্তিতে পৌঁছার পথে এটা গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।’মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, এই সমঝোতার ফলে ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র দেশগুলো নিরাপদ হলো। তবে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল বলেছে, তারা নিরাপদ বোধ করছে না। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটা খুব বাজে এক সমঝোতা। এখানে ইরান যা চেয়েছে, তাই দেওয়া হয়েছে।’ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এই সমঝোতাকে ‘পুরো বিশ্বের জন্যই ভালো সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন।ফরাসি পররাষ্ট্ররমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস বলেন, এই সমঝোতার মাধ্যমে ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক জ্বালানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।ইউরেনিয়াম ধাতুকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সমৃদ্ধ করতে পারলে তা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে কাজে লাগানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিযোগ ছিল, ইরান তার কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।তবে দেশটি বরাবরই বলে আসছিল, তাদের এ কর্মসূচির লক্ষ্য একান্তই বেসামরিক। বিষয়টি নিয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা অচলবস্থার পর এই অন্তর্বর্তী সমঝোতা সম্ভব হলো। এএফপি, বিবিসি ও আল-জাজিরা।বারিধারার রাস্তার পাশে এক ভাঙাচোরা চায়ের দোকান। সামনে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটি। বাবার প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ততা। চা খেতে খেতেই হঠাৎ পরিচয় এক চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে। সিনেমা জগৎ, এফডিসি নিয়ে কোনোই আগ্রহ নেই ছেলেটির। কিন্তু সিনেমা দেখার বাতিক আছে। পরিচালক তাঁর নতুন ছবির জন্য এমন একজনকে খুঁজছেন, যার সঙ্গে ছবির প্রধান চরিত্রটি মানিয়ে যায়। গল্পে গল্পে ছেলেটির মধ্যে কোথায় যেন চলচ্চিত্রের ছাঁয়া খুজে পান তিনি। অন্য একদিন ছেলেটিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলে গন্তব্যে রওনা হয়ে যান। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কোনো পাত্তা নেই ছেলেটির। দিন চলে যায়। পরিচালক নিজেই একদিন ফোনে ডেকে নেন ছেলেটিকে। নিজের টাকা খরচ করে ফটোসেশনও করান। এরপর ব্যাটে-বলে মিলে চলচ্চিত্রের রুপালি পর্দায় ‘ওকে-কাট-অ্যাকশন’-এর ভুবনে ঢুকে পড়ে ছেলেটি। পাঠক, ভাবছেন সিনেমা কিংবা নাটকের গল্প এটি? একেবারেই না। এটাই সাইমনের চলচ্চিত্র জগতে ঢোকার গল্প। আর গল্পের আরেক চরিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। শুনি, সাইমনের নিজের মুখে। ‘এভাবে হঠাৎ দেখা। এর পরের ঘটনা তো আগেই বললাম। আর আজকের আমার এই অবস্থানের সবকিছুই পরিচালক জাকির হোসেন রাজু এবং জাজ মাল্টিমিডিয়ার অবদান। যা স্বপ্নেও ভাবিনি, তা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।’নতুন প্রজন্মের যে কজনের নাম ঘুরে-ফিরে আসে, সেই তালিকায় জ্বলজ্বল করছে সাইমনের নাম। চলচ্চিত্রে বয়স মাত্র এক বছর। পোড়ামন, জি হুজুর ও এর বেশি ভালোবাসা যায় না তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। চলচ্চিত্রের এই ধসের বাজারেও পোড়ামন কিংবা জি হুজুর ছবি দুটি দর্শক আলোচানায় এসেছে। এফডিসিতে আড্ডার শুরুতে তাই অন্য প্রশ্নে না গিয়ে আমরা সোজা ঢুকে যাই চলচ্চিত্রে তাঁর সাফল্যের পথে। ‘এ সাফল্য এল কীভাবে’? প্রথম প্রশ্ন। ‘সত্যি কথা বলতে কি, জি হুজুর চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রের মানুষগুলোর কাছ থেকে খুবই প্রশংসা পেয়েছি। আর পোড়ামন-এ অভিনয় করে সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা আমাকে চিনেছেন। এখন কাজ করে যাচ্ছি।’ বললেন সাইমন। সেই ধারাবাহিকতায় এখন ব্যস্ততা কতটুকু? বললেন, ‘তোমার কাছে ঋণী, স্বপ্নছোঁয়া, তোর লাগি পরান কান্দে, অ্যাকশন জেসমিন এবং তুই শুধু আমার এ চারটি ছবির কাজ মোটামুটি শেষ। রানা প্লাজা ছবির কাজ শুরু হবে।’ তিনি জানান, এর মধ্যে দেবাশীষ বিশ্বাসের একটি এবং শাহিন সুমনের দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই যে এত এত কাজ, নিজের প্রস্তুতিই বা কেমন? ‘আমি বিশ্বাস করি, কাজ করতে গেলে শিখতে হয়, জানতে হয়, দেখতেও হয়। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে নিয়মিতই সিনেমা দেখি। বাসায় সময় করে কলকাতার বাংলা, তামিল ছবি দেখি। সর্বশেষ পুরানো বিল্লা ছবিটি দেখলাম। কোনো ছবির কাজ করার আগে বাসায় বসে চিত্রনাট্য পড়ে, নিজের চরিত্রটি নিয়ে গবেষণা করে, বুঝেশুনে কাজটি শুরু করি। ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি না।’আচ্ছা, এ বছর প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। আলোচনায় এসেছে হয়তো মাত্র ডজন খানেক হবে। কীভাবে দেখছেন? ‘আগের বছর এই আলোচনাও ছিল না। এবার তো তাও হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি হবে আশা রাখি।’নতুনদের ওপর সেই আস্থা কি রাখতে পারেন দর্শকেরা? ‘অবশ্যই। নতুনদের আগমনেই কিন্তু নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। চলচ্চিত্রের খরা কাটতে শুরু করেছে।’ |
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আদিবাসী এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় তিন যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।দণ্ডাদেশ পাওয়া যুবকেরা হলেন কামাল উদ্দিন জুয়েল, ইকবাল হোসেন ও সুমন ওরফে রবি দাশ। বিচারক তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন এবং ওই টাকা ভুক্তভোগী আদিবাসী তরুণীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। দণ্ডাদেশ পাওয়া তিনজনেরই বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ নাছের জানান, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই আদিবাসী তরুণীকে গাড়িতে তুলে নগরে নিয়ে আসেন দণ্ডিত ব্যক্তিরা। পরে পাঁচলাইশের একটি বাসায় আটকে রেখে তাঁরা তরুণীকে গণধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে।’রায় ঘোষণার পর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তিন যুবক কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।টেস্ট সিরিজ শেষে এবার ওয়ানডের উত্তেজনা। টিকিট বিক্রি দিয়ে সেই উত্তেজনার পালে হাওয়া লাগছে কাল থেকে। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকিট বিক্রি শুরু হবে কাল। ঢাকায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ছয়টি শাখা ও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শাখায় পাওয়া যাবে টিকিট। ঢাকার শাখা ছয়টি হলো—মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখা, গুলশান করপোরেট শাখা, সোনারগাঁ জনপথ শাখা, নয়াবাজার, ধানমন্ডি ও মিরপুর শাখা। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচ ২৯ ও ৩১ অক্টোবর মিরপুরে, ৩ নভেম্বর ফতুল্লায়। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ৬ নভেম্বর মিরপুরে।আপসহীন একটি ছবির নাম। এই ছবিতে অভিনয় করবেন নিপুণ। সম্প্রতি ছবির নির্মাতার সঙ্গে নিপুণের আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, খ্যাতিমান দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবনের ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবির গল্প। পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনিই ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লিখেছেন। শুটিং শুরু হবে ২৭ নভেম্বর।নিপুণ বলেন, ‘ছবির গল্পটা অসাধারণ। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার অনুমতি নেই।’ছবিতে নিপুণের সঙ্গে অভিনয় করবেন হেলাল খান।নিপুণ এখন ব্যস্ত ইসমত আরা শান্তি পরিচালিত মায়ানগর ছবির শুটিং নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় শুটিং শেষ করে আগামী ডিসেম্বরে আমরা মায়ানগর ছবির শুটিংয়ের জন্য থাইল্যান্ডে যাব।’নিপুণ এর আগে সাজঘর ও চাঁদের মতো বউ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।‘একটু চিন ডাউন করো। আরেকটু...না না আরেকটু আপ করো...ওকে ওকে...এইবার হইছে।’ পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী মনিটরে বসে ববিকে এভাবে নির্দেশনা দিয়ে ক্যামেরার লোকেশন সাজিয়ে নিলেন। পরক্ষণেই বলে উঠলেন, ‘এবার যাই। কোয়াইট! থ্রি, টু, ওয়ান, জিরো...অ্যাকশন।’ ক্যামেরা চলছে। ববি রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টাকাভর্তি একটি ব্যাগ হাতে তুলে নিলেন। তারপর ক্যামেরায় চোখ রেখে ব্যঙ্গ করে একটু হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ‘ওকে কাট...গুড ডান, ববি।’ বললেন পরিচালক।এফডিসির ৪ নম্বর ফ্লোরের পাশের সরু গলিতে গিয়ে শুটিংয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ল।দৃশ্যটি শেষ করেই ধারণ করা দৃশ্যটি কেমন হলো দেখার জন্য অস্থির ববি। দৌড়ে গিয়ে মনিটরের সামনে বসে গেলেন। দেখা শেষ করেই বলে উঠলেন ‘ওহ্! সত্যিকারের পকেটমারের মতোই লাগছে আমাকে।’ বলেই হা হা করে হাসলেন। পকেটমার? মনে মনে ভাবি। ঘটনা কী? পরিষ্কার করলেন পরিচালক। বললেন, ববি এখানে পকেটমার চরিত্রে অভিনয় করছেন। ছবির নাম অ্যাকশন জেসমিন। নামভূমিকায় অভিনয় করছেন ববি।পরের দৃশ্যটি নেওয়া হবে ৩ নম্বর ফ্লোরের সামনের রাস্তায়। ইউনিটের সবাইকে তাগিদ দিয়ে ওদিকটায় হাঁটা ধরলেন পরিচালক। বেরিয়ে পড়ি আমরাও। চিত্রগ্রাহক সংস্থার দরজায় অনেক গণমাধ্যমকর্মীর জটলা। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকি। সংবাদ সম্মেলন চলছে। অ্যাকশন জেসমিন ছবির চিত্রগ্রাহক কাজী কাদেরের সঙ্গে ছবির পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর লাইটবিষয়ক কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সেট থেকে চিত্রগ্রাহককে গালমন্দ করে বের করে দিয়েছেন পরিচালক। এমন অভিযোগে চিত্রগ্রাহক সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সংস্থার সভাপতি রেজা লতিফ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এমন লজ্জাজনক ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সংস্থার কোনো চিত্রগ্রাহক, সহকারী—কেউই তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন না। ২.প্রধান রাস্তা ধরে হাঁটছি আমরা। মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনের আঙিনায় শ খানেক লোকের জটলা। দূর থেকে দেখে এগোতে থাকি। বাসের ওপর কয়েকজন দাঁড়িয়ে দরজা বরাবর ক্যামেরা তাক করে আছেন। বাসটির পাশেই টিকিট কাউন্টার লেখা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে শাকিব খান। বাসের দরজা ও টিকিট কাউন্টারের মধ্যবর্তী পথে অপু বিশ্বাস। হঠাৎ কানে এল ‘অ্যাকশন’। অপু বিশ্বাস দৌড়ে গিয়ে বাসের দরজায় উঠতেই নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়েই যাচ্ছিলেন। অমনি শাকিব খান দৌড়ে গিয়ে নিজের পিঠ অপুর পিঠে ঠেকিয়ে রক্ষা করলেন অপুকে। ‘আরও একবার নিতে হবে দৃশ্যটি। যার যার জায়গায় চলে যান।’ভিড়ের মধ্যেই চোখ আটকে গেল। দেখি, একপাশে মনিটরে বসে দৃশ্যটি পুনরায় নেওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন পরিচালক শাফি উদ্দীন শাফি।অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ৭ নম্বর ফ্লোরের গ্রিনরুমে যাওয়ার অনুরোধ করলেন তিনি। আমরাও হাঁটছি তাঁর সঙ্গে।ঢাকার আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। এবার শীত মনে হয় জোরেশোরেই নামবে। |
কলেজছাত্রী আশা বেগমকে (২৩) ‘হত্যা’র প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার শেরপুর শহরে মানববন্ধন হয়েছে। আশা শহরের মীরগঞ্জ এলাকার আতোয়ার তালুকদারের মেয়ে ও শেরপুর সরকারি কলেজের সম্মান (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার আশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে রঘুনাথ বাজার থানা মোড় পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে নিহত ছাত্রীর পরিবার, শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন।ওই দিনই আশার ভাই হাদী ইমাম তালুকদার একটি মামলা করেন। মামলায় আশার স্বামী জীবন মিয়া, শ্বশুর সুরুজ্জামান ও শাশুড়ি হামেদা বেগমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।দল বিপদে, ম্যাচের বাকি প্রায় দুই দিন। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনুল হক খেললেন দুর্দান্ত একটা ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর অপরাজিত ১২৬ রানেই বাংলাদেশ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল। বৃষ্টি বেরসিকের মতো বাগড়া না দিলে মুমিনুল কি চট্টগ্রামে অধরা ডাবল সেঞ্চুরিটি পেতেন? হয়তো, হয়তো বা না। সে যাই হোক, এই ১২৬ রানেই বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের নতুন আশার প্রতীক। এর আগে প্রথম ইনিংসেও ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ। কিন্তু সেবার থেমে যেতে হয় মাত্র ৪৭ রানেই। মুমিনুলই সিরিজে বাংলাদেশের বড় আবিষ্কার। ম্যান অব দ্য ম্যাচ তো বটেই, ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও উঠেছে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের হাতে।নতুন শিল্পী সাবা গান গেয়েছেন আসিফ আকবর, কাজী শুভ, বেলাল খান, অনিক সাহান আর ভারতের জুবিন গার্গের সঙ্গে। রয়েছে সাবার গাওয়া একক কণ্ঠের গানও। অ্যালবামের নাম অনলি সাবা। প্রকাশ করেছে সপ্তক অডিও ভিশন। অ্যালবামের গানগুলোর কথা লিখেছেন দেলোয়ার আরজুদা শরফ, রবিউল ইসলাম, অনিক সাহান ও রবী। সুর ও সংগীত করেছেন শিহাব রিপন, নাজির মাহমুদ, মুশফিক লিটু, দৃশান খান ও রাফি।যাত্রাগানের সনাতনী কনসার্ট, বর্ণিল নৃত্য-গীত আর মনমাতানো অভিনয় দেখে মুগ্ধ হলো ঢাকার নাগরিক দর্শক। শিশু-যুবা, নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর উপস্থিতি ছিল শিল্পকলার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। ঢাকার দেশ অপেরা ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই হলে দুই দিনের যাত্রাগানের আয়োজন করে। ‘জাগরণী যাত্রা উৎসব’ শীর্ষক এই আয়োজনে প্রথম দিন ২০ ডিসেম্বর লোকনাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করে ঐতিহাসিক যাত্রাপালা বর্গী এলো দেশে। পালার নির্দেশনা দেন তাপস সরকার। দ্বিতীয় দিন দেশ অপেরা মঞ্চে আনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এ পালার নির্দেশনায় ছিলেন মিলন কান্তি দে। পরদিন একই হলে জয়যাত্রাও সিরাজউদ্দৌলা মঞ্চস্থ করে। এটি দেশ অপেরা আয়োজিত উৎসবের আওতাভুক্ত না হলেও পর পর একই হলে তিন দিন যাত্রাপালার আসর বসাতে দর্শক বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তা উপভোগ করেছেন। নাগরিক জীবনে যাত্রাগানের এই আয়োজন দর্শকের মধ্যে দারুণ উৎসাহ জাগিয়েছে। জয়যাত্রার পালা নির্দেশক ও নাম ভূমিকার অভিনেতা হাবিব সারোয়ার অভিনয় শেষে দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাঁর কাছে বহু দর্শক এমন যাত্রাগান হলে তা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে জয়যাত্রার উদ্যোগে একই হলে যাত্রাবিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অতিথিদের মধ্যে রামেন্দু মজুমদার, এস এম মহসীন, তপন বাগচী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ পরিশীলিত পালা মঞ্চায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিন দিনের যাত্রাগানের প্রথম দিন দেশ অপেরা তিনজন গুণী ব্যক্তিত্বকে অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করায় অনেক নাট্যজন-দর্শক দেশ অপেরার প্রশংসা করেছেন। অনেক দর্শক প্রতিবেদকের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, এমন প্রযোজনায় তিন দিনে তৃপ্তি মেটে না। দর্শক আরও যাত্রা দেখতে চান।যাত্রাশিল্পে এক বছরএ বছর যাত্রাশিল্পে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দুজন শিল্পীর মৃত্যু এবং পুরোনো দলের কয়েকজন মালিকের যাত্রাবিমুখতায় শিল্পাঙ্গনে হতাশা নামে। আসার কথা, কিছু নতুন দলের মালিক শিল্পকলায় নিবন্ধিত হয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ দল গঠন করে মাঠে নেমেছেন, অল্প কজন প্রযোজনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে তিন মাস ধরে যাত্রা চালাচ্ছেন আশুলিয়া ও শিমরাইলে দুটি প্যান্ডেলে জনৈক রমজান আলি মিয়া ও রহম আলী। |
রমনা টেনিস কমপ্লেক্সে আজ শুরু হচ্ছে এটিএফ (এশিয়ান টেনিস ফেডারেশন) অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়া আর খেলছে হংকং ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য এটিএফ র্যাঙ্কিং বাড়িয়ে নেওয়ার এটা একটা দারুণ সুযোগ। বালক ও বালিকাদের একক ও দ্বৈত মিলিয়ে চারটি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে ৩২ জন।ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর থেকে ছিনতাই হওয়া চাল ও ট্রাক আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ১৯ মেট্রিক টন চালের মধ্যে সাত মেট্রিক টন চালসহ একটি পিকআপ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক এবং ওই রাতেই কালনা ফেরিঘাট থেকে পরিত্যক্ত ট্রাকটি উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।ট্রাকমালিক নাটোরের আহসান হাবীব ও পিরোজপুরের চাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, বগুড়া থেকে ১৯ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ট্রাকটি পিরোজপুরের কাউখালী যাচ্ছিল। গত বুধবার গভীর রাতে মহাসড়কের দিগনগর নামক স্থানে পিকআপ দিয়ে ট্রাকটি ব্যারিকেড দিয়ে আটক করে দৃর্বত্তরা। পরে তারা চালক, হেলপার ও ট্রাকে থাকা ব্যবসায়ীকে মারধর করে চোখে মলম দিয়ে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে টেকেরহাটে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।গোপালগঞ্জ ডিবির উপপরিদর্শক সাহাদত হোসেন জানান, শহরের একটি আড়তে চাল নামানোর সময় প্রায় সাত মেট্রিক টন চালসহ একটি পিকআপ আটক করা হয়। এ সময় ছিনতাই চক্রের সদস্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের ইকরাম আলী খন্দকার পালিয়ে যান।বৃহস্পতি যাকে বলে তুঙ্গে। গুন্ডে, ম্যারি কম-এর মতো দারুণ কিছু ছবি আছে হাতে। প্রস্তুতি চলছে জয়া আখতারের পরবর্তী ছবিরও। শুধু অভিনয় নয়, গান দিয়েও দুনিয়া মাত করে দিয়েছেন। অ্যানিমেশন ছবি প্লেন-এ কণ্ঠও দিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সাফল্যের সেই অগ্রযাত্রা ধরে রেখে এবার নিজের প্রযোজন প্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছেন বলে খবর।এখনো অবশ্য এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে প্রিয়াঙ্কার কাছের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। ব্যাপারটি এখনো ভাবনার পর্যায়ে আছে বলেই সেটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এখনই কিছু বলতেও চান না এই বলিউড তারকা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।‘সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন’—লালন সাঁইয়ের এই গান দিয়ে যখন সাধুসঙ্গের শুরু হলো, তখন দুপুর। ভক্তদের ভিড়ে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের দোসপাড়ায় লালন সাঁই বটতলায় সাধুসঙ্গ প্রাঙ্গণ মুখরিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন সাধু গুরু ও বাউল সংগীতশিল্পীরা। বিজয়ের মাসে ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এবারের লালন সাঁই বটতলায় সাধুসঙ্গের উদ্বোধন হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর কেবল লালনের গান আর বাণীর কলতান। ‘সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন’ গানটির সূচনা হলো উদ্বোধনের পর সাধুসঙ্গের শুরুতেই।প্রতিবছর লালন সাঁই বটতলায় দুই দিনব্যাপী সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়। আসেন খ্যাত-অখ্যাত নানা শিল্পী। তবে এবার দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দুই দিনের পরিবর্তে এক দিনের সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়। সাধুসঙ্গের আসরটি প্রথম দিকে দিনের বেলায় শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে দর্শকের দাবির মুখে সেই আসর গড়াল সন্ধ্যা পেরিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত।বেলা আড়াইটায় উদ্বোধনের পর শুরু হয় গান। এভাবে দুপুর পেরিয়ে বিকেল, সন্ধ্যা; তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে আসর শেষ হলে দেখা গেল ঘড়ির কাঁটায় রাত একটা। দর্শকদের আবদার, তখনো চলবে গান। শেষ পর্যন্ত ‘মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষের সনে’ সম্মিলিত কণ্ঠে লালনের এ গানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো সাধুসঙ্গ। আয়োজক সূত্রে জানা যায়, সাধুসঙ্গের এবারের আসরে মোট ২০ জন সাধুগুরু ও বাউলশিল্পী গান পরিবেশন করেন। তাঁরা হলেন আরিফ বাউল, বাউল খায়রুল বাশার, মোসলেম ফকির, হানিফ সাঁই, আজগর আলী সাঁই, মৌসুমী আক্তার, তকবির বাউল, নাহিদা পারভিন, বাউল গোলাপি, সাইদুল বাউল, সুকুমার বাউল, কাঙ্গাল বন্ধু মহান বাউল, সামাদ বাউল, কবির হোসেন ও পদ্ম হেমধামের শিক্ষার্থী মীম। এর আগে দুপুর ২ টায় লালন সাঁই বটতলায় সাধুসঙ্গের আয়োজক লালন চর্চা কেন্দ্র ‘পদ্ম হেমধাম’-এর সভাপতি সাংবাদিক কবির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে সাধুসঙ্গকে কেন্দ্র করে বটতলার পাশেই মাঠে বসেছিল মেলা। মেলায় নানা দ্রব্যের পসরা আর বাউলদের কণ্ঠে মরমি গান—সব মিলিয়ে সেদিন সাধুসঙ্গের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মুগ্ধতায় বিভোর, অন্য রকম ভালো লাগায় মুখর! |
ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই দিনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।চিকিৎসাকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের কয়েকটি আবাসিক হলের কিছু শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এর প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। দুই দিনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফজলুল হক হলের উজ্জ্বল, কবীর, বিলাস, রনি, শরীফ, মামুন, কামরুলসহ ২৫ জন; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের হাতেম, অনিক, নাহিদ, জুনায়েদ, কায়ছার, শিহাব, মারুফ, ইউনুসসহ প্রায় ১০ জন; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের শিপন, তুহিনসহ ১৫ জন; শহীদ জামাল হোসেন হলের পাঁচজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি হওয়ায় সাতজনকে ময়মনসিংহ কলেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থী হাতেম আলী বলেন, ‘গত রোববার রাতে আমি জব্বার মোড়ে একটি হোটেলে খাবার খাই। এর পর থেকে আমার পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ফজলুল হক হলের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত হলের ডাইনিংয়ে খাই না। তবে সোমবার রাতে ডাইনিংয়ের খাবার খাওয়ার পর পেটে সমস্যা দেখা দেয়।’হল ডাইনিং, জব্বার মোড় ও শেষ মোড়ের হোটেলগুলোতে নিম্নমানের ও পচা-বাসি খাবার পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি হোটেলের মালিক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁদের কিছু কর্মচারীও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপাচার্য মো. রফিকুল হক বলেন, হলের খাবারের মান উন্নত করতে হল প্রভোস্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দুই দিন পর ফাইনাল। অথচ গুয়াংজু এভারগ্রান্দে মাঠে গিয়ে দেখল পর্যাপ্ত আলো নেই। অন্ধকারে তো আর ফুটবল অনুশীলন করা যায় না! তাই খেপেটেপে গুয়াংজু কোচ মার্সেলো লিপ্পি দল নিয়ে ফিরে গেলেন হোটেলে। শেষ পর্যন্ত হোটেলের ভেতরেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করালেন। কিন্তু উপলক্ষটা যখন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, তখন এমন বিপত্তি মেজাজ গরম করে দেয়। বিখ্যাত ইতালিয়ান কোচের উষ্মা, ‘আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে কখনো এমনটা দেখিনি।’ এতসব কাণ্ড হয়েছে সিউলে। তবে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, সেই এফসি সিউল দাবি করেছে, তারা নিজেদের সাধ্যমতোই চেষ্টা করেছে। আজই সেখানে স্বাগতিকদের সঙ্গে প্রথম লেগের ম্যাচটা খেলবে চীনের ক্লাব গুয়াংজু। এএফপি।সলিল চৌধুরী তৈরি করেছেন অসংখ্য গণসংগীত। সুর দিয়েছেন আধুনিক বাংলা গানসহ ভারতের বাংলা, হিন্দি ও মালয়ালাম চলচ্চিত্রের গানে। করেছেন সংগীত পরিচালনাও। কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক গানে। ১৯ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই মহান সুরস্রষ্টার মৃত্যুর ১৮ বছর পূর্ণ হলো গত ৬ সেপ্টেম্বর। এবার তাঁর গান আর কাজের বিস্তৃত সম্ভারকে দুই মলাটের মধ্যে আনা হলো। আর এই উদ্যোগ নিয়েছেন সলিল চৌধুরীর পরিবার। বইটির নাম সলিল রচনা সংগ্রহ।সম্প্রতি সলিল রচনা সংগ্রহ বইয়ের মোড়ক খুললেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সলিল চৌধুরীর স্ত্রী সবিতা চৌধুরী, মেয়ে অন্তরা চৌধুরী, শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে। মোড়ক খোলার পর ছিল প্রখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় সলিল চৌধুরীর গান আর তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা।পেট্রলবোমায় দগ্ধ হওয়া ট্রাকচালক মো. শাহীন (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর মামাতো ভাই খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ বুধবার রাত এগারোটা ১০ মিনিটে শাহীন মারা যান।এর আগে একই ঘটনায় দগ্ধ শাহীনের সহযোগী মাজেদুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারা যান।গত শনিবার রাতে নওগাঁ থেকে কুমিল্লার দিকে সবজিবোঝাই ট্রাক নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলেন শাহীন ও মাজেদুল। মাঝপথে সিরাজগঞ্জের বাইনাগাতি এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইট মেরে ট্রাকের কাচ ভেঙে দেয়। পরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে ট্রাকটি সড়কের নিচে পড়ে যায়। পরে দাউদাউ করে জ্বলে উঠা আগুনে শাহীনের শরীরের ৭০ ভাগ আর মাজেদুল ৯০ ভাগ দগ্ধ হন।স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর গতকাল রাতেই তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।নিহতের ভাই মো. শাহাদাত্ বলেন, চার ভাই-বোনের মধ্যে শাহীন বড়। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। ১০ বছর ধরে গাড়িতে কাজ করেন। অবরোধের কারণে বেশ কয়েকদিন গাড়ি চালাননি। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য টাকার দরকার। তাই শনিবার কাজে গিয়েছিলেন। পরিবারের ভরণ-পোষণের প্রায় পুরোটাই ছিল শাহীনের কাঁধে।নিহতের বাবার নাম মকবুল শাহ। মা সাহারা বিবি। গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর থানার বাঘাছড়া গ্রামে।রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে ২৬ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত পেট্রলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসা অন্তত ১৩৩ জনের মধ্যে ১৯ জন মারা গেছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন তিনজন। এ ছাড়া গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে পুলিশের রিকুইজিশন করা বাসে পেট্রলবোমায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ফেরদৌস খলিল (৪২)। মারাত্মক দগ্ধ হন আরেক কনস্টেবল ফাইজুল ইসলাম ও চালক বায়েজিদ খান। |
কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে অবস্থিত প্রেক্ষাগৃহ দিপীকা ও দিপালী রক্ষার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন। বিকেল চারটায় দিপীকা মার্কেট দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে প্রেক্ষাগৃহের সামনে ওই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে সিনেমা হল ও দোকানপাট রক্ষার দাবি জানান।নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লানড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরে গতকাল শুক্রবার একই সময়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পৃথক মিছিল সমাবেশ হয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন বর্তমান সাংসদ এস কে আবু বাকের। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আবদুল হান্নান।সাংসদ বাকেরের নেতৃত্বে লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বর থেকে দুপুর ১২টায় মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুন্দশী চৌরাস্তায় পথসভা হয়। এতে সাংসদ ছাড়াও বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুন্সী আলাউদ্দীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বনি আমিন প্রমুখ।এদিকে চেয়ারম্যান আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে পথসভা হয়। এতে চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বি এম হেমায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুর আমির ও মতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।বহুনির্বাচনি প্রশ্ন অংশ-৬প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। আজ বাংলা ২য় পত্রের কিছু বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।সন্ধি৬. স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে কী সন্ধি বলে?ক. বিসর্গ সন্ধি খ. স্বরসন্ধিগ. ব্যঞ্জনসন্ধি ঘ. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধিসঠিক উত্তর: খ. স্বরসন্ধি৭. খাঁটি বাংলায় কোন সন্ধি নেই?ক. বিসর্গ সন্ধি খ. বাংলা সন্ধি গ. স্বরসন্ধি ঘ. ব্যঞ্জনসন্ধিসঠিক উত্তর: ক. বিসর্গ সন্ধিপুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ১. ‘তিনি’ কোন পুরুষের রূপ?ক. মধ্যমপুরুষের খ. নামপুরুষের সাধারণ রূপগ. নামপুরুষের সম্ভ্রামাত্মক রূপ ঘ. উত্তম পুরুষের রূপসঠিক উত্তর: গ. নামপুরুষের সম্ভ্রামাত্মক রূপ২. ‘নাটিকা’ কোন অর্থে স্ত্রীবাচক শব্দ?ক. সমার্থে খ. ক্ষুদ্রার্থে গ. বৃহদার্থে ঘ. বিপরীতার্থেসঠিক উত্তর: খ. ক্ষুদ্রার্থে৩. বাংলা ব্যাকরণে পুরুষ কত প্রকার?ক. তিন খ. চার গ. দুই ঘ. পাঁচসঠিক উত্তর: ক. তিন৪. মধ্যমপুরুষ ও নামপুরুষের ক্রিয়ারূপ অভিন্ন থাকে—ক. ভবিষ্যৎকালে খ. অতীতকালেগ. বর্তমানকালে ঘ. বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালেসঠিক উত্তর: ক. ভবিষ্যৎকালেদ্বিরুক্ত শব্দ ও সংখ্যাবাচক শব্দ১. দ্বিরুক্ত শব্দগুলো কত প্রকার?ক. তিন প্রকার খ. দুই প্রকার গ. এক প্রকার ঘ. ছয় প্রকারসঠিক উত্তর: ক. তিন প্রকার২. বিভক্তিযুক্ত পদের দুবার ব্যবহারকে কী বলা হয়?ক. পদাত্মক দ্বিরুক্তি খ. অনুকার দ্বিরুক্তিগ. বাক্যের দ্বিরুক্তি ঘ. ধনাত্মক দ্বিরুক্তিসঠিক উত্তর: ক. পদাত্মক দ্বিরুক্তি৩. ‘আমি আজ জ্বরজ্বর বোধ করছি’—এখানে দ্বিরুক্ত শব্দ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?ক. সামান্য খ. আধিক্য গ. আতিশয্য ঘ. ধারাবাহিকতাসঠিক উত্তর: ক. সামান্য৪. ‘আমার জ্বরজ্বর লাগছে’—কোন শব্দের উদাহরণ?ক. দ্বিরুক্ত শব্দ খ. দেশি শব্দ গ. তদ্ভব শব্দ ঘ. তৎসম শব্দসঠিক উত্তর: ক. দ্বিরুক্ত শব্দ৫. ‘বাবুল হাড়ে হাড়ে শয়তান’—এখানে ‘হাড়ে হাড়ে’ কী অর্থ প্রকাশ পেয়েছে?ক. দুষ্ট অর্থ খ. আধিক্য গ. সতর্কতা ঘ. সময়সঠিক উত্তর: খ. আধিক্যবচন১. বচন অর্থ কী?ক. সংখ্যার ধারণা খ. গণনার ধারণাগ. ক্রমের ধারণা ঘ. পরিমাণের ধারণাসঠিক উত্তর: ক. সংখ্যার ধারণা২. একবচন ও বহুবচনভেদে বিভক্তিগুলোর কী ধরনের পার্থক্য দেখা যায়?ক. অর্থগত খ. আকৃতিগত গ. উচ্চারণগত ঘ. অবস্থানগতসঠিক উত্তর: খ. আকৃতিগত৩. কেবল কোন কোন পদের বচনভেদ হয়?ক. বিশেষ্য ও সর্বনাম খ. সর্বনাম গ. অব্যয় ঘ. বিশেষণসঠিক উত্তর: ক. বিশেষ্য ও সর্বনাম৪. ‘বচন’ ব্যাকরণের কী জাতীয় শব্দ?ক. পারিভাষিক খ. তৎসম গ. তদ্ভব ঘ. বিদেশিসঠিক উত্তর: ক. পারিভাষিক৫. কিসের ভেদে ক্রিয়ার রূপের কোনো পরিবর্তন হয় না?ক. কালভেদে খ. বচনভেদে গ. পুরুষভেদে ঘ. বর্ণনাভেদেসঠিক উত্তর: খ. বচনভেদেপদাশ্রিত নির্দেশক১. যে প্রত্যয় নির্দিষ্টতা বোঝায়, তার নাম কী?ক. পদাশ্রিত নির্দেশক খ. সংখ্যা গ. বচন ঘ. উৎসর্গসঠিক উত্তর: ক. পদাশ্রিত নির্দেশক২. পদাশ্রিত নির্দেশক সর্বনামের পর টা, টি যুক্ত হলে তা কী হয়?ক. সুনির্দিষ্ট হয় খ. অনির্দিষ্ট হয় গ. নিরর্থক হয় ঘ. ভুল অর্থেসঠিক উত্তর: ক. সুনির্দিষ্ট হয়।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাআগামী মাসে মঞ্চে আসছে থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীর দ্বিতীয় প্রযোজনা প্রথম পার্থ নাটকটি। বুদ্ধদেব বসুর লেখা নাটকটির নির্দেশনায় আছেন জয়িতা মহলানবীশ। এখানে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করছেন তানিয়া হোসাইন। আজকের পাঁচ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শফিক আল মামুন থিয়েটার স্কুলের প্রাক্তনীর ব্যাচ ২৪টি। নাটকটিতে কোন কোন ব্যাচের ছেলেমেয়েরা কাজ করছেন?ওইভাবে আলাদা করে নেওয়া হয়নি। প্রাক্তনী পুরো ব্যাচের ছেলেমেয়েদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। যাঁরা সময় বের করতে পেরেছেন, যাঁরা আগ্রহী, কেবল তাঁরাই নাটকটিতে কাজ করছেন। অভিনয়, নির্দেশনা থেকে শুরু করে নাটকটি মঞ্চে ওঠা পর্যন্ত পুরো বিষয়টিতেই থিয়েটার স্কুলের প্রাক্তনীরা কাজ করছেন।প্রাক্তনীদের নিয়ে কখন ইচ্ছা হলো এ ধরনের কাজ করতে?এর আগে আমরা থিয়েটার স্কুলের প্রাক্তনীদের নিয়েওয়েটিং ফর গডো করেছি। এখনো মঞ্চে আছে নাটকটি। আমরা থিয়েটার স্কুল থেকে যাঁরা বের হয়ে থিয়েটার, নাগরিক, প্রাচ্যনাটসহ একাধিক দলে কাজ করছি, তাঁরাই প্রাক্তনীর ব্যানারে এক হয়ে নাটক মঞ্চে আনছি। ফলে স্কুলটি সম্পর্কে মানুষজন আরও বেশি জানতে পারচ্ছেন। নাটক শিক্ষার স্কুলটি আরও এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা বিভিন্ন দল থেকে এসে একসঙ্গে কাজ করতে পারছি।এ প্রযোজনাটিও কি নিয়মিত মঞ্চে থাকবে?হ্যাঁ, এ নাটক নিয়ে আমাদের স্বপ্ন অনেক। নাটকটি নিয়মিতই করতে চাই। ঢাকার বাইরেও নাটকটি নিয়ে সফর করব। এর আগে ওয়েটিং ফর গডো নাটকটির দেশের বাইরে ভারতেও তিনটি প্রদর্শনী হয়েছে। এ নাটকটিরও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করার ইচ্ছা আছে।থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনী একটা সম্মিলিত বিষয়। কিন্তু আপনার নিজ দল নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের বাইরে গিয়ে পালাকার স্টুডিও থিয়েটারের‘নারীগণ’ নাটকটিতে অভিনয় করছেন। সে ক্ষেত্রে দল থেকে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি?না, কোনোই অসুবিধা হচ্ছে না। দলের কার্যক্রম ঠিক রেখে অন্য দলে কাজ করতে দলে কোনো বাধা নেই। এখন তো থিয়েটারের সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আগে এক দলে কাজ করলে অন্য দলের নাটকে কাজ করা যেত না। এখন সেই জায়গা তৈরি হয়েছে।বেশ অনেক দিনই নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের কোনো নাটকে কাজ করতে দেখা যায়নি আপনাকে। কেন?দলে এখন শুধু রক্তকরবী নাটকটি নিয়মিত মঞ্চায়ন হচ্ছে। দলে ঘাসিরাম কোতোয়াল নাটকটিতে আমি সর্বশেষ অভিনয় করেছি। নাটকটি নিয়মিত মঞ্চায়ন হচ্ছে না। ত্রয়লাস ও ক্রেসিদা নাটকটিতে আমি অভিনয় করতাম। আবার মঞ্চে আনার জন্য মহড়া শুরু হয়েছিল নাটকটির। কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দলে এখন আমার কাজেরও সুযোগ হচ্ছে না। |
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব থেকে নরসিংদী এবং ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে গত এক বছরে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাতে চার অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে গেছে। ওই সময়ে অর্ধশতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অনেকে আহত হন। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য থামাতে পুলিশের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়ে না।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর ও নরসিংদীর ৪০ কিলোমিটার সড়কপথে অটোরিকশার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দুই বছর ধরে অপরাধী চক্রের দৃষ্টি পড়েছে ছোট ও হালকা এই যানটির ওপর। ওই চক্রের সদস্যরা যাত্রীবেশী এবং ভৈরবকেন্দ্রিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চালকও চক্রের সদস্য। তারা টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার পরও ছুরিকাঘাত করে যাত্রীদের সড়কে ফেলে দেয়।জানতে চাইলে অটোরিকশাচালকদের সংগঠন ভৈরব শ্রমজীবী একতা সমিতির সভাপতি মামুন মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন কোনো না কোনো অটোরিকশা ছিনতাইকারীর কবলে পড়ছে। তবে পুলিশের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়ছে না। জীবনের প্রয়োজনে ভ্রমণ করতে হলেও যাত্রীরা অটোরিকশাকে এখন আর নিরাপদ মনে করছেন না। স্বস্তিতে নেই চালক পরিবারের সদস্যরাও। তাই আন্দোলনে যাওয়ার কথা চিন্তা করছি।’সর্বশেষ গত শুক্রবার সকালে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সররাবাদ এলাকায় অটোরিকশাচালক শাহদাত হোসেনের (৩০) মৃতদেহ পাওয়া যায়। শাহদাতের বাড়ি ভৈরবের মিরারচর এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, গত শনিবার ছিনতাই চক্রের কয়েকজন সদস্যকে ধরা হয়েছে। বাকিদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর (ভৈরব সেতু) ওপর অটোরিকশার যাত্রী সিঙ্গাপুরপ্রবাসী রুমান মিয়ার (২৬) কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ছুরিকাঘাত করে সেতুর ওপর থেকে তাঁকে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই রুমানের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চান্দুপুর গ্রামে।২০ মে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ভুরবুরিয়া গ্রামের একটি সড়কে অটোরিকশাচালক ফালাগুনি মিয়ার (১৮) লাশ পাওয়া যায়। তিনি জেলার রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর পূর্বকান্দি গ্রামের আ. লতিফের ছেলে। ২৯ আগস্ট কুলিয়ারচর শহরের বেইলি সেতুর কাছ থেকে মহিউদ্দিন বাবু (১৭) নামের আরেক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের পঞ্চবটী মহল্লায়।১ আগস্ট উপজেলার চানপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক খলিলুর রহমান ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন। পরে বেলাব উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের কাঁচা সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরাফত আলী বলেন, এসব চক্রের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও ভৈরব এলাকার। তাই নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে এদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।মালদ্বীপের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ দাবি করেছেন, তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন। তাঁর এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ।পুলিশের মুখপাত্র আবদুল্লাহ নওয়াজ বলেন, ‘অভিযোগটি করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আমরা এ অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছি।’নওয়াজ বলেন, নাশিদকে সম্প্রতি জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর (এমএনডিএফ) পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকা প্রার্থী নাশিদের কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তাদের কাছে খবর আছে যে মোহাম্মদ নাশিদকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত আল-কায়েদার দুই কর্মী ইতিমধ্যে রাজধানী মালেতে এসে পৌঁছেছেন।সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ ২০ মাস আগে ক্ষমতাচ্যুত হন। এএফপি।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, আগামী বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংলাপ আবার শুরু হতে পারে।ইসলামাবাদে গত শনিবার এক সম্মেলনে নওয়াজ এ কথা বলেন। তাঁর ওই বক্তৃতা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। নওয়াজ বলেন, তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) ‘অবস্থান’ হলো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো। তিনি দুই দেশের মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানান।নওয়াজ বলেন, কাশ্মীর ইস্যুসহ বিরাজমান সব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে দুই দেশের আলোচনায় বসা উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করেন, ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। পিটিআই।গাজীপুরের শ্রীপুরের ওয়েল টেক্স নামের পোশাক কারখানার ফটকে অপারেটর মজিবুর রহমানের একটি ছবি ঝুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। তিনি যেন কারখানায় প্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্যই এ ব্যবস্থা। একই কারখানার লিপি আক্তারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে রাখে মালিকপক্ষ।পোশাকশ্রমিক মজিবুর ও লিপির দোষ হচ্ছে, তাঁরা ওয়েল টেক্স কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করতে চেয়েছিলেন। একই অভিযোগে ৭৮ জন শ্রমিককে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করে কারখানায় ঢুকতে দিচ্ছে না বেসিক অ্যাপারেলস। নারায়ণগঞ্জের সোয়েব নিট কম্পোজিটের ৪৪ ও রেডিক্যাল ডিজাইনের ২৫ এবং গাজীপুরের ডরিন ওয়াশিং প্ল্যান্টের ১৪ জন শ্রমিকেরও একই অবস্থা। অন্যদিকে ইউনিয়ন করার অভিযোগে নয় শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপ।এভাবেই দেশের তৈরি পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমসংঘ করতে মালিকপক্ষের নির্যাতন ও চাকরিচ্যুতির খড়গের মুখে পড়ছেন শ্রমিকেরা। অধিকাংশ পোশাকমালিকই চাচ্ছেন না, তাঁর কারখানায় ইউনিয়ন হোক। আর সে জন্যই শ্রমিকেরা ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলে সেটি ঠেকাতে নানা পন্থা ও কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা।সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সাতটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করতে গিয়ে শ্রমিকেরা নির্যাতন, চাকরিচ্যুতি, মামলাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে—এমন অভিযোগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ই-মেইল করেছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।এ ছাড়া গত ১৯ নভেম্বর জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (এনজিডব্লিউএফ) শ্রম মন্ত্রণালয়েও একটি লিখিত দিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়, নিবন্ধন পাওয়া পাঁচটি ও নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া দুটি কারখানার মোট ১৮১ জন ইউনিয়নের নেতা ও সদস্য শ্রমিককে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুতি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাগজপত্রে এই শ্রমিকের স্বাক্ষর নিয়েছে মালিকপক্ষ।এনজিডব্লিউএফের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়ার পর এক মাস পার হয়ে গেছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ সঠিক।’জানতে চাইলে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়ন করতে গেলেই শ্রমিকেরা সমস্যায় পড়ছেন। কেউ কেউ হামলার শিকারও হচ্ছেন। চাকরিচ্যুতি ঘটনা তো অহরহ। আসলে শ্রমিকদের ওপর একধরনের অদৃশ্য চাপ রয়েই গেছে।দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পোশাকশিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর এটি আবার আলোচনায় আসে। এদিকে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে আমেরিকা গত জুনে বাংলাদেশকে দেওয়া রূপরেখায় কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নতির পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে জোর দেয়।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউনিয়ন হলে শ্রমিকদের সমস্যা, চাহিদা ও দাবি নিয়ে দর-কষাকষি হবে। এতে একচেটিয়াভাবে কারখানা আর চালানো যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সব দিক দিয়ে বঞ্চিত করার প্রবণতা থেকেই মালিকেরা ইউনিয়ন করতে বাধা দেন। অনেক সময় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন।’যেভাবে বাধা তৈরি: প্রতিবেদনের শুরুতে মজিবুর রহমান ও লিপি আক্তারের কথা বলা হয়েছে। তাঁরা দুজন ওয়েল টেক্স কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। সাত-আট মাস আগে ইউনিয়ন করার জন্য কারখানার এক হাজার ২০০ শ্রমিকের মধ্যে ৫৭০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম পরিচালকের কাছে আবেদন করেন।তবে প্রথম দফায় মালিকপক্ষের তৎপরতায় প্রক্রিয়াটি ভেস্তে যায়। পরে আবার ৩৫ জন শ্রমিকের স্বাক্ষর নিয়ে আবেদন করেন মজিবুর ও লিপি। এবার জাতীয় গামেন্ট শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম হস্তক্ষেপ করলে গত ২৭ অক্টোবর নিবন্ধন পায় কারখানা ইউনিয়নটি। অবশ্য এর খেসারত হিসেবে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুরসহ তিনজন চাকরি হারান। এ ছাড়া সভাপতি লিপি আক্তারসহ প্রায় ১৬ জন শ্রমিককের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় মালিকপক্ষ।কারখানাটির ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের অভিযোগ, ‘ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই মালিকের লোকজন আমাদের নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর কারখানায় ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষী ঢুকতে দেন না। আমার একটি ছবি গেটে লাগিয়ে রাখা হয়। সাত-আট দিন পর্যন্ত সেটি ছিল।’ তিনি জানান, বিজিএমইএতে ওই দিনই বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।অন্যদিকে সভাপতি লিপি আক্তার বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার মাথার টিউমার অপারেশন হয়। তাই আমি ছুটিতে। ৯ নভেম্বর আমাকে ডেকে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। আমি স্বাক্ষর করতে না চাইলে মালিকের লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। তারা বলেন আমার স্বামী-সংসার আছে। তাদের ভালোর জন্যই আমার স্বাক্ষর করা দরকার।’ওয়েল টেক্সের বিষয়টি মার্কিন দূতাবাস মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ই-মেইলে থেকেও সত্যতা মিলে। এতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর মালিকপক্ষ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে শ্রমিকদের শাসিয়ে দেয়। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করে। ২৩ অক্টোবর সাধারণ সম্পাদকসহ দুজন কাজ করতে গেলে কারখানায় ব্যবস্থাপক টিপু বলেন, তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।এ ছাড়া মার্কিন দূতাবাসের ই-মেইলের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের গ্লোবাল ট্রাউজারের শ্রমিকেরা যাতে ইউনিয়ন করতে না পারেন, সে জন্য হাইকোর্ট থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা নিয়েছে মালিকপক্ষ। পরে সেটি আবার ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় শ্রমিকেরা ইউনিয়ন করতে পারছেন না। এটি বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের মালিকানাধীন।আরেক কারখানা সাদিয়া গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ইউনিয়ন ঠেকাতে নিজেদের পছন্দের লোকজন দিয়ে নতুন ইউনিয়ন গঠনের কৌশল নিয়েছে। এ ছাড়া ই-মেইলে বেসিক অ্যাপারেলস, মাসকো, ঈগল আইস ডিজাইন ও রুমানা ফ্যাশনে (ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপ)ইউনিয়ন করতে শ্রমিকেরা সমস্যা পড়েন বলে অভিযোগ করা হয়।বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়নের আগের ইতিহাস ভালো ছিল না বলেই মালিকেরা ভয় পাচ্ছেন। তার পরও কোনো কারখানার শ্রমিকেরা গঠনমূলক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করে ইউনিয়ন চাইলে আমরা স্বাগত জানাব। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করলে মালিকদের বোঝাব।’বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, সমিতির কার্যালয়ে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হবে। সেখান থেকে মালিকেরা এ বিষয়ে জানতে পারবেন। জিএসপি ও পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ইউনিয়ন গঠনে কোনো বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। |
জার্মানি মনে করে, তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর মতো বিষয়কে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। এর জন্য প্রতিবছর পোশাকশ্রমিকদের বেতন মূল্যায়নের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য।ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ পরামর্শ দেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, পোশাকশিল্পে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই জার্মানিসহ ইউরোপের ক্রেতারা খতিয়ে দেখবেন, রানা প্লাজা ধসের পর কর্মপরিবেশের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে।বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অন্যতম প্রধান ক্রেতা হিসেবে চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে জানতে চাইলে আলব্রেখট কনজে বলেন, এ শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, অন্য শিল্পের শ্রমিকদের তুলনায় তাঁদের নিম্নতম মজুরি অনেক কম। তাঁর প্রত্যাশা মালিক ও শ্রমিকেরা আলোচনার মাধ্যমে সুরাহায় পৌঁছাবেন।জার্মান রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের চলমান অসন্তোষকে একই সঙ্গে ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’ ও ‘ধোঁয়াশাময়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় হচ্ছে এমন একটি কাঠামো গড়ে তোলা, যাতে করে প্রতিবছর বেতনের হার পর্যালোচনা করা যায়। এতে কয়েক বছর পর বিপুল পরিমাণে বেতন বাড়াতে হবে না।১৯৪৫ সালে দোচারখে সাভারান (সাইকেল-আরোহী) নামে যাত্রা শুরু করেছিল এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত ক্লাব ইস্তেগলাল (স্বাধীনতা)। সাইক্লিংয়ের প্রতি আগ্রহটা বেশি থাকাতেই ইরানিয়ান ক্লাবটির এই নামকরণ।সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র সাগরে নিরাপদে ধ্বংস করা সম্ভব বলে মত দিয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে কাজ করা সংস্থা ওপিসিডব্লিউ।সংস্থাটির মহাপরিচালক আহমেদ উজুমসু কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ অভিমত দিয়েছেন।এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।ওপিসিডব্লিউ জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রায় ৭৯৮ টন রাসায়নিক পদার্থ এবং ৭৭ লাখ লিটার নিঃসৃত তরল ধ্বংস করতে হবে।রুশ-মার্কিন উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুযায়ী আগামী মাসের মধ্যে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার স্থানান্তর ও ধ্বংস করতে হবে।ওপিসিডব্লিউর মহাপরিচালক উজুমসু বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস বা পরিবহনের প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন অনুসরণ করা হবে। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাহাজ বা মাটিতে স্থাপন করা যেতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা এমন কিছু রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের যন্ত্রপাতি রয়েছে।সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গত আগস্টে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে। এরপর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক হামলার প্রস্তুতি নেয়। তবে একপর্যায়ে কূটনীতিকে শেষ সুযোগ দিয়ে হামলা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা হয়। এর অংশ হিসেবে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কোনো দেশই নিজেদের মাটিতে এসব অস্ত্র নিতে রাজি হচ্ছে না। এএফপি।স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ মাস পর চাকুরি হারানো ২৬৪ জন তৈরি পোশাক শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পেলেন। তাঁদের প্রত্যেককে তিন মাসের মজুরির সমপরিমাণ ১৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন আহত শ্রমিক পাঁচ লাখ করে মোট ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। স্পেনভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘ইনডিটেক্স’ এই ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়েছে।প্রসঙ্গত, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের পাশে স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি। এ ঘটনায় সাত নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হন। গুরুতর আহত হন ২৪ জন পোশাক শ্রমিক। কারখানাটি নিজেদের সদস্য না হওয়ায় শুরুতে দায়দায়িত্ব নেয়নি বিজিএমইএ।তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কার্যালয়ের নুরুল কাদের মিলনায়তনে গতকাল বুধবার স্মার্ট গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সাভারের স্পেকট্রাম কারখানা ধসে আহত দুই শ্রমিককে ৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের এপ্রিলে স্পেকট্রামের ঘটনায় ৬৪ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন প্রায় ৮০ জন।ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর বর্তমান সহসভাপতি রিয়াজ-বিন-মাহমুদ. সাবেক সহসভাপতি ফারুক হাসান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিয়ন বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব রায় রমেশ চন্দ্র, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। |
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নীলফামারী ও রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা। লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে নীলফামারী স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে অবস্থিত বিদ্যুতের সাব-স্টেশন কার্যালয়ে গত সোমবার রাতে হামলা চালিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের অভাবে সেচ দিতে না পেরে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।নীলফামারী বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় এবং সিস্টেম মনিটরিং কক্ষ স্কাডা ঢাকা থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধ করা হলে তা কখন আসবে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কিছু জানাতে পারছেন না।নীলফামারী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে গোটা জেলায় জনদুর্ভোগের পাশাপাশি শিল্পকারখানা-গুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে নীলফামারী স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে অবস্থিত বিদ্যুতের সাব-স্টেশন কার্যালয়ে গত সোমবার হামলা চালান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নীলফামারী বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ বলেন, সরবরাহ কম হওয়ার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তার ওপর আবার স্কাডা থেকে হঠাৎ করে লাইন বন্ধ করা হচ্ছে। ২২ সেপ্টেম্বর স্কাডা থেকে চারবার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পিক আওয়ারে যখন বিদ্যুতের প্রয়োজন ১৬ মেগাওয়াট, তখন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১১-১২ মেগাওয়াট। এ দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু নীলফামারী জেলার সংযোগটি স্কাডার আওতায় থাকায় সমস্যাটা এখানে বেশি হচ্ছে বলে জানান তিনি।বদরগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, ভ্যাপসা গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন খেত পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে বিদ্যুতের অভাবে জমিতে সেচ দিতে না পেরে আমন আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দিনে ও রাতে পাঁচ ঘণ্টা করেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।উপজেলার আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক আমিনুল হক বলেন, দিনের বেলায় গড়ে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে পাওয়া যায় দুই-তিন ঘণ্টা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে গত সোমবার তাঁদের গ্রামের কৃষক শহিদুল হকের বৈদ্যুতিক মোটর পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।ট্র্যাক্সেরহাট গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মোহসিন আলী বলেন, ‘গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা। এই সময়ে ওরা (বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ) হামাদের সাথে শয়তানি শুরু করছে।’রাধানগর খামারপাড়া গ্রামের কৃষক মহেবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমন চাষ করা হয়। এবার আবাদের শুরু থেকেই তেমন বৃষ্টি নেই। ফলে সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে আমন আবাদ। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে কৃষকেরা সেচও দিতে পারছেন না।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রংপুর-২-এর বদরগঞ্জ এলাকার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাকির হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় দৈনিক গড়ে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু এর বিপরীতে দুই দিন ধরে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে গড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে, তা বলা মুশকিল বলে জানান তিনি।মাঠের বা টিভির দর্শকের অনেকেরই চোখে পড়েনি ঘটনাটা। তবে মাঠের আম্পায়ারদের চোখ এড়ানো তো সহজ নয়। রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও ব্রুস অক্সেনফোর্ডের নজরে ঠিকই ধরা পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। দুই আম্পায়ার রিপোর্টও করে দেন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের কাছে। ম্যাচ রেফারির কাছে দোষ স্বীকার করেন তামিম। তবে পার পাননি জরিমানা থেকে। আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-২ ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে বাংলাদেশের ওপেনারকে।ঘটনা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের। নিউজিল্যান্ডে ইনিংসের ২৪তম ওভারে ফিল্ডিংয়ে নিজের জায়গায় যাওয়ার সময় ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে কাঁধের হালকা গুঁতো দিয়ে যান তামিম। আইসিসির আচরণবিধির ২.২.৪ ধারা অনুযায়ী মাঠে ইচ্ছাকৃত শারীরিক সংঘাতের অভিযোগ আনা হয় তামিমের বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় প্রয়োজন হয়নি পূর্ণাঙ্গ শুনানির। এর আগে ২০১১ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে অসদাচরণের জন্য তিরস্কার শুনতে হয়েছিল তামিমকে। মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়ানোয় ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ম্যাচ বহিষ্কার করা হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারিতে।আফগানিস্তানের উপজাতীয় বিভিন্ন গোত্রের নেতাদের সর্বোচ্চ পরিষদ লয়া জিরগায় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপত্তা চুক্তি অনুমোদন করেছে। চুক্তিটি অবিলম্বে সই করতে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ।দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সমঝোতা (বিএসএ) চুক্তির মূল বিষয় হচ্ছে, ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ভূমিকা কেমন হবে, তা নির্ধারণ করা। এ চুক্তির আওতায় ন্যাটো বাহিনী চলে গেলেও মার্কিন সেনারা থাকতে পারবে। এর আগে কারজাই বলেছিলেন, আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ওই চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।বৃহস্পতিবার শুরু লয়া জিরগার বৈঠকে অংশ নেন আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোত্রের দুই হাজারের বেশি নেতা। চার দিনব্যাপী বৈঠক গতকাল শেষ হয়। পরে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত পড়ে শোনানো হয়।২০১৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই চুক্তিটিতে সইর করতে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করছে লয়া জিরগা। এর আগে লয়া জিরগায় সমাপনী ভাষণে কারজাই বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত ওই চুক্তিতে তাঁর সইয়ের আগে আফগানিস্তানে শান্তি আনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এএফপি ও রয়টার্স।গুদামজুড়েই চা-পাতা ভর্তি বস্তা। তাতেও সব চা-পাতার ঠাঁই হয়নি। বস্তা রাখা হয়েছে গুদামের বাইরে, কারখানার ভেতরের ফাঁকা জায়গাতেও। যেন কারখানাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বস্তার স্তূপ।মৌলভীবাজার জেলার লংলা ভ্যালির রাজনগর চা-বাগানের কারখানার চিত্র এটি। টানা অবরোধে চট্টগ্রামের নিলামে চা-পাতা পাঠানো পারছে না কর্তৃপক্ষ। তাই বলে তো আর চায়ের উৎপাদন থেমে নেই। সে কারণে বস্তার স্তূপ বেড়েই চলেছে।এই চা-বাগানটির ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাগানে প্রচুর চা-পাতা জমে গেছে। কিন্তু তা নিলামকেন্দ্রে পাঠাতে পারছি না। বাইরের ক্রেতারাও আসতে পারছেন না। চা-পাতা বাজারজাত করতে না পেরে গুদামের বাইরে রাখায় এবং একটি বস্তার ওপর আরেকটি বস্তা রাখায় এর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এসব পাতা রি-প্রসেস করতে হতে পারে।’মৌলভীবাজারের অন্য চা-বাগানগুলোরও একই অবস্থা। চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ বলছে, সিলেট বিভাগের ১৩৩টি চা-বাগানে এখন প্রায় এক কোটি কেজি চা-পাতা জমেছে। টানা অবরোধে এই চা-পাতা চট্টগ্রামের চায়ের নিলামকেন্দ্রে পাঠানো যায়নি।চা-বাগানের মালিকেরা বলছেন, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর হচ্ছে চা-পাতা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এমন কিছু বাগান আছে, যারা প্রতি সপ্তাহে নিলামে অংশ নিয়ে চা-পাতা বিক্রি করেই বাগান পরিচালনা করে। অবরোধে এসব বাগান অর্থসংকটে পড়েছে।রাজনগর চা-বাগানে দৈনিক প্রায় তিন হাজার কেজি চা-পাতা উৎপাদিত হয়। এ পর্যন্ত এ বাগানে প্রায় ছয় লাখ কেজি চা-পাতা তোলা হয়েছে।বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম জানান, এ বাগানের গুদামে এক লাখ কেজি চা-পাতা রাখা যায়। কিন্তু এখন সেখানে এক লাখ ৭০ হাজার কেজি চা-পাতা জমে গেছে।লংলা ভ্যালির রাজনগর উপজেলার ইটা চা-বাগানের ৮৮ হাজার কেজি চা-পাতা পড়ে আছে। আটটি গাড়িতে এগুলো বোঝাই করা হলেও তা চট্টগ্রামে পাঠানো যাচ্ছে না। এ বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মাসুম চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় এক মাস হলো আমরা এক গাড়ি চা-পাতাও পাঠাতে পারিনি।’লংলা ভ্যালির কুলাউড়া উপজেলার লংলা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বাগানে সাত-আটটি গাড়িতে এক লাখ কেজি চা-পাতা আটকে আছে।’চা সংসদের সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, ‘উৎপাদিত চা-পাতার ২০ শতাংশ আমরা বিক্রির জন্য নিলামকেন্দ্রে পাঠাতে পারিনি। সিলেট বিভাগের চা-বাগানগুলোতে প্রায় এক কোটি কেজি চা-পাতা আটকে আছে।’কমলগঞ্জের চৌদ্দটি চা-বাগানের গুদামে এক মাসে ১৪ লাখ কেজি চা-পাতা জমেছে, যার দাম প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অনেক বাগানে গুদামের ধারণক্ষমতার চেয়ে মজুত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাগানের মালিকেরা। কমলগঞ্জের নন্দরানী চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক শফিউল আলম ও পাত্রকলা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক শামছুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে প্রতিটি বাগান থেকেই যেখানে সপ্তাহে দু-তিনটি ট্রাকে চা-পাতা নিলামকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে গত তিন সপ্তাহে একটি চালানও পাঠানো যায়নি।যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ডানকান ব্রাদার্সের মালিকানাধীন চাতলাপুর, শমশেরনগর ও আলীনগর চা-বাগানের প্রতিটিতে তিন সপ্তাহে লক্ষাধিক কেজি করে চা-পাতা উৎপাদিত হয়েছে। এগুলো সব বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে।কয়েকজন চা-বাগান ব্যবস্থাপক জানান, শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলামকেন্দ্র থাকলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। অবরোধের মধ্যেও নিলাম চলত।অবশ্য গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবরোধ শেষ হওয়ায় এখন চা-পাতাগুলো চট্টগ্রামে নিলামকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। |
রংপুরে সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) ছোড়া গুলিতে সাইদুর রহমান (২৪) নামের এক তরুণ আহত হয়েছেন। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের কেরানীপাড়া সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, গতকাল দুপুরে এএসপি হুমায়ুন কবির গাড়িতে করে কেরানীপাড়ায় অবস্থিত পুলিশের সার্কেল-১ কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। বেলা একটার দিকে জেলা প্রশাসকের ভবনের সামনে কেরানীপাড়া সেতুর কাছে পৌঁছে কয়েকজন তরুণকে দেখে এএসপি গাড়ি থামান। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা এএসপির ওপর চড়াও হন। এ সময় এএসপি একটি গুলি ছোড়েন। সাইদুর রহমানের পিঠে গুলিটি বিদ্ধ হয়। তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে সাইদুরের অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।এএসপি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় যুবকদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখতে পাই। পরে গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁরা আমার ওপর হামলা চালান। আত্মক্ষার জন্য একটি গুলি করলে এক যুবক আহত হন।’সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহায়তার জন্য মার্কিন সরকারের আহ্বান গতকাল শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে নরওয়ে। কারণ হিসেবে দক্ষ বিশেষজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের কথা উল্লেখ করেছে দেশটি।যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহায়তা দিতে গত মাসে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নরওয়ে এ কাজের জন্য উপযুক্ত স্থান নয়। অস্ত্র ধ্বংসের জন্য দক্ষ বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সামর্থ্যের অভাব রয়েছে আমাদের।’এর আগে গত বুধবার নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোয়ের্গ ব্রেন্ডে সংবাদ সম্মেলন করে অস্ত্র ধ্বংসের কাজের জন্য নরওয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের কথা উল্লেখ করেন। একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কাজের পর যে বর্জ্য উৎপন্ন হবে, তা সংরক্ষণ করা নরওয়ের আইনে নিষিদ্ধ।’নরওয়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানানোর কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন বলেছিল, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন। নরওয়েতে সহজেই এই পানির জোগান পাওয়া যাবে। রয়টার্স ও এএফপি।নেপালের সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে মাওবাদীদের চেয়ে নেপালি কংগ্রেস পার্টি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএন-ইউএমএল) দ্বিতীয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন দল ইউসিপিএন (মাওবাদী) তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।নেপালি কংগ্রেস মোট ২৪০টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ১০৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। সিপিএন-ইউএমএল ৯১টি এবং ইউসিপিএন ২৫টি আসন পেয়েছে।বাকি ১৮টি আসন পেয়েছে মাধেসি ও অন্য ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচিত এই পরিষদ নেপালের নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করবে।আনুপাতিক ভোটব্যবস্থায় সিপিএন-ইউএমএল দুই লাখ সাত হাজার, নেপালি কংগ্রেস এক লাখ ৮৯ হাজার এবং ইউসিপিএন এক লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়েছে।এবারের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মহান্ত ঠাকুর, হূদিশ ত্রিপাঠি, ব্রিশেষ চন্দ্র লাল, রাজেন্দ্র মাহাতো, অনিল ঝা, সারিতা গিরি ও রামেশ্বর রায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাধেসি নেতারা। রাষ্ট্রীয় মাধেস পার্টির প্রধান শারদ সিং ভান্ডারি দুটি আসনে পরাজিত হয়েছেন।সাংবিধানিক পরিষদের মোট ৬০১টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে সরাসরি ভোটে প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়।রাজনৈতিক দলগুলোর আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে ৩৩৫টি আসন নির্ধারিত হবে। আর অবশিষ্ট ২৬টি আসনে সরকার মনোনীত প্রার্থী নেওয়া হবে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য একটি দলকে ৩০১টি আসন পেতে হবে। আনুপাতিক ভোটব্যবস্থায় জয়ী হতে গেলে ৫৮ শতাংশ ভোট প্রয়োজন।নেপালি কংগ্রেসের প্রধান সুশীল কৈরালা ও সিপিএন-ইউএমএলের জ্যেষ্ঠ নেতা মাধব কুমার নেপাল নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিটিআই।বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি বাংলাদেশে ঘুরে গেছে। ২৬৭ দিন বিশ্বের ৮৯টি দেশে ঘুরবে এটি। বাংলাদেশের দর্শকদের বিশ্বকাপের আসল ট্রফিটি কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে কোমল পানীয় উৎপাদনকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা। বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ঘুরে গেলেন কোকাকোলার ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কটেশ কিনি। বাংলাদেশের দর্শকদের ফুটবল উন্মাদনা ও বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার আগ্রহে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় এ কর্মকর্তা। এ উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।ভেঙ্কটেশ তাই জানালেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কোকাকোলা।ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৬ কোটি লোক বাস করে। এখানকার অর্থনীতিও দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আরও অনেক দিন আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই । তাই এ দেশে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে আমাদের।’ বাংলাদেশে কোকাকোলা ব্যবসার পরিধি বাড়াতে তাঁরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন বলেও জানান ভেঙ্কটেশ। তিনি বলেন, এ বিনিয়োগ করা হবে বোতলজাতকরণ কারখানা নির্মাণ, শীতলীকরণ যন্ত্র স্থাপন, পল্লি এলাকায় বাজার সম্প্রসারণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে।ভেঙ্কটেশ জানান, কোকাকোলার বিনিয়োগ প্রস্তাবকে সরকার যথেষ্ট ইতিবাচক দেখছে। এখন কিছু বিষয় কাজ চলছে।বিশ্বব্যাপী কোকাকোলার ৪০০টির বেশি ব্র্যান্ড পণ্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশে মাত্র চারটি প্রচলিত। এগুলো হলো—কোকাকোলা, সপ্রাইট, ফান্টা ও ডায়েট কোক।যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাভিত্তিক এ বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও কোকাকোলার আয়োজনেই মূলত বাংলাদেশের দর্শকেরা বিশ্বকাপের ট্রফি দেখার সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে আগে কখনোই ঘোরেননি ভেঙ্কটেশ। তবে এবার বাংলাদেশে এসে দর্শকদের উষ্ণ ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত আমি। আমরা খুবই গর্বিত যে এটা বাংলাদেশের মানুষকে দেখাতে পারছি। |
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ও মহাব্যবস্থাপক (ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ) কে এম আবদুল ওয়াদুদের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল দেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালত সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল ডিজাইনার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (আইডিসি) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করা হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান রাজীব প্রধান।মুখোমুখিম্যাচ ২২৪ রিয়াল মাদ্রিদের জয় ৯০বার্সেলোনার জয় ৮৬ড্র ৪৮* শুধু প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।বড় জয়রিয়াল মাদ্রিদ ১১: ১ বার্সেলোনা ১৩ জুন ১৯৪৩বার্সেলোনা ৭: ২ রিয়াল মাদ্রিদ ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫০সর্বোচ্চ গোলদাতাআলফ্রেডো ডি স্টেফানো রিয়াল মাদ্রিদ ১৮লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ১৮রাউল রিয়াল মাদ্রিদ ১৫সিজার রদ্রিগেজ বার্সেলোনা ১৪ফ্রান্সিসকো জেনতো রিয়াল মাদ্রিদ ১৪এল ক্লাসিকোতে লিওনেল মেসিম্যাচ গোল অ্যাসিস্ট জয় হার ড্র২৫ ১৮ ১১ ১১ ৭ ৭এল ক্লাসিকোতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোম্যাচ গোল অ্যাসিস্ট জয় হার ড্র১৯ ১২ ১ ৫ ৮ ৬কে কী বলছেনআমি চাই ও প্রার্থনা করি বার্সেলোনা জিতুক। আমি তো সেখান থেকেই এসেছি।—পেপ গার্দিওলা, বায়ার্ন মিউনিখ কোচরিয়াল মাদ্রিদের জয়ই চাইছি এল ক্লাসিকোতে। আমার অনেক বন্ধু আর কাছের মানুষ সেখানে।—মেসুত ওজিল, আর্সেনাল মিডফিল্ডারক্লাসিকোতে সব সময় সেরা দলই জেতে এমন নয়। এসব ম্যাচে চাপ এত বেশি থাকে যে যেকোনো কিছু হতে পারে।—লুইস ফিগো, সাবেক বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকাএকটি সুখী দাম্পত্য জীবনের গোপন রহস্য সব সময় গোপনই থাকে।আমি ডাক্তারকে বললাম, ‘আমার পা দুই জায়গায় ভেঙেছে।’ ডাক্তার বললেন, ‘ওই দুই জায়গায় আর যাবেন না।’হেনরি ইয়ংম্যান, মার্কিন কৌতুক অভিনেতাদেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই ভোটকে একটি অধিকার এবং কর্তব্য হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু শিকাগোতে এটি একটি খেলা।ডিক গ্রেগরি, মার্কিন কৌতুক অভিনেতাআমি হলাম একজন লিবারেলের শরীরে বন্দী একজন লিবারেল।আনা গ্যাস্টেয়ার, মার্কিন অভিনেত্রীগ্রন্থনা: আলিয়া রিফাতসূত্র: ব্রেইনিকোটস ডটকমবর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের চলতি বছরে নেওয়া ব্যাংকঋণের সুদ শত ভাগ মওকুফ এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও আয়করের হার কমিয়ে অর্ধেকে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার। সংগঠনটি গত সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লিখিতভাবে অর্থমন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানায়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব চেম্বারের দাবিগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় চেম্বারের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, পরিচালক শাহরিন হক ও মঞ্জুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, গত এক বছর ধরে হরতাল-অবরোধের কারণে চুয়াডাঙ্গার সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, দোকানি ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। |
রংপুরের তারাগঞ্জে আমন খেতে খোলপচা রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও এ রোগ দমন না হওয়ায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এতে ধানের ফলন কমে যাবে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন।উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নে নয় হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এবার পানির অভাবে উপজেলার সব এলাকাতেই দেরিতে আমন ধান রোপণ করা হয়। এখন ধানগাছের বৃদ্ধির সময় হঠাৎ গাছের কাণ্ড লাল হয়ে পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কয়েক হাত পর পর এক-দুই ফুট জায়গাজুড়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কৃষকেরা রোগের বিস্তার রোধ করতে পারছেন না।ইকরচালী ইউনিয়নের মেনানগর গ্রামের কৃষক আনছার আলী জানান, তারাগঞ্জে চার-পাঁচ বছর ধরে আমন মৌসুমে স্বর্ণ জাতের ধানের চাষ বেশি হচ্ছে। আগে এ জাতের ধানে কোনো রোগবালাই না থাকলেও এবার খেতে এই রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এই রোগের প্রকোপ বেশি। এ কারণে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।সয়ার ইউনিয়নের জলুবার গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া ও আশরাফুল আলম জানান, তাঁদের দুই বিঘা জমির ধানে খোলপচা রোগ ধরেছে। কোনোভাবেই এ রোগ দমন করা যাচ্ছে না।আলমপুর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল বাতেন বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। গাছ দেখে মনে হইছিল ফলন ভালো হইবে। কিন্তুক হঠাৎ করি এই রোগ খেতে ধরি গাছগুলা দুর্বল হয়া যায়ছে। ঔষধ দিয়াও কাম হয়ছে না।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় খেতে পটাশ কম প্রয়োগ করলে ও ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করলে এ রোগ দেখা দেয়। প্রতি ৩৩ শতকে পাঁচ কেজি পটাশ ছিটিয়ে দিলে এ রোগ দমন হয়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে এ রোগ প্রতিরোধের পরামর্শ দিচ্ছেন।শ্রীলংকার যুদ্ধবিধ্বস্ত তামিল অধ্যুষিত এলাকা সফর করবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আগামী মাসে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের সময় তিনি সেখানে যাবেন। ক্যামেরনই হবেন প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি গৃহযুদ্ধ শেষের পর ওই এলাকায় যাচ্ছেন।সেনাবাহিনীর এক জোরালো অভিযানের মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালে শ্রীলংকার দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু ওই অভিযানের শেষ দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় ৪০ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে কলম্বোয় কমনওয়েলথের সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে থেকে চাপ আছে ক্যামেরনের ওপর। কিন্তু এর পরও তিনি সেখানে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।গত বুধবার লন্ডনে মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন ডেভিড ক্যামেরন। এরপর শ্রীলংকা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে আমার সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে...। শ্রীলংকা সরকারের সঙ্গে আমার কিছু কঠিন আলোচনা আছে।’ক্যামেরন আরও বলেন, ‘তাদের (শ্রীলংকা) মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুশি নই। যুদ্ধের সময় তারা যেটা করেছে, তা ঠিক করেছে বলে আমি মনে করি না। এসব নিয়ে তাদের সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলতে চাই।’ এএফপি।‘সাংবাদিক হওয়ার চেষ্টা কোরো না, পাকিস্তানে সাংবাদিকতা খুবই বিপজ্জনক।’ কলেজছাত্র অবস্থায় আমার একটি লেখা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে দেখে বাবা আমাকে এটা বলেছিলেন তিন দশক আগে। বাবা ছিলেন পাঞ্জাবের লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক এবং বিখ্যাত কলাম লেখক। অথচ আমার জন্য বিষয়টি ছিল দারুণ আনন্দের। আমার লেখা ছাপা হয়েছে দেখে কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু বাবা আমাকে পাকিস্তানের সাংবাদিকদের বিপদ নিয়ে ছোটখাটো একটা বক্তৃতা দিলেন। সে সময়ের সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউল হকের সমালোচনা করায় বাবা বেশ বিপদে ছিলেন। পরিষ্কার ভাষায় তিনি আমাকে বললেন, ‘সরকার আমাকে দেখতে পারে না, কিছু ধর্মীয় চরমপন্থী দিন-রাত আমাকে অনুসরণ করে; ওরা হয়তো আমাকে মেরে ফেলবে। তুমি বরং লেখালেখি ছেড়ে ক্রিকেট নিয়ে থাকো।’আমি হতাশ হলাম এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বাবার আশঙ্কা সত্যি হলো। রহস্যময় পরিস্থিতিতে তাঁর মৃত্যু হলো। মানবাধিকারকর্মীরা ময়নাতদন্ত দাবি করলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সেটা হলো না। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কর্তৃপক্ষ তাঁকে কবরস্থ করল। সৌভাগ্যজনক অথবা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি বাবার আদেশ মানলাম না। মায়ের ইচ্ছায় আমি সাংবাদিকই হলাম। মা ছিলেন সাহসী একজন নারী। তিনি এমনকি আমার ছোট ভাইকেও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বললেন। মা বেঁচে থাকলে দেখতেন, এখনো পাকিস্তানে সাংবাদিকতা কী রকম বিপজ্জনক এক পেশা।তিন দশক পরেও আমরা বিপদে আছি। এত বছরে সাংবাদিকতা ভালোই বিকশিত হয়েছে এ দেশে। তরুণেরা আরও বেশি হারে এই পেশায় আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যবহার করে তাঁরা পাকিস্তানে সামাজিক পরিবর্তন ঘটাবেন। কিন্তু স্বাধীনতা থাকার জন্য আমাদের দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। ৯/১১-এর পাকিস্তানে ৯৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই অপহরণের শিকার হয়ে নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক সময় আমরা তাঁদের হত্যাকারীদের চিনে ফেলি। কিন্তু তারা আইনের থেকেও শক্তিশালী। আমি কয়েক ডজন সাংবাদিকের কথা জানি, যাঁরা বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেছেন। আমি এমন মানুষদেরও জানি, যাঁরা তাঁদের আপন শহর ছাড়তে না চাওয়ার পরিণতিতে খুন হয়েছেন। শারীরিক আক্রমণ এবং সহিংস হুমকিই আজ পাকিস্তানে চরম অঘোষিত সেন্সরশিপের কাজ করছে।সম্প্রতি তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) কয়েকটি গণমাধ্যম সংস্থার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে। বিশেষভাবে তাদের কাছে ঘৃণিত দুই সাংবাদিকের ছবি দিয়ে সেই রায় তারা প্রকাশও করেছে। একজন হলেন বিখ্যাত কলাম লেখক হাসান নিসার এবং অন্যজন হলাম আমি। এ ধরনের হুমকি এটাই প্রথম নয়। ২০১২ সালে মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ করলে তারা আমার বিরুদ্ধে প্রথম হুমকি দেয়। এর কয়েক দিন পরেই আমার গাড়িতে বোমা পাতা হয় এবং টিটিপি তার দায় স্বীকারও করে। আমি ছাড়াও অন্য সাংবাদিকেরাও টিটিপির হুমকির শিকার। আমরা আরও বেশি চিন্তিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দ্বিমুখী চাল ও হুমকির জন্য। বেশ কয়েকবারই তারা সাংবাদিকদের অপহরণের পর হত্যা করে টিটিপির ওপর দায় চাপিয়েছে। পাকিস্তানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রধান দুই শত্রু হলো টিটিপি ও গোয়েন্দা সংস্থা। টিটিপি আমাদের ইসলামের শত্রু বলে চাপে ফেলে। আর নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গণমাধ্যমকে বশ করতে তাদের দালালদের পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে অভিহিত করে।রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পিটিভিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র প্রথম আমাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ তকমা দেয়। আমার অপরাধ ছিল কাশ্মীরের ভূমিকম্পদুর্গত এলাকা নীলাম উপত্যকায় গিয়েছিলাম এবং দেখে এসে জানিয়েছিলাম যে সেখানে কোনো সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পারভেজ মোশাররফকে জানায়, আমি শত্রুদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ধ্বংস করছি। সেনা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি অনুসন্ধান করে এবং দেখতে পায় আমি ঠিকই বলেছি। তখন মোশাররফ আমাকে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর বিপক্ষে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমি যদি তাঁর বিরুদ্ধে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান করি, তাহলে আমাকে ১৫০ মিলিয়ন রুপি দেওয়া হবে। আমি নারাজ হলে আরও পাঁচজন টিভি উপস্থাপকসহ আমাকে টেলিভিশনে নিষিদ্ধ করা হয়।মোশাররফের বিদায়ের পর আমার অনুষ্ঠানে আমি নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়টা সামনে আনা শুরু করি। কিন্তু অচিরেই বুঝতে পারি, মোশাররফ বিদায় নিলেও তাঁর নীতি অটুট রয়ে গেছে। পাকিস্তানের শক্তিমান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা আমাকে বোঝাতে আসে যে জাতীয় স্বার্থে নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়টা আমার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আমি তাদের বোঝাতে চাইছিলাম যে আমি কেবল আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। আমার জবাবকে তারা ঔদ্ধত্য হিসেবে নিল। এর পরিণতিতে আমার ছেলেমেয়েদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এটা ছিল আমার সবচেয়ে নাজুক জায়গায় আঘাত; এ ঘটনায় আমার স্নায়ু বিকল হয়ে যায়।কিন্তু সেটাই শেষ নয়। আইএসআই আমাকে একটা খুনের মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আদালতে তারা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। অথচ আমার অনেক সহকর্মী গণমাধ্যমে আমার বিচার শুরু করে একজন নৌ কর্মকর্তার চাপে। নৌবাহিনীর এই অফিসারকে আইএসআইয়ের মিডিয়া শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে, আমার মোবাইলে কিছু হুমকিবার্তা আসে। আমি সবকিছু প্রকাশ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার ফাহমিদা মির্জা বিষয়টি তদন্তে বিশেষ একটি কমিটি করে দেন। আমি তাঁদের সব ফোন নম্বর সরবরাহ করি। এর কয়েক দিন পর আইএসআইয়ের এক কর্মকর্তা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সবই হয়েছে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে। আমাদের প্রতিষ্ঠান নয়, কয়েকজন ব্যক্তি এর জন্য দায়ী।’ আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দিইনি, কারণ আমি কোনো ব্যক্তিগত রোষ থেকে এসব করিনি। বিশেষ কমিটি ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ একটি বিশদ প্রতিবেদন পার্লামেন্টে পেশ করে। কিন্তু সেখানে আমাকে দেওয়া হুমকি বিষয়ে তদন্তের কোনো কথাই ছিল না।পাকিস্তানের সাংবাদিকেরা শুধু টিটিপি বা আইএসআইয়ের কাছ থেকেই হুমকি পান না। মাঝেমধ্যে শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আমাদের ওপর খেপে যান। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যান ডব্লিউ পিটারসন আমি ও আমার সহকর্মী কামরান খানের বিরুদ্ধে একটা ক্রুদ্ধ চিঠি পাঠান। সে সময় আমরা ইসলামাবাদের কুখ্যাত মার্কিন ভাড়াটে যুদ্ধ কোম্পানি ব্ল্যাকওয়াটার নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করছিলাম। সম্প্রতি আমার টেলিভিশন চ্যানেলের ম্যানেজমেন্ট আমাকে জানিয়েছে যে একটি গণতন্ত্রবিরোধী থিংক ট্যাংক আমাকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করার চেষ্টা করছে। এই ধর্মোন্মাদ গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কখনো কখনো তিনি আমাকে ‘সিআইএ’র এজেন্ট, কখনো ভারতীয় ‘র’-এর এজেন্ট বলে গালি দেন। কখনো কখনো তালেবান এজেন্টও বলেন। আমাদের ম্যানেজমেন্ট তথ্য-প্রমাণসমেত আদালতে অভিযোগ করে যে কতিপয় গণতন্ত্রবিরোধী ব্যক্তি গোয়েন্দা সংস্থার তহবিল নিয়ে স্বাধীন গণমাধ্যমকে জিম্মি করার জন্য ইসলাম ও দেশপ্রেমের নামে চক্রান্ত করছে। করাচির একটি আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু এখনো লোকটি ধরাছোঁয়ার বাইরে।অনেকে মনে করেন, পাকিস্তানের গণমাধ্যম শক্তিশালী। তারা ভাবে, আমি খুবই প্রভাবশালী। কিন্তু ঘটনা হলো, এক বছর ধরে আমি এক জায়গায় নিয়মিত ঘুমাই না। সাংবাদিক হওয়ার দোষে আমি স্বাভাবিক পারিবারিক জীবনও পাই না। যদি রাজধানী নিবাসী নামকরা সাংবাদিক হয়েও আমি এ রকম বিপন্ন জীবন কাটাই, তাহলে যারা সংঘাতপূর্ণ এলাকায় কাজ করেন, তাঁদের কথা ভাবুন। তাঁরা আমার চেয়েও বিপন্ন। সরকার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমরা তাহলে কী করব? পেশা ছেড়ে দেব? না! কারণ, আমাদের দর্শক-শ্রোতারাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণই আমাদের সেরা বিচারক। তারা জানে যে আমরা তাদের জানার অধিকারের জন্য লড়াই করছি। আমরা তাদের আশা। গণমাধ্যমের শত্রুরা আমাদের নিশ্চুপ করিয়ে দিতে পারবে না, কারণ আমরা বেঁচে আছি জনগণের হূদয়ে। একটি জিনিস পরিষ্কার: আমরা সাংবাদিকেরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমাদের কিছু ঘটলে তার দায় অবশ্যই সরকারের।পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম মাতৃভূমিতে এই অঘোষিত সেন্সরশিপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।এ বছর পাকিস্তান সরকার তাঁর পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় ২০টি সরকারি সংস্থার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কিনে নেওয়ার জন্য ব্যবহূত গোপন তহবিল বাতিল করে এবং ভাতাপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ করে।হামিদ মির: পাকিস্তানের জিয়ো টিভি ও জং গ্রুপে কর্মরত সাংবাদিক।বিগত ২০১২-১৩ অর্থবছরের শুরু থেকে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ মাসে খুলনা থেকে তিন হাজার ৩২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছে।এর মধ্যে আগের অর্থবছরে দুই হাজার ২৪৪ কোটি টাকার ও চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার ৮০ কোটি ১০ লাখ টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছে বলে জানান খুলনা বিভাগীয় মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুর রশিদ।স্থানীয় রপ্তানিকারকেরা জানান, এ অঞ্চলের চিংড়ির মান ভালো হওয়ায় বিদেশি ক্রেতারা আগের থেকে খুলনায় বেশি আসছেন। সে জন্য রপ্তানিও বাড়ছে।আবদুর রশিদ জানান, দক্ষিণ জনপদের চিংড়িঘেরগুলোতে চলতি ২০১৩-১৪ বছরে রোগবালাই কম হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে মোট ১৪ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে গলদা ৩৫৫ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন, বাগদা ১২ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন ও অন্যান্য চিংড়ি ১৬৩ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে।আর সাদা মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৭৭ মেট্রিক টন। এ ছাড়া চিংড়ির খোসা ও মাছের আঁশ আহরণ হয়েছে ৪৫০ মেট্রিক টন।জেলা মৎস্য অফিস সূত্রমতে, খুলনার কৃষকেরা ধরনের ফসলের পাশাপাশি ব্যাপকহারে মাছও চাষ করেন। এর মধ্যে নিচু এলাকা খ্যাত পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় সারা বছর আর ডুমুরিয়া, তেরখাদা, দিঘলিয়াসহ কয়েকটি উঁচু এলাকায় মৌসুম ভেদে মাছের চাষ হয়ে থাকে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার বলেন, মাছ উৎপাদন বাড়াতে এ বছর চাষিদের ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করে তোলা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও সার্বক্ষণিক তদারকিসহ বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতে উৎপাদন বাড়ছে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এ অঞ্চলের চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, খুলনার পরিচালক মনোরঞ্জন বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানান, ১৯টি দেশে খুলনার চিংড়ি রপ্তানি হচ্ছে। |
রংপুর নগরের জনবহুল স্থানে ধূমপান চলছে। যত্রতত্র উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এবং সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুযায়ী, যেকোনো জনসমাগমস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ। জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের দিয়ে বা তাদের কাছে তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ।প্রকাশ্যে ধূমপান ও সিটি করপোরেশনকে ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য গত রোববার সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন খান, সিটি করপোরেশনের সচিব মো. ফজলুল কবির, কাউন্সিলরসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় সুশান্ত ভৌমিক বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে সচেতনতামূলক কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।কারও কারও অনুপস্থিতিও কী প্রবলভাবেই তাঁর উপস্থিতি জানান দেয়!হোসে মরিনহো যেমন। ন্যু ক্যাম্পে আজ যখন রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হবে বার্সেলোনার, মরিনহো থাকবেন প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে। স্টামফোর্ড ব্রিজে বসে হয়তো ছক কষছেন ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানোর।কিন্তু সাবেক রিয়াল কোচের আজ ন্যু ক্যাম্পে অদৃশ্য উপস্থিতি থাকবে তাঁর রেখে যাওয়া অদ্ভুত সব কাজের স্মৃতিতে, বিতর্কিত মন্তব্যে, এল ক্লাসিকোর রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেওয়া বিচিত্র এক ‘চরিত্র’ হিসেবে। তিন মৌসুম রিয়ালের কোচ হিসেবে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে কী করেননি মরিনহো! এই পেপ গার্দিওলাকে খোঁচাচ্ছেন তো আবার টিটো ভিলানোভার চোখে আঙুল দিচ্ছেন, কখনো গায়ে জ্বলুনি ধরা কোনো মন্তব্য করছেন লিওনেল মেসিকে নিয়ে। এল ক্লাসিকোর চিরাচরিত উত্তেজনা যেন আরেকটু মাত্রা পেয়েছিল মরিনহো রিয়ালের কোচ থাকার সময়ে।সেই মরিনহো আজ থাকছেন না, নেই তাঁর একসময়ের শত্রু পেপ গার্দিওলাও। রিয়াল ও বার্সেলোনার নতুন দুই কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও জেরার্ডো মার্টিনোকে এই কদিনেই বোঝা গেছে মাঠ ও মাঠের বাইরে তাঁরা নিপাট ভদ্রলোক। বাড়তি কোনো বিতর্ক কিংবা উত্তেজনার জন্ম দেওয়া তাঁদের কাজ নয়। মরিনহোর অনুপস্থিতির অনুভব এ কারণেই। কিছুটা তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেপ গার্দিওলার জন্যও।দুই কোচের বিদায়ে এল ক্লাসিকোর কমে আসা উত্তেজনার কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই যেন এবার নতুন দুই তারকার আগমন। গ্যারেথ বেল ও নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে রিয়ালে যোগ দেওয়া বেল আর বার্সেলোনার নতুন ‘সেনসেশন’ নেইমারের এই প্রথম এল ক্লাসিকো। তবে হুলুস্থুল ফেলে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর বেল সেটা যৌক্তিক প্রমাণ করার সুযোগ পাননি সেভাবে। চোটের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি ম্যাচে খেলে গোল করেছেন একটি। তুলনায় একটু বেশি সুযোগ পাওয়া নেইমারও আহামরি কিছু করেননি বার্সায়। ১৩ ম্যাচে তাঁর গোল ৩টি। আজ প্রথমবারের বারের মতো প্রচণ্ড চাপের কোনো ম্যাচ খেলতে নামবেন দুজন। বড় উপলক্ষে কি পারবেন তাঁরা জ্বলে উঠতে? এক সাক্ষাৎকারে নেইমার কিন্তু বেশ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ‘এল ক্লাসিকো যেকোনো ফুটবলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সবাই এই ম্যাচে খেলতে চায় এবং সেরাটা দিতে চায়। এটা আমার প্রথম এল ক্লাসিকো এবং আমি চাই অভিষেকটা যাতে ভালো হয়।’ নেইমারের পূর্বসূরি ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে রোমারিও আর রিভালদো গোল করেছিলেন তাঁদের প্রথম এল ক্লাসিকোতেই। অন্যদিকে প্রথম ক্লাসিকো থেকে রোনালদিনহো আর রোনালদো ফিরেছিলেন খালি হাতে। আজ কোন দুজনের পথে হাঁটবেন বার্সেলোনা তারকা?এল ক্লাসিকোর উত্তেজনায় নেইমার-বেল বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারেন কি না সেটা দেখতেই শুধু নয়, আরও কয়েকটি অন্তর্গত দ্বৈরথ আছে। প্রায় চার বছরের পুরোনো একটা দ্বৈরথ চোখ টানবে যথারীতি। ২০০৯ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মেসির সঙ্গে তাঁর লড়াইটা বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিগত ফুটবল দ্বৈরথ। নেইমার-বেলদের নিয়ে আলোচনা হতে পারে, হয়তো সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম ক্লাসিকোতেই গোল করে ফেলতে পারেন ইসকো-ইয়ারামেন্দিরাও। কিন্তু এল ক্লাসিকো শেষ পর্যন্ত মেসি-রোনালদোরই ম্যাচ!মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান মেসির পক্ষে। তবে সর্বশেষ পাঁচ সাক্ষাতে মেসির দল হারাতে পারেনি রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদকে। লিগ শীর্ষে থাকলেও গত সপ্তাহে ওসাসুনার সঙ্গে গোলশূন্য ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে বার্সেলোনা, এসি মিলানের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগেও করেছে ড্র (১-১)। অন্যদিকে মালাগাকে ২-০ গোলে হারানো রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। অবশ্য রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস এটিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ, ‘এই ধরনের ম্যাচ খেলার আগে কখনো আগের পরিসংখ্যান মাথায় রাখতে হয় না। এমনকি সর্বশেষ ম্যাচের ফলটাও।’মেসি-রোনালদো কিংবা বার্সা-রিয়ালের ভক্তরা অবশ্য সেটা মাথায় রাখেন। প্রতিটি এল ক্লাসিকোর আগেই তাই আলোচনায় উঠে আসে দুই ক্লাবের আগের ফুটবলীয় পরিসংখ্যান, ঐতিহাসিকভাবে দুই দলের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈরিতা।এসব যে এল ক্লাসিকোর উত্তেজনার রসদও! এএফপি।প্রশ্নোত্তর অংশ-৬প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশে ৪টি প্রশ্নে ১২ নম্বরের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।অধ্যায়-৯জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:৯. হাইড্রিলা উদ্ভিদ দিয়ে কী পরীক্ষা করা হয়?উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ।১০. অনেক আগে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থকে কী বলা হতো? উত্তর: হরমোন১১. উত্তেজক উপাদানের উৎসের দিকে উদ্ভিদাঙ্গের দিকমুখিতাকে কী বলা হয়?উত্তর: ধনাত্মক দিকমুখিতা১২. ছোট দিনের উদ্ভিদে ফটোপিরিয়ড কত ঘণ্টার বেশি হলে ফুল আসা বিলম্ব হয়?উত্তর: ১২১/২ ঘণ্টাঅনুধাবনমূলক প্রশ্ন:প্রশ্ন: ফসফরাসের অভাবে উদ্ভিদে কী ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে?উত্তর: ফসফরাসের অভাবে উদ্ভিদে নিচের ধরনের রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—ক. এর অভাব হলে পাতা বেগুনি রং ধারণ করে।খ. পাতায় মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়।গ. মূলের বৃদ্ধি কমে যায়।ঘ. পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যেতে পারে।প্রশ্ন: শুকনো বীজ কীভাবে পানি শোষণ করে?উত্তর: শুকনো বীজ ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়। কেননা শুকনো বীজ একটি হাইড্রোফিলিক পদার্থ (যে পদার্থ পানি শোষণ করে তাকে হাইড্রোফিলিক পদার্থ বলা হয়)। আর কলয়েড-জাতীয় শুকনো বা অর্ধশুকনো পদার্থের তরল পদার্থ শোষণের বিশেষ প্রক্রিয়াকে ইমবাইবিশন বলা হয়। তাই শুকনো বীজ ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে।প্রশ্ন: রক্ষীকোষ কীভাবে পত্ররন্ধ্রে খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে?উত্তর: পত্ররন্ধ্র দুটি রক্ষীকোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকে। রক্ষীকোষের রন্ধ্রসংলগ্ন প্রাচীর পুরু কিন্তু বিপরীত দিকের প্রাচীর পাতলা। রক্ষীকোষ দুটোর স্ফীতি ও শিথিল অবস্থা পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে, রক্ষীকোষ স্ফীত হলে পত্ররন্ধ্র খুলে যায়, আবার রক্ষীকোষ শিথিল হলে পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়।প্রশ্ন: অবাত শ্বসন গুরুত্বপূর্ণ কেন?উত্তর: যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না তাকে অবাত শ্বসন বলে। অবাত শ্বসন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাঁচতে পারে না। এদের শক্তি উৎপাদনের একমাত্র উপায় হলো অবাত শ্বসন। এ প্রক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল তৈরি করে, যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহূত হয়। উৎপন্ন ল্যাকটিক অ্যাসিড ফার্মেন্টেশনে দরকার হয়।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালসহকারী অধ্যাপক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাগ্রামীণফোন বিভাগীয় শহর বরিশালে বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি সেবা চালু করেছে। ফলে এখন থেকে বরিশালের কাশীপুর বাসস্ট্যান্ড, বৈদ্যপাড়া, নাতুল্লাহ বাঁধ বাসস্ট্যান্ড, সিনহা রোড কাউনিয়া, গোরস্থান রোড, কিরদ মুখার্জী লেন, নাজির মার্কেট, শাহপাড়া, সার্কিট হাউস, পুলিশ লেন, লঞ্চঘাট, মেডিকেল কলেজ, স্টেডিয়াম এবং আমতলা ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সেবা পাওয়া যাবে। গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এ উপলক্ষে গত সোমবার গ্রামীণফোনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আহসান হাবিব কামাল। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের আঞ্চলিক প্রধান এ এম সাজ্জাদ হোসেন ও টেকনোলজি রিজিয়ন হেড নন্দন কুমার সাহা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। |
সারা দেশে আবার লোডশেডিং বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনে রাজধানী ঢাকায় এলাকাভেদে তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টার মধ্যে হয়েছে আরও দু-তিনবার।চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। গ্যাসের অভাবে সেখানকার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। খুলনা, বগুড়া, দিনাজপুর ও বরিশালেও ব্যাপক লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ আগস্ট গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লোডশেডিং কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি অবশ্য তা বলেছিলেন অতীতের অসহনীয় লোডশেডিং দেশবাসী যাতে ভুলে না যায় এবং তাঁর সরকারের আমলে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কথা যাতে মনে করে সে জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের কথায় ইঙ্গিত ছিল দৈনিক দুই থেকে তিনবার লোডশেডিংয়ের। কিন্তু গত কয়েক দিনে শহরাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে তার দ্বিগুণ। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, রমজান মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দৈনিক গ্যাস দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রায় ১০০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ কোটি ঘনফুট।পিডিবির হিসাবেই গতকাল বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। তবে এই হিসাবে কিছু গরমিল আছে। পিডিবি গতকাল সর্বোচ্চ চাহিদা ধরেছে ছয় হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরেছে পাঁচ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রকৃত চাহিদা এখন সাত হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। এ ছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহূত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেই (অক্সিলারি)।বর্তমান সরকারের আমলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট। গ্যাসের উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৬০ কোটি ঘনফুট।নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো রাজ্যে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে বোকো হারামের ৭৪ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে।সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ দোলে গতকাল শুক্রবার বলেন, হামলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শিবিরগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এতে ৭৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়। গত বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।তবে সেনাবাহিনীর এ দাবি কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি। বোকো হারাম নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ইসলামি রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে আসছে। রয়টার্স ও বিবিসি।যাত্রীদের মতো এবার স্থল, বিমান ও সমুদ্রবন্দরে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে আমদানি-রপ্তানির পণ্য আনা-নেওয়া করা হবে। এ জন্য পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না শুল্ক কর্মকর্তারা। জাহাজ থেকে পণ্য নেমে সরাসরি বন্দর থেকে বের হয়ে আসবে। এতে সময় ও ব্যয় কমবে। তবে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সনদধারী প্রতিষ্ঠানই এ সুবিধা পাবে।৩-৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রীপর্যায়ের নবম বৈঠকে বাণিজ্য সহজীকরণ চুক্তি (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট) চূড়ান্ত হবে। এতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করবে। আর এ চুক্তি স্বাক্ষর করলে বিশ্ব শুল্ক সংস্থার (ডব্লিউসিও) বেশ কিছু বিধিবিধান পরিপালনের বাধ্যবাধ্যকতা থাকবে। ২০০৫ সালে পণ্যের নির্বিঘ্ন চলাচলে নিরাপদ রূপরেখা (সেইফ ফ্রেমওয়ার্ক) চালু করে ডব্লিউসিও। এর আওতায় অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর বা এইও ব্যবস্থা চালু করতে হবে।এইও হলো একধরনের মান সনদ, যার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। আমদানি-রপ্তানি সম্পন্ন করে এমন প্রতিষ্ঠানকেই সাধারণত এ সনদ দেয় ডব্লিউসিও। সনদ পাওয়ার মানে হলো ডব্লিউসিও ওই প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় হিসাব ও পণ্য পরিবহনসহ সব ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আর সনদ পাওয়া ওই প্রতিষ্ঠানটিকে যেকোনো দেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ গ্রিন চ্যানেলে পণ্য আসা-যাওয়া করতে দিতে বাধ্য।তবে এইও সনদ পেতে বাংলাদেশের কোনো আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানটি এ সনদ পেতে যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে স্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন, পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা, স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম চালাতে পারঙ্গম ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত দলিলাদি দিতে হবে। এরপর এনবিআর এইও সনদ দিতে সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্রটি ডব্লিউসিওর কাছে পাঠিয়ে দেবে। ডব্লিউসিও সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানকে এইও সনদ দেবে।এ সনদ দেওয়ার অর্থ হলো ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ডব্লিউসিওর স্বীকৃতি পাওয়া। আর ডব্লিউসিওর সদস্য দেশগুলোতে গ্রিন চ্যানেলে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে। তবে সদস্যগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার চুক্তি থাকতে হবে।এইও সনদ থাকলে আমদানি কিংবা রপ্তানির যেকোনো একটি স্থানেই পণ্যের বিবরণী ঘোষণা দিলেই হবে। যেমন, বাংলাদেশের এইও সনদপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির সময় শুধু চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যের বিবরণী ঘোষণা দিলেই হবে। এ চালান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে নতুন করে পণ্যের বিবরণীর ঘোষণা দিতে হবে না। শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়ে যাবে পণ্যের চালান। বাংলাদেশের বন্দরে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে জাহাজে উঠবে পণ্য।এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এইও সনদধারী প্রতিষ্ঠান ৬ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পণ্য খালাস করে নিয়ে যেতে পারবেন। আর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় বিল অব এন্ট্রি ও শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন। জাহাজ থেকে সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়ে ট্রাক বা পরিবহনে উঠবে।এনবিআরের সদস্য ফরিদউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যবস্থাটি চালু করা গেলে পণ্যের যাতায়াত সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে। এতে ব্যবসায়ীদের খরচ ও সময় বাড়বে। বাজারে আরও প্রতিযোগীসক্ষম হবেন আমদানি-রপ্তানিকারকেরা।বর্তমানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ ২৮টি দেশ এইও ব্যবস্থা চালু করেছে। এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এ ব্যবস্থা চালু করেছে। এলজিসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান ভারতে এইও সনদ পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এইও সনদ থাকলে মাত্র ছয় ঘণ্টায় পণ্য খালাস করা হয়।শিল্প উৎপাদক, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক. ওয়্যারহাউস, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস, সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর—এ এইও সনদ নিতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন বিমানবন্দর এইও সনদ নিয়েছে।এদিকে এইও ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে গতকাল ফেডারেশন ভবনে বৈঠক করেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে এনবিআরের সদস্য ফরিদ উদ্দিন, প্রথম সচিব ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী, কমিশনার (পানগাঁও শুল্ক ভবন) মাসুদ কবিরসহ এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ বাসভবন এবং রাজনৈতিক কার্যালয় পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।ফখরুল অভিযোগ করেন, নেতাকর্মীদের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢুকতে ও বের হতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের অপকর্ম এবং ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে বানচাল করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই অংশ হিসেবে গতরাত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ও কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফখরুল বলেন, ‘সরকার নিজেদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে অনুধাবন করতে পেরেই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না।’মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনসহ তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় ও বিএনপি’র সদর দফতর থেকে পুলিশী অবরোধ তুলে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য সরকারে প্রতি আহবান জানান। |
শিশু অধিকারবিষয়ক সংবাদ প্রকাশে অবদান রাখায় ৩৩ জন গণমাধ্যমকর্মী পেয়েছেন মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এবার ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ায় (প্রতিবেদন) প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন যুগান্তর-এর রীতা ভৌমিক, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শেখ সাবিহা আলম এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠ-এর মিজানুর রহমান চৌধুরী।টেলিভিশন (প্রতিবেদন) শাখায় প্রথম হয়েছেন এসএ টিভির আহাদ হোসেন এবং আরটিভির আতিকা রহমান। দ্বিতীয় হয়েছেন ইটিভির সাখাওয়াত হোসেন এবং তৃতীয় হয়েছেন এনটিভির মুকসিমুল আহসান। রেডিও (প্রতিবেদন) শাখায় প্রথম হয়েছেন এবিসি রেডিওর শাহনাজ শারমীন, রেডিও টুডের শাকিল মাহমুদ দ্বিতীয় এবং একই রেডিওর মাহবুবুর রহমান তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শাখায় আরও ২৪ জন পুরস্কার পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিকাল বৃষ্টি হানা দিয়েছে বিকেএসপিতে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৬ ও ভারতের মধ্যপ্রদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের তিন দিনের ম্যাচেও। পরশু শুরু হওয়া ম্যাচটির দ্বিতীয় দিনে মাঠে গড়াতে পারেনি একটি বলও। প্রথম দিনে ৮৭ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করেছিল বাংলাদেশের কিশোরেরা।‘মনিকা লিউয়িনস্কিকে আমার পছন্দ,’ টিভিতে আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখা শেষ করে আমার স্ত্রী ঘোষণা দিল।‘পছন্দের কারণ?’ অবাক হয়ে জানতে চাইলাম।‘কেমন দুর্ধর্ষ পুরুষকে পটিয়ে ফেলেছে, দেখেছ?’ স্ত্রীর কণ্ঠে মুগ্ধতা। ‘মেয়ে হলে এমনই হওয়া উচিত।’‘দাম্পত্য জীবনে বিশ্বস্ততার কী হবে তাহলে?’ আমি জানতে চাইলাম।‘বিশ্বস্ততার দরকার আছে মানি, কিন্তু এমন পুরুষের সামনে...’‘মনিকা আমাকে প্রলুব্ধ করতে পারত না,’ বাধা দিয়ে বললাম।‘তুমি তো আর প্রেসিডেন্ট নও,’ খোঁচা দিয়ে বলল স্ত্রী।‘কী তাহলে?’ জানতে উৎসাহ হলো আমার।‘বুড়ো ভাম!’ আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন দুর্বার ক্রোধাক্রান্ত। ‘খুব তো বড় বড় কথা বলছ! ঘরে যে আলু শেষ হয়ে গেছে, সে খবর রাখো? বাজারমুখো হও না কেন?’‘যাক, অবশেষে!’ বাজারের বিপরীত দিকগামী ট্রলিবাসে চেপে যেতে যেতে খুশিমনে ভাবলাম আমি, ‘আচ্ছা, মনিকা এখন বাসায় আছে তো? সে লিউয়িনস্কি নয় বটে, তবে ভালোবাসা বিষয়ে যথেষ্টই দক্ষ। কিন্তু আলুর কী হবে? হা হা হা...গত হেমন্তে কয়েক বস্তা আলু কিনে মনিকার বাসায় তো খামোখাই রাখিনি...শুধু আলুই নয়, পেঁয়াজ, বিট, গাজরও। চিনি আর নানাবিধ শস্যদানার কথা নয় না-ই বললাম। অতএব, মনিকার সঙ্গে ভালোবাসাবাসির যথেষ্ট সময় আজ হাতে আছে।’চিড় দেখা দিয়েছিল দুই দলেই। আপাতত তা মেরামত করে দিল্লিতে সরকার গঠনের দিনক্ষণ ঘোষিত হলো। আগামী শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার বাকি ছয় সদস্য।দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়তে জন লোকপালের দাবিতে দু-বছর আগে রামলীলা ময়দানেই অনশন আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রবীণ গান্ধীবাদী আন্না হাজারে। কেজরিওয়াল ছিলেন সেই আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক। ‘টিম আন্না’ থেকে বেরিয়ে এসে আম আদমি পার্টি গড়েন কেজরিওয়াল। এই অল্প সময়েই নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সফল হয়ে তিনিই হতে চলেছেন দিল্লির পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী।সরকার গঠন ও শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে দুই প্রধান দল অবশ্য বিতর্কমুক্ত থাকতে পারল না। মন্ত্রিত্বের প্রশ্নে এএপিতে যেমন অসন্তোষ দেখা দিল, তেমনই দ্বিমত দেখা দিল সমর্থনকারী দল কংগ্রেসে। মন্ত্রী হিসেবে যে ছয় বিধায়কের তালিকা কেজরিওয়াল উপরাজ্যপাল নাজীব জংয়ের কাছে মঙ্গলবার পাঠান, তাতে বিনোদ কুমার বিনির নাম ছিল না। সাবেক কংগ্রেসি এই নেতা বহু দিনের রাজনীতিক। কংগ্রেস ছাড়ার পরও তিনি দুবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। মহল্লা সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা তাঁরই। মন্ত্রীর তলিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ বিনোদকে শান্ত করতে মঙ্গলবারই এএপি নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।কংগ্রেসের মধ্যে সমর্থন ঘিরে মতপার্থক্য থাকার বিষয়টি প্রকাশ্য হয় শীর্ষ নেতা জনার্দন দ্বিবেদীর কথায়। মঙ্গলবার তিনি স্বীকার করেন, সমর্থন দেওয়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের কেউ কেউ বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এই মহলের বক্তব্য, যে দল কংগ্রেসীদের জেলখানায় পাঠানোর কথা বলছে, তাদের আগ বাড়িয়ে সমর্থন দেওয়াটা হারাকিরির শামিল। একই সুর ছিল সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের গলাতেও। কিন্তু গতকাল দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ সিং লাভলি ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের সাংসদপুত্র সন্দ্বীপ জানান, সমর্থনের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিতই আছে।এএপি নেতারা দলীয় কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি অফিসে ঘুষের কারবার অব্যাহত আছে কি না, সে বিষয়ে নজর রেখে দলকে তা জানাতে। সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রশাসনের মনোভাব ও আচরণের সত্যিই পরিবর্তন ঘটে কি না, তা দেখতে এখন উদগ্রীব রাজধানীর আম আদমি। |
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সুমন চন্দ্র নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরে যায়। এতে নয়জন আহত হন।সুমন ডোমার পৌর এলাকার কুলিপাড়ার যুগল দাসের ছেলে। তিনি পেশায় মুচি ছিলেন।প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, ডোমার বাজারের ওপর দিয়ে ১১ কেভি বিদ্যুতের একটি তার গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তারটি ছিঁড়ে দোকানের ওপর পড়ে। এর পরপরই বাজারের কয়েকটি ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুমন। আহত হন কমপক্ষে নয়জন। এ সময় আশপাশের লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ডোমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে আহতদের মধ্যে গৌর সাহা ও তাঁর দোকান কর্মচারী ওহাব আলীকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকে ডোমারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ডোমার থানার এসআই শাহিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলেই সুমন মারা যান। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পিডিবির ডোমার অঞ্চলের আবাসিক প্রকৌশলী মনোরঞ্জন রায় বলেন, ‘সেখানে হঠাৎ করে ১১ কেভি লাইনের তার ছিঁড়ে কয়েকটি দোকানে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আমরা লাইনটি রাতের মধ্যে ঠিক করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ করছি।’পাঁচটি সহযোগী ক্লাবকে নিয়ে ঢাকায় বিদ্রোহী হকি লিগ আয়োজন করতে চেয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু ঢাকা হকি লিগ নামের এই আয়োজনে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম পাওয়া যাবে না ভেবে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে দেশের বাইরে ব্যাংকককে বেছে নিচ্ছে তারা।থাইল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ওরাওয়ি মাকুদির মাধ্যমে সেই উদ্যোগ অনেক দূর এগিয়েও গেছে। মোহামেডানের হকি ম্যানেজার ও সাবেক খেলোয়াড় আরিফুল হক জানিয়েছেন, মাকুদির নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স আছে। সেখানেই তিনি মোহামেডানকে হকি লিগ আয়োজন করতে দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। যা ১০ ডিসেম্বরে শুরু করার পরিকল্পনা চলছে। দৃশ্যটি একই সঙ্গে অভিনব এবং উত্সবমুখর। শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে সাধারণত নাটকের মঞ্চায়ন হয় না। কিন্তু সেখানে চলছে ‘প্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন’। এই উপলক্ষে মিলনায়তনের মূল প্রবেশপথ থেকে মঞ্চ পর্যন্ত চারদিকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গতকাল রোববার এখানে মঞ্চস্থ হয় লোকনায়ক নাটকটি। প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল ১০ বছর পূর্ণ করেছে। এর মধ্যে আটটি এনেছে মঞ্চে। এই আটটি নাটক নিয়ে সংগীত ও নৃত্যকলা ভবনে শুরু হয়েছে ‘প্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন ২০১৩’ নামের আট দিনের উত্সব। গতকাল ছিল এর তৃতীয় দিন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চারণ কবি মুকুন্দ দাসের জীবন নিয়ে দলের তৃতীয় প্রযোজনা লোকনায়ক। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, আওয়াল রেজা, রামিজ রাজু, শিশির রহমান প্রমুখ। মুকুন্দ দাস ছিলেন স্বভাবকবি। নাটকে দেখা যায় গ্রামেগঞ্জে ঘুরে গান গেয়ে বেড়ানো মুকুন্দ দাসকে নিয়ে তাঁর বাবা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তিনি ভাবলেন ছেলেকে বিয়ে দিলে হয়তো বউয়ের টানে ঘরে ফিরবে। বিক্রমপুরের মেয়ে শতদলবাসিনীর সঙ্গে বিয়ে দেন তিনি। কিন্তু যার রক্তে গানের নেশা, সে কি আর ঘরে থাকবে? মুকুন্দ আবারও বেরিয়ে পড়লেন গানের দলের সঙ্গে। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত গ্রামে গ্রামে আসর করে বেড়ান। ক্রমেই মুকুন্দ দাসের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নানা ঘনঘটার মধ্য দিয়ে এগিয়ে মুকুন্দ দাসের জীবন। যে জীবন গানের সঙ্গে এক সুতায় গাঁথা। তার গানে প্রবলভাবে ফুটে ওঠে স্বদেশি আন্দোলনের আহ্বান। এ নিয়ে এগিয়ে যায় নাটক। পুরো নাটকেই ছিল ‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে’, ‘আয়রে বাঙালী’, ‘বান এসেছে মরা গাঙ্গে’সহ মুকুন্দ দাসের কালজয়ী গানের ব্যবহার। গান এবং দুজন কথকের বর্ণনায় বিভিন্ন চরিত্রের রূপায়ণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় নাটক। আজ চতুর্থ দিনে রয়েছে নূনা আফরোজের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী।সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উত্সবসম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দেশব্যাপী বিজয় উত্সব উদ্যাপনের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উত্সব সফল করতে জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফকে আহ্বায়ক, গোলাম কুদ্দুছকে সহসভাপতি, ঝুনা চৌধুরীকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফকে প্রধান সমন্বয়কারী করে বিজয় উত্সব উদ্যাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১৪টি উপপরিষদ। সব জেলায় ১৪ ডিসেম্বর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বিজয় উত্সব অনুষ্ঠিত হবে। গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অবস্থিত জোটের কার্যালয়ে বিজয় উত্সবের দপ্তর খোলা হয়েছে। উত্সব সফল করতে সংগঠনের সব সদস্যকে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উত্সব দপ্তরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন জোটের নেতারা।ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি বহাল রাখার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন পর গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মিলিটারি অপারেশনসের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) পর্যায়ের বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে এ সমঝোতা হয়।চলতি বছর চির প্রতিদ্বন্দ্বী উভয় প্রতিবেশী পরস্পরের বিরুদ্ধে কাশ্মীর সীমান্তে অনেকবার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবারের বৈঠকে উভয় পক্ষের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারা ওই চুক্তি বহাল রাখার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সম্মত হন।বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় দেশের ডিজিএমও নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা নিরসনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল আমির রিয়াজ ও ভারতের ডিজিএমও লে. জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া নেতৃত্ব দেন।পাঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এ বৈঠক হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুই পক্ষ নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তি বহাল রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো নিরপরাধ সাধারণ নাগরিক নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করলে উভয় পক্ষ পরস্পরকে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানাবে। দ্রুত ওই ব্যক্তিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি নিশ্চিত করতে অদূর ভবিষ্যতে ব্রিগেড কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হবে।চলতি বছরের শুরু থেকেই ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর সীমান্তে পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল। গত জানুয়ারিতে ভারতের এক দল সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানের সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গত আগস্টে একদল সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীরের ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ডন। |
সরকারি পর্যায়ে নারী মাদকাসক্তদের জন্য আবাসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এ ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন সেবা থাকলেও তা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলকভাবে বিনা খরচে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু চিকিৎসায় পুরুষের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকলেও নারীদের জন্য নেই। এ ছাড়া জেলা অনুযায়ী মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির বিধান থাকলেও তা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে।মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় যুক্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা সেবনকারী নারীদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। নারী মাদকাসক্তের সংখ্যার সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ধারণা, মোট মাদকাসক্তের ১০ থেকে ১৫ শতাংশই নারী। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে নারী মাদকাসক্তদের আবাসিক চিকিৎসার সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নারীদের জন্য ১০ শয্যার ওয়ার্ড চালুর বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মোট শয্যাসংখ্যা ৪০। ২০১২ সালে এ কেন্দ্রের বহির্বিভাগে এক হাজার ৬৫৯ জন রোগীর মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র পাঁচজন। এ ছাড়া একই প্রাঙ্গণে ২৫০ শয্যার আরেকটি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের অবকাঠামো তৈরি শেষ হলেও সেখানে জনবল নিয়োগ হয়নি। নারীদের জন্য আলাদা জনবলও চাওয়া হয়নি। আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় একটি করে আঞ্চলিক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর প্রতিটিতে পাঁচটি করে শয্যা রয়েছে। তবে খুলনার কেন্দ্রটি ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ। এসব কেন্দ্রের কোনোটিতেই নারীদের জন্য আবাসিক চিকিৎসার সুযোগ নেই। কেবল বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া হয়।১৯৯১ সাল থেকে কুমিল্লা, যশোর ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক সময় লজ্জা এবং সামাজিকতার কারণে নারী মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের লুকিয়ে রাখা হয়। মাদকাসক্তদের আবাসিক চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অজু করা ছাড়া যেমন নামাজ আদায় করা যায় না, তেমনি মাদকাসক্তদেরও দেহ ও মন থেকে মাদকের বিষ নিষ্ক্রিয় না করা পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব নয়। অন্যান্য রোগে অনাবাসিক চিকিৎসা নিয়ে রোগী ভালো হয়, কিন্তু মাদকাসক্তদের ক্ষেত্রে তা প্রায় অসম্ভব।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বেসরকারি পর্যায়ে ২০টি জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৬৯টি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মোট শয্যা ৮৭৫টি। ৪৪টি জেলায় সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো নিরাময় কেন্দ্র নেই। ২০০৯ সাল থেকে মানিকগঞ্জে আসক্তি পুনর্বাসন নিবাস ‘আপন’ নারী মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্রে ২৫ জন নারীর আবাসিক সুবিধা আছে। চলতি মাসে ১৩ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মোট ১৫ জন নারী চিকিৎসাধীন। গত বছর এ কেন্দ্র থেকে ৬০ জন নারী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।আপনের কাউন্সেলর খন্দকার আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অপুষ্টির চিকিৎসা, ব্যায়াম, খেলাধুলা, মানসিক আচরণ পরিবর্তনসহ একটি নিয়মের মধ্যে এনে সমন্বিতভাবে জীবনমুখী চিকিৎসা দিতে হয় মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের। সুইয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন, এমন নারীদের চিকিৎসা করছে কমিউনিটি হেলথ রিহ্যাবিলিটেশন, এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস (ক্রিয়া)। ক্রিয়ার প্রধান নির্বাহী তরুণ কান্তি গায়েন জানান, কেন্দ্রে মাসে ২০ থেকে ৩০ জন ছিন্নমূল নারী চিকিৎসার জন্য আসেন।উত্তরার বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র লাইট হাউস ক্লিনিকের সহকারী ব্যবস্থাপক তানভীর আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ৬০ শয্যার এ ক্লিনিকে সাত থেকে আটটি শয্যা নারীদের জন্য বরাদ্দ। এ কেন্দ্রটিতে মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরা আসছেন।বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুগপৎ ‘আন্দোলন ও আলোচনা’ চালানোর অংশ হিসেবে একটানা ৬০ ঘণ্টার ‘প্রাথমিক কর্মসূচি’ ঘোষণা করেছেন। তাঁর দেওয়া সময়সীমা আজই ফুরিয়ে যাবে। ক্ষমতাসীন দলের উচিত হবে এবারের কর্মসূচিকে পুলিশ দিয়ে প্রতিহত করার চেয়ে বিরোধী দলকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার বাস্তবসম্মত কৌশল গ্রহণ করা। এটা সুখের বিষয় যে, খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা ফোন করার একটি খবর বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। সংকট না ঘুচলেও এ রকম একটি ফোনালাপ কিংবা বিরোধী দলের নেতাকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানোকে দেশবাসী নিশ্চয়ই স্বাগত জানাবে। তাদের আশাবাদী করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর ফিরতি চিঠিতে সংলাপের স্থান ও তারিখ নির্দিষ্ট করে প্রস্তাব দিলে বিএনপির পক্ষে তাৎক্ষণিক হরতাল প্রত্যাহার করা উচিত হবে।২৫ অক্টোবর নিয়ে যে নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগ জনমনে দেখা গিয়েছিল, তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে। সরকার ও বিরোধী দলের সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যদিও ঢাকার বাইরে গুলি ও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।তিনটি স্থানে সভা করার অনুমতি চেয়ে বিএনপি যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পেল, তখন কিন্তু দলটি বেঁকে বসেছিল। তবে বিএনপির নেতারা শেষ পর্যন্ত ডিএমপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় একটা অহেতুক গোলযোগ এড়ানো সম্ভব হলো। আমরা আশা করব, দুই যুযুধান পক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে এবং সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়ে এমন কিছু করবে না। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারও তারা অগ্রাহ্য করতে পারে না। দীর্ঘক্ষণ প্রধান সড়ক আটকে রাখলে যান চলাচলে এবং নাগরিক জীবনে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে ব্যস্ততম সড়ক ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তবে এই নিয়ম কেবল বিরোধী দলের জন্য প্রযোজ্যহতে পারে না। কর্তৃপক্ষ সরকারি দলের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করবে বলে আশা করা যায়।এ মুহূর্তে সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ জনগণের একমাত্র দাবি হলেও সেটি বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর। বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল অভিনব কর্মসূচি নয়। অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটা ‘সফল’ হতে দিলেও বিরোধী দলের দাবি পূরণ হবে না, সরকারও টলবে না। তাই সরকারের পাইকারি গ্রেপ্তার বা দমন-পীড়ন পরিহার করাই সমীচীন হবে। বিরোধী দলকেও আইন মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কর্মসূচি পালন করতে হবে। বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগের কর্মীদের হাতে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে ‘দা-কুড়ালের’ নিন্দা জানাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। আওয়ামীলীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী হরতালকে ‘জনগণের জন্য পান্তাভাত’ বলে যে মন্তব্যকরেছেন তা উসকানিমূলক। এ মুহূর্তে উভয় পক্ষকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই আলোচনায় বসে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।ফেবুমতরস+আলোর ফেসবুক পেজে পাঠকের কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম, এরশাদের জোট ত্যাগ ও একই সঙ্গে সর্বদলীয় সরকারে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?জানিয়েছেন পাঠকরা—তানভির আহমেদ: আমি মন্তব্য করতে রাজি নই। কেননা, মন্তব্য করতে না করতেই এরশাদ সাহেব ভোল পাল্টে অন্য কথা বলতে পারেন।সুচিত্র দাস: দেখার সময় পাচ্ছি কই? চোখ থেকে মাথায় যাওয়ার আগেই তো ইনপুট বদলে যায়!মাসুদ আহমেদ: গজনি মুভিটা আরও বেশি হিট করত, যদি নায়ক হিসেবে আমির খানের জায়গায় আমাদের এরশাদ কাক্কু অভিনয় করতেন! আমার বিশ্বাস, শর্ট টাইম মেমোরি লসের অভিনয়টা এরশাদের চেয়ে ভালো করে আর কেউ করতে পারবেন না।পলাশ ফেরদৌস: ফেসবুকের এডিট অপশনটা তৈরি করা হয়েছে কার জন্য? আমাদের এরশাদ কাকুর জন্য।আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেডের ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১২-১৩ অর্থবছরের শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে।কোম্পানির সাভারের কর্ণপাড়ার কারখানা প্রাঙ্গণে গতকাল মঙ্গলবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোম্পানির চেয়ারপারসন হুব্বুন নাহার হক সভাপতিত্ব করেন। এতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হকসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি। |
নীলফামারী সদর উপজেলায় সাপের কামড়ে রাবেয়া খাতুন (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাবেয়া ওই গ্রামের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে। মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে শোবার ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় একটি বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। তাকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভ্যাকসিন না থাকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।নীলফামারী প্রতিনিধিকাল পার্থে অ্যালিস্টার কুকের দল বিমান থেকে নেমেছে টানা চতুর্থ অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। এক বন্ধুর মৃত্যুর জন্যই দলের সঙ্গে বিমানে ওঠেননি পিটারসেন। আগামীকাল দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এই ব্যাটসম্যান।অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে শুধুই খুদে ভস্মাধারটা নিজেদের দখলে রাখবে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল, বড়সড় ধাক্কাও দেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে। সেই ধাক্কায় পতন হতে পারে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অনেক পরিচিত মুখের।সর্বশেষ অ্যাশেজ জয়ের স্মৃতিটা মাত্রই মাস দুয়েকের পুরোনো। সেই টাটকা স্মৃতি নিয়েই মূল লড়াই শুরুর মাস খানেক আগেই দক্ষিণ গোলার্ধে হাজির ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপটাকে এবারও লক্ষ্য বানিয়েছে ইংল্যান্ড। গত অ্যাশেজে ব্যাটিং লাইনআপটাকে গিনিপিগ বানানোর চড়া মূল্যই দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কোচ ড্যারেন লেম্যান অবশ্য এবার কথা দিয়েছেন ব্যাটিং লাইনআপটাকে স্থিতিশীল রাখবেন।চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর অনেক দিন ধরেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে ইংল্যান্ড। এতে আবার আত্মতৃপ্তি পেয়ে বসবে না তো! ‘ক্যাপ্টেন’ কুক অবশ্য সেই ভয় পাচ্ছেন না, ‘আত্মতৃপ্তি, ওটা কোনো সমস্যা নয়। ১৮৯০ সালের পর প্রথম টানা চারটি অ্যাশেজ জয়ের সুযোগ আমাদের সামনে। সবাই রোমাঞ্চিত ও উন্মুখ এটা করে দেখানোর জন্য।’সফরে ইংল্যান্ড প্রথম মাঠে নামছে ৩১ অক্টোবর। পার্থে শুরু ওই তিন দিনের ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্য দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ২১ নভেম্বর ব্রিসবেনে।ব্রিটিশ বাজিকর সংস্থা উইলিয়াম হিলের বাজির দরে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। তাদের পক্ষে দর ১০/১১, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৩/৮। গায়ে ফেবারিটের এই তকমা লেগে যাওয়াটাকে স্বাভাবিকই বলছেন কুক, ‘ টানা তিনটি অ্যাশেজ জয়ের শেষটি যখন মাত্র দুই মাস আগে, লোকজন আমাদের ফেবারিট বলবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়টা কোনো ছোটখাটো ঘটনা নয়। আমাদের সামনে এখন এটাই চ্যালেঞ্জ।’কুকের মতো অবশ্য স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। গত অ্যাশেজের আগে বরখাস্ত হওয়া কোচ মিকি আর্থার তো পরশু বলেই দিলেন এবারও ইংল্যান্ড জিতলে চাকরি নিয়েই টানাটানি পড়ে যাবে জেমস সাদারল্যান্ড (সিইও), প্যাট হাওয়ার্ড (হাইপারফরম্যান্স চিফ) ও মাইকেল ক্লার্কের। এএফপি।চ্যানেল আইবেলা ৩-০৫ এইট এমএম।এনটিভিসকাল ৮-৪৫ মা-বাবার স্বপ্ন (মান্না, অপু বিশ্বাস, রাজ্জাক, প্রিয়া)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ অভিযান।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ বিদ্রোহী কন্যা (আলমগীর, শাবানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, রুবেল, সোনিয়া)।বাংলাভিশনবেলা ১-০৫ বুক ভরা ভালোবাসা (রিয়াজ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ চরম অপমান।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ নিকাহ্ (ইলিয়াস কাঞ্চন, সুচরিতা, দোয়েল)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ প্রেমের সমাধি (বাপ্পারাজ, শাহনাজ, অমিত হাসান)।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৪৫ মর্যাদার লড়াই (জসিম, শাবানা)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ বিধিলিপি (রঞ্জিত মল্লিক, মৌসুমী চ্যাটার্জি)।সনি আটসকাল ১০-৩০ ফটিকচাঁদ (তরুণ মিত্র, বিপ্লব চ্যাটার্জি, হারাধন)। বিকেল ৪-৩০ সব চরিত্র কাল্পনিক (প্রসেনজিৎ, যীশু, বিপাশা বসু)।জলসা মুভিজসকাল ৯-১০ নিশাচর (চিরঞ্জিত, শতাব্দী রায়, বিপ্লব চ্যাটার্জি)। ১১-৫৫ ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে (সোহম, শ্রাবন্তী, দীপঙ্কর দে)। ৩-২০ প্রেম বাই চান্স (আবির, কোয়েল মল্লিক)। ৬-৩০ লাভেরিয়া (সোহম, পূজা বোস, রজতাভ দত্ত)। ৯-৩০ আমি সুভাষ বলছি (মিঠুন, বারখা)।জি সিনেমাসকাল ৯-০৮ বিন বুলায়ে বরাতি (আফতাব, প্রিয়াঙ্কা, রাজপাল যাদব)। ১২-০২ অপরিচিত। ৩-০২ মাস্টারজি (রাজেশ খান্না, শ্রীদেবী, অনিতা রাজ)। ৬-০৬ বোল রাধা বোল (ঋষি কাপুর, জুহি চাওলা)। ৯-৩০ জুদাই (অনিল কাপুর, শ্রীদেবী, ঊর্মিলা)।জি প্রিমিয়ারসকাল ১০-০০ নাগ প্রতিষ্ঠা। ১-৩০ আত্মা (বিক্রম সিং, নেহা)। ৫-৩০ গাদ্দার (সুনিল শেঠি, সোনালী বেন্দ্রে, হরিশ)। ৮-৩০ ফাইট ক্লাব (সুনিল শেঠি, রিতেশ, দিয়া মির্জা)।সেট ম্যাক্স (ভারত)সকাল ৮-৫৫ পদ্মশ্রী লালু প্রসাদ যাদব (সুনিল শেঠি)। ১১-৫৫ অমর আকবর অ্যান্টনি (অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না, ঋষি কাপুর, পারভীন ববি, নীতু সিং, শাবানা আজমি)। ৩-৫৫ সিমহা (বালাকৃষ্ণ)। ৬-১০ তেরে নাল লাভ হো গ্যায়া (রিতেশ, জেনেলিয়া)। ৯-৩০ হাম (অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্ত, গোবিন্দ, কিমি কাতকার)।ফক্স মুভিজসকাল ৮-২৫ জুরাসিক পার্ক ৩ (স্যাম নিল, টি লেওনি)। ১০-০০ দ্য থ্রি স্টুজেস। ১১-৩৫ অ্যালেক্স ক্রস। ১-২০ দ্য অ্যাভেঞ্জারস (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র)। ৩-৪৫ ফ্যান্টাস্টিক ফোর। (ক্রিস ইভানস, জেসিকা অ্যালবা)। ৫-৩০ দ্য ওয়াকিং ডেড। ৭-০০ সল্ট (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি)। ৮-৪০ লকআউট ১০-১৫ দ্য বেবিমেকারস। ১১-৪৫ দ্য থ্রি স্টুজেস।এইচবিওসকাল ১০-০৯ ডিথ্রি দ্য মাইটি ডাকস। ১১-৫৫ দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (গ্যারি ওল্ডম্যান, ক্রিশ্চিয়ান বেল)। ৩-০৭ লারা ক্রফট টুম্ব রাইডার (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, জেরার বাটলার)। ৫-২২ মিরর মিরর (জুলিয়া রবার্টস, লিলি কলিন্স)। ৭-২৯ আই অ্যাম লিজেন্ড (উইল স্মিথ)। ৯-৩০ লিমিটলেস (রবার্ট ডি নিরো)। ১১-৪৫ টোয়াইলাইট (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)।ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মাচিল এলাকায় ২০১০ সালে একটি সাজানো ‘এনকাউন্টারে’ (বন্দুকযুদ্ধ) জড়িত থাকার অভিযোগে সামরিক আদালতে দুই কর্মকর্তা ও চার সেনাসদস্যের বিচার হবে। সেনাবাহিনী এ নির্দেশ দিয়েছে। ওই এনকাউন্টারের জের ধরে এলাকায় দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল।ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, দুই কর্মকর্তা কর্নেল ডি কে পাঠানিয়া ও মেজর উপিন্দর এবং চার সেনার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল শুরু হবে। এই বিচারের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীতে ন্যায়বিচারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।মাচিল এলাকায় ২০১০ সালের এপ্রিলে কথিত এনকাউন্টারে তিনজনকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করে সেনাবাহিনী। পরে জানা যায়, তাঁরা সবাই বারামুল্লা জেলার নাদিহাল এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর লোকজন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের সীমান্ত এলাকায় ডেকে নিয়ে যান এবং সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে হত্যা করেন। পিটিআই ও এনডিটিভি। |
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিক অসন্তোষের জন্য সরকারের একজন মন্ত্রীকে দায়ী করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেন, ওই মন্ত্রীর নেতৃত্বে এই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। এ খাতকে ধ্বংস করতে একটি গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এ খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত স্থিতিশীল ছিল। হঠাৎ একজন মন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। সেই মন্ত্রীর শ্রমিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন করে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনীতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য ওই মন্ত্রীর নেতৃত্বে অরাজকতা শুরু হয়েছে।’মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করেছে। এখন তৈরি পোশাক খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা তাদের লোকদের নয়টি ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের লোক ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারে না।’৭৩-এর ভোট ডাকাতের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। সংগঠনের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদ এতে সভাপতিত্ব করেন।‘নভেম্বরে সরকার অচল’: গতকাল প্রেসক্লাবে অপর এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, নভেম্বরে তাঁদের আন্দোলন যে রূপ নেবে, তাতে সরকার অচল হয়ে যাবে। সরকার তখন বুঝবে বিএনপির সাংগঠনিক ক্ষমতা আছে কি না। জাতীয়তাবাদী গণদল নামের একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে।জঙ্গিবাদ নির্মূলের কৃতিত্ব বিএনপির বলে দাবি করেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিদেশিদের সমর্থন পাওয়ার জন্য জঙ্গিবাদের কথা বলে। তাদের সময়ই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে সরকার জঙ্গি নির্মূলে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মুফতি হান্নান এখনো বেঁচে আছে। সরকার তাঁকে ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ জিইয়ে রাখে বলে তিনি দাবি করেন।শারদীয় দুর্গাপূজা ও ঈদুল আজহার ১৮ দিনের ছুটি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আজ শনিবার খুলে দেওয়া হচ্ছে। কাল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় সূত্র জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা, আবাসিক হল এবং দপ্তরগুলো ৭ অক্টোবর থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ শনিবার থেকে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলো এবং সকাল ১০টা থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। কাল রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা চালু হওয়ার কথা রয়েছে।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীপ্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন। আজকের নাটক রক্তকরবী। নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।নাট-মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের নাটক বসন্ত জাগরণ। নির্দেশনা দিয়েছেন শাহমান মৈশান। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউবাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে ১৫ জন শিল্পীর দলগত প্রদর্শনী। শিল্পীকর্মের সংখ্যা ৩৫টি। চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।ঢাকা আর্ট সেন্টার, ধানমন্ডিঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র নূর এ শফি আহনাফ এখন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার সাহায্যের জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনী ‘আর্ট একজিবিশন ফর আহনাফ’। আয়োজন করেছেন কলেজের শিক্ষকেরা। চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডপূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি: বেলা ১১টা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। রিডিক: বেলা সোয়া ১১টা, একটা ৫০, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। টাইটানিক থ্রিডি: বেলা তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে। বুলেট টু দ্য হেড: বেলা দুইটায়। স্টেপ আপ রেভোল্যুশন থ্রিডি: সকাল ১০টা ৫০ ও বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে।বাংলাদেশ টেলিভিশন ৫০ বছরে পা রেখেছে গতকাল বুধবার। এ উপলক্ষে চ্যানেল আই আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ বছর: চ্যানেল আইয়ের শুভেচ্ছা’ শিরোনামে মিলনমেলা। তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই ভবনের ছাদ-বারান্দায় সকালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রবীণ ও নবীন কর্মকর্তা, কলাকুশলী আর শিল্পীরা।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরসহ আরও অনেকে। প্রবীণ কর্মকর্তারা কথা বলেন বিটিভির ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে। অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার ও সাদি মহম্মদ।এদিকে ৫০ বছরের শুভ সূচনা উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন নানা আয়োজন করেছে। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এবং আজ বেলা তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি, আলোচনা ও স্মৃতিচারণা। |
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সময় এসেছে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার। আশা করি, জামায়াতকে রাজনীতির মাঠ থেকে আইনানুগ ও রাজনৈতিকভাবে বিদায় করা হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দলটির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে এবং প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনিক পদ্ধতি মেনেই এগোতে হবে, যেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে আদালতে পাল্টা অভিযোগ না ওঠে। তাই যেভাবে আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে একটি দলকে নিষিদ্ধ করতে হয়, আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।’ইনিংস হার এড়াতে দরকার ২৮৬ রান। পাকিস্তানের হাতে আছে ৬ উইকেট। প্রায় নিশ্চিত, দুবাইতে দ্বিতীয় টেস্টটা জিতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় দিন শেষেই বলে দেওয়া যায় তারা সমতা আনছে সিরিজে। আর ধরে রাখছে গত সাত বছরে দেশের বাইরে কোনো সিরিজ না হারার রেকর্ডটা। তবে দিন শেষে কি স্বস্তিতে আছে গ্রায়েম স্মিথের দল? দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন থেকেই নিখুঁত ক্রিকেট খেলা দলটির গায়ে যে কাল লেগে গেছে বল টেম্পারিংয়ের কালি। বল বিকৃতির অভিযোগে ৫ রান জরিমানাও গুনতে হয়েছে দলটিকে।ঘটনাটা চা-বিরতির দুই ওভার পরের। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩১তম ওভার শুরু হওয়ার আগে দুই আম্পায়ার রক টাকার ও ইয়ান গোল্ড দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথকে ডেকে জানিয়ে দিলেন ৫ রান জরিমানার সিদ্ধান্ত। পাল্টানো হলো বলটাও। টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ল ফ্যাফ ডু প্লেসিস ট্রাউজার পকেটের জিপারে বল ঘষছেন। আইসিসির আইন অনুযায়ীই জরিমানা করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার আগে-পরে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাই ছড়ি ঘুরিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৫১৭ রান করে তারা লিড পায় ৪১৮ রানের। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডার ২ রানের মধ্যেই ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শান মাসুদ ও খুররম মনজুরকে। আগের ম্যাচে ১৪৬ রান করা মনজুর এ ম্যাচের দুই ইনিংসেই শূন্য করেছেন। আজহার আলী ও ইউনিস খান তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রান যোগ করার পর অনিয়মিত স্পিনার জেপি ডুমিনি প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন আজহারকে। স্লিপে ক্যালিস ক্যাচটা না ফেললে ইউনিসের উইকেটটাও পেতেন ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত ইউনিস ফিরেছেন ইমরান তাহিরের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে।সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৫৭ রানে। ডি ভিলিয়ার্স (১৬৪) ও স্মিথ (২৩৪) দুজনই ফিরেছেন অল্পতেই। পাকিস্তানি অফ স্পিনার সাঈদ আজমল ১৫১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।১. আপনি কি কখনো ঘুষ নিয়েছেন?(উত্তর ‘না’ হলে জানান: কোন মানসিক রোগে আপনি ভুগছেন?)২. কোন মুদ্রায় ঘুষ গ্রহণ করেন?(রুবলে গ্রহণ করলে জানান: শৈশবে কি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন?)৩. দর্শনার্থী আপনার অফিসকক্ষে ঢুকলে আপনি তার চোখের দিকে তাকান? নাকি তার পকেটের দিকে?(চোখের দিকে তাকালে বলুন: কবে থেকে আপনার ট্যারাচোখ?)৪. এমন কোনো শর্ত কি আছে, যা পূরণ হলে আপনি ঘুষ নেওয়া বন্ধ করবেন?(উত্তর ‘আছে’ হলে বলুন: কবে ও কত ওপর থেকে পড়ে গিয়েছিলেন এবং আপনার তখন তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়নি কেন?)আরটিভি আজ নবম বর্ষে পদার্পণ করছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি। আজ সকালে আরটিভি কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আরটিভির বেঙ্গল স্টুডিওতে থাকছে দিনব্যাপী মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে অংশ নেবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।আরটিভির নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। |
২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘সর্বনিম্ন মজুরি পোশাকশিল্পে’ শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিজিএমইএ।বিজিএমইএ দাবি করেছে, শিরোনামটি বাস্তবতার নিরিখে অসত্য, খণ্ডিত ও উসকানিমূলক। মজুরি বোর্ড গত মে মাস পর্যন্ত ৪২টি শিল্প খাতের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে পাঁচটি খাতের মজুরি প্রস্তাবিত আছে। অন্য শিল্প খাতে নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির তুলনামূলক বিচারে পোশাক খাতের মজুরি সর্বনিম্ন নয়, এর চেয়ে কম মজুরিও আছে। সেই খাতগুলো হলো টি প্যাকেটিং ইন্ডাস্ট্রি: ন্যূনতম মজুরি দুই হাজার ১৬০ টাকা, দরজি কারখানা: দুই হাজার ৩২৫ টাকা, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট: এক হাজার ৭৫০ টাকা, চিংড়ি শিল্প: দুই হাজার ৬৪৫ টাকা এবং বেকারি ও বিস্কুট কারখানা: দুই হাজার ১২০ টাকা।চলতি বছর মজুরি বোর্ড বেশ কিছু শিল্পের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে, যেখানে সিনেমা হল শিল্পে দুই হাজার ৬১০ টাকা, জুতা কারখানায় তিন হাজার ৬৫২ দশমিক ৫০ টাকা, জুট, প্রেস ও বেলিং শিল্পে তিন হাজার ৮৬২ দশমিক ৫০ টাকা মজুরি প্রস্তাবিত হয়েছে।বিজিএমইএ বলেছে, শ্রম আইনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও ক্ষতিকর বস্তু বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার প্রবণতা, কর্মপরিবেশ, কায়িক পরিশ্রম ইত্যাদি বিবেচনায় মজুরি ভিন্ন হয়ে থাকে। নির্মাণ ও ট্যানারিশ্রমিকের কর্মপ্রকৃতি, পরিবেশ ও ঝুঁকি পোশাকশ্রমিকের ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি। আবার চাতালশ্রমিকের শ্রমকাল মৌসুমের ওপর নির্ভরশীল।বিজিএমইএ বলেছে, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক খাতের মজুরির তুলনায় এসব দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনামূলক অবস্থান, বিশেষ করে মাথাপিছু আয়, জীবন যাপন ব্যয়, ব্যাংকঋণের সুদের হার ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়নি। আবার ভারত, ভিয়েতনাম, চীন ও কম্বোডিয়ার পোশাকশ্রমিকদের তুলনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কম।প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেশের উল্লেখযোগ্য ১০টি শিল্প খাতের মধ্যে পোশাকশ্রমিকের মজুরি সবচেয়ে কম বলা হয়েছে। ৪২টি খাত প্রতিবেদনের বিষয় ছিল না। তা থাকলে অবশ্যই তাতে পোশাকশ্রমিকদের অবস্থান যা, তা-ই লেখা হতো।বিজিএমইএর ব্যাখ্যায় যে কয়েকটি খাতের কথা উল্লেখ করেছে, সেগুলো কোনোভাবেই ৭৮ শতাংশ রপ্তানি আয়কারী পোশাক খাতের সমতুল্য নয়।প্রতিবেদনে প্রতিযোগী দেশগুলোর পোশাকশ্রমিকদের মজুরির সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকের মজুরির তুলনামূলক তথ্যটি কেবল দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএর ব্যাখ্যা অনুসারে, একই প্রতিবেদনে তুলনামূলক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হলে তা সংবাদপত্রের পাঠকের জন্য একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন হতো। এই অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আলোচিত হয়।সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহীদ মিনারের সামনে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।‘জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা নিপাত যাক’ স্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অযথা সংকট সৃষ্টি না করে আলোচনায় আসুন। আলোচনার পথ খোলা রেখেছি। আমরা কাউকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করব না।’সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী। যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী সালেহউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন।মোশাররফ হোসেন বলেন, বেগম জিয়া হোমওয়ার্ক না করে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ওই প্রস্তাব মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করা লাগবে। ইংল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত সরকারের অধীনে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে।মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দা-কুড়াল বাদ দিয়ে বিরোধী দলকে সমঝোতার পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে।মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।মিছিলসহকারে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগদান করেন। সময় অনেক কর্মীর হাতে লাঠি দেখা যায়।আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নেতার একটি বৈঠকের খবর স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। তবে যে বিষয়টি গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার সঙ্গে একেবারেই বেমানান, তা হলো সংলাপ নিয়ে উভয় পক্ষের একটা ঢাকঢাক-গুড়গুড় ভাব। বনানীর বৈঠকও এর ব্যতিক্রম নয়। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বৈঠক অনুষ্ঠানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এটা কি সংলাপ-সমঝোতায় সরকারের আন্তরিকতা, নাকি অন্য কিছুর বহিঃপ্রকাশ?বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক নাটকের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এখানে এখন কখন কী ঘটে, তা ব্যাপকভিত্তিক জল্পনাকল্পনার বিষয়। রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল হয়ে উঠেছে, তা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতার গোপন বৈঠকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ফুটে উঠেছে। গত মে মাসে সৈয়দ আশরাফের গাড়ি নাকি গন্তব্যে পৌঁছাতেই পারেনি। ২৩ নভেম্বর রাতে মির্জা ফখরুলের গাড়ি বদল এবং অলিগলি ঘুরে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছানোও বেশ নাটকীয়তায় পূর্ণ। তবে ‘নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন’—এই খবর নিশ্চিত হলে সংলাপ ভেস্তে গেলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। ধারণা করা যেতে পারে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বিবদমান দলগুলো একটা রুটিন মাফিক সংলাপে আগ্রহী হতে পারে। জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সংকট নিয়ে আলোচনা হয়নি। ঢাকায় অধিবেশন মুলতবি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ পার্লামেন্ট একই দিনে বাংলাদেশের সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আশরাফ-ফখরুল সংগোপনে বৈঠক করলেন। কিন্তু উদ্বেগ হ্রাস পাওয়ার মতো কিছু ঘটে কি না, তা জানতে দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণামাত্রই দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকির পটভূমিতে এই আলোচনা শুরু হলো। এই সংকটের একটি পরিহাস হচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সুকৌশলে জনগণের কাছে সত্য লুকাতে পারছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকা কেবল অবাধ নির্বাচনের জন্য নয়, মূলত এটা সুশাসনের জন্য হুমকি। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়। বিএনপি হাসিনাকে সরাতে চায়। কিন্তু তারা ওই ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যবস্থা সরাতে চায় না। এই সত্য থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করে তারা রাখতে পেরেছে।একটি একতরফা নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থকদের সংঘাতের মুখে দাঁড় করাবে না, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে। সংলাপ প্রত্যাশিত সুফল দেবে না, তাই কোনো সংলাপই হবে না, সেটা সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। আলাপ-আলোচনায় কখনো গোপনীয়তা বজায় রাখা গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু গোপনীয়তা আর নাটকীয়তা এক নয়। যা এখন চলছে, তাকে নাটক ছাড়া কিছু বলা যায় না। মানুষ নাটক চায় না, সংলাপ চায়। সে সংলাপ বসামাত্রই ফল না-ও দিতে পারে। এটাও মনে রাখতে হবে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।ইলিয়াস কাঞ্চন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকেও। আজ এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে তাঁর পরিচালনায় নাটক পুরস্কার।পুরস্কার...এটি আমার পরিচালনায় নির্মিত ১৫তম টিভি নাটক। এ নাটকের গল্পটা সড়ক দুর্ঘটনার নানা দিক থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়—তাই নিয়ে। নাটকে আমি ট্রাকচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চম্পা।আমার পাওয়া সেরা পুরস্কার...এখনো সেরা পুরস্কার পাওয়া হয়নি। স্বপ্ন দেখছি, একদিন ঠিকই সেরা পুরস্কারটা পাব। আমার সেরা পুরস্কার সেদিনই পাব, যেদিন দেশে আর একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটবে না।এখনকার চলচ্চিত্র...বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এখনকার যে অবস্থা তাতে মনে হয়, খুব অযত্ন, অবহেলা, অনাদর—মমতা আর ভালোবাসা ছাড়াই চলছে। প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখানকার চলচ্চিত্র ব্যবসাসফল হয় না; যা অনেক লজ্জার।ঢাকাই চলচ্চিত্রের সেরা দিক...ঢাকার চলচ্চিত্রের সেরা দিক দর্শক। আমরা ভালো ছবি দিতে পারছি না, তাই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে কম যাচ্ছে। তা ছাড়া আমাদের প্রেক্ষাগৃহগুলোর যে অবস্থা, তার পরও দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখছে।প্রথম সিনেমা দেখা...আমার জন্ম কিশোরগঞ্জে। বাবার হাত ধরে কিশোরগঞ্জে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখেছিলাম।অভিনয়শিল্পী না হলে...অভিনয়শিল্পী না হলে চিকিৎসক হতাম। এটারও একটা কারণ ছিল, ১৯৬৭ সালে আমি মায়ের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলাম। তখন একজন রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের আচরণ দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা হয়। কিন্তু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে পরে আর তা হয়নি। বিনোদন প্রতিবেদক |
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুরে কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি সরকারি পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পুকুরে তাঁরা মাছ চাষ করে তা বিক্রিও করছেন বলে জানা গেছে।এদিকে সরকারি স্বার্থ রক্ষা ও বিধি মোতাবেক পুকুরটি ইজারার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন মহারাজপুর গ্রামবাসীর পক্ষে সানোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। এ ছাড়া সানোয়ার ওই পুকুরটি যেন কেউ অন্যায়ভাবে দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। মৎস্য বিভাগ জানায়, ওই পুকুরে বছরে প্রায় সাত মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন সম্ভব।এলাকার অনেকে জানান, বাংলা ১৪২০ সনে পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা প্রশাসন মহারাজপুর মৌজায় অবস্থিত ২ দশমিক ৩৮ একর (এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত, দাগ নম্বর ২৩৫) পুকুর ইজারা দেয়। যুবলীগের উপজেলা শাখার কিছু নেতা সর্বশেষ পুকুরটি ইজারা নেন। কিন্তু ওই ইজারার বিরুদ্ধে মহারাজপুর গ্রামের রুহুল, তাবারক, শফিক, খোরশেদ, ইউসুফ ও মজিবর আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত ইজারার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন।সানোয়ার অভিযোগ করেন, আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই ব্যক্তিরা পুকুরটি দখল করে সেখানে মাছের পোনার চাষ করেছেন। এ ছাড়া পুকুরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের মাছ ধরে বিক্রি করে তা আত্মসাৎ করেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল্লাহেল বাকী নামের এক ব্যক্তি উপজেলা প্রশাসন থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়ে পাঁচ বছর মাছ চাষ করেন। গত চৈত্র মাসে তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। তবে পুকুরটি নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় তিনি আর ওই পুকুর ইজারা নেননি। কিন্তু স্থানীয় ওই ব্যক্তিরা পুকুর দখল নিয়ে মাছের পোনা চাষ করছেন।তাবারক হোসেন জানান, পুকুরের চার পাশে তিনিসহ আরও পাঁচ-ছয়জনের জমি রয়েছে। ওই জমির কিছু অংশ ভেঙে পুকুরে সঙ্গে মিশে গেছে। এতে তাঁরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বছরের পর বছর ওই অবস্থা চললেও সরকার পুকুরটি অন্যকে ইজারা দেয়। তাঁদের কথা বিবেচনা করা হয় না। তাই পুকুরসংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা পুকুরটি তাঁদের পক্ষে ইজারা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। তবে তাঁরা মাছ ধরে বিক্রি বা পোনা ছাড়েননি বলে দাবি করেন।ইউএনও ইয়াসমিন আকতার জানান, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পুকুরের মাছ ধরার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।‘আগামী ৭ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি মোড়ে ১৮ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেছেন।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘এই সরকারকে জনগণ এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক দিয়েছে। আজ থেকে এই সরকারের শাসন মেনে নেবে না জনগণ। শেখ হাসিনার কথাও শুনবে না।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সেই নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।’সমাবেশের সভাপতি ও নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘লোকে বলে শেখ হাসিনার পতন ঘটবে। আমি বলছি, পতন ঘটে গেছে। ৭ নভেম্বর এই সরকারকে কোল্ড স্টোরেজে পাঠানো হবে। সেদিন থেকে আমরা থাকব রাজপথে।’ আমীর খসরু আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব দিবসে বর্তমান সরকারের কবর রচনা করে দেশকে তাঁবেদার ও দুর্নীতিমুক্ত করব। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ জন্য আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন।’সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, নগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন।গতকালের সমাবেশ ঘিরে নগরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।জামায়াত-শিবিরের শক্তি প্রদর্শন: গতকাল জুমার নামাজের পর থেকেই কাজীর দেউড়ি মোড়ের তিন দিকে অবস্থান নেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়।জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঘোষিত রাজনৈতিক আদর্শ ও নীতি নিয়ে বিতর্ক বরাবরই ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তারা যেসব কর্মকাণ্ড করছে, তাতে সংগঠন দুটি স্পষ্টত নিজেদের সন্ত্রাসী হিসেবে জাহির করেছে। এর আগে রাস্তায় ভাঙচুর কিংবা জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করে আসছিল তারা। কিন্তু গত শনিবার মিছিলের নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করেন।আরও দুর্ভাগ্যজনক যে অন্যান্যের মধ্যে তাঁদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন স্প্যানিশ নাগরিক, যাঁরা তৈরি পোশাক কেনার আদেশ দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতার ছবিটিতে দেখা যায়, আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁরা গাড়ি থেকে বেরিয়ে রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে লজ্জাকর ঘটনা কী হতে পারে?জামায়াত-শিবির এই ঔদ্ধত্য কোথায় পেল? উচ্চ আদালতের নির্দেশে দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও তাদের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং তারা আরও ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে। এখনই কঠোর হাতে এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা এসব সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিকল্প নেই।কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ ধরনের ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের ধরার বদলে গয়রহ মামলা করতেই পুলিশের বেশি উৎসাহ লক্ষ করা যায়। এ রকম একটি সংগঠনকে বিএনপির মতো দায়িত্বশীল দলটি কীভাবে কাছে টানতে পারে? তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে বিএনপির শক্তিতেই জামায়াত ও এর ছাত্রসংগঠনটি দেশের প্রচলিত আইন না মানার ধৃষ্টতা দেখিয়ে যাচ্ছে? ভবিষ্যতে তাদের ওপর যে এই কালসাপ ছোবল মারবে না, তার নিশ্চয়তা কী?এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে জামায়াত-শিবির কেবল মৌলবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে ক্ষান্ত হয়নি, তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদর্শ ও মৌলনীতিরও বিরোধী। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জননিরাপত্তার স্বার্থেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংগ্রাম জারি রাখা জরুরি।তাঁর শৈশব-কৈশোর ম্যাডোনায় মাখামাখি। বেড়েই উঠেছেন ম্যাডোনার গান শুনে শুনে। ফলে নিজেও যখন ভালোবেসে গানকেই নিজের পেশা আর নেশা বানিয়ে ফেলেছেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই বিয়ন্স নোয়েলস ‘ম্যাডোনা’ই হতে চেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই পপতারকা বলেন, ‘আমার সব সময়ই মনে হয়েছে আমি ম্যাডোনার পদরেখা অনুসরণ করব। আমি নিজেও সংগীত জগতের একটা বড় তারকা হয়ে উঠতে চেয়েছি, নিজের সাম্রাজ্য গড়তে চেয়েছি।’ গত সপ্তাহে ভক্তদের চমকে দিয়ে আগে কোনো ঘোষণা কিংবা ব্যাপক প্রচারণা ছাড়াই নিজের পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন বিয়ন্স। শিরোনামহীন এই অ্যালবাম অবশ্য দ্রুতই সুপারডুপার হিট হয়ে গেছে তার পরও। পিটিআই |
জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি আগামী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কমিশন সচিবালয়ে এই চিঠি জমা দেন।চিঠিতে বলা হয়, গত মার্চে দলের কার্যালয়ে হামলা করে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ করা হয়েছে। এরপর দলের মহাসচিবসহ অনেক নেতা জেলে থাকায় দলীয় কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে। সে জন্য বিএনপি যথাসময়ে সম্মেলন করতে পারেনি।রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন বিএনপির কাছে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তালিকাসহ হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে।বান্দরবান জেলা শহরের ওয়াপদা ব্রিজ এলাকায় ‘আমরা মুজিব সেনা’র ব্যানারে জেলা বিএনপির কৃষি সম্পাদকের ভাড়া বাড়ি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঈদের ছুটিতে দেশের বাড়ি যাওয়ার ফাঁকে তালা ও বেড়া ভেঙে মুজিব সেনা সংগঠনের লোকজন বাড়িটি দখল করেছে বলে গতকাল শুক্রবার ভাড়াটিয়া মালিক সৌরভ শিকদার অভিযোগ করেছেন। দখলের পর বাড়ির বাইরে ‘আমরা মুজিব সেনা’ সাইনবোর্ড ও ভেতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।এলাকার লোকজন বলেছেন, গত ২৩ অক্টোবর বিকেলে জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ভাইয়ের নেতৃত্বে একদল লোক বিএনপি নেতা ফজলুল কবীরের বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তারা বাঁশের বেড়া ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে টেবিল ও প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে আসে।বিএনপির নেতা ফজলুল কবীর বলেছেন, তিনি ২০-২২ বছর ধরে নিয়মিত রাজস্ব পরিশোধ করে বাজার ফান্ডের জমি ইজারা নিয়ে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন। এখন জেলা পরিষদের সদস্য হওয়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর জমি ও বাড়ি দখলের চেষ্টা করছেন। ফজলুল কবীরের ভাড়াটিয়া সৌরভ শিকদার বলেন, ঈদ ও পূজার ছুটিতে পরিবারসহ দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির একাংশের সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। আট বছর ধরে ফজলুল কবীরের এ বাসায় ভাড়া রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা বেড়া ও আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে একটি টেবিল ও ১০-১৫টি প্লাস্টিকের চেয়ার বসানো হয়েছে। সেখানে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা গেলেও তাঁরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।আমরা মুজিব সেনার সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাড়ি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁরা বাজার ফান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে ওই জমি ইজারাপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করেছেন। কারণ ফজলুল কবীর ওই জমিতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, দুই পক্ষকে আদালতে গিয়ে জমি কার, তা প্রমাণ করার এবং কোনো রকম সংঘাতে না যাওয়ার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সমস্যা নেই বলে ওসি বলেছেন।স্কটল্যান্ড ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হতে পারে। ওই দিন দেশে গণভোটের আয়োজন করা হবে। দেশের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষেই ভোট দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্কটল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) রাজনীতিবিদ নিকোলা স্টারজিওন। গণভোট উপলক্ষে স্কটল্যান্ডের সরকার একটি স্বাধীনতার ‘নীলনকশা’ নামে একটি শ্বেতপত্রে প্রকাশ করেছে। ৬৭০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি ছাপানো বই ও ইন্টারনেটে কাল মঙ্গলবার থেকে পাওয়া যাবে। স্টারজিওন বলেন, শ্বেতপত্রে স্কটল্যান্ডের অর্থনৈতিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিতে প্রভাবিত করা হবে। বিবিসিচলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল বুধবার ‘জাতীয় সংস্কার কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় আগাম সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি এ কাউন্সিল গঠন করা হবে। তবে ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনের নেতা সুথেপ থগসুবান তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইংলাক বলেন, এখন সময় একটি পদ্ধতি তৈরি করা, যা দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে এবং জাতীয় সংস্কার ত্বরান্বিত করবে। এ লক্ষ্য পূরণে ওই কাউন্সিল সংবিধান সংশোধন, অর্থনৈতিক ও আইনি সংস্কার এবং দুর্নীতি রোধের বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরি করবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নেতা সুথেপ থগসুবান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আগে চাই সংস্কার। এরপর নির্বাচন।’ আন্দোলনের মুখপাত্র আকানাত প্রমফান বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ইংলাক মোটেও আন্তরিক নন। প্রধানমন্ত্রীর ত্যাগ ও উদারতার পরিচয় দেওয়া উচিত। তাঁর উচিত পদত্যাগ করে সংস্কারকাজ শুরুর সুযোগ দেওয়া।ইংলাক সরকারের পদত্যাগ ও একটি অনির্বাচিত গণপরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ব্যাংককে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছে।এদিকে বিরোধীদের প্রতিহত করতে গতকাল ইংলাকের মন্ত্রিসভা বিশেষ নিরাপত্তা আইনের মেয়াদ আরও দুই মাসের জন্য বাড়িয়েছে। ওই আইনে পুলিশ অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে। এএফপি। |
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর সেন্ট রিটাস উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর সেই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশের হস্তক্ষেপে কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।এ সময় কিশোরীর বাবা লিখিতভাবে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।গতকাল এই বাল্যবিবাহ নিয়ে প্রথম আলোতে ‘কিশোরীর গায়েহলুদ আজ, কাল বিয়ে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গতকাল বিকেলে তার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছিল। বুধবার ঠিক করা হয়েছিল বিয়ে। ইউএনও ও চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মেয়েটির বাবা বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।বিদ্যালয় সূত্র জানায়, নিবন্ধন খাতায় কিশোরীর বয়স মাত্র ১৩ বছর ১১ মাস। মেধাবী ওই কিশোরীর স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার। কিন্তু পরিবারের চাপে বসতে হচ্ছিল বিয়ের পিঁড়িতে।চাটমোহরের ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কিশোরীর পরিবারকে বাল্যবিবাহের কুফল ও আইন সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেছি। পরে কিশোরীর বাবা সবকিছু বুঝতে পেরে বিয়ে বন্ধে রাজি হন। তিনি লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মেয়েকে আগের মতো স্কুলে পাঠাবেন। ১৮ বছর বয়স না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলেও তাতে উল্লেখ করেন।’সেন্ট রিটাস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরী মনিকা রিবেরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিয়ে বন্ধের খবরে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।’সাদাচোখেই বোঝা গেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাটিংটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানও সেটা সমর্থন করে। দুই টেস্টের এই সিরিজে উইকেটপ্রতি বাংলাদেশ রান তুলেছে ৪৭.১১। বাংলাদেশের নতুন সিরিজ রেকর্ড এটা। আগের রেকর্ড থেকে এই সিরিজের গড়টা প্রায় ৮ বেশি। এ বছরই শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ উইকেটপ্রতি রান তুলেছিল ৩৯.১২ করে। তিনে আছে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ঐতিহাসিক সেই সিরিজে গড়টা ছিল ৩৪.৯৪। সিরিজে উইকেটপ্রতি রানের বিশ্ব রেকর্ডেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০০৫ সালে নিজেদের দেশে ২ ম্যাচের সিরিজে ১৬২.৫০ গড়ে রান তুলেছিল ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।লটারিতে বিলিয়ন ডলার জিতে নেওয়ার ঘটনা যেমন বিরল, মাথার ওপরে ইট পড়ার ঘটনাও। কিন্তু তবু কেন যে ইটের ব্যাপারটি ঘন ঘন ঘটে! ঘরে প্রচণ্ড ঠান্ডা? তাহলে ঘরের কোণে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। ওখানে ৯০ ডিগ্রি। লজ্জাবোধ ও বিবেক হারিয়ে ফেলে অকর্মারা। প্রকৃত প্রতিভাবানেরা ওসব নিয়ে ব্যবসা করে। —কাল প্রায় ভোরের দিকে তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি।—বাকি রাতটা তাহলে কার সঙ্গে ছিলে? আঙুল দিয়ে নাক খোঁটানো যারা অশালীন বলে মনে করে, হয় তাদের আঙুল মোটা, নয় তারা জীবনের ছোটখাটো আনন্দ বিষয়ে কোনো ধারণাই রাখে না।গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যটি নানা কারণে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কয়েক দফা হরতাল-অবরোধের পর তিনি নতুন কী কর্মসূচি নেন, সে সম্পর্কে সবার কৌতূহল ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি হরতাল-অবরোধের মতো চরম কর্মসূচি দেননি, এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন।কিন্তু খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে যেসব বক্তব্য বা প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সংকট উত্তরণে দীর্ঘমেয়াদি কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তিনি ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন না করার জন্য সরকারকে বলেছেন। এটি কেবল আহ্বান বা হুঁশিয়ারির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো হতো। একই সঙ্গে তিনি সেই নির্বাচন প্রতিহত করতে সবাইকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘ভোটাধিকার হরণকারী ও মানবতা লঙ্ঘনকারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণক্ষয়ী লড়াইয়ে যাঁরা শরিক আছেন, এবং হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়, সমঝোতা ও ঐক্য গড়ে তুলুন।’এর মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী কি বোঝাতে চাইছেন যে ‘প্রাণক্ষয়ী’ আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরও সমন্বয়, সমঝোতা ও ঐক্যের প্রয়োজন আছে? এখন সেই ‘প্রাণক্ষয়ী’ আন্দোলনকারীরা যদি আরও সংহত হন, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, বুঝতে অসুবিধা হয় না। জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা আরও বাড়বে।নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতা না হওয়ার জন্য বিরোধী দলের নেতা সরকারের একগুঁয়েমি ও অনমনীয় মনোভাবকে দায়ী করেছেন। তাঁর এই অভিযোগের সঙ্গে আমরা দ্বিমত করছি না। কিন্তু সরকারের সেই একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে বিরোধী দল আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাও সমর্থনযোগ্য নয়।প্রকৃতপক্ষে দুই পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণেই সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা অপূর্ণই থেকে গেল। এখন সরকার যে একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে, তা দেশে-বিদেশে সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। ইতিমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। যেহেতু এই নির্বাচনের প্রতি জনগণেরই আগ্রহ নেই, সেহেতু প্রতিহত করার নামে সংঘাতকে উসকে দেওয়ার কী প্রয়োজন?নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়ও তাদের ওপর এসে পড়বে। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ বন্ধ করা যেমন গণতন্ত্র নয়, তেমনি সহিংস পথে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণাও গণতন্ত্রের ভাষা নয়।দ্বিতীয়ত, একজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নেওয়া প্রস্তাব বিষয়ে খালেদা জিয়া মর্মাহত বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা-ও জন-আকাঙ্ক্ষার তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে হয়। জনগণ তাঁর কাছে এ ব্যাপারে আরও শক্ত অবস্থান আশা করেছিল। তিনি অন্তত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নেওয়া প্রস্তাবের নিন্দা বা প্রতিবাদ করতে পারতেন। তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সৃষ্ট সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা তা সমর্থন করি। কিন্তু তিনি যখন বলেন, এ নিয়ে দেশের ভেতরে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে, তখনই যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে বিএনপির দোদুল্যমানতা প্রকাশ পায়। এমনকি তিনি নিজেও সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি।অন্যদিকে, খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধে যেসব হত্যা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, তার সব দায় সরকারের ওপর চাপিয়েছেন। অনেক সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বলপ্রয়োগ যে পরিস্থিতিকে নাজুক করে, সন্দেহ নেই। কিন্তু যেহেতু আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেছে বিরোধীদলীয় জোট, সেহেতু সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার দায় তারাও এড়াতে পারে না।বিশেষ করে এই সহিংস রাজনীতির সুযোগে যে অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং তারা হীন স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যার সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের সঙ্গে সহিংস রাজনীতির নিশ্চয়ই চারিত্রিক পার্থক্য আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধের সময় অনেক ক্ষেত্রেই তারা সেই পার্থক্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।বিএনপি যদি ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে এবং নির্বাচনের ব্যাপারে দেশবাসীকে তাদের অবস্থান জানায়, সেটি করার অধিকার নিশ্চয়ই তাদের আছে। সরকারের উচিত হবে এ ধরনের কর্মসূচিকে বাধা না দেওয়া। কিন্তু কর্মসূচি ঘোষণাকালে বিএনপির নেত্রী যে চারটি নীতি-কৌশলের কথা বলেছেন, তা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে পারে। তিনি ‘ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠনের কথা বলেছেন। তাহলে সার্বভৌমত্ব কে হরণ করেছে, সেই প্রশ্নটিও আসবে।তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রশ্ন আসবে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কারা চালাচ্ছে? বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী বিরোধী জোটের শরিক মৌলবাদী রাজনৈতিক শক্তিই বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে, পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে কীভাবে তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবেন?সর্বোপরি খালেদা জিয়া যে চলমান আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত, ব্যাপক ও পরবর্তী ধাপে উন্নীত করা এবং বাধা দিলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, জনগণ তাতে শঙ্কিত না হয়ে পারে না। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধীদলীয় নেতার কাছে দেশবাসী আরও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করে।তবে বিরোধী দলের অবস্থান যেভাবেই দেখা হোক না কেন, সংকট সমাধানের বলটি এখন সরকারেরই কোর্টে।ড. ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। |
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ছিনতাই করে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ভাতরন্ড গ্রামের ব্যবসায়ী এন্তাজ আলী সোমবার রাত আটটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিয়ামতপুর ও নাচোলের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে অস্ত্রের মুখে তাঁর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা লুট করে।নওগাঁ সংবাদদাতাচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই মামলা করা হয়। মামলায় বোমা বিস্ফোরণে আহত জামায়াতের কর্মী মো. আলমগীর হোসেন, তাঁর ভাই মুক্তার হোসেন, বারইয়ারহাটের পৌর কাউন্সিলর নুরুল হুদা হামিদীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বারইয়ারহাট পৌরসভার ৭ নন্বর ওয়ার্ডের জামালপুরে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জামায়াতের কর্মী মো. আলমগীর আহত হন।সূত্র জানায়, আহত আলমগীরকে প্রথমে ফেনী ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ঘটনার সময় ওই ঘরে জামায়াত-শিবিরের একাধিক কর্মী ছিলেন।জার্মানির এক ক্রেতার সঙ্গে ক্রয়াদেশ (অর্ডার) নিয়ে গতকাল রোববার রাতে মিতালী ফ্যাশনের মালিক সৈয়দ আবু ইউসুফ আবদুল্লাহর একটি বৈঠক ছিল। মাস খানেক আগেই এই সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। তবে গতকাল সকালে হঠাৎ করেই বিদেশি ওই ক্রেতা তা বাতিল করে আবদুল্লাহর মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেন।রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গত শনিবার জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের মুখে পড়েন স্পেনের কয়েকজন পোশাক ক্রেতা। এ ঘটনায় বর্তমানে দেশে অবস্থানরত বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই জার্মানির ওই ক্রেতা বৈঠক বাতিল করে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করলেন ইউসুফ আবদুল্লাহ।মিতালী ফ্যাশনের এই মালিক গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ক্রেতার সঙ্গে সাত-আট বছর ধরে ব্যবসা করছি। তিন দিন আগে তিনি দেশে বাংলাদেশে এসেছেন। গতকালের বৈঠকে ৩৫ লাখ ডলারের একটি কার্যাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। তা ছাড়া ওই ক্রেতার ১৫ লাখ ডলারের তৈরীকৃত পোশাক নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। সেটিও মীমাংসা হয়ে যেত।’পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সমিতি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর কয়েকজন নেতার দাবি, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এমনিতেই বিদেশি ক্রেতারা কম আসছেন। আর শনিবারের ঘটনার পর ক্রেতাদের মনোভাব হলো, যথেষ্ট হয়েছে, আর এ দেশে নয়।ক্রেতাদের এই মনোভাব জোরদার হতে থাকলে বাংলাদেশের অনেক ক্রয়াদেশই অন্য প্রতিযোগী দেশে চলে যাবে, এমন আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকেরা।এদিকে হামলার শিকার হওয়া স্প্যানিশ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জেএইচকে ট্রেডার্সের সাতজন ক্রেতা গতকাল সকালে নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।এ বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ক্রেতারা দেশে ফেরার পর এটি পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে। তখন অন্য ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না।’ শনিবারের ঘটনায় দেশের পোশাকশিল্প ব্যবসার বিরাট ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এখন ক্রেতাদের দেশে আসার সময়। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছর তাঁরা কম আসছেন। সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে ডেকে নিয়ে কার্যাদেশ দিচ্ছেন।’তবে এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন একাধিক শিল্পমালিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রয়োজনের চেয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অফিস ঢাকায় আছে। ফলে অনেক ক্রেতা স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে আসেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর কিছু নেতা সব সময়ই ব্যবসা চলে যাওয়ার রব তোলেন। তাজরীনে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পরও তাঁরা এমনটি করেছেন। আর সেটি যদি সত্যিই হতো, তাহলে রপ্তানি কমে যেত। কিন্তু পরিসংখ্যান কি তাঁদের পক্ষে কথা বলছে?’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে অনেকটা দশম সংসদ নির্বাচনের গুরুত্বহীনতা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিলম্বে হলেও এটা তিনি ও তাঁর দল বুঝতে পেরেছে। তবে আমরা মনে করি, এখনো সময় আছে, একাদশ নয়, দশম সংসদ নির্বাচন নিয়েই সমঝোতা করা যায়। যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে। দুই বড় দল একমত হলে তফসিল পরিবর্তন কর সমস্যা নয়। দশম সংসদ নির্বাচন যদি এভাবে পরিহাসের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় ও সরকার গঠিত হয়, তাহলে আশঙ্কা করি দেশ, জনগণ, অর্থনীতি এবং আওয়ামী লীগেরই আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই বোধোদয়কে পাথেয় করে দুই বড় দলের মধ্যে যত রকম ছাড় দেওয়া সম্ভব, তা দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথাই এখন ভাবা উচিত। সংবিধান, তফসিল, ব্যক্তিগত জেদ ইত্যাদি কোনো কিছুই দেশের চেয়ে বড় নয়। দেশের স্বার্থকে সবার ওপরে স্থান দিলে সমঝোতা এখনো সম্ভব। যাঁরা ভাবছেন, ‘এই নির্বাচন হয়ে যাক, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা করব’, তাঁরা হয়তো কল্পনাও করতে পারছেন না, তা কত দুরূহ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে।প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে বিদেশি শক্তিসমূহ ও জাতিসংঘের মনোভাবও অনুকূল নয়। ব্যতিক্রম ভারত। শুধু ভারতের সমর্থন দিয়ে সরকার কি চলতে পারবে? এখন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করে নতুন তফসিল দিয়ে, সব প্রধান দলের অংশগ্রহণে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এটাই সময়ের দাবি। নইলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি, প্রধান দলগুলো, তাদের নেতারা বড় রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন। আওয়ামী লীগকে ভাবতে হবে, তারা কি ব্যক্তির জেদকে বড় করে দেখবে, নাকি দেশ ও দলের সামগ্রিক ভবিষ্যৎকে?আওয়ামী লীগের একটা গ্রুপ এ রকম ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চাইছে যে শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন, তাহলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ হেরে যাবে। আর বিএনপি এ ঘটনাকে তাদের ‘বিজয়’ দাবি করে দেশব্যাপী বিজয় উৎসব পালন করবে। এই মহল এমনও ধারণা দিচ্ছে যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতা, সমর্থক বুদ্ধিজীবীসহ অনেকে আক্রমণের শিকার হবেন। তাঁদের অনেককে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। ইত্যাদি।এই আশঙ্কার ভিত্তি আছে বলে মনে করি না। একতরফা নির্বাচন করলে ছয় মাস বা এক বছর পরে আওয়ামী লীগকে যখন আবার নির্বাচন দিতে হবে, তখন আওয়ামী লীগের কী দুরবস্থা হতে পারে, তা এই শুভানুধ্যায়ীরা বলেন না। তাঁরা শুধু শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ না করার ভুল পরামর্শ দিচ্ছেন।শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে বিএনপি দেশে বিরাট লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে ফেলবে—এমন আশঙ্কা যাঁরা করছেন, তাঁদের কথা ভেবে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। ১. দুই পক্ষের যে সমঝোতা চুক্তি হবে তাতে এমন শর্তও থাকতে পারে, নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল মিছিল করতে পারবে না। ২. ১৪ দল বা ১৮-দলীয় জোটের কোনো নেতা বা সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে কোনো মামলা দিতে পারবে না। ৩. নির্বাচনের আগে আগের কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করতে পারবে না। ৪. সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া হবে।সাম্প্রতিক সহিংসতা দমন করতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের নৈতিক জোর না থাকলে জনগণের আন্দোলন দমন করা সম্ভব হয় না। সরকার বিএনপির সব নেতাকে মুক্তি দিয়ে বিএনপি তথা ১৮-দলীয় জোটকে স্বাভাবিক পথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার (সভা, মিছিল, বিক্ষোভ, হরতাল ইত্যাদি) সুযোগ দিক। আর যারা সহিংসতা করছে, মানুষ মারছে, তাদের কঠোর হাতে দমন করুক। সন্ত্রাসীদের ধরতে বা শাস্তি দিতে বিএনপি কোনো বাধা নয়। দেখতে হবে, সন্ত্রাসী ধরার নামে যেন বিরোধী দলের নিরীহ নেতা ও কর্মী গ্রেপ্তার না হয়। বিএনপি বা ১৮-দলীয় জোটকে গণতান্ত্রিক পথে প্রতিবাদ বা আন্দোলন করতে না দিলে চোরাপথে সন্ত্রাস হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।বিএনপি দাবি করেছে, তারা এই সহিংসতা করেনি। কিন্তু তা তারা কাজে, কথায় ও ভূমিকা দিয়ে প্রমাণ করতে পারেনি। এই সহিংসতা ‘সরকার’ করছে, তাও বিএনপি প্রমাণ করতে পারেনি। এই সহিংসতা যদি জামায়াতও করে থাকে, বিএনপি তার যথেষ্ট নিন্দাও করেনি। বিএনপি এই সহিংসতা করুক বা না করুক, সাধারণ মানুষের ধারণা, তা বিএনপি-জামায়াতই করছে। কাজেই সাম্প্রতিক এই সহিংস ঘটনাবলির যদি কোনো মাইনাস পয়েন্ট থাকে, তাহলে তা বিএনপিই পাবে।সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগ করলে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেই আমরা ধারণা করি। নানা কারণে গত কয়েক বছরে দেশে-বিদেশে তাঁর কিছু নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। একটি নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে পারবেন। ১. বিএনপি-জামায়াতের সহিংস আন্দোলন, অবরোধ ও হরতাল থামিয়ে দিতে পারবেন। ২. বিএনপি, ১৮-দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনতে পারবেন। ৩. দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন। ৪. তিনি দল বা ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দেশকে যে ওপরে স্থান দেন, তা প্রমাণ করতে পারবেন।আওয়ামী লীগ বারবার সংবিধানের যে দোহাই দিচ্ছে, তা ঠুনকো যুক্তি। সংবিধান সংশোধন এক মিনিটের কাজ। দেশ, দেশের মানুষ, দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রচর্চার চেয়ে সংবিধানের একটি ধারা বড় হতে পারে না। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যত দ্রুত এটা উপলব্ধি করবেন, ততই দেশের মঙ্গল। তা না করে জেদপূর্বক ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করলে দেশকে বিরাট অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। এখনো সময় আছে। দয়া করে সমঝোতা করুন।এই নিবন্ধ লেখার সময় আওয়ামী লীগের একটি অংশ মনে করে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পেছানো ও সমঝোতার আর সম্ভাবনা নেই, তাদের মতের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি ও জটিলতার কথা যেন তারা ভাবে।আরও একটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে। যে বড় দল দুটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ, তারা কী জাদুমন্ত্রে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাবে? সেই জাদুমন্ত্রটি কী? দুই দল তাদের প্রধান দুটি শর্ত (প্রধানমন্ত্রী পদে কে থাকবেন) ছেড়ে দেবে? এ কথা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করেন? তাহলে কী আশায় আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা ভাবছেন, পরের নির্বাচনে সমঝোতা হবে।একটা মাত্র পথ খোলা আছে, সমঝোতার। আওয়ামী লীগে অনেক ঝানু, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও সাবেক কূটনীতিক রয়েছেন। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভাবনাচিন্তা তাঁরা আমাদের চেয়ে ভালো বুঝবেন আশা করি।মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: মিডিয়া ও উন্নয়নকর্মী। |
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল মঙ্গলবার আজহারুলকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। এ সময় আজহারুল আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।শুনানিতে শিশির মনির বলেন, আজহারুল জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৪(২) ধারায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃত্বের দায় আনা হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আরেক জায়গায় লেখা হয়েছে, আসামি মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য ও যোগাযোগ বজায় রেখে নানা অপরাধে নেতৃত্ব দেন। কাউকে কমান্ডার উল্লেখ করলে তাঁর অধীন ব্যক্তিদের উল্লেখ থাকতে হবে। কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ‘সখ্য ও যোগাযোগ’ রেখে অপরাধ করেছেন। সে ক্ষেত্রে ৪(২) ধারায় আনা অভিযোগ এ আসামির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।ইমরান সিদ্দিক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার আরজি জানান। পরে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাকের শুনানির জন্য আসামিপক্ষ সময়ের আরজি জানালে ট্রাইব্যুনাল ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।নেজামী ইসলামী পার্টির (একাংশ) সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলামের ছেলে হারুন ইজাহারকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে ঢাকা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।ঢাকায় গত ৫ মে তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানার তিনটি এবং মতিঝিল থানার দুটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগামী সোমবার আদালতে হাজির করা হতে পারে। সেখানে রিমান্ড মঞ্জুর হলে হারুন ইজাহারকে জয়েন্ট ইন্টারগেশন সেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে।চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ রফিকুল কাদের বলেন, ঢাকার পাঁচ মামলার আসামি হারুন ইজাহারকে ঢাকায় আদালতে হাজির করা হতে পারে। তাঁকে গতকাল দুপুরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।পুলিশ ও কারা সূত্রে জানা গেছে, হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় হত্যা, বিস্ফোরক ও অ্যাসিড আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে খুলশী থানা-পুলিশ। ৭ অক্টোবর মাদ্রাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গা ঢাকা দেন হারুন ইজাহার ও মুফতি ইজাহার। ৯ অক্টোবর রাতে হাটহাজারীর ইছাপুর থেকে হারুন ইজাহারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ তাঁকে এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলশী থানার এসআই লোকমান হোসেন বলেন, অ্যাসিড মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর আছে। তাঁকে ঢাকার মামলাগুলোর রিমান্ডের আদেশ পেলে জয়েন্ট ইন্টারগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।অপর দিকে, গত ৫ মে ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক, রাষ্ট্রদ্রোহ, পুলিশের কাজে বাধাদান ও ভাঙচুরের ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় এবং মতিঝিল থানার দুটি মামলায় হারুন ইজাহারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২১ অক্টোবর কারাগারে পাঠান আদালত।তথ্য ও বিনোদনকুয়াশাসত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়েকথাবন্ধু শারমীনের সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]খবরএবিসি খবর [সকাল ৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়]কলকাতা পৌঁছার আগে ভাবতে পারিনি যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি পুরুষ জেনারেল (অব.) জে এফ আর জ্যাকবের সঙ্গে দেখা হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রমনা রেসকোর্সে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি যে আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেছিলেন, তার প্রস্তুতি পর্বের কাজগুলো করেছিলেন জেনারেল জ্যাকব। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা প্রবেশ করা মিত্রবাহিনীর দুজন জেনারেলের অন্যজন ছিলেন জেনারেল জি এস নাগরা।আকাশপথে ঢাকা থেকে কলকাতা ৫০ মিনিটের পথ। এয়ার ইন্ডিয়ার রাত নয়টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটটা ছাড়তে ছাড়তে রাত সাড়ে ১১টা। এই ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে ৭৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল, যারা একাত্তরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল, অথবা নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সহায়তা করেছে এবং বর্তমান প্রজন্মের কয়েকজন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ছয়জন সদস্য। আর আছেন একজন তরুণী, রাসা আলভি।এবারের দলনেতা মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম, বীর বিক্রম। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সবাই আমন্ত্রিত কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। একাত্তর-পরবর্তী সময়ে দিনটি সেখানে ইস্টার্ন কমান্ড ডে হিসেবে পালিত হতো। পরবর্তীকালে তারা এই অনুষ্ঠান আরও অর্থবহ করে তুলতে একাত্তরে তাদের বাংলাদেশের সহযোদ্ধাদেরও অংশীদার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭২ সালে প্রথম যখন এই শহরে আসি, তখন বাংলাদেশিদের এখানে সবাই ‘জয় বাংলা’র লোক হিসেবে চিনত। তখন পাসপোর্ট-ব্যবস্থা চালু হয়নি। ১০০ টাকা দিয়ে একটি ট্রাভেল পারমিট জোগাড় করতে হতো। ইমিগ্রেশন থেকে বের হতেই ইস্টার্ন কমান্ড থেকে আসা সেনাসদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা। তাঁরা কিছুতেই আমাদের লাগেজপত্র ধরতে দেবেন না। আমাদের কাজ শুধু শনাক্ত করে দেওয়া; বাকিটা তাঁদের দায়িত্ব।সকাল সাতটা থেকে নয়টার মধ্যে হোটেলে নাশতা সারতে হবে। তারপর আমাদের দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী ফোর্ট উইলিয়ামের উদ্দেশে বাস ‘মার্চ’ করবে। পৃথিবীর সর্বত্রই সম্ভবত সেনাসদস্যদের কিছু কমন ভাষা আছে, যা সেনানিবাসের বাইরে খুব ব্যবহার করা হয় না। বাস ‘মার্চ’ করাটাও ওই রকম আরকি। ঠিক সকাল সাড়ে নয়টায় ফোর্ট উইলিয়ামের উদ্দেশে বাস ‘মার্চ’ করল। রাতের ক্লান্তি সবার চোখে-মুখে বেশ দৃশ্যমান। পারলে এই বেলা হোটেলে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। তবে তার উপায় নেই।ঐতিহাসিক ফোর্ট উইলিয়াম। ১৬৯৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন দুর্গটি নির্মাণ শুরু করে, তখন বাংলার মসনদে নবাব সিরাজউদ্দৌলা। ব্যবসা করতে আসা বেনিয়া ইংরেজদের দুর্গ নির্মাণের কথা শুনে নবাবের সন্দেহ হয়। সেই দুর্গের দখল নিয়েছিলেন নবাব। বলা হয়, সেই তখন থেকেই বাংলার নবাবের সঙ্গে বেনিয়া ইংরেজদের বৈরিতা শুরু। দুর্গের হাতবদল হয়েছে একাধিকবার। পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজদের বাংলা দখল করার পর নতুনরূপে নির্মাণ করা হয় সেই দুর্গ। নামকরণ হয় ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। অনেকটা গঙ্গার পাড় ঘেঁষে দুর্গ। তাতে ইংরেজদের সুবিধা অনেক। একসময় দুর্গের ঘাটে কোম্পানির বজরা ভিড়ত আর তাতে বোঝাই হতো বাংলা থেকে সংগৃহীত নানা ধরনের সওদা। পরে ওই ঘাট দিয়ে ইংল্যান্ড থেকে সৈন্যসামন্ত এল। একসময় ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নিল ইংরেজরা। ফোর্ট উইলিয়াম হয়ে উঠল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর। ১৯৭১ সালে এখান থেকেই পরিচালিত হয়েছিল ঢাকা মুক্ত করার শেষ লড়াই। তখন এই দুর্গের প্রধান সেনাপতি লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। পরবর্তীকালে একই দায়িত্ব পালন করেন জেনারেল জ্যাকব।দুর্গে পৌঁছাতেই আগত অতিথিদের সাদর অভ্যর্থনা জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের বর্তমান সেনাধ্যক্ষ লে. জেনারেল দালবীর সিং। দালবীর সিং ১৯৭৪ সালে কমিশনপ্রাপ্ত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্কুলপড়ুয়া। মনে আছে তাঁর সেই যুদ্ধের কথা। বুঝতে পারছিলেন পাশের দেশ বাংলাদেশে ভয়াবহ কিছু একটা হচ্ছে এবং তাতে না চাইলেও জড়িয়ে পড়ছে ভারত সরকার আর তার জনগণ। পরে জেনেছেন বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার কথা। আরও শুনেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস আর শৌর্যবীর্যের কাহিনি। সেই মানুষগুলোর কয়েকজনকে তিনি অভ্যর্থনা জানাতে পেরে গর্বিত।বাংলাদেশের দলনেতা কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম, বীর বিক্রম শোনালেন সেই যুদ্ধদিনের কথা। কেমন করে তিনি তাঁর সেনাদের নিয়ে বিলোনিয়া আর ফেনীতে যুদ্ধ করেছিলেন। ব্রিগেডিয়ার মিরন হামিদুর রহমান যখন গঙ্গাসাগরের যুদ্ধের কথা শোনাচ্ছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল, তিনি কোনো এক হলিউডের ছবির চিত্রনাট্য পড়ছেন। তিনি ভুললেন না সেই যুদ্ধে বাংলার ছাত্র, ইপিআর আর গ্রামের সাধারণ মানুষের ত্যাগের কথা বলতে। হোসেন আক্তার চৌধুরী, সবাই তাঁকে আক্কু চৌধুরী বলে চেনে, মনে করিয়ে দিলেন ভারতের জনগণের আত্মত্যাগের কথা। কেমন করে তারা নিজেদের খাবার পর্যন্ত ভাগাভাগি করে খেয়েছে।অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার ব্রার। যুদ্ধ করেছেন কুমিল্লা সেক্টরে। বললেন, মুক্তিবাহিনী আর স্থানীয় জনগণের সহায়তা ছাড়া এত কম সময়ে ঢাকা দখল সম্ভব হতো না। রাঘবীর সিং একাত্তরে একজন কর্নেল। সিলেট সীমান্ত অতিক্রম করার পর তাঁদের রসদ ফুরিয়ে যায়। এক বেলা একেবারে অভুক্ত। এলাকার মানুষ জানতে পেরে তাঁদের জন্য দুই ডেগ খিচুড়ি নিয়ে হাজির। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঢোকার আগে তাঁরা বুঝতে পারেননি, স্বাধীনতার জন্য এ দেশের মানুষের সে কী ব্যাকুলতা!মেজর জেনারেল আবুল কালাম আমাদের এই প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা। মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। তবে তিনি এই যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না। রাতের ক্লান্তি দূর করতে বাইরে এক কাপ চা খেতে গিয়ে দেখি, কয়েকজনের সহায়তায় জেনারেল জ্যাকব একটি সরু সংযোগ সেতু পেরিয়ে ধীর পদে নিচে নামছেন। তাঁর দিকে হাত বাড়াতেই তিনি আমার হাতটি ধরে নিচে নামলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ইয়াং ম্যান, তোমার হাতটা বেশ নরম। মনে মনে বলি, ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষ কীভাবে ইয়াং ম্যান হয়? জ্যাকবের নিজের বয়স ৯৩। অভ্যর্থনাকক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দাঁড়িয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন। এই বয়সেও জ্যাকব এবং তাঁর মতো অনেকেই এই সময় ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন কলকাতায় এই আশায়, তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধদিনের কিছু সাথির দেখা হবে বলে। কথা বলবেন মনভরে।অনুষ্ঠানের শেষে জ্যাকব মাইক হাতে নিয়ে বেশ দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, তিনি এই বছরের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, যখন বাংলাদেশ সরকার একাত্তরের বন্ধুদের সম্মান জানাল। ১৯৭১-এর ঢাকার সঙ্গে বর্তমানের ঢাকার তফাত দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাঁর পাশে গিয়ে বসি। তিনি ‘ইয়াং ম্যানের’ কাঁধে হাত রেখে জানতে চাইলেন কী করি। চেহারায় শিশুসুলভ হাসি। অনুরোধ করলেন, কখনো যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়, তাঁকে যেন তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়ে দিই।১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয় দিবস। ইস্টার্ন কমান্ডও দিনটির একই নাম করেছে। সকাল সাড়ে সাতটায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয়স্তম্ভে সবাই হাজির। সবার দৃষ্টি আমাদের সঙ্গে আসা রাশা আলভির দিকে। তাঁর মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বাঁধা। পরনের কাপড় সবুজের ওপর লাল কাজ। চঞ্চলা আলভিকে দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের পতাকা অনুষ্ঠানস্থল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করা আলভির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল, তিনি এখন পাইলট হওয়ার পথে। বর্তমানে ইন্টার্নি করছেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আলভিদের চোখ দিয়ে আমাদের প্রজন্ম আগামী দিনের বাংলাদেশ দেখে।দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু পবিত্র কোরআন, বাইবেল, ত্রিপিটক আর গীতাপাঠ দিয়ে। বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রথম সম্মান জানালেন তিন বাহিনীর তিনজন সেনাসদস্য। যুদ্ধের ময়দানে সেনাদের আত্মত্যাগ সবচেয়ে বেশি। তারপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মান জানালেন কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম আর মেজর জেনারেল আবুল কালাম। সবশেষে লে. জেনারেল দালবীর সিং। রাতে সেনা স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দর্শক মাতাতে এসেছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী উষা উথুপ। প্রায় এক ঘণ্টা সংগীত পরিবেশনের শেষে যখন তিনি গাইলেন ‘ইয়ে দোস্তি আভ কাভি নাহি তোরেঙ্গে’, তখন দেখি আমার পাশে বসা ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের চোখে জল। তিনি একাত্তরে রৌমারী রণাঙ্গনে তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করা খালি পায়ের বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ আগেও আমাকে বলছিলেন, ‘তোমরা ভাগ্যবান, তোমাদের মুজিবের মতো একজন রাজনৈতিক নেতা ছিল।’রাত নয়টায় মিলনমেলা ভাঙল। তখন মনে মনে ভাবি, উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতারা যদি আরেকটু চেষ্টা করতেন পরস্পরকে বুঝতে, তাহলে দুই দেশের কত সমস্যাই না সহজে সমাধান হয়ে যেত। জেনারেল দালবীর সিংয়ের কাছ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলি, আশা করি, সামনের বছর এমন একটি অনুষ্ঠান হবে এবং সেখানে জেনারেল জ্যাকব ছাড়াও একাত্তরের রণাঙ্গনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। জবাবে তিনি বলেন, জেনারেল জ্যাকব সুস্থ থাকলে অবশ্যই আসবেন।আবদুল মান্নান: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। |
বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে পিয়াস হোসেন (৩০) ও ফয়সাল হোসেন (৩২) নামের দুই তরুণকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। শহরতলির ফুলতলা ঈদগা মাঠ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তুলে নিয়ে তাঁদের কোপানো হয়।পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দুজনকে প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।ফয়সাল ও পিয়াসের বাড়ি ফুলতলা এলাকায় এবং তাঁরা সন্ত্রাসী শাহিনের পক্ষের সদস্য।পুলিশ ও এলাকাবাসীর অনেকে জানান, ফুলতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও যুবলীগের নেতা আমিনুর রহমান শাহিন এবং জেলা যুবলীগের অন্যতম মজনু মিয়ার বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুজনেই সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেওয়ায় শাহিন-মজনু বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিতি।এর মধ্যে ২০১১ সালের ২৪ মে শহরতলির ফুলদীঘি হর্টিকালচার সেন্টারে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন যুবলীগের নেতা শাহিন। ওই খুনের ঘটনায় মজনু মিয়াকে আসামি করে মামলা হয়।এর জের ধরে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাতে শহরতলির ফুলতলা-চকতানপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন মজনুর ভাগনে ও যুবলীগের কর্মী শামিম হোসেন ওরফে বুশ (২৫)। ২৫ মে জায়গা দখলের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে খুন হন যুবলীগের নেতা মজনু মিয়া এবং তাঁর আরেক ভাগনে নাহিদ হোসেন।পুলিশ বলছে, মজনু ও নাহিদ হত্যাকাণ্ডের পর বেশ কিছুদিন ঘাপটি মেরে ছিল সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে এলাকায় জায়গাজমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।মজনু ও নাহিদ হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ পক্ষের সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের কয়েকজন সন্ত্রাসী গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সন্ত্রাসী ফয়সাল ও পিয়াসকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে কোপায়।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম জানান, রগ কেটে দেওয়া দুজনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের সদস্য। এদের মধ্যে পিয়াস যুবলীগের নেতা মজনু হত্যা মামলার এবং ফয়সাল মজনুর ভাগনে যুবলীগের কর্মী বুশ হত্যা মামলার আসামি।ওসি বলেন, মজনু ও শাহিন দুজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁরা যুবলীগের নেতা হওয়ায় তাঁদের সহযোগীরাও যুবলীগের কর্মী-সমর্থক।ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে ফয়সাল ও পিয়াস দুজনই মজনু এবং ভাগনে শামিম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় মজনুর পক্ষের সন্ত্রাসীরা এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।মহাজোট সরকারের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কক্সবাজারের টেকনাফে শোভাযাত্রা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সদর ইউনিয়ন সভাপতি ও চেয়ারম্যান নুরুল আলমের সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য দেন জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, আবুল কালাম, মো. আলম, নজির আহমদ, ফরিদুল আলম প্রমুখ।সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।দেশের অন্যতম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকল প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত রেখেই আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুমের আখমাড়াই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে। কিন্তু গুদামে স্থান সংকুলানের অভাবে নতুন চিনি কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালামও স্বীকার করেন যে এবার নতুন চিনি রাখা নিয়ে গুদামে জায়গার সংকট হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন গুদামে চিনি অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকলে তার রং ও গুণগত মান নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।জানা গেছে, এ চিনিকলে চলতি ২০১৩-১৪ মাড়াই মৌসুমে এক লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে সাড়ে সাত হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। ২০১২-১৩ মৌসুমে ৯০ হাজার ১৯২ টন আখ মাড়াই করে ছয় হাজার ৭৮ টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল। দাম বেশি হওয়ার কারণেই মূলত জয়পুরহাট চিনিকলে বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রীত রয়ে গেছে।ডিলার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে যেখানে বেসরকারি কোম্পানির চিনি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে এ চিনিকল থেকে তা ৫০ টাকা কেজি দরে তুলে খুচরা বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা লোকসানের ভয়ে চিনিকলটি থেকে চিনি তুলছেন না।ডিলার সামছুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এই চিনিকলের চেয়ে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর চিনি কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা কম দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তাই ক্রেতারা বেসরকারি কোম্পানিগুলোর চিনিই কিনছেন।চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রায় পাঁচ হাজার ২২৬ টন চিনি অবিক্রীত রয়েছে। যার মূল্য ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রীত থাকায় চলতি মৌসুমে উৎপাদিত চিনি গুদামজাত করা নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন জয়পুরহাট চিনিকল কর্তৃপক্ষ।ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন, শংকরকত্থক নৃত্য উৎসব। আয়োজন করেছে কত্থত নৃত্য সম্প্রদায়। সন্ধ্যায়।বেঙ্গল লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউকাশেফ মাহবুব চৌধুরীর স্থাপত্যকলা প্রদর্শনী ‘ধীর জন্মেই জীবন’। চলবে।আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা, ধানমন্ডিনাসিমা খানমের চিত্র প্রদর্শনী ‘রিটার্ন টু ইডেন’। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডএর চেয়ে বেশি ভালোবাসা যায় না ও উধাও। সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স এস্কেপ প্ল্যান: বেলা সাড়ে ১১টা, দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: সকাল ১০টা ৫০, বেলা দেড়টা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা ১১টা ১০, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য হাঙ্গার গেমস: সকাল ১০টা ৫০, বেলা পৌনে দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। |
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মেধাবী ছাত্রী মাহফুজা আখতার ওরফে মুনমুন (১৪) আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় তিন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পৌর সদরের সোনামুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহফুজা বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মাহফুজার মা মারুফা আখতার বাদী হয়ে বিপ্লব, দেলোয়ার ও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।কোন্দলের বৃত্ত থেকে এখনো বের হতে পারেনি পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। মূলত সংসদ নির্বাচনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর নেতৃত্বে এ কোন্দল তীব্র হচ্ছে। এরই জের ধরে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ করেছে।জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে আ ক ম সাহাব উদ্দিন ফরায়েজী সভাপতি ও আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আরেকটি বলয় সৃষ্টি হয়। এ বলয়টিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ। আর ফরায়েজী-কাশেমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, বিএনপি যেখানে গ্রামে গ্রামে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে পেকুয়া আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ করছে। যা নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। গত বুধবার জাফর আলমের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ পেকুয়া বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পেকুয়া চৌমুহনীতে সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ একইভাবে সমাবেশ করেছে। দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী জাফর আলম ও সালাহউদ্দিন আহমদ দুই পক্ষের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে দলীয় কোন্দলকে আরও উসকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, জাফর আলম বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে ওই সমাবেশ করেছেন। তা ছাড়া সমাবেশটি পূর্বনির্ধারিত ছিল।অপর পক্ষের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা যুব সমাবেশ করেছি। কারও পক্ষে-বিপক্ষে করি নাই। সমাবেশটি পূর্বনির্ধারিত না হলেও ২৫ অক্টোবরের নৈরাজ্য মোকাবিলায় এ সমাবেশটি গুরত্বপূর্ণ ছিল।’ছোটবেলায় যখন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দেখতাম মাঝেমধ্যে খুব একঘেয়েমি লাগত। কারণ, সেঞ্চুরি বা তার কাছাকাছি রান করা তাঁর অবধারিতই ছিল। এত নিখুঁত শট খেলতেন কোনো সময় মনেই হতো না তিনি আউট হবেন।শচীন ফর্মে নেই এ রকম কোনো মৌসুম আমি দেখিনি। ১৯৮৯ সাল থেকে একটানা প্রায় ২০ বছর এক শচীনই ছিল ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের প্রধান ভরসা ও বিশ্বাস। শুধু ইন্ডিয়া কেন পুরো ক্রিকেট-বিশ্বেই তো ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিল লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। তাঁর নামের সঙ্গেও স্ক্যান্ডাল ছিল না কোনো দিন। এই মহাতারকার কোটি কোটি ভক্ত আছে সারা পৃথিবীতে। ১৬ নভেম্বর আনুমানিক ৫০ কোটি দর্শক-শ্রোতা তাঁর বিদায়-বক্তৃতা শোনার জন্য তাকিয়েছিল টেলিভিশনের পর্দায়। অথচ তিনি জড়তাহীন কণ্ঠে কী সাবলীলভাবে বক্তৃতা দিলেন প্রায় আধা ঘণ্টা। এত দিন যারা শুধু খেলোয়াড় শচীনের ভক্ত ছিল, এখন নিশ্চই তারা ব্যক্তি শচীনকেও ভালোবাসবে। শচীনের প্রতিভা ও অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের বাংলা ক্রিকেটের তরুণদের মধ্যেও। শুভবিদায় শচীন টেন্ডুলকার। অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই তাঁকে।রবিউল করিমঢাকা।বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ইতিবাচক বলে মনে করি। বিশেষ করে তিনি হরতাল, অবরোধের কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কেননা হরতাল-অবরোধ সরকারের যা ক্ষতি না করে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে সাধারণ মানুষের। তাদের রুটি-রুজির পথ বন্ধ হয়ে যায়। অর্থনীতির গতি হয়ে পড়ে স্থবির। সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধে নাশকতা ও সহিংসতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছিল। এখনো অনেকে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।এ কারণে বিরোধী দলের নেতার ঘোষিত ২৯ ডিসেম্বরের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি যদি শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে কারও আপত্তি থাকবে না। সরকারের উচিত হবে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সহায়তা করা। বাধা না দেওয়া।কিন্তু সমস্যা হলো, রাজপথে এ ধরনের বড় কর্মসূচি দুই শক্তিকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করায়। এক পক্ষ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, অন্য পক্ষ বিরোধীদের প্রতিহত করতে চাইবে। ফলে বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং সহিংসতার ঝুঁকি থেকেই যায়।এ কারণে আমরা মনে করি, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। রাজপথে আন্দোলনে সাময়িক বিজয় লাভ করা যেতে পারে কিন্তু সংকটের সমাধান হবে না। বরং দেশকে আরও গভীর সংকটে ফেলতে পারে। অতএব, বিরোধী দল যেহেতু হরতাল অবরোধ থেকে বেরিয়ে এসেছে, সরকারেরও উচিত হবে তাদের প্রতি সহনশীল মনোভাব দেখানো। কারাগারে আটক বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দিয়ে এবং বিরোধী দলের অফিসের সামনের অবরোধ তুলে দিয়ে সরকার আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। যত দ্রুত আলোচনা হবে ততইদেশের জন্য মঙ্গল। ইতিমধ্যে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি বাড়তে দেওয়া যাবে না। আশা করি ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই সত্য উপলব্ধি করবেন।সরকার ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের যে আয়োজন করেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ইতিমধ্যে ৫৩ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ১৫৪টি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য আসনে কতসংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে যাবেন, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।তাই আমরা মনে করি, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই বলেছিল, রাজনৈতিক সমঝোতা হলে এটি করা তাদের জন্য কঠিন হবে না। জাতীয় সংসদ এখনো বহাল আছে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা হলে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার যে সুযোগ আছে, তারা তা গ্রহণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিন মাস সময় পাওয়া যাবে।যেনতেন একটি নির্বাচন কিংবা নির্বাচন প্রতিহত করার নামে রাজপথে জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুই দশকেরও বেশি পালা করে দেশ চালিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের প্রতিই সবাই তাকিয়ে আছেন। দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে দুই নেত্রী যদি টেকসই উদ্যোগ নেন, তাহলে ইতিহাসে তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।বিরোধীদলীয় নেতা সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক কথাই বলেছেন। সেসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। আর সেই সমাধানের উপযুক্ত মাধ্যম হলো আলোচনা। খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সমঝোতা হওয়া মানে পরাজিত হওয়া নয়। আমরা আশা করব, তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকৌশলেই সেই সমঝোতাকে অগ্রাধিকার দেবেন।বিরোধী দলের নেতা সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধে সংঘটিত সহিংসতার দায় সরকারের ওপর চাপিয়েছেন। এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন শান্তি। তাই, কারও এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে শান্তি বিঘ্নিত হয়।খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তাঁকে মনে রাখতে হবে, জামায়াতের এজেন্ডা আলাদা। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত ব্যক্তিদের বাঁচাতেই আন্দোলনের নামে সারা দেশে সহিংসতা চালাচ্ছে। বিএনপির মতো একটি গণতান্ত্রিক দল কেন তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।তবে খালেদা জিয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির বিষয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নেওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তা ইতিবাচক বলে মনে করি।তবে একই সঙ্গে জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দাও প্রত্যাশিত ছিল।ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক। |
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ব্র্যাকের এক নারী কর্মীকে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক বখাটে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে স্লুইসগেট থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ও নারীর এক চাচা জানান, উপজেলার ব্র্যাকের একটি শাখা কার্যালয় থেকে ওই নারী মাঠকর্মী পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার শহিদুল ইসলাম তাঁর পিছু নেন। ওই নারী গৌঙ্গাপুর খাঁড়ির স্লুইসগেটের কাছে এলে শহিদুল তাঁর পথ রোধ করেন। এ সময় শহিদুল তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে তিনি ছুটে আসার চেষ্টা করলে শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে স্লুইসগেটের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। প্রায় ৩০ ফুট নিচে পড়ে তিনি হাতে ও কোমরে আঘাত পান। সেখান থেকে মুঠোফোনে তিনি তাঁর স্বজনদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন কবির জানান, ওই নারীর ডান হাতের কনুই ও কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। তানোর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগ পাননি।সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের পাহাড়ের ধারে এক কিশোরীকে (১১) ধর্ষণের চেষ্টার সময় জাহেদুল আলম (২৯) ও রবিউল হোসেন (২৬) নামের দুই বখাটেকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।জাহেদ নোয়াখালীর রামগঞ্জ থানার নুরুল আলমের ছেলে ও রবিউল সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কোটকপাড়া এলাকার রেজাউলের ছেলে।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ভাটিয়ারী পাহাড় থেকে কাঠ নিয়ে নেমে আসার পথে সমতলের কাছে ওই দুই বখাটে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে বখাটেদের পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের নির্দলীয় সরকার। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে বা মেনে নিতে পারছেন না। অপর পক্ষে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন দেওয়া মেনে নিতে চাইছে না।অন্যদিকে ২০১৩ সালের জনমত জরিপে দেখা যায়, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। বাংলাদেশকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলে দাবি করলেও সাধারণ জনসাধারণকে সবাই অবজ্ঞা করছে বলে মনে করছেন। কেননা, এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরের উপদেষ্টামণ্ডলী অনির্বাচিত ছিল।মো. আবদুল মজিদ মণ্ডলপুঠিয়া, রাজশাহী।তুরস্কের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী জাফর কাগলায়ান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মার গুলার গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেছেন। বড় ধরনের একটি দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে।এ কেলেঙ্কারির ফলে ইসলামপন্থী প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকার গত ১১ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান পাকিস্তান সফর শেষে ফেরার পরপরই কাগলায়ান ও গুলার তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল।উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ও ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ২৪ ব্যক্তির মধ্যে ওই দুই মন্ত্রীর ছেলেরাও রয়েছেন। সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। উভয় মন্ত্রীর ছেলে অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।রক্ষণশীল একটি ইসলামপন্থী সরকারের প্রধান হিসেবে ২০০২ সাল থেকে তুরস্ককে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরদোয়ান। তিনি ওই দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের বিষয়টি তুরস্কের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে খাটো করে দেখার একটি অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন। তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় পুলিশের উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। এএফপি। |
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠনের নেতা আবদুল মজিদ বাটের স্ত্রী নাহিদ লাইলার সাক্ষ্যের বৈধতা চ্যালেঞ্চ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছে আসামিপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মজিদ বাটের আইনজীবী গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করেন। বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মামলার চলমান সাক্ষ্য কার্যক্রম মুলতবি করেন। একই সঙ্গে ওই দিন হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের আদেশ দেন।আসামি পাকিস্তানি নাগরিক মজিদ বাটের বাংলাদেশি স্ত্রী নাহিদ লাইলা ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। মজিদ বাটের আইনজীবী মো. পারভেজ গতকাল আদালতকে বলেন, আইন অনুযায়ী নাহিদ লাইলা স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। তাই ওই সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্য কার্যক্রম মুলতবির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত ও শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্ত করে বিএনপির নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুর রহমান বদি মাফিয়া চক্রের অন্যতম হোতা। মাদক ও কালোবাজারির টাকার একটি অংশ বিলিয়ে তিনি উখিয়া-টেকনাফের অসহায় মানুষকে ভিক্ষুক বানাচ্ছেন। ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চাল, তেল, কাপড়চোপড়সহ নগদ টাকা বিতরণ করলেও মানুষ এখন তাঁর চালাকি ধরে ফেলেছেন। মাদকের টাকা সাহায্য হিসেবে নিয়ে মানুষ ভিক্ষুক হতে চাইছেন না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশনে ১৮ দলের এক সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি এই আসনের (কক্সবাজার-৪) চার বার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে বদি সাংসদ নির্বাচিত হন।সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য দিনের বেলায় উখিয়া-টেকনাফের সাতটি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কারা হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে সবাই দেখেছে। কিন্তু সাংসদ বদির ইন্ধনে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থককে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিচার করবে।উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল, সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান আহমদ, জেলা বিএনপি সদস্য খাইরুল আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম মোক্তার আহমদ প্রমুখ। বক্তারা সাংসদ বদির দান-খয়রাত নাটক থেকে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সাংসদ বদি বলেন, অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন।নানা শঙ্কার মধ্যেও দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে চলেছে। এর ফলে বেড়েছে সামগ্রিক রপ্তানিও। ফলে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৯৭৪ কোটি ৭১ লাখ ডলার।এটি এই সময়ের ৯৫৪ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।মোট রপ্তানির মধ্যে ৭৮৮ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা (এক ডলার = ৭৮ টাকা হিসাবে)।পোশাকশিল্পের এই রপ্তানি আলোচ্য সময়ের ৭৫৫ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬৭ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এই শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ শতাংশ।তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকশিল্পের মালিকেরা রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বিজিএমইএর নেতারাও বহুবার বলেছেন, আগের চেয়ে কার্যাদেশ কমে গেছে, ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। তাতে রপ্তানি হ্রাস পাবে। তবে গত দুই মাসের রপ্তানি পরিসংখ্যান থেকে উল্টো চিত্রই পাওয়া যায়।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) গতকাল রোববার প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।ইপিবির তথ্যানুযায়ী, শুধু অক্টোবরে ২১১ কোটি ৯২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম হলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। গত সেপ্টেম্বরে ২৫৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।আলোচ্য সময়ে পোশাকশিল্প থেকেই সর্বোচ্চ ৭৮৮ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে সর্বোচ্চ ৪০২ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১১ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।অন্যদিকে ওভেন পোশাক খাত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।এদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমে গেছে। আলোচ্য সময়ে এই খাত থেকে ২৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ কম।এটিএন বাংলাবেলা ৩-০৫ তুই যদি আমার হইতিরে (শাকিব খান, মৌসুমী, ফেরদৌস)।চ্যানেল আইবেলা ৩-৩০ হঠাৎ সেদিন।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ সাহেব।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ নিঃশ্বাস আমার তুমি (শাকিব খান, অপু বিশ্বাস)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ সত্যের মৃত্যু নাই।মাছরাঙা টেলিভিশনসকাল ৯-০২ খুনের বদলা (দিতি, সোহেল চৌধুরী, অমিত হাসান)।চ্যানেল নাইনসকাল ১০-৩০ সুখ শান্তি।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৩৫ সমাজকে বদলে দাওএসএ টিভিসকাল ৯-৩০ মা-বাবার স্বপ্ন।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩৫ রাজকুমারী (উত্তম কুমার, তনুজা, ছায়া দেবী)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ অন্ধপ্রেম (প্রসেনজিৎ, রচনা, দীপঙ্কর দে)।সনি আটবিকেল ৪-৩০ আমার মায়ের শপথ (জিৎ, মাহিমা, রেশমী ঘোষ)।জলসা মুভিজসকাল ৮-৫০ ভাগ্যের বিচার। ১২-২০ সঙ্গী (জিৎ, প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী, শিলাজিৎ)। ৩-৩০ আবিস্কার (তাপস পাল, শতাব্দী রায়, ইন্দ্রানী হালদার)। ৬-৩৫ মন যে করে উড়ু উড়ু (হিরন, কোয়েল মল্লিক)। ৯-৩০ শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ (প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা)।জি সিনেমাসকাল ৮-৫৮ চণ্ডাল (মিঠুন, আলতাফ রাজা, স্নেহা)। ১১-৪৫ আজ কা অর্জুন (অমিতাভ বচ্চন, জয়াপ্রদা)। ২-৪৩ খুন কা রিস্তা (চিরঞ্জীবি, সুন্দরীয়া, রবি তেজা)। ৫-৪০ গুপ্ত (ববি দেওল, কাজল, মনীষা কৈরালা)। ৯-০০ বুলন্দি (অনিল কাপুর, রাভিনা, রেখা)।জি প্রিমিয়ারসকাল ১০-০০ ন্যায় অন্যায় (জিতেন্দ্র, জয়াপ্রদা, শিল্পা)। ১-৩০ রক্ষক দ্য প্রোটেক্টর (চিরঞ্জীবি, রম্ভা, রামাইয়া)। ৫-৩০ শ্যাম গণেশম (আরবাজ খান, চন্দ্রচূড় সিং, রাখী)। ৮-৩০ ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট (অনিল কাপুর, অদিতি, শেফালি)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-২২ চ্যাম্পিয়ন (সানি দেওল, মনীষা কৈরালা)। ১১-১১ সয়লাব (আদিত্য, মাধুরী দীক্ষিত)। ২-১৫ যো জিতা ওহি সিকান্দর (আমির খান, আয়শা জুলখা)। ৫-৩৮ করন অর্জুন (শাহরুখ কান, সালমান খান, কাজল)। ৯-২৫ শুটআউট অ্যাট ওয়াদালা (জন এব্রাহাম, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া)।ফক্স মুভিজসকাল ৯-৪০ দ্য সিটার। ১১-০৫ বিগ ড্যাডি (অ্যাডাম স্যান্ডলার)। ১২-৪০ আইস এজ। ৩-৪৫ ব্রেভ। ৫-২০ ফায়ার উইথ ফায়ার (ব্রুস উইলিস)। ৭-০০ দ্য ইম্পসিবল (নাওমি ওয়াটস, ইওয়ান ম্যাকগ্রেগর)। ৯-০০ ওজি দ্য গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল (জেমস ফ্রাঙ্কো, মিশেল উইলিয়ামস, মিলা কুনিস)। ১১-১০ সেফ (জেসন স্ট্যাটহ্যাম)।এইচবিওসকাল ৮-৪৩ কাউবয়েজ অ্যান্ড অ্যালিয়েনস (ড্যানিয়েল ক্রেগ, হ্যারিসন ফোর্ড)। ১০-৫৯ দ্য রিক্রুট ১-০৯ ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল (হ্যারিসন ফোর্ড, কেট ব্লশেট)। ৩-৩০ চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি (জনি ডেপ)। ৫-৪৪ দ্য ক্যাম্পেইন (উইল ফেরেল)। ৭-২৩ কোন্যান দ্য বারবারিয়ান (জেসন মমোয়া)। ৯-৩০ হ্যাপি ফিট টু। ১১-৩০ ওয়াইল্ড হগস (জন ট্রাভোল্টা, টিম অ্যালেন)। |
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসীদের শতাধিক বিঘা জমি জালিয়াতি করে দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যু চক্র। এই চক্রের প্রধান সেরাজুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা নানা কৌশলে জাল দলিল করে জোর করে এসব জমি ভোগদখল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আদিবাসীরা।ভুক্তভোগী আদিবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদদপুষ্ট হয়েই ওই চক্র এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে। পরের জমির ধান লুট, গাছ কেটে নেওয়া, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।আদিবাসীরা আরও অভিযোগ করেন, নামে-বেনামে জাল দলিল তৈরি করে সেরাজুল ইসলাম বসনইল গ্রামের কমপক্ষে ২০ জনের শতাধিক বিঘা জমি দখল করেছেন।রবি তিরকি, বিগা লাকড়া, সূর্য্যমণি তিরকি, মহির তিরকি, সুনিলাল সরদার, সুমরি বালা ওঁরাওসহ আরও কয়েকজন জানান, কৌশলে সেরাজুল প্রথমে মাহান্ত সরদার নামে তাঁর অনুগত এক আদিবাসীর নামে ভুয়া দলিল তৈরি করেন। ওই আদিবাসী জমি বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নেন। পরে সেরাজুল বা তাঁর মনোনীত কোনো ব্যক্তির নামে জমির ভুয়া দলিল হস্তান্তর করেন মাহান্ত। কথিত এই দলিল রদের জন্য মাহান্ত সরদারকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন গগন সরদার, সুনিল সরদার, যতিন সরদার ও সূর্য্যমণি তিরকি।প্রথম আলোর কাছে মাহান্ত স্বীকার করেন, তাঁর নামে ৬০ বিঘা জমির দলিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ বিঘা জমি তিনি সেরাজুল ও তাঁর সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করেছেন। প্রতি বিঘার জন্য তাঁকে তিন-চার হাজার টাকা করে দিয়েছেন সেরাজুল। এ পর্যন্ত তিনি তিন লাখ টাকা পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রলোভনে পড়ে এবং সেরাজুলের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে এসব করেছি। এখন আমি অনুতপ্ত।’সূর্য্যমণি তিরকি অভিযোগ করেন, জালিয়াত চক্র তাঁর স্বামীর ২২ বিঘা জমি আত্মসাৎ করেছে। জমি হারানোর শোকে স্বামী দুই বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এলাকার আদিবাসীদের অভিযোগ, রাধানগর ইউনিয়নের শিষাডাঙ্গা, শাগরইল, দামইলসহ বিভিন্ন গ্রামের সন্ত্রাসীদের নিয়ে সেরাজুলের একটি বাহিনী রয়েছে। মানুষজনের জমি থেকে জোর করে ধান ও গাছ কেটে নেওয়া, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, সেরাজুল ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে সাতটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁর বিভিন্ন অপকর্ম ও আদিবাসীদের জমি দখলের প্রতিকার চেয়ে এলাকার সাংসদ জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।তবে সাংসদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সেরাজুলকে চিনি না। জমিজমা নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই সুযোগে কিছু লোক তাঁদের সহযোগিতা করার নাম করে জমিজমা হাতিয়ে নিচ্ছেন।’মুঠোফোনে সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শত্রুঘ্ন সরদারের কাছ থেকে মাত্র ৮-১০ বিঘা জমি কিনেছি। সাবেক এক চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলাচ্ছেন।’গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এলাকায় সেরাজুল ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়কের গোলচত্বর এলাকায় অজ্ঞাত যুবক (৩০)-এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক সত্যরঞ্জন বলেন, গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজন যুবকের লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তিনি গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। অন্য কোনো স্থানে যুবকটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা।শূন্যস্থান পূরণ অংশ-৬প্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নং প্রশ্নটি থাকবে শূন্যস্থান পূরণের ওপর।অধ্যায়-৩৪৩. বিচারে — করা উচিত নয়।উত্তর: পক্ষপাতিত্ব।৪৪. হজরত ওমর (রা.) মেয়েটির — খুশি হলেন ও মুগ্ধ হলেন। উত্তর: সততায়।৪৫. পিতা-মাতার প্রতি আমাদের অনেক — রয়েছে। উত্তর: দায়িত্ব ও কর্তব্য।৪৬. আমরা পিতা-মাতার — করব।উত্তর: খেদমত।৪৭. পিতা-মাতার মনে — দেব না।উত্তর: সামান্যতম কষ্ট।৪৮. মায়ের পদতলে — জান্নাত।উত্তর: সন্তানের।৪৯. শ্রম অর্থ —। উত্তর: পরিশ্রম।৫০. চেষ্টা ও শ্রম সাফল্যের —।উত্তর: চাবিকাঠি।৫১. চেষ্টা ও পরিশ্রমই—চাবিকাঠি।উত্তর: শেখার ও জানার।৫২. প্রত্যেক শ্রমিককে তাঁর শ্রমের — দিতে হবে।উত্তর: মর্যাদা।৫৩. কোনো শ্রম বা শ্রমিককে — করতে নেই।উত্তর: ঘৃণা।৫৪. মহানবী (সা.) সব সময় — কাজ নিজে করতেন। উত্তর: নিজের।৫৫. পৃথিবীতে কোনো কাজই — নয়।উত্তর: তুচ্ছ।৫৬. প্রত্যেক কর্মী-শ্রমিকের হাতই — হাত।উত্তর: উত্তম।৫৭. শ্রমের উপার্জন — উপার্জন। উত্তর: উত্তম।৫৮. শ্রমিকের কাজ শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর — দেওয়া উচিত। উত্তর: পারিশ্রমিক।৫৯. মানুষের অধিকারকে বলে —।উত্তর: মানবাধিকার।৬০. ইসলামের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষ —।উত্তর: এক ও অভিন্ন।৬১. মানুষের মধ্যে কোনো — নেই।উত্তর: ভেদাভেদ।৬২. ইসলাম সব মানুষের — দান করেছে।উত্তর: ন্যায্য অধিকার।৬৩. ইসলাম-পূর্ব যুগে মানুষ — হতো।উত্তর: বেচাকেনা।৬৪. পরিবেশ সংরক্ষণ করা একান্ত —।উত্তর: প্রয়োজন।৬৫. পরিবেশ আমাদের — রক্ষা করে।উত্তর: ভারসাম্য।৬৬. রাস্তাঘাট আমাদের — প্রধান ব্যবস্থা।উত্তর: চলাচলের।৬৭. বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষ — করা যাবে না।উত্তর: নিধন।৬৮. যেখানে-সেখানে মলমূত্র — করা যাবে না।উত্তর: ত্যাগ।৬৯. সুনামি একটি —। উত্তর: প্রাকৃতিক দুর্যোগ।৭০. প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের অনেক — হয়। উত্তর: ক্ষতি৭১. সুন্দরবনের প্রায় চার ভাগের — অংশ বন নষ্ট হয়েছে। উত্তর: এক ভাগ৭২. আমরা — মানুষের পাশে দাঁড়াব।উত্তর: ক্ষতিগ্রস্ত৭৩. টিউবওয়েল যথাসম্ভব — বসানো উচিত।উত্তর: উঁচু স্থানে।অধ্যায়-৪১. কোরআন মজিদ আল্লাহ তাআলার —।উত্তর: কালাম২. কালাম শব্দের অর্থ —। উত্তর: বাণী৩. কোরআন মজিদ হলো সর্বশেষ —।উত্তর: আসমানি কিতাব৪. কোরআন মজিদের হেফাজতকারী হলেন —।উত্তর: আল্লাহ তাআলা৫. কোরআন মজিদ তেলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো —। উত্তর: চারটি।৬. কোরআন মজিদের ভাষা —। উত্তর: আরবি৭. — কোরআন মজিদ তেলাওয়াত শিখতে হবে।উত্তর: সঠিক উচ্চারণে৮. শুদ্ধভাবে কোরআন মজিদ তেলাওয়াতের নিয়মকে বলে —। উত্তর: তাজবিদ৯. — থাকে মাখরাজ, ঈদগাম, গুন্নাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ।উত্তর: তাজবিদে১০. আরবি শব্দ উচ্চারণের স্কুলকে বলে —।উত্তর: মাখরাজ১১. আরবি বর্ণের সংখ্যা —। উত্তর: ২৯টি১২. আরবি বর্ণগুলো — স্থান থেকে উচ্চারিত হয়।উত্তর: ১৭টি১৩. বিরাম চিহ্নকে বলা হয় —। উত্তর: ওয়াকফ১৪. আগে কোরআন মজিদে — দেওয়া ছিল না।উত্তর: বিরাম চিহ্ন১৫. সর্বপ্রথম বিরাম চিহ্নগুলো ব্যবহার করেন—।উত্তর: আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে তাইফুর।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালগত মঙ্গলবার রাতে বাংলামোটরে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চালকসহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হয় বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি। তাহলে রাত ১১টা ২০ মিনিটে কারা এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটাল?প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাসটি বাংলামোটর মোড়ে থামলে সোনারগাঁও হোটেলের দিকে একটি মোটরসাইকেল দ্রুত বাসটির কাছাকাছি চলে আসে এবং এর পেছনে বসা এক যুবক পর পর দুটি পেট্রলবোমা বাসের ভেতর ছুড়ে মারেন। জনগণের নিরাপত্তা বিধান যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরাই যদি এ রকম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?এর আগে হরতাল-অবরোধে এ ধরনের বাসে, ট্রাকে, বেবিট্যাক্সিতে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ হত্যার ঘটনা অনেক ঘটেছে। প্রশ্ন হলো, এসব ঘটনা কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের কাজ, না পেশাদার অপরাধীদের? খোদ রাজধানীতে একের পর এক নাশকতার ঘটনা কীভাবে ঘটছে?অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচির কথা বলে এলেও তারা সেই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ রাখতে পারেনি। তারা এসব অঘটনের দায় সরকারের ওপর চাপাতে চাইছে। আর সরকার বিরোধী দলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। সরকার যখন জানে, বিরোধী দলের কর্মীরাই এসব সহিংসতা চালাচ্ছেন, তাহলে তাঁদের ধরা হচ্ছে না কেন?আমরা চাই, রাজনৈতিক পরিচয়নির্বিশেষে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের পাকড়াও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আসামিদের না ধরে বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মামলাটি অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এবারে পুলিশ বিভাগের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ যে তাদের সদস্য হত্যাকারীকে তারা ধরবে, না মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হতে দেবে? |
ট্রাকচালককে পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদে বগুড়ায় শ্রমিকেরা গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করেছেন। হামলাকারীদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। হরতালে গত বুধবার রাতে জামায়াত-শিবিরের পেট্রলবোমায় ওই চালক ও সহকারী দগ্ধ হন।রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার বনানী বাজার ও দ্বিতীয় বাইপাসসংলগ্ন বেতগাড়িতে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এই সময়ে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক শ গাড়ি আটকা পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অবরোধকারীরা স্কুল-কলেজের বাস এবং রোগীবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও মুমূর্ষু রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।বগুড়ার মোটর শ্রমিক, ট্রাক শ্রমিক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক, সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন ছাড়াও ট্রাকচালক শামসুল হকের প্রতিবেশী ও পাশের গন্ডগ্রামের লোকজন অবরোধে অংশ নেন।বনানী বাজারের লোকজন জানান, ট্রাকচালক শামসুল হকের হত্যাকারীদের ফাঁসি এবং তাঁর পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবিতে লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করেন।সমাবেশে সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে কোটি টাকার সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বোমা মেরে, ককটেল ও ঢিল ছুড়ে, হামলা করে চালক ও হেলপারকে হত্যা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে শামসুল হকের খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বগুড়া থেকে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। উত্তরাঞ্চলকে অচল করে দেওয়া হবে।’সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন শেখ ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান বক্তব্য দেন। অবরোধে আটকা পড়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বহনকারী ১০-১২টি বাস। এ সময় বাসে আটকা পড়া বিদ্যালয়গামী শিশুদের দীর্ঘ সময় ধরে চরম কষ্ট পোহাতে হয়। অবরোধে আটকা পড়ে রোগী বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্সও।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম বলেন, অবরোধকারীরা সমাবেশ থেকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি পুলিশের ওপর মহলকে জানানো হয়েছে।গত সপ্তাহে জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতাল চলাকালে বগুড়ার শেরপুরের দশমাইল এলাকায় ট্রাকে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারলে চালক শামসুল হক ও সহকারী শাহিন মিয়াকে দগ্ধ হন। রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান চালক। তাঁর বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে।রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে যাচ্ছে বলে দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থা সতর্ক করেছে। এ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখতপ্রথম আলো: চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপনি এটাকে কীভাবে দেখছেন?জায়েদ বখত: প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা খুবই যৌক্তিক। যেহেতু বিনিয়োগে ইতিমধ্যেই স্থবিরতা চলে এসেছে, সেহেতু তার নেতিবাচক প্রভাব প্রবৃদ্ধির ওপর পড়বে। বিগত বছরগুলোয়, বিশেষত শেষ দুই বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা ছিল অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও প্রবাসী-আয়। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা চালিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে। অবকাঠামো বিনির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ হয়েছে। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অনেক অগ্রাধিকার খাতেই আর এখন তেমন বিনিয়োগ হবে না। অন্যদিকে প্রবাসী-আয় প্রবাহও নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। ব্যাংকে আর বাইরের বাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হারের বড় ব্যবধান হয়তো একটা কারণ। ব্যাংকের চেয়ে বাইরে ডলারের বেশি দাম পাওয়ায় অনেকে হয়তো অনানুষ্ঠানিকভাবে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। আবার গত কয়েক মাসে জনশক্তি রপ্তানিও কমে গেছে। যদিও এর তাৎক্ষণিক প্রভাব এখনই বোঝা কঠিন। এ রকম অবস্থায় ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা আর সেভাবে বিনিয়োগ করছেন না, করতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে প্রবৃদ্ধিও কমে যাবে।প্রথম আলো: মূল্যস্ফীতি কি আগামী দিনগুলোয় বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন?জায়েদ বখত: মূল্যস্ফীতি এখনো মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে আছে। আর সরকার চলতি বছরে মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিল বাজেটে। নতুন ভিত্তিবছর অনুসারে এই হার ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ হতে পারে। তবে লক্ষ্যমাত্রা যা-ই হোক, রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে চললে, তা সরবরাহ প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হবে। এটা নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার নির্বাচনের সময় নানা অনুৎপাদনশীল ব্যয় বাড়বে। তাতে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি করবে। এসব বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি আগামী দিনে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।প্রথম আলো: রপ্তানি আয় তো বেশ ভালো আছে। প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২১ শতাংশ। এই প্রবণতা কি অব্যাহত থাকবে?জায়েদ বখত: হ্যাঁ, রপ্তানির অবস্থা বেশ ভালো। বিশেষত, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল। সে রকম কিছু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো, আমাদের রপ্তানিকারকদের দক্ষতা। সস্তায়, সময়মতো, মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করার ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। তাই ক্রেতারা সহজে অন্যত্র যাবে না। ভারতীয় রুপির বিপরীতে টাকার দর শক্তিশালী হয়ে পড়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে বাংলাদেশের বাজারের কিছু অংশ হয়তো ভারত দখল করে নেবে। সেটা বাস্তবসম্মত নয় এ জন্য যে ভারতীয় তৈরি পোশাকের ধরন খানিকটা ভিন্ন। তবে রুপির দরপতনে ভারতে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার কথা থাকলেও সার্বিকভাবেই আমদানিতে যেহেতু শ্লথভাব চলছে, তাই সে রকমটা হচ্ছে না।প্রথম আলো: দেশের আর্থিক খাত, বিশেষত ব্যাংক খাত বিরাট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে?জায়েদ বখত: আর্থিক খাতে ভারসাম্যহীনতা রয়ে গেছে। কেননা, হল-মার্কসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছিল, তা এখনো কাটেনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাসের মাত্রা কমেনি। সাবধানি ও সতর্ক হতে গিয়ে ব্যাংকগুলো টাকা থাকলেও আগের মতো ঋণ দিতে, অর্থায়ন করতে পারছে না, একটা ভীতি কাজ করছে। আমদানি অর্থায়ন অনেক কমেছে। আমদানি কমে যাওয়ার এটাও একটা কারণ। এই অবস্থায় সরকারের সরাসরি কিছু করণীয় নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন, সোনালী ব্যাংকের কাছে অনেক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান টাকা পায়। কেলেঙ্কারির জের কাটিয়ে উঠতে না পারায় সোনালী ব্যাংক টাকা দিতে সাহস পাচ্ছে না। ফলে অন্য ব্যাংকের টাকা আটকে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক যদি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে না আসে, তাহলে তো অবস্থার উন্নতি হবে না।প্রথম আলো: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার ছাড়াল। অর্থনীতির জন্য এটা তো একটা ইতিবাচক অর্জন।জায়েদ বখত: আসলে রিজার্ভ বেড়ে যাওয়াকে খুব ইতিবাচক বলা যায় না। কেননা, বাইরে থেকে ডলার আসছে আর বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য বাজার থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। তাতে রিজার্ভ বাড়ছে। যদি অবকাঠামো বিনির্মাণে বিদেশি অর্থায়ন ও সহায়তা আসত, যদি বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে রিজার্ভের বৃদ্ধিকে যথেষ্ট ইতিবাচকভাবে দেখা যেত। কেননা, এটা তো পুঁজির জোগান বাড়াত। এখন তো সে রকম কিছু হচ্ছে না।[সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসজাদুল কিবরিয়া]সঠিক উত্তর লেখ অংশ-৯প্রিয় শিক্ষার্থী, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’ নিয়ে নমুনা প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।অধ্যায়-৩৫৫. ব্রহ্মাণ্ডের সর্বোচ্চ লোক কোনটি?ক. ধ্রুবলোক খ. তপলোক গ. জ্ঞান ঘ. উর্ধ্বলোকউত্তর: ক. ধ্রুবলোক।৫৬. ধ্রুবের উপাখ্যান থেকে আমরা কী শিক্ষালাভ করতে পারি?ক. ভগবানকে একাগ্রচিত্তে ভক্তি করতে হবেখ. সমাজে সবার মঙ্গল করতে হবেগ. সবাইকে অর্থনৈতিক সাহায্য করতে হবেঘ. একে অপরকে ভালোবাসতে হবেউত্তর: .ক. ভগবানকে একাগ্রচিত্তে ভক্তি করতে হবে।৫৭. মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?ক. অর্থনৈতিক উন্নতি খ. নিজের উন্নতিগ. পরের কল্যাণ ঘ. বিশৃঙ্খলা ঘটানোউত্তর: গ. পরের কল্যাণ।৫৮. স্বামী প্রণবানন্দের মাতার নাম কী?ক. সারদা দেবী খ. সরূপা দেবীগ. অন্নপূর্ণা দেবী ঘ. লক্ষ্মী দেবীউত্তর: ক. সারদা দেবী।৫৯. স্বামী প্রণবানন্দের প্রকৃত নাম—ক. বিলে খ. গৌতম গ. নারদ ঘ. বিনোদউত্তর :ঘ. বিনোদ।৬০. ‘সুরেশ বাবু ছোটবেলা থেকেই ছিলেন শিবের ভক্ত?—এখানে সুরেশ চরিত্রে কার প্রতিফলন ঘটেছে?ক. বিবেকানন্দ খ. প্রণবানন্দগ. অরবিন্দ ঘ. স্বরূপানন্দউত্তর: খ. প্রণবানন্দ।৬১. ‘ওঙ্কার সাধনা’ বলতে তুমি কোন দেবতার সাধনা মনে করো?ক. শিব গ. দুর্গা গ. কালী ঘ. বিষ্ণুউত্তর: ক. শিব।৬২. মার্গারেটের পিতা স্যামুয়েল কী ছিলেন?ক. ব্যবসায়ী খ. ধর্মপ্রচারকগ. সমাজসেবক ঘ. গির্জার প্রধানউত্তর: খ. ধর্মপ্রচারক।৬৩. চার্চের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্গারেটের মতবিরোধের কারণ কী?ক. চার্চের কর্তৃত্ব খ. চার্চের রাজনীতিগ. চার্চের সাহায্য ঘ. চার্চের সংস্কারউত্তর: গ. চার্চের সাহায্য।৬৪. ‘বেদান্তের ধর্মমত তাঁকে শান্তি দেয়’—কার কথা বলা হয়েছে?ক. স্যামুয়েল খ. স্বামী বিবেকানন্দগ. স্বামী প্রবণানন্দ ঘ. মার্গারেটউত্তর: ঘ. মার্গারেট।৬৫. বিনোদের কীর্তন দল গঠন করার উদ্দেশ্য—ক. মানুষের মধ্যে ভক্তিভাব জাগ্রত করাখ. অধিক রোজগারের আশাগ. সমাজে তাঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়াঘ. সমাজে তাঁর নাম ছড়ানোউত্তর: ক. মানুষের মধ্যে ভক্তিভাব জাগ্রত করা।৬৬. ‘বিনোদের পরিচয় হয় তপস্বী ব্রহ্মচারী হিসেবে’—এখানে ‘তপস্বী ব্রহ্মচারী’ দ্বারা আমরা কী বুঝতে পারি?ক. চুল দাড়ি লম্বা খ. তপস্যায় যিনি মগ্ন থাকেনগ. যিনি সাধনা করেন নাঘ. যিনি কীর্তন করে ঘুরে বেড়ানউত্তর: খ. তপস্যায় যিনি মগ্ন থাকেন।৬৭. বিনোদ পড়াশোনায় মন দিতে পারেননি কেন? ক. পড়াশোনা ভালো লাগত নাখ. পিতার অবহেলায় গ. সংসার চালানোর জন্যঘ. স্বদেশি আন্দোলনের প্রভাবেউত্তর: ঘ. স্বদেশি আন্দোলনের প্রভাবে।৬৮। জ্ঞানকাণ্ডের বিষয়বস্তু হচ্ছে—ক. আত্মা সম্পর্কে জ্ঞান খ. ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানগ. ব্রহ্মা সম্পর্কে জ্ঞান ঘ. দেব-দেবী সম্পর্কে জ্ঞানউত্তর: গ. ব্রহ্মা সম্পর্কে জ্ঞান৬৯. বৈদিক দেব-দেবীরা কেমন ছিলেন?ক. রক্তিম খ. উজ্জ্বলগ. শক্তিতে ভরপুর ঘ. নিরাকারউত্তর: ঘ. নিরাকার।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালসহকারী শিক্ষক, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকাআম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা কুমার বিশ্বাস উত্তর প্রদেশের আমেথিতে খোদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমেথি আসনটি ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।দিল্লির নির্বাচনে সাড়া জাগানো এএপির দলীয় সূত্র জানায়, কুমার বিশ্বাস শিগগিরই আমেথি সফরে যাবেন। তিনি সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি ‘ঝাড়ু সন্দেশ যাত্রায়’ অংশ নেবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন এএপির দলীয় প্রতীক ঝাড়ু। রাজনীতিতে একেবারে নতুন দলটি সদ্য অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে।আমেথি সফরে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কুমার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লিতে বড় সাফল্যের মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর এএপি এবার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতেও অবস্থান শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেবে। এনডিটিভি। |
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত আবেদন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম, তুরিন আফরোজসহ অন্য কৌঁসুলিরা। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সম্প্রতি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ নামের টক শোতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। ওই টক শোর সঞ্চালক ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না, আলোচক ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ।প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক)। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৫ সালে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তা শেষ হয়নি।এরপর প্রকল্প সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১০ সাল পর্যন্ত। ওই সময়েও কাজ শেষ হয়নি। আবারও মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১২ সাল পর্যন্ত। সে দফায়ও প্রকল্পটি শেষ হয়নি। এরপর আবার প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে।এটি সাভারে বাস্তবায়নাধীন চামড়া শিল্পনগর প্রকল্পের বাস্তবায়নের চিত্র। প্রকল্পটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের, বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক)।বিসিকের সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের দুই সংগঠনের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ঘোষণা দেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো স্থানান্তর হবে।কিন্তু ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, হাজারীবাগ থেকে সবগুলো ট্যানারি স্থানান্তর শেষ করতে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে শেষ ভাগ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।সাভারের হেমায়েতপুরে ২০০ একর জায়গাজুড়ে চামড়া শিল্পনগর গড়ে তোলা হয়েছে। শিল্পনগরে ২০৫টি প্লটে ১৫৫টি কারখানা স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে সিইটিপি ছাড়া সব অবকাঠামো প্রস্তুত হয়েছে।এ বছরের ১৩ আগস্ট একনেক সভায় দ্বিতীয় দফায় চামড়া শিল্পনগর প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা ট্যানারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাকি টাকার মধ্যে ৬৬৩ কোটি ৪০ লাখ সরকার দেবে এবং ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা সরকার ঋণ হিসেবে দেবে। এই ঋণটাই শুধু ট্যানারি মালিকদের পরিশোধ করতে হবে।২০১৪ সালে স্থানান্তর কি সম্ভব: ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানারিগুলো স্থানান্তর পরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে সমঝোতা স্মারকে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ট্যানারিগুলোর লে-আউট পরিকল্পনা বিসিকে জমা দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা ফেরত দেওয়া হবে। এরপর আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে কারখানা নির্মাণ এবং ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তর শেষ করা। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যেতে হবে।এই প্রক্রিয়ায় ট্যানারি স্থানান্তর সম্ভব কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন কারখানা লে-আউটের কাজ চলছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরে ট্যানারি স্থানান্তর শুরু হতে পারে। একটি কারখানা ভবন তৈরি থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সমস্ত কাজ শেষ করতে দেড় থেকে দুই বছর লাগে। ফলে ২০১৫ সালের পুরোটা সময় লেগে যেতে পারে।’বাংলাদেশ প্রস্তুত চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএলএলএফইএ) সদ্যবিদায়ী সভাপতি বেলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত বড় একটা শিল্প খাত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা সহজ কাজ না। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতেও যদি সাভারে কারখানা তৈরির কাজ শুরু করি, তাহলেও ২০১৫ সালের মাঝামারি সময়ের আগে হাজারীবাগের সব ট্যানারি স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না।’ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, ট্যানারিগুলোতে তিনটি ইউনিটে কাজ হয়। এগুলো হলো, কাঁচা চামড়া থেকে হোয়াইট ব্লু চামড়া তৈরি; ক্রাস্ট এবং তৃতীয়ত ফিনিশড। সাভারে কারখানা তৈরি শুরু হলে ধাপে ধাপে এসব ইউনিট সেখানে স্থানান্তর করা হবে।চামড়া শিল্পনগর প্রকল্পের পরিচালক আনিস উল হক ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কখন, কীভাবে ট্যানারিগুলো স্থানান্তর হবে, সেসব বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে সমঝোতা স্মারকে। ওই স্মারকে ট্যানারি মালিকেরা সই করেছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তর না করার কোনো সুযোগ নেই।’২০১৪ সালের মধ্যে পরিবেশসম্মতভাবে চামড়াজাত পণ্য তৈরির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ রয়েছে। এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো কাজ শুরু করছি। আশা করি, তারা আরও এক বছর সময় দেবে।’সিইটিপি নির্মাণই হয়নি: চীনা প্রতিষ্ঠান জেএলইপিসিএ-ডিসিএল জেভিকে ২০১২ সালের ১১ মার্চ সিইটিপি নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। শর্ত ছিল ১৮ মাসে (এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে) এর কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু কাজ হয়েছে খুবই সামান্য।প্রকল্প পরিচালক আনিস উল হক ভুঁইয়া বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তাদের আরও তিন মাস ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আদৌ কি শেষ হবে?—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৮ মাসের কাজটি কী সাড়ে তিন মাসে শেষ হয়? আরও সময় দিতে হবে।’ক্ষতিপূরণ ইস্যুর মীমাংসা: ক্ষতিপূরণের বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় এত দিন ট্যানারি মালিকেরা সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে আগ্রহী ছিলেন না। সংশোধিত ডিপিপিতে ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অতিরিক্ত শিল্পসচিব জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রথম সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-প্রধানের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটিও করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।দেশের ১৩ লাখ সরকারি চাকুরীজীবীর জন্য জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন, ২০১৩ গঠন করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল রোববার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। কমিশন ছয় মাস ২০১৪ সালের ১৭ জুনের মধ্যে সুপারিশসম্বলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে পূর্ণকালীন সভাপতি করে গঠিত ১৭ সদস্যের কমিশনে তিনজন পূর্ণকালীন সদস্য, ১২জন খণ্ডকালীন সদস্য এবং একজন সদস্য সচিব রয়েছেন। তবে কমিশন প্রয়োজনবোধে খণ্ডকালীন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্যরা হলেন দুই সাবেক সচিব মুহম্মদ আবুল কাশেম ও শেখ খুরশীদ আলম এবং সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. সাহাদ চৌধুরী।খণ্ডকালীন সদস্যরা হলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক জাফর খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুত্ফুল হাসান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো বিনায়ক সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ রুহুল আমীন, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, মেট্রো চেম্বারের সাবেক মহাসচিব সি কে হায়দার, ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কেএম রফিকুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইমদাদুল হক, আইন বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ আমিনুল ইসলাম এবং সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রতিনিধি।কমিশনের সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এহসানুল হক। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে এ কমিশন কার্যকর।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় বেতন কাঠামোর আওতাভুক্ত প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য বেতন ও চাকরি কমিশন, ২০১৩ গঠন করা হলো।’যুক্তরাষ্ট্রে হেনস্তার শিকার ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গৃহকর্মীর বেতন উল্লেখ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাই ‘গুরুতর’ ভুল করেছেন। এ কারণেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে দেবযানীকে। তাঁর মার্কিন আইনজীবী ড্যানিয়েল আরসাক এই দাবি করেছেন।ড্যানিয়েল আরসাক দাবি করেছেন, কূটনৈতিক নিরাপত্তা সার্ভিসের কর্মকর্তা মার্ক স্মিথ এই ভুল করেছেন। দেবযানীর বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতি ও গৃহকর্মীর বেতন নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে মার্কিন সরকার। আরসাক আরও দাবি করেন, সংগীতার বেতন আসলে ছিল এক হাজার ৫৬০ মার্কিন ডলার। তিনি ওই বেতনেই দেবযানীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।এদিকে মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মীদের পরিচয়পত্রের মেয়াদ বাড়াতে মার্কিন দূতাবাসের অনুরোধ নাকচ করেছে ভারত। সাধারণ পরিচয়পত্র ইস্যু করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এতে মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মীরা কিছু সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। রয়টার্স। |
নবজাতকের শরীরের ঘ্রাণ মা ও শিশুর সম্পর্ককে নিবিড় করে তোলে। নতুন মায়েদের মস্তিষ্কে বিশেষ সুখের অনুভূতি তৈরির জন্য তাঁদের শিশুসন্তানের শরীরের অনন্য গন্ধই দায়ী। মা হওয়ার ফলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলেই ওই ঘ্রাণের প্রভাবে একধরনের সুখানুভূতি পান। এমন দাবি কানাডার একদল গবেষকের।মন্ট্রিয়াল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জোহানেস ফ্রাসনেলির নেতৃত্বে গবেষকেরা মা ও শিশুর সম্পর্কে বিশেষ ঘ্রাণের প্রভাব বা ভূমিকা নিয়ে পরীক্ষা চালান। তাঁরা নবজাত ১৮টি শিশুর শরীরের ঘ্রাণ অলফেকটোমিটার যন্ত্রে সংরক্ষণ করে ৩০ জন নারীকে (তাঁদের অর্ধেকে সদ্য মা হয়েছেন আর বাকিরা নিঃসন্তান) শুঁকতে দেন। এ সময় তাঁদের মস্তিষ্কের গতিবিধি এফএমআরআই যন্ত্রে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, নতুন মায়েদের মস্তিষ্কে ডোপামাইন নামের রাসায়নিক পদার্থের তৎপরতা বেড়ে যায়। প্রণোদনা বা পুরস্কার জয়ের সুখানুভূতির সঙ্গে ডোপামাইনের সম্পর্ক রয়েছে। লাইভসায়েন্স।সারা বিশ্বে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ট্যাটিস্টা। তালিকার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর প্রতিটিতেই নেটের গতি ১০ এমবিপিএস।শীর্ষ থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৫ শতাংশ বাসিন্দা ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও সুইজারল্যান্ড। জাপানের ৪৩ এবং সুইজারল্যান্ডের ৩৭ শতাংশ মানুষ দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তালিকায় স্থান পাওয়া অন্য দেশগুলো হলো লাটভিয়া, নেদারল্যান্ডস, চেক প্রজাতন্ত্র, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও এ তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।সারা বিশ্বেই বর্তমানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বাড়ছে। এ তালিকায় পিছিয়ে আছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। ইন্টারনেট সুবিধা সবার কাছে পৌঁছাতে হলে সবার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সুবিধা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। —-ম্যাশেবলজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মঞ্জুর হত্যা মামলার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে এসে আরও দুই মাস পিছিয়েছে। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর আদালত এ বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন।আজ রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এরশাদসহ অন্যান্য আসামির উপস্থিতিতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। এরপর বিচারক হোসেনে আরা আকতার অধিকতর শুনানির জন্য আবার দিন ধার্য করেন।ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। গত ২০ নভেম্বর আসামিপক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ওই দিন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলো ডটকমকে বলেছিলেন, পরবর্তী ধার্য তারিখ ২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করবেন।আজ আসাদুজ্জামান খান এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি উপস্থাপন শেষ করেন এবং রায়ের দিন ধার্য করার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক আবেদন করেন। কিন্তু আদালত যুক্তিতর্কের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। আদালত কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা তিনি বলতে পারছেন না।১৮ বছর আগে দায়ের করা এই মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন সরকারের সময়ে এরশাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে মামলাটির গতি-প্রকৃতি নির্ভর করেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের মাঝামাঝি মামলাটির বিচারকাজ গতি পায়। এরপর আবার মামলাটির শুধু যুক্তিতর্ক নিয়ে একাধিক তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এরই মধ্যে গত আগস্টে মামলার বিচারক পরিবর্তন হয়। এরশাদের সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রে এ মামলাটিকেও সরকার একটা ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলে জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে।এ মামলার মোট আসামি পাঁচজন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস। এর মধ্যে শেষ দুজনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করে। এরপর ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের গুলমার্গে রাতের তাপমাত্রা গতকাল বুধবার শূন্যের ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি নিচে নেমে গিয়েছিল। আবহাওয়া বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, গুলমার্গে এটি ছিল মৌসুমের সবচেয়ে শীতল রাত। কাশ্মীরে ২১ ডিসেম্বর থেকে সবচেয়ে শীতল আবহাওয়ার পালা শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছে। আইএএনএস। |
কাল বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালা মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলা। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এ মেলার আয়োজন করেছে। বইমেলায় বাংলাদেশের অনন্যা, অন্য প্রকাশ, অবসর, অনুপম, অনিন্দ প্রকাশ, আগামী প্রকাশনী, আহমদ পাবলিশিং, এ এইচ ডেভেলপমেন্ট পাবলিশিং হাউস, কথা প্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, বিদ্যা প্রকাশ, বেঙ্গল পাবলিকেশনস, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, প্রথমা প্রকাশন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস, বাংলা প্রকাশ, ভাষাচিত্র, মাওলা ব্রাদার্স, নবযুগ, নালন্দা, সময় প্রকাশন, সন্দেশ, সংঘ প্রকাশন, স্বর প্রকাশনী, সাহিত্য প্রকাশ, বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি যোগ দিচ্ছে।চুক্তিভিত্তিক নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে গান শোনার সেবা প্রদানকারী স্পটিফাই সেবার মতো এবার ইউটিউবে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও দেখার সুবিধা। এর মাধ্যমে আগ্রহীরা বিজ্ঞাপনযুক্ত সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত মিউজিক ভিডিও দেখতে পারবেন বিনা মূল্যেই। তবে বিজ্ঞাপন ছাড়া মিউজিক ভিডিও দেখার সুবিধা পেতে হলে খরচ করতে হবে ১০ ডলার। এ ক্ষেত্রে মিউজিক ভিডিওর সব সেবাই পাবেন ব্যবহারকারীরা। আর বিলবোর্ডের শীর্ষ তালিকায় থাকা বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওর সুবিধা এতে যুক্ত থাকবে। চাইলে যে কেউ নির্দিষ্ট একটি গান অথবা পুরো অ্যালবামের সব গানই শুনতে পারবেন। তবে এ ধরনের সুবিধা ইতিমধ্যে স্পটিফাই, ডেজার, লাস্ট ডট এফএম দিচ্ছে, যেখানে এসব সেবার মিউজিক লাইব্রেরিতে রয়েছে লাখো গান। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা সব সময় চায় গ্রাহকদের আরও উন্নত পদ্ধতিতে সেবা দিতে। এ জন্য বিভিন্ন সহযোগীর সঙ্গেও কাজ করতে আগ্রহী তারা। এরই অংশ হিসেবে আসছে নতুন এই সেবা।এর আগে ইউটিউব বিবিসির প্লেলিস্টার সেবার মাধ্যমে বিবিসি রেডিও স্টেশন থেকে অনলাইনের সাহায্যে শোনার ব্যবস্থা চালু করেছিল। এতে শ্রোতারা ব্যক্তিগত অনলাইন প্লেলিস্টে পছন্দের অনুষ্ঠান শুনতে পারেন। শুধু ভিডিওই নয়, এর পাশাপাশি গ্রাহকেরা যাতে আরও নানা ধরনের সেবা সহজে পেতে পারেন, সে বিষয়ে নানা ধরনের কাজ করছে ইউটিউবের মালিক গুগল। জিমেইলের একই অ্যাকাউন্টের সাহায্যে গুগলের সব সেবা যাতে ব্যবহারকারীরা পেতে পারেন, সে জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। ইউটিউবের সেবাগুলো যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে স্মার্টফোনেই পেতে পারেন, সে জন্য এবার নতুন এ সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি চালু করা হলো। —দ্য টেলিগ্রাফ অবলম্বনে কাজী আলম২১৮ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামার পর পাকিস্তানের হারটাই হয়তো অবধারিত ধরে রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু অভিষিক্ত দুই তরুণ বিলাওয়াল ভাট্টি ও আনোয়ার আলির দারুণ বোলিংয়ে এই লক্ষ্যটাই পেরোতে পারেনি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বল বাকি থাকতেই তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৯৫ রানে। ২৩ রানের জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলার পর বল হাতেও তিনটি উইকেট নিয়েছেন বিলাওয়াল ভাট্টি। আনোয়ার খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস। এরপর বল হাতেও তিনি নিয়েছেন দুইটি উইকেট। সাইদ আজমলের কৃপণ বোলিংও ভালো অবদান রেখেছে পাকিস্তানের এই জয়ের পেছনে। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৮ রানের বিনিময়ে দুইটি উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি স্পিনার।২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় কেউই লম্বা সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। দীর্ঘদিন পরে ওয়ানডে দলে ফেরা জ্যাক ক্যালিসই একসময় হয়ে উঠেছিলেন ভরসার প্রতীক। সাজঘরে ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংসটি। ৪৯ রান করা জে পি ডুমিনির ব্যাটের দিকে তাকিয়েও একসময় আশা খুঁজেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা। কিন্তু ৪৪তম ওভারে তাঁকে আউট করেই পাকিস্তানের জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন সাইদ আজমল। সব আশা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও শেষপর্যায়ে মরীয়া চেষ্টাই করেছিলেন দুই প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেল। অষ্টম উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ২৪ রানের জুটি। কিন্তু টানা দুই ওভারে দুজনকেই আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৫ রানেই গুটিয়ে দেন বিলাওয়াল।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাজ্যবাসীর প্রতি বড়দিনের এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, সবাইকে একজোট হয়ে সরকারের গোপন নজরদারি বন্ধ করতে হবে এবং একটি ভারসাম্যের পথ খুঁজে বের করতে হবে। জনগণের কাছ থেকে সরকারকে কিছু জানতে হলে তাঁকে প্রশ্ন করেই জানতে হবে। চ্যানেল ফোর টিভিতে ব্যতিক্রমধর্মী বার্তায় স্নোডেন এ মন্তব্য করেন। সিএনএন। |
আজ বুধবার থেকে ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলার নতুন ভোটারদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হবে। ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব পরিচয়পত্র বিতরণ করবেন।নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, এবার হালনাগাদ শেষে বিতরণযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সংখ্যা ৭০ লাখ ছয় হাজার ৯৯৫। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ২৬১ জন, গাজীপুরে এক লাখ ৭০ হাজার ৮৪৪ এবং মানিকগঞ্জে এক লাখ ৩৭ হাজার ১২০ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিচয়পত্র বিতরণ শেষ করা হবে। কোন তথ্য সংগ্রহকারী কোন এলাকায় পরিচয়পত্র বিতরণ করবেন, সেই এলাকার নাম ও তথ্যসংগ্রহকারীর ফোন নম্বর থানা/উপজেলা ও জেলা কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো থাকবে।বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্ন এখন ‘কেমন আছেন?’ অথবা ‘কী করছেন’-জাতীয় ব্যক্তিগত খোঁজখবর নয়, এখন একজনের সঙ্গে আরেকজনের দেখা হলে প্রথমেই এই জিজ্ঞাসা—‘কী হবে?’ আরেকটু বিস্তৃত করে বললে, ‘২৫ অক্টোবরের পর কী হবে?’প্রশ্নটি সবার মুখে, কারণ উত্তরটি কারও জানা নেই, অথচ এই উত্তরের ওপর নির্ভর করছে দেশের স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা এবং উন্নয়ন, একুশ শতকের পথে এগিয়ে চলা অর্থাৎ দেশটির ভবিষ্যৎ। পুরাকালে মানুষজন এ রকম উত্তর-অসাধ্য প্রশ্নের সামনে পড়লে ভবিষ্যৎ দ্রষ্টাদের কাছে দৌড়াত। স্কুলে পড়েছি গ্রিসের ডেলফির সেই বিখ্যাত ওরাকলের কথা, মিসরের স্ফিংসের কথা। অথবা গাছের পাতায় অথবা ক্রিস্টাল-গোলকে ভবিষ্যৎ দেখতে পাওয়া পরা-মানুষদের কথা। পুরাকাল সেই কবেই গত হয়েছে, এখন রকেট-বিজ্ঞান আর ন্যানো প্রযুক্তির যুগ। ওরাকল এখন কম্পিউটারের সফটওয়্যার। কিন্তু ২৫ অক্টোবরের পর বাংলাদেশে কী হতে পারে, তা বলে দেওয়ার সাধ্য সবচেয়ে উন্নত কম্পিউটারেরও যে নেই!পুরাকালের কথা উল্লেখ করেছি—যতই দিন যাচ্ছে আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা ভূতের মতো ক্রমাগত পেছনে যাচ্ছি, সেই পুরাকালের দিকেই। তা না হলে কুড়ি-বাইশ বছরের গণতন্ত্রচর্চার পর একটা বৈধ নির্বাচন সময়মতো অথবা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে জাতীয়ভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পীড়িত হতে হবে কেন?আগামী দু-এক দিনের ঘটনাপ্রবাহ নিশ্চিত করেই বলে দেবে, কী হবে অথবা কী হতে পারে। দেশের মানুষ প্রশ্ন দুটি করছে বটে, কিন্তু প্রশ্ন করার পেছনে প্রথমে যে কৌতূহল, তারপর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল—এখনো আছে—সেসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রোধ। মানুষ সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। মানুষ সংঘাত চায় না, হানাহানি চায় না, হরতাল চায় না, জ্বালাও-পোড়াও, রক্তারক্তি, খুন-জখম চায় না। মানুষ চায় একটা সুন্দর নির্বাচন হোক, ভোটের দিন উৎসব হোক, জয়ী-পরাজিতরা করমর্দন করুক, নির্বাচিত সরকার প্রথম দিন থেকেই দেশটাকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করুক। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই সে রকম চাওয়া থাকে মানুষের এবং চাওয়া অনুপাতে পাওয়াও তাদের জুটে যায়। আমরাই শুধু চেয়ে যাই, পাই না। অথচ এ দেশের মানুষের এ রকম পাওয়ার প্রস্তুতি, যোগ্যতা এবং অধিকার রয়েছে।২৫ অক্টোবর সকালে বসে এই লেখা লিখছি। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ক্রিকেট খেলা চলছে। আসলে খেলছে তিনটি দল। তৃতীয় দলটি বৃষ্টি। আজ খেলাটা সেই দলের অধিকারে চলে গেছে। ফলে কোনো দলের জয়ের সম্ভাবনা আর নেই। আমাদের দেশেও রাজনীতির খেলা হয় তিন দলে—সরকারি দল বা জোট, বিরোধী দল বা জোট এবং আমাদের তিক্ত, ক্লিষ্ট, পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই তৃতীয় দলের জন্য আমরা কিছুতেই জিততে পারি না, শুধু হারি। এই সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য নিয়মগুলো হচ্ছে আলোচনার পরিবর্তে সংঘাত, সৌজন্যের পরিবর্তে শত্রুতা, যুক্তির পরিবর্তে গলাবাজি। নিয়মের মধ্যে আরও আছে একে অপরের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা, কটু কথা এবং গালিগালাজের (এবং সময় সময় অশ্লীল কথাবার্তা) অকাতর প্রয়োগ। এই সংস্কৃতি তৈরি করে বিভাজন। ফলে এখন পেশাজীবীরা, বুদ্ধিজীবীরা, বিদ্যাজীবীরা সবাই দল/জোটের বিভাজন রেখা ধরে বিরোধী দুই শিবিরে ঢুকে পড়েছেন। দুর্নীতি এই সংস্কৃতির এক বড় চালিকাশক্তি। এখন দুর্নীতিবাজদের সমীহর চোখে দেখা হয়। তারা দলগুলোর অর্থায়নের বড় উৎস। তাদের সমীহ না করলে দল চলবে কেমন করে?কিন্তু এই পেছনে নিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির তো অবসান চাই। তা না হলে দেশটা পড়বে এক বিশাল খাদে, যেখান থেকে উঠে দাঁড়ানো হবে প্রায় অসম্ভব। মনে রাখতে হবে, এ দেশে দুই-চার কোটি নয়, ষোলো-সতেরো কোটি মানুষের বাস। মিয়ানমার আয়তনে আমাদের আট গুণ, জনসংখ্যা আমাদের চার ভাগের এক ভাগ। দেশটি যেভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে, তাতে আরও দশ বছর পর আমাদের ধনাঢ্যরা ইয়াঙ্গুনে বাজার-ভ্রমণে যাবেন; অথবা অবকাশযাপনে। ষোলো-সতেরো কোটি মানুষের দেশে বিরাট কোনো বিপর্যয় নামলে দিনের পর দিন বিশ্ব মিডিয়ায় আমরা শুধু খারাপ সংবাদ হয়েই থাকব, রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর যেমন ছিলাম।আমরা খারাপ সংবাদের শিরোনাম হতে চাই না। বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে যখন মোমিনুল নামের ছোটখাটো ছেলেটি অনিন্দ্যসুন্দর খেলা খেলে শতরান করল, আমি তখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিনের কাছে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের চিৎকারে সারা দালান বুঝি ভেঙে পড়ছিল। সেই সময় কেউ যদি টেলিভিশনের চ্যানেল বদল করে মির্জা ফখরুল অথবা সৈয়দ আশরাফ ২৫ অক্টোবর নিয়ে কী বলছেন, তা দেখতে ও শুনতে চাইত, তাকে নির্ঘাত সেখান থেকে বের করে দেওয়া হতো।এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার চেয়ে আমাদের ক্রোধটাই বেশি। দেশটাকে নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা কেন করা হচ্ছে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের রশি ধরে বসে আছেন, মাননীয় বিরোধী নেত্রী বসে আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রশি হাতে। প্রধানমন্ত্রী বেতার-টিভিতে বক্তৃতা দিলেন। একটুখানি সরে এলেন তাঁর ‘একচুলও নড়ব না’ অবস্থান থেকে। কিন্তু বিশদ করে বললেন না, নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান কে হতে পারেন। তিনি প্রধান থাকলে তো বিরোধীরা নির্বাচনে যাবে না, এমনকি তাঁর জোটে আজ-আছি-কাল-নেই সেই জাতীয় পার্টিও। তার পরও এটি ছিল প্রস্তাব হিসেবে মন্দের ভালো, অন্তত একটা আলোচনা চলতে পারত। কিন্তু এর পরপরই বেগম জিয়া দিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক ফর্মুলা। এই ফর্মুলায় যাঁদের থেকে উপদেষ্টা নেওয়ার কথা, তাঁদের কেউ কেউ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন, কেউ কেউ তাঁদের অপারগতা জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করা হয়নি। বেগম জিয়া তাঁর হাত থেকে তত্ত্বাবধায়কের রশিটা একটুখানি আলগা করেননি। যদি তিনি হালনাগাদ একটা চিন্তা উপহার দিতেন, একটা মন্দের ভালো প্রস্তাবও দিতেন, একটা আলোচনা হতো। জাতীয় সংসদে যখন বিরোধী দল গেল, তাদের ওপর সরকারদলীয়রা চড়াও হলেন। যেখানে একটু বাতাস দিলেই চাল উড়ে যায়, সেখানে ছোটখাটো একটা ঝড়ের দেখা পেলেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁরা মনের আনন্দে বাইরের দরজার দিকে হাঁটা দিলেন। ‘বিধি মোতাবেক প্রস্তাব তুলুন’—এ রকম তাঁদের বললেন সরকারদলীয়রা। কিন্তু যাঁরা বললেন, তাঁরা কটা বিধি মানেন, আর যাঁদের উদ্দেশে তা বলা হলো, তাঁরাই বা কটা মানেন, বলুন? বিধি তো সেই একটাই—আমাদের কপালের লিখন। সেই বিধি চিরদিনই যেন বাম। ফলে অবস্থার কোনো ইতরবিশেষ হলো না।আজ কাগজে দেখলাম, বেগম জিয়া বলেছেন, এই সরকার অবৈধ। এরপর সরকার নিশ্চয় চাইবে তার বৈধতা কী এবং কত প্রকার তা দেখাতে। ফলে ‘কী হতে পারে’ প্রশ্নটির একটি ভীতিকর উত্তরের আশঙ্কাই দেখা যাচ্ছে।তবে আমি আশাবাদী। আশাবাদী না হয়ে তো উপায় নেই। আমি প্রতিদিন কাটাই তরুণদের সান্নিধ্যে, তারাই আমাকে আশাবাদী করে। এদের পরিবর্তে যদি আমার দিন কাটত মতলববাজ আর দুর্নীতিবাজ লোক, উগ্রবাদী এবং জঙ্গিদের সঙ্গে, তাহলে আমিও হতাশায় ভুগতাম। একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে, সরকারের ‘সভা করতে দেব না’ থেকে ‘শর্ত সাপেক্ষে সভা করা যাবে’ অবস্থান পরিবর্তনের মধ্যে। জঙ্গিরা যদি জুমার নামাজের পর বোমা-ককটেল নিয়ে রাস্তায় না নামে, জাতীয়তাবাদীরা যদি দা-কুড়াল-বল্লম নিয়ে অথবা আওয়ামী-সমর্থকেরা যদি লগি-বইঠা নিয়ে রাস্তায় না বেরোয়, তাহলে হয়তো রক্তপাত ইত্যাদি এড়ানো যাবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের সত্যিকার উদ্যোগ না নিলে হরতাল-জ্বালাও-পোড়াও দেশ অচল করার কর্মসূচি ঠেকানো যাবে না।মানুষ ক্রোধ নিয়েই এখন কথা বলছে এবং মানুষের কথা দুই জোটকে শুনতে হবে। মানুষ নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি দেখে দেখে ক্লান্ত। মানুষ চায় শান্তি। ফলে এখন দুই জোটকে সংলাপে বসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যে টেলিফোন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী নেত্রীকে, দু-এক দিনের মধ্যে তিনি যেন তা করেন এবং সেই টেলিফোন পেয়ে বিরোধী নেত্রী যেন বলেন, কথাবার্তা শুরু করা যাক।পৃথিবীতে আর কোনো দেশ নেই, যেখানে জনগণ ক্রমাগত নিজেদের জীবন উন্নত করার সংগ্রাম করে যাচ্ছে আর রাজনীতিবিদেরা দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের পথে। পৃথিবীতে আর কোনো দেশ নেই, যেখানে কুড়ি বছর মোটামুটি নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র চললেও প্রধান দুই দলের নেতার মধ্যে কোনো কথাবার্তা অথবা সৌজন্য বিনিময় হয় না। একটি দেশেই—এই হতভাগা দেশেই—আছে এমন অচর্চা। এর থেকে বেরোতে হবে।‘কী হবে?’ এর উত্তরে আমি বলব, তিতিবিরক্ত মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠবে। ‘কী হতে পারে’র উত্তরে বলব, আমাদের অপরাজনীতির চর্চা, উগ্রবাদ, মধ্য যুগে ফিরে যাওয়ার প্রবণতা—এসবকে মানুষ রুখে দেবে। দেবে যে আমি নিশ্চিত—আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহে যা-ই ঘটুক না কেন, অথবা দুই জোট সেসব ঘটানোর জন্য যত প্রাণপাত পরিশ্রমই করুক না কেন।সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।রাজশাহী কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফরম জমা দেওয়ার সারিতে দাঁড়ানোর মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ রোববার দুপুরে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তাঁরা প্রশাসন ভবন ও ছাত্র হোস্টেলে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন।এ ছাড়া রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজীব উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর তাঁর বাঁ হাত ভেঙে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ছাত্র হোস্টেলের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সাধারণ ছাত্ররা আতঙ্কে হোস্টেল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির ফরম তোলা ও জমা দেওয়ার সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ লেগে যায়। খবর পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ হবিবুর রহমান তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উভয় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাতে তিনি লাঞ্ছিত হন। পরে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলেজের প্রশাসন ভবনে ভাঙচুর চালান। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ দোতলায় তালা লাগিয়ে দিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আটকা পড়ে। আর পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইরে লোকনাথ স্কুলের সামনে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গিয়ে প্রশাসন ভবনের তালা খুলে আটক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বের করে দেয়। একপর্যায়ে তাঁরা অস্ত্র নিয়ে কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সি ব্লকের পেছনের কোয়ার্টারে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা ওই হোস্টেলের পাশে থাকা রাজীব উদ্দিনের বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর তা ভেঙে দেন। এ সময় আতঙ্কে ছোটাছুটির করতে গিয়ে আরও ছয়জন আহত হন। হোস্টেলের ফটকের বাইরে সে সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রকি ঘোষ বলেন, ফরম জমা দেওয়ার সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম খান ওরফে ববিনের সঙ্গে হাতাহাতি করেন। এ নিয়ে ঘটনার শুরু। তিনি বলেন, হোস্টেল কক্ষে কারা আগুন দিয়েছেন, তা তাঁরা জানেন না। তবে পুলিশের গুলিতে তাঁদের কর্মী নজরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।রাজশাহী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মরতুজা ফামিন হক জানান, পুলিশ পাহারায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হোস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাঁদের কর্মীদের কুপিয়ে জখম করেছেন।রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চিকিত্সক আজিম রেজা বলেন, রাজীবের হাতটি ভেঙে গেছে। বাহু কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে চিকিত্সায় সে সুস্থ হবে।কলেজের উপাধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, তাঁর সঙ্গে দুই দলের নেতা-কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি তাঁদের হাত থেকে কলেজের সম্পদ রক্ষা করতে পারেননি।নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনার সময় হোস্টেলের পাশে পুলিশ ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ হোস্টেলের ভেতরে ঢুকতে পারে না। ঘটনার পরে পুলিশকে ভেতরে ডাকা হয়েছে।তথ্য ও বিনোদনযে গল্পের শেষ নেইকথাবন্ধুর সঙ্গে আড্ডা[রাত ১১.২০-২.০০]প্রাণ মি. নুডলস মিউজিক ক্ল্যাসিক[সকাল ০৮.১৫-০৮.৪৫]গ্রামীণফোন লাউঞ্জ[সন্ধ্যা ০৭.২০-০৭.৫০]এবিসি খবর[সকাল ০৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়] |
বরিশালে ছাত্রদল নেতা রাফসান আহম্মেদ ওরফে জিতু হত্যা মামলার পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদী আপত্তি জানালে গত সোমবার বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জাহিদুল কবীর ওই আদেশ দেন।২০১২ সালের ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের একাংশের আহ্বায়ক রাফসান আহম্মেদকে কলেজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আহসান হাবীব কামালের অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনার মামলার ১০ আসামি মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী ছাত্রদল-যুবদল নেতা-কর্মী।রুশ ভাষায় ঈদুল আযহার উৎসবকে বলা হয় ‘কুরবান বাইরাম’। ঈদ উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির পুতিন রাশিয়ার মুসলমানদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশগুলোতে এ উপলক্ষে ছিল দুই দিনের সাধারণ ছুটি।রাজধানী মস্কোতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উদ্দীপনার সঙ্গে বাংলাদেশি মুসলমানরা ঈদুল আযহা উদযাপন করেন। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় মস্কোর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক হাজার মুসলমান এখানে ঈদের নামাজ পড়েন। মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় নগর কর্তৃপক্ষ আরো তিন স্থানে ঈদের জামাত আয়োজন করে। মস্কোর তিনটি পার্কে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া ওয়ান কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে সরাসরি ঈদের জামাত সম্প্রচার করে।প্রতিবারের মতো এবারও মস্কোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদুল আযহা পালন করেছেন। বাংলাদেশিদের ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় ভেদেনখার কিরগিজ প্যাভিলিয়নে। সকাল সাড়ে নয়টায় ঈদের নামাজ পড়তে মস্কোর বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশিরা ছুটে আসেন এখানে। বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সকাল দশটায় এখানে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন দূতাবাসের ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও প্রবাসীদের সঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে দেশ জাতির মঙ্গল এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।পরিবার নিয়ে বাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকই কোরবানি দেন। মস্কো নগরীর অভ্যন্তরে কোরবানি দেওয়া নিষিদ্ধ থাকায় নগরীর বাইরের কসাইখানায় গিয়ে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ জন্যে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট কসাইখানায় বুকিং দিতে হয়। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও এভাবে বুকিং প্রথায় কোরবানি চালু রয়েছে।প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় প্রায় দুই কোটি মুসলমানের বাস। এর মধ্যে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান বাস করেন শুধু মস্কোতেই। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়ে যাওয়া প্রজাতন্ত্রগুলোর অনেক মুসলমান রাশিয়ায় অভিবাসী হওয়ায় দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।জামিল খান, মস্কো, রাশিয়াবাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে। আজ রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে চারজনকে কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল ও ১৬ জনকে ক্যাপ্টেন থেকে কমোডর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি পাওয়া চার কর্মকর্তা হলেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার আখতার হাবিব, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক (এসডিএস) এম আনোয়ারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষক আবদুল বাতেন এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।যাঁরা কমোডর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (মেরিন ও হারবার) মোহাম্মদ শাহজাহান, কোস্টগার্ডের কমান্ডার আবদুর রহমান, যুদ্ধজাহাজ বিএনএস ধলেশ্বরীর ক্যাপ্টেন বসিরউদ্দিন আহমেদ, নেভাল অ্যাভিয়েশনের কমান্ডিং অফিসার আবু আশরাফ, নৌবাহিনীর পরিচালক নেভাল অপারেশন মোজাম্মেল হক, করভেট প্রকল্পের প্রধান আবদুল কালাম মোহাম্মদ ফারুক হাসান, নেভাল একাডেমির কমান্ড্যান্ট এম নাজমুল হাসান, যুদ্ধজাহাজ আলী হায়দারের কমান্ডিং অফিসার মাহবুব উল ইসলাম, নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক রাশেদ আলী, যুদ্ধজাহাজ ‘সমুদ্র জয়ে’র কমান্ডিং অফিসার নাজমুল করিম কিসলু, নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক সফিউল আযম, করভেট জাহাজের দায়িত্ব পাওয়া জাহাঙ্গীর আলম, নৌবাহিনীর পরিচালক (গুদাম) আবু নাসের মোহাম্মদ রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন আহমেদ, চীনে প্রশিক্ষণরত লোকমানুর রহমান এবং নৌ তড়িত্ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলমগীর।উল্লেখ্য, এর আগে ১০ নভেম্বর সেনাবাহিনীর ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে।আক্ষরিক অর্থে মৃত্যুকে জয় করার উপায় কারও নেই। তবু কেউ কেউ আছেন, যাঁরা তাঁর সৃষ্টি দিয়ে সময়কে পরাজিত করে কালোত্তীর্ণ হয়ে ওঠেন। সদ্য প্রয়াত নাট্যজন খালেদ খান সে পথেই এগিয়েছেন। তিনি নেই। কিন্তু তাঁর কাজ থেকে যাবে চিরকাল। গতকাল বুধবার প্রয়াত এ শিল্পীর স্মরণে দুটি নাটকের মঞ্চস্থ হয়।সুবচনের নাটক ‘মহাজনের নাও’: খালেদ খান সুবচন নাট্য সংসদের বেশ কয়েকটি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে সুবচনের নতুন নাটক মহাজনের নাও দেখতে শিল্পকলা একাডেমীতেও এসেছিলেন। নাটক দেখে শিল্পীদের সঙ্গে আড্ডাও দিয়েছেন। খালেদ খান এখন আর নেই। তাঁকে স্মরণ করে একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকের দল সুবচন মঞ্চস্থ করে নাটক মহাজনের নাও। শাকুর মজিদের লেখা নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী।বাউল সাধক শাহ আবদুল করিমের সারা জীবনের সাধনা ছিল নিজেকে জানা এবং সৃষ্টিকর্তার রহস্য উদ্ঘাটন করা। এ ক্ষেত্রে দেহতত্ত্বকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি অনেক গান লিখেছেন। যেহেতু শাহ আবদুল করিম সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের মানুষ ছিলেন, তাঁর গানে তিনি নৌকাকে অনেক বেশি ব্যবহার করেছিলেন; নিজের দেহের রূপক হিসেবে। তিনি নিজেকে ভেবেছিলেন যেন কোনো এক মহাজনের কাছ থেকে ধার পাওয়া এক নৌকা। যে নৌকার মালিক তিনি নন, শুধু সঠিকভাবে চালিয়ে কোনো এক ‘সোনারগাঁয়ে’ পৌঁছানোর গুরু দায়িত্ব তাঁর। জীবনের সায়াহ্নে এসে তাঁর নাও কোন গাঁয়ে ভিড়েছে—সে শুধু তাঁর মহাজন জানেন। মূলত শাহ আবদুল করিমের জীবনের জটিলতা, সংকট এবং তার থেকে উত্তরণের বিষয়গুলো এ নাটকে প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি উঠে এসেছে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাঁর বোধ ও দর্শন।স্টুডিও থিয়েটারে ‘চিত্রাঙ্গদা’খালেদ খানকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে তাঁকে উৎসর্গ করে নাট্য সংগঠন স্বপ্ন দলের আলোচিত প্রযোজনা কাব্যনাট্য চিত্রাঙ্গদার বিশেষ মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হলো গতকাল বড়দিনের সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর স্টুডিও থিয়েটার হলে। রবীন্দ্রনাথের চিরায়ত সৃষ্টি চিত্রাঙ্গদার গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।প্রদর্শনীর আগে খালেদ খানের জীবন ও শিল্পকর্ম-সম্পর্কিত তথ্যাবলি উপস্থাপন করা হয় এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী। গতকাল প্রযোজনাটির ২৮তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো। চিত্রাঙ্গদায় অভিনয় করেছেন সুকন্যা আমীর, ফারজানা রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান রেজাউল, শিশির সিকদার, সামাদ ভূঞা, মাধুরী বেপারী প্রমুখ।নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধাঞ্জলিগতকাল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় খালেদ খানকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় নাট্যশালায়। খালেদ খানের কাজ, তাঁর স্মৃতিময় অনুভূতিগুলো নাগরিকের সদস্য ও নাট্যব্যক্তিত্বরা উচ্চারণ করেন গভীর বেদনার সঙ্গে। স্মৃতিচারণায় অংশ নেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, আইটিআই বিশ্ব সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, আতাউর রহমান, সারা যাকের, নাট্য-অনুবাদক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, ত্রপা মজুমদার প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন শুদ্ধ শিল্পী ছিলেন খালেদ খান। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের গৌরবের ফসল তিনি। তাঁর গুণের আলোয় আলোকিত হয়েছে এ দেশের মঞ্চ। তাঁর স্বল্প সময়ের অভিনয় জীবনে যে অর্জন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।বক্তারা আরও বলেন, অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি চরিত্রকে বিশ্লেষণের অসাধারণ দক্ষতা ছিল তাঁর। মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে তাঁর ভূমিকা গুরুত্ব রেখেছে। মির্জাপুরে সমাহিত হলেও আপন কর্মগুণে রয়ে যাবেন শিল্পের ভুবনে। |
‘অর্থ কখনো মানুষকে সুখী করতে পারেনি, পারবেও না; কারণ সুখের কোনো উপাদানই অর্থের মধ্যে নেই।’ মার্কিন মনীষী বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিনের এই উক্তির যথার্থতার পক্ষে গবেষকেরা নতুন করে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাঁদের দাবি, নিঃসঙ্গ একজন ব্যক্তি প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হওয়া সত্ত্বেও অসুখী হতে পারেন।সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে তিনি জুয়া খেলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে আকৃষ্ট হয়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, নিঃসঙ্গ মানুষ সম্ভবত নিজের অজান্তেই অর্থ বা টাকাপয়সাকে বন্ধুর বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, জীবনকে আনন্দময় করে তোলার ক্ষমতা অর্থের রয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়।শূন্যতার অনুভূতি মানুষের আর্থিক বিচারবুদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে কি না, তা নিয়ে হংকংয়ের গবেষক রড ডুক্লস ও একো ওয়েন ওয়ান তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের ওপর গবেষণা চালান। এতে প্রাপ্ত ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। ডুক্লস ও ওয়ান বলছেন, প্রাণবন্ত পরিবেশ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সান্নিধ্যে মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে সাধারণত বিরত থাকেন। আর একজন একাকী ব্যক্তি ক্যাসিনোর জুয়া খেলা বা ঘোড়দৌড়ের মতো বিষয়ে বাজি ধরে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকেন তুলনামূলক বেশি। টেলিগ্রাফ।মেরিল্যান্ডের ছোট একটি শহর সিলভার স্প্রিং। এই শহরের এলসয়ার্থ ড্রাইভে দিনের ব্যস্ততার মধ্যে ছুটে চলে হাজার হাজার মানুষ। কেউ হেঁটে, কেউ আবার নিজস্ব যানে। রাস্তার দুই পাশে নানা পণ্যের বিপণিকেন্দ্র, জিম, শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন দেশি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ। দিনের আলোতে এসব দোকানপাট নিষ্প্রভ থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙিন আলোর ঝলকানি এবং মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এই রাস্তাটি। সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়; যাতে করে আমোদপ্রিয় সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়। প্রতিদিনের জমজমাট আসরের মূল কেন্দ্রস্থল হলো থিয়েটার হলকেন্দ্রিক। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই থিয়েটার। মানুষজন অনেকে বিভিন্ন ছবি দেখে রাস্তার মাঝখানে বসে। আবার অনেকে রাস্তার ফুটপাতে বসে আড্ডা দেয় এবং নানা দেশের খাবারের স্বাদ আস্বাদন করে। এখানে রয়েছে চায়নিজ, ভিয়েতনামি, মেক্সিকান ও আমেরিকান খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ।গরমের (সামার) সময় এই রাস্তায় আয়োজন হয় ভিন্ন আমেজে। শনিবার সকাল থেকে রাস্তায় সব যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। খাবারের দোকান বা রেস্তোরাঁ সকালে বন্ধ থাকে। এ সময় বিভিন্ন ফার্মের মালিকেরা তাঁদের ফার্ম থেকে সদ্য তোলা নানা জাতের তরিতরকারি নিয়ে আসেন। আলু, টমেটো, কপি, শাক, মুলা, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নানা পসরা সাজিয়ে রাস্তার মাঝখানে বসে পড়েন। তখন সেখানে নানা বয়সের ক্রেতারা ভিড় করেন। তাঁরা পছন্দমতো কেনাকাটা করেন। সবজির পাশাপাশি কেউ পপকর্ন ভেজে বিক্রি করছে, কেউ আইসক্রিম, কেউ বা মচমচে চিংড়ি মাছ। ফ্রোজেন শাকসবজি খেয়ে অভ্যস্ত আমেরিকানরা টাটকা সবজির লোভ সামলাতে না পেরে তরুণ, মধ্যবয়সী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা—সবাই সেখানে চলে আসেন।রাস্তার এক পাশে মঞ্চ বানিয়ে কোনো সপ্তাহে চলে গানের আসর। আবার কোনো সপ্তাহে বাদ্যযন্ত্রের ঝনঝনানি, আবার কখনো বেহালার করুণ সুর। মূলত ক্রেতারাই গানের মূল শ্রোতা। খুশি হয়ে যে যা পারে তাই দেয়। এটাই মূলত গান বা বাদ্যযন্ত্র দলের আয়ের উৎস। একদিন দেখলাম, বেহালার করুণ সুরের সঙ্গে এক তরুণী বেশ হেলেদুলে নাচছে। আর মুগ্ধ দর্শক ডলার রেখে দিচ্ছে তার পায়ের কাছে রাখা ছোট্ট বেহালার বাক্সে। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই উপভোগ্য।এই হাটে থাকেন আমাদের দেশের মতো কবিরাজরাও। রাস্তার এক পাশে তাঁরা নানা পসরা নিয়ে দোকান খুলে বসে পড়েন। তাঁদের দোকানে থাকে নানা রকম তাবিজ, টোটকাসামগ্রী এবং নানা ধরনের গাছগাছড়ার শিকড়-বাকড়। মূলত আফ্রিকানরাই এসব দোকানের মালিক। এত দিন আমার ধারণা ছিল, কেবল এশিয়ান লোকেরাই তাবিজকবচ, টোটকা-ফোটকায় বিশ্বাসী! এখন দেখি দক্ষিণ আমেরিকান ও আফ্রিকান মানুষের অবস্থা আমাদের চেয়ে ভয়াবহ। এখানে অনেককে দেখেছি কাজের জায়গায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন গলানোর জন্য বা কাউকে বসে আনার জন্য এই টোটকাসামগ্রী ব্যবহার করতে। আরেকটি দোকানে দেখলাম নানা ধরনের বাউল মালা, তসবি, সুরমা, আতর বিক্রি করতে। এই দোকানটিও এক আফ্রিকানের।কাপড় ব্যবসায়ীরাও বসে নেই। তাঁরাও পসরা খুলে বসেছেন রংবেরঙের কাপড় নিয়ে। এসব দোকানে অবশ্য বেশি আফ্রিকান ও দক্ষিণ আমেরিকান কাপড়। দাম একটু বেশি হলেও সবজির পাশাপাশি কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে সমান তালে।শহুরে হাটের রাস্তা ধরে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিল। যখন চলে আসব, হঠাৎ খোল আর মন্দিরার শব্দ শুনে থমকে দাঁড়ালাম! সামনে গিয়ে দেখি একদল লোক খোল-মন্দিরা ইত্যাদির মাধ্যমে গেয়ে চলেছে—হরে কৃষ্ণ হরে রাম। বেশ ভালো লাগল। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিলাম। আলাপকালে জানতে পারলাম, তাদের দলের নাম হরে কৃষ্ণ। তারা বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণের কীর্তন গেয়ে ভিনদেশি বা ভিনভাষী মানুষদের মুগ্ধ করে। আমেরিকার রাস্তায় কীর্তন অবাক করার মতো। ওই দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তুললাম কয়েকটি ছবি।যখন আস্তে আস্তে বেলা গড়িয়ে যায়, মানুষজনও ছুটে যায় আপন ঠিকানায়। ভেঙে যায় শহুরের হাট।সুবীর কাস্মীর পেরেরাওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র‘একদলীয়’ নির্বাচন হলে তা প্রতিহত করতে বিএনপির পাশে থাকবে বিকল্পধারা। বিএনপির সঙ্গে তাঁরা যুগপত্ভাবে ‘বিকল্প কর্মসূচির মাধ্যমে’ ওই নির্বাচন প্রতিহত করবে। আজ রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করে বিকল্পধারার নেতারা তাঁকে এই আশ্বাস দিয়েছেন।সাক্ষাত্ শেষে দলটির নেতারা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে বিকল্পধারার একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে আসে।সাক্ষাত্ শেষে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেন, সরকার যে একদলীয় নির্বাচনের চেষ্টা করছে তা তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, এ নির্বাচন কোনো সুফল বয়ে আনবে না। একদলীয় নির্বাচন হলে তাঁরা তা প্রতিহত করবেন। এ কথাটি জানাতেই তাঁরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে এসেছিলেন।দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী বলেন, একদলীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে ১৮ দলের বাইরে যেসব দল আছে, তারা বিকল্প কর্মসূচির মাধ্যমে ওই নির্বাচন প্রতিহত করবে। তাঁদের সঙ্গে সমমনা আরও কয়েকটি দল আছে বলেও জানান মাহী বি. চৌধুরী।শীতের শুরুতে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, বিশেষ করে সাইবেরিয়া থেকে বাংলাদেশের ছোট-বড় বিভিন্ন জলাশয়ে আসতে থাকে অতিথি পাখি। শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি নিধন করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকিতে প্রতিবারের মতো এবারও বিপুল পরিমাণে অতিথি পাখির সমাগম ঘটেছে। হাওরের ছোট-বড় ২৩৮টি বিলেই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। অতিথি পাখির মধ্যে বালিহাঁস, চখাচখি, বাটুল, শামখুল, পানকৌড়ি, শামুকভাঙ্গা, সরাল, লেহেঞ্জা, গিরিয়া হাঁস, টিকি হাঁস, খুনতে হাঁস, গাংচিল, বক প্রভৃতি পাখি বিভিন্ন দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে। ২০০৪ সাল থেকে হাকালুকি হাওরে মাছ ও পাখির অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার কারণে অতীতের তুলনায় হাওরে অতিথি পাখির আগমন বাড়ছে। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে পাখিবিশেষজ্ঞ ড. ইনাম আল হক পাখিশুমারি করে হাকালুকি হাওরে ৬১ প্রজাতির অতিথি পাখি, এ হাওরে আসছে বলে নিশ্চিত করেন। অতিথি পাখি আমাদের দেশের অনেক বড় একটি সম্পদ, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, শিকারিদের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারছে না পাখিগুলো। এসব পাখি নিধনের কারণে একদিকে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না, ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের যথেষ্ট উপকারও করে থাকে। পরোক্ষভাবে এরা উৎপাদন বাড়াচ্ছে বলা যায়।১৯৭৪ সালের বন্য প্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দণ্ডের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জেল, এক লাখ টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব আইনের প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। অতিথি পাখি আমাদের জলাশয়গুলোর সৌন্দর্য যেমন বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে, পাশাপাশি এটি প্রকৃতির মূল্যবান সম্পদও বটে।অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা প্রত্যেক সচেতন মানুষের কর্তব্য। অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণা বাড়াতে হবে। পাখি নিধনের মূল হোতাদের পাকড়াও করতে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকা জরুরি।মো. মশিউর রহমানমৌলভীবাজার। |
বরগুনা-২ আসনের উপনির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ওরফে হিরুর এক কর্মীর দুই হাত ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। জাহিদ হাওলাদার (৪৫) নামে ওই কর্মী উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে।চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশ্রাব আলী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমানের কর্মীদের দায়ী করেছেন।এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান বলেন, এ ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।ঘটনাটি নৃতাত্ত্বিক অমিতাভ ঘোষের দ্য হাঙ্গরি টাইড উপন্যাস কিংবা সালমান রুশদির বুকার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস মিডনাইটস চিলড্রেন-এর কাহিনির অংশবিশেষের মতো। কয়েক দিন আগে ভেলেনসিয়া কলেজে আমার প্রেজেন্টেশনের বিষয়বস্তু ছিল; আমার দেশের বুকের জমিনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, বিশ্বের সব থেকে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।যার কারণে এবং বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে আমি গর্ব করে ক্লাসের বিরাট হলরুমে থাকা সহপাঠীদের উদ্দেশে বক্তৃতার মতো করে বলি, হোয়াট মেকস আ গ্রেট ভ্যাকেশন। সুন্দরবন আমার দেশের একখণ্ড সবুজ পোশাক। বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪ দশমিক ২ এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪ ভাগজুড়ে পরিহিত এই প্রাচুর্যের পোশাক। পারো যদি ভ্যাকেশন গ্রেটফুল করো, সেথায় গিয়ে!মর্ত্যের এমন স্বর্গীয় সৌন্দর্যভূমি বোধ হয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আছে আমার দেশ বাংলাদেশ। আছে ভৌগোলিক গঠনের এই বদ্বীপের উপকূলজুড়ে। অসংখ্য জলধারা, জলতলে ছড়িয়ে থাকা মাটির দেয়াল, জালের মতো জড়িয়ে থাকা খাল, স্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী জলাভূমি, কাদা চর, প্রান্তীয় তৃণভূমি, সৈকত, মোহনা, খাড়ি, বালুতট, বালিয়াড়ি। তিন কোনা দ্বীপের সমন্বয়ে বৈচিত্র্যময়ভাবে গঠিত হয়েছে প্রকৃতির এই সুনিপুণ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।আমাদের সুন্দরবনে আবাসস্থল ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮টি উভচর প্রজাতির প্রাণীর। সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, শুশুক, কচ্ছপ, অজগর, গন্ডার, কুমির, মহিষসহ অসংখ্য বিরল প্রাণীর।এখানেই প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়া গোলপাতাগাছসহ ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদের (১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রেইন-এর হিসাবমতে) স্বর্গভূমি! জালের মতো পরস্পরযুক্ত নৌপথে সুন্দরবনের প্রায় সব জায়গাতেই সহজে নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করার বিশাল সুযোগ যদি পাও, তবে ঘুরে এসো আমার দেশের সুন্দর বনভূমি সুন্দরবন। ওয়েলকাম তোমাদের।সুন্দরবনকে নিয়ে সগর্বে যাবতীয় বর্ণনা যখন বলছিলাম, তখন ক্লাসজুড়ে যে করতালি দেখেছি তার আবেশ বেশ সুখকর। দেখেছি মার্কিন, স্প্যানিশ, হাইতি, রাশিয়াসহ অনেক দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের চোখে। সুন্দরবনকে একটিবার দেখে আসার তীব্র ইচ্ছা। আমি তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই প্রকৃতি-সৃষ্ট রূপবতী এই বনভূমির সঙ্গে। সুন্দরবনের সঙ্গে, আমার প্রিয় দেশের সঙ্গে।প্রিয় দেশ, বিদেশের মাটিতে স্বদেশকে নিয়ে গর্ব করার এই গৌরবময় বনাঞ্চল ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত যেন না হয়, খেয়াল রেখো খুব। রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার চুক্তির ফলে যেন বিনষ্ট না হয় মনোলোভা সৌন্দর্যের এই বনভূমি; সেই প্রচেষ্টার সচেষ্টতা যেন থাকে সরকার, সাধারণ মানুষসহ সবার।দেশের বনজ সম্পদের একক এবং বৃহত্তম উৎস এই বনভূমি বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প যেমন সমুন্নত রাখছে, তেমনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে এবং জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের এই লীলাভূমির জলভেজা বিশুদ্ধ বাতাসের গল্প যেন দূরদেশ, বহু দেশ বহু কাল পেরিয়েও যেন প্রাণোচ্ছ্বাসে গর্ব করে বলতে পারে স্বদেশে-বিদেশে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। ভালো থেকো, সবুজ থেকো ভ্রমণকে উপভোগ করার প্রণোদনা দেওয়া প্রাণের সুন্দরবন।মাসুমা আক্তার জাহান রিমাভেলেনসিয়া কলেজ, যুক্তরাষ্ট্রড্রোন হামলা নিয়ে পাকিস্তান যখন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল, ঠিক তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ভারতের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভিসা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানালেন।‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, নওয়াজ শরিফ আজ রোববার এক সাংস্কৃতিক সম্মেলনে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে চালু ভিসা ব্যবস্থা তুলে দিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’ভারতীয় পত্রিকাটির দাবি, সম্মেলনে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক সাংবাদিক উপস্থিত আছে জানতে পেরে নওয়াজ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ সময় বক্তব্য দেন।নওয়াজ ওই সাংবাদিককে বলেন, তিনি যেন দেশে ফিরে গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভারত সরকারকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি ভারতে নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তানবিরোধী জুজু বাড়ছে। কিন্তু আমি আপনাকে (টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক) জানাতে চাই, পাকিস্তানের শেষ নির্বাচনে আমরা ভারতবিরোধী জুজু তৈরি থেকে বিরত ছিলাম। ভারত ও পাকিস্তান দেশ দুটি একে অপরের প্রতিচ্ছবি। তাই আমাদের সম্পর্ক দৃঢ় হওয়া উচিত।’এই সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ এক সরকারি কর্মকর্তা ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেন, ‘এই সরকারের মূল লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সন্ত্রাস দমন করা। দেশটির প্রতিদিন কোনো না-কোনো শহরে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। ভারতের বদলে যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের প্রধান শত্রু। আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়োজন বোধ করছি।’নওয়াজ শরিফের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তানের জামায়াত-এ-ইসলামি। দলটি মনে করে ভিসা ব্যবস্থা সহজ করা হলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বেলুচিস্তানকে অস্থির করে তোলার সুযোগ পাবে।পোপ ফ্রান্সিস আজ বুধবার বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বিশ্বময় শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকল ধর্মবিশ্বাসীদের সঙ্গে একাত্ম হতে নাস্তিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বড় দিনের ভাষণে ফ্রান্সিস ‘মানুষের লোভ ও হিংস্রতা’ থেকে পরিবেশকে রক্ষার আহ্বানও জানান।ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারস বাসেলিকা গির্জার ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৭০ হাজার খ্রিস্টভক্তের সামনে তিনি আজ ভাষণ দেন। পোপ হওয়ার পর এখানে দাঁড়িয়েই তিনি ১৩ মার্চে প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন। পোপের এ ধরনের ভাষণকে ‘উর্বি এট ওর্বি’ অর্থাত্ রোম ও বিশ্বের প্রতি সম্বোধন হিসেবে অভিহিত করা হয়।১২০ কোটি রোমান ক্যাথলিকের চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আমাদের প্রতি দিনের অঙ্গীকার। শান্তির চর্চা করতে হবে প্রতিটি বাড়ি থেকে। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মানুসারীরাও শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।এ সময় তিনি তাঁর পূর্বলিখিত ভাষণের বাইরে গিয়ে নাস্তিকদের প্রসঙ্গ আনেন এবং তাদের ধর্মবিশ্বাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।পোপ বলেন, ‘আমি নাস্তিকদেরও শান্তি কামনার আহ্বান জানাই। আপনাদের প্রত্যাশাসহ আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। এতে আমাদের হূদয় প্রসারিত হবে। (সঙ্গে করে) প্রার্থনা বা প্রত্যাশা যেটাই হোক নিয়ে আসুন, সবাই জোট বাঁধি। কারণ আমাদের সবার লক্ষ্য শান্তি।’ পোপের এ বক্তব্যের পর বেশ দীর্ঘক্ষণ ধরে উপস্থিত ব্যক্তিরা হাতে তালি দেন। তিনি সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে বলেন, আপনার অনেক সন্তান সশস্ত্র যুদ্ধে গুম, আহত ও নিহত হয়েছে। অনেক সন্তানের কৈশোরকে চুরি করা হয়েছে এবং জোড় করে সেনাতে পরিণত করা হয়েছে। আপনি তাদেরতে সঠিক পথ দেখান।পোপ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ‘সম্মানজনক জীবনের’ জন্য দোয়া করেন। ইতালির উপকূলে অবস্থিত লাম্পেদুসা দ্বীপে মানব পাচারের সময় নিহত শতাধিক মৃতের জন্য বিশেষ দোয়া করেন। তিনি মানব পাচারকে ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’ হিসাবে উল্লেখ করেন।পোপের বক্তব্যের মূল কথা ছিল, প্রত্যেকের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্ব রয়েছে। সেটা হতে পারে প্রতিবেশীদের মধ্যে কিংবা দুই দেশের মাঝে। বিভিন্ন দেশের অনেক তীর্থযাত্রী এবারের বড়দিনে ভ্যাটিকানে এসেছেন। তারা মনে করেন পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে চার্চে পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর্জেন্টিনা থেকে আসা ডোলরেস ডি বেনেডিট্টে বলেন, পোপ চার্চে নতুন যুগের সৃষ্টি করেছেন। চার্চ এখন গরিবদের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী। |
বরগুনা-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুস সোবহানকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি এ আদেশ দেন।৩ অক্টোবর ওই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। ৭ সেপ্টেম্বর ওই উপনির্বাচনে বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সোবহানের প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে নির্বাচন কমিশন ১২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে। পরে তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতে সোবহানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।বাবাকে বিমানবন্দরে বিদায় দিয়ে ফেরার পথে আমার বড় ছেলে মুখ ভার করে বলল, দাদাকে খুব মিস করছি। মাঝে মাঝেই কার্টুন না হয় বাংলা নিউজ চ্যানেল দেখার জন্যে টিভির রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেত দাদা আর নাতির মধ্যে। আমি একটু কপট গম্ভীর হয়ে বললাম, গেছে, ভালোই হয়েছে, রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে তোমার সঙ্গে কাড়াকাড়ি করবে না কেউ। বিষয়টা পুরোপুরি উপেক্ষা করে ছেলে আমাকে বলল, আই লাইক হিম অ্যান্ড মিস হিম।দুই মাস আগে দেশ থেকে প্রথমবারের মতো বাবা এসেছিলেন আমার কাছে। এতে আমাদের প্রবাসী সংসারের জীবনযাত্রা পাল্টে গিয়েছিল অনেকখানি। তাঁকে নিয়েই মেতে ছিল আমার দুই শিশুপুত্র। ছোটজনকে এই প্রথমবারের মতো দেখেলেন বাবা। তাকে নিয়ে তাঁর কৌতূহল আর উৎসাহের সীমা ছিল না। ছোটজন সম্পূর্ণ অপরিচিত বাবাকে বুঝে উঠতে খানিক সময় নিয়েছে। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই ওর বড় ভাইয়ের সহায়তা ও উৎসাহে দাদার বিছানা-বালিশ থেকে শুরু করে তাঁর জামাকাপড় সবকিছু ওলটপালট করে জলজ্যান্ত মানুষটির কাঁধেপিঠে চড়ে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। স্নেহের কাছে পরাজিত আমার পিতা তাঁর পৌত্রদের যাবতীয় যন্ত্রণা অতি আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছেন।আমার কাজের দিনগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে বাবা অপেক্ষা করতেন কখন আমি ফিরব। আমি ফিরলে শুরু হয়ে যেত পিতাপুত্রের সান্ধ্যকালের আলাপআলোচনা। দেশ-রাজনীতি-সমাজ-সংসার-ধর্ম; আলোচনার বিষয় ছিল বহুমাত্রিক। সিঙ্গাপুর সম্পর্কে বাবার খুব পরিষ্কার ধারণা ছিল না। এখানে আসার পর সব কিছু দেখেশুনে তাঁর ধারণা হয়েছে চাইলে বাংলাদেশকেও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব। প্রথমে ব্যাপারটা এক ধরনের উইশফুল থিঙ্কিং মনে হলেও বাবার সঙ্গে যতোই কথা বলেছি এ নিয়ে, ততোই মনে হতে থাকে বিষয়টা উড়িয়ে দেওয়া যায় না একেবারে। কারণ তিন-চার যুগ আগেও বাংলাদেশের অবস্থা তখনকার সিঙ্গাপুরের চেয়েও সামগ্রিক ভাবে ভালো ছিল। সিঙ্গাপুরের নিজস্ব সম্পদ তেমন কিছু না থাকলেও বাংলাদেশের ছিল অনেক রকম প্রাকৃতিক সম্পদ। বাবার সঙ্গে এই আলোচনাগুলোই প্রায় ১৫ বছর পর লেখালেখি শুরু করার অনুপ্রেরণা যোগায় আমাকে। এই বিষয়গুলো নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি লিখতে শুরি করলাম দৈনিক প্রথম আলোর দূর পরবাসে পাতায়। একটু একটু করে সাড়াও পেতে থাকি। দেশে ফিরে বাবার ইচ্ছে আছে এই নিয়ে কাজ করার। আমাকেও প্রেরণা দিয়ে গেছেন। আমিও যেন আমার মতো করে কাজ করে যাই এই নিয়ে।প্রবাসীদের জীবনে সবচাইতে বিষাদময় দিন থাকে ঈদের দিনটি। নিজের দেশে বিজ্ঞাপনবহুল বোরিং টিভি অনুষ্ঠান আর দু’চার বাসার সেমাই খাওয়া ছাড়া আসলে তেমন কিছুই করা হয় না। কিন্তু দেশের ঈদের মতো করে এমন ঈদ পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যাবে না। এর ব্যতিক্রম হলো, গত ঈদটি। ঈদের দিন বাবা, আমি আর আমার বড় ছেলেসহ সকালেই বের হয়ে গিয়েছি ঈদের নামাজ পড়তে। অল্পের জন্যে নামাজটা মিস করলেও তিন প্রজন্মের এক সঙ্গে ঈদগাহে যাবার আনন্দ পাওয়াটাও এই ভিনদেশে অকিঞ্চিৎকর ছিল না। বাবা যাওয়ার পর হয়ে গেল আরেকটা ঈদ। ছেলেকে নিয়ে গিয়েছি ঈদের নামাজ পড়তে। সেদিন আমার ছেলে বলেছিল সে তার দাদাকে মিস করছে। বাবা, মিস ইউ, আমি পারিনি কাউকে এ কথাটা বলতে।আশরাফুল আলম, সফটওয়্যার স্থপতিসিঙ্গাপুরদশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান দুই দলের মধ্যে সমঝোতা চায় নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারাই তো খবর দিয়েছেন, বড় দুই দলের মধ্যে একটা সমঝোতা হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ সমঝোতা চায়। আমরাও চাই সমঝোতা হোক। সুতরাং সমঝোতার জন্য কি সময় দেওয়া উচিত নয়?’তবে কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, আজ থেকে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য শতভাগ প্রস্তুতি কমিশন সচিবালয়ের আছে। সর্বশেষ প্রস্তুতিমূলক কাজ হিসেবে আজ নির্বাচনের আচরণবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে।তফসিল সম্পর্কে কাজী রকিব উদ্দীন বলেন, ‘আমরা চাই সমঝোতা হোক। সব দলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক, এটাই দেশবাসীর চাওয়া। তফসিল ঘোষণার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এ বিষয়ে এখনো কমিশনের বৈঠক হয়নি। কবে বৈঠক হবে তাও ঠিক হয়নি। বৈঠক বা সিদ্ধান্ত হলে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। এটা কাল হতে পারে, পরশুও হতে পারে।’সোমবারের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজে যে কথা বলেছিলেন, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে।তফসিল ঘোষণার জন্য কমিশন দুই দলের সমঝোতা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে কি না, তা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘অপেক্ষা করব না। কারণ, আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার ব্যাপারে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। তবে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।’মিসরের ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।আজ বুধবার আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়, রাতে মন্ত্রিপরিষদের দীর্ঘ এক বৈঠকের পর উপপ্রধানমন্ত্রী হোসসাম ঈসা ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ মুসলিম ব্রাদারহুড ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।’মিসরের মানসুরা শহরে এক পুলিশ সদরদপ্তরে বোমা হামলার একদিন পর এ সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিপরিষদ। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়া ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হন। ওই হামলার পর আজ এক বিবৃতিতে সিনাই উপত্যকায় সক্রিয় আনসার বাইত আল-মাকদিস নামের একটি সংগঠন এর দায় স্বীকার করেছে। তবে সরকার হামলার জন্য ব্রাদারহুডকে দায়ী করেছে। যদিও সংগঠনটির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এর আগে ব্রাদারহুডের লন্ডনের দপ্তর থেকে গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। কিন্তু আজ উপপ্রধানমন্ত্রী মুসা বলেন, ‘মিসর মুসলিম ব্রাদারহুড সংঘটিত এক ঘৃণ্য অপরাধে আক্রান্ত।’ তিনি বলেন, ‘এটি ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা, যে তারা শুরু থেকেই সংঘাত ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না।’ |
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দরপত্র জমা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মসলেম উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চড়াইকোল এলাকায় দুটি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারার জন্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুর একটা পর্যন্ত ইউএনও কার্যালয়ের বাক্সে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহিদুল ইসলাম ও মসলেম উদ্দীন নামের দুই ব্যক্তি দরপত্র জমা দিতে গেলে দরপত্র বাক্সের কাছে থাকা ১০-১২ সন্ত্রাসী তাঁদের মারধর করে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়।শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা মসলেমকে বেদম মারধর করে। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ত্রাসীদের তিনি চিনতে পেরেছেন এবং এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।ইউএনওর দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উজ জামান বলেন, ঘটনার সময় তিনি ভূমি কার্যালয়ে ছিলেন। দরপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ক থো প ক থ ন: অপর্ণা। অভিনয়শিল্পী। এনটিভিতে আজ শুরু হচ্ছে নাটক ইচ্ছেঘুড়ি। রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাফায়েত মনসুর রানা। এতে অভিনয় করেছেন অপর্ণা। কথা হলো তাঁর সঙ্গেইচ্ছেঘুড়ি...এই সময়ের পাঁচ তরুণের গল্প ইচ্ছেঘুড়ি। অনেক দিন পর একটি ভালো লাগার মতো ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস, নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পাবে। আমি দন্ত চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করছি। সাফায়েত মনসুর রানার পরিচালনায়ও প্রথম অভিনয় করলাম। তিনি প্রতিটি দৃশ্য চমৎকারভাবে বুঝিয়ে দেন। ইউনিটও খুবই গোছানো।আমার যত ইচ্ছে...ছোটবেলা থেকেই ভালো অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। বড়দের কাছ থেকেও সব সময় অভিনয় শেখার চেষ্টা করেছি। সেভাবেই নিজের কাজের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।অভিনয়ে আদর্শ...বাবাই আমার অভিনয়ে একমাত্র আদর্শ। আমার বাবা অলোক নাথ চট্টগ্রামের নান্দিকার থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। অভিনয়ের হাতেখড়ি তাঁরই কাছে। এ ছাড়া যাঁদের অভিনয় আমার ভালো লাগে, তাঁদের মধ্যে আছেন আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেরী আলম, জয়া আহসান প্রমুখ।যার সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখি...বাংলাদেশে প্রায় সবার সঙ্গেই অভিনয় করা হয়েছে। সুযোগ পেলে বলিউডের আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করতে চাই।মৃত্তিকা মায়া...মৃত্তিকা মায়া আমার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে আমি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। মৃত্তিকা মায়া ছবিটির জন্য অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তবে ছবিটি বড় পর্দায় আর বড় পরিসরে মুক্তি দিলে বেশি ভালো লাগত।এবারের ঈদে আমার দেখা সেরা নাটক...ঈদে আমার পাঁচটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। তার মধ্যে রিস্টার্ট নাটকটি সেরা মনে হয়েছে। এ ছাড়া অন্য নাটকগুলোর মধ্যে আশফাক নিপুণের ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে।রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আবারও মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। আজ রোববার বিকেলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী এ ঘোষণা দেন।আহমদ শফীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে যারা দেশে ‘নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি’ সৃষ্টিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, নতুনভাবে গজিয়ে ওঠা নাস্তিক ব্লগারদের অপতত্পরতা কঠোর হস্তে দমন করা, সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃ স্থাপন, মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস, গ্রেপ্তারকৃত হেফাজতের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৫ ও ৬ মে শাপলা চত্বরে শহীদ ও পঙ্গু হয়ে যাওয়া তৌহিদি জনতার নিরপেক্ষ তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।হেফাজতের নতুন কর্মসূচিসংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাল সোমবার বেলা তিনটায় হাটহাজারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে হেফাজতে ইসলাম। এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর দেশের সব উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে তারা।ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে ৩০ নভেম্বর টাঙ্গাইলে, ৯ ডিসেম্বর দিনাজপুরে, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে, ২০ ডিসেম্বর ফেনীসহ নোয়াখালী, কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, বগুড়া, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী প্রভৃতি জেলা ও বিভাগীয় শহরে শানে রেসালাত মহাসমাবেশ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি বলেন, হেফাজত কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানো এবং ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে না। ইসলাম, ইমান ও আকিদা রক্ষার জন্য নবী প্রেমিকদের নিয়ে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এর পরও সরকারপ্রধানসহ ক্ষমতাসীন জোটের মন্ত্রী-এমপিরা ঢালাওভাবে তিরস্কার ও তির্যক ভাষায় হেফাজতে ইসলাম, নবী ও রাসুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে যাচ্ছে। হেফাজতে ইসলামকে বিএনপির জামায়াতের তকমা লাগিয়ে একটি চক্র দেশে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়।রুহি বলেন, ‘আবার কতিপয় নাস্তিক-মুরতাদ নতুনভাবে ব্লগে মহান আল্লাহ, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে জঘন্য ভাষায় লেখালেখি শুরু করেছে। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইন করে এক চেটিয়া ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগ করে চলছে। অথচ নাস্তিক-মুরতাদরা অহরহ সেই আইন লঙ্ঘন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা সরকার নিচ্ছে না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান ধর্মপ্রাণ ও শান্তিপ্রিয়। হাতেগোনা জনবিচ্ছিন্ন কতিপয় বুদ্ধিজীবী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বামপন্থী রাজনৈতিকদের মনোরঞ্জনের জন্য সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘হেফাজতের রাজনৈতিক কোনো অভিলাষ নেই। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে অব্যাহত কুত্সা রটনা, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অপপ্রচারে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৮ দলের নেত্রীর ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি জুড়ে দিয়ে ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে পোস্টারিং করা হচ্ছে, যা আমিরসহ পুরো আলেম সমাজের সঙ্গে বেয়াদবির শামিল।’সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা শামসুল আলম, নায়েবে আমির তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক আশরাফ আলী নিজামপুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ সম্পাদক ইলিয়াছ ওসমানী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিছ প্রমুখ।ব্রিটেন ও ফ্রান্সে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে বড়দিন উদযাপনে ভাটা পড়েছে। রয়টার্স বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং ট্রেন, বিমান ও সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটেছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ফ্রান্সে গত সোমবার এক কিশোর এবং গত দুদিনে যুক্তরাজ্যে পাঁচজন মারা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হিথ্রোসহ যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ ব্যস্ত বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর গেটউইকের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দরগামী সব ট্রেনের যোগাযোগও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।খারাপ আবহাওয়ায় বড়দিনের কেনাকাটায় ভাটা পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দোকানিরা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএসের গবেষক হাওয়ার্ড আর্চার বলেন, বড়দিনের ঠিক আগের কয়েক দিনে বেচাবিক্রি বাড়বে বলে খুচরা বিক্রেতারা আশা করে থাকেন, কিন্তু আবহাওয়াটাও এমন সময় দুর্যোগপূর্ণ হয়ে গেল।এনার্জি নেটওয়ার্ক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফ্রান্সের ব্রিটানি ও নরমেন্ডি অঞ্চলের দুই লাখ ৪০ হাজার ও দক্ষিণ ইংল্যান্ডের এক লাখ ৫০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।সাউদার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ারের মুখপাত্র মোরবেন স্মিথ বিবিসি রেডিওকে বলেন, বড়দিনে অনেক গ্রাহককে বিদ্যুত্ ছাড়াই থাকতে হবে।যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, বড়দিন ও বক্সিংডেতে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। তবে আগামী শুক্রবারে আবার ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বড়দিনের পর ব্যবসায়ীরা বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করেন। তাই আসছে শুক্রবারও আবহাওয়া খারাপ থাকবে, এমন পূর্বাভাষ ব্যবসায়ীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। |
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুল আলম আকন্দকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ এই জেরা হয়। এরপর মামলার শেষ তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক তাজুল ইসলামকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি এবং ২৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়।সরকারি কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায় রয়েছে। মামলার শেষ তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়ার পর সাক্ষী সমাপ্তির আবেদন করা হতে পারে।গত বছরের ৯ ডিসেম্বরবিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১ জন কর্মীকে আসামি করে ৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।আসামিদের মধ্যে আটজন—রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, এমদাদুল হক, রাশেদুজ্জামান, এইচ এমকিবরিয়া, কাইউম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও রাজন তালুকদার কারাগারে আছেন। বাকি ১৩ আসামি পলাতক রয়েছেন।ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে মুসলিম জনগণ যাঁর যাঁর সাধ্যমতো পশু কোরবানি দেন। মাংসের এক ভাগ আত্মীয়স্বজন এবং এক ভাগ গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যেই তাঁরা আনন্দ খুঁজে পান। কিন্তু আমরা মুসলমান বাঙালি, যাঁরা বিদেশে থাকি, তাঁদের সামর্থ্য থাকলেও অনেক সময় সুযোগ ও সুবিধার অভাবে কোরবানি দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে আমরা অনেকে আগেই দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠিয়ে দিই কোরবানির জন্য।প্রবাসে কোরবানি না দিলেও আমাদের ঈদ আনন্দ থেমে থাকে না। যেহেতু এই ঈদ কবে হবে, তা আগে থেকে জানা যায়, তাই ছুটি নিতেও সমস্যা হয় না। আমাদের চারপাশে ঈদ ঈদ ভাব না থাকলেও আমাদের মনে মনে ঈদ ঈদ ভাব থাকে। মনে মনে এই খুশি নিয়েই আমরা নিজেদের জন্য নতুন জামাকাপড়, স্যান্ডেল ও প্রসাধনসামগ্রী কিনি। ব্যাংককে বাঙালি যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে আগেই কথা বলে আমরা ঠিক করে নিই, সারা দিন আমরা কী করব। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নতুন জামা পরে আমরা মসজিদের পথে রওনা দিই। নামাজ পড়ি, সবার সঙ্গে ভাব বিনিময় করি। মসজিদে যে খাবার পরিবেশন করা হয়, তা একসঙ্গে সবাই মিলে খাই। তারপর বাসার উদ্দেশে রওনা দিই। আমাদের ঈদ, এটা বোঝানোর জন্য আমি আমাদের অফিসের সবাইকে ঈদি দিই। ওরাও আমার বাচ্চাদের জন্য চকলেট কিনে দেয়।আমরা কিছু বাঙালি ব্যাংককের প্রাতুনামে থাকি। এবারের ঈদে আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমরা দুপুরের খাবার সবাই একসঙ্গে তানিয়া ভাবি আর আসিক ভাইয়ের বাসায় খাব। এ জন্য সবাইকে রান্নার আইটেম ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তানিয়া ভাবি পোলাও আর মুরগির মাংস, জান্নাত ভাবি গরুর মাংস, আমি ডিমের কোরমা আর ভেজিটেবল এবং ব্যাচেলর ভাইয়েরা এনেছিলেন দুধ ও বিভিন্ন রকমের ফল। তা দিয়ে রান্না হয়েছিল কাস্টার্ড ও সেমাই। আমরা প্রায় ২০ জন একসঙ্গে হয়েছিলাম। দুপুরে সবাই যখন তানিয়া ভাবির বাসায় উপস্থিত হলাম, তখন সবাই কেমন যেন ঈদ ঈদ আমেজ অনুভব করছিলাম। কারণ, সবারই নতুন পোশাক পরা আর সবাই বাঙালি। আমরা সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেলাম। তারপর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথায় মেতে উঠলাম। টিভি চালু করা ছিল। বাংলাদেশের একটি চ্যানেলে মনের মানুষ ছবি প্রদর্শিত হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আমরা সবাই বাংলাদেশে। সবাই মিলে হা-হা হো-হো করে খুব মজা করলাম।এবারের ঈদে আমার কোম্পানির অধিকারী আমাদের ডিনারের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় তানিয়া ভাবির বাসা থেকে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। সন্ধ্যা সাতটায় আমরা সিলম ভিলেজে গেলাম ডিনারের উদ্দেশ্যে। আমি, আমার স্বামী, আমার দুই ছেলে, আমার অধিকারী আর তাঁর স্ত্রী। মৃদু আলোয় বসে আমরা ডিনার করলাম। ঈদ উপলক্ষে সুন্দর একটি সন্ধ্যা তাঁরা আমাদের উপহার দিলেন। ডিনারের পর তাঁরা তাঁদের গাড়িতে করে আরেক স্থানে আমাদের আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে গেলেন। রাত ১১টার দিকে আমাদের বাসায় পৌঁছে দিলেন।আসলে দিনটি আমরা আমাদের মতো করে আনন্দে কাটালেও দেশে ঈদ করার যে আনন্দ তা পাই না। ঈদ মানে হলো পরিবারের সবাই একসঙ্গে হওয়া। আর এই একসঙ্গে হওয়া মানেই আনন্দ। কিন্তু আমরা যাঁরা বিদেশে থাকি, তাঁরা তো আর একসঙ্গে হতে পারি না। তাই মনের ভেতর কোথায় যেন কষ্ট থাকে। বারবার মনে হয় দেশের কথা। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবের কথা। অনেক আনন্দ করলেও মনের ভেতরে কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকে যায়। এই অপূর্ণতা, কষ্টের কথা কাউকে আসলে বলে বোঝানো যায় না। আগে বুঝতে পারিনি বিদেশজীবন আমাদের ঈদের খুশি কেড়ে নেবে। কেড়ে নেবে আমাদের হাসি আর আনন্দ।ইসমাত আরাব্যাংকক, থাইল্যান্ডবায়ার্ন মিউনিখের হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছেন ফ্রাঙ্ক রিবেরি। এবছর তিনি পেয়েছেন ট্রেবল জয়ের স্বাদ। জিতেছেন ইউরোপ-সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ভালো সম্ভাবনা আছে বিশ্ব-সেরা হওয়ারও। এবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা হাতে নিতে পারবেন বলেই বিশ্বাস রিবেরির। তবে রোনালদোর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাটাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না ফরাসি মিডফিল্ডার। স্বীকার করতেই হচ্ছে যে রোনালদোও পুরস্কারটির অন্যতম প্রধান দাবিদার।২০০৯ থেকে ত চার বছরই ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু এবার ইনজুরির ফাঁদে পড়ে কিছুটা পিছিয়েই গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। সে কারণে এবার তাঁকে নিয়ে হয়তো খুব বেশি ভয় নেই রিবেরির। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড রোনালদো যে ২০১৩ সালে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই হাজির হয়েছেন সেটা অস্বীকার করেননি রিবেরি, ‘আমরা সবাই জানি যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ খেলোয়াড়। সেও এই পুরস্কারের দাবিদার। তারপরও পুরো বছরের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করেই এটা নির্ধারণ হবে। আর আমিও এটা জিততে পারি। সবাই নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্তটাই নেবেন।’রিবেরি অবশ্য ইতিমধ্যেই পেয়েছেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি ফুটবলার রিসতো স্টোইচভের সমর্থন। ১৯৯৪ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী বলেছেন, ‘এই বছরে ইনজুরির কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারেনি মেসি। আমার মনে হয় এবার রিবেরিই জিততে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে সে কাটিয়েছে একটা দুর্দান্ত মৌসুম। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতেও সে আলো ছড়িয়েছে।’শেষ পর্যন্ত শেষ হাসিটা কে হাসতে পারবেন সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।—গোল ডটকম সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১,১৩৬ জন শ্রমিক নিহত ও কয়েক হাজার শ্রমিক আহত হওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও অন্তত ২০০ শ্রমিক এখনো নিখোঁজ। এ কারণে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবার ও আত্মীয়রা যথাযথ ক্ষতিপূরণ দূরের কথা, ন্যূনতম সাহায্যও পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।পত্রিকাটিতে আজ বুধবার প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ২৪ এপ্রিলের ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরা মাটালান ও প্রাইমার্কের মতো বিরাট-বিরাট পশ্চিমা খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কাপড় সেলাইয়ের কাজ করত। গত কয়েক দশকে এটি বিশ্বের শিল্পখাতের ভয়াবহতম দুর্ঘটনা।বাংলাদের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এ খাতের সঙ্গে জড়িত। দেশটির ৪০ শতাংশ রপ্তানি আয় হয় এ থেকেই। গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশ্বের বড় ব্র্যান্ড, শ্রমিক সংগঠন, ক্রেতা ও স্থানীয় কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছেন যে, এ খাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি। যদি সরকারি কর্মকর্তারা নিখোঁজ শ্রমিকদের হদিস বের করতে না পারেন এবং তাঁদের স্বজনদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হন, তবে এ খাতের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে প্রায় ৮০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেগুলো সত্কারের জন্য স্বজনদের তাত্ক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতি নিহতের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। এর পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকবান্ধব সংস্থার দাবির মুখে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন নামের একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) উদ্যোগে ৩২০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এতে খ্যাতনামা ব্র্যান্ড, কারখানার উদ্যোক্তা ও সরকারের সম্পৃক্ততা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য মৃতদেহ খুঁজে বের করা এবং ডিএনএ পরীক্ষা করে স্বজনদের নিশ্চিত করা জরুরি। অথচ এজন্য বাংলাদেশ সরকারের সামর্থ্য খুবই সীমিত। জার্মান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার কোনো মতে একটি ছোটখাট ডিএনএ পরীক্ষাগার চালায়। এ পরীক্ষাগারের কর্মী শরিফ আখতারুজ্জামান দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে সমাধিস্থ ৩২৪টি মৃতদেহের মাত্র অর্ধেকের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছে। তিনি অন্যান্য সমস্যার কথাও বলেন। ভবন ধসের পর অনেক মৃতদেহ ভুল ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে আমরা চারটি মৃতদেহকে কেন্দ্র করে কাজ করি। দেখা যায়, ওসবের তিনটি চলে গেছে ভুল স্বজনদের হাতে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায়, কী পরিমাণ ভুলভ্রান্তি হয়েছে।’অভিযোগ আছে যে, সরকার গোপনে অনেক মৃতদেহ গুম করেছে যাতে মৃতের সংখ্যা কম দেখানো যায় এবং কম ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।ভবন ধসের পর শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয় তদারক করতে ওই এলাকাতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি দপ্তর খোলা হয়েছে। সে দপ্তরের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ জানান, নিখোঁজদের বিষয়ে কী করা হবে, তা তিনি পরিষ্কার করে জানেন না। |
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের ফুটকিবাড়ী ভাঙ্গামনি ও বকুলতলা বেড়াকুটি সেতু দুটির নির্মাণকাজ গত জুন মাস থেকে বন্ধ রয়েছে।ফুটকিবাড়ী গ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই যে দু-তিন বছর আগে সেতুর নির্মাণ শুরু হয়েছে, শেষ হওয়ার কথা নেই। চলছে তো চলছেই। কবে যে আমরা সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারব, কোনো ভরসাই পাচ্ছি না।’ফুটকিবাড়ী ও বকুলতলা সেতুর আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালের বন্যায় পুরোনো সেতুগুলো ভেঙে যায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বেইলি সেতু স্থাপন করে সড়ক চালু রাখা হয়। অথচ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এবং আড়াই শতাধিক মিনিবাস, দূরপাল্লার কোচ, ট্রাক, ওষুধের গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন প্রতিদিন পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করে। নির্মাণাধীন সেতু দুটির পাশের বিকল্প সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গত দুই বছরে নছিমন, মালবাহী পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ নয়টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের শাখা কর্মকর্তা এবং সেতু দুটির নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী মো. মাহফুজার রহমান জানান, সওজ রংপুর অঞ্চলের দিনাজপুর বিভাগের আওতায় এ সেতু দুটির নির্মাণকাজ চলছে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ফুটকিবাড়ী ভাঙ্গামনি ও বকুলতলা বেড়াকুটি সেতু দুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। দিনাজপুরের ইসলাম ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পান। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সেতু দুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু ঢিমেতালে কাজ করায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুধু সেতু দুটির আরসিসি পিলার নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। এখনো ওপরের কাজ বাকি আছে।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্সের সাইট ম্যানেজার নারায়ণ হাওলাদার বলেন, ‘৩০ জুনের পর থেকে ওই দুটি সেতুর বিষয়ে আমাদের আর কোনো দায়িত্ব নেই। আমরা যেটুকু কাজ করেছি, সেটুকুর বিল পেয়ে গেছি।’সওজ দিনাজপুর বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, ঢিমেতালে কাজ করার কারণে মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। তবে ফুটকিবাড়ী সেতুর বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বকুলতলা সেতুর জন্য এক কোটি ৮৪ লাখ টাকার প্রস্তাব গত জুলাই মাসে রংপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হলে শিগগরিই কাজ শুরু হবে।চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ওই সময় পর্যন্ত সেতু দুটির খুঁটিগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাত্র। এর পর থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছেন।বেশরম-এর জন্য কষ্ট নেই—জানালেন রণবীর কাপুর। বলিউডের এই সুপারস্টার মনে করেন, প্রতিটি ছবি থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে।২ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া বেশরম ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। রণবীর বলেন, ‘এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রতিটি ছবিই হিট হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। সহজে হিট করার কোনো ফর্মুলাও আমার জানা নেই। আমার প্রথম ছবি সাওয়ারিয়াও ব্যর্থ হয়েছিল। আমি ভুল করি এবং তা থেকে শিক্ষা নিই।’রণবীর অনুরাগ কেশ্যপের বোম্বে ভেলভেট-এ কাজ করছেন। এ ছবির প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্রই কদিন আগে নাস্তানাবুদ হয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে পাকিস্তান অবশ্য অন্য রকম লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পূর্বাভাসও মিলছিল। কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আবার সেই পাকিস্তানই। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২১৮-এর বেশি তুলতে পারেনি মিসবাহ-উল হকের দল। অবশ্য ৬২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা।শুরুটা খুবই ধীরগতিতে করেছিল পাকিস্তান। স্কোর বোর্ডে ১০০ রান জমা হয়েছিল ৩০ ওভার পরে। শেষ পর্যায়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের কিছুটা পুঁজি এনে দিয়েছেন দুই অভিষিক্ত আনোয়ার আলী, বিলাওয়াল ভাট্টি। সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদিও। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন আনোয়ার। ২৫ বলে ৩৯ রান করেছেন বিলাওয়াল। আফ্রিদির ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান।জয়ের জন্য ২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম চার ওভারের মধ্যেই হারিয়েছে দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও গ্রায়েম স্মিথের উইকেট। তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কুইনটন ডি কক ও জ্যাক ক্যালিস। কিন্তু ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই ডি কককে আউট করে স্বাগতিকদের চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন ডান হাতি পেসার বিলাওয়াল।এ প্রতিবেদন লেখার সময় ১৫ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭১ রান। অবশ্য ১৯ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামা ক্যালিস ৩৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত। দীর্ঘ অনুপস্থিতির ছাপ নেই এই সিরিজেই দলে ফেরা ক্যালিসের।এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে বেশ ভালোই ভুগতে হয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। দুই প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রানের চাকা ঘুরাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছেন নাসির জামশেদ ও আহমেদ শেহজাদরা। ওপেনার শেহজাদ ৩৫ রান করেছেন ৭০ বল খেলে। ৪৬ বলে ২৪ রান করে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার নাসির। ১০ ওভার বল করে ৩৩ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন স্টেইন। মরকেলও তিন উইকেট পেয়েছেন ৩৯ রান দিয়ে। আর দীর্ঘদিন পর এক দিনের ক্রিকেট খেলতে নেমে বল হাতে দুটি উইকেট নিয়েছেন জ্যাক ক্যালিস।জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের বিএনপির সাংসদ শাম্মী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রাতে তাঁকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয়।শাম্মীকে আটক করার কিছুক্ষণ আগে বিএনপির নেতা ও সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অন্যদিকে, শাম্মীকে আটক করার কিছুক্ষণ পর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাফসীর এম আউয়ালকে একই স্থান থেকে আটক করা হয়। গুলশান থানা পুলিশ শাম্মীকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়েছে বলে ক্যান্টনমেন্ট থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা ইয়ার আলী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিএনপির নেতা ও সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান-২ নম্বরের বাসভবনের সামনে থেকে আটক করা হয়।এদিকে ওই নেতাদের আটকের কিছুক্ষণ পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাংবাদিক শফিক রেহমান খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে ঢুকতে চান। তবে পুলিশি বাধার মুখে তাঁরা সেখানে যেতে পারেননি। |
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের এক সদস্যের বিরুদ্ধে দুই ব্যক্তিকে আটকের পর মাদকদ্রব্য আইনে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।গত সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে দুই ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্ত বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য আলী হোসেনের অপসারণ, শাস্তি ও দুজনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছেও একই দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার উত্তর বাসুদেবপুর গ্রামের সজল মল্লিক (৩০) ও ২২ সেপ্টেম্বর মধ্য বাসুদেবপুর গ্রামের নাহিদ হোসেনের (৩৫) নামে মামলা দেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে সজলের বড় ভাই আশরাফুল মল্লিক বলেন, হিলি তল্লাশি চৌকির উত্তর-পূর্ব পাশে তিনটি পুকুর, একটি মুরগির খামার ও বাগানবাড়ির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন সজল। ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে মাকে নিয়ে তিনি পুকুরে মাছের খাবার দিতে গেলে আলী হোসেন কৌশলে তাঁকে ডেকে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এরপর না ছাড়ায় সজল তাঁর চাচা টগর মল্লিককে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান।চাচা তখন ক্যাম্পে গিয়ে সজলের অপরাধ কী, তা জানতে চাইলে আলী হোসেন বলেন, ‘একটু পরে বুঝতে পারবেন, ওকে কী করব।’ এরপর বিজিবির পিকআপ ভ্যানে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা গেছে, বিজিবি সজলকে ৫১ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা দিয়েছে।নাহিদ হোসেনের বাবা আবদুল মজিদ অভিযোগ করেন, ২২ সেপ্টেম্বর আলী হোসেন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নাহিদকে জোরপূর্বক ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে পাঁচবিবির আটাপাড়া ক্যাম্পে আটক দেখিয়ে ২০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে পাঁচবিবি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে ইউএনও আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে দুটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা কমিটির পরবর্তী সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার মো. আতাহার আলী জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া এ ব্যাপারে তাঁর পক্ষে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।টিভিতেই বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন জেনিফার লোপেজ। আমেরিকান আইডলে ফিরে আসা লোপেজ টিভির জন্য আরেকটি সিরিজ বানাচ্ছেন। ‘দ্য ফস্টার্স’ নামের সেই ফ্যামিলি ড্রামা এ বছর জুনে এবিসিতে দেখানো শুরু হয়। ফস্টার্স পরিবারের নাটকীয় গল্প দর্শকদের টেনেছে বলেই নতুন মৌসুমের চুক্তি হয়ে গেল। আগামী জানুয়ারি থেকে ‘দ্য ফস্টার্স’-এর নতুন সিজন শুরু হবে।সিরিজটিতে অবশ্য অভিনয় করছেন না লোপেজ। তিনি আছেন নির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকায়। আইএএনএস।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় লেখা শেষ হয়েছে।আজ রোববার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের প্রধান সমন্বয়কারী এম কে রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘কাদের মোল্লার ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা শেষ হয়েছে। জানতে পেরেছি বিচারপতিরা রায় লেখা শেষ করেছেন। আশা করি, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে দু-এক দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবে।’এ দিকে কাদের মোল্লার আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরপরই ৩০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করব।’কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই দিন রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ ঘোষণা করা হয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ (৪: ১) সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এ ক্ষেত্রে কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি একমত হলেও মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে এক বিচারপতি ভিন্নমত দেন। সংক্ষিপ্ত আদেশে তা জানানো হয়নি।আদালত সূত্র জানায়, রায় লিখেছেন তিনজন বিচারপতি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এ রায়ের পর তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তরুণসমাজের ডাকে শাহবাগে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। পরে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আগে আইনে সরকারের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ ছিল না। গত ৩ মার্চ সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পরদিন আপিল করেন কাদের মোল্লা। গত ১ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হয়।সাঈদীর আপিল শুনানিজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১৭তম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন। আজ শুনানিতে সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম ও শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা উপস্থাপন করেন।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি। রায়ের পর ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। ২৪ সেপ্টেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।ইরাকের রাজধানী বাগদাদের খ্রিষ্টান এলাকায় বোমা মেরে আজ বুধবার অন্তত ৩৭ জন খ্রিষ্টানকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা। রয়টার্স বলছে, একটি গির্জার লাগোয়া স্থানে গাড়িবোমা হামলাও চালায় দুর্বৃত্তরা।পুলিশ বলছে, খ্রিষ্ট-ভক্তরা যখন দক্ষিণ বাগদাদের দৌরা এলাকার গির্জাটি থেকে বেরিয়ে আসছিল, তখন পার্ক করে রাখা গাড়িতে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এখনো কোনো গোষ্ঠী বা দল হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।দৌরাতে একটি বাজারে দুটি বোমা হামলায় অন্তত ছয় ব্যক্তি নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।গত সপ্তাহে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের আরবাইন অনুষ্ঠানে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে সুন্নিরা কয়েক শ শিয়াকে হত্যা করেছিল।গত পাঁচ বছরে ইরাকে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বহুগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকিসহ সরকারের বেশির ভাগ উচ্চপদস্থ ব্যক্তি শিয়া ধর্মাবলম্বী বলে সরকারের সমর্থক ও অনুসারীদের ওপর উগ্রপন্থী সুন্নি ধর্মাবলম্বীরা একের পর এক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু এ বছরই সুন্নিরা নৃশংস ও বীভত্স হামলা চালিয়ে নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।আল-কয়েদা ও এটির সহযোগী ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো বহুদিন ধরে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ২০১০ সালে আল-কায়েদার সদস্যরা একটি গির্জায় হামলা চালিয়ে বহু ধর্মপ্রাণ ও নিরীহ খ্রিষ্টানকে হত্যা করেছিল। |
নাইরোবির ওয়েস্টগেট বিপণি-বিতানে হামলাকারীদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের এক নারী রয়েছেন বলে গুজব রয়েছে। ‘শ্বেতাঙ্গ বিধবা’ হিসেবে পরিচিত ওই নারীর নাম সামান্থা লেওথয়াইট।জারমেইন লিন্ডসে নামের একজন আত্মঘাতী হামলাকারীর স্ত্রী সামান্থা। তাঁর বাবা যুক্তরাজ্যের সেনাসদস্য ছিলেন। সামান্থার স্বামী লিন্ডসে ২০০৫ সালে লন্ডনের পাতালরেলে বোমায় নিজেকে উড়িয়ে দেন। এতে ২৬ জন নিহত হয়।গণমাধ্যম জানায়, শ্বেতাঙ্গ বিধবা (২৯) এ হামলার সঙ্গে জড়িত। তবে এ বিষয়ে জোরালো প্রমাণ নেই। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে।কেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিনা মোহামেদ বলেন, একজন ব্রিটিশ নারীও হামলাকারীদের দলে ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন হামলায় তিনি জড়িত ছিলেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোশেফ ওলে লেনকু বলেছিলেন, হামলাকারীদের দলে কোনো নারী নেই, তবে কয়েকজন নারীর পোশাক পরেছিলেন।বিপণিবিতানে হামলার সঙ্গে শ্বেতাঙ্গ বিধবার জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যের এক মুখপাত্র বলেন, এর পরও বিষয়টি নিয়ে কেনিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।২০০১ সালে কেনিয়া ওই নারীর বিরুদ্ধে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণের অভিযোগে পরোয়ানা জারি করেছিল। এএফপি।ইচ্ছে ছিল এবার কোরবানি ঈদটা দেশে কাটাব। স্ত্রী সন্তান পরিবারের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে। এটা আমার কাছে একটু বেশি রকম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত মে মাসে আমাদের প্রথম সন্তান মুগ্ধ আমার স্ত্রীর কোল আলোকিত করে আমাদের সংসারে এসেছে। ভেবেছিলাম আমাদের পিতা পুত্রের প্রথম দেখা হবে এই ঈদে। আমি যখন এটা নিয়ে আনন্দ স্বপ্নে বিভোর তখন আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ভিসা নবায়নজনিত জটিলতায়। ঈদের আগে আমি দেশে যেতে পারিনি।ফলে আবারো এক স্বপ্নভাঙ্গা মন খারাপ করা কষ্ট। আমার স্ত্রী বলল, মন খারাপ না করে যতটা সম্ভব আনন্দের সঙ্গে ঈদ পালন করতে। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি। আর ঈদ তো প্রতিদিন আসে না। কিন্ত যার সকল আনন্দই দেশে পড়ে আছে সে এই নিঃসঙ্গ প্রবাসে আনন্দ পাবে কোথায়!১৫ অক্টোবর ফিলিপাইনে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এ জন্য এ দেশের সরকার ছুটি ঘোষণা করে। এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ উদযাপন হয়। আমার সঙ্গে থাকে তিন বাংলাদেশি সহকর্মী। আমরা একটি বাড়িতে থাকি। কিন্ত অফিসের কাজে বেশির ভাগ সময় আমাদের বিভিন্ন যেতে হয়। আমাদের পরস্পরের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ কম হয়। এদের মধ্যে দুইজন ভিন্ন ধর্মের। সুদীপ বড়ুয়া; বৌদ্ধ ধর্মালম্বী, রাজিব কান্তি রায়; হিন্দু ধর্মালম্বী এবং মো. মিলন মিয়া ও আমি মুসলমান। সৌভাগ্যক্রমে এবার ঈদে আমরা সবাই এক সঙ্গে ছিলাম। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমাদের এই ধর্মীয় সম্প্রীতি দেখে ফিলিপিনোরা বেশ অবাক হয়। কারণ তারা নিজ দেশে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে ব্যর্থ।ঈদের দিন মানুষ চারজন হলেও আমার নিজেকে বড় নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছিল। বিশেষ কিছু দিনে আপনজন ছাড়া জনসমুদ্রেও নিজেকে একা লাগে। বার বার মনে হয় আপনজনদের কথা। মনে পড়ে ফেলে আসা আনন্দ স্মৃতি। এ স্মৃতিগুলো আনন্দ না দিয়ে কষ্টের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এই দেশে মসজিদের সংখ্যা বেশি নেই। ইরি এবং ইউপির (ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ফিলিপিন্স) পাশের মসজিদটি আমাদের বাসা থেকে ২৫ কিমি দূরে। খোঁজ নিয়ে জানলাম সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের নামাজ শুরু হবে। এক ঘণ্টা আগে সুদীপ বড়ুয়া, মিলন মিয়া ও আমি গাড়িতে মসজিদের উদ্দেশে রওনা দিলাম। রাজিব বাসাতেই থাকল। আগের দিন ওদের বিজয়া দশমী ছিল, রাত জেগে সে দেশে কথা বলেছে।সুদীপকে গাড়িতে রেখে আমরা দুইজন মসজিদে গেলাম। দ্বিতল ভবনের সুন্দর মসজিদ। দোতলায় মেয়েরা নামাজ পড়েন। এখানে ইরি এবং ইউপিতে পড়তে আসা কিছু বাংলাদেশিরাও আসেন। নামাজ শেষে কয়েকজন বাঙালির সঙ্গে দেখা হলো। তাদের সঙ্গে কোলাকুলি করলাম।তারপর ভাবছিলাম, এখন কোথায় যাব! সুদীপ প্রস্তাব করল ইউপির বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়া যায়। যেই ভাবনা সেই কাজ। ইউপির লসবানিওস ক্যাম্পাসটি অত্যন্ত সুন্দর। প্রকৃতিকে নষ্ট না করে প্রকৃতির মাঝেই বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই মনোরম ক্যাম্পাস। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম, কিছু ছবি তুললাম। কিন্তু সবকিছুতেই এক চরম নিঃসঙ্গতা।ফেরার পথে এক মার্কেটে নেমে অনেক খুঁজে আমাদের দেশের মতো সুগন্ধি চাল না পেয়ে ডিনরাদো নামের সামান্য সুগন্ধযুক্ত সাধারণ চাল আর একটু মাংস কিনলাম। বাড়িতে ফিরে অনভ্যস্ত হাতে পোলাও মাংস রান্নার চেষ্টা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আর কি! তার পরও ক্ষুধার্ত পেটে অমৃতের স্বাদে নিজেদের রান্না করা পোলাও মাংস খেয়ে শেষ করলাম প্রবাসের আরো একটি নিঃসঙ্গ ঈদ।মুরাদুল ইসলামকনসালটেন্ট, কার্ড এসএমই ব্যাংক ইনক্ম্যানিলা, ফিলিপাইনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের মধ্যে একটি ধারণা, ‘লাভ হলে নিজের আর ক্ষতি হলে সরকারের।’ যদিও পুঁজিবাজারে সরকারের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এ ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিদ্যমান যত আইন ও নিয়মকানুন রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপক প্রচার করতে হবে। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের যে নিয়মকানুন রয়েছে, সেসবের ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে পুঁজিবাজারের অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রাকে বেগবান করার লক্ষ্যে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। বিদ্যমান অনেক আইন সংশোধন ও নতুন আইন করা হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, লেনদেন স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করতে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাজার তদারকির জন্য সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দ্রুত বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় বলে বিবেচিত হচ্ছে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রায় এক বিঘা জমির ওপর বিএসইসির নিজস্ব অর্থায়নে এই ভবন নির্মাণ করা হবে। ১০তলা এই ভবনের নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগামী জানুয়ারিতে ভবনের কাজ শুরু হওয়ার কথা, যা শেষ হবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করে রাজধানীতে গা-ঢাকা দেওয়া সন্ত্রাসীদের ধরতে ও ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজধানীবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগরের সাংসদ ও সাংসদ পদপ্রার্থীরা।আজ বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা এই আহ্বান জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার মাধ্যমে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন যানবাহন ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে চিহ্নিত বোমাবাজ ও জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বিভিন্ন জেলা থেকে এসে তারা ঢাকার বিভিন্ন হোটেল, মেস, বস্তি এবং আত্মীয় পরিচয়ে বাসাবাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য ওই বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে রাজধানীবাসীকে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়। বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরের ১৬টি সংসদীয় আসনের বর্তমান সাংসদ ও সাংসদ পদপ্রার্থীরা স্বাক্ষর করেন। |
প্রথম আলো ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে ‘শিশু সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক দুই দিনের সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলার ৩০ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নিচ্ছেন।গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিভাগীয় তথ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিনাত আরা আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা জামিল হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের চাইল্ড সেফটিনেট প্রকল্প পরিচালক প্রভাষচন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।প্রধান অতিথি জিনাত আরা আহমেদ বলেন, ‘আমরা যে যেভাবে কাজ করছি, সেই কাজের জায়গায় যদি আমরা আন্তরিক হই, তাহলে সমাজে শিশুদের অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব।’আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের সমাজে কন্যাশিশু, নারীরা নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে, আইন লঙ্ঘন করে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সমাজের প্রভাবশালী কিছু লোক। এ কারণে আইনের ফাঁক গলিয়ে তারা বের হয়ে আসছে।গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোতে একই পাতায় দুটি খবর ছাপা হয়েছে। একটি হলো রানা প্লাজা ধসে যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ। দ্বিতীয়টি বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইডের জরিপ। সেই জরিপ থেকে জানা যায়, রানা প্লাজা ধসে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ এখনো কারখানার মালিকদের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, যদিও দুর্ঘটনার ছয়মাস পার হয়ে গেছে।আরও উদ্বেগের খবর হলো, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৫০ শতাংশ ঋণগ্রস্ত এবং ৯০ শতাংশের বেশির ভাগের কোনো সঞ্চয় নেই। নিয়োগদাতা কারখানার কাছ থেকে অসুস্থতা ভাতা বা ক্ষতিপূরণ পায়নি ৯৪ শতাংশ। আহত শ্রমিকদের ৯২ শতাংশ কাজে ফিরতে পারেনি এবং ৬৩ শতাংশ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।কারখানার কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকেরা হতাহত হলে শ্রম আইনেই তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কারখানার মালিকেরা এই আইন কীভাবে লঙ্ঘন করে চলেছেন? তাঁরা কি আইনের ঊর্ধ্বে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই বা কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি? অবিলম্বে যাতে হতাহত শ্রমিকদের পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।রানা প্লাজা ধসের পর দেশি-বিদেশি বহু প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসে। প্রথম আলো ট্রাস্টও বিশেষ তহবিল গঠন করে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা-সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। জেনেভায় গত মাসে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বৈঠক হয়েছে, যাদের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। তারা যেহেতু সংশ্লিষ্ট তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনেছে, সেহেতু নৈতিক দায় থেকে তারা সহায়তা দিচ্ছে। সর্বশেষ প্রাইমার্ক নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেক শ্রমিককে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে।কিন্তু শ্রমিকদের এই দুর্বিষহ জীবনের জন্য যারা দায়ী, তারা কোনোভাবেই ছাড় পেতে পারে না। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে তাদের বাধ্য করতে হবে এবং সেই কাজটি করতে পারে একমাত্র সরকারই। রানা প্লাজার ধস কেবল আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পের শতাধিক শ্রমিককে হত্যা করেনি, দেশের ভাবমূর্তিকেও হত্যা করেছে। তাদের জন্য আমেরিকায় জিএসপি-সুবিধা বাতিল হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারী কারখানার মালিকদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ ধরনের বৈঠক আরও হবে বলেও জানান মন্ত্রী। আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুলের মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করে ইনু বলেন, এ ধরনের বৈঠক সুষ্ঠু রাজনৈতিক আবহ তৈরি করতে সাহায্য করবে। এ ধরনের বৈঠক আরও হবে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের দরজা বন্ধ হয়নি। সমঝোতার সুযোগ এখনো আছে। আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি বাড়িতে সৈয়দ আশরাফ এবং মির্জা ফখরুল গোপনে বৈঠক করেন। সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিটে সৈয়দ আশরাফ ওই বাড়িতে যান। এর আগে ছয়টা ৪০ মিনিটে মির্জা ফখরুল সেখানে পৌঁছান। বৈঠকে দুই দলের দুই নেতার সঙ্গে দলীয় অন্য কেউ ছিলেন না।দুই দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। বৈঠকের পর সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রাতে মির্জা ফখরুল বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন।সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ওই সম্পাদকীয়কে উদ্দেশ্যমূলক ও অসত্য বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। এ বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে বলেও জানান মন্ত্রী।ওই সম্পাদকীয়র বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ইনু বলেন, পত্রিকাটিতে যেসব বক্তব্য ছাপা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে অবশ্যই প্রতিবাদ জানানো হবে।গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা চাপের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ।জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কোর কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন পুলিশ সুপার (এসপি), র্যাব, বিজিবি, আনসার ও এনএসআইয়ের জেলা পর্যায়ের প্রধানেরা। এ ছাড়া কোস্ট গার্ডের স্থানীয় ইউনিট কমান্ডারও এতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।এ কোর কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায় নাশকতা প্রতিরোধে যে কমিটি আছে, তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে এ কোর কমিটি। কমিটির সভাপতি জেলার দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করবেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় থেকে আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশনা পালনের জন্যও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটিকে আরও সক্রিয় করার জন্য এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী এমদাদুল হক।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, উক্ত কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে বিভিন্ন সূত্র থেকে আগাম তথ্য সংগ্রহ করবে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথভাবে তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে।এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনে জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এ কমিটি জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটিকে সহায়তা দেবে। সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে সব জেলায় আগে থেকেই একটি করে কমিটি আছে। কোর কমিটির পাশাপাশি আগের কমিটিও তাদের নির্ধারিত কাজ অব্যাহত রাখবে।প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বরে জামায়াত-শিবিরের দেশব্যাপী তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসিদের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্যের কমিটির সদস্যরা ছিলেন পুলিশ সুপার (ডিএসবি), এনএসআই, র্যাবের প্রতিনিধি, জেলার কমান্ডার আনসার, ভিডিপি উপপরিচালক ও একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৭ মার্চ একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষায় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সারা দেশের জেলা, মহানগর, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। |
পঞ্চগড়ে বাল্যবিবাহের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। জেলার তিনটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ২০১২ সালে এক হাজার ৩৭২ জনের বাল্যবিবাহ হলেও ২০১৩ সালে তা বেড়ে এক হাজার ৫৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চগড় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্য’বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এ রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে সভায়জেবা আফরোজা, গোলাম আজম নূর প্রমূখ বক্তব্য দেন।বেলজিয়াম প্রবাসী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম কমিউনিটি ইন বেলজিয়ামের আয়োজনে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ ঈদ মিলনমেলা। প্রবাস জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝেও ঈদকে একটু আনন্দময় করার লক্ষ্যে রাজধানী ব্রাসেলসে কমিঊনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মিলনমেলায় বেলজিয়াম প্রবাসী চৌদ্দগ্রামের অনেকেই অংশ নেয়।ইব্রাহিম খলিলুল্লাহব্রাসেলস, বেলজিয়াম‘না’ ভোটের বিধান সংযোজনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আজ রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে না ভোটের বিধান সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে গত সপ্তাহে দুই আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন।আদালতে রিটের পক্ষ শুনানি করেন রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘না’ ভোটের বিধান চালু আছে। ২০০৯ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী প্রস্তাবনায় এই বিধানটি ছিল। পরে তা বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে বিধানটি সংযোজন করার জন্য রিটটি করা হয়েছে। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন।জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল ২৯ ডিসেম্বর, রোববার প্রকাশ করা হবে। এক দিন পর ৩০ ডিসেম্বর, সোমবার প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল।আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ‘প্রথম আলো’কে এই তথ্য জানান।নভেম্বরের শুরুতে জেএসডি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ২০ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের অস্থির রাজনীতির কারণে কয়েক দফায় পরীক্ষা পিছিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর শেষ করা হয়। এবার পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৯ লাখ।অন্যদিকে গত ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছিল দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এতে পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২৯ লাখ। ওই পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের কারণে তিন দফায় পেছাতে হয়। তবে বরাবরের মতো এবারও ডিসেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।বই উৎসব ২ জানুয়ারিঅন্যদিকে ২ জানুয়ারি সারা দেশে ‘বই উত্সব’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ জানুয়ারি আখেরি চাহার সোম্বা থাকায় এক দিন পর ২ জানুয়ারি এই উৎসব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘প্রথম আলো’কে বলেন ‘চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা শিক্ষাবর্ষের প্রথম কর্মদিবসেই বই উত্সব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। |
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আগামী ২ অক্টোবর থেকে বিক্রি শুরু হবে।গতকাল মঙ্গলবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কমলাপুর স্টেশনের চারদিকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে।মন্ত্রী বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রথম দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর বিক্রি করা হবে ১১ অক্টোবর যাত্রার টিকিট। ৩ থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর যাত্রার টিকিট পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।নির্দিষ্ট দিনের অগ্রিম টিকিট সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।দুই বছর পর আবার চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিলেন মিলা। বাপ্পা মজুমদারের সুর ও সংগীতে গানটি ‘সত্তা’ ছবিতে ব্যবহূত হবে। ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল।মিলা জানান, ‘অনেক দিন পর ছবিতে গান করলাম। বাপ্পা দাও বেশ যত্ন নিয়ে গানটি তৈরি করেছেন।’মিলা এও জানান, আপাতত আমি কনসার্ট নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। এদিকে আমার নতুন অ্যালবামের সব কটি গানের কাজ শেষ পর্যায়ে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে।২০০৯ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে মিলার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘রি-ডিফাইন্ড’ প্রকাশিত হয়েছিল। এর আগে তাঁর ‘ফেলে আসা’, ‘চ্যাপ্টার-২’ শিরোনামের দুটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।লিগে গোল পাচ্ছিলেন না অনেক দিন ধরেই। শনিবার আপটন পার্কে সেই গোল-ক্ষুধাই যেন মেটালেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। ডি-বক্সে ওয়েস্টহামের ফুলব্যাক গাই ডেমেল ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার অস্কারকে ফাউল করলে ২১ মিনিটে পেনাল্টি পায় চেলসি। মওকা কাজে লাগানোর দায়িত্ব পড়ে ল্যাম্পার্ডের ওপর। না, হতাশ করেননি তিনি। ওয়েস্ট হামের জালে বল জড়িয়ে কাটালেন লিগে টানা ১০ ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের গোল-খরা।তবে পেনাল্টি থেকে গোল করে খরা কাটানোয় যে তৃপ্ত ছিলেন না, সেটা বুঝিয়ে দিতে ৬১ মিনিট পর আবারও গোল ল্যাম্পার্ডের। কাল রাতে তাঁর জোড়া গোলে চেলসিও জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। মাঝখানে একটি গোল করেছেন অস্কার। এ জয়ের ফলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (২৮) সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান চারেই থাকল তিনে থাকা চেলসির। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে মরিনহোর দল।ল্যাম্পার্ডের সাফল্যে কোচ মরিনহোর উচ্ছ্বাসই যেন উপচে পড়ছে! গোল না পেলেই ল্যাম্পার্ড নিয়ে শুরু হওয়া ‘ফুরিয়ে গেছেন’ ধরনের আলোচনায় যে ঘেন্না ধরে গেছে, সেটাই জানিয়ে দিলেন মরিনহো, ‘আমার মনে হয়, ও ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে আপনাকে, সমর্থককে, এমনকি আমার জন্যও ওর প্রমাণের কিচ্ছু নেই! সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তে আমি ওর ম্যানেজার ছিলাম। ওর শেষের বছরগুলোতেও আবার ফিরে এসেছি। যা পছন্দ করে সেটিই উপভোগ করা উচিত ওর। গোল যে ওর ডিএনএর অংশ।’লিগে পঞ্চম গোল করা ব্রাজিলীয় তরুণ-তুর্কি অস্কারের পিঠও চাপড়ে দিলেন মরিনহো। ঘিরে ধরা ডিফেন্ডারদের ব্যূহ ভেদ করে প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোলটি করেছেন অস্কার। মরিনহো বলছেন, অস্কারের মধ্যে কী সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, সেটা দেখা গেল আরও একবার, ‘মাঝ মাঠে কী এক প্রান্তে, যেখানেই খেলুক, ও কঠোর পরিশ্রম করেছে। ও যখনই বল পায়, তখনই যেন গোল করে ফেলতে পারে। ইংল্যান্ডে এটা করা সহজ নয়। কিন্তু সে অসাধারণ প্রতিভা।’ ‘আমি মাত্র বাসে উইঠা দরজার পাশের সিটে বসছি। আমার কয়েক সিট পরে বসল ফেরদৌস। এর মধ্যে হঠাত্ মাঝখানে দুইটা বোমা পইড়া চারদিকে আগুন ধইরা যায়। আমি আর ফেরদৌস ভয়ে দৌড় দেই। ফেরদৌস একটা সিটের সঙ্গে ধাক্কা খাইয়া পইরা যায়। পরে আবার উইঠা দাঁড়ায়। আমি আল্লাহ বইলা মুখ চাপা দিয়া বাইর হইয়া আসি। চোখ মেইলা দেখি, পুইড়া বাসের জানালায় আটকে আছে ফেরদৌস।’ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতর ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মো. সাইদুর আজ বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে এসব কথা বলেন।গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে পুলিশের রিকুইজিশন করা বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল ফেরদৌস খলিল। আহত হন কনস্টেবল মো. সাইদুর ও বাসের চালক বায়েজিদ খান। সাইদুরের শরীরের ১৪ শতাংশই পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সক।সাইদুর বলেন, তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে থাকেন। দক্ষিণ ট্রাফিক পুলিশের রমনা জোনে তিনি কনস্টেবল পদে নিয়োজিত। একই পদে ছিলেন ফেরদৌস। গতকাল সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সাইদুরের ডিউটি ছিল বেইলি রোড এলাকায়। গাড়ির চাপ বাড়ায় রাত ১০টা থেকে বাংলামোটর মোড়ে তাঁর আবারও দায়িত্ব শুরু হয়। একই এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন ফেরদৌসও। রাত ১১টার দিকে গাড়ির চাপ কমার পর তাঁরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাসটি আসার পর তিনি আর ফেরদৌস বাসে উঠে আরেকজন পুলিশ সহকর্মীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ওই সহকর্মী বাসে ওঠার আগেই এ নাশকতার ঘটনাটি ঘটে।সাইদুর আরও বলেন, স্ত্রী শিরিন আক্তার ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে তিনি গাজীপুর জয়দেবপুরের হারবাইত গ্রামে থাকেন। তাঁর বড় মেয়ে ফারিয়া ইসলাম (১০) স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আর ছোট মেয়ে ফিহা মনির বয়স এক বছর। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে পুলিশে চাকরি করছেন।এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের নিচতলায় ভর্তি আছেন ওই বাসের চালক বায়েজিদ খান। তিনি বলেন, আট-দশ বছর ধরে তিনি ঢাকায় অন্যের গাড়ি চালিয়েছেন। এরপর জমানো টাকা, জমি বিক্রি ও ধার দেনা করে এক বছর আগে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ওই বাসটি কিনেছিলেন। এক বছর ধরেই তিনি পুলিশ আনা-নেওয়ার কাজ করছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাসটি রেখে সেখানেই তিনি ঘুমাতেন।দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বায়েজিদ দ্বিতীয়। বাবা আবদুস সালাম, মা মাজেদা বেগম, এক ভাই ও বোন সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বলইকাঠিতে থাকেন। বোন স্থানীয় মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। বড় ভাই আবুল কালাম তেমন কিছুই করেন না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন বায়েজিদ। সম্বল ছিল বাসটি। আগুনে তাঁর পরিবারের বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকুও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। |
হঠাৎ পায়ের বুড়ো আঙুলে তীব্র ব্যথায় মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেল। দেখলেন, আঙুলের গোড়া ফুলে লাল, প্রচণ্ড গরম। আঘাত পাননি বা সংক্রমণ হওয়ার মতো কিছু ঘটেছে বলেও মনে করতে পারছেন না। তাহলে আপনি সম্ভবত গাউট বা ইউরেট ক্রিস্টাল প্রদাহজনিত গেঁটেবাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে লিখেছেন ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী।যাঁদের সমস্যা হতে পারেপারিবারিক ইতিহাস, বয়স, ওজনাধিক্য, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল ও উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার, কিছু ওষুধ যেমন থায়াজাইড, অ্যাসপিরিন এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।কারণখাদ্যের পিউরিন শরীরে বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়, যা রক্তে মিশে অবশেষে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এই ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত তৈরি হলে বা কিডনির অকার্যকারিতায় বের হতে না পারলে তা রক্তে জমা হতে পারে। এর ফলে সন্ধির ভেতর ইউরেট ক্রিস্টাল তৈরি হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও বাত হয়।চিকিৎসাতীব্র ব্যথার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন এনেও আপনি নিজের ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। দিনে ২-৪ লিটার তরল পান করুন, যার বেশির ভাগ পানি। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। মধ্যম মাত্রায় আমিষ গ্রহণ করুন। চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ওজনাধিক্য থাকলে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। দ্রুত ওজনহ্রাস ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উচ্চমাত্রার পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন: মুরগির চামড়া, মগজ, গিলা, কলিজা, চর্বিযুক্ত গরু-খাসির মাংস, মগজ, হাঁস, কবুতর, মাংসের স্যুপ, পায়া। মাছের মাথা, মাছের ডিম, সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি মাছ, ইলিশ, কই মাছ, মসুর ডাল, অরহর ডাল, মটর, ছোলা। নারকেল, নারকেলের দুধ, টিনজাত খাবার, টমেটো সস। স্বল্পমাত্রার পিউরিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। যেমন: নদী/মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ, মুরগির মাংস, কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ, ননীবিহীন দুধ, কাঁকরল, পটোল, শসা, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙে, অলিভ, সানফ্লাওয়ার, কর্ন তেল, চা-কফি সীমিত, প্রচুর পানি, আলু, মিষ্টি আলু, মুলা, লাউ, কাঁচা পেঁপে, সবুজ বাঁধাকপি।আমরা একটি কথার সঙ্গে খুবই সুপরিচিত—ইতিহাস কথা বলে। ভূগোলও যে কথা বলে, সেটা আমরা খুব একটা জানি না। কেননা এটা কোনো লেখায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তাই এটা বাংলা ভাষার কোনো প্রবচন নয়, যে ভূগোলের ওপর মাটি মাড়িয়ে ইতিহাসবিদেরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জিনিস খুঁজে বেড়ান, আর তার নামই হয়ে যায় ইতিহাস। তাই ‘ইতিহাস কথা বলে’ প্রবচনটি হয়েছে বাংলা ভাষায় ভূগোলের ওপর পা মাড়িয়ে।হাসান ফেরদৌস প্রথম আলো পত্রিকায় ১১ অক্টোবর যে লেখাটি লিখেছেন, তার শিরোনাম ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদিগিরি’। এটার ভাবটা যা, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাসংকুল পরিবেশ দেখলে হয়তো তিনিই শিরোনাম লেখতেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা’। ভারতবর্ষের পরিধি আসমুদ্রহিমাচল। এই অঞ্চলের লোকদের একাধিক রাষ্ট্র হলেও এমনভাবে থাকতে হবে, যা প্রয়াত জিন্নাহ সাহেব বলে গেছেন ‘লিভ অ্যান্ড লেট লিভ’ ধারণায়। কারণ, প্রতিটি নদীই স্বভাবগতভাবে পাহাড়ের পাদদেশে জন্ম নেয় পাহাড়ের নিঃসৃত জলরাশি থেকে। শেষ হয় সাগর-মহাসাগরে। এই যে স্থানগুলো সেগুলোই ভূগোল। তার চলার পথও ভূগোলেরই অংশ। তাই যেসব অঞ্চল দিয়ে জলরাশি আসে সেই অঞ্চলের লোকের প্রয়োজনমতো জল ব্যবহার করার পর উদ্বৃত্ত অংশ নিচু ভূমির অঞ্চল পায়। এটাই যখন বাস্তবতা তখন মমতা ব্যানার্জি কতটুকু দায়ী।ভূগোলের এই কথাটা আমি বুঝতে পেরেই ওই সময় পত্রিকায় লিখেছিলাম, ‘যার পানি সে নাই, দুই বাংলার ঘুম নাই’। নদীগুলোর মধ্যে যেগুলো বড় সেগুলো হিমালয়ের চূড়া থেকে উৎসারিত। উৎসস্থল থেকে চীন খাল কেটে তার দেশে মরুভূমি অঞ্চলে জল নিয়ে গিয়ে মরূদ্যান বানাচ্ছে। আর আমরাসহ ভারতবর্ষ পরিমিত জল পাচ্ছি না। এদিকে কারও চোখ পড়ে না।আমরা শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া ও মমতা ব্যানার্জির পারস্পরিক বাস্তবসম্মত সমঝোতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে জিন্নাহ সাহেবের সেই অমোঘ বাণী লিভ অ্যান্ড লেট লিভ দর্শনের মাহাত্ম্য বুঝে নতুন করে শপথ নিই—আর মৃতদেহ নয়, আর রক্তপাত নয়। ভারতবর্ষের শতাব্দীর পর শতাব্দীর রাস্তা, নদী, নালা, পাহাড়—এগুলো অবারিত করে দিই এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশগুলোর জন্য। তবেই দেখা যাবে মমতা ব্যানার্জির মমতাও আমাদের জন্য একই হারে ঝরে পড়েছে।রাধাকান্ত রায়, ঢাকা।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যকার বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেও পরে আবার বিবৃতি দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আ স ম হান্নান শাহ।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আজ রোববার দুপুরে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে যে কথিত আলাপ হয়েছে বলে বক্তব্য দিয়েছি তা গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে হান্নান শাহ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছ থেকে বৈঠকের বিষয়টি ভিত্তিহীন নিশ্চিত হয়ে তা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে জানিয়েছি, যার কিছু গণমাধ্যম প্রচার করেছে। বৈঠকের খবরটি অসত্য এবং নিছক গুজব। সুতরাং এ বিষয়ে আর কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সে জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।’এই বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় হান্নান শাহ বলেছিলেন, রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় সৈয়দ আশরাফ-মির্জা ফখরুলের বৈঠক হয়েছে বলে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তবে ওই বৈঠকের ফলাফল বলার মতো কিছুই নেই। বৈঠকে কোনো এজেন্ডা ছিল না।হান্নান শাহের এই বক্তব্যের আগে গতকাল রাতে মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর কোনো বৈঠক হয়নি।আওয়ামী লীগের কেউ এ বিষয়ে আজ মুখ না খুললেও তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আজ রোববার বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে গতকাল শনিবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এ ধরনের বৈঠক আরও হবে বলেও জানান তিনি।কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।পাঁচ দফা অবরোধে সরকারের ‘পেটোয়া বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী’দের হত্যা, হামলার প্রতিবাদে কাল সারা দেশে থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগরে বিরোধী জোট এই কর্মসূচি পালন করবে। আজ বুধবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে জোটের সব নেতা-কর্মীসহ দেশবসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। |
গণপ্রজাতন্ত্রী মাল্টার ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে উদ্যাপিত হয়েছে। দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশে মাল্টার কনসাল এম শোয়েব চৌধুরী মাল্টার প্রেসিডেন্ট জর্জ আবেলা ও প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মোশকাতের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান।এ সময় তিনি বিশ্বজুড়ে শান্তি, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুসংহত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত, নেতা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।১৬ অক্টোবর আবুধাবির কর্নেস পার্কে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী জাকজমকপূর্ণ এক ঈদ পুনর্মিলনীর। সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করতে ধর্মপুর প্রবাসী সমিতি এর আয়োজন করে। এতে ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রীতিভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাফেল ড্র।আলোচনা সভায় ধর্মপুর প্রবাসী সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম আবু তাহের সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. জমির হোসেন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের উচ্চতর শিক্ষা বিভাগের পরিচালক)। সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মো. সালাউদ্দিন, মো. সাইফুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, শহীদুল ইসলাম, রেজাউল করিম প্রমুখ।ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মহিলাসহ শিশু-কিশোররা অংশ গ্রহণ করেন। শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা উপস্থিত প্রবাসীদের মাতিয়ে রাখে। সবশেষে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের পরিচালনায় রাফেল ড্রয়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সের প্রবাসীদের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।কামরুল হাসানদুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতভবিষ্যতের ভাবনা থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলের ভেতর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী দুটি অংশকেই তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির একাধিক প্রভাবশালী সদস্য প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, এরশাদ হলেন সূর্যমুখী ফুলের মতো। সূর্য যেদিকে যাবে এরশাদ সেদিকে হেলবেন।তবে এরশাদের রাজনৈতিক মুখপাত্র কাজী ফিরোজ রশিদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন ও এস এম আলম বলেছেন, পার্টির চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বাইরে তাঁদের আর কিছু বলার নেই। দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি আবারও হিসাব-নিকাশ বদলাতে পারে। এরশাদ জানেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির সঙ্গে জোট বাধা শ্রেয়। সে কারণে তিনি বিএনপিপন্থী অংশটিকে চটাতে চাইছেন না। নেতা-কর্মীদের তিনি জানিয়েছেন, ৩০ তারিখের মধ্যে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে তা বোঝা যাবে।এরশাদ যেদিন মহাজোট ছেড়ে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন, সেদিন থেকে জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের কথা শোনা যাচ্ছিল। গতকাল শনিবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমদ এরশাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ায় সেই সন্দেহ আরও বাড়ে। ধারণা করা হচ্ছিল, কাজী জাফরকে বহিষ্কার করা হবে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবরও প্রচার করা হচ্ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে এরশাদ বলেছেন, কাজী জাফর তাঁর ‘ফ্যামিলি মেম্বার’। ওই বিবৃতি তিনি দিতে পারেন এরশাদ তা বিশ্বাস করেন না। একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘এরশাদকে যে যা-ই মনে করুক, তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়। তিনি মাত্র ২০ শতাংশ খেলা খেলেছেন, ৮০ শতাংশ খেলা এখনো বাকি আছে। আমি অবাক হব না এরশাদ যদি নির্বাচনকালীন সরকারে তাঁর সাত সদস্যকে রেখে, কাজী জাফরের সঙ্গে জোট করেন। গতকালও তিনি এই সরকারকে জালেম সরকার বলেছেন, যে সরকারে তাঁর নিজের দলের সাতজন আছেন।’ অপর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এরশাদ তির্যক ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাতজন মন্ত্রী পেয়েছেন। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্যসংখ্যার তুলনায় নির্বাচনকালীন সরকারে প্রতিনিধিত্ব অনেক বেশি।জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ বছর খানেক ধরে জাতীয় পার্টিকে মহাজোট ছাড়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ অংশটির নেতৃত্বে ছিলেন কাজী জাফর আহমদ। এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়ার পর কাজী জাফর অনুগত নেতা-কর্মীদের ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেবেন বলে টোপ দেন। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি না আসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিএনপিপন্থী অংশটি আপাতত নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে এরশাদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছেন না। একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘সুযোগ সন্ধানী লোকজনে দল ভর্তি। তাঁরা আন্দোলনে যাওয়ার চেয়ে সস্তায় সাংসদ হতে বেশি আগ্রহী।’ এ ছাড়া কাজী জাফর আহমদ দল ভেঙে নতুন দল গঠন করলে এ অবস্থায় সেটি কতটা স্থায়িত্ব পাবে তা নিয়েও দলের মধ্যে সন্দেহ আছে। তাঁরা বলছেন, এর আগে দুবার দল ভেঙেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি আদতে এরশাদের দল। অন্য অংশগুলো সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু বিএনপিপন্থী অংশটি প্রকাশ্যে কাজী জাফরের পক্ষে অবস্থান না নিলেও, তাঁকে হাতে রাখার যৌক্তিকতা বুঝিয়েছেন এরশাদকে। এরশাদও সেভাবে এগোচ্ছেন। জানা গেছে, কাজী জাফর আহমদ গতকাল বিবৃতি পাঠানোর ঘণ্টা দুয়েক পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা এরশাদকে বোঝান, বিবৃতি দিয়ে কাজী জাফর আহমদ নিজেই দল থেকে অনেকটা সরে গেছেন। তাঁকে নতুন করে নোটিশ জারি করা বা বহিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। এরশাদ আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিত্সাধীন কাজী জাফর আহমদ এরশাদের সঙ্গে দেখা না করলেও, আজ আলাপ-আলোচনা করেছেন। এরপরই এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, কাজী জাফর আহমদ তাঁর ফ্যামিলি মেম্বার।জাতীয় পার্টিতে নীতিনির্ধারণী ভূমিকা রাখেন এমন একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এ দিকে আওয়ামী লীগপন্থী অংশটি বলছে দলে কাজী জাফর আহমদের চিঠির কোনো প্রভাব নেই। জাতীয় পার্টির একজন সাংসদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘কাজী জাফর আহমদ হলেন ফিলিস্তিনি নেতাদের মতো, যাঁর নিজেরই কোনো ভূখণ্ড নেই। তাঁর কথায় ভরসা রাখি কী করে।’ রাজধানীর বাংলামোটরে বাসে আগুন দিয়ে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ হামলায় পুলিশের এক সদস্যসহ দুইজন আহত হয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃতি করে বাসস আজ বুধবার জানায়, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই হামলায় পুলিশের কনস্টেবল নিহত হওয়ায় শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কনস্টেবলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ফেরদৌস নামের পুলিশের একজন সদস্য নিহত হন। আহত হন পুলিশের আরও একজন সদস্য ও বাসের চালক। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের পঞ্চম দফার অবরোধ শেষ হওয়ার সাড়ে ছয় ঘণ্টার মাথায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকেল পাঁচটায় অবরোধ শেষ হয়।ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ কনস্টেবল মো. সাইদুর ও চালক বায়েজীদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন আছেন। |
প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদান, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণসহ ১২ দফা দাবিতে পঞ্চগড় জেলার ৩১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। গতকাল মঙ্গলবার ছিল এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন।জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক জানান, দাবি মানা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মসূচি চলবে। একই দাবিতে আগামী ১ অক্টোবর ঢাকায় গণ-অনশন করা হবে। সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গত সোমবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন। একই দাবিতে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন ঘণ্টা এবং ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।গতকাল সদর উপজেলার মীরগড়, শিংপাড় ও দর্জিপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে খেলাধুলা করছে। অনেকে শ্রেণীকক্ষে বইয়ের ওপর মাথা রেখে অলস সময় কাটাচ্ছে।বোদা উপজেলার বোদা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রবিউল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা করা উচিত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি আপনার মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান দেবেন। অল্প কথায় আপনার সমস্যা তুলে ধরুন।—বি. স.সমস্যাআমার সঙ্গে একটা মেয়ের চার বছরের সম্পর্ক। কদিন আগে সম্পর্কটা ভেঙে গেছে। কারণ একটাই, আমি ওকে সন্দেহ করি। আসলে আমি ওর পাশে অন্য কোনো পুরুষ সহ্য করতে পারতাম না। মনে হয়, আমার মানসিক সমস্যা আছে। সেও এ রকম মনে করে। আমি তাকে এখনো অনেক ভালোবাসি, ফিরে পেতে চাই। কিন্তু কীভাবে আমি ওর ভুল ভাঙাতে পারব?হারুণ, রামগতি।পরামর্শদীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা খুব কষ্টকর। তুমি মেয়েটির পাশে কোনো পুরুষ মানুষ সহ্য করতে পারো না, এর মানে আসলে কী? সে অন্য কোনো পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারবে না? যদি তা-ই হয়, তাহলে আমার মনে হয় না তুমি ওকে পুরোপুরি বিশ্বাস কর। কারণ, সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস থাকলে তো তুমি ওর ব্যক্তিস্বাধীনতা মেনে নিতে পারতে। যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস, উদারতা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভালোবাসা বা প্রেমের সম্পর্কের বেলায়ও দুজনেরই অধিকার আছে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব বজায় রাখার। প্রেম মানে কিন্তু এই নয় যে আমরা একজন অন্য জনের জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করব। এতে করে অন্যকে অসম্মান করা হয়। তুমি যদি মেয়েটিকে সত্যিই ভালোবাসো, তাহলে ওর পছন্দ-অপছন্দগুলোকেও বুঝতে হবে। মেয়েটির ভুল ভাঙানোর উদ্যোগ নেওয়ার আগে তোমার মধ্যে যে সম্পর্কটি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে, সেটি কাটানো খুব প্রয়োজন। সন্দেহপ্রবণতার বিষয়টি অনেক সময় অসুস্থতার পর্যায়ে চলে যায় বলে অন্য মানুষটি খুব বেশি কষ্ট পায়। তোমাকে অবশ্যই অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর সেটা মেয়েটির সঙ্গে আবার প্রেমের সম্পর্কে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করার আগেই। যদি মেয়েটি তোমার সঙ্গে সম্পর্ক আর না-ও চালিয়ে যেতে চায়, তবুও তোমাকে এই সন্দেহপ্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।সমস্যাআমাদের ২২ বছরের বন্ধুত্ব। সেই কলেজ থেকে আজ চাকরিজীবন। একই কলেজ, একই অফিস। বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্মান আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে সব সময় ছিল। আমার বন্ধু সংসারী মানুষ। আমি শারীরিক সমস্যার কারণে বিয়ে করিনি। গত এক মাস আগে বন্ধু আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তো অবাক। মনে মনে রেগে যাই। বাইরে দেখাই না। তারপর বন্ধু বলল, আমার স্ত্রী একজনের প্রেমে পড়েছে। স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিতে চায়। এখন সে বুঝতে পারছে না তার মেয়ে দুটোকে নিয়ে কী করবে। আমি তো আরও অবাক। বন্ধু আরও বলে, মেয়েরা বলে, আব্বু, তুমি আমাদের জন্য এমন মা এনেছ কেন। আমাদের বকে, অনেক মারপিট করে। একটা ভালো মা আনতে পারোনি। ওর বড় মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী ও ছোট মেয়ে নার্সারিতে পড়ে। আমি চাই না ওদের ঘর ভেঙে যাক। বন্ধু বলে, সে আমার বিশ্বাস ভেঙেছে, আবার কী করে সম্ভব বিশ্বাস করা। এখন আমি কী করতে পারি বন্ধুর জন্য। ওর স্ত্রীকে ফোন করি, ফোন ধরেন না। বাসায় গিয়ে কথা বলতে চাই, বন্ধু বলে, ওর সঙ্গে তোমার কথা বলা মানায় না। আমি এখন কী করব?নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঝাউতলা, কুমিল্লা।পরামর্শবন্ধুর কাছ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব তোমার কাছে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল, সেটা বোঝা যাচ্ছে। বন্ধুর সন্তান দুটোও যে এই পরিস্থিতিতে খুব কষ্ট পাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তুমি এই মানুষটির একজন বড় শুভাকাঙ্ক্ষী বলেই আন্তরিকভাবে চাইছ ওদের সম্পর্কটি যেন ভালো হয়। তবে তোমার বন্ধুকে একটি কথা বলা খুব প্রয়োজন, তিনি যেন তাঁর মেয়েদের মনে মায়ের প্রতি আরও বেশি অশ্রদ্ধা তৈরি না করেন। প্রত্যেক সন্তানই তার বাবা-মাকে অনেক ভালোবাসে। ঘৃণা বা অশ্রদ্ধার মনোভাব তৈরি হলে ওরা পরবর্তী জীবনে সুস্থ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে পারবে না। ওদের মা যদি সত্যিই অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকেন এবং তোমার বন্ধু তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কটির ইতি ঘটাতে চান, তাহলে সেটি সুন্দরভাবে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা যেতে পারে। তিনি তাঁর মেয়েদের বলতে পারেন, যেকোনো কারণেই হোক, তাদের বাবা-মা আর একসঙ্গে থাকতে পারছেন না। মা সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন, অনেক দিন পর্যন্ত তাদের সেবাযত্ন করেছেন, সন্তানেরা যেন সেই ব্যাপারটি মাথায় রাখে। তুমি একজন অত্যন্ত ভালো বন্ধু বলে কিছু একটা করতে চাইছ বুঝতে পারছি। তবে দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সদিচ্ছা এবং শুভকামনা নিয়েও যদি তৃতীয় পক্ষ কিছু করার চেষ্টা করে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটি হিতে বিপরীত হয়। বন্ধুর স্ত্রী তোমার এই উদ্যোগকে সম্ভবত ভালো দৃষ্টিতে দেখবেন না। তুমি এতে খুব কষ্ট পাবে হয়তো। বন্ধুর প্রস্তাবটিকে তুমি কীভাবে নেবে সেটি একান্তভাবে তোমারই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। যদি তোমার উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তুমি অত্যন্ত ভদ্রভাবে সেটি কেন সম্ভব নয় তা তাকে বুঝিয়ে বলো।এসিসিএ শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও বিভিন্ন কাজের সুযোগ করে দেবে বৃহত্তম মোবাইল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আজ রোববার এসিসিএ ও রবির মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হয়েছে।এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান মহুয়া রশীদ এবং রবি আজিয়াটার প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম নওশাদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় প্রতিভাবান কর্মকর্তাদের চাকরির জন্য আকর্ষণ করতে এবং তা বজায় রাখতে রবিকে সহায়তা দেবে এসিসিএ। এ ছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিজ নিজ ব্যবসায় এবং আর্থিক প্রসার ও প্রচারের জন্য কাজ করবে।এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান মহুয়া রশীদ বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি এসিসিএর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে রবির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এর ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানই লাভবান হবে।’রবি আজিয়াটার প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান চাকরিদাতা হিসেবে আমরা দেশের আর্থিক পেশাজীবীদের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এসিসিএর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ আমাদের কর্মকর্তাদের বহর আরও সমৃদ্ধ করবে।’ বিজ্ঞপ্তিবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের রাজধানীমুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে হবে শান্তিপূর্ণ। এ কর্মসূচিতে বাধা দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।বড়দিন উপলক্ষে আজ বুধবার রাতে নিজের কার্যালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। পাশাপাশি তফসিল স্থগিত করে আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান বিরোধীদলীয় নেতা।খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারকে বলব, সাহস থাকলে কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। আমাকেও বাধা দেবেন না। বাধা দিলে বুঝব সরকার কত দুর্বল।’খালেদা জিয়ার আশঙ্কা সরকার তাঁদেরকে কর্মসূচি করতে না-ও দিতে পারে, তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখতে পারে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, এমনটি করা হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ, কঠিন ও করুণ।সরকারকে আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশের কল্যাণ চাইলে জেদ ও প্রতারণা ছেড়ে তফসিল স্থগিত করে নতুন করে আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।’সংবিধান সংশোধন করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে, বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের যে ফর্মুলা দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।অবরোধের সময় গাড়িতে আগুন ও হত্যার ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘তারা বাস পোড়াচ্ছে, বাসের ভেতরে মানুষ রেখে জ্বালিয়ে দিচ্ছে সরকার, আর বলেছে আমাদের নেতারা করছেন। এটা নতুন নয়, এই জিনিস অনেক আগেই থেকেই তারা করে।’ |