content
stringlengths
40
35k
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার দায়ে বগুড়ায় চারজনের যাবজ্জীবন ও জরিমানা করা হয়েছে।বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১-এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। এ মামলায় অপর পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া সদরের নুরইল গ্রামের মোজামেঞ্চল হকের ছেলে খোকন, ফরজউল্লাহর ছেলে তোজাম, খালেক মুন্সির ছেলে সিরাজ ও সানাউল্লাহর ছেলে বক্কর ওরফে বক্ত। তাঁদের মধ্যে সিরাজ ও বক্কর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর থেকে সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় অপহরণের দায়ে প্রত্যেকের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ ও ধর্ষণকাজে সহায়তা করার জন্য প্রত্যেকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।আদালত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ১৯৮৭ সালের ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে আসামিরা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় আসামিদের মধ্যে খোকন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। তাঁকে অপর তিন আসামি সহযোগিতা করেন। পুলিশ ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।চট্টগ্রাম নগরে চলাচলরত পুরোনো রিকশার লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন রিকশার লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মামলার কারণে প্রায় পাঁচ বছর রিকশার লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে করপোরেশন।গতকাল করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে রিকশার লাইসেন্স নবায়ন ও প্রদান কার্যক্রম চলে। এদিন ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচ বছরের নবায়ন ফি একসঙ্গে নেওয়া হয়। করপোরেশনের নিবন্ধিত ৩৫ হাজার রিকশার প্রতিটির প্রতিবছর নবায়ন ফি ৭০ টাকা। এ ছাড়া একই কার্যক্রমের আওতায় আরও ৩৫ হাজার নতুন রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের বাইরে চট্টগ্রাম নগরে এক লাখের বেশি রিকশা চলাচল করে।করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে জানান, করপোরেশনের ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে নগরের ৪১টি মাঠে রিকশার লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। কিছু শর্তের বিনিময়ে প্রথম দিন প্রায় ২০ হাজার নতুন রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।চট্টগ্রাম মহানগর রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়া জানান, করপোরেশনের এ উদ্যোগের ফলে নগর পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আসবে। অবৈধ রিকশাগুলো রাজপথ থেকে তুলে নেওয়া হবে।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাস্তবায়নাধীন পূর্বাচল প্রকল্পের গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বড়কাউ ও পাড়াবর্থা মৌজার কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।একই সঙ্গে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তিন মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে পক্ষগুলোকে বলা হয়েছে।গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক চলতি বছর পূর্বাচল প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে। তবে ওই দুটি মৌজার ক্ষেত্রে পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন ছাড়া কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) সাতটি বেসরকারি সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে।প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন ছাড়া পূর্বাচল প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বা অন্য সব কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে রাজউককে নির্দেশ দেন। বড়কাউ ও পাড়াবর্থা মৌজায় পূর্বাচলের নতুন প্রকল্পের লে-আউট কেন অবৈধ ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।আদালত সূত্র জানায়, হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে রাজউক। ২০ আগস্ট চেম্বার বিচারপতি ওই আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। পরে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। গতকাল শুনানি হয়।আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ইকবাল কবির। রাজউকের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।ইকবাল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ২০ আগস্ট দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগ সার্বিক বিবেচনায় ওই দুটি মৌজার কার্যক্রম পরিচালনায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পূর্বাচল প্রকল্পের ওই দুই মৌজায় কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।মোতাহার হোসেন বলেন, ওই প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্লট বরাদ্দ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টে তিন মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।আধুনিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে-তুংয়ের ১২০তম জন্মদিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছে চীন।বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গতকাল মাও সে-তুংয়ের সমাধিসৌধে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াংসহ কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্যরা।এ ছাড়া হুনান প্রদেশের শাওশানে মাও সে-তুংয়ের গ্রামের বাড়িতে আতশবাজির উত্সব দেখতে বুধবার রাতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। সেখানে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে আতশবাজির ঝলকানি।তবে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র দৈনিকটির গতকালের প্রথম পাতায় মাও সে-তুংয়ের জন্মবার্ষিকীর কোনো খবর ছিল না। যদিও পত্রিকার শেষের পাতায় একটি নিবন্ধে মাও সে-তুংকে ‘মহান দেশপ্রেমিক ও বীর’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। আর ভেতরের পাতায় একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, মাও সে-তুংয়ের উত্তরসূরিদের চালু করা অর্থনৈতিক সংস্কার-প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়েই তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানানো যাবে। বিবিসি।
সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গত সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর এ কর্মসূচি দেওয়া হলো।জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ‘আবদুল কাদের মোল্লাসহ জামায়াত ও ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে’ এ কর্মসূচি দেওয়া হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ পৃথক বিবৃতিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ‘জামায়াত নিষিদ্ধ করতে আসুন জাতীয় চুক্তি করি’ মর্মে গত মঙ্গলবার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্যমন্ত্রী জামায়াতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। তাঁর অভিযোগগুলো জাসদ, আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির কারণে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ ও ১৮ দল তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মিরসরাইয়ে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, গতকাল বেলা তিনটায় বারইয়ারহাট ট্রাফিক মোড়ে হরতালের সমর্থনে ১৮-দলীয় জোটের সংগ্রাম কমিটি মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়। একই সময় আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখাও হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। দুই পক্ষই তাদের কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে অনড় থাকে। এ অবস্থায় বিষয়টি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরে প্রশাসন গতকাল দুপুর ১২টা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।বারইয়ারহাট পৌরসভার ১৮-দলীয় জোটের সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ১৪৪ ধারা জারির কারণে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই কর্মসূচি রোববার (আজ) সকাল নয়টা থেকে চলবে।আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, বারইয়ারহাট পৌরসভায় হরতালবিরোধী কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি করায় ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।ইউএনও মুহমঞ্চদ আশরাফ হোসেন জানান, গতকাল বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।নেত্রকোনার বারহাট্টা-আটপাড়া সড়কের ভালো পিচ উঠিয়ে সংস্কার করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার সড়কের পিচ ওঠানো হয়েছে। এ পথে চলাচলকারী একাধিক লোক জানিয়েছেন, সড়কটি এখনো এত খারাপ হয়নি যে মেরামত করতে হবে। জেলার আরও অনেক সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।এলজিইডি সূত্র জানায়, বারহাট্টা-আটপাড়া সড়ক প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, টেম্পো ও ট্রাক চলাচল করে। ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কের বিভিন্ন অংশে দুই কিলোমিটার ৮৩৮ মিটার সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু এর প্রায় পুরোটাই ভালো।১৬ নভেম্বর বিকেল চারটার দিকে বারহাট্টা উপজেলার আমঘয়াইল, নিশ্চিন্তপুর, মঈনপুর ও শাইন্নিয়াপাড়া এলাকায় ভালো পিচ তুলতে দেখা যায়।এ পথে নিয়মিত টেম্পো চালান রুহুল আমীন (৩৫)। তিনি বলেন, রাস্তাটি টুকটাক ভাঙা ছিল। এখন সংস্কার না করলেও চলত।অপর চালক আবুল হোসেন (৪৫) বলেন, রাস্তাটি এখনো ভালো আছে। দু-একটি জায়গায় সামান্য ভাঙা ছিল। সামান্য মেরামত করলেও চলত। ভালো পিচ ওঠানোর দরকার ছিল না।স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রাস্তাটি যে রকম ভালো ছিল, সে রকম করে মেরামত করলে আমাদের আপত্তি নেই।’২০ নভেম্বর সড়কে অবস্থানরত এ কাজের উপঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার পাশগুলো নরম হয়ে দেবে গিয়েছিল। সেই জায়গার পিচ উঠিয়েছি। বাকিটার ওপরে কাজ করব। এ কাজ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।’জেলায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আমীরুল হক জানান, জেলার অনেক রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী। ওগুলো মেরামত না করে একটি ভালো রাস্তা কেন মেরামত করা হচ্ছে?’ বারহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমঘয়াইল বাজারে ও মঈনপুর এলাকায় একটু ভাঙা ছিল। তবে যান চলাচলের উপযোগী ছিল।নেত্রকোনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল আহসান বলেন, রাস্তাটি ভাঙা ছিল বলেই মেরামত করা হচ্ছে।কোনো কোনো সাহিত্যকর্ম সাহিত্যিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। কোনো কোনো উপন্যাস কাব্য, নাটক, গল্প স্বীয় স্রষ্টাকে আড়াল করে। দৃষ্টিপাত, লালসালু, সূর্য দীঘল বাড়ি, পদ্মানদীর মাঝি, নিশিকুটুম্ব, প্রজাপতি, মেঘনাদবধ, অগ্নিবীণা, বনলতা সেন, তিতাস একটি নদীর নাম নির্মাতার প্রতিদ্বন্দ্বী।তিতাস একটি নদীর নাম-এর স্রষ্টা অদ্বৈত মল্লবর্মণ। অদ্বৈত কালজয়ী কিন্তু ক্ষীণজীবী। মাত্র সাঁইত্রিশ বছরের [১ জানুয়ারি ১৯১৪—১৬ এপ্রিল ১৯৫১] জীবন তাঁর। ক্ষীণ আয়ু বলে অধিক লিখতে পারেননি। প্রাগুক্ত উপন্যাস ছাড়া লিখেছেন জীবনতৃষ্ণা, রাঙামাটি, শাদা হাওয়া নামের উপন্যাস। এ ছাড়া রিপোর্টাজ ধাঁচের লেখা ভারতের চিঠি পার্ল বার্ককে, ৮ থেকে ১০টি কবিতা ও ২৪টির মতো প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করেছেন। আর লিখেছেন চারটি মাত্র ছোটগল্প। সেই গল্পগুলো মানবজীবনের প্রণয়-পরিহাস, বেদনা-বক্রোক্তিকে ধারণ করে আছে।অদ্বৈত মল্লবর্মণের ছোটগল্পগুলো হলো ‘সন্তানিকা’, ‘কান্না’, ‘বন্দীবিহঙ্গ’ ও ‘স্পর্শদোষ’।চারটি গল্পের স্থানিক পটভূমি ভিন্ন। ‘সন্তানিকা’র পটভূমি কোনো এক মফস্বল। ‘কান্না’ গল্পটি তৈরি হয়েছে তিতাসতীরের গোকর্ণঘাট-নবীনগর অঞ্চলকে ঘিরে। ‘বন্দীবিহঙ্গ’র নির্মিতি কলকাতা ও দূরবর্তী কোনো এক গ্রামের পটভূমিকায়। আর কলকাতার ফুটপাত ‘স্পর্শদোষে’র আরম্ভ ও পরিণতি স্থান।কোনো কোনো ছোটগল্পে কাহিনিকে ছাড়িয়ে চরিত্র মুখ্য হয়ে ওঠে। অদ্বৈতের ছোটগল্পে কাহিনির চেয়ে চরিত্রের প্রাধান্য বেশি। বিচিত্র সর্পিল ঘটনাসংস্থান ও বৈপরীত্যের সমন্বয় ঘটিয়ে অদ্বৈত তাঁর ছোটগল্পে চরিত্রের সার নিষ্কাশিত করেছেন। উল্লিখিত চারটি গল্পে চরিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি মানবীয় প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। মেদহীন ভাষাভঙ্গি ও নির্লিপ্ততা—এ দুটোকে মূলধন করে নিম্নবিত্ত জীবনের মৌলিক অনুভূতিগুলোয় চকিত গভীর অন্তর্দৃষ্টির আলো ফেলেছেন। তাঁর ভাষা ইঙ্গিতপূর্ণ।২.‘সন্তানিকা’ কোনো এক মফস্বলের গল্প। এ গল্পে অবিশ্বাস ও ভালোবাসাহীনতার মতো শহুরেপনা নেই। আবার গ্রাম্য সরলতা ও গ্রাম্যতারও অনুপস্থিতি আছে গল্পটিতে। শহর ও গ্রামের সেতু হিসেবে গিন্নিমা গল্পের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর স্বাতন্ত্র্য ঘোষণা করছেন। ‘সন্তানিকা’ গল্পের মুখ্য চরিত্র ধনঞ্জয় ঘোষাল; মুখ্য উপাদান বুভুক্ষা—খাদ্যবুভুক্ষা আর স্নেহবুভুক্ষা। ধনঞ্জয়ের দুই ধরনের ক্ষুধাকে অবলম্বন করে এ গল্পের পরিকাঠামো নির্মিত হয়েছে।ধনঞ্জয় ঘোষাল বৃদ্ধ, নিঃসঙ্গ ও অসহায়। আত্মীয়-পরিজন সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু পিছু ছাড়েনি ক্ষুধা, এই ক্ষুধাতাড়িত একজন বৃদ্ধের জীবনকাহিনিকে ধারণ করে আছে ‘সন্তানিকা’। যাযাবর, আশ্রয়সন্ধানী ধনঞ্জয় উচ্চ প্রাইমারি স্কুলের সাবেক হেডমাস্টার রূপে পরিচয় দিয়ে বীরেশ্বরবাবুর বাড়িতে গৃহশিক্ষক হিসেবে নিযুক্তি পেয়ে অযোগ্যতার বহু প্রমাণ রাখে। নরেশ ও তার ভাইবোনদের পড়াতে বসে সে কেবল নিজের ব্যর্থজীবনের গল্প বলে, সেকালের গুরুমশায়ের অত্যাচারের গল্প বলে। ফলে পড়ুয়াদের আসল পড়াশোনা হয় না। পরীক্ষায় তাদের অকৃতকার্যতায় বীরেশ্বর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গিন্নিমার অবহেলাও প্রবল হয়ে ওঠে। ধনঞ্জয়ের ‘গিন্নিমা’ সম্বোধনের জবাবে ‘গিন্নিমা চোখ তুলিয়াই মুখ অন্যদিকে ফিরাইয়া চলিয়া যান’। ফলে ধনঞ্জয় ‘বহুদিনের সেই জীর্ণ পুঁটলিটা আবার কক্ষে তুলিয়া লয়’। অবাধ্য প্রবল ক্ষুধাকে সঙ্গী করে সজল চোখে সে ‘বাহির হয়ে পড়ে পথের মাঝে, নিরুদ্দেশের পানে’। বীরেশ্বরের বাড়ি থেকে অনতিদূরে খোলা মাঠের পুরোনো বটগাছটির নিচে আশ্রয় নেয় সে। এই বিপুল পৃথিবীর কোথাও তার মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই নেই। নিরুপায় হয়ে, শেষ পর্যন্ত ব্যথাক্লিষ্ট সর্বহারা মানুষটি পুনরায় গিন্নিমার সামনে এসে দাঁড়ায়। গিন্নিমার মুখে চিরন্তন মাতৃমূর্তির অজস্র স্নেহ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। ধনঞ্জয় গিন্নিমার স্নেহছায়ায় আবার আশ্রয় পেয়ে যায়।‘সন্তানিকা’ গল্পের প্রধান চরিত্র তিনটি—ধনঞ্জয়, বীরেশ্বর ও গিন্নিমা; আশ্রয়প্রার্থী, আশ্রয়দাতা ও মাতৃস্নেহে আবিষ্ট এক শাশ্বত নারী। টানাপোড়েন ধনঞ্জয় ও বীরেশ্বরের মধ্যে। তবে গল্পটি শুধু ধনঞ্জয়-বীরেশ্বরকে নিয়েই লেখা নয়, গল্পের একেবারে মূল ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে নারীর সন্তানবাৎসল্যের ব্যাপারটি।আর্থসামাজিক বৈষম্য এ গল্পের পশ্চাদ্ভূমি তৈরি করেছে। ধনঞ্জয় ব্রাহ্মণ, বীরেশ্বরবাবুও নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ, উভয়েই কুলীন বংশজাত। তবু উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। এই গল্পে জটিলতা সৃষ্টিতে আর্থসামাজিক বৈষম্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।ধনঞ্জয় ক্ষুধায় তাড়িত, কিন্তু এই ক্ষুধা জৈবিক যতটা, তার চেয়ে বেশি মানবিক। অদ্বৈত এই বিষয়টিকেই তাঁর গল্পে প্রধানভাবে তুলে ধরেছেন।৩.‘কান্না’ গল্পের পটভূমি গ্রাম। গোকর্ণঘাটে এ গল্পের বিস্তার ও পরিণতি। গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র—গুরুদয়াল। দূরসম্পর্কীয় এক পিসি ছাড়া সংসারে তার আর কেউ নেই। বউ ছিল, মারা গেছে। বিবাগী মন তার, বৈরাগী আচরণ। কথায় কথায় গান ধরে, ‘রাধে রাধে গো রাধে, তোর লাগি মোর পরান কাঁদে’। এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায় গুরুদয়াল। একদিন সে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। দিন যায়, মাস যায়; পিসিমার প্রবল শোক অন্তরিত হয়; ‘পলাতকের সম্বন্ধে পাড়ার আলোচনাও ঠান্ডা’ হয়। এমন সময় গুরুদয়াল একদিন বাড়ি ফিরে, বেশভূষায় তার বিরাট পরিবর্তন, ‘মেয়েমানুষের চুলের মতো বড় বড় চুলগুলি তার কাঁধে ও পিঠে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। দাড়িগোঁফ বেশ করিয়া কামানো।’ গুরুদয়ালই একদিন ঠিক করল সে আবার বিয়ে করবে। লম্বা চুল কেটে, ধোপদুরস্ত কাপড়চোপড় পরে, এক-আধটু গন্ধদ্রব্য মেখে সে নিজেকে বরের উপযুক্ত করে তুলল। বিয়ের দিন যত ঘনিয়ে আসতে লাগল, ততই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল গুরুদয়াল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলো না। ‘একদিন কন্যা-কর্তার নিকট হইতে পত্র আসিল, তিনি তাহার কন্যাকে অন্যত্র বিবাহ দিবেন স্থির করিয়াছেন।’ ভারী মন নিয়ে জামাকাপড় বেঁধে গুরুদয়াল গৃহত্যাগ করল। দুই মাস যেতে না যেতে গুরুদয়াল সঙ্গে বউ নিয়ে গ্রামে ফিরে এল। বিশ্রী বউ। গুরুদয়াল বউকে মোটেই ভালোবাসে না। কারণে-অকারণে বউকে ঠেঙায়। অসহায়, বাপ-মা-মরা স্নেহের কাঙাল মেয়েটি স্বামীর সব অত্যাচার নীরবে সহ্য করে। গল্পটি এ পর্যন্ত সরলরৈখিকভাবে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের শরীরে মুনশিয়ানার মোচড় লাগে তখনই, যখন গুরুদয়ালের সঙ্গে লঞ্চে ‘যাহার সহিত পূর্বে তাহার বিবাহের প্রস্তাব হইয়াছিল সেই তরুণী’ আহ্লাদীর হঠাৎ সাক্ষাৎ হয়। আহ্লাদীর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল অন্য এক পুরুষের, আহ্লাদীর চোখে সে ‘বুড়ো’। বিয়ের আসর থেকে তাকে নিয়ে পালিয়ে আসার জন্য আহ্লাদী গুরুদয়ালকে প্রলুব্ধ করল। আহ্লাদীর বিয়ের দিন গুরুদয়াল প্রস্তুত। কিন্তু বিকেলে বিশ্রী বউটির ম্লানমুখ দেখে তার যেন কী হয়ে গেল। ‘একখানা কলমুখর অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত মুখ’ আর ‘নির্বাক শ্রীহীন বেদনাময় মলিন মুখ’—দুটোই গুরুদয়ালের চোখের সামনে ভেসে উঠল। তার হূদয়ে বিশ্রী বউটির জন্য সহানুভূতির তরঙ্গ জেগে উঠল। সে বিরত হলো বিয়ের আসরে যাওয়া থেকে। এখানেই গল্পটির মধ্যে এক অপূর্ব মানবিকতার সঞ্চার হয়ে যায়।আধুনিক নগরজীবনের দাম্পত্য-ট্র্যাজেডিই অদ্বৈতের ‘কান্না’ গল্পে অবয়ব পেয়েছে। জায়া-পতিতে ঘর করে কিন্তু প্রত্যেকের অন্তরে বাদামের মতো অতৃপ্তির ফাটল। গুরুদয়াল বিশ্রী বউকে নিয়ে ঘর করেছে কিন্তু তার মন ব্যাপ্ত থেকেছে রূপ ও যৌবনের আরাধনায়। ধনঞ্জয়ের বুভুক্ষা মানবিক, গুরুদয়ালের বুভুক্ষা জৈবিক। ৪.‘বন্দীবিহঙ্গ’ মুসলিম সমাজের দুটি নরনারীর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চালচিত্র। মূলত, ‘বন্দীবিহঙ্গ’ গল্পটি ঘটনাপ্রধান নয়, ভাব ও ভাবনাপ্রধান। গল্পটির প্রথমাংশে অদ্বৈতের ভাষা কাব্যময়তাকে ছুয়ে আছে। আবু মিয়া প্রাণ-উতপ্ত, কিন্তু দরিদ্র। অর্থ উপার্জনের জন্য তাকে কলকাতায় থাকতে হয়। দারিদ্র্যের খাঁচায় সে বন্দীবিহঙ্গ। স্ত্রী-সন্তানদের কলকাতায় নিয়ে আসার মতো অর্থনৈতিক ক্ষমতা তার নেই। রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে আবু মিয়ার সতেজ বাসনাগুলো ধীরে ধীরে মরতে থাকে। কিন্তু স্ত্রী জমিলার চিঠি তার অভিলাষগুলোকে মরতে দেয় না। জমিলার ক্ষোভ-দুঃখ-ভালোবাসামাখা চিঠি তার জীবনে প্রাণময়তার সঞ্চার করে। গল্পকার চিঠির মাঝখানে আবু মিয়ার মানসিক প্রতিক্রিয়ার কথাও সুকৌশলে আবু মিয়ার কথনে আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো মাতাল সময়ের পটভূমিকায় গল্পকার বাংলার দুজন নরনারীর বেদনালাঞ্ছিত জীবনের চালচিত্র নির্মাণ করেছেন ‘বন্দীবিহঙ্গে’। গল্পে মাটির গন্ধ আছে, মাটিবর্তী মানুষের জীবন-আলেখ্য আছে; বৃক্ষপল্লব, ঋতুর উল্লেখ আছে।‘বন্দীবিহঙ্গে’ অদ্বৈত মল্লবর্মণ দারিদ্র্যের খাঁচায় বন্দী আবু মিয়া ও জমিলা নামের দুটো অসহায় নরনারীর জীবনকথা শুনিয়েছেন। আর্থসামাজিক জটিলতা তাদের ডানার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে।৫.আমাদের বিবেচনায় ‘স্পর্শদোষ’ অদ্বৈত মল্লবর্মণের শ্রেষ্ঠতম গল্প। একজন মানবসন্তান ও একটি মানবেতর প্রাণীকে উপজীব্য করে অদ্বৈত ‘স্পর্শদোষ’ গল্পে দুর্বিষহ জীবনের ইতিবৃত্ত নির্মাণ করেছেন।কুকুর মানবেতর প্রাণী। সে কখনো মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে না, অন্তত খাদ্যের জন্য। কিন্তু আকালের দিনে একটি অখ্যাত কুকুর খেঁকি হয়ে উঠল ভজার প্রতিপক্ষ। খাদ্য সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় এরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। খাবারের একটা ঠোঙার দখল নিয়ে পরস্পরের যুদ্ধ শুরু। ভজা ধীরে ধীরে কুকুরের মতোই আচরণ করতে থাকে। তখন তার বিকৃত রূপ, ভীতিপ্রদ আচরণ।ধীরে ধীরে ভজার মধ্যে পৈশাচিকতা বাড়তে থাকে। ‘খেঁকির দিনরাত্রির শান্তি যেন ভজা চুষিয়া খাইয়াছে। পথ চলিতে ভজার ছায়ামাত্র দেখিলে খেঁকি ছুটিয়া পালায়। আবার, খেঁকির ছায়ামাত্র দেখিলে ভজা তাড়া করিয়া যায়—দৌড়াইয়া গিয়া ভয় দেখাইয়া আসে।’ এ এক দুর্ভাগা কুকুর। আহসান হাবীবের ‘ধন্যবাদ’ কবিতার ডলির মতো সে সৌভাগ্যবান নয়। ভজার মানবেতর নিষ্ঠুর আচরণে খেঁকির মৃত্যু হয় একসময়। ভজার তাড়া খেয়ে ক্লান্ত খেঁকি একজন পথচারীকে কামড় দেয়। এই কামড়ের কারণেই খেঁকির মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হয়ে যায়। ‘বীরবরদের লাঠির আঘাতে’ খেঁকির দেহান্ত ঘটে।‘স্পর্শদোষ’ উপসংহারে এসে ‘কুকুর ও মানুষের সম্পর্কের গল্পে’র চেয়ে অন্য একধরনের মানবিক মূল্যবোধের গল্পের মাত্রা পেয়ে যায়। গল্পকার গল্পটিতে উন্মাদপ্রায় ভজার মধ্যে মানুষের সামূহিক মূল্যবোধের প্রতিচিত্র স্পষ্ট করে তোলেন। যে ভজা নিষ্ঠুরতার প্রতিমূর্তি, সে ভজা বীভৎসভাবে গণপ্রহারে মৃত খেঁকির জন্য উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। তার মুখে পাপবোধ ও অনুশোচনার চিহ্ন ফোটে। অদ্বৈত মল্লবর্মণের সুনিপুণ তুলির টানে ‘মানুষের নির্মম আচরণে’র এই গল্পটি শেষ পর্যন্ত চারুত্ব পেয়ে যায়।অদ্বৈত মল্লবর্মণ তাঁর গল্পে ভাঙাচোরা সাধারণ মানুষের জীবনকথা শুনিয়েছেন। তাঁর চারটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পুরুষ এবং অতি সাধারণ মানের পুরুষ। এই সাধারণ ছেঁড়াখোঁড়া মানুষগুলোর মধ্যে লেখকযুক্ত করেছেন অসাধারণ মাত্রা।
বোর্ড চাইলে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত। তবে বিসিবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নতুন কাউন্সিলর আকরাম খান প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এরই মধ্যে। অনেক ভূমিকায় অবদান রাখার পর এবার বোর্ড পরিচালক হয়েও ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চান তিনি আপনি প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টা খুলে বলবেন?আকরাম খান: ১৮ সেপ্টেম্বর আমি বোর্ড সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমাকে বলা হয়েছে, বোর্ড সভার পর জানানো হবে পদত্যাগপত্র গৃহীত হলো কি না। কাল (আজ) বোর্ড সভা আছে। বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিতেই কি পদত্যাগ করলেন?আকরাম: নির্বাচন যে করব, সেটা তো আগেই বলেছি। নির্বাচন করতে খুবই আগ্রহী আমি। আজ একটা সভা করেছেন নির্বাচক কমিটির। কোচ ও ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধানও ছিলেন সভায়। কী নিয়ে ছিল সেটা?আকরাম: আসলে দলে অনেক চোট-সমস্যা আছে, নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে আরও অনেক কিছুই আছে আলোচনার। যেমন মাশরাফির ব্যাপারটা, ওর ব্যাপারে আমরা কী করব, চট্টগ্রামে অনুশীলনের ব্যাপার—এসব আলোচনা হয়েছে। প্রধান নির্বাচক হিসেবে এটাই তাহলে শেষ সভা আপনার...আকরাম: কালকে (আজ) সম্ভবত আমার পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। মনে হয়, এটাই শেষ। তবে একটা কথা আমি বলেছি, যেহেতু নান্নু ভাই (আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন) হজে যাচ্ছেন, সুমন (হাবিবুল বাশার) একা হয়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বোর্ড চাইলে আমি দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত চুক্তি ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে রাজি আছি। প্রধান নির্বাচকের পদ তো অনেক সম্মান আর দায়িত্বের। সেটা ছেড়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন কেন?আকরাম: আসলে নির্বাচন করে আমি তো বোর্ডেই থাকতে চাচ্ছি। যদি জিততে পারি, তাহলে দেশের ক্রিকেটের জন্য আরও বড় দায়িত্ব পালন করব। তবে অনেক খারাপও লাগছে। অনেক দিন ছিলাম দায়িত্বে, অনেক ভালো একটা পরিবেশ ছিল। এখন অন্য রকম একটা জায়গায় যাচ্ছি। তবে আমার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও সাহায্য করা। নিজের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেসব বাস্তবায়ন করা। নতুন প্রধান নির্বাচক কে হতে পারেন—সে ব্যাপারে বোর্ডকে কোনো পরামর্শ?আকরাম: আমাকে বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে আমার মতামত ওনারা নেবেন। তখন আমার কিছু বলার থাকলে আমি বলব। এত দিন একসঙ্গে কাজ করছেন। আপনার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা কীভাবে নিচ্ছেন বাকি দুই নির্বাচক?আকরাম: তাঁরা হয়তো এখনো ঠিকমতো বুঝতে পারছেন না কী করবে বা কী বলবে। তবে তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, দুজনই আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। সময়টা অনেক ভালো কেটেছে তাঁদের সঙ্গে। আশা করি, ভবিষ্যতে তাঁরা আরও ভালো করবেন। আপনার কাউন্সিলর হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক আছে। মামলা-মোকদ্দমাও নাকি হতে পারে...আকরাম: আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি গঠনতন্ত্র মেনেই আমি সবকিছু করেছি। সবকিছু আইন মেনে করেছি। আমি মনে করি এখানে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। নির্বাচক হিসেবে সবচেয়ে বড় অর্জন বলবেন কোনটাকে?আকরাম: আমাদের সময় আমরা বেশ কয়েকজন ভালো ক্রিকেটার পেয়েছি। নাসিরকে আমরাই সুযোগ দিয়েছিলাম, গত দুই বছরে খুব ভালো পারফর্ম করছে ও। দল হিসেবেও বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। এশিয়া কাপ বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্য ছিল টার্নিং পয়েন্ট। সবকিছু ঠিকঠাক চললে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে। খেলোয়াড়, অধিনায়ক, নির্বাচক, প্রধান নির্বাচক, ম্যানেজারও ছিলেন একবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। এবার হয়তো বোর্ড কর্মকর্তাও হবেন। তো কোন ভূমিকাটা বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল?আকরাম: দল নির্বাচনের কাজটাই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ দল নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই বিতর্ক থাকে। পরিচালক হতে চাওয়ার পেছনে বড় কারণ, আমার কিছু পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে। ওই কাজগুলো আমি করতে চাই। তা ছাড়া ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর চট্টগ্রামে এক সংবর্ধনায় বলেছিলাম, চট্টগ্রামের ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চাই। বোর্ড পরিচালক হলে হয়তো সেটাও সম্ভব হবে।সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ ও সমঝোতার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।আলোচনার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোন করার পর গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াত এই প্রতিক্রিয়া জানায়।দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানের দেওয়া এই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সরকার এদিকে সংলাপের কথা বলছে, আরেকদিকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, গুম, খুন করছে। তিনি ১৮-দলীয় জোট ঘোষিত আজ রোববার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল পালনের আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।সিলেট এমসি কলেজে জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি হিরন মাহমুদের পক্ষের কর্মীদের হামলায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মতিউর রহমান ও কলেজ শাখার সভাপতি বিশ্বপা ভট্টাচার্য আহত হওয়ার ঘটনায় ৩০ নভেম্বর বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ’। হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গতকাল সোমবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত রোববার ছাত্র ইউনিয়নের ওই দুই নেতার ওপর হিরনের কর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।সিলেটের বামপন্থী-প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ গতকাল মানববন্ধন করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। এ সময় ৩০ নভেম্বর সিলেট বিভাগের চার জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।বগুড়ার শেরপুরে সেনাসদস্যদের উপস্থিতির পর বিভিন্ন সড়কে যানজট কমে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাসদস্যের পাশাপাশি পুলিশের সদস্যরাও ছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি না চালানোর জন্য মাইকে প্রচারণা চালিয়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়ন দিনাজপুরেও কাজ শুরু করেছে।শেরপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের কলেজ রোড, স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এবং ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কগুলোতে সকাল থেকেই সেনাসদস্যের পাশাপাশি পুলিশের উপস্থিতির কারণে যানজট খুব একটা দেখা যায়নি। পথচারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি।দূরপাল্লাগামী একাধিক যানবাহনের চালক বলেন, বিগত দিনগুলোতে শেরপুরের বিভিন্ন সড়কের ওপর গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় সমস্যায় পড়তে হতো। এতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হতো। এখন তাঁরা দ্রুতই চলাচল করতে পারছেন।শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করছে। অন্য ব্যাটালিয়নটি নির্বাচনকালীন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, সেনাসদস্যরা সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
তিন বছর আগে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ববিতা আক্তারকে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁর শিক্ষক মিজানুর রহমান। সেই ববিতা আক্তার শেষ পর্যন্ত অভিমানে চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁকে দাফন করা হয়।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কালাচাঁদ প্রামাণিকের মেয়ে ববিতা আক্তারকে (২০) উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বখাটেদের হাতে তাঁর শিক্ষক মিজানুর রহমান খুন হয়েছিলেন। ২০১০ সালের বহুল আলোচিত ওই ঘটনার জের ধরে দেশে ইভ টিজিং প্রতিরোধে আইন পাস হয়। সেই ববিতা আক্তার কলেজের পড়া শেষ করে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছিলেন। এর মাঝে তাঁর চাচি হিরা বেগমের ভাতিজা হূদয় হোসেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা ছিল তাঁরা বিয়ে করবেন। ইতিমধ্যে হূদয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে চাকরিও করছেন। তবে চাকরি নেওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সোমবার তিনি ওই ছেলেটির খোঁজে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া মহল্লার বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন, ছেলেটি সম্প্রতি অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ঘটনাটি জানার পর তিনি বাড়ি ফিরে বিষয়টি নিয়ে তাঁর চাচির সঙ্গে বাগিবতণ্ডা করেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি বিষপান করেন। ওই দিন দুপুরে তাঁকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।২০১০ সালের ২০ নভেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর কলেজে যাওয়ার পথে বখাটেরা তাঁকে উত্ত্যক্ত করলে শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রতিবাদ জানান। এর জের ধরে বখাটেদের হামলায় মিজানুর মারা যান। আদালত বিচার শেষে বখাটেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।মাদারীপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদারের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মফিজ হাওলাদারের (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাদারীপুর থানার ওসি সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছে আসামিপক্ষ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১৮তম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন।গতকাল শুনানিতে সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম ও শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা উপস্থাপন করেন।মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে দণ্ড দেওয়া হয়নি। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে।রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুই কৃষকের হালের আটটি গরু চুরি হয়েছে।এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চোরেরা গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ইকরচালী ইউনিয়নের হাজিপুর বাচ্ছুরবান্ধ গ্রামের কৃষক বিকাশ চন্দ্রের চারটি ও কৃষ্ণ কুমারের চারটি বলদ করে নিয়ে যায়। ওই দুই কৃষক এসব বলদ হালচাষের কাজে ব্যবহার করতেন।ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন গরু চুরি যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।
পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ এ দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে।বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী আইনগত বিষয়ে যুক্তি দেন। ঘটনার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি শেষ হয় গত মঙ্গলবার।যুক্তিতে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান যথাক্রমে আলবদরের অপারেশন ইনচার্জ ও চিফ এক্সিকিউটর ছিলেন। তাঁদের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন নথি ও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যে এটি প্রমাণিত হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে দেখা যায়, তাঁরা বুদ্ধিজীবীদের একইভাবে অপহরণ করেছেন। বুদ্ধিজীবীদের ধরার পর সবারই চোখ ও হাত বেঁধে কাদামাখা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপহরণের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, আলবদরেরা বুদ্ধিজীবীদের অপহরণের সময় একটি এলাকায় ঢুকে কিছু সময়ের ব্যবধানে ওই এলাকার আশপাশে থাকা বুদ্ধিজীবীদেরও একই দিনে ধরে নিয়ে গেছে। রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে ফিরে আসা একমাত্র জীবিত ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষ্যে এসেছে, বধ্যভূমির হত্যাযজ্ঞে কিলিং মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। এ ছাড়া তাঁরা হত্যাযজ্ঞ তদারকও করেছেন।সৈয়দ হায়দার আলী আরও বলেন, একাত্তরে আলবদর বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান তার দায়দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তির আরজি জানান।রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে।তদন্ত সংস্থা জানায়, মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে ও আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ইসহাক খান (২৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন।শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নতুন রেলস্টেশনের পাশে একটি হোটেলের সামনে সড়ক পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।ইসহাক খানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফুলকারকান্দি গ্রামে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পান ইসহাক। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।কুমিল্লা নগরের ছাতিপট্টি এলাকায় গয়নার দোকানের লুণ্ঠিত সোনা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল সোমবার ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা আগামী তিন দিনের মধ্যে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।গতকাল সোমবারও বেলা দুইটা পর্যন্ত ছাতিপট্টি এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়।জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টায় ছাতিপট্টি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দিতে যান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। ওই সময়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া তাঁর দপ্তর থেকে ভবনের নিচে নেমে এসে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।স্মারকলিপি পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সানাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ, জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম, জানাব খান জুয়েলার্সের মালিক কাবুল খান প্রমুখ।জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির বিতর্কিত ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।প্রধানমন্ত্রী আবে গতকাল সকালে ওই স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আবে বলেন, ‘চীন কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের ভাবাবেগকে আহত করার উদ্দেশ্যে সেখানে যাইনি। এ পরিদর্শন বরং যুদ্ধবিরোধী ইঙ্গিত বহন করে। বিভিন্ন যুদ্ধে নিহত লাখো মানুষের আত্মার প্রতি আমি বলতে চেয়েছি, আবার কখনো এ দেশের জনগণ যুদ্ধের বলি হবে না।’২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। এরপর ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবেই প্রথমবারের মতো সেখানে গেলেন।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চীন বলেছে, চীনের জনগণের কাছে আবের এই পরিদর্শন একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও।চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জাপানি আগ্রাসনের প্রতীক হিসেবে গণ্য করে। ওই বিশ্বযুদ্ধের সময় চীন ও কোরীয় উপদ্বীপের অনেক অংশ দখল করেছিল জাপান। জাপানি সেনাবাহিনী অনেক যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন গাং বলেন, ‘আমরা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এ আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনা দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি করেছে। এর দায় জাপানকে বহন করতে হবে।’পূর্ব চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে ইতিমধ্যে চলমান বিরোধের মধ্যে আবের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের এ ঘটনায় চীন ও জাপানের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আবের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার এ ঘটনাকে ‘হতাশাব্যঞ্জক’ বলে উল্লেখ করেছে টোকিওর মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।গত প্রায় ১৫০ বছরে বিভিন্ন যুদ্ধে নারী, শিশুসহ অন্তত ২৫ লাখ নিহত জাপানির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। কিন্তু সত্তরের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক শ যুদ্ধাপরাধীকে সেখানে সমাধিস্থ করার পর বিতর্ক দেখা দেয়। এএফপি।
এক অস্ট্রেলিয়ানের মন্ত্রে ইংল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়া-বধের ঘটনা অনেকেরই জানা। ২০০৫ অ্যাশেজে রিভার্স সুইং ম্যাজিকে প্রায় দেড় যুগ পর অ্যাশেজে জিতেছিল ইংল্যান্ড। জয়ের নেপথ্য নায়ক ছিলেন সাবেক তাসমানিয়ান পেসার ও ইংল্যান্ডের সেই সময়ের বোলিং কোচ ট্রয় কুলি। সময়ের বাস্তবতায় এবার ইংল্যান্ডের কাছেই হাত পাততে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। সরাসরি অ্যাশেজ জয়ের মন্ত্র পেতে অবশ্য নয়, ভবিষ্যতের শক্ত ভিত্তি পেতে। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্রিকেট একাডেমি সেন্টার অব এক্সিলেন্সের হাইপারফরম্যান্স কোচ করা হয়েছে জিম্বাবুয়ে বংশোদ্ভূত সাবেক ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান গ্রায়েম হিককে।কয়েক বছর ধরেই ব্যাটিংটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাকিলিস হিল।’ বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান সাম্রাজ্য পতনের অন্যতম বড় কারণও এই ক্রমাগত ব্যাটিং-ব্যর্থতা। জাতীয় দলে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হচ্ছেন বারবার, কিন্তু তাঁদের পরিবর্ত হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়া যাচ্ছে না বলার মতো কোনো ব্যাটিং-প্রতিভা। টেলর-ওয়াহদের জমানায় ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া অনেক প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের যেখানে সৌভাগ্যই হয়নি জাতীয় দলে খেলার, সেখানে এখন প্রতিভার হাহাকার। তরুণ প্রতিভার আকালটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মাথাব্যথার কারণ। গত শেফিল্ড শিল্ডে সবচেয়ে বেশি রান ছিল ৩৮ বছর বয়সী রিকি পন্টিংয়ের, ৩৫ বছর বয়সী ক্রিস রজার্স ছিলেন তিনে! আর যে একাডেমি একসময় উপহার দিয়েছে পন্টিং-স্ল্যাটার-ল্যাঙ্গার-হেইডেন-মার্টিন-ক্লার্কদের মতো ব্যাটসম্যান, সেই সেন্টার অব এক্সিলেন্সের প্রবাহও যেন হঠাৎ গেছে শুকিয়ে। তাতে আবার জোয়ার আনতে দ্বারস্থ হতে হলো ‘চিরশত্রু’দের একজনের কাছেই।গত এপ্রিলেও তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন হিক। টি-টোয়েন্টি যুগের ব্যাটসম্যানদের পাঠ দিয়েছিলেন লম্বা সময় উইকেটে থাকার। ওই সময়ই হিককে মনে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তাদের। একাডেমির হাইপারফরম্যান্স কোচ স্টুয়ার্ট ল কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দলের দায়িত্ব নিতে যাওয়ায় এবার হিককে আনা হলো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকে ব্রিসবেনেই থাকছিলেন হিক।দায়িত্বটা পেয়ে ৪৭ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যানও দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ও ব্যাগি গ্রিনের প্রতি বরাবরই আমার শ্রদ্ধা প্রবল। অস্ট্রেলিয়ার তরুণ প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করা এবং তাদের বেড়ে ওঠা ও উন্নতিতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। কাজটা অবশ্যই হবে চ্যালেঞ্জিং, তবে চ্যালেঞ্জটা নিতে আমি মুখিয়ে আছি।’ ওয়েবসাইট।ইংল্যান্ড তো বটেই, ক্রিকেট ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটির নাম এই হিক। রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর ৪১১১২ রানের চেয়ে বেশি করেছেন মাত্র ১৪ জন, তাঁর ১৩৬ সেঞ্চুরির চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে মাত্র ৭ জনের। যদিও সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি টেস্ট আঙিনায়। ইংল্যান্ড দলে ১০ বছরের আসা-যাওয়ায় ৬৫ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮৩ রান করতে পেরেছেন ৩১.৩২ গড়ে। ওয়ানডেতে তুলনামূলকভাবে সফলই বলতে জবে—১২০ ম্যাচে ৩৭.৩৩ গড়ে ৩৮৪৬ রান, ৫টি সেঞ্চুরি। ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিকে উল্টো চেহারার রহস্য যা-ই হোক, এটা নিয়ে সন্দেহ নেই যে ব্যাটিংটা তিনি ভালোই জানেন, বোঝেন এবং বোঝাতে পারেন। এমনি এমনি তো আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁর দ্বারস্থ হয়নি!চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকেই করতে হবে। তা না হলে দেশ অনিবার্যভাবে সংঘাতের দিকে যাবে। গতকাল শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।আলোচনায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘সমস্যা দুই দল সৃষ্টি করেছে। তারা সমাধান না করলে দেশের বা দেশের বাইরের কেউ এর সমাধান করতে পারবে না। দুই পক্ষ এক হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাতে আমরা সমর্থন দেব।’সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দুই দলের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তারাই ক্ষমতায় গিয়ে বিরোধী দলকে উপেক্ষা করে, দলীয়করণ করে, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে। আর বিরোধী দলে গিয়ে সংসদ বর্জন করে। এদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির স্থায়ী সমাধান দরকার। প্রতিবার নির্বাচনের আগে গোলযোগ সৃষ্টি হবে, এটি হতে পারে না। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর কারণে আজকের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই সংশোধনী অনৈতিক ও বেআইনি।বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, দুঃখজনক হলো ক্ষমতায় থাকার জন্য এবং যাওয়ার জন্য নেতারা কূটনীতিকদের কাছে ছুটছেন। এসব অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে হলে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন।নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পাঁচ বছর পরপর ভোট দেওয়ার মধ্যে গণতন্ত্র সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। এ জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন অপরিহার্য।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম রব, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সমকাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম প্রমুখ।কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফরিদ মিয়া হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি আক্তার মিয়াকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।আক্তারের বিরুদ্ধে ফরিদকে হত্যা শেষে ৪২ টুকরা করার অভিযোগ রয়েছে।পুলিশ জানায়, আক্তার ২০০০ সাল থেকে একই এলাকার তাহের মিয়া ও ফরিদকে নিয়ে নদীতে ডাকাতি করতেন। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে ফরিদ তাঁদের সঙ্গ ছেড়ে স্বাভাবিক পেশায় আসেন। মাঝেমধ্যে পুলিশের গোপন তথ্যদাতা হিসেবেও ফরিদ কাজ করতেন। ২০০৫ সালের মে মাসে ফরিদকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান আক্তার ও তাহের। এর কিছুদিন পর নদী থেকে একটি বস্তায় এক ব্যক্তির টুকরা টুকরা মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে ওই লাশ ফরিদের বলে শনাক্ত হয়। পরে নিহতের পরিবার আক্তার ও তাহেরসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। গত সেপ্টেম্বরে তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তাহের জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, তিনি আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদকে হত্যা করেন।গুজরাট দাঙ্গার গুলবার্গ হত্যাকাণ্ড মামলায় নির্দোষ প্রতিপন্ন হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার পরও তাঁকে রুখতে কংগ্রেস আরেক বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব বলেছে, সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আদালতে যাবে।গুলবার্গ হত্যাকাণ্ডে মোদির সংস্রব নেই বলে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত দল যে রায় দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সেই ঘটনায় নিহত সাবেক কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। আহমেদাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট গতকাল বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় মোদির পক্ষে দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার মোদির সরকারের বিরুদ্ধে অন্য একটি অভিযোগের তদন্তে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিল। কংগ্রেস-মোদি দ্বৈরথে নবতম চমক এটাই।অভিযোগটা এনেছিল অনুসন্ধানী দুটি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘গুলেল’ ও ‘কোবরাপোস্ট’, গত ১৫ নভেম্বর। অভিযোগের সংক্ষিপ্তসার, ২০০৯ সালে গুজরাটের এক তরুণীকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় আনার জন্য রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ঘনিষ্ঠ তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহ। এ-সংক্রান্ত যে তথ্যাদি পেশ করা হয়েছিল, তাতে জানা যায়, অমিত শাহ কোনো এক ‘সাহেবের’ উল্লেখ করে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাহেবটি যে মুখ্যমন্ত্রী মোদি, সংবাদমাধ্যমের ইঙ্গিত ছিল তেমনই। নির্দেশ অনুযায়ী সেই নারীর ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারিই শুধু নয়, তাঁর বাড়ি ও মুঠোফোনে সব সময়ের জন্য আড়িপাতা হয়। তিনি যখন যেখানেই যেতেন, সর্বদাই পুলিশ তাঁর পেছন পেছন যেত। সেই তরুণী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার আত্মীয়া। তিনি একজন বিশিষ্ট স্থপতিও।তরুণীর ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির কারণ নিয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। তবে তা নিয়ে দেশব্যাপী হইচই শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে তদন্তের দাবি জানানো হয়। প্রবল চাপের মুখে মোদি দুই সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। পরের কিছুদিনে বিষয়টি প্রায় ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বুধবার ‘গুলেল’ নতুন তথ্য দিয়ে জানায়, ওই তরুণীকে চোখে চোখে রাখার জন্য গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে কর্ণাটক সরকারের কাছেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় কর্ণাটকেও ছিল বিজেপির সরকার।অভিযোগের সমর্থনে ‘গুলেল’ টেলিফোন কথোপকথনের ৩৯টি টেপও দাখিল করে। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো দাবিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রণব মুখোপাধ্যায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ঠিক হয়, যেহেতু বেআইনিভাবে নজরদারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তরুণীর অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং যেহেতু এ কাজে একাধিক রাজ্য সরকার জড়িত, কেন্দ্র তাই আইনগতভাবে এ ঘটনার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার অধিকারী। ফলে ১৯৫২ সালের তদন্ত কমিশন আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গতকাল এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।বিজেপি এ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। অরুণ জেটলি বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত তাঁরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন। কারণ, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার বিরোধী। দলের মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেছেন, চার রাজ্যে ভরাডুবির পর কংগ্রেস বিচলিত হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দলের সভাপতি রাজনাথ সিং বলেছেন, এটা কোনো নতুন আক্রমণ নয়। মোদিকে রুখতে তারা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল করুণাকান্ত উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল বুধবার ভারতের মালদা ও উত্তর বগুড়া সোনালী অতীত ক্লাবের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় দল একটি করে গোল করায় যুগ্মভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।বাংলাদেশ ও ভারতের প্রবীণ ফুটবলারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের ২৩ সদস্যের একটি দল বর্তমানে বগুড়ায় অবস্থান করছে। কাগইলে বিকেল না হতেই হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হতে থাকে প্রতিবেশী দেশের প্রবীণ খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে।খেলা শুরুর পর মালদা ও উত্তর বগুড়া দল একে অপরের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। দর্শক করতালি দিয়ে ও চিৎকার করে উভয় দেশের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় মালদা দলের একমাত্র মুসলমান খেলোয়াড় মাদাসসার হোসেন দলের পক্ষে প্রথম গোল করেন। উত্তর বগুড়া দলের উজ্জ্বল একটি গোল করে সমতা আনেন। পরে আয়োজকেরা দুই দলকে যুগ্মভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।মালদা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের অধিনায়ক উত্তম বসাক বলেন, ‘আমরা খেলাটি খুব উপভোগ করেছি। মাঠে এত ফুটবলপ্রেমী দর্শক দেখে আমরা অভিভূত।’ পরে প্রধান অতিথি দুই দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন। আয়োজকেরা জানান, বগুড়ায় এ টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করছে ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড, ট্রপিক্যাল বিল্ডিং টেকনোলজি লিমিটেড ও তন্ময় কমিউনিটি সেন্টার। গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালদার ফুটবল দলটি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এসে পৌঁছালে অধিনায়ক উত্তম বসাকের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্বাগতিক বগুড়া সোনালী অতীত ক্লাব ফুটবল দলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল করিম।বন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে মালদা ও বগুড়া সোনালী অতীত ক্লাবের উত্তম বসাক ও আনোয়ারুল করিম বলেন, এপার ও ওপার বাংলায় ক্রীড়ার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম সোনালী অতীত ক্লাব এবং পরদিন একই মাঠে মর্নিং ফিটনেস জোনের সঙ্গে; ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটায় ঢাকার ওয়ারী ক্লাব মাঠে ঢাকার ফুটবল কোচেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়ার করনেশন স্কুল মাঠে বগুড়ার সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন রাত আটটায় বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারে মালদার খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পরদিন অতিথিরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে যাবেন। ভারতের প্রবীণ খেলোয়াড়দের আগমন সামনে রেখে বগুড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রবীণ খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে অপহূত চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর খোঁজ মেলেনি ২২ দিনেও।এলাকাবাসী ও মহেশখালী থানা সূত্রের ভাষ্যমতে, চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে মোর্শেদ মিয়া নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বাড়ির পাশে চাচার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। এ সময় ওই যুবক তাঁর লোকজন নিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলেও দুর্বৃত্তদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় অপহূত কিশোরীর মা গত ১৪ অক্টোবর ছয়জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করেন। গতকাল শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ওই ছাত্রীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি। এদিকে মোর্শেদ মিয়ার পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়নি। মামলা সাজানোর জন্য ওই ছাত্রীর পরিবার অপহরণের নাটক সাজিয়েছে।মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহামঞ্চদ আলমগীর হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।টাঙ্গাইল বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জের ডিবি গজারিয়া বিট কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন এবং ওই বিটের বন প্রহরী আমজাদ হোসেন ও রুমিউজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গাছ কেটে গোড়া উপড়ে ফেলার অভিযোগে গত রোববার তিনজনের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের।  সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিগীত গেয়ে আর পিঠাপুলি খেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর নবান্ন উৎসবে মেতেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাবুরঘোন গ্রামের নারী ও শিশুরা।সরেজমিনে দেখা যায়, হলুদ শাড়ি আর খোঁপায় ফুল দিয়ে সেজেগুজে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দুই বোন মমতাজ খাতুন ও শামীমা খাতুনের বাড়িতে নারী ও শিশুরা ভিড় করেছেন। নারীরা ব্যস্ত পিঠাপুলি তৈরিতে। আর তাঁদের ঘিরেই চলছে শিশুদের একের পর এক গীত গাওয়া। এর এক ফাঁকে নারীরা কলসি নিয়ে পানি আনতে যান পাশের পুনর্ভবা নদীতে।এরপর চলে ঢেঁকিতে ধান ভানার মহড়া। এখানেও গীত। অর্থাৎ একেক স্থানের জন্য একেক ধরনের গীত। দেখেশুনে মনে হয়, এ যেন মেয়েলি গীতের উৎসব, সঙ্গে নতুন ধানে নবান্নের উৎসব মিলেমিশে একাকার।মমতাজ ও শামীমা দুই বোনই পেশায় শিক্ষক। তাঁরা জানান, দুজনেরই গ্রামের শিশুদের সঙ্গে আছে দারুণ ভাব। শিশুদের আনন্দ দিয়ে তাঁদের আনন্দ। এ জন্য বেছে নিয়েছেন একসময়ে মা-খালা ও নানি-দাদিদের কাছে শেখা মেয়েলি গীত। এগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের শিখিয়ে একটি মেয়েলি গীতের দল গঠন করেছেন।তাঁরা আরও জানান, এ ক্ষেত্রে তাঁরা পুরোপুরি সফল হয়েছেন। শিশুদের দল এখন ৬৯টি মেয়েলি গীত গাইতে পারে। বিয়ের গীত থেকে পিঠাপুলি তৈরি, ঢেঁকিতে ধান ভানা, নদীতে জল আনতে যাওয়াসহ নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় হাস্যরসময় ও দুঃখেরও মেয়েলি গীত পরিবেশনের জন্য গত তিন বছর ধরে তাঁরা বাড়ি বাড়ি নতুন ধান চাঁদা তুলে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে আসছেন।শুধু মেয়েলি গীত নয়, গ্রামের আমবাগানের মধ্যে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। এখানে শিশুর দল জারি-সারি, দেশের গান, মুক্তিযুদ্ধের গানের সঙ্গে নাচও পরিবেশন করে। চলে কবিতা আবৃত্তিও। এ কাজে তাদের সহায়তা করেন আরেক শিক্ষক রওশন আরা।আয়োজনে অংশ নেওয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী রায়হানা নুসরাত, নবম শ্রেণীর রাবেয়া খাতুন, উমেঞ্চ কুলসুম ও পঞ্চম শ্রেণীর আসফাকুন জানায়, এ দিনটির জন্য তারা অপেক্ষা করে থাকে। বাড়ি বাড়ি তিন কেজি করে নতুন ধান তুলে তারা ঝেড়ে শুকিয়ে নিজেরাই কল থেকে ভাঙিয়ে আনে। নিজেরা ৫০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে অনুষ্ঠানের মাইক থেকে জ্বালানি, রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো, অতিথিদের জন্য খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে।আয়োজনে অতিথি হয়ে আসা তাহসিনা বেগম ও মনোয়ারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এমন অনুষ্ঠানে এসে আনন্দিত। এটা শুধু নিছক নবান্ন উৎসবই নয়, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের আর মৌলবাদীদের আগ্রাসনের এই দুঃসময়ে গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতি রক্ষার একটি আন্দোলনও বলা যেতে পারে।
২০১৩ সালের আদালত অবমাননা আইনের আটটি ধারা বাতিল চেয়ে করা রিটের পেছনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি এ বিষয়ে আদালতের তরফে তদন্তেরও দাবি জানান।গতকাল বুধবার বিচারপতি রেজা-উল হক ও এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়।শুনানিতে ড. কামাল বলেন, সংসদে আইন পাসের মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে এই আইনজীবী যে উপায়ে আইনের আটটি ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের পাঁচ সচিবের ওপর নোটিশ জারি করেছেন, তা নজিরবিহীন। এ ধরনের নোটিশকে তিনি ‘মার্শাল লর বাপ’ উল্লেখ করে বলেন, জেনারেল জিয়ার উত্তরসূরিরাও এভাবে কোনো আইনের বাতিল চাইতে কুণ্ঠিত হতেন। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গত ৬ মার্চ আদালত অবমাননা আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বাতিল চেয়ে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ জারি করেন। এর মধ্যে পাঁচটি ধারাই সরাসরি গণমাধ্যম তথা বাকস্বাধীনতা এবং দুটি ধারা সরকারি কর্মকর্তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। তবে প্রথা অনুযায়ী, মনজিল মোরসেদ নোটিশে তিনি কার পক্ষের আইনজীবী, তা প্রকাশ করেননি। গতকাল আদালতে তিনি অবশ্য বলেন, আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটে তিনি আইনজীবী নিযুক্ত হন। তাঁদের যুক্তি, উচ্চ আদালতের মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই তাঁরা এই রিট করেছেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৩ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিব, আইনসচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবের ওপর রুল জারি করে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ পর্যন্ত কেবল মন্ত্রিপরিষদ সচিব একটি হলফনামা পেশ করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরও কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে কামাল হোসেন ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো এবং বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনকে মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পক্ষভুক্ত করতে আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করলেও কামাল হোসেনকে বক্তব্য রাখতে এক ঘণ্টা সময় দেন।কামাল হোসেন গতকাল আদালত অবমাননা আইনের দীর্ঘ ইতিহাস ও বিবর্তন উল্লেখ করে বলেন, এটা কোনো জমি দখল বা কারও আর্থিক লাভ-লোকসানসংক্রান্ত মামলা নয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা—এই দুয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই মামলার রায়ের অসামান্য তাৎপর্য রয়েছে। তিনি বলেন, আইনজীবীর সক্রিয়তা প্রশংসনীয় কিন্তু তা মাত্রাতিরিক্ত হলে ক্ষতিকর।ড. কামাল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘১৯২৬ সালের পর ২০১৩ সালে আমরা একটি আদালত অবমাননা আইন পেলাম। এটা কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পাস করেনি। আইনটির যেসব ধারা সংবিধান পরিপন্থী বলে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা ভারত ১৯৭১ সালে এবং ব্রিটেন ১৯৮১ সালে আইনে পরিণত করেছে। এ জন্য সেসব দেশের উচ্চ আদালতের মর্যাদা হুমকিগ্রস্ত হয়নি।’সংবাদপত্র ও আদালতের পরিপূরক ভূমিকার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কামাল হোসেন বলেন, মাগুরার (উপনির্বাচন) মতো, ফয়জী (সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী) বললে যে চিত্র ভেসে ওঠে, তা সংবাদপত্রের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ফয়েজি যদি তাঁর সনদ দেখাতে পারতেন, তাহলে সংবাদপত্রের দণ্ড প্রাপ্য ছিল। তিনি বলেন, সংবিধান প্রত্যেকের ক্ষমতা ও এখতিয়ারের সীমা বেঁধে দিয়েছে। রাষ্ট্রের কোনো অঙ্গই অসীম ক্ষমতা দাবি করতে পারে না।আদালত অবশ্য বলেন, বিচারক ও আদালতের মর্যাদা দুটো আলাদা বিষয়। বিচারকের ব্যক্তিগত বিষয় যখন আদালতকে স্পর্শ করে না, তখন তা আদালত অবমাননা নয়। কিন্তু বিচারকের ব্যক্তিগত বিষয় হলেও যখন তার উদ্দেশ্য থাকে আদালতকে খাটো করা, তখন তা অবমাননাকর।আজ এই রিটের বিষয়ে রায় হতে পারে। সীতাকুণ্ডের শুকলাল হাট এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের হামলায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহতের ঘটনায় সুনির্দিষ্ট ৪৪ ও অজ্ঞাত ৪০০ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।গতকাল সকালে পুলিশ কুমিরা-সন্দ্বীপ ঘাট এলাকার জহিরুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইলিয়াছ বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। সীতাকুণ্ডে ১৮ দলের শুক্রবারের সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা শুকলালহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ওপর হামলায় পাঁচ পুলিশসহ ১৫ যুবলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়।চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিএনপির সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার বাড়িতে হামলা ও তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় আজ মঙ্গলবার পূর্ণ দিবস হরতাল ডেকেছে বিএনপি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের অয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা সন্দ্বীপের সাংসদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার জন্য শুধু সরকার নয়, প্রশাসনও দায়ী। সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’ওই দিনের হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রোববার বিকেলে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেয় শাহজাহান, জামাল ও টিটো বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ছেলে জাবেদ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ‘পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বারবার অবহিত করা সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে আসেনি। অথচ আমার বাড়ি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে থানা। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে হামলার চার ঘণ্টা পর।’সরকারবিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয় বলে তিনি দাবি করেন।থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।ব্যাংককের একটি স্টেডিয়ামে নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এর একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে চলা বিক্ষোভ কয়েক সপ্তাহ শান্তিপূর্ণ থাকার পর গতকাল আবার সহিংস হয়ে ওঠে। প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী ব্যাংককের ওই স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। একদল বিক্ষোভকারী ট্রাকের সাহায্যে স্টেডিয়ামের ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। স্টেডিয়ামের ভেতরে তখন ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ড্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিটি দলকে ড্রয়ের মাধ্যমে একটি বিশেষ নম্বর দেওয়ার কথা।টেলিভিশন ভাষণে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরাপং তভিচাকচাইকুল বলেন, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র ছিল না। যেমনটি এর আগে তারা দাবি করে আসছিল। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।পুলিশ কর্মকর্তা লে. জেনারেল প্রাউত থাভরনসিরি জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া শটগানের গুলিতে পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্টেডিয়ামটিতে অন্তত এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়।থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান পারাদরন পাত্তানাথাবুতর জানান, পুলিশ বল প্রয়োগের কৌশল নেয়নি। বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে বারবার সতর্ক করা হয়। একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এএফপি।
এখনই তুলনাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তবে ইসকো যেমন খেলছেন, তাতে তাঁর মধ্যে অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন জিনেদিন জিদানের ছায়া। অন্য কেউ নয়, রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিই মনে করেন এমন!মালাগা থেকে ৩ কোটি ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন এই মৌসুমে। কেন তাঁকে নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা বলা হয়, সেটাও দেখিয়ে চলছেন ইসকো। লা লিগায় পাঁচ ম্যাচে করে ফেলেছেন ৪ গোল। এমনকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলও তাঁর চেয়ে বেশি নয়! রিয়ালের মতো দলে শুরু থেকেই খেলছেন প্রথম একাদশে। এত সব তারার ভিড়েও নিজেকে চিনিয়ে যাচ্ছেন আলাদা করে। মেসুত ওজিলের বিদায়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা পূরণে এখন পর্যন্ত ইসকোকে সফল বলতেই হবে। কোচ আনচেলত্তি পর্যন্ত গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে বলতে বাধ্য হলেন, ‘কয়েকটা ম্যাচের পরই ইসকোর সঙ্গে জিদানের তুলনা করাটা বাড়াবাড়ি নয়। মানসিকতা ও সামর্থ্যে দুজনের মধ্যে অনেক মিল।’তা জিদান নিজেই এখন রিয়াল মাদ্রিদের সহকারী কোচ। ইসকোকে খুব কাছ থেকে দেখেছেনই। ফরাসি গ্রেটের ভাবনাটা কী? সেটিও জানিয়েছেন আনচেলত্তিই, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম (ইসকো তার চেয়ে ভালো কিনা)। জিদান বলেছে, এখনো নয়, তবে ভবিষ্যতে খুব কাছাকাছি আসতে পারে।’রিয়াল কি আরেকজন ‘জিদান’ তবে পেয়েই গেল! রয়টার্স।নোয়াখালীতে গত শুক্রবার বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮-দলীয় জোটের মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা।গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট চলাকালে ব্যবসায়ীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া মালামালের ধ্বংসাবশেষ রাস্তার ওপর ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন এবং বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর বণিক সমিতি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয়। ১২টার দিকে ধর্মঘটের ডাকে শহরের ব্যবসায়ীরা দোকাপাট বন্ধ করে রাস্তায় নেমে পড়েন। এ সময় ব্যবসায়ীরা প্রায় আধা ঘণ্টা প্রধান সড়কের টাউন হল মোড়ে মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া দোকানপাটের ধ্বংসাবশেষ প্রধান সড়কে ফেলে অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। একই সময় বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্যবসায়ীরা জেলা জামে মসজিদ মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।সমাবেশে পৌর বণিক সমিতির সভাপতি এ কে এম সাইফুদ্দিন সোহানসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তৃতা করেন। বক্তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় ব্যবসায়ীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় গত রোববার নির্ধারিত সময়ের পৌনে দুই ঘণ্টা পর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) নেওয়ার অভিযোগে জেএসসির কেন্দ্রসচিবকে বহিষ্কার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রশিদ জানান, তদন্তে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব হায়দার হোসেন ও ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর আলমের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।একই কারণে জেলা প্রশাসক ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী আসাদুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।গাজী আসাদুজ্জামান জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে হায়দার হোসেনকে জেএসসির কেন্দ্রসচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বিষে নয়, ফিলিস্তিনের প্রয়াত নেতা ইয়াসির আরাফাতের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে। তবে মস্কোতে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ফায়েদ মোস্তফা বলেছেন, আরাফাত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।গত বছর আল-জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রে আরাফাতের পোশাকে পলোনিয়াম ২১০ নামের এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির বিষয়টি প্রচার করা হয়। এরপর আরাফাতের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।গত মাসে সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের পরীক্ষায় পলোনিয়ামের আলামত পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে তাদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা যে মত দিয়েছেন, সেভাবেই কথা বলেছেন রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাও। দুই পক্ষের অভিমত, পলোনিয়াম প্রয়োগে আরাফাতকে হত্যা করা হয়নি।রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ফরেনসিক সংস্থা ফেডারেল মেডিকো-বায়োলজিক্যাল এজেন্সি জানায়, ইয়াসির আরাফাত তেজস্ক্রিয়ার প্রভাবে মারা যাননি, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।২০০৪ সালে ইসরায়েলি ট্যাংক পরিবেষ্টিত ফিলিস্তিনের রামাল্লার বাসভবনে আহারের পর আরাফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর চার সপ্তাহ পর ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আরাফাত মারা গেছেন। রয়টার্স।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমডিজি-৭ বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনে আন্তসরকার আলোচনার জন্য রাজনৈতিক পটভূমি তৈরিতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবে।প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘স্পেশাল ইভেন্ট টু ফলোআপ অ্যাফোর্টস মেড টুওয়ার্ডস অ্যাচিভিং দ্য এমডিজি’ শীর্ষক অধিবেশনে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা আয়ারল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ইয়ামন গিলমোরের সঙ্গে এই অধিবেশনে কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডিজি-৭ বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এমডিজি-১, এমডিজি-২, এমডিজি-৩, এমডিজি-৪, এমডিজি-৫ এবং এমডিজি-৬ পূরণ করেছে অথবা পূরণ করার পথে রয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি নিম্নাঞ্চলের উপকূলীয় রাষ্ট্র। এ দেশ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষে এমডিজি-৭ অর্জন খুবই কঠিন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশমন ও অভিযোজন নীতির আলোকে আমাদের সরকার ১৩৪ দফা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, আমাদের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেওয়া।’ ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে ঐতিহাসিক সহস্রাব্দ ঘোষণার সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে সময় আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি একটি উন্নয়ন রূপকল্প দিই এবং ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও অসমতা দূরীকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও সরকারের নীতির কারণে দেশে গড় জিডিপি স্থিতিশীল থাকে। আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশের কাছাকাছি। মাত্র দুই দশকের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’টেকসই উন্নয়ন বজায় রাখতে দূরদর্শী হতে হবে: এর আগে গত মঙ্গলবার ‘নেতৃবৃন্দের সংলাপ: শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম-দূরদর্শিতার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক রাজনৈতিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মাধ্যমে বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন বজায় রাখতে ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন কর্মসূচি এবং ২০২০ সালের পরও একটি আইনি কাঠামোর বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে।এই ফোরাম টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক কমিশনের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, সম্পদ এবং আন্তসহযোগিতা রূপরেখা তৈরিতে রিও প্লাস ২০-এর ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে গঠিত হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাবের অগ্রভাগে রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। দেশটিতে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে যাবে। এতে দেশটির এক-পঞ্চমাংশ তলিয়ে যাবে এবং তিন কোটি মানুষ জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে উদ্বাস্তু হবে।২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় সমর্থন কামনা: একই দিন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি জোহান ডব্লিউ অ্যাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে চলতি বছর সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে সমর্থন কামনা করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে এক বৈঠকে অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশে কাতারের এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। পরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলন ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।‘আঁর পোয়া মিজানরে ফিরাই দে। আঁর পোয়া হন রাজনীতি ন গরে। আঁর পোয়ারে কনে মাইল্য? আঁর পোয়া মানুষর বাড়িঘরত রংর হাজ গরি সংসার চালায়। এহন সংসার হনে দেহিব।’ বড় ছেলে মিজানুর রহমানকে (১৬) হারিয়ে মা নুরুজ্জাহান বেগম (৪০) এভাবে বিলাপ করছিলেন। গত শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারার পুলেরছড়া সেতুসংলগ্ন এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মিজানুর নিহত হয়। সে ওই এলাকার রিকশাচালক শাহ আলমের ছেলে।গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় নিহত মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট ঝুপড়িঘরে মা নুরুজ্জামান বেগম (দরজার সামনে বসে) বিলাপ করছেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছেলের একটি ছবি তুলে ধরে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন। বড় মেয়ে শারমিন আকতার মাথায় হাত বুলিয়ে মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এই বলে—মিজান এখন ফিরে আসবে। নুরুজ্জাহান বেগম বলেন, শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে তাঁর মেজো ছেলে নজরুল ইসলাম (১২) বিএনপি নেতা-কর্মীদের একটি মিছিল দেখে সেখানে দৌড়ে যায়। একটু পর ছোট ভাইকে আনতে যায় বড় ভাই মিজান। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গোলাগুলি শুরু হয়। কে জানত ওই গুলিতে মিজান মারা যাবে—এই বলে মা আবার মূর্ছা যান।মিজানের বড় মামা ছৈয়দ আলম (৫৫) বলেন, চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় মিজান। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়া মিজান অসচ্ছল পরিবারের হাল ধরতে রংমিস্ত্রির কাজ করত। মিজান মারা যাওয়ায় এখন পরিবারটি বেকায়দায় পড়ল।প্রতিবেশী বশির আহমদ (৪৫) বলেন, মিজান সকালে কাজের সন্ধানে বের হয়ে রাতে ঘরে ফিরত। তাকে কোনো দিন রাজনীতি বা মিছিল-সমাবেশে দেখা যায়নি। ছেলে হত্যার মামলা করছেন না কেন, জানতে চাইলে নুরুজ্জাহান বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব? মামলার খরচ চালাবে কে? ছেলে হত্যার বিচার আল্লাহ করবে।’ময়মনসিংহের নান্দাইলে সাংসদ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মিছিল করা নিয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহত হন।এলাকাবাসী জানান, একটি পক্ষ সাংসদ সালামের বিরুদ্ধে মিছিল করে শহরের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত সাংসদের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজিউল্লাহর ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ সময় মিছিলকারীদের এ আসন (ময়মনসিংহ-৯) থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল মালেক চৌধুরীর নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর সাংসদের সমর্থকেরা মিছিল বের করলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের থামাতে গিয়ে এক পক্ষের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে ট্রেন দুর্ঘটনার ২৩ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় ৫৬ ঘণ্টার চেষ্টায় ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা হয়।লালমনিরহাট রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (লোকো) মোশারফ হোসেন বলেন, লালমনিরহাট থেকে ৪০ টন এবং বোনারপাড়া থেকে ২০ টন উত্তোলনের ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এনে ৭০ টন ওজনের ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা হয়।গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) দীপক কুমার পাল বলেন, অবরোধের কারণে এত দিন ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা যায়নি। গতকাল উদ্ধারের পর সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে উদ্ধার কাজের জন্য মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথের গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে বুরুঙ্গি নামক স্থানে ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে চারজন নিহত ও অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন।
নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় রয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। প্রয়োজনীয় সম্পদ ও লোকবলের অভাব থাকলেও সেবা প্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আন্তরিকতায় ঘাটতি নেই।এসব কারণে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল নবজাতকের যত্ন ও সেবায় গরিব মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবায় আবদান রাখার জন্য এ বছর জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে হাসপাতালটি।সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ জানান, এ অঞ্চলে শীতের সময় (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) নবজাতক ও শিশুরা শীতজনিত রোগে ভোগে। শয্যা-সংকটের কারণে তীব্র ঠান্ডায়ও তাদের হাসপাতালের মেঝে ও বরান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হতো। ২০০৯ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃ ও নবজাতক মৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণ প্রকল্প (এমএনএইচ) শুরু হওয়ার পর বিষয়টি প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। পরে এমএনএইচ ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটি সদর হাসপাতালে আলাদা একটি ‘নবজাতকের যত্ন ইউনিট’ নির্মাণ করে সেখানে মানসমঞ্চত ওষুধ, যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং জনবল নিয়োগ করে তাঁদের নবজাতকের যত্নের ওপর প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এমএনএইচ প্রকল্প এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে নবজাতক ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ২০১১ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রী ও জেলা এমএনএইচ কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন ইউনিটটির উদ্বোধন করেন।শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এই ইউনিটে রয়েছে ইনকিউবেটর, ফটোথেরাপি যন্ত্র, ওয়ার্ম মেশিন, বেবি সাকার, কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র, ওজন পরিমাপক যন্ত্র ও নেবুলাইজার। মানসমঞ্চত ওষুধ সরবরাহের জন্য দেশের নামকরা ১০টি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ কেনা হচ্ছে।নবজাতকের সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের সেবিকার পাশাপাশি এমএনএইচ প্রকল্প থেকে আরও চারজন সেবিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নবজাতকের যত্ন ও সেবা বিষয়ে চিকিৎসক ও সেবিকারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ইনকিউবেটর ব্যবহারের ওপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মিনা বেগম ছেলেকে নিয়ে নবজাতকের যত্ন ইউনিটে ফটোথেরাপি দেওয়ার সময় বলেন, ‘ভালো সেবা পাও বলিয়া এইঠে আসিছু। দেবীগঞ্জের ডাক্তাররা হামাক ছুয়া ধরিয়া রংপুরে যাবা কহিছিল। ওইঠে না যায়ে এই হাসপাতালত আসিছু। এলা হামার ছুয়া ভালো আছে।’সদর উপজেলার কোলনীপাড়া গ্রামের সুরাইয়া বেগম বলেন, এই হাসপাতালে শিশুদের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি আছে, তা অন্য জেলা হাসপাতালে নেই। এ কারণে কম আয়ের মানুষেরা চিকিৎসা নিতে অন্য জেলা থেকেও তাঁদের সন্তান নিয়ে এখানে আসেন।ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ‘এখানে ১৭টি শয্যার ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৬টি নবজাতক সেবা নেয়।’ তিনি আরও জানান, এই ইউনিট স্থাপনের আগে হাসপাতালে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নবজাতক মারা যেত। এখন সেই হার কমে দুই থেকে তিন শতাংশে দাঁড়িয়েছে।ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আবু খয়রুল কবীর বলেন, ‘সবার সমিঞ্চলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা নবজাতকের যত্ন ইউনিটটি জেলায় শিশু মৃত্যুরোধে ভূমিকা রেখেছে; যার জন্য আমরা গর্ববোধ করতে পারি।’জাতির সামনে এখন অশনিসংকেত, এই মন্তব্য করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চলমান রাজনৈতিক সমস্যার জন্য সরকারি দলকেই দায়ী করলেন।এলডিপির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অলি বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা আলোচনার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে সাড়া দিতে হবে।পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশন ২০১৩-এ বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার সংগঠনটির নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, পে অ্যান্ড সার্ভিস কমিশন নিম্ন আয়ের কর্মচারী সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবি হলেও এতে ১১ লাখ নিম্ন বেতনভুক্ত গণকর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দাবি মানা না হলে বঞ্চিত কর্মচারীদের পক্ষে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিজ্ঞপ্তি।দক্ষিণ সুদানে রক্তপাত বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশ ইথিওপিয়া ও কেনিয়া। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হেইলেমারিয়াম ডেসালেগন ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা। তবে বৈঠকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।এদিকে দক্ষিণ সুদানের ১০টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত পাঁচটি রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ দিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে দেশটিতে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।প্রতিবেশী দুই দেশের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে সাড়া দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সালভা কির। এর অংশ হিসেবেই ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার নেতাদের মধ্যে সঙ্গে বৈঠক করেন কির।এর আগে কেনিয়ার গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আঞ্চলিক জোট ইস্ট আফ্রিকান কমিউনিটির প্রধান প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তা গতকাল জুবায় পৌঁছে দক্ষিণ সুদানের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হেইলেমারিয়াম গতকাল প্রেসিডেন্ট কিরের সঙ্গে পৃথকভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।দক্ষিণ সুদানে সহিংসতা দমনে কাজ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি অ্যালেক্স রন্ডোস জুবার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। চীন বলেছে, তার আফ্রিকাবিষয়ক দূূত ‘শিগগিরই’ জুবা যাচ্ছেন।এদিকে দক্ষিণ সুদানের তথ্যমন্ত্রী মাকেয়ি লুয়েথ বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে কোনো সমঝোতা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় যাব না।’ তবে প্রেসিডেন্ট কির ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচার উভয়েই আলোচনায় বসার ব্যাপারে আগে থেকেই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে আসছিলেন। রিক মাচার বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।জাতিসংঘ দেশটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে। শিগগিরই শান্তিরক্ষী বাহিনীর অতিরিক্ত ওই সদস্যদের মোতায়েন করার কথা। বিবিসি।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলাহিলি চারমাথার এক শিক্ষকের ভাড়া বাসা থেকে গত মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দ্বিতীয় মডেল টেস্টের খাতা ও প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করলেও পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দ্বিতীয় মডেল টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার প্রতিটি কেন্দ্রে খাতা ও প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম প্রধান বলেন, বোয়ালদাড় ইউনিয়নের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় মডেল টেস্ট পরীক্ষা হবে বোয়ালদাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। কিন্তু এই কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করাবে না বলে চেংগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২১০টি খাতা ও ২১০টি প্রশ্নপত্র গ্রহণ করেন। নিয়ম না থাকলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে এই সুবিধা দিয়েছেন। তাঁর অনুমতি পেয়ে ওই শিক্ষককে খাতা ও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষক মামুন যখন প্রশ্নপত্র ও খাতা নেন, তখন আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিষয়টি নিয়ে অন্য শিক্ষকেরা অভিযোগ করলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই। এ সময় ইউএনও পুলিশ পাঠিয়ে ওই শিক্ষকের বাসা থেকে ২১০টি খাতা ও ২১০টি প্রশ্নপত্র উদ্ধার ও শিক্ষক মামুনকেও আটক করেন।’মামুনুর রশিদ বলেন, ‘নিয়মের বিষয়টি আমি জানি না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।’ তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।ইউএনও আজাহারুল ইসলাম বলেন, মামুনুর রশিদ ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে গতকাল বুধবার দুপুরে একটি মুচলেকা দেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরও পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এম এ মান্নান উড়ালসড়কের এক্সপানশন জয়েন্ট স্থাপনের কাজ শুক্রবার শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ উড়ালসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালসড়কে ২৬টি এক্সপানশন জয়েন্ট স্থাপন করা হবে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ছয়টি এক্সপানশন জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) অর্থায়নে এই উড়ালসড়ক নির্মিত হচ্ছে।এ উড়ালসড়কের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, টানা কাজ করতে পারলে দুই দিনের মধ্যেই এক্সপানশন জয়েন্ট লাগানোর কাজ শেষ হবে। কিন্তু বৃষ্টিতে নির্মাণকাজ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে উড়ালসড়ক যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’প্রসঙ্গত গত ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল আলোচিত এই উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন।সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে উপাচার্য মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের বিশিষ্টজনদের নেতৃত্বে দুটি দল এ স্মারকলিপি দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর যৌথভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান সিলেটের বিশিষ্টজনেরা।এ দলে রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গৃহীত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ ও সচেতন দেশবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সবাই এর প্রতিবাদ করছেন।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব অধ্যাদেশবলে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির মুখোমুখি করে তুলেছে। কারও জন্য মঙ্গলজনক নয় বলেই ওই পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া যুক্তিসংগত।যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তুষারঝড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও কানাডার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ লাখের বেশি পরিবার কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ওই অঞ্চলে প্রবল তুষারঝড় হয়। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে।সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দিন-রাত কাজ করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি এতই খারাপ যে কিছুসংখ্যক বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাল শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বড়দিনে শুধু টরন্টোর অন্তত ৭২ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন ছিল। এ ছাড়া নিউ ব্রান্সউইক, কুইবেক ও নোভা স্কশিয়া প্রদেশেও অনেক পরিবার বিদ্যুৎহীন ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের বড়দিনের উৎসব মাটি করে দিয়েছে। টরন্টোর মেয়র রব ফোর্ড বলেন, ‘আমরা জানি, তুষারঝড়ের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ঘরবাড়ি গরম করার জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ।’যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মেইন ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে।তুষারঝড়ের কারণে কানাডার টরন্টো থেকে মন্ট্রিল ও অটোয়া থেকে নিউইয়র্ক যাতায়াতব্যবস্থা একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিবিসি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান নির্বাচনপদ্ধতিতে নির্বাচনে গেলে জাতীয় পার্টি দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে এরশাদ এ কথা বলেন। সম্মেলনে এরশাদ বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে জাতীয় পার্টিও যাবে না। আমরা এখন নামমাত্র মহাজোটে আছি। যারা আস্তিক-নাস্তিক তৈরি করেছে, তাদের সঙ্গে আর কোনো নির্বাচন নয়। আমি নাস্তিকের পক্ষে নই, ইসলামের পক্ষে।’আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ কী, জানি না। কীভাবে নির্বাচন হবে, আমরা এখনো জানি না। একটি দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জানা দরকার। মানুষ আর দুই নেত্রীকে চায় না। মানুষ পরিবর্তন চায়।’ এরশাদ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিটি কাজে জনগণ অসন্তুষ্ট। সব ক্ষেত্রে তারা উসকানি দিচ্ছে। গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। সরকারই গার্মেন্ট শ্রমিকদের উসকে দিয়েছে।রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে এরশাদ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা ছাড়া কিছুই নয়। সরকার কি আর জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না? সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হবে কেন?’ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সেলিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান। সম্মেলন শেষে সেলিম উদ্দিনকে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির নতুন আহ্বায়ক ঘোষণা দিয়ে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।সিলেটে যানজট সৃষ্টির জন্য চারটি কারণকে চিহ্নিত করেছে ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই সকাল, দুপুর ও বিকেলে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে।যানজটের কারণগুলো হচ্ছে অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, অবৈধ রিকশা ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়ির অবাধে চলাচল, শহরের ভেতরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোর নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলা।নগরবাসীর অনেকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমস্যা ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, নয়াসড়ক, শিবগঞ্জ, মীরাবাজার, আম্বরখানা, বাদামবাগিচা, বড়বাজার, তালতলা, কালীঘাট, ছড়ারপার, লালদিঘিরপাড়, লামাবাজার, জল্লারপার, মির্জাজাঙ্গাল, কিনব্রিজ, সুরমা মার্কেট, সুবিদবাজার, মীরের ময়দান, জেলরোড, বারুতখানা, শাহী ঈদগাহ, সাপ্লাই রোড ও সোবহানীঘাট এলাকায় প্রতিদিনই যানজট ভয়াবহ রূপ নেয়। এসব এলাকায় যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।নগরবাসীর অভিযোগ, অতীতে নগরে যানজট হলেও সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। এখন একবার যানজটে পড়লে ঘণ্টা খানেকের আগে মুক্তি মেলে না। নগরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যানজট নিরসনের জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।তালতলা এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, শহরে প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে সে তুলনায় রাস্তাঘাট প্রশস্ত হচ্ছে না। এতে যানজট হচ্ছে। এভাবে আরও কিছুদিন চললে ঢাকার যানজটও একসময় হার মানাবে।ট্রাফিক পুলিশ জানায়, নগরে বৈধ রিকশার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এর বিপরীতে কমপক্ষে এক লাখ রিকশা নগরে যাত্রী পরিবহনের কাজ চালাচ্ছে। এই ৭০ হাজার অবৈধ রিকশার চলাচল বন্ধ করা গেলে যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, অবৈধ রিকশা যাতে চলাচল করতে না পারে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফুটপাত দখলমুক্ত করায় যানজট পরিস্থিতি কিছুটা কমেছে। অপ্রশস্ত রাস্তাঘাটগুলো প্রশস্ত করার উদ্যোগও শিগগিরই নেওয়া হবে।অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নূরে আলম জানান, ট্রাফিক পুলিশ আন্তরিকভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে চললেও অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট বড় না করায় যানজট নিরসন করা সহজ হচ্ছে না।নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিফান নর্দে গত শনিবার গাজীপুর জেলার হাইলজুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের নিরাপদ খাওয়ার পানির ট্যাংক উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নেসলের করপোরেট পরিচালক নকীব খান এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনের সিনিয়র ম্যানেজার মির্জা গোলাম হোসেন। উদ্বোধনের পর স্টিফান নর্দে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি।দুর্নীতির কেলেঙ্কারির মুখে চাপে পড়া তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন। তিনজন মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে গত বুধবার রাতে এ পদক্ষেপ নেন তিনি। পদত্যাগকারী তিনজনসহ অন্তত ১০ জন মন্ত্রীর স্থানে রদবদল করেন প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান।এই কেলেঙ্কারির ফলে ইসলামপন্থী এরদোয়ানের দুই মেয়াদে ১১ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর জেরে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী জাফর কাগলায়ান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মার গুলার এবং পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এসব পদে তিনজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিষয়ক মন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, পরিবহন, পরিবার, ক্রীড়া ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রী এবং তাঁর চার উপমন্ত্রীর একজনকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে এরদোয়ান তাঁর পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভার নামের তালিকা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলের কাছে উপস্থাপন করেছেন।পদত্যাগ করা তিন মন্ত্রীর ছেলেরা দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন। এপি।
সেরেনা উইলিয়ামসকে একরকম তাঁর ‘যম’ই বলা যায়! গত দুটি ইউএস ওপেনের ফাইনালে সেরেনাই তো শিরোপাবঞ্চিত করেছেন ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে। দুজনের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানের দিকেও দেখুন—সেরেনার ১৩টি জয়ের বিপরীতে আজারেঙ্কার জয় মাত্র ৩টি। সেরেনাকে তাও তো হারিয়েছেন, তাঁর বড় বোন ভেনাসকে যে কখনোই হারানো হয়নি আজারেঙ্কার। গত পরশু টোকিও প্যান প্যাসিফিক ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে ৬৩তম র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা ভেনাস ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা আজারেঙ্কাকে। দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল এখন ৩-০। কাল রোমানিয়ার সিমোনা হালেপকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ আটে উঠে গেছেন ভেনাস। প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জিতেছেন ৪-৬, ৭-৫, ৬-৩ গেমে। এএফপি।পবিত্র ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১৬ দিনের ছুটি শেষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আজ রোববার খুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু থাকবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়।প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং এগ্রিমেন্ট গত মঙ্গলবার সম্পাদিত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিনাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গুনাইহাটি এলাকায় ট্রাকচাপায় লিটন (২৬) নামে এক নছিমনচালক নিহত হয়েছেন। পাবনা-নাটোর মহাসড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।লিটন পাবনা সদর উপজেলার বড়মাটিয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, দুপুর ১২টার দিকে লিটন নছিমন নিয়ে নাটোর যাচ্ছিলেন। পথে গুনাইহাটি এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ-কালের মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই শুনানি গ্রহণ করেন।বেঞ্চের অপর চারজন হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। বেঞ্চের দুই বিচারপতিকে এই বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার (রিকিউজাল) জন্য পৃথক আবেদন করেছেন সাঈদী। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড গতকাল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দুটি দাখিল করেন। আপিল বিভাগের আজ বৃহস্পতিবারের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আংশিক শ্রুত হিসেবে আপিল এবং ওই আবেদন ২৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।গতকাল সকালে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও এস এম শাহজাহান। শাহজাহান শুনানিতে সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া রায় পড়ে শোনান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতেও একই ধরনের আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করেছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসা বালীকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্যগুলোতে আলাদা দণ্ড দেওয়া হয়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। আসামিপক্ষ আপিলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে সাঈদীকে খালাসের আরজি জানায়। অন্যদিকে ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দণ্ড না হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত মঙ্গলবার সাঈদীর আপিলের পক্ষে শুনানি শুরু হয়।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তাঁরা ‘খারাপ চরিত্রের’ বলে সনদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কারণ, সনদে ‘অভ্যস্ত’ লিখে দিলেই মামলার বিবাদী অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যান। আর ওই নারীরা সামাজিকভাবে হেয় হন। কখনো কখনো বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে।নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশু ও নারীদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য ডেনমার্কের অর্থায়নে ২০০২ সালে ওই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ওসিসি স্থাপন করা হয়। এতে একজন সমন্বয়কারী ও তিনজন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে এতে শুধু একজন সমন্বয়কারী আছেন।এখানে আশ্রয় পাওয়া কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, ওসিসির সমন্বয়কারী গাইনি বিশেষজ্ঞ মাহাবুব আরা নির্যাতিত নারীদের মানসিক নির্যাতন করেন। স্বেচ্ছায় অবৈধ মেলামেশা করেন—এটা প্রমাণ করার জন্য তাঁদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। দায়িত্বের মধ্যে না থাকলেও নারীদের এখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওসিসির আইনজীবী মেহেরুন্নেসা জানান, গত ১১ বছরে ওসিসিতে আসা নারীরা ৬০০ মামলা করেছেন। এর মধ্যে মাত্র ৩২টি মামলায় সাজা হয়েছে।গত আগস্টে গোদাগাড়ী উপজেলার মালকামলা মহাদেবপুর গ্রামের এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন। তিনি চিৎকার করলে ধর্ষক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। রাতেই তাঁকে গোদাগাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসার পর ১১ আগস্ট তাঁকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাত দিন চিকিৎসা নেন।ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ওসিসিতে তাঁকেই উল্টো অপমান করা হয়েছে। গরিব মানুষ বলে সত্য ঘটনা মিথ্যা বানিয়ে সনদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর সনদে লেখা হয়েছে, ‘জোরপূর্বক ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি’। এখন আসামিরা এসে উল্টো তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। এখন তাঁদের গ্রামে বাস করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।দুর্গাপুর উপজেলার এক গৃহবধূ গত বছরের ডিসেম্বরে ওসিসিতে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়ে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। তিনি দেহব্যবসা করেন বলে অপবাদ দেওয়া হয়।পুঠিয়া উপজেলার একজন গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন, ওসিসিতে তাঁকে ‘খারাপ’ মেয়ে বলে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তিনিই নাকি নিজের ইচ্ছায় খারাপ কাজ করেছেন। আবার সনদও এমন করে দেওয়া হয়েছে যে নির্যাতিত হয়েও তিনি মামলায় তা প্রমাণ করতে পারেননি। এই ঘটনা জানতে পেরে তাঁর স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন। এখন তিনটি সন্তান নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।গত আগস্টে এক নারী ওসিসির সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান জানান, যে মেয়েটি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ব্যাপারটা অতটা গুরুতর কিছু না। অন্য নারীদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এগুলো হয়তো পক্ষপাতমূলক অভিযোগ। তার পরও ওই মেয়েদের নাম-পরিচয় পেলে তিনি তদন্ত করে দেখবেন।ওসিসির সমন্বয়কারী মাহাবুব আরা জানান, অনেকেই মিথ্যা মামলা করে এখানে এসে ভর্তি হন। তাঁদের সত্য কথা বের করার জন্য অনেক সময় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু নারী আসেন, তাঁরা মিথ্যা মামলা করতে অভ্যস্ত। তাঁরাই বাইরে গিয়ে এ রকম কথা বলেন। তবে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা যে একেবারেই মিথ্যা, তা নয়। অনেক সময় হয়। অনেক নতুন সহকর্মী আছেন। তাঁরা প্রশিক্ষিত নন। তাঁদের নিয়েই আমাকে চলতে হয়। আর ধর্ষণের প্রমাণ না পেলে আমরা তো সনদ দেওয়ার সময় তা বলতে পারি না।’ সনদে অভ্যস্ত লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে এ রকম লেখা হতো। এখন এভাবে আর লিখতে না করে দেওয়া হয়েছে।পাবনার বেড়া উপজেলার বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে মানসম্মত বিজ্ঞানাগার নেই। এতে পুঁথিগত শিক্ষা কোনো রকমে আত্মস্থ হলেও, হাতেকলমে শিখতে না পেরে বিজ্ঞান শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ফলে এ বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনকে-দিন কমে আসছে। যারা পড়ছে, তারাও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এসে সামাল দিতে পারছে না চাপ।সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, এর মধ্যে অনেকগুলোতেই বিজ্ঞানাগার নেই। যেগুলোয় নামেমাত্র বিজ্ঞানাগার আছে, তাতে আবার নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। যেগুলোয় ছিল, তা-ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবহারিক বিষয়ের শিক্ষকসহ নানা সমস্যায় সারা বছরই তালাবদ্ধ থাকছে গবেষণাগার। শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢোকারও সুযোগ পায় না।১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে আজও বিজ্ঞানাগার হয়নি। অথচ এখানে নবম শ্রেণীতে ৮৭ ও দশম শ্রেণীতে ৬৩ জন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শাখায় পড়ালেখা করছে। প্রধান শিক্ষক মানিক হোসেন জানান, ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হলেও অর্থের অভাবে বিজ্ঞানাগার করা সম্ভব হয়নি। সরকারি অনুদান ছাড়া আপাতত বিজ্ঞানাগার করা সম্ভব নয়।১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বেড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭০০। এখানে দশম শ্রেণীর ১১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে পড়ছে ৩০ জন। নবম শ্রেণীর ১০৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে আছে ৩০ জন। এখানকার বিজ্ঞানাগারের অবস্থাও ভালো নয়। প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফ বলেন, ‘অর্থাভাবে বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি কেনা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শিক্ষাদান ব্যাহত হলেও আমরা তেমন কিছু করতে পারছি না।’খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের দুর্বল বিজ্ঞান শিক্ষার প্রভাব পড়ছে উচ্চমাধ্যমিক বা পরবর্তী পর্যায়ে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় চলে যাচ্ছে। বিজ্ঞান বিভাগে যারা পড়ছে, তুলনামূলকভাবে তারা অন্য বিভাগের চেয়ে খারাপ ফলাফল করছে। এবারের (২০১৩) এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে ১৫তম স্থান অর্জন করে বেড়ার আলহেরা একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞান বিভাগের ৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ জন। অথচ এসএসসিতে তাদের মধ্যে ৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অন্যদিকে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ছিল যথাক্রমে আট ও ছয়জন। এবারের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও আটজন।বেড়া মনজুর কাদের মহিলা কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিল মানবিকে তিন ও বিজ্ঞানে ১০ জন। তাদের মধ্যে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে মানবিকে আট ও বিজ্ঞানে মাত্র তিনজন।বেড়া আলহেরা একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের চেয়ে ভালো করছে।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ পর্যায়ের একজন বিজ্ঞানশিক্ষক জানান, বিজ্ঞানাগার ও যোগ্য শিক্ষকের অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভিত্তি দুর্বল থেকে যাচ্ছে। মুখস্থবিদ্যার ওপর ভর করে তারা এসএসসি পার হলেও কলেজ পর্যায়ে এসে সমস্যায় পড়ছে।বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শাহাদৎ হোসেন বিজ্ঞান শিক্ষার দুর্দশার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকদের বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। তা ছাড়া বিজ্ঞানাগার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।’খালেদ হোসাইনকাগজের বাঘকাগজের বাঘ, তুমি ভালোই তো হালুম-হুলুমকরছ, সঙ্গীও জুটিয়েছ মন্দ না। বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে রং, তার আগে যথেষ্টই হোক বন্দনা।কাগজের বাঘ, তুমি ভালোই তো পাকাচ্ছ চোখ!ভয় পাচ্ছে সমুদয় লোক। লেজের ঝাপট,না, বটে রয়েছে দাপট!লেজও যথেষ্ট লম্বা—ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক হবে। বাঘ নও, বাঘডাশা নও, কাগজের বাঘতুমিই তো যোগ্য প্রাণী আত্মমুগ্ধতার উৎসবে।শুধু বৃষ্টি এলে ধুয়ে যাবে দাগ।নরম বৃষ্টির জল পার হয়েখুঁজে পাওয়া যাবে না তোমাকে— আমরা তাকেও চিনি— কাগজে যে ভীষণ বাঘ আঁকে।সারাজাত সৌমস্থির কিংবা উড়ন্তআমি আর আরক মিশে গেছি রুপালি জলে—তোমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি যতদূর আকাশ দেখা যায় কিংবা ঝুলে থাকা তারা ও নক্ষত্রের পাখি—ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আহার এবং পিতলের উজ্জ্বল থালা ভাসমান পৃথিবীর বুকে। যেখানে একেকটা আরশি গেঁথে আছে অজস্র মাংস ও চামড়ার মধ্যে। ফুল আর ফলের ভেতর কীটের গুঞ্জন থেকে করোটি পর্যন্ত যে সকল সোনালি মাছ ছড়িয়ে দেয় বিষামৃত—তারই মধু ঝরে টুপটাপ—সারা রাত। সাঁকোর ওপর দাঁড়িয়ে এক পাগলা ট্রাফিক আমাকে দেখায় মধ্য রাতের পথ। অথচ আমিই ভণ্ড—ম্যাজিশিয়ান—শাপলার মতো ফুটে থাকা নাকফুল ছিঁড়ে চৌষট্টি ডানা তার ছড়িয়ে দিই শহরের রাস্তায় আর বিলবোর্ডে। তারপর যত বাসনার পাখি—পাখি আর পাখি—স্থির কিংবা উড়ন্ত যান...নিতুপূর্ণাপরিত্যক্ত বন্দরআমার শহর থেকে আরও এক লোডশেডিংয়ের আড়ালে রয়ে গেল আমার দীর্ঘনিঃশ্বাসেরা এখানে এখন শুধু ছোট ছোট দম ধরে থাকা।শীতলক্ষ্যার কালো জলে এখন-ই ভেঁপু তুলে চলে গেল জাহাজনাবিকের নাম জানি নাজানি, দূরত্ব কমানো কাজ তারবাংলাদেশের থেকে বহুদূর দেশেনিজেকে, পরিত্যক্ত বন্দর মনে হয়...তারেক সালাহ্উদ্দিনকিছুটা দূরত্বকিছু দূরত্ব অনতিক্রান্ত থাকতারও কিছু দূরে তুমি থাকো,আর সে সুদূরে থাক আমার ভালোবাসা।কিছুটা দূরত্ব তুমিই রেখেছসে দূরত্ব পেরোলে অভিমানে ভেঙেছ,আমি তাই কাছাকাছি নির্বাসিত।সুদূরে ছিলাম, আছি হয়তোজীবন নিয়ে আজীবন পথ চলাকিছুটা দূরত্ব ইচ্ছে করেই জয় না করা...
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার হাটবাজারের ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে একই পণ্যের জন্য একাধিকবার টোল আদায় করা হচ্ছে। আত্মীয় হওয়ায় মেয়র ইজারাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিয়মানুযায়ী ইজারাসংক্রান্ত পণ্যের মূল্যতালিকা শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙানোর কথা। কিন্তু একটি স্থানেও তালিকা টাঙানো হয়নি।ইজারাদারের প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন ফুলবাড়ী শাখা যমুনা সেতুর পূর্ব পাশ থেকে টোল আদায় করেন। তিনি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ এক বান্ডেল ঢেউটিনের জন্য ১৫-২০ টাকা, প্রতি মণ রড সাত-আট, প্রতি মণ ধান-চাল সাত-আট, প্রতিটি চেয়ার-টেবিল ৮-১০, রেফ্রিজারেটর ৫০-৬০ ও টেলিভিশন প্রতি সেটের জন্য ২৫-৩০ টাকা টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পৌরসভার টোল আদায়ের তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, প্রতি বান্ডেল ঢেউটিনের জন্য নয় টাকা আদায় করতে বলা হয়েছে। সেখানে চেয়ার-টেবিল, প্রতি মণ রড, রেফ্রিজারেটর ও টেলিভিশনের জন্য আলাদাভাবে টোল আদায়ের কথা বলা হয়নি।চকচকা গ্রামের আবু তাহের জানান, ৩২০ টাকার একটি কাঠের চৌকি (খাট) কেনার পর তাঁকে ৮০ টাকা টোল দিতে হয়েছে। লালপুর গ্রামের জব্বার মণ্ডল ও আবদুল খালেক বলেন, পৌর শহরের কাটিহার ব্রিজ এলাকা দিয়ে এক বান্ডেল ঢেউটিন কিনে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় ইজারাদারের লোকজন তাঁদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়েছেন।ফুলবাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এম এ কাইয়ুম বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি তাঁরা একাধিকবার মেয়রকে জানিয়েছেন। কিন্তু মেয়র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।হাট ইজারাদার মো. বুলবুল হোসেন বলেন, হাটের ইজারা আমার নামে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ইজারাদার হলেন মেয়রের মামাতো বোনের স্বামী জুলফিকার আলী ও মামাতো শ্যালক হুমায়ুন কবীর।জুলফিকার আলী দাবি করেন, তাঁরা এক পণ্যের জন্য দুবার টোল আদায় করছেন না। রাস্তার ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে টোল আদায় হওয়ায় তাঁরাও আদায় করছেন।মেয়র মানিক সরকার জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইজারাদারকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। শিগগিরই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে টোল আদায়ের তালিকা টাঙানো হবে। তিনি দাবি করেন, ইজারাদার জুলফিকার ও হুমায়ুন কবীর তাঁর আত্মীয় নন।কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাসউদের বিরুদ্ধে শতাব্দীপ্রাচীন একটি গাছের দুটি ডাল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, বাজিতপুর ডাকবাংলো মাঠের উত্তর পাশের বড় একটি রেইনট্রি গাছের দুটি বড় ডাল আবদুল্লাহ আল মাসউদ নিজ কাজে ব্যবহারের জন্য ১৮ অক্টোবর কাটিয়ে নিয়ে গেছেন; যার দাম প্রায় এক লাখ টাকা।বাজিতপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাদত আলী বলেন, ‘কালের সাক্ষী শত বছরের জীবন্ত গাছটির ডাল কেটে সহকারী কমিশনার আত্মসাৎ করেছেন। জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলীসহ চার সদস্যের গাছ কাটাসংক্রান্ত একটি কমিটি আছে। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছের দুটি মরা ডাল কেটেছি। ডালগুলো বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেব।’গাছের ডাল কাটার খবরে উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল জলিল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি কমিটির বিষয়ে কিছুই জানি না। সহকারী কমিশনার সরকারি কর্মকর্তা হয়ে একটি জীবন্ত গাছের ডাল কাটতে পারেন না।’উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নূরুন্নবী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি সত্য হলে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব।’পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা বন্দরের হক মার্কেটে গত রোববার শেষ রাতে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কেটের হিমেল কসমেটিকসের মালিক ঝন্টু জানান, দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে তালুকদার শাড়ির দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভান্ডারিয়া থানার ওসি মতিউর রহমান অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন।পিরোজপুর প্রতিনিধিনওগাঁর রানীনগরের বড়গাছা গ্রামের দীপক কুমার সরকার (৪০) বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে একটি ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। বেলা একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ভবিষ্যতেও ভালো করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বুধবার কেরানীগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলোর উদ্যোগে এবং মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সহায়তায় দেশব্যাপী এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার ডাকপাড়ায় পালকি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার শতাধিক কৃতীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবুল মিয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রথম আলো শুধু সংবাদই প্রকাশ করে না, তারা সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসে।চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস আলী বলেন, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে হবে। শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী নাজনীন আক্তারের বাবা হাজি মো. আবু হোসেন বলেন, প্রথম আলোর আয়োজনে আজকের সংবর্ধনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে ভবিষ্যতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি প্রথম আলোর এ সংবর্ধনা আয়োজনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই পত্রিকা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিল উচ্চবিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলে, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি করার জন্য প্রথম আলোর কাছে আমরা ঋণী হয়ে রইলাম। ভবিষ্যতে আমরা আরও শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করব।’অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার সদস্যরা। সঞ্চালনা করেন কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গান করে জিঞ্জিরা পীর মোহামঞ্চদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হক, মিলন সরকার প্রমুখ।২৮ সেপ্টেম্বর শনিবারদোহার ও নবাবগঞ্জস্থান: কলাকোপা কোকিলপ্যারী উচ্চবিদ্যালয়সময়: সকাল ১০টাআগামী সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনটি উদ্ধারে মরিয়া ১৮-দলীয় জোটের প্রধান দল বিএনপি। অন্যদিকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগ। জোটের প্রধান দুই দলের ১০ জন সম্ভাব্য প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা।১৪ দলের মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান সাংসদ গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন, এ আসনে প্রার্থী বদল করেও ফল অনুকূলে না আসায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বড় ব্যবধানে জনগণ নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে। আসন্ন নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হলে নৌকাকে আবারও জনগণ বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে বলে তিনি আশা করেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে সক্রিয় আছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফর রহমান, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রিটা কে আফজাল ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য স্বপন কুমার রায়।১৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক সাংসদ আবদুল মান্নান তালুকদার। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এবারও তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, রায়গঞ্জ-তাড়াশ এলাকার মানুষ আর ভুল করতে রাজি নন।এ ছাড়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জিকেএসের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি আয়নুল হক।রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিন্নাহ আল মাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় যে তিনজন প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে এক নম্বরে আছে বর্তমান সাংসদ গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদারের নাম। তাড়াশ উপজেলা ও সলঙ্গা থানা কমিটিও এভাবে নাম দিয়েছে বলে জানা যায়।রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘নেত্রী আমাদের সাবেক সাংসদ আবদুল মান্নান তালুকদারের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।’শীত পড়ছে। রাত বাড়লে শীতও বাড়ে। এমন রাতে অন্য সবাই ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমালেও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অনেক চাষিকে তাঁদের শীতের ফসল কপির খেতের কোনায় ছই বা পলিথিন দিয়ে ছোট ঘর বানিয়ে থাকতে হচ্ছে। চোরের উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষায় তাঁদের এভাবে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।চাষিরা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই চোরেরা কোনো না কোনো কপিখেতে হানা দিচ্ছে। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। এবার সবজির দাম বেশি হওয়ায় চুরিও বেশি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে চাষিরা তাঁদের কপিখেতে পাহারা বসিয়েছেন।চাষিরা জানান, বাজারে এবার প্রতিমণ ফুলকপি এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। আর ১০০ পাতাকপির দাম এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠছে। ভোরে বাজারে নেওয়ার জন্য আগের দিন বিকেলেই কপি গাছ থেকে কেটে, ডাল বাছাই করে খেতেই জড়ো করে রাখেন চাষিরা। রাতে সুযোগ বুঝে চোরেরা এসব কপি হাতিয়ে নেয়। আরেক ধরনের চোর রাতে একাধিক খেত থেকে কিছু কিছু করে কপি কেটে নিয়ে পরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের মোজামেঞ্চল হোসেন (৩৫) জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রথম দিকে সমস্যা না হলেও এখন দাম বাড়ায় চোরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। তাই কষ্টের ফসল চোরের হাত থেকে বাঁচাতে রাতে খেতের আলে বানানো ছইয়ের নিচে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, ‘এ রকম ছোটখাটো চুরির ঘটনা নিয়ে থানা পর্যন্ত কেউ আসে না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, ‘সবজির দাম বাড়লে এ রকম চুরি বেড়ে যায়। আমরা খেত থেকে সবজি চুরির এ রকম অনেক অভিযোগ পেয়েছি।’ভারতের গোয়া রাজ্যে প্রতিদিন অন্তত ছয়জন করে নাগরিক তাঁদের ভারতীয় জাতীয়তা পরিবর্তন করে পর্তুগিজ হন। ২০০৮ সাল থেকে এ হারে জাতীয়তা পরিবর্তনের কাজ চলছে। গোয়ার রাজধানী পানাজির নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।গোয়া রাজ্যটি ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল। এ কারণে সাবেক ঔপনিবেশিক শাসকেরা গোয়াবাসীর জন্য পর্তুগালের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি কিছুটা শিথিল রেখেছেন।গত বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ হাজার ৫০০ গোয়াবাসী পর্তুগালের পাসপোর্ট নিতে ভারতীয় পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছেন।নির্বাচন কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গোয়ার প্রায় ২,৭০০ ভোটার ভোটাধিকার হারিয়েছেন। কারণ, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮,৮০০ জনের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি পাসপোর্টধারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পিটিআই।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর এলাকার ধানখেত থেকে গতকাল বুধবার মতিন্দ্র নাথ রায় (৫০) নামের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বীরগঞ্জের ভাবকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন জানান, ওই শিক্ষকের মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগও নেই। তাই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।ওই শিক্ষকের স্ত্রী মায়া রানী রায় জানান, তাঁদের বাড়ি ভোগনগর ইউনিয়নের এলাইগাঁও গ্রামে। মতিন্দ্র নাথ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রাতে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি। পরে গতকাল সকাল সাতটার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির পাশের একটি ধানখেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেয়।ওই শিক্ষকের ভাই অজিত কুমার রায় জানান, মতিন্দ্র নাথ দীর্ঘদিন ধরে হূদেরাগে ভুগছিলেন। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার পর প্রায়ই তিনি ধানখেত দেখতে বের হতেন। তাঁদের ধারণা, ধানখেতে ঘুরে বেড়ানোর সময় হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।নাশকতার আশঙ্কায় হরতালের আগেই গতকাল শনিবার রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহনের মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতালের আগে ঢাকায় বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় গতকাল বেলা ১১টার পর থেকেই অনেকগুলো পরিবহনের মালিক তাঁদের ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। কারণ, রাজশাহী থেকে দুপুরে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছে হামলার শিকার হতে পারে। বেলা একটার পরের ট্রিপের জন্য যেসব বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, তা যাত্রীদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়েছে।রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকেও ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে রাজশাহী থেকে সর্বশেষ ন্যাশনাল পরিবহনের গাড়ি ছেড়ে যায়। ন্যাশনালের কাউন্টার মাস্টার মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকায় হামলার আশঙ্কায় বেলা ১১টার পর থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা শুরু হয়। তাই যাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে তাঁরা বিকেল পাঁচটায় সর্বশেষ গাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকায় হরতালের আগের দিন বিকেলে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। এ জন্য পরিবহনের মালিকেরা গাড়ি বের করতে সাহস করেন না।জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গত রোববার নুরনবী হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে মুফতে এক জোড়া জুতা বাগানোর চেষ্টা করে ধরা পড়েছেন। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার শালিক গ্রামের বাসিন্দা।পুলিশ জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় থানা মোড়ের ‘শাহিন খেলা ঘর’ দোকানে গিয়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বলে পরিচয় দিয়ে এক জোড়া জুতা কিনে পরে টাকা দেবেন বলে সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে দোকানির সন্দেহ হলে তিনি ঘটনাটি থানার এক পুলিশ সদস্যকে জানান। পুলিশ সদস্য ওই দোকানিকে জানান, ওই নামে কোনো উপপরিদর্শক নেই, থানায় নতুন কেউ যোগও দেননি। পরে দোকানি রেলস্টেশনে গিয়ে নুরনবীকে খুঁজে পান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন ওই দোকানি।শাহিন খেলা ঘরের কর্মচারী সোহেল রানা বলেন, ‘ওই লোক দোকানে এসে নিজেকে থানার এসআই মাহফুজ বলে পরিচয় দিয়ে ৮৫০ টাকার এক জোড়া জুতা নেন। পরে এই মাসের বেতন পেলে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। তাঁর মাথায় ছোট ছোট চুল দেখে প্রথমে পুলিশ বলেই ভেবেছিলাম। পরে সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ নিই।’এদিকে গতকাল সোমবার সকালে থানায় নুরনবী সাংবাদিকদের কাছে এ ধরনের কাজ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউস সাদিক জানান, নুরনবী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর বাজারের আল-আমিন তেলকলের তেল ভাঙানোর যন্ত্রে মাফলার পেঁচিয়ে গত বুধবার এক শ্রমিক মারা গেছেন। শীতল চন্দ্র দাস (৬৫) নামের ওই শ্রমিক পৌরসভার চৌকিরপাড় এলাকার বাসিন্দা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শীতল চন্দ্র ওই যন্ত্রের কাছে থাকা একটি পাত্র সরাতে যান। এ সময় তাঁর গলায় থাকা মাফলার যন্ত্রে আটকে তাঁর মৃত্যু হয়।বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আধা বেলা হরতাল ডাকা হয়েছে।এদিকে গতকাল বুধবার মিছিলের প্রস্তুতিকালে ডিসি হিল এলাকা থেকে দুজন এবং বহদ্দারহাট টার্মিনালের কাছে ককটেল ফাটানোর সময় জামায়াত-শিবিরের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুল করিম ও মোহাম্মদ হোসাইন। প্রথম দুজনের বাড়ি কক্সবাজার এবং হোসাইনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়।চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের (দক্ষিণ) প্রচার সম্পাদক এ জামিল গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমাদের ৩৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ওই হরতাল ডাকা হয়েছে। তাঁদের মুক্তি দিতে আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাই বেলা একটা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করেছি। মিরসরাই থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত এ হরতালের আওতায় থাকবে।’চট্টগ্রামের চন্দনপুরায় জামায়াতের কার্যালয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে শিবিরের ওই নেতা-কর্মীদের আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে একই দিন বিকেলে নগরের সিরাজদৌলা সড়কে ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ছাড়া আটক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে শিবিরের তরফে হরতালের হুমকি দেওয়া হয়।এদিকে এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত-শিবিরের ৬৬ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে গতকাল বুধবার তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নূরে আলম ভুঁইয়া তাঁদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান ওরফে আজগর, নুরুল আমিন ও সোহেল রানা। বাকি ৬৩ জনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিসি হিল এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমরা ৩০ জনকে আটক করি। পরে যাচাই-বাছাই করে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দিয়েছি। ওই দুজনের মধ্যে আনোয়ার হোসেন সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। আর মাহবুবুল জামায়াতের মিছিলে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছিলেন।’এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আজ আধা বেলা হরতাল ডেকেছে পৌর জামায়াত। উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা সামসুদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে।পৌর জামায়াতের আমির আফজাল হোসাইন হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা জামায়াতের আমির ও বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা সামসুদ্দিনকে রোববার কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে থেকে পুলিশ অহেতুক গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হরতাল ডাকা হয়েছে। হরতাল সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলবে।‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই নেত্রীর জেদাজেদির কারণে হামাগরক পেটত গামছা বান্দে দিন পার করা লাগবে। রিকশা না চালালে পেটত ভাত জোটে না। শোনোচি তিন দিন হরতাল হবে। গেল কাল দেশোত ৬ জন নাকি মচে। এই তিন দিনে আরও কয় জনে মরে কে জানে।’ হরতালের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকার রিকশাচালক সুকুমার রবিদাস এ মন্তব্য করেন।শুধু রিকশাচালকেরা নন, শহরের ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও হরতালের কারণে ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের ‘ঘড়ি ঘর’-এর ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জেদের কারণে দেশ কোন দিকে যাবে, কত প্রাণহানি ঘটবে, অর্থনীতির কতটা ক্ষতি হবে, তা বড় দুই দল ভেবে দেখছে না। মানুষ এই দুই দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বর এলাকায় লেপ-তোষক তৈরি করে বিক্রি করেন আবুল হোসেন। তিনি বলেন, শীত মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। এ মৌসুমেই তাঁদের কাজ বেড়ে যায়। তিন দিন হরতালের কারণে তাঁদের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরাও তিন দিন বেকার থাকবেন। দুই নেত্রী যেভাবে অনড় অবস্থানে রয়েছেন, তাতে দেশের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়বে।শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, যেভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটবে।জয়পুরহাট শহরের আমতলী এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক অমল চন্দ্র বলেন, এই অটোরিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চালান। তিন দিনের হরতালে তিনি অটোরিকশা চালাতে পারবেন না। ফলে তাঁর সংসারে দুর্ভোগ নেমে আসবে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষেরদুঃখ-দুর্দশার কথা বুঝলে দুজনেই দেশের শান্তির জন্য কাজ করতেন। তাঁদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে না, দেশে শান্তি হবে।বরগুনার তালতলী উপজেলার ইদুপাড়ায় কিশোরীকে যৌন হয়রানি ও কটূক্তি করার অভিযোগে গত রোববার রাতে উপজেলার নিদ্রার চর গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তির তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। আমতলীর ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে এ দণ্ডাদেশ দেন। তালতলী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, জহিরুল ইসলাম একজন কাঠমিস্ত্রি। তালতলীর ইদুপাড়ায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে ওই বাড়ির কিশোরীকে যৌন হয়রানি ও কটূক্তি করার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছিল।বরগুনা প্রতিনিধিআজকের বাসযাত্রাটি যে জুতসই হবে না, তা হাবভাবেই স্পষ্ট। একে তো জানালার পাশের বাঞ্ছিত সিটটি মেলেনি, তদুপরি ওই সিটে-বসা লোকটিও লক্ষ্মীছাড়ার একশেষ। খাপছাড়াই তো, বাস ছাড়তে যা দেরি, ছাড়ার পর থেকে লোকটা মোবাইলে অবিরাম বকবক করছে তো করছেই। একটু খেয়াল করতে বোঝা গেল, এ ঠিক অর্থহীন বকবকানি নয়, বরং মিষ্টি প্রেমালাপ। এবার উৎসুক হয়ে ওঠে আশিক, প্রাথমিক বিরক্তিও কিছু কমে। প্রেমালাপকারী লোকটির বয়স ৩২ কি ৩৪-এর ধার ঘেঁষে, এই বয়সে তাকে ঠিক তরতাজা যুবক বলা চলে কি? তবে লোকটার পোশাকে হাল ফ্যাশনের ছাপ আছে, নীল জিনসের প্যান্টের ওপর ছোট ঝুলের শার্ট, তার হাতের মোবাইল সেটটিও দামি ও সুদৃশ্য। অনুমান করা শক্ত নয়, সবই ঘটেছে প্রেমের প্রভাবে।প্রেমের প্রভাব রয়েছে লোকটা কণ্ঠস্বরেও। মোটেই খাটো স্বরে কথা বলছে না সে, বস্তুত তেমন চেষ্টাও নেই। এতে বোঝা যায়, পাঁড় প্রেমিক বটে; দিওয়ানা বলেই বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ফেলে কদাচিৎ মৃদু গলায়, বরং স্বাভাবিক স্বরেই কথা বলতে ব্যস্ত সে, ‘কী বললে, এখনো তুমি খাওয়াদাওয়া করোনি। না, না, এটা ভারি অন্যায়। প্লিজ...’আশিক এবার ঈষৎ বিরক্ত হয়, এসব ছেঁদো প্রেমের ডায়ালগ যদি টানা শুনে যেতে হয়, দফারফা হয়ে যাবে। আচ্ছা তেমন বয়স কি আর আছে যে এমন প্যানপ্যানানি ভালো লাগবে। গত বছর ৫০ পেরিয়েছে সে, এক বন্ধু উইশ করে জানিয়েছিল, ৫০ নাকি তেমন বয়স যখন মানুষ যিশু হয়ে যায়। সত্যি কি তা-ই? যিশু না ছাই, বড়জোর সেটা যিসাসের আবরণ হতে পারে। তবে তেমন আবরণেরও দরকার আছে, নইলে ঘর-সংসার চলবে কেন। মনের কারচুপি যেমনই থাক, সার্থক স্বামী হতে হলে, দায়িত্বশীল বাবা হতে হলে ওইটুকু আবরু লাগেই।বাসটি হঠাৎ নিয়মবিরুদ্ধ গতিতে জোরের ওপর একটা মোড় বাঁক নিচ্ছে। সেটা দেখে বাসের যাত্রীসব হইচই করে উঠলেও আশিক তাতে যোগ দিতে পারে না। পারবে কী করে? তেমন পরিস্থিতি বেহায়া প্রেমিকটি রাখেনি, কানের কাছে এত সব মিঠে গুজুরগাজুর চললে অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ার ফুরসত কোথায়। প্রমাদ গোনে আশিক। গন্তব্যস্থল এখনো পাঁচ ঘণ্টার পথ, পথে জ্যাম থাকলে, তা সাত ঘণ্টারও হতে পারে। এত দীর্ঘ সময়কাল লোকটি যদি এভাবেই ড্যাম কেয়ার চালিয়ে যায়, তবেই হয়েছে।যেমনটি ভাবা গিয়েছিল, বাস্তবে ঘটছেও তেমন। লোকটা ম্যারাথন কথালাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আশিকের তখন ভিন্ন ভাবনা এল, না হয় বুঝলাম লোকটা খেপেছে, কিন্তু ওপাশের মেয়েটি তো ক্ষান্ত দিতে পারে। না, তেমন লক্ষণ নেই। এমনও হতে পারে, ওপর প্রান্তের মেয়েটি আরেক কাঠি সরেস, সে-ই সব কলকাঠি নাড়াচ্ছে। ভাগ্যিস তখন আশিকের নিজের ফোনটি বেজে উঠল, বউয়ের সঙ্গে দুটো কথা বলার সুযোগ তৈরি হতে চাপা অসন্তোষ কিছু কমে। কিন্তু বউ তো আর প্রেমিকা নয় যে সেও একটানা চোপা চালিয়ে যাবে; গুটিকয় সাংসারিক কথা, তাই দ্রুত ফুরিয়ে যায়।যা-ই হোক, এর পরের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। বাসটি একটি হাইওয়ে হোটেলের লনে এসে ঢুকছে, ১৫ মিনিটের যাত্রাবিরতি। হোটেলে ঢুকে প্রথমে আশিক যা করে, বেসিনের পানিতে আচ্ছামতো মুখটা ধুয়ে নেয়, ভাবখানা যেন এতক্ষণের চেপে-রাখা বিতৃষ্ণা ঝেড়ে ফেলবে। তেমনটা করতে কড়া লিকারের একটা চা নিতেও ভুল করে না। তেতো দিয়ে তেতো কাটানো আর কি।১৫ মিনিটের বিরতি তাড়াতাড়িই শেষ হয়। তার মানে, আবার বাসে উঠে সেই প্রেমিক-প্রবরের পাশে গিয়ে বসা আর পানসে আলাপে তেতো হওয়া। না, দ্বিতীয় অংশের যাত্রাটি বরং বিস্ময়ে ভরা। বাসটি কিছুদূর যেতে সহযাত্রীর মধ্যে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এল। অনেকক্ষণ ধরেই লোকটার মুখে কোনো কথা নেই, যদিও যথারীতি কানের কাছে মোবাইল সেটটি ধরা, বদলে লোকটা ফোঁপাচ্ছে। চমকে উঠল আশিক, আজব ব্যাপারই বটে, এভাবে কোনো পুরুষকে স্বচক্ষে কাঁদতে দেখা এই প্রথম। শুধু কি তা-ই, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোকটি অবিশ্রান্ত কেঁদেই যাচ্ছে। এ সময় তার এমনও ভয় হয়, লোকটার ফোঁপানি যদি একবার হাউমাউ কান্নায় চড়ে যায়, তবে গোটা বাসেই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যাবে। ভাগ্য ভালো, সেদিকে লোকটি যাচ্ছে না, ফোঁপানিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। তবে কি ওপাশের মেয়েটি এমন কিছু বলেছে, যা তাকে সাংঘাতিক চোট দিয়েছে? যদি তেমন কিছু হয়, তাহলে বুঝতে হবে, মেয়েটি অসম্ভব বদ। এমন নিবেদিতপ্রাণ লোকটিকে শক্ত ধরনের চোট দেওয়া মেয়েটির মোটেই উচিত হয়নি। আশিক একটু আর্দ্র হয়ে যায়, লোকটির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়ে।তবে যা ভাবা গিয়েছিল, তেমনটা নয়। অচিরেই আশিকের ভুল ভাঙে লোকটা কণ্ঠস্বর ফের সচল হওয়ায়, ‘জানো, তোমার কথাই কেবল মনে পড়ছে। তোমাদের বাসায় কত গিয়েছি, তুমি কত যত্ন করে খাইয়েছ—সেসবই মনে দাগ কাটছে, চোখে জল আনছে...।’ এর পরের বাক্যসমষ্টি শোনা গেল না ওভারটেকিং করা দ্রুতগামী একটা বাসের বিকট হর্নের আওয়াজে। তাতে অবশ্য অসুবিধা নেই, পরবর্তী সংলাপসমষ্টি না শুনেও বাকিটুকু গড়গড় করে বলে দিতে পারবে আশিক। কেননা, তাদের ব্যাকালাপের ধরনটি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য হয়ে গেছে। তা ছাড়া এসব সংলাপবিনিময় প্রায়ই এমন স্টেরিওটাইপেরই হয়। বাংলা সিনেমা আর বটতলার উপন্যাসের বদৌলতে এসব আর অবিদিত নয়। তবে এখানে যেটা নতুন, তা ওই সাবালক ধেড়ে লোকটার ভেউ ভেউ করে না হলেও ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠা। চোখের জলের ওপর মেয়েদের একচেটিয়া রাজত্ব যেখানে প্রতিষ্ঠিত সত্য, সেখানে এই লোকটার কান্নাকাটি প্রকারান্তরে অনধিকারচর্চারই শামিল। তার পরও লোকটির ওপর বিরাগ পোষণ করতে পারছে না আশিক। হয়তো এটাও প্রেমের প্রতি সর্বজনীন পক্ষপাতের প্রভাব।কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিল আশিক, এর মধ্যে লম্বা পথই পাড়ি দেওয়া হয়ে গেছে। জেগে উঠে দেখে একটা বাজার, বাজারটি পার হচ্ছিল বাস। কিন্তু গন্তব্য এখনো বহুদূর। তার অর্থ, পাশের লোকটাকে অকাতরে সহ্য করে যাওয়া। লোকটা পারেও বটে, পুটুরপাটুর করেই যাচ্ছে। না, এবার যেন একটু অন্য রকম কথা, গানের প্রসঙ্গ এসেছে, মোবাইল ফোনটি বাঁ কান থেকে সরিয়ে এনে ডান কানে রেখে নিবিষ্ট লোকটি জুত হয়ে বসল, ‘এখন কী মনে হচ্ছে, বলব লক্ষ্মীটি? না, না, একদম হাসবে না। দিলের কসম, তুমি ওই গানটা গাও না সোনা, ওই যে হিন্দি গানটা, কিশোর কুমারের বিখ্যাত গানটা, “চালতে চালতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না...”’ বলতে বলতে লোকটা নিজেই কিশোর কুমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো, ‘চালতে চালতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না/ কাভি আলবিদানা কেহে না...’বলে কী লোকটা, আড়চোখে তাকিয়ে আশিক হাঁ হয়ে গেল। তাজ্জবই তো, গানটির ব্যাপারে লোকটার সঙ্গে তার পছন্দ এবার এক হয়ে গেল যে! আর সেটাই আশ্চর্যের। কেননা, গানটি তার কলেজজীবনের একটা সুপার হিট গান। সেই হিসেবে লোকটার যা বয়স, তাতে তো ওই সময় লোকটা নিতান্ত বালকই ছিল। বালকবেলায় তো তেমন ব্যাপার থাকে না, যা যৌবনে থাকে। গানটির প্রসঙ্গ এক ধাক্কায় তাকে যেন সেই প্রথম যৌবনের দিনগুলোয় নিয়ে গেল, আর তাতে তার পঞ্চাশোর্ধ্ব মুখে এঁটে থাকা যিশুর মুখোশটি টুটে যাওয়ার জোগাড়। এর ফলে আরেক ঘটনা ঘটে, পার্শ্ববর্তী লোকটার প্রেম-পিরিতি নিয়ে এতক্ষণ যে একটা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ভাব ছিল, তা খসে পড়ে। পরন্তু সে-ই এখন জব্দ হয়ে যাচ্ছে, কালের ধুলো আচমকা সরে গেলে বুঝি এমনই হয়। কোথায় যেন পড়েছিল, হ্যাঁ অমিয়ভূষণে পড়েছিল, মেয়েরা আদুরে গলায় ডাকলে রুপালি শোনায়। আসলে তেমন মিষ্টিমধুর কণ্ঠই ছিল রীনার। দ্যাখো কাণ্ডকারখানা, এত দিন বাদে তার প্রথম যৌবনের সত্তা কিনা জেগে উঠছে! রেলওয়ে কলোনির দিনগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকলে রীনার মুখচ্ছবি ভেসে ওঠেই। এই মধ্যবয়সে এসে রীনাকে পাশ কাটানো সহজ হলেও, তখন, ওই বয়ঃসন্ধিকালে তা একেবারেই সহজ ছিল না। ভালো ছাত্র ছিল বলেই বুঝি এমন হতো, তার চোখে পড়ার জন্য মেয়েটির তৎপরতার শেষ ছিল না। স্বীকার করতে বাধা নেই, মেয়েটির গলায় আলোচ্য হিন্দি গানটি রুপালিই শোনাত, প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আকুতিই ঝরে পড়ত রীনার কণ্ঠমাধুর্যে। কিন্তু ওই ভালো ছাত্র থাকার অহংকার বলে কথা, তখনকার হালচাল তো তেমনই ছিল, ভালো ছাত্ররা মুখ গুঁজে কেবল বই পড়বে, ভুলক্রমেও মেয়েদের দিকে তাকাবে না—সামাজিক ওই মরালিটির ফাঁদে পড়ে মেয়েটিকে শুধু নিরাশই করে গেছে সে। আজ অবশ্য বুঝতে পারে, সমাজ-আরোপিত মরালিটির অধিকাংশই কৃত্রিম, অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা ঢালও বটে। সুতরাং কৃত্রিমতাকে অতটা মান্যতা দেওয়ার মধ্যে কিছু ছিল না, গরিমা তো নয়ই। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ খেয়াল হলো, অনেকটা সময় ধরে সে কেবল এসবই ভাবছে। এভাবে লঘুচিত্ততা পেয়ে বসায় একটু শরমিন্দাই হলো যেন বা। শরমরাঙা হয়ে প্রথমে তেরচা চোখে, পরে সরাসরিই সে তাকাল সহযাত্রীর পানে। আরে ব্যস, আজব ব্যাপার তো, প্রেমিকশিরোমণি লোকটা দেখছি নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। কখন ঘুমিয়ে পড়ল এভাবে, এ কি তবে নিরবচ্ছিন্ন কথা বলার ক্লান্তির ফল, কে জানে!তবে কৌতুকের কথা এই, লোকটা যখন প্রেমালাপ থামিয়ে অঘোরে ঘুমিয়ে নিচ্ছে, তখন কিনা তেমন ভাবনাই পেয়ে বসেছে তাকে। আশিক তার সুখদায়িকা ভাবনায় ডুবে গেল ফের। কথাটা লঘুচিত্ততাই, কিন্তু তা অকৃত্রিম গভীর আবেগকেই প্রকাশ করে। ফলে সেটি কোমল প্রার্থনার মতো হতে পারে, এমনকি তা এই পঞ্চাশোত্তীর্ণ যিশু সাজার বয়সেও!
আদালত অবমাননার অভিযোগে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল বুধবার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনের শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য প্রচারিত হওয়ায় তিনি চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী পরিচালক, অনুষ্ঠানপ্রধান, ‘মুক্তবাক’ নামক টক শোর প্রযোজক, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার আরজি জানান। ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় ওই টক শো প্রচারিত হয়।শুনানিতে জেয়াদ-আল-মালুম বলেন, সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষীর সংখ্যা ট্রাইব্যুনাল পাঁচজন নির্ধারণ করে দেন। আসামিপক্ষের এই পাঁচ সাক্ষীর মধ্যে বিচারপতি শামীম হাসনাইন কেন সাক্ষ্য দিতে পারেননি, সেটাও ট্রাইব্যুনাল আদেশের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। তার পরও এ বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মন্তব্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি—মাহফুজউল্লাহর এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল ও এর বিচারিক প্রক্রিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিরোধীদলীয় নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা উসকানিমূলক এবং অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতারা। গতকাল শনিবার পৃথক বৃিবতিতে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টানা তিন দিনের হরতাল ঘোষণা ও বর্তমান সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদেশ পালন না করার যে নির্দেশ তিনি দিয়েছেন তা উসকানিমূলক, অসাংবিধানিক। এ ছাড়া খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে কৌশলে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে রাজবন্দীদের মুক্তিদানের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।বিবৃতিতে বলা হয়, যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন এবং ষোলই ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে একই মঞ্চে ভাষণ দিয়ে বিএনপির নেত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহ্য নষ্ট করেছেন।সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউদ্দিন তারেক আলী এবং সদস্যসচিব নুর মোহাম্মদ তালুকদার এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ ছাড়া সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন সভাপতি অজয় রায় ও সাধারণ সম্পাদক তবারক হুসেইন। উভয় বিবৃতিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আসার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে তিন ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ড্রেজার চালকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও রাজ্জাকুল ইসলাম গতকাল সোমবার তাঁদের এই দণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ব্যবসায়ী আলেক উদ্দিন, জহির উদ্দিন, হোসেন আলী ও ড্রেজারচালক এরশাদ আলী।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন ঘাটে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইউএনও পুলিশকে নিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার নবগঙ্গা ঘাটে অভিযানের সময় বালু ব্যবসায়ীরা তাঁদের সরঞ্জাম ফেলে পালিয়ে যান। পরে আদালতের নির্দেশে ওই স্থান থেকে জব্দ করা তিনটি ড্রেজার ধ্বংস করা হয়। পরে সেখান থেকে উপজেলার সোনাইকান্দি ঘাটে এসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন বালু ব্যবসায়ী ও এক ড্রেজার চালককে হাতেনাতে আটক করে আদালত ওই দণ্ড দেন।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সম্পদের পরিমাণ বেশ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে তাঁর প্রায় ১৪৪ কোটি রুপির সম্পদ বেড়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমান পার্লামেন্টের গুটিকয়েক সদস্যের সঙ্গে শতকোটি রুপির সম্পদশালীর তালিকায় নাম লেখালেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি পার্লামেন্ট সদস্যদের ২০১২-১৩ সালের সম্পদ ও দায়দেনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ বর্তমানে ১৭১ কোটি রুপির সম্পদের মালিক। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ১৬ লাখ রুপির। মে মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নিজের এই সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন নওয়াজ।আগে থেকেই ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত নওয়াজ বর্তমানে তাঁর দেওয়া সম্পদের হিসাবে উল্লেখ করেন, লাহোর ও শেখুপুরায় তাঁর ছয়টি কৃষিভিত্তিক সম্পত্তির মূল্যমান ১০৮ কোটি রুপি। এর মধ্যে লাহোরে একটি বাড়িও আছে। এই বাড়ির দাম ২৫ কোটি রুপি। নওয়াজের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজের নামে থাকা একটি বাড়ির মূল্য ১০ কোটি রুপি। কুলসুমের ঋণ রয়েছে ১৭ লাখ রুপির।প্রধানমন্ত্রী তাঁর হিসাবে আরও উল্লেখ করেন, তিনি আব্বাস অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক। ১০ হাজার রুপি পুঁজি নিয়ে ওই ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির ওই পুঁজি অপরিবর্তিত আছে। এর ঋণ দেখানো হয়েছে ৮৪ হাজার ৪৮৫ রুপি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে নয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তিন কোটি ৩০ লাখ রুপি মূল্যের শেয়ার রয়েছে। এর বাইরে ছেলে হুসেইন নওয়াজের কাছ থেকে ১৯ কোটি ৭৪ লাখ রুপির সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়েছেন তিনি।নিজের গাড়ির হিসাব দিতে গিয়ে নওয়াজ বলেছেন, তাঁর দুটি মার্সিডিজ ও একটি ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রী ও তাঁর নিজের নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি ৪০ লাখ রুপি রয়েছে। ডন।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন অবশেষে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরুণাংশু দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী প্রমুখ। সভায় নারগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরেকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ধিত সভা করে মন্ত্রী আমাদের কথা শুনলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ অনেক আগেই কেটে যেত।’পানিসম্পদমন্ত্রী অতীতের ভুলগুলো মনে না রেখে দলের জন্য কাজ করে যেতে সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অক্টোবর মাস থেকে মতবিনিময় করে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।আরুণাংশু দত্ত জানান, সভার সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দলের কাজকর্মে উৎসাহিত করবে।নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচিকে সমর্থন দেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। চারদলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করে মহাজোটে যোগ দেওয়া দলটি গতকাল শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছে।গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলাফতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।প্রয়াত শায়খুল হাদিস আজিজুল হক খেলাফতে মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগ পাঁচ দফা চুক্তি বাতিল করার পর দলটি আর কোনো জোটে যায়নি।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সরকার দাবি করছে উন্নয়নের কারণে জনগণ তাদের আবার ক্ষমতায় আনবে। এতই যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে এত ভয় কেন? ১৯৯৬ সালেও দেশে একটি সরকার ও একটি সংবিধান ছিল। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ সেই সরকার ও সংবিধানের অধীনে যায়নি। তাদের আন্দোলনের মুখেই বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।’সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফতের নায়েবে আমির ও শায়খুল হাদিসের ছেলে মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব তাফাজ্জল হক আজিজ, কেন্দ্রীয় নেতা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, আবু সাঈদ নোমান প্রমুখ।বগুড়ার শেরপুর থানায় আটক এক মাদক বিক্রেতাকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে এসে মো. আলামিন (৩২) নামের এক যুবক গত রোববার নিজেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এমন ঘটনায় আর তদবির করবেন না বলে অঙ্গীকার করে মুক্তি পান তিনি।শেরপুর থানার এএসআই রুহুল আমীন বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরে মাদকদ্রব্যবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় শহরের উত্তর সাহাপাড়া থেকে বাবু মহন্তকে (২৪) এক গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বাবুর বিরুদ্ধে রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। কিন্তু পরদিন রোববার দুপুর ১২টায় একই পাড়ার আলামিন আটক বাবুকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবির নিয়ে এলে পুলিশ তাঁকেও আটক করে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী বলেন, এটাও একধরনের সামাজিক শাসন। তবে ওই যুবক তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন।পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। জাতীয় পরিষদের ২০৪ নম্বর আসনের সদস্য পিপিপির আয়াজ সুমরো পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যম গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়ালকে সুযোগ করে দিতে আয়াজ সুমরো এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। আয়াজ তাঁর পদত্যাগপত্র সিন্ধু প্রদেশের দলীয় নেতাদের কাছে জমা দিয়েছেন। জাতীয় পরিষদের এ শূন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন বিলাওয়াল।  চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ২৫ বছরে পা দেওয়ায় বিলাওয়াল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আইনি যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পিপিপির সিনেটর ফারহাতুল্লাহ বাবর গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, বিলাওয়াল ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডে পড়াশোনা করতে চান বলে এ সরকারের আমলে কোনো উপনির্বাচনে অংশ নেবেন না। ডন।
দলে জায়গাটা তো নিয়েছেন আগেই। এবার কাকার বাড়িটাও নিয়ে নিলেন গ্যারেথ বেল! একেবারে নয় অবশ্য, ভাড়ায়। রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর মাদ্রিদের লা ফিঞ্চায় এই আলিশান বাড়িটি কাকা কিনেছিলেন ৭২ লাখ ইউরোতে (প্রায় ৭৫ কোটি টাকা)। কিছুদিন আগে ব্রাজিল প্লে-মেকার এসি মিলানে চলে যাওয়ায় সেই বাড়ি এখন ফাঁকা। থাকার জন্য একটা পছন্দসই বাড়ি খুঁজছিলেন বেলও। ব্যস, দুয়ে দুয়ে চার মিলে গেল। দেড় হাজার বর্গমিটারের বাড়িটির জন্য বেলকে মাসে ভাড়া গুনতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে বারো লাখ। তাতে কী! রোনালদো, রামোস আর ক্যাসিয়াসের মতো প্রতিবেশী পাওয়ার জন্য এটুকু তো খরচ করাই যায়। ওয়েবসাইট।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনের ব্যবস্থাপনায় রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার বিকেলে পদ্মা অঞ্চলের অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী খেলায় বগুড়া জেলা ১-০ গোলে হারিয়েছে নওগাঁ জেলাকে। এ প্রতিযোগিতায় ছয়টি জেলা অংশগ্রহণ করছে। বেলা তিনটায় এর উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ।রাজশাহীর জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্সে গতকাল ইন্টারন্যাশনাল জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের বালক একক ও দ্বৈতের ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। সকালে বালক এককের ফাইনালে যুক্তরাজ্যের সামায়েল চৌধুরী সিরিয়ার কারিম আলাফকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন। বিকেলে বালক দ্বৈতের ফাইনালে কারিম-সামায়েল জুটি কাজাখস্তানের ঝাসুলতান চেম্বতায়েভ ও বলেট মামইর জুটিকে হারিয়ে জয়ী হন।লালগালিচা বিছানো সুড়ঙ্গ পথ বেয়ে ঢুকতেই চোখে ধাঁধা লাগে। সামনে দুগ্ধ ফেনিল শয্যায় শুয়ে স্বর্ণকেশী। বিছানা ঘুরছে। সঙ্গে ঘুরছে বন্ড-কন্যার সোনালি শরীর। কাছে ঘেঁষতেই শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে যায়। প্রাণ নেই বন্ড-কন্যার দেহে! জেমস বন্ড ভক্তদের কি মনে পড়ছে সব? গোল্ড ফিঙ্গার ছবির দুনিয়া কাঁপানো সেই দৃশ্যই চোখের সামনে!বন্ড-কন্যা জিল মাস্টারসনের বেশে অভিনেত্রী শার্লি ইটনের সোনার প্রলেপ দেওয়া শরীর হুলুস্থুল ফেলে দেয় বিশ্বজোড়া। শন কনারি অভিনীত গোল্ড ফিঙ্গার বন্ড সিরিজের প্রথম ছবি হিসেবে জেতে অস্কার। সেই ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সোনার তৈরি জিনিসপত্রের কদর আকাশছোঁয়া। ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে মুক্তি পাওয়া ডক্টর নো থেকে হালের স্কাইফল। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের গড়া চির নবীন সেই ইংরেজ গুপ্তচরের কীর্তি এভাবেই রুপালি পর্দার সীমানা পেরিয়েছে বারবার। বিশ্বের সফলতম এই চলচ্চিত্র সিরিজ ছায়া ফেলেছে তাবৎ দুনিয়ার ফ্যাশন, ডিজাইন আর প্রযুক্তি ভাবনাতেও। ৫০ বছরের অভিযাত্রায় জেমস বন্ড হয়ে উঠেছেন এক মহা খ্যাতিমান ‘আইকন’। অর্ধশত বছরের এই সফরের অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে আছে হাজারো মানুষের সৃজনশীল ভাবনা আর ঘাম। ‘ডিজাইনিং ০০৭: ফিফটি ইয়াস অব বন্ড স্টাইল’ প্রদর্শনী সেই উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ারই উদ্যাপন।৩ ডিসেম্বর, ২০১৩। মেলবোর্নে ভোর—প্রথম আলো। সবে মাটি ছুঁয়েছে এয়ারবাস এ৩৩০। ঘুমহীন চোখ ডাউন আন্ডারের দিশা খুঁজছে। এর মধ্যেই কানে বাজল ঘোষণা , ‘ডিজাইনিং ০০৭ প্রদর্শনী চলছে মেলবোর্ন মিউজিয়ামে।’ তারপর মেলবোর্ন নামের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাসযোগ্য শহরের আগপাশতলা অনুমান করতে ঝড়ের মতো দুটো দিন। ফেডারেশন স্কয়ার থেকে সাইদার্ন ক্রস—সবখানেই ‘ডিজাইনিং ০০৭’ প্রচারণা। শেষমেশ ২৪ ডলারের টিকিট কিনে বন্ড ভুবনে পা।সোনার প্রলেপে মোড়া বন্ড-কন্যাকে পেরিয়ে যেতেই ‘দ্য নেম ইজ বন্ড। জেমস বন্ড।’ শন কনারির সেই চিরচেনা কণ্ঠ। পরের ঘরে বসেছে জমজমাট তাসের আসর! চলছে জেমস বন্ড ছবির যাবতীয় ক্যাসিনো দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন। বন্ডের খ্যাতিমান সব চরিত্র সেখানে হাজির, মূর্তিমান! পুরুষদের হাতে তাস। নারীরা ভুবনমোহিনী রূপে অপেক্ষমাণ। পেছনে বড় পর্দায় চলছে বন্ড মুভির সেসব সিক্যুয়েন্স। আরেক বন্ড ভুবন বললে কম বলা হয়।হুইল চেয়ারে চেপে গবেষণাগারে ঢুকেছে প্রবীণ কিউ। একটা পা ফুলে ঢোল। প্লাস্টার করা পা দেখে কিউকে মজা করে কিছু একটা বলল বন্ড। চোখের পলক ফেলার আগেই সেই প্লাস্টার করা পা রূপ নিল রীতিমতো রকেট লঞ্চারে। বন্ডের চোখ চড়কগাছ!কিউ তার উদ্ভাবনী জাদু দিয়ে এ রকম হরহামেশা তাজ্জব বানিয়েছে খোদ জেমস বন্ডকে। ‘কিউ’ ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান। বন্ডের বড় শক্তি তার অভাবনীয় প্রযুক্তি। উভচর যান, ছদ্মবেশী সশস্ত্র ব্রিফকেস থেকে ঝাড়ু রেডিও—বন্ডের আশ্চর্য সব প্রযুক্তির সিংহভাগ কিউরই অবদান। মোট ২০টি বন্ড ছবিতে দেখা গেছে কিউকে। ছবিতে ব্যবহূত কিউর সেসব যন্ত্রপাতি মজুত রাখা হয়েছে একটি কক্ষে। পাশেই চলছে ছবিতে সেসব যন্ত্রের কেরামতি প্রদর্শন। আস্ত গাড়ি নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে বন্ড। সাগরতলে গিয়ে সেই গাড়িই রূপ নিয়েছে দ্রুতগতির জলযানে।বন্ড ভুবনের এসব যন্ত্রপাতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে বাস্তব দুনিয়াকেও।ঝা-চকচকে সত্যিকার একটা অ্যাশটন মার্টিন ডিবিফাইভ অপেক্ষমাণ। পেছনেই ছবির সেই দৃশ্য। নয়নাভিরাম সুইস আল্পসের পাদদেশে অ্যাশটন মার্টিন গাড়ির বাম্পার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে শন কনারি। পরনে কনডুইট কাট স্যুট। গাড়ি জেমস বন্ডের আরেক বিলাসের নাম। অ্যাশটন মার্টিন বন্ডের প্রিয় বাহন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সেই শুরুতেই।ডিজাইনার অ্যান্টনি সিনক্লেয়ারের কনডুইট স্যুটকেই বন্ডের পরিধেয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক টেরেন্স ইয়াং। ডক্টর নো ছবিতে শন কনারির গায়ে ওঠার পর থেকেই দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়ে যায় এই কনডুইট কাট স্যুটের স্টাইল।পরনে বিকিনি। হাতে শঙ্খ শামুক। গাইতে গাইতে সাগর থেকে উঠে আসছে হানি রাইডার (উরসুলা আন্দ্রেজ)। ডক্টর নো ছবিতে প্রথম বন্ড-কন্যার সেই অবিস্মরণীয় আবির্ভাব ছায়া ফেলেছে ভবিষ্যতের বহু ছবিতে এবং সৈকত পোশাকের ডিজাইনেও। উরসুলা আন্দ্রেজ ও হেলি বেরিকে প্রদর্শনীতে পাওয়া গেল পাশাপাশি। সৈকত পোশাকের অংশে। পাশে ছবিতে ব্যবহূত তাদের পোশাকও মজুত।ডিজাইনিং ০০৭ প্রদর্শনী এর আগে ঘুরে এসেছে বন্ডের জন্মভূমি ব্রিটেন। ক্যাসিনো থেকে বরফ-দুনিয়া, কিউর গবেষণাগার, কিংবা বন্ড ভিলেনদের কক্ষ। বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীর সব ঘরই বন্ড থিমে তৈরি। মোট ৪০০ বন্ড সামগ্রীর এই প্রদর্শনী থেকে বেরিয়ে আসার পর খানিকটা তাজ্জব লাগে। বন্ড ঘোর পুরোপুরি কাটে না। বন্ড স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিংই কি কখনো ভাবতে পেরেছিলেন, তাঁর কল্পনার একটিমাত্র চরিত্র বছরের পর বছর ধরে এমনভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করবে গোটা দুনিয়াকে! হয়তো ভেবেছিলেন। কারণ, দ্য নেম ইজ বন্ড—জেমস বন্ড।
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার শেষ সাক্ষী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেছেন।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় নিজামী হাজির ছিলেন।জবানবন্দিতে রাষ্ট্রপক্ষের শেষ ও ২৬তম সাক্ষী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুর রাজ্জাক খান (৫৯) বলেন, ২০১০ সালের ২১ জুলাই তিনি এই মামলার তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে কবে, কোথায় সাক্ষীদের পরীক্ষা করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন, সেসব তারিখ তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। তদন্তের স্বার্থে তিনি যেসব বই জব্দ করেছেন, সেগুলোর নাম ও জব্দ করার তারিখ উল্লেখ করেন। জবানবন্দি অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।গত বছরের ২৮ মে ট্রাইব্যুনাল নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ গঠন করেন। গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।দেশব্যাপী ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) পেশাজীবী তৈরির জন্য কাজ করবে ব্র্যাক এবংবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। একটি প্রকল্পের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতের পেশাজীবী তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্প মেয়াদে এবং প্রকল্পভিত্তিক ব্যাংকঋণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যাপারেও প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ করবে। ২৩ অক্টোবর ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বেসিসের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করে এসব বিষয়ে আলোচনা করে। দলনেতা বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) পেশাজীবী তৈরি এবং ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার কথা তুলে ধরেন। এ সময় বেসিসের  সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। —বিজ্ঞপ্তিপঞ্চগড় জেলায় বাফার গুদাম ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় ডিলার ও ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে সার আনতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। এ কারণে জেলার কৃষকেরা সময়মতো সার পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।জেলার সার ডিলার ও ব্যবসায়ীরা পঞ্চগড়ে বাফার গুদাম ও বিসিআইসির ব্যাংক হিসাব খোলার দাবি জানিয়ে বিসিআইসি, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সাংসদ, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) কেন্দ্র্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাঁদের সে দাবি পূরণ হয়নি।বিএফএ পঞ্চগড় জেলা ইউনিটের সভাপতি মো. আবদুল হান্নান শেখ সার ডিলার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত আবেদনে বলেন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার সার ডিলার ও ব্যবসায়ীদের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার শিবগঞ্জ বাজার বাফার গুদাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে পঞ্চগড় জেলার ডিলারদের জন্য সার উত্তোলন ও আনা-নেওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়।আবদুল হান্নান শেখ বলেন, ‘পঞ্চগড় জেলার ডিলাররা শিবগঞ্জ বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করতে চান না। কৃষকেরাও এই সার কিনতে চান না। কারণ, উত্তোলনকৃত চায়না চিকন ও মোটা দানার সারের বস্তাগুলোর ৮০ ভাগই ওজনে কম, ছেঁড়া, ফাটা বস্তা এবং জমাট বাঁধা হলুদ ও ময়লা প্রকৃতির হয়। উত্তোলনকৃত প্রায় এক হাজার ১০০ মেট্রিক টন সার আমার গুদামেও অবিক্রীত অবস্থায় মজুত আছে। এ ছাড়া শিবগঞ্জ সার উত্তোলন করে ট্রাকের সিরিয়াল পেতে দু-তিন দিন সময় লাগে। তাঁদের অতিরিক্ত পরিবহন খরচও দিতে হয়। এতে করে কৃষক ও ডিলার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ কারণে কৃষকেরা সময়মতো সার পাচ্ছেন না।’তেঁতুলিয়া উপজেলার সার ডিলার খোরশেদ আলম ও বোদা উপজেলার মোকছেদ আলী জানান, পঞ্চগড় জেলায় বিসিআইসির ব্যাংক হিসাবও নেই। শিবগঞ্জ বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করতে নগদ টাকা নিয়ে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরগাঁও উত্তরা ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক ড্রাফট করতে হয়। টাকা নিয়ে যাতায়াত করাও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য পঞ্চগড়ে বিসিআইসির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার দাবি জানান তাঁরা।মোড়ানো কাগজটা নীল ফিতায় বাঁধা। তার সঙ্গে গুঁজে দেওয়া একটি আধফোটা গোলাপ। ফিতা খুলতেই একটি বট পাতা—আপনা-আপনি খুলে যায়। সবুজ পাতার মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত। হাতে নিলেই যে কারও মনে হবে, বট পাতা নয়, যেন লাল-সবুজের পতাকা।এই পাতার পতাকাকে এবার দাওয়াতপত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বনকিশোর গ্রামের জাহেদা বেগম। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে তাঁর ছোট ছেলের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তিনি। অতিথিদের দাওয়াত করেছিলেন এই বট পাতার মাধ্যমে। জাহেদা বেগমের তিন ভাইয়ের সবাই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাঁদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। তখন তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন জাহেদাকেও বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে বিজয়ীর বেশে ফিরে এলেন ভাইয়েরা। তাই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা নিয়ে জাহেদার অহংকার অনেক। ছোট ছেলের বিয়ের দিন তিনি ঠিক করেছিলেন বিজয় দিবসে। ছেলেকে বলেছিলেন, ‘বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের দাওয়াত করতে হবে খুবই আন্তরিকভাবে। একটা দামি কার্ড পাঠিয়ে দিলেই মানুষ খুশি হয় না। নিমন্ত্রণ পেয়ে যাতে মানুষ খুশি হয় সেই কাজ তোমাকে করতে হবে।’জাহেদার ছোট ছেলের নাম জাহিদুল ইসলাম। গ্রামীণ ব্যাংকের চাকুরে জাহিদ ‘ওরা ১১ জন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। মায়ের মনের কথা বুঝতে পেরে বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। নিজে খুব ভালো উপায় বের করতে না পেরে ছুটে গেলেন চারুকলাপড়ুয়া বন্ধু আরাফাত রুবেলের কাছে। আরাফাত চারুকলায় ছাপচিত্র মাধ্যমে পড়েছেন। তিনি চট করে একটা বট পাতা নিয়ে তার মাঝখানে লাল রং লাগিয়ে দিলেন। মুহূর্তে সবুজ পাতাটি যেন পতাকার চেহারা পেয়ে গেল। এর মাঝখানে তিনি লিখলেন, ‘জাহিদের বিয়েতে আপনার নিমন্ত্রণ। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩—জাহিদ’র মা।’ এরপর পাতাটির বোটার দিকে জাহিদের একটা পোর্ট্রেট স্কেচ করলেন। র্যাপিং পেপারে মুড়িয়ে নীল ফিতায় বেঁধে ফেললেন তারপর। সঙ্গে গুঁজে দিলেন একটি আধফোটা গোলাপ। কটিতে ছিল গাঁদা ফুল। এদিকে ব্যতিক্রমী এই দাওয়াতপত্র পেয়ে সব অতিথিই ভীষণ উচ্ছ্বসিত। রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানের একজন অতিথি। তিনি জানান, এমন অভিনব দাওয়াতপত্র জীবনে এই প্রথম পেয়েছেন। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও বের করেছেন সময়। বিয়ের আগের দিন রাতের ঘটনা। বট পাতায় দাওয়াতপত্রের নকশাকার আরাফাত রুবেল যখন জাহিদের পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্রটি দিতে গেলেন রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় কনেপক্ষের বাসায়, সেখানে তখন চলছে কনে স্বর্ণকে ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠান। আনুষ্ঠানিকভাবে কনের মা আয়েশা সিদ্দিকা ও বাবা এন্তাজ হোসেন দাওয়াতপত্রটি গ্রহণ করলেন। কনের মা ফিতা খুলে দাওয়াতপত্রটি মেলে ধরলে বাড়িভর্তি অতিথিরা বট পাতার ওপর হাতে আঁকা বরের ছবিসহ এমন নান্দনিক দাওয়াতপত্র দেখে করতালি দিয়ে ফেটে পড়লেন উল্লাসে। কনে স্বর্ণের চোখেও সে সময় বিস্ময়ভরা আনন্দ! পরে অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে বিয়ে। তার ওপর এমন অসাধারণ দাওয়াতপত্র! আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
সুন্দরবন অভিমুখে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ থেকে ফরিদপুরে গিয়ে পৌঁছেছে। ফরিদপুর থেকে আজ বৃহস্পতিবার যশোরের উদ্দেশে রওনা দেবেন লংমার্চকারীরা।বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী গতকাল সকাল ১০টায় মানিকগঞ্জ শহরের খোন্দকার নূরুল হোসেন ল কলেজ থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় লংমার্চটি শিবালয় উপজেলার টেপড়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে পথসভা করে। এরপর পাটুরিয়ায় গিয়ে ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দেন তাঁরা।লংমার্চ দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছায়। নেতা-কর্মীরা বৃষ্টির মধ্যে মিছিলসহকারে গোয়ালন্দ বাজার বাসস্ট্যান্ডে যান। সেখানে এক পথসভায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহামঞ্চদ বলেন, ‘একটি চক্র সুন্দরবনকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই সবাইকে একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে।’সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সবাই যেমন একত্রে গর্জে উঠেছিল, তেমনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।’স্থানীয় বাম নেতা আবদুল কাদের শেখের পরিচালনায় পথসভায় আরও বক্তৃতা করেন বিমল বিশ্বাস, জোনায়েদ সাকী, বজলুর রশিদ, শাহ আলম, আজহারুল ইসলাম, রাজীব আহসান প্রমুখ। পথসভা শেষে বেলা একটার দিকে লংমার্চটি রাজবাড়ীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।বেলা দেড়টার দিকে লংমার্চ রাজবাড়ী শহরে পৌঁছায়। এরপর একটি বিশাল শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা তিনটায় শহরের আজাদী ময়দানে এক গণসমাবেশ হয়। সেখানে আনু মুহামঞ্চদ বলেন, ‘অসংখ্য প্রাণ নিয়ে সুন্দরবন এক মহাপ্রাণ। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের জীবনকে যে সুন্দরবন রক্ষা করে, ভারতীয় কোম্পানি হোক, হোক আমেরিকা, রাশিয়া বা চীনা কোম্পানি—কাউকেই এই মহাপ্রাণ সুন্দরবন ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।’গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী কমিটির আহ্বায়ক সুশান্ত কুমার রায়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে লংমার্চ ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।এক ঘণ্টার মধ্যে লংমার্চ ফরিদপুর শহরের প্রবেশমুখ রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে পৌঁছায়। লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে স্লোগানে সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রস্থল ঝিলটুলী এলাকার অম্বিকা ময়দানে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে জেলা কমিটির আহ্বায়ক রমেন্দ্রনাথ রায় কর্মকারের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে রুহিন হোসেন, কমরেড রফিকুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।ফরিদপুরে রাতে অবস্থান করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে লংমার্চ যশোরের উদ্দেশে রওনা হবে।পাবনার কাশীনাথপুরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ অন্তত ১৫টি দোকানে অগ্নিসংযোগ ও পাঁচ-ছয়টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার মিলনস্থল কাশীনাথপুরে গতকাল সন্ধ্যার আগে হরতালের পক্ষে মিছিল বের করে সাঁথিয়ার কাশীনাথপুর ও বেড়ার জাতসাখিনী ইউনিয়ন বিএনপি। পরে হরতালের বিপক্ষে মিছিল বের করে কাশীনাথপুর, জাতসাখিনী ও সুজানগরের আহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এ সময় দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির সমর্থকেরা জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ পাঁচটি দোকান ও পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা সংগঠিত হয়ে আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা জালাল মিয়ার বিপণিবিতানে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন। আগুনে সাতটি দোকান পুড়ে যায়। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে বেড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।জালাল মিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন তাঁর বিপণিবিতানে আগুন দিয়েছে। আগুনে অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।বেড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন অফিসার নূরুল ইসলাম জানান, তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।বেড়া-সাঁথিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমিরপুর থানায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় একটি হত্যা মামলার আসামিদের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন মামলার বাদী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এদিকে মামলা করার পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাতাসন ডাক্তারপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের (৪৫) লাশ গত ৬ অক্টোবর সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরের দিন আলমগীরের স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ভুট্টু মিয়াসহ তিনজনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি।রোকসানা বেগম অভিযোগ করেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নিতে তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ আসামিদের খুঁজে পাচ্ছে না। তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের সময় ভুট্টু মিয়া তাঁর স্বামীর কাছ থেকে এক লাখ ১৮ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। পরে এই টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করায় ভুট্টু মিয়ার সঙ্গে আলমগীরের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ কারণেই ভুট্টু মিয়াসহ অন্য আসামিরা আলমগীরকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন রোকসানা।আলমগীরের ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করেন, ‘আসামিরা হত্যার হুমকি দেওয়ায় ৬ নভেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিছুদিন আগে ভুট্টু মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে আটক করেও পুলিশ ছেড়ে দেয়। এ কারণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’আলমগীর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল মোহন চাকি বলেন, আসামিকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনার পরেই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।আইরিশ গায়ক, সংগীতজ্ঞ ও অধিকারকর্মী বোনোর সঙ্গে নেলসন ম্যান্ডেলার ছিল দীর্ঘদিনের মৈত্রী। বোনো নামে খ্যাত পল ডেভিড হেওসন ডাবলিনভিত্তিক রক ব্যান্ড ইউটুর গায়ক ও গীতিকার। তিনি মাদিবার স্মৃতিচারণ করেছেন টাইম সাময়িকীতেনেলসন ম্যান্ডেলা আমাকে যা বলেছিলেন, তা আমি একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে সেই কৈশোর থেকেই অনুসরণ করছি। আমার জীবনে তাঁর দাপুটে উপস্থিতি ১৯৭৯ সাল থেকে, যখন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ‘ইউটু ব্যান্ড’ প্রথম প্রয়াস পায়। তা ছাড়া ম্যান্ডেলা আইরিশ চেতনার অংশ হয়ে আছেন আরও দীর্ঘ সময় ধরে। জাতিগত সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখার বিষয়টি আয়ারল্যান্ডের জনগণ খুব সহজেই বুঝতে পারে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, মুক্তির দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা রক্তাক্ত হবে—সেই প্রশ্নের জবাবটা বিমূর্ত নয়।কয়েক বছরে আমরা পরস্পরের বন্ধু হয়ে উঠি। দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা হিসেবে তাঁর সুনিপুণ দক্ষতায় আর সবার মতোই আমিও সম্মোহিত হলাম। তারপর তিনি বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে সাফল্য পেলেন। তাঁর কার্যক্রম বিস্তৃত হলো এইডসে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সংগ্রামসহ এই গ্রহের দরিদ্রতম মানুষদের মর্যাদা আদায়ের মতো বৃহত্তর লক্ষ্যে। দারিদ্র্যকেও একই সংগ্রামের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেছিলেন ম্যান্ডেলা। ২০০৫ সালে তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ...দারিদ্র্যের কারাগারে আটকা পড়ে আছে। এখন তাদের মুক্ত করে দেওয়ার সময় এসেছে।’ আরও বললেন, ‘দাসপ্রথা ও বর্ণবাদী বৈষম্যের মতো দারিদ্র্যও কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা নয়। এটি মানুষের তৈরি এবং এই সমস্যা দূর করা যেতে পারে...কখনো কখনো কোনো প্রজন্মের ওপর মহান হওয়ার দায়িত্ব বর্তায়। তোমরা সেই মহান প্রজন্ম হতে পারো।’মহান হওয়ার ব্যাপারটি ম্যান্ডেলার মধ্যেও নিশ্চয়ই ছিল। চরম দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল সংকটপূর্ণ। একটি গভীরতর ঋণ প্রত্যাহার, সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করা, বাণিজ্য ও বেসরকারি বিনিয়োগ চালু এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়া বিশ্বে এইডসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে ৯৭ লাখ এবং শিশুমৃত্যু ২৭ লাখে নামিয়ে আনার মতো কাজ কি গত এক দশকে সম্ভব হতে পারত? ম্যান্ডেলাকে ছাড়া আফ্রিকা কি প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ দশকটি অর্জন করতে পারত? তাঁর অপরিহার্যতা গাণিতিকভাবে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমি জানি, আমি কী বিশ্বাস করি...দক্ষিণ আফ্রিকায় যুগসন্ধিক্ষণে কী ঘটেছিল এবং কী ঘটেনি—কেবল তার মধ্য দিয়েই ম্যান্ডেলা একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কিন্তু আফ্রিকাকে একটি বিশৃঙ্খলাপূর্ণ মহাদেশ থেকে অনেক বেশি কল্পনা-রঙিন (রোমান্টিক) দৃষ্টিতে বদলে ফেলার প্রয়াসে ম্যান্ডেলার কৃতিত্ব অন্য যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আফ্রিকার ভূ-প্রকৃতির প্রতি সম্মান এবং সেখানকার দরিদ্রতর বাসিন্দাদের মর্যাদা রক্ষার প্রচেষ্টায় তিনি ছিলেন অবিচল। তিনি একজন কঠোর বাস্তববাদীও ছিলেন, যেমনটি তাঁর অর্থনৈতিক পদক্ষেপে দৃশ্যমান হয়। তাঁর কাছে তত্ত্ব ও বাস্তববাদিতার মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই; বরং এরা পরস্পরসম্পর্কিত। অকপটতা ছাড়াই তিনি ছিলেন একজন আদর্শবাদী, আপস না করেও ছিলেন একজন সমঝোতাকারী।‘আফ্রিকা রাইজিং’ কথাটির প্রচলনের কৃতিত্ব নিশ্চিতভাবেই মাদিবাকে দিতে হয়। নিজ গোষ্ঠীতে তাঁর নাম ছিল মাদিবা। এখন এই নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। তাঁর মহাদেশ একুশ শতকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাবে—এ ব্যাপারে তাঁর কোনো সন্দেহ ছিল না: ‘আমরা কেবল প্রাচীনতম ইতিহাসের ধারক জনগণই নই’, তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমাদের রয়েছে উজ্জ্বলতম ভবিষ্যৎ।’ তিনি জানতেন আফ্রিকা তেল, গ্যাস, খনিজ, ভূমি এবং সর্বোপরি, মানবসম্পদে সমৃদ্ধ। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও জানতেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অতীতের কারণে, আফ্রিকানরা এখনো ঠিক বিশ্বাস করতে পারে না যে এসব মূল্যবান সম্পদের মালিকানা আসলে তাদেরই।’ হাসতে হাসতে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিষুবরেখার উত্তরের অনেক লোকই তাদের এ ধারণার সঙ্গে একমত হবে।’তিনি ছিলেন রসবোধ ও নম্রতার ধারক এবং তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থী সারিবদ্ধ বিশ্বনেতাদের চেয়ে একজন অধিকতর চৌকস ও আকর্ষণীয় মানুষ। তিনি অতিথিদের অনেকের সঙ্গে মজা করে বলতেন, ‘আপনার মতো একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমার মতো একজন বুড়ো বিপ্লবীর কাছে কী চান?’তিনি নিজের আওতার বাইরেও মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে পারতেন—এমনকি উড়ন্ত পাখিদের মধ্যেও। একবার আমায় বললেন, তাঁর ফাউন্ডেশনে কীভাবে মার্গারেট থ্যাচার ব্যক্তিগতভাবে ২০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড দান করেছিলেন। আমি রুদ্ধশ্বাসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কীভাবে আপনি এটা সম্ভব করলেন?’ ‘লৌহমানবী’ নামে খ্যাত প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থ্যাচারকে একজন কঠোর মিতব্যয়ী হিসেবেই জানে সবাই। ম্যান্ডেলা হাসিমুখে বললেন, ‘আমি তাঁকে (থ্যাচার) বললাম, ‘আপনি যা চান সেটা না বললে কখনো পাবেন না।’ তারপর ম্যান্ডেলা কণ্ঠস্বর নামিয়ে একজন ষড়যন্ত্রকারীর কায়দায় বলেন, তাঁর (থ্যাচার) দানের বিষয়টি নিয়ে দলের (ম্যান্ডেলার) অনেকেই বিরক্ত। তাঁদের অভিযোগ, ‘তিনি (থ্যাচার) কি আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করে দিতে চাননি?’ তখন ম্যান্ডেলার উত্তর: ‘ডি ক্লার্ক কি আমাদের লোকজনকে মাছির মতো মেরে শেষ করেননি? অথচ আমি আগামী সপ্তাহেই তাঁর সঙ্গে চা পান করতে যাচ্ছি...আর সেই বিলটা তিনিই দেবেন।’ (অন্যান্য সময় আমি শুনেছি, ম্যান্ডেলা কীভাবে এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্কের প্রশংসা করতেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী যুগের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট, যিনি পালানোর নিজস্ব পথ খুঁজে নিয়েছিলেন: আত্ম-অহংকারবোধ থেকে)।লোকদেখানো ধর্মাচরণ বা নৈতিকতা ছাড়াই এক গৌরবময় জীবন কাটিয়ে গেছেন ম্যান্ডেলা। চেষ্টা করে দেখুন; ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। ধর্মানুরাগের অভাবের কারণেই তিনি সাবেক শত্রুদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গড়তে পেরেছিলেন। বর্ণবাদবিরোধী শিল্পীদের প্রতি ১৯৮৫ সালে স্টিভ ভন জান্ডটসের আহ্বানে ইউটু ও ব্রুস স্প্রিংস্টিন সাড়া দেয় এবং ‘সান সিটি’ শিরোনামের গানটি রেকর্ড করে। সান সিটি তৈরি হয়েছিল বতসোয়ানার সীমান্তে দক্ষিণ আফ্রিকার সাংস্কৃতিক বর্জনের চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে। সেখানে সোল কার্জনারের ক্যাসিনোটি একটি ব্যস্ত স্থানে পরিণত হয়েছিল। বহু বছর পর, যখন আমি সংগীত প্রযোজক কুইনসি জোনসকে তাগিদ দিই কার্জনারের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের ব্যাপারে, কুইনসি জবাব দেন, ‘তুমি ম্যান্ডেলার সম্পর্কে কিছুই জানো না। জানো কি? সোল কার্জনারকে ডাকার সাত দিন আগ পর্যন্ত তিনি কারামুক্ত হননি। তখন থেকে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসকে সহায়তাকারী সেরা ব্যক্তিদের একজন হয়ে যান সোল।’ আমার অনুভূতি হলো সেই জাপানি সেনার মতো, যিনি অরণ্য থেকে ১৯৫০ সালে বেরিয়ে আসেন। তখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি। হাসিই ছিল মাদিবার পছন্দের পথ, অশ্রু নয়, একমাত্র সেই ক্ষণটি ছাড়া যখন আমি তাঁকে দেখেছিলাম প্রায় শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায়। সেটা ছিল রোবেন দ্বীপে, যেখানে তিনি মোট ২৭ বছরের বন্দিজীবনের ১৮টি বছর কাটিয়েছিলেন। তিনি তখন ব্যাখ্যা করছিলেন এইডসের মহামারিতে আফ্রিকায় এত বেশি মানুষের প্রাণহানির জবাবে একটি সমাবেশে নিজের কয়েদি নম্বরটি—৪৬৬৬৪ ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কারণ কী ছিল। বন্দিনিবাসে ম্যান্ডেলার সঙ্গীদের একজন আমায় বলেছিলেন, পাথরের খনিতে কাজ করার চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল ম্যান্ডেলাকে। কেবল তিক্ততা বা অন্ধত্বের মতো বড় সমস্যা ছাড়াও তাঁর বড় ক্ষতি হয়েছিল দিনের পর দিন উজ্জ্বল আলোর প্রতিফলনের মধ্যে চোখ মেলে কাজ করার জন্য। ম্যান্ডেলা তখনো দেখতে পেতেন, কিন্তু অশ্রুর নির্গমনপথে ধূলি জমতে জমতে একপর্যায়ে তিনি কান্নার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। মানুষটির মধ্যে যাবতীয় দূরদর্শিতা ও অন্তর্দৃষ্টি থাকলেও, তিনি নিজের প্রতি সন্দেহ বা দুঃখবোধের মুহূর্তে কাঁদতে পারতেন না। সমস্যাটি দূর করতে ১৯৯৪ সালে তাঁর চোখে একটি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তার পর থেকে তিনি কাঁদতে পারেন। আজ, আমরাও পারি।  ইংরেজি থেকে ভাষান্তর: আশিস আচার্য
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পৃথক স্থানে গতকাল বুধবার বিকেলে বজ্রপাতে চারজনের মুত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বর্ষালুপাড়া গ্রামের মিন্টু (২৩), বর্ষালুপাড়ার (কনপাড়া) পরিতোষ (২৫), একই গ্রামের বিরেন শিং (৩৫) ও রামপুর গ্রামের পোহাতু পাল (৪০)। গুরুতর আহত কৃষ্ণপালকে (২৬) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  পঞ্চগড় প্রতিনিধিরংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা এলাকার সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০০ আমানতকারীর আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ৯ অক্টোবর থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। এ অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহিদুল ইসলাম ও বারেকুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি ২০১১ সালে হারাগাছ পৌর এলাকার হকবাজার এলাকায় দুই কক্ষের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেভিংস অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামক সংস্থাটি চালু করেন। তাঁরা গ্রাহকদের সুদ, ঋণ ইত্যাদি নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলে দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে সঞ্চয় এবং স্থায়ী আমানত নিতেন। কিন্তু ৯ অক্টোবর থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা যায়।আমানতকারীরা জানান, ঈদের আগে তাঁদের কিছু কিছু ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। সেটা নিতে গেয়ে কার্যালয়টিতে তালা ঝুলতে দেখেন তাঁরা। তবে জানালা দিয়ে দেখা গেছে, টেবিল, চেয়ার ও আলমারির মতো মালামাল রয়ে গেছে।বাড়ির মালিক রমজান আলী জানান, সহিদুল ও বারেকুল নিজেদের কাউনিয়ার মায়াবাজার এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেন। তাঁরা নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতেন। হঠাৎ গত ৯ তারিখ থেকে তাঁরা লাপাত্তা হয়ে যান।ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী হারাগাছের মালিয়াটারী গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। প্রতি মাসে তাঁকে এক হাজার টাকা করে সুদ দেওয়া হতো। ঈদের পর ঋণ সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই সংস্থার লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। এখন তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।একই গ্রামের নয়ন মিয়া ২৮ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঋণ নিতে গিয়ে দেখেন কার্যালয়ে তালা।জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদ জানান, ‘এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমরা নিবন্ধন দেইনি। এ রকম বহু ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান মিথ্যা নিবন্ধন নম্বর দিয়ে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে লোক ঠকাচ্ছে।’এদিকে কাাউনিয়া থানার ওসি আবদুল লতিফ মিয়া জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও তাঁর কর্মচারীকে কুপিয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৭০ হাজার টাকা লুট করেছে ছিনতাইকারীরা। গত রোববার রাতে উপজেলা সদরের গদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর কর্মচারী লাবলু মিয়াকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।কিশোরগঞ্জ বাজারের শরীফ জুয়েলার্সের মালিক সিরাজুল ইসলামের বাবা আবদুল কুদ্দুস জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার রাত ১০টার দিকে সিরাজুল ইসলাম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দোকানের কর্মচারী লাবলু মিয়ার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির ফটকের সামনে পৌঁছার পর পাঁচ-ছয়জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অলংকার ও টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।গতকাল বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর রাতেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকালে এএসপি সাজেদুর রহমানসহ আবারও ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় সন্দেহভাজন অন্তত চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী মিরামশাহ শহরের কাছের একটি গ্রামে গত বুধবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে।মিরামশাহ শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কাতাব খেল গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি ভবন। মিরামশাহর একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন-এর খবরে বলা হয়, হামলায় সন্দেহভাজন চার জঙ্গি নিহত হওয়ার পাশাপাশি একজন মারাত্মক আহত হয়েছে।হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানের নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, হামলা চালানোর পরও আকাশে চালকবিহীন বিমানটি চক্কর দিচ্ছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা হামলার শিকার ভবনটির চারপাশে জড়ো হয় এবং মৃতদেহগুলো বের করে আনে। তবে সেগুলো পুড়ে গিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে আর চেনার উপায় নেই। ডন।
জাতীয় দাবায় অভিষেক সেই ১৯৮৭ সালে। ১৯৮৯ সালে সুযোগ পাননি। পরের বছর খেলেননি এসএসসি পরীক্ষার জন্য। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে রিফাত বিন সাত্তারকে ছাড়া জাতীয় দাবা হয়েছিল একবারই, ১৯৯৭ সালে খেলতে পারেননি জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে।সেই রিফাত এবার জাতীয় দাবায় নেই। ২২ বছরে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো। চাকরি বড় দায়, সেটির কারণেই খেলতে পারছেন না এই গ্র্যান্ডমাস্টার। রিফাতের মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। মন খারাপ দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজউদ্দিন সাগর ও আবু সুফিয়ান শাকিলেরও। রিফাত না খেলায় যে তাঁদের জিএম নর্ম করার সুযোগ থাকল না। রিফাত খেলছেন না বলে এই দুজনের প্রতিপক্ষের গড় জিএম নর্মের জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৮০ রেটিংয়ের চেয়ে কমে গেছে।তবে বাস্তবতা হচ্ছে, পাঁচ খেলায় ২ পয়েন্ট পাওয়ায় শাকিলের জিএম নর্ম করার সম্ভাবনা এরই মধ্যে শেষ। পাঁচ ম্যাচে সাড়ে চার পয়েন্ট নিয়ে সাগর ভালো অবস্থানে থাকলেও চূড়ান্ত লক্ষ্য তো আর পূরণ হচ্ছে না। এ কারণেই রিফাতের না-খেলা নিয়ে এত আলোচনা। রিফাত খেললেই যে হয়ে যেত এমন অবশ্য নয়। জিএম নর্মের জন্য ১৩ ম্যাচে অন্তত ১১ পয়েন্টের ওপরে লাগত। কাজটা সহজ নয়। এত কিছু অবশ্য রিফাতের জানা নেই। কাল টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, ‘আমি তো জানতাম না, আমি খেললে সাগর ও শাকিলের জিএম নর্ম করার সুযোগ ছিল।’জাতীয় দাবায় না থাকার কারণটাও জানালেন, ‘২০১১ সালে আমিই একমাত্র গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে খেলেছি এই প্রতিযোগিতায়। অফিসের কাছে খেলার সুযোগ চাইলে বরাবরই পেয়ে এসেছি। তবে এ মুহূর্তে অফিসের কাজের চাপ অনেক বেশি। তাই সব দিক ভেবেই না খেলার সিদ্ধান্ত।’বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডে পরিচালক পদে আছেন। কাজের চাপের মধ্যেও এত দিন জাতীয় দাবার জন্য সময় বের করেছেন। এবার সেটি না পারার আক্ষেপ রিফাতের কণ্ঠে, ‘ভীষণ মিস করছি। কিন্তু করার কিছু ছিল না।’গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সেই অধ্যক্ষ (সাবেক) ও বর্তমানে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে উৎকোচের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গতকাল শনিবার ওই কলেজের অধ্যক্ষ এ তথ্য জানান।অধ্যক্ষ জাহেদুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ২২ অক্টোবর রেজাউল করিমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশে সই করেন।জানা গেছে, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য কলেজের তৎকালীন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রহমত আলী খানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। এই কমিটি মেধাক্রম থেকে ভর্তি শেষে উৎকোচের বিনিময়ে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে অতিরিক্ত ৮৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করেন। ওই সময় নিবন্ধনের জন্য এসব শিক্ষার্থীর তালিকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই তালিকা যাচাই করলে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি ধরা পড়ে।বিষয়টি জানতে পেরে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা ২০১২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁদের অভিযুক্ত করে গত ২ জুন মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ভর্তিকালীন কমিটির আহ্বায়ক রহমত আলী খান ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ৭ ও ৮ অক্টোবর ওই কমিটির অপর পাঁচজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশে আলাদাভাবে সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রেজাউল করিম ও ভর্তি কমিটির এই দুর্নীতি নিয়ে প্রথম আলোতে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।লালমনিরহাটের বারিয়ার দিঘীপাকা সড়ক এলাকায় রোববার দিবাগত রাতে কুলাঘাট থেকে লালমনিরহাটগামী একটি মিনি ট্রাক থেকে তিন মণ সাত কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। গাঁজা বহনকারী ট্রাকটিও জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় ট্রাকমালিক ও চালকের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমির উদ্দিন বলেন, দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ধানের কুঁড়ার বস্তার নিচ থেকে গাঁজাভর্তি ১২টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ট্রাকের চালক ও সহযোগী কাউকে পাওয়া যায়নি।ওসি জমির উদ্দিন আরও বলেন, তিন মণ সাত কেজি ওজনের গাঁজার মূল্য আনুমানিক ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। টহল পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। পরে গাড়িতে পাওয়া কাগজপত্র দেখে অনুসন্ধান চালিয়ে মালিক নূর ইসলাম ও চালক দুলালের নাম পাওয়া গেছে। জব্দ করা মালামাল ও ট্রাক লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।শরীয়তপুরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বরাদ্দের চেয়ে কম শ্রমিক দিয়ে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর নিয়ম থাকলেও অন্য এলাকা থেকে শ্রমিক এনে চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে। এমনকি ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিককে কাজের সুযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।শরীয়তপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শরীয়তপুরে ছয়টি উপজেলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে জেলায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৪০ দিনে ১৯৮টি মাটির রাস্তা সংস্কার করা হবে। প্রতিদিন ২০০ টাকা পারিশ্রমিকে পাঁচ হাজার ৭২৭ জন শ্রমিকের কর্মসূচির আওতায় কাজ করার কথা। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুম থাকায় প্রকল্পের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের তত্ত্বাবধানে এক মাসের কম সময়ে ৪০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। ইউপি সদস্যরা পরিচিতদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করছেন।গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পে বরাদ্দের অর্ধেকের কম শ্রমিক কাজ করছেন। কোনো প্রকল্পেই নারী শ্রমিকেরা কাজ করছেন না। চুক্তিতে বাইরের শ্রমিক দিয়ে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পে কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিকের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়নি।ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ জন শ্রমিকের জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৪ জন শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ওঝা বলেন, এলাকায় শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশি থাকায় খরচ হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১০ শতাংশ টাকা দিতে হয়। এ কারণে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, কোনো প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। এই অঞ্চলে দিনে ৩৫০ টাকার কমে শ্রমিক পাওয়া যায় না। কিন্তু একজন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২০০ টাকা। তাই কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হতে পারে।নড়িয়ার ইউএনও জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে শ্রমিকদের ৪০ দিন কাজ করার কথা। এখানে চুক্তিতে কাজ করার সুযোগ নেই। এসব ব্যাপারে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বড়রা শিশুদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে। তাদের দিয়ে মাদক পরিবহনসহ বিভিন্ন খারাপ কাজ করতে বাধ্য করছে। এসব কাজে শিশুদের বাধ্যকারীদের অপরাধ অমার্জনীয়। তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি সংবাদ সম্মেলনে আলোচকেরা এ কথা বলেন।আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহায়তায় সংবাদ সম্মেলনে শিশু আইন বাস্তবায়নে গণমাধ্যমসহ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ছোট কোনো অপরাধ বা ভুলের জন্য শিশুদের যাতে কারাগারে অহেতুক আটকে রাখা না হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।‘শিশু আইন ও শিশু অধিকার সুরক্ষা’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এনামুল হক, সাবেক আইজিপি এম সহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম আজিজুল হক, সাবেক সচিব নাজমুল আহসান চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ সালাম গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের সুরক্ষায় প্রতি বিভাগে অন্ততপক্ষে একটি কিশোর-কিশোরী উন্নয়নকেন্দ্র থাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন এম এনামুল হক।অসুস্থ সংগীতশিল্পী নুরুল ইসলাম ওরফে জাহিদের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য গতকাল শনিবার রংপুর টাউন হলে সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। রংপুর সংগীতশিল্পী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে জিয়াউল ইসলাম, রঞ্জিত কুমার, নীলিমা আক্তার, সুজিতা অধিকারী, লুবনা ইয়াসমীন প্রমুখ গান পরিবেশন করেন।সংগীতসন্ধ্যার আগে শিল্পীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের আবেদন জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি খাদেমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মো. শাহাদত হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে খ ম আলী সম্রাট, সাংস্কৃতিক সংগঠন সাউন্ড টাচের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকসুদার রহমান, চিকিৎসক সৈয়দ মামুনুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।শিল্পী নুরুল ইসলাম (৭০) দীর্ঘদিন ধরে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন।অসিত সেন স্মরণে সভাআমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় রাজশাহীর সাধারণ গ্রন্থাগারে ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অসিত সেন স্মরণে ‘তুমি রবে নীরবে নিরন্তর অন্তরে’ শিরোনামে শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদের সভাপতি বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। এতে ওস্তাদ শিবনাথ দাস, কানু মোহন গোস্বামী, মুক্তিযোদ্ধা নূর হামিম রিজভী, সংসদের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।পঞ্চগড় শহরের শেরেবাংলা মোড়ে গতকাল সোমবার পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। রোববার শহরের সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলামের মারধরের ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে জাহেদুলের বাবা পরিবহন শ্রমিক রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন শহিদুলকে মারধর করেন। এরপর সেন্ট্রাল প্লাজার ব্যবসায়ীরা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ এবং কেয়া পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙচুর চালান।  পঞ্চগড় প্রতিনিধিপশ্চিমবঙ্গ ভেঙে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড গঠনের আন্দোলনের ইতি ঘটতে চলেছে তবে? গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে ফের গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর প্রধান নির্বাহী হিসেবে শপথ নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং।গত ৩০ জুলাই পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করার লক্ষ্যে জিটিএর প্রধান নির্বাহীর পদে ইস্তফা দেন বিমল গুরুং। তারপর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দার্জিলিংয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার বা পশ্চিমবঙ্গের কোনো রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনে সমর্থন করেনি। আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। বরং সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার পক্ষে নয়।মন্ত্রিসভায় রদবদল: পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শশী পাঁজা ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। বাদ পড়েছেন বনমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও পূর্তমন্ত্রী। এ ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রীর বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে।
সঙ্গী বদলানোটাকে নেশা বানিয়ে ফেলেছেন লিয়েন্ডার পেজ। আর এই নেশাটা শচীন টেন্ডুলকারের স্বদেশিকে দিচ্ছে অন্য রকম এক সেঞ্চুরির হাতছানি। আর মাত্র পাঁচজন নতুন সঙ্গী চাই তাঁর। তাহলেই পুরুষ দ্বৈতে ‘সেঞ্চুরি জুটি’র কীর্তি গড়ে ফেলবেন পেজ। কদিন আগে ইউএস ওপেনে দ্বৈত শিরোপা জিতেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের রাদেক স্টেপানেককে সঙ্গে নিয়ে। গতকাল থাইল্যান্ড ওপেনে পেজ নামলেন ড্যানিয়েল ব্রাক্কিয়ালিকে সঙ্গী করে। ৩৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান পুরুষ দ্বৈতে পেজের ৯৫তম সঙ্গী! এই ৯৫ জনের ১৩ জন ভারতীয়। মিশ্র দ্বৈতের সঙ্গী ধরলে তো পেজ ‘সেঞ্চুরি’ করে ফেলেছেন কবেই! ওয়েবসাইট।চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গতকাল শনিবার বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগের দিন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে যুবদলের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনায় এ হরতাল আহ্বান করা হয়।এদিকে ওই তিনজনের লাশ জানাজা শেষে গতকাল সন্ধ্যায় নিজ নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাংসদ হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির নেতারাসহ কয়েক হাজার মানুষ এসব জানাজায় অংশ নেন।হরতালে উপজেলায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ৮৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিন হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষের সময় পুলিশ অর্ধশতাধিক গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১৮-দলীয় জোটের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নেওয়ার পথে; এর আগে আরিফ হোসেন (২৫) ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে এবং একই দিন রাতে বাবুল ভূঁইয়া (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ছাড়া শরীফ পাটোয়ারী (২২), সাইফুল ইসলাম (৪০) ও মো. তারেক (৩০) নামের অপর তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহতদের পরিবারকে অনুদান: যুবদলের নিহত কর্মীদের পরিবারগুলোকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে ফরিদগঞ্জের আম্বিয়া ইউনুস ফাউন্ডেশন।বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে হামলা, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও দুজনকে মারধর করা হয়েছে। ওই পরিবারের জমি দখলে নেওয়ার জন্য গত রোববার উপজেলা যুবলীগের সদস্য এস এম ফিরোজ রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের মৃত রতন ভৌমিক দক্ষিণ বিজয়পুর মৌজার এসএ ২০৭ নম্বর খতিয়ানের ৫৩৬ ও ৫৩৭ নম্বর দাগের দুই একর ৭৭ শতক জমির মালিক। এই জমিতে একটি বাড়ি ও বাগান রয়েছে। রতন মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর শ্যালক সঞ্জীব সাহা ওই সম্পত্তি দেখাশোনা করছেন।সঞ্জীব সাহা অভিযোগ করেন, কিছুদিন ধরে গৌরনদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগের নেতা ফিরোজ রহমান ওই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে আসছেন। রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি (ফিরোজ) ওই জমিতে দুটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। সাইনবোর্ডে ওই সম্পত্তির মালিক হিসেবে ফিরোজের নাম উল্লেখ করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সঞ্জীব সাহা ও রতন ভৌমিকের ফুফু মায়া রানী পোদ্দার সাইনবোর্ড দুটি খুলে ফেলে দেন। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফিরোজ, তাঁর ছোট ভাই আমিন সরদারসহ সাত-আটজন রতন ভৌমিকদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা মায়া রানী পোদ্দার ও তাঁর আত্মীয় তুলসী রানী সাহাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁদের মন্দিরের একটি প্রতিমাও ভাঙচুর করেন।ফিরোজ রহমান ওই জমিতে সাইনবোর্ড ঝোলানোর কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ক্রয়সূত্রে তাঁরা ওই সম্পত্তির মালিক। তাঁর বাবা খালেক সরদার ১৫ বছর আগে রতনের বাবার কাছ থেকে ওই সম্পত্তি কিনেছেন। সংখ্যালঘুর ওপর হামলার ঘটনার প্রচার চালিয়ে বাড়তি সুবিধা নিতে এ ঘটনা তারা (সংখ্যালঘুর পরিবার) নিজেরা ঘটিয়েছে।গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নিজের বাড়ির বাইরে ‘জনতার দরবার’-এর আয়োজন করছেন ভারতের চমক জাগানো নতুন রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসায় হাজির হয়ে অনেকেই পানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ তোলেন। অনেকে আবার নানা পরামর্শ দেন।সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া এএপি দলের প্রধান কেজরিওয়াল উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে বলেন, ‘এই জয় আমার নয়; এটা আপনাদের জয়। আপনাদের বেশির ভাগই এখানে এসেছেন আমাকে অভিনন্দন জানাতে, এটা জানি। তবে আমি এটা বলব যে, এটা আপনাদের জয়।’দরবারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী, প্রকৌশলী এবং শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ দিল্লি পুলিশ কেজরিওয়ালকে নিরাপত্তা দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে রাজি হওয়ার অনুরোধ করেন। এলাহাবাদের বাসিন্দা মুকেশ বলেন, ‘অরবিন্দজি, আপনি আমাদের নেতা হয়েছেন। এখন আপনার দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত।’পানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি লোকজন বিনা মূল্যে জনগণের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে আইনজীবীদের নিয়ে দল গঠনের অনুরোধ করেন এএপিকে।পরে কেজরিওয়াল উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের অভিযোগ ও পরামর্শ শুনলাম। অবশ্যই এগুলো নিয়ে কাজ করব। আমি আপনাদের শনিবার রামলীলা ময়দানে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অনুরোধ করছি।’অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও অভিযোগ শুনতে গত বুধবারও তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের বাইরে ‘জনতার দরবার’ করেছিলেন। গাজিয়াবাদের কৌসাম্ভি এলাকায় অবস্থিত ফ্ল্যাটটি ২ শয়নকক্ষের।এএপি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। কেজরিওয়াল কাল শনিবার ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে দিল্লির সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।৪৫ বছর বয়সী কেজরিওয়াল এবং এএপির ছয়জন বিধায়ক অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন। বেলা ১২টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আন্না হাজারে, কিরণ বেদি, সন্তোষ হেগড়েসহ দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কেজরিওয়ালের সঙ্গে যাঁরা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মনিশ সিসোদিয়া, রাখি বিড়লা, সোমনাথ ভারতী, সৌরভ ভরদ্বাজ, গিরিশ সোনি এবং সতেন্দ্র জেইন।নিরাপত্তায় আবার‘না’: উত্তর প্রদেশ পুলিশের পাঁচজন কর্মকর্তা প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে কাটিয়েছেন। বুধবার রাতে তাঁরা দিল্লি পুলিশের নির্দেশনায় সেখানে গিয়েছিলেন এএপি নেতার নিরাপত্তার জন্য। তবে সে সুযোগ পাননি।কেজরিওয়ালের ফ্ল্যাট বাড়িটির লিফটের কাছের একটি ছোট কক্ষে সারা রাত কাটান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাঁরা ফিরে যান।কাল শনিবার দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া কেজরিওয়াল আগেই দিল্লি পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরের ওপরে আস্থা রাখেন। তাঁর কোনো নিরাপত্তার দরকার নেই। পিটিআই ও এনডিটিভি।
ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের রানিরহাট বাজার এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে ইয়াসমিন (২১) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে সদর উপজেলার ছনুয়া গ্রামে একটি শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশুকে আটক করা হয়েছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের ইয়াসমিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. আজিজুল ইসলাম ওরফে নয়নের (২৩) বিয়ে হয়। চট্টগ্রামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় তাঁরা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। দুই মাস আগে আজিজুল রানিরহাট এলাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ফেনী চলে আসেন ও বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।ইয়াসমিনের মা মরিয়ম ইসলাম বলেন, ফেনী আসার পর কারণে-অকারণে আজিজুল ইয়াসমিনকে মারধর করতেন। গত মঙ্গলবার রাতেও ঝগড়ার একপর্যায়ে আজিজুল ইয়াসমিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে ইয়াসমিন মারা যান। ঘটনার পর থেকে আজিজুল পলাতক। ইয়াসমিনের এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ওই বাসায় গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।এদিকে পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া গ্রামে মার্বেল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মাইন উদ্দিন (১২) নামের একটি শিশু সাইফুল ইসলাম (১৩) নামে অপর শিশুকে ধাক্কা দেয়। এতে সে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ মাইন উদ্দিনকে আটক করেছে।সাইফুল ইসলাম বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি গ্রামের আবদুল মজিদ শেখের ছেলে। তাদের পরিবার ফেনীর ছনুয়ায় বসবাস করে।ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও অসীম কুমার সাহা জানান, ময়নাতদন্তে দেখা গেছে ছুরিকাঘাতেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ওই শিশুর মাথায় আঘাত ও অণ্ডকোষে চাপ সৃষ্টির আলামত পাওয়া গেছে।ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ পৃথক ঘটনায় এক নারী ও এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং এক শিশু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই দুই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহ থামাতে বলায় হাফিজার রহমান (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত শুক্রবার উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার হাফিজার রহমানের জামাতা লিটন মিয়া বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।শিবগঞ্জ থানার ওসি ফজলুল করিম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।মোহাম্মদ মোজাদ্দেদবাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা সাহিত্য ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাদ্দেদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৬ নভেম্বর। এ উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও মসজিদে বিশেষ মোনাজাত হবে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।ফজিলতের নেছাদাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারের ডা. কে মহিউদ্দিন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ফজিলতের নেছার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৬ নভেম্বর। এ উপলক্ষে বাদ আসর মরহুমার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মরহুমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বিতীয় দফায় বন্ধ করে দেওয়ার পর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন মোল্লা ব্রিকস নামের ইটভাটা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আবার চালু করা হয়েছে। অবৈধভাবে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এই ভাটায় ড্রাম চিমনি বসিয়ে ইট তৈরির কাজ চলছে।চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটাটির অবৈধ ড্রাম চিমনি ভেঙে বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। সর্বশেষ গত সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি ড্রাম চিমনি ভেঙে ভাটা বন্ধ করে দেন। একইভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ইটভাটাটিতে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আর কাঠ চেরাইয়ের জন্য বিদ্যালয়ের পাশেই বসানো হয়েছে করাতকল। করাতকলের বিকট শব্দে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। কিন্তু ইটভাটার মালিক আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার আশ্রয়ে থাকার কারণে তাঁরা প্রতিবাদ করতে পারছেন না।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. মারুফুল আলম জানান, ওই জায়গায় ইটভাটা স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক আবদুল ওরফে কুট্টি মোল্লা বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে ভাটার শ্রমিকেরা বলছেন, মালিকের নির্দেশেই তাঁরা কাজ করছেন।এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘বাউফলে সেই ইটভাটাটি ফের বন্ধ হলো’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এক মাস নিষিদ্ধের আদেশ উপেক্ষা করে মিছিল বের করায় গতকাল বুধবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাউথ-সাউথ পুরস্কার প্রাপ্তির খবরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের একটি আনন্দ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ আবারও বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। পরে তাঁরা প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশ করেন।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুজর গিফারীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা সাউথ-সাউথ পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সমেঞ্চলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসির পদত্যাগ দাবি করেন। শামীম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে আমরা মিছিল করেছি। তার পরও প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছে।’ প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে মিছিল করেছে।ওসি মনিরউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের বিষয়টি ছাত্রলীগের নেতাদের জানালে তাঁরা তা শোনেননি। পরে প্রশাসন ভবনের ভেতর ঢুকতে চাইলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা তাঁদের আটকাই। এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ঘটে।’দেশের মঙ্গলের জন্যই দুই নেত্রীর আলোচনায় বসা উচিত। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট আলোচনার মাধ্যমেই নিরসন করতে হবে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সি এম শফি সামি সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার এসব কথা বলেছেন।স্থানীয় কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জাকারিয়া আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুছব্বির, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, রুহুল আলম, হারিছ উদ্দিন, লাউতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মৌলা উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ নেতা গৌছ উদ্দিন প্রমুখ।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই আজ সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় তাণ্ডব শুরু করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা।আমাদের অফিস, প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর—চাঁদপুরনির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে আটটার দিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিএনপির কর্মীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় চার-পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাঁচ-সাতটি যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি ভাঙচুর করে অবরোধকারী। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে বলে পুলিশ সুপার জানান।এ দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে না পারায় হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান আবুল হোসেনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠানোর হয়েছে।পাবনাপাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এতে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত নয়টার দিকে শহরের ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের ইন্দারা মোড় এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আতঙ্ক লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে।গাইবান্ধারাত সাড়ে আটটার দিকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পলাশবাড়ি উপজেলা শহরের মহেশপুর এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর এবং সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে মালবাহী একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা ও জেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।গজারিয়াসংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রাত আটটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বাউশিয়া ও আনারপুরা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা একটি ট্রাকে আগুন দেওয়াসহ চারটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, মহাসড়কের বাউশিয়া এলাকায় ট্রাকে আগুন দেন বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তাঁরা সরে পড়েন।পঞ্চগড়প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণের পরেই পঞ্চগড়ে বিএনপির পৃথক দুটি পক্ষ ও ১৮ দলের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গেলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা কয়েকটি যানবাহন ও দোকানে হামলা চালান। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।খুলনাতফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরের হঠাত্ বিএনপির একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে একটি ট্রাক ও তিনটি ইজিবাইক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ১৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।এ দিকে ফুলতলায় বিএনপি ও জামায়াত পৃথকভাবে রাত আটটায় মশাল মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে দুটি মহেন্দ্র ও পিকআপ ভাঙচুর করে। এ সময় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনে।তফসিল ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার একটি অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখার নীলনকশা করছে। এ তফসিল ঘোষণা আমরা মানি না।’শেরপুরতফসিল ঘোষণার পর বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং শেরুয়া এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।ঘোষণার পরই স্থানীয়ভাবে বিদ্যুত্ সরবরাহ (পিডিবি) বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।শেরপুর থানার ওসি আলী আহমেদ হাশমী বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসসহ ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ফরিদপুরতফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ফরিদপুরে রাত আটটার দিকে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে খন্দকার হোটেল ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।এ ছাড়া ‘এ নির্বাচন মানি না’ স্লোগান দিয়ে শহরের আলীপুর বান্ধবপল্লি এলাকায় প্রতিবাদকারীরা কাভার্ড ভ্যান ও একটি তেলবাহী ট্রাক ভাঙচুর করে।ফেনীসিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যায় ফেনীতে চারটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ এবং ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা শহরের ট্রাংক রোডে ঝটিকা মিছিল করে এবং বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে শহরবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছে।ঠাকুরগাঁওভোটের তারিখ ঘোষণার পরপরই ঠাকুরগাঁও শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকে আগুন দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়ক বিভাজনকারী বেড়াগুলো তুলে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।সিরাজগঞ্জতফসিল ঘোষণার পর শহরের নবদ্বীপপুল, কালীবাড়ি ও ফজলুল হক রোডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।রাত পৌনে আটটার দিকে সদর উপজেলার খোকশাবাড়িতে দুটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন জামায়াতের কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে আটটার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার চকশিয়ালকোল এলজিইডি মোড় ও দিয়ারবৈদ্যনাথের অ্যালবাট্রস এনার্জি অ্যান্ড কনভার্সন সিএনজি স্টেশনের সামনে বেপরোয়া গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন বিএনপির কর্মীরা। এ সময় প্রায় সাতটি ট্রাক, একটি যাত্রীবাহী বাস ও পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে ওই সড়কের চণ্ডীদাসগাতিতে তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা।সাতকানিয়াচট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। এ সময় তারা অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াছির আরাফাত বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী সফরে ফরিদপুরে আসেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে আসায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা চৌরাস্তা থেকে কাওড়াকান্দি ঘাটগামী সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে মাওয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলার ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।জনসভাস্থলের পাশ দিয়ে মাওয়ার দিক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় খুলনার আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাসে ঢাকা যাব। কিন্তু ভাঙ্গা চৌরাস্তার আগেই বাস থেকে সব যাত্রীকে নামিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তাই হাঁটা শুরু করেছি। দেখা যাক, কত দূর যেতে পারি।’বরিশাল শহর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন রাশেদ হাওলাদার। তিনি জানান, বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে ভাঙ্গা চৌরাস্তার আগেই বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তাই হাঁটা শুরু করেছি। সামনে গিয়ে দেখি কোনো বাহন পাই কি না। একই ধরনের কথা বলেন বরিশালের জাবুল ফকির, পিরোজপুরের গোলাম রেজা, নাজিরপুরের দেলোয়ারা বেগমসহ অনেকেই।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গার বালুর মাঠের জনসভা শেষ করে সদরপুরের জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ভাঙ্গা চৌরাস্তা থেকে পুখুরিয়া পথে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়।ভাঙ্গা থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাঁর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি) গতকাল বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস ও বিবিএর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয়।ইউএসটিসির সহ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) এ এইচ এম ইসহাক চৌধুরী বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এমবিবিএস ও বিবিএর শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছি। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ইউএসটিসি ক্যাম্পাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (বিবিএমএইচ) মহাপরিচালক মো. শওকত আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউএসটিসির এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের ছাত্র কামরুল ইসলাম ও বিবিএর প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র ক্রেডিট চাকমা নগরের ফয়েজ লেক এলাকার একটি বাসায় একসঙ্গে থাকেন। গত সোমবার রাতে ওই বাসায় লাইট জ্বালানো নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিবিএর শিক্ষার্থীরা এমবিবিএসের এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন। পরে দুই পক্ষের বড় ভাইয়েরা বিষয়টির সমাধান করেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিবিএর শিক্ষার্থীরা এমবিবিএসের শিক্ষার্থীদের দেখে উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। এর জের ধরে এমবিবিএসের শিক্ষার্থীরা বিবিএর তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মিথুন চৌধুরীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে বিবিএর শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়।নগরের খুলশি থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর বিবিএ ও এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।সহ-উপাচার্য এ এইচ এম ইসহাক চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।গতকাল শনিবার রাত নয়টার পর থেকে বগুড়া শহরে বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের সাতমাথা, ইয়াকুবিয়া মোড়, মফিজ পাগলার মোড়সহ শহরের ব্যস্ততম এলাকায় অর্ধশত ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতাল-সমর্থকেরা।পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরজুড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো ককটেল ফাটাচ্ছে হরতাল-সমর্থকেরা। পুলিশ ও বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে গেলে তারা কেটে পড়ছে।’এর আগে শহরে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে হরতাল-সমর্থকেরা। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকার গোহাইল সড়কের মুখে পর পর দুটি ককটেল ফাটানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কে সাতমাথা চত্বর ফাঁকা হয়ে যায়। লোকজন দিগিবদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ-বিজিবি এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে প্রায় একই সময়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের নওদাপাড়া এলাকায় হরতাল-সমর্থকেরা তাণ্ডব চালায়। তারা পর পর প্রায় ১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মহাসড়কে চলাচলরত প্রায় ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সময় একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রিয়াদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে গতকাল সোমবার উপজেলা শহরে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।গতকাল সকাল ১০টায় যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছা উপজেলা মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আধা কিলোমিটারে মানববন্ধন করা হয়।এতে উপজেলার চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা রিয়াদুল হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। রিয়াদুল উপজেলার লাউজানি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।রিয়াদুলের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০ নভেম্বর বিকেলে রিয়াদুল বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির পাশে লাউজানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পরদিন ঝিকরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।ওই দিন রাতে রিয়াদুলের বাবা মিজানুরের মুঠোফোনে ফোন করে এক ব্যক্তি তাঁকে জানায়, তাকে (রিয়াদুল) অপহরণ করা হয়েছে এবং ২৫ লাখ টাকা দিলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। মিজানুর অপহরণকারীদের টাকাও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারাঙ্গালি গ্রামের খালপাড়া এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বলেন, এ ঘটনায় রিয়াদুলের বাবা মিজানুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি গতকাল পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লাউজান গ্রামের মিলন ও সদর উপজেলার নারাঙ্গালি গ্রামের রয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ডিবি যশোর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কী কারণে এবং কারা হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক শ শিক্ষার্থী-অভিভাবক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতের দাবি জানান।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আকতার ও আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে পিএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের গোপন কোড নম্বর ফাঁস করার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতের দাবি জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। এতে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন।মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অভিভাবক নজরুল ইসলাম তালুকদার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।অভিভাবক হারুন অর রশিদ মোল্লা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে উত্তরপত্রের গোপন কোড নম্বর ফাঁসের মাধ্যমে আমতলী বন্দর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনৈতিকভাবে ভালো ফল ও বৃত্তি পাচ্ছে। এতে অন্য বিদ্যালয়ের মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। মানববন্ধন শেষে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে সঞ্চারকলিপি দেন।উত্তরপত্রের গোপন কোড ফাঁসের বিষয়ে ১০ ডিসেম্বর ‘শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পিএসসির উত্তরপত্রের গোপন কোড ফাঁস’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।জেসমিন আকতার মুঠোফোনে বলেন, ‘কোড ফাঁসের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষা বিভাগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। কেন যে মানববন্ধন বা বিক্ষোভ হলো বুঝতে পারছি না।’জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমার বিদ্যালয় ভালো ফল করে বলেই অন্যরা এই অভিযোগ করছেন।’উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অফিস সহকারী গাজী আশরাফ জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আকতার ১৮ ডিসেম্বর চাকরি ছেড়ে দিয়ে কর বিভাগে নতুন চাকরিতে যোগদান করেছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’
ফুটবলের লোক হিসেবেই সবাই জানে বার্ট ফন মারউইককে। তবে সাবেক ফুটবলার, হল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক কোচ ও কয়েক দিন আগে জার্মান ক্লাব হামবুর্গের দায়িত্ব নেওয়া মারউইক তাসের খেলা ক্লেভারজেসেনেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে!বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে কলেজ শাখা ছাত্রদল। হামলাকারীরা ওই সময় অধ্যক্ষের কক্ষের টেবিল, দরজা ও জানালা ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় অধ্যক্ষ তাঁর দপ্তরে ছিলেন না।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বেলা একটায় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কলেজ অধ্যক্ষের কাছে মুঠোফোনে আমন্ত্রণ না পাওয়ার কারণ জানতে চান কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান।অধ্যক্ষ ওই ছাত্রনেতাকে জানান, কোনো দলকেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কলেজের সব বিভাগের শিক্ষার্থীকে নোটিশ দিয়ে অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছে। এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের ওই নেতার নেতৃত্বে অধ্যক্ষের কক্ষে হামলা চালানো হয়।এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল অনুষ্ঠানের দাওয়াতই পায়নি। সুতরাং ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করেননি, ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাওয়াত না পেয়ে ভাঙচুর করেছেন।’ কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘কলেজ থেকে কোনো ছাত্রসংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে কলেজের সব শিক্ষার্থীকে নোটিশ দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ছাত্রদলের এক নেতা ফোন করে আমন্ত্রণ না পাওয়ার কারণ জানতে চান। এর পরই আমার দপ্তরে গিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।’আজ ২৬ নভেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৮। গুরুত্বপূর্ণ দিন বৃহস্পতি ও শনিবার। শুভ রং— নীল, হলুদ, ধূসর। শুভ রত্ন—ইন্দ্র নীল, গোমেদ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব— সাহিত্যিক মোহাম্মদ আবদুল হাই, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, চার্লস শুলজ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)কর্মস্থলে অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণে কুশলী হোন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পাওনা আদায় হবে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে থাকলে আবারও চেষ্টা করুন এ ক্ষেত্রে ভাগ্য আজ সুপ্রসন্ন থাকতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কেউ কেউ পুরস্কৃত হতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)শিল্পকলায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পরিবারের বয়স্ক কারও রোগমুক্তি ঘটতে পারে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য প্রেমের ব্যাপারে আপনাকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)শিক্ষার্থীদের কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হবেন। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আজ কারও কারও মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে পারে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। কর্মস্থলে আজ আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। পরিবারের কারও অসুস্থতা আপনাকে ভাবিয়ে তুলতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় হবে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হতে পারেন। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)শিক্ষাক্ষেত্রে কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)পরিবারের বয়স্ক কারও রোগমুক্তিতে আপনার মানসিক অস্থিরতা দূর হবে। বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল জেনে শিক্ষার্থীদের কারও কারও মুখে হাসি ফুটতে পারে। প্রবাসী কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত কেউ কেউ পুরস্কৃত হতে পারেন। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনে দোলা দিতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে ছিল। টানা অবরোধের পর দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে একসঙ্গে অনেক গাড়ি আসায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা অবরোধ শেষে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে একযোগে ছেড়ে আসা অনেক গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে যথাসময়ে নদী পারাপার হতে পারেনি। এতে ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারে গাড়ির সারি ছিল। ওই সারিতে প্রায় ৬০০ গাড়ি আটকে ছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হাতে অপহূত শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টার (চালক) বদু মিয়া তিন ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছেন।গতকাল বুধবার সকাল পৌনে আটটার বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনটি সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান শুরু করলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বদু মিয়াকে ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়ে দেয় অপহরণকারীরা।বদু মিয়ার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বদু মিয়াকে অপহরণকারীরা মুখে কাপড় পেঁচিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি ঘরে আটকে রাখে। কিন্তু কারা তাঁকে অপহরণ করে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।এদিকে শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টারকে অপহরণের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় রুটে চলাচলকারী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন। তবে বদু মিয়া মুক্ত হওয়ার পর বেলা ১১টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা নুরুল হুদা ও কে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ বাধাহীনভাবে ক্যাম্পাসে তাদের কর্মসূচি পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয় না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নিয়মিত হামলা করে আমাদের নেতা-কর্মীদের আহত করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টারকে অপহরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করেন।’ তাঁরা এটিকে তাঁদের আন্দোলনের রিহার্সেল বলেও উল্লেখ করেন।অন্যদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম বলেন, আন্দোলনের কৌশল হিসেবেই তাৎক্ষণিক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টার অপহূত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকো মাস্টারকে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার তালম ইউনিয়নের বড়ইচড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তার এবং জমি নিয়ে ওই গ্রামের মোকছেদ আলী ও হায়দার আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। গতকাল মোকছেদ আলী দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে হায়দারের লোকজন তাঁকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে নড়াইলে পুলিশের তিন সদস্যকে গত রোববার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এঁরা হলেন নড়াইল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজন, কনস্টেবল লালন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনস্টেবল বিজন (৪০)।জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মাসুম আহামঞ্চদ ভূঞা জানান, ফেনসিডিল বহনের অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশের ওই তিন সদস্যকে গত রোববার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয় এবং তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত রোববার সকাল সাতটার দিকে একদল পুলিশ নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রামের যুবলীগের কর্মী লিটন শেখের (৩০) ঘরে অভিযান চালায়। পুলিশ ঘরের বারান্দা থেকে ৭৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং তাঁকে আটক করে। লিটন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, পুলিশের তিন সদস্য সুজন, লালন ও বিজন তাঁর বাড়িতে ফেনসিডিল রেখে গেছেন।ওসি আরও জানান, ফেনসিডিল রাখার অভিযোগে লিটন শেখের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক শেখ সজল হোসেন। লিটনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যসূচির বই বিতরণের আগেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারের চপ-পেঁয়াজুর দোকানে ঠোঙা হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।গোয়ালন্দ শহরের কাপড় বাজারের মাথায় শান্তি লালের দোকানে গত রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ চপ-পেঁয়াজু খেতে যান। এ সময় তাঁরা বইয়ের পাতা ছিঁড়ে চপ-পেঁয়াজু বিক্রি করতে দেখে খোঁজ নেন। তাঁরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকার লোগোসংবলিত ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি নামের কয়েকটি বই দেখতে পান। পরে তাঁরা কৌশলে দুটি বই উদ্ধার করে এ প্রতিনিধির কাছে একটি হস্তান্তর করেন।এ বিষয়ে শান্তি লাল বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত মানুষ। প্রতিদিন বাজারের ডালের দোকান থেকে এক-দুই কেজি করে কাগজ (বই) কিনে চপ-পেঁয়াজু বিক্রি করি। নতুন বইয়ের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।’ পরে ডালবাজারের কয়েকজন বিক্রেতার কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নিলেও তাঁরা কেউই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেননি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, চলতি বছর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসাগুলোর জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে। এসব বই ১ জানুয়ারি বই উৎসবের দিন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণের কথা। কিন্তু সপ্তম শ্রেণীর ওই ব্যাকরণ বইটি কীভাবে বাজারের চপ-পেঁয়াজুর দোকানে গেল, সেটি ভাবনার বিষয়। তার পরও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিচেন্নাই-হায়দরাবাদ(সরাসরি, রাত ৮-৩০ মি., মাছরাঙা, স্টার ক্রিকেট, স্টার স্পোর্টস)লা লিগাঅ্যাথলেটিক বিলবাও-রিয়াল বেটিস ভিয়ারিয়াল-এসপানিওল(সরাসরি, রাত ১২ ও ২টা, স্টার স্পোর্টস ২)সিরি ‘আ’ইন্টার মিলান-ফিওরেন্তিনা(সরাসরি, রাত ১২-৪৫ মি., ইএসপিএন)ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানমঁপেলিয়ে-স্তাড রেনে(সরাসরি, রাত ১২-৪৫ মি., ইএসপিএন)ফিল্ড হকি: সুলতান অব জহর কাপইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনা, ভারত-কোরিয়া(সরাসরি, বেলা ২টা ও ৪টা, ইএসপিএন)পাকিস্তান-মালয়েশিয়া(সরাসরি, সন্ধ্যা ৬টা, ইএসপিএন)টেনিস: টোকিও প্যান প্যাসিফিক ওপেন(সরাসরি, সকাল ১০টা, টেন স্পোর্টস)জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আজ রোববার অনুষ্ঠেয় ২০১২ সালের সম্মান প্রথম বর্ষের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ নভেম্বর শনিবার।গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানও প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আগের সময়সূচি অনুযায়ী আজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, নৃ-বিজ্ঞান ওঅর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।অন্যদিকে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ২০১২ সালের এলএলবি শেষ বর্ষের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এই পরীক্ষা হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।পল্টন মোড়। সোমবার রাত সাড়ে নয়টা। পরপর কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালো দুর্বৃত্তরা। যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটতে থাকা লোকজন যে যেদিকে পারলেন দৌড় দিলেন। মুহূর্তেই মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশার জটলা পরিষ্কার। পল্টন মোড়ের পাশে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কয়েকটি কাভার্ড ভ্যান পার্ক করে রাখা। বিস্ফোরণের পরপরই গাড়ি চালকের উর্ধ্বশ্বাসে ইঞ্জিন চালু করে গলির ভেতরে ঢুকে যায়। একটু পরে সেগুন বাগিচায় কথা হয় এক কাভার্ড ভ্যান চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ্যামনে কইরা কী হাসিনায় ইলিকশন কইরবার পারবো। আইজই যদি এ্যাম্বা অবস্তা হয়। ইলিকশানের দিনে কী হইবো, আমরা ভুট দিমু ক্যামনে।’ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই রাজধানীতে ককটেল, ভাঙচুর আর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে শুরু করে। তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই নাশকতা-সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত লাঠি, বন্দুক, টিয়ার গান আর ঢাল হাতে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেয় নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যায় চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ। রাত ১০টার দিকে রাস্তাগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মহাখালী এলাকায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় জাহিদ সায়মন নামে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন আলোকচিত্র সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, বাসাবো, বাড্ডা, পুরান ঢাকার জগন্ন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, গেন্ডারিয়া, ইসলামপুর ও বাবুবাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।পুলিশ জানায়, রাত সোয়া আটটার দিকে টিএসসির পূর্ব পাশের ফটকে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপরই সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে আরও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় কোনো হতাহত বা কেউ গ্রেপ্তার হননি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে টঙ্গী স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট আগুন নেভায়। অপরদিকে রাত পৌনে নয়টার দিকে মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের পল্লবী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া  হয়।এ ছাড়া রাতে হাতিরপুলে কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ফার্মগেটে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। এখান থেকে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন। বাংলামোটরে একটি সিএনজিচালিত  অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়।তবে এসব নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় মসলা উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশলের ওপর গতকাল দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে।মাগুরার আঞ্চলিক মসলা গবেষণাকেন্দ্রের অর্থায়নে অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে উপজেলার ৩০ জন কৃষক অংশ নেন। এতে প্রশিক্ষণ দেন গাজীপুর মসলা গবেষণাকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও মাগুরা অঞ্চলের মনিরুজ্জামান।এ উপলক্ষে সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু-কৃষি-পানিবিষয়ক যুবক্যাম্প’। ক্যাম্পে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ৩০ জন প্রতিনিধিসহ মোট ৮০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করবেন।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান), হিউম্যানিটিওয়াচ, গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) ও অনলাইন নলেজ সোসাইটির (ওকেএস) যৌথ উদ্যোগে নোয়াখালীর পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এ ক্যাম্প আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে।গতকাল বুধবার নোয়াখালী বিআরডিবির প্রশিক্ষণকেন্দ্র মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।আয়োজকেরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে সহায়তার অভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ১৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে। জমি-জলা-জঙ্গলের ওপর ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদকদের অধিকারহীনতার কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে ব্যাপক হারে। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের ২৭ শতাংশ তরুণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।নাটোর সদর উপজেলার পাটুল বাজার থেকে শেরকোল সড়ক হয়ে পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি মাঝারি আকারের পাকা সেতু দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে না। সম্প্রতি উপজেলার আঁচড়াখালি গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।স্থানীয় লোকজন জানান, দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৩০ বছর ধরে সেতুটি অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে এই উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের চার হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পিপরুল ইউনিয়নের পাটুল ও আঁচড়াখালি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকারি অর্থায়নে আঁচড়াখালি খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ১৫ ও প্রস্থ ১২ ফুট। কিন্তু ওই সময় অজ্ঞাত কারণে এর দুই পাশে ২০০ মিটার করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন নৌকা দিয়ে পূর্ব পাশের পাটুল গ্রাম থেকে উত্তর পাশের আঁচড়াখালি গ্রামে যাচ্ছেন।পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি দেব জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ করা ওই সেতুর কোনো কাগজপত্র ইউপি কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই। তাই সরকারের কোন সংস্থা সেতুটি নির্মাণ করেছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে সেতুর উভয় পাশে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজন আছে।সেতু এলাকার বাসিন্দা ঝুড় আলী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০-১২ বছর পর এই বিরিজ (সেতু) করা হয়েছে। কিন্তু দুই দিকে পানি থাকায় বিরিজ তো কোনো কাজে আসছে না। যারা ভোটে দাঁড়ায়, তারা ভোট অ্যালে বিরিজের দুই দিকের রাস্তা করি দিতে চায়। কিন্তু ভোট শেষ হলে আর কাউকে দেখা যায় না। এভাবে ৩০ বছর কাটি গেল।’আঁচড়াখালি গ্রামের দীপালি রানী বলেন, ‘সরকার এত ট্যাকা দিয়া বিরিজ বানাতে পারিছে। আর সামান্য কয়ডা ট্যাকা দিয়া মাটির রাস্তাও করতে পারে না?’স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নাটোর সদর উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, তাঁদের কার্যালয়ে ওই সেতুর কোনো কাগজপত্র নেই। তিনি ওই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকার বিষয়টি জানেন না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।সড়ক দুর্ঘটনায় গোপালগঞ্জ, বরিশালের গৌরনদী এবং যশোরে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:গোপালগঞ্জ: রোববার বেলা দুইটার দিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গোবরা-নিলার মাঠের কাছে একটি ইজিবাইক অপু সিকদারকে (১০) চাপা দেয়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে গতকাল সকাল সাতটার দিকে সে মারা যায়। সে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের নিলার মাঠ এলাকার কাওসার শিকদারের ছেলে। সে শহীদ মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।গৌরনদী (বরিশাল): গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থলে একটি ট্রাক একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক ছালাম ফকির (৩৫) প্রাণ হারান।যশোর: সদর উপজেলার চুরামনকাঠি-সাতমাইল এলাকায় রোববার একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী ইমরান হোসেন ওরফে অলি (৩০) মারা যান।আমি বড় হয়েছি মফস্বল শহরে। সেখানে সবকিছুতেই ছিল বারণ। ফলে বাসায় বসে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কিছু পড়ার সাহস পেতাম না। শুধু পাঠ্যবইয়ে মুখ গুঁজে থাকতাম। তারপর যখন কৈশোরে পা দিলাম; বিভিন্ন লেখকের বই পড়তে শুরু করলাম। সবই লুকিয়ে। নীহাররঞ্জন গুপ্ত, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বইসহ, মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর সিরিজের বইগুলোও পড়েছিলাম এই সময়ে।আরেকটু বড় হয়ে পড়তে শুরু করলাম তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনীর বই। আর উদয়ন পত্রিকা তো ছিলই। ওই বয়সে একটা নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিল সেই বইগুলো। এভাবেই রাশিয়ার সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে আমার। তখন নিকোলাই অস্ত্রোভস্কির ইস্পাত আমায় ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। জীবনের দর্শনটাই আমূল পাল্টে দিয়েছিল। তারপর পড়েছি আলেকজান্ডার পুশকিন, লিও টলস্টয়, দস্তয়ভস্কি। তাঁদের লেখা খুব ভালো লাগত। আমার প্রিয় উপন্যাস লিও টলস্টয়ের পুনরুজ্জীবন।এরপর পড়েছি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়েছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন রচনা।অনেকের লেখাই তো পড়া হয়েছে। তবে দেশের মধ্যে আমার পছন্দের লেখকদের তালিকায় রয়েছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শওকত আলী, মঞ্জু সরকার ও শহীদুল জহির। শহীদুল জহিরের সে রাতে পূর্ণিমা ছিল আমার খুব প্রিয় উপন্যাসের একটি। আর ভালো লাগে মঞ্জু সরকারের অবিনাশী আয়োজন।বিশ্বসাহিত্যের মধ্যে লাতিন আমেরিকার সাহিত্য ভীষণভাবে প্রভাবিত করে আমাকে। সুযোগ পেলেই পড়ি লাতিন সাহিত্য। লাতিন আমেরিকায় আমার অন্যতম প্রিয় লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।তবে এখন যা পাই, তা-ই পড়ি। আর পড়তে পছন্দ করি বিভিন্ন পুরস্কার পাওয়া বই। নোবেল পুরস্কার পাওয়া বইগুলো পড়তে ভুল হয় না কখনো। পেশাগত কারণেই বেশি পড়া হয় চিত্রনাট্য। সেটা না পড়লে তো উপায় নেই। তবে সেগুলো পড়ে প্রায়ই নিরাশ হতে হয়। যেমন খুব মনোযোগ দিয়ে চিত্রনাট্য পড়া শুরু করলাম, শেষ করে মনে হলো, দূর, কী যা-তা পড়লাম। তখন খুব বিরক্ত লাগে। শেষে বলি: আমার একটা আফসোস আছে—এখন আগের মতো বইপড়া হয়ে ওঠে না ব্যস্ততার কারণে। তবে, অন্য সবকিছুর চেয়ে বই-ই যে আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে, এটা বলাই বাহুল্য। অনুলিখন: সুচিত্রা সরকার
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও বাহার সিগনাল এলাকায় দুই পোশাকশ্রমিককে গণধর্ষণের মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা দুই শ্রমিককে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা কালেক্টরকে।দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পারভেজ, রানা ও নাছির। গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন। দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নাছির পলাতক রয়েছেন।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর চন্দন তালুকদার প্রথম আলোকে জানান, ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও বাহার সিগনাল এলাকায় ভাড়া বাসায় ফেরার পথে দুই তরুণীকে আটকে গাড়িতে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় এক তরুণী বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ পরের বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় দেন।রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় যাত্রা শুরু করেছে ‘স্বপ্ন লাইফ’। ১৩ অক্টোবর এই আউটলেটটি উদ্বোধন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের (স্বপ্ন) নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ অব অপারেশনস আবু নাছের, হেড অব রিটেইল সেলস সামসুদ্দোহা শীমুল, হেড অব করপোরেট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশন্যাল বিজনেস সোহেল তানভির খান, হেড অব গ্রোসারি বিজনেস পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ। ‘স্বপ্ন লাইফ’-এ সুলভ মূল্যে সব ধরনের পোশাক ও ঘর সাজানোর সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।যশোরের বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কেজি ওজনের ১২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো আনার দায়ে কামরুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কামরুল মোটরসাইকেলে করে সোনার বারগুলো নিয়ে যশোরের দিকে আসার পথে বিজিবি ২৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা তাকে থামায়। এ সময় তার কাছ থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়।  যশোর অফিসপটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা সদরের পীরতলা বাজারে গত বুধবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে চারটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে আরও চারটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এতে তাঁদের ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।পটুয়াখালী অফিস
সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় করা মামলায় সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেফাতউল্ল্লাহ ও তিন প্রকৌশলীর জামিনের আবেদন উপস্থাপিত হয়নি বলে তা খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই চারজনের পৃথক জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। তবে পুলিশের করা এক মামলায় অপর প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।গত ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষ নিহত হন। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দিনই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সাভার মডেল থানায় ভবনটির মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল সাভার থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ।যে তিন প্রকৌশলীর জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ হয়েছে, তাঁরা হলেন ইনতেমাম হোসেন, মো. আলম মিয়া ও মো. রফিকুল ইসলাম। তাঁরা ওই দুই মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। রেফাতউল্ল্লাহ রাজউকের করা মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁরা সবাই কারাগারে আটক রয়েছেন।রেফাতউল্লাহর পক্ষে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও রাকিবুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী খান টিপু সুলতান মামলা পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার।রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেক লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় শিতলাই থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহী স্টেশনমুখী একটি শাটল ট্রেনের নিচে তিনি কাটা পড়েন। রাজশাহী জিআরপি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির অন্তর্বর্তী সমঝোতার মধ্যে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার পরও প্রায় এক দশক ধরে চলা অচলাবস্থার পর এই সমঝোতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।সমঝোতা চুক্তির পরদিনই ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ইরানের ওপর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান—দুই পক্ষই বলতে পারে, বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়ার পর সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। বাস্তবে এই ছাড়ের প্রভাব খুবই সীমিত। এই সমঝোতায় অখুশি ইসরায়েল সমঝোতাকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ আখ্যা দিয়েছে।ছয় বিশ্বশক্তি-ইরান সমঝোতা অনুযায়ী তেহরান ৫ শতাংশের বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, নতুন করে কোনো সেন্ট্রিফিউজ চালু বা পরবর্তী প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করতে পারবে না এবং আরাক পারমাণবিক চুল্লির নকশা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কাছে সরবরাহ করতে হবে। বিনিময়ে আগামী ছয় মাস তেহরানের ওপর ছয় বিশ্বশক্তি পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না; সোনা, মূল্যবান ধাতুসহ বেশ কিছু খাতে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই সমঝোতা আপাতত মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ ঠেকিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমঝোতার আরেকটি বড় সাফল্য হলো, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি বাস্তবসম্মত ভিত্তি তৈরি হয়েছে।অবশ্য সমঝোতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে ইসরায়েল ছাড়াও ইরানবিদ্বেষী সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ অস্বস্তি প্রকাশ করেছে।জেনেভা সমঝোতায় পৌঁছাতে ইরানকে কিন্তু সেই অর্থে খুব বেশি ছাড় দিতে হয়নি। ইরান ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত অন্তর্বর্তী সমঝোতার ছয় মাস একই অবস্থায় রাখার সুযোগ পেয়েছে। এটাই ইসরায়েলের জন্য অস্বস্তির বিষয়। ইউরেনিয়াম ৫ শতাংশের বেশি সমৃদ্ধ না করার প্রস্তাবের পাশাপাশি ইরান নতুন করে কোনো সেন্ট্রিফিউজ চালু না করার বিষয়টিও মেনে নিয়েছে। আইএইএয়ের পরিদর্শক দলকে ইরানের স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়াও একটি ইতিবাচক দিক।সমঝোতার বিপরীতে ইরানকে কিছু সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি হলো, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি জবাবদিহির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কিছু অংশ প্রত্যাহার করা হলেও তা স্থায়ী নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগেই বলে রেখেছেন, সমঝোতার শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।ওবামা-নেতানিয়াহু ফোনালাপ: ইরানের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গত রোববার ফোনে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।ইরানি আলোচকদের ফুলেল শুভেচ্ছা: জেনেভায় সমঝোতার পর তেহরানে ফিরে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা পেলেন ইরানি আলোচকেরা। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, এই সমঝোতাকে সঠিক পথে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এএফপি ও বিবিসি।মাগুরায় গত বৃহস্পতিবার বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় কামরুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে গত বুধবার বরিশালে ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র সোহাগ রাঢ়ী (২৫) প্রাণ হারিয়েছেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহমঞ্চদপুর উপজেলার নহাটা গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে নহাটা থেকে বাসে করে মাগুরা শহরের চাউলিয়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এ সময় একটি বালুবোঝাই ট্রাক পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি আটক করে। তবে চালক পালিয়ে যান।এদিকে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সোহাগ রাঢ়ীসহ আরেক তরুণ বরিশাল নগরের আইসিসি হাসপাতালে তাঁর অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে মোটরসাইকেলে করে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি নতুন বাজার এলাকায় একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে একটি বালুভর্তি ট্রাক সোহাগ রাঢ়ীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিনি সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের নীল খোলা পাড়াঠ খালেক রাঢ়ীর ছেলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বটতলী স্টেশনের পরিবর্তে ষোলশহর স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরউদ্দেশে যাতায়াত করবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।জাইকার আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড রি-মডেলিং প্রকল্পের কাজ ওই দিন থেকে শুরু হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণী থেকে এটি জানা যায়।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত মাসের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে খুব কড়া ভাষায় এক বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হইনি।’ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পাকিস্তানের কাউকে ভারতের কোনো নেতার এত ভালো জবাব দিতে আমি আর শুনিনি।’ এনডিটিভি।দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে প্রচণ্ড শীতকালীন ঝড়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ঝড় আগামী কয়েক দিন ক্রমেই পূর্ব দিকে যাবে। লাখ লাখ মানুষ আগামী বৃহস্পতিবার থ্যাংকসগিভিং দিবসের ছুটি কাটাতে সড়কপথ ও বিমানে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন সময় এ দুর্ভোগ শুরু হলো।ঝড়কবলিত এলাকায় তুষার জমে রয়েছে। এ ছাড়া গাছের পাতা ঢেকে গেছে সাদা তুষারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবারের মধ্যে এই ঝড়ের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালা ও নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে প্রচুর তুষারপাত হতে পারে। এ ছাড়া আরও দক্ষিণে প্রবল বর্ষণের কারণে যানবাহন ও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।অন্তত চার কোটি ৩০ লাখ মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে থ্যাংকসগিভিং দিবসের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করবে। ঝড়ের কারণে তাদের যাতায়াতে সমস্যা হবে। এএফপি।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সভা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এম তারিকের সভাপতিত্ব করেন।গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
স্টিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শীতলপুর স্টিল এখন নতুন নামে বাজারে আসছে। কোম্পানির নতুন নাম শীতলপুর অটো স্টিল মিলস লিমিটেড (এসএএসএম)। নতুন নামকরণ উপলক্ষে এ কোম্পানি রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় আগুন লেগে সাতটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে পৌর শহরের বড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোর চারটার দিকে বড় বাজারের কমল ঘোষের মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের আরও ছয়টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে পাঁচটি মুদি দোকান এবং একটি হার্ডওয়্যারের দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। অপর একটি দোকান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জচলতি বছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়কালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪১৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।আগের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালের একই সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৮৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়কালে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় ছিল ৩৫১ কোটি ৮২ লাখ ডলার।এতে দেখা যায় যে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ভিয়েতনামই এই সময়কালে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারছে। এর পরই রয়েছে বাংলাদেশ, যার রপ্তানি আয় সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকো, পাকিস্তান ও হন্ডুরাসের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে।চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ভিয়েতনাম ৬০৫ কোটি ১৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। চীন যথারীতি শীর্ষ স্থানে থাকলেও রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।‘খলনায়ক নয়, চরিত্রটি নেতিবাচক।’—নিজের নতুন ছবির চরিত্রটি নিয়ে এভাবেই বললেন মোশাররফ করিম। ছবির নাম জালালের পিতাগণ। পরিচালক আবু শাহেদ। মোশাররফ করিম এবার তাঁর ষষ্ঠ ছবিতে অভিনয় করছেন। শুটিং করেছেন নয় দিন। জানালেন, আরও কয়েক দিন শুটিং করতে হবে।জালালের পিতাগণ ছবিতে নিজের চরিত্রটি নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, ‘ছেলেটি যা চায়, তা-ই তার কাছে সুন্দর। যখন তা চায় না, তখন ওটার চেয়ে অসুন্দর আর কিছু হতে পারে না। অন্তর্দ্বন্দ্বে ভরপুর।’নিজেকে মোটেও এই ছবির খলনায়ক বলতে চান না মোশাররফ করিম। তিনি বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে যেকোনো চরিত্রকে আমি চরিত্রই মনে করি। যদি এক জায়গায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাই, তাহলে তো আর অভিনয়ের ক্ষুধা মিটবে না। এখন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছি, হয়তো পরের ছবিতেই পুরোপুরি ইতিবাচক চরিত্রে কাজ করব। টিভিনাটকে কিন্তু আমি দুই ধরনের চরিত্রেই কাজ করছি।’মোশাররফ করিম এর আগে জয়যাত্রা, দারুচিনি দ্বীপ, রূপকথার গল্প, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার আর টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করেছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সানম্যান টেক্সটাইল নামে একটি বস্ত্র কারখানায় গতকাল বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কারখানার মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) আটজন আহত হন।আহত ব্যক্তিরা হলেন কারখানার জিএম আবদুর রহিম ও সহকারী পরিচালক গোলাম উদ্দীন, বয়ন বিভাগের শ্রমিক আবদুস সোবহান (৪৫), জিয়া উদ্দীন (৪৫), ফাতেমা বেগম (৪০), রোকেয়া বেগম (৪০), ডাইং বিভাগের মো. ফেরদৌস (৪৫) ও তারেকুল ইসলাম (৩২)। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন সানম্যান টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপক বয়ন বিভাগের কয়েকজন শ্রমিককের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত সোমবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে জিএম আবদুর রহিম ও সহকারী পরিচালক গোলাম উদ্দীনের কাছে জানতে চান শ্রমিক আবদুস সোবহান। এ সময় বয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন লোহার রড নিয়ে সোবহানকে মারধর করতে থাকেন। তখন কয়েকজন শ্রমিক এগিয়ে এলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আটজন আহত হন।এ ঘটনার পর মালিক আবদুল মান্নান হেলিকপ্টারযোগে বেলা দুইটার দিকে কারখানায় যান। এরপর ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন ইমরান ও চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নুতন চাকমা ও সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনা তদন্তে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দুজন করে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, কোনো শ্রমিককে বিদায় করতে চাইলে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এরপর শ্রমিকের কোনো অন্যায় না থাকলেও তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।সাবেক যুগোস্লাভিয়ার নেতা মার্শাল টিটোর বিধবা স্ত্রী যোভাংকা ব্রোজকে গতকাল শনিবার সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্যের পর সমাহিত করা হয়েছে।শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী যোভাংকাকে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের হাউস অব ফ্লাওয়ার্স স্মৃতিসৌধে স্বামী টিটোর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। সার্বিয়াই ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল অধুনালুপ্ত বহুবিভক্ত যুগোস্লাভিয়া ফেডারেশনের শেষ উত্তরসূরি।জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ ব্রোজ টিটোর স্ত্রী যোভাংকা হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান।সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আইভিচা দাসিচ শেষকৃত্যে বলেন, ‘তিনি ছিলেন আমাদের সাবেক দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সর্বশেষ সাক্ষীদের একজন।’ নাৎসিবিরোধী আন্দোলনের একজন কৃতী সদস্য হিসেবে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় যোভাংকার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।১৯৮০ সালে স্বামী ও যুগোস্লাভিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট টিটোর মৃত্যুর পর নিভৃত জীবনযাপন শুরু করেন যোভাংকা। বিবিসি।মিসরে গণবিক্ষোভের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন একটি আইন চালু করছে সেনাসমর্থিত সরকার। এ আইনের আওতায় পুলিশের পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ বিক্ষোভ করতে পারবে না। আইনটিতে রোববার সই করেছেন প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুর। এটাকে ‘দমনমূলক’ আইন আখ্যায়িত করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।অনেকে মনে করছেন, মূলত মিসরের ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের দমন করতে নতুন এ আইন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।গত তিন বছরে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে মিসরের দুজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এমনকি গত রোববার যখন প্রেসিডেন্ট মানসুর আইনটিতে সই করেন, তখনো দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির হাজার হাজার সমর্থক এদিন কায়রোসহ বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে কায়রোর দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ব্রাদারহুড-সমর্থকেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানের ১০০তম দিন স্মরণে ওই বিক্ষোভের আয়োজন করে ব্রাদারহুড। গত আগস্টে ওই অভিযানে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল।সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জের ধরে গত ৩ জুলাই ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরের সামরিক বাহিনী। ওই ঘটনার পর থেকেই তাঁকে পুনর্বহাল করার দাবিতে টানা আন্দোলন করে আসছেন ইসলামপন্থীরা।এদিকে মিসরের ১৯টি মানবাধিকার সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে নতুন আইনটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এ আইন সব ধরনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে গণ্য করেছে। বিবিসি।এই বলগুলো আসলে নতুন বছরের উপহার। জাপানিরা একে বলে তিমারী। বলগুলো মূলত সুতা দিয়ে তৈরি। জাপানি ঐতিহ্য অনুযায়ী, নতুন বছরে পুরোনো কিমোনো (একধরনের জাপানি পোশাক) থেকে নেওয়া সুতা দিয়ে বল বানান বয়োজ্যেষ্ঠরা। তারপর নানা রকম নকশা আঁকা এ বল নববর্ষ উপলক্ষে উপহার দেওয়া হয় ছোটদের। আপনি ছবিতে যে বলগুলো দেখছেন, এগুলো নতুন ইংরেজি বছরের উপহার হিসেবে বানিয়েছেন আলোকচিত্রী নানাআকুয়ার বৃদ্ধ দাদি। তাঁর বয়স ৯২ বছর। বহু বছর ধরে তিনি তৈরি করছেন এই সুদৃশ্য তিমারীর বল। এখন তাঁর সংগ্রহে আছে প্রায় ৫০০টির মতো বল। নকশা করা এসব বল তৈরি করতে প্রয়োজন প্রচণ্ড ধৈর্য, সূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি এবং নিপুণ দক্ষতা।  মো. সাইফুল্লাহসূত্র: বোরডপান্ডা
জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করার বিষয়টি স্লোগানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। বাস্তবায়ন করার কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহগণনার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটিরও বেশি। নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ছাড়া জনঘনত্ব পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি বাংলাদেশে। বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৯৩ জন মানুষ বাস করে। প্রাক্কলনে বলা হচ্ছে, ২০২১ সালে দেশে জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩০ লাখে ও ২০৫০ সালে ২২ কোটি ৬০ লাখে দাঁড়াবে। জনসংখ্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাফল্যও অর্জন করেছে। স্বাধীনতার সময় মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট-টিএফআর) ছিল ৭। সেই হার কমে এখন হয়েছে ২.৭। ওই সময় গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর, এখন ৬৯ বছর। স্বাধীনতার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি পুনর্গঠন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যা হ্রাসে বিশেষ কর্মসূচি, ১৯৭৬ সালের জাতীয় জনসংখ্যা নীতি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কর্মসূচি (১৯৯৮-২০০৩) এবং ২০০১ সালের মাতৃস্বাস্থ্য কৌশলপত্র অন্যতম।এখন ‘জনসংখ্যাভিত্তিক মুনাফা’ বা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’-এর কথাও শোনা যাচ্ছে। সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন বলছে, দেশে ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী উপার্জনক্ষম মানুষের হার ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, শিশু ও বয়স্কদের হার ৪২ শতাংশ। জনসংখ্যার এই বয়সকাঠামো আগামী তিন দশক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দেশ বিপুল জনসংখ্যা থেকে লাভবান হবে।তার পরও জনসংখ্যা গুরুতর সমস্যা হয়েই আছে। অনেকের মতে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে অন্যতম বাধা এর বিপুল জনসংখ্যা। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে কৃষিজমি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিপুলসংখ্যক মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।অন্য বাস্তবতাটি বেকারত্বের।সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) ২০০৯-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দুই কোটি ৪৪ লাখ বেকার জনগোষ্ঠী রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ সম্পূর্ণ কর্মক্ষম।তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ (২০১০) প্রতিবেদন বলছে, দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ (দেশের অর্থনীতিবিদ ও জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা এই সংখ্যাকে অবাস্তব বলে আখ্যায়িত করেছেন)। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রতিবছর ১৮ লাখ মানুষ শ্রমশক্তিতে যোগ হচ্ছে। ফলে দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে। ২০০৫-২০০৬ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১০ সালে তা বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। পারিবারিক কাজে ১৫ ঘণ্টার কম সময় দেয়, এমন জনগোষ্ঠীকে হিসাবে নিলে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।পোশাকশিল্পের পর অন্য কোনো খাতে বড় আকারে শ্রম নিয়োগের আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বেকার ও আধা বেকার হয়ে আছে। এই বোঝা দিনে দিনে বড় হচ্ছে। ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য জানা খুব জরুরি।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের এ-দেশীয় প্রতিনিধি ওবায়দুর রব প্রথম আলোকে জানান, প্রতিবছর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন জানা। অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কারগরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। যারা কোথাও ভর্তি হয় না, তাদের জন্য কী করা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের অনেকই বেকার।এ দেশের বেকারত্বের বোঝা অনেকটাই কমিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। ওবায়দুর রব জানান, মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা ইংরেজি জানেন, তাঁরা বেশি বেতন পান। যাঁদের কারিগরি দক্ষতা আছে, তাঁরা বেশি বেতন পান। এখানেই ব্যবস্থাপনার বিষয়টি চলে আসে। বিদেশগামী শ্রমিকদের ভাষা ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ তাই জোরদার করা দরকার।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যাকে এখন আর নিয়ন্ত্রণের বিষয় হিসেবে দেখলে চলবে না। দেখতে হবে ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে। সঠিক ব্যবস্থাপনাই জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করবে। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যবস্থাপনাকে দেখা হচ্ছে।জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক (গবেষণা) আহম্মেদ-আল-সাবির বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। নতুন বাসস্থান গড়ে ওঠা এর অন্যতম কারণ। সরকারকে শহর ও গ্রামের বাসস্থানকে এমন ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে, যেন কৃষিজমি আর নষ্ট না হয়। অন্যদিকে, শহরের বহুতল ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করলে জমির ওপর চাপ কমবে।শহরে জনসংখ্যার সমস্যা সহজে চোখে পড়ে। শহরগুলোয় এখন ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ বাস করে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, শহরে তা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ঢাকা শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নগরায়ণে পরিকল্পনার ছাপ নেই। ছোট, মাঝারি ও বড় শহরের ব্যবস্থাপনায় নানা সুপারিশ আছে নগরবিদদের।শহরের, কৃষি জমির বা বেকারত্ব সমস্যার সমাধান বিশেষজ্ঞরা দেখছেন ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে। কেউ কেউ জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের কথাও বলেন। সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এম এ মাবুদ আপাতত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিশন’-এর প্রস্তাব করেছেন (এ বিষয়ে ট্রান্সফরমিং পপুলেশন ইনটু হিউম্যান রিসোর্সেস ইন বাংলাদেশ শিরোনামে তাঁর একটি প্রবন্ধ আছে)। প্রথম আলোকে তিনি জানান, একাধিক মন্ত্রণালয় যুবকদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব শিক্ষা এক রকম নয়, মানেরও তারতম্য আছে। প্রস্তাবিত কমিশনের কাজ হবে মান ঠিক রেখে একই ধরনের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা নজরদারি করা।এম এ মাবুদ জানান, কমিশন জনসংখ্যার বিষয়ে প্রাক্কলন করবে। কোন খাতে কোন ধরনের জনশক্তি দরকার, তা জরিপ করবে। একইভাবে বিভিন্ন দেশে কোন ধরনের জনশক্তি দরকার, তাও জরিপ করবে। এসব জরিপের ভিত্তিতেই কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে সরকার। তিনি আরও জানান, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হলে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ অক্টোবর গণভবনে নড়াইলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইলের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এস কে আবু বাকেরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আবদুল হান্নান। তিনি সেখানে বলেন, সাংসদ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গত সাড়ে চার বছরে টিআর-কাবিখায় দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। তিনি পুলিশ দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন।শিকদার আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং দলে সাংসদের যে অবস্থা, মনোনয়ন পেলে ওনার জামানত থাকবে না।’দলীয় সূত্র জানায়, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দৌলত আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক শিকদার আবদুল হান্নান দলের একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন সাংসদ এস কে আবু বাকের।২০১১ সালের ১২ জুন লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুন্সী আলাউদ্দীন। বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম নির্বাচনের দিন রাতে গ্রেপ্তার হন। উপজেলা পরিষদে হামলার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দিন গভীর রাতে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই নির্বাচনে মুন্সী আলাউদ্দীনের শোচনীয় পরাজয় হয়। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশরাফুল আলম।আশরাফুল আলম ও দলের একাংশের নেতাদের অভিযোগ, সাংসদ বাকেরের নির্দেশেই আশরাফুল গ্রেপ্তার হন। সেই থেকে দলে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। বিভিন্ন সময় পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি সমাবেশও হয়েছে।মুন্সী আলাউদ্দীন বলেন, ‘উপজেলা কমিটির বয়স ১৩ বছর। সাত-আট বছর আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। দলের এই স্থবিরতা এবং শিকদার আবদুল হান্নানের কর্মকাণ্ডে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে—তা গণভবনের বৈঠকে বলেছি।’আবু বাকের বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরে দলাদলি নেই। নেতা-কর্মীরা আমার পক্ষেই আছেন। তবে দলের কয়েকজন খারাপ চরিত্রের মানুষ আমার বিপক্ষে।’ দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘লুটেপুটে খাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় আমি খারাপ হয়েছি।’নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সুবাস চন্দ্র বোস গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ বাকেরের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণেই কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে নড়াইল-২ আসনে বিএনপিদলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ খসরুজ্জামান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের শিকদার।তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মনোনয়ন প্রতিযোগিতার জন্য ওই দুই নেতাকে কেন্দ্র করে দলে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর লোহাগড়া কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে।শরীফ খসরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, দলের সাধারণ কর্মীরা আমার সঙ্গে আছে। হাতে গোনা কয়েকজন নেতা কাদের শিকদারকে ভয় পেয়ে আমার বিরুদ্ধ পথে চলেন। তাঁরাও একসময় আমার কাছে চলে আসবেন।’ আবদুল কাদের শিকদার বলেন, ‘সব সময় মাঠে আছি। আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছি। দল নিশ্চয়ই কোনো অতিথি পাখিকে মূল্যায়ন করবে না।’পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ সেনকাকু বা দিয়াউ দ্বীপ নিয়ে চীনের ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় বেইজিং ও টোকিওর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ গঠন নিয়ে জাপান অযৌক্তিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে অভিযোগ তুলে চীন গতকাল সোমবার বেইজিংয়ে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।এর আগে চীনের ওই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। সেনকাকু বা দিয়াউ দ্বীপ এলাকা বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে। চীন ওই দ্বীপের মালিকানা দাবি করছে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত শনিবার ওই দ্বীপ এলাকাসহ আরও কিছু এলাকা নিয়ে ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। চীন যুক্তি দেখাচ্ছে, ‘বিমান হামলার হুমকি’ মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিন গ্যাং গতকাল নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিংয়ে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল গঠনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জাপান যে অকারণে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সে ব্যাপারে জাপানি রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গতকাল পার্লামেন্টে বলেন, ‘চীনের এই ঘোষণা উত্তেজনা বাড়বে। আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় স্বাধীনভাবে বিমান চলাচলের নীতিতে হস্তক্ষেপ না করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা গত রোববার চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল গড়ে তোলাকে একতরফা সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এর ফলে ওই অঞ্চলে নজিরবিহীন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল গড়ে তোলার সমালোচনা করেছে জাপানের মিত্র বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এক বিবৃতিতে বলেন, বেইজিংয়ের এই ঘোষণা ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, চীনের এই ঘোষণা ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক অবস্থান বা কার্যক্রমের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।চীনের ঘোষণা ‘দুঃখজনক’: চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল গড়ার ঘোষণাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। চীনের ঘোষিত প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি করা কিছু অঞ্চলও পড়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, ওই অঞ্চলের দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রিত এলাকার মানচিত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না। এএফপি ও বিবিসি।ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্যবহারে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে অনেকে মনে করে। কিন্তু প্রচলিত এই ধারণা যে ভুল তা প্রমাণ করলেন জোয়েল এমওয়ালে। ২০ বছর বয়সী এই কেনীয় তরুণ সম্প্রতি গিগাভায়া ডট কম নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি নানা বিষয়ে পড়ালেখাও করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট চালুর মধ্য দিয়ে জোয়েল এমওয়ালে সবার কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে ‘সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোকে বর্জন নয়, বরং আলিঙ্গন করুন।’ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাবের পরিবর্তন আনাই এমওয়ালের লক্ষ্য। আর এ ক্ষেত্রে অনেকটাই সফল হয়েছেন তিনি। চালু হওয়ার পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এই ওয়েবসাইটের গ্রাহক হয়েছে। গিগাভায়া ওয়েবসাইটটি অনেকটা ফেসবুকের মতোই। তবে বাড়তি সুবিধা হিসেবে এতে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা ও পরামর্শ বিনিময়, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পড়া বা শিক্ষকের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির নির্দেশনা ও সমাধান ইত্যাদি। এমওয়াল এই ওয়েবসাইটকে স্থানীয় পর্যায় থেকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয় নিজেদের মধ্যে বিনিময় করতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার নামের একটি সুবিধা, যার সাহায্যে নির্দিষ্ট পর্যায়ের বইপত্র ও পরামর্শ আদান-প্রদান সম্ভব। আর অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মতো ব্যক্তিগত তথ্যাবলি বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ তো আছেই। কেনিয়া থেকে যাত্রা শুরু হলেও ওয়েবসাইটটিকে সারা বিশ্বে সম্প্রসারণ করাই এখন এমওয়ালের স্বপ্ন। এটির ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রের বলে জানা গেছে। আবার তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিবন্ধিত হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই ওয়েবসাইটের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এমওয়ালে নিজে বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হতে পারেননি। তাই বলে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর কাজ থেমে থাকেনি একটুও। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি, আমার কোনো টাকাপয়সা ছিল না। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সব সময় চাইতাম ধনী হতে। এখন আমি মানুষকে তাদের অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করতে চাই।’ গিগাভায়াকে আগামী মার্চের মধ্যে ১৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এমওয়ালে। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। গিগাভায়া প্রতিষ্ঠার আগে ‘স্কাইড্রপ’ নামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে খ্যাতি অর্জন করেন এমওয়ালে। বৃষ্টির পানি পরিশোধন করে তা বোতলজাত করে বিক্রি করত কোম্পানিটি। গত বছর এমওয়ালে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারে স্কাইড্রপ বিক্রি করে দেন ইসরায়েলি এক বিনিয়োগকারীর কাছে। এই ব্যবসায়িক সাফল্যই তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি এনে দেয়। আফ্রিকার সেরা তরুণ উদ্যোক্তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তাঁর নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সিলিকন ভ্যালিতে এক অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ পানও তিনি। এমওয়ালে বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে একত্রে একটি অর্থপূর্ণ উপায়ে সংযুক্ত করছি। বাস্তবতা হলো, আমি খুবই নিচু অবস্থান থেকে শুরু করেছি। এখন আমি যেখানে আছি, আমার মনে হয়, যে কেউ এটা করতে পারত। এ জন্য আপনাকে কেবল স্থির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে, পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম ও কখনোই হাল না ছাড়ার মনোবল থাকা চাই।’আশিস আচার্যসূত্র: বিবিসি
কোচ দলের অভিভাবক। আর ফুটবল কোচ তো দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সেই কোচের সামনেই তাঁর নিষেধ উপেক্ষা করা তো তাঁকে অপমান করাই। পেপ গার্দিওলাকে ঠিক এটাই নাকি করেছিলেন লিওনেল মেসি! গাঁজাখুরি শোনাচ্ছে কথাটা? কিন্তু নিউইয়র্ক রেড বুলসের সাবেক কোচ হানস ব্যাক এমন দাবিই করেছেন।কী করেছিলেন মেসি? সুইডিশ টিভি ফোরকে ব্যাক ২০০৯ সালের যে ঘটনাটা জানিয়েছেন, তা এ রকম, ম্যাচ শুরুর তখন বাকি তিন ঘণ্টা। মেসি একটা কোকের ক্যান চেয়েছিলেন। গার্দিওলা সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভেটো’ দিলেন, খেলা শুরুর আগে কোকজাতীয় কিছু খাওয়া চলবে না। এরপর মেসি উঠে গিয়ে কিছুক্ষণ পর একটা ক্যান নিয়ে এলেন। তারপর সতীর্থদের সামনেই গার্দিওলাকে দেখিয়ে ঢকঢক করে তা গলায় ঢাললেন। ব্যাক বলেছেন, ‘কল্পনা করুন তো মেসির মতো একজন খেলোয়াড় এভাবে কোচকে বুড়ো আঙুল দেখালে কী হতে পারে?’ তবে গার্দিওলা তখন কিছু করেননি বা যা করা উচিত করতে পারেননি। ব্যাকের মতে, মেসিকে শাস্তি দেওয়ার মতো অবস্থা সে সময় গার্দিওলার ছিল না।প্রশ্ন করতেই পারেন, এই ব্যাক লোকটা আবার কে? আর বার্সার হাঁড়ির খবরই তিনি জানেন কীভাবে? খবরটা কোন সূত্র থেকে পেয়েছেন সেটা জানাননি ব্যাক। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রেড বুলের দুই খেলোয়াড় থিয়েরে অঁরি বা রাফায়েল মার্কেজই এই খবরের উৎস। এই দুই খেলোয়াড়ই সে সময় খেলতেন গার্দিওলার বার্সায়। ওয়েবসাইট।ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ডিবি পরিচয়ে শুকুর আলী নামের এক চামড়া ব্যবসায়ীর বিপুল পরিমাণ অর্থ ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি রহস্যজনক।স্থানীয় দুলালমন্দিয়া বাজারের চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা ব্যবসায়ী শুকুর আলীকে চেনেন। গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে তিনি ফরিদপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চামড়া কেনার জন্য যশোরের রাজারহাটে যাচ্ছিলেন। কালীগঞ্জের কেয়াবাগান-রঘুনাথপুর এলাকার মাঝামাঝি স্থানে একটি মাইক্রোবাস শুকুর আলীর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর মাইক্রোবাসে থাকা ছয়-সাতজন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে তাঁদের গাড়িতে অবৈধ মাল আছে বলে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা গাড়িতে থাকা চামড়া কেনার ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি ব্যাগ ও গাড়ির চাবি নিয়ে নেয় এবং শুকুর আলীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যশোরের সাতমাইল নামক স্থানে ফেলে চলে যায়।কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির উদ্দীন মোল্লা গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, ঘটনাটা রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেননি।প্রায় তিন বছর ধরে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সব যন্ত্রপাতিও বিক্রি হয়ে গেছে, এ রকম একটি কোম্পানিই গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে! মডার্ন ডায়িং নামের এই কোম্পানির উৎপাদন ২০১০ সাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। এমনকি কোম্পানিটির সব যন্ত্রপাতিও বিক্রি হয়ে গেছে বলে ডিএসই তথ্য প্রকাশ করেছে।এদিন মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল স্বল্প মূলধন ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। কার্যক্রমহীন মডার্ন ডায়িং ছাড়াও দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে—রহিমা ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিডি ওয়েল্ডিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন।তবে সার্বিকভাবে দেশের দুটি শেয়ারবাজারে দুই দিন মূল্য সংশোধনের পর গতকাল সোমবার আবার মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট।গতকাল ডিএসই ও সিএসই দুই জায়গাতেই লেনদেনের প্রথমার্ধে সূচকের ভালো উত্থান দেখা গেলেও শেষার্ধে তা কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে—এই খবর দুপুরের পর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই পিছুটানে চলে যান। বদৌলতে বাজারের গতি শ্লথ হয়ে যায়। তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় আরও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরের আগে পর্যন্ত বাজারে বেশ ভালো গতি ছিল। কিন্তু দুপুরের পর তফসিল ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয়। এতে বিক্রির চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। ফলে সূচক কমতে থাকে।মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, গত দুদিন বাজারে মূল্য সংশোধন হলেও লেনদেনের গতি বেশ ভালো ছিল, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে সহায়ক হয়েছে। এ কারণে মূল্য সংশোধনের পর আবারও সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম থাকে।ঢাকার বাজারে গতকাল ২৮৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে আগের চেয়ে দাম বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ৯৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে হয়েছে চার হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫১ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৯২ কোটি টাকা বেশি।চট্টগ্রামের বাজারে এদিন ২২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ৬৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির। সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১২ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৪ কোটি টাকা বেশি। দিনশেষে এই বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৫২০ পয়েন্ট।স্বাধীনতা পাওয়ার আড়াই বছরের মাথায় চরম সংকটে পড়ল মধ্য আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান। প্রেসিডেন্ট সালভা কিরকে ‘ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান’ দেশটিকে এ সংকটে ফেলেছে। এখন দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।রাজধানী জুবায় গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ক্ষমতাসীন দল সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্টের (এসপিএলএম) বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে সশস্ত্র সেনাসদস্যরা গুলি চালালে সংঘর্ষে সূত্রপাত হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট কিরের সমর্থকদের একটি অংশের সঙ্গে বিদ্রোহী সেনাসদস্যদের সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে প্রথম দুই দিনেই সাধারণ মানুষসহ অন্তত ৫০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত দুই সপ্তাহে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী সেনারা গণহত্যার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ জাতিগোষ্ঠির বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়েছেন। রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।প্রেসিডেন্ট কির অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী নেতা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের সমর্থিত সেনাবাহিনীর একটি অংশ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থান ঘটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। তবে পলাতক বিরোধী নেতা মাচার প্রেসিডেন্টের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান চালাতে গিয়ে বাহিনীর ভেতর উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন। এখানে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’প্রেসিডেন্ট কির এখনো সবাইকে ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেননি। দক্ষিণ সুদানবিষয়ক বিশ্লেষক ডগলাস এইচ জনসন বলেন, ‘বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বিষয়টি অভ্যুত্থান চেষ্টা বলে মনে হয় না।’তবে মাচারের সমর্থক অন্তত ১০ জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাচার বর্তমানে আত্মগোপন করে আছেন। অনেকে মনে করেন, মাচার এই বিদ্রোহ আগে না চাইলেও এখন সমর্থন করেন।বিশ্লেষক জনসন মনে করেন, দুটি কারণে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এর একটি হলো ক্ষমতাসীন দল এসপিএলএমের ভেতরেই দেশ শাসনে ‘রাষ্ট্রীয় অসন্তোষ’। অন্যটি হলো সেনাবাহিনীতে থাকা সাবেক মিলিশিয়াদের ‘অনিরাপদ’ বোধ করা। দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভের আগে অখণ্ড সুদানের সেনাবাহিনীতে যারা কাজ করতেন, এখনো তাঁদের শত্রুই মনে করেন বর্তমান সেনাবাহিনীতে থাকা সাবেক মিলিশিয়ারা।তবে কারণ যা হোক, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় কি না সেই আশঙ্কা করছেন অনেকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘ দেশটিতে তার শান্তিরক্ষীবাহিনীর সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষিণ সুদানে জাতিগত বিরোধ প্রবল। বিবদমান প্রধান দুই জাতিগোষ্ঠী হলো নুয়ের ও দিনকা। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাচার জাতিগতভাবে নুয়ের সম্প্রদায়ের আর প্রেসিডেন্ট কির জাতিগতভাবে দিনকা সম্প্রদায়ের। এই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।সংঘর্ষে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী জুবায় জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ পালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সরকারি চাকরিজীবী আয়াগা জানান, তিনি উগান্ডার দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁর একটি বাড়ি আছে। রাজধানীতে সেনাবাহিনীর মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন পক্ষ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে। কোথাও কোথাও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। আয়াগা বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আগামী তিন চার মাসের মধ্যে আমরা এখানে ফিরতে পারব। আমি এরই মধ্যে ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি।’কয়েক দিনের লড়াইয়ে বোর এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারায় প্রেসিডেন্ট কিরের সমর্থক বাহিনী। পরে অবশ্য তারা বোর শহরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। তবে রাজধানী জুবার উত্তরের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ মাচারের অনুগত বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসানোর উদ্যোগ নিতে জুবায় গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় পক্ষের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী টডরোস আদহান ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট কির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় বসতে দুই পক্ষেরই ওপর আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চাপ আসবে। মাচার অবশ্য আগেই বলেছেন তিনি আলোচনা বসতে রাজি। তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ আলোচনায় রাজি না হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মাহফুজার রহমান, সূত্র: বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাল্যবিবাহ দিতে ছাত্রীদের জন্মসনদ পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে গেছে। এ কারণে উপজেলায় বাল্যবিবাহের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় জন্মসনদ পরিবর্তন করারও অভিযোগ উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার উদমারা গ্রামের এক ছাত্রী ২০১১ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সনদে তার জন্ম তারিখ ১০ জানুয়ারি, ২০০০ লেখা রয়েছে। একই বয়স লেখা ছিল জন্মসনদেও। সে এখন স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে। এই ছাত্রীর পরিবার গত সোমবার এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ের দিন চূড়ান্ত করে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগও দেন। তবে আগেভাগেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ছাত্রীর মা গত ২০ আগস্ট লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হলফনামা (অ্যাফিডেভিট) তৈরি করেন। এতে জন্মসনদে লেখা সাল ভুল হয়েছে উল্লেখ করে তা ১৯৯৫ করা হয়।একই ঘটনা ঘটেছে রায়পুরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর ক্ষেত্রেও। ছাত্রীটির পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে। এ জন্য তারা ১৫ মে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হলফনামা তৈরি করে। এতে ছাত্রীর জন্মসনদের লেখা জন্ম তারিখ ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৭-এর স্থলে ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৪ করা হয়।উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে বাল্যবিবাহের দায়ে ১২ জন অভিভাবককে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০টি বাল্যবিবাহের অভিযোগ আসে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া এসব মেয়ের জন্মসনদ দেখে হতবাক হন। আদালতে হলফনামা করে বয়স পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জমা দিয়ে জন্মসনদের সাল পরিবর্তন করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউপিতে রক্ষিত জন্মসনদের রেজিস্ট্রার বইয়ে পরিবর্তন করেও জন্মসনদ দেওয়া হচ্ছে।এ ব্যাপারে রায়পুর ১০ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ মিয়া বলেন, ‘কোনো কোনো ইউনিয়নে জন্মসনদ পরিবর্তন করা হয় বলে শুনেছি। এখন অভিভাবকেরা হলফনামা করে ওই কপি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়ে জন্মসনদের সাল পরিবর্তন করেন। এতে আমাদের কিছু করার থাকে না।’উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শিউলি আক্তার বলেন, ‘জন্মসনদের সাল পরিবর্তনের অহরহ ঘটনা ঘটছে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া একটি মেয়ের বয়স সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ হতে পারে। কিন্তু যখনই দেখি হলফনামা করে জন্মসনদ পরিবর্তন করে কাগজ দাখিল হচ্ছে, তখন আমাদের কিছু করার থাকে না।’ তিনি জানান, জন্মসনদের সাল পরিবর্তনের প্রবণতা ঠেকানো না গেলে বাল্যবিবাহ রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।জানতে চাইলে ইউএনও দুলাল চন্দ্র সূত্রধর প্রথম আলোকে জানান, বাল্যবিবাহের জন্য দিতে জন্মসনদ পরিবর্তন করা হচ্ছে—এটা সত্য। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও ইউপির সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।হারুন শিকদারবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হারুন শিকদার মুখগহ্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে বাঁচাতে হলে মুখের ডান পাশে দ্রুত অপারেশন করতে হবে এবং কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিতে হবে। এ জন্য পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তিন সন্তানের জনক দরিদ্র হারুন শিকদারের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব নয়।তাঁর অসুস্থতার কারণে সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসার খরচ চালাতে সমাজের দানশীল ও বিত্তবান মানুষের কাছে তিনি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সেলিনা আখতার, ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৭১-১০১-৪৭৫৮৮, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা। বিজ্ঞপ্তি।পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই আরও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে। গত রোববার মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ এ বছর তাকে ইকুয়ালিটি অ্যান্ড নন-ডিসক্রিমিনেশন (সাম্য ও বৈষম্যহীন) পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।মেক্সিকোর বৈষম্য প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার রক্ষায়’ বিশেষ করে ‘বয়স, লিঙ্গ ও ধর্ম-নির্বিশেষে’ সবার জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মালালার লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মালালার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হতে পারে।গত বছর জন্মশহর সোয়াতে স্কুলছাত্রী মালালার (১৬) মাথায় গুলি করেছিল তালেবান জঙ্গিরা। কিন্তু তাকে প্রথমে দেশে ও পরে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। নারীশিক্ষার পক্ষে সোচ্চার এই কিশোরীকে হত্যাচেষ্টার ওই ঘটনায় সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। সাহসী এই কর্মী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে।মালালা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছে। সে মাত্র ১১ বছর বয়সে মেয়েশিক্ষার অধিকারের পক্ষে ব্লগ লিখতে শুরু করে। সোয়াতে তখন তালেবান জঙ্গিরা নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল। মেয়েদের শত শত বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল। এর মধ্যেই লুকিয়ে স্কুলে যেত মালালা। তালেবানের বিরুদ্ধে কথা বলত। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহপাঠীদের উৎসাহ দিত। ইতিমধ্যে সে আত্মজীবনী লিখেছে। জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছে। বিশ্বের মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিতে সহায়তা দিতে তহবিল গঠন করেছে।গত সপ্তাহে বিশ্ব শিশু দিবসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক সম্মানজনক শাখারভ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় মামলার হাতে। এএফপি।বৃহস্পতি সত্যিই তুঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের। সাফল্যের খ্যাপা ঘোড়ায় চেপে ছুটতে থাকা দীপিকা ব্যাগে ভরলেন আরেকটি সাফল্য। কোমল পানীয় কোকাকোলার সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়েছে তাঁর। কোকাকোলার পণ্যদূত হিসেবে এখন থেকে প্রতিবছর চার কোটি রুপি করে পাবেন এই অভিনেত্রী।পেপসি কিংবা থাম্বস আপের তুলনায় ভারতে সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না কোকাকোলা। নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এবার দীপিকার শরণ নিল তারা। সন্দেহ নেই, দীপিকা এখন তরুণদের সবচেয়ে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। সেটাই পুঁজি করতে চাইছে কোকাকোলা। এর আগে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ছয় বছর কোকাকোলার পণ্যদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ওয়ান ইন্ডিয়া।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে গতকাল বুধবার দিনাজপুর ও চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চলছে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। হরতালের প্রথম দিন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে কয়েক দফা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।গতকাল লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এ সময় শতাধিক যানবাহন দুই পাশে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হয়। পরে পুলিশ চার ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।এদিকে জেলার রায়পুরে হরতালের প্রথম দিন নতুন বাজারের পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে কয়েক দফা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। ক্ষুব্ধ লোকজন বেলা সাড়ে ১১টায় লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের রায়পুর প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। রায়পুর পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়।জেলার রামগতির পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী রতিকান্ত বণিক জানান, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ৩০-৪০ জন লোক কার্যালয়ের প্রধান ফটক টপকে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তারা অভিযোগ কেন্দ্রের কক্ষে ঢুকে চেয়ার, আসবাব এবং জরুরি কাগজপত্র বের করে কার্যালয়ের সামনে নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।পল্লী বিদ্যুতের ক্ষতিগ্রস্ত রামগতি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (নিপর) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হবে। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।একই দাবিতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের বালুচড়া এলাকায় অবরোধ ও বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মিরসরাই এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। পরে পৌর মেয়র তাহের ভূঁইয়ার আশ্বাসে মিরসরাইয়ে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা।চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর পরিচালক মো. আলী আহসান লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রাহকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কে অবরোধের কারণে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাতটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় তিন পার্বত্য জেলায় ঘরমুখী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে। মাহফুজুর রহমান নামের এক যুবক প্রথম আলোকে জানান, দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নয় ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করেন।বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ রাস্তা থেকে ভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিদ্যুতের দাবিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও এবং দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বীরগঞ্জ পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে পারছে না। এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে।প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর অফিস এবং লক্ষ্মীপুর, রায়পুর ও রামগতি প্রতিনিধি।শোক সভাপ্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর মৃত্যুতে গতকাল শনিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর ইউসুফ। বক্তৃতা করেন সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সচিত্র নোয়াখালীর সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক নাছির উদ্দিন বাদল প্রমুখ। নোয়াখালী অফিস।মাদকসেবীর জরিমানামাদক সেবনের অপরাধে গত শুক্রবার বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই মাদকসেবীকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁরা হলেন উপজেলার বন তেঁতুলিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মনজুর রহমান (২৪) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার আহম্মেদ আলীর ছেলে মতিউর রহমানকে (২৫)। আদমদীঘি থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, দুই মাদকসেবীকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি।প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্যভান্ডার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘এনআরবি ডেটাবেইস’ নামে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে।সেখানে গিয়ে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা নিজেদের নাম, ঠিকানা, ই-মেইল, কোন দেশের কোথায় অবস্থান করছেন, কোন পেশায় নিয়োজিত—এসব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এখানে অন্তর্ভুক্তদের ই-মেইলে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীদের তথ্যভান্ডারের এই ওয়েব সংযোগ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।অনুষ্ঠানে ইতালি প্রবাসী হোসনে আরা বেগম, বাহরাইন প্রবাসী মোবারক হোসেন ও কানাডা প্রবাসী সুব্রত কুমার শাহ নিজেদের তথ্য দিয়ে তথ্যভান্ডারে অন্তর্ভুক্ত হন।অনুষ্ঠানে গভর্নর ছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ, সুধীরচন্দ্র দাশ ও ম. মাহফুজুর রহমান এবং সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ এর সার্বিক দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।ক থো প ক থ ন: বিউটি। গায়িকা। ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন। আজ দুপুরে বৈশাখী টেলিভিশনে গান গাইবেন তিনিআজকের অনুষ্ঠান...বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দুপুরে গান করব। ঘণ্টা খানেকের অনুষ্ঠানটি স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। মাছরাঙা টিভিতে আজ রাতে ‘ম্যাক্সিমাস আনপ্লাগড’ অনুষ্ঠানেও আমার গান থাকবে।শিখছি আমি...এখন নিয়মিত গান শিখছি। চর্চা করছি। শাস্ত্রীয় সংগীতে শেখর মণ্ডল আর লালন সাঁইজির গান শিখছি শফি মণ্ডলের কাছে।গানের বাইরে...গান ছাড়া পড়াশোনা আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত আছি। অবসর পেলে আশেপাশে কোথাও ঘুরতে যাই, বই পড়ি।চলচ্চিত্রের গানে...চলচ্চিত্রের গানে এখন একেবারেই অনিয়মিত। মাস খানেক আগে আলাউদ্দীন আলীর কথা, সুর ও সংগীতে কপোতাক্ষের কান্না ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছি।অ্যালবাম ভাবনা...পিরিতের জ্বালা অ্যালবামটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। একটি বাদে অ্যালবামের সবকটি গানের সুর করেছেন লুৎফর হাসান, অন্যটির রাজেশ। গান লিখেছেন এম এস রানা, রবিউল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ, এ মিজান ও আহমেদ তানভীর। সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ।বিনোদন প্রতিবেদক
ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরম-দুপুর। সারি বাঁধা টিনের ঘর। বস্তির নাম কড়াইল। এর মধ্যে বদ্ধ ও ছোট্ট একটা টিনের ঘর। সর্বোচ্চ আট ফুট বাই সাত ফুট। এখানে আলো-হাওয়া প্রবেশের অনুমতি নেই। উজ্জ্বল সূর্যালোক থেকে ওই ঘরের ৪০ পাওয়ারের বাল্বের আলোয় চোখ প্রায় অন্ধকার। বেশ কয়েক মুহূর্ত পরে টের পাই পুরো ঘরে একটাই বিছানা। সেখানে শুয়ে আছে একটি শিশু। পাশেই বসে কাঁদছে বছর খানেক বয়সের আরেকটি শিশু। ঘরের পাশেই দুটি ইট দিয়ে এক নারী রান্না করছেন। মাথায় ঘোমটা।আপা, আপনার নাম কী?ঘোমটার ভেতর থেকে উত্তর ভেসে এল, ‘নাসরিন বেগম।’আপনি আমার সঙ্গে একটু গল্প করবেন নাসরিন আপা?একটু বইয়েন। সালুন নামায়ে আইতাছি।’হাত মুছে ঘরের ভেতরে গিয়ে কান্নারত ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে বাইরে আসেন নাসরিন। ‘দুধ পায় না, হের লাইগ্যা খালি কান্দে’—ছেলে সম্পর্কে নাসরিন নিজে থেকেই কথা বলতে শুরু করেন। জানান সংসারে অনেক খরচ, সে জন্য ভাতের মাড় খাওয়ান কোলের শিশুকে।জানতে চাই, ঘরে যে শুয়ে আছে সে কে?আমার পোলা।আপনার কয় বাচ্চা?ছয় বাইচ্চা।কিন্তু এত বাচ্চা কেন নিলেন?‘আল্লায় খুশি হইয়াই দিছে, আল্লায়ই খাওয়ায়।’ বেশ রাগ করেই এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর দেন ছয় সন্তানের মা নাসরিন বেগম। আশপাশে জমে যাওয়া উৎসুক মানুষের ভিড় থেকে এই কথার সমর্থনই পান নাসরিন।নাসরিনের পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর স্বামী মো. শাহজাহান। কথায় কথায় জানা গেল, শাহজাহান-নাসরিন দম্পতির বড় সন্তান আসমা বেগমের বয়স মাত্র ১৫ বছর। আসমা ও তার পরের ভাই সবুজ (১৪) বস্তির পাশে একটি পোশাক কারখানায় বোতাম লাগানোর কাজ করে। সবুজের পরেই ইমরান (১৩)। তাঁর পরে মেয়ে শাবনূর (১২)। গ্রামে থাকতে পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক থাকায় এখন শাবনূরকে ব্র্যাকের স্কুলে পড়তে পাঠান নাসরিন। এরপর দুই ছেলে হূদয় (৯) ও মেহেদী (১)। বলে রাখা ভালো হূদয় ও মেহেদীর মাঝে নাসরিনের আরও তিনটি সন্তান হয়েছিল, যারা এখন মৃত।প্রতিবেদককে এনজিওকর্মী ভেবে ঘরের সবার খাওয়া-পরা নিয়ে বেশ ভালো ভালো কথা বলছিলেন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের কথার ধরনে বোঝা গেল পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে এনজিওকর্মীরা তাঁদের বারবার সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই দম্পতি তাঁদের কথায় কান দেননি। তাই নতুন করে সন্তান নেবেন না বলে আশ্বাসও দিয়ে ফেলেন পেশায় রিকশাচালক শাহজাহান।কিন্তু ছবি তোলার জন্য অনুমতি নিতেই পেছনের ভিড় থেকে একটি জোরালো কণ্ঠস্বর, ‘হে এনজিওকর্মী না। সাংবাদিক। ছবি তুলবার লাগছে।’ছবিতে অবশ্য আপত্তি নেই কারও। মাথায় শাড়ির আঁচল টেনে নাসরিনের সলাজ স্বগতোক্তি—‘পুলাপান হইছে দেইখা বয়স বেশি দেখায়।’তা এত পোলাপান নিলেন কেন? শরীরের কষ্ট, খাওয়ার কষ্ট—প্রশ্ন শুনে চোখ উদাস হলেও হাসিমুখে নাসরিন বলেন, বুড়াবুড়িরা কয়, যত বেশি পোলাপান তত সওয়াব হয়।’অন্যদিকে শাহজাহান স্ত্রীকে লুকিয়ে বলেন, ‘মাইয়া মানুষের পেট খালি রাখন ভালা না, সংসারের ক্ষতি হয়।’তাহলে এতগুলো মুখের খাওয়া কোথা থেকে আসবে? আপনার শরীরও ভাঙা।শাহজাহান বলেন, ‘হুম। ব্যারাম আছে। তয় দুই পোলা-মাইয়া গার্মেন্টসে কাম করে। মাসে চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা আনে। চইলা যায়।’ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর পক্ষপাতী নন এই দম্পতি। তাঁদের আশা, এতগুলো ছেলেপিলের মধ্যে কোনো একটা তো বাপ-মাকে বুড়া বয়সে দেখবে। নাসরিনের স্বগতোক্তি, ‘পোলাপানই আমাগো মতো গরিবের সয়-সম্পদ।’নজরুল ইসলাম খানবিজিএমসির সাবেক মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম খান (৮৫) গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ মোহাম্মদপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে ও অনেক আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। নজরুল ইসলাম খান অভিনেতা তুষার খানের বাবা। বিজ্ঞপ্তিবাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কুমিল্লা শহরের ছাতিপট্টিতে সোনার দোকানে সংঘটিত ডাকাতি ও একজন কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।বাজুসের সভাপতি দিলীপ রায় ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ডাকাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও এর সঙ্গে জড়িত ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।একই সঙ্গে তাঁরা ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে তা দোকান মালিককে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।ডাকাতেরা গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণ করে খান জুয়েলার্স নামের ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে। তাদের গুলিতে দোকানের একজন কর্মচারী নিহত হন। ডাকাতেরা দোকান থেকে প্রায় ৩০০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।আজ নয় বছরে পা রাখছে বৈশাখী টেলিভিশন। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে বৈশাখী টেলিভিশন কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আজ বেলা ১১টায় কেক কাটবেন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা। দিনভর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বৈশাখী টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে নানা অনুষ্ঠান।নানা চড়াই-উতরাই, সাফল্য ও সংকটে বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ভোটার তালিকা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। কোন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি ভোটার তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম তুলেছেন, দেশবাসী তা জানতে চায়।গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বতর্মান নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করেনি। তাদের অধীনে সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তাদের করা ভোটার তালিকা নিয়ে এখনো কেউ প্রশ্ন তোলেনি।এ সময় সার্কিট হাউসে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতানা তরুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।অবিরাম বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও যশোরের অভয়নগরে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতি ছিল কম।পটুয়াখালীর খেপুপাড়া রাডার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সঞ্চরণশীল মেঘমালার কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:সাতক্ষীরা: বেতনা নদীর উপচে পড়া পানি ও গতকাল শনিবার দিনভর টানা বর্ষণে সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধানগাছ।অবিরাম বর্ষণে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা, কুমিরা, ইসলামকাটি, কানাইদিয়া, জেঠুয়া; কলারোয়ার জালালাবাদ, ধানদিয়া, জয়নগরসহ আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়িঘের, পুকুর ও জলাশয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত দুই হাজার হেক্টর জমির ধানগাছ ও সবজিখেত নষ্ট হয়েছে।পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বর্ষণে থমকে আছে জনজীবন। সাগর উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলো গভীর সাগর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলেরা।রাস্তাঘাটে লোক ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মহিপুর-আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।বাউফল (পটুয়াখালী): লঘুচাপের প্রভাবে গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বর্ষণে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা ভারী বর্ষণে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেল, চর মিয়াজান, চর ব্যারেট, চর নিমদী, কেশবপুর ইউনিয়নের চর মমিনপুর, চর বাসুদেব পাশাসহ ১৮টি চর ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।অভয়নগর (যশোর): দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে অভয়নগর উপজেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।অবিরাম বৃষ্টিতে মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। উপজেলার রাস্তাঘাট ও হাটবাজারগুলোতে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। অব্যাহত বৃষ্টিতে উপজেলায় উঠতি আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি উপজেলা কৃষি দপ্তর।একালের জুলিয়েটই বটে। পরিবারের রক্তচক্ষু আর সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল রাষ্ট্রকে তুড়ি মেরে প্রেমিকের জন্য দেশ ছেড়েছেন তিনি। পাড়ি জমিয়েছেন প্রেমিকের দেশ প্রতিবেশী ইয়েমেনে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন হুদা আল-নিরান নামের প্রেমিকাটি। এ অবস্থায় আর কোনো উপায় না দেখে জাতিসংঘের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন তিনি। বিশ্বসংস্থাটি তাঁর আকুতি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কর্মকর্তারা বলেছেন, হুদার আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হতে পারে। কেননা, তিনি দেশে ফিরলে হয়রানির শিকার হতে পারেন। এমনকি তাঁকে নিজের পরিবারের হাতে মরতেও হতে পারে।ঘটনাটি ইতিমধ্যে সৌদি আরব ও ইয়েমেনে হইচই ফেলে দিয়েছে। ইয়েমেনে তো এই যুগল ইতিমধ্যে একালের ‘রোমিও-জুলিয়েট’ খেতাব পেয়ে গেছেন।হুদার ইয়েমেনি প্রেমিক আরাফাত কাজের সুবাদে সৌদি আরবে এসেছিলেন। কাজের সময়ই দুজনের পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম। অতঃপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন বোনা। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়েই কয়েক সপ্তাহ আগে ইয়েমেনে পাড়ি দেন হুদা। আরাফাত এর আগেই দেশে ফিরে যান।হুদা জানান, আরাফাত তাঁর পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখাত হওয়ায় তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ইয়েমেনে যাওয়ার পর থেকে আরাফাত ও হুদা একটি অভিবাসন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে সীমানা পাড়ি দিয়েছেন। আর আরাফাতের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে তাঁর মুক্তি মেলেনি। প্রেমিকজুটি এক আশ্রয়কেন্দ্রে থেকেও এখন পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন। মামলার শুনানির সময় সপ্তাহে মাত্র একবার দেখা করার সুযোগ পান দুজন। বিবিসি।বান্দরবান স্টেডিয়ামে আজ আয়োজন করা হয়েছে রিয়েলিটি শো ‘বাংলাদেশী আইডল’-এর সেরা ১২ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠান ‘দূর পাহাড়ের আলোয় আইডল’। যৌথভাবে আয়োজন করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও এসএ টিভি। অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায়। এসএ টিভিতে পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘হরতাল রাজনীতির ভাষা নয়, হরতাল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। হরতালের নামে জামায়াত-শিবির ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে তাদের রুখতে হবে।’গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট-আখাউড়া সেকশনে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করেছে। আগে রেলে শুধু নাই শব্দ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়ের প্রতি আন্তরিক হওয়ায় ৩৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ হাজার ৩১০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সবচেয়ে সুন্দর যোগাযোগব্যবস্থা হবে রেল।উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হরতাল বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়েছে ২২ বছর। এর মধ্যে ১৭ বছরে যে বাজেট হয়েছে, তার দ্বিগুণ হয়েছে গত পাঁচ বছরে। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হরতাল বন্ধ করতে হবে। হরতাল অর্থনীতি ও উন্নয়নকে রুখে দেয়।সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সিলেট থেকে কাছের দূরত্বের যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কমিউটার ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন ভোর পাঁচটা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে আখাউড়া স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১২টায়। আখাউড়া স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে তিনটায় ছেড়ে সিলেটে পৌঁছাবে রাত ১০টায়। ট্রেনটি ১৬ স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। শুক্রবার ট্রেনটি বন্ধ থাকবে।রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।নড়াইল সদর উপজেলার কুরুলিরা-চণ্ডীবরপুর রাস্তাটি পাকা না করায় আট গ্রামের ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এ দাবি পূরণ না করায় তাঁরা সম্প্রতি রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।কুরুলিয়া গ্রামের মাসুদুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ নগর থেকে চালিতাতলা-রতডাঙ্গা হয়ে একটি সড়ক নড়াইল শহরে গিয়ে মিশেছে। এ সড়কের কুরুলিয়া থেকে গন্ধব্যখালী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এখনো কাঁচা রয়ে গেছে।উপজেলার নলদী বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুর রহমান জানান, ওই ইউনিয়নের কুরুলিয়া, রাজাপুর, চণ্ডীবরপুর, শংকরপুর, গন্ধব্যখালী, ফুলবাড়িয়া, বাধাল, চালিতাতলা, রতডাঙ্গাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চণ্ডীবরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবখালী হামিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হবখালী আদর্শ কলেজ, নলদী বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজসহ জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত কাদাপানি জমে থাকায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভীষণ সমস্যা হয়। এ সময় জামাকাপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়।চণ্ডীবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের আট গ্রামের মানুষ বিভিন্ন কাজে এ রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ জেলা শহরে যাতায়াত করে। তিনি চলতি মাসে রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।সদর উপজেলা প্রকৌশলী জহীর মেহেদী হাসান জানান, কুরুলিয়া পালবাড়ি থেকে নলদী খেয়াঘাট পর্যন্ত ২ দশমিক ২১ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।অঙ্গীকার ও শপথ অনেক ছিল, কিন্তু ঘটনা হলো মুম্বাই হামলার পঞ্চম বর্ষপূর্তিতেও পাকিস্তানে আশ্রিত ও লালিত অপরাধীদের সাজা দিতে বাধ্য করাতে ভারত ব্যর্থ। ২০০৮ সালের আজকের দিনেই (২৬ নভেম্বর) একদল জঙ্গি মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিদেশিসহ ১৬৬ জন নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল।ভারতের গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, ২৬/১১-এর হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকে পাড়ি দিয়েছিল। সেদিন জীবিত অবস্থায় ধরা পড়া একমাত্র জঙ্গি আজমল কাসাব যে পাকিস্তানের নাগরিক, তা দেশটি স্বীকারও করেছে। তবে কাসাবের ফাঁসি হলেও পাকিস্তানে আশ্রিত জামায়েত-উদ-দাওয়া নেতা হাফিজ সঈদ ও লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা জাকিউর রহমান লাকভিকে সাজা দিতে ভারত আজও পাকিস্তানকে বাধ্য করাতে পারেনি।মুম্বাই হামলার পর থেকে গত পাঁচ বছরে পাকিস্তানের ওপর ভারত বারবার চাপ সৃষ্টি করেছে। ভারতের দিক থেকে ‘অকাট্য প্রমাণও’ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাস্তি দেওয়া তো দূরের কথা, হাফিজ সঈদের মুখও ভারত বন্ধ করাতে পারেনি।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী জাতীয় নাট্যশালা রেপার্টরির নাটক রুদ্র রবি ও জালিয়ানওয়ালাবাগ। লিখেছেন মনজুরে মওলা, নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান। জাতীয় নাট্যশালায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। শূন্যন রেপার্টরির নাটক লাল জমিন। একক অভিনয় করবেন মোমেনা চৌধুরী। স্টুুডিও থিয়েটারে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।জাতীয় জাদুঘরআমরা সূর্যমুখীর কথামালা ও গানের সন্ধ্যা। গান গাইবেন কর্নিয়া। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে, বিকেল চারটায়।ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র, গুলশানগজল সন্ধ্যা। শিল্পী অলোক কুমার সেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।বেঙ্গল লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউকাশেফ মাহবুব চৌধুরীর স্থাপত্যকলা প্রদর্শনী ‘ধীর জন্মেই জীবন’। চলবে।আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা, ধানমন্ডিনাসিমা খানমের চিত্র প্রদর্শনী ‘রিটার্ন টু ইডেন’। প্রদর্শনীর আজ শেষ দিন।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড্ভালোবাসা আজকাল ও উধাও। সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০ ও বিকেল সাড়ে চারটায়। স্পিড: বেলা একটা ৪০ ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা ১১টা ১০, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য হাঙ্গার গেমস: সকাল ১০টা ৫০, বেলা পৌনে দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়।
সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা দোকানঘর নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে যুবলীগের দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাটখিল-চট্টগ্রাম সড়কে চাটখিল পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে বলাকা পরিবহন কাউন্টার ও বহুরূপী ভিডিও ফুলবিতান নামের দুটি দোকানঘরের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে যুবলীগের স্থানীয় নেতা বেলায়েত হোসেন ও সংগঠনটির কর্মী মো. হুমায়ুন কবিরের বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে হুমায়ুন কবির দোকান দুটির পাশের জায়গাটি দখল করতে গেলে বেলায়েত হোসেনের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সজীব, সম্রাট ও বাবর নামের তিন যুবক আহত হন।ঘটনার পর বেলায়েতের লোকজন হুমায়ুন কবিরের দখলে থাকা দোকানটি দখল করে নেন। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।যুবলীগের নেতা বেলায়েত অভিযোগ করেন, ‘আমি নিজে সাবেক পৌর মেয়রকে অনুরোধ করে কিছু জায়গা ব্যবহারের কথা বলে হুমায়ুন কবিরকে দোকান করতে দিয়েছি। মঙ্গলবার গভীর রাতে হুমায়ুন কবির দলবল নিয়ে তাঁর দোকানের পাশের বাস কাউন্টারের জায়গা দখল করতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’হুমায়ুন কবির দাবি করেন, ‘পূর্বপুরুষদের জায়গা খালি পড়ে থাকায় প্রায় পাঁচ বছর আগে ঘর তুলে আমি “বহুরূপী ভিডিও ফুলবিতান” নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। বেলায়েত দাপট দেখিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং মঙ্গলবার রাতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে দোকান দখল করে নেয়।’গতকাল সন্ধ্যায় চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশনমাস্টারসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ দুজন হলেন স্টেশনমাস্টার মাহবুব আলম এবং প্রধান বুকিং সহকারী রায়হান আলী।রেল সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে রেলের চট্টগ্রাম স্টেশনে আকস্মিক পরিদর্শনে আসেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আবু তাহের। এ সময় রেলের আয়ের হিসাব প্রস্তুত না থাকাসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে বলার পরও শোনেননি। তাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। তার আগে ৪৪ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করেন তিনি। স্ত্রীকে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি ওই ভিডিও দেখারও অনুরোধ করেন। তারপর গলায় ফাঁস দেন তিনি।জয়েশ রাউত নামের ওই ব্যক্তি মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ত্রুপ্তি (২৩) ও তাঁর প্রেমিক রাজেশ ভার্মাকে (৩৮) দায়ী করেন। পুলিশ ২৩ নভেম্বর ত্রুপ্তি ও রাজেশকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই মাসের মধ্যে মুম্বাইয়ে দ্বিতীয়বার এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।মুম্বাই পুলিশ জানায়, জয়েশ নয় বছর ধরে প্রেম করার পর গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রুপ্তিকে বিয়ে করেন। তবে দ্রুতই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। গত মার্চে ত্রুপ্তি স্বীকার করেন, রাজেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।জয়েশের পরিবার জানায়, মাস চারেক আগে ত্রুপ্তি তাঁর ছেলেকে ছেড়ে রাজেশের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। ১৬ নভেম্বর ত্রুপ্তি এসে জয়েশকে জানান, তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১৮ নভেম্বর রাজেশ ত্রুপ্তিকে নিতে এলে জয়েশের সঙ্গে তাঁর বাগিবতণ্ডা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যায় তিনি ত্রুপ্তিকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আত্মহত্যার ভিডিওচিত্র দেখে নিতে বলেন। এরপর মুঠোফোনের ক্যামেরা চালু করে টেবিলের ওপর রেখে গলায় ফাঁস দেন।জয়েশের ভাই হেমন্ত বলেন, ‘ত্রুপ্তি আমাকে পৌনে আটটার দিকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। এরপর আমি ও মা জয়েশের কক্ষে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাই।’গত ৮ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সুনীল উগদে নামের আরেক ব্যক্তি আত্মহত্যার আগে মুঠোফোনে ভিডি ধারণ করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।তথ্য ও বিনোদনগিটার নেভার লাইজসাজ্জাদ আরেফিনের গিটার গাইডেন্স [রাত ১১.২০-২.০০]হাওয়া বদলকথাবন্ধু শারমীন ও ড. মাহবুব পিয়ালের সঙ্গে[বেলা তিনটা-সন্ধ্যা ছয়টা]
রাজধানীর মালিবাগ বস্তির নার্গিস বেগম (৪০) ভোর ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট আটটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এতগুলো বাড়িতে তাঁকে কাজ করতে হচ্ছে কারণ সংসারে অনেকগুলো খাবারের মুখ। মোট সাতটি সন্তান নার্গিস বেগমের। স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁর একার রোজগারে এতগুলো মানুষের আহার জোটানো সম্ভব হয় না। তাই নার্গিসকেও কাজে নেমে পড়তে হয়েছে। যত কাজ তত আয়। নার্গিস বেগম বলেন, ‘ভোর থেইক্যা রাত পইরযন্ত কাম করি। বড় মাইয়্যাডার ওপর সংসার ফালাইয়্যা কামে চইল্যা যাই। না যাই কী করুম। সংসারে এত খরচ। ছোডো মাইয়্যাডার বয়স তিন বচ্ছর। বাইরে কাম করি, তাই ঠিকমতো তার যত্নও লইতে পারি না। ভাই-বোনেগো কোলে কোলে বড় হইতাছে।’ এত বাচ্চা নিলেন কেন? পরিবার পরিকল্পনা করেন নাই? এই প্রশ্নের জবাবে নার্গিস বেগম বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার কথা মানুষের মুখে হুনছি। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমার কাছে আসে নাই। কেমনে কীভাবে হয় হেডাই জানি না। স্বামীও কোনো দিন কিছু কয় নাই।’ শুধু নার্গিস বেগম নয়, দেশের বহু নারী পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বহু সন্তানের মা হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা না পাওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গ্রহণে দেখা দিয়েছে অনীহা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, শহরের বস্তিবাসী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণ-সামগ্রী না পৌঁছানোয় বাড়ছে জনসংখ্যা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, কিন্তু তা সন্তোষজনক নয়। আমাদের দেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। এর পেছনে অবশ্য আরও কারণ রয়েছে যেমন: বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য ও অশিক্ষা।রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে বেশির ভাগ পরিবারে সন্তান ছয় থেকে আটজন। বস্তির এক বাসিন্দা রহিমা খাতুনের সন্তান চারজন। এত সন্তান নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বুড়া বয়সে পোলাপাইনেরাই তো খাওয়াইব।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর রিকশাচালক স্বামী ঘরে যাতে মন বসে সে জন্য বেশি বেশি সন্তান নেওয়ার কথা বলেন।তবে একই বস্তির রাবেয়া বেগমের মাত্র একটি সন্তান। তিনি জানান, ভবিষ্যতে তাঁর আর সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা নেই। এই একটি সন্তানকেই তিনি মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়তে চান। রাবেয়া বলেন, ‘আগে আমরা মধুবাগ বস্তিতে থাকতাম। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা আইস্যা আমগোরে পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ লইয়া নানা কথা বলেন। হেগোর কাছ থেইক্যা জানছি বেশি বাইচ্চা নেওন ভালো না।’পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার ১৯৭৫ সালের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০১০ সালে ৬১ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধির এই হার সন্তোষজনক নয়। ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ দম্পতির মধ্যে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বরাদ্দ বাড়ালে বেশি বেশি প্রচার চালানো সম্ভব হবে।এ ব্যাপারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক গণেশচন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। এত কম বরাদ্দ দিয়ে যথাযথভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো সম্ভব নয়। ফলে জনসংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট বরাদ্দ বাড়ে আর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বাজেট বরাদ্দ কমে। পরিবার পরিকল্পনা খাতে বিনিয়োগ যে লাভজনক, বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের মাথায় নেই। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। এই টাকার একটি অংশ আবার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হিসেবে দিতে হয়। এত কম অর্থ দিয়ে কীভাবে প্রচারণা সম্ভব। তবুও বিভিন্নভাবে প্রচারণার কাজ চলছে। পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণ বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমানো ও মোট প্রজনন হারকমানোর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।পরিবারের সচ্ছলতা ও উন্নয়নের জন্য স্বামী-স্ত্রী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরিবার গঠনকে পরিবার পরিকল্পনা বলে। ১৯৫৩ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু হয়। তারও এক যুগ পর থেকে সরকারিভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এখনো পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১ঃ ৯।দেশের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী হচ্ছে মোট জনসংখ্যার বৃহত্তম প্রজননক্ষম অংশ। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ। বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে গর্ভধারণের শিকার হচ্ছে এ বয়সীরাই। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ৬৬ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ১৯ বছরের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন কিশোরী মা হচ্ছেন। অথচ জনসংখ্যার এই অংশটা সবচেয়ে কম তথ্য পাচ্ছে। অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ-সামগ্রী ব্যবহারের কৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ। এ জন্য লোকবলের অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা দিচ্ছেন মাত্র ২১ হাজার ২১৯ জন পরিবারকল্যাণ সহকারী। এনজিও খাত ৫ শতাংশ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ-সামগ্রী সরবরাহ করছে, যা পর্যাপ্ত নয়।রাজবাড়ীতে গত শুক্রবার রাতে সূর্যতরুণ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন জেলা উদীচীর সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, আবোল-তাবোল শিশু সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেবাহুতি চক্রবর্তী, রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, অরণি সংঘের সভাপতি মুনিরুল হক, দোলনচাঁপা সংগীতাঙ্গনের তপন কুমার দে, দিব্য নৃত্যকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আবদুস সাত্তার ও মঙ্গলনাটের সাধারণ সম্পাদক ফকীর রুমন।উপকরণ: জলপাই ২৫০ গ্রাম, চিনি ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, রসুন আস্ত কোয়া ১৫-২০টি, সিরকা ১ বোতল, আদা টুকরা করে কাটা ১০-১৫ টুকরা, লবণ ১ চা-চামচ।প্রণালি: জলপাইগুলো ধুয়ে-মুছে এক রকম করে কেটে রাখতে হবে। শুকনা মরিচ বিচি ফেলে টুকরা করে কেটে নিতে হবে। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কাপড়ে মুছে নিতে হবে। একটা শুকনা পাত্রে সব একসঙ্গে কাঠের চামচ দিয়ে মাখিয়ে বায়ুরোধী বয়ামে রেখে দিতে হবে। এক মাস ধরে নিয়মিত করে এক মাস রোদে দিতে হবে। এর মধ্যে বয়ামের মুখ খোলা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে, বয়ামের আচার যেন পুরোটা সিরকাতে ভেজানো থাকে। আর কাঠের চামচ ব্যবহার করতে হবে।কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে তিন দিনের কত্থক নৃত্য উৎসবের শেষ দিন ছিল গতকাল। ছায়ানট মিলনায়তনে সমাপনী দিনের আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমানুল হক, জিনাত বরকতউল্লাহ ও বেলায়েত হোসেন খান।আলোচনা শেষে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের নৃত্যশিল্পীর ‘রিমঝিম’ শিরোনামের কম্পোজিশন পরিবেশন করা হয়। এটি পরিচালনা করেন সাজু আহমেদ। এরপর মুনমুন আহমেদ মালকোষ রাগে শের সারগাম পরিবেশন করেন।এরপর কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন তাবাসসুম আহমেদ। নৃত্য নির্মিতি পরিবেশন করেন পাপ্পু সাহা। এরপর কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের এনি, প্রমি, ইতি, লিসা ও তাত্ত্বিকা পরিবেশন করেন নৃত্য নির্মিতি। ‘শাওন আসিলো ফিরে’ শিরোনামে নৃত্য পরিবেশন করেন মুনমুন আহমেদ। তিনতালে নৃত্য পরিবেশন করেন অবন্তিকা। তারানায় নৃত্য পরিবেশন করেন মুক্তা রানী ঠাকুর। প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হকের স্মরণে ‘রাগ বসন্ত’ নৃত্য পরিবেশন করেন কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়।সংগঠনের পরিচালক সাজু আহমেদের নেতৃত্বে মুনিয়া, ইমন, পাপ্পু, সুপর্ণা, তাত্ত্বিকা ও জ্যোতির সম্মিলিত এ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসবের আয়োজন।
চট্টগ্রামের আলকরণ ১ নম্বর গলির মরহুম আবদুল হকের মেয়ে দিলশাদ বেগম ডেজীর (৩৫) দুটি কিডনিই অকার্যকর হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁকে বাঁচাতে হলে জরুরিভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ২০ লাখ টাকা, যা তাঁর পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে তাঁর পরিবার। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: দিলশাদ বেগম ডেজী, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ০০৬৭১২১০০০০০৯৩৩, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক, কোতোয়ালি শাখা, চট্টগ্রাম। বিজ্ঞপ্তি।রোনালদো বনাম মেসি থেকে বেল বনাম নেইমার। প্রার্থিত দ্বৈরথটা এখন রূপ বদলেছে এভাবেই। আর সেই দ্বৈরথে নেইমার বুঝিয়ে দিলেন, বাজারদরে তিনি বেলের অর্ধেক হতে পারেন, তবে প্রতিভার দ্যুতিতে দ্বিগুণেরও বেশি উজ্জ্বল। এল ক্লাসিকোতে নিজের অভিষেকটা যেখানে গোল করে স্মরণীয় করে রাখলেন ব্রাজিলের এই বিস্ময়-প্রতিভা, সেখানে তাঁকে কিনতে রিয়াল মাদ্রিদ ঠিক কেন এক হাজার কোটি টাকা গুনল, সেই প্রশ্নবোধক চিহ্নটাকে আরও বড় আকার দিয়ে ৬০ মিনিটে হেঁট মাথায় ডাগআউটে গিয়ে বসলেন বেল। নেইমারের বার্সেলোনাও লা লিগায় হারিয়ে দিল বেলের রিয়ালকে। ২-১ গোলে জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানও বাড়াল শীর্ষে থাকা বার্সা। ১০ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ২৮, রিয়ালের ২২।১৯ মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাড়িয়ে দেওয়া পাস ধরে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে স্টেপওভার করে বিপজ্জনক ভঙ্গীতে ঢুকে পড়া নেইমারের নিখুঁত শট রিয়াল রক্ষণ ভাগের দেয়ালে হালকা ধাক্কা খেয়ে দিক বদলে ঢুকে গিয়েছিল জালে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল বলছে কাজের কাজ করেছেন আসলে অ্যালেক্সিস সানচেজ। তাঁকেও ঠিক কী বুঝে গুচ্ছের টাকা খরচ করে উদিনেসে থেকে বার্সা কিনে এনেছিল, এ নিয়ে ওঠা প্রশ্নবোধক চিহ্নটা এই মৌসুমে ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে শুরু করা সানচেজ এই ম্যাচের ‘সুপার সাব’। ৭০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামার আট মিনিটের মাথায় ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস ধরে বক্সের সামান্য বাইরে  থেকে চিপ করে ‘মেসি-সুলভ’ গোল করে বার্সাকে চিন্তামুক্ত করেছেন।এই গোলটি না হলে বার্সা যে আসলেই দুশ্চিন্তায় পুড়তে থাকত সেটা বোঝা গেছে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই জেসির গোলে স্কোরটাকে রিয়াল ২-১ করে ফেলায়। ধরনটা দুর্দান্ত ছিল বলে এই ম্যাচের দিকে ফিরে তাকাতে গিয়ে সানচেজের গোলটার কথাই মনে পড়ছে বেশি করে। তবে ম্যাচের আসল নায়ক নেইমারই। কারণ মাঝ মাঠের সামান্য ওপর থেকে সানচেজের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া দুর্দান্ত থ্রু পাসটা তাঁরই দেওয়া। একটি গোল করে অন্যটি করাতে অবদান রেখে এল ক্লাসিকো অভিষেক সত্যিই স্মরণীয় করে রাখলেন নেইমার। ৫৪ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত ভলিটি ডিয়েগো লোপেজ না ঠেকিয়ে দিলে ম্যাচটা নেইমারের একারই হয়ে যেত।আট বছর আগে এমন এক এল ক্লাসিকো অভিষেক হ্যাটট্রিক দিয়ে স্মরণীয় করে রাখা লিওনেল মেসি এ রাতে গোলের দেখা পাননি। তুলনামূলক নিষপ্রভও ছিলেন। কয়েকটি মেসি-মুহূর্ত এলেও সেগুলো ঠিক মেসিসুলভ ছিল না। বরং নেইমারের গোলের দুই মিনিটের মাথায় স্কোরটাকে ২-০ করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন মেসি। রিয়াল গোল রক্ষককে ওয়ান-টু-ওয়ান পরিস্থিতিতে পেয়েও বল মেরেছেন বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে।রোনালদোও হয়ে ছিলেন নিজের ছায়া। অবশ্য সেই ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা বেশ কয়েকবার করেছেন। ৪৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁর ক্রসটা আরেকটু হলে জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন সামি খেদিরা। দুর্দান্ত সেভ করে ম্যাচে রিয়ালের সত্যিকারের প্রথম প্রচেষ্টাটি রুখে দিয়েছেন মৌসুমের শুরু থেকেই অবিশ্বাস্য খেলতে থাকা ভিক্টর ভালদেস। ৫৮ মিনিটেও রোনালদোর ডান পায়ের একটি শট ঠেকিয়েছেন ভালদেস। পর মুহূর্তেই কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার আগুন শটও ঠেকিয়েছেন।৮৬ মিনিটে বার্সার ত্রাতা হয়ে এসেছেন আরেকবার। এই ম্যাচের নায়কের কৃতিত্ব তাই দিতে হবে ভালদেসকেও, বিশেষ করে বার্সা যখন জিতেছে ন্যুনতম ব্যবধানে। রিয়ালের আফসোস বেড়ে যাচ্ছে বদলি হিসেবে নামা করিম বেনজেমার একটি শট বারে লেগে ফিরে আসায়।গত কয়েকটি এল ক্লাসিকোর তুলনায় এবারের দ্বৈরথটি তুলনামূলক পরিচ্ছন্নই ছিল বলা যায়। অন্তত হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়নি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইনিয়েস্তাকে ফাউল করা নিয়ে পরিস্থিতির উনুনে হালকা ধোঁয়া উঠতে শুরু করেছিল। তবে আগুন জ্বেলে ওঠার আগেই জল ঢেলেছেন রেফারি। অবশ্য সাতটি হলুদ কার্ডও বলছে একটা ছাইচাপা আগুন কিন্তু ঠিকই ছিল। এই সাত কার্ডের পাঁচটিই রিয়ালের খেলোয়াড়েরা দেখেছেন। এর মধ্যে আছেন বেল আর রোনালদোও!এই ম্যাচ ছিল ডাগ-আউটের দুই ‘নাটের গুরু’র অভিষেকও। কার্লো আনচেলত্তির পাল্টা আক্রমণের রণকৌশলকে বানচাল করে পাঁচ ম্যাচ বিরতির পর আবার এল ক্লাসিকোতে বার্সার মুখে জয়ের হাসি ফিরিয়ে জেরার্ডো মার্টিনো বুঝিয়ে দিলেন, ঠিক ঘোড়ার ওপরই জুয়া খেলেছে বার্সার নীতি-নির্ধারকেরা। সবচেয়ে বড় কথা, মেসিকে ছাড়াও বার্সাকে জেতাতে শিখিয়ে দিয়েছেন ‘টাটা’! শোভাযাত্রা, চিত্রপ্রদর্শনী, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আয়োজনে গতকাল সোমবার নগর মুখর ছিল। এসব আনুষ্ঠানিকতায় আহ্বান ছিল একটাই—তা হলো নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর এ আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়েই পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিলোপ দিবস।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংগঠন গতকাল দিবস পালনের পাশাপাশি আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিলোপ বা প্রতিরোধ পক্ষ হিসেবে পালন করবে। ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ল্যাটিন আমেরিকার ডমিনিক্যান রিপাব-লিকের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত বিদ্রোহ করার অপরাধে প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল নামের তিন বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা স্মরণেই দিবসটির সূচনা।গতকাল দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ এবং ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এবং ডাইভারসিটি বিভাগ যৌথভাবে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার নাজমা চৌধুরী, বিভাগের চেয়ার তানিয়া হক, সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক নাজমুন্নেসা মাহতাবসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ছাড়াও ব্র্যাকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত প্রাঙ্গণ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করে।নারীপক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিকেলে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নারীপক্ষসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ সময় নারী প্রতিনিয়ত যে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা রোধে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা আর না’ শিরোনামে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। সারা দেশে হাড়কাঁপানো শীত নেমেছে আরও আগে। সে তুলনায় ঢাকায় অমন শীতের দেখা মেলেনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই ভরা পৌষের প্রকৃত রূপ দেখল নগরবাসী। সন্ধ্যা নামতেই জাঁকিয়ে নামে হিমেল হাওয়া। এমন পরিবেশে ধানমন্ডির ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনের দুটি মিলনায়তনে ছিল নৃত্য ও সংগীতের পরিবেশনা।এ ছাড়া রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বসে কবিতা পাঠের আসর। সবগুলো আয়োজনে ছিল দর্শকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।
চট্টগ্রামে আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির ডাকে অর্ধদিবস বাস ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এ সময় দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। মালিক সমিতি গতকাল বুধবার ভোর ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। পরে তা শিথিল করা হয়।আন্তজেলা বাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে আমরা অর্ধদিবস ধর্মঘট পালন করছি। চট্টগ্রাম থেকে দেশের কোনো জেলায় বাস ছেড়ে যায়নি।’সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালে বিআরটিসি বাস টার্মিনালসহ নগরের কোনো টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়েনি। কোনো বাস নগরে ঢোকেওনি। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় স্থানে স্থানে যাত্রী দেখা গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন চলাচল করেছে।গত মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডের বাইপাস এলাকায় স্টার লাইনের একটি বাসের চাপায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউসির এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।ইরান বলেছে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে গত শুক্রবার ‘বিদ্রোহীদের’ হামলায় তাদের অন্তত ১৭ জন সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজনকে ধরেও নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে গতকাল শনিবার সরকার ১৬ বিদ্রোহীকে ফাঁসি দিয়েছে। ইরানের গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে সংঘর্ষে ঠিক কতজন হতাহত হয় তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি খবরে। অন্যান্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১৭ থেকে ১৮।সংবাদ সংস্থা মেহরের খবরে বলা হয়, বিদ্রোহীরা স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি বাহিনীর একটি চৌকিতে হামলা করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রাদেশিক কর্মকর্তা রজব-আলী শেখজাদাহ বার্তা সংস্থাকে বলেন, বিদ্রোহীরা এবং শত্রুপক্ষীয় গোষ্ঠীগুলো শুক্রবার ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।সংঘর্ষের স্থানটি পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ঘটনাস্থলের কাছের শহর সারাভানের একজন ডেপুটি গভর্নর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, ছয়জন সীমান্তরক্ষীকে ধরে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।কে বা কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে এর আগে বিভিন্ন সময়ে মাদক চোরাচালানিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকাটির সঙ্গে আফগানিস্তানেরও সীমান্ত রয়েছে। এ ছাড়া স্থানটি সুন্নি অধ্যুষিত। ইরানের শিয়া মুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে সেখানকার সুন্নিরা বিভিন্ন সময়ে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছে। এ নিয়ে সেখানে অস্থিরতার ইতিহাস রয়েছে।এদিকে সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের বিচার বিভাগের একজন সরকারি অভিযোক্তা জানিয়েছেন, সীমান্তে ওই হত্যাকাণ্ডের জবাবে ১৬ জন বিদ্রোহীর ফাঁসি কার্যকর করেছে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। মোহাম্মদ মারজিয়াহ নামের ওই অভিযোক্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইসনার খবরে বলা হয়, ‘সারাভানে সীমান্তরক্ষীদের হত্যার জবাবে আজ (শনিবার) সকালে প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানের কারাগারে ১৬ জন বিদ্রোহীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই বিদ্রোহীরা সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।’ বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। রয়টার্স ও এএফপি।চিপ উন্নয়ন ও থ্রি ডাইমেনশনাল (থ্রিডি) মেশিন ভিশন ও মোশন সেন্সর নিয়ে কাজ করে—এমন একটি প্রতিষ্ঠান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। ‘প্রাইমসেন্স’ নামের ইসরাইলের এ প্রতিষ্ঠান এর আগে মাইক্রোসফটের এক্সবক্স কাইনেক্ট মোশন সেন্সর উন্নয়নে কাজ করেছিল। এমনিতেই অ্যাপল নিজেদের প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি অ্যানিমেশনসহ নানা ধরনের সেবা নিয়েও কাজ করছে; আর তাই ভবিষ্যতে নিজেদের পণ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে অ্যাপলের এমন সিদ্ধান্ত। প্রাইমসেন্স কেনার জন্য অ্যাপলকে প্রায় ৩৫ কোটি ডলার দিতে হবে বলেও জানা গেছে।প্রাইমসেন্সের তৈরি সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল যন্ত্রে যেকোনো দৃশ্যের ত্রিমাত্রিক রূপ দেখা যাবে। এর আগে এক্সবক্স ছাড়াও ‘ক্যাপরি’ নামে একটি থ্রিডি মোশন সেন্সর চিপ নিয়ে কাজ করে প্রাইমসেন্স। অ্যাপলের এ অধিগ্রহণ সফলভাবে সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে সেন্সরটি আইপ্যাড অথবা ম্যাকবুক এয়ারে ব্যবহূত হতে পারে। এ ছাড়া অ্যাপল টিভির ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনাও অ্যাপলের চলছে—এমনই জানা গেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের আলোচনায়।এ বিষয়ে অ্যাপলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অ্যাপল বিভিন্ন সময় ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান কিনে থাকে, যার উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনার বিষয়টি সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। আমরা অধিগ্রহণের এ চিন্তাভাবনা করছি, যা আমাদের বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহূত হতে পারে।’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে নানা আলোচনা থাকলেও ঠিক কী কারণে প্রাইমসেন্স অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, সে বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল।প্রতিনিয়ত নিজেদের বিভিন্ন সেবার সুবিধা বাড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে নিচ্ছে বিশ্বসেরা সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ধারণা করা হয়, এসব প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলোকে অ্যাপলের ভবিষ্যৎ পণ্যেই ব্যবহার করা হবে। অ্যাপল এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফ্ল্যাশ স্টোরেজ চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যানোবিট’ অধিগ্রহণ করেছিল।—বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলমনিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে সংগীত সংগঠন গীতমালিকা গতকাল ছায়ানটে শ্রোতার আসরের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন খায়রুল আলম।সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর শুরু হয় গান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় শিল্পীরা শোনান ২০টির বেশি রবীন্দ্রনাথের গান। গতকাল ছিল শ্রোতার আসরের ২১তম পর্ব।
দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা ও ইন্টার্নি ভাতা পাওয়ার দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য সহকারী প্রশিক্ষণ স্কুলের শিক্ষার্থীরা (ম্যাটস) ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করেছেন। আধা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ম্যাটসের ইন্টার্নি ব্যাচের শিক্ষার্থী মিঠুন কুমার। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন। কুষ্টিয়া অফিস।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে অচল হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষের জীবনযাত্রা। ওডিশায় বৃষ্টি ও এ কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৫০ এবং অন্ধ্র প্রদেশে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।শুক্রবার রাতে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ডুবে যায় কলকাতা শহর এবং আশপাশের এলাকা। ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়। বহু স্থানে রেললাইন পানির তলায়। অন্ধ্র প্রদেশের সমুদ্র উপকূলে নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত ও বন্যা। ওডিশার ৩০টি জেলার মধ্যে ১৭টিতেই বৃষ্টি হয়েছে। এই রাজ্যে বহু স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশে অনেক ট্রেন বন্ধ বা ঘুরপথে চালানো হয়।এক ভবনের নয়তলাজুড়ে নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন। একেক তলায় একেক ধাঁচের বসার ব্যবস্থা। নতুন রূপে এবার চালু হল মারমেইড ক্যাফে। গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর বারিধারার প্রগতি সরণিতে মূল রাস্তার পাশেই মারমেইডের নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়। অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কাটেন সার্ফার জাফর আলম।কক্সবাজারে মারমেইডের রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এরপর ঢাকার গুলশান-২ অঞ্চলে চালু হয় মারমেইড ক্যাফে নামে আরেকটি রেস্তোরাঁ। আর এবার শুরু হল বারিধারায় নতুন এই আয়োজন। বাড়িটির নিচতলাতে রয়েছে মারমেইড বেকারি ও পেস্ট্রি শপ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাতে থাকছে নতুন চমক, যার উদ্বোধন হবে আগামী মাসে। চতুর্থ তলাতে রয়েছে মারমেইড রিসোর্ট রিজার্ভেশন ও মূল অফিস। পঞ্চম তলায় বর্তমানে রাখা হয়েছে শিল্পী রনি আহমেদের নানা চিত্রকর্ম, চাইলে কিনেও নিতে পারবেন।ষষ্ঠ তলা থেকে শুরু আবার খাবারের আয়োজন। এখানে খাবার ফরমায়েশ দেওয়ার পর আপনার সামনেই তৈরি হবে। সপ্তম ও অষ্টম তলাতেও মারমেইড গ্যালারি ক্যাফে। যেখানে খাবারের স্বাদ নিতে নিতে জমে উঠবে আড্ডা। এখানে বারান্দায়ও রয়েছে আলাদা বসার ব্যবস্থা। নবম তলায় রুফটপে (ছাদে) গেলেই চমকে যাবেন। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেই মারমেইড বিচ ক্যাফে। পায়ের নিচে শক্ত ইট-পাথর নয়। বরং রাখা হয়েছে বালু, সৈকতের অনুভূতি দিতেই। এই বালুতে পা ডুবিয়েই আপনাকে বসতে হবে খাবার টেবিলে। হালকা আলো-আঁধারিতে হারিকেন বা মোমের আলোয় বসে রাতের খাবারের আয়োজনে চমকে দিতে পারেন প্রিয়জনকে।মূল রাস্তা ছেড়ে মারমেইডের বাড়িটিতে ঢোকার পরই পাবেন আলাদা একটা আবহ। হাঁটতে হবে কাঠের সিঁড়ি ধরে। ভেতরে ঢুকেই কাঠ, দড়ি ইত্যাদির তৈরি আসবাবের পাশাপাশি নজর পড়বে দেয়ালের গায়ে ঝুলতে থাকা চিত্রকর্মের দিকে। সিলিংয়ের ফাঁকা স্থানগুলোতেও কাঠের টুকরোর ব্যবহার অন্দরসজ্জাতে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। মারমেইডের বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা রেক্সি ডমেনিক গোমেজ বলেন, ‘সামুদ্রিক খাবার তো ছিলই। এবার আমরা নিয়ে এসেছি বিভিন্ন দেশের আরও কিছু মজাদার খাবার। এ ছাড়া এই শাখায় থাকছে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফ্লেভারের কিছু কফি এবং পিৎজা।’সপ্তাহের সাত দিনই বেলা ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে সবার জন্য।দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঘাটতি কমার পাশাপাশি চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তও কমে গেছে। আর অর্থনীতির গতিময়তা কমে যাওয়ার পাশাপাশি সার্বিক লেনদেনের ভারসাম্য কিছুটা চাপের মুখে পড়তে শুরু করেছে।চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) লেনদেনের হালনাগাদকৃত ভারসাম্য সারণি বিশ্লেষণ করে এমনটি প্রতীয়মান হয়েছে।এতে দেখা যায় যে এই সময়কালে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে। কেননা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৫১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় যে এই চার মাসে আমদানি ব্যয় যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি আয় তার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। ফলে আমদানি-রপ্তানির মধ্যকার ব্যবধান বা বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে এই চার মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। আর একই সময়ে পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।এটি অবশ্য আমদানি-রপ্তানির এফওবি হিসাব, যেখানে শুধু জাহাজীকৃত পণ্যের দর বিবেচনা করা হয়। আর সিঅ্যান্ডএফ হিসাবে পণ্য জাহাজীকরণের পাশাপাশি বিমা ও পণ্য ওঠানো-নামানোর ব্যয় যুক্ত করা হয়।যেমন, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এফওবি বা লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর সিঅ্যান্ডএফ হিসাবে এই সময়ে আমদানি ব্যয় এক হাজার ১৯৬ কোটি ডলার।অবশ্য লেনদেনের ভারসাম্য সারণি থেকে এও দেখা যায় যে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সেবা খাতের বাণিজ্যে ঘাটতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১২৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার।সেবা খাতের বাণিজ্যে আয়ের তুলনায় ব্যয় দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই খাতের বাণিজ্যে মূলত বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।সব মিলিয়ে আলোচ্য সময়কালে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৭০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। তবে আগের বছরে একই সময়ে তা ছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার।সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে ঋণ নিতে হয়।মূলত প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় তা চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। এই সময়কালে প্রবাসী-আয়প্রবাহ কমেছে ১০ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে ৫৩ কোটি ৮০ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দেড় শতাংশ বেশি। বলা যায়, বিদেশি বিনিয়োগপ্রবাহ শ্লথ হয়ে পড়েছে।আবার মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণপ্রবাহ এই সময়কালে ২৯ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে যেখানে ৬১ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঋণ পাওয়া গিয়েছিল, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সেখানে পাওয়া গেছে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সহায়তা।সার্বিকভাবে অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে লেনদেনের ভারসাম্যে ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। তবে তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ১৯২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।এসব পরিসংখ্যান থেকে প্রতীয়মান হয় যে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে। একই সঙ্গে অর্থনীতির গতিময়তাও যে কমে গেছে, তারও প্রতিফলন আছে এই পরিসংখ্যানে।অর্থবছরের প্রথম চার মাস৭০কোটি ডলারের চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত১৯৩কোটি ডলার ঘাটতি হয়েছে পণ্যবাণিজ্যে১.৩শতাংশ বেড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ১০শতাংশ কমেছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ২৯শতাংশ কমেছে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণপ্রবাহ
দেশের সবচেয়ে সক্রিয় ফেডারেশনগুলোর মধ্যেই আছে হ্যান্ডবল। এই ফেডারেশন শুধু জাতীয় ক্রীড়া হ্যান্ডবল আয়োজন করেই দায়িত্ব শেষ করছে না। এবার তারা জাতীয় প্রতিযোগিতার সেরা ৮টি দল নিয়ে আয়োজন করছে জাতীয় আমন্ত্রণমূলক হ্যান্ডবল। পুরুষ বিভাগের খেলা আগেই হয়ে গেছে। আজ পল্টন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে মহিলা বিভাগের খেলা।‘ক’ গ্রুপে খেলছে বিজেএমসি, নওগাঁ, রাঙামাটি ও বাংলাদেশ পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে ঢাকা, দিনাজপুর, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া জেলা। ফাইনাল ২৯ সেপ্টেম্বর। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষণা করছে ওয়ালটন। ১৬টি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য থাকছে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার। সেরা খেলোয়াড় পাবেন ২০ হাজার টাকা। এই প্রথম বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ঘরোয়া হ্যান্ডবলের কোনো প্রতিযোগিতায়।কাল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ক্রীড়াদূত টিটি তারকা জোবেরা রহমান লিনুসহ আরও অনেকে।সবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল শারমিন। বয়স এখনো ১২ বছর হয়নি। ঠিক এ সময় বাজল তার বিয়ের সানাই। বর একই এলাকার ২০ বছর বয়সী তরুণ কাওসার। বাল্যবিবাহের কথা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হুদা ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার ছুটে আসেন। তাঁরা বিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু লাভ হলো না। দিনের বেলায় তাঁদের কথা মানলেও পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্ত যেতেই বিয়ের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকেরা। রাতের অন্ধকারে বিয়ে হয়ে যায় শারমিনের। ঘটনাটি ঘটে ৮ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পিরোজপুর গ্রামে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জরিপের তথ্য বলছে, গত তিন বছরে দেশে ৩৫৫ জন কন্যাশিশুর বিয়ে হয়েছে, যাদের বয়স ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তথ্য নিয়ে মহিলা পরিষদ বলেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৬ জন কন্যাশিশুকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে ৮৮ জন, ২০১১ সালে ৭৫ জন ও ২০১০ সালে ১৬৬ জন কন্যাশিশুর বিয়ে হয়েছে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম প্রথম আলোকে বলেন, সমাজের পুরুষতান্ত্রিক ভাবনার বদল না হলে কন্যাশিশুর বিয়ে বন্ধ করা যাবে না। শুধু সরকারি প্রচারণা নয়, বেসরকারিভাবেও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। কন্যাশিশুর বিয়ে বন্ধে বিশেষ করে পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন তিনি।জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ ১৮ বছরের কম বয়সী। তাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ হচ্ছে মেয়েশিশু। শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হলেও আজও দেশে বহু মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ১৮ বছর পার হওয়ার আগেই।বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ১৫ বছর তিন মাস। পাশাপাশি ইউনিসেফের তথ্যমতে, কন্যাশিশুর বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। গত ৩০ বছরে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় কন্যাশিশুদের বিয়ের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কমলেও গ্রাম এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনো এই হার অনেক বেশি।এ ছাড়া আইসিডিডিআরবি এবং প্ল্যান বাংলাদেশের যৌথ জরিপের মতে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা ২৬ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে। নিরক্ষর নারীদের বেলায় এই সংখ্যা ৮৬ শতাংশ।১৯২৯ সালের ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ সংশোধন করা হয় ১৯৮৪ সালে। আইন অনুযায়ী পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর, নারীর ১৮ বছর। ব্যতিক্রম হলে বিয়ের সঙ্গে জড়িত বর-কনের অভিভাবক, আত্মীয়, স্থানীয় কাজিসহ সবার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। জড়িত পুরুষদের এক মাস পর্যন্ত বিনা শ্রম কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। বর ও কনে দুজন নাবালক হলে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। বর সাবালক ও কনে নাবালিকা হলে ছেলের এক মাস পর্যন্ত বিনা শ্রম কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর ও কনেপক্ষের সমঝোতার কারণে বিয়ে নথিভুক্ত হয় না এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে না। তা শহরের শিক্ষিত সমাজ হোক কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকের ঘরেই হোক। আয়শা খানমের মতে, দারিদ্র্য, অসচেতনতা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, যৌন হয়রানি ও কন্যাশিশুর প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে কন্যাশিশুদের বিয়ে হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি ভুয়া জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স বাড়ানোর ঘটনাও ঘটছে। দেখা যায়, সন্তান জন্ম দেওয়া ও লালন-পালন করা অল্প বয়সী মায়েদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।২০০৮ সালের পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কিশোরীদের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ ও শিশুমৃত্যুর হার প্রায় ৩০ গুণ এবং বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েরা বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও দুর্বলতায় ভোগে কিশোরী মায়েরা। ফলে তাদের গর্ভজাত শিশুর স্বাস্থ্য নানা ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। অল্প বয়সে সন্তান ধারণের ফলে কিশোরী মায়ের শরীর ও মনের সমস্যা বাড়ে বলে পুরুষদের মধ্যে বহুবিবাহের প্রবণতা তৈরি হয়।নারী ও শিশু অধিকারের বিষয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকজনের অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ দরিদ্র পরিবার কন্যাসন্তানকে পরিবারের জন্য বোঝা মনে করে। ফলে ভরণপোষণের বাড়তি চাপ থেকে মুক্তি পেতে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়। বয়স বেশি হলে যদি মেয়ের বিয়ে না হয়, এ ভয়েও থাকেন অনেকে। আর মধ্য আয়ের পরিবারের অভিভাবকদের মধ্যে ‘বিয়ে না হওয়ার’ ভয় বেশি কাজ করে। এ ছাড়া যৌন হয়রানি ও ইভ টিজিংয়ের ভয়েও অভিভাবকেরা অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন।কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরিন আখতার বলেন, ‘দারিদ্র্য যেহেতু মানুষের সব মৌলিক চাহিদাকে কারারুদ্ধ করে, তাই প্রয়োজনের কাছে আইন অমান্যের ঘটনা বাড়ে। তা ছাড়া সুশিক্ষার অভাবও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কন্যাশিশুর বিয়ের ঘটনায় কেবল সে ও তার পরিবার আক্রান্ত হয় না, গোটা দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য তো নানা ধরনের উদ্যোগের খবর জানতে পারি, সেখানে কন্যাশিশুর বিয়ের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা কখনো সচেতন নাগরিকের কাম্য হতে পারে না।’চিংড়ির টেম্পুরাউপকরণ: মাঝারি চিংড়ি ৮-১০টি, ময়দা ২ টেবিল চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব প্রয়োজনমতো। ডিম ফেটানো ১টি। লেবুর রস, মরিচের গুঁড়া ও লবণ স্বাদমতো। তেল ভাজার জন্য।প্রণালি: চিংড়ি খোসা ছাড়িয়ে নিন। লেবুর রস, মরিচ ও লবণ দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন। এবার ময়দায় মেখে নিন। ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে হালকা আঁচেভেজে নিন।রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া হাতবোমায় আহতদের মধ্যে কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। সিদ্ধার্থ রায়ের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায়। রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (তথ্য ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান‘প্রথম আলো’কে এ কথা জানান।এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহীতে পুলিশের চলন্ত গাড়িতে বিক্ষোভকারীর ছোড়া হাতবোমায় সিদ্ধার্থ রায়সহ পুলিশের নয় সদস্য গুরুতর আহত হন।সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।অপর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ এ ঘটনার পর ৩৩ জনকে আটক করেছে।আহত বাকি আটজন হলেন কনস্টেবল আনন্দ কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান, শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, রায়হান, রাফি, আবদুল মজিদ ও সোহেল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার অসীম সরকার জানান, সিদ্ধার্থের শরীর ঝলসে বাইরে থেকে ফুসফুস দেখা যাচ্ছিল।তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।তিনি বলেন, বুকের এ ধরনের সার্জারির ব্যবস্থা রাজশাহীতে নেই।এ জন্য সিদ্ধার্থকে ঢাকায় পাঠানো হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তৌহিদের দুই চোখের ভেতর বোমার স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে।দুপুরের তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।শাহরিয়ারের চোখের ভেতর থেকে টিনের টুকরো অপসারণ করা হয়েছে।আসাদুজ্জামানের হাত ও পিঠ এবং সোহেলের বামহাত ও আনন্দের মাথা জখম হয়েছে।বোমাটি বিস্ফোরণের পরে পুলিশের গাড়ির ভেতরে লোহার পেরেক, মাছ ধরার জালে ব্যবহূত লোহার কাঠি, পাথরের টুকরা, টিনের কুচি ইত্যাদি পাওয়া গেছে।পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় যে ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ও অন্যান্য জিনিস বের হয়েছে, এতে এটা যে ককটেলের চেয়েও বেশি কিছু (মোর দ্যান ককটেল) তা বলা যায়।হামলার সময় ওই গাড়িতে ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল আলমগীর।তিনি বলেন, বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি গাড়িতে তাঁরা টহল দিচ্ছিলেন।সামনের গাড়িতে সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জন ও ট্রাকে তাঁরা ১৪ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।দুটি গাড়ি হেতেমখাঁ মোড় হয়ে মালোপাড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল।এ সময় মিছিল শেষে মিছিলকারীরা ফিরে যাচ্ছিল।গাড়িটি রাজাহাতা এলাকার লোকনাথ স্কুলের মোড়ে পৌঁছালে রাস্তার পাশ থেকে ট্রাকের ভেতরে একটি শক্তিশালী বোমা এসে পড়ে।বোমাটি সিদ্ধার্থের বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের ওপর পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আলমগীর বলেন, তিনি ট্রাকের পেছনের দিকে ছিলেন বলে তাঁর আঘাত লাগেনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ দলের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য বেলা সাড়ে ১১টার দিক থেকে নগরের ভুবনমোহন পার্কে জড়ো হচ্ছিল।আসার পথেই লোকনাথ স্কুলের সামনে তারা একটা অটোরিকশার কাচ ভাঙচুর করে।এজন্য ওই দিকেই পুলিশ বেশি নজরদারি করছিল।তারা কয়েকজনকে আটক করে।এ খবর পেয়ে মিছিলের শুরুতে আয়োজিত সমাবেশে একজন বক্তা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ না করলে আপনাদের বিরুদ্ধে মোড়ে মোড়ে গণবিস্ফোরণ গড়ে তোলা হবে।’ সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি শহরের সোনাদীঘি, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, গণকপাড়া ও মালোপাড়া হয়ে আবার পার্কে ফিরে যায়।সেখান থেকে ফেরার পথে তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের রাজাহাতা মোড়ে পুলিশের চলন্ত কাভার্ডভ্যানের সামনের দিক দিয়ে একটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়।বোমাটি ট্রাকের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মিছিল শুরুর আগেই তারা লোকনাথ স্কুলের সামনে একটা অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ জন্য পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে। গাড়িতে হামলার পরও সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সব মিলে ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. সেলিম নামের ১৩ বছরের একটি ছেলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে। তার উচ্চতা প্রায় সাড়ে চার ফুট। গায়ের রং শ্যামলা, মুখমণ্ডল লম্বাটে। তার পরনে ছাই রঙের জিনসের প্যান্ট ও টিয়া রঙের ফুলহাতা শার্ট ছিল। কোনো সহূদয় ব্যক্তি তার খোঁজ পেলে আদাবর থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।স্কুলে পড়াতে চাই, ছোট বাচ্চাদের নতুন নতুন বিষয়ে জানাব।’—ঝলমলে আনন্দ নিয়ে বলে ওঠেন শায়লা।কিন্তু তাঁর গায়ে লাল শাড়ি ও গয়নার ঠমক দেখে একটু চিন্তা হয়, ‘নতুন বিয়ে নাকি?’ প্রশ্ন করতেই সম্মতিসূচক মাথা দোলান শায়লা আক্তার।সংসার সামলে স্কুলে পড়াবেন কীভাবে?—প্রশ্ন করতেই মলিন হয়ে যায় একটু আগের উজ্জ্বল চেহারা। পাশে বসা শায়লার প্রতিবেশী তাঁকে সাহস দিয়ে বলেন, ‘ছোটকালের বিয়ে থেইকা যখন বাঁচছস, এইটাও করতে পারবি। আল্লাহ তোরে সাহায্য করব।’ছোটকালে বিয়ে? জানতে চাইলে শায়লা ধীরে ধীরে খুলে বলেন পাঁচ বছর আগের ঘটনার কথা।‘আজও সেই সন্ধ্যার কথা ভাবলে ভয় লাগে। কাল আমার বিয়ে! কী হবে? অচেনা এক বাড়িতে গিয়ে কীভাবে থাকব? ওরা কেমন হবে? আলেয়া বুবুকে জামাই যেভাবে মারে, আমারেও যদি মারে। ওই বাড়ির লোকজন কি আমাকে স্কুলে যেতে দেবে?—এ রকম হাজারো ভাবনা আর ভয়। কিন্তু ওপরওয়ালার রহমতে সে যাত্রায় বেঁচে গেছি।’কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামের শায়লা আক্তার (২০)। জানা গেল, পাঁচ বছর আগে তাঁর বাল্যবিবাহ প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। খালাতো ভাই মো. আজিমের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় বেঁচে যান শায়লা।প্রতিবেদকের কাছে নিজের সেই ভয়ার্ত স্মৃতির কথা বলতে বলতে বারবার কেঁপে উঠছিলেন শায়লা। তিনি জানান, অষ্টম শ্রেণীতে উঠতেই বাবা-মা তাঁর বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বর পাশের গ্রামের, পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। অবশ্য এ জন্য মা-বাবাকে দোষ দেন না শায়লা। পরিস্থিতির শিকার হয়ে শায়লার বাবা আবু তালেব ও মা সালেহা খাতুন এমন একটি সিদ্ধান্ত নেন।সে সময়কার পরিস্থিতি বর্ণনা করে শায়লা জানান, বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে যুক্ত ছিল অন্য এলাকার কয়েকজন বখাটে ছেলে। তাদের অত্যাচারে শায়লার ঘরের বাইরে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা। স্কুলের বান্ধবীরা বাসায় এলে শায়লা কান্নায় ভেঙে পড়তেন। ছেলেগুলো কেন তাঁর বই কেড়ে নেয়, কেন তাঁকে দেখে বাজে ইঙ্গিত করে, বাজে বাজে কথা বলে—সব যেন শায়লার অপরাধ। এই মানসিক অপরাধবোধ তাঁকে কুরে কুরে খায়।এমন সময় পাশের গ্রামের এক পরিচিত খালা-খালু ওই বিয়ের সম্বন্ধ আনেন। বাবা-মা আগপাছ না ভেবেই শায়লাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যান।শায়লা বলেন, ‘ভাগ্যিস, আজিম ভাই আসছিলেন। তিনি হঠাৎ করেই আমাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। এদিকে আমাকে দেখে ছেলেপক্ষ পাকা কথা দিয়ে গেছে। কালকেই বিয়ে। আমি তো কাইন্দাই শেষ। আজিম ভাই সব শুনে ভীষণ রাগ করেন। বাবা-মাকে বোঝালেন। কিন্তু বাবা একদম খেপে গেলেন। আজিম ভাই তখন বাবাকে বললেন, “বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ। মেয়ের বাবা-মা, ছেলের বাবা-মা এবং ছেলে সবাইকে জেলে যেতে হবে আর সঙ্গে জরিমানাও গুনতে হবে।” বাবা তাতেও দমেন না। তিনি জেল খাটতেও রাজি। পরে মায়ের চাপাচাপিতে বাবা আজিম ভাইকে বখাটেদের অত্যাচারের কথা খুলে বলেন।‘যত দূর মনে পড়ে, আজিম ভাই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতেই গ্রামের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের বাসায় গিয়েছিলেন। তাঁদের পুরো ঘটনাটি জানান। তাঁরাও বখাটে ছেলেদের অভিভাবকদের ডেকে কথা বলেন। এরপর বাবা বিয়ে ভেঙে দেন। আমিও বাঁচলাম।’‘বখাটের অত্যাচার কি থেমেছিল?’—প্রশ্নের জবাবে শায়লা বলেন, না থামেনি। এ জন্যপ্রায় সময় মা বা অন্য কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে শায়লা চলাফেরা করতেন।এভাবে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হন শায়লা। প্রথম বছর নির্বিঘ্নে গেল। কিন্তু আবার শায়লার ওপর বিয়ের খড়্গ। এবারের দোষ সে ‘আইবুড়ি’ হয়ে যাচ্ছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের বিভিন্ন খোঁচা-মারা কথার অত্যাচারে ফের বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন শায়লার বাবা-মা। তিন মাস আগে শায়লার বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী মো. রমিজ ব্যবসায়ী। কুষ্টিয়া শহরে দোকান রয়েছে তাঁর।শায়লার শাশুড়ি এখনই নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চান। কিন্তু শায়লার ইচ্ছা এইচএসসি শেষ করে ডিগ্রিতে ভর্তি হবেন। পড়াশোনা শেষ করে স্কুলশিক্ষক হবেন। কিন্তু সংসার সামলে স্বপ্নের কতটুকু পূরণ করতে পারবেন, সে প্রশ্ন নিজেকেই করেন শায়লা।২০১৪ সালের এসএসসির প্রস্তুতি-৭বহুনির্বাচনি প্রশ্ন  অংশ-৭প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। আজ বাংলা ২য় পত্রের কিছু বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।পদাশ্রিত নির্দেশক৩. ‘নির্দেশক সর্বনাম’-এর সঙ্গে টা, টি যুক্ত হলে তা কী হয়?ক. উৎকৃষ্ট খ. নিকৃষ্ট গ. অস্পষ্ট ঘ. সুনির্দিষ্টসঠিক উত্তর: ঘ. সুনির্দিষ্ট৪. পদাশ্রিত নির্দেশকের অপর নাম কী?ক. পদাশ্রিত অব্যয় খ. পদান্বয়ী অব্যয়গ. সমুচ্চয়ী অব্যয় ঘ. অব্যয়সঠিক উত্তর: ক. পদাশ্রিত অব্যয়৫. পদাশ্রিত নির্দেশক সাধারণত পদের কোথায় বসে?ক. আগে খ. শেষে গ. মাঝে ঘ. প্রথমেসঠিক উত্তর: খ. শেষে।সমাস১. ‘সমাস’ শব্দের অর্থ কী?ক. সংক্ষেপণ খ. বিশ্লেষণগ. সংযোজন ঘ. সংকলনসঠিক উত্তর: ক. সংক্ষেপণ২. সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে এসেছে?ক. সংস্কৃত খ. আরবি গ. ফারসি ঘ. ইংরেজিসঠিক উত্তর: ক. সংস্কৃত৩. ব্যাসবাক্যের অপর নাম কী?ক. যৌগিক বাক্য খ. বিগ্রহবাক্যগ. সরল বাক্য ঘ. জটিল বাক্যসঠিক উত্তর: খ. বিগ্রহবাক্য৪. বিশেষণের সঙ্গে বিশেষ্যের যে সমাস হয়, তার নাম কী?ক. কর্মধারয় খ. দ্বন্দ্ব গ. তৎপুরুষ ঘ. বহুব্রীহিসঠিক উত্তর: ক. কর্মধারয়৫. কর্মধারয় সমাসে কোন পদ প্রধান?ক. পরপদ খ. অন্যপদগ. পূর্বপদ ঘ. সমস্তপদসঠিক উত্তর: ক. পরপদ৬. সমাস নিষ্পন্ন পদটির নাম কী?ক. ব্যাসবাক্য খ. সমস্তপদগ. বিগ্রহপদ ঘ. পূর্বপদসঠিক উত্তর: খ. সমস্তপদ৭. যে যে পদে সমাস হয়, তাদের প্রতিটি—ক. সমাস বাক্য খ. সমস্তপদগ. পূর্বপদ ঘ. সমস্যমান পদসঠিক উত্তর: ঘ. সমস্যমান পদ৮. দ্বিগু সমাস নিষ্পন্ন পদটি কোন পদ হয়?ক. বিশেষ্য খ. সর্বনাম গ. অব্যয় ঘ. বিশেষণসঠিক উত্তর: ক. বিশেষ্য৯. কোনটিতে পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়?ক. অব্যয়ীভাব সমাস খ. কর্মধারয় সমাসগ. দ্বিগু সমাস ঘ. বহুব্রীহি সমাসসঠিক উত্তর: ক. অব্যয়ীভাব সমাস১০. পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎপ্রত্যয় যুক্ত হয়ে কোন সমাস গঠিত হয়?ক. উপপদ খ. পরপদ গ. মধ্যপদ ঘ. দ্বন্দ্বসঠিক উত্তর: ক. উপপদ১১. ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে কোন বহুব্রীহি সমাস হয়?ক. ব্যতিহার খ. উপসিতগ. ব্যাধিকরণ ঘ. সমাধিকরণসঠিক উত্তর: ক. ব্যতিহার১২. অলুক দ্বন্দ্ব সমাস কোনটি?ক. দুুধে-ভাতে খ. বউ-ভাতগ. হাত-পা ঘ. কাঁচামিঠাসঠিক উত্তর: ক. দুুধে-ভাতে১৩. উপমিত কর্মধারয় সমাস কোনটি?ক. মুখচন্দ্র খ. শুভ্র গ. মহারাজ ঘ. মহাকীর্তিসঠিক উত্তর: ক. মুখচন্দ্র১৪. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস কোনটি?ক. চিরসুখী খ. জ্ঞানশূন্যগ. নরাধম ঘ. মহামানবসঠিক উত্তর: ক. চিরসুখী।শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালবিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ঢাকা অভিমুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ করতে দেওয়া হবে না বলে সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের লোকজনকে কোথাও জড়ো হতে দেবে না সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে অন্তত এক সপ্তাহ সরকার দেশে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ হতে দিতে চায় না। মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে পেট্রলবোমায় পুলিশের সদস্য হত্যা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলীয় জোটের ১৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পেছনেও ওই একই উদ্দেশ্য।নাশকতা ও ককটেল-পেট্রলবোমার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সরকারের মুখে সব সময় শোনা যাচ্ছে। এবার ২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ ঠেকাতেও কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর বাকি রেখেছে কি? যেকোনো নাশকতায় দু-চারজনের নাম দিয়ে শত শত বা হাজার হাজার ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে মারা যাচ্ছেন। আর কত কঠোর হবে সরকার?অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাঁদের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে পরিণতি কঠিন ও করুণ হবে বলেও তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।প্রশ্ন হলো, বিরোধী দল যেভাবে বাসে পেট্রলবোমা মেরে, ককটেল ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করছে, অবরোধের নামে রেলের ফিশপ্লেট খুলে যাত্রী হত্যা, গাছ কেটে ‘জলবায়ু-অপরাধ’ সাধন, এমনকি বোমা মেরে গরু পুড়িয়ে মারার মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে চলেছে, এরপর আর কত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে চায় ওরা? বিরোধী দল কি সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে?আর কত হত্যা, রেললাইন উপড়ে ফেলা, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, বাসে পেট্রলবোমা মারার পর বিরোধী দল বলবে, যথেষ্ট কঠোর পরিণতি ডেকে আনা হয়েছে?  আর সরকারই বা আর কত জেল-জুলুম-নির্বিচার গুলি চালিয়ে বলবে, তারা যথেষ্ট কঠোর হয়েছে?স্বাভাবিক বিচার-বিবেচনা থাকলে কোনো দায়িত্বশীল দল রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বা কোনো সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচি দমনের নামে এত নির্মম আচরণ করতে পারে না। রাজনীতি মানুষের জন্যই। তাই রাজনীতির জন্য যেন একজন নাগরিকের প্রাণও বিপন্ন না হয়, তা দেখা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। যাঁরা সরকারের আছেন, তাঁদের দায়িত্ব আরও বেশি। কারণ, সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার জন্যই তাঁদের জনগণ নির্বাচিত করেছে।২৯ ডিসেম্বর ঘিরে দেশে সৃষ্ট অনিশ্চিত পরিস্থিতির অবসান হোক। সরকার ও বিরোধী পক্ষ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করুক। মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুই ব্যক্তির সন্ধান মিলছে না। গত সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ভেংড়ী গ্রামের সেরাজুল ইসলাম মাস্টার ও কয়য়া ইউনিয়নের হোরপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলে বলা হয়। একই সঙ্গে ছাড়িয়ে নিতে হলে ৫০ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বুধবার পুলিশ লুৎফর রহমান নামের একজনকে আটক করেছে।সেরাজুল মাস্টারের ভাতিজা রুহুল আমিন জানান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ফিরে না আসায় রাত আটটার দিকে তিনি তাঁর চাচার মুঠোফোনে ফোন করেন। এ সময় অন্য একজন ফোনটি ধরে বলেন, ‘সে আমাদের কাছে আছে। ৫০ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ একইভাবে জয়নাল আবেদীনের ছেলের কাছেও ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন জানান, গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তিনি সেরাজুলকে ফোন করলে অন্য একজন ফোন ধরে বলেন, ‘মাস্টার সাহেব আমাদের কাছে আছে, চা খাচ্ছে; চা খাওয়ার পর তিনি বাড়িতে যাবেন।’ তিনি আরও জানান, সেরাজুল ও জয়নাল সোমবার সকালে বাড়ি থেকে উল্লাপাড়া বাজারে তাঁর টিনের দোকানে যান। সেখান থেকে যান কয়রাবাজারে। সেখানে জয়নাল আবেদীনকে রেখে সেরাজুল লাহিড়ী মোহনপুরে একটি কাজে যান। দুপুরের দিকে কয়রাবাজারে ফিরে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে সেরাজুলের দেখা হয়। এর পর থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সেরাজুল ইসলামের ভাতিজা রুহুল আমিন মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে লুৎফর রহমান নামের একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।গৃহযুদ্ধপীড়িত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে একটি মসজিদের বাইরে শুক্রবার রক্তক্ষয়ী গাড়িবোমা হামলা হয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।সুক ওয়াদি বারাদা নামের এক শহরে চালানো এ হামলার ঘটনায় সরকার ও বিদ্রোহীরা পরস্পরকে দুষছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একই দিন দামেস্কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরীয় মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সুক ওয়াদি বারাদা শহরের ওসামা বিন জাইদ মসজিদের প্রবেশমুখে থাকা দুটি গাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।সরকারনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সানার এক খবরে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসীরা’ এ হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের বরাবরই ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে বাশারের সরকার।বিদ্রোহীরা বলছে, বাশারের বাহিনীই ওই মসজিদের প্রবেশমুখে গাড়ি দুটি থামিয়ে রেখেছিল। জাতিসংঘের উদ্বেগ: জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান ভালেরি অ্যামোস সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আটকে পড়া অন্তত ২৫ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, আটকে পড়াদের জরুরি ত্রাণ সরবরাহে সহযোগিতা দিতে বাশার সরকারের ওপর ‘জোর চাপ’ প্রয়োগ করতে হবে।নুসরা ফ্রন্টের প্রধান জীবিত: শুক্রবার রাতে সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, উপকূলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে এক সংঘর্ষে জিহাদি সংগঠন আল-নুসরা ফ্রন্টের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানি নিহত হয়েছেন। তবে গতকাল নুসরা ফ্রন্টের বিবৃতিতে এ খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। এএফপি ও বিবিসি।শূন্যস্থান পূরণ  অংশ-৭প্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নং প্রশ্নটি থাকবে শূন্যস্থান পূরণের ওপর।অধ্যায়-৪১৬. আয়াতের শেষে — চিহ্ন থাকে।উত্তর: ওয়াকফ তাম১৭. — চিহ্নিত স্থানে বিরতি উত্তম।উত্তর: ওয়াকফ মুতলাক১৮. কোরআন মজিদ সহিহভাবে তেলাওয়াতের একটি নিয়ম হলো —। উত্তর: গুন্নাহ১৯. — ব্যবহার করে উচ্চারণ করাকে বলে গুন্নাহ।উত্তর: নাক২০. ২৯টি আরবি হরফের মধ্যে গুন্নাহর হরফ —।উত্তর: দুটি২১. গুন্নাহর হরফ হলো —। উত্তর: মিম ও নুন২২. গুন্নাহ করা —। উত্তর: ওয়াজিব২৩. গুন্নাহর স্থান কমপক্ষে — পরিমাণ লম্বা করতে হয়। উত্তর: এক আলিফ২৪. আমরা তেলাওয়াতের সময় যথাস্থানে — করব। উত্তর: গুন্নাহ২৫. সূরা আল-ফিল হলো — সূরা। উত্তর: মক্কী২৬. সূরা আল-কুরাইশের আয়াত সংখ্যা —।উত্তর: চারটিঅধ্যায়-৫১. নবী-রাসূল ছিলেন মানুষের মহান ও —।উত্তর: আদর্শ শিক্ষক২. নবী-রাসূলগণ ছিলেন — অধিকারী।উত্তর: উত্তম চরিত্রের৩. মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন — বংশে। উত্তর: কুরাইশ৪. তখন আরবের বাজারে পণ্যের মতো — বেচাকেনা হতো।উত্তর: মানুষ৫. আরবের সে সময়কে বলা হয় —।উত্তর: মূর্খতার যুগ৬. কিশোর মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন —। উত্তর: কর্মঠ৭. আবু তালিবের — ভালো ছিল না।উত্তর: আর্থিক অবস্থা৮. হারবুল ফিজার যুদ্ধ চলে একটানা —।উত্তর: পাঁচ বছর৯. মহানবী (সা.) উৎসাহী যুবক বন্ধুদের নিয়ে — নামে শান্তি সংঘ গঠন করেন।উত্তর: হিলফুল ফুজুল১০. মহানবী (সা.) নির্জন — পর্বতের গুহায় বসে ধ্যান করতেন। উত্তর: হেরা১১. মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য —। উত্তর: আদর্শ১২. প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন —।উত্তর: হজরত খাদিজা (রা.)১৩. হিজরত শব্দের অর্থ —। উত্তর: দেশ ত্যাগ১৪. মহানবী (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করেন —।উত্তর: মদীনায়১৫। আস সাদিক মানে—। উত্তর: সত্যবাদী১৬। পুরোনো কাবাঘর সংস্কারের কাজ হাতে নিল—। উত্তর: কুরাইশরা।১৭। পবিত্র — পাথর স্থাপন নিয়ে বিবাদ লেগে গেল। উত্তর: হাজারে আসওয়াদ।১৮। হজরত মুহাম্মদ (সা.) খাদিজার ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়ে — যান।উত্তর: সিরিয়া।শেষ অংশ ছাপা হবে আগামীকালসহজাত প্রবৃত্তির কারণেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে চায়, অপরের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষের প্রকৃতিগত প্রেমবোধই তাকে এ আচরণে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে সে অন্যের কোনো উপকারে আসতে পারলে চেতনে-অবচেতনে অকৃত্রিম প্রশান্তি লাভ করে। তবে সামাজিক জীবন-যাপনের তাগিদে বা নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে বিপরীতমুখী আচরণও করে। নিজেকে ক্ষমতাবান হিসেবে প্রকাশ করার লিপ্সায় মত্ত হয়। তখন উপকারের রূপ বদলে গিয়ে তা স্বার্থসিদ্ধির পন্থায় পরিণত হয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন জাতি এবং গোত্রে বিভক্ত করেছেন, যাতে তারা পরস্পরকে চিনতে পারে। এ জন্য নয় যে তারা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঝগড়া-বিবাদ করবে। মানুষের মর্যাদা তার আদর্শে ও মানবিক গুণাবলির নিরিখে বিবেচিত হবে। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি; যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো।’ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৩)ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও প্রতিযোগিতার যুগে মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বভাবে প্রত্যেক মানুষ বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যান্ত্রিকতার যুগে লোকেরা ইসলামের মর্মবাণী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ব্যস্ত নগরের মানুষেরা কেউ যেন কারও নয়, কেউ কাউকে চেনে না, সালাম বিনিময়ের প্রয়োজন মনে করে না। পারস্পরিক শান্তি কামনা তো দূরের কথা, কারও বিপদ-আপদেও কেউ ফিরে তাকায় না, হায় রে মানুষ! আমরা যে সমাজে বাস করি, সে সমাজে মানুষে মানুষে বিশ্বাস, আস্থা, প্রেম-প্রীতি, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বুঝিবা মেঘলোকে উধাও হয়ে গেছে! সবাই যেন ভুলতে বসেছে, মানুষ মানুষের জন্য! মানুষ মানুষেরই স্বজন! মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর জাতীয় ঐক্য-মৈত্রীর সেতুবন্ধ গড়ার প্রত্যাশায় যুগ যুগ ধরে শুভবুদ্ধিসম্পন্নদের অব্যাহত প্রচেষ্টার কাঙ্ক্ষিত সুফল আজও মেলেনি। অথচ মুসলমানদের পারস্পরিক সদয় ব্যবহার ও সহানুভূতিশীলতার দিকনির্দেশনা দিয়ে নবী করিম (সা.) যথার্থই বলেছেন, ‘আল্লাহ তার প্রতি সদয় হন না, যে মানুষের প্রতি সদয় হয় না।’ (বুখারি)সভ্যতার বিকশিত সময় ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগেও মনুষ্য সমাজে সহিংসতা, রক্তপাত, হানাহানি, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসাপরায়ণতা আর উন্মাদনার যে চিত্র প্রায় নিত্য ফুটে উঠছে, এতে মানবতা আজ বিপন্ন। পৃথিবীতে মানুষের যা কিছু উদ্যোগ-উদ্যম, সবকিছুই শান্তিতে বেঁচে থাকার লক্ষ্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। পৃথিবী সুখময় না দুঃখময় এ নিয়ে তাত্ত্বিক বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু এ কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত যে বিশ্বে নিরাপদে বেঁচে থাকার সাধনাতেই মানুষ নিজেকে ব্যাপৃত রাখে। জানমালের নিরাপত্তাসহকারে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা মানুষের মধ্যে থাকাটাই স্বাভাবিক। অথচ শান্তির বাতাবরণ বিনষ্ট করে দেশের প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে অজানা আতঙ্ক ও অশান্তির দাবানল। ইতিমধ্যে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এবং তারা যেকোনো মূল্যে দলমতের উগ্রতা, সন্ত্রাস, হানাহানি ও রাজনৈতিক হিংস্রতার শিগগিরই অবসান চাচ্ছে।প্রতিটি ধর্মই মানুষকে সত্য-সুন্দর-কল্যাণ ও শান্তির পথ প্রদর্শন করে, উন্নত জীবনের দিগ্দর্শন দেয় এবং পরমতসহিষ্ণুতার ওপর জোর দেয়। সুতরাং জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দলমতের বিরোধ-বিবাদের, মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাহলে কেন সৃষ্টির সেরা মানুষ হয়ে মানুষেরই অনিষ্টসাধন? অহিংসা, শান্তি, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও ঐক্য-মৈত্রীর বন্ধনের জন্য চাই মানবপ্রেম। ক্ষমতার লিপ্সা ও ভোগবাদী চিন্তাধারার অপপ্রয়োগের ফলে দেশময় হানাহানি, অশান্তি, প্রভুত্ব বিস্তারের খেলা, পেট্রলবোমা ও নরহত্যার প্রতিযোগিতায় মানবতা চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত। হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ-বিবাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও হানাহানির পরিবর্তে যে মানুষকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে, সে-ই ভেতরে-বাইরে বড় মাপের মানুষ হতে পারে এবং আল্লাহ তার ওপর রহমত বর্ষণ করেন। পবিত্র কোরআনে ভূপৃষ্ঠে মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ করো অথবা গোপন রাখো, আল্লাহ তার হিসাব তোমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৪)ক্ষমতার অহংকার, আমিত্ব, ধন-সম্পদের মোহে আমরা আজ অন্ধ। গরিব-দুঃখী মানুষের সাহায্য তো দূরের কথা; বরং উল্টো জুলুম, নির্যাতন করতে দ্বিধাবোধ করছি না। সামান্য স্বার্থের জন্য অন্যের বড় ধরনের ক্ষতি করেও সুখ পাই। পার্থিব বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্টের প্রকৃত কারণ মানুষের কুকর্ম, অন্যায়, জুলুম, দুর্নীতি ও মানবতাবিবর্জিত কাজকর্ম; যা থেকে মানুষকে সম্পূর্ণভাবে কল্যাণের পথে ফিরে আসতে হবে। তাই নবী করিম (সা.) সতর্কবাণী ঘোষণা করেছেন, ‘নিজের কিংবা অন্যের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না।’ (দারাকুতনি)শান্তির পূর্বশর্ত সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও ঐক্য-মৈত্রী মানবতার সৌন্দর্য। অথচ শান্তি শব্দটি যত সহজে উচ্চারণ করা যায়, বাস্তবে এর প্রতিষ্ঠা শত-সহস্র গুণ কঠিন। কেননা শান্তি রক্ষায় মানুষকে জাগতিক এমন সব বিষয় থেকে বিরত থাকতে হয়, যা তার পক্ষে সহজসাধ্য নয়। মানুষ জন্মগতভাবে ক্ষমতালোভী, কর্তৃত্বপ্রয়াসী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রবৃত্তির বিধায় চাইলেই সে এসব মন্দ স্বভাবের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না। পার্থিব লোভ-লালসা, সম্পদের মোহ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রভৃতির হাতছানির কাছে মানবচিত্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব থেকে নিজেকে বিরত রাখতে যে সংযম, ধৈর্য, বিনয় ও কৃচ্ছ্রসাধনের প্রয়োজন পড়ে, তা অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই অত্যন্ত দুরূহ বলে বিবেচিত হয়। তাই শান্তিকামী মানুষে মানুষে সম্পর্ক যত উদার, সহনশীল, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতিময় হবে এবং জাতীয় ঐক্য ও মৈত্রীর বন্ধনে শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় উপনীত হওয়া যাবে, সমাজে ততটাই সুখ-শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করবে।ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, গবেষক ও কলাম লেখক।
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের মা রোকেয়া আকবর (৭৫) গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি পাঁচ ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ মাগরিব কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নগরের বিষ্ণুপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লারাজধানীর কমলাপুর বস্তির বাসিন্দা কুলসুম আক্তারের বয়স ১৬ বছর। এই বয়সেই সে দুটি সন্তানের মা। এদের মধ্যে বড়টি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং ছোটটি চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। কুলসুম নিজেও ভুগছে অপুষ্টিতে। রোগা লিকলিকে শরীর নিয়ে দুটি শিশুর কোনোটিকেই ঠিকমতো সামলাতে পারছে না সে। কথা হয় কুলসুমের সঙ্গে। সে জানায়, ১২ বছর বয়সে তার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বছর না ঘুরতেই বড় সন্তানের জন্ম। এর এক বছর পরই দ্বিতীয় সন্তান হয়। বয়স কম হওয়ায় সে নিজেও বুঝতে পারে না কীভাবে সে বাচ্চাদের লালন-পালন করবে। তার ওপর সে নিজেই অসুস্থ। কুলসুমের ভাষায়, ‘মাথাটা সব সময় ঘুরে। ডাক্তরের কাছে গেছিলাম। তাইনে কইছেন শইলে রক্ত নাই। ভালা ভালা খাওয়া খাইতে। গরিব মানুষ ভালা খাওয়া পাইমু কই? কিছুই ভালা লাগে না। বাইচ্চা ঠিকমতো দেখবার পারি না, হের লাইগ্যা স্বামী আমারে মাইরধইর করে।’কুলসুমের মতো এ দেশে বহু কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি-২০১১ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি তিনজনে দুজন মেয়েরই বাল্যবিবাহ হয়। কিন্তু কন্যাশিশুরা এ বয়সে যৌনমিলন কিংবা সংসার করার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয় না। বরং অল্প বয়সে বিয়ে তাদের চাপে ফেলে দেয়, সংসারে শুরু হয় নানা সমস্যা, শিশুটি হারিয়ে ফেলে তার স্বাভাবিক জীবন।ইউনিসেফের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়সের আগে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ বছরেই অন্তঃসত্ত্বা কিংবা মা হয় তিন-চতুর্থাংশ কন্যাশিশু। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, ২০ বছর বা এর বেশি বয়সের নারীদের তুলনায় ১৮ বছরের নিচের প্রসূতিদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি এবং মায়েরা ৫০ শতাংশ মৃত শিশুর জন্ম দেয়।অল্প বয়সে বিয়ের ফলে একটি শিশু তার সোনালি শৈশব, দুরন্ত কৈশোরের দেখা পায় না। অনেক সময় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়, নিজের মনের কোণে উঁকি দেওয়া স্বপ্ন পূরণ হয় না। এমনকি তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকে না এবং অর্থনৈতিকভাবেও পিছিয়ে পড়ে।বাল্যবিবাহের শিকার একটি কন্যাশিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে প্রথমেই যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা হলো শারীরিক সমস্যা। কোনো কন্যাশিশু যদি গর্ভধারণ করে, তাহলে মা ও শিশু উভয়েরই মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া এসব মা ও শিশু অপুষ্টিতে ভোগে এবং কম ওজনের সন্তান প্রসব করার হার এদের তুলনামূলকভাবে বেশি।এ বিষয়ে কথা হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক গুলশান আরার সঙ্গে। তিনি বলেন, অল্প বয়সে সন্তান ধারণ করলে মা ও সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। যেহেতু এ সময় কিশোরীদের শরীর পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় না, ফলে তা সন্তান ধারণের জন্যও উপযুক্ত হয় না। এর ফলে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর নানা জটিলতা দেখা যায়। গর্ভপাত, গর্ভজনিত খিঁচুনি, রক্তশূন্যতা, ফিস্টুলা, রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা, বাধাগ্রস্ত প্রসব ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়।গুলশান আরা আরও বলেন, এসব মা ও শিশু উভয়েরই অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগার হার বেশি। তা ছাড়া এসব মা শিশু পরিচর্যার মতো যথেষ্ট পরিণত হয় না, ফলস্বরূপ তাদের বাচ্চাদের অসুখবিসুখ লেগেই থাকে। কম বয়সী মায়েরা তুলনামূলক কম ওজনের সন্তান জন্ম দেয়। শিশুটির খর্বাকায়, শারীরিক বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভয়ের কথা, বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েরা খুব কম বয়সে যৌন সম্পর্ক শুরু করে, যার একটি ভয়াবহ ফল জরায়ুমুখের ক্যানসার। যৌনাঙ্গের ভেতরের কোষ নাজুক অবস্থায় থাকে বলে স্বামীর সঙ্গে দৈহিকভাবে মিলিত হওয়ার কারণে সংক্রমণ হতে থাকে এবং একসময় জরায়ু বাইরে চলে আসে।অল্প বয়সে বিয়ের ফলে কন্যাশিশুটি শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই কিশোরীরা অধিক মাত্রায় নির্যাতনের শিকার হয় এবং মানসিক সমস্যায় বেশি ভোগে। এ ছাড়া তাদের সামাজিক অবস্থানও থাকে নড়বড়ে। এ বিষয়ে জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, কম বয়সে বিয়ে হলে শুরুতেই যে সমস্যাটি হয়, তা হলো যৌন মিলনের ভয়। এ জন্য বেশির ভাগ সময় তারা স্বামী থেকে দূরে দূরে থাকে বা স্বামীকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এর প্রকৃত কারণটি না জানায় স্বামী হয়তো ভুল বোঝেন, এ থেকে নানা পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়েও অনেক ক্ষেত্রে এসব নারী স্বাভাবিক যৌন আচরণ করতে পারে না। তাদের মধ্যে পুরুষদের এড়িয়ে চলার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। আর তাদের বিষণ্নতার হার খুব বেশি।জাহাঙ্গীর হোসাইন আরও বলেন, পরিবার বা সংসার পরিচালনায় এরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। মেজাজ খিটখিটে হয়, অনেক সময় কথা বলা বন্ধ করে দেয় আবার কখনো চিৎকার-চেঁচামেচি করে। এ ছাড়া কম বয়সী মেয়েদের ওপর পারিবারিক নির্যাতনের হার বেশি। এককথায়, বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের কখনো সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকাশ হয় না।বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা এবং এর জন্য অভিভাবকের অসচেতনতাকে দায়ী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নেহাল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এসব পরিবারে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকে। এ ছাড়া এতে বহুবিবাহের হার বৃদ্ধি পায়।সঠিক উত্তর লেখ অংশ-১০প্রিয় শিক্ষার্থী, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’ দেওয়া হলো।অধ্যায়-৪১। কার আরেকটি নাম পার্থ?ক. ভীমের খ. অর্জুনের গ. নকুলের ঘ. সহদেবেরউত্তর: খ. অর্জুনের।২। সাধনার পথ কয়টি?ক. ১টি খ. ২টি গ. ৫টি ঘ. বহু। উত্তর: ঘ. বহু।৩। ‘যত মত, তত পথ’— কথাটি কে বলেছেন?ক. বিবেকানন্দ খ. রামকৃষ্ণগ. সারদা দেবী ঘ. রানি রাসমণিউত্তর: খ. রামকৃষ্ণ।৪। বিভিন্ন ধর্মের মত ও পথের মধ্যে কী রয়েছে?ক. পার্থক্য খ. মিল গ. সৌন্দর্য ঘ. বিষয়বস্তুউত্তর: ক. পার্থক্য।৫। হিন্দুরা সৃষ্টিকর্তাকে কী বলে?ক. গড খ. যিশু গ. ঈশ্বর ঘ. আল্লাহউত্তর: গ. ঈশ্বর।৬। খ্রিষ্টানরা উপাসনালয়কে কী বলে?ক. মন্দির খ. মসজিদ গ. গির্জা ঘ. প্যাগোডাউত্তর: গ. গির্জা।৭। ধর্মীয় সাম্য বজায় থাকলে তার মধ্য দিয়ে কী প্রতিষ্ঠিত হয়?ক. সম্পর্ক খ. ভালোবাসা গ. সম্প্রীতি ঘ. সৌহার্দ্যউত্তর: গ. সম্প্রীতি।অধ্যায়-৫১। শ্রীকৃষ্ণ কার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করেন?ক. অর্জুন খ. ইন্দ্র গ. নকুল ঘ. নারদউত্তর: ঘ. নারদ।২। দ্বাপর যুগে অত্যাচারী হয়ে উঠেছিলেন কে?ক. রাজা শিবি খ. রাজা রন্তিবেদগ. রাজা শিশুপাল ঘ. রাজা হরিশচন্দ্রউত্তর: গ. রাজা শিশুপাল।৩। নারদকে বলা হয়—ক. দেবর্ষি খ. শ্রুতর্ষি গ. ব্রহ্মর্ষি ঘ. মহর্ষিউত্তর: ক. দেবর্ষি।৪। শিকাগোতে পরমতসহিষ্ণুতা দেখিয়েছিলেন—ক. স্বামী দেবানন্দ খ. স্বামী প্রণবানন্দগ. স্বামী বেদানন্দ ঘ. স্বামী বিবেকানন্দউত্তর: ঘ. স্বামী বিবেকানন্দ।৫। শিষ্টাচারের দ্বারা কী জয় করা যায়?ক. রাজ্য খ. ধন-সম্পদ গ. সম্মান ঘ. মানুষের মনউত্তর: ঘ. মানুষের মন।৬। কারও প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন মানে—ক. নিজের সম্মান বাড়ানোখ. ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনগ. অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি ঘ. সুনাম বাড়ানোউত্তর: খ. ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।৭। দ্বাপর যুগের অবতার বলা হয় কাকে?ক. শ্রীচৈতন্য খ. শ্রীরাম গ. শ্রীকৃষ্ণ ঘ. বলরামউত্তর: গ. শ্রীকৃষ্ণ।৮। দেবরাজ ইন্দ্র দেবর্ষি নারদকে পৃথিবীতে পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?ক. রাজাদের রক্ষা খ. সাধুদের পরিত্রাণগ. পৃথিবীর শান্তি রক্ষা ঘ. পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করাউত্তর: গ. পৃথিবীর শান্তি রক্ষা।অধ্যায়-৬১। বিশ্বামিত্র কীভাবে রাজর্ষি হয়েছিলেন?ক. মন্ত্রের জোরে খ. বশিষ্ঠের কৃপায়গ. সাধনা করে ঘ. ঋষিদের কৃপায়উত্তর: গ. সাধনা করে২। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছে কী চেয়েছিলেন?ক. ধনরত্ব খ. টাকা-পয়সা গ. কামধেনু ঘ. সম্পত্তিউত্তর: গ. কামধেনু৩। বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্রকে কী আশীর্বাদ করেছিলেন?ক. হিংসা জাগ্রত হওয়ার খ. রাজর্ষি হওয়ারগ. ব্রহ্মর্ষি হওয়ার ঘ. শ্রুতর্ষি হওয়ারউত্তর: গ. ব্রহ্মর্ষি হওয়ার৪। বশিষ্ঠ কোন শ্রেণীর ঋষি ছিলেন?ক. রাজর্ষি খ. শ্রুতর্ষি গ. ব্রহ্মর্ষি ঘ. মহর্ষিউত্তর: গ. ব্রহ্মর্ষি৫। বিশ্বামিত্র জাতিতে কী ছিলেন?ক. ক্ষত্রিয় খ. ব্রাহ্মণ গ. বৈশ্য ঘ. শূদ্রউত্তর: ক. ক্ষত্রিয়৬। বনে বাস করত যে রাক্ষস, তার নাম কী ছিল?ক. তাড়কা খ. পূতনা গ. অঘ ঘ. বকউত্তর: ঘ. বক।সহকারী শিক্ষকগবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকাশেষ অংশ ছাপা হবে আগামীকালরাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানা অবরোধে পোলট্রিশিল্পকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাবি আদায়ে তাঁরা বেছে নিয়েছেন অভিনব পন্থা। মানববন্ধন করেছেন, আবার একই সঙ্গে মুরগির ২৫ হাজার বাচ্চা ও পাঁচ হাজার ডিম বিলিয়ে দিয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ পোলট্রি সমন্বয় কমিটি। কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর খামারিরা আশপাশের লোকজন ও পথচারীদের হাতে বিনা মূল্যে মুরগির বাচ্চা ও ডিম তুলে দেন।ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইচ্ছা করলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যায়। কিন্তু মুরগির ডিম পাড়া বন্ধ করা যায় না।’ এ কারণে উৎপাদন খরচ থেকেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশে প্রতি সপ্তাহে ব্রয়লায় মুরগির প্রায় ১৫ হাজার টন মাংস ও তিন কোটি ১৫ লাখ ডিম অবিক্রীত থাকায় তা নষ্ট হচ্ছে।’
দুই দেশের দুই অসমবয়সী কোচ। দুজনকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিল একটা দুঃসংবাদ। বরখাস্ত হলেন গ্যালাতাসারাইয়ের কোচ ফাতিহ তেরিম ও পালের্মোর কোচ জেনারো গাত্তুসো। দুজনের চাকরিও গেছে একই কারণে—দলের বাজে পারফরম্যান্স। রয়টার্স।আ জ কে র খে লাপ্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগমোহামেডান-শেখ জামাল (মিরপুর)ব্রাদার্স-খেলাঘর (ফতুল্লা)আবাহনী-কলাবাগান (বিকেএসপি) ম্যাচ শুরু সকাল ৯টায়বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের নবম সম্মেলনে কৃষি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) দীর্ঘদিনের দাবি শিল্পপণ্যে শতভাগ কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত বাজার-সুবিধা যেটুকু আটকে আছে, তারও নিষ্পত্তি হবে না।এই অবস্থায় এলডিসিগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ২০০৫ সালের হংকংয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ সম্মেলনের পর থেকে নানা কারণে এলডিসিগুলোর মধ্যে একতা ভেঙে যাওয়ায় বালি সম্মেলনে তা ফিরিয়ে আনা বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।ঢাকায় গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত আসন্ন ডব্লিউটিওর সম্মেলনে এলডিসিগুলোর প্রাপ্তিবিষয়ক দিনব্যাপী এক সম্মেলনের আলোচনায় এ মতামতগুলো উঠে আসে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আগামী ৩-৬ ডিসেম্বর ডব্লিউটিওর সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।ডব্লিউটিওর দোহা আলোচনার অন্যতম বিরোধের জায়গা কৃষি নিয়ে আলোচনায় বক্তারা অবশ্য বলেন যে কৃষি আলোচনার প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে।বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে কৃষির ওপর। কাজেই কৃষির বাণিজ্য আলোচনা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, ছয় বছর আগে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপন করলে উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশ এমনকি প্রতিবেশী ভারত এর বিরোধিতা করেছিল। অথচ এখন খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, যা ডব্লিউটিওতে উঠে এসেছে।শিল্পপণ্যে কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত বাজার-সুবিধাবিষয়ক কর্ম-অধিবেশনে বক্তারা বলেন, এই দাবিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ এককভাবে সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছে এবং বাংলাদেশের জন্যই এই বিষয়টি এখনো আলোচনায় থাকছে।ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের কিম্বারলি অ্যান বলেন, কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত বাজার-সুবিধার বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা করা হতাশাজনক। মূলত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ গুটিকয়েক এলডিসিকে শতভাগ বাজার-সুবিধা না দেওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোস্তফা আবিদ খান বলেন, হংকং ঘোষণা অনুসারে উন্নত দেশগুলো প্রকৃতপক্ষে শতভাগ বাজার-সুবিধা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সমস্যা থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ পণ্যে এই সুবিধা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। দোহা আলোচনা শেষ হয়নি—এই যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শতভাগ সুবিধা দিচ্ছে না।বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ বলেন, বাজার-সুবিধা নিয়ে আর দর-কষাকষির কোনো সুযোগ নেই। কেননা, এটি প্রতিশ্রুতি। এখন এটি প্রয়োগ করা দরকার। আর বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব উন্নত দেশ শতভাগ বাজার-সুবিধা দিয়ে দিয়েছে।সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বালি সম্মেলনে এলডিসিগুলোর প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো শতভাগ বাজার-সুবিধা পূরণ করতে যে ৩ শতাংশ পণ্য বাইরে আছে, সেগুলোও বাজার-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা।সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। কার্য অধিবেশনগুলোর সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। আর সেবা খাত বিষয় কর্ম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ।চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতা। আজ এসএ টিভিতে প্রচারিত হবে তাঁর অভিনীত কাম টু দ্য পয়েন্ট ধারাবাহিকটি।‘কাম টু দ্য পয়েন্ট’...মানিক মানবিকের এই ধারাবাহিকের গল্প এক পরিবারে চারজন তরুণীকে নিয়ে। তাদের আবার চারজন প্রেমিক আছে। চারজনের একজন হলাম আমি। এই চার প্রেমিক প্রতিযোগিতায় নামে—কে কার থেকে সেরা! বেশ মজার নাটক।জীবনে যে কথাটি বেশিবার বলেছি...‘ব্যাপারটা হচ্ছে...।’ নিজের মুদ্রাদোষের কথা নিজে বলা মুশকিল, অন্যরা ভালো বলতে পারবে। তবে আমার মনে হয়, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে’ কথাটাই বেশি বলেছি।‘গেম’ ও অন্যান্য ধারাবাহিক...গেমসহ আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক এখন প্রচারিত হচ্ছে। অভিনয় নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে নিজের সব নাটক দেখতেও পারি না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখের বালি উপন্যাস অবলম্বনে ৫২ পর্বের একটি ধারাবাহিকের শুটিং চলছে। পরিচালনা করেছেন পঙ্কজ ঘোষ। এ ছাড়া সৈয়দ শাকিলের বাতিঘর, বৃন্দাবন দাসের লেখা মামলাবাজ ও ভদ্রপাড়া নামের ধারাবাহিকগুলো শিগগিরই প্রচারিত হবে।‘ইত্যাদি’তে আমি...আগামী শুক্রবার প্রচারিত হবে ‘ইত্যাদি’। এবারের পর্বে তারিন ও আমি একটি মৌলিক গান করেছি। দ্বিতীয়বারের মতো ‘ইত্যাদি’তে অংশ নিচ্ছি। নিঃসন্দেহে দারুণ অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে সংকেতদার (হানিফ সংকেত) পারফেকশন ও ধৈর্য খুব আশ্চর্যের বিষয়। আর ‘ইত্যাদি’র বিষয়বস্তু ও দর্শন তো অতুলনীয়!‘ইত্যাদি’-স্মৃতি...২৫-২৬ বছর আগের কথা। তখন আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ যায়নি। টিভিও ছিল কম। অ্যানটেনার বাঁশ ঘুরিয়ে টিভি দেখার সময় সেটা। তখন আমরা গ্রামের চেয়ারম্যান বা বন্ধুর বাসায় ‘ইত্যাদি’ দেখতে যেতাম যেকোনো মূল্যে! আগে ছিলাম দর্শক, এখন সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি, এটা আগে কল্পনাও করিনি।‘ফাইন লাগচে’...হা হা হা! হ্যাঁ, ইদানীং ফেসবুকে মনপুরা চলচ্চিত্রের একটা ছবি দিয়ে ফটোকমেন্ট করা হচ্ছে, সেখানে লেখা থাকে, ‘ফাইন লাগচে’। দেখে খুব মজা লাগে। আমাদের সমাজে হাস্যরস নতুন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। তবে এখনো নিজে এই ফটো কমেন্ট ব্যবহার করিনি।মাহফুজ রহমানসেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ট্রাস্টি বোর্ডের ৪১তম সভা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানের সংলাপ কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নাগরিক উদ্বেগকে বিবেচনায় রেখে ২৮ ডিসেম্বর সিপিডির উদ্যোগে ‘সংকটে বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপের অনুমোদন দেওয়া হয়।সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেদারপুর টি এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়লা রহমান কবীর, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির সংলাপ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।সভায় বোর্ড সিপিডির ২০১৩ সালের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় রাখতে সিপিডির সব কর্মকর্তাকে উৎসাহিত করে। সভায় সিপিডির ২০১৩ সালের বার্ষিক হিসাব এবং ২০১৪ সালের জন্য প্রস্তাবিত গবেষণা, সংলাপ ও প্রকাশনা কার্যক্রম অনুমোদন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুট মিলসের গুদামে প্রায় ৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকার তিন হাজার ৯৪২ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ক্রেতা দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য কেনা প্রায় বন্ধ করে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।কর্মকর্তারা বলছেন, উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় পাটকল দুটি আর্থিক সংকটে পড়েছে। শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন এবং পাটের দাম পরিশোধ করতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। টাকার অভাবে চলতি মৌসুমে সুলভ মূল্যে ভালো মানের পাটও কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া দীর্ঘদিন গুদামে পড়ে থাকায় পাটজাত পণ্যের মানও নষ্ট হচ্ছে।পাটকল দুটির সূত্রগুলো জানায়, বাংলদেশের পাটজাত পণ্যের বড় ক্রেতা সিরিয়া, ইরান, জর্ডান, ইরাক, লিবিয়া ও ভারত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াও কিছু পাটজাত পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও অভ্যন্তরীণ সংকট এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতা দেশগুলো ২০১১ সালের জুন থেকে বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য কিনছে না। শুধু ভারত কিছু পাটজাত পণ্য ক্রয় করছিল। কিন্তু সম্প্রতি ডলারের তুলনায় ভারতীয় রুপির মান কমে যাওয়ায় ভারতও পাটজাত পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে শ্রীলংকা ও দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে অল্প পরিমাণ পাটজাত পণ্য কিনছে।সূত্রগুলো আরও জানায়, যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও মজুরি বাবদ দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়। প্রতিদিন ৩০ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাটকলটিতে উৎপাদিত হচ্ছে গড়ে প্রায় ২৭ মেট্রিক টন পণ্য। কিন্তু রপ্তানি না হওয়ায় পাটকলটির গুদামে বর্তমানে প্রায় ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার দুই হাজার ৬২২ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য পড়ে আছে। যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের প্রকল্পপ্রধান মুজিবর রহমান মল্লিক জানান, দীর্ঘদিন গুদামে পড়ে থাকায় পণ্যের মানও ভালো থাকছে না।কার্পেটিং জুট মিলস সূত্র জানায়, পাটকলটির শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি বাবদ মাসে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এখানে দৈনিক ৯ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদিত হচ্ছে গড়ে ৯ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য। পাটকলটির গুদামে বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এক হাজার ৩২০ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে।কার্পেটিং জুট মিলসের প্রকল্পপ্রধান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে কম দামে ভালো মানের পাট কিনতে পারছি না। ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কমে যাওয়ায় ভারত অল্প পরিমাণ পাটজাত পণ্য কিনছে। ওই টাকা দিয়ে বেতন ও মজুরি এবং পাটের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে।তৈরি পোশাকশ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভায় মালিকপক্ষ আজ রোববার নতুন প্রস্তাব দেবে। তারপর বোর্ডের সদস্যরা আলাপ-আলোচনা করে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নিয়ে একটি মত্যৈকে পৌঁছাবেন।চেয়ারম্যান এ কে রায়ের সভাপতিত্বে গত রোববার মজুরি বোর্ডের সর্বশেষ বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পোশাকমালিকদের সমিতি বিজিএমইএর নেতারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাঁরা প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছেন। তিন হাজার ৬০০ টাকার পুরোনো প্রস্তাব থেকে সরে এসে সব মিলিয়ে সাড়ে চার হাজার টাকার নতুন প্রস্তাব দেবে মালিকপক্ষ।তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতালের কারণে আজ শেষ পর্যন্ত প্রস্তাব না-ও দিতে পারেন বলে গতকাল বিকেলে এই প্রতিবেদককে জানান মজুরি বোর্ডের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কালকের বৈঠকে (আজ) মালিকপক্ষের প্রস্তাব দেওয়ার কথা। কোনো অজুহাতে সেটি না করলে তাঁরা কথার বরখেলাপ করবেন। সে ক্ষেত্রে বিজিএমইএর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর অপকৌশলের অভিযোগই সত্য হবে।তবে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাল (আজ) প্রস্তাব দেওয়া হবে।’গত সভায় বিজিএমইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির বর্তমান সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয় বোর্ড। অবশ্য সাবেক সভাপতি বর্তমানে বিদেশে থাকায় তিনি উপস্থিত থাকবেন না।বিজিএমইএর নেতারা জানান, মজুরি বোর্ডের বৈঠকে চার হাজার ৬৮০ টাকা প্রস্তাব দেবে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে মূল মজুরি, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা বাবদ তিন হাজার ৯০০ টাকা এবং খাদ্য ভর্তুকি ৫২০ টাকা ও যাতায়াত ভর্তুকি ২৬০ টাকা।এ বিষয়ে আরশাদ জামাল বলেন, বিজিএমইএর প্রস্তাব অনুযায়ী মজুরি সাত গ্রেডে সমহারে বাড়বে না। তবে দক্ষ শ্রমিকেরা বা উচ্চতর গ্রেডের শ্রমিকেরা যেন বেশি লাভবান হন, সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন ছবি পিঁপড়াবিদ্যা। ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে দশম দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আগামী ৬ থেকে ১৩ ডিসেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। জানা গেছে, উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ছবিটি। এই প্রতিযোগিতার সেরা ছবিকে দেওয়া হবে ‘মোহর’ পুরস্কার। পুরস্কারটির অর্থমূল্য ৫০ হাজার ডলার।উৎসবে যোগ দিচ্ছেন পিঁপড়াবিদ্যা ছবির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনয়শিল্পী শিনা চৌহান ও ছবিটির বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।দশম দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য ১০টি ছবি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—কান উৎসবে ক্যাম দ্য’অর ও তাইপে গোল্ডেন হর্স পুরস্কারজয়ী ছবি ইলো ইলো (অ্যান্টনি চ্যান-সিঙ্গাপুর), ভেনিস উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি পুরস্কারজয়ী ছবি স্ট্রে ডগস (সাই মিং লিয়াং-তাইয়ান), কান উৎসবে ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে বিশেষ পুরস্কার জেতা দ্য লাঞ্চবক্স (রিতেশ বাত্রা-ভারত), ভেনিস উৎসবে বিশেষ ওরিজন্তি পুরস্কারজয়ী ফিশ অ্যান্ড ক্যাট (সাহারাম মকরি-ইরান), কান উৎসবে পাম দ্য’অর পুরস্কারের জন্য লড়া গ্রিগ্রিস (মোহাম্মদ সালে হারুন-ফ্রান্স ও চাদ)। দুবাই উৎসবে বিভিন্ন বিভাগে ১৭৪টি ছবির প্রদর্শনী হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হানি আবু-আসাদের (ফিলিস্তিন) ওমর এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে ডেভিড ও’রাসেলের (যুক্তরাষ্ট্র) আমেরিকান হাসল ছবি দুটি দেখানো হবে।ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বহিরাগত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকছেন। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সম্মানীর চেয়েও বেশি অর্থ দেওয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। এসব বিষয়ে সতর্ক করে নতুন নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পরিচালক ছাড়া কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পর্ষদ সদস্যদের নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো সম্মানীও দেওয়া যাবে না।এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তবে পর্ষদের সব সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য ব্যাংকের পরবর্তী পর্ষদ সভায় এ নির্দেশনা উপস্থাপন করতেও বলা হয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় অসদস্য ব্যক্তিরা যেমন—কোনো বহিরাগত ব্যক্তি বা শেয়ারধারী উপস্থিত থেকে সভায় অংশগ্রহণ করছেন। এ বিষয়ে উল্লেখ্য, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পরিচালকেরা ছাড়া কেবল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিবের উপস্থিতি কাম্য। তবে পর্ষদ বা পর্ষদের সহায়ক কমিটির আহ্বানে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা তাঁর সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় উপস্থাপনের সময় সভায় সাময়িক সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন, পুরো সময়ে নয়।কোনো পরিস্থিতিতেই কোনো বহিরাগত ব্যক্তি বা শেয়ারধারী যাতে পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থিত না থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এতে আরও বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক বিধি মোতাবেক তাদের পরিচালকদের প্রদেয় সম্মানীর চেয়ে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। এটি ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯১৯-এর ১৮ ধারার (১) উপধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আইনে বলা আছে, ব্যাংক কোম্পানির কোনো পরিচালক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়া অন্য কোনো আর্থিক বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে একজন পরিচালক এক বৈঠকের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা নিতে পারেন। কিন্তু কিছু ব্যাংক নিজেদের মতো করে পর্ষদ সদস্যদের বেশি অর্থ দিচ্ছে।
রাজধানীর চিশতিয়া মার্কেটের একাংশের মালিক ফয়েজুন্নেছা (৫৯) গত মঙ্গলবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর কুলখানি কাল শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি।জাপান সরকার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে! ই-মেইলে সেই আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর রক্ত হিম হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। তখন নতুন দেশ ভ্রমণের উত্তেজনায় রীতিমতো স্বপ্নে ভাসছিলাম। এত সহজে সুযোগ মিলবে, ভাবিনি! বলছিলাম ‘ক্যাম্পাস এশিয়া সামার স্কুল ২০১৩’-এর কথা। গত ১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর জাপানের কিউহিসসু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে দুই সপ্তাহের এই স্কুল। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় দুজনের। আমি ছাড়া অন্যজনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওর নাম ফিরোজ সরকার।দ্বিতীয় দিন ছিল শুধুই ঘুরে বেড়ানোর দিন। নানা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গেলাম কুজু শহরে। এই শহর নাকি ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতায়। শহরটি দেখতে একদম ছবির মতো। তারপর দেখার সুযোগ হলো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আসো মাউনটেইন! দিনভর দুই চোখ ভরে দেখে নিলাম জাপানের সৌন্দর্য। ঘুরতে ঘুরতে জাপানিদের পরিশ্রম ও হূদ্যতা দেখে অবাক না হয়ে পারছিলাম না।পরদিন সকাল দেখলাম ফিরোজের ডাকে। সে দিন আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইস্পাত নির্মাণ কোম্পানি নিপ্পন ওইটা ও জিওথার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে। হেলমেট পরে চার হাজার ডিগ্রি তাপমাত্রার ইস্পাত নির্মাণ কারখানার ভেতরে ঢোকা, সে এক দারুণ অভিজ্ঞতা!পরদিন থেকেই সপ্তাহজুড়ে করতে হয়েছে ১৫টি কোর্সের ওপর লেকচার। জাপানি অধ্যাপকদের ক্লাসে মন্ত্রমুগ্ধের মতো কথা শুনেছি। প্রতিটি ক্লাসের শেষেই হয়েছে কুইজ টেস্ট। যা আমার কাছে বেশ নতুন অভিজ্ঞতা।দেখতে দেখতে সাত দিন কেটে গেছে। সে দিনই ঘুরে এলাম প্লাজমা রিসার্চ সেন্টারে। আমাকে কাজ করতে হলো ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রির ওপর। আমার সুপারভাইজার বাংলাদেশি ট্রাকের ছবি দেখিয়ে বললেন, ট্রাক থেকে নির্গত দূষিত পদার্থ ম্যাটেরিয়াল ক্যাটালাইসিস কীভাবে দূর করা যায়, তা-ই গবেষণা করতে। রাত জেগে রিসার্চ প্রোপোজালের কাজ করলাম কোরিয়ান, চায়নিজ আর জাপানিজ বন্ধুদের সঙ্গে। প্রেজেন্টেশন দেখে অধ্যাপক যখন বললেন ‘পারফেক্ট’, মনে হলো যাক হাড়ভাঙা খাটুনি তাহলে সার্থক!সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল আমার জন্য বিরাট বিস্ময়ের, কারণ ওই দিন ঘোষণা করা হলো আমার নাম! আমার কাজের জন্য দেওয়া হলো সার্টিফিকেট। পরদিনই ছিল জাপানে আমাদের শেষ দিন। দুটি সপ্তাহ যেন হাওয়ায় উড়ে গেল। শুধু রয়ে গেল বিদেশি বন্ধুদের স্মৃতি, আর জীবনের ঝুলিতে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা!গত রোববার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিজস্ব ভবনের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজার সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করবে না। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে সরকারের তেমন কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য কতটা সমর্থন করে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে। শেয়ারবাজারের সঙ্গে যদি সরকারের সম্পৃক্ততাই না থাকবে, তাহলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশই (আইসিবি) বা কেন এর অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী হলো? কেনই-বা সঞ্চয়পত্রের সুদের হার হঠাৎ করে কমিয়ে দেওয়া হলো? এমনকি বাজার যখন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছিল, তখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তির মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের প্রস্তাব করা সত্ত্বেও সরকার নাকচ করে দিয়েছিল।অস্বীকার করার উপায় নেই, শেয়ারবাজার একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা। এতে লাভের সুযোগ যেমন থাকে, তেমনি লোকসানের ঝুঁকিও কম নয়। তদুপরি বাংলাদেশের মানুষের হুজুগে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতাও রয়েছে। কিন্তু সেই হুজুগকে সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কি কোনো দায়িত্ব নেই? নাকি হুজুগ উসকে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব? শেয়ারবাজারের সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা না থাকলে রোড শো করে, গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউস খুলতে কেন তারা উৎসাহিত করেছে? ২০০৯-১০ সালে যখন শেয়ারবাজার চাঙা হয়েছিল, তখন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এর কৃতিত্ব নিয়েছেন। তাহলে কেন ধসের দায় নেবেন না?২০১০ সালে শেয়ারবাজারের ধসের কারণ অনুসন্ধানে সরকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করলেও এর সুপারিশগুলো আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। সরকারের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী শেয়ারবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারে লাভ হলে নিজের, আর লোকসান হলে সরকারের দায় বলে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি আংশিক সত্য। পুরো সত্য হলো, তদন্ত কমিটির সুপারিশ সত্ত্বেও শেয়ারবাজারের কারসাজির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষের উপলব্ধিটি শুরুতে জানতে পারলে হয়তো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সতর্ক হতেন।অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তাঁর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অটুট থাকার কথা বলেছেন। কিন্তু একজন সফল অর্থমন্ত্রীকে যে কেবল প্রধানমন্ত্রীর আস্থার ওপর নির্ভর করলেই চলে না, তাঁকে দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকেও আস্থায় নিতে হয়, সেই সত্যটি তিনি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।শেয়ারবাজারের বিপর্যয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাঙালির হুজুগে প্রবণতা এবং অর্থমন্ত্রী আগের সরকারের ভুল নীতিকে দায়ী করলেও নিজেদের দায়টি যথারীতি অস্বীকার করে গেছেন। দায় অস্বীকারের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে শুধু শেয়ারবাজার নয়, অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও স্থিতি ও গতি আনা কঠিন হবে।নিজের আত্মীয়স্বজনের একটি তালিকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তালিকায় রয়েছেন তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে, তাঁর বোন শেখ রেহানার তিন ছেলে-মেয়ে এবং তাঁদের দুই বোনের ছেলে-মেয়ে, জামাতারা। এর বাইরে আর কোনো আত্মীয়স্বজন নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালুর মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আমরা দুই বোন আমি ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পাই। আমার ও শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং জামাতারা আমার আত্মীয়। এর বাইরে আমার কোনো আত্মীয় নেই।’ একই দিন সদরপুর স্টেডিয়ামের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দুই ছেলে-মেয়ে জয় ও পুতুল, শেখ রেহানার তিন ছেলে-মেয়ে ববি, টিউলিপ ও প্রিয়ন্তি এবং তাদের ছেলে-মেয়ের বাইরে আমার কোনো আত্মীয় নেই।’ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। তাঁর প্রতীক আনারস। নিক্সন চৌধুরী নিজেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন বলে জানান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে ইলিয়াস চৌধুরীর ছেলে বলে পরিচয় দেন। এ ব্যাপারে নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন বলেন, নিক্সন চৌধুরী নিজেকে শেখ হাসিনার আত্মীয় পরিচয় দেওয়ায় ভোটারদের মনে সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এটি দূর করতেই শেখ হাসিনা নির্বাচনী  দুটি জনসভায় তাঁর আত্মীয়দের ব্যাপারটি পরিষ্কার করেছেন।
খেলা শেষের আগেই বদলি করে নেওয়া হলো আপনাকে। ম্যাচের তখনো অনেকটা বাকি। কিন্তু মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে না বসে আপনি সটান চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে। কোনো কোচেরই এটা ভালো লাগার কথা নয়। আর এই কাণ্ডটাই করেছেন আন্দ্রেয়া পিরলো।পিরলো এই কাণ্ড করেছেন গত রোববারের হেল্লাস ভেরোনার বিপক্ষে ম্যাচে। ৬৫ মিনিটে বদলি হওয়ার পরে চলে যান মাঠ ছেড়ে। পরে জুভেন্টাস কোচ আন্তোনিও কন্তে জানিয়েছেন, ‘পিরলো যেটা করেছে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না। কিন্তু এখন আমরা একটা নিয়ম ঠিক করে দিয়েছি, যখন একজন খেলোয়াড় মাঠ ছাড়বে, তখন খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতীর্থদের সঙ্গে বসে সেটা দেখতে হবে। যদি না সেটি চোট-সংক্রান্ত কোনো ব্যাপার হয়।’ তিনি পিরলো বলেই হয়তো শাস্তি পেতে হয়নি। তবে ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে ও জুভেন্টাসের অন্য খেলোয়াড়দের কড়া সতর্কবাণীই শুনিয়েছেন কন্তে, ‘যারা এই নিয়মকে শ্রদ্ধা জানাবে না, তাদের মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। সঙ্গে এক মাস বসে থাকতে হবে বাইরে।’ এএফপি।কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিরোধী দল গণতন্ত্র চাইলে এবং সংবিধান মেনে চললে সংঘাত এড়ানো সম্ভব। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে প্যানেল সদস্য হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।তবে সংলাপের আরেক প্যানেল সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, সরকার যদি শান্তি চায় তাহলেই বর্তমানের সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।দুই নেত্রী সংকট নিরসনে একে অপরের প্রস্তাব মেনে না নেওয়ার ফলে দেশে সংঘাত অনিবার্য কি না, সংলাপে এ প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী ও সেলিমা রহমান এ মতামত ব্যক্ত করেন।বিবিসি সংলাপের এবারের আয়োজন পুরোটাই ছিল নারীদের নিয়ে। ফলে প্যানেল সদস্য, দর্শক এমনকি সংলাপের উপস্থাপিকাও ছিলেন নারী। পুরো অক্টোবরজুড়ে বিবিসি বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ১০০ জন নারীকে নিয়ে ‘একশো নারী’ শীর্ষক যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে, তারই অংশ হিসেবে গতকালের সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্যানেল সদস্য হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাতেমা আনোয়ার এবং সংস্কৃতিকর্মী রোকেয়া প্রাচী অংশ নেন।সেলিমা রহমান বলেন, এটা সত্য যে সমঝোতা না হলে সংঘাতের অবস্থা দৃশ্যমান হবে। তবে সমঝোতা হবে না তাও বলা যাবে না। কেননা রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। বিএনপি সমঝোতা চায় বলেই এত দিন বিভিন্ন দমন-পীড়নের পরও জনগণকে কষ্ট বা পীড়া দেয় সে ধরনের কোনো আন্দোলনের দিকে যায়নি দলটি। তবে বর্তমানে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।মতিয়া চৌধুরীও পাল্টা বলেন, হবিগঞ্জের উপনির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় বর্তমান সরকারের আমলে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।তবে সেলিমা রহমান আবারও জানান, দলটির একটিই চাওয়া, তা হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘অর্ডার মানতে বাধ্য’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।কর্মজীবী একজন পুরুষের মতো একজন কর্মজীবী নারীরও ‘ক্যারিয়ার’-এর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত কি না—এক প্রশ্নের জবাবে প্যানেল সদস্য ফাতেমা আনোয়ার নারীদের ঘর ও ক্যারিয়ার উভয় দিকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন পর আমার ছেলের বেল (জামিন) আমাকে করতে হবে সে ধরনের আইনজীবী হতে চাই না। তাই নারীকেই ঠিক করতে হবে কোন দায়িত্ব কতটুকু পালন করবেন।’কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কর্মজীবী বা ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগী মা হলেই সন্তানদের মানুষ করা যাবে না, কথাটা ঠিক না। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার সন্তানদের সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার উদাহরণ দেন।তবে সেলিমা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা শেখ রেহানার বিষয়টি আলাদা। এখানে সাধারণ নারীদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাই নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘অবাধ মেলামেশা’ শব্দটি একটি রাজনৈতিক শব্দ। নারীর নিরাপত্তাহীনতার পেছনে দৃষ্টিভঙ্গিই মূল বলে উল্লেখ করেন তিনি।নিছক গুজবের ওপর ভর করে গত রোববার সাভারে যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে, তা কেবল অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, উদ্বেগজনকও। এ ধরনের গুজব যাঁরা ছড়ান, তাঁরা যে কারও হিতাকাঙ্ক্ষী নন, তা শ্রমিক-কর্মী সবাইকে বুঝতে হবে, সংযত থাকতে হবে। সাভারের উলাইল এলাকায় আল-মুসলিম গ্রুপের কারখানা ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি পাশাপাশি অবস্থিত।ঘটনার দিন আল-মুসলিম গ্রুপের শ্রমিক বহনকারী একটি বাসের ধাক্কায় ফায়ার স্টেশনের সাইনবোর্ড পড়ে যায় এবং এরই জের ধরে ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং পরিবহনশ্রমিকদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি, পরে আটক রাখা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বাসের কর্মীরা গুজব ছড়িয়ে দেন যে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা দুজন শ্রমিককে ধরে নিয়ে গেছেন। এ গুজব শুনে কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হামলা চালান এবং তাঁরা তিনটি অগ্নিনির্বাপণ যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি জিপ ও স্থানীয় একজন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত গাড়িটি ভাঙচুর করেন। তাঁদের হামলায় স্টেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দপ্তর ও ব্যারাক ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন।পরে শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে পুলিশ এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অন্তত ৫০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। আমরা অনেক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অভিযুক্ত করি। কিন্তু এখানে তারা জননিরাপত্তা রক্ষা করতে এসে আক্রান্ত হয়। তাদের এই কর্তব্যবোধ প্রশংসনীয়।উলাইল এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে অবস্থিত কারখানা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা রক্ষায়। তাই প্রতিষ্ঠানটি কিংবা এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শত্রু ভাবা সমীচীন নয়। ফায়ার সার্ভিসের কোনো কর্মী শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে শত শত শ্রমিককে খেপিয়ে দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। কারখানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উচিত ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করা। তাতে সংঘর্ষ ও সম্পদহানি এড়ানো যেত।ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা জরুরি।বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিকল্পধারার পক্ষে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেএসডির পক্ষে আ স ম আব্দুর রব এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নতুন এই রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দেন। জোটের ঘোষণা পড়ে শোনান জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।যৌথ ঘোষণায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। খালেদা জিয়ার ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে জোটের অবস্থান জানতে চাইলে নেতারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো দাবি তুলে ধরা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন থাকবে।
ধানমন্ডি ঢাকা আইডিয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মোতাহার হোসেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৬ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে কনটেইনার ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে।গতকাল শনিবার দুপুরে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জেটিতে ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজে কনটেইনার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। একই সময়ে বন্দরে কনটেইনারভর্তি আমদানি পণ্যে নিরাপত্তা তদারকির জন্য একটি স্ক্যানার যন্ত্র উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ যন্ত্র দিয়ে কনটেইনারভর্তি আমদানি পণ্যে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো পণ্য আছে কি না, তা সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।এর আগে বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘মোবাইল স্ক্যানার ভেহিক্যাল ও দুটি কনটেইনার জাহাজের পরিদর্শন’ অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে নৌপথে কনটেইনার পরিবহন শুরু হবে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন নৌপরিবহনসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ সময় বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও পানগাঁও রুটে জাহাজের লাইসেন্স পাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গত দুই বছরে একটি জাহাজও সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে বন্দর জাহাজ সংগ্রহ করে সেটি দেখিয়ে দিয়েছে।নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫৭ নটিক্যাল মাইল (২৯০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে কনটেইনার পরিবহনে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। দেশের সংকটাপন্ন অবস্থায় বন্দরের তিনটি জাহাজ দিয়ে কনটেইনার পরিবহন সম্ভব হবে।এদিকে অনুষ্ঠান শেষে বন্দরের বোর্ড সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজটিতে ১২৮টি খালি কনটেইনার বোঝাই করা হয়েছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এটি পানগাঁওয়ের উদ্দেশে বন্দর ছাড়তে পারেনি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আজ রোববার এটি পানগাঁওয়ের উদ্দেশে বন্দর ছেড়ে যাবে।এম শাহজাহান আরও বলেন, পানগাঁও-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ছোট আকারের কনটেইনার জাহাজ সংগ্রহ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পানগাঁও এক্সপ্রেস ও পানগাঁও সাকসেস জাহাজ দুটি বন্দরে আছে। পানগাঁও ভিশন জাহাজটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দুবাই থেকে বন্দরে আনা হবে।চট্টগ্রামে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম এখন নেই বললেই চলে। যাত্রা শুরুর প্রায় দুই বছরের মাথায় এর কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কমিউনিটি পুলিশের তৎপরতা। অথচ শুরুতে এর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।পাড়া-মহল্লাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বিশেষ করে বখাটেদের উৎপাত, মাদক ব্যবসা, কিশোর অপরাধ কমাতে এবং অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে এটি পুলিশের একধরনের কৌশল বলা হলেও এর কার্যক্রমে এখন কোনো গতি নেই বললেই চলে। অথচ রাজধানী ঢাকায় কমিউনিটি পুলিশের পাশাপাশি বিট পুলিশিং ব্যবস্থাও জোরদার রয়েছে।চট্টগ্রাম মহানগরেও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যাত্রার শুরুতে বেশ সুফল পাওয়া গিয়েছিল। পাড়া-মহল্লাগুলোতে যেসব স্থানে পুলিশের উপস্থিতি কম, সেসব স্থানে অপরাধীদের তৎপরতা অনেকাংশে কমে আসছিল। জনসচেতনতার অভাবে এবং নানামুখী চাপে বর্তমানে এর কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পাড়া-মহল্লাগুলোতে যে হারে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, তা সামাল দিতে পুলিশ অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে।কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা সক্রিয় থাকাকালে অপরাধীরা অপরাধ করতে কিছুটা হলেও ভয় পেত। ‘জনতাই পুলিশ-পুলিশই জনতা’ স্লোগান নিয়ে যাত্রার শুরুর প্রাক্কালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, জনগণের সহায়তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। সে জন্য জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে সিএমপির ১২টি থানা এলাকার পাড়া-মহল্লায় পুরোদমে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। তখন পাড়া-মহল্লায় কোনো অপরাধ সংঘটন হওয়ার আগেই নিজ নিজ থানায় খবর পৌঁছে যেত। তাই ওই সময়ে অপরাধপ্রবণতা অনেকটা কম ছিল। তখন সিএমপির পক্ষ থেকে কমিউনিটি পুলিশকে পুরস্কৃত করে এ কাজে উৎসাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাড়া-মহল্লাগুলো হয়ে উঠছে অপরাধপ্রবণ এলাকা।এ অবস্থায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা সক্রিয় করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে—এ প্রত্যাশা সবার।মো. এনামুল হকচট্টগ্রাম।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সারা বাংলাদেশের মানুষ চান, শুধু চান না বেগম খালেদা জিয়া। তাই তিনি হরতাল অবরোধের নামে মানুষ খুন ও মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো কাজ করে চলেছেন। গরু-ছাগল কিছুই রেহাই পাচ্ছে না ওনার কাছ থেকে।’আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত জিটি স্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সারা বাংলাদেশে যেখানে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে, প্রত্যেক ভোটারের কাছে আমার আবেদন, ভোটকেন্দ্রে এসে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যত প্রতিকূলতা আসুক না কেন, প্রত্যেকে সাহস করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।’ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবেন।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীবার সরকার গঠন করতে পারলে প্রত্যেক উপজেলা ও জেলায় একটি করে কেন্দ্রীয় মসজিদ তৈরি করা হবে। হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড করা হয়েছে। ইমাম মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে সেখানেও টাকা দিয়েছি, যাতে কোনো ইমাম মুয়াজ্জিন বৃদ্ধ হয়ে গেলে অসুস্থ হলে সেখান থেকে টাকা পেতে পারে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। এই মাটিতে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে। যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী কথায় কথায় হুমকি দেন, আন্দোলন দেন আর আলটিমেটাম দেন। ওনার এক আলটিমেটাম আসে সেখান থেকে আরেক আলটিমেটামে যায়। ওনার আলটিমেটামেরও শেষ নাই, হুমকি-ধমকিরও শেষ নাই। আমরা চেয়েছিলাম, পার্লামেন্টে যারা সাংসদ, তাঁরা বসে আলাপ আলোচনা করতে। যখনই বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আলোচনার কথা বলি, তখনই উনি আমাকে আলটিমেটাম দেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশছাড়া করবেন, ক্ষমতাছাড়া করবেন, সেই হুমকি দেন। আমি জানি ওনার অবস্থা। কেন উনি এ রকম করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট উনি আমাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। ওনার বোধ হয় সেই রাগ, আল্লাহ কেন আমাকে বাঁচাল। সেই জন্য কথায় কথায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। আমার এই মাটিতে জন্ম, এখানেই আমার মৃত্যু হবে। উনি নির্বাচনে আসতে চান না। কারণ, জামায়াতে ইসলামীকে উনি ছাড়তে পারবেন না।’টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম শেখের সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মির্জা আজম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ কবীর হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন, বি এম মোজাম্মেল হোসেন, মাহবুব আলী খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান। জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সামাধিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। বিশেষ মোনাজাত করেন। শেখ হাসিনা আজ টুঙ্গিপাড়ায় থাকবেন। কাল শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকার অপর উপজেলা কোটালীপাড়ার জনসভায় তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে পারেন। তবে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি ছিল না কখনোই। সেই নিল ব্রুমের অন্য চেহারা দেখা গেল কাল চ্যাম্পিয়নস লিগে। পার্থ স্কর্চার্সের বোলারদের তুলোধোনা করে ১১৭ রান করেছেন ৫১ বলে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটি অবশ্য করতে পারলেন না। ব্রুমের চেয়ে বড় ইনিংস আছে দুটি। সেই দুটিই আবার খেলেছেন একজন—ডেভিড ওয়ার্নার! ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগেই খেলেছিলেন ৬৯ বলে ১৩৫ ও ৬৮ বলে ১২৩ রানের ইনিংস দুটি। একটা জায়গায় অবশ্য সবার ওপরে ব্রুম—তাঁর ৫১ বলের সেঞ্চুরিই চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্রুততম।ঈদের ছয় দিনের ছুটি শেষে আমদানি পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবসায়ীরা সময় পেয়েছেন মাত্র পাঁচ দিন। বন্দরকেন্দ্রিক পণ্য পরিবহনব্যবস্থা পুরোদমে সচল হওয়ার সময়েই আবার টানা হরতালের মুখে পড়ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এ কর্মসূচি বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের।এ মাসে পূজা-ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি এবং হরতালের কারণে মাত্র ১৫ কার্যদিবস হাতে পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দুই দলের অনড় অবস্থানের কারণে সামনে আরও কর্মসূচির শঙ্কা কাটছে না। উদ্বেগটাও তাই ব্যবসায়ীদের বেশি।চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনে করেন, এক মাসে যদি ১৫ দিনই হরতাল-ছুটিতে কেটে যায়, তাহলে ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবসা করবেন? টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল ব্যবসা-বাণিজ্যে ছুরিকাঘাত ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, অর্থনীতি অচল করে কোনো কর্মসূচি দেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক নেতাদেরই বিষয়টি ভাবতে হবে। কারণ হরতালে দেশের ক্ষতি হয়, অর্থনীতির চাকা থেমে যায়।ব্যবসায়ীরা মনে করেন, আমদানি পণ্য পরিবহনের প্রথম এবং রপ্তানি পণ্য পরিবহনের শেষ ধাপে অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দরের। বন্দরের কারণে চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে পণ্য আনা-নেওয়ার হার অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। এক দিনের হরতালে বন্দরে পরিচালন কাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটলেও টানা হরতালে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থার তৈরি হয়। কারণ টানা তিন দিনে খালাস বন্ধ হলে বন্দরে পণ্য জমে যাবে। বন্দরের কার্যক্রমেও অচলাবস্থা তৈরি হবে।চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেন, হরতালে বন্দরের কর্যক্রম সচল থাকলেও পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। আগে একদিনের হরতালে রাতে পণ্য আনা-নেওয়া করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যেত। এখন তিন দিনের হরতালে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।জানা গেছে, পেঁয়াজ ছাড়া অন্য সব ভোগ্যপণ্যের প্রায় সিংহভাগই আমদানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে নেওয়া হয় এসব ভোগ্যপণ্য। বন্দরে ও গুদামে পণ্য আটকে গেলে দামেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা আছে। গাড়ি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে পণ্য পরিবহন ভাড়াও বেড়ে যায় এ সময়।খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, টানা হরতালের প্রভাবে পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে। এর মাশুল গুণবে সাধারণ ক্রেতারা।হরতালে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে তৈরি পোশাক খাত। পোশাক শিল্পের পণ্য রপ্তানিতে সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ে বন্দর থেকে কাঁচামাল খালাস করে পোশাক পণ্য প্রস্তুত করতে হয়। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত প্রথম সহসভাপতি আবদুল ওয়াহাব বলেন, সিংহভাগ পোশাক কারখানাই ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়। হরতালে কেউ ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে রপ্তানি পণ্য চট্টগ্রামে পাঠাতে চান না। বাধ্য হয়ে বিমানে পরিবহন বা বাতিল কিংবা ছাড় দিয়ে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করতে হয়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণে এমনিতেই পোশাকশিল্পে এখন দুর্দিন চলছে। হরতাল আরও পিছিয়ে দেবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি তার একটি। এটি আমাকে ফেল করার হাত থেকে রক্ষা করেছে। কিন্তু গণিতে সৃজনশীল আমিসহ দেশের অনেক দুর্বল শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত কঠিন। এটি কি দয়া করে বাদ দেওয়া যায় না? তা ছাড়া সময় পর্যাপ্ত নয়। অন্যান্য বিষয়ের মতো এর সময়সীমা তিন ঘণ্টা। কিন্তু গণিত তো অন্যান্য বিষয়ের মতো প্রশ্ন হাতে নিয়েই বোঝা যায় না যে সঠিক উত্তর কী হবে। ভাবতে ভাবতেই ১৫ মিনিট অতিবাহিত হয়ে যায়। ৪০টি নৈর্ব্যক্তিকের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে গেলে তা নির্ধারিত সময়ে কুলোয় না।গত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার সময় আমি আমার স্কুলের কাউকে বলতে শুনিনি, সে পূর্ণ উত্তর করেছে। সবাই বলল, প্রশ্ন সহজ হয়েছে, কিন্তু সময়টা একদম কম। পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের নৈর্ব্যক্তিকের সময় খুবই অপর্যাপ্ত।প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উচিত বিজ্ঞানের এই বিষয়গুলোকে আর দশটা বিষয়ের সঙ্গে তুলনা না করা। আপনাদের অনুরোধ করছি, দয়া করে গণিতে সৃজনশীল তুলে দিন, অথবা চার ঘণ্টা সময় দিন।মালিহা,বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।ডারবানে জয়ের রেকর্ড, সর্বশেষ জোহানেসবার্গ টেস্ট, ক্যালিসের আকস্মিক অবসর ঘোষণা—সব মিলে এ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা নিজেদের সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই ডারবানে বক্সিং ডে টেস্ট খেলতে নামার আগে ভারতীয় শিবির ছিলো চনমনে। মাঠে তার প্রভাব ভালোই বোঝা গেল। দিনে খেলা হলো মাত্র ৬১ ওভার। তাতেই ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮১।   ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং মুরালি বিজয় শুরুটা ভালই করলেন। স্টেইন-ফিল্যান্ডারকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলেছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ২৯ রানে প্রথম টেস্টের মতো ডারবানেও মরকেলের শিকার ধাওয়ান।প্রথম উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন আগের টেস্টে দুর্দান্ত শতক হাঁকানো চেতেশ্বর পূজারা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৭৬। ক্যালিসের করা ৩৪তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতরান পূরণ করেন বিজয়। পরে অর্ধশতক করেন পূজারাও। অবিচ্ছিন্ন এ জুটিতে আসে ১৪০ রান।৬১তম ওভারে আলো স্বল্পতায় ম্যাচ থেমে যায়। এরপর ৩০ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা। দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮১। বিজয় অপরাজিত রয়েছেন ৯১ ও পূজারা ৫৮ রানে। রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি তুলা রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৬ ও ৮। গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্র ও শনিবার। শুভ রং গাঢ় নীল, মেজেন্টা ও ধূসর। শুভ রত্ন ইন্দ্রনীলা ও পান্না। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবানন্দ ও গায়িকা অলিভিয়া নিউটন জন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় আজ কড়া নাড়তে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আজ দূরে কোথাও যেতে হতে পারে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রবাসী কারও সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের টুপিতে নতুন পালক যুক্ত হতে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা আপনার গলাতেই শোভা পাবে। দূরের যাত্রা শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনার ব্যবসায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রে কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রেমের বিয়েতে অভিভাবকের সম্মতি পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)ব্যবসায় আজ লাভের পাল্লাই ভারী থাকবে। সন্তানসন্ততির কৃতিত্বে আপনার সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)কর্মস্থলে কারও প্ররোচনায় ভুল সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। আজ কারও কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। অতিথি আপ্যায়নে ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। ব্যর্থ প্রেমের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)কর্মস্থলে আপনার সাফল্যে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। পারিবারিক প্রয়োজনে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়িক যোগা-যোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)শিল্পকলায় অবদানের জন্য বিদেশ থেকে সম্মাননা পেতে পারেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় হবে। পেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)পেশাজীবীদের কারও কারও পসার বৃদ্ধি পেতে পারে। বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। প্রেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। পাওনা আদায়ে বলপ্রয়োগ নয়, বরং কৌশলের আশ্রয় নিন। প্রেমের ক্ষেত্রে জটিলতা থেকে থাকলে আজ তা দূর হয়ে যাবে। দূরের যাত্রা শুভ।ঈদ উপলক্ষে নতুন চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। এবারও ঈদে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সংখ্যার দিক থেকে তুলনামূলক কম হলেও ঈদের ছবি হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল চারটি নতুন ছবি। এর মধ্যে ছিল মালেক আফসারীর ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, সফিউদ্দিন সফির পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী, রাকিবুল আলমের প্রেমিক নাম্বার ওয়ান এবং শাহ মোহম্মদের কি প্রেম দেখাইলি। ছবিগুলোর সাফল্য নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি জানিয়েছে, নতুন এ চারটি ছবি সারা দেশের মোট ২১৯টি হলে মুক্তি পেয়েছিল। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি ছবির মধ্যে দুটি পুরোপুরি ডিজিটাল মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। বাকি দুটি ৩৫ মিলিমিটারে তৈরি হলেও সব কটি ছবিই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রদর্শন করা হয়েছে। এ কারণে পর্দায় যেমন ঝকঝকে দেখা গেছে, তেমনি শব্দের মানও ভালো ছিল। সব ছবিতেই ছিল তারকা শিল্পীর উপস্থিতি। এ কারণে সবগুলো ছবির ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।মধুমিতা মুভিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার উদ্দিন জানালেন, তাঁদের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী দ্বিতীয় দিন থেকে দারুণ সাড়া ফেলেছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে দর্শকপূর্ণ হচ্ছে। তাঁর মতে, মূলত বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্প, গান আর তারকা শিল্পীর প্রাণবন্ত উপস্থিতির কারণে দর্শক ছবিটি গ্রহণ করেছে। তবে ছবির সাফল্য নিয়ে কেউ কেউ হতাশাও প্রকাশ করেছেন। রাজধানী মিরপুরের সনি সিনেমা হলের উদ্যোক্তা এবং প্রযোজক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এবার ঈদের ছবির বাজার বেশ খারাপ গেছে। ঈদুল ফিতরে শাকিব খানের মাই নেম ইজ খান ছবিটি টানা ১৪ দিন চলেছে। এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রেমিক নাম্বার ওয়ান ছবিটি নয় দিন চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। এটি অন্য ছবির তুলনায় মন্দের ভালো ছিল।প্রযোজক, পরিবেশক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম বলেন, এখন সবগুলো ছবি ডিজিটাল মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। এ জন্য যন্ত্রপাতি ভাড়া করতে হয়। এতে বাড়তি খরচ হয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পূর্ণিমা সিনেমা হলে দারুণ ভিড় দেখা গেল। ছবি দেখতে আসা মিরপুর এলাকার মাহমুদ সুমন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ঈদে নতুন ছবি দেখে আসছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজও এলাম। কিন্তু ছবি দেখে হতাশ।’মধুমিতা সিনেমা হলে এসেছিলেন গোপীবাগের বাসিন্দা দুই ভাইবোন পাপ্পু ও পূর্বা। পাপ্পু বলেন, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনীতে জয়া আহসান অভিনয় করেছেন। ‘বাণিজ্যিক ছবিতে এই প্রিয় অভিনেত্রীকে কেমন লাগে, তা দেখতে এলাম। ভালো লেগেছে।’ তবে পূর্বা বললেন, গল্পে তেমন নতুনত্ব নেই। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের মতে, দিনে দিনে এ শিল্পে অর্থলগ্নি যেমন কমছে, তেমনি কমছে নতুন ছবির সংখ্যা। এখন সবচেয়ে বড় আশার কথা হলো, বর্তমানে চলচ্চিত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু এটাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো খুবই জরুরি।সারা বিশ্বে সমাদৃত হলেও নিজ দেশের কট্টরপন্থীরা এখনো তাঁর ওপর নাখোশ। পাকিস্তানের গোঁড়া মৌলবাদী শ্রেণীর কাছে মালালা ইউসুফজাইয়ের কোনো কদর নেই। তার পরও মালালার নামে গান বাঁধল পাকিস্তানের ব্যান্ড দল ‘লাল’। দুটো গান বানিয়েছে রক ব্যান্ডটি। ‘ডরতে হ্যায় বুন্দুকোওয়ালি’ ও ‘ইউ গিভ মি হোপ মালালা’।দুটো গানই পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ভীষণ প্রিয় হয়েছে। তবে কেউ কেউ নিন্দাও জানাচ্ছে। ব্যান্ড দলের প্রধান গায়ক তৈমুর বলেছেন, ‘হ্যাঁ, মালালাকে সমর্থন করে দুটো গান করার জন্য অনেকেই আমাদের নিন্দা জানিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছে। এখনো অবশ্য সে রকম কোনো হুমকি পাইনি।’ তালেবানদের বিরুদ্ধে মালালার আন্দোলনে তাঁরা সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তৈমুর। পিটিআই।যুদ্ধাপরাধীদের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও তাইওয়ান। আবে আজ বৃহস্পতিবার ইয়াসুকুনি সমাধিস্থলটিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।সিউল জানায়, ওই ‘ঘৃণিত’ কাজ করায় তারা ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়েছে এবং বেইজিং আবের ওই সফরকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ও কিছু আগে জাপানের সামরিক আধিপত্যের প্রতীক বলে বিবেচিত হয় ইয়াসুকুনি সমাধিস্থলটি। মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, শিনজো আবের সফর ওই অঞ্চলে ‘উত্তেজনা বাড়াবে’।বর্তমানে পূর্ব চীন সাগরের অধিকার নিয়ে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে গভীর উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনাটি দেশ তিনটিতে উগ্র জাতীয়তাবাদকে উসকে দেবে।বিতর্ক ও সমালোচনাইয়াসুকুনিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিনজো আবের এটই প্রথম সফর। তাঁর এ সফরের পুরোটা জাপানের টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।ওই সফরকে যুদ্ধবিরোধী আখ্যা দিয়ে আবে বলেন, ‘কোরীয় ও চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার আদৌ কোনো ইচ্ছা তাঁর ছিল না।’জাপানের কর্মকর্তারা বলছেন, আবে ব্যক্তিগতভাবে ওই অঞ্চলে সফর করেছেন। তিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ওই সফর করেননি।জাপ কর্মকর্তাদের এমন বক্তব্যের পরও বেইজিং জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানায়।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুইন গ্যাঙ বলেন, ‘বেইজিং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে এ সফর বড় বাধা বলে বিবেচিত হবে। জাপান যা ঘটাল, অবশ্যই তাকে এর মাসুল গুনতে হবে।’চীনের মতো একই ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লিন টোকিওর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতিবেশীদের অনুভূতিতে আঘাত না করে নিজের দিকে তাকান।’বিশ শতকের শুরুতে জাপান নিজেকে সম্রাটের অধীনে একটি সামরিক রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করায়। ওই সময় জাপানের সম্রাটকে ঈশ্বর বলে বিবেচনা করা হতো এবং লোকেরা তাঁকে পূজা করত। ওই সময় জাপান কোরিয়া, তাইওয়ান ও চীনের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নিয়েছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোরীয় নারীদের যৌনদাসীতে পরিণত করে জাপ বাহিনী। এছাড়া তারা চীনে গণহত্যাও চালায়।পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অভিযোগ, জাপান যে পরিমাণ অত্যাচার, অবিচার, অন্যায় ও গণহত্যা চালিয়েছে, সে জন্য দেশটি যথেষ্ট অনুতপ্ত নয়।যুদ্ধাপরাধীযুদ্ধে নিহত নারী-পুরুষ-শিশুদের স্মরণে ১৯ শতকে ইয়াসুকুনির পত্তন করা হয়। এখানে সমাধিস্থ ২৫ লাখ মানুষের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার কারণে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কয়েক শ যুদ্ধাপরাধীকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল হাইডেকি তোজোও আছেন। তাঁকে ১৯৪৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর বাড়িতে চলা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। ৯৫ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা প্রায় তিন মাস হাসপাতালে থাকার পর এ মাসের শুরুতে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে ম্যান্ডেলার এ অবস্থার কথা জানান। তবে ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের অবিসংবাদিত এ নেতা সম্পর্কে আগে বলা হয়েছিল, তাঁর অবস্থা ‘জটিল তবে স্থিতিশীল’।নতুন করে ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়ার পর গত জুন মাসে ম্যান্ডেলাকে প্রিটোরিয়ার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ তিন মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় চিকিৎসকেরা ম্যান্ডেলার জোহানেসবার্গ শহরের হাউটন এলাকার বাড়িটিতে নিবিড় স্বাস্থ্য-সেবার সব ব্যবস্থা স্থাপন করেন।প্রেসিডেন্ট জুমার দপ্তর ম্যান্ডেলার পরিবারের পাশাপাশি দেশবাসীকেও আশ্বস্ত করতে চাইছে যে তাঁর নিজ বাড়িতে থাকাটা হাসপাতালে থাকার চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। বিবিসি।পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা উঠলেই মালিকেরা বলেন, সর্বনাশ হয়ে যাবে। ব্যবসা অন্য দেশে চলে যাবে। তবে এটি সত্য নয়, বরং শিল্প খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। আর মজুরি শুধু মূল্যস্ফীতি সমন্বয় নয়, জীবনযাত্রার ব্যয়সহ সব দিক বিবেচনায় নিয়েই নির্ধারণ করা উচিত।‘চিন্তার চাষ’ নামের গবেষণা সংগঠন আয়োজিত ‘বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ও শ্রমের অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এমন অভিমত দেন। তাঁদের মতে, মজুরি বৃদ্ধি হলেই উৎপাদনশীলতা বাড়বে। আর এটি হলেই কেবল ভবিষ্যতের বিরাট সম্ভাবনা বা সুযোগকে কাজে লাগানো যাবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। এতে মজুরি বৃদ্ধি ছাড়াও সংশোধিত শ্রম আইনের সীমাবদ্ধতা, শ্রমিক নিরাপত্তা, শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের মনোভাব, বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে দর-কষাকষি ও বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং নিয়ে আলোচনা হয়।কলাম লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংলাপের দরকার। একই সঙ্গে পোশাকশিল্প নিয়েও বড় সংলাপ প্রয়োজন। রাজনীতির চেয়েও এটি বেশি দরকার। কারণ শিল্পটি ধ্বংস হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের মর্যাদাহানি হবে।’সৈয়দ আবুল মকসুদ আরও বলেন, ‘পোশাকশ্রমিকদের মজুরি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা হওয়া উচিত। বাংলাদেশের বাজারদরে বর্তমানে এই টাকার নিচে চলা সম্ভব না।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ১০০ ডলার রপ্তানি করে মালিকেরা দুই ডলার মুনাফা করেন। এই মুনাফার ২৫ শতাংশ (৫০ সেন্ট) যদি মালিকেরা ছেড়ে দেন, তবে খুব সহজেই আট হাজার টাকা মজুরি দেওয়া যায়।এম এম আকাশ আরও বলেন, চীন ও ভারতে বতর্মানে মাসিক নিম্নতম মজুরি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এখন তারা এই মজুরির সঙ্গে সমন্বয় হয় না এমন কার্যাদেশ আর নিচ্ছেন না। ফলে সেই সুযোগ বাংলাদেশ নিতে পারে।শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়ন না হওয়ার জন্য মালিকদের দোষারোপ করে হিউম্যান রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান বলেন, ‘শিল্পমালিকেরা এ সময় মোটরবাইক দিয়ে শুরু করে আজ বিএমডব্লিউ ও ক্যাডিলাক গাড়ির মালিক হয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকেরা একটি বাইসাইকেলের মালিকও হতে পারেননি।’সংশোধিত শ্রম আইনের সমালোচনা করে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ বলেন, শ্রমিকেরা আগে মুনাফার অংশীদার ছিল। সংশোধিত আইনে রপ্তানিমুখী শিল্পকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি আরও বলেন, রপ্তানিতে মালিকেরা অনেক প্রণোদনা পান। তবে শ্রমিকেরা শিল্পের অংশীদার হয়েও কিছু পায় না।গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভানেত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য শ্রমিকদের অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মালিকেরা মুনাফা করতে করতে এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে উৎপাদনশীলতার জন্য মজুরি বৃদ্ধি দরকার, সেটি তাঁরা বুঝতে চান না।’বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, অনেক মালিক মানবেতর জীবনযাপন করেন। কিছু মালিক ক্যাডিলাক গাড়িতে চড়লেও অনেকেই রিকশায় যাতায়াত করেন। এগুলোও হিসাবে নেওয়া উচিত। শ্রমিকদের পাশাপাশি মালিকেরাও দাসত্বের শিকার।পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নিতে মালিকদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে দর-কষাকষির দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর সবার অবদান স্বীকার করতে হবে।’গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এ এম সা’দউদ্দিন আহমেদ ও শফিক উজ জামান, চিন্তার চাষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ও নির্বাহী পরিচালক শেখ মুহাম্মদ মেসবাহ্ আর রহমান, পিপলস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মালিহা মেহনাজ শায়েরী, শ্রমিকনেতা বাহারানে সুলতান প্রমুখ।‘পুষ্টিপালা’ একটি রেডিও অনুষ্ঠান। পুষ্টিবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয় ৪৮ পর্বের অনুষ্ঠানটি। প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশ বেতার ও দুটি এফএম রেডিওতে। শ্রোতাদের আগ্রহের কারণে এবার তা অডিও অ্যালবাম আকারে বাজারে দেওয়া হচ্ছে। আর এই উদ্যোগ নিয়েছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড।গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অ্যালবামটির মোড়ক খোলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন।‘পুষ্টিপালা’র মাধ্যমে আয়োডিন, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’র ঘাটতি, মাতৃদুগ্ধ, বাড়তি খাবার, সুষম খাদ্য, শিশুর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ, অপুষ্টি, অতিপুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিল দেখে বোঝার উপায় নেই, গত পাঁচ ম্যাচ কি দারুণই না খেলছে ডেভিড ময়েসের দল। লিগের আজকের ম্যাচে হাল সিটির বিপক্ষেও জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এটি নিয়ে চলতি মৌসুমে লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ কাপে টানা পাঁচ ম্যাচ জয় পেল ইউনাইটেড। তবে হালের বিপক্ষে জয় পেতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে রেড ডেভিলদের।খেলার চার মিনিটেই ইউনাইটেডের জালে বল জড়িয়ে দেন হালের জেমস চেস্টার। ১৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেভিড মাইলর। ১৩ মিনিটে ম্যাচের ফল দাঁড়ায়— হাল: ২, ম্যান ইউনাইটেড: ০! রেড ডেভিলদের ম্যাচে ফেরান ক্রিস স্মলিং। ১৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় ইউনাইটেড। ২৬ মিনিটে ইউনাইটেডের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন ফর্ম ফিরে পাওয়া ওয়েইন রুনি। ৯ গোলে লিগে রুনির অবস্থান তিনে।ইউনাইটেডের ভাগ্য ফেরে ৬৬ মিনিটে, হালের জেমস চেস্টারের আত্মঘাতী গোলে! ম্যাচ জেতে ৩-২ ব্যবধানে। লিগে টানা তৃতীয় জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান খুব একটা সুবিধার নয়। ১৮ ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে রুনিদের অবস্থান ছয়ে। রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।
দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গত মঙ্গলবার আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩২৮-এ দাঁড়ায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা রয়েছে। তাই এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পর হাজারো মানুষ মঙ্গলবার খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে। বেলুচিস্তানের আওয়ারান জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার জেলাটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সর্বাত্মক উদ্ধার তৎপরতা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল প্রদেশের দালবানদিন এলাকার ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি এত শক্তিশালী ছিল যে বেলুচিস্তান ছাড়াও পাকিস্তানের করাচি, হায়দরাবাদ এমনকি কয়েক হাজার মাইল দূরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও আরব আমিরাতের দুবাইয়েও এর কম্পন অনুভূত হয়। বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জান বুলেদি বলেন, আওয়ারান শহর ও এর আশপাশের গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।বুলেদি আরও বলেন, আহত কয়েক শ মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। জরুরি ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে করাচি ও আশপাশের জেলাগুলোর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাজারের বেশি সেনা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া ১০০ জনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটছে। প্রাদেশিক কর্মকর্তারা বলেছেন, আওয়ারান শহর ও এর আশপাশের গ্রামগুলোর অধিকাংশ ঘরবাড়ি মাটির তৈরি। ভূমিকম্পে প্রায় সব মাটির ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। জাতিসংঘের দুর্যোগবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রসঙ্গত, পার্বত্যসংকুল হওয়ায় ও পানির অভাবের কারণে বেলুচিস্তান একটি জনবিরল প্রদেশ। গত এপ্রিলে বেলুচিস্তানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিল।নতুন দ্বীপ: ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে পাকিস্তানের গাওয়াদার উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে আরব সাগরে ছোট্ট একটি দ্বীপ ভেসে ওঠে। এটি প্রায় নয় মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ও ১০০ মিটার লম্বা।চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে। হরতাল, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।চলতি অক্টোবর মাসে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চলছে পঞ্চম শ্রেণীর মডেল টেস্ট এবং দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এবং ২০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি)। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর শুরু হবে নতুন শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রম।বছরের শেষ দিকে পরীক্ষাগুলো সময় মতো অনুষ্ঠিত না হলে সন্তানদের শিক্ষাজীবন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে, এমন ভাবনায় বিচলিত অভিভাবকেরা।পেশায় ব্যবসায়ী অভিভাবক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়ে পিএসসি এবং ছেলে জেএসসি পরীক্ষা দেবে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চরম উৎকণ্ঠায় আছি। পরীক্ষাগুলো সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কি না, জানি না। বছরের প্রায় শেষ দিকে পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ পাওয়া যাবে কতটুকু? আবার এর পরপরই অনুষ্ঠিত হবে ভর্তি পরীক্ষা।’পিএসসি পরীক্ষার্থী লাকি আকতার বলে, ‘রাজনীতিবিদদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, দয়া করে আমাদের কথা একটু ভাবুন। পরীক্ষার জন্য আমাদের একটি মানসিক প্রস্তুতি থাকে। কোনো কারণে তা পেছালে সে প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটে। ফলে ফলাফল ভালো করা যায় না।’বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করব, সব রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে না পড়ে।’জানা যায়, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এখন এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা চলছে। আবার পিএসসির মডেল টেস্ট হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয় পিএসসি এবং জেএসসির কেন্দ্র হিসেবেও নির্ধারিত। ফলে হরতাল অথবা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পেছালে তা নতুন করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হবে।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমা হক বলেন, ‘আমাদের পঞ্চম শ্রেণীর মডেল টেস্ট শেষ হবে ২ নভেম্বর। ঠিকমতো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলে পিএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ব্যাহত হবে। এ ছাড়া আমাদের স্কুলে পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। ফলে এত কম সময়ের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়াও কঠিন হবে। মেয়েদের ওপরও চাপ পড়বে।’‘চেতনার জাগরণে বই’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত এই বইমেলায় দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ২৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলা উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।গতকাল জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রের পরিচালক অসীম সাহা।অসীম সাহা জানান, এবারের বইমেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রেরপক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় কোনো প্রবেশপত্র থাকবে না।মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মেলায় নতুন বই প্রকাশকরতে হবে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়দেওয়া হবে সাহিত্য পুরস্কার, মেলার সেরা বই, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত সেরা রিপোর্টসহ বিভিন্ন পুরস্কার।দেশের প্রথম সারির লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশিদেশের বাইরে থেকেও অনেক সাহিত্যিকও শিক্ষাবিদ অংশ নেবেন এই বইমেলায়। এবারই প্রথম মেলায় থাকছে লিটলম্যাগ কর্নার।রাশিয়া আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, বিষে নয়, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের। তবে মস্কোতে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ফায়েদ মোস্তফা বলেছেন, আরাফাত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, গত বছর আল জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রে আরাফাতের পোশাকে পলোনিয়াম ২১০ নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির বিষয়টি প্রচার করা হয়। এরপর আরাফাতের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।গত মাসে সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের পরীক্ষায় পলোনিয়ামের আলামত পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্বন্ধে তাদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা যে মত দিয়েছেন, সেভাবেই কথা বলেছেন রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাও। দুই পক্ষের অভিমত, পলোনিয়াম প্রয়োগে হত্যা করা হয়নি আরাফাতকে।রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ফরেনসিক সংস্থা ফেডারেল মেডিকো-বায়োলজিক্যাল এজেন্সির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, ‘ইয়াসির আরাফাত তেজস্ক্রিয়ার প্রভাবে মারা যাননি, স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।’১৯৯৩ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে অস্থায়ী শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন আরাফাত। পরে ২০০০ সালে তিনি এক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক পরিবেষ্টিত ফিলিস্তিনের রামাল্লার বাসভবনে আহারের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর চার সপ্তাহ পর ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান আরাফাত। তবে ফ্রান্সের চিকিত্সকেরা ওই সময় বলেছিলেন, তাঁরা ফিলিস্তিনি নেতার অসুস্থতার কারণ বের করতে পারেননি। সে সময় আরাফাতের মৃত্যুর কোনো ময়নাতদন্তও হয়নি।পরে আরাফাতের স্ত্রী সুহা আরাফাত বলেন, ঘনিষ্ঠ কারও দ্বারা তাঁর স্বামী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে অনেক ফিলিস্তিনি তাঁদের নেতার মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। যদিও ইসরায়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং ফলপ্রসূ’ সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে গত মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন অবরোধকে ‘হিংসাত্মক’ বলে উল্লেখ করেন রুহানি। রাসায়নিক অস্ত্রসংক্রান্ত নীতিমালা মেনে চলতে সম্মত হওয়ায় সিরিয়াকে স্বাগত জানান তিনি। এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানান রুহানি। জাতিসংঘে নতুন ইরানি প্রেসিডেন্টের প্রথম ভাষণে সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। তবে তিনি ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে অবস্থান এবং ড্রোনের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেছেন। রুহানি আরও বলেন, ইরানের কাছ থেকে তথাকথিত যে হুমকির আশঙ্কা করা হয়, তা কাল্পনিক। বিশ্ব বা কোনো অঞ্চলের জন্য ইরান আসলেই কোনো হুমকি নয়। ইরানের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষানীতি অনুযায়ী পারমাণবিক বা কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই। তা ছাড়া এ ধরনের অস্ত্র ইরানের মৌলিক ধর্মীয় ও নৈতিক অবস্থানের বিরোধী। তাই সব ধরনের উদ্বেগ দূর করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে স্বচ্ছতাপূর্ণ সম্পর্ক অর্জনের লক্ষ্যে ইরান অবিলম্বে সংলাপে বসতে চায়। মঙ্গলবারই রুহানির আগে জাতিসংঘে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, রুহানির অধিকতর উদারপন্থী অবস্থান অনুপ্রেরণাদায়ক। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ সফল হয় কি না, তা অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। সম্প্রতি ক্ষমতাগ্রহণকারী ইরানি প্রেসিডেন্ট রুহানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আগের চেয়ে খোলামেলা সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির কারণে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। তাদের সন্দেহ, তেহরান পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাদের দাবি, ওই পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট রুহানির ভাষণের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর ভাষায়, রুহানির বক্তব্য বিদ্বেষ ও ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ। ইরানে সামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে তিনি কোনো বাস্তবসম্মত ইঙ্গিত দেননি এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিও তিনি কোনো অঙ্গীকার করেননি।এদিকে বিশ্ব নেতাদের সম্মানে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করলেও তাতে যোগ দেননি প্রেসিডেন্ট রুহানি। ইরানি সংবাদমাধ্যম বলেছে, ভোজে মদ পরিবেশন করা হয়েছিল বলে রুহানি সেখানে যাননি। বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট।গ্রামীণফোন ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।এই প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ২০ লাখ সাত হাজার নতুন গ্রাহক যোগ করেছে। ফলে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ। আর বাজার হিস্যা অপরিবর্তিত আছে।গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সবার কাছে ইন্টারনেট দেওয়ার নতুন তথ্যভিত্তিক যুগের সূচনা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। থ্রিজি চালু হওয়ায় এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা আরও সম্ভবপর হবে।’আয়কর প্রদানের পর এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকা। আর গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি টাকা। আবার তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা।গ্রামীণফোন তার নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন এবং ১০ মেগাহার্টজ থ্রিজি স্পেকট্রাম কিনতে আলোচ্য সময়ে এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে চালু হওয়ার পর থেকে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এই সময়ে গ্রামীণফোন সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট ও শুল্ক আকারে মোট তিন হাজার ১২০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। আর করপোরেট ট্যাক্স দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা বেশি। বিজ্ঞপ্তি।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীপ্রাঙ্গণেমোর নাট্যায়োজন। আজকের নাটক দ্রোহ প্রেম নারী। নির্দেশনা দিয়েছেন রামিজ রাজু। জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।নাট-মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের নাটক বসন্ত জাগরণ। নির্দেশনা দিয়েছেন শাহমান মৈশান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউবাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে ১৫ জন শিল্পীর দলগত প্রদর্শনী। শিল্পীকর্মের সংখ্যা ৩৫টি। চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।ঢাকা আর্ট সেন্টার, ধানমন্ডিঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র নূর এ শফি আহনাফ এখন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার সাহায্যের জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনী ‘আর্ট একজিবিশন ফর আহনাফ’। আয়োজন করেছেন কলেজের শিক্ষকেরা। প্রদর্শনীর আজ শেষ দিন।স্টার সিনেপ্লেক্স পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি: বেলা ১১টা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। রিডিক: বেলা সোয়া ১১টা, একটা ৫০, বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। টাইটানিক থ্রিডি: বেলা তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে। বুলেট টু দ্য হেড: বেলা দুইটায়। স্টেপ আপ রেভোল্যুশন থ্রিডি: সকাল ১০টা ৫০ ও বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে।গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় বিএনপির নেতা ও সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এবং সংরক্ষিত আসনে বিএনপির নারী সাংসদ শাম্মী আখতারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।সাখাওয়াত হোসেনকে আট ও শাম্মী আখতারকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এই আদেশ দেন।রাজধানীর ভাটারা থানার মামলায় সাখাওয়াত হোসেনকে পাঁচ দিন এবং বনানী থানার পৃথক মামলায় শাম্মী আখতারকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।গতকাল বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে শাম্মী আখতার ও বকুলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।ছাত্রদল সভাপতি চার দিনের রিমান্ডেএ দিকে গত ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়াকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া আরও দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পল্টন থানা পুলিশ।৬ ডিসেম্বর ভোরে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিন মামলায় তিন দফায় তাঁকে নয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
দেশের রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগ পোশাক খাত থেকে এলেও খাতটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে কেউ নেই। প্রাকৃতিক বা মানবিক—যেকোনো বিপর্যয় তৈরি হলে যথাযথ দায়িত্ব পালন ও পদক্ষেপ গ্রহণে কাউকে পাওয়া যায় না।অযাচিতভাবে অনেক সময় অন্য মন্ত্রণালয়ও এই খাতের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। যেমন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাআন্দোলন করলে সম্প্রতি জড়িয়ে যায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। পোশাক খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মূলত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে—কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী (রুলস অব বিজনেস) অনুযায়ী পোশাক খাতের সবকিছুই এ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা শুধু রপ্তানির বিষয়টি দেখে থাকে। অন্য কিছু তাদের এখতিয়ারের বাইরে। অন্যদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের দেখার দায়িত্ব শুধু শ্রমিকদের শ্রম ও কর্মসংস্থানের দিক, এর বাইরের কিছু নয়।গত সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কিভাবে তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িত হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে বিদেশে গেছেন। যদিও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান দেশে রয়েছেন।তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক দেখভালের জন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ দরকার, ২৪ বছর আগেই তা মনে করেছিল তৎকালীন সরকার। ১৯৮৯ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছিল ‘অ্যাপারেল বোর্ড’ গঠনের খসড়া। এরপর অনেক সরকার এলেও বিষয়টি আর এগোয়নি। নেপথ্য কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয়গুলোর হীনম্মন্যতার পাশাপাশি কারখানার মালিকদের বিরোধিতাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এর আগে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, কাজটি করতে তিনি চূড়ান্ত অর্থেই ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর মতে, এই বোর্ড গঠিত হলে কারখানার কর্মপরিবেশ ভালো হবে, শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত হবে এবং বিদেশি ক্রেতারা কম মূল্যে পোশাক কিনতে পারবেন না। ফলে শ্রমিকদের ঠকাতেও পারবেন না মালিকেরা।বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোটা পোশাক খাতের দেখভালের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি কর্তৃপক্ষ গঠিত হলে খারাপ হবে না। তখন এক জায়গা থেকে এ খাতের যেকোনো সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া যাবে।’১০ বছর পর ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আবারও উপস্থাপন করা হয় স্বায়ত্তশাসিত অ্যাপারেল বোর্ড গঠনের প্রস্তাব। এতে বলা হয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বস্ত্রসেল তৈরি পোশাকের রপ্তানি-সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করলেও সার্বিক বিষয় তারা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। তবে অর্থ ও তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে তা আর হয়নি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার উদ্যোগ নিয়েও ‘নির্বাচিত সরকারই অ্যাপারেল বোর্ড গঠন করুক’ বলে পিছিয়ে যায়। ২০০২ সালের আগস্টে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি উদ্যোগ নিলেও এর বিরোধিতা করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ২০০৩ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাবিত বোর্ডের জন্য ২৬৫ জনবলের কাঠামো অনুমোদন করেন।এরপর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প বোর্ড আইন’-এর একটি খসড়া দাঁড় করায়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও অনুমোদন পায়নি।এরপর, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গঠিত কমিটির তৈরি করা আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয় ওয়েবসাইটে। কিন্তু কোনো মতামত পড়েনি এতে। অ্যাপারেল বোর্ড গঠনের বিষয়টিও ওই খানেই আটকে যায়।বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগে অ্যাপারেল বোর্ড চাইলেও এখন চাই আলাদা মন্ত্রণালয়। মোট কথা, পোশাক খাতকে একই ছাতার নিচে আনা গেলে মালিক-শ্রমিক সবার জন্যই ভালো হবে।’এ সপ্তাহের শুরুতেই ন্যূনতম মজুরি ৮,১১৪ টাকা করার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। মালিকপক্ষ মজুরি ৬০০ টাকা বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করতে চাইলে ফুঁসে ওঠেন শ্রমিকেরা। মজুরি বোর্ডের কিছু সদস্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে অভিজ্ঞতার জন্য বিদেশ সফরে যেতে তৈরি হচ্ছেন। এদিকে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আবারও আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশজুড়ে উদ্বেগউৎকণ্ঠা বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল। হরতালে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ। পাশাপাশি পোশাকশ্রমিক ও পেশাজীবীদের অনেককেই হরতালে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকেরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।সুলতান মাহমুদ: পান-সিগারেটের ছোট্ট দোকান চালিয়ে চারজনের সংসারের খরচ জোগাচ্ছেন সুলতান মাহমুদ। হরতালের ঘোষণা তাঁর মুখে ফেলেছে কালো ছায়া। ২৫ অক্টোবরের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির দিনই তিনি দোকানের অধিকাংশ রসদ সরিয়ে ফেলেছেন। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘হরতাল ডেকে বড় বড় নেতারা ঘরে বসে এসি রুমে টেলিভিশন দেখেন। আর রাস্তায় মারামারি করে আমাদের মতো মানুষেরা। এবার আর কোনো দলকেই ভোট দিব না।’মোহাম্মদ জামাল: সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ জামাল জানান, প্রতিদিন মালিককে ৬০০ টাকা জমা দেওয়ার পর যা বাকি থাকে, সেটি দিয়ে তাঁর সাতজনের পরিবার চলে। তিনি বলেন, ‘হরতালকারীরা তো দেখলেই আগুন দেয়, গাড়ি ভাঙে। তার পরও পেটের টানে জান হাতে নিয়ে নামি। গত হরতালে মালিক গাড়ি বের করতে দেয়নি। এবারও যদি তাই হয়, তাহলে পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।’পারুল বেগম: চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন পারুল বেগম। থাকেন পাহাড়তলীর অলংকার মোড় এলাকায়। অন্য দিন কারখানার মিনিবাস থাকলেও, হরতালের দিন থাকে না। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন দল বেঁধে এতখানি রাস্তা হেঁটে যাই। ভাঙচুরের ভয়ে গাড়িতে উঠি না। খুব কষ্ট হয়। তার পরও কারখানায় যেতে হয়। না গেলে তো চাকরি চলে যাবে।’হাসান মাহমুদ: বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হাসান মাহমুদকে প্রতি হরতালেই কর্মস্থলে যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘চাকরির স্বার্থে যত দুর্যোগই থাকুক, নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হয়। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত থাকেন সারা দিন।’দেশ টিভিসকাল ৮-০০ জ্যোতি।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ পৃথিবী তোমার আমার (রিয়াজ, শাবনূর)।বাংলাভিশনদুপুর ১-০৫ কমান্ডার (ইলিয়াস কাঞ্চন, সুবর্ণা মুস্তাফা)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ চোখের জল।মাছরাঙা টেলিভিশনসকাল ৯-০২ গণধোলাই (মান্না, শাবজান)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ গিরিঙ্গিবাজ (শাকিল খান, মৌসুমী, হুমায়ুন ফরীদি)।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৩৫ রক্তের অধিকার (ইলিয়াস কাঞ্চন, মৌসুমী)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ অভিনেত্রী (অভিষেক, শতাব্দী রায়, টোটা রায় চৌধুরী)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ পরশমনি (তাপস পাল, শতাব্দী রায়, সন্ধ্যা রায়)।সনি আটসকাল ১০-৩০ সমাধান (সৌমিত্র, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা)। বিকেল ৪-৩০ সংঘর্ষ (প্রসেনজিৎ, স্বস্তিকা, রজতাভ, মৃণাল)।জলসা মুভিজসকাল ৯-১৫ এই মন তোমায় দিয়েছি (সব্যসাচী চক্রবর্তী, প্রিয়া, বিজয়)। ১২-২০ দেবা (প্রসেনজিৎ, অর্পিতা)। ৩-৪০ প্রেম পূজারী (প্রসেনজিৎ, শতাব্দী রায়)। ৬-৩০ লে হালুয়া লে (মিঠুন, লাবনী, সোহম, হিরণ, পায়েল)। ৯-৩০ মন মানে না (দেব, কোয়েল মল্লিক)।জি সিনেমাসকাল ১০-০৯ এলান (অক্ষয় কুমার, মধু)। ১২-৫১ আর্য কি প্রেম প্রতিজ্ঞা (আল্লু অর্জুন, অনুরাধা)। ৩-৩৬ আদমি (মিঠুন, গৌতমী, দিব্যা ভারতী)। ৬-৩২ আজ কা অর্জুন (অমিতাভ বচ্চন, জয়াপ্রদা)। ৯-৩০ শের এ হিন্দুস্তান (আশীষ বিদ্যার্থী, মালাশ্রী)।জি প্রিমিয়ারসকাল ১০-০০ এক ঔর সংগ্রাম (রাজ শেখর, রামাইয়া, ব্রহ্মানন্দম)। ১-৩০ দেব (অমিতাভ বচ্চন, ফারদিন খান, কারিনা কাপুর)। ৫-৩০ জল্লাদোঁ কা জল্লাদ (অরুণ কুমার, স্নেহা)। ৮-৩০ চলো দিল্লি (অক্ষয় কুমার, লারা দত্ত)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-০০ ডন নাম্বার ওয়ান (নাগার্জুন, আনুশকা)। ১১-০০ ভির্তা দ্য পাওয়ার (আল্লু অর্জুন, শিলা)। ১-৩০ জামাই রাজা (অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত, হেমা মালিনী)। ৬-০০ যব তক হ্যায় জান (শাহরুখ খান, ক্যাটরিনা কাইফ, আনুশকা শর্মা)। ৯-৩০ প্রতিঘাত (রবি তেজা, মেঘনা)।স্টার মুভিজসকাল ১০-০০ দ্য সিম্পসনস মুভি। ১১-৩০ দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড: জুরাসিক পার্ক (জেফ গোল্ডব্লাম, জুলিয়ান মুর)। ১-৪০ রেক-ইট র‌্যালফ। ৩-২৫ হোয়াইট চিকস। ৫-১৫ অ্যালেক্স ক্রস। ৭-০০ সাংহাই নুন (জ্যাকি চ্যান, ওয়েন উইলসন)। ৮-৫০ দ্য ওয়াকিং ডেড। ১০-৩০ জন কার্টার।এইচবিওসকাল ৯-৩২ বিয়ারফেস্ট। ১১-৩৪ মিরর মিরর (জুলিয়া রবার্টস, লিলি কলিন্স)। ১-৩৭ লিমিটলেস (রবার্ট ডি নিরো)। ৩-৩৮ টোয়াইলাইট (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)। ৬-০৫ ইজি এ। ৭-৫০ কলেজ রোড ট্রিপ (মার্টিন লরেন্স)। ৯-৩০ দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (গ্যারি ওল্ডম্যান, ক্রিশ্চিয়ান বেল)।আলোকচিত্রী সাংবাদিক আফতাব আহমেদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক তাঁর গাড়িচালক মো. কবির। তাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে কবিরকে প্রধান আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার রামপুরা থানায় মামলা করেছেন আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ। এ মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।মো. কবির ১ ডিসেম্বর আফতাব আহমেদের গাড়িচালকের চাকরি পান। এর আগে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিকের গাড়িচালক ছিলেন মো. ওলি মিয়া। ওলি মিয়ার মাধ্যমেই গাড়িচালকের চাকরি পান কবির।ওলি মিয়া জানান, অনুনয়বিনয় করে সাংবাদিক আফতাব আহমেদের গাড়িচালকের চাকরি নেন মো. কবির। গত নভেম্বরে ওলি মিয়ার কাছে ফোন করে আফতাব আহমেদের বাসায় চাকরির অনুরোধ করেছিলেন কবির—এমন তথ্য দিয়ে বিকেলে মুঠোফোনে ‘প্রথম আলো’কে ওলি মিয়া বলেন, ‘আড়াই বছর সাংবাদিক স্যারের গাড়ি চালাইছি। আমি যাবার পর ওবায়দুল নামে আরেকজন স্যারের গাড়ি চালায়। ওবায়দুল এবং আমার সঙ্গে কবিরের পরিচয় ছিল। ওবায়দুল চাকরি ছাড়ার পর কবির আফতাব স্যারের গাড়ি চালাইতে আমারে ফোন দেয়।’ওলি মিয়া জানান, কবিরের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ জানান, ভোটার পরিচয়পত্রে গাজীপুর ঠিকানা দেখিয়ে ১ ডিসেম্বর চাকরি নেন কবির।রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, গাজীপুরের ঠিকানাতেই গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে কবিরকে পাওয়া যায়নি।কবির ভুয়া ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন, দাবি করে মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘পালানোর আগে কবির আফতাব আহমেদের বাসা থেকে আড়াই লাখ টাকা চুরি করেছে। আমার সন্দেহ, কবির এককভাবে এ ঘটনা ঘটায়নি। তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।’এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আফতাব আহমেদের সাবেক দুই গাড়িচালক ওলি, গৃহকর্মী নাসিমা ও তাঁর ছেলে নাজমুলকে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পৌনে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।পলাতক গাড়িচালক কবিরকে গ্রেপ্তার করা হলে আফতাব আহমেদ হত্যার কারণ বের হবে—এমন আশা করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব) উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত আফতাব আহমেদের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিরোধের খবর পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর পারিপার্শ্বিক সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে আজ বাদ জোহর প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে আফতাব আহমেদের মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।গতকাল দুপুরে রামপুরার বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা ডিবির।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আলোচিত অসংখ্য ছবি তুলেছিলেন আফতাব আহমেদ। তাঁর তোলা ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লব ইত্যাদি। তবে আফতাব আহমেদ সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় তোলা ‘জালপরা বাসন্তি’র ছবির কারণে। বাসন্তির সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করার পর ১৯৬৪ সালে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ ফটোসাংবাদিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। টানা কাজ করার পর ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ থেকে ২০০৬ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেন তিনি। ওই বছরই একুশে পদক পান আফতাব আহমেদ।
ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য বিনিময়সংক্রান্ত চুক্তি স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারি কেলেঙ্কারির জেরে ইইউ এই হুমকি দিল।ইইউ ও এনএসএ বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১০ সালে তথ্য আদানপ্রদান চুক্তি সই করে।এই চুক্তিবিষয়ক ইইউ কমিশনার সিসিলিয়া মালমস্ট্রোম বলেন, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তাতে তিনি অসন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে চুক্তি স্থগিত করা জরুরি। এনএসএর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট কমিটির আলোচনায় মালমস্ট্রোম বলেন, ‘এনএসএর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান শনাক্তকরণ প্রকল্প (টিএফটিপি) শুরু করে ২০১০ সালে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই বেশি চাপ ছিল। এই চুক্তির আওতায় ব্রাসেলসভিত্তিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (এসডব্লিউআইএফটি) ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য মার্কিন রাজস্ব বিভাগে পাঠানো হতো। সম্প্রতি প্রচার মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র এসডব্লিউআইএফটি ব্যবস্থার মাধ্যমে ইউরোপের নাগরিকদের ব্যক্তিগত লেনদেনের তথ্যও নিয়েছে।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপের অনেকেই। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক ডাচ্ সদস্য বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি ভঙ্গ করেছে। টিএফটিপি অকার্যকর হয়ে গেছে।ভারতের ওপর নজরদারি: ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস ও নিউ ইয়র্কে ভারতের জাতিসংঘ দপ্তরের ওপর গোয়েন্দাগিরি করেছিল এনএসএ। গোয়েন্দা সংস্থাটি এমন সব অত্যাধুনিক নজরদারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিল যে তার মাধ্যমে ওই দপ্তরগুলোর কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক কপি করা হয়ে থাকতে পারে। ভারতের দি হিন্দু পত্রিকা গতকাল লিখেছে, জোরদার গোয়েন্দাগিরির জন্য বেছে নেওয়া কয়েকটি দেশের সর্বোচ্চ গোপনীয় তালিকায় ছিল ভারত।সমালোচনায় দিলমা রুসেফ: মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ব্রাজিলের ওপর নজরদারির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ। সন্ত্রাসবাদ থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য অবৈধ নজরদারি করাটা যুক্তিযুক্ত কথা নয়। টেলিগ্রাফ ও ডন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের টানা তিন দিনের হরতাল, ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ, আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য বিরোধী পাল্টা সমাবেশ নিয়ে পর্যটন জেলা কক্সবাজার অশান্ত হয়ে উঠছে।পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত মুখোমুখি অবস্থানে আছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে।গত শুক্রবার বিকালে চকরিয়া পৌর এলাকায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (২৮) ও মিজানুর রহমান (২৩) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দিন পেকুয়া সদরেও বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।চকরিয়ায় দুই কর্মী হত্যার প্রতিবাদে শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তিনদিনের হরতাল কর্মসূচির পর এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কাঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে, তিনদিনের হরতালকে ঘিরে পর্যটন শহরে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে দলীয় ক্যাডারেরা গুলি করে বিএনপি কর্মীদের হত্যা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে পুরো জেলা অচল করার হুমকি দেন।অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ওইদিন বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়া বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিএনপি-জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিজিবি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির দুইকর্মীর মৃত্যু হয়। কিন্তু কার গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে-তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার চকরিয়া থানায় পুলিশ বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা রুজু করে। এতে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী সমর্থককে আসামি করা হয়েছে।নিহত মিজানুর রহমানের মা নুরুজ্জাহান বেগম (৩৫) গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে প্রথম আলোকে বলেন, মিজান (১৭) কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। পেশায় সে রাজমিস্ত্রী। বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির সময় ছোটভাইকে আনতে গিয়ে মিজান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।নিহত সাইফুল ইসলাম বাদশার বাবা মোক্তার আহমদ (৫০) বলেন, তাঁর ছেলে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক। বিজিবির গুলিতে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। এখন মামলা করলে কোনো বিচার পাবো না-তাই থানায় যাচ্ছি না।চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ারা বেগম বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে এই পৌরসভা এলাকায় সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই পৌরসভায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।এদিকে গত শুক্রবার বিকালে শহরের পাবলিক হল মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেছেন।পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) একে আহমদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে বিএনপি-জামায়াত।এদিক চকরিয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করে কক্সবাজার-৩ ( সদর-রামু) আসনের বিএনপির সাংসদ লুৎফুর রহমান বলেন, প্রশাসন এখন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। ২৪ অক্টোবরের পর সরকার ক্লিনিক্যালি ডেড হয়ে গেছে। ৭ নভেম্বরের পর এই সরকারের কবর রচনা করা হবে।কক্সবাজার পৌরবিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবং এই সরকারকে হঠাতে আমরা মাঠে থাকব।’শহরের টেকপাড়া বার্মিজ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাচিং রাখাইন বলেন, ‘দোকানপাট খুলতে পারছি না। কখন সংঘর্ষ শুরু হবে বলা যায় না, তাই দোকানের ঝাপ অর্ধেক খোলা রাখি।’ বিরোধী দলের ডাকা অবরোধের কারণে আগামী পরশু বুধবার অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে কি না, তা আগামীকাল মঙ্গলবার জানানো হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সোমবার রাতে প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানাব, সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে তাঁরা এই হিংসাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন। আশা করব নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করবেন। এরপরও কিছু না হলে পরীক্ষার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর চলমান বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, অবরোধে পরীক্ষা চলতে পারে। আর এটাতো বিদ্যালয়ভিত্তিক পরীক্ষা। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে সমস্যা হলে স্কুলগুলো নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে পারবে।বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ২৯ ডিসেম্বরের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ প্রতিরোধের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সৈয়দ আশরাফ এ আহ্বান জানান।বিবৃতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের মানসিকতা স্বাধীনতাবিরোধী, সেই অশুভ শক্তির আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তাদের সর্বাত্মক প্রতিরোধ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয়ের মাসে পাকিস্তানিদের দোসর, নরঘাতক, রাজাকার, আলবদর, আলশামস আমাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকাকে নতুন করে অবমাননার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আনা নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যারা নীরব, তাদের হাতে আমাদের গৌরবের প্রতীক পতাকা শোভা পায় না। তারা পতাকা মিছিলের কথা বলে পতাকার অবমাননা করতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) কর্মসূচি (স্কিম) অনুমোদনের আগে গতকাল বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত শুনানিতে অংশ নিয়েছে ডিএসই।নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।জানা গেছে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন-পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জের ১৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করেছে ডিএসই। আটজন স্বতন্ত্র পরিচালক, ছয়জন শেয়ারধারী পরিচালক ও বাকি একজন কৌশলগত পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সমন্বয়ে এই পর্ষদ গঠনের সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিএসইসি ডিমিউচুয়ালাইজেশনের যে খসড়া তৈরি করেছে তাতে ১৩ জনের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব ছিল। এখন সেই সংখ্যা আরও দুজন বাড়িয়ে ১৫ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই।এ ছাড়া শুনানিতে ডিএসইর নিকুঞ্জ ও মতিঝিল ভবনের বিষয়েও নিজেদের মতামত তুলে ধরা হয় বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সিএসইর পক্ষ থেকেও ডিমিউচুয়ালাইজেশন-পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শুনানির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিএসইসি ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কিম অনুমোদন করবে বলে জানা গেছে।দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মংলা সমুদ্রবন্দরে পণ্যবোঝাই ও খালাসের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। খবর বাসসের।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মেঘমালার কারণে মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর থেকে মংলা ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে এবং থেমে থেমে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের অনিশ্চয়তা দূর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ রাতে হানিফ তাঁর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় ছিল। তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে।’ প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলে তা গ্রহণযোগ্য হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘একটি নির্বাচনে দেশের সব দল অংশগ্রহণ করে না। আসল বিষয় হচ্ছে জনগণ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন। আপনারা লক্ষ্য করেছেন দেশের জনগণ নির্বাচন নিয়ে উত্সাহী হয়ে উঠেছে। তাই অবাধ সুষ্টু নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ অন্যান্য দলের সঙ্গে কি দেশের প্রধান বিরোধী দলের তুলনা চলে— এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার সব রকম চেষ্টা আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, মির্জা ফখরুলকে তাগাদা দেওয়া এগুলো দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।’ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা বিগত সময়ে দেশের সবগুলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তাই আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে বলব, দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচনে আসুন। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্ররোচণায় নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন না। স্বাধীনতাবিরোধী এ শক্তি নির্বাচন চায় না। তাদের রাহুমুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে আসুন।’২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধী দলের ডাকা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের উপ কমিটির আহ্বানে সাড়া দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি ইসির এখতিয়ারে নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘এটা নির্বাচনী সমাবেশ নয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই।’এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটি। কমিটির আহ্বায়ক মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ২৯ ডিসেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি দিয়েছেন, তা নির্বাচন আইনের পরিপন্থী। এ ধরনের কর্মসূচি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’ ওই আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা জানান সিইসি।গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির ডাক দেন। ওই দিন সারা দেশ থেকে সব সক্ষম নাগরিককে ঢাকায় এসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রাজনীতিকে অপরাধীমুক্ত করতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশের বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্তের ঘোরতর বিরোধিতা শুরু হয়েছে।বিজেপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অর্ডিন্যান্সে সই না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আম আদমি পার্টি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই অর্ডিন্যান্সের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, অপরাধী নেতাদের বহাল রাখতে সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে যে সংশোধন করেছিল, তা সংবিধানবিরোধী। সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট ধারাটিকে খারিজও করে দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় সরকার বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় একটি বিল আনে। নানা প্রশ্নের মুখে সেটি স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটির প্রতিবেদন আসার আগেই কেন অর্ডিন্যান্স, সেই প্রশ্নই তুলেছে বিজেপি ও বামপন্থীরা।তাড়াহুড়োর যে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলে আলোচিত, তার কেন্দ্রে রয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য রশিদ মাসুদ ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ। দুর্নীতির এক মামলায় সম্প্রতি তাঁর দুই বছরের সাজা হয়েছে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদ অন্যতম অভিযুক্ত। লালু এ সংক্রান্ত মামলায় অন্তত দুই বছরের সাজা পেলে রশিদ মাসুদের মতো তাঁকেও সংসদ সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আরও অনেক নেতানেত্রীই বিভিন্ন মামলায় জড়িত।বিজেপির নেত্রী সুষমা স্বরাজ মঙ্গলবার রাতেই টুইট করে বিরোধিতার কথা জানিয়ে দেন। বুধবার দুই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে প্রকাশ কারাত ও ডি রাজা অর্ডিন্যান্সের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অর্ডিন্যান্সে সই করতে রাষ্ট্রপতি বাধ্য নন। তিনি ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। ফেরতও পাঠাতে পারেন। তবে দ্বিতীয়বার সেই অর্ডিন্যান্স পাঠানো হলে রাষ্ট্রপতি সই করতে বাধ্য। ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম রাজনীতিকদের তথ্যজ্ঞাপন বিষয়ে আনা সরকারি অর্ডিন্যান্স প্রথমবার ফেরত পাঠিয়েও দ্বিতীয়বার সেই অর্ডিন্যান্সে সই করতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রণব মুখোপাধ্যায় কী করবেন, সেটাই দেখার বিষয়।ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরীভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, নগর আওয়ামী লীগপ্রথম আলো: বিরোধী দল আবার হরতালের ডাক দিয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কী করবে?ইব্রাহিম: অতীতের মতোই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নগরের ২৪টি স্থানে জমায়েত থাকবে। কারও গণতান্ত্রিক অধিকারে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি জনমত গড়ে তুলব। তবে হরতালের নামে নৈরাজ্য-ভাঙচুর করা হলে তা প্রশাসন দেখবে।প্রথম আলো: একদিকে প্রস্তাব-পাল্টা প্রস্তাব অন্যদিকে আন্দোলন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?ইব্রাহিম: ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মতো বিজ্ঞ ব্যক্তি বলছেন খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে যে অবৈধ সরকার বলছেন, তা অসাংবিধানিক। তারা একটি প্রস্তাব দিল। সে প্রস্তাব এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে তারা আবার হরতালের ডাক দিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টের পথে হাঁটছে।প্রথম আলো: সরকারি দল হিসেবে আপনারা প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিধা বেশি পান এমন অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।ইব্রাহিম: যদি প্রশাসনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আমরা লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করতাম। আমাদের মঞ্চ তো সেখানে তৈরি ছিল। কিন্তু আমরা সমাবেশ করেছি শহীদ মিনারে।প্রথম আলো: আপনাদের সমাবেশের চেয়ে বিরোধী দলের সমাবেশে লোক সমাগম বেশি ছিল!ইব্রাহিম : বিরোধী দলের সমাবেশ ছিল ১৮ দলের। তা ছাড়া মহানগর, উত্তর-দক্ষিণের লোকও সমাগম করেছে তারা। আর আমাদের সমাবেশ ছিল শুধু নগর আওয়ামী লীগের। সে দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের লোক সমাগম বেশি হয়েছে।প্রথম আলো: আন্দোলন মোকাবিলা এবং নির্বাচন প্রস্তুতি—কোনটা কীভাবে করবেন?ইব্রাহিম: নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের চলছে। সেখানে যে ব্যক্তিকেই প্রার্থী করা হোক, আমরা তাঁকে সমর্থন করব। অন্যদিকে, বিরোধী দলের প্রগতি ও শান্তির বিরুদ্ধে যে কথিত আন্দোলন, তার বিরুদ্ধে রাজপথে থাকবে আমাদের নেতা-কর্মীরা।দুই ইনিংসেই জনসনের শিকার। ব্রিসবেন টেস্টে সংগ্রহ মোটে ১৯ (১০ ও ৯)। রান খরায় ভুগছেনও দীর্ঘদিন। গত জুলাই-আগস্টের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার সময় ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ। সর্বশেষ চার টেস্টে তার ঝুলিতে মোটে একটি অর্ধশতক। বোঝা যাচ্ছে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ইংলিশ ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রটের। কিন্তু তাই বলে সরেই দাঁড়াবেন ব্যাট-বলের লড়াই থেকে? ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ‘মানসিক-চাপজনিত অসুস্থতা’র কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন অ্যাশেজ সিরিজ থেকে। ইতিমধ্যে দেশের পথে রওনাও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড দলের জন্য আরেকটি ধাক্কা হয়েই এসেছে ট্রটের সিদ্ধান্ত! মূল সমস্যা কি সেটি অবশ্য খুলে বলেননি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি)। কেবল বলেছেন, ‘আসলে খেলার জন্য শতভাগ ফিট নয়। আগে যেভাবে খেলেছি, সেভাবে এখন খেলতে পারছি না। এক্ষেত্রে একমাত্র করণীয়— বিশ্রাম নেয়া। এখন কেবল সুস্থতা নিয়েই ভাবছি।’ ট্রটের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ছিটকে পড়ায় বেশ ভাবনায় পড়েছে ইংল্যান্ড দল। ট্রট কবে ফিরবেন সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে পারেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। শুধু জানিয়েছে, ট্রট ‘অনির্দিষ্ট সময়ে’র জন্য বিরতি নিয়েছে। সুস্থতার উপর নির্ভর করছে কবে ফিরবেন। ইংল্যান্ড দলে অবশ্য এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। বছর ছয়েক আগে অ্যাশেজ সফরে মার্কাস ট্রেসকোথিকও ‘বিষণ্নতা’র কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন সিরিজ থেকে। এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি ট্রেসকোথিক। সংগতকারণে ট্রটের প্রতি তাঁর দরদও খানিকটা বেশি। ‘প্রথম দিকে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা কিংবা কারো সঙ্গে কথা বলা খুবই কঠিন। আমি নিশ্চিত ওর মোটেও ভালো লাগছে না। তবে সে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিবিসি রেডিওকে বলেছেন ট্রেসকোথিক। কেন এমন অপ্রত্যাশিত ‘বিদায়’ ট্রটের? কারণ হিসেবে অনেক কথাই উঠছে। কেউ বলছেন সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা কিংবা ব্রিসবেনে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ানদের স্লেজিং ট্রটের মানসিক চাপ সৃষ্টিতে দায়ী। এ কারণে অন্যতম সমালোচক মাইকেল ভন ভুগছেন অনুশোচনায়, ‘এ সপ্তাহে ট্রটকে সমালোচনা করায় নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হচ্ছে। আসলে জানতাম না ও এমন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যা দেখেছি কেবল সেটি নিয়েই মন্তব্য করেছি।’ টুইটারে লিখেছেন ভন।এদিকে আগের দিন মাঠে অস্ট্রেলিয়ানরা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বাজেভাবে উত্ত্যক্ত করার প্রসঙ্গটিও এসেছে। সেসব ট্রটের ওপর প্রভাব ফেলেছে কিনা, তা নিয়েও বেশ জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। অবশ্য ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাঙ্গাস পোর্টার জানিয়েছেন, ‘ট্রটের সমস্যা মাঠে অস্ট্রেলিয়ানদের উত্ত্যক্ত কিংবা সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার কারণে নয়। এটি সম্ভবত তাঁর মস্তিষ্ক সংশ্লিষ্ট সমস্যা।’সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগলেও ২০০৯ সালে অভিষেকের পর নিজেকে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবেই প্রমাণ করেছিলেন ট্রট। ৪৯ টেস্ট খেলে ৪৬ দশমিক ৪৫ গড়ে করেছিলেন ৩ হাজার ৭৬৩ রান। যার মধ্যে আছে নয় শতক ও ১৮টি অর্ধশতক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নিজের সঙ্গেই যেন আর পেরে উঠছিলেন না।পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে কঠোর হাতে নৈরাজ্য দমন করতে বদ্ধপরিকর সরকার। ২৯ তারিখ ঢাকা শহরে সমাবেশের নামে কাউকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে, পুলিশ মারা গেছে। এটি তাণ্ডবের পূর্বাভাস।আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশ করতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা যেভাবে জাতীয় পতাকার দণ্ড হিসেবে লাঠি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে সহজেই অনুমান করা যায় বিএনপি সমাবেশের নামে সারা দেশের সন্ত্রাসীদের জড়ো করে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর আগে সমাবেশের নামে দেশবাসী ঢাকা শহরে তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করেছে। কাজেই জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে ২৯ তারিখ এ ধরনের নৈরাজ্য কঠোর হস্তে দমন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে সারা দেশে ৫০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা শুধু জনগণের বিরুদ্ধে নয়, প্রকৃতির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গবাদিপশুও তাদের হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শেখ জাহাঙ্গীর আলম, শাহে আলম মুরাদ, ইয়াহিয়া জামান, বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার, জি এম আতিক প্রমুখ।
নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলার বৈশিষ্ট্য কেবল মানুষের মধ্যেই নয়, অন্য প্রাণীর মধ্যেও রয়েছে। মার্কিন গবেষকেরা নিউইয়র্ক সিটির একটি চিড়িয়াখানায় (সেন্ট্রাল পার্ক জু) টামারিন বানর প্রজাতির মধ্যে এই ফিসফিসানির বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন।জু বায়োলজি সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা দেখতে পান, চিড়িয়াখানার কোনো কোনো কর্মীকে টামারিন বানররা অপছন্দ করে। আর সেই কর্মী আশপাশে এলেই বানরগুলো নিজেদের মধ্যে ফিসফিসিয়ে তথ্য বা ভাব বিনিময় করে। গবেষকেরা বলছেন, এই প্রাণীর যোগাযোগ-দক্ষতা অসাধারণ। মানুষ ছাড়া প্রাইমেট বর্গের অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে ফিসফিসানির বৈশিষ্ট্য এই প্রথম শনাক্ত করা হলো। ইনডিপেনডেন্ট।আকারকাঠবিড়ালির সমান টামারিন বানরের আবাস মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চলে। তুলার মতো মসৃণ লেজ রয়েছে। জীবনকালপ্রায় ১৮ বছর বাঁচে।আচরণদলবদ্ধভাবে থাকে। এক একটি দলের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৪০।ওজনপ্রতিটির ওজন আধা কেজি পর্যন্ত হয়। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, রাস্তাঘাটও এবড়োখেবড়ো। সন্ধ্যা হলেই পুরো এলাকা হয়ে উঠত ভুতুড়ে। তবে এ দৃশ্য এখন বদলে গেছে সৌরবিদ্যুতের বদৌলতে। আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন রায়পুরের দক্ষিণ গহিরা ও তার আশপাশের এলাকার কয়েক শ ঘর আলোকিত করছে সৌরবিদ্যুৎ।রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গহিরা, ঘাটকুল ও বারো আউলিয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি দোকান ও বসতবাড়ির ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল শোভা পাচ্ছে। বিদ্যুতের সংযোগ না পেলেও সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে ঘর আলোকিত হওয়ায় খুশি এখানকার বাসিন্দারা।জানা গেছে, রায়পুরের দক্ষিণ গহিরা, ঘাটকুল ও বারো আউলিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ঘেঁষে তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় সন্ধ্যার পর দৈনন্দিন কাজ চলত হারিকেনের আলোয়। রাত গভীর হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাজ ও খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়তে হতো। তবে সেসব দিন এখন অতীত। বর্তমানে সৌর প্যানেলের কল্যাণে ঘরে ঘরে আলো জ্বলছে।স্থানীয় লোকজন জানান, বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে সৌর প্যানেল কিনছেন তাঁরা। কিস্তিতে কিনলে এক সেট সৌর প্যানেলের দাম পড়ে ১৩ হাজার ৭০০ টাকা।দক্ষিণ গহিরা গ্রামের মনির আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কিস্তিতে ১৩ হাজার ৭০০ টাকা দামে এক সেট সৌর প্যানেল কিনেছি গ্রামীণ শক্তির কাছ থেকে। প্রতি সপ্তাহে ৩০০ টাকা করে কিস্তি দিয়ে এ টাকা শোধ করছি।’ তিনি আরও জানান, এক সেট সৌর প্যানেল থেকে তিনটি বাতি জ্বালানো যায়। বারো আউলিয়া এলাকার বাসিন্দা আমানুল হক বলেন, এলাকার অন্তত ২০০ বসতবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে।জানতে চাইলে বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ শক্তির মাঠ সহকারী উত্তম বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট দামে গ্রাহকদের কাছে সৌর প্যানেল বিক্রি করি। ভোল্টেজের অনুপাতে এক সেট প্যানেলের দাম ১৩ হাজার থেকে ৭০০ টাকা থেকে ৫৪ হাজার পর্যন্ত হয়। এতে তিনটি থেকে ১২টি পর্যন্ত বাতি জ্বালানো যায়।বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাসের বাসায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাত ১০টার দিকে তারা অধ্যক্ষের বাসায় দুই দফা ককটেল ছুড়ে মারে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। এ ছাড়া আজিজুল হক কলেজের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।এর আগেও হরতালে অধ্যক্ষের বাড়িতে ককটেল ছুড়েছিল হরতাল সমর্থকরা।‘প্রতিকূল পরিস্থিতির’ মধ্যেও আগামী রোববার ঢাকায় বড় ধরনের জমায়েত করতে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। সরকার ঢাকায় আসতে বাধা দেবে—এমনটি ধরে নিয়ে আগেভাগে নেতা-কর্মীদের একটি অংশকে ঢাকায় আনার কৌশল নিয়েছে জোট।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সরকারের কঠোর অবস্থানেও ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত ঘটানোর বিষয়ে জোট এখনো অনড়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও তাতে যোগ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ভাবছেন না। এ জমায়েতের মাধ্যমে তাঁরা সরকারের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে চান। তাঁরা আশা করছেন, বাধাবিপত্তির মধ্যেও বড় ধরনের জমায়েত হবে।দলীয় সূত্র বলছে, ঢাকায় আসার পথে যেখানে বাধা দেওয়া হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বা অবস্থান নেওয়া হবে। যাঁরা আগেই ঢাকায় পৌঁছাবেন, তাঁদের হোটেলে না থেকে আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের বাসায় ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও অভিযাত্রার প্রস্তুতি যথেষ্ট নাজুক। যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, সেভাবে জমায়েত করা যাবে কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।বিএনপির সূত্র জানায়, সরকার ঢাকায় আসতে বাধা দেবে—এমনটি ধরে নিয়েই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভাগ করে একটি অংশকে শনিবারের আগেই ঢাকায় চলে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুসারে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন।বিএনপি মনে করে, শনি-রোববারে তাঁদের কর্মীদের কোনভাবেই ঢাকায় আসতে দেবে না সরকার। তার পরও তাঁদের নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ সারা দেশ থেকে রোববার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। তাঁদের যেখানেই বাধা দেওয়া হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে বাধা দিলে তা হবে সরকারের জন্য ‘আত্মঘাতী’।প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ১৮-দলীয় জোট আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সুতরাং সারা দেশে নেতা-কর্মীরা সব সময়ই যেকোনো ধরনের কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত। সরকার শেষ পর্যন্ত কর্মসূচিতে বাধা দেবে না, এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জোটের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে সরকার কোনো অগণতান্ত্রিক আচরণ করুক, তা তাঁরা চান না। বাধা দিলে পরবর্তী যে কঠোর কর্মসূচি আসবে, তাতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।আমাদের বগুড়া প্রতিনিধি জানান, ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বগুড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। গণতন্ত্রের অভিযাত্রার এই কর্মসূচিতে যোগদানে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সরকার নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় বগুড়া থেকে ‘আগাম ঢাকা চলো’ কৌশল নিয়েছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ কর্মসূচিতে বগুড়া থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মী যোগদানের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন। অবশিষ্ট নেতা-কর্মীরা শুক্রবারের মধ্যে নিশ্চিত ঢাকায় পৌঁছে যাবেন। বগুড়া থেকে ৫০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাবেন। তিনি জানান, ঢাকায় যাওয়ার পথে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।বগুড়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যেই ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর বগুড়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোটেলে না উঠে আত্মীয়স্বজন কিংবা অন্য কোথাও থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম থেকে হাজার পাঁচেক নেতা-কর্মী অংশ নিতে পারেন। সেই রকম প্রস্তুতি নিয়ে গত বুধবার রাত থেকে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাওয়া শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়ানোর জন্য নেতা-কর্মীদের দলবদ্ধভাবে ঢাকায় যেতেও নিরুত্সাহিত করা হয়েছে।বিএনপির স্থানীয় নেতারা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ২০ হাজার লোকের জমায়েত করবেন বলে প্রচার করছেন। অগ্রবর্তী দলের সদস্যরা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা বুধবার চট্টগ্রাম ছাড়েন তাঁদের সংখ্যা বেশি নয় বলে জানা গেছে।নগর বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ঢাকা অভিমুখে ২০ থেকে ৪০ হাজার নেতা-কর্মী যাচ্ছেন বলে আমরা প্রচার করছি। আসলে পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে নেই। তাই প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সর্বনিম্ন ১২০ জন করে ঢাকায় যাওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নিজ উদ্যোগে তাঁদের ঢাকায় অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’আমাদের কুষ্টিয়া অফিস জানায়, কর্মসূচিতে যোগ দিতে কুষ্টিয়া থেকে জেলা বিএনপি ও হেফাজতের নেতা-কর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা যাওয়া শুরু করেছে। জেলার প্রত্যেক উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের জরুরি বৈঠক করেছেন।জানতে চাইলে জেলা হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল বলেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা বাস-ট্রেন যোগে ঢাকা যাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে কুষ্টিয়া থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। দলীয় কর্মসূচিতে আপনারা কেন যাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে হেফাজতের ওই নেতা বলেন, ‘জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আলেমরা অভিযাত্রায় যাচ্ছেন।’জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সভা শেষ হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা কমিটির সভা আছে। যাদের ঢাকায় থাকার জায়গা আছে, তারা ইতিমধ্যে চলে গেছে। বাকিরা পর্যায়ক্রমে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার কর্মসূচিতে যোগ দেবে।গত মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। ওই দিন সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণকে পতাকা হাতে ঢাকায় এসে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।সমমনা দলগুলোর প্রস্তুতি: এ কর্মসূচির প্রতি ইতিমধ্যে সংহতি জানিয়েছে ১৮-দলীয় জোটের বাইরে থাকা জাতীয় পার্টি (জাফর) ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ। কাজী জাফর কর্মসূচি সফল করতে আগামীকাল বিকেলে কর্মিসভার ডাক দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি রহিমা ফুডের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার লেনদেন শুরুর চার মিনিটের মাথায় সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে এটির লেনদেন স্থগিত করা হয়।ডিএসই কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছুদিন ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে গত দুই দিনে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দুটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হলো।ডিএসইর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাত্র চার মিনিটের লেনদেনে গতকাল রহিমা ফুডের প্রতিটি শেয়ারের দাম দুই টাকা ৭০ পয়সা বা সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে যথারীতি কোম্পানিটির শেয়ারের স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম গত এক মাসে প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে। গত ২৫ আগস্ট যেখানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা ৬০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে গতকাল তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ২০ পয়সা।এর আগে গত মঙ্গলবার সিভিও পেট্রোকেমিক্যালসের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। সেসঙ্গে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করার কথা জানিয়েছে ডিএসই। সংস্থাটি বলছে, তদন্তকাজ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।এদিকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোম্পানি নিজে থেকেই ডিএসইকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছে।লিগ্যাসি ফুটওয়্যার জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই।দক্ষিণে পাশে বিশাল পাহাড়। পশ্চিমে প্রায় ১২০ কিলোমিটার লম্বা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট। মাঝখানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিশাল গলফ মাঠ। আর এই মাঠেই তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ক্রিকেট স্টেডিয়াম।গত ৩ সেপ্টেম্বর উখিয়ার দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিফলকও উন্মোচন করেন। স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আগামী বছরের (২০১৪ সালে) ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি মাহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসর। তার আগেই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য গলফ মাঠের ৫১ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো মাঠের বাইরে পাকা দেয়ালের সীমানা প্রাচীর তৈরি হয়ে গেছে। প্রাচীরের ভেতরে তৈরি হচ্ছে মাঠ। লাগানো হচ্ছে সবুজ ঘাস। ঘাসগুলো আনা হয়েছে ঢাকার বিকেএসপি (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) থেকে। মাঠের মাঝখানে তৈরি করা হচ্ছে দুটি পিচ। মাঠের একপাশে গড়ে উঠছে খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম। অন্যদিকে তৈরি করা হচ্ছে এক হাজার ৫০০ জন ধারণক্ষমতার একটি দৃষ্টিনন্দন গ্যালারি। এর নিচে তৈরি হবে খেলোয়াড়দের আরেকটি ড্রেসিংরুম।নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুমন বড়ুয়া জানান, গত ১২ জুলাই থেকে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে কাজ শেষ হবে। এখন গ্যালারির ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি মাহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট দিয়েই এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হবে। তখন পর্যটন শহর কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) একটি প্রতিনিধিদল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য নির্বাচিত কক্সবাজারের ভেন্যু (সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন স্টেডিয়াম) পরিদর্শন করেন।বিসিবি পরিচালক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আইসিসি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ভেন্যু পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই ভেন্যুর কাজ শেষ করব। এই নিশ্চয়তা তাঁদের দিয়েছি।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আইসিসি টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ টুর্নামেন্টে ১৬টি দেশ অংশ নেবে। একই সময় আটটি দেশের অংশগ্রহণে মহিলা টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর অন্যতম ভেন্যু কক্সবাজার।কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, সমুদ্রতীরে দৃষ্টিনন্দন এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে কারও মন ছুঁয়ে যাবে। এই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট খেলা দেখার পাশাপাশি সমুদ্র দর্শন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। পাল্টে যাবে কক্সবাজারের চেহারা।কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ কক্সবাজারবাসীর প্রাণের দাবি ছিল। বর্তমান সরকার সেই দাবিটি পূরণ করছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কথা আরও ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বে। ফলে পর্যটক বেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন পুলিশের তিন কর্মকর্তা। আজ সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে অবরোধের সমর্থকেরা ককটেল ছুড়ে মারলে তাঁরা আহত হন।আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম ও পুলিশ পরিদর্শক মিরাজ হোসেন। তাঁদের মধ্যে ফারুক আহমেদ পুলিশ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন। বাকি দুজনকে বগুড়ার ২৫০ শয্যা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।একটা সময়ে দুজন ছিলেন মানিকজোড়। দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল প্যারিস হিলটন আর লিন্ডসে লোহানের মধ্যে। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকে প্যারিসের ভাই ব্যারন হিলটনকে মারধরের ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে লিন্ডসে অভিযুক্ত হলে তাঁর ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন প্যারিস। সম্প্রতি প্যারিস জানিয়েছেন, লিন্ডসে তাঁর কাছে মৃত এবং কখনোই হলিউডের ‘প্রবলেম সেলিব্রিটি’ এই অভিনেত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাবেন না তিনি।সম্প্রতি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় প্যারিস বলেন, এ বছর তিনি তাঁর নিজের করা দুষ্টু মানুষের নামের তালিকায় লিন্ডসের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। একসময়ের কাছের বন্ধু লিন্ডসের সঙ্গে কখনোই মিটমাট করবেন না বলেও জানান ৩২ বছর বয়সী মার্কিন এ মডেল, অভিনেত্রী ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে টিএমজি ডটকম।প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে মায়ামিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্যারিস হিলটনের ছোট ভাই ব্যারন হিলটনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ব্যারনকে মারধরের ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগের আঙুল ওঠে বিতর্কিত হলিউডের অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহানের দিকে। মায়ামির একটি আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্যারিস, ব্যারন ও লিন্ডসে। প্যারিসের ভাই ব্যারনের দাবি, অনুষ্ঠানে প্রথমে তাঁকে গালিগালাজ করেন লিন্ডসে। এরপর লিন্ডসের অনুরোধে তাঁর এক বন্ধু ব্যারনের গায়ে হাত তোলেন। সে সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যারনকে মারার ঘটনা দেখে হাসছিলেন লিন্ডসে।তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটির জন্য লিন্ডসেকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে শাসিয়েছিলেন প্যারিস। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘যে কাণ্ড তাঁরা ঘটিয়েছেন, তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে তাঁদের। আমার পরিবারের কোনো সদস্যের পেছনে লেগে কেউ পার পেতে পারবে না।’ব্যারনের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর মুখের কয়েক জায়গায় কেটে যাওয়ার পাশাপাশি কালশিরা পড়ে যায়। ব্যারনের আহত অবস্থার ছবি ফটো ও ভিডিও-শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইন্সটাগ্রামেও পোস্ট করেছিলেন প্যারিস।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল বুধবার দেশ ছাড়ার আগে এ কথা বলেছেন মনমোহন।আগামী রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মনমোহনের বৈঠক হওয়ার কথা সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউইয়র্ক সফরকালে আমাদের প্রতিবেশী আরও কয়েকটি দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেব। এর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানও আছে।’তবে মনমোহন পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন। সংশয়ের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর বক্তৃতার আগের দিন বক্তব্য দেওয়ার কথা নওয়াজ শরিফের। তিনি (নওয়াজ) যদি তাঁর বক্তৃতায় কাশ্মীর ইস্যুতে বিতর্কিত কোনো বিষয় উল্লেখ করেন, তাহলে বৈঠক ভেস্তে যাবে। এনডিটিভি।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসভাপতি, নগর বিএনপিপ্রথম আলো : আবার ৬০ ঘন্টার হরতাল। আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?আমীর খসরু: জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশনেত্রী সংলাপের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংলাপ শুরু না হলে রোববার (আজ) থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল শুরু হবে। জনগণই তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।প্রথম আলো: আওয়ামী লীগ হরতাল প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে। এতে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি?আমীর খসরু: আমরা তো কিছু করব না। আওয়ামী লীগ জনগণের মুখোমুখি হতে চাইলে আমাদের কী করার আছে। তাহলে সমস্যা তো আওয়ামী লীগই তৈরি করবে। জনগণই রাজপথে তাঁদের প্রতিহত করবে।প্রথম আলো: তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার শঙ্কা তো থেকে যায়। কী মনে হয় আপনার?আমীর খসরু: জনগণ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হরতাল পালন করবে। এই অধিকার পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত সহযোগিতা করা, আওয়ামী লীগ বাধা দিলে সেটাও প্রতিহত করা। যেমন আমরা শুক্রবার সমাবেশ ডেকেছিলাম। সেটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের দাবির মুখে প্রশাসন সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ করে দেখিয়ে দিয়েছি, জনগণ এই সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে।আর যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা জনগণই রাজপথে রুখে দেবে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি কেন হবে?প্রথম আলো: অবস্থার উন্নতির জন্য এখন করা উচিত?আমীর খসরু: দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন—এটা প্রধানমন্ত্রীকে উপলব্ধি করতে হবে। আমাদের দাবির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কাছাকাছি একটা অবস্থানে গেলে ভালো কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী, দেশ ও গণতন্ত্র—সবই রক্ষা পাবে। আমরাও শান্তি চাই, জানমালের নিরাপত্তা চাই। তবে এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নমনীয় হতে হবে।গোপালগঞ্জে চার দশক আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যার মামলাটি ষষ্ঠবারের মতো হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্থগিত করেছেন। আজ সোমবার গোপালগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলাটি শুনানির নির্ধারিত দিন ছিল।স্থগিতাদেশের জন্য গোপালগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নূর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আগামী ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এ নিয়ে হাইকোর্ট মামলাটি ষষ্ঠবারের মতো স্থগিত করল।বাদীপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন সরদার জানান, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর তিন মাসের জন্য মামলাটি স্থগিত আদেশ দেন। তিনি বলেন, মামলাটি দীর্ঘ চার দশক ধরে ঝুলে আছে। আসামিপক্ষ বারবার বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলা স্থগিত করে রাখছে। এর আগেও উচ্চ আদালত এমন পাঁচবার আদেশ দিয়েছিলেন।নিহত মুক্তিযোদ্ধা কমলেশ বেদজ্ঞের মেয়ে সুতপা বেদজ্ঞ প্রথম আলোকে বলেন, পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার ছাড়া আর জীবনে কিছু চাওয়ার নেই। যত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হোক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।১৯৭৩ সালের ১০ মার্চ জাতীয় নির্বাচনী প্রচার শেষে কোটালীপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে ফেরার পথে সদর উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কমরেড ওয়ালিউর রহমান ওরফে লেবু, ন্যাপের নেতা ও সাংসদ প্রার্থী কমলেশ বেদজ্ঞ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিষ্ণুপদ এবং মানিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার এক দিন পর একমাত্র প্রাণে বেঁচে যাওয়া লুত্ফর রহমান গঞ্জরের জবানবন্দির ভিত্তিতে একটি মামলা হয়। এই মামলায় ১৯৭৩ সালে দেওয়া অভিযোগপত্রে পুলিশ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করেছিল। তবে বর্তমানে মামলার প্রধান আসামি হেমায়েত উদ্দিনসহ মাত্র ১০ জন বেঁচে আছেন।টানা দুই বছরের বিরতির পর ‘ক্লোজআপ ওয়ান’খ্যাত গায়িকা বিউটি আবারও তাঁর নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন।লুত্ফর হাসানের আয়োজনে চলছে পুরো অ্যালবামের কাজ। এরই মধ্যে অ্যালবামের গান বাছাইয়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে বলে জানান বিউটি। এটি তাঁর চতুর্থ একক অ্যালবাম। নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে বিউটি বলেন ‘একটু সময় নিয়ে এই অ্যালবাম করছি। আমার শ্রোতারা আমার কাছে যে ধরনের গান আশা করেন, আমি চেষ্টা করছি সে ধরনেরই গান করতে। আশা রাখি কেউ নিরাশ হবেন না।’ বিউটির নতুন অ্যালবামের গান লিখেছেন এম এস রানা, রবিউল ইসলাম জীবন, ইশতিয়াক আহমেদ, এ মিজান, আহমেদ তানভীর প্রমুখ। একটি গানের সুর করেছেন রাজেশ, বাকি গানগুলোর সুর করেছেন লুত্ফর হাসান। আর পুরো অ্যালবামের সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ।ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে দ্বিতীয় রানারআপ হন বিউটি। এরপর এখন পর্যন্ত তিনি তিনটি একক, একটি দ্বৈতসহ বেশ কয়েকটি মিশ্র অ্যালবামে গান করেছেন। বিউটির একক অ্যালবামগুলো হচ্ছে ‘পিরিতের জ্বালা’, ‘লালনকন্যা’ ও ‘চরণদাসী’।
ঝুঁকির কথা জেনেই বিকল জাহাজটি ভেড়ানো হচ্ছিল বন্দরের মূল জেটিতে। সে জন্য নেওয়া হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থা। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। কর্ণফুলীর মোহনার অদূরে গতকাল বুধবার বিকেলে আবারও দুর্ঘটনায় পড়েছে ৮৪৯টি কনটেইনারে পণ্যভর্তি বিকল জাহাজ এমভি গ্লাডিস।বন্দরের সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, জাহাজটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর কারণে বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত একটায় এটি সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।জানা যায়, বহির্নোঙর থেকে বিকল জাহাজটিকে চারটি টাগবোটের সাহায্যে গতকাল বেলা দুইটার দিকে জেটিতে টেনে আনার কাজ শুরু হয়। কিন্তু কর্ণফুলীর মোহনায় মূল চ্যানেলে প্রবেশের আগে এটির তলদেশ মাটিতে আটকে যায়। জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধির ঘোষণা অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি লম্বায় ১৭৬ দশমিক ৮০ মিটার।বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজটি চ্যানেলে আটকে গেলে পুরো বন্দর অচল হয়ে যেত। সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যও মুখ থুবড়ে পড়ত। কিন্তু চ্যানেলের বাইরে দুর্ঘটনা ঘটায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ।জাহাজটি জেটিতে আনার কাজ তদারক করছিলেন বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে আরও একবার দুর্ঘটনায় পড়ে। গত ৩০ জুলাই মিয়ানমারের উপকূলের কাছে আন্দামান সাগরে এটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। দেড় মাস পর গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি টাগবোটের সাহায্যে জাহাজটিকে বন্দরে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, এমভি গ্লাডিস জাহাজে ৮৪৯টি কনটেইনারে ৩৩৮টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা পণ্য রয়েছে। এতে খালি কনটেইনার আছে ২০টি। পণ্যের প্রাথমিক বর্ণনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এ জাহাজে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য আছে। এতে ৩৬৮টি কনটেইনারে আছে ৮৪টি পোশাক প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল। পোশাকশিল্পের যন্ত্রপাতি আছে ৪৩টি কনটেইনারে।২১ অক্টোবর ২০১৩ যুক্তরাজ্য সরকার ফ্রান্সের ‘ইডিএফ কোম্পানির’ নেতৃত্বে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি অনুমোদন করেছে। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার ২১ অক্টোবরের খবর অনুযায়ী, বিদ্যমান ‘হিন্কলে-পয়েন্ট বি’ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (১৯৭৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনরত কেন্দ্র) কাছাকাছি সমারসেটের ‘হিন্কলে-পয়েন্ট সি’ নামক স্থানে ১৪ বিলিয়ন পাউন্ড (২২ দশমিক ৬৫৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ে ইডিএফ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করবে। কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নির্মাণ নয়, এই চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ২৫ হাজার চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার সিংহভাগ যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্মাণচুক্তির মধ্যে মেয়াদ শেষে স্থাপনা বন্ধ (ডি-কমিশনিং) এবং পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও অন্তর্ভুক্ত।চীনের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন ও চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার করপোরেশন) এই ‘হিন্কলে-পয়েন্ট সি’ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করবে। ২০১১ সালের জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর, ইউরোপজুড়ে গড়ে ওঠা পরমাণু বিদ্যুৎবিরোধী আন্দোলনের ঢেউ যুক্তরাজ্যকে নাড়া দিলেও সরকার এ কেন্দ্র পরিচালনা থেকে সরে আসা যুক্তিগ্রাহ্য মনে করেনি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন চুক্তি স্বাক্ষরে স্পষ্টত উচ্ছ্বসিত। ২৪ অক্টোবর ২০১৩ প্রকাশিত ‘মেইল অনলাইন’ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বাসকে উদ্ধৃত করেছে, ‘অনেক দিন পর আমরা একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছি; আগের সরকারগুলো এ জন্য প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নিশ্চিত করেছেন, ভবিষ্যতে নির্মিতব্য আরও অনেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি হতে যাচ্ছে ‘হিন্কলে পয়েন্ট-সি’ বিদ্যুৎকেন্দ্র।১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্য প্রথম বাণিজ্যিক পরমাণু কেন্দ্রের উপযোগিতা যাচাই এবং ১৯৫৬ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। এর পর থেকে যুক্তরাজ্য ধারাবাহিকভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং সেগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কেন্দ্র তাদের ‘জীবনকাল’ শেষে বন্ধ হয়েছে; নতুন কেন্দ্র প্রতিস্থাপন করেছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে, যেমন ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয় আয়োডিন-১৩১ আইসোটোপ বেরিয়ে আসে। মানুষজন সরিয়ে না নিলেও ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রসংলগ্ন খামারের দুধ ধ্বংস করা হয়। পরে প্রযুক্তির উন্নয়ন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো, পরমাণু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অনেক সংস্কার হয়েছে। এখন যুক্তরাজ্য নয়টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা এবং ইতিমধ্যে আটটি বন্ধ করেছে। ২০২৩  সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যে বিদ্যমান অধিকাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল শেষে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে বিদ্যমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে আরও নতুন ১০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে ‘হিন্কলে-পয়েন্ট সি’ কেন্দ্র যুক্তরাজ্যের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৭ শতাংশ বা ৫০ লাখ বাড়ির গ্রাহকের চাহিদার বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এই কেন্দ্রের আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ৬০ বছর। প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য যুক্তরাজ্যের সরকার ৯২ দশমিক ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যয় করবে। বিদ্যমান (২০১৩ সালে) পাইকারি বাজারদর অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য ব্যয় করতে হয় প্রায় ৪৮ ব্রিটিশ পাউন্ড। তবে যুক্তরাজ্য সরকারের ২০২০ সাল নাগাদ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৭৫ শতাংশ কয়লা ও গ্যাস পুড়িয়ে পাওয়া যায়। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প উৎসগুলো ব্যয়বহুল জেনেও সরকার সেদিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যমান বিকল্প নবায়নযোগ্য উৎসের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যুক্তরাজ্যকে প্রতি মেগাওয়াটে ব্যয় করতে হয় ১২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড; স্থলভাগে বায়ুশক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০০ ব্রিটিশ পাউন্ড, সমুদ্রবক্ষে বায়ুশক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৫৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, সমুদ্রের ঢেউ থেকে ৩০৫ ব্রিটিশ পাউন্ড। সে বিবেচনায় গ্যাস-কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যুক্তরাজ্যকে ব্যয় করতে হয় প্রতি মেগাওয়াটে প্রায় ৫৫ পাউন্ড।বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্কলে-পয়েন্ট সি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণচুক্তির সমালোচকেরা বলছেন, ৩৫ বছরের জন্য ইডিএফ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে নির্ধারিত মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করায় গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বাড়বে। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ‘হিন্কলে-পয়েন্ট সি’সহ অন্যান্য নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ২০৩০ সাল নাগাদ প্রত্যেক বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বছরে গড়ে ৭৭ ব্রিটিশ পাউন্ড কম রাখতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে পরমাণু বিদ্যুৎ যুক্তরাজ্যকে কম কার্বন দূষণপ্রবণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ দেবে বলে সরকার দাবি করছে। যুক্তরাজ্য সরকার দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের চাপ নিয়ে নিশ্চয়ই সজাগ।বিশেষত জাপানের বর্ধিত মাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি বাণিজ্য ভারসাম্যে যে বাড়তি চাপ ফেলেছে, আমদানি জ্বালানিনির্ভর দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যকে তা বিবেচনায় নিতেই হবে। ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০১১ সালের মারাত্মক তীব্রতার ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার পর জাপান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য  হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তাকে বর্ধিত হারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), জ্বালানি তেল ও কয়লা আমদানির জন্য বিপুল ব্যয়ের চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।জার্মানিতে জাপানের পরমাণু দুর্ঘটনার অভিঘাতে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ক্রমে ২০২২ সাল নাগাদ বন্ধ করার ঘোষণা এসেছে। ফলে বিশ্ববাজারে এলএনজির চাহিদা ও দাম বাড়ছে। আপাতত জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার ব্যবহার  বাড়াতে হয়েছে। বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য আরও অস্বস্তির। কেননা ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্য তেল ও গ্যাসের নিট আমদানিকারকে পরিণত হওয়ায় তার বাণিজ্য ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়েছে। আগামী ১০ বছরে যুক্তরাজ্যে তেল ও গ্যাস উৎপাদন আরও কমার আশঙ্কা তীব্র। ফলে পরমাণু বিদ্যুৎ ছাড়া যুক্তরাজ্যের সামান্য বিকল্পই খোলা আছে।ড. মুশফিকুর রহমান: খনি প্রকৌশলী, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক।বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) অবশেষে সই হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সম্মেলনকক্ষে আজ সোমবার রাত নয়টা ১০ মিনিটে (যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিট) এ চুক্তি সই হয়।বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় চুক্তি সইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএসটিআর মাইকেল ফ্রোম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একরামুল কাদের। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ডেপুটি ইউএসটিআর উইন্ডি কাটলার চুক্তিতে সই করেন।সইয়ের পর আজ রাত নয়টা ১৬ মিনিটে মুঠোফোনে এক খুদেবার্তায় বাণিজ্যসচিব প্রথম আলো ডটকমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘টিকফা সই হলো। এরপর কয়েকটি বৈঠক রয়েছে।’বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘টিকফা সইয়ে লাভবান হবে বাংলাদেশ। বাণিজ্য নিয়ে এত দিন উভয় দেশের কোনো ফোরাম ছিল না, এখন হলো। ব্যাপারটি এ ছাড়া কিছুই নয়।’দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন সেনা সদস্যরা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রেজা-উল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সময়ে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কসমূহে নিরাপদ যান চলাচল এবং স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।আইএসপিআর বলছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনপ্রয়োগকারী নিয়মিত সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সহযোগী শক্তি হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সারা দেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সশস্ত্র বাহিনী প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করবে এবং পরে প্রয়োজন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানা এবং মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে।নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে। এই সেল হতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হবে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপালে গতকাল বুধবার বিশাল সমাবেশ করে দলীয় ঐক্য দেখিয়েছে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভোপালের জাম্বুরি পার্কে আয়োজিত ওই সমাবেশের মঞ্চে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এল কে আদভানি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভায় বিজেপির নেতা সুষমা স্বরাজ প্রমুখ। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষিত হওয়ার পর এই প্রথম এক মঞ্চে উঠলেন তাঁরা।আদভানি ও সুষমা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেওয়ার বিরোধী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মোদির নাম ঘোষণার পর তাই দলে বিভেদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে।সমাবেশে আদভানি তাঁর ভাষণে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তিনি বক্তৃতায় মোদিকে ‘নরেন্দ্র ভাই’ বলে সম্বোধন করেন। আদভানি মঞ্চে এলে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নেন মোদি। এ সময় আদভানি তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি।খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাবুছড়ামুখ উচ্চবিদ্যালয়। ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথচলা শুরু করলেও এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ১০ জন শিক্ষকের সবারই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক, যাঁদের অর্ধেকেরই আছে বিএড ডিগ্রি। ২০০০ সালে বিদ্যালয়টি পাঠদানের স্বীকৃতি ও ২০০৪ সালে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। তবে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সামান্য বেতনে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকেরা।জানা গেছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে হলে বিদ্যালয়ের পাঠদানে বোর্ডের স্বীকৃতি, একাডেমিক স্বীকৃতি, শিক্ষকদের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক ও বিএড, নিজস্ব অবকাঠামো, পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, সঞ্চয় এসব থাকতে হবে। বাবুছড়ামুখ বিদ্যালয় এসব শর্ত পূরণ করে শিক্ষা বোর্ডের কাছ থেকে স্বীকৃতিও পেয়েছে। কিন্তু বারবার আবেদন করার পর এমপিওভুক্ত করা হয়নি বিদ্যালয়টিকে।বাবুছড়ামুখের আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো উচ্চবিদ্যালয় নেই। দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের শিশুরাই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের অক্লান্ত চেষ্টায় ভালো ফলাফল করছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৮ শতাংশ। অথচ এর পরও এমপিওভুক্ত হয়নি বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসে দুই হাজার ৬০০ ও সহকারী শিক্ষকেরা দুই হাজার ৪০০ টাকা বেতন পান। এই টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে বিদ্যালয় ছেড়ে যাননি তাঁরা।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি দ্বিতল ও একটি একতলা পাকা ভবনে পাঠদান চলছে। এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য তিনটি বিভাগে পড়ছে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী। ১০ জন শিক্ষক ও দুইজন কর্মচারী রয়েছেন বিদ্যালয়ে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টির শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতিও রয়েছে।বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক নিসিরিকা চাকমা, শেফালিকা চাকমা, অনুপম চাকমা ও অবিনশ্বর চাকমা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। যে বেতন পাই তা দিয়ে পরিবার চলে না। আমরা কবে এমপিওভুক্ত হব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কেবল শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে তাকিয়ে পাঠদান করছি।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমার বেতন মাত্র দুই হাজার ৬০০ টাকা।এ টাকায় সংসার চলে না। অথচ আমরা ২০০৪ সালে এমপিওভুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা অর্জন করেছি। জেলার মধ্যেও এ বিদ্যালয় জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে; কিন্তু এ পর্যন্ত পাঁচবার আবেদন করেও লাভ হয়নি।আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি তবে শুধু আশ্বাস পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চাকরিও ছেড়ে দিতে পারছি না। বিদ্যালয়টির আশপাশে আর কোনো উচ্চ বিদ্যালয় নেই।দরিদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একমাত্র ভরসা এটি। পাঁচ নম্বর বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুগত প্রিয় চাকমা বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যুগে একজন শিক্ষক কিভাবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় সংসার চালাবেন? বাবুছড়ামুখ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক শ পরিবারের সন্তান মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়টির ওপর নির্ভর করে। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নিন্দা করে জনগণকে একযোগে সারা দেশে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।আজ সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন মোটামুটি কম বুদ্ধির লোক দিয়ে গঠিত হয়েছিল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। আমরা বারবার সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা না করতে অনুরোধ ও দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা তফসিল ঘোষণা করে যা করলেন, এর ফলে সারা দেশে প্রতিবাদ থেকে প্রতিরোধের দাবানল জ্বলে উঠেছে। এর জন্য বর্তমান সরকার ও নির্বোধ নির্বাচন কমিশনই দায়ী থাকবে।’বদরুদ্দোজা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনেরই উচিত ছিল সরকারকে বলে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। এই নির্বাচন কমিশন জেনে-শুনেই দেশকে এক গভীর সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এর জন্য ইতিহাস তাদের কোনো দিনই ক্ষমা করবে না।সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সংকটের কারণে দেশে যত প্রাণহানি, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদহানি হবে তার জন্য বিবেকের কাছে চিরকাল দায়ী থাকতে হবে। এ ছাড়া এর ফলে দেশে যদি কোনো অসাংবিধানিক সরকার আসে তা হলে এর দায়-দায়িত্বও এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।দেশকে সংঘাত ও নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত না করে ‘শান্তির পথে’ আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’র সফলতা আঁচ করতে পেরে সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে যেকোনো উপায়ে বাধাগ্রস্ত ও ভন্ডুল করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’ তিনি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে। যৌথ বাহিনী দিয়ে সারা দেশে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলায় জড়ানো, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-নিপীড়নের এক নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে।সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে সারা দেশে যৌথ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করুন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের পথে আসুন, দেশকে সংঘাত ও নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত না করে শান্তির পথে আসুন, অন্যথায় জনগণ তাদের দাবি আদায়ে অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধভাবে গণদাবি মেনে নিতে আপনাদেরকে বাধ্য করবে।’
জাপানে অত্যাধুনিক একটি রোবট তৈরি করা হয়েছে, যা বাগান থেকে পাকা স্ট্রবেরি তুলতে পারে। নির্মাতাদের দাবি, স্ট্রবেরি তোলার কাজের দুই-তৃতীয়াংশই করতে পারবে এই রোবট। প্রতি আট সেকেন্ডে একটি করে পাকা ফল তুলতে সক্ষম এই রোবট তিনটি ক্যামেরা ব্যবহার করে পাকা  স্ট্রবেরি শনাক্ত করে। পরে   সেগুলো বোঁটা থেকে ছাড়িয়ে ঝুড়িতে রাখে। ছয় ফুট ছয় ইঞ্চি লম্বা রোবটটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান শিবুয়া সেইলকির কর্মকর্তা মিৎসুতাকা কুরিতা বলেন, এই রোবট স্ট্রবেরির সারির   ভেতরে পাতা লাইনের ওপর দিয়ে চলাচল করবে। রং দেখে বুঝতে পারে, কোন স্ট্রবেরি পেকেছে। আগামী বছর বাজারে বিক্রি করা হবে এ ধরনের রোবট। প্রতিটির মূল্য ৫০ হাজার ডলার।এএফপি।কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে বসতি স্থাপন চলছেই। গত চার মাসে দুই শতাধিক নতুন বসতি স্থাপন করা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, লোকবলসংকটের কারণে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিন্নমূল লোকজন এসে পাহাড়ের সংরক্ষিত বনভূমিতে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় অনেকেও পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করে। ইতিমধ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪০ হাজার। সর্বশেষ গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে কালারমারছড়া, হোয়ানক, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর ইউনিয়নের ২২টি স্থানে পাহাড়ের চূড়ায় নতুন করে দুই শতাধিক বসতি স্থাপন করেছে স্থানীয় লোকজন।অভিযোগ রয়েছে, বনভূমি দখল করে বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন অভিযোগ করেন, গত চার মাসে এলাকার পাহাড় কেটে স্থানীয় লোকজন নতুন করে ২০টি বসতি স্থাপন করেছে। এ বিষয়ে বনকর্মীদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি।জানতে চাইলে চালিয়াতলি এলাকার পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় বসতি স্থাপনকারী মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ বলেন, ‘গত জুন মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে আমাদের ধলঘাটার সরইতলার বসতবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। উপায় না দেখে সংরক্ষিত পাহাড়ি বনভূমিতে এসে আশ্রয় নিয়েছি।’কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির কাসেম চৌধুরী বলেন, পরিবেশ ও ঝুঁকি সম্পর্কে এলাকার জনগণ সচেতন না হওয়ায় পাহাড়ে বসতি স্থাপন করা থেকে তাদের বিরত রাখা যাচ্ছে না। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূলীয় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন না করার জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজনকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এতে তেমন কাজ হয়নি।বনবিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলার কালারমারছড়া, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর এলাকায় বন বিভাগের ১৮ হাজার ২৮৬ একর সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে চলে গেছে।বন বিভাগের মহেশখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুল হক বলেন, সংরক্ষিত পাহাড়ি বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য লোকবল চেয়ে ইতিমধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি জানান, মহেশখালীতে ৬০ জন বনকর্মীর স্থলে আছেন মাত্র ১৮ জন। লোকবলসংকটের কারণে নতুন করে অবৈধ বসতি স্থাপন ঠেকানো যাচ্ছে না।দেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় সাধারণ মানুষ। নির্বাচনের তফসিল এই মানুষগুলোকে উদ্বেলিত করেনি, করেছে উত্কণ্ঠিত। আজ সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর এলাকার বেশ কিছু মানুষ তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রথম আলো ডটকমকে।বেশির ভাগ মানুষ বলেছেন, তাঁরা একতরফা নির্বাচন চান না, হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিও সমর্থন করেন না।হাজি আলী হোসেন বেশ কয়েক বছর ধরে কারওয়ান বাজারে জুতা বিক্রি করেন। তফসিল ঘোষণার পর প্রথম আলো ডটকমের কাছে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘কি হইব, আল্লাহ জানে। আর কেউ কইতে পারত না।’ আকাশের দিকে হাত তুলে তিনি বললেন, ‘সব এখন ওপর অলার হাতে।’প্রতিদিন এয়ারপোর্ট রোড থেকে বাসে করে কারওয়ান বাজারে আসেন চা বিক্রেতা জমির হোসেন। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘কী আর কমু? একদল মাইনত, আরেক দল মাইনত ন। আসা-যাওয়া দোকানদারি বন্ধ। কর্ম না কইরলে খামু কী, হেই চিন্তা না আমার। সংলাপ হওনের দরকার আছিল।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি অরজিনালি সংলাপের ডাক দিত, তাইলে কিছু হইত।’ফার্মগেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন ইমাম হোসেন। তাঁর সন্তান এ বছর সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন বিদেশে কাজ করে দেশে ফিরেছিলেন থিতু হবেন বলে। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘হাসিনা-খালেদা কেউ দেশপ্রেমিক বলে মনে হয় না। কেউ আমাদের কথা ভাবছেন না। মুখে তাঁরা বলেন যা কিছু সব জনগণের জন্য। তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য গদিতে যাওয়া।’আতঙ্কিত, হতাশ সাধারণ মানুষ রাজনীতির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। বেশির ভাগ মানুষ বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের একেবারে বিরোধী। কেউ কেউ আবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে আনার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। দুই পক্ষেরই একগুঁয়েমি আছে।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মনোয়ার উদ্দীন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া পাঁচ বছরে কয় দিন সংসদে গেছেন, তাঁর দল কয় দিন গেছে? তিনি তো জনগণের কথা বলবেন বলে ভোট করছিলেন। দাবি-দাওয়া নিয়ে ঘরে বসে থাকলে কী করে চলবে? কথা বললে কী ক্ষতি হতো? লোকজন বরং তাঁর পক্ষে থাকত।’তবে মিরপুরের রিকশাচালক শাহাদত্ এখনো আশাবাদী। শেষ মুহূর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি আর সবার মতো ভোট দেবেন। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত আরও অনেকের মতো তিনিও শঙ্কিত।পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বিরোধী দলের নির্বাচনকে একতরফা হিসেবে চিহ্নিত করা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সবে তো একতরফা হয়, দেশ আমার ভোট হবে আমার আর আমার ভাইদের মধ্যে। এ গ্রামে আছে কারা? আমরা আর মামুরা, আমরা আর মামুদের মধ্যে তো সব হবে।’আজ বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা শহরের বাটার মোড়ে  অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘যে যা-ই বলুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হবেই।’পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭১ সালে গোলাম আযম আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে পড়লে ফুটুশ হয়ে যেত, আর তার ক্ষমতার সামনে আমরা পড়লে আমরাও ফুটুশ হয়ে যেতাম।’ তিনি বলেন, ‘তাহলে এখন আমাদের সামনে পড়েছে, ফুটুশ না করে গালে চুমু দিব কেন? গালে চুমু দিতে গেলে ও তো আমার পেটে  ছুরি দিবে। তাই শত্রুকে সুযোগ দিতে নেই।’আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টেলিভিশনে প্রচারিত টক শোর বক্তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা বলেন, “দুই দল দেশটাকে খাইল।” ৫২ সালে টক শো ছিল না, “মর্নিং নিউজ” বলে একটা পত্রিকা ছিল। তখন তারা বলেছে, “ঢাকার রাস্তায় ধুতি গড়াগড়ি খাচ্ছে।” অর্থাত্ হিন্দুরাই ভাষা আন্দোলন করছে। ৫৪ সালে বলতো, “নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে।” ৫৪তে নৌকায় ভোট দেওয়াতে যদি বিবি তালাক হয়, তাহলে কি আমরা সবাই জারজ?’ তিনি বলেন, ‘৬৬ তে বলত, “জয় বাংলা জয় হিন্দ লুঙ্গি খুলে ধুতি পিন্দ”, আমরা কি ধুতি পরেছি?’ মন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সেদিন খালেদা জিয়া বলেছে, “পার্বত্য চুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে।” তার এ কথাও যেমন সত্যি হয় নাই, আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হবে”, স্বাধীন হয়েছে।’ সভায় বক্তারা আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আফতাবউদ্দিন সরকারকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মির্জা জলিল, সাংসদ ফজলে রাব্বী, সাংসদ  নুরুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ পদপ্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
সম্ভাবনাময় নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা খুঁজে বের করতে জাতীয় এসএমই ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা-২০১৩-এর আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝরি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। ঢাকার একটি হোটেলে গতকাল বুধবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সবুর খান, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এককভাবে বা সর্বোচ্চ চারজনের দল করেও এতে অংশ নেওয়া যাবে।আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ীরা প্রথম পুরস্কার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারে চার লাখ টাকা ও তৃতীয় পুরস্কারে তিন লাখ টাকা পাবেন। বিজ্ঞপ্তি।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশ ও বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কের অন্তত ১২টি স্থানে চলছে ইট-বালুর ব্যবসা। ফলে সড়কে লেগে থাকছে যানজট। চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলার বিওসির মোড়, মৌলভীর দোকান, রাস্তার মাথা, মিঠাদিঘি, ডলু সেতুর পশ্চিম পাশ, থানাঘাট, রায়পুর সড়কের তিনটি ও গারাঙ্গিয়া সড়কের তিনটি স্থানে ইট-বালুর স্তূপ। অনেকে এখান থেকে ইট-বালু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। সড়কের ওপর ট্রাক ও ভ্যান দাঁড় কারিয়ে তোলা হচ্ছে ইট-বালু।স্থানীয় লোকজন জানান, সড়কের বেশির ভাগ অংশজুড়ে ইট-বালু রাখায় গাড়ি চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় সময় গাড়ির ধাক্কায় আহত হচ্ছেন পথচারীরা।জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রিদওয়ানুল হক বলেন, সড়ক দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা চললেও যেন দেখার কেউ নেই। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আমার এক সহপাঠী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীর দোকান এলকায় গাড়ির ধাক্কায় আহত হন।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিওসির মোড় এলাকায় বালু কিনতে আসা মো. আবু সুফিয়ান (৪০) নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যোগাযোহব্যবস্থা সহজ ও পরিবহন খরচ কম পড়ায় এখান থেকে বালু কিনতে এসেছি।’রামপুরা এলাকার বালু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘সড়কের পাশের খালি জায়গায় বালু রাখা হয়েছে, সড়কের ওপর নয়। তারপরও প্রাশসন যদি বলে তাহলে আমরা বালু সরিয়ে নেব।’এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দোহাজারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের জায়গা দখল করে যারা ইট-বালুর ব্যবসা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।একজন লোক টিভি বিক্রি করে দেবে! কারণ টিভিতে দেখার কিছু নেই, সবাই শুধু কথাই বলে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিভি বিক্রি করে একটা রেডিও কিনবে। শুধু কথা শোনার জন্য টিভি দেখার কোনো মানে হয় না। কথা শোনার জন্য রেডিওই যথেষ্ট। একটাই সমস্যা, টিভি চ্যানেলগুলো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে ধরে কি না কে জানে। সেটাও খুব একটা বড় সমস্যা না। চীন খুব বেশি দূরে নয়।হ্যালো...মেড ইন চায়না? আমার একটা রেডিও লাগবে, যেটাতে টিভি চ্যানেলের টক শো শোনা যায়! ওকে ওকে। কুরিয়ার করবেন? নো প্রবলেম! কালই পেয়ে যাব? বাহ, অসাধারণ!দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার নর্দমা থেকে টাইম বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাত সদস্যের একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ দল বোমাটি চিহ্নিত করে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এটিকে অকেজো করে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের এসিপি রহমতউল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি টাইমবোমা। বোমাটি দেখে এবং এটি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বোঝা গেছে এটি খুব দক্ষ টেকনেশিয়ানের হাতে তৈরি ।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, নাশকতা করার জন্য বোমাটি রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক গোপন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবার বিয়ে করেছেন—এ কথা ‘বাস্তবসম্মত নয়’ বলে গতকাল বুধবার উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়ায়, চলতি সপ্তাহান্তে পুতিন স্বর্ণপদক পাওয়া সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্ট এলিনা কাবায়েভাকে বিয়ে করেছেন।প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তাঁর স্ত্রী লুদমিলা গত জুনে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এএফপি।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সামান্য কারণেই সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও সামাজিক সংঘাত কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘সামান্য কারণে সড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের যে অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে তা দ্রুত রোধ করা দরকার।’আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি ও বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাসে ১০টি বাস ও ৫০টি ট্রাক পোড়ানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ২৯২টি বাস ও ৫০০টি ট্রাক। এতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।তবে পুলিশের দাবি, ওই সময়ে ১৯টি গাড়ি পোড়ানো ও ১২২টি ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩২টি। গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৩ জন।পুলিশ ও মালিক সমিতির হিসাবে গরমিল সম্পর্কে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ভাঙচুর হওয়া গাড়িগুলো এক জায়গায় স্থির থাকে না। অনেকে মামলাও করে না। তাই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দীন ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, নানা জটিলতার আশঙ্কায় অনেক গাড়ির মালিক এ নিয়ে রিপোর্ট করেন না। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা দরকার বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে সীতাকুণ্ডের মতো নাশকতা আর কোথাও হয় না। এখানে অবুঝ শিশুদেরও নাশকতার কাজে ঠেলে দেওয়া হয়। ফলে প্রকৃত পিকেটার চিহ্নিত করা মুশকিল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরাও কয়েক দিন জেলে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় পুলিশের একার পক্ষে এ ধরনের নাশকতা বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে।’পুলিশ সুপার বলেন, ‘নাশকতা বন্ধের ব্যাপারে সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দায়িত্বরত পুলিশকেও আরও কঠোর হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’যেসব স্থানে অতিমাত্রায় ভাঙচুর হয়: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের যেসব স্থানে অতিমাত্রায় ভাঙচুর হয় সেসব স্থান চিহ্নিত করেছে পুলিশ। স্থানগুলো হলো, বাড়বকুণ্ড, সিরাজ ভূঁইয়ার রাস্তার মাথা, হাসপাতাল গেইট, পৌর সদরের দক্ষিণ বাইপাস, হাসানগোমস্তা মসজিদের সামনে, ছোট দারোগাহাট, পন্থিছিলা, নুনাছড়া, বাঁশবাড়িয়া, নিমতলা, ছোটকুমিরা ও জলিল গেইট।সূত্র জানায়, বন্দরনগর চট্টগ্রামের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।দেশের অন্যান্য স্থানে বিকল্প সড়ক থাকলেও সীতাকুণ্ডে তা নেই। ফলে সীতাকুণ্ড এলাকায় সড়ক বন্ধ করতে পারলেই বন্দর নগরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হবে।এতে চাপের মুখে পড়বে সরকার। এ চিন্তা থেকেই দুর্বৃত্তরা নাশকতার জন্য এ অঞ্চলকে বেছে নিয়েছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূইয়ার অভিযোগ, জামায়াত-বিএনপির উসকানিতে প্রতিটি কর্মসূচিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে।দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কারণে বার বার এ ঘটনা ঘটছে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবু তাহের বলেন, সীতাকুণ্ডে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতাল-অবরোধের রাতে ও আগের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ভাঙচুর, জালাও-পোড়াও এবং ডাকাতি করে। এতে জামায়াত জড়িত নয়।উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা বেড়ে গেলে অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’ প্রিয় শুক্র ও শনিবার,পত্রের প্রথমে ভালোবাসা নিও। তোমরা দুজন আমাদের পরিবারের সবচেয়ে আদরের। আমরা যখন সারা সপ্তাহ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করি, তোমরা তখন সেই কবে থেকে রেস্টে থাকো, বিকেলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাও, শিশুপার্কে যাও। আমাদের সকাল শুরু হয় গাড়ির হর্নে, ট্রাফিক পুলিশের গালিতে, বাসে ঝুলে। তোমরা ঘুম থেকে উঠে সকালে নাশতা করে পত্রিকা পড়, দুপুরে পোলাও-কোরমা-খিচুড়ি খাও। তোমাদের দুদিন শহর ফাঁকা থাকে, জ্যাম থাকে না, ঘাম থাকে না। তাই বিরক্তি থাকে না।আমরা দিনের পর দিন খেটে, পরিশ্রম করে মাস গড়ি, বছর গড়ি। তোমাদের অবদান কেবল অলস একটি বার। এসব নিয়ে আমাদের আক্ষেপ ছিল না কোনোকালেই।সমস্যা হচ্ছে ইদানীং আমরা প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছি, আমাদের প্রতিবন্ধী করে দেওয়া হচ্ছে। কত আর ভালো লাগে বল? বিরোধী দলের এক কথায় আমরা সব ভাই বন্ধ হয়ে যাই। আমাদের বারে ককটেল ফোটানো হয়, গাড়ি পোড়ানো হয়, শরীর নেই বলে বেঁচে গেছি। নইলে পত্রিকায় খবর পেতে, ‘আগুনে পুড়ে গেছে রবি, সোম, মঙ্গল, বুধসহ বৃহস্পতিবার; শুক্র শনির শোক প্রকাশ’, ‘ভাই হত্যার বিচার দাবি করেছেন দুজন’।ব্যাপারটা কেমন হতো বল? ভাবছো ব্যস্ততা কমেছে, তাতে খুশি থাকার কথা। না, আমরা পরিশ্রম করা বার, আমাদের ছুটি হলে বিরক্ত লাগে। তা ছাড়া ছুটি পাচ্ছি কই! পরিশ্রম তো ঠিকই করতে হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে করতে হচ্ছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বারদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছি না কোনোভাবেই। ওদের বারগুলো কর্মঠ, এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। কেবল রবির অবস্থা কিছুটা তোমাদের মতো। ওদের সঙ্গে আড্ডায় আমাদের চুপ থাকতে হয়। নিজেদের কাজের কথা গর্ব নিয়ে বলতে পারি না।দুঃখের কথা আর কী বলব, তোমরা ভালো থেকো ছুটি বুকে নিয়ে। মিলেমিশে থেকো। বিধাতা তোমাদের হরতালমুক্ত থাকার ক্ষমতা দিয়েছেন। আমাদের সংসারে দিয়েছেন হরতালের হাহাকার। তোমরা ভালো থেকো সরকারি ছুটি নিয়ে, আমরা ভালো থাকব বিরোধী দলের অযাচিত ছুটি নিয়ে!ইতি তোমাদের পাঁচ ভাইরবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারখেলায় বেশ কিছু শব্দের চল হয়েছে। যেমন—২৬ ডিসেম্বর শুরু টেস্টকে বলে বক্সিং ডে টেস্ট। কেন? হ্যাটট্রিক শব্দটিই বা এল কেমন করে? টেনিসে ‘লাভ’ মানে কেন শূন্য? সেই সব শব্দ-শব্দবন্দের গল্প নিয়ে আমাদের নতুন ধারাবাহিক—ক্রীড়া অভিধান। প্রথম পর্বে থাকছে ‘বক্সিং ডে’। লিখেছেন অনিরুদ্ধ রহমানসাম্প্রতিক অতীতে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ক্রিকেট ছেড়ে পেশাদার বক্সিংয়ে নাম লেখালেও বক্সিং খেলাটির সঙ্গে ফ্লিনটফের আগে ও পরে আর কোনো ক্রিকেটারের তেমন সখ্যের কথা জানা যায়নি। বক্সিংয়ের জীবন্ত কিংবদন্তি মোহাম্মাদ আলী নিজের নামটিকে বক্সিং খেলাটির এমন সমার্থক শব্দ বানিয়ে ফেলেছেন যে, বক্সিং শব্দটি শুনলে আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে একে অপরের দিকে মারমুখী ভঙ্গিতে দাঁড়ানো মোহাম্মাদ আলী এবং জো ফ্রেজিয়ারের ছবিটাই।এ তো গেল বক্সিং আর মোহাম্মাদ আলীর কথা। কিন্তু বক্সিং ডে? ১৯৭৫-এর অক্টোবরের আলী-ফ্রেজিয়ারের লড়াইয়ের সেই বিখ্যাত দিনটিই কি?নামে ভাই-ভাই হলেও বক্সিং খেলাটির মতো কোনো মারমুখী ‘অতীত’ জড়িয়ে নেই বক্সিং ডের সঙ্গে; বরং আছে এক মহতী উদ্যোগ। প্রথাগতভাবে বক্সিং ডে বলতে বোঝানো হয় ক্রিসমাস বা বড়দিনের পরের দিনটিকে। অর্থাত্ ২৬ ডিসেম্বর। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সামর্থ্যবানেরা বক্স বা বাক্সে করে এদিন গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিভিন্ন উপহার ও টাকা-পয়সা বিতরণ করে থাকেন। কখনো-বা প্রার্থনা শেষে চার্চের বাইরে রাখা বাক্সে দান বা অনুদান সংগ্রহ করা হয় গরিবদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে। এ কারণেই ২৬ ডিসেম্বর দিনটা ‘বক্সিং ডে’।বক্সিং ডের সঙ্গে বক্সিং খেলাটির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও উষ্ণ সম্পর্ক আছে ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি, হকি, ঘোড়দৌড়, হান্টিংসহ বক্সিং বাদে অন্যান্য বেশ কিছু খেলার। ছুটির দিনের দর্শকদের আনন্দ দিতে এ দিন পুরোদমে চলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে জনপ্রিয় ঘোড়দৌড়ের পাশাপাশি চলে রাগবি বা আইস হকি লিগের খেলাগুলোও। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বক্সিং ডের মাহাত্ম্য বক্সিং ডে টেস্টের মাঝেই নিহিত।প্রতিবছর ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডেতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয় এই বিখ্যাত বক্সিং ডে টেস্ট। মূলত অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল এবং সেই গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা দলের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই বক্সিং ডে টেস্ট। সাধারণত বহুল প্রতীক্ষিত বা উভয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিচারে গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচই হয়ে থাকে বক্সিং ডেতে। এর আগে বক্সিং ডেতে ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৫০ সাল থেকে শেফিল্ড শিল্ডের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের এই ঐতিহ্যবাহী ম্যাচ।মাঝখানে ছাড়া ছাড়াভাবে বছর ৩০ চললেও ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়ম করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ। এ বছরের আগ পর্যন্ত ৩৭টি বক্সিং ডে টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া ২১টিতে জয়লাভ করে, ৮টিতে পরাজিত হয় এবং ৮টি ম্যাচ হয় ড্র। তবে ১৯৮৯ সালে বক্সিং ডেতে টেস্ট ম্যাচের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর প্রতি চার বছর অন্তর অ্যাশেজের একটি ম্যাচ বক্সিং ডেতে হয়ে থাকে।অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডেও বক্সিং ডে টেস্ট আয়োজন করা হতো। তবে কয়েক বছর ধরে বক্সিং ডেতে টেস্ট ম্যাচের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ম্যাচেই বেশি মনোযোগী।অস্ট্রেলিয়ার মতো এতটা ঐতিহ্য মেনে না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকাও বক্সিং ডে টেস্ট শুরু করে দিয়েছে। সাধারণত এটা ডারবানের কিংসমিডের সাহারা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।আজ শুরু হয়েছে প্রতি গত ৪ বছরে পাওয়া বক্সিং ডে অ্যাশেজের একমাত্র টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে অ্যাশেজ জিতে নিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত বক্সিং ডে টেস্টেই নির্ধারিত হবে সিরিজ। আর টেস্ট সিরিজ পরাজয়ের পর বক্সিং ডে ওয়ান ডে দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শুরু হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের ম্যাচের সিরিজ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও আজ একদিনেই মাঠে নামবে ২০ দলের প্রত্যেকেই।
রহস্যময় হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে দুই বিজ্ঞানী, তাঁরাই এবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁরা হলেন যুক্তরাজ্যের পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাঁসোয়া অঁলো। হিগস ও অঁলোর সম্ভাব্য সাফল্যের কথা বলেছেন বার্তা সংস্থা টমসন রয়টার্সের নোবেল-ভবিষ্যদ্বাণী বিশেষজ্ঞ ডেভিড পেন্ডলবারি। তিনি ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৭ জনের নোবেলপ্রাপ্তির ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করে সফল হন। রয়টার্স।দেশের অন্যতম প্রধান কবি ময়ূখ চৌধুরীর কবিতা নিয়ে হয়ে গেল জমজমাট আবৃত্তির আসর। ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে নরেন আবৃত্তি একাডেমি তাঁর কবিতা নিয়ে ‘অনিদ্রার কারুকাজ’ শিরোনামের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আসরের শুরুতেই ‘আয়রে আমার কনকচাঁপা’ শিরোনামের কবিতা আবৃত্তি করেন কোহেলিকা সেন। এরপর পাঁচটি একক আবৃত্তি শেষে নওরীন রহমানের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় গান। ময়ূখ চৌধুরীর কথায় ‘ওরে মাঝি সাবধানে তুই চল’ শিরোনামের এ গানে সুর দিয়েছেন আলমগীর আলাউদ্দীন।একক কবিতা ও গানের আরও কিছু পরিবেশনা শেষে ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ কবিতার কোরিওগ্রাফি। মঞ্চে ‘এ শহর আমার শহর’ কবিতাটি নৃত্যছন্দে রূপায়ণ করেন নরেন আবৃত্তি একাডেমির শিল্পীরা। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভ্রা বিশ্বাস, রাশেদ হাসান, প্রদীপ দেওয়ানজি, ডেইজী মউদুদ ও ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সিকান্দার খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ময়ূখ চৌধুরী।আয়োজনে সম্মাননা জানানো হয় অভিনেত্রী ফারজানা করিম, নাট্যকার মোকাদ্দেম মোরশেদ ও মঈন উদ্দিনকে। এরপর আবার একক আবৃত্তির পাশাপাশি ‘শব্দের রানি এবং প্রজা’ কবিতার সঙ্গে ছিল কোরিওগ্রাফি। ‘যদিও মাধুরী লও’, ‘অকেজো টাকার গল্প’, ‘গমন থেকে গামিনী’, ‘জন্ম রাতে’ এ চারটি কবিতার সঙ্গে মিল রেখে দেখানো হয় নানা দৃশ্যচিত্র। আর এ দৃশ্য-কাব্যের মধ্য দিয়েই শেষ হয় পরিবেশনা।সাউন্ড ছাড়া টিভি দেখছ কেন?এরা রোজ একই কথা বলে, কিন্তু অঙ্গভঙ্গি একেক দিন একেক রকম! তাই ওইটাই দেখছি।আজকে এত সাউন্ড দিয়ে টিভি দেখছ কেন?এই লোকটা একেক দিন একেক রকম কথা বলে। তাই শোনার চেষ্টা করছি।নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় নির্বাচন হবে ওই এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের ভোটকেন্দ্র ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্ত্র নিয়ে চলাচল এবং অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেকোনো অস্ত্রের লাইসেন্সধারীকে তাঁর অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় বা কাছাকাছি থানা অথবা বৈধ ডিলারের কাছে লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা রাখা হবে।
চাঁদের বয়স ১০ কোটি বছর কমেছে বলে বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে দাবি করছেন। আগে ধারণা করা হতো, ৪৫৬ কোটি বছর আগে চাঁদ গঠিত হয়েছিল। তবে ডেনমার্কের গবেষকেরা সম্প্রতি দাবি করছেন, চাঁদের গঠন সম্পন্ন হয়েছিল ৪৪০ কোটি থেকে ৪৪৫ কোটি বছর আগে।নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হচ্ছে, সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চাঁদ তৈরি হয়। আর এ সময়টি ৪৫৬ কোটি বছর আগে। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৬ নভোযানের সাহায্যে চাঁদ থেকে বালুকণা নিয়ে আসা হয়েছিল। সেগুলোর উপাদান সিসা ও নিউডাইমিয়ামের আইসোটোপ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এতে সেগুলোর বয়স সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ চাঁদের বয়স কমল ১০ কোটি বছর। ইনডিপেনডেন্ট।চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষিজমি ভরাট করে বসতবাড়ি ও ইটভাটা নির্মাণ এবং বালু তোলার কারণে খালের ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কমেছে খাদ্য উৎপাদনও। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদেরা।লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার মোট কৃষিজমির পরিমাণ ২৯ হাজার ৬৪০ একর। গত ১০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই হাজার একর।উপজেলায় বর্তমানে মোট চালের চাহিদা ৪৬ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন। উৎপাদিত হচ্ছে ৪৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। ঘাটতি রয়েছে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। কৃষি জমি কমতে থাকলে এ ঘাটতি বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে লোহাগাড়া সদর, আমিরাবাদ, পদুয়া, আধুনগর ইউনিয়নে কৃষি জমি কমছে বেশি। পাশাপাশি কমছে খাদ্য উৎপাদনও। এসব এলাকায় জলাশয়ও ভরাট হচ্ছে। গত কয়েক বছরে জলাশয়ের পরিমাণ দুই হাজার একর থেকে কমে দেড় হাজার একরে দাঁড়িয়েছে।উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মুসা জানান, লোহাগাড়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় তিন লাখ এবং বসতবাড়ি রয়েছে ৫৩ হাজার।উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদত উল্লাহ বলেন, তাঁর এলাকায় ইটভাটার কারণে প্রচুর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে আগের মতো ফসলও হয় না ওই এলাকায়।উপজেলার পদুয়া এলাকার কৃষক লাল মোহন দাশ জানান, কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় পশু খাদ্যেও ঘটতি দেখা গেছে। এ কারণে অনেকে গবাদি পশু লালন-পালন ছেড়ে দিয়েছেন।লোহাগাড়া উপজেলা চেয়াম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী জানান, পুটিবিলা, চরম্বা, চুনতি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট উন্নত না হওয়ায় অনেকে লোহাগাড়া সদরের আশপাশে কৃষি জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধিও কৃষি জমি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি।লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিজনূর রহমান প্রথম আলোকে জানান কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও বসতবাড়ি নির্মাণে বাঁধা নেই। তবে লোহাগাড়ায যে হারে কৃষি জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তফসিলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার যে শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে—তা অবাস্তব। তিনি এই তারিখ পুনর্নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। এরশাদ বলেন, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে মনোনয়নপত্র পেশের শেষ তারিখের মধ্যে অন্তত দু্ই সপ্তাহ সময় থাকা উচিত ছিল। এখানে মাত্র এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সব দলের পক্ষে প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নের আবেদন গ্রহণ, তাঁদের সাক্ষাত্কার নেওয়া কিংবা মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পর ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করা অসম্ভব ব্যাপার। এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মনোনয়নে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর তালিকা প্রকাশ করলে পত্রিকার মাধ্যমে প্রার্থীরা জানতে পারবেন ২ ডিসেম্বর। একজন প্রার্থীর মনোনয়নের কাগজপত্র ঠিক করতেও তিন-চার দিন সময় লেগে যায়। সেখানে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল শেষ করা যাবে কীভাবে?’বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের নেতারা এ ঘোষণা দেন।প্রতিহতের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে আছে আগামী শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা, বেলা তিনটায় ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত ১০০টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিয়নে পতাকা হাতে বিজয় মিছিল। এ ছাড়া আগামীকাল বিকেলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মিরপুরে পতাকা মিছিল করবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।বর্ধিত সভায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মসজিদে ও মন্দিরে অপরিচিত কাউকে দেখলে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। ওই দিন ঢাকা শহর থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। ওরা যে লাঠি নিয়ে আসবে আমাদের সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে। তবে ওইদিন কেউ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় আসবেন না। জনগণের জানমালের রক্ষা করতে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নেবেন।’বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাকে কেউ আর বিশ্বাস করে না। ঢাকায় কোনো মিটিং (সমাবেশ) করতে হলে ৫ জানুয়ারির পর করতে হবে। এর আগে কোনো মিটিং করতে দেওয়া হবে না। এর আগে হেফাজতকে বিশ্বাস করে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেই সুযোগের অপব্যবহার করে বায়তুল মোকাররমে আগুন দেওয়াসহ ঢাকায় নাশকতা করেছিল।’আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরে যে নাশকতা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আমরা কোনো অবস্থাতেই তাদের নাশকতা বরদাশত করব না। আমরা এখন থেকেই তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকব।’ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুকুল চৌধুরী, আবদুল হক প্রমুখ।
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের পাওয়া বরাদ্দের কোনো অর্থই ব্যয় করতে পারেনি।এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে মোট বার্ষিক বরাদ্দ রয়েছে সাত হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এই অর্থ খরচ করতে প্রথম তিন প্রান্তিক (নয় মাস) পর্যন্ত কোনো অনুমোদন নিতে হয় না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে। এর বাইরে থোক বরাদ্দের ৪৫৪ কোটি টাকা থেকে কোনো অর্থ খরচেরও প্রয়োজন পড়েনি।এমনকি ২০১২-১৩ অর্থবছরের এডিপিতেও জুলাই-আগস্ট মাসে যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল, এবার তার চেয়ে কম খরচ হয়েছে। আলোচ্য সময়ে চার হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ করতে সমর্থ হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো; যা মোট এডিপির ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপির ৮ শতাংশ বা চার হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এডিপির আকার বাড়লেও এবার টাকার অঙ্কে খরচ কমে গেছে।পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।অর্থ ব্যয়ে ব্যর্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোবেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ (আইএমইডি); অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বরাদ্দের ১ শতাংশের কম টাকা খরচ করেছে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।আর মাত্র ১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে চারটি মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়।বেশি বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতিও বেশ নাজুক। বরাদ্দপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনূকূলেই চলতি এডিপিতে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা রয়েছে; মোট এডিপির ৭৪ শতাংশ। জুলাই-আগস্ট মাসে এসব মন্ত্রণালয় মাত্র তিন হাজার ৪৫১ কোটি টাকা খরচ করেছে; যা বরাদ্দের মাত্র ৬ শতাংশ।প্রথম আলো জবসের উদ্যোগে শিপিং ব্যবসার ওপর (ফান্ডামেন্টালস অব ইন্টারন্যাশনাল শিপিং বিজনেস, কনসেপ্টস অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন) প্রশিক্ষণ কর্মশালা আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।নিবন্ধন ফি তিন হাজার টাকা। আগ্রহী ব্যক্তিদের আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফোনে-০১৮২৭৪২৭৩৪৭, ০১৭১৩১৬১৬০০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। বিজ্ঞপ্তি।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই রাজশাহী, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলায় ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে।আমাদের প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর—কুষ্টিয়ানির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই ১৮-দলীয় জোট কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। রাত আটটার দিকে শহরের সিঙ্গার মোড়ে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এসময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।জয়পুরহাটজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরের পৌর মার্কেটের সামনে রাত আটটার দিকে তিনটি ককটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে স্কুলছাত্র বিজয় ও কলেজছাত্র মুনির আহত হয়েছে। তাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।এরপর শহরের বাজার মোড় এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে পুলিশের নায়েব দুলু মিয়া (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছেন।এ ছাড়া শহরের বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। রাজশাহীতফসিল ঘোষণার পরপরই রাত আটটার দিকে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বরাবর কয়েকটি ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কয়েকটি স্থানে রাত আটটার দিকে ২০-২৫টি ককটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেই আহত হয়নি।উল্লেখ্য, এর আগে সন্ধ্যায় আগামী ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ।জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর তাঁর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মহাসচিব বান কি মুনের কাছে জমা দিয়েছেন।এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারানকোর বাংলাদেশ সফরের পুরো বিষয়টি তিনি জানেন।’আবদুল মোমেন জানান, আলাপচারিতায় বান কি মুন বলেন, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে জাতিসংঘের কিছু বলার থাকবে না। এটাই জাতিসংঘের প্রত্যাশিত বিষয়।জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মহাসচিব বান কি মুন জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করতে অনুরোধ করেছিলেন। নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ ও সংলাপের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কারও মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার কোনো সুপারিশ করেননি তিনি।বাংলাদেশ সফর নিয়ে তারানকো যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাতে দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের সূচনাকে একটি বড় ধরনের অর্জন বলে মনে করছেন তিনি। তারানকো তাঁর প্রতিবেদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানই আগামী দিনের সংকট সমাধানের পথ বলে তারানকো প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন।
মিসরের আল-আহরাম পত্রিকা গত মঙ্গলবার সামাজিক সংহতিবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ এল-বোরাইকে উদ্ধৃত করে লিখেছে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যক্রম এখনই বন্ধ করা হবে না। খবরে বলা হয়, মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে। নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে ব্রাদারহুড আপিল করবে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। রয়টার্স।দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের রাস্তাঘাট ছিল কার্যত ফাঁকা। ভয় ও শঙ্কায় ঘর থেকেই বের হননি সাধারণ মানুষ। কিন্তু থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে দেখা গেল মুদ্রার অন্য পিঠ। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মান্না দেকে উৎসর্গ করে ‘সুর ঝরা সন্ধ্যা’ শিরোনামে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানে মিলনায়তনজুড়ে তার রেশ মাত্র নেই। দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।এ আয়োজনে শ্রোতাদের এককভাবে সুর সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যান শেখ মোরশেদ আহমেদ। শুরুতেই রবীন্দ্রসংগীত। ‘আগুনের পরশমণি’ গেয়ে সুরের জাল ছড়িয়ে দেন শিল্পী। এরপর মান্না দের সেই বিখ্যাত গান ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গেয়ে মাতিয়ে তোলেন মঞ্চ। দুটি গানের পর কথামালা। মঞ্চে আসেন সংগঠক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও কবি অরুণ দাশগুপ্ত। তাঁরা সবাই মান্না দেকে স্মরণ করে বলেন, ‘মান্না দে তাঁর সৃষ্টিকর্মের জন্যই অমর হয়ে থাকবেন। তিনি শুধু সুরেই গান করতেন না। কোন শব্দটা কীভাবে উচ্চারণ করলে দর্শকের হূদয় ছুঁয়ে যাবে সেটিও বুঝতেন। আর তাই তাঁর গানগুলো আমাদের সহজবোধ্য মনে হয়।’ এবার আবার গান। শেখ মোরশেদ একে একে পরিবেশন করেন ‘আমি ফুল না হয়ে’, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’, ‘এই তো সেদিন তুমি’ ও ‘সে আমার ছোট বোন’ শিরোনামের গানগুলো। এরপর আবার কথামালার আয়োজন। মঞ্চে আসেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেহেনা বেগম, চিকিৎসক রওশন মোর্শেদ ও অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন। আলোচনা শেষে আবার গান ধরেন শিল্পী। এবার পরিবেশন করেন আধুনিক, নজরুলসংগীত, গজল ও ভজন। গেয়ে শোনান ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘হূদয় ছিঁড়ে যদি দেখানো যেত’, ‘মুজে তুম নজরসে’, ‘রাফতা রাফতা’, ‘জিন্দেগি মে তো সবি’, ‘আহেস্তা’ আহেস্তা’, ‘আমায় নহে গো’, ‘গৃহত্যাগী’ শিরোনামের গানগুলো। সবশেষে ‘ও লাল মেরি’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় সুর ঝরা সন্ধ্যার এ আয়োজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিলি চৌধুরী।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ ঘোষণার পরপরই বিজিবি নামানো হয়েছে ঢাকা, বগুড়া ও সিলেটে। আজ রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহসীন রেজা প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই বিজিবি সদস্যদের নামানোর পরিকল্পনা আছে।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে তা ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।নির্বাচনের মাত্র আট দিন আগে ইশতেহার ঘোষণার খবর দিল দলটি। যদিও ১৯৯০ সালের পর প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি দলের কাছেই ইশতেহার ঘোষণা নির্বাচনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।২০০৮ সালের নির্বাচনের ১৭ দিন আগে ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১১ ডিসেম্বর। পরদিন ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ইশতেহার ঘোষণা করে।গত নির্বাচনের ‘দিনবদলের সনদ’ নাম দিয়ে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের ইশতেহার তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।নাম না প্রকাশ করে দলীয় সূত্রগুলো জানায়, আসন ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এবার ইশতেহারের বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতারা তেমন গা করেননি। এমনকি প্রার্থীরা নিজ এলাকায় গিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির বিষয়েও কিছু বলে উঠতে পারেননি।এর আগে ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, ইশতেহার তৈরি হয়ে গেছে। শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে।ইশতেহারে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা করণীয়, সব বলা হয়েছে। এ ছাড়া রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের পথে যেসব কাজ বাকি আছে, সেগুলো কখন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি থাকছে।আওয়ামী লীগের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরীকত ফেডারেশনও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেনি।জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ দলের তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। দলটিও নির্বাচনী ইশতেহার এখনো দেয়নি।জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘ইশতেহার তো দিতে হবেই। গতবার যেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন ইশতেহার দেওয়া হবে।’
তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির (থ্রিজি) সেবা চালুর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে বাংলালিংক। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার তা উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিম্পেলকম লিমিটেডের গ্রুপ উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ডিসিইও) ইয়ান এডভার্ড থাইগেসেন।বাংলালিংকের সিইও জিয়াদ শাতারা গতকাল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ভিম্পেলকমের প্রধান কার্যালয়ে থ্রিজির মাধ্যমে ভিডিও কল করেন। প্রধান বিপণন কর্মকর্তা শিহাব আহমাদ, পরিচালক সোলাইমান আলম ও জাকিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বমানের ইন্টারনেট সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করছে বাংলালিংক। থ্রিজি যাত্রা উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকের প্রতি সেবার অবস্থানও সুস্পষ্ট করা হচ্ছে।এডভার্ড থাইগেসেন বলেন, ভিম্পেলকম বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা নিয়ে বেশ আগ্রহী। গ্রাহকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বাংলালিংক নতুনভাবে বিনিয়োগ করছে। গ্রাহকদের নিয়মিত সেবা দিতে কারিগরি প্রস্তুতি রয়েছে বাংলালিংকের।জিয়াদ শাতারা বলেন, নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে এবং থ্রিজি সমমানের করতে বিশাল বিনিয়োগ নিশ্চিত করছে বাংলালিংক।দেশের অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার টেলিফোন সংলাপ জনগণের মনে কার্যত কোনো আশা জাগাতে পারল না। টেলিফোন আলাপে প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধসহ বিরোধীদলীয় নেতাকে আগামীকাল সোমবার গণভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানোর পর বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। দলটির পক্ষ থেকে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরই নৈশভোজ কিংবা এ ধরনের কিছু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত জনগণকে হতাশ করেছে।হরতাল মানেই সংঘাত-সহিংসতা এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। জনমনে তাই একধরনের আতঙ্কের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল দিনভর প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার টেলিফোনে আলাপের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে জনমনে এই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল যে, দুজনের মধ্যে আলাপ হলে হয়তো হরতালের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার এবং আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। দিনের শেষে সেই আশাবাদ হতাশাতেই পরিণত হলো।বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে এবং নির্বাচন সামনে রেখে একটি ‘রাজনৈতিক তারিখ’ ছিল ২৫ অক্টোবর। শুক্রবার সেই দিনটি পার হয়েছে ঢাকায় বিরোধী দলের মহাসমাবেশ এবং সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। সংঘর্ষ ও গুলিতে সারা দেশে এই দিনটির বলি হয়েছেন পাঁচ-ছয়জন। খালেদা জিয়া শনিবারের মধ্যে কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া না হলে আজ রোববার থেকে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল এবং এই দিনটি থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণ ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছেন। শনিবার দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিফোন আলাপের পরও বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা দুঃখজনক। এতে সমঝোতার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, যার দায়দায়িত্ব বিরোধী দলের ওপরই পড়বে।আজ থেকে যে হরতাল শুরু হতে যাচ্ছে, সেই কর্মসূচিকে সংঘাত ও সহিংসতামুক্ত রাখার কোনো নিশ্চয়তা কি হরতাল আহ্বানকারী দল বা জোট দিতে পারবে? ২৫ অক্টোবর কয়েকজনের মৃত্যুর পর আমরা কি তবে আরও মৃত্যু ও সহিংসতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সংঘাত ও সহিংসতার আশঙ্কাই বাড়ছে এবং অসহায় জনগণ এক দমবন্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আটকে যাচ্ছে।গণতান্ত্রিক শাসনে একটি সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের পছন্দের সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনের আগেই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তা আর যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। গণতান্ত্রিক সমাজে যেকোনো বিরোধ মেটানোর পথ হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাহীনতা এবং আন্তরিকতার অভাব দেশকে আজ এ ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার জাপান দূতাবাসের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়।ডিএমপি গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে এ কথা জানান।সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার কে? উত্তরটা দিতে এক মুহূর্তও ভাবেননি স্টিভ ওয়াহ। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল এই অধিনায়কের কাছে জ্যাক ক্যালিসই সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। ক্যালিসের ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারটার দিকে তাকিয়ে ওয়াহর সঙ্গে গলাও হয়তো মেলাতে দেখা যাবে অনেককেই। তবে সদ্যই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলা ক্যালিস সত্যিই কি সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার?সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বললেই অবশ্য ভেসে আসে কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সের মুখ। মাত্র ২১ বছর বয়সেই যিনি ৩৬৫ রানের ইনিংস খেলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বে। ব্যাট হাতে যে রকম দুর্দান্ত, বল হাতেও সোবার্স ছিলেন বহুবিচিত্র। বাম হাতে পেস, অফস্পিন, লেগস্পিন সবই করতে পারতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। শুধু ব্যাটিং-বোলিংই নয়, সেই যুগের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবেও বিবেচনা করা হয় সোবার্সকে।১৯৫৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের আসনটাতে বেশ জাঁকিয়েই বসেছেন সোবার্স। তাঁর পরও ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে ইমরান খান, কপিল দেব, ইয়ান বোথাম, রিচার্ড হ্যাডলির মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের। কিন্তু কেউই সোবার্সকে সরিয়ে সর্বকালের সেরার আসনটা দখল করতে পারেননি।এই জায়গায় অন্যদের চেয়ে বেশ এগিয়েই গেছেন ক্যালিস। পরিসংখ্যানের বিচারে তিনি এমনকি পেছনে ফেলেছেন সোবার্সকেও। ৯৩টি টেস্ট খেলে ৮০৩২ রান করেছিলেন সোবার্স। উইকেট নিয়েছিলেন ২৩৫টি। অন্যদিকে ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৬৫টি টেস্ট খেলে ক্যালিসের সংগ্রহ ১৩ হাজার ১৭৪ রান ও ২৯২টি উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ক্যালিসের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। ডারবানে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ২০৫ রান করতে পারলেই টেন্ডুলকারের পর দ্বিতীয় স্থানটা দখল করতে পারবেন তিনি।সোবার্সের মতো ফিল্ডিংয়ে কম যাননি ক্যালিসও। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার তালিকায়ও তাঁর নামটা আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর একটা ক্যাচ নিতে পারলেই তিনি স্পর্শ করবেন ২০০ ক্যাচের মাইলফলক।টেস্ট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ ১০ হাজার রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ক্যালিসের চেয়ে ব্যাটিং গড় শুধু কুমার সাঙ্গাকারারই বেশি। কিন্তু দুজনের দূরত্বও খুব বেশি নয়। ক্যালিসের ৫৫.১২, সাঙ্গাকারার ৫৬.৯৮। এর সঙ্গে যোগ করুন ফাস্ট বোলিং। এবং স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা এক জোড়া বিশ্বস্ত হাত। এক ক্যালিসের মধ্যেই যেন আছে সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার আর সেরা ফিল্ডারটি।সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কে, সর্বকালের সেরা বোলার কে, সর্বকালের সেরা ফিল্ডার কে? ক্যালিসকে নিয়ে প্রশ্নটা হলে করতে হবে, সর্বকালের সেরা ‘ক্রিকেটার’ কে?এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভিন্নমত থাকলেও সতীর্থদের অনেকে ইতিমধ্যেই ক্যালিসকে দিয়েই ফেলেছেন সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের সম্মান। ফ্যাফ ডু প্লেসিস নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে একই সাজঘরে থাকতে পারাটা সত্যিই সম্মানের ব্যাপার।’ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ফিটনেস ও ফিল্ডিং কোচ বব ওয়াল্টারও জানিয়েছেন একই রকম প্রতিক্রিয়া, ‘সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য গৌরবের ব্যাপার।’ডারবান টেস্টের পর আরও অনেকেই নিশ্চয়ই এভাবেই বিদায় জানাবেন ক্যালিসকে। ক্রিকেট বিশ্বেও হয়তো প্রশ্নটা উঠবে আরও জোরেসোরেই। গ্যারি সোবার্স নাকি জ্যাক ক্যালিস, কে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার?
প্রখ্যাত বলিউড তারকা দিলীপ কুমার আজ-কালের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। মুম্বাইয়ে তাঁর নিকটজনদের কাছ থেকে জানা গেছে খবরটি। এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দিলীপ কুমারের শয্যাপাশে আধঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। হাসপাতালে দিলীপ কুমারকে দেখতে আরও এসেছেন শাবানা আজমি, আশা পারেখ, ফরিদা জালাল, রাজা মুরাদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব শুক্লাসহ বিশিষ্টজনেরা।৯০ বছর বয়সী দিলীপ কুমার এখন অনেকটাই সুস্থ। এরই মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে।১৫ সেপ্টেম্বর হূদেরাগে আক্রান্ত হওয়ায় দিলীপ কুমারকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওনি? তো কী হয়েছে? এখন সামনে সুযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ারশেষ হয়েছে মেডিকেল কলেজের ভর্তিযুদ্ধ। সুযোগ মিলেছে মাত্র হাজার পাঁচেক শিক্ষার্থীর। স্বাভাবিক কারণেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর। কিন্তু এই স্বপ্নভঙ্গই কি জীবনের শেষ?সামনে পড়ে রয়েছে বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অফুরান সুযোগ। এসো, মেডিকেলে সুযোগ না পেয়েও যারা অন্য বিষয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে, তাদেরই কয়েকজনের কথা শুনি।‘মেডিকেলে ভর্তি হতে না পেরে মুষড়ে পড়েছিলাম। জীবনকে অর্থহীন লাগত। দেখলাম, বান্ধবী পিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চেষ্টা করছে। তার কাছ থেকে নোট জোগাড় করে কয়েক দিন পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় ৪০২তম হলাম! ভর্তি হলাম অণুজীববিজ্ঞানে। এখন বুঝতে পারছি, মেডিকেলের চেয়ে এ বিষয়টিই আমার ভালো হয়েছে,’ বলছিলেন তাবাসসুম তাসনিম।‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ১০ থেকে ১২ দিন পরেই ছিল আমার বুয়েটের পরীক্ষা। এইচএসসির বেসিক ভালো ছিল, তাই পরীক্ষাটাও ভালো হয়েছিল। মেডিকেলে সুযোগ না পেলেও বুয়েটে ৭৬৮তম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯তম হয়েছিলাম,’ বলছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী সামিরা মুসলেহ।ভর্তি পরীক্ষার আগে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলেও মনোবল হারালে চলবে না। ‘ভর্তি পরীক্ষার কিছুদিন আগে এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে গেল আমার। ভালো প্রস্তুতি নিতে না পারায় সুযোগ পেলাম না মেডিকেলে। মন শক্ত করে পরীক্ষা দিতে থাকলাম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। অবশেষে সুযোগ পেলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বে। বেশ উপভোগ করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল জীবন,’ বলছিলেন তামীম তারান্নুম।শুধু বিজ্ঞান বিষয়ইে নয়, অন্য ইউনিটে সুযোগ প্রাপ্তদের তালিকায়ও সামনের দিকেই থাকেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে না-পারা শিক্ষার্থীরা। ‘মেডিকেলে হলো না বলে মন খারাপ না করে প্রস্তুতি নিলাম অনেক জায়গায়। অবশেষে মেধাতালিকায় ২৮তম হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে,’ বলছিলেন তাপসী বিনতে মাহমুদ চৌধুরী।‘প্রথমবার যখন কোথাও সুযোগ পেলাম না, খুব কষ্ট লেগেছিল। এক বছর পড়াশোনা করে পরের বার সুযোগ পাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএতে আমার অবস্থান ছিল ৩৯তম, তাই মেডিকেলে না পড়ে বিবিএতেই ভর্তি হই,’ ফারদীন শাহরিয়ার বলছিলেন তাঁর লক্ষ্য পরিবর্তনের গল্প।তবে হ্যাঁ, কেউ যদি সংকল্প করে বসে থাকেন চিকিৎসক তাঁকে হতেই হবে, তবে তাঁকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার জন্য তৈরি হতে হবে এখন থেকেই। ‘প্রথমবার মেডিকেলে সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আশপাশের মানুষ বাজে কথা বলত। নিজেরও খারাপ লাগত। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। পুরোদমে আবার লেখাপড়া শুরু করি এবং দ্বিতীয়বার সুযোগ পাই।’ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের শিক্ষার্থী সাইফুজ্জামান এভাবেই বলছিলেন তাঁর সংগ্রামের কথা।সুতরাং, মেডিকেল কলেজের প্রথমবারের ভর্তি পরীক্ষায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা, তোমাদের সামনে এখনো খোলা আছে সম্ভাবনার অনেক দুয়ার। আজই নতুন করে পড়া শুরু করো, সাফল্য না আসার কোনো কারণ নেই।গত মৌসুমে তিনি ছিলেন মোহামেডানের প্রধান কান্ডারি। এবার আবাহনীতে যোগ দিয়ে সেই ওসেই মরিসনই হয়ে গেছেন তাদের প্রধান শত্রু। আজ প্রথমবারের মতো সাবেক দল মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নেমে গোলও করেছেন ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। আবাহনীর আরেক বিদেশি খেলোয়াড় লুইস কাস্ত্রোও বল জড়িয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের জালে। ২-০ গোলে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে আবাহনী।আজকের এই ম্যাচটির আগেই কোয়ার্টার ফাইনালটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আবাহনী-মোহামেডানের। তার পরও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী লড়াইটা ভালোই উত্তাপ ছড়িয়েছে। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ শেখ জামালের মুখোমুখি হওয়া এড়িয়েছে আবাহনী। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা খেলবে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ফেনী সকারের বিপক্ষে। অন্যদিকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলতে হবে মোহামেডানকে।আজ আবাহনীর প্রথম গোলটি এসেছিল প্রথমার্ধের ১১ মিনিটের মাথায়। ফ্রি কিক থেকে আসা বলে দারুণভাবে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়েছিলেন কাস্ত্রো। দ্বিতীয়ার্ধের ৩০ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন মরিসন।মুঠোফোন প্রতারণা বাড়ছেই। সম্প্রতি মুঠোফোনে এক প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন অভিনয়শিল্পী কুসুম শিকদার। তবে বিপদ কিছু ঘটেনি, শেষ পর্যন্ত নিজের বিচক্ষণতায় প্রতারকের খপ্পর থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।প্রথম আলো ডটকমকে কুসুম বলেন, ‘হঠাত্ করেই “রাজীব” পরিচয়ের একজন আমার মুঠোফোনে ফোন করে একটি শাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে স্থিরচিত্রের মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমাকে বলা হয়, স্থিরচিত্রের কাজটি করবে বাংলাদেশের একটি নামী প্রতিষ্ঠান।’কুসুম শিকদার বলেন, ‘আমাকে ই-মেইলে ব্যক্তিগত ছবি পাঠানোর জন্যও বলা হয়।’মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে প্রতিষ্ঠানটি স্থিরচিত্রটির কাজ করবে বলে ফোনে বলা হয়েছিল, সেখানকার অনেকেই আমার পূর্বপরিচিত। এরপর দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে দেখি, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমি পুরো বিষয়টিতে বিস্মিত হয়েছি।’কুসুম আরও বলেন, ‘রাজীব পরিচয়ে যে ফোন করেছিল, সে এত নিখুঁতভাবে সবকিছু আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল, যাতে প্রভাবিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক।’মুঠোফোনে প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করে কুসুম শিকদার জানিয়েছেন, ‘নিত্যনতুন প্রতারণা ফাঁদ পাতা হচ্ছে। আমি প্রতারণা থেকে রক্ষা পেলেও নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীসহ সকলকে প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ করছি।’ ই-মেইলে ছবি পাঠানোর বিষয়েও সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।এদিকে কাজের ব্যস্ততা সম্পর্কে কুসুম শিকদার বলেছেন, এখন নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। নতুন বছরে নতুন চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়েও ভাবছেন।
প্রিন্সেস ডায়ানার জীবনের শেষ দুই বছরের ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ডায়ানা। ছবিটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পেয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে আগামী ১ নভেম্বর। কিন্তু তার আগেই স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশের দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে কাল শুক্রবার। ছবিতে ডায়ানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাওমি ওয়াটস।জানা গেছে, হূদ্যন্ত্রের শল্যচিকিৎসক হাসনাত খানের সঙ্গে ডায়ানার দুই বছরের গোপন সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। ডায়ানার জীবনের শেষ দুই বছরকে গভীরভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন নির্মাতারা। আর সমালোচকদের মতে, অলিভার হার্সবিগেল পরিচালিত ডায়ানা ছবিটি ‘ভয়াবহ’! এই সমালোচকেরা ছবিটিকে ডায়ানার জীবনের ব্যাপারে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মনে করছেন।স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আজ সন্ধ্যায় ডায়ানা ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।কোরবানির ঈদ, শারদীয় দুর্গাপূজা আর প্রবারণা—তিন উৎসবকে ঘিরে পর্যটকে ঠাসা ছিল কক্সবাজার। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই পর্যটকের জোয়ারে আবার ভাটা পড়েছে। ২৩ অক্টোবরের পর থেকে ফাঁকা হয়ে গেছে সমুদ্রসৈকত। পর্যটক শূন্যতায় খালি পড়ে আছে শহরের তিন শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠায় পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।২৪ অক্টোবর সকালে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো সৈকত ফাঁকা। দু-একজন পর্যটক আছেন। অথচ এর দুই দিন আগে ২২ অক্টোবর লাখো পর্যটকে ভরপুর ছিল সৈকত।ইয়াছির লাইফগার্ড স্টেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, দেশে কী ঘটবে—এ নিয়ে সবার মনে উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক। তাই আগেভাগে পর্যটকেরা নিরাপদ স্থানে ফিরে গেছেন। এ কারণে সমুদ্রসৈকতও ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এখন পুরো সৈকত ঘুরে ১০০ পর্যটকও খুঁজে পাওয়া যাবে না।সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হোটেল কল্লোলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমদ জানান, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর হোটেলে প্রচুর পর্যটক ছিল। কিন্তু এর পর থেকে পুরো হোটেল ফাঁকা।কলাতলী এলাকার হোটেল রিগাল প্লেসের ব্যবস্থাপক করিম উল্লাহ বলেন, ২৪ অক্টোবর থেকে খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। কক্ষ ভাড়ার জন্য কোনো পর্যটক আসছেন না।জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াত-বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা মাঠে নামেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর পর টানা কয়েক মাসের হরতাল, সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষসহ নানা কর্মসূচিতে এখানকার হোটেল ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লোকসান পুষিয়ে নিতে ছাঁটাই করা হয় ১০ হাজারের বেশি হোটেল-কর্মচারী। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আড়াই শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস। কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বারবার মার খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অনেকের পথে বসার উপক্রম হচ্ছে। কক্সবাজারকে হরতালের আওতামুক্ত রেখে পর্যটকদের অবাধে ভ্রমণের সুযোগ করে দিলে সারা বছর এখানে পর্যটকের সমাগম ঘটত।জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। কেউ এখন আর নৌকায় ভোট দেবে না। এ জন্য আমার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে নির্বাচনে যাচ্ছি।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ এ কথা বলেন। এ নিয়ে জাপার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যুক্তি হিসেবে গত চার দিনে তিন রকম কথা বলেন এরশাদ।২১ নভেম্বর জাতীয় ছাত্রসমাজের যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছিলেন, ‘সরকারকে সতর্ক করতে বিভিন্ন সময়ে বলেছি, বিরোধী দল না এলে আমি নির্বাচনে যাব না।’২৩ নভেম্বর কাকরাইলে জাতীয় যুব সংহতির সমাবেশে এরশাদ বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে অন্য দলের সঙ্গে সহিংস আন্দোলনে যেতে হতো, গাড়িতে আগুন দিতে হতো, ছেলেদের পুড়িয়ে মারতে হতো, হরতাল করতে হতো। তিনি সে রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তাই নির্বাচনে গেছেন।এরশাদ বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা তো বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছি, বিএনপি না এলে কী করার আছে।’নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, নির্বাচনে সেই অর্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। যদিও এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে, তার পরও তাদের অধীনেই নির্বাচনে যেতে হবে।এর আগে বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদের মুখপাত্র ও জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে এরশাদ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।ফরম বিক্রির শেষ দিন কাল: কাল মঙ্গলবারও জাপার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। আজ সোমবার ফরম বিক্রির শেষ দিন থাকলেও এক দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৩টি ফরম বিক্রি হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় বাংলাদেশ কৃষক লীগের যশোর জেলা কমিটির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শফি কামালকে (৫০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গরীবপুর মাদ্রাসা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। শফি কামাল গবীরপুর গ্রামের বাসিন্দা।হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকেলে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দুইটার দিকে শফি কামালের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা গরীবপুর মোড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান টিপু সুলতানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে যান। এ সময় স্থানীয় ১৫-২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শফি কামালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায়। হাসপাতালের নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মী- সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে জেলা কৃষক লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেশমা শারমিন জানান, নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে শফি কামাল খুন হয়েছেন। খুনিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের কাছে বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিতে সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেবা উদ্ভাবনী তহবিল (সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড) থেকে এক কোটি নয় লাখ ৪৩ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এ তহবিল পরিচালনা করছে। এ তহবিলে অর্থায়ন করছে ইউএনডিপি ও ইউএসএইড।ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বুধবার একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস, অর্থসচিব ফজলে কবির, এটুআইয়ের নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী।শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এটি একটি অগ্রগামী পদক্ষেপ। আমাদের দেশের যুবকেরা তাঁদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন। এ উদ্দেশ্যে উদ্ভাবনী দক্ষতার বিকাশে সরকারিভাবে উদ্ভাবনী তহবিল গঠন করা হয়েছে।’ ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনযাত্রার মান বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।৫৫৪টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রস্তাবের মধ্য থেকে সাতটি প্রস্তাবকে অনুদানের জন্য নির্বচন করা হয়। প্রস্তাব নির্বাচনে সেবা বিকেন্দ্রীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, দরিদ্রবান্ধব সেবা প্রদানব্যবস্থা, স্বল্পমূল্যের প্রযুক্তি, তথ্যে প্রবেশাধিকার, বাংলা ভাষা সহায়ক সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। অনুদান পাওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠান হলো পরিবেশ অধিদপ্তর (অনুদানের পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা), সয়েল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা), যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ (১৬ লাখ টাকা), জীবন বীমা করপোরেশন (১০ লাখ টাকা), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন-ইপসা (২০ লাখ ৬ হাজার টাকা), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (১৮ লাখ ৫ হাজার টাকা) এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (২৩ লাখ টাকা)।উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে এটুআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক, উন্নয়নকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের কাছে উদ্ভাবনী তহবিলের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়।—মো. রাফাত জামিল  দক্ষিণ ভূর্ষি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৪৯তম জম্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।১৮ অক্টোবর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, তিমির বরণ চৌধুরী, চৌধুরী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককে অবস্থিত দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় দখল করে নিয়েছে। রয়টার্স বলছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত হাজার হাজার মানুষ মন্ত্রণালয়ের কক্ষ ও বারান্দাগুলোতে মাদুর পেতে অবস্থান নিয়েছে।এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রণালয় চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরে।দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্মীরা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিন বছর আগে দেশটিতে ব্যাপক জনবিক্ষোভ হয়। সে সময় অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সরকারকে হটাতে ন্যাশনাল ইউনাইটেড ফ্রন্ট অব ডেমোক্রেসি অ্যাগেইনস্ট ডিকটেটরশিপ (ইউডিডি) বা লালশার্ট বাহিনীর কর্মীরা আন্দোলন করছিলেন। আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনী ব্যাপক ও নৃশংস অভিযান চালাতে অন্তত ১০০ মানুষ প্রাণ হারায়।আজকের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ইংলাক সিনাওয়াত্রা তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছায়া ভিন্ন আর কিছু নয়। ২০০৬ সালের সেনা অভ্যুত্থানে থাকসিন ক্ষমতা হারান এবং দুর্নীতির দায়ে তাঁকে দুই বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকছেন না, তবে বোনের সরকারের ওপরে তাঁর প্রভাব অসীম।রয়টার্স জানায়, প্রায় এক হাজার প্রতিবাদী আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের মূল ভবনসহ সাতটি ভবন দখল করে নেয়। সেখানে ঢুকে তারা বাঁশি বাজাতে থাকে। সে সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছুটে বেরিয়ে যান এবং গাড়ি রাখার কক্ষে আশ্রয় নেন।বিক্ষোভকারীদের নেতা সুদেব থাকসুবান সমাবেশে বলেন, ‘আমি আজ সবাইকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাত যাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।... আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো দেশকে থাকসিন শাসন থেকে মুক্ত করা।’ সাবেক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী সুদেব আরও বলেন, ‘আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় দখল করেছি যাতে সরকার এর মধ্য দিয়ে অর্থ পাচার করতে না পারে, যেমনটি এর আগে থাকসিন শাসনের সময় দেখা গিয়েছিল।’এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশপাশে পুলিশ নেই বললেই চলে। ভবনটির বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।ব্যাংককের রামকামহেং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বুনাকিয়াত কারাভেকফান বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে সরকার বল প্রয়োগ করতে পারবে না। যদি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সব নিয়ন্ত্রণ হারাবে। এখন সরকারের একমাত্র করণীয় হলো, বিক্ষোভকারীরা যা করতে চাইছে তা করতে দেওয়া।’ইংলাকের মূল সমর্থক হলো দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দরিদ্র জনগণ। কার্যত এদের ভোটেই তিনি ২০১১ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনকে ধনীদের ওপরে গরিবদের জয় হিসেবে দেখা হয়। থাইল্যান্ডের সব অভিজাত, সেনা কর্মকর্তা, রাজপরিবারের লোকজন, মধ্যশ্রেণীর আমলা ও কোটিপতি ব্যবসায়ীদের সবাই ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। এরা ইংলাক ও তাঁর সরকারকে অবিশ্বাস করে।গত সপ্তাহে ইংলাকের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটির নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দেশটির সংসদের সবগুলো আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি ঠিক করার বিধান ছিল সে পদক্ষেপে। কিন্তু দেশটির সাংবিধানিক আদালত সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।সংসদের সব পদে সরাসরি নির্বাচন হলে, দেশটির রাজতন্ত্র ও ধনীদের দলগুলো মুশকিলে পড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপরীতে সুবিধা হবে ইংলাকের দলের। তাই ইংলাককে উত্খাতের চেষ্টা করছে বিরোধীরা।অবিশ্বাস্য! অভূতপূর্ব! এমন ঘটনা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আগে কখনো ঘটেছে কি না, কে জানে। আজ সেটিই ঘটিয়ে ফেললেন আল-আমিন। আজ সিলেটে আবাহনীর বিপক্ষে এক ওভারেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে খেলা এই পেসার। পরে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৬১ রানের সৌজন্যে ম্যাচটিও ২ উইকেটে জিতেছে ইউসিবি-বিসিবি একাদশ।আবাহনীর শেষ ওভার ছিল সেটি। ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছিল আবাহনী। হাতে ৫ উইকেট। আবাহনীর নিশ্চয়ই লক্ষ্য ছিল ঝড় তুলে শেষ ওভারে যত বেশি রান বাড়িয়ে নেওয়া যায়। উল্টো তারাই আল-আমিন নামের টর্নেডোতে লন্ডভন্ড।এর আগে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য আল-আমিন ওই ওভারের প্রথম বলে মেহেদি মারুফকে বানালেন আরাফাত সানির ক্যাচ। দ্বিতীয় বলে দুই রান। তখনো বোঝা যায়নি, কী ঘটতে চলেছে শেষ চারটি বলে। ওভারের তৃতীয় বলে নাজমুল মিলন, চতুর্থ বলে সোহরাওয়ার্দী শুভ, পঞ্চম বলে নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে আউট করলেন। হয়ে গেল হ্যাটট্রিক। কিন্তু তখনো বাকি ছিল আল-আমিনের উইকেট-ক্ষুধা। ওভারের শেষ বলে আউট নাবিল সামাদ। টানা চার বলে চারটি উইকেট! ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব আছে কেবল একজনের—শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার।আল-আমিনের এই কৃতিত্ব যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, কিন্তু তিনি যা করলেন, তা মালিঙ্গাও পারেননি। ওভারের ছয় বলের পাঁচটিতেই তুলে নিলেন উইকেট! পাঁচ ব্যাটসম্যানই একইভাবে আউট হয়েছেন। ক্যাচ দিয়েছেন ফিল্ডারের হাতে। ১৯ ওভার শেষে যে আবাহনীর স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৪১, তারাই শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে অলআউট! সব মিলে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিলেন আল-আমিন।ইউসিবি-বিসিবি একাদশের জয়টাও সহজ হয়নি। যদিও মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পাবে তারা। ১৮ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৩১। হাতে ৫ উইকেট রেখে ১২ বলে তাদের দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু পরের ৫ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় তামিমের দল। ৫২ বলে ৬১ করার পথে ছয়টি চার ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম। তবে জয়ের নায়ক আল-আমিনই।এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটানোর পর তাঁর ম্যাচসেরা না হওয়াটা হতো আরও বিস্ময়কর!
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ‘বিগ বস’-এর সপ্তম মৌসুমে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি মডেল আসিফ আজিম। জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতিযোগিতা থেকে অভিনেত্রী হ্যাজেল কিচ ছিটকে পড়ার পর এবার তাঁর জায়গায় লড়াইয়ে শামিল হচ্ছেন আসিফ। এরই মধ্যে কালারস টিভিতে শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো।এই রিয়েলিটি অনুষ্ঠানে ১৪ প্রতিযোগীকে তিন মাস বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। ‘বিগ বস’-এর বানানো সেটের ভেতরেই জীবন যাপন করতে হয় তাঁদের। নতুন ফরম্যাটে এবারের ‘বিগ বস’-এ দুটো আলাদা অংশ করা হয়েছে—স্বর্গ ও নরক।আসিফ ভারতের মুম্বাইয়ে আছেন নয় বছর ধরে। ভারতের টিভির বিজ্ঞাপনচিত্র ও র‌্যাম্পে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। সুযোগ পেয়েছেন চলচ্চিত্রেও। আসিফ অবশ্য ‘বিগ বস’-এর স্বর্গের আরাম কিংবা নরকের অস্বস্তি নিয়ে কিছুই ভাবছেন না। তিনি জানালেন, এই অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি ভারতের দর্শকের আরও কাছে পৌঁছে যেতে চান। পিটিআই।কোরবানির ঈদ, শারদীয় দুর্গাপূজা আর প্রবারণা—তিন উৎসবকে ঘিরে পর্যটকে ঠাসা ছিল কক্সবাজার। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই পর্যটকের জোয়ারে আবার ভাটা পড়েছে। ২৩ অক্টোবরের পর থেকে ফাঁকা হয়ে গেছে সমুদ্রসৈকত। পর্যটক শূন্যতায় খালি পড়ে আছে শহরের তিন শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠায় পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।২৪ অক্টোবর সকালে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো সৈকত ফাঁকা। দু-একজন পর্যটক আছেন। অথচ এর দুই দিন আগে ২২ অক্টোবর লাখো পর্যটকে ভরপুর ছিল সৈকত।ইয়াছির লাইফগার্ড স্টেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, দেশে কী ঘটবে—এ নিয়ে সবার মনে উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক। তাই আগেভাগে পর্যটকেরা নিরাপদ স্থানে ফিরে গেছেন। এ কারণে সমুদ্রসৈকতও ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এখন পুরো সৈকত ঘুরে ১০০ পর্যটকও খুঁজে পাওয়া যাবে না।সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হোটেল কল্লোলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমদ জানান, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর হোটেলে প্রচুর পর্যটক ছিল। কিন্তু এর পর থেকে পুরো হোটেল ফাঁকা।কলাতলী এলাকার হোটেল রিগাল প্লেসের ব্যবস্থাপক করিম উল্লাহ বলেন, ২৪ অক্টোবর থেকে খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। কক্ষ ভাড়ার জন্য কোনো পর্যটক আসছেন না।জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াত-বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা মাঠে নামেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর পর টানা কয়েক মাসের হরতাল, সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষসহ নানা কর্মসূচিতে এখানকার হোটেল ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লোকসান পুষিয়ে নিতে ছাঁটাই করা হয় ১০ হাজারের বেশি হোটেল-কর্মচারী। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আড়াই শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস। কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বারবার মার খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অনেকের পথে বসার উপক্রম হচ্ছে। কক্সবাজারকে হরতালের আওতামুক্ত রেখে পর্যটকদের অবাধে ভ্রমণের সুযোগ করে দিলে সারা বছর এখানে পর্যটকের সমাগম ঘটত।নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করায় রাজধানীসহ সারা দেশে আনন্দ মিছিল করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।তফসিল ঘোষণার পরপরই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ মিছিল শুরু হয়।মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে জিরো পয়েন্ট-মুক্তাঙ্গন-প্রেসক্লাব-তোপখানা রোড-পুরান পল্টন-বায়তুল মোকাররম হয়ে আবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ফিরে আসে। মিছিলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলনসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ ‘নৌকা’ স্লোগানে পুরো এলাকায় মুখর হয়ে ওঠে।এদিকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। লালবাগ এলাকায় ঢাকা-৬ আসনের সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল হয়। মতিঝিল, সবুজবাগ-খিলগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর ও ডেমরায় আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।রাতে খাবার খেয়ে বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল শিশুটি। সকালে শিশুটির লাশ দেখতে পান তার দাদা। ঘটনার পর থেকে শিশুটির বাবা পলাতক।আজ বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নেরগঙ্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত শিশুটির নাম জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক আট বছর। তার বাবার নাম মো. বাবুল।প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে শিশুটি তার বাবা বাবুলের সঙ্গে গঙ্গাপুরে যায়। রাতে খাবার খেয়ে বাবা ও ছেলে একই ঘরে ঘুমায়। পরে সকালে দাদা মনির আহমেদ শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিত্কার করেন। দুপুরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির বাবা তাকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। শিশুটির মা ঢাকায় থাকেন বলে এলাকাবাসী জানায়।সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাজাহান জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে রাতের বেলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুরে হাইটেক পার্ক করার সব ধরনের সুবিধা রয়েছে। প্রয়োজনীয় জমির ব্যবস্থা হলেই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপী হাইটেক পার্ক বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের (আইসিটি) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য দেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিল্লাল হোসেন। তিনি হাইটেক পার্কের প্রয়োজনীয়তা ও সরকারের পরিকল্পনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সেমিনারে বক্তব্য দেন  আইসিটি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সরকার আবুল কালাম আযাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ নূরুল্লাহ,  চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিহির লাল সাহা, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছাদেকুর রহমান, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার আহমেদসহ অনেকে।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন চাঁদপুর পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। এতে তিনি হাইটেক পার্কের সুবিধা, চাঁদপুরে প্রয়োজন কেন, চাঁদপুরে এ পার্ক স্থাপনের সব ধরনের সুবিধা বিদ্যমান বিষয়গুলো তুলে ধরেন। —আলম পলাশ, চাঁদপুর প্রতিনিধিএকজন ছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র, অন্যজন ছিলেন ও আছেন ‘মহারাজা’। একজনের খেলার গুণে মানুষ আনন্দ পেত, দেশ পেত সম্মান; অন্যজনের স্বভাবগুণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত, লাঞ্ছিত ও অসম্মানিত। সাবেক তারকা ফুটবলার এমিলি বনাম নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে আলোচিত শামীম ওসমানের মধ্যে কার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব আমরা?জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কৃতী ফুটবলার সম্রাট হোসেন এমিলিকে প্রহার করে আহত করেছেন আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা ও সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান। এ ধরনের ঘটনা এটাই নতুন নয়। প্রায়ই শামীম ওসমান কিংবা তাঁর লোকজন নারায়ণগঞ্জের প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিক থেকে শুরু করে শিশু-কিশোরেরাও তাঁর কাছ থেকে নিরাপদ নয়। তিনি যা খুশি তা-ই করতে পারেন, বলতে পারেন; কুছ পরোয়া নেহি। তাঁর নিজস্ব বাহিনী আছে, যারা নারায়ণগঞ্জ শহরে ত্রাস হিসেবে কাজ করে। এদেরই আক্রোশের শিকার হয়েছেন কৃতী ফুটবলার এমিলি। নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন করাই তাঁর কাল হয়েছিল। এ জন্য শামীম ওসমান নিজের এক জোড়া পা দিয়ে এমিলিকে প্রহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এই ফুটবলার। আরও দেখার বিষয়, প্রহূত হয়ে বাসায় যেতে না-যেতেই পুলিশ এমিলিকে মিথ্যা অভিযোগে থানায় ধরে নিয়ে যায়। এমিলি অবশেষে মুক্ত হয়েছেন, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতা থেকে মুক্ত হবে কীভাবে?ওসমান পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ত্বকী হত্যার অভিযোগ। এ রকম অনেক অভিযোগই আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে না, তার আগেই প্রশাসনের যোগসাজশে সেগুলো উবে যায়। অতীতেও বিভিন্ন ব্যক্তিকে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। প্রায়ই তিনি তাঁর বিরুদ্ধাচরণকারীদের হুমকি দিয়ে যান। ক্ষমতার দম্ভ কতটা হলে একজন প্রৌঢ় সাবেক খেলোয়াড়কে লাথি মারেন? এমিলির অভিযোগ কেবল শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। তিনি বলেছেন, ‘শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কেউ সুবিচার পায়নি।’ এর জবাব সরকার ও প্রশাসনেরও দেওয়া উচিত।নির্বাচনকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে করা তদন্ত কমিটির ভিত্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, হয়তো খুব সীমিত জায়গায় এ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তবে যেখানেই হোক না কেন, সেটা খুঁজে বের করা হবে।’২০ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। এ ঘটনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে মন্ত্রী আজ জানান।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনাকে কেউ আর বিশ্বাস করে না। ঢাকায় কোনো মিটিং করতে হলে ৫ জানুয়ারির পর করতে হবে। এর আগে কোনো মিটিং করতে দেওয়া হবে না। এর আগে হেফাজতকে বিশ্বাস করে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেই সুযোগের অপব্যবহার করে বায়তুল মোকাররমে আগুন দেওয়াসহ ঢাকায় নাশকতা করেছে।’আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় মোহাম্মদ নাসিম এ হুঁশিয়ারি দেন।মোহাম্মদ নাসিম বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘৫ জানুয়ারির আগে জামায়াত-শিবিরকে ছেড়ে দিন। তাদেরকে না ছাড়লে আপনাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। ৫ জানুয়ারি যথাসময়ে নির্বাচন হবে। যদি সমঝোতা হয়, তাহলে ৫ জানুয়ারির পর আলোচনা করে নির্বাচন হতে পারে।’
রাজধানী ঢাকার ছয়টি জায়গায় এবং নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও বগুড়ায় কম্পিউটার সোর্স শাখায় চলছে ১০ দিনের ক্যামেরা মেলা। গতকাল বুধবার ঢাকায় ‘লুমিক্স ঈদ উৎসব’ নামের এ মেলার উদ্বোধন করেন এসিআই কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের ব্যবসায় ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান, কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক এস এম মুহিবুল হাসান ও মুহাম্মদ শামসুল হুদা।এ সময় প্যানাসনিক সিঙ্গাপুরের বিপণন নির্বাহী (ভিজ্যুয়াল) লি কিম ফন, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপক আলফ্রেড লিম,অডিও ভিজ্যুয়াল বিভাগের ব্যবস্থাপক পাও চেং উই এবং এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবস্থাপক তানভীর আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।মেলায় ক্যামেরার সঙ্গে একটি মেমোরি কার্ড ও ব্যাগ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।—বিজ্ঞপ্তিহে ম ন্তএ সংখ্যায় ছাপা হলো পাঠক ফিচার হেমন্ত। হেমন্ত ঋতু নিয়ে অনেকেই অনেক লেখা পাঠিয়েছেন। বিদেশে বসেও দেশের এই ঋতু নিয়েস্মৃতিচারণা করেছেন। সেই সব লেখা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।হেমন্ত দুয়ারে আজ। পেঁজা তুলার মতো ছন্নছাড়া মেঘমালা বিদায় নিয়েছে, হেসে উঠেছে কার্তিকের ঝকঝকে আকাশ। বাতাসে হিম হিম গন্ধ, ভোরের চেহারা আলাদা করে ঠাহর করা যায়। মাটির কাছাকাছি আলতো কুয়াশা জমে, ঘাসের ডগায় বুঝি বা মুক্তোদানার মতো শিশিরেরা অস্থায়ী নিবাস গড়ে। গাঁয়ের দিকে ঋতুবদলের বৈচিত্র্য বেশ চোখে পড়ে। আমন ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষকের মন। সোনারং ধানের ফলনের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে গ্রামীণ জীবন। ফলন ভালো হলে কৃষাণির গায়ে উঠবে নতুন শাড়ি, নাকে নোলক, পায়ে মল, বাচ্চারা পাবে দুটো ভালোমন্দ খাবার, খেলনা ঘুড়ি, মিহিদানা, রসগোল্লা।শরতের বিগত-যৌবনা কাশফুল হেমন্তে শান্ত-সমাহিত রূপ লাভ করে। বুনোকলমির আদুরে আবাহন মন কেড়ে নেয়। মাঠঘাট শুকোতে থাকে, ডোবা-জলাশয়ের পানিতে ধরে টান, অনাগত শীতের প্রস্তুতি নেয় প্রকৃতি। হেমন্তে ছন্দ-মাধুর্যের অন্ত নেই। অথচ গাছগাছালির পাতা ঝরার দিন আসছে। তাই শেষবারের মতো প্রকৃতি যেন নিজেকে মেলে ধরে শ্রেষ্ঠ সাজে। পরিযায়ী পাখিরা গ্রামবাংলার আতিথেয়তা গ্রহণের উদ্দেশে নোঙর ফেলে অগ্রহায়ণের শেষে। ভুলোমন কোকিল মনের অজান্তেই হয়তো ‘কুহু’ স্বরে গেয়ে ওঠে। হেমন্তের পুলক শিহরণ স্পর্শ করে বিহগের মন! নতুন ধানের আমেজে মাতোয়ারা গৃহকোণ। বছর শেষে নব উদ্দীপনায় আন্দোলিত হয় গাঁয়ের সহজ-সরল মানুষ। ফসল তোলা শেষ, এবার নবান্নের আয়োজনে মেতে ওঠে গৃহবধূ। ধনলক্ষ্মীর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতার যেন কোনো শেষ নেই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গ্রামবাসী তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অন্তরঙ্গতাকে আরও একবার নবায়ন করে নেয়। জীবনকে উদ্যাপন করে নতুনভাবে প্রাণের আলোয়।দিনভর ব্যস্ততা শেষে সাঁঝের আলোয় বসে টপ্পাগানের আসর। গাঁয়ের দিকে এখনো হুঁকোর প্রচলন আছে। কৃষাণ-বউ কলকে সাজানোয় ব্যস্ত, পাছে গায়কের রসভঙ্গ হয়। বেশ রাত অবধি চলে গানের আসর। তারপর মাটির বিছানায় শুয়ে স্বপ্নবিভোর ঘুম।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনপূর্ব মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কোনো উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে ডিএনএ আইনের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করা হয়।মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদেরকে বৈঠকের বিষয়ে জানান।আজকের বৈঠককে সর্বদলীয় সরকার বলা হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেহেতু এটাকে সর্বদলীয় সরকার বলা যায়।’আগে জানানো হয়েছিল, এই মন্ত্রিসভা নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। শুধু রুটিন কাজ করবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধিতে যা আছে, তা-ই হবে।’সংবিধানে তো সর্বদলীয় বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে কিছু নেই—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংবিধানে সবকিছু থাকে না, শুধু বেসিকটা থাকে।’আজকের বৈঠকে ডিএনএ আইনের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। ধর্ষণ, হত্যা ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে, বিদেশে যাওয়ার সময় ভাই-বোনের সম্পর্ক নির্ণয় করতে চাইলে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের তাগিদেই এই আইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় না হওয়া পর্যন্ত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটি দেখবে। উপদেশ দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা থাকবেন। আইনের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে ও অনুমোদন ছাড়া কোনো কার্যক্রম চালালে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মত্স্য ভবন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (তথ্য ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ডিবি কার্যালয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী মামলা রয়েছে, তা জানা যায়নি।গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বাসে পেট্রলবোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং তাতে পুলিশের একজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার মামলা হয়। রমনা থানায় পুলিশের করা এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিরোধীদলীয় জোটের ১৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) ঘটনায় জড়িত হিসেবে বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও আসামির নাম লেখার জন্য নির্ধারিত ছকে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামির কলামে লেখা হয়েছে, দুজন মোটরসাইকেল আরোহীসহ ‘অজ্ঞাতনামা ১৮-২০ জন’ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মামলার বিবরণে মির্জা ফখরুল ছাড়া আর যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তার মধ্যে মাহবুবউদ্দিন খোকনের নাম নেই।
রেডিও তুফান ও স্টুডিও সাউন্ড যৌথভাবে প্রকাশ করেছে নতুন অ্যালবাম তানভির ফিচারিং ভেরিয়াস আর্টিস্ট—এভাবেই শুরু। সম্প্রতি বসুন্ধরা সিটির অডিও মার্কেটে অ্যালবামটির মোড়ক খোলা হয়। অ্যালবামে গান রয়েছে ১২টি। গানগুলোয় কণ্ঠ দিয়েছেন জিয়া, মিঠু, আরিফ, পিয়াস, তানভির, ফয়সাল ও রোকন। তানভির ফিচারিং ভেরিয়াস আর্টিস্ট—এভাবেই শুরু তানভিরের চতুর্থ মিশ্র শিল্পীর অ্যালবাম। বিজ্ঞপ্তি।ফুটবল প্রতিভা খুঁজে বের করা আর ফুটবল খেলার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট।২২ অক্টোবর রাঙামাটির চিংহ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে প্রকৃত ক্রীড়া প্রতিভা উঠে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।এ সময় আরও বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপকমিটির আহ্বায়ক আমেনা বেগম, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বরুণ দেওয়ান, পৌরসভার মেয়র মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুছা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যসহ ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।জেলার ১০ উপজেলার খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত উপজেলা ভিত্তিক ১০টি দল নিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নক আউট পদ্ধতিতে আয়োজিত উদ্বোধনী খেলায় রাঙামাটি সদর উপজেলা দল বাঘাইছড়ি উপজেলা দলকে ৩-২ গোলে হারায়। ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আমরা কাজের মাধ্যমে আমাদের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেব।আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ।আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার শুধু আয়কর কর্তৃপক্ষের (এনবিআর)। এই অধিকার আর কারও নেই। কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে কথা বলে, সেটি অমূলক ও অনৈতিক।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটি। পরে মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।প্রার্থীদের হলফনামা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা কমিশনের বিষয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী সেগুলো বিশ্লেষণের দায়িত্ব কমিশনের।আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন, তাঁরাও যেন আয়কর বিবরণী প্রকাশ করেন। আমরাও দেখতে চাই এই পাঁচ বছরে কতজন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।’কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় সম্পর্কে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ২৯ ডিসেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি দিয়েছেন, তা নির্বাচন আইনের পরিপন্থী। এ ধরনের কর্মসূচি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, বর্তমান সহিংস পরিস্থিতিতে বেআইনি অস্ত্র মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে। সরকারের পাশাপাশি কমিশনও যেন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এই দুটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে তিনি জানান।আওয়ামী লীগের দলটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এম এ সাত্তার, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, সীমা করিম ও জাকিয়া সুলতানা।সম্প্রতি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্যের ভিত্তিতে নানা অসংগতি উল্লেখ করে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস এবার বাঁকানো যাবে এমন পর্দার স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। আগামী মাসেই এ স্মার্টফোন বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। মূলত স্মার্টফোনের নকশায় নতুন কিছু যুক্ত করতেই এমন উদ্যোগ। উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্যামসাংয়ের গবেষকেরা এবার নতুন ধরনের এই স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে প্রতিনিয়তই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে স্যামসাংকে। তাই কিছুটা ভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁকানো স্মার্টফোনের ব্যাপারে জানান স্যামসাংয়ের বিপণন পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ডি জে লি। এতে বেশ কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। সহজেই ভাঁজ করা যাবে অথবা চাইলে কাগজের মতোই মুড়িয়ে রাখা যাবে স্মার্টফোনটিকে! হাতের মুঠোফোনকে যাতে ইচ্ছামতো রাখা যায় আবার ব্যবহারও করা যায়, সে চিন্তা থেকেই এমন উদ্যোগ। তবে বাঁকানোর প্রযুক্তি পর্দাযুক্ত যন্ত্র এবারই প্রথম নয়, এর আগে বাঁকানো পর্দার ৫৫ ইঞ্চি এলইডি টিভি এনেছে এলজি। নমনীয় পর্দার স্মার্টফোন বাজারে নতুন চমক সৃষ্টি করতে পারবে বলে আশাবাদী স্যামসাং। —বিবিসিরিজিয়া পারভীন। সংগীতশিল্পী। আজ দুপুরে চ্যানেল আইয়ে ‘ওয়ালটন ঘরে ঘরে গানের উৎসব’অনুষ্ঠানে গান গাইবেন তিনি।‘ওয়ালটন ঘরে ঘরে গানের উৎসব’...আজকের অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে সদ্যপ্রয়াত মান্না দে স্মরণে। পুরো অনুষ্ঠানে তাঁর গান করব। বছর দুয়েক আগে মান্না দের গান নিয়ে আবার হবে তো দেখা নামের একটি অ্যালবাম করেছিলাম। সংগীতায়োজন করেছিলেন পার্থ মজুমদার ও আজম বাবু। ওই অ্যালবাম থেকেও আজ গান করব।আমার কণ্ঠে অন্যের গান...আমার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে। তখন ভারতীয় বিভিন্ন শিল্পীর গান গাইতাম। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাকে দিয়ে ভারতীয় আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর আর পুরোনো দিনের গানের রিমেক গাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। অল্প সময়ে পরিচিতি পাওয়ার জন্য আমিও রিমেক গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করি।মৌলিক গান গাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ...রিমেক গান গেয়ে আমি আর পলাশ দারুণ জনপ্রিয়তা পাই। অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের ২৫টি অ্যালবাম বাজারে আসে। এরপর মৌলিক গান গাওয়ার তাগিদ অনুভব করি।সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়েছে যে গান...১৯৯২ সালে চাঁদের আলো ছবির ‘তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো/ যুগে যুগে তোমায় আমি বাসব ভালো’ গানটিই আমার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সুর করেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানটিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন এন্ড্রু কিশোর।চলচ্চিত্রের গানে...ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় আমি প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিই। রাজ্জাক ভাই (নায়ক রাজ্জাক) আমাকে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ করে দেন। আজহারুল ইসলাম পরিচালিত এবং আনোয়ার পারভেজের সুরে তালাক ছবির ওই গানটি রেকর্ডিং হয় ১৯৮২ সালে। এরপর চলচ্চিত্রের দেড় হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছি।আমার অক্ষেপ...অনেক গানই গেয়েছি। রিমেক আর মৌলিক মিলে ১৩২টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, এখনো মনের মতো একটি গানও গাইতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে সুরকার আর সংগীত পরিচালকেরা আমাকে বঞ্চিত করেছেন। মনজুর কাদেরব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আজ সোমবার সকালে একটি ট্রেনের পাঁচটি ট্রলি লাইনচ্যুত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা-সিলেটের রেল যোগাযোগ আবার শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই রেল যোগাযোগ শুরু হয়।আখাউড়া জংশনের রেল নিয়ন্ত্রণকক্ষের কেবিন মাস্টার জসিম উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আজ সকাল নয়টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী একটি ট্রেন গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছানোর পর পাঁচটি ট্রলি লাইনচ্যুত হয়ে দুটি ট্রলি পুরোপুরি উল্টে যায়। এ ঘটনায় রেললাইনের প্রায় ১০০ মিটার উপড়ে যায়। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রামে রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল করেছে।এ দুর্ঘটনায় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল ট্রেনটি কসবা রেলস্টেশনে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী কুমিল্লার লালমাইয়ে এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণা এক্সপ্রেস কুমিল্লা রেলস্টেশনে আটকা পড়ে যায়। পরে আখাউড়া জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ও কুমিল্লা থেকে উদ্ধারকারী একটি দল গিয়ে মেরামতকাজ শুরু শেষ করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রেল চলাচল স্বাভাবিক করে। টি-টোয়েন্টির উত্তেজনা, ছয়-চারের ফুলঝুরির প্রভাবে নাকি রং হারিয়েছে টেস্ট ক্রিকেট। দর্শকস্বল্পতা আর টেলিভিশন স্বত্বের দোহাই তুলে বারবার পেছানো হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে—সেটা কেউই বিশ্বাস করতে চাইবেন না মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজে) দিকে তাকালে। আজ অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে মাঠে এসে খেলা দেখেছেন ৯১ হাজারেরও বেশি দর্শক। এটাই এমসিজের সর্বোচ্চ দর্শক সমাগমের নতুন রেকর্ড।স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া চারটায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ইলেকট্রিক স্কোরবোর্ডে ভেসে উঠেছিল সংখ্যাটা। ৯১০৯২। এক দিনে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগমের নতুন রেকর্ডটার কথা এভাবেই ঘোষণা করেছিল এমসিজে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্টটির দ্বিতীয় দিনে এই স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ৯০ হাজার ৮০০ জন দর্শক। সেটাই ছিল ক্রিকেটে এক দিনে সবচেয়ে বেশি দর্শকের বিশ্ব রেকর্ড।১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার এই এমসিজে স্টেডিয়ামেই শুরু হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা। ঐতিহাসিক এ স্টেডিয়ামটি যে এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য তীর্থস্থান, সেটাই নতুনভাবে প্রমাণ করল আজকের এ রেকর্ডটি। এ দিনটি আগামীতে পুরো ক্রীড়াবিশ্বের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন এমসিসির প্রধান নির্বাহী স্টিফেন গফ, ‘টেস্ট ম্যাচের এক দিনে সবচেয়ে বেশি দর্শকের নতুন রেকর্ডটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্মস্থানেই বেশি মানায়। এই সাফল্যের জন্য আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বক্সিং ডে টেস্টটাকে এরকম একটা রেকর্ডগড়া ইভেন্টে পরিণত করতে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’বক্সিং ডে টেস্টটা মেলবোর্নবাসীর স্মৃতিতেও দীর্ঘদিনই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড, ‘আগামী বছরগুলোতেও মেলবোর্নবাসী এই বক্সিং ডে স্মরণে রাখবে। কারণ এই দিনেই তাদের শহর গড়েছে ক্রীড়া ইতিহাস।’কোনো টেস্ট ম্যাচের এক দিনে কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও বেশ কয়েকবার দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ দর্শক সমাগম। কারও কারও অনুমান, সেটা এমসিজের এই কীর্তিকেও ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু সেগুলো কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে হিসাব করা হয়নি। ক্রিকইনফো।
আসাদুজ্জামান নূর। অভিনেতা। আজ বিটিভিতে পুনঃপ্রচার করা হবে হুমায়ূন আহমেদের এইসব দিনরাত্রি ধারাবাহিকটি। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তিনি।‘এইসব দিনরাত্রি’, সেই সব দিনগুলো...আমার প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল সেটি। এ ছাড়া তার আগে আমার অভিনীত বেশির ভাগ নাটকই ছিল প্রেমের গল্পের। প্রেমের গল্পে আবার আমার খুব স্বস্তি ছিল না। সেদিক থেকে এইসব দিনরাত্রি নাটকে আমার চরিত্রটি ছিল একেবারে অন্য রকম। দর্শক পছন্দও করেছিল বেশ।হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে পরিচয়...এই নাটকের আগে একটি এক ঘণ্টার নাটক করেছিলাম। সেটি দিয়েই মূলত হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে পরিচয়। ওই নাটকে আমার অভিনয় দেখে এইসব দিনরাত্রিতে নিলেন আমাকে। তারপর হুমায়ূন আহমেদের একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করলাম। বহুব্রীহি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, আজ রবিবারসহ আরও কয়েকটি। মজার বিষয়, একেকটি নাটকে একেক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। ফলে, আমি সমৃদ্ধও হয়েছি।‘এইসব দিনরাত্রি’ বইটি পড়ে...বই পড়ার এক মজা, অভিনয়ের সময় আরেক আনন্দ। নাটকটির সঙ্গে বইয়ের গল্পের অনেক পার্থক্য ছিল। তার পরও বই পড়ার মজা তো ছিলই।অভিনয়জীবনে আর যে চাওয়া বাকি...আমি এই জীবনেই সন্তুষ্ট, তৃপ্ত। তবে এখন আর অভিনয়ে তীব্র আগ্রহ অনুভব করি না। যে জীবনে পা রেখেছি, তাতে করে অভিনয়ের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেওয়াও সম্ভব নয়।আমার লেখার ভুবন...অনেক পরিকল্পনাই করি, কিন্তু কিছুই করে ওঠা হয় না। এখন পুরোপুরি জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচন শেষ হলে লেখালেখি করব।আমার পথচলা...নাটক থেকে রাজনীতিতে আসার আগে অবশ্যই অনেক ভেবেছি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমার ভেতরে যে চেতনা কাজ করত, সেই চেতনায় মুক্তিযুদ্ধে গেছি। তারপর নাটকের মাধ্যমেও সেই চেতনার কথা বলেছি। কিন্তু একসময় মনে হয়েছে, মানুষের জীবন পরিবর্তনে আরও গভীর ভূমিকা রাখতে পারি রাজনীতির মধ্য দিয়েই। আর রাজনীতি একটা ধারাবাহিক নাটকের মতো, এর কোনো শেষ নেই। মানুষের চাহিদা ও উন্নয়ন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।মাহফুজ রহমাননালা-নর্দমা ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার বিভিন্ন স্থানে পানি জমছে। এতে শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগ বাড়লেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।বৃষ্টি হলেই হ্নীলার বাস স্টেশন, বাজার ও হাসপাতাল সড়ক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর ফলে ময়লা পানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। গত সোমবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতাল সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, নালা উপচে ময়লা পানি ও কাদা ছড়িয়ে আছে সড়কের ওপর।বৃষ্টির পর টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ, হ্নীলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের রোগীরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নাকাল হন।হ্নীলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তাসলিমা আকতার নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রশ্ন করলে সে বলে, চলন্ত গাড়িগুলো সড়কে জমে থাকা পানি ছিটিয়ে চলে যায়। এ কারণে এই সড়ক দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়।সড়কের পানি সরতে না পারায় ঢুকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে।হ্নীলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির আহমদ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে প্রধান সড়কের বাজার, স্টেশন ও হাসপাতালসহ কয়েকটি স্থানে হাঁটাচলা কঠিন হয়ে পড়েছে।নালাগুলো ভরাট হয়ে ময়লা পানি সড়কে উপচে পড়ছে। পাশাপাশি দোকানেও ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শঙ্কর চন্দ্র দেবনাথও জলাবদ্ধতাকে দুর্ভোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়কে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় রোগীরা খুব দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।জানতে চাইলে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেম বলেন, বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটি নেমে আসায় নালা ভরাট হচ্ছে। পরিষ্কার করলেও আবার তা ভরে যাচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যা দূর করার চেষ্টা চলছে।যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে লুকোচুরি প্রসঙ্গে বলেছেন, যা সত্য তা চেপে কারও কোনো লাভ নেই। হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকা যায় না। সত্য একসময় নেপথ্য থেকে মঞ্চে এসে যাবে। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মেরামতকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে নেপথ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যেও আশার প্রদীপ এখনো জ্বলছে।বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের জন্য সরকার বিভিন্ন জেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করছে। এর মধ্য দিয়ে টার্গেট কিলিং চলছে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খন্দকার মাহবুব হোসেন এই অভিযোগ করেন।খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে এটা কি একাত্তরের ছাব্বিশে মার্চের মতো গোপন কোনো অভিযান? আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, যৌথ বাহিনীর অভিযানের আড়ালে আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী বিরোধী দলের অনেক নেতা-কর্মীর গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যা করেছে। অধিকাংশ অভিযান চালানো হচ্ছে রাতের বেলায়। চলছে টার্গেট কিলিং।’বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, সহিংসতার প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে দেশের নিরপেক্ষ সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে ব্যাপক সহিংসতার শিকার নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছেন।নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এই আইনজীবী বলেন, ‘একদলীয় নির্বাচন আয়োজনের পথ থেকে সরে আসুন। সরকারের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করবেন না।’একতরফা তফসিল ঘোষণার কারণে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তফসিল ঘোষণার পর সহিংসতায় সারা দেশে ১১১ জন নিহত হয়েছে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বিপরীত শব্দ  অংশ-২প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন ‘বিপরীত শব্দ খাতায় লেখো’ নিয়ে আলোচনা করা হলো।আমূল শব্দ বিপরীত শব্দআবশ্যক অনাবশ্যকআস্থা অনাস্থাআসল নকলআরম্ভ সমাপ্তআলস্য শ্রমআর্দ্র শুষ্কআদি অন্তআলোক অন্ধকারআদান প্রদানআশা নিরাশাআসা যাওয়াআকাশ পাতালআয় ব্যয়আবির্ভাব তিরোভাবআহার অনাহারআস্তিক নাস্তিকআগমন নির্গমনআগে পিছেআপদ সম্পদআপন পরআঁঠি শাঁসআমদানি রপ্তানিআঁঁটসাঁট ঢলঢলেআগত অনাগতআগা গোড়াআজ কালআটক ছাড়আত্মীয় অনাত্মীয়আদায় অনাদায়আদৃত অনাদৃতআধুনিক প্রাচীনআবাসিক অনাবাসিকআবাদি অনাবাদিআবাহন বিসর্জনআবির্ভাব তিরোভাবআবিষ্কৃত অনাবিষ্কৃতআমির ফকিরআয়ত্ত অনায়ত্তআরম্ভ শেষআরোহণ অবরোহণআর্য অনার্যআলো আঁধারআলোচিত অনালোচিতআশীর্বাদ অভিশাপআশ্রয় নিরাশ্রয়আসমান জমিনআসামি ফরিয়াদিআহত অনাহতআহূত অনাহূতইইতর ভদ্রইদানীং তদানীংইষ্ট অনিষ্ট।ইহা উহাইচ্ছা অনিচ্ছাইহকাল পরকাল।শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাবাকী অংশ ছাপা হবে আগামীকালফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সদর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে কবির আহম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।নির্বাচনে বিজয়ী কমিটির অন্য কর্মকর্তারা হলেন সহসভাপতি নুর আহম্মদ মজুমদার ও মো. আবুল কালাম, সহসাধারণ সম্পাদক মো. নাছির, যুগ্ম সম্পাদক মো. গোলাম মর্তুজা, অর্থসম্পাদক জাফর আহম্মদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুল হাই চৌধুরী, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল হক, প্রচার সম্পাদক কে এম ছেলাহ উদ্দিন, নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুর অহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এরশাদ উল্লাহ, সদস্য মো. সফি উল্লাহ পাটোয়ারী, মো. মীর নাসির উদ্দিন, ফজলুল হক চৌধুরী, মো. ইউছুফ, সৈকত হোসেন, জসিম উদ্দিন, কাজী মনির উদ্দিন, কাজী মনির আহম্মদ ও জালাল আহম্মদ।নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফুলগাজী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশীষ কুমার লোধ।সারদার অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত হওয়া সাংসদ কুনাল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর উত্তাল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এখন বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপিসহ সব বিরোধী দলই ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) দিয়ে সারদা কাণ্ড তদন্ত করানোর দাবি তুলেছে। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে আন্দোলনও শুরু করেছে বামফ্রন্ট।        একই দাবিতে কংগ্রেসের সেবা দল গতকাল রোববার দক্ষিণ কলকাতার ট্রায়াংগাল পার্কের সামনে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও দাবি তুলেছেন সিবিআই তদন্তের। সব দলের এক অভিযোগ যেহেতু সারদা কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে, সে কারণে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। তাই সব বিরোধীরাই চাইছে সিবিআই দিয়ে সারদা কাণ্ডের তদন্ত হোক।                                                                                     বামফ্রন্টের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, সত্যকে আড়াল করার জন্য কুনাল ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্ত হোক। এদিকে কুনাল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফেসবুকে তিনি ১২ জনের নাম প্রকাশ করে বলেছেন, পুলিশকে তাঁরা সারদা কাণ্ডের তদন্তে সাহায্য করতে পারেন। এই ১২ জন হলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র, কেডি সিং, সাংসদ মুকুল রায়, সংবাদ ‘প্রতিদিন পত্রিকা’র সম্পাদক সাংসদ সঞ্জয় বোস, তাঁর পিতা টুটু বোস, সৌমিক বোস, বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তাঁর স্বামী বুয়া চক্রবর্তী (সমীর), আসিফ খান, রজত মজুমদার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।এদিকে তৃণমূল সাংসদ কুনাল ঘোষের জামিনের আবেদন খারিজ করে গতকাল পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে কলকাতার বিধাননগর মহকুমা বিচার বিভাগীয় আদালত। কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্ করে। ১০ এপ্রিল সুদীপ্ত আত্মগোপন করলেও পুলিশ ২৩ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি হোটেল থেকে দুই সঙ্গীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সুদীপ্ত সেনসহ সারদা গোষ্ঠীর আরও কয়েকজন সারদার কর্মকর্তা এখন কারাগারে রয়েছেন। সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।নিম্নমুখী প্রবণতায় আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেনও কমছে দুই বাজারে।ডিএসইতে সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্টপ্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক আজ ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২০০ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত সময় সূচকের বাড়তি প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। আধা ঘণ্টা শেষে সূচক নয় পয়েন্ট বাড়লেও এরপর নিম্নমুখী হয় সূচক, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭০টির দাম কমেছে, বেড়েছে ৭৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। ডিএসইতে আজ ৩৬৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত মঙ্গলবারের চেয়ে সাত কোটি টাকা কম। মঙ্গলবার এই বাজারে ৩৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়।সিএসইতে সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্টডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৮২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩১ পয়েন্টে।সিএসইতে আজ ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৩৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইতে আজ ৩৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৯ কোটি টাকা কম। আগের দিন এই বাজারে ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানিডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া গোল্ডেন সন, আরএন স্পিনিং, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, আরগন ডেনিমস, বে লিজিং, বেঙ্গল উইন্ডসর, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ব্যাংক এশিয়া, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।
আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা ভাসিয়ে এসেছে শরৎ। প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে শরৎ উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। কাল শুক্রবার সকল সাতটা ১৫ মিনিটে যন্ত্রসংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায়।দুই পর্বের এই উৎসবের প্রভাতি অধিবেশনে থাকবে শরৎ কথন, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিশিষ্ট শিল্পীদের একক সংগীত, দলীয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা।সংগঠনগুলোর মধ্যে থাকবে বহ্নিশিখা, স্ব-ভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র, ধ্রুবতান, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, নটরাজ, স্পন্দন ও নৃত্যম। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। এতে থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।গোথেনবার্গ বইমেলায় ভয়েস ফ্রম বাংলাদেশসুইডেনের গোথেনবার্গ শহরে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ‘গোথেনবার্গ বইমেলা-২০১৩’। মেলার আয়োজকদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, মুহাম্মদ সামাদ, রুবি রহমান ও মৃত্তিকা গুণ। এ ছাড়া সুইডেন থেকে অংশ নেবেন সে দেশে প্রবাসী কবি আনিসুর রহমান। মেলা চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।গোথেনবার্গ বইমেলা শুরু হয়েছে ১৯৮৫ সালে। প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লক্ষাধিক সাহিত্যপ্রেমী, কবি-সাহিত্যিক, লেখক-পাঠক-প্রকাশক, দর্শক- ক্রেতার সমাগম ঘটে এই মেলায়। এর মধ্য দিয়ে এই বইমেলা পরিণত হয় বিভিন্ন দেশের শিল্প-সাহিত্য আর সংস্কৃতির এক মিলনমেলায়।মেলায় অংশ নিতে গতকাল বুধবার রাতেই বাংলাদেশের চার কবি সুইডেন রওনা হয়েছেন। মুহাম্মদ সামাদ প্রথম আলোকে জানান, এবারের মেলায় ৭৫টি সেমিনার, সংলাপ ও কবিতা পাঠের আসরে সারা পৃথিবী থেকে ৭২৪ জন কবি-লেখক অংশ নেবেন। এই প্রথমবারের মতো মেলায় বাংলা কবিতা ও সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ‘ভয়েস ফ্রম বাংলাদেশ’ নামের একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় সুইডেনের বিশিষ্ট কবি ক্রিশ্চিয়ান কার্লস অনূদিত বাংলা ভাষার কবিদের একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হবে।মেলায় আমন্ত্রিত কবিরা কবিতা পাঠ করবেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও সাহিত্যসহ তাঁর সৃষ্টিশীল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেমিনার ও সংলাপে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন নির্মলেন্দু গুণ ও রুবি রহমান। তৃতীয় দিন ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলাদেশের কবিতা ও সাহিত্য বিষয়ে সেমিনার। এ ছাড়া মুহাম্মদ সামাদ উপসালা কাউন্টি কাউন্সিলের পরিচালক আনা সোঁদারব্যকের আয়োজনে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ার সংস্কৃতি ও জীবন নিয়ে একটি সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।মহাকালের নাট্য উৎসবে তিন নাটকবিশ্বনাটকের যুথ উৎসবে গতকাল বুধবার তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় তাদের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে থিয়েটার মঞ্চস্থ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক মুক্তধারা, পরীক্ষণ থিয়েটারে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় করে নিশিমন-বিসর্জন এবং ছায়ানট মিলনায়তনে কলকাতার ষড়ভুজ মঞ্চস্থ করে ডাকঘর।বিশ্বভারতী বিশ্ব্ববিদ্যালয় প্রয়াত মান্না দেকে মরণোত্তর দেশিকোত্তম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মান্না দেকে দেশিকোত্তম দেওয়ার সিদ্ধান্তটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস আগেই নিয়েছে। তখন বেঙ্গালুরুতে মান্না দে এবং তাঁর পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়। কথা ছিল, আগামী ডিসেম্বর মাসে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে মান্না দের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।এদিকে মান্না দের মৃত্যুর পর বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতি জরুরি বৈঠকে বসে। কারণ, বিশ্বভারতীর মরণোত্তর দেশিকোত্তম দেওয়ার রেওয়াজ খুব একটা নেই। এর আগে বিশ্বভারতী মরণোত্তর দেশিকোত্তম দিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (১৯৮৫) এবং বিশিষ্ট ঐতিহাসিক অধ্যাপক মসিরুল হককে (১৯৯২)। বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতির এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত দত্ত গুপ্ত।টিকফা চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য খাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনস্ত হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।আজ সোমবার এক বিবৃতিতে দলটির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক এ কথা বলেছেন। তাঁরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কিছু আমলা, উপদেষ্টা ও বাণিজ্যমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহের ফলে এই খসড়া চুক্তির স্বাক্ষরের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এত দিন জিএসপি সুবিধার প্রশ্নটি সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো বাংলাদেশের মূল রপ্তানিপণ্য পোশাকশিল্পকে জিএসপি সুবিধা দেয়নি এবং এই খাতে জিএসপি সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নকে বিভিন্ন রকম শর্তের অধীন করেছে। অন্য খাতে যে জিএসপি সুবিধা এত দিন পাওয়া গেছে, তা খুবই নগণ্য। অথচ এ ধরনের সুবিধার কথা বলে টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের বাণিজ্য খাত মার্কিনের অধীনস্থ হয়ে পড়বে। তাঁরা বলেন, টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে টিকফা চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কী অর্জন করবে।টিকফা স্বাক্ষরের উদ্যোগকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে এ চুক্তি স্বাক্ষরের বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য শৌচাগার দেওয়া হবে—এমন আশ্বাস পেয়ে স্বামীর ঘরে ফিরেছেন গৃহত্যাগী ভারতীয় এক বধূ। সাত বছর আগে মধ্যপ্রদেশের দেবাস জেলার বাসিন্দা সবিতা (২৭) নামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে মুন্ডলানা গ্রামের দেবকরণ মালব্যর বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামীর বাড়িতে গিয়ে পড়েন এক মহা বিড়ম্বনায়। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য কোনো শৌচাগার নেই। সবাই খোলা জায়গায় কাজ সারেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন দলিত সমাজের এই গৃহবধূ। ফল না পেয়ে বছর তিনেক আগে দুই শিশু নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে যান তিনি। বাবার বাড়ি গিয়ে ওই গৃহবধূ সাফ জানিয়ে দেন, শৌচাগার না বানালে তিনি আর স্বামীর ঘরে ফিরবেন না। ভরণ-পোষণের অর্থ চেয়ে আদালতে মামলাও করেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জানুয়ারি।উপায় না দেখে শেষে স্বামী দেবকরণ আদালতে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী ১০ জানুয়ারির আগেই তিনি তাঁর বাড়িতে শৌচাগার বানাবেন। এই আশ্বাসে গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি ফিরতে রাজি হয়েছেন।এখনো ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের অনুন্নত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শৌচাগার নেই। যেতে হয় উন্মুক্ত স্থানে।
সঠিক প্রশ্নোত্তর  অংশ-১৪প্রিয় সমাপনী পরীক্ষার্থী, আজ দেওয়া হলো ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১ নম্বর প্রশ্নটি অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’-এর ওপর প্রশ্নোত্তর।অধ্যায়-২৫২. জাকাত দিলে সম্পদে আল্লাহ তাআলা কী দান করেন?ক. টাকা খ. সম্পদ গ. বরকত ঘ. দোজখউত্তর: গ. বরকত।৫৩. ‘জাকাত ইসলামের (ধনী-গরিবের মধ্যে) সেতুবন্ধন।’ —উক্তিটি কে করেছেন?ক. আল্লাহ তাআলা খ. মহানবী (সা.)গ. হজরত আদম (আ.)ঘ. হজরত আলী (রা.)উত্তর: খ. মহানবী (সা.)।৫৪. ধনী ও গরিবের বৈষম্য দূর হয় কীভাবে?ক. হজ পালন করলে খ. সালাত আদায় করলেগ. জাকাত দিলে ঘ. আকিকা দিলেউত্তর: গ. জাকাত দিলে।৫৫. যাদের ওপর জাকাত ফরজ, তারা জাকাত না দিলে—ক. শাস্তি দেওয়া হবে খ. বেহেশতে যাবেগ. পরকালে কঠিন আজাব ভোগ করবেঘ. পরকালে অমরত্ব লাভ করবেউত্তর: গ. পরকালে কঠিন আজাব ভোগ করবে।৫৬. ‘মাসারিফ’ শব্দের অর্থ কী?ক. পরিচ্ছন্নতা খ. ব্যয়ের খাতসমূহগ. পবিত্রতা ঘ. ধনসম্পত্তিউত্তর: খ. ব্যয়ের খাতসমূহ।৫৭. কয় শ্রেণীর লোককে জাকাত দেওয়া যায়?ক. সাত শ্রেণী খ. ছয় শ্রেণী গ. দশ শ্রেণী ঘ. আট শ্রেণীউত্তর: ঘ, আট শ্রেণী।৫৮. জাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য কোনটি?ক. গরিবদের অবস্থার পরিবর্তনখ. ধনীদের অবস্থার পরিবর্তনগ. সম্পদের বণ্টনঘ. কতিপয় লোককে সম্পদের মালিক বানানোউত্তর: ক. গরিবদের অবস্থার পরিবর্তন।৫৯. ‘হজ’ শব্দের অর্থ কী?ক. ইচ্ছা করা খ. গল্প করাগ. ভ্রমণ করা ঘ. ধর্ম সম্পর্কে জানাউত্তর: ক. ইচ্ছা করা৬০. হজের নির্দিষ্ট সময় বলতে কোনটি বোঝায়?ক. ১২ রবিউল আউয়াল থেকে ২০ রবিউল আউয়ালখ. ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্তগ. ৬ শাবান থেকে ১২ শাবান পর্যন্তঘ. কোনোটিই নয়উত্তর: খ. ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত।৬১. একজন মুসলমানের জীবনে হজ কয়বার ফরজ?ক. চারবার খ. তিনবার গ. দুইবার ঘ. একবারউত্তর: ঘ. একবার।৬২. আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ শরিফে হজ পালন করা অবশ্যকর্তব্য।— এটি কোন সূরার অন্তর্গত?ক. সূরা আন-নাহল খ. সূরা আলে ইমরানগ. সূরা আল-বাকারা ঘ. সূরা আল-হজউত্তর: খ. সূরা আলে ইমরান।৬৩. আল্লাহর ঘর কোনটি?ক. মদিনা শরিফ খ. মসজিদে আকসাগ. পবিত্র কাবা শরীফ ঘ. তাজমহলউত্তর: গ. পবিত্র কাবা শরীফ।শিক্ষক, বিএমটিটিআই, গাজীপুরপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালআমিলাইষ কালীবাড়ির মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদ গঠনসাতকানিয়া আমিলাইষ কালীবাড়িতে আগামী ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় মহোৎসব উদ্যাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা ১৬ অক্টোবর কালীবাড়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমর চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে গত মহোৎসবের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক স্বপন সেন। আলোচনায় অংশ নেন শ্যামল দত্ত, পরিতোষ কুমার দত্ত, সুনীল বরণ দাশ, রাখাল চন্দ্র দে, নারায়ণ চৌধুরী, বাদল দাশ, দিলীপ চৌধুরী, সুব্রত দত্ত, প্রিয়জিৎ দাশ, খোকন নন্দী, সুব্রত চৌধুরী, কালাচান ভট্টাচার্য, পূর্ণেন্দু দত্ত, চন্দন দাশ প্রমুখ। সভায় সুনীল বরণ দাশকে সভাপতি ও হারাধন শীলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদ-২০১৪ গঠন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আখতারুজ্জামান চৌধুরী স্মরণসভা ৫ নভেম্বরবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাংসদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ৪ নভেম্বর। এই উপলক্ষে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নাগরিক শোকসভা কমিটির উদ্যোগে আগামী ৫ নভেম্বর বেলা তিনটায় নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় আলোচনায় অংশ নেবেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। এতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য শোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান অনুপম সেন ও সদস্যসচিব আবু সুফিয়ান অনুরোধ জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি।উরকিরচর জনতা সংঘের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনদক্ষিণ রাউজানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন উরকিরচর জনতা সংঘের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন গত ২৮ সেপ্টেম্বর উরকিরচর উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ২২ জন পদপ্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ছগির আহমদ, সদস্যসচিব মো. নুরন্নবী ও সাবেক সহসভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী।নির্বাচনে মোহাম্মদ জাকির হোসেন সভাপতি ও আবু বক্কর সিদ্দিক সাধারণ সম্পাদ নির্বাচিত হন। অন্যান্য পদে নির্বাচিত কর্মকর্তারা হলেন এস এম জাহাঙ্গীর আলম সহসভাপতি, ইয়াছিন আলী সহসাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অর্থ সম্পাদক, ইরফান আহমেদ সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ইমরান আজম প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক, মোহাম্মদ আলী সাহিত্য ও সাস্কৃতিক সম্পাদক, সদস্য আলী আহমদ ও নাছির উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি।মুরাদপুরে দীপাবলি উৎসবের প্রস্তুতি সভামুরাদপুর ১ নম্বর রেলগেট এলাকার ধর্মীয় সংগঠন ‘সমাজে মোরা পূজা উদ্যাপন পরিষদ’-এর উদ্যোগে আসন্ন দীপাবলি উৎসব (শ্যামা পূজা) উদ্যাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা ২৩ অক্টোবর সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।পরিষদের সভাপতি রণধীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদ পাঁচলাইশ থানা শাখার সহসভাপতি রতন মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন এম কে ধর, রতন দেব, অজিত দাশ, রতন রায়, কৃষ্ণা দাশ ও রাধা রানী চৌধুরী। বক্তব্য দেন শিমুল তালুকদার, সুজন সেন, প্রতীক চৌধুরী, বিজয় দাশ, চন্দন দাশ, প্রণব ধর, নিশান সেন প্রমুখ।সভায় বক্তারা সারা দেশে শারদীয় দুর্গোৎসবের মতো দিপাবলি উৎসবও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপন করার ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি।ফটিকছড়িতে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সিরাজ সংবর্ধিতফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সিরাজুল ইসলামকে বিদ্যোৎসাহী ও আলোকিত মানুষ হিসেবে সংবর্ধনা দিয়েছে স্থানীয় গুণীজন স্মৃতি পরিষদ।১৭ অক্টোবর নারায়ণহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সমাজসেবক আহমেদ ছাবেরের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শাহজাহান চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শওকত আকবর।বক্তারা বলেন, কাজী সিরাজুল ইসলামের মতো নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিরা সেবা, সততা ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন। অন্যরাও তাঁর পথ অনুসরণের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন।কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার লোকজনকে আমি অত্যন্ত ভালোবাসি। জীবন সায়াহ্নে এসে এই সংবর্ধনা প্রমাণ করে, লোকজন আমাকেও ভালোবাসে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’মো. বাদশা আলম ও মো. নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, আবু জাফর মাহমুদ সিকদার, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাওয়ার্দী চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, কাজী সেলিম উল্লাহ, আবুল খায়ের সিকদার, শওকত হোসেন সিকদার, ফরিদ আহমদ ও শান্তি বিধান নন্দী।—ফটিকছড়ি প্রতিনিধিমুকুল মেলার উদ্যোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনাসম্প্রতি মুকুল মেলার উদ্যোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ এম এ লতিফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মঞ্জুর হোসেন। এ ছাড়া অতিথি ছিলেন মাহবুবুল হক মিঞা, আবদুল মতিন, মো. আইয়ুব, আবদুল হালিম লোহানী, দানু মিয়া, লোকমান আজাদ, গোফরান উদ্দিন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।রাউজান ক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনীরাউজান ক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর রাউজান ক্লাব মিলনায়তনে রাউজান ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকার মো. একরামুল হক। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মো. সেকান্দর হোসেন, বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ ও ব্যবসায়ী হাসানুর রশীদ।বক্তব্য দেন মো. ওমর ফারুক, গোলাম মোহাম্মদ, আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী, মো. জাহেদুল আলম, মো. শামসুদ্দোহা, মো. জাহেদুল আনোয়ার, আবদুর রহমান, সৈয়দ মো. রিদুয়ান, আখতারুজ্জমান চৌধুরী, ছমি উদ্দিন, জসিম উদ্দিন সিকদার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ে ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীপটিয়া এ এস রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর স্থানীয় একটি সামাজিককেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ।৯৮ ব্যাচের সমন্বয়ক ওয়াহিদ হাসানের সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন ও আবুল কালামের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর চৌধুরী, পটিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সফিউল আলম, অধ্যাপক আবদুল আলীম, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এস এম মুছা ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ বিকাশ দাশ।বক্তব্য দেন শিক্ষক সফিউল আলম, এ টি এম তোহা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফোরকান, জসিম উদ্দিন সাদা, নাজমুল হাসান, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।সভায় বক্তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জায়গা থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।—পটিয়া প্রতিনিধিঘাসফুলের এইচআইভি এইডস-বিষয়ক কর্মশালাবেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুলের আয়োজনে এইচআইভি/এইডস-বিষয়ক এক কর্মশালা ১০ অক্টোবর চট্টগ্রাম ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন এম ডি সরফরাজ খান চৌধুরী।কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ঘাসফুলের নির্বাহী সহসভাপতি মনজুর উল আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ঘাসফুলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুর রহমান জাফরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব জয়নাব বেগম ও ডা. শেখ সাহাবুদ্দিন আহমেদ। আলোচক ছিলেন মোখলেছুর রহমান, মামুনুর রশীদ চৌধুরী, শাহেদ আহমদ, শেখ রুকুনুদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরজু শাহাব উদ্দিন, ডবলমুরিং থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চৌধুরী, এম নাছিরুল হক, কল্যাণ চক্রবর্তী প্রমুখ। কর্মশালায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকারি প্রতিনিধি, আইনজীবী, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।ফটিকছড়ি সম্প্রযুগের ঈদ পুনর্মিলনীফটিকছড়ির সম্প্রযুগ (সমমনা প্রগতিশীল যুব গোষ্ঠী) পাঠাগারের ঈদ পুনর্মিলনী ও লায়ন্স জেলা গভর্নর এস এম শামসুদ্দীনের সংবর্ধনা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ১৮ অক্টোবর সকালে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মো. মাহামুদুল হক।বক্তব্য দেন লায়ন শাহজাহান চৌধুরী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, আইয়ুব চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, আবদুস ছালাম, শফিউল আজম চৌধুরী, শহিদুল আলম, রাশেদ সরোয়ার চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভাসাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আলী। উপস্থিত ছিলেন সরওয়ার জাহান, শরীফুজ্জামান, মুঈনুদ্দীন আহমেদ খান, আবদুল মুক্তাদির, মোজাম্মেল হক, মহিউদ্দিন খালেদ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. নুরুল মুস্তফা, ইসরাত জাহান, আলী আশরাফ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে কারাগারে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাঁকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি এ আদেশ দেন। রুলে রিমান্ড আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।গতকাল রোববার ফখরুল ইসলামকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন ফখরুল।আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আছে ফখরুলের বিরুদ্ধে। ২০ নভেম্বর পুলিশ তাঁকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করে।একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ আলোকচিত্র সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রামপুরা থানায় এ মামলা করেন আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ। আফতাব আহমেদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক কবিরকে প্রধান আসামি করে ও অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে।আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাড়িচালক কবির প্রধান সন্দেহভাজন। কারণ ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।’ পালানোর আগে কবির আফতাব আহমেদের বাসা থেকে আড়াই লাখ টাকা চুরি করেছে বলে দাবি করেন মনোয়ার।মনোয়ার আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার সন্দেহ কবির এককভাবে এ ঘটনা ঘটায়নি। তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।’ হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আফতাব আহমেদের সাবেক দুই গাড়িচালক অলি ও নাজমুলকে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ডিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িচালক কবিরকে গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল তাঁর ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখ করা ঠিকানা অনুযায়ী গাজীপুরে অভিযান চালানো হয়। সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি।আফতাব আহমেদের ছেলে জানান, সম্ভবত ভুয়া ভোটার কার্ড তৈরি করে কবির তাঁদের গাড়িচালকের চাকরি নিয়েছিলেন।আজ বাদ জোহর প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে আফতাব আহমেদের মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।গতকাল বুধবার দুপুরে রামপুরার বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে ডিবি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আলোচিত অসংখ্য ছবি তুলেছিলেন আফতাব আহমেদ। তাঁর তোলা ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব ইত্যাদি। তবে আফতাব আহমেদ সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় তোলা ‘জাল পরা বাসন্তি’র ছবির কারণে। বাসন্তির সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করার পর ১৯৬৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাক-এ ফটোসাংবাদিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। টানা কাজ করার পর দৈনিক ইত্তেফাক থেকে ২০০৬ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেন তিনি। ওই বছরই একুশে পদক পান আফতাব আহমেদ।
এটিএন বাংলাবেলা ৩-০৫ ভালোবাসা কারে কয় (রিয়াজ, শাবনূর, বাপ্পারাজ, রাজিব)চ্যানেল আইবেলা ৩-৩০ চন্দ্রকথা (ফেরদৌস, শাওন)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ অর্পণ।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ দুখিনী জোহরা (শাবনূর, ফেরদৌস)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ মিস ডায়না।মাছরাঙা টেলিভিশনসকাল ৯-০২ ম্যাডাম ফুলি (আলেকজান্ডার বো, সিমলা)।চ্যানেল নাইনসকাল ১০-৩০ ভালোবাসার শেষ নাই।জি টিভি (গাজী টিভি)বেলা ১১-০৫ তুমি আমার প্রেম (শাকিব খান, শাবনূর)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩৫ সবার উপরে মা (চিরঞ্জিৎ, রোজিনা, অভিষেক, রচনা, শুভেন্দু)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ রণাঙ্গন (মান্না, ঋতুপর্ণা, ময়ূরী, রাজিব, নাসির খান)।সনি আটসকাল ১০-৩০ ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে (চিরঞ্জিৎ, সৌমিত্র, সুপ্রিয়া চৌধুরী)। বিকেল ৪-৩০ ভালোবাসার ছোঁয়া (প্রসেনজিৎ, মৌলি গাঙ্গুলী)।জলসা মুভিজসকাল ৮-৫০ সকালের রং (শান্তি লাল, চূর্ণি গাঙ্গুলী, তরঙ্গ সরকার)। ১১-০০ গজ উকিলের হত্যা-রহস্য (বিপ্লব চ্যাটার্জি, অরুণ ব্যানার্জি)। ১-১০ দুই পৃথিবী (জিৎ, দেব, কোয়েল মল্লিক)। ৪-২০ নোবেল চোর (মিঠুন, শাস্বত, সৌমিত্র, রূপা গাঙ্গুলী)। ৬-২৫ রণক্ষেত্র (প্রসেনজিৎ, শতাব্দী রায়, সৌমিত্র, রঞ্জিৎ মল্লিক)। ৯-৩০ দাদা (মিঠুন, রম্ভা, মাহিমা)।জি সিনেমাসকাল ৯-০০ জনতা কি আদালত (মিঠুন, মধু)। ১১-৩০ ডিলার দ্য ডেয়ারিং (চিরঞ্জীবি, নম্রতা)। ২-৩৭ শান (অমিতাভ বচ্চন, সুনীল দত্ত, শশী কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা, পারভীন ববি, রাখী, বিন্দিয়া)। ৬-২৪ অপরিচিত (বিক্রম, সদা)। ৯-৩০ শের এ হিন্দুস্তান (আশীষ বিদ্যার্থী)।সেট ম্যাক্সসকাল ১০-০০ চ্যাম্পিয়ন (সানি দেওল, মনীষা কৈরালা)। ১-০০ ভিরানা। ৩-৪৫ মেরে হিন্দুস্তান কি কসম (নাগার্জুন, পুনম)। ৬-২৫ মেরি জং-ওয়ান ম্যান আর্মি (নাগার্জুন)। ৯-২৫ রাওডি রাঠোড় (অক্ষয় কুমার, সোনাক্ষী সিনহা)।ফক্স মুভিজসকাল ১০-০৫ পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার (ব্রুস উইলিস, হ্যালি বেরি)। ১১-৫৫ হোম অ্যালোন ২ (ম্যাকলি কালকিন)। ১-৫৫ দ্য মমি: টুম্ব অব দ্য ড্রাগন এম্পায়ার (ব্রেনড্যান ফ্রেজার, মিশেল ইয়ো)। ৩-৫৫ চেরোনবিল ডায়েরিজ। ৫-২৫ পিস, লাভ অ্যান্ড মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। ৭-০০ স্টোলেন (নিকোলাস কেজ)। ৮-৪০ জন কার্টার। ১০-৫৫ ট্রু জাস্টিস। ১১-৫০ পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার।এইচবিওসকাল ৯-৪১ টেকেন। ১১-২৫ দ্য চেঞ্জ-আপ (জেসন বেটম্যান, রায়ান রেনল্ডস)। ১-২৫ দ্য হ্যাংওভার (ব্র্যাডলি কুপার)। ৩-১৭ মাদাগাস্কার ৩। ৫-০৫ দ্য আইল্যান্ড (ইওয়ান ম্যাকগ্রেগর, স্কারলেট জোহানসন)। ৭-৫০ স্কেরি মুভি ৩। ৯-৩০ জার্নি ২ (ডন জনসন)। ১১-৩০ দ্য অ্যাসেসিনস (ইউন-ফাত্ চৌ)।শহর কখনো হেমন্তের প্রতিচ্ছবি নয়। তাই হয়তো শহর থেকে গ্রামে হেমন্তের মুগ্ধতাকে আরও কাছে টেনে নেয়। উপলব্ধি করা যায় প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্যকে। হয়তো সে জন্য ছুটে যাই গ্রামের পথ ধরে। যেখানে প্রকৃতি তার অকৃত্রিম সৌন্দর্যের পটভূমিতে তুলে ধরে হেমন্তের সৌন্দর্যকে।আমি যে বিদ্যালয়ে (আলীশারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষকতা করি, তা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। যার কারণে আমার সুযোগ মেলে হেমন্তকে কাছ থেকে দেখার। গ্রামের মানুষগুলোর নানা কাজকর্ম ও ব্যস্ততার মাঝে (এই সময়ে) আমি সেই মুগ্ধতা খুঁজে পাই। কেননা, এখানে হেমন্ত আসে তার নিজের মতো করে। প্রতিদিন গ্রামের পথ ধরে হাঁটতে গিয়ে নতুন ধানের গন্ধ পাই। মনে পড়ে যায় পুরোনো দিনের অনেক কথা, যখন আমরা গ্রামে ছিলাম। সেই ছোটবেলার দিনগুলোর কথা। মা ধান শুকাতে দিতেন। সেই ধান মুঠোভর্তি করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতাম। আর এ জন্য মাঝে মাঝে বকাও খেতাম। নতুন চালের গুঁড়ার পিঠা বানানো হতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে আর দেরি সহ্য হতো না। গপাগপ খাওয়া চলত।শ্রীমঙ্গল।আরব বিশ্বের দুই দেশের মধ্যকার কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নয়, এবার সৌদি আরব ও ইয়েমেনের দুই প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে তত্পর হয়ে উঠেছে জাতিসংঘ। আল-জাজিরা বলছে, প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়া এক সৌদি নারীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ইয়েমেন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ।সৌদি নারী হুদা আল-নিরান (২২) পরিবার ও দেশের সীমানা পার করার যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তা শেক্সপিয়ারের কালজয়ী নাটক ‘রোমিও ও জুলিয়েটে’র কথা মনে করিয়ে দেয়।গত অক্টোবরে ইয়েমেনের আরাফাত মোহাম্মেদ তাহের আল-কাদিকে (২৫) বিয়ে করার জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যান হুদা। ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে এবং পরে বিচারের জন্য আদালতে হাজির করে।হুদা আল-নিরান জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে ইয়েমেনে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আবেদন করেন। এরপর আদালত তাঁর বিচার আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আল-নিরানকে ইয়েমেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। হুদা আল-নিরান গতকাল রোববার এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আদালতে হাজির হন। ১ ডিসেম্বরে তাঁকে আবার আদালতে হাজির হতে হবে।এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে আদালত চত্বরে প্রেমিক যুগলের হাজার হাজার সমর্থক ‘সীমান্ত ও নাগরিকত্বের ঊর্ধ্বে ভালোবাসা’ স্লোগান দিয়েছে। অনেকে ‘আমরা সবাই হুদা’ লেখা পট্টি মাথায় বেঁধে সৌদি নারী হুদার প্রতি সমর্থন জানান।ইউএনএইচসিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইউএনএইচসিআর আল-নিরানকে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেতে সাহায্য করবে, যাতে তাঁকে ইয়েমেন থেকে বের করে দেওয়া না হয়।এ দুই প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে করার অঙ্গীকার নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা করছেন ইয়েমেনি ও সৌদিরা। আরব নারীর এমন সাহস দেখে খুব রক্ষণশীল দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ বেশ অবাক হয়েছে।খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের একটি মোবাইলের দোকানে হুদার সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় আল-কাদিরের। কাদির ওই দোকানে কাজ করতেন।এইচপি ব্র্যান্ডের কোর আই৫ থেকে কোর আই৭ এর মধ্যে যেকোনো মডেলের ল্যাপটপ কিনলে এইচপি ১০০০ মডেলের প্রিন্টার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্মার্ট টেকনোলজিস।১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন উপহার বা‘এইচপি উইন্টার বোনানজা’ নামে বিশেষ এই অফার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তিপণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানটি।স্মার্ট টেকনোলজিস জানিয়েছে, এই অফারে এইচপি ব্রান্ডের কোর আই ফাইভ ও কোর আই সেভেন ছাড়া অন্য মডেলের ল্যাপটপ অর্থাত্ পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর, এএমডি, কোর আই থ্রির সঙ্গে ৮০০ টাকার গিফট ভাউচার রয়েছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে স্মার্ট টেকনোলজিসের যেকোনো শাখা থেকেই এ অফার পাওয়া যাবে।
তথ্য ও বিনোদনযে গল্পের শেষ নেইকথাবন্ধুর সঙ্গে আড্ডা[রাত ১১.২০-২.০০]খবরএবিসি খবর [সকাল ৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়]শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নেতা-নেত্রীদের ক্ষমতা দখলের ইঁদুরদৌড়ে আজ আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে আছি। নভেম্বর মাসে জেএসসি, পিএসসি, বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষাসহ আরও অনেক পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু বড় দুই দলের অনড় অবস্থান আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে যে এসব ‘পরীক্ষা আদৌ হবে কি না এবং শুরু হলেও কবে নাগাদ শেষ হবে?’তাই নেতা-নেত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ, দয়া করে আপনাদের ক্ষমতা দখলের ইঁদুরদৌড়ে আমাদের গিনিপিগ বানাবেন না। এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না, যাতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান ‘শিক্ষাবর্ষ’ ও ‘শিক্ষাজীবন’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু আপনাদের সন্তানেরা এ দেশে লেখাপড়া করে না, তাই এসব তুচ্ছ শিক্ষাবর্ষ, শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনাদের কিছুই আসে যায় না! এ জন্যই আপনারা হয়তো আমাদের মতো সামান্য অভিভাবকদের শঙ্কা, উৎকণ্ঠার কারণ অনুধাবন করেন না। তার পরও আশা রাখি। কারণ, আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে।সাবিনা পারভীন, গোড়ান, ঢাকা।সচিবালয়ে প্রবেশের বিড়ম্বনাসচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। সর্বস্তরের জনসাধারণেরই সচিবালয়ে নানাবিধ কাজের প্রয়োজনে প্রবেশ করতে হয়, কিন্তু আত্মীয়স্বজন বা একান্ত পরিচিত না থাকলে প্রবেশ পাস পাওয়া খুবই দুষ্কর। এতে অনেককেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অথবা পাস জোগাড় করতে না পেরে অবৈধ পন্থায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।প্রবেশ পাসই কেবল নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বহন করে না বিধায় পাস পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজতর বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ কিংবা পাস ব্যতিরেকে সহজ উপায়ে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রবেশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে।সচিবালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সবার প্রবেশ সহজতর করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।মো. তাজুল ইসলাম খানআইনজীবী, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।নোটারি পাবলিকসরকারপ্রদত্ত সত্যায়ন ক্ষমতা সংরক্ষণ করে থাকেন নোটারি পাবলিকরা। বিজ্ঞ আইনজীবীদের মধ্যে যাঁরা অভিজ্ঞ, সৎ এবং যোগ্য, কেবল তাঁরাই নোটারি পাবলিক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার নোটারি পাবলিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সরকারের নিয়োগ পাওয়া সর্বস্তরের মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ এবং ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নোটারি পাবলিকদের জন্য তা নেই। যদিও নোটারি পাবলিকরা সব সময়ই সরকারকে নির্ধারিত হারে রাজস্ব দিয়ে থাকেন।নোটারি পাবলিকরা সরকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁদের প্রশিক্ষণ ও ভাতা দিলে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিরাট সহায়ক ভূমিকা পালন করা হবে—এ ক্ষেত্রে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস।নোটারি পাবলিকরা যেহেতু রাষ্ট্রের বাছাই করা উচ্চস্তরের অংশ, তাই অনতিবিলম্বে তাঁদের প্রশিক্ষণ এবং ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।মো. তাজুল ইসলাম খানগেন্ডারিয়া, ঢাকা।ময়মনসিংহ-৯ আসন (নান্দাইল) থেকে নির্বাচিত মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।একই সঙ্গে বিষয়টি ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।২১ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আবদুস সালামের সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম চেম্বার বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন করেন। তাঁর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও সৈয়দ মামুন মাহবুব। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন।সালামের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা চেম্বার বিচারপতি স্থগিত করেছেন। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের কাজ চালিয়ে যেতে বাধা থাকছে না।সালামের সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নান্দাইল থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. জামালউদ্দিন চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি করেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণখেলাপির দায়ে সালামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে আবদুস সালাম নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেই আবেদনও খারিজ হয়। এরপর আবদুস সালাম হাইকোর্টে রিট করেন। উচ্চ আদালত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির আদেশ স্থগিত করে তাঁর প্রার্থিতা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর আবদুস সালাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। পরে তাঁর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল দেন। রুলে কেন আবদুস সালামের সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত তাঁর সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার সোমগড় গ্রাম পঞ্চায়েত ওই গ্রামে অবিবাহিত তরুণীদের মুঠোফান ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত মঙ্গলবার এ আদেশ জারি করা হয়।সোমগড় গ্রাম পঞ্চায়েতপ্রধান একজন নারী। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী জাকির আনসারি পঞ্চায়েতের পক্ষে ফতোয়া জারি করে বলেন, এই নির্দেশ অমান্য করা হলে জরিমানা দিতে হবে তরুণীদের।এই ফতোয়া জারির খবর শুনে বিহারের পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী ভীম সিং বলেছেন, তরুণীদের মুঠোফান ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কোনো অধিকার নেই পঞ্চায়েতের। তিনি বলেন, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ জানালে বিহার সরকার ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।এর আগে উত্তর প্রদেশের খাপ ও বিহারের ঔরঙ্গবাদের একটি  গ্রামেও একই ফতোয়া জারি হয়েছিল।
তিন হাজার বছরেরও বেশি আগের কথা। গ্রিসের স্পার্টা রাজ্যের এক সুন্দরীকে অপহরণ করে নিয়ে গেলেন ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস। দুনিয়ার সেরা সুন্দরীকে নিজের করে নিতে রাজপুত্রের এই ছাড়া কী উপায় ছিল বলেন! এই সুন্দরী ছিলেন আসলে স্পার্টার সবচেয়ে সুন্দরী রানি—দ্য বিউটি কুইন অব স্পার্টা। স্পার্টার রাজা মেনিলাসের একাধিক রানি থাকলেও এই রানিকেই তার চাই-ই চাই। তাই রানিকে উদ্ধার করতে হাজার জাহাজ নিয়ে ট্রয়ের উদ্দেশে এজিয়ান সাগর পাড়ি দিল গ্রিক যোদ্ধারা। শুধু সেই সুন্দরীর জন্যই ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিল হাজার হাজার যোদ্ধা। ধুলোয় মিশে গেল সাজানো-গোছানো ট্রয় নগর। গ্রিক পুরাণের সেই স্বর্গীয় সুন্দরী হেলেন অব ট্রয়ের গল্প ইতিহাসের পাতাতেই থাক বরং আমি আরেক হেলেনের গল্প বলি। বলিউডেও যে একজন হেলেন আছেন, তা কি আপনি জানেন? আজ আমরা তাঁরই গল্প শুনব। নাম যাঁর ইলিয়েনা ডিক্রুজ।কিসের সঙ্গে কী পান্তা ভাতে ঘি! ব্যাপারটা কিছুই বুঝলেন না তো? ভাবছেন ইলিয়েনার সঙ্গে গ্রিক সুন্দরী দেবী হেলেনের কী সম্পর্ক? ব্যাপারটা খোলাসা করেই বলি। ইলিয়েনা নামটিই আসলে গ্রিক পুরাণ থেকে নেওয়া, যার অর্থ হলো—হেলেন। বলিউডের এই সুন্দরীও যে একদিন লাখো কোটি পুরুষহূদয়ে ঝড় তুলবেন, ইলিয়েনার মা-বাবা মনে হয় আগেভাগেই টের পেয়েছিলেন। ইলিয়েনা নাম রেখে কোনোই ভুল করেননি তাঁরা। ট্রয়ের রাজপুত্র যেমন রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে প্রথম দর্শনেই হেলেনের প্রেমে পড়েছিলেন, তেমনি ইলিয়েনার দিকে একবার তাকালে চোখের দুই পাতা এক করতে পারেন না অনেকেই—পারেননি রণবীর কাপুরও। এভাবেই তো রণবীরের মনে ভালোবাসা উঁকি দিয়েছিল দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনের চলন্ত কামরায়। ট্রেনের জানালার ধারে বসে থাকা সেই মেয়েটিকে দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি বাইসাইকেলে চড়ে আছেন। অতঃপর রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সংবিৎ ফিরে পাওয়া। এ তো বরফি ছবির দৃশ্য। তবে কি ইলিয়েনাকে একবার দেখেই বাস্তবে কেউ প্রেমে পড়েনি? হুম পড়েছে, পুরো দক্ষিণী ছবির জগৎটাই পড়েছে। আর তাই তো মুম্বাইয়ের মেয়ে হয়েও ইলিয়েনাই হয়েছেন দক্ষিণী ছবির রাজকন্যা।মুম্বাইয়ে জন্ম হলেও ইলিয়েনার বেড়ে ওঠা গোয়ায়। মেয়ে একটু বড় হতেই তাকে মডেলিংয়ে নিয়ে আসতে উঠেপড়ে লেগে যান ইলিয়েনার মা। বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য টিভি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে নজরে আসেন ইলিয়েনা। দক্ষিণী ছবিতে নায়িকা হওয়ার ডাকও পেয়ে যান কৈশোর পেরোনো ইলিয়ানা। তবে ভাষা ও সংস্কৃতিগত কারণে দক্ষিণী ছবিতে অভিনয়টা তাঁর জন্য ছিল বেশ কঠিন। প্রথম দিকে তো প্রায় দিনেই সেটে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সব সামলে নেন ইলিয়েনা। ইলিয়েনার ভাষায়, ‘মা সব সময় পাশে ছিলেন বলেই সব সম্ভব হয়েছে।’ তাই দক্ষিণী মেয়ে না হয়েও প্রথম ছবিতেই সাফল্যের বড় চমক দেখান ইলিয়েনা। ২০০৬ সালে প্রথম তেলেগু ছবি দেভাদাসুতে অভিনয় করে দক্ষিণী ছবির জন্য বছরের সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ইলিয়েনা। সেই বছরেই তাঁর অভিনীত আরেকটি তেলেগু ছবি পোকিরি পায় ব্লকবাস্টার সাফল্য। এরপর জলসা (২০০৮), কিক (২০০৯), জুলায়ির (২০১২) মতো বক্স অফিস কাঁপানো সুপারডুপার হিট ছবিগুলো তাঁকে দক্ষিণী ছবির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর আসনে নিয়ে যায়। ইলিয়েনার ক্যারিয়ারের নাকি ৯০ শতাংশ ছবিই সুপারহিট, নয়তো ব্লকবাস্টার হিট। ১৫টি তেলেগু, দুটি তামিল ও একটি কানাড়া ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ইলিয়েনা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার পুরোটাই কাজে লাগিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবি বরফিতে। বাঙালি বধূ শ্রুতি ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডেও প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। সেরা নবাগত অভিনেত্রী পুরস্কারে ফিল্মফেয়ারসহ জি সিনে অ্যাওয়ার্ড, স্ক্রিন, স্টারডাস্ট—সবই ঝুলিতে ভরেছেন ২৫ বছরের ইলিয়েনা। অবশ্য হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের অফার পেয়েছিলেন কয়েক বছর আগেই। সালমান খানের বিপরীতে ওয়ান্টেড ছবিতে নায়িকা চরিত্রে ইলিয়েনাকেই প্রথম পছন্দ ছিল সালমান ও পরিচালক প্রভু দেবার। কিন্তু ইলিয়েনা তখনো নাকি বলিউডমুখী হওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ইলিয়েনা অভিনীত দ্বিতীয় হিন্দি ছবি ফাটা পোস্টার নিকালা হিরো। অ্যাকশন-কমেডি ধাঁচের এ ছবিতে শহীদ কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া বর্তমানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে কাজ করছেন ইলিয়েনা। এর মধ্যে সাইফ আলি খানের নিজস্ব প্রযোজনার ছবি হ্যাপি এন্ডিং-এ প্রধান নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন ইলিয়েনা। ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত ম্যায় তেরা হিরো ছবিটিতে নতুন প্রজন্মের নায়ক বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে দেখা যাবে ইলিয়ানাকে।সাজিদুল হকইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, মুম্বাই মিরর, ইন্ডিয়া টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, জিনিউজ, উইকিপিডিয়া অবলম্বনেরাতে দেরি করে ঘুমালে সকালে উঠতে দেরি হয়। আর দুপুরে খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে দেখি, দিনের আলো শেষ। ওদিকে রাতের অন্ধকার শেষ হতেই চায় না। এটিকে যদি ধরে নিই হেমন্তের আগমনী বার্তা, তাহলে ভুলই হবে। কারণ, এখনো যে বৃষ্টির অঝোরধারা থামেনি! তবুও বরাবরের মতো হেমন্ত এল। তবে একটু ভিন্ন আমেজ নিয়ে। হয়তো শীতের কুয়াশাকে সাথি হিসেবে গ্রহণ করে বৃষ্টিকে বিদায় জানাবে।ফসলের মাঠে ধানের চারাগুলো আস্তে আস্তে পূর্ণতা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে সকালবেলা ধানের শিষে রোদে ঝিলমিল করতে শুরু করেছে শিশির। তবে অল্প সময়ের জন্য।শীতের সবজিগুলো হাট-বাজারে ভিড় করবে বিক্রি হওয়ার আশায়, শীত আসার কোনো তোয়াক্কা না করেই। অন্যদিকে, পাকা ফসল অপেক্ষায় থাকবে নবান্ন উৎসবের। ধান কাটার প্রস্তুতি নেবে কৃষক। তাদের কাছেই তো সবচেয়ে বেশি শোনা যায় হেমন্তের বন্দনা। প্রকৃতি এখনো সবুজ ও সতেজ। রোদে ঝলমল করছে ফসলের মাঠ।তবে এই হেমন্ত দেখাবে তার আরও একটি রূপ। থাকবে না সেই সোনালি ফসল। রুক্ষ হয়ে উঠবে প্রকৃতি। ধু ধু করে হাহাকার করবে ফসলের মাঠ। সেই সঙ্গে আরও বেশি করে আলিঙ্গন করবে শীতের কুয়াশাকে। নিরুত্তাপ রোদ এসে দিয়ে যাবে স্নিগ্ধ উত্তাপ। গাছের দীর্ঘ ছায়া পড়বে মাটিতে। শীতের ভয়ে আস্তে আস্তে মলিন হয়ে যাবে সবকিছু।অবশেষে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী সাবরিনা সুলতানা। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামে জেলা নির্বাচন অফিসে তাঁর ছবি তোলাসহ ভোটার নিবন্ধনের অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়েছে।সাবরিনা সুলতানা (৩০) চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন শান্তিবাগে বাস করেন। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশি সিস্টেমস চেঞ্জ অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক বা সংক্ষেপে বি-স্ক্যানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সংগঠনের দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে সম্প্রতি ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধনের তাগিদ অনুভব করেন সাবরিনা।এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে সাবরিনাকে জানানো হয়, এ কাজের জন্য যে কাউকে পাঠিয়ে দিলেই হবে। শুধু ছবি তোলার সময় তাঁকে যেতে হবে। তবে সাবরিনার পক্ষ থেকে জেলা নির্বাচন অফিসে যিনি যান, তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, সাবরিনাকেই যেতে হবে। অন্য কেউ গেলে হবে না।এর পর সাবরিনাকে নিবন্ধনের জন্য নানা ধরনের হয়রানি পোহাতে হয়।সাবরিনার এ দুর্ভোগ নিয়ে ২৩ নভেম্বর প্রথম আলো ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরই ভিত্তিতে আজ তাঁর নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এজন্য প্রথম আলো ডটকমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবরিনা।জিওফ বয়কট রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন। কেভিন পিটারসেন নাকি একটুও ভাবেন না দলের কথা। সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে পিটারসেন গতকালই বলেছেন, কিছুতেই নিন্দুকের দাবি মেনে নিয়ে নিজের আক্রমণাত্মক খেলার ধরন তিনি পাল্টাবেন না।সেই পিটারসেনই আজ বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের আশার শেষ ভরসাস্থল হয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান তিনিই। ২১৬ রান তুলতেই যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনটা তারা শেষ করেছে ওই ৬ উইকেটেই ২২৬ রান নিয়ে। সারা দিনই খোলসের ভেতরে ঢুকে থাকা ইংল্যান্ড ওভারে মাত্র ২.৫৩ করে রান তুলেছে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ দর্শকের নতুন বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। ৯১ হাজার দর্শক আজ ছিলেন মাঠে। বলা হচ্ছে, টেস্ট ইতিহাসে এত বেশি দশর্ক এত কম রান তোলার ঘটনা আগে কখনো দেখেনি!‘খেলার ধরন পাল্টাব না’ প্রতিজ্ঞা করা পিটারসেনই কিন্তু ৬৭ রান করেছেন ১৫২ বল খেলে। স্ট্রাইক রেট ৪৪.০৭। তাঁর ফিফটির ইনিংসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের একটি ইনিংস। এর চেয়ে ধীর গতির ফিফটির ইনিংস তাঁর আছে মাত্র পাঁচটি। মেরেছেনও মাত্র ৪টি চার। যে পিটারসেন দলের কথা ভাবেন না বলে বহুবার অভিযোগ উঠেছে, সেই তিনিই পরিস্থিতির দাবি মেনে ব্যাটিংয়ে আশ্চর্য মৌনব্রত নিয়েছেন।ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন দুই ওপেনার বিদায় নেওয়ার পর। সফরে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফটির ওপেনিং জুটি পাওয়া থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে ফিরেছেন ২৭ রান করা অ্যালিস্টার কুক। ৩৮ করা মাইকেল কারবেরি ফিরেছেন দলীয় ৯৬ রানে। পিটারসেন উইকেটে আসার পরই দেখেছেন চার সতীর্থের আসা-যাওয়া। এর মধ্যে চতুর্থ উইকেটে ইয়ান বেলের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটিটা ছাড়া আর জমেনি কারও সঙ্গেই। রায়ান হ্যারিস ফিরিয়েছেন জো রুট আর ইয়ান বেলকে, মিচেল জনসনের জোড়া শিকার বেন স্টোকস আর জনি বেয়ারস্টো। ২১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড আবার খাদের কিনারে।টেলএন্ডারদের নিয়ে পিটারসেন কতটা লড়াই চালাতে পারেন, সেটাই এখন দেখার। এটা পাল্টা জবাব দেওয়ার সুতীব্র বাসনাও ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে পিটারসেনের ব্যাটে। সঙ্গে আছেন টিম ব্রেসনান। সংক্ষিপ্ত স্কোর:ইংল্যান্ড ২২৬/৬ (পিটারসেন ৬৭*, কারবেরি ৩৮, কুক ২৭, বেল ২৭, রুট ২৪, স্টোকস ১৪, বেয়ারস্টো ১০, ব্রেসনান ১*; হ্যারিস ২/৩২, জনসন ২/৫৯, সিডল ১/৪৮, ওয়াটসন ১/১১)।
দীর্ঘ আট বছর পর আবার কোনো টেস্ট দল চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নামছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়, একটি অনুশীলন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ অক্টোবর। এই মাঠের দীর্ঘদিনের বন্ধ্যাত্ব ঘুচছে নিউজিল্যান্ডকে দিয়ে। এ নিয়ে স্টেডিয়ামের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) কর্মকর্তাদের খুশির সীমা নেই।আগামী ১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামে পা রাখবে। দুটি টেস্ট ম্যাচ ও চারটি একদিনের ম্যাচে অংশ নেবে তারা। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। এর আগে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে অনুশীলন ম্যাচ।অনুশীলন ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সিজেকেএস। বহু খেলার জন্য ব্যবহূত চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট-বিবর্জিত ছিল। কেবল স্থানীয় লিগ অনুষ্ঠিত হতো। মাঝখানে অবশ্য ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের একটি ম্যাচ এবং বিপিএলের কিছু ম্যাচ হয়েছে।ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক সব ধরনের খেলার পর মাঠটির অবস্থা করুণ হওয়ারই কথা। কিন্তু আসন্ন অনুশীলন ম্যাচ সামনে রেখে সবুজ ঘাসে ঢেকে গেছে মাঠ। উইকেটও তৈরি করা হয়েছে। মাঠে পানি দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। ম্যাচের আগে এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অনুশীলনও করবে। অনুশীলন ম্যাচের মাধ্যমে নতুন করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছেন কর্মকর্তারা।‘আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। দীর্ঘদিন এখানে ক্রিকেট হয়নি। এবার নিউজিল্যান্ড একটি ম্যাচ খেলবে। এই মাঠে দর্শকও ভালো হয়। আশা করি, ভবিষ্যতে আবার এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে।’ সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের চোখ সামনের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। ওই আয়োজনের দুই একটি ম্যাচ আগে থেকেই আশা করছিল সিজেকেএস।প্রসঙ্গত, পুরোনো এই স্টেডিয়ামটিতে শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারি। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। একই মাসের ২৬ তারিখ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল এই মাঠের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাই নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে খুশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।নিউজিল্যান্ডের সফর নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে সমন্বয় সভা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা। নিউজিল্যান্ড সফরের সময় জমজমাট গরুর বাজার থাকবে চারদিকে। তাই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে গরুর বাজার নিয়ে চিন্তা থাকছেই। কিন্তু এটা সমস্যা হবে না বলে দাবি করছেন ভেন্যু ব্যবস্থাপক ফজলে বারী খান।তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে বৈঠক হয়ে গেছে। রাস্তায় কোনো গরু থাকবে না। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বৈঠক শেষ। বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।’ টেস্টের আগে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।প্রথম টেস্ট খেলে দুই দল ঢাকায় যাবে। ২১ অক্টোবর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। এরপর একই স্টেডিয়ামে ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে দুটি একদিনের ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচও হবে ঢাকায়, ফতুল্লায় ৩ নভেম্বর।শেষ একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে ৬ নভেম্বর।তথ্য ও বিনোদনযাহা বলিব সত্য বলিবকথাবন্ধু কিবরিয়ার সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]রাজধানীর মহাখালীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. হেলাল (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীর আমতলী এলাকার আল মদিনা হোটেলের ছয়তলার একটি কক্ষ থেকে হেলালের লাশ উদ্ধার করে বনানী থানার পুলিশ।বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হাসান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, হোটেলের রেজিস্ট্রার বইয়ের তথ্যানুযায়ী গতকাল রোববার বেলা তিনটার দিকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে হেলাল ছয়তলার ৪৯ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। আজ সকালে মহাখালী এলাকার রাস্তার ওপর কক্ষটির চাবি পান এক পথচারী। তিনি পার্শ্ববর্তী বনানী পুলিশ বক্সে চাবিটি জমা দেন। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে কক্ষটির তালা খুলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হেলালের লাশ উদ্ধার করা হয়।ময়নাতদন্তের জন্য আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।মানুষের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় এমন একটি জিন এসেছে নিয়ানডারথালদের কাছ থেকে। ৬০-৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা অঞ্চলে মানুষের আদি গণ নিয়ানডারথালদের অস্তিত্ব ছিল বলে গবেষকেরা দাবি করেন। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গবেষকেদের মতে, বর্তমান মানব প্রজাতির আবির্ভাবের আগে নিয়ানডারথালদের কয়েকটি প্রজাতির মধ্যে আন্ত-প্রজননের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আধুনিক মানুষের মধ্যে এই নিয়ানডারথালদের জিন এখনও বিদ্যমান।সম্প্রতি মেক্সিকো ও ল্যাটিন আমেরিকায় আট হাজার মানুষকে নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা।‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকেরা দাবি করেছেন, জিনোম-ওয়াইড অ্যাসোসিয়েশন স্টাডি নামের গবেষণায় তাঁর নিয়ানডারথালদের সঙ্গে জিনের মিল রয়েছে এমন ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের বেশি ঝুঁকি শনাক্ত করেছেন।গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই গবেষণা ডায়াবেটিস সংক্রান্ত গবেষণায় ও নতুন ওষুধ তৈরিতে কাজে আসবে।
এনজি শটের কথা আর কী বলব—বিনোদন ভুবনে আমার হাঁটাচলা শুরুই হয়েছে এনজি শট দিয়ে! বুঝলেন না তো? এবার বুঝিয়ে বলি: ১৯৯৯ সাল। আমি তখন সবে ব্রিজ বিউটি সোপ নামে একটি সাবানের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। শুটিং হয়েছিল মুম্বাইয়ে। বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ করে আমি তো দেশে ফিরেছি ফুরফুরে মেজাজে। এর মধ্যে যে বিজ্ঞাপনী সংস্থার হয়ে এই বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছিলাম, হঠাৎ ফোন এল সেখান থেকে। ওরা বলল, টিভি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি বিলবোর্ডও করা হবে। এ জন্য ফটোশুট করতে হবে। ফলে ফটোশুটের জন্য আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম আমি। দৃশ্যটি এমন ছিল যে একটি গোলাপ ফুল মুখে নিয়ে নিষ্পাপ একটি হাসি দেব আমি। কিন্তু না, শটটি ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না—বারবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি, তবে হাসিটা ঠিক নিষ্পাপ হচ্ছে না। এদিকে একই শট অনেকবার দিতে দিতে আমি ততক্ষণে কাহিল। পরিচালকও কিঞ্চিৎ বিরক্ত। একসময় ইউনিটের একজন হঠাৎ বুদ্ধি বাতলালেন। আমায় বললেন, ‘শোনো, বয়ফ্রেন্ডকে দেখার পর তুমি যেমন নিষ্পাপ অভিব্যক্তি দিয়ে হাসো, তোমার হাসিটা হতে হবে ঠিক সে রকম, বুঝেছ?’তাঁর কথায় আমি সায় জানালাম বটে, তবে মুখ ফুটে এও বললাম, আমার তো কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই! এ কথা শুনে সবার সে কী হো হো হাসি—আমার বয়ফ্রেন্ড নেই, কথাটা কেউই বিশ্বাস করল না। যাহোক, সেবার অনেক কসরত করে আমার কাছ থেকে নিষ্পাপ হাসিটি আদায় করেছিলেন পরিচালক।এনজি শট নিয়ে আরেকটি কাহিনি এ মুহূর্তে মনে পড়ছে। আমি তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। অনার্সের কোনো এক বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ঠিক আগের ঘটনা। সাধারণত পরীক্ষার সময় আমি আমার হল শহীদজননী জাহানারা ইমাম হলেই থাকতাম। তো, কাল আমার ফাইনাল পরীক্ষা—এ রকম এক মুহূর্তে পরীক্ষার আগের দিন একবার নাটকটির শুটিং করতে হয়েছিল। নাটকের পরিচালক আমায় বলেছিলেন, আপনি আসবেন। শট দেবেন এবং দ্রুতই আবার ক্যাম্পাসে চলে যাবেন। পরীক্ষার কোনো ক্ষতি হবে না।যেই কথা, সেই কাজ। ক্যাম্পাস থেকে আমি এলাম শুটিং করতে। কিন্তু কপাল মন্দ—নানা সমস্যার কারণে সারা দিন আমার শুটিং হলো না। সন্ধ্যার ঠিক পর পর শুরু হলো আমার শট—আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে কাঁদতে হবে। ওদিকে পরিচালকের কড়া নির্দেশ, কান্নায় টিয়ারস্টিক ব্যবহার করা যাবে না, কান্না আসতে হবে একদম ভেতর থেকে। কিন্তু ভেতর থেকে আমার তো কান্না আসে না, তখন তো কান্নায় অতটা স্মার্ট হইনি। তাই বারবার এনজি হয় শট। রাত বাড়তে থাকে।হঠাৎই মনে হলো, কালকে পরীক্ষা, পড়াশোনা তেমন কিছুই হয়নি। রাতও হয়ে গেছে—আমি কখন ক্যাম্পাসে ফিরব, কখন পড়াশোনা করব। এসব ভাবনা আসতেই অঝোরে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল জল। ভেতর থেকে কান্না এল আমার। পরিচালক খুশি—দৃশ্যটি তো ‘ওকে’ হলো। আমাকে তখন বাহবা দিচ্ছেন সবাই। কিন্তু আমি তো জানি, ভেতর থেকে হঠাৎ এই হু হু কান্নাটি কেন এল, কীভাবে এল।অনুলিখন: আলতাফ শাহনেওয়াজএনটিভিসকাল ৮-৪৫ পাঞ্জা (মান্না, মৌসুমী, ডিপজল, মেহেদী)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ অভিযান।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ মায়ের স্বপ্ন (পপি, ফেরদৌস)।বাংলাভিশনদুপুর ১-০৫ কালা মানিক (রিয়াজ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ বধু তুমি কার।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ সাথী তুমি কার (রিয়াজ, পূর্ণিমা, শাকিল খান)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ আয়না বিবির পালা।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৪৫ রিক্সাওয়ালার প্রেম (মান্না, নিপুণ)।জি বাংলারাত ৮-৩০ আসছে বছর আবার হবে।ডিডি বাংলাবিকেল ৪-৩০ মানুষ ভূত (সব্যসাচী চক্রবর্তী, রমাপ্রসাদ, দেবশ্রী রায়)।স্টার জলসাদুপুর ১-৩০ প্রেম আমার (সোহম, পায়েল)। সন্ধ্যা ৬-৩০ সেদিন দেখা হয়েছিল (তাপস পাল, শ্রাবন্তী, দেব)জি বাংলা সিনেমাসকাল ৮-৩০ উত্তরায়ণ (ভিক্টর ব্যানার্জি, শাবানা আজমী, শর্মিলা ঠাকুর)। ১১-৪৫ শুভ মহরৎ (নন্দিতা দাস, শর্মিলা ঠাকুর, রাখী)। ৩-০০ সতী বেহুলা। ৬-১৫ বালিগঞ্জ কোর্ট (সৌমিত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তী, মমতা শংকর)। ৯-৩০ আমি আদু (দেবলীনা, সৌমিত্র, সমদর্শী)।জলসা মুভিজসকাল ৯-০০ গুন্ডারাজ। ১২-০০ চ্যালেঞ্জ ২ (দেব, পূজা বোস, তাপস পাল, আশীষ বিদ্যার্থী)। ৩-২০ লাভেরিয়া (সোহম, পূজা বোস)। ৬-২৫ আওয়ারা (জিৎ, সায়ন্তিকা)। ৯-৩০ শক্তি (জিৎ, রাইমা সেন)।জি টিভিদুপুর ১-০০ আগে সে রাইট (শ্রেয়াস তালপান্ডে, মাহি গিল)। ৪-০০ নমস্তে লন্ডন (অক্ষয় কুমার, ক্যাটরিনা কাইফ)।জি সিনেমাসকাল ৮-৩৯ জাদুগর (অমিতাভ বচ্চন, জয়াপ্রদা)। ১২-০১ ঘনচক্কর (এমরান হাশমী, বিদ্যা বালান)। ৩-০০ শিবা দ্য সুপার হিরো (নাগার্জুন) ৫-৫৪ তুফান (অমিতাভ বচ্চন, অমৃতা সিং, মীনাক্ষী)। ৯-৩০ জুদাই (অনিল কাপুর, শ্রীদেবী, ঊর্মিলা)।সেট ম্যাক্সসকাল ১০-২৪ কোয়ি...মিল গ্যায়া (হূতিক রোশন, রেখা, প্রীতি জিনতা)। ২-১৫ কৃষ (হূতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা)। ৬-১৬ স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (সিদ্ধার্থ, আলিয়া ভাট)। ৯-২৫ কোয়ি...মিল গ্যায়া।ফক্স মুভিজসকাল ৯-২৫ ২০১২ (জন ক্যুসেক, অ্যামান্ডা পিট)। ১২-০০ দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া। ২-৩০ মিস্টার বিন’স হলিডে (রোয়ান অ্যাটকিনসন)। ৪-০৫ চেরোনোবিল ডায়েরিজ। ৫-৪০ সাইলেন্ট হিল। ৭-১৫ দ্য ওয়াকিং ডেড। ৮-৫০ হোমল্যান্ড। ১০-৪০ প্রমিথিউস।এইচবিওসকাল ৯-১৮ কাউবয়েজ অ্যান্ড অ্যালিয়েনস (ড্যানিয়েল ক্রেগ, হ্যারিসন ফোর্ড)। ১১-৪২ স্টেপ আপ রেভোল্যুশন। ১-৩৯ লুপার (ব্রুস উইলিস)। ৪-০২ হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ (ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ, রুপার্ট গ্রিন্ট, এমা ওয়াটসন)। ৬-৪০ দ্য হাঙ্গার গেমস (স্ট্যানলি টুসি, জেনিফার লরেন্স)। ৯-৩০ দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (ক্রিশ্চিয়ান বেল, গ্যারি ওল্ডম্যান)।চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার পূর্ণ দিবস হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলায় ইকবাল পাশা ওরফে জাবেদ (৪০) গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। তিনি সন্দ্বীপের বিএনপি দলীয় সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার ছেলে।আজ সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের অয়োজন করে।সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে।স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে রহমতপুর এলাকায় আকবর হোসেন ফকির নামের এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেন বিএনপির কর্মীরা। তাঁর হাতের তিনটি আঙুলও কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল রোববার সকাল থেকে রহমতপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীরা সশস্ত্র মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষ অর্ধশতাধিক গুলি ছোড়ে। পুলিশ এ সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের পর বিকেল প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে রহমতপুর এলাকায় বিএনপির সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার বাড়িতে হামলা চালান আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সাংসদের বাড়ির খড়ের গাদা ও বৈঠকখানায় আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। এ সময় বাড়ির জানালা খুলে তাকানোর সময় সাংসদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হন।পরে তাঁকে পুলিশ পাহারায় প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সাংসদের ছেলে গুলিবিদ্ধভারতের মধ্য প্রদেশে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী এক আইনজীবীর বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৭ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রী গত ১২ ডিসেম্বর তার বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে বালকৃষ্ণ জোশি নামের এক আইনজীবীর বাসায় বর্ণ-সনদ পাওয়ার বিষয়ে সহায়তা চাইতে যায়। মেয়েটি বাসায় না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।গতকাল বুধবার সকালে মেয়েটির কান্না শুনে এক প্রতিবেশী পুলিশকে খবর দেয়। এরপর ওই আইনজীবীর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে জিম্মি করা ও ধর্ষণের অভিযোগে বালকৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করা হয়।১৭ বছর বয়সী কিশোরীর অভিযোগ, ৪০ বছর বয়সী ওই আইনজীবী ১৪ দিন ধরে তাকে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। এ কাজে ওই আইনজীবীর স্ত্রী এবং ছেলেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করে কিশোরী।