content
stringlengths 40
35k
|
---|
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের চিকাদহ এলাকায় ট্রাকচাপায় আঁখি খাতুন (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।আঁখি উপজেলার তেঘরী গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে।পুলিশ ও কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, কয়েক দিন ধরে আঁখি অসুস্থ ছিল। গতকাল সকালে ডাক্তার দেখাতে আঁখিকে নিয়ে তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে ভ্যানযোগে মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উপজেলা সদরের চিকাদহ নামক এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি বেপরোয়াগতির ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে মায়ের কোল থেকে ছিটকে আঁখি সড়কের ওপর পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এতে ভ্যানচালক জলিল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ট্রাক চালকের সহযোগী ঘুঘো আলী চালনার প্রশিক্ষণ নিতে ট্রাক নিয়ে বের হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম থেকেই তিনি ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। এ দুর্ঘটনার আগে তিনি আরও দুটি ভ্যানে আঘাত করেন।শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেম উদ্দিন বলেন, ট্রাকচালক ও সহযোগীকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জব্দ করা ট্রাকটি থানায় নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের চতুর্থ ও শেষ সাক্ষী মো. নাজিবুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ সোমবার দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল রোববার নাজিবুর রহমানের অসমাপ্ত জবানবন্দির জন্য দিন ধার্য ছিল। সকালে আসামিপক্ষের সহযোগী আইনজীবী আসাদুজ্জামান এই মামলার কার্যক্রম তিন দিন মুলতবির আরজি জানিয়ে বলেন, আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ব্যক্তিগত কারণে ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেননি। পরে ট্রাইব্যুনাল মামলার কার্যক্রম এক দিন মুলতবি করে আজ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৭ ও ৮ জানুয়ারি।গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। চট্টগ্রামে হরতাল থাকায় গতকাল মামলার শুনানি হয়নি।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ৭ ও ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। হরতালের কারণে মামলার শুনানি হয়নি।’২০০৪ সালের ১ এপ্রিল নগরের সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয় গত সোমবার থেকে।ভারত থেকে চোরাইপথে আনা বাইসাইকেলের বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের শিমুলতলী এলাকা থেকে বিজিবির সদস্যরা এসব যন্ত্রাংশ জব্দ করেন। বিজিবি ৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লুৎফুল করিম জানান, জব্দ মালামালের আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ টাকা।বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি |
ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে উৎখাতের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।যেকোনো সময় ওই গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের সদস্যকে মামলার আসামিরা হত্যা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতখান থানায় একটি জিডি করেছেন ওই গৃহবধূ।দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আশ্রাফ আলী জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া এলাকার লোকজনকে সচেতন করা এবং হিন্দুসম্প্রদায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বুধবার বিকেলে চরপাতা ইউনিয়নের বটতলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সভা করা হয়েছে।এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক নিনা গোস্বামী ও সালমা জাবিন গৃহবধূর বাড়িঘর পরিদর্শন করে তাঁকে আর্থিক সহায়তা দেন। তাঁরা দিনের বিভিন্ন সময় সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ব্র্যাক, কোস্টট্রাস্ট, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম ও আঙিনা মহিলা সমিতি টানা সাত দিন গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন করবে।প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর দৌলতখান উপজেলার লেজপাতা গ্রামের ওই গৃহবধূ জসিম মোল্লা নামের এক ব্যক্তির শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।ইট-সিমেন্টের শক্ত গাঁথুনির ওপর ভর করে যমুনেশ্বরী নদীর রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কাসিয়াবাড়ী খেয়াঘাটে একটি সেতু দাঁড়িয়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে দূর থেকে এলাকাবাসীর সুবিধার কথা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়াই যেতে পারে, কিন্তু কাছে গেলেই টের পাওয়া যায়, এ সেতু এলাকাবাসীর জন্য সুখ বয়ে না এনে ভোগান্তির আরেক নাম হয়ে উঠেছে। সাত মাস আগে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় এটি কোনো কাজেই আসছে না।উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র জানায়, কাসিয়াবাড়ী বাজারের কাছে অবস্থিত ৮০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের অক্টোবরে এক কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সেতুটির কাজ পায় লালমনিরহাটের হাকিম ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সংযোগ সড়ক ছাড়াই গত ফেব্রুয়ারিতে এটির কাজ শেষ করা হয়।সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটি সমতল থেকে এত উঁচু যে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, সেতুটির জন্য এখন আরও বেকায়দায় পড়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, আগে এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল। তা দিয়েও কোনোমতে এপার-ওপার হতে পারতেন তাঁরা। এখন তা-ও পারছেন না। এ পথে কাসিয়াবাড়ী, খলেয়া, উজিয়াল, পারঘাট, ডাঙ্গীরহাট, বুড়িরহাট, চান্দের পুকুর, নদীরপার, রহিমাপুর, জয়বাংলা, রামপুরা, পলাশবাড়ীসহ স্থানীয় ৬০টি গ্রামের ৭০ হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়।কাসিয়াবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, সাত মাস আগে সেতুটি হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এটি উল্টো এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।উজিয়াল গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, ‘পাকা সেতু হওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম এখন যানবাহনে মালামাল পরিবহন করা যাবে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় এখন তো ওই নদী পারাপারই কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন নয় কিলোমিটার পথ ঘুরে ব্যবসায়িক কাজে উপজেলা সদরে মালামাল নিতে হচ্ছে।’সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারকে বহুবার অনুরোধ করেছি। তিনি কথাও দিয়েছেন। কিন্তু এখনো সংযোগ সড়ক না করায় আমাকে প্রতিনিয়ত মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এখনো কাজের বিল তুলিনি। এ মাসের মধ্যেই সেতুর সংযোগ সড়কটি তৈরি করে দেব। তখন আর সমস্যা থাকবে না।’উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ মাসে সংযোগ সড়ক তৈরি করে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।ভালো খাবার পেট ও মন দুটোকেই তৃপ্ত করে। খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক বহু আগে থেকেই প্রমাণিত। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কি খাদ্যের কোনো ভূমিকা আছে? সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে এ নিয়ে কিছু অজানা তথ্য। অমনোযোগী অতিচঞ্চলতাজনিত সমস্যা বা ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার’ তেমনি একটি সমস্যা।এডিএসডি নামের এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ দিতে হবে, এমন কাজ অপছন্দ করে এবং এড়িয়ে চলে। কোনো কাজ করতে দিলে ভুলে যায়। পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে ছোটখাটো ভুল করে প্রায় সব সময়। প্রায়ই পেনসিল, বই, খেলনা হারিয়ে ফেলে। অতিচঞ্চল শিশু কোথাও স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না, সব সময় ছোটাছুটি বা অস্থিরতার ভেতর থাকে। কথাও বেশি বলে।গবেষকেরা বলছেন, কৃত্রিম রং বা গন্ধযুক্ত খাবার বেশি খেলে শিশু-কিশোরদের অতিচঞ্চলতা দেখা দিতে পারে। এই খাবারগুলো মস্তিষ্কের মনোযোগ নিয়ন্ত্রক অংশের রাসায়নিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে।যেসব শিশু শৈশবে অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খায় এবং স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয়, পরবর্তী সময়ে তাদের উদ্বেগ, বিষণ্নতাসহ নানা আবেগজনিত ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস ও শস্য, কোমল পানীয়, লবণযুক্ত স্ন্যাকস ও ফাস্টফুডজাতীয় খাবারকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে শাকসবজি, ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার প্রভৃতি শিশুদের মানসিকতার জন্যও স্বাস্থ্যকর। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।বিদেশ ঘুরতে আসব বহুবার ভেবেছি। কিন্তু কয়েক বছরের জন্য থাকতে হবে তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। সে যাহোক, সমিক চাকরিসূত্রে আমেরিকা এসেছে আর আমি এসেছি সহধর্মিণী হিসেবে।আমাকে যে ভিসা দিয়েছে তাতে চাকরি করার অনুমতি নেই। মানুষ খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করে বোরিং সময় কাটানোর উপায়। আমিও আমার বাসার কাছে সন্ধান পেলাম গ্রেইপভাইন পাবলিক লাইব্রেরির।আমি বইয়ের পোকা কোনোকালেই ছিলাম না। আর পাঠ্য বইয়ের বাইরে যে ইংরেজি বই খুব একটা পড়েছি তাও না। মনে হতো, এত ভালো ভালো বাংলা বই থাকতে আমার কী দরকার বাপু ভিন্ন ভাষার বই পড়ার?তবু আমি এখানকার লাইব্রেরিতে গেলাম এবং ঢুকে ধাক্কা খেলাম। অসম্ভব সুন্দর! এক পাশে বাচ্চাদের সেকশন। নীল চোখের বাচ্চারা বই টেনেটুনে বের করছে। চোখাচোখি হলেই হেসে দিচ্ছে। এরপর ডিভিডি আর সিডির সেকশন। থরে থরে সাজানো। তারপর মূল লাইব্রেরি। সেখানে অঢেল বই।আমি গ্রেইপভাইনের আশেপাশে কী কী কর্মকান্ড আছে তারও খোঁজ নিলাম। তখন জানলাম আমাদের বাসার কাছেই ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাট গ্রেইপভাইন আছে। এটা অনেকটা ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের মতো।সেখানে আমি একা যেতে লজ্জা পেলাম। এক সপ্তাহের মধ্যে কাকতালীয় ভাবে প্রতিবেশি ম্যারি লুইস পন্ডের সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন একদিন। ওখানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মেক্সিকোসহ মোট ১৯টি দেশ আছে। আমাকে নিয়ে ২০টি দেশ হলো।আমি একমাত্র বাংলাদেশি! আমার মনে হলো আমার ওপরই দেশের সম্মান! মনে হলো এমনভাবে সবার সঙ্গে মিশতে হবে, যাতে সবাই ভাবে বাংলাদেশ মানে এমন একটা অসাধারণ দেশ, এর মানুষগুলো এত ভালো।অনেকগুলো দল আছে। যেমন পত্রিকা পড়া, সিটিজেনশিপ, উচ্চারণ শেখা, গল্পের বই পড়া প্রভৃতি। যে যার পছন্দমতো একটা দলে ঢুকে যায়। ক্লাস শেষে হালকা নাস্তা খেয়ে গান গেয়ে ক্র্যাফট ক্লাস। নইলে কুকিং ক্লাস অথবা বাইবেল পাঠে চলে যায় সবাই। তিন ঘণ্টা সময় কিন্তু খুব মজা হয়। এখানে নানা ধরনের দিবস পালন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকান সব দিবস। টেক্সাস ডে, থ্যাংকস গিভিং ডে, ক্রিসমাস ইত্যাদি।একদিন পালন করা হলো ইন্টারন্যাশনাল ডে। সবাই যার যার দেশ তুলে ধরবে। আমি মনে মনে বলি, হায় হায় কী বলে! আসার সময় তো দেশ থেকে দেশিয় কিছুই আনতে পারিনি। চারটা সুটকেসে দরকারি জিনিস আনব না অন্য জিনিস আনব!বাংলাদেশের টেবিলটি সাজানোর জন্য কাঠের গয়না, নানুর তৈরি নকশিকাঁথা, বিয়ের ছবি, বাটিকের ওড়না, দেশিয় খাবার নিলাম। রাত জেগে একটা পোস্টারও তৈরি করলাম। নেট থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি নামিয়ে, টাকা পয়সা লাগিয়ে থ্রিডি ধরনের পোস্টার বানিয়েছিলাম।নির্দিষ্ট দিন গিয়ে দেখি সব দেশের টেবিল কী জমজমাট করে সাজানো। সবারই দুই-তিনটা টেবিল লেগেছে। জাপানি সবাই কিমোনো পরে এসেছে। টেবিল ভর্তি জিনিস। আমি দুইটা প্রায় খালি টেবিল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।তবে সেদিন একটা জিনিস খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করলাম, নিজের দেশকে উপস্থাপন করায় কী যে সুখ! সবারই একবার হলেও প্রবাসে আসা উচিত। তাহলে দেশ কী, দেশপ্রেম কাকে বলে, আত্মীয় ছাড়া জীবন কেমন, বুঝতে পারবে।কিন্তু প্রবাসে এসে যদি থেকেই যায় তাহলে তার চেয়ে অভাগা বোধহয় আর কেউ নেই। আমি দেখেছি সে সব মানুষ থেকে গিয়েছেন, শেষ বয়সে একূল-ওকূল দুকূলেরই শান্তি হারিয়ে কেমন জানি দিশেহারা ভাব নিয়ে কথা বলেন!অপলা হায়দারটেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালা মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ বইমেলা।সপ্তাহব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু্।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশের সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের প্রধান নির্বাহী ফরিদুর রেজা সাগর ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি।মাস গেলেই ২৫ লাখ টাকা বেতন। দুই কোচ গুলশানে থাকেন বিশাল দুটি ফ্ল্যাটে। দুই লাখ করে চার লাখ টাকা ভাড়া। গাড়ি-বাড়ি মিলিয়ে মাসিক খরচ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এত টাকা জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে বাফুফে। তবে টাকা জোগাড় হলেও দুই ডাচ কোচকে সেভাবে কাজ দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা কী করবেন, সেটিও আপাতত জানা নেই বাফুফের কর্মকর্তাদের।বাফুফের জাতীয় দল কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ বলছেন, ‘একাডেমি তৈরি হলে কোস্টারকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যেত। কিন্তু একাডেমি তো এখনো প্রস্তুত নয়। তবে বয়সভিত্তিক দলের কাজ দেওয়া হবে তাঁকে। ক্রুইফকে কী কাজ দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। জাতীয় দলের খেলা না থাকায় তিনিও আপাতত বয়সভিত্তিক দল নিয়েই সম্ভবত কাজ করবেন। একই সঙ্গে সামনে ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচ দেখাও তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ছে।’গত ৬ সেপ্টেম্বর নেপালে সাফ ফুটবল খেলে আসার পর ক্রুইফ ও কোস্টার অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে যান ইরাক। সেখান থেকে ফেরার পর সপ্তাহ দুয়েক হতে যাচ্ছে দুই কোচ সময় কাটাচ্ছেন নিজেদের মতো করেই। কোস্টার তো পরিবার নিয়ে ব্যাংকক বেড়াতে গেছেন, ক্রুইফেরও পরিবার নিয়ে ব্যাংকক যাওয়া কথা কয়েক দিনের মধ্যে।কাল যোগাযোগ করা হলে ক্রুইফ টেলিফোনে বললেন, বাফুফেকে দেওয়ার জন্য একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। সেটি নিয়ে বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এখন সময় কীভাবে কাটছে জানতে চাইলে বলেন, ‘এখন তো হরতাল। ফেডারেশনে যাওয়া অসম্ভব। তবে বাফুফের কোচদের নিয়ে কয়েক দিন আগে বসেছিলাম। আপাতত সেই কাজটিই করছি।’বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোচদের নিয়ে একটা হতাশাও ব্যক্ত করেছেন। এক কর্মকর্তা বললেন, দুই কোচ সাফের ফাইনালে উঠলে এবং চ্যাম্পিয়ন হলে বোনাস পাওয়ার ব্যবস্থা আদায় করে রেখেছিল, কিন্তু সাফ ফুটবলে তিন ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়ায় কোচদের জরিমানা করার বিধান রাখাও উচিত ছিল। একই সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে মাস তিনেক দুই কোচকে দেখে তবেই দীর্ঘ মেয়াদে রাখা না-রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল, বলছেন কেউ কেউ। তবে এক বছর পর চুক্তি পর্যালোচনার সুযোগ আছে।সাফ ফুটবলের পর কাছাকাছি সময়ে জাতীয় দলের খেলা নেই, তাই বাফুফের ভেতর থেকেই দুই কোচকে বিদায় দেওয়ার একটা কথাবার্তা উঠে গিয়েছিল আড়ালে-আবডালে। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সেই পথে অবশ্য হাঁটেননি। সালাউদ্দিন আরও দেখতে চান এবং কোচদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়েই মূল্যায়ন করবেন তাঁদের কাজ।প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারক গ্রামের ৬০ জন গরিব আদিবাসী ও বাঙালি এবং পৌর এলাকার নয়নশুকা মহল্লার ১০ জন দুস্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌর এলাকার শংকরবাটি পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আটজন দরিদ্র শিক্ষার্থীকেও কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পেয়ে আমারক গ্রামের ৯০ বছর বয়স্ক গান্ধী বলেন, ‘শীতের শুরুতেই কম্বল পাইনু। আমারে শুইতে পারব। কম্বল প্যায়া খুবই ভাল্লাগছে। অ্যার আগে হামারঘে গায়ের সবাইকে কেহু কম্বল দেয়নি। ভগবান তোমারঘে ভালো করুক এই আশীর্বাদ করি।’কম্বল বিতরণে সহায়তা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার জহিরুল ইসলাম, গিয়াসুর রহমান, নুরুল ইসলাম ও শিবলী।সিঙ্গাপুরে শিশুশিক্ষার বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। গাদা গাদা বইপত্র নয়। এখানে শিশুদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মজার মজার খেলা আর নানারকম বৈচিত্র্যময় কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে। যেহেতু এই সময়ে শিশুরা যা শিখবে, সারাজীবন তার ছাপ স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। এ কারণে বর্ণপরিচয়ের চাইতে নৈতিকতা আর সৃষ্টিশীলতা অনেক যত্নের সঙ্গে তৈরি করে দেওয়ার একটা চেষ্টা থাকে শিক্ষকদের।প্রায়শই আমাকে আমার পাঁচ বছরের ছেলের সঙ্গে ‘বাড়ির কাজ’ (হোমওয়ার্ক) করতে হয়। যার বিষয়বস্তুগুলো বেশ মজার, কিন্তু শিক্ষণীয়। কিছুদিন আগে আমার ছেলে একটা বাড়ির কাজ নিয়ে আসে। কমপক্ষে তিনটি ভালো কাজ এঁকে দেখাতে হবে। আমার ছেলের বয়সের তুলনায় কাজটা প্রথমে বেশ কঠিন মনে হয়েছিল। এসাইনমেণ্টের কাগজে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীকে কাজটা করতে হবে অভিভাবকের সাহায্য নিয়ে। অভিভাবক যেন তাঁর সন্তানটিকে বুঝিয়ে দেন কাজগুলো কেন ভালো। শিক্ষার্থী যেন নৈতিক শিক্ষার প্রথম পাঠটা বাবা-মায়ের কাছ থেকেই পায়, এটাই উদ্দেশ্য।কয়েকদিন পরপরই বাচ্চাদের স্কুলে নানারকম পার্টি দেওয়া হয়। পার্টির থিম থাকে একেকদিন একেক রকম। একদিন একটা পার্টি হলো। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল তাদের পছন্দের সুপারহিরোর পোশাক পরে আসতে। বাচ্চাদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও সেদিন খুব মজা পেয়েছিলেন ক্লাশজুড়ে সুপারম্যান, স্পাইডারম্যানদের হৈহল্লা দেখে! এ ধরনের মজার মজার অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেক শিশুর জন্মদিন বেশ হৈচৈ করে পালন করে তার স্কুলের বন্ধুরা। নিজস্ব সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্য ধর্ম ও মতের প্রতি সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে যেন শিশুরা বড় হয়, সে ব্যাপারটির দিকে লক্ষ্য রাখা হয়।গত ঈদের পর পর আমার ছেলের স্কুলের সব মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের বলা হলো, সবাই যেন তাদের ঈদের পোশাক পরে আসে। অন্য ধর্মের বন্ধুদের কাছে তারা ছিল সেদিনের হিরো। সব ধর্মীয় উৎসবের পর পরই এমনটা করা হয়। এ ছাড়াও মাঝে মাঝেই স্কুলগুলোতে পালন করা হয় জাতিগত সম্প্রীতি দিবস (রেসিয়াল হারমনি ডে)। সেদিন প্রত্যেকে বাসা থেকে বন্ধুদের জন্যে নিয়ে যায় তাদের সংস্কৃতির প্রধান প্রধান খাবার। গবেষণায় জানা গেছে, শিশুর বেড়ে ওঠার সময়ে তার নিজের ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে। কারণ, তাদের বাবা-মা নিজেদের ভাষায় সবচাইতে আন্তরিকভাবে তাদের সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এ বিষয়টির প্রতিফলন রয়েছে তাদের পাঠ্যসূচিতেও। মূল শিক্ষা মাধ্যম এখানে ইংরেজি হলেও প্রত্যেককে তার নিজের ভাষায় আলাদা পাঠ বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা নিজ ভাষা-সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে না যায়। বিভিন্ন সময় শিশুদের নানা শিক্ষণীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া এখানে শিক্ষার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেখানে খেলাধূলার পাশাপাশি শিক্ষকরা ওই জায়গাটির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে তাদের জানার পরিধি বাড়িয়ে তোলেন।সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে কিছু টিনএজারের মধ্যে ভয়াবহ অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সঠিকভাবে শিশুদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা ও কাজ করার সময় এখনই। উন্নত বিশ্বের ভালো উদাহরণগুলো থেকে শিখে তা প্রয়োগ করতে পারলে ভবিষ্যত বাংলাদেশের একটা সুন্দর ছবি আঁকতে পারি আমরা। আশরাফুল আলমসিঙ্গাপুর |
ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হলো লংকাবাংলা নটর ডেম বার্ির্ষক বিজ্ঞান উৎসব ২০১৩। গতকাল বৃহস্পতিবার নটর ডেম কলেজে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়েই দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞানী ও নটর ডেম বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আর ডব্লিউ টিম, কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও, উপাধ্যক্ষ বকুল রোজারিও, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক খাজা শাহরিয়ার প্রমুখ।উৎসবে ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শন করা হচ্ছে ৪১৫টি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প।আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী চলবে। উৎসবের আয়োজন করেছে নটর ডেম কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব।ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের চালক আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ হতে চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ লোকাল ট্রেনটি গৌরীপুর স্টেশন ছেড়ে গতকাল দুপুরে বোকাইনগর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি ট্রেনে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপ করে। ট্রেনের চালক মোজাফফর হোসেন হাজারীর মাথায় একটি পাথর লাগে। পাথরের আঘাতে ইঞ্জিন কক্ষের জানালা ভেঙে যায়।রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, পাথর নিক্ষেপের ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বোকাইনগর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন জানান, আহত চালক মোজাফফর হোসেন হাজারী আশঙ্কামুক্ত।প্রশ্ন: টক খেলে ঘা শুকায় না—কথাটি কি ঠিক?উত্তর: অনেকেরই ধারণা, কাটাছেঁড়ার পর বা অস্ত্রোপচারের পর টক জিনিস খেলে ঘা শুকাবে না। কিন্তু ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উল্টো। ভিটামিন সি দ্রুত ঘা শুকাতে সাহায্য করে। টক ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। তাই কাটাছেঁড়ার পর লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী, জাম্বুরা ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া উচিত। আখতারুন নাহার, পরিচালক, পুষ্টি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।আইস-স্ট্রম যাকে বলা হয়, সেই বরফ ঝড় প্রথমবারের মতো দেখলাম। এর আগে বহুবার স্নো-স্ট্রম বা তুষার ঝড় দেখেছি, কিন্তু বরফ ঝড় যে কত ভয়াবহ তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। ২১ ডিসেম্বর তা দেখলাম টরেন্টোতে।শুরুটা হয়েছিল ফ্রিজিং রেইন বা বরফের বৃষ্টি দিয়ে। তাপমাত্রা ক্রমাগত নিচে নামার ফলে বৃষ্টির পানি ক্রমাগত জমে যেতে থাকে। টরেন্টোতে প্রায় ত্রিশ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল দুই দিন। কোথাও কোথাও তিনদিন বা আরও বেশি। বিদ্যুৎ না থাকার পেছনে মুখ্য কারণ; বৃষ্টির পানি গাছে জমে গাছ ভারী হয়ে যায়। গাছ ভার সামলাতে না পেরে বৈদ্যুতিক তার বা পোলের ওপর ভেঙ্গে পড়ে।ভেঙ্গে পড়া গাছ অপসারণ অব্যাহত থাকলেও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যখন বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস ১২ ডিগ্রি আর বিদ্যুতের অভাবে ঘরের হিটিং বন্ধ থাকার কারণে। কমিউনিটি সেন্টারগুলি ওয়ার্মিং সেন্টার উন্মুক্ত রেখেছিল এইসব বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য। পাতালরেল (সাবওয়ে) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ট্যাক্সিও বন্ধ ছিল। পিয়ারসন্স বিমানবন্দরের ফ্লাইট বাতিল করা হয়।এমন অবস্থায় রেডিও আর টিভিতে ক্রমাগত সতর্কবাণী প্রচারিত হচ্ছিল, যদি জরুরী কোনো দরকার না থাকে, তবে বাইরে বের না হতে। পরিচিত বাঙালিদের ফোন করে জানতে পারি বিদ্যুৎ না থাকায় তারা হোটেল বা অন্য কোথাও আশ্রয় নিয়েছেন।বড়দিনের ঠিক আগের সপ্তাহে এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। বড়দিন বা ক্রিস মাস মানেই বাধভাঙা আনন্দ। খ্রিস্টান ধর্মালম্বিরা অনেক আশা নিয়ে বসে থাকেন বছরের শেষ দিকের এই দিনটির জন্য। চারদিকে নানারকমের আলোকসজ্জা, শপিং মলে মূল্যহ্রাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেনাকাটার আনন্দ সবই ফিকে হয়ে যায় প্রকৃতির এই নির্মম আঘাতে। অতি পরিচিত আলোঝলমল শহরটি মুহূর্তেই মনে হয়েছিল ক্রিস্টালের তৈরি একটি জমাট বাঁধা শহর।বরফ ঝড় দেখার পর মনে হচ্ছে, প্রকৃতির কাছে আমরা এখনো অনেক অসহায়।অজন্তা চৌধুরীব্রাম্পটন, কানাডা |
বিদেশে চাকরির জন্য নাম নিবন্ধনের সময়সীমা দুই দিন করে বাড়িয়েছে সরকার। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক জাহিদ আনোয়ার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে জানান, মালয়েশিয়ার পর এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাকরির জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধন শুরু করেছে সরকার। আগে একেক বিভাগে নিবন্ধনের জন্য সাত দিন করে সময় দিলেও এখন নয় দিন করে সময় দেওয়া হচ্ছে।বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, আগে ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে নিবন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে নিবন্ধন শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। তবে ৪ অক্টোবরের বদলে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ অক্টোবর।বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ অক্টোবর। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার নেতৃত্বে প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা-বাগানে তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে মরণপণ লড়াই করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বুলেটে তিনি মারা যান।আলাপন, বার্তা বিনিময় ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মতো ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি স্মার্টফোন নিত্যনতুন সুবিধা দিয়েই চলেছে। এবার শহরাঞ্চলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণেও এই আধুনিক যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে। মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনে তাপমাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে কোনো শহরের আবহাওয়া নিয়ে বিশদ গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে।জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। নগরাঞ্চলের তাপমাত্রাসহ সার্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত তাপ শোষণকারী বিভিন্ন উপাদানের (যেমন সিমেন্ট, পিচ প্রভৃতি) ব্যবহার এবং ভবনের আধিক্যের কারণে শহরের তাপমাত্রা আশপাশের অঞ্চলের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরবাসী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া দাবদাহে শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।নগরাঞ্চলে তাপমাত্রার পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণের কাজটি এমনিতে আবহাওয়া কেন্দ্র ও কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) মাধ্যমে তদারকি করা হয়ে থাকে। এ জন্য শহরের সবখানে যন্ত্র স্থাপনের ব্যাপারটি একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও শ্রমসাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে স্মার্টফোন ব্যবহারের কৌশলটি অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা জানান, ওপেনসিগন্যাল নামের একটি বিশেষ অ্যাপ কোনো স্মার্টফোনে ব্যবহূত ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য অনলাইনে পাঠিয়ে দিতে পারে। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোনটির অবস্থা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়। আর ব্যাটারির তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কেও জানা যায়। ওপেনসিগন্যাল অ্যাপটি কয়েক হাজার স্মার্টফোনের তথ্য অনলাইনে পাঠাতে পারে।মার্কিন গবেষকদের আশা, তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের পদ্ধতিটি নগরাঞ্চলের আবহাওয়া গবেষণায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট গবেষক জেমস রবিনসন বলেন, যখন অনেক স্মার্টফোন গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ও আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্যাবলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে, তখন অবশ্যই নিখুঁত হিসাব পাওয়া যাবে। কিন্তু কেবল দু-একটি স্থানে নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহের প্রচলিত পদ্ধতি এতটা নির্ভুল না-ও হতে পারে। লাইভসায়েন্স।ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন ক্যানবেরার যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হলো দিনব্যাপী বিজয় মেলা ২০১৩ উৎসব। ১৬ ডিসেম্বর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও বিদেশিদের উপস্থিতিতে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।মেলায় ছিল হরেক রকমের খাবার, পোশাক, সাজসজ্জা ও বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের স্টল। দিনের প্রথম ভাগে শিশু কিশোররা অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন খেলাধূলা ও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায়। এরপর ক্যানবেরার স্থানীয় ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা অংশ নেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। দিন শেষে শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হাইকমিশনার স্ত্রী। সিডনী থেকে আগত সংগীত গোষ্ঠী ঐকতানের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনেক দিন মনে রাখার মতো একটি উৎসব। ড. ইমাম হোসেনক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন ও ভোটে বাধা দিলে রাষ্ট্রের সর্বাত্মক চেষ্টা দিয়ে তাঁদের প্রতিরোধ ও দমন করা হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব-৭-এর নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।মহীউদ্দীন খান বলেন, ‘কতিপয় স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ রাজনৈতিক দলের মোড়কে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়। কোনো ব্যক্তি যদি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, নির্বাচনে বাধা দেবেন, ভোট দিতে গেলে বাধা দেবেন, রাষ্ট্রের সর্বাত্মক চেষ্টা দিয়ে তাঁদের প্রতিরোধ ও দমন করা হবে।’পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহীউদ্দীন খান বলেন, ‘সচিবালয় ঘেরাওয়ে হেফাজতের বক্তব্যে তাৎপর্য নেই। হেফাজত মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে দমনের ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের পোশাক কারখানায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের উসকানি আছে বলে তিনি মনে করেন না।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, ২৫ অক্টোবরের পর বাংলাদেশে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে। ২৫ অক্টোবরের পর এ দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।’নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি) এলাকায় ১২ বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল রোববার ভোরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভাইগড় সীমান্ত থেকে আরেক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সাপাহার উপজেলা ও ভারতের মালদহ জেলার ভবনগোলা থানার সীমান্তের ২৩৫ ও ২৩৬ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে গত শনিবার ভোরে ১২ জন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ভারতে যান। সেখান থেকে ৫১টি গরু নিয়ে ফেরার সময় তাঁদের আটক করে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। আটককৃতরা সবাই জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলার বাসিন্দা।নিতপুর বিওপির কমান্ডার কাজী আবদুল গনি ও হাঁপানিয়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু সুফিয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।এদিকে গতকাল ভোরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভাইগড় সীমান্তের কাছে ভারতীয় এলাকা থেকে সানোয়ার হোসেন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিএসএফ। তিনি উপজেলার ১ নম্বর মুকুন্দপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সানোয়ার হোসেনের সহযোগীরা জানান, শনিবার রাতে সানোয়ারসহ ১৫-২০ জনের একটি দল চোরাকারবারিদের পক্ষ হয়ে ভারত থেকে গরু আনতে যায়। ভোরে ভারতের আগ্রা এলাকার সীমান্তের ২৯১ নম্বর মেইন পিলারের পাশ দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথে ভীমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে সানোয়ারকে আটক করে।ইউরোপের বিখ্যাত হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড বেকোর পণ্য সম্ভার নিয়ে এসেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী সিঙ্গারের সব মেগা শপ ও নির্দিষ্ট সিঙ্গার প্লাস শপে এই ব্র্যান্ডের সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটর, বটম মাউন্টেড রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্রি স্ট্যান্ডিং গ্যাস ওভেন পাওয়া যাচ্ছে।হাই-টেক হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন মাথায় রেখে বেকো ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী বাজারে এনেছে সিঙ্গার। বিজ্ঞপ্তি।বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চীনে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ৪২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে। রাজধানীর উত্তর-পূর্বে গ্র্যান্ড ম্যারিয়ট পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শতাধিক বাংলাদেশিসহ বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ও বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি যোগ দেন । স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আজিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করে ৪২তম বিজয় দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। দ্বিতীয় পর্বে বেইজিংয়ের বিভিন্ন স্থানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশীয় ঐতিহ্যের আবহে দেশাত্মবোধক গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি করেন। বেইজিং ক্যাপিটাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আনিসা রহমান দেশাত্মবোধক গানের তালে তালে নাচ পরিবেশন করেন। বেইজিংয়ের বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মেহেদি আগত অতিথিদের মুক্তিযুদ্ধের চিঠি ও কবিতা করে শোনান। এরপর বেইজিং কমিউনিকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক চীনা শিক্ষার্থী বাংলা গানের তালে তালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাচ পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন । অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আগত সকল অতিথিদের সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।সুন্দর ও সুচারুভাবে এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান ।আইমান ওয়াহেদবেইজিং, চীন |
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ‘জিনে ধরা’ আতঙ্ক কাটছে না। গত পাঁচ মাসে শতাধিক ছাত্রী ও তিন নারী শিক্ষক জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় আলেম ও ফকিরদের দিয়ে জিন তাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও তাতে কোনো ফল হয়নি।স্থানীয় লোকজন বলছেন, জিনের আছর পড়ায় ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এটি গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ। নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হলে রোগী ভালো হয়ে যায়। এ বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল মঠবাড়িয়া পৌর শহরের কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের সাত ছাত্রী হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর দুই মাসে ৫০ জন ছাত্রী ও তিন নারী শিক্ষক চেতনা হারান। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় জুন মাসে মাওলানা ও ফকির ডেকে জিন তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।এরপর চারবার জিন তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রীরা একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। এ কারণে গত বুধবার রাতে কয়েকজন আলেমের পরামর্শে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ২০-২৫ জন অসুস্থ ছাত্রীকে জড়ো করে জিন তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় সুস্থ হওয়ার বদলে আরও ৮-১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবারও এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।দশম শ্রেণীর আইরিন জাহান জানায়, চোখের সামনে ভয়ংকর কিছু দেখে তারা আতঙ্কে জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফেরার পর তারা আর কিছু মনে করতে পারে না।কয়েকজন অভিভাবক জানান, বাড়িতে নিয়ে আসার পর তাঁদের মেয়েরা আগের ঘটনা ভুলে যায়। এটা বদ জিনের কাজ হতে পারে।প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জামান খান বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করার পরও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে জিন তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও পিরোজপুরের সিভিল সার্জনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এটা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হয়। না খেয়ে বিদ্যালয়ে এলে, শরীর দুর্বল থাকলে অথবা অন্য শারীরিক সমস্যার কারণে একজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে আতঙ্কে অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। শিক্ষকদের এ ব্যাপারে ছাত্রীদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের এ রোগ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাই তাঁরা গুজব ছড়াচ্ছেন।সিভিল সার্জন আবদুল গনি বলেন, ‘ওই বিদ্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানোর আবেদনের চিঠি পেয়েছি। সুপারিশ করে চিঠিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।’ওই বিদ্যালয়ে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ৯ জুলাই প্রথম আলোয় ‘জিনে ধরা আতঙ্কে বিদ্যালয় বন্ধ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।অনলাইন ক্লাসিফাইড প্রতিষ্ঠান ওএলএক্স ইনকরপোরেশন তাদের মিডিয়া এওআর সলিউশন প্রোভাইডর হিসেবে টপ অব মাইন্ডকে নিয়োগ দিয়েছে।২০০৬ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত ওএলএক্স ১০৬টির বেশি দেশে ৪০টি ভাষায় ব্যবহূত হচ্ছে। ওএলএক্স ইনকরপোরেশনের সিএফও অ্যারিয়েল লেবোউইটস এবং টপ অব মাইন্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জিয়াউদ্দীন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিজ্ঞপ্তি।প্রশ্নোত্তর অংশ-৮প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশে ৪টি প্রশ্নে ১২ নম্বরের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।অধ্যায়-১১অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:প্রশ্ন: আমের বীজকে অসস্যল বীজ বলা হয় কেন?উত্তর: যেসব বীজের সস্যটিস্যু শোষিত হয়ে বীজপত্রে জমা হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদগমকালে খরচ হয়, তাদের অসস্যল বীজ বলে। আমের পরিণত বীজে সস্যটিস্যু বীজপত্রে শোষিত হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদগমকালে খরচ হয় বলে আমের বীজকে অসস্যল বীজ বলে।অধ্যায়-১২জ্ঞানমূলক প্রশ্ন১। প্রজনন কী?উত্তর: একটি গাছের তারই অনুরূপ আর একটি গাছ জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রজনন।২। উদ্ভিদ প্রজনন কত প্রকার?উত্তর: উদ্ভিদ প্রজনন তিন প্রকার।৩। যৌন প্রজনন কী?উত্তর: বীজের মাধ্যমে উদ্ভিদের যে প্রজনন ঘটে, তাকে যৌন প্রজনন বলে।অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:প্রশ্ন: উদ্ভিদে অঙ্গজ প্রজনন সুবিধাজনক কেন?উত্তর: দেহ অঙ্গের মাধ্যমে উদ্ভিদের যে প্রজনন হয়, তাকে উদ্ভিদের অঙ্গজ প্রজনন বলে। অঙ্গজ প্রজননের ফলে প্রাপ্ত নতুন গাছের ফুল ও ফলে মাতৃগাছের গুণাগুণ বজায় থাকে। এভাবে প্রাপ্ত উদ্ভিদে তাড়াতাড়ি ফুল ও ফল ধরে। তাই উদ্ভিদের অঙ্গজ প্রজনন করা সুবিধাজনক।অধ্যায়-১৩জ্ঞানমূলক প্রশ্ন১। প্ল্যাংকটন কাকে বলে?উত্তর: পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র জীবকে প্ল্যাংকটন বলে।২। বিয়োজক কাকে বলে?উত্তর: পরভোজী বা মৃতজীবী যেসব অণুজীব জীবের মৃতদেহ থেকে বিশোষণের মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ করে এবং মৃতদেহকে বিয়োজিত করে সরল জৈবযৌগে পরিণত করে, তাদের বলা হয় বিয়োজক।৩। বাস্তুসংস্থান কী?উত্তর: জীব সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরিবেশের আন্তঃসম্পর্কই হল বাস্তুসংস্থান।অনুধাবনমূলক প্রশ্নপ্রশ্ন: খাদ্যজাল কীভাবে গঠিত হয়?উত্তর: যখন একটি বাস্তুতন্ত্রে একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল পরিলক্ষিত হয়, তখন ওই পরিবেশের খাদ্যশৃঙ্খল খুবই জটিল আকার ধারণ করে। এরূপ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যশৃঙ্খলের সদস্যরা আন্তঃসম্পর্কযুক্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রজাতি দ্বারা আন্তঃসম্পর্কযুক্ত একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল সুসংবদ্ধভাবে বিন্যস্ত হয়ে খাদ্যজাল গঠন করে।সহকারী অধ্যাপকবীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকাপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালবাংলাদেশের ৪২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরে অনুষ্ঠিত হলো বিজয়ে বাংলাদেশ অনুষ্ঠান। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ৮ ডিসেম্বর রোববার টেক্সাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশি মিলিত হয়েছিলেন দূর্গাবাড়ির সুর অডিটোরিয়ামে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, হিউস্টন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।প্রবাসজীবনে সকলেই যার যার কাজের জায়গায় ব্যাস্ত থাকেন। তাই প্রবাসে যে কোনো অনুষ্ঠানই সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পাঠশালা-র ছোট্ট শিশুদের পরিবেশনা দিয়ে। দেশ থেকে বহুদূরে থেকেও যে নিজেদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা যায়, এই শিশুরাই তার উজ্জ্বল প্রমাণ। পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের গান, কবিতা ও নাটক দিয়ে। শিল্পীরা প্রধানত রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, বাউল, দেশাত্মবোধক গানসহ নানা দেশাত্মবোধক কবিতা পরিবেশন করেন। শেষ পর্বের আকর্ষণ হিসেবে ছিল সমবেত দেশাত্মবোধক গান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি নাটকের অংশবিশেষ।দেশের বাইরে এটাই ছিল আমার প্রথম বিজয় দিবস। দেশে থাকাকালে আমি সবসময়ই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতাম। নানা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছি। দেশ ছেড়ে এতদূরে এসেও যে একইভাবে বিজয় দিবস পালন করতে পারব কখনো ভাবিনি। এখানেও সংগীত পরিবেশন করেছি আমি। অনুষ্ঠান শেষে পরিপূর্ণ মন নিয়ে ফেরার সময় মনে হচ্ছিল আমি আবার দেশে ফিরে গেছি।খেয়া ব্যানার্জীহিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র |
এক হাত ছেড়ে হাঁটো। দেখো তো, না ধরে হাঁটতে পারো কি না। ও, ব্যথা করছে, তাহলে একটু বসো। আরে দেখো না, ওর তো দুই পা-ই নেই, তোমার তো একটি পা আছে, ও পারলে তুমিও পারবে।সাভারে রানা প্লাজার আহত শ্রমিক শিল্পীর কৃত্রিম পা লাগানোর পর অনুশীলনের একপর্যায়ে এভাবেই সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন থাইল্যান্ডের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ দলের কথাগুলো শিল্পীকে বাংলায় বলে দিচ্ছিলেন থাই দূতাবাসের এক প্রতিনিধি।আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০৭ জনকে বিনা মূল্যে কৃত্রিম পা লাগানোর এ কার্যক্রম চলছে। থাইল্যান্ড সরকারের সহায়তায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কাজে থাইল্যান্ড থেকে ৬৩ সদস্যের একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। গতকাল বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণসচিব সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশে হাত-পা সংযোজন কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হবে।শিল্পী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পা হারানোর পর কখনো চিন্তা করিনি আবার হাঁটতে পারব। এখন হাঁটতে পারছি, নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছি।’অনুশীলন শেষ করে চেয়ারে বসে ছিলেন আরেক আহত শ্রমিক রেহানা বেগম। তাঁর দুটো পা-ই কাটা গেছে। তাঁকে দুটি কৃত্রিম পা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসায় খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে বিজিএমইএ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রেহানা ১৫ লাখ টাকা এবং শিল্পী ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পেয়েছেন।থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ দলের কয়েকজন প্রতিনিধিরও পা নেই। তাঁরাও কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে চলাচল করছেন। এই কৃত্রিম পা লাগানো প্রতিনিধিরা শিল্পী, রেহানাদের কৃত্রিম পা লাগাচ্ছিলেন অত্যন্ত মমতা ও যত্নের সঙ্গে। পা না থাকার যে কী বেদনা, তা তো তাঁরা জানেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলী (৮৮) গত শনিবার রাত নয়টায় গুলশানের একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর লেখা কয়েকটি বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯০ সালে তিনি শেরেবাংলা স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। আজ সোমবার বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে দাফন করা হবে।তিনি চার সন্তান রেখে গেছেন। আগামী শুক্রবার বাদ আসর তাঁর গুলশানের বাসভবনে কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি।ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবি) মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ‘ইউক্যাশ’-এর আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধন সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে এই ইউক্যাশের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ জহির, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান চৌধুরী, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এ টি এম জহিরুল আলম, পরিচালক এম এ সবুর, মো. জাহাঙ্গির আলম খান, মো. তানভির খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আলীসহ ইউসিবির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। রাতে কোথাও কোথাও বৃষ্টির মতো শিশির ঝরছে। জনজীবন বিপর্যস্ত। গরিব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কয়েকটি জেলায় গতকাল শুক্রবার সূর্যের দেখা মেলেনি। মানুষজন ছুটছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:দিনাজপুর: কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও শিশির বৃষ্টিতে দিনাজপুরে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সকালে শহরের বড় ময়দান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় রাস্তায় মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ যন্ত্রচালিত যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ভেজা রাস্তা দেখে মনে হয়েছে, রাতে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন বস্তি এলাকায় সব বয়সী মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দিনাজপুর আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে গত দুই দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশ ছিল মেঘলা ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা। যানবাহনগুলো দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। হাড় কাঁপানো শীতে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। অসহায় দরিদ্র, ছিন্নমূল, ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। শহরের ফুটপাতসহ লেপ-তোশক ও শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশায় আলুখেতে লেটব্রাইট রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। সদর আধুনিক হাসপাতালের বহির্বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে অসংখ্য শিশু ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।কুড়িগ্রাম: প্রচণ্ড শীত, কনকনে হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনের বেলা দরিদ্র শীতার্ত মানুষ খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। ঠান্ডায় দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ জমিতে কাজে যেতে পারছেন না। তীব্র শীতে আগাম জাতের আলু ও ধানের ক্ষতি হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।তারাগঞ্জ (রংপুর): উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রামের প্রায় ৪০০ লোক শীতবস্ত্রের অভাবে খুবই কষ্টে আছেন। সেখানে সরকারিভাবে এ পর্যন্ত কোনো কম্বল বিতরণ করা হয়নি। গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামটির মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেকে বাড়ির উঠানে খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।সৈয়দপুর (নীলফামারী): গতকাল সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শীতে কাঁপছে এলাকার গরিব মানুষ। উপজেলার নিয়ামতপুর কিসামত কামারপুকুর গ্রামের জোবেদা বেওয়া (৬৭) ঠকঠক করে কাঁপছিলেন শীতে। তিনি বলেন, ‘হামাক অ্যাকনা (একটা) কোম্বল দেন বাহে...।’ উপজেলা আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, এ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।উলিপুর (কুড়িগ্রাম): দুই দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় দুস্থ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে গরিব মানুষ কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। গতকাল ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা মাঝিপাড়া ও নয়াডারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। মাঝিপাড়া গ্রামের মনভোলা (৫০) বলেন, ‘ঠান্ডায় মরি গেন (গেলাম) বাহে। এলা কোনো কাম নাই, জমা টেকাও নাই, কী দিয়া গরম কাপড় কিনমো?’শিবগঞ্জ (বগুড়া): ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে উপজেলার সাড়ে চার লাখ মানুষ। মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। অটোরিকশাচালক গোলজার হোসেন বলেন, কুয়াশার জন্য ১০ হাতের মধ্যেও কিছু দেখা যায় না। যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। |
বরিশাল জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কে বা কারা কুপিয়ে জখম করেছে।অভিযোগ উঠেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। একই সঙ্গে তারা স্কুল ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দায়ী করে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে স্কুলের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে মিছিল বের করে। এ সময় তারা বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে। তারা স্কুল ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে স্লোগানও দেয়।জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, স্কুলের ক্যাম্পাসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হওয়ায় নানা সমস্যা হচ্ছে। গত সোমবার বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করেন।একপর্যায়ে তাঁরা বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ছাত্রদের মারধর এবং কয়েকটি সাইকেলসহ মূল ফটক ভাঙচুর করেন। গতকাল বেলা পৌনে একটার দিকে বিদ্যালয়ের দিবা শাখার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মো. সাফায়াত স্কুলসংলগ্ন ব্রাউন কম্পাউন্ড সড়ক দিয়ে বাসায় ফেরার সময় অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন-চার যুবক তার কপাল ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে স্কুলের ছাত্ররা উত্ত্যক্ত করায় তাঁরা নালিশ জানাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলেন। ওই সময় স্কুলের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল ক্যাম্পাসে গেলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি দুই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বসে মীমাংসা করে দেয়।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুনর রশীদ খান প্রথম আলোকে জানান, গত সোমবার জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওই দিনই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে স্কুলছাত্র সাফায়াতের ওপর হামলার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তার পরও যদি এ অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শেরেবাংলা নগর সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ২১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি নির্বাচন করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। আগামী ১ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্যানেল ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র না কেনায় বা প্রত্যাহার না করায় ‘আবদুল হান্নান-আবদুর রহমান’ প্যানেলকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ২১ সদস্যের কমিটিতে আছেন সভাপতি আবদুল হান্নান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি।রহিমআফরোজ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের বিজনেস পার্টনার কনভেনশন সম্প্রতি সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুদাসসির মুর্তাজা মঈন বিজনেস পার্টনারদের হাতে পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি।বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের বিভিন্ন মহল্লায় অবাধে কেনাবেচা হচ্ছে ভারতীয় ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক। সান্তাহারের ইয়ার্ড কলোনি, চা-বাগান, রথবাড়ী, আমবাগান, সাহেবপাড়াসহ বসুন্ধরা বস্তির শতাধিক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ মাদক ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সরাসরি সম্পৃক্ত। আর পুলিশ বলছে, প্রতিনিয়ত তাদের হরতাল ও অবরোধের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ কারণে তারা অন্যদিকে খেয়াল রাখতে পারছে না।এলাকার অনেকে জানান, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন হওয়ায় প্রতিদিন হিলি সীমান্ত দিয়ে ট্রেনে করে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সান্তাহারে আসছে। ট্রেন থেকে এসব মাদকদ্রব্য নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন বস্তি ও মহল্লায়। পরে এসব মাদকদ্রব্যের কিছু স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হয়। আর বাকিটা পাইকারি মাদক বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। পরে পাইকারি মাদক বিক্রেতারা এসব মাদক নওগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান।এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন, এলাকাবাসীর সামাজিক প্রতিরোধের মুখে সান্তাহার শহরের মাদক ব্যবসা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের সহায়তায় আবারও ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য কেনাবেচা করছে।বর্তমানে শহরের চা-বাগান মহল্লার জাহাঙ্গীর ও তাঁর স্ত্রী শাহানা, রহিমা, সুজন, ঝরনা, বসুন্ধরা বস্তির অপুন, জুয়েল, ঝরনা-২, আলসা, শামিম, লোকো কলোনির বৃত্তি, ঈদগাহ মাঠ এলাকার কানা বাবুসহ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী এই পেশায় জড়িত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জানান, প্রত্যেক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশসহ বিভিন্ন মহলকে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। সান্তাহার পুলিশের পক্ষে টাকা তোলার কাজ করেন সুনিল নামের পুলিশের এক তথ্যদাতা। প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসা নতুন করে শুরু হওয়ায় শহরের সচেতন অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দীন আক্ষেপ করে বলেন, ‘অনেক কষ্ট ও সংগ্রাম করে জনগণের সহযোগিতায় সান্তাহার শহরের মাদক ব্যবসা প্রায় বন্ধ করে এনেছিলাম। কিন্তু আবারও এটা শুরু হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও শংকিত। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’সান্তাহার স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর ফেনসিডিলে আসক্ত ব্যক্তিদের কারণে আশপাশের চায়ের দোকানে চা পান করতে যাওয়া যায় না। কারণ, এসব দোকান মাদকসেবীদের দখলে থাকে। ফেনসিডিলে আসক্ত যুবকেরা প্রকাশ্যে চায়ের দোকান, রেললাইনের ওপরসহ আশপাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফেনসিডিল সেবন করলেও পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।সান্তাহার পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুস অভিযোগ করে বলেন, শহরের মালগুদাম মসজিদের চারপাশে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকসেবীরা অবাধে মদপান করে। এতে মুসল্লিদের চরম বিপাকে পড়তে হয়।আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। অচিরেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। কোনো পুলিশ এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হরতাল ও অবরোধের কারণে তাঁরা অন্যদিকে তেমন মনোযোগ দিতে পারছেন না। |
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নিহত ব্যক্তি হলেন শ্রীউলা গ্রামের আফিলউদ্দীন সরদারের ছেলে আবদুল হাকিম সরদার (৫৫)।শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা জানান, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল হাকিম সরদারের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। আবদুল হাকিম দলের কোনো পদে না থাকলেও বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তিনিও দলের স্থানীয় একটি পক্ষের নেত্বত্বে ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নূর মোহাম্মদের পক্ষের কর্মী আবদুর রহমানের দায়ের করা একটি মামলায় গত বুধবার আদালত থেকে আবদুল হাকিমসহ ২২ জন আসামি জামিন পান। এরপর আদালত চত্বরে আবদুল হাকিমের পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে নূর মোহাম্মদের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় একটি দেশীয় অস্ত্রসহ নূর মোহাম্মদের পক্ষের সদস্য আল মুজাহিদকে আটক করে পুলিশ।গতকাল সকাল নয়টার দিকে আবদুল হাকিম তাঁর কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে চিংড়িঘেরে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় নূর মোহাম্মদের পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রসহ রাস্তায় হাকিম ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে নূর মোহাম্মদের সমর্থকেরা আবদুল হাকিমকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে তাঁরা হাকিমের সমর্থক আনারুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় আবদুল হাকিমের পক্ষের ছয়জন গুরুতর আহত হন।আহত ব্যক্তিরা হলেন শ্রীউলা গ্রামের মফিজুর রহমান (৩০), আনারুল ইসলাম (১৮), ইউনুস আলী সরদার (১৯), বাবলুর রহমান (২৪), বাবু গাজী (৩০) ও আবদুছ ছালাম (৪৫)। আহত ব্যক্তিদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুস সেলিম (২৫) ও বাবর আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেননি।১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে গতকাল রোববার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় করলা ও পটোলের দাম মণপ্রতি এক হাজার টাকা কমে গেছে।হরতালের আগের দিন শনিবার হাটে প্রতি মণ করলা এক হাজার ৪০০ টাকা ও পটোল এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। অথচ গতকাল প্রতি মণ করলা ৪০০ ও পটোল মাত্র ৩৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক ক্ষোভে করলা ও পটোল হাটের রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেন।পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, হরতালের কারণে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল হরতালের দিনে অন্যান্য দিনের চেয়ে হাটে করলা ও পটোল আমদানি বেশি হয়েছে। তাই বাজারে দাম অনেক কমে গেছে।গতকাল সকালে উপজেলার কলেজ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, করলা ও পটোল বহনকারী ভ্যানের দীর্ঘ সারি। হাটে নির্ধারিত কাঁচা তরকারির শেড এবং খোলা মাঠটি করলা ও পটোলে ভরে গেছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে হাটে প্রচুর করলা ও পটোল আমদানি হয়েছে। হরতালের কারণে পাইকারদের অনীহা থাকায় কৃষকেরা তাঁদের পণ্য কম দামে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে কৃষকেরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।কৃষকেরা জানান, হরতালের আগের দিন শনিবার হাটে তাঁরা প্রতি মণ করলা এক হাজার ৪০০ টাকা ও পটোল এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এখন তাঁরা এক হাজার টাকা কম দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন।ভানুরকান্দা গ্রামের কৃষক শাহিনুর রহমান বলেন, তিনি ভোরে ২০ মণ করলা নিয়ে হাটে এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর বেলা ১১টার দিকে প্রতি মণ করলা মাত্র ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করে দেন। হরিসারা গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোরা কম দামে করলা বেচমু না বলে দুপুর পর্যন্ত হাটত ছিনু। মোরকে করলা আর কেউ লিল না। তাই মনের দুক্কে হাটত দেড় মণ করলা ছিটে দিছু। হরতাল আলারাই মোরকে করলা খাক।’পাশের বদলগাছী উপজেলার গোবরচাঁপা গ্রাম থেকে আসা কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, তিনি আগের দিন শনিবার হাটে এক মণ পটোল এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। গতকাল তিনি মাত্র ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।কলেজ হাটের সবজির পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল বারী ও রুবেল হোসেন বলেন, দেশে টানা তিন দিনের হরতালের কারণে এখান থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাইরে কোথাও যাচ্ছে না। এ ছাড়া অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল হরতালের দিনে হাটে প্রচুর করলা ও পটোল আমদানি হয়েছে। তাই দাম কমে গেছে। তার পরও ব্যবসায়ীরা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে করলা ও পটোল কিনেছেন।নিজের পেশাগত কাজের প্রতি বিরাগ বা ঘৃণা আপনার উন্নতির পথে বাধা হিসেবে কাজ করে। আর অফিসে কাজের প্রতি ভালোবাসা আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে।যুক্তরাষ্ট্রে ৪০০ জন অফিসকর্মীর কর্মপরিবেশ ও অভিজ্ঞতার ওপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে মনস্টার ডট কম নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন:১. সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক: চাকরিতে সুন্দর পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন এবং মজা করুন।২. মাঝেমধ্যে বিরতি: মাঝেমধ্যে নিজের ডেস্ক ছেড়ে উঠুন, অফিসের বাইরে যান। আপনার জন্য বরাদ্দ ছুটিগুলো ভোগ করুন।৩. নিজের জন্য সময়: অফিসের দায়িত্বের পাশাপাশি অন্য কাজকর্মের জন্যও সময় রাখুন। যাতায়াতে বেশি সময় নষ্ট করবেন না।৪. কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সেবা: স্বাস্থ্যবিমা ও ছুটি ছাড়াও অফিসের দেওয়া অন্যান্য সেবা বা সুবিধা (ভ্রমণ ও বিনোদন) ভোগ করুন।৫. লক্ষ্য নিয়ে কাজ: সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করুন। নির্ধারিত কাজের বাইরে স্বেচ্ছায় কিছু করে দেখুন। বাড়তি দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে সমৃদ্ধ করুন। লাইভসায়েন্স।দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে ২০ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয় বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশিয় সংস্কৃতি লালন করা বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি সংগঠনের শিল্পীরা পরিবেশন করেন দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি, নৃত্য, অভিনয় ও নাটক। এর মধ্য দিয়ে অন্যরকম এক বাংলায় পরিণত হয়েছিল দুবাই কনস্যুলেটের বিজয়ের মঞ্চ। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’সহ বেশ কয়েকটি গান উপস্থিত হাজারো দর্শকের শরীরের শিহরণ জাগিয়ে তোলে।আলোচনা সভায় বক্তারা স্মরণ করিয়ে দেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে স্বদেশি ইতিহাসকে হূদয়ে লালনের সঙ্গে বহিঃপ্রকাশেরও সুযোগ হয়। সেদিন মায়ার টানে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে মিলিত হয়েছিলেন কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। সপরিবারে উপস্থিত হন অনেকে।আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল মেলার স্টলগুলোতেও। মেলায় অংশগ্রহণ করে ত্রিশটিরও অধিক বাংলাদেশি সংগঠন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরা শাখা, আনায় আনায় ষোল আনা, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিজয় পার্বণ, বরিশাল বিভাগ কল্যাণ পরিষদ, প্রবাসী বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ সমবায় সমিতি, ডলারেক্স, বিজনেস কাউন্সিল, সোশ্যাল ক্লাব, বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ পরিষদ উল্লেখযোগ্য।বিজয়ের মঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল মোহাম্মদ আল ওয়াইসি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনালের মাসুদুর রহমান, বিজনেস কাউন্সিলর ড. মাহমুদুল হক। ভাইস কনস্যাল আবু আসরিফ মাহমুদ, প্রথম সচিব (শ্রম) মিজানুর রহমান, ভাইস কনস্যাল কৃর্তী চাকমা ও প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সন্ধ্যায় কনস্যাল জেনারেল মাসুদুর রহমানের সরচিত কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুবাইয়ের ভাইস কনসাল আবু আসরিফ মাহমুদ ও শেখ কানিজ-এ-ফেরদৌসের পরিচালনায় একে একে পরিবেশিত হয় দেশের গান, জাগরণের গান, দলীয় সংগীত, ছোটদের মনের মতো সাজ, নৃত্য ও নাটিকা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, উইমেন অ্যাসোসিয়েশন দুবাই, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব, বাঁধন থিয়েটার ও রাস-আল-খাইমা বাংলাদেশ ইসলামি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এরপর মেলার পৃষ্ঠপোষক ইউ এক্সচেঞ্জ প্রদত্ত অফারের লটারী বিজয়ী আবদুল আউয়ালকে পুরস্কার (কেস বাউসার) প্রদান করেন কনস্যাল জেনারেল মাসুদুর রহমান ও এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাবৃন্দ। মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণ বিকেল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিতে ভরপুর।কামরুল হাসান জনিদুবাই, আরব আমিরাত |
বিশ্বজিৎকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, আদালতে সেই বর্ণনা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ বর্ণনা দেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা। ছাত্রলীগের ২১ কর্মীকে আসামি করে তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।সাক্ষ্যে তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পর মামলার কাগজপত্র এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও স্থিরচিত্র পর্যালোচনা করেন। তাতে দেখা যায়, আসামি রাজন তালুকদার মাথায় সাদা টুপি ও মুখে রুমাল বাঁধা ছিলেন। তাঁর হাতে রক্তমাখা ছুরি ছিল। আসামি রফিকুল ইসলাম ফুলহাতা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আসামি রফিকুল ইসলাম বিশ্বজিৎকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করছেন। আসামি খন্দকার ইউনুস ও কাইয়ুম কাঠের রোল দিয়ে বিশ্বজিৎকে পেটান। একইভাবে অন্য আসামিরা কে কীভাবে বিশ্বজিৎকে মারধর করেন, তার বর্ণনা করেন তিনি।রাজধানীর কাকরাইলের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের শিশুপুত্র সৌরভ আলম (২) জন্ম থেকে হার্টের সমস্যায় ভুগছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি তার বাবার নেই। তাই সন্তানকে বাঁচাতে দেশের সহূদয়বান মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছেন তিনি। সৌরভকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: আলমগীর হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ১০১.১০১.২৮৩৯৭৯, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মতিঝিল শাখা, ঢাকা। বিজ্ঞপ্তি।অন্তু মিয়াছয় বছরের শিশু অন্তু মিয়া দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসায় ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে, যা জমি বিক্রি করে জোগাড় করেছিলেন অন্তুর বাবা। তাঁর পক্ষে এখন আর ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি দেশের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তাঁকে আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা—মো. জীবন মিয়া, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-৩৫০৬, উত্তরা ব্যাংক, ভাগলপুর শাখা, কিশোরগঞ্জ। বিজ্ঞপ্তি।বাংলা পঞ্জিকামতে গ্রামগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসে। কিন্তু উৎসবের রঙে চারদিক ঝলমলিয়ে ওঠে ধান কাটা শেষ হলে। সে হিসেবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলোতে এখন চলছে নবান্ন উৎসব। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠাপুলি তৈরির ধুম।কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অন্য বছরের মতো এ বছরও মানুষগুলো মেতে উঠেছে পিঠাপুলির আনন্দে। বাড়িতে এসেছে আত্মীয়স্বজন। মেয়েরা ঢেঁকিতে ধানের চাল গুঁড়া করছে, কেউ নতুন চালের মুড়ি ভাজছে। ভোরে গৃহিণীরা ভাপা পিঠা তৈরি করছেন।রায়গঞ্জ উপজেলার বাঁকাই গ্রামের আরজিনা বেগম বলেন, ‘এ সময়টার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। শীতের সময় নাতি-পুতি আর আত্মীয়স্বজনে বাড়ি ভরে ওঠে।’ |
মাদারীপুরের রাজৈর ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী অ্যাসিডদগ্ধ মিতুকে (১৬) গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনে (এএসএফ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়।ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদের জানান, ব্র্যাকের সহায়তায় গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মিতুকে ঢাকায় পাঠানো হয়।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সুমন সেন জানান, অ্যাসিডে মিতুর মুখমণ্ডল, গলা ও বুকের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা লাগতে পারে। মিতু প্রথম আলোকে জানায়, স্থানীয় এক বখাটে চার বছর ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের সঙ্গে ওই বখাটের হাত রয়েছে। তবে সে ওই বখাটের নাম বলতে রাজি হয়নি।মিতুর মা নাসিমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিচার চেয়ে কী হবে? সরকার কি এর বিচার করবে? দেশে টাকা খরচ করলে তো সব নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়।’ তবে মিতুর ভাই ইমামুল শেখ বলেন, তাঁরা মামলা করবেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজৈর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বইলা গ্রামে দুর্বৃত্তরা ঘরের টিনের বেড়া কেটে মিতুকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে।আবদুল কাদেরসাভার পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাদের (৫২) গতকাল রোববার দুপুরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিকেলে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অনেক আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার।ফরিদপুরে জুয়া খেলার দায়ে চারজনকে ১২ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এ আদালত পরিচালনা করেন সালথার ইউএনও বিশ্বাস রাসেল হোসেন। কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আব্বাস আলী, পান্নু মোল্লা, ইলিয়াছ মাতুব্বর ও ইকরাম শেখ। তাঁদের সবার বাড়ি ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল সকালে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করার কথা জানিয়েছেন সালথা থানার পুলিশের এসআই মো. ফরহাদ হোসেন। ফরিদপুর অফিস।নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকদেবীরাম গ্রামে জরিনা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর শাশুড়ি ও ননদ এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জরিনা জানান, প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসুদ ঢাকায় আনসার ব্যাটালিয়নে চাকরি করেন। প্রায় তিন মাস আগে ঢাকায় একটি কাজি অফিসে তিন লাখ টাকা মোহরানায় তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোহরানার সমপরিমাণ টাকা যৌতুক দাবি করে শাশুড়ি জাহানারা বিবি ও ননদ রেবা আক্তার তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। এ সময় শাশুড়ি ও ননদ গামছা ও কাপড় দিয়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে তাঁরা ব্লেড দিয়ে তাঁর দুই হাত ক্ষতবিক্ষত করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এলাকাবাসী গতকাল সকালে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য উজ্জ্বল হোসেন জানান, গিয়াসের পরিবারের সব সদস্য বর্তমানে পলাতক। |
আমার প্রথম চলচ্চিত্র দেখার স্মৃতিটা আজও মনে আছে। বয়স কত হবে? এই পাঁচ-ছয়! সিনেমার নাম মিন্টু আমার নাম। পরিচালকের নাম মনে নেই। বলাকা সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছিলাম। ঘটনাটা ’৭৯ বা ’৮০ সালের। মনে আছে, ছবিটায় একটা বৃষ্টির দৃশ্য ছিল। সিনেমা শেষ হলে হল থেকে বের হলাম। দেখলাম বাইরেও বৃষ্টি হচ্ছে। খুব ভালো লেগেছিল ব্যাপারটা! হয়তো এ কারণেই সিনেমাটা মনে আছে। এই আমার প্রথম দেখা সিনেমা। তারপর যখন ভিসিআর এল, তখন হিন্দি ছবি দেখতে শুরু করেছি। যতদূর মনে পড়ে, গীত ছবিটা প্রথম দেখেছিলাম। একটা গান আছে এই সিনেমায় ‘আজা তুজকো পুকারে’। সেই বয়সেই ভীষণ টেনেছিল গানটি আমাকে। তারপর অনেক হিন্দি সিনেমাই দেখা হয়েছে। বেশ কিছু পাকিস্তানি ছবিও দেখা হয়েছে। আমার বাবা গজল গান। তিনি উর্দু সিনেমাগুলোর সংলাপের অর্থগুলো বুঝিয়ে দিতেন।এখন দেখি ইংরেজি সিনেমা। অ্যাকশন ও থ্রিলারধর্মী ছবিগুলো খুব ভালো লাগে। দি আর্টিস্ট সিনেমাটা খুব ভালো লেগেছে। লিমিটলেসটাও খুব ভালো লেগেছে। এখানে দেখানো হয়েছে, একজন লেখক বেশ হতাশাপূর্ণ জীবন যাপন করছে। হঠাৎ একধরনের ড্রাগ তার হাতে আসে। যার ফলে সে তার মস্তিষ্কের পুরো অংশকে কাজে লাগাতে পারে। আর এই মাদকের সাহায্যেই সে জীবনে উন্নতি করতে চায়। একসময় তার অনেক খ্যাতি হয়। তারপর সে নেশাটি ত্যাগ করে। কিন্তু তার পরও সে আগের মতোই মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে পারে। এখানে ড্রাগসের ভয়াবহ দিকটা বেশ ভালোভাবে দেখানো হয়েছে। চমৎকার একটা বার্তা আছে ছবিটায়। এ জন্য খুব ভালো লেগেছে ছবিটা।সিনেমা জগতে আমার প্রিয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর পথের পাঁচালী ভালো ছবি। তাই ভালো লাগে। তবে আমি যে ছবিটার একনিষ্ঠ ভক্ত, সেটির নাম হীরক রাজার দেশে। এর একটা কারণ হতে পারে, আমি নিজে গাওয়ার চেষ্টা করি। আর সিনেমাটায়ও অনেক গানের চমৎকার ব্যবহার আছে। ছবিটা আমার পুরো মুখস্থ। ছবিটার সেট, পোশাক—সব মুখস্থ। কিচ্ছু ভুলিনি। একবার বাবা ছবিটার একটা অডিও ক্যাসেট এনে দিয়েছিলেন। সেটা শুনে শুনে মুখস্থ করেছিলাম। সেই থেকে আজও মনে গেঁথে আছে ছবিটির প্রতিটি সংলাপ। ইচ্ছে আছে, সুযোগ পেলে হীরক রাজার দেশে মঞ্চস্থ করব।অনুলিখন: সুচিত্রা সরকারসুরাইয়া ইয়াসমিননওগাঁ সদর উপজেলার তপোবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুরাইয়া ইয়াসমিনের কুলখানি আজ সোমবার। এ উপলক্ষে মরহুমার হাট-নওগাঁ কালিতলার পুরোনো কাঠহাটিতে নিজ বাড়িতে জোহরের নামাজের আগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে বিচরণের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে চীনের একটি রোবটযান। ‘জেড র্যাবিট’ নামের এই রোবটযান নিয়ে একটি রকেট আগামী মাসের শুরুতেই যাত্রা করবে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে। সোনালি রঙের ‘জেড র্যাবিট’ ছয়টি চাকা এবং পাখার মতো সৌর প্যানেলের সাহায্যে চলবে। রোবটযানটি ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঢাল বেয়ে উঠতে পারবে। ঘণ্টায় এটির গতিবেগ হবে ২০০ মিটার। চীনের সরকারি মহাকাশ কর্মসূচির আওতায় আগেও দুটি অনুসন্ধানী নভোযান চাঁদে পাঠানো হয়েছিল। তবে নতুন অভিযানের মাধ্যমে দেশটি চাঁদের পৃষ্ঠে কোনো একটি চিহ্ন রেখে আসতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে। এএফপি।জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল শুক্রবার সকালে পৌর সদরের বিহারপুর ও রাজকান্দা গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজকান্দা গ্রামবাসী গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পাশের বিহারপুর গ্রামের লোকজন অনুষ্ঠান দেখতে যান। অনুষ্ঠান চলাকালে কয়েকজন তরুণ মঞ্চের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আয়োজকদের সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় আয়োজকেরা বিহারপুর গ্রামের ফজলুল, মাসুদ, সজীব ও মিলনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়।গতকাল সকালে রাজকান্দা গ্রামের লোকজন আক্কেলপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিহারপুর গ্রামের লোকজন তাঁদের আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেন। এ খবর রাজকান্দা গ্রামে পৌঁছালে পৌর কাউন্সিলর আফাজউদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েক শ গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিহারপুর গ্রামে হামলা চালান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পৌর কাউন্সিলর আফাজউদ্দিন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গন্ডগোলের জের ধরে রাজকান্দা গ্রামের লোকজন বিহারপুর গ্রামে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। আমি বিষয়টি জানতে গেলে বিহারপুর গ্রামের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে রাজকান্দা গ্রামের ২০-২৫ জন আহত হন।’ আক্কেলপুর থানার ওসি রেজাউস সাদিক বলেন, ওই ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই মামলা করেনি। |
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় চিকিৎসককে দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গতকাল বৃহস্পতিবার মায়ের হাত থেকে ছুটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী বাসের চাপায় শিমলা আক্তার নামের সাত বছরের একটি শিশু নিহত হয়েছে। সে দৌলতদিয়া ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ও স্থানীয় ফজল মোল্লাপাড়ার কেরামত শেখের মেয়ে।একই দিন মাগুরায় টেম্পোর চাপায় মিরাজ হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি শহরের পারনান্দুয়ালি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, মিরাজ হোসেন ওই কোম্পানির মালামাল নিয়ে গতকাল টেম্পোতে করে মাগুরা শহর থেকে বাটিকাডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে ছানার বটতলায় টেম্পোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় তিনি টেম্পোর নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ জানায়, দিনমজুর কেরামত শেখের স্ত্রী মালেকা বেগম চিকিৎসক দেখিয়ে শিমলাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকায় শিমলা মায়ের হাত থেকে ছুটে মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য দৌড় দেয়। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন জড়ো হলে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খানখনাপুর হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ বাসটি জব্ধ ও চালককে আটক করেছে।গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যাত্রীবাহী বাসসহ ৮-১০টি যানবাহনে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন একজন যাত্রী ও ট্রাকের তিনজন চালক। তাঁদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধাপেরহাট বত্রিশ মাইল এলাকায় অবস্থিত পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় পুলিশ বক্সে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।পুলিশ ও ডাকাতির কবলে পড়াযানবাহনের চালকেরা জানান, রাত ১২টার দিকে ১৫-২০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত পুলিশ বক্সের সামনে মহাসড়কের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। তারা ৮-১০টি যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকারসহ কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।মালামাল লুট করার সময় বাধা দেওয়ায় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে ট্রাকচালক আবদুল মতিন মিয়া, আবুল বাশার, সামস উদ্দিন ও বাসযাত্রী আমিনুল ইসলাম আহত হন।এদিকে ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর ধাপেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এলে আশপাশের গ্রামবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান।ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরা খাওয়ার জন্য বাইরে যান। এ সুযোগে ডাকাতেরা সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে।সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।রপ্তানি নয়, আমদানি পণ্যেই সচল দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলার কার্যক্রম। এই বন্দর দিয়ে বছরে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে, তার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি আমদানি। ফলে এ বন্দরের কার্যক্রম মূলত আমদানিনির্ভর।আবার এই আমদানির অর্ধেকই সরকারি পণ্য। অর্থাৎ সরকারিভাবে পণ্য আমদানি না থাকলে বা কম থাকলে মংলা বন্দরে কার্যত তেমন কর্মব্যস্ততা থাকত না।মংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এবং বন্দর সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ চালচিত্র পাওয়া গেছে।এ বন্দর দিয়ে ১০ প্রকারেরও বেশি পণ্য আমদানি হলেও রপ্তানি হয় মাত্র তিন ধরনের পণ্য।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরের মংলা বন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়। তার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র দুই লাখ মেট্রিক টন পণ্য। সেই হিসাবে বছরটিতে বন্দর কার্যক্রমের প্রায় ৯৩ শতাংশই ছিল আমদানিনির্ভর।এ ছাড়া চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। অর্থাৎ চার মাসে বন্দর কার্যক্রমের প্রায় ৯৫ শতাংশ ছিল আমদানিনির্ভর। আবার এই আমদানির মধ্যে চার লাখ মেট্রিক টনই ছিল সরকারি গম ও সার।বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানির পরিমাণ বেশি। তার মধ্যে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় তার সিংহভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। তবে আমদানিনির্ভরতা বেশি হলেও এ ক্ষেত্রে মংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ নেই বেসরকারি আমদানিকারকদের। অবকাঠামোগত ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মংলা বন্দরকে সচল করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে সরকারিভাবে খাদ্যশস্য ও সারের আমদানির ৪০ শতাংশ মংলা বন্দরের মাধ্যমে খালাসের নির্দেশ জারি করে।বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সালে মংলা বন্দরে আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে পাঁচ লাখ ও নয় লাখ মেট্রিক টন। আর ২০১০-১১ অর্থবছরে তা ২৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে।জানতে চাইলে বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মাহবুবুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মংলা বন্দর ব্যবহারে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ কম। তাই এ বন্দরে কার্যক্রম বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেয়। তবে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত যেন এই বন্দর ব্যবহারে এগিয়ে আসে, সেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ’এদিকে বেসরকারি আমদানিকারকেরা বলছেন, সমুদ্রপথে বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বন্দরে আধুনিক যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তা মংলা বন্দরে নেই। অবকাঠামোর পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।বন্দর সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যশস্য ও সার ছাড়া এই বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিমেন্ট তৈরির বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল।মংলা বন্দরসংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত কিছু সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এই বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানি করে থাকে। এছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়িও আসছে।রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে মংলা বন্দর পাট, পাটজাত পণ্য ও চিংড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর মধ্যে পাট ও চিংড়ির প্রায় পুরোটাই বেসরকারি খাতের রপ্তানিকারকেরা করে থাকে। দেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম চিংড়ির উৎপাদন দক্ষিণাঞ্চলকেন্দ্রিক। তাই ওই অঞ্চলের পণ্য রপ্তানিতে মংলা বন্দরকে ব্যবহার করেন রপ্তানিকারকেরা।খুলনার শিল্পোদ্যোক্তা ও হ্যামকো গ্রুপের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘মংলা বন্দরকে একটি পূর্ণ বন্দরে রূপ দিতে হলে এ অঞ্চলে শিল্পোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি আপনার মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান দেবেন। অল্প কথায় আপনার সমস্যা তুলে ধরুন।—বি. স.সমস্যাআমার ছোট বোন, নাম সোনিয়া, বয়স ২৩, বিয়ে হয়েছে টাঙ্গাইলে ছয় মাস হলো। ওরা দুজনই অধ্যয়নরত। সমস্যা হলো কেউ সোনিয়াকে কিছু বললে সেটা যদি ওর মনমতো না হয় তাহলে সে খুব চিন্তা করা শুরু করে দেয়। শেষে মাথা গরম করে খুবই উত্তেজিত হয়ে যায়, না হয় চুপচাপ থাকে।যেমন ওর স্বামী যদি টিভি দেখে বলে মেয়েটা সুন্দর অথবা রাস্তায় বের হয়ে যদি কোনো মেয়ের দিকে তাকায় তাহলে ও ওর স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি করে।আমার বোন মাঝেমধ্যে একা একা চুপচাপ থাকে। মাঝেমধ্যে ওর আচরণ একদম স্বাভাবিক থাকে। বিয়ের আগে আমার বোনের এ রকম সমস্যা ছিল না, থাকলেও তেমন প্রকাশ পায়নি। আমার ধারণা, বিয়ের পর ওর টাইফয়েড হওয়ার পর থেকে এ সমস্যাগুলো দেখা দেয়।এসব বিষয় নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে খুবই চিন্তিত। কী করলে সমাধান পাব? মো. শাহরিয়ার হকটাঙ্গাইলপরামর্শআপনি লিখেছেন আপনার বোনের টাইফয়েডের পর সমস্যাগুলো প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে, ওর ব্যক্তিত্বের বিকাশে কিছু ত্রুটি আগে থেকেই ছিল। বিয়ের পর নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়েছে বলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণেও বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়েছে। বিষণ্নতা তৈরি হওয়ার পেছনে আমাদের নেতিবাচক চিন্তাগুলোই অবদান রাখে এবং আমরা এই চিন্তাগুলোর আবর্তে ক্রমাগত আবর্তিত হতে থাকি। একটির পর একটি নেতিবাচক চিন্তা করতে করতে একসময় ভেতরে প্রচণ্ড উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং রাগের মাধ্যমে সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আমার ধারণা, শৈশব থেকেই এই বোনটি হয় অতিরিক্ত প্রশ্রয় অথবা অবহেলা পেয়ে বড় হয়েছে। এই দুটোর কোনোটির আধিক্য ঘটলে আমাদের মধ্যে সহিষ্ণুতা কমে যায় এবং আমরা আশপাশের মানুষদের কাছে খুব বেশি মনোযোগ আশা করতে থাকি। বিশেষ করে সবচেয়ে প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো বিষয়ে প্রত্যাখ্যাত হলে তা মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যাগুলো নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ না করলে ওর এই প্রবণতাগুলো ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কিছুদিন কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির সাহায্য নিলে আপনার বোন নিজের অযৌক্তিক চিন্তাগুলোকে অপসারণ করে ও যৌক্তিক চিন্তাগুলো করতে সক্ষম হবে। আমি গত দুই সংখ্যায় যে জায়গাগুলোর নাম উল্লেখ করেছি তার কোনো একটিতে ওকে নিয়ে যান। আশা করি, চিকিৎসা নিলে আপনার বোন ভবিষ্যতে একটি সুস্থ মা হিসেবেও সন্তানকে ভালোভাবে লালন-পালন করতে পারবে। চিঠির জন্য ধন্যবাদ।সমস্যাআমার বয়স ২৭ বছর। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সেই সুবাদে আমার এক সহকর্মীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এবং আমরা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তার মা-বাবা আমাকে মেনে নিতে পারবে না বলে আমার সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবে না বলে জানিয়েছে সে। তার সঙ্গে প্রতিদিন অফিসে দেখা হয়। তখন খুব বেশি কষ্ট লাগে। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য চাকরিটা দরকার, তাই চাকরিটা ছাড়তেও পারছি না। আত্মহত্যা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। খুব বিষণ্নতায় ভুগি। আমার কী করা উচিত?নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকপরামর্শসম্পর্কটি এতটা গভীর হওয়ার আগেই তাঁর পরিবার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণাগুলো নেওয়া এবং পরস্পরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন ছিল। আমি বুঝতে পারছি না আপনারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না। পরিপক্ব বয়সে আবেগের কাছে এতটা নতিস্বীকার করলে এর জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়। ছেলেটির তো তাঁর মা-বাবার মন বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। তাঁর উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অনেক আগেই সরাসরি আলোচনা করে নেওয়া। এ ব্যাপারে তিনি যদি যথেষ্ট উদ্যোগ না নিয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আর একটি ব্যাপার হচ্ছে, আপনাদের দুজনের মধ্যে মানসিক বা আবেগময় বন্ধনটি হয়তো এতটা দৃঢ় ছিল না। এর ফলে ছেলেটি তাঁর প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করে আপনাকে তার স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক হননি। অফিসে তাঁর সঙ্গে রোজ দেখা হওয়াটা সত্যিই খুব পীড়াদায়ক। যেহেতু আপনার চাকরিটি করা প্রয়োজন, কাজেই এই মুহূর্তে সেটি ছেড়ে দেওয়া তো সম্ভব নয়। আপনি অন্যান্য জায়গাতেও কী সুযোগ রয়েছে তা খুঁজতে শুরু করুন। ছেলেটির প্রতি আপনার যদি রাগ বা ক্ষোভ কাজ করে, তাহলে তাঁকে বড় করে চিঠি লিখে সেটি প্রকাশ করুন। এতে করে মনের ভার কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এ ঘটনার কারণে আপনি ছোট হয়ে গেছেন, এই কথা ভেবে নিজেকে অসম্মান করবেন না বা আপনার মধ্যে কোনো কিছুর ঘাটতি আছে বলে এটি ঘটেছে, তা ভেবে নিজেকে কষ্ট দেবেন না। তবে এই বিশেষ ঘটনা থেকে আপনি যে শিক্ষা গ্রহণ করলেন, তা ভবিষ্যতে কাজে লাগালে আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন না আশা করি। |
ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারিসহ শিবিরের আট নেতা-কর্মীকে আটক করেছে র্যাব। রাজশাহী নগরের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় র্যাব সেখান থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলি, ১৩টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও জিহাদি বই উদ্ধার করেছে।গতকাল দুপুরে র্যাবের রাজশাহী রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আটক ব্যক্তিদের হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, শিবিরের কর্মী আরিফুল ইসলাম, আবদুল কাদের, মিনহাজুল ইসলাম, আবু ছায়েম, কবির হেসেন, আরিফুর রহমান ও মতিউর রহমান।র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৫) অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, শিবিরের নেতা সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া গত ৫ নভেম্বর, ১ এপ্রিল ও ৩১ মার্চ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বা পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন। তাঁর নামে একটি হত্যাসহ ৪২টি মামলা রয়েছে। এক জায়গায় বেশিক্ষণ না থাকার কারণে তাঁকে এত দিন ধরা যাচ্ছিল না।র্যাব কর্মকর্তা বলেন, অভিযান চালানোর সময় সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে পিস্তল ও গুলি পাওয়া গেছে। কোচিং সেন্টারের ভেতর উদ্ধার করা হয়েছে অন্যান্য অস্ত্র।মারুফ চিনুবিশিষ্ট সাংবাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা ও শিক্ষক মারুফ চিনুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজ বাদ জোহর মরহুমের ১৩০, নায়েম রোড, ধানমন্ডির বাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী, সহকর্মী ও বন্ধুদের উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।আবদুল মান্নান সিকদারপটুয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন বিভাগের সাবেক শিক্ষক আবদুল মান্নান সিকদারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। এ উপলক্ষে শুক্রবার বাদ জুমা পটুয়াখালীর পুরান বাজার মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।শূন্যস্থান পূরণ অংশ-৮ (শেষ)প্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নং প্রশ্নটি থাকবে শূন্যস্থান পূরণের ওপর।অধ্যায়-৫১৯। মহানবী (সা.) তায়েফবাসীর জন্য — করলেন না। উত্তর: বদ দোয়া।২০। — মহানবী (সা.)-এর জীবনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। উত্তর: মিরাজ।২১। মুহাজির মানে —। উত্তর: হিজরতকারী।২২। আনসার মানে —। উত্তর: সাহায্যকারী।২৩। — পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সনদ।উত্তর: মদিনা সনদ।২৪। মদিনা সনদে —টি ধারা ছিল।উত্তর: ৪৭টি।২৫। বদরযুদ্ধে — জন সাহাবি অংশ নিয়েছিলেন।উত্তর: ৩১৩।২৬। ওহুদের যুদ্ধে — জন সাহাবি শাহাদাৎ বরণ করেন। উত্তর: ৭০২৭। — মহানবী (সা.)-এর পবিত্র দাঁত ভেঙে যায়। উত্তর: ওহুদের যুদ্ধে।২৮। হুদায়বিয়া সন্ধি হয় — বছরের জন্য।উত্তর: ১০।২৯। হুদায়বিয়ার সন্ধিকে পবিত্র কোরআনে — বলা হয়েছে। উত্তর: প্রকাশ্য বিজয়।৩০। মক্কা বিজয়ের যাত্রা শুরু হয় —।উত্তর: অষ্টম হিজরিতে।৩১। মক্কা বিজয়ের জন্য মহানবী (সা.) — সাহাবি নিয়ে যাত্রা করেন। উত্তর: ১০ হাজার।৩২। মহানবী (সা.) — হিজরিতে হজ পালন করেন। উত্তর: দশম৩৩। মহানবী (সা.)-এর দশম হিজরির হজকেই — বলা হয়। উত্তর: বিদায় হজ।৩৪। সকল — পরস্পর ভাই ভাই।উত্তর: মুসলমান।৩৫। কোরআন মজিদে — জন নবী-রাসূলের নাম রয়েছে। উত্তর: ২৫।৩৬। আল্লাহ তাআলা — দিয়ে মানবদেহ তৈরি করলেন। উত্তর: মাটি।৩৭। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী ছিলেন—।উত্তর: হজরত আদম (আ.)৩৮। হজরত নূহ (আ.) এক বিরাট — তৈরি করেন। উত্তর: নৌকা।৩৯। হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকা — পাহাড়ে এসে থামল। উত্তর: জুদি।৪০। হজরত নূহ (আ.) ছিলেন সত্য ও ন্যায় প্রচারে —। উত্তর: আপসহীন।৪১। হজরত ইবরাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন — দেশে। উত্তর: ইরাক।৪২। হজরত ইবরাহিম (আ.) কে — ফেলে দেওয়া হয়। উত্তর: বিশাল অগ্নিকুণ্ডে।৪৩। হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে — কোরবানি হয়ে গেল। উত্তর: দুম্বা।৪৪। হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে — বলা হয়।উত্তর: খলিলুল্লাহ।৪৫। হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন বাদশাহ তালুতের —। উত্তর: সেনাপতি।৪৬। হজরত দাউদ (আ.)-এর কণ্ঠস্বর ছিল —।উত্তর: সুমধুর।৪৭। হজরত সুলায়মান (আ.) — ভাষা বুঝতেন।উত্তর: পশু-পাখিদের।৪৮। হজরত দাউদ (আ.) নিজ হাতে — বানাতেন। উত্তর: বর্ম।৪৯। হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর — কিতাব নাজিল হয়। উত্তর: ইনজিল।৫০। হজরত ঈসা (আ.) ফিলিস্তিনের — জন্মগ্রহণ করেন। উত্তর: বায়তুল লাহামে।লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গতকাল শুক্রবার গাড়িবোমা হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ চাতাহসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। তবে এটি শিয়া জঙ্গিদের কাজ বলে ধারণা করছে পুলিশ।স্থানীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবরে দেখা যায়, পার্লামেন্ট ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে চালানো এ হামলার পর কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে। কয়েকটি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।চাতাহ ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির উপদেষ্টা। ওয়াশিংটনে লেবাননের দূতের দায়িত্বও পালন করেছিলেন খ্যাতিমান এ অর্থনীতিবিদ। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থনকারী একটি জোটের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন চাতাহ। এএফপি। |
প্রায় ছয় দশক ধরে অভিনয় করছেন চলচ্চিত্র ও মঞ্চে। পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, লিখেছেন। খ্যাতিমান আবৃত্তিকারও। ১২ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতার অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্যালারিতে হয়ে গেল তাঁর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলাকালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুননাসির আলী মামুন: আপনি যদি অভিনেতা না হতেন, তাহলে কি আপনার পরিচয় প্রধানত চিত্রশিল্পী হতো?সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়: কী করে বলি, জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এখন যদি কেউ এমনটা জিজ্ঞেস করে, তাহলে তো বলব আমি চিত্রশিল্পী নই। আসলে আমার পরিচয়টা কী হতে পারত, তা কি ভেবেটেবে দেখেছি? তা তো নয়!মামুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন ছবি আঁকতেন, তখন অনেক শিল্পসমালোচক বলেছিলেন, তাঁর ছবি কোনো ব্যাকরণের মধ্যে পড়ে না। পরে তাঁর ছবি কেউ উপেক্ষা করতে পারেননি। আপনার ক্ষেত্রেও কি এমন হতে পারে?সৌমিত্র: এই ছবি আমি তো লোকেদের দেখানোর জন্য আঁকিনি। এটা আমার একেবারেই নিজস্ব জীবন। আমার কিছু শিল্পী বন্ধুবান্ধব আছে, তাদের সঙ্গে আমার মেলামেশা ছোটবেলা থেকেই। সেই ছোটবেলা থেকে আমার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছিল ছবি আঁকার। আমি যে বিশেষভাবে ড্রয়িং করতে শিখেছি, তা নয়। ইংরেজিতে যাকে বলে ডুডলস, হিজিবিজি আঁকিবুঁকি কাটতে কাটতে তার থেকে একটা আকৃতি আমার চোখের ওপর ভাসতে শুরু করে। সেগুলো আমি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি সব সময়।এর মধ্যে আমার থিয়েটারের কাজের জন্য আমাকে অনেক সময় মঞ্চপরিকল্পনা করতে হয়। অভিনয়ের জন্য মেকআপের পরিকল্পনা করতে হয়। সেই থেকে ওই আকার-আকৃতি তৈরি হতে থাকে। আমার ছবি ওইটুকুই, তার বেশি কিছু নয়।রবীন্দ্রনাথের যে সমালোচনা হয়েছিল, সেটা নেহাত—কী বলব, আমাদের দেশে রক্ষণশীল মানসিকতা খানিকটা। রবীন্দ্রনাথের ভয়ানক বড় এই পদক্ষেপটা কেউ বুঝতে পারেননি। আমি তো বলব রবীন্দ্রনাথের ছবি আর গান—এই দুটো বস্তুতে তিনি কোনো দিন পুরোনো হবেন বলে মনে হয় না। তিনি কালোত্তীর্ণ একেবারেই।মামুন: কখনো মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব আপনার ছবিতে এসে গেছে?সৌমিত্র: ইনফ্লুয়েন্সটা আমার ভেতরে জড়িয়ে রয়েছে।মামুন: আমি দেখলাম, আপনার ছবি প্রদর্শনীতে বেশ কিছু বিখ্যাত মানুষের পোর্ট্রেট রয়েছে, যেমন: রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়ার, ভ্যান গঘ এবং আরও অনেকের। কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের কোনো ছবি দেখলাম না। আপনার সঙ্গে তাঁর ঈর্ষণীয় সখ্য, তাঁর কি কোনো ছবি আঁকেননি?সৌমিত্র: প্রতিকৃতি...খেয়াল-খুশিমতো তো করি। বই পড়ার সুবিধার জন্য বুকমার্ক হিসেবে শেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ ছোট লম্বা কাগজে এঁকেছিলাম, সেটাই এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। পরিকল্পনা করে সেভাবে কারও ছবি আমি আঁকিনি। সত্যজিৎ, আর কী বলব, তিনি তো আমার মাথার ওপর এখনো ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন।মামুন: সমসাময়িক কালের ছবি আপনি দেখেন? কাদের কাজ ভালো লাগে?সৌমিত্র: বলা খুব কঠিন। পুরোনো অনেকের ছবি ভালো লাগে। আজকাল অনেক ছবি দেখা হয়ে ওঠে না। তাঁরা আধুনিক পেইন্টার। দেখছি তাঁদের ছবি, ভালো লাগে। বিশেষ কোনো নাম বলা আমার জন্য মুশকিল।মামুন: সত্যজিৎ রায় কি জানতেন আপনি ছবি আঁকেন?সৌমিত্র: তিনি জানতেন আমি আঁকিবুঁকি করি।মামুন: তাঁকে কোন ছবি দেখিয়েছিলেন?সৌমিত্র: এসব ছবি আমি কাউকে দেখাইনি। তিনি আমার চিত্রকর্ম দেখেননি। গত চার দশকে নিজের খেয়াল-খুশিতে এঁকে এঁকে সব রেখে দিয়েছি। কী হবে জানতাম না। কেউ এসে দেখবে বা কাউকে দেখাব, প্রদর্শনী হবে—এটা মনে হয়নি।মামুন: আপনি তো সেলিব্রিটি। দর্শক অন্যের ছবি দেখবে একভাবে আর সৌমিত্রের ছবি দেখবে আরেকভাবে।সৌমিত্র: শুনুন, কোনো সৃষ্টিশীল কাজ উচ্চতায় না গেলে দর্শক গ্রহণ করে না, সে যে-ই হোক। আমি সৌমিত্র বলে আমাকে কেউ আলাদাভাবে দেখবে না।মামুন: ছবির মাধ্যম ও রং সম্পর্কে আপনার বিশেষ কোনো চাহিদা আছে?সৌমিত্র: যখন যা হাতের কাছে পেয়েছি, লাগিয়ে দিয়েছি। পছন্দের কোনো রং আমার নেই। রবিঠাকুরকে একবার এক বিদেশি ম্যাগাজিন অনেক প্রশ্ন করেছিল। একটা প্রশ্ন ছিল, কোন ফ্লাওয়ারটা তাঁর প্রিয়। তখন উনি বলেছিলেন, কোন ফ্লাওয়ারটা নয়, ফ্লাওয়ার মাত্রই আমার প্রিয়। সে রকম আমারও।মামুন: আপনার মুখে কম্পোজিশন তৈরি করেছেন পরিচালক। এখন আপনি কম্পোজিশন করছেন নিজের ছবি আঁকায়...সৌমিত্র: মাধ্যম দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। ফিল্ম ও ছবি আঁকা তো এক হতে পারে না। দুটোর কম্পোজিশনও ভিন্ন। ফিল্মে পরিচালকের নির্দেশে কাজ করতে হয়, আর ছবি আঁকায় একজন শিল্পী সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে তিনি নিজেই পরিচালক।মামুন: বাংলাদেশে আপনার একটি ছবির প্রদর্শনী হওয়া দরকার। আপনার অনেক ভক্ত আছেন সেখানে।সৌমিত্র: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসে, এটা আমার জন্য গৌরবের। আসলে নতুন অনেক কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে। কলকাতার অতীত আছে, কিন্তু নতুন কাজ হচ্ছে আপনাদের ওখানেই। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আপনারা বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমন্ত্রণ করলে নিশ্চয় বাংলাদেশে আমার চিত্রকর্মের একটি প্রদর্শনী হতে পারে। বাংলাদেশে আমার বন্ধু, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানাই।আজ ২৮ অক্টোবর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃশ্চিক রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ১ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন রবি ও মঙ্গলবার। শুভ রং হালকা সবুজ, মেরুন ও ক্রিম। শুভ রত্ন শ্বেত পোখরাজ ও রক্তপ্রবাল। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অস্ত্রনির্মাতা রেমিংটন, ইংরেজ লেখক এভেলিন ওয়াহ ও কায়কোবাদ মিলন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের অন্যায় আবদারও সাময়িক-ভাবে মেনে নিতে হতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)বেকারদের কারও কারও ব্যবসায়িক উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)কর্মস্থলে অপরিচিত কারও কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পাওনা আদায় হবে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য প্রেমের ব্যাপারে আপনাকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। তীর্থভ্রমণের জন্য দিনটি শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)কর্মস্থলে সার্বিক পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনি একজন অভিনয়শিল্পী হলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। পরিবারের কারও রোগমুক্তিতে আপনার মানসিক অস্থিরতা দূর হবে। সৃজনশীল কাজের জন্য বিদেশ থেকে সম্মাননা পেতে পারেন। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)কর্মস্থলে সহকর্মীর গাফিলতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। বেকারদেরকেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পারিবারিক প্রয়োজনে আজ আপনাকে অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)বেকাদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নিতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মস্থলে কারও প্ররোচনায় ভুল সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। পাওনা আদায়ে তৎপর হোন। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতার অবসান হতে পারে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হবেন। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে আকস্মিকভাবে সাক্ষাৎ ঘটতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। খেলাধুলার জন্য পুরস্কৃত হতে পারেন। আজ কারও কারও মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে পারে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। আপনাকে অবাক করে দিয়ে ঘনিষ্ঠ সহকর্মী প্রেম নিবেদন করতে পারেন। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে।১০ টাকার ব্যাংক হিসাবধারীদের মধ্যে যাঁরা সুবিধাবঞ্চিত, তাঁদের স্বল্পসুদে ঋণ দিতে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষক, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত, ফেরিওয়ালা, মুদি দোকানি, হকার—এমন যাঁরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ব্যাংক অর্থায়নের সুবিধাটুকুও নিতে পারেন না, তাঁদের এই তহবিল থেকে ঋণের অর্থ জোগানো হবে। সাধারণভাবে গ্রাহক পর্যায়ে এই ঋণের সুদ হার হবে ৬ শতাংশ। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই তহবিল থেকে ৫ শতাংশ সুদ হারে অর্থ নেবে।এই ঋণ এক বছর মেয়াদের। এর সঙ্গে গ্রেস পিরিয়ড বা রেয়াতকালীন সময় আছে আরও ছয় মাস। এর মধ্যে ঠিকভাবে ঋণটি আদায় করতে পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ঋণের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সাড়ে ৩ শতাংশ হারে অর্থ ভর্তুকি দেবে। আর যদি গ্রাহক দেড় বছরের মধ্যে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে খেলাপি হয়, তার ওপর দণ্ডসুদ আরোপ হবে। এ ক্ষেত্রে মোট সুদের হার দাঁড়াবে ১১ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পষর্েদর এক সভায় গতকাল মঙ্গলবার এই পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভর্নর আতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।এই তহবিলটি হবে ঘূর্ণমান অর্থাৎ ঋণের অর্থ ফেরত এলে আবার তার থেকে পুনঃ অর্থায়ন করা হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৩০২টি। এর মধ্যে কৃষকের হিসাব রয়েছে ৯৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৫টি। বাকি হিসাবগুলো মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যদের। কোনো ধরনের সেবা মাশুল ছাড়াই ব্যাংকগুলো এসব হিসাব সংরক্ষণ করছে। এর মধ্যে যাঁরা কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা ভোগ করেন না, তাঁদের এই পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের অর্থ দেওয়া হবে।বগুড়ার আদমদীঘিতে গাঁজা ও হেরোইন সেবন ও জুয়া খেলার দায়ে ছয়জনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ রায় দেন। জয়পুরহাট সদরের চকদাদরা ডিপপাড়া গ্রামের হিরো সরদার, হারাইল বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ছাইফুল ইসলাম, আক্কেলপুরের আবদুল রশিদ, পাথারপাড়া গ্রামের ময়নুল হক, বারেক ও আদমদীঘির আনোয়ার হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি |
মাহবুবুর রহমানকারাতে কোচ, যশোর মহিলা কলেজবাংলাদেশ জুডো কারাতে ফেডারেশন থেকে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান। যশোরে প্রতিষ্ঠা করেছেন মোহন কারাতে একাডেমি। একই সঙ্গে যশোর মহিলা কলেজে প্রায় ৭০ জন মেয়েকে মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।মেয়েদের কারাতে শেখানোর ব্যাপারে আগ্রহী হলেন কেন?আমাদের সমাজে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিশেষ করে ইভ টিজিংয়ে। এতে তারা মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় চলে যায়। কিন্তু তারা যদি অন্তত নিজেকে রক্ষার করার মতো ক্ষমতা অর্জন করে, তাহলে যত বাধাই আসুক, দমে যাবে না। অন্তত মানসিকভাবে তারা শক্তিশালী হবে এটা ভেবে যে, আমারও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে।শুরুটা কীভাবে?আমি বিষয়টি নিয়ে যশোরে বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে আলাপ করি। পরে সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাই। তারপর যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপকের সঙ্গে আলাপ করি। তিনিও উৎসাহ দেন।এখন মেয়েরা কি নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে?আমি এক মাস প্রশিক্ষণ দিয়েছি—সপ্তাহে তিন দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা করে। পূর্ণাঙ্গ কারাতে শেখার জন্য সময়টা যথেষ্ট নয়। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা নিজেদের বিপদমুক্ত হওয়ার মতো কৌশল শিখেছে। এ কারণে তারা নিজেদের নিরাপদ ভাববে বলেই আমার বিশ্বাস।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?যশোরে আমার একটি কারাতে প্রশিক্ষণ স্কুল আছে। ২০০৪ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্কুলটি নিবন্ধন করা হয়। এটা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এ ছাড়া যশোরের স্কুল-কলেজে কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাই। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য।সাক্ষাৎকার: মো. রুবেল১৮ দলের ডাকা দেশব্যাপী ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে গতকাল রোববার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন হরতাল পালনকারীরা। এতে অটোরিকশার আরোহী দুই বোন গুরুতর দগ্ধ হন।রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা শহরের শেরেবাংলা সড়কের বার্মাসেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই নারী হলেন হাসিনা বেগম (৬০) ও তাঁর বোন রাবেয়া বেগম (৫০)। বাড়ি শহরের গোলাহাট মহল্লায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই বোন অটোরিকশায় করে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বার্মাসেল এলাকায় আকস্মিক যানটিতে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন শিবিরের কর্মীরা। আগুনে ওই দুই বোনের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জয়নগর আবাসিক এলাকার লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে গত সোমবার রাতে চুরি হয়েছে। আশ্রমের লোকনাথ মন্দির ও শিব মন্দির থেকে চোরেরা প্রায় তিন ভরি ওজনের স্বর্ণের ও পাঁচ ভরি ওজনের রুপার অলংকার নিয়ে গেছে। আশ্রমের কোষাধ্যক্ষ সনজিত কুমার রায় জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে চোরেরা মন্দিরের কাঁচিফটক ও দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এসব অলংকার চুরি করে। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ৩২ নম্বর পোল্ডারের গোলবুনিয়া গ্রামের ভিটেভাঙ্গা থেকে নলীয়ান পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারে কোনো স্লুইসগেট (জলকপাট) নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে পাঁচ বছর ধরে কোনো ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এতে উপজেলার সাত সহস্রাধিক মানুষ কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।এলাকার কয়েকজন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় সুতারখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ৫০ মিটার ভেঙে যায়। এরপর বাঁধের ওই স্থান মেরামত করা হয়। কিন্তু জমিতে ঢুকে পড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য এখানে কোনো জলকপাট নির্মাণ করা হয়নি। এতে বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের সময় বাঁধের নিচের ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার সাত হাজার হেক্টরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এসব জমিতে পাঁচ বছর ধরে কোনো ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এসব জমিতে আগে ধান ও রবিশস্য হতো।সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার একর ফসলি জমির মধ্যে সাত হাজার একরই পানিতে তলিয়ে আছে। এখানে লোকসংখ্যা ৩৭ হাজার ৬১১ জন।সূত্র জানায়, এলাকা ছেড়ে অনেক কৃষিশ্রমিক ভারতে চলে গেছেন। সেখানে কেউ রাজমিস্ত্রির সাহায্যকারী, কেউ কুলির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কেউ খুলনা শহরে রিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাচ্ছেন।জলাবদ্ধতার কারণে নিজের জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না প্রোটন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমাগের এলাকায় পাঁচ বছর ধরে কোনো পানি সরানোর গেট নেই। এই জন্যি সারা বছর জমি পানিতি ডুবে থাকে। এভাবে চলতি থাকলি জমাজমি ফেলায়ে এলাকা ছাড়ে চলে যাতি হবেনে।’গোলবুনিয়া বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া পারভিন আক্তার বলেন, ‘পাঁচ বছর জমি তলানো, খাওয়ার কিছু নেই। পেটের তাগিদি আমার বিটা এহন বাইরি কাজে চইলে গেছে। এ রকম থাকলি আমার মাইয়েডারে নিয়ে সব ফেলায়ে আমারও চলে যাতি হবেনে।’সুতারখালী ইউপির চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ জানান, জলকপাট না থাকায় সাত হাজার একর জমিতে ফসল ফলানো যাচ্ছে না। এ কারণে ছয়-সাত হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।৩২ নম্বর পোল্ডারের দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ৩১ ও ৩২ নম্বর পোল্ডার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ৩১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন ওই দুটি পোল্ডারের সব কাজ তারা করবে। এত দিন জলকপাট নির্মাণ করা হয়নি কেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। |
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জবাসীর কাছে বাংলাদেশের ছেলে রাশেদ চৌধুরীর নাম অতটা পরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর উদ্ভাবিত বন্যার আগাম পূর্বাভাসপদ্ধতি সেখানকার অধিবাসীদের কাছে অতি পরিচিত। ছয় মাস আগে থেকেই দেওয়া ওই পূর্বাভাস ক্ষুদ্র দ্বীপ গুয়াম, মাইক্রোনেশিয়া, মার্শাল আইল্যান্ড ও আমেরিকান সামোয়ার অধিবাসীদের জীবনে বয়ে এনেছে আশীর্বাদ। বদলে দিয়েছে দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবন। বেগবান করেছে তাদের অর্থনীতির চাকা।যুক্তরাষ্ট্র বললেই যে উন্নত অর্থনীতির ছবি চোখে ভাসে, সেটা দ্বীপবাসীর অনেকের বেলাতেই সত্যি নয়। তাদের প্রধান জীবিকা মাছ ধরা ও কৃষিকাজ। উত্তাল সাগর থেকে আসা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে এখানকার মানুষ টিকে থাকে। বাংলাদেশের উপকূলের মানুষদের মতোই কঠিন ও সংগ্রামী তাদের জীবন। হঠাৎ নামা তুমুল বৃষ্টিতে ফসল তলিয়ে যাওয়া এবং মাছ ধরার নৌকা ডুবে যাওয়া ছিল ফি বছরে নির্মম বাস্তবতা।যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা নিয়ে গবেষণা করতে ওই অঞ্চলের হাওয়াই দ্বীপের হনলুলুতে একটি স্বতন্ত্র গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দ্বীপবাসীকে দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দেওয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী এ নিয়ে গবেষণা করে কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না।শেষ পর্যন্ত উত্তর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জবাসীর ত্রাতার মতো এগিয়ে এলেন বাংলাদেশের ছেলে রাশেদ চৌধুরী। একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে তিনি ২০০৩ সালে যোগ দিলেন হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাসিফিক এনসো ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবা বিভাগের আওতায় প্রতিষ্ঠিত ওই গবেষণা সংস্থায় খুব দ্রুতই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।এল নিনো ও লা নিনার গতিবিধিএল নিনো ও লা নিনার গতিবিধি পরীক্ষা করে রাশেদ বন্যা পূর্বাভাসের এক নতুন পদ্ধতি বা মডেল উদ্ভাবন করেন। তাঁর উদ্ভাবিত ‘এনসোভিত্তিক আগাম পূর্বাভাস’ হয়ে ওঠে নির্ভরযোগ্য। এই পদ্ধতিতে ছয় মাস আগেই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আট বছর ধরে এই সাফল্য বজায় রেখেছে রাশেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত পদ্ধতি।পূর্বাভাস পেয়ে ওই দ্বীপবাসী বন্যা-ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারছে। ফলে ফসলের চাষ করা থেকে শুরু করে মাছ ধরার পরিকল্পনা নেওয়ার মতো বিষয়ে ওই পূর্বাভাস তাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই দ্বীপগুলোর সম্পদ ও প্রাণহানির পরিমাণও কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য দ্বীপগুলো থেকে এই পূর্বাভাস দেওয়ার আবেদন আসছে। প্রশান্ত মহাসাগর-তীরবর্তী অনেক দেশ এই পূর্বাভাসব্যবস্থা চালু করার জন্য রাশেদের প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক এনসো ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে।দেশে কাজ করতে চেয়েছিলেন রাশেদরাশেদ চৌধুরীর এই বন্যা পূর্বাভাস দেওয়ার হাতেখড়ি হয়েছিল বাংলাদেশে বসেই। চট্টগ্রামের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাট শেষ করে ১৯৮৩ সালে রাশেদ চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডে। শুরুতে তিনি পানি নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশল বিভাগে যোগ দিলেও পরে তাঁকে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়।১৯৯৮ সালে রাশেদ যখন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন ৪৮ ঘণ্টা আগের পূর্বাভাস দেওয়া হতো। উজানের পানি ও বৃষ্টিপাতের ধরন দেখে তাঁরা বলে দিতেন, দেশের কোন কোন নদীতে পানির প্রবাহ বাড়বে। কোথায় কোথায় বন্যার পানি আসতে পারে। সেই পূর্বাভাস যখন দেওয়া হচ্ছিল তখন রাশেদ ভাবছিলেন, কীভাবে সাত-আট দিন আগে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া যায়। দু-তিন দিন আগে পূর্বাভাস দিলে বন্যা-আক্রান্ত এলাকার মানুষ ফসল ও সম্পদ রক্ষা করার প্রয়োজনীয় সময় পায় না। ফলে যত আগে পূর্বাভাস দেওয়া যাবে, সাধারণ মানুষের জন্য তত বেশি সুবিধা হবে। এই চিন্তা করে রাশেদ তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন। মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে পূর্বাভাস পাওয়ার চাহিদা রয়েছে বলেও দেখতে পান।ওই সময়ে আগাম বন্যা সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কোথায় দেওয়া হয়, তা খুঁজছিলেন তিনি। এ সময়ই সন্ধান পান জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন সেন্টারের। সেখানে দুই বছর মেয়াদি পোস্ট ডক্টরাল করা অবস্থায় তিনি ঢাকার বন্যার পানির গভীরতা ও ধরন নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাও করেন। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। জাপানে পোস্ট ডক্টরাল শেষ করে ২০০১ সালে রাশেদ পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে জলবায়ু পূর্বাভাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। দুই বছর মেয়াদি ওই গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ছয় মাস আগে থেকে ঋতুভিত্তিক আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া। বাংলাদেশের বন্যা ও ঝড়ের পূর্বাভাসও ওই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিল। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকার পানিপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতের ধরন ও পানিপৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করে বন্যার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুললে এবং নদী বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্যার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব বলে রাশেদ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানান।২০০৩ সালে দেশে ফিরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে আবারও যোগ দেন রাশেদ। বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও আলোচনাও করেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিষয়টি তো এককভাবে বাংলাদেশ সরকারের আওতার মধ্যে নেই। ফলে রাশেদের বন্যা পূর্বাভাস দেওয়ার গবেষণালব্ধ জ্ঞান মাঠেই মারা যাচ্ছিল। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে এ বিষয়ে গবেষণা যখন বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন রাশেদের ডাক আসে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাসিফিক এনসো ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারে কাজ করার। নিজের দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাজে লাগানোর এই সুযোগে সাড়া দিয়ে তিনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। গবেষণাকাজে যোগ দেন হাওয়াই দ্বীপের বিশ্ববিদ্যালয়ে।বিজ্ঞানকে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের জায়গায় না রেখে মানুষের কল্যাণে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই ইচ্ছা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী। কিন্তু দেশে ফিরে কাজ করার ইচ্ছে তাঁর এখনো। তিনি বলছিলেন, ‘দেশে যদি কাজ করার সুযোগ পাই অবশ্যই যাব। দেশের জন্যই কাজ করতে চাই। দেশের বন্যা, খরা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস -কবলিত মানুষের জন্য পূর্বাভাস দিয়ে তাদের তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত করতে চাই।’সুদূর হাওয়াই দ্বীপে বসে সেই স্বপ্নই দেখেন এই কৃতী বিজ্ঞানী।উদ্বোধনের এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও চালু হয়নি গুলশান বহুতল ‘কার পার্কিং ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স’। এমনকি এটা পরিচালনার জন্য এখন পর্যন্ত ইজারাদার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়নি। ওই কমপ্লেক্স এলাকায় গিয়ে এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া যায়।গুলশান-১-এর ১৭, ১৯ ও ২০ নম্বর সড়কবেষ্টিত প্রায় এক বিঘা জমির ওপর ১৫ তলা গাড়ি পার্কিং ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করে রাজউক। প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচে প্রথমবারের মতো রাজউকের নির্মিত এই বহুতল গাড়ি পার্কিং ভবন উদ্বোধন হয় ৩৭ দিন আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘কার পার্কিং ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে জানানো হয়েছিল, গুলশান-১ এলাকার বিভিন্ন অফিস চলাকালে অতিরিক্ত গাড়িগুলো রাখার ব্যবস্থা করা, রাস্তার ওপর গাড়ি রাখা বন্ধ করা এবং যানজটের তীব্রতা কমিয়ে আনার জন্য এই গাড়ি পার্কিং কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। খুব শিগগির এটি চালু করা হবে।কিন্তু গত শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পার্কিং কমপ্লেক্স চালু হওয়া দূরে থাক, সেখানে কোনো লোকজনও নেই। ভবনের প্রধান প্রবেশপথ বন্ধ। পেছনের গাড়ি ঢোকার জন্য যে প্রবেশপথ, সেটিও বন্ধ। এলাকার একটি প্রসাধন সামগ্রীর দোকানি আবদুস সামাদ জানান, উদ্বোধনের পর বেশির ভাগ সময়ই সেখানে রাজউকের লোকজনকে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় আসছেন। আর কমপ্লেক্সে দোকান বরাদ্দ পাওয়ার জন্য লোকজন খোঁজ নিতে আসেন প্রায়ই।গাড়ি পার্কিং পরিচালনার জন্য ইজারাদার নিয়োগসহ সার্বিক প্রক্রিয়া শেষ না করে এটি এত আগে উদ্বোধন করা হলো কেন—এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, যাবতীয় কাজই সম্পন্ন হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক কাজের কিছু কারিগরি দিক অসম্পূর্ণ থাকায় কিছুটা দেরি হয়েছে। পরিচালনার জন্য ইজারাদার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। আশা করা যায়, নভেম্বরের মধ্যে এটি চালু করা যাবে।প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ভবনটির দুটি বেজমেন্ট ও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত মোট নয়টি তলায় গাড়ি রাখা যাবে। একসঙ্গে গাড়ি থাকতে পারবে ২৩১টি। নবম থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত থাকবে অফিস স্পেস। নিচতলা থেকে দুটি বেজমেন্ট এবং চারতলা পর্যন্ত র্যাম্পের মাধ্যমে গাড়ি ওঠানামা করবে এবং বাকি তলাগুলোয় মোট তিনটি ‘কার লিফট’-এর মাধ্যমে গাড়ি ওঠানামা করতে পারবে। তবে এখানে গাড়ি রাখতে কোন গাড়ির জন্য কত টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বা হচ্ছে, তা কেউ জানাতে পারেননি।এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনটি লিফটের প্রতিটির মাধ্যমে মাত্র একটি করে গাড়ি পার্কিংস্থলে পৌঁছাতে পারবে। এতে ভবনের নিচে জটলা বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পার্কিং ভবনটি গুলশান মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে হওয়ায় প্রবেশপথে আলাদাভাবে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। তবে প্রকল্প পরিচালক এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে দাবি করেন, মূল সড়ক থেকে আসার পথে বা লিফটের কাছে জটলা হবে না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ রাখা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সই করতে তাড়াহুড়া তো নয়ই, বরং দেরি হয়ে গেছে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর গত জুলাইয়েই এটি হওয়ার কথা ছিল। প্রক্রিয়া শেষ করতে করতে বরং সময়ক্ষেপণ হয়েছে।সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার টিকফা সই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মূর্তজা রেজা চৌধুরী ও যুগ্ম সচিব শওকত আলী ওয়ারেছী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।আগের দিন সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া নয়টায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত হয় টিকফা।চুক্তি হতে দেরির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছুটা দায়ী করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে তিনি জানান, ২০০২ সাল থেকে দীর্ঘদিনের আলোচনা, বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং সব শেষে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরই টিকফা সই হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ৪১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভুটান ছাড়া সব দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০২ থেকে প্রতিটি সরকার টিকফা নিয়ে আলোচনা করেছে। বিষয়টি এক সরকার যেখানে রেখে গেছে, পরের সরকার সেখান থেকে শুরু করেছে। এটি নিতান্তই সদুদ্দেশে করা হয়েছে।জনাব কাদের বলেন, ‘এই চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্টের কোনো কারণ হতে পারে না। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এত বড় দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে যে দর-কষাকষিতে আমরা তাদের সঙ্গে পারব কি না। আমি তা মানতে চাই না। দেশের স্বার্থরক্ষা করে দক্ষতার সঙ্গেই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। আর, এত বড় দেশ...ভারতও তো বড় দেশ। ভারতের সঙ্গেও তো আমাদের চুক্তি রয়েছে।’বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান গন্তব্যস্থল। গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) বাতিল করলেও দেশটিতে বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে টিকফা সইয়ের পরপরই গত সোমবার আলোচনা হয়েছে।আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় টিকফা ফোরামের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি বহালের দাবিসহ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কহার কমানোর বিষয়েও তখন আলোচনা হবে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকফার বিরোধিতা করার কিছু নেই। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের দেশপ্রেম নিয়েও সন্দেহ নেই আমার। কিন্তু কোথাও একটা ভুল করছেন তাঁরা। টিকফায় লাভবান হবে বাংলাদেশই।সংবাদ সম্মেলন চলার সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিকফার অনুলিপি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। এদিকে, ইউএসটিআর গতকালই বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় হওয়া চুক্তির অনুলিপি দিয়েছে ওয়েবসাইটে।যে সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে, নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে কি নেবে না ঠিক নেই, যেনতেন প্রকারের নির্বাচন হলে সরকারের দরকার আন্তর্জাতিক সমর্থন, ঠিক সেই সময়ে টিকফা সই করার উদ্দেশ্য কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশায়?—এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘না, চুক্তি সইয়ের তারিখ আগেই নির্ধারিত হয়েছে। আমি তো আর জানতাম না যে একই দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হবে।’বলা হয়ে থাকে যে যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু, তার শত্রুর দরকার হয় না। আবার, চুক্তির প্রথম আগ্রহ ব্যক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি কেন এত আগ্রহী, তা কি বিশ্লেষণ করা হয়েছে?—এই প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু, তার শত্রুর দরকার হয় না, এটা আমার দর্শন নয়। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র সম্পদশালী একটি দেশ এবং তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। আর টিকফা হলো স্রেফ একটি বাণিজ্য চুক্তি।’টিকফা সইয়ের আইনগত বৈধতা আছে কি না, জানতে চাইলে জনাব কাদের বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক বিষয় কাজ করেনি। আইনগত বৈধতার বিষয়টি আমি ঠিক বলতে পারব না। মন্ত্রিসভা তো অনুমোদন দিয়েছে জুন মাসেই। এটি নিতান্তই নির্দোষ চুক্তি।’ইউএসটিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ৫৪০ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪৯০ কোটি ডলারের পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫০ কোটি ডলারের পণ্য। বাণিজ্য ৪৪০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত বাংলাদেশের অনুকূলে।মুসলিম ব্রাদারহুডকে মিসরের সেনাসমর্থিত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার পর তাদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী ইসলামপন্থী সংগঠনটির ২৩ নেতা-কর্মীকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে মিসরে সহিংসতাও বেড়েছে। এদিকে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানায়, ব্রাদারহুডের সমর্থনে প্রচারপত্র বহন করার সময় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা ব্রাদারহুডের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা ও দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর উসকানি দেওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন।বৃহস্পতিবার রাতে কায়রোর নাসর সিটিতে ব্রাদারহুডের সমর্থক ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। ব্রাদারহুডের সমর্থক ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ওই সংঘর্ষ শুরু হয়। পৃথক ঘটনায় নাসর সিটিতে একটি বাস লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হলে পাঁচজন আহত হন। ওই দিনই মিসরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মিসর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে। যত দিন সেনাবাহিনী আছে, ততদিন মিসরের জনগণের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’ এর আগের দিন বুধবার ব্রাদারহুডকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয় মিসরের সরকার। পরে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ব্রাদারহুডের পক্ষে কোনো মিছিল-সমাবেশে অংশ নিলে, লিখিত বা মৌখিকভাবে সংগঠনটির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে বা সমর্থন জানিয়ে কোনো কিছু প্রকাশ করলে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।মিসরের সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল ফাহমিকে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। বিবৃতিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার মানসুরা শহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বৃহস্পতিবার বাসে হামলা চালানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।সেনাবাহিনী ব্রাদারহুড-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে। সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। তার পরও ব্রাদারহুড এখনো সংগঠিতভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার চিন্তা করছে সরকার। আল-জাজিরা। |
মাদারীপুরের শিবচর থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর গত বুধবার বিকেলে ভোলা সদর থানার পশ্চিম ইলিশার চরজংলার বিল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আবুল কালাম হাওলাদারের (৫০) লাশ।কালাম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় দেড় মাস আগে নিম্নমান সহকারী থেকে পদোন্নতি পেয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে শিবচরে যোগ দেন তিনি। আবুল কালাম উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মুন্সীকাদিরপুর এলাকার মানিক মাস্টারেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ইমান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।শিবচরের ইউএনও ইকবাল হোসাইন বলেন, গত সোমবার বেলা একটার দিকে আবুল কালাম অফিস থেকে বের হন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বুধবার তাঁর লাশ ভোলার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাসুদ খান বলেন, আবুল কালাম নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। বুধবার ভোলায় উদ্ধার করা তাঁর লাশের সঙ্গে থাকা টাকা, মুঠোফোন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খোয়া যায়নি।পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল কালাম গত সোমবার বেলা একটার দিকে ইউএনওর কার্যালয় থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ওই দিন থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোলায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর আসে।ডাকাতের হাতেই খুন হয়েছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা ‘ও’ লেভেলের ছাত্র বখতিয়ার লতিফ (২০)। গতকাল রোববার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এমনটাই দাবি করে জানিয়েছে, শনিবার রাতে বখতিয়ার হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ওই ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন মো. খলিল, মো. আখতার, রুস্তম আলী হাওলাদার ও জালাল উদ্দিন। এ হত্যায় জড়িত হাবিব ও স্বপন নামের আরও দুজন বর্তমানে কারাগারে। কেরানীগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছিলেন তাঁরা।মনিরুল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত। তাঁদের মধ্যে খলিলই বখতিয়ারকে গুলি করেন।ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বখতিয়ারের বাবা জাহিদ আল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার গ্রেপ্তার খলিলসহ তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন।গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে উত্তর যাত্রাবাড়ীর বাসায় ঢুকে বখতিয়ারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা ওই বাসা থেকে প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। ঘটনার পর থেকে পরিবার এ ঘটনাকে ডাকাতি করতে এসে খুন বলে সন্দেহ করে। এ অভিযোগে পরদিন নিহত বখতিয়ারের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।প্রেস ব্রিফিংয়ে মনিরুল বলেন, আসামিদের শনাক্ত করার জন্য ঘটনার পর থেকে মাঠে নামে ডিবি। আসামিদের অবস্থানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর গত শনিবার রাতে ডিবির দুটি দল মুগদা ও যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি বলেন, বখতিয়ারদের বাসায় ডাকাতির ঘটনায় মোট আটজন অংশ নেন। তাঁরা ঘটনার রাতে ট্রাকে করে ওই বাড়িসংলগ্ন সড়কে যান। ট্রাকে ছিলেন একজন। বাকি সাতজন বাসার ভেতরে ঢোকেন। তাঁদের মধ্যে খলিল অস্ত্র নিয়ে স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করেন। এ সময় বখতিয়ার অস্ত্রটি চেপে ধরার চেষ্টা করলে খলিল গুলি চালান।মনিরুল বলেন, কানা সাত্তার নামের একজন ডাকাত দলের একজনকে জানিয়েছিলেন, বখতিয়ারদের বাসায় ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ছয় মাস ধরে তাঁরা ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ঘটনার কয়েক দিন আগে বখতিয়ারদের বাড়ির কুকুরকে বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে হত্যা করা হয়।তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হাবিব ও স্বপন নামে দুজন ১০ অক্টোবর কেরানীগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। বর্তমানে তাঁরা জেলহাজতে আছেন।বখতিয়ারের বাবা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, এ দলটি আগেও ডাকাতির একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে। তাই ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাবেন কি না, তা নিয়ে তিনি শঙ্কায় আছেন।অনেকেই মনে করেন, বেশি বয়সে ব্যায়াম শুরু করে কি আর উপকার হবে! কিন্তু যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক বলছেন, এ ধারণা ভুল। কারণ, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও শারীরিক ব্যায়াম শুরু করে অসুস্থতা ও স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যা প্রতিহত করতে পারেন। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিন সাময়িকী ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের উপযোগী বয়সী সাড়ে তিন হাজার সুস্থ ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, অলস জীবনযাপনের পরিবর্তে ব্যায়াম শুরু করলে পরবর্তী আট বছর তাঁদের হূদেরাগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রংশ ও বিষণ্নতার মতো রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কমে যায়। সংশ্লিষ্ট গবেষক মার্ক হ্যামার বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিরা ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনভাবে দৈনন্দিন কাজকর্মের সামর্থ্য অর্জন করেন। বিবিসি।বাংলাদেশের ৪২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে লস অ্যাঞ্জেলেসে চতুর্থবারের মতো বাংলার বিজয় বহর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয় শ্যাটো রিক্রেয়েশন সেন্টারে দুপুর ২টায় কংগ্রেসম্যান জুডি চু অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। কাউন্সিলম্যান টম ল্যাবং ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। এরপর অনেকগুলো গাড়ি রংবেরংয়ের পতাকাসহ লিটল বাংলাদেশ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় শ্যাটো রিক্রেয়েশন সেন্টারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কৃষ্ণা পাল, আবু হানিফা, মৌসুমী দত্ত, সাঈদ কুতুবী, সৈয়দা নাদিরা আক্তার উর্মি, জাহাঙ্গীর আলম, শহীদ আলম, কাজী নাজির আহমেদ, রিয়া আনোয়ারসহ অনেকে। তবলায় সংগত করেন গৌতম রায়।শিশুদের নিয়ে আলেখ্য অনুষ্ঠান স্বপ্ন ময়ূরের ডানা পরিচালনা করেন জেসমিন খান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাইফুর রহমান, মিঠুন চৌধুরী ও কেয়া ইসলাম। একটি সংকলনও প্রকাশিত হয়। সংকলনটি সম্পাদনা করেন মুজিব সিদ্দিকী। তপন দেবনাথলস অ্যাঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র |
বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ করেছেন ভাটারা-ছোলমাইদ এলাকার কিছুসংখ্যক লোক। এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা মানববন্ধন করেছেন। ভাটারা-ছোলমাইদ জমির মালিক সমিতি ও এলাকাবাসীর পক্ষে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের নেতা হেলাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন, বসন্ধুরা গ্রুপ আই ব্লক নামে নতুন একটি ব্লক তৈরি করে তাঁদের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে।রংপুরের বদরগঞ্জে গতকাল রোববার হরতাল চলাকালে পিকেটাররা দুই তরুণকে ৯৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পৌর শহরের হকসাহেবের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া দুজন হলেন রংপুরের সদর উপজেলার ধাপ শিমুলবাগ গ্রামের মোহন মিয়া ও সাজ্জাদ হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে হরতাল-সমর্থকেরা পিকেটিং করছিলেন। দুপুরের দিকে পৌর শহরের হকসাহেবের মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। তখন মোটরসাইকেল আরোহী ওই দুই তরুণের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে এক আরোহীর শরীর থেকে এক বোতল ফেনসিডিল মাটিতে পড়ে যায়। তাঁরা ওই দুই আরোহীর দেহ তল্লাশি করে ৯৫ বোতল ফেনসিডিল পান।কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার সময় ফারুক হোসেন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। গত সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার সরকারপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। ফারুক হোসেন একই ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে। কুষ্টিয়া অফিস।যশোরে গতকাল শুক্রবার দুপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।দুপুরে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের বাহাদুরপুর ও সকালে শহরের বিমানবন্দর সড়কে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের শাহাজান আলীর মেয়ে সাদিয়া (৯), বাঘারপাড়ার ইন্দ্রা গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৬০) ও চৌগাছার আফ্রা গ্রামের সেকেন্দার হোসেনের ছেলে আবদুর রশিদ (৩৫)।আহত ব্যক্তিদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ইঞ্জিনচালিত যান নসিমনে করে ১২-১৩ জন খাজুরা এলাকা থেকে যশোর শহরের দিকে আসছিলেন। নসিমনটি বাহাদুরপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নসিমনটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সাদিয়া ও জোহরা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।এদিকে সকালে যশোর শহরের বিমানবন্দর সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন পথচারী আবদুর রশিদ। যশোর কোতোয়ালি থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। |
ফরিদপুরে হত্যার দায়ে মো. এনামুল নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এনামুলের (৩১) বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার বাইক্ষীর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় এনামুল আদালতে হাজির ছিলেন।জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এনামুল উপজেলার চতুল ইউনিয়নের সিরাজ শেখের ছেলে আরব আলী ওরফে দেবু ওরফে দিপুকে (২৫) ২০০৬ সালের ৫ মার্চ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাইক্ষীর গ্রামে তাঁর (এনামুল) চাচির বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাতে এনামুল আরব আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে দেন।জয়পুরহাট র্যাব-৫-এর সদস্যরা গত শনিবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাট সরকারি কলেজসংলগ্ন রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ১৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। র্যাব-৫-এর অধিনায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাগটি থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘ককটেলগুলো আজ (রোববার) রাতে থানায় জমা দেওয়া হবে। বালতিভর্তি পানিতে রেখে এগুলো নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে।’ জয়পুরহাট প্রতিনিধিতৈরি পোশাকশ্রমিকদের জীবনধারণের উপযোগী বা বাড়তি মজুরি দিতে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বখ্যাত খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম। আগামী বছর শুরু হওয়া এই সহায়তাবলয়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আসবেন সাড়ে আট লাখ পোশাকশ্রমিক। এর প্রথম পর্যায়ে থাকছে বাংলাদেশের দুটি ও কম্বোডিয়ার একটি কারখানা।গত ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর এশিয়ার পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সরকারের ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে এইচঅ্যান্ডএম এই সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পোশাকের জন্য বাড়তি দাম দেবে এই সুইডিশ কোম্পানি। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের।সুইডিশ এই কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, পোশাক উৎপাদনকারী দেশের সরকারগুলো শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে। সে জন্য এইচঅ্যান্ডএম কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উৎসাহী হয়ে অনুসরণ করেন।এইচঅ্যান্ডএম ৭৫০টি কারখানা এই সহায়তা কর্মসূচির অধীনে নিয়ে আসবে। এসব কারখানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে পোশাক সরবরাহ করবে। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে দুই শতাধিক বিক্রয়কেন্দ্র আছে এইচঅ্যান্ডএমের।এইচঅ্যান্ডএম বলেছে, দেশ ও কারখানাভেদে কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের মজুরির ভিন্নতা আছে। তারা সহায়তা করবে, যাতে করে শ্রমিকেরা জীবনধারণের উপযোগী মজুরির জন্য দর-কষাকষি করতে পারেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা এই প্রতিষ্ঠানটি মজুরিকে কোনো সংখ্যায় দেখতে চায় না, বরং সুস্থ জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিবেচনা করতে চায়।বিবৃতি অনুযায়ী এইচঅ্যান্ডএম ন্যায্য মজুরির জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করবে। শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা চিহ্নিত করে তা পূরণে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার হিসাব করা হবে। একবার মজুরি চূড়ান্ত হওয়ার পর নিয়মিত তা পর্যালোচনা করা হবে।সুইডিশ এই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা কারখানাগুলোকে বাড়তি দাম দিতে আগ্রহী, যাতে তারা শ্রমিকদেরও বেশি মজুরি দিতে পারে। এটি হবে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা ও দায়িত্বের বিষয়।’লেবার বিহাইন্ড দ্য লেভেল নামের শ্রম অধিকার গ্রুপের সমন্বয়কারী অন্না ম্যাকমুলেন এইচঅ্যান্ডএমের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।ইংরেজি বছরের প্রথম মাসটির নাম মার্চ বা সেপ্টেম্বর হলে এমন কী সমস্যা হতো? জানুয়ারি নামটি কেন বেছে নেওয়া হলো? বছরের এ সময়টি বর্ষ শুরুর জন্য উপযুক্ত, এ নিয়ে প্রশ্ন নেই। কারণ, ইউরোপ-আমেরিকায় বছরের এই সময়টায় ফসল কাটা শেষ। মাঠের কাজ শেষ করে এখন ঘরে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময়। দেনা-পাওনা পরিশোধের সুযোগ এ সময়ই বেশি। আবার সামনে শুরু হবে চাষাবাদ। এই অবসরে জানুয়ারিতেই নতুন বছর শুরু করার উপযুক্ত সময়। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু মাসটির নাম জানুয়ারি হলো কেন? এর সঙ্গে কি নববর্ষের কোনো সম্পর্ক আছে? আছে। রোমানরা তাদের দেবতা জেনাসের নামের সঙ্গে মিল রেখে বছর শুরুর প্রথম মাসটির নাম রাখে জানুয়ারি। রোমানদের কাছে কোনো ঘটনার শুভ সূচনার দেবতা তিনি। জেনাসের দুটি মুখ। একটি পেছনে, অপরটি সামনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ তিনি পেছনের দিনগুলোর অভিজ্ঞতা ধারণ করে সামনের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করছেন। নববর্ষের সূচনালগ্নটিও অতীত ও ভবিষ্যতের সম্মিলন ঘটায়। তাই বর্ষ শুরুর মাসটির নাম হয়েছে জানুয়ারি। |
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে লেখা এই আবেদন নাজমুল হুদা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিকের কাছে হস্তান্তর করেন।নাজমুল হুদা এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন আর বিএনএফে নেই। আমি বিএনপিতেই আছি। বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্তি দূর করতে দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি। নির্বাচন কমিশনকেও নিবন্ধন না দিতে অনুরোধ করেছি।’‘কিসের জন্যে হরতাল! শনিবার তো তাদের (দুই নেত্রী) মধ্যে কথা হইছে, তাহলে আবার হরতাল কেন?’বিরক্তি নিয়ে সামনে বসা লোকজনের উদ্দেশে এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আবদুল।মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উল্টো দিকেই তাঁর ছোট চায়ের দোকান। দিনভর চা বানিয়ে কুল করতে পারেন না। তাই তাঁর দুজন সহকারী রয়েছে। কিন্তু ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের প্রথম দিন গতকাল রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি মাত্র ১৫ কাপ চা বেচতে পেরেছেন।আবদুলের দোকানের পাশেই পাকা পেঁপে আর ডাব নিয়ে বসেছেন টাঙ্গাইলের মো. শহীদুল ইসলাম। দুই টহলরত পুলিশ ইমতিয়াজ ও নাসির ডাব খাচ্ছিলেন। বেচা-বিক্রির খবর জানতে চাইলে খেপে উঠেন শহীদুল। সকালে নিজের দেখা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘সকালে এইহানে আসনের আগে পিকেটারগো দৌড়ান দিছিল, কিছু দূর যাইয়া ঘুইরা দেখি, হেরা একটা গাড়ি ভাঙতেছে।’ পুলিশ দুজনেরও মেজাজ খারাপ। নাসির বলেন, ‘আমরা দলে ভারী থাকলে পিকেটার তাড়াই, নয়তো শেলটার নেই।’দুপুর ১২টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত মতিঝিলের এলাকার রাস্তায় বাস বা হিউম্যান হলারজাতীয় যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ কার্যালয় থেকে দুপুরের পর পরই লোকজন বেরিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে হাঁটা দেন। তবে রিকশা ছিল প্রচুর।মালিবাগ বাজারের সামনে প্রতিদিনের মতো শাক-সবজির পসরা সাজানো। কিন্তু ক্রেতা নেই। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শাক বিক্রেতা বাহার আলী মাত্র ৩০০ টাকার বেচাকেনা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সামান্য কিছু বিক্রি হয়েছিল। ওই যা। আর ক্রেতা নেই।’এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে ও টিএসসি মোড়ে প্রতিদিনের মতো জমজমাট আড্ডা চোখে পড়ল না। টিএসসির চায়ের দোকানদার স্বপন রাগারাগি করছেন তাঁর সহকারীর সঙ্গে। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, হরতালে চায়ের হিসাব অনুযায়ী টাকা মেলে না। কারণ, বেশির ভাগ সময় টহলধারী পুলিশ চা খেয়ে দাম ঠিকমতো দেয় না।সঠিক উত্তর লেখ অংশ-১১ (শেষ)প্রিয় শিক্ষার্থী, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’ দেওয়া হলো।অধ্যায়-৭১। স্বাস্থ্যের জন্য দরকার—ক. যোগব্যায়াম খ. প্রচুর খাবারগ. মুখরোচক খাবার ঘ. প্রতিনিয়ত উপবাসউত্তর: ক. যোগব্যায়াম২। যোগসাধনার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন—ক. রাজারা খ. দেবতারাগ. মুনি-ঋষিরা ঘ. অসুরেরাউত্তর: গ. মুনি-ঋষিরা৩। কোন তিথিতে বিশেষভাবে উপবাস করার নিয়ম রয়েছে?ক. একাদশী খ. দ্বাদশী গ. ত্রয়োদশী ঘ. চতুর্দশীউত্তর: ক. একাদশী৪। শরীর ও মন সুস্থ না থাকলে কী হয়?ক. জীবন হয় সুন্দর খ. জীবন হয় অশান্তিময়গ. জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগঘ. জীবন অচল হয়ে পড়েউত্তর: খ. জীবন হয় অশান্তিময়৫। যোগব্যায়াম কী?ক. স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় খ. স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার উপায়গ. পূজার একটি পদ্ধতি ঘ. পূজার নিয়মউত্তর: ক. স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়৬। যোগব্যায়াম, পরিমিত আহার ও উপবাস কী?ক. নিয়ম খ. আচার গ. অনুষ্ঠান ঘ. ধর্মের অঙ্গউত্তর: ঘ. ধর্মের অঙ্গ৭। যোগব্যায়ামের একটি বিশেষ পদ্ধতি হচ্ছে—ক. নৃত্য খ. রেওয়াজ গ. পূজা ঘ. আসনউত্তর: ঘ. আসন১২। পা দুটো সোজা করে ধীরে ধীরে ওপরে তোলা হয় কোন আসনে?ক. গোমুখাসনে খ. বজ্রাসনেগ. পদহস্তাসনে ঘ. সর্বাঙ্গাসনেউত্তর: ঘ. সর্বাঙ্গাসনে১৪। পায়ের গোড়ালি নিতম্বের পাশে স্পর্শ করতে হয় কোন আসনে?ক. বজ্রাসনে খ. সুখাসনেগ. গোমুখাসনে ঘ. পদহস্তাসনেউত্তর: গ. গোমুখাসনে২৭। প্রতিবার আসন অভ্যাসের পর করতে হয়—ক. বজ্রাসন খ. সুখাসন গ. ভুজঙ্গাসন ঘ. শবাসনউত্তর: ঘ. শবাসনঅধ্যায়-৮১। দেশপ্রেম কিসের উৎস?ক. আত্মমর্যাদার খ. সুখের গ. জ্ঞানের ঘ. দুঃখেরউত্তর: ক. আত্মমর্যাদার২। দেশপ্রেমিক ব্যক্তি সবার—ক. ঘৃণার পাত্র খ. সম্মানের পাত্রগ. শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয় ঘ. স্মরণীয় ও বরণীয়উত্তর: গ. শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয়৩। রাজ্য হারিয়ে ম্লানমুখে কে শুয়েছিলেন?ক. সৌবির খ. কার্তবীর্য গ. সঞ্জয় ঘ. বিদুলাউত্তর: গ. সঞ্জয়৪। মা বিদুলার কথায় সঞ্জয়ের কী হয়েছিল?ক. ভ্রান্তি দূর হয়েছিল খ. রাগান্বিত হয়েছিলগ. ভয়ে কেঁপে উঠেছিল ঘ. অন্যত্র চলে গিয়েছিলউত্তর: ক. ভ্রান্তি দূর হয়েছিল৫। রানি বিদুলার কাহিনী কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?ক. রামায়ণের খ. পুরাণেরগ. উপনিষদের ঘ. মহাভারতেরউত্তর: ঘ. মহাভারতের।৬। রানি বিদুলার পুত্রের নাম কী?ক. বিজয় খ. সঞ্জয় গ. দুর্জয় ঘ. অজয়উত্তর: খ. সঞ্জয়।৭। সৌবীর-রাজ্য কে আক্রমণ করেছিলেন?ক. অঙ্গরাজ খ. দেহরাজ গ. সিন্ধুরাজ ঘ. বিষুরাজউত্তর: গ. সিন্ধুরাজ।৮। নিজের পুত্রকে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিদুলার কী ফুটে উঠেছে?ক. গভীর দেশপ্রেম খ. নৈতিকতাগ. উদারতা ঘ. চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যউত্তর: ক. গভীর দেশপ্রেমঅধ্যায়-৯১। রামায়ণের কাহিনি খোদাই করা আছে—ক. ঢাকেশ্বরী মন্দিরগাত্রে খ. চট্টেশ্বরী মন্দিরগাত্রে গ. কান্তজি মন্দিরগাত্রে ঘ. জগন্নাথ মন্দিরগাত্রেউত্তর: গ. কান্তজি মন্দিরগাত্রে।২। মহালয়ার তিথিটি হচ্ছে—ক. একাদশী তিথি খ. দ্বাদশী তিথিগ. চতুর্দশী তিথি ঘ. অমাবস্যা তিথিউত্তর: ঘ. অমাবস্যা তিথি।৩। মহালয়া কোন পূজার আগমনী?ক. লক্ষ্মী খ. দুর্গাপূজার গ. সরস্বতী ঘ. কালীপূজারউত্তর: খ. দুর্গাপূজার৪। হোলি খেলা হয়—ক. দোলযাত্রার সময় খ. নববর্ষের সময়গ. দুর্গাপূজার সময় ঘ. রথযাত্রার সময়উত্তর: ক. দোলযাত্রার সময়।৫। চৈত্রসংক্রান্তির একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান—ক. পূজা খ. হালখাতা গ. শিবের গাজন ঘ. খেলাউত্তর: গ. শিবের গাজন।৬। ভক্তিতে আমাদের কী হয়?ক. আবেগ বাড়ে খ. মাথা নত হয়ে আসেগ. সামাজিকতা বৃদ্ধি পায় ঘ. সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়উত্তর: খ. মাথা নত হয়ে আসে।৭। সন্ন্যাসীদের আশ্রম কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে—ক. সেবাশ্রম খ. উপাসনালয়গ. ধর্মক্ষেত্র বা তীর্থক্ষেত্র ঘ. মন্দিরউত্তর: গ. ধর্মক্ষেত্র বা তীর্থক্ষেত্র।সহকারী শিক্ষক, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকামাগুরার মহমঞ্চদপুর উপজেলার রামপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জায়গায় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় ছয়টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট এবং তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গতকাল সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে বিরোধপূর্ণ একটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করতে গেলে প্রতিবেশী মানিক মোল্লা বাধা দেন। একপর্যায়ে আসাদ মোল্লার লোকজন মানিক মোল্লার মা জাহানারা বেগমকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সেলিম রেজা (৪৫) ও বুলবুলকে (৫৫) মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় মানিক মোল্লা, হাসান মোল্লা, সালাম মোল্লা, সরোয়ার মোল্লারসহ ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মহমঞ্চদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। |
ফরিদপুরে ‘টাইমস ইউনিভার্সিটি’ নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফরিদপুর অফিসসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে গতকাল রোববার দুপুরে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাংসদ গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার। উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনও ফিরোজ শাহ্, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন প্রমুখ। আটজন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়। রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিভোলানাথ ব্যানার্জীবাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ভোলানাথ ব্যানার্জী (৭৯) গত সোমবার সন্ধ্যায় পরলোকগমন করেছেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি, পুত্রবধূসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর শহরের পুনর্ভবা নদীর তীরে ফুলতলা শ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুর অফিস।দীপ্তি দেডিজাইনার দীপ্তি দে গত রোববার পরলোকগমন করেছেন। তিনি ওস্তাদ স্বর্গীয় মিথুন দের মেয়ে এবং অনুপ করের স্ত্রী। আগামী ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে তাঁর বাবার বাড়িতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।‘পাশ্চাত্য এবং অনেক ইরাকির চোখে তিনি নিষ্ঠুর একনায়ক আর ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে ফাঁসির রশিতে ঝোলানোর আগ পর্যন্ত তাঁর মনোবল ছিল অটুট। ছিল না কোনো অনুশোচনা।’ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে এ কথা বলেছেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়াফফাক আল-রুবাই। সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। মার্কিন অভিযানে পতনের কয়েক বছর পর ২০০৬ সালে সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।সাত বছর আগের সেই দিনটির স্মৃতিচারণা করে মোয়াফফাক বলেন, ‘দরজায় আমিই তাঁকে (সাদ্দাম) স্বাগত জানাই। আমাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না...কোনো বিদেশি না, এমনকি কোনো মার্কিনও না।’বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোয়াফফাক আরও বলেন, ‘তাঁর (সাদ্দাম) পরনে ছিল সাদা শার্ট ও জ্যাকেট। মানসিকভাবে তিনি ছিলেন স্বাভাবিক, নিরুদ্বেগ। ভয়ভীতির কোনো চিহ্ন আমি তাঁর মধ্যে দেখতে পাইনি।’মোয়াফফাক বলেন, ‘অবশ্যই, কেউ কেউ আমার মুখে শুনতে চান যে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অথবা চেতনানাশক ওষুধের কারণেই তিনি নির্জীব ছিলেন। কিন্তু আমি যেটা বলছি সেটাই আসল। আমি তাঁকে অনুশোচনা করতে দেখিনি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে দেখিনি। শাস্তি মওকুফের জন্য কারও কাছে অনুরোধও করতে দেখিনি তাঁকে।’দুই দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর হাতে ইরাক শাসন করেছেন সাদ্দাম হোসেন। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সামরিক অভিযানে তাঁর পতন হয়। সাদ্দামের কাছে ব্যাপকবিধ্বংসী অস্ত্র আছে দাবি করে ওই অভিযান চালানো হয়, যদিও পরে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয় সাদ্দাম হোসেনকে। এএফপি। |
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতা ময়েজউদ্দিনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ সকাল নয়টায় বনানী কবরস্থানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। কালীগঞ্জ নোয়াপাড়া শহীদ ময়েজউদ্দিন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে কাঙালিভোজ ও মিলাদ মাহফিল এবং কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জের চুপাইর হাইস্কুল মাঠে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।ময়েজউদ্দিন ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কালীগঞ্জে হরতালের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী চক্রের হাতে নিহত হন। বিজ্ঞপ্তি।হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা এবং ককটেল ও বোমা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। গতকাল রোববার সভা-সমাবেশ ও বিবৃতির মাধ্যমে তারা নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।ধানমন্ডিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফরুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বোমা হামলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করে ঢাকা মহনগর আওয়ামী যুবলীগ (দক্ষিণ)। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সমাবেশ করে পবিত্র জায়গাকে কলঙ্কিত করেছেন।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশীদ, ওমর ফারুক, নুরুন্নবী চৌধুরী, আমির হোসেন প্রমুখ।দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক তৈরির ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মহিলা পরিষদ এক বিবৃতিতে কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, হরতালের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও জনগণের জানমালের ক্ষতি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগ দেশ টিভি, ৭১ টিভি ও মাই টিভি কার্যালয়ে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে। অন্যদিকে ৭১ টেলিভিশনের জাকারিয়া বিপ্লবসহ সারা দেশে সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন।রিজিয়া বেগমনওগাঁ শহরের দক্ষিণ পার-নওগাঁ নিবাসী মো. কিসমত আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার। এ উপলক্ষে আজ মরহুমার বড় ছেলে প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক মোখলেসুর রহমানের ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসায় এবং মরহুমার দক্ষিণ পার-নওগাঁর বাসভবনে (ধানসিঁড়ি হাউস) মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।আবু বকর সিদ্দিকঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বাবা প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (ডাইরেক্টর জেনারেশন ডিজেল) ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁর জন্য সবার কাছে দোওয়া চেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি।ফরিদপুর সদর উপজেলার ধলাইর চর গ্রামের মিলন মোল্লা (৩২) গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আলফাডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। আলফাডাঙ্গার মিঠাপুর সেতু এলাকায় ছয়-সাতজন মুখোশধারী ব্যক্তি তাঁর গতিরোধ করে। তারা মিলনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নেন।ফরিদপুর অফিস |
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশপুর গ্রামে পাটকাঠির গাদার নিচে চাপা পড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মনিকা নামের এক বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। শিশুটির বাবা জাহিদুল মোল্যা জানান, বাড়ির আঙিনায় পাটকাঠির গাদার পাশে খেলা করার সময় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনিকার ওপর পাটকাঠির গাদা ভেঙে পড়ে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মাগুরা প্রতিনিধিহরতালবিরোধী মিছিলে যেতে না চাওয়ায় গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে জুবায়ের আহম্মেদ নামের এক ছাত্রকে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জুবায়ের কৃষি অনুষদের লেভেল-২-এর ছাত্র ও ছাত্রদলের কর্মী।এ ব্যাপারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, জুবায়েরকে মারধর করা হয়নি। তাঁকে বকা দিয়ে শাসন করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সকাল থেকে ক্যাম্পাসে হরতালবিরোধী মিছিল বের করার তোড়জোড় শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছিল। এ সময় জুবায়ের আহম্মেদ মিছিলে যেতে না চাইলে তাঁকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর মাসুম এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ ঘটনার বিচার না করলে ছাত্রদল কর্মসূচি দেবে।আজ ২৭ নভেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। শুভ রং—হালকা লাল, ম্যাজেন্টা, অফ হোয়াইট। শুভ রত্ন—রক্তপ্রবাল, গোল্ডেন টোপাজ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—মুনীর চৌধুরী, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, চেক নেতা আলেকজান্ডার ডুবচেক। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পরিবারের কোনো সদস্য আপনার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনার প্রেমিক মনকে চাঙা করে তুলতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পরিবারের বয়স্ক কারও রোগমুক্তিতে আপনার মানসিক অস্থিরতা দূর হবে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তি ঘটতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের টুপিতে নতুন পালক যুক্ত হতে পারে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। পাওনা আদায় হবে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। মিডিয়াকর্মীদের কেউ কেউ চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হবেন। পাওনা আদায় হবে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনা আছে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। বেকারদের কেউ কেউ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)শিক্ষার্থীদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হবেন। পাওনা আদায় হবে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। সৃজনশীল কাজের প্রসারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পেতে পারেন। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ। বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)কর্মস্থলে তথ্যবিভ্রাটের কারণে সাময়িক জটিলতা দেখা দিতে পারে। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। প্রিয়জনের মন পেতে হলে তাকে পছন্দের জিনিসটি উপহার দিন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। আজ কারও কারও মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। যাবতীয় কেনাকাটা শুভ। মিডিয়াকর্মীদের কেউ কেউ চমকপ্রদ তথ্য পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতার মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হবেন। দূরের যাত্রা শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণমন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে সাইকেল বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন নয়জন।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের কাছে বাজরাপাড়া সেতুতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বোমাটি বাইসাইকেলে রাখা একটি ব্যাগের ভেতরে ছিল। এ সময় বিপুলসংখ্যক লোক সেন্ট পলস স্কুল-সংলগ্ন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছিলেন।পুলিশ মনে করছে, এই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) জড়িত থাকতে পারে। কেএলও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর দুই দফায় হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষকেরা।গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে থেকে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে।মুখের ভেতরে যেসব ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীব থাকে, সেগুলো মানুষের জীবনযাপনের ধরন নয় বরং বংশগতির ধারক বা জিনের ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। আর ওই ব্যাকটেরিয়া বিশ্লেষণ করে একজন মানুষের জাতিগত বৈশিষ্ট্য নির্ণয় সম্ভব বলে দাবি করছেন মার্কিন গবেষকেরা।যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির (ওএসইউ) গবেষকেরা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক, ককেশীয়, লাতিন ও চীনা—এই চার জাতিসত্তার ১০০ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালান। তাঁদের মুখ থেকে প্রায় ৪০০ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করা হয়। এসব ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ সবার মুখেই ছিল। আর আট শতাংশ ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ মানুষের মুখে।গবেষকেরা আরও দেখতে পান, একই জাতিসত্তার মানুষের মুখে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। বিশেষ করে, মুখের মাড়ির অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এ ধরনের মিল বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া একই পরিবেশে বসবাসের কারণে নয়, বরং জিনগত সাদৃশ্য অনুযায়ী মানুষের মুখে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য অণুজীব বিস্তার লাভ করে। মানুষের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাকটেরিয়া থাকে।উল্লিখিত গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এটি ব্যবহার করে একজন মানুষের মুখের মাড়ির কাছে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাঁর জাতিগত বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা যাবে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই জাতিগত বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের এই পদ্ধতি ৬২ শতাংশ সঠিক ফলাফল দিতে পেরেছে। আর কেবল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিনদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শতভাগ সাফল্য এসেছে। তবে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পদ্ধতিটির এতটা সফল হয়নি। সংশ্লিষ্ট গবেষক এবং ওএসইউ ডেন্টাল কলেজের শিক্ষক পূর্ণিমা কুমার বলেন, মানুষের মুখে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া সুনির্দিষ্ট জিনের ওপর নির্ভর করে। আর কোনো ব্যাকটেরিয়া টিকে থাকবে কি না, সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনের ধরনের ওপর। পপুলার সায়েন্স।বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ গাউসুল আলম। ঘুরে বেড়াতে, বই পড়তে ভালোবাসেন। আজ থাকছে তাঁর স্টাইলঘুরে বেড়াতে অনেক পছন্দ করেন। সময় পেলেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এতে একসঙ্গে দুটি কাজ হয়—পরিবারকে সময় দেওয়া ও নিজের শখ মেটানো। নিজের শখ মানে বইয়ের দোকান ঘুরে ঘুরে বই কেনা ও ভিন্ন ধরনের জুতা কেনা। তিনি নিজে হাসতে এবং অন্যকে হাসাতে ভালোবাসেন। এই হলেন গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ গাউসুল আলম। কাছের মানুষদের কাছে তিনি শাওন নামে পরিচিত।সাধারণত ছয়টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর দুই সন্তানকে স্কুলের জন্য তৈরি করতে স্ত্রীকে সহায়তা করেন। সৈয়দ গাউসুল আলম বলেন, ‘ছেলেমেয়ের জন্য সকালে উঠি। আমার স্ত্রী ফিমা ও আমি একই সঙ্গে তাদের স্কুলের জন্য তৈরি করি। এই সময়টুকু শুধু তাদের জন্য।’ সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আবার ঘণ্টা খানেক ঘুমিয়ে নেন। এরপর অফিসের জন্য তৈরি হন। ২৪ নভেম্বর সকালে তাঁর বনানীর বাসায় কথা বলতে বলতে জানা গেল তাঁর পছন্দ-অপছন্দের নানা কথা।গাউসুল আলমের পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। ভারতের ফ্যাব ইন্ডিয়া ও স্ত্রী ফিমার নকশা করা পাঞ্জাবিই পরেন তিনি। সাদা, কালো ও বেস পছন্দের রং হলেও প্রায় সব উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরেন। বাসায় টি-শার্ট ও থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরেন। কখনো অফিসেও এই পোশাকে চলে যান। সাধারণ সময়ে অফিসে একরঙা শার্ট, পাঞ্জাবি, জিনস ও টি-শার্ট পরেন। তবে কেতাদুরস্ত পোশাকও পরেন কোনো কোনো অনুষ্ঠানে। টি-শার্টে নানা রকমের মজার আঁকিবুঁকি ও উক্তি থাকলে সেটিও কখনো কখনো বেছে নেন।জুতার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে গাউসুল আলমের। দেশের বাইরে গেলে জুতা কেনা চাই-ই চাই। নানা রকমের জুতা তাঁর সংগ্রহে আছে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কখনো স্নিকারস, কখনো লোফার, কখনো বা বেছে নেন ফরমাল জুতা।খেতে খুব ভালোবাসলেও আজকাল ডায়েট করছেন। আর শারীরিকভাবে ফিট থাকতে নিয়মিত টেবিল টেনিস খেলেন। ছুটির দিনটা পুরোপুরি বই আর পরিবারের জন্য। বই পড়া তাঁর নেশা। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সত্যজিৎ রায়ের বই পড়ে। আজকাল দেশ-বিদেশের নানা ধরনের দর্শনতত্ত্বের বই ও আত্মজীবনী পড়ছেন। সময় পেলে সিনেমা দেখেন। গান শুনতেও ভালোবাসেন। পুরোনো দিনের বাংলা গান, হিন্দি গান ও গজল তাঁর খুব প্রিয়। উচ্চাঙ্গসংগীতের ভক্ত তিনি।ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাংসদ শফিকুল আজম খান অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সমেঞ্চলনে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।সংবাদ সমেঞ্চলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দিন হামিদ, দলের উপজেলা পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শেখ নিজাম উদ্দিন, শাহাজান আলী, ফারজেল হোসেন ও ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এ আসাদ, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর কবীর প্রমুখ।সংবাদ সমেঞ্চলনে শফিকুল আজম খান বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির মতো একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার আগে ছিল না, এখনো নেই। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে এত দিন জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। তাই দেরিতে হলেও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের গঠনতন্ত্রের প্রতি অবিচল আস্থা ও পূর্ণ আনুগত্য রেখে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একাধিক নেতা জানান, তাঁর ওপর কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপ ছিল। এ কারণে তিনি এই ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন।দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকায় ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ঝিনাইদহ-৩ আসনে এখন আওয়ামী লীগ মনোনীত নবী নেওয়াজ ও জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা কামরুজ্জামান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। |
ঢাকার বাসিন্দা শিরীন বেগমের (৫৫) খাদ্যনালিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পারকিনসন্স রোগসহ আরও কিছু শারীরিক সমস্যা হওয়ার কারণে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। এ জন্য প্রায় চার লাখ টাকা দরকার। এত টাকা তাঁর পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা অসম্ভব। তাই তাঁর সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: নাজনীন মতিন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ১৬৪.১০১.১৬৫২৫, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর, ঢাকা। বিজ্ঞপ্তি।জীবনের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সময় আমরা ঘুমাই। বয়স অনুযায়ী অবশ্য ঘুমের একটা স্বাভাবিক ছন্দ আছে। শিশুরা অনেক ঘুমায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের সময় কমে যায়। বৃদ্ধরা স্বাভাবিকভাবেই কম ঘুমান। আসলে শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজনের ওপরই নির্ভর করে ঘুমের এই সময়। তবে খুব কম ঘুম বা খুব বেশি ঘুম—কোনোটাই স্বাভাবিক নয়।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে চার থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম স্বাভাবিক এবং ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ। দেখা গেছে, যাঁরা নয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রবণতা বেশি।ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:বিছানা শুধু ঘুমের জন্যই নির্দিষ্ট করে রাখুন। বিছানায় বসে টিভি দেখা, আড্ডা দেওয়া, খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।খালি পেটে কখনো শুতে যাবেন না। আবার রাতে গুরুপাকও খাবেন না। ভরা পেটে শুতে যাওয়া ঠিক নয়। খাওয়া ও শোয়ার মধ্যে সময়ের তফাত রাখুন।শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে। গোসল সেরে নিতে পারেন বা শুতে যাওয়ার আগে ঘাড়, মুখ ও পা পানি দিয়ে মুছে নিতে পারেন।ঘুমাতে যাওয়ার সময় সারা দিনের ক্লান্তি, বিরক্তি, বিপর্যয় বা উত্তেজনার কারণগুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না।খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে বিছানায় যাবেন না।ঘুমের আগে কোনো ভারী কাজ বা অত্যধিক মাথার কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুনদুপুরের ঘুম আপনার শুধু কর্মক্ষমতাই কমায় না, আপনার রাতের ঘুমও নষ্ট করে। অতএব এটি বাদ দিন।ঘুমাতে যাওয়ার আগে সিগারেট, তামাক, চা, কফি না খাওয়াই ভালো।দুই-এক দিনের ঘুম না হওয়াতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। তবে নির্ঘুম নিয়মিত হলে নিজে নিজে ঘুমের ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।ঢাকা মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল।‘আমার ছেলে, বয়স মাত্র চার বছর। সারা দিন টিভি দেখে’ অথবা ‘আমার মেয়েটি মোটেই পড়তে চায় না, সারাক্ষণ টিভি আর টিভি। স্কুল থেকে থেকে ফিরেই টিভির সামনে বসে থাকে। বই নিয়ে বসতেই চায় না। কিছু বললেই মুখ গোমড়া করে।’ এমনধারার অভিযোগ অনেক মা-বাবাই করেন। টিভি যেন এক ভয়ানক দৈত্য যে তাঁর সন্তানের পড়ালেখা, খাওয়া, ঘুম অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনযাপনকে ব্যাহত করছে। আবার এর উল্টোটাও শোনা যায়। কোনো কোনো শিশু অনুযোগ করে থাকে, ‘আব্বু-আম্মু আমাকে এক মিনিটও টিভি দেখতে দেয় না। সারা দিন পড়াশোনা করে একটুখানি টিভির সামনে বসলেই বলে, “যাও, পড়তে বসো, টিভি দেখা চলবে না।”’শিশুদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য নির্মল বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। টেলিভিশন হতে পারে সেই নির্মল বিনোদনের উৎস। আবার এই বিনোদন যদি নেশায় বা অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন তা শিশুর পড়ালেখাকে বিঘ্নিত তো করেই, এমনকি তার স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক সময় টেলিভিশনের কোনো কোনো অনুষ্ঠান বা সিনেমার প্রভাব এতই মারাত্মক হয় যে শিশুর মধ্যে বিষণ্নতা, ভীতি, উৎকণ্ঠা, অবাধ্য, আচরণজনিত সমস্যা (কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডার), হত্যা বা আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে দূরে রেখে টেলিভিশনকে ইতিবাচকভাবে উপভোগ করাতে হবে। টিভি দেখা একেবারে বারণ করা যাবে না, তবে তা দেখাতে হবে পরিমিত ও নিয়ম মেনে। এ জন্য যা যা করতে পারেন— সময় নির্ধারণ: সন্তানকে টিভি দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। সময়টা একেবারে কমও হবে না বা খুব বেশিও হবে না। কী দেখছে: আপনার সন্তান টিভিতে কী ধরনের অনুষ্ঠান দেখছে, সেটি লক্ষ রাখুন। সেই অনুষ্ঠান তার বয়সের উপযোগী কি না অথবা বয়সের উপযোগী হলেও সেটি তার মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। আপনিও অংশ নিন: সন্তানের সঙ্গে টিভি দেখার সময় আপনিও তার সঙ্গে টিভি দেখুন। শিশুতোষ অনুষ্ঠান হলেও আপনিও তা উপভোগ করার চেষ্টা করুন এবং সন্তানের সঙ্গে অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলুন। সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নয়: কোনো কারণে একবারে টিভি দেখা বন্ধ করে দেওয়া বা বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতি সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে, কৌশলী হয়ে তাকে অনুষ্ঠান বাছাই করে দিন। টিভি দেখিয়ে খাওয়ানো নয়: অনেক সময় ছোট শিশুদের টিভি দেখিয়ে খাওয়াতে মায়েরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু টিভি দেখিয়ে কখনোই খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন না। এতে শিশু খাবারের স্বাদ পায় না, খাদ্য হজম হয় না; বরং টিভির সঙ্গে তার একটা শর্তাধীন সম্পর্ক তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। কখনো শিথিল কখনো কঠোর: নিয়ম করবেন ঠিকই, কিন্তু বিশেষ দিনে যেমন ক্রিকেট খেলা দেখানোর দিন বা ঈদের দিন নিয়ম শিথিল করবেন আবার সন্তানের পরীক্ষার আগের দিন নিয়ম আরেকটু কঠোর করতে পারেন। নেতিবাচক প্রভাব হচ্ছে কি না: কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান বা বিশেষ চ্যানেল আপনার সন্তানের মধ্যে চিন্তা বা আচরণের পরিবর্তন করছে কি না, লক্ষ রাখুন। সে ক্ষেত্রে শুরুতেই সাবধান হন, প্রয়োজনে ওই চ্যানেলগুলো ‘লক’ করে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসা: কখনো যদি মনে হয় নিজেরা বিষয়টি সামলাতে পারছেন না, তখন দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।লেখক: মনোরোগ চিকিৎসক২৩ বছর ধরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ভাড়া করা একটি ঘরে।এ কারণে পরিষদের গ্রাম আদালত, ইন্টারনেট-সেবাসহ যাবতীয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।এ কারণে ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার জহুরপুর বাজারের পাশে ইউনিয়ন পরিষদের ৯০ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশের ওপর নির্মিত ইউপি ভবনটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ১৯৯০ সাল থেকে পরিত্যক্ত রয়েছে। এ কারণে বেতালপাড়া বাজারে এক কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা (টিনের চাল) একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জহুরপুর ইউনিয়নের বেতালপাড়া বাজারে টিনের ছাউনির এক কক্ষের একটি ঘরে পরিষদের সব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কক্ষে ঢোকার মুখেই রয়েছে চেয়ারম্যানের চেয়ার, সেখানে তিনি গ্রাম আদালত পরিচালনা করেন।তাঁর পাশের একটি চেয়ারে বসেন সচিব, পেছনের দিকে ই-সেবা কেন্দ্র। পরিষদের সদস্যদের বসার জন্য আলাদা জায়াগা নেই। গ্রাম পুলিশ ও দফাদারদেরও বসার জায়গা নেই।ইউপি চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ পাটোয়ারী বলেন, ওই ঘরে গ্রাম আদালত বসাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। আদালতে আসা লোকজনকে দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত দিতে পারি না। ভবন না থাকায় দুই হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় করা হয়েছে।পরিষদের সচিব কামরুজ্জামান জানান, ভিজিএফ-ভিজিডি কার্ডের চালও এখান থেকে বিতরণ করা হয়। এ কারণে ই-সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার, ফটোস্ট্যাস্ট যন্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ধুলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সচিব জানান, ২০০৭ সালে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে চিঠি পাঠান। এরপর এলজিইডির স্থানীয় প্রকৌশলীর দপ্তরে গিয়ে সেটি আটকে যায়। নতুন করে আবার চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। |
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি তুলা রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৬ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন মঙ্গল ও শুক্রবার। শুভ রং আকাশি নীল ও ধূসর। শুভ রত্ন ল্যাপিস ল্যাজুলি ও রক্তপ্রবাল। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব লেখক সতীনাথ ভাদুরী, বিজ্ঞানী হারমেন ক্লভ ও চিত্র পরিচালক যশ চোপড়া। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। প্রেমের ব্যাপারে আজ কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)কর্মস্থলে কারও প্ররোচনায় ভুল সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। পারিবারিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় আজ কড়া নাড়তে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় হবে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে কোনো মুরব্বির পরামর্শ নিতে পারেন। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। দূরের যাত্রা শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)বৈদেশিক বাণিজ্যে বিদেশি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে লোভনীয় প্রস্তাব পেতে পারেন। বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)পেশাজীবীদের কারও কারও পসার বৃদ্ধি পেতে পারে। পারিবারিক প্রয়োজনে অন্যের সঙ্গে আপস করতে হতে পারে। প্রিয়জনের মন পেতে হলে তাঁকে পছন্দের জিনিসটি উপহার দিন। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)শিক্ষার্থীদের কারও কারও শিক্ষাসফরের সম্ভাবনা আছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আজ দূরে কোথাও যেতে হতে পারে। কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ উপহার পেতে পারেন। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকির্পূ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য প্রেমের ব্যাপারে আপনাকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)বৈদেশিক বাণিজ্যে শুভ যোগাযোগ ঘটতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)কর্মস্থলে আপনার সাফল্যের টুপিতে নতুন পালক যুক্ত হতে পারে। বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসতে পারে। পাওনা আদায় হবে। ভালো লাগার মানুষটি আজ ভালোবাসার মানুষে পরিণত হতে পারেন। বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে।প্রশ্ন: শিশু ঠিকমতো বড় বা লম্বা হচ্ছে কি না, তা বোঝার উপায় কী?উত্তর: সাধারণ হিসাবে বছরে গড়ে ৫ সেন্টিমিটারের কম উচ্চতা বৃদ্ধি হলে বলা যায় শিশু বড় হচ্ছে না। তবে একেক বয়সে এই বৃদ্ধির হার একেক রকম। সহজভাবে কোনো শিশু তার সমবয়সীদের তুলনায় অনেক কম উচ্চতাসম্পন্ন হলে বা একই মাপের পোশাক দু-তিন বছর ধরে পরছে, এমনটি হলে কিংবা দুর্বল বা অসুস্থ মনে হলে তাকে চিকিৎসার আওতায় আনা উচিত। অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছেই। জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে তৃতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় অবরোধ করেছে সরকারবিরোধীরা। আন্দোলনের শীর্ষ নেতা সুথেপকে (থগসুবান) গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির অনুমোদন দিয়েছেন আদালত।রাজধানী ব্যাংককের ব্যাং সুয়ে থানার কর্মকর্তা কর্নেল সুনথর্ন কংক্লাম বলেন, ‘আমরা সুথেপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি। ফৌজদারি আদালত তা অনুমোদন করেছেন। এরপর সুথেপকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তিনি আত্মসমর্পণ না করলে দেখামাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।’সুথেপ সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতা। গত সোমবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ে অবরোধ করার সময় তিনিও ছিলেন। পরে তিনি ‘সব কটি মন্ত্রণালয়’ অবরোধের ঘোষণা দেন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।সোমবার সরকারবিরোধীরা অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই দিনই রাজধানী ব্যাংকক ও আশপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক।রাজধানী ব্যাংকক ও আশপাশের এলাকায় ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন) জারি করার পর প্রধানমন্ত্রী ইংলাক বলেন, ‘সরকার যখন কোনো আইন জারি করে, তখন তা জনগণের ওপর প্রয়োগ করার জন্য করে না। সরকার জনগণকে কোনো অবৈধ আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার ও আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে।’ইংলাকের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইংলাক তাঁর ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন।২০০৬ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন থাকসিন। এর পর থেকে দেশটিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ হয়। এবার একটি বিতর্কিত দায়মুক্তি বিল পাসের উদ্যোগ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিলটি পাস হলে থাকসিন বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।২০১০ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রোববার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সবচেয়ে বড়। গতকাল জাতীয় পতাকা হাতে হাজারো বিক্ষোভকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রণালয় অবরোধ করে। মন্ত্রণালয়ের ভেতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র আকানাত সমসাক বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ অহিংস আন্দোলন করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয় অবরোধ করা হয়েছে। একই উপায়ে সারা দেশের সব কটি সরকারি কার্যালয় অবরোধ করার জন্য আমাদের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ও তাঁর ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টি পার্লামেন্টে বিতর্কিত ওই বিলটি পাসের লক্ষ্যে দুই দিনের বিতর্ক শুরু করেছে।বিরোধীদের অভিযোগ, থাকসিনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতেই বিলটি পাসের চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন দল। কাল বৃহস্পতিবার বিলটির ওপর পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। এএফপি ও বিবিসি।ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী দলের শীর্ষ নেতা ও কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার দিনভর কৌশলগত বৈঠক করেছেন। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর আগামী লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে এটাই কংগ্রেসের প্রথম বড় ধরনের নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম।দিনভর ওই কৌশলগত বৈঠক গতকাল সকালে রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়। এতে বর্তমানে কংগ্রেসশাসিত ১২টি রাজ্যের ১২ জন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা একে অ্যান্টনি, সুশীল কুমার সিন্ধে অংশ নেন। পিটিআই। |
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদেরা যতই অস্থিরতা সৃষ্টি করুন না কেন, আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, পোশাককর্মীরা অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কারণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ থেকে রাজনীতিবিদেরা শিক্ষা নিয়ে অনুতপ্ত হবেন।নবম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে নবমবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্বখ্যাত সিটিগ্রুপের সিটি ফাউন্ডেশন। সারা দেশ থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মনোনয়ন পাওয়ার পর উপদেষ্টা পরিষদে ও বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চূড়ান্তভাবে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।এই পুরস্কার মোট পাঁচটি বিভাগে দেওয়া হবে। এগুলো হলো কৃষি খাতে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা ও সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্সমেন্ট উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক হুমায়রা ইসলাম, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমাদ, ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, সিটি কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ প্রমুখ।ক্ষুদ্রঋণব্যবস্থা সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এসব দরিদ্র মানুষের কাছে যেতে পারে না বলেই ক্ষুদ্রঋণ উদ্ভাবিত হয়েছে। এ জন্য সারা বিশ্বে এটা নিয়ে এত আলোচিত হচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ চালুর দিকে সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, বাণিজ্যিক ব্যাংকই ঋণ দিয়ে তা ফেরত পায় না। আর জামানত ছাড়া প্রদত্ত ক্ষুদ্রঋণের অর্থ ফেরত আসবে না।’ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে। কে কত ঋণ পেল, তা সবাই জানে। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকে তা করা হয় না। ক্ষুদ্রঋণের অভিজ্ঞতা এখন কৃষিঋণের ক্ষেত্রে প্রয়োগের চিন্তাভাবনা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বড় ঋণগ্রহীতাকে ঋণ দেওয়ার মতো অবস্থা নেই ক্ষুদ্রঋণব্যবস্থার। সালমান রহমানকে ঋণ দিতে পারবে না ক্ষুদ্রঋণ। আর তাঁকে সামলানোর মতো ক্ষমতাও নেই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার।’এই অর্থনীতিবিদের মতে, সারা দেশে প্রায় দুই কোটি ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা রয়েছেন। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাঁরা কর্মসংস্থান করছেন।রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ আশপাশের দেশের তুলনায় ভালো করছে। এর কারণ, ক্ষুদ্রঋণ তথা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছেন দুই কোটি লোক, আর এর প্রভাব পড়ছে ১০ কোটি লোকের ওপর।সেলিমা আহমাদ বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্যের বাজারজাতকরণে সহায়তা করতে হবে। তাহলে এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বৃহৎ অর্থনৈতিক পরিসরে যেতে পারবেন।হুমায়রা ইসলাম বলেন, প্রচলিত ব্যাংকব্যবস্থায় দরিদ্র মানুষ ভালো ব্যবহার পান না। তাই আনুষ্ঠানিক ব্যাংক যতই চেষ্টা করুক, গরিব মানুষ ঋণ নেবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির উন্নয়নে সময় লাগবে।রাশেদ মাকসুদ বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে ডামাডোল চলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কারের জন্য এবারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়া এই পরিষদে ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।ইউরোপের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এৎনায় গত শনিবার আবার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ সিসিলিতে অবস্থিত ওই আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত উজ্জ্বল লাভা ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে। ফলে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মাউন্ট এৎনায় উদিগরণ সত্ত্বেও কাছাকাছি পাহাড়ের গ্রামবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তবে সিসিলির আকাশপথ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল মাউন্ট এৎনায়। সাম্প্রতিক উদিগরণের আগে গত শুক্রবার কয়েক দফা কম্পন হয়েছিল আশপাশের এলাকায়। রয়টার্স।শায়না আমিন। ২০০৫ সালে বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে মিডিয়ায় আসেন। পরের বছর থেকে নাটকেও অভিনয় করছেন। অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রেও। আজ চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে তাঁর অভিনীত টেলিছবি যিনি মেড ইন জিঞ্জিরা।যিনি মেড ইন জিঞ্জিরা...আলাদীনের চেরাগের গল্প আমরা অনেকেই জানি। যিনি মেড ইন জিঞ্জিরা টেলিছবিটি আলাদীনের চেরাগের গল্পের আধুনিক রূপ। এখানে আমি জেসমিন চরিত্রে অভিনয় করেছি।কালার...আমার নতুন ধারাবাহিক নাটক। ব্যাংককে ১৮ দিনে আমরা পুরো ধারাবাহিকের শুটিং শেষ করেছি। নানা কারণে আমার ধারাবাহিক নাটক করা হয় না। কালার নাটকের গল্পটা একেবারেই অন্য রকম। এ কারণেই করছি। এখানে গল্প বলার ধরনটা দর্শকের ভালো লাগবে।আমার সংসার...বিয়ে করেছি দুই বছর হলো। সবাইকে নিয়ে ভালো আছি। আমি এখন লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ছি।ম্যানেজমেন্টের ছাত্রীর ম্যানেজ করার গুণ...হা হা হা। ম্যানেজ করার গুণগুলো শিখছি। তবে চূড়ান্ত পর্ব পার হওয়ার পর পুরোপুরিভাবে শিখে ফেলতে পারব।‘মেহেরজান’ ও ‘পিতা’র পর...আমার তৃতীয় চলচ্চিত্র পুত্র এখন পয়সাওয়ালা। পরিচালক নারগিস আক্তার। ছবিটি এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে।বড় পর্দায় প্রথম নিজেকে দেখা...আমার প্রথম ছবি মেহেরজান। তখন নিজেকে বড় পর্দায় প্রথম দেখি। সে অন্য রকম অনুভূতি। তারপর বড় পর্দায় কাজ করার আগ্রহ বেড়ে গেছে।মিডিয়ায় এসেছি, কারণ...একসময় মৌ আপুর বিজ্ঞাপনচিত্র দেখতাম আর ভাবতাম, আমিও যদি মডেল হতে পারতাম। তাঁকে দেখেই মিডিয়ায় কাজ করতে এসেছি। উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করি।ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা...অভিনয় শুরু করেছিলাম শখের বশে। ইদানীং অভিনয়ের মায়াজালে জড়িয়ে পড়েছি। আর ক্যারিয়ার হিসেবে এখন অভিনয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে।মনজুর কাদেরশপথ গ্রহণের আগে থেকেই সমস্যা শুরু হয়ে গেল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে যাওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। আজ শনিবার রামলীলা ময়দানে ‘জনতার একজন’ হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই তাঁকে মাথা ঘামাতে হবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলা করা নিয়ে। কারণ, গতকাল আচমকাই সিএনজি ও পাইপবাহিত রান্নার গ্যাসের দাম কেজিপ্রতি সাড়ে চার রুপি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই গ্যাসের এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত—এ কথা দাবি করা হলেও এ নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষুব্ধ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)। কারণ, রাজধানীতে সব অটোরিকশাই সিএনজিতে চলে এবং অটোরিকশার চালকদের অধিকাংশ ইউনিয়নই গত নির্বাচনে এএপিকে বিপুলভাবে সমর্থন জানিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রাক্কালে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল তাই এ সিদ্ধান্তের মধ্যে চক্রান্তের একটা প্রচ্ছন্ন ছাপ দেখতে পাচ্ছেন। দিল্লির পূর্বে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কৌসাম্বিতে নিজের দুই কামরার ফ্ল্যাটের বাইরে সমর্থকদের মাঝে দাঁড়িয়ে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘শপথ গ্রহণের ঠিক এক দিন আগে এত দাম কেন বাড়ানো হলো সেটাই আশ্চর্যের বিষয়। কেউ যদি এর পেছনে চক্রান্তের গন্ধ পায়, তাহলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না।’ হবু মুখ্যমন্ত্রী জানান, শপথ গ্রহণের পর প্রথম কাজই হবে এ সিএনজির দাম বাড়ানোর বিষয়টি দেখা।গত তিন মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিএনজির দাম বাড়ানো হলো। এবং এবার এক ধাক্কায় সাড়ে চার টাকা। আগেরবার অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এবার ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই। অটোরিকশার চালকেরা ইতিমধ্যে সেই দাবি জানিয়ে রেখেছেন। এএপির সমর্থক হওয়ায় ধর্মঘট বা হরতালের ডাক তাঁরা এখনো দেননি। অন্যদিকে ভাড়া বাড়ালে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়বে। অর্থাৎ, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ মূল্যবৃদ্ধি শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ অবস্থায় আজ রামলীলা ময়দানে শপথ নিতে যাবেন কেজরিওয়াল ও তাঁর মন্ত্রিসভার ছয় সদস্য। মন্ত্রীরা কেউই গাড়ি হাঁকিয়ে আসবেন না। আসবেন মেট্রোরেলে চেপে। পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরাও বসবেন সাধারণ দর্শকের আসনে। এএপির প্রথম অঙ্গীকারই তো রাজধানীতে ‘ভিআইপি কালচার’-এর অবসান ঘটানো।শপথ গ্রহণের পরেই কেজরিওয়ালেরা সচিবালয়ে গিয়ে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করবেন। ছুটির দিনেও তাঁরা সরকারি কাজ করবেন বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছেন। নতুন সরকারের লক্ষ্য বিনা পয়সায় পরিবারপ্রতি ৭০০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ, দিল্লি জল বোর্ডের ‘মাফিয়ারাজ’ বন্ধ, বিদ্যুতের বিলের চাপ ৫০ শতাংশ কমানো, ৫০০ সরকারি স্কুল খোলা, সরকারি হাসপাতাল তৈরি ও উচ্চমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া এবং জন লোকপাল বিল আনা। ৩ জানুয়ারি তাঁদের আস্থা ভোট নিতে হবে। এএপিকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসে ইতিমধ্যেই দ্বিমত দেখা গেছে। মাস তিনেক সমর্থন তাঁরা পাবেন বলে কেজরিওয়ালেরা মনে করছেন। এ সময়ের মধ্যে আদৌ কিছু করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। |
শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) কর্মসূচি (স্কিম) অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।এদিকে গতকাল কর্মসূচিটি অনুমোদনের ফলে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। আইন অনুযায়ী ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। বিদ্যমান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এই প্রক্রিয়াভুক্ত হবে। তারই অংশ হিসেবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ পরিণত হবে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে।বর্তমানে ডিএসই ও সিএসই অলাভজনক কোম্পানি। এদের মুনাফা বণ্টন করা যায় না। সে কারণে বছর বছর মুনাফা সংস্থার নিজস্ব হিসাবে জমা হয়েছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের ফলে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে। আর বছর শেষে শেয়ারধারীরা লভ্যাংশ পাবেন বলে বিএসইসি জানিয়েছে। সে সঙ্গে এক্সচেঞ্জের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি গতিশীলতা বাড়বে বলেও মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।চলতি বছরের ২ মে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন-২০১৩ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী, এত দিন ধরে ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কাজ চলে। এখন থেকে শুরু হবে দৃশ্যত পৃথক্করণের কাজ।বিএসইসি জানিয়েছে, ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। পর্ষদ সদস্যদের মেয়াদকাল হবে তিন বছর। এর মধ্যে সাতজন হবে স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারধারী পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন, আর ভোটাধিকারের ক্ষমতাসহ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও পরিচালক হবেন। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচিত হবেন।এ ছাড়া শেয়ারধারী পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) বিনিয়োগকারী রাখতে হবে। যত দিন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না, তত দিন ওই পদটি শূন্য থাকবে। এর ফলে বর্তমান সদস্যদের মধ্য থেকে মাত্র চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন।যদিও ডিমিউচুয়ালাইজেশন-সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানিতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ১৫ জনের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়। স্টক এক্সচেঞ্জের সেই প্রস্তাবকে বিবেচনায় নেয়নি বিএসইসি। বর্তমানে ডিএসইর পর্ষদ সদস্য ২৫ জন আর সিএসইর ২৪ জন।বিএসইসি জানিয়েছে, ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জে ‘চিফ রেগুলেটরি অফিসার’ এর একটি পদ সৃষ্টি করতে হবে। যার তত্ত্বাবধানে স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ পরিচালিত হবে।অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ডিএসইর হবে এক হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন হবে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা।পরিশোধিত মূলধন ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ শেয়ার দ্বারা বিভাজিত থাকবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু হবে ১০ টাকা। প্রাথমিক শেয়ারধারী হিসেবে ২৫০ সদস্যের মধ্যে এসব শেয়ার বণ্টন করা হবে। এতে প্রত্যেক সদস্য পাবেন ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১০৬টি শেয়ার।সিএসই হবে ৬৩৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি। ৬৩ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৪০টি শেয়ারে যা বিভাজিত হবে। প্রাথমিক শেয়ারধারী হিসেবে সিএসইর ১৪৮ সদস্যের মধ্যে এসব শেয়ার বণ্টন হবে। প্রত্যেক সদস্য পাবেন ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩০টি শেয়ার। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক সদস্যের বিপরীতে বরাদ্দ করা শেয়ারের ৬০ শতাংশ ব্লক হিসেবে স্থানান্তর করা হবে। পরবর্তী সময়ে এসব শেয়ার বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করা হবে।প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে করণীয়: এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, স্কিম অনুমোদন পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট, গেজেট আকারে ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করতে হবে। ওই সভায় অনুমোদিত কর্মসূচি, সংঘস্মারক ও সংঘবিধির পরিবর্তন এবং ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।পাশাপাশি প্রাথমিক শেয়ারধারী অর্থাৎ স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান সদস্যরা প্রত্যেকে একটি করে শেয়ার সনদ ও লেনদেনের জন্য ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) পাবে।এ ছাড়া আইনের বিধান অনুযায়ী, স্কিম অনুমোদন পাওয়ার দিন থেকে সর্বোচ্চ ৫১ দিনের মধ্যে বিদ্যমান স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জে পরিণত হবে।বিএসইসির একাধিক শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ডিএসই শেয়ার দ্বারা বিভাজিত কোম্পানি। এ কারণে তাদের নতুন করে পুনর্নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। তাই সাধারণ সভার পর থেকেই এটি ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হবে। আর সিএসই বর্তমানে ‘লিমিটেড বাই গ্যারান্টি’ দিয়ে গঠিত কোম্পানি। তাই এটি পুনর্নিবন্ধন নিতে হবে। ফলে এটির ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জে পরিণত হতে সর্বোচ্চ ৫১ দিন সময় পাবে।টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে গত দুই দিনে প্রায় ১৩ জনের প্রাণহানি একটি গুরুতর অশনিসংকেত। এটা বড়ই অনুশোচনীয় যে, দুই শীর্ষ নেত্রীর মধ্যে সংলাপের সূচনা হওয়া সত্ত্বেও সহিংসতার রাশ টানা সম্ভব হয়নি।খালেদা জিয়ার বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের উদ্যোগ নিলেন। এরপর হরতাল প্রত্যাহার করে নেওয়াই স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল। ‘অন্তর্গত স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেও বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ফোনের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছে। এমনকি হরতালের সময়সীমা পেরোলে সংলাপ শুরুর সম্ভাবনা কোনো পক্ষই নাকচ করেনি। এখন সংলাপের পরিবেশ উন্নত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনোযোগ দেওয়াটাই যৌক্তিক। অবশ্য ফোনালাপ লোক দেখানো হলে ভিন্ন কথা।রাজনৈতিক নেতৃত্ব হুঁশিয়ার না হলে দেশে আরও ব্যাপকভিত্তিক নাশকতা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আর অব্যাহত বা প্রলম্বিত নাশকতা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনতে পারে। সব পরিস্থিতিতে নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপানো আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব এড়ানো এক নয়।আগামী ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও নির্বাচন ঠেকানোর রাজনীতি চলমান। এর গোড়ায় নাশকতাপ্রবণ রাজনীতির উদগ্র চেহারা দেখে দেশবাসীর অতিশয় আতঙ্কিত বোধ করাই স্বাভাবিক। কিছুদিন আগেই আমরা জামায়াতের নাশকতায় উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি এবং পুলিশি অসহায়ত্ব দেখেছি। ঘাতকদের কারও শাস্তির নজির স্থাপন করা যায়নি। বিজিবির গুলিতে বিরোধীদলীয় দুজন কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতিদের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং আদালতের নথিতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে এরপর কী? কারণ, হরতালের পর বিএনপির নেত্রী আরও ‘কঠোর কর্মসূচি’ দেওয়ার কথা বলেছেন।সমঝোতা হোক বা না হোক, উভয় পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুরো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তি বজায় রাখা পূর্বশর্ত। ব্যাপকভিত্তিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়লে সে জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে দায় চাপালে হবে না। মৃত ব্যক্তিরা প্রাণ পাবে না। ভুক্তভোগী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে দুই বড় দলের কোনো নির্দিষ্ট দায়দায়িত্ব আছে বলেও মনে হয় না। আমাদের রাজনীতিকেরা ধরেই নিয়েছেন, তাঁদের সংজ্ঞায়িত তথাকথিত গণতন্ত্রের লড়াইয়ে প্রাণহানি একটি মামুলি বিষয়। দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কোনো দরকার নেই। তাঁরা শুধু দেখেন, দায় স্থানান্তর সম্ভব হয়েছে কি না। বন্যার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁরা ত্রাণ বিলান, কিন্তু হরতালকেন্দ্রিক নাশকতায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে তাঁরা ত্রাণ দিতেও কার্পণ্য করেন। এমনকি নিজ দলীয় কর্মী নিহত হলে ক্ষমতায় থেকেও তার বিচার করেন না।দশম সংসদ গঠন এবং নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় কত মানুষ বলি হবে, ক্ষতির পরিমাণ কী দাঁড়াবে, তা অনুমান করেও আমরা শিউরে উঠছি। আশা করব, আলোচনা করে অচিরেই তাঁরা নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছে মানুষকে স্বস্তি দেবেন। যা-ই করুন, মানুষকে শান্তিতে রাখুন।নেপালের লুম্বিনি এলাকায় গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থানে মাটি খুঁড়ে প্রাচীনতম বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। কাঠের অবকাঠামোটি খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে মায়াদেবী মন্দিরের সঙ্গে মাটিতে চাপা পড়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বুদ্ধের জন্মতারিখ নিয়ে বিতর্কের অবসান হতে পারে।ওই মন্দিরের ভেতরে একটি গাছ ছিল বলে মনে হয়েছে। বুদ্ধের জন্ম নিয়ে যে কাহিনি প্রচলিত আছে, তার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। বুদ্ধের মা যখন বুদ্ধকে জন্ম দেন, তখন তিনি একটি গাছের ডাল ধরে রেখেছিলেন।লুম্বিনি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। তিনিই পরে বুদ্ধ হন। প্রতিবছর হাজার হাজার বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী লুম্বিনিতে যান। বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা নিয়ে অনেক বই থাকলেও তাঁর জীবনকাল নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। অনেকে মনে করেন, তাঁর জন্ম খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ সাল পর্যন্ত কোনো সময় হতে পারে। তবে অনেক পণ্ডিত খ্রিষ্টপূর্ব ৩৯০ থেকে ৩৪০ সালকে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে করে থাকেন।এখন পর্যন্ত লুম্বিনিতে সবচেয়ে পুরোনো যে বৌদ্ধ অবকাঠামো পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের আগের নয়। সময়টা ছিল সম্রাট অশোকের শাসনামল। আন্তর্জাতিক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল লুম্বিনিতে মন্দিরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে খননকাজ চালায়। দলটির সহপ্রধান যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবিন কানিংহাম বলেন, ‘এই প্রথম আমরা লুম্বিনিতে এমন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পেয়েছি, যেখানে খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের একটি অবকাঠামো রয়েছে। বিশ্বে বুদ্ধের এটাই সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন।’ বিবিসি।এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার: অবরোধ ও হরতালের সহিংস পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাকশিল্পের বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ সরিয়ে অন্য দেশে নিয়ে যাচ্ছেন। গোটা অর্থনীতিই এখন আটকে পড়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বিজিএমইএ ও এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদপ্রথম আলো: লাগাতার হরতাল-অবরোধে আপনাদের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?কুতুবউদ্দিন আহমেদ: একটা কাহিনি বলি, কানাডা থেকে আমার খুবই পরিচিত একজন দেশে এসেছেন কয়েক দিন আগে। তিনি আমাকে জানালেন, টরন্টোর মসজিদে নামাজের পর এখন ফিলিস্তিন, লিবিয়া, ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া হয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে ভেবে দেখুন।সারা দেশে যে ‘কেওয়াজ’ চলছে, তাতে সারা বিশ্বের লোকেরা দেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নিচ্ছেন। দেশের ভাবমূর্তি সিরিয়াস পরিস্থিতিতে পড়েছে। যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁদের বিদেশিরা পর্যন্ত বলছে কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়ে থাকতে। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আমি শুনেছি, অনেকে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা বলছেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদেশে বিনিয়োগের কথা বলছেন।এগুলো সবই দেশের জন্য অত্যন্ত খারাপ খবর। অশনিসংকেত। ব্যবসা-বাণিজ্য সব স্থবির হয়ে গেছে। বিদেশি ক্রেতারা কেউ কেউ এখন একেবারেই ব্যবসা দিচ্ছেন না। কেউ কেউ ২০-২৫ ভাগ কাজ কম দিচ্ছেন। এগুলো চলে যাচ্ছে প্রতিযোগী দেশগুলোতে।তিনটি ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার একটা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি ও সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি। জানি না কোথায় গিয়ে ঠেকবে এর পরিণতি।প্রথম আলো: এনভয় তো দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী, আপনাদের উৎপাদন ও রপ্তানি পরিস্থিতি এখন কী অবস্থায় আছে?কুতুবউদ্দিন আহমেদ: কোনো ব্যবসার জন্যই পরিস্থিতি কোনোভাবেই ভালো নেই। সবার একই অবস্থা। আমাদের এনভয় টেক্সটাইলে ৩০ লাখ গজ কাপড় পড়ে আছে। সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পোশাক যাঁরা উৎপাদন করবেন, তাঁরাও নিতে চাচ্ছেন না। এমনকি আগেই বুকিং দিয়েছেন, কিন্তু এখন পরিস্থিতিতে পড়ে কাপড় নিতে চাচ্ছেন না। আমার জীবনে কখনো ছয়-সাত লাখ গজের বেশি কাপড় এভাবে পড়ে থাকতে দেখিনি।প্রথম আলো: এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা কী বলছেন?কুতুবউদ্দিন আহমেদ: ওয়াল্ট ডিজনি ও ডিলার্ডস আগেই এ দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ডিজনি ১৫ থেকে ২০ কোটি ডলারের কাজ দিত। আর ডিলার্ডস কাজ করাত চার থেকে পাঁচ কোটি ডলারের। আর অসহিষ্ণু রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি, সিয়ার্সের মতো বড় ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ ২০ শতাংশের মতো কমিয়ে দিয়েছে। এগুলো কাজ এখন চলে যাচ্ছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে।ক্রেতারা চান সময়মতো কাজ। এখন তাঁরা যদি এ রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখেন, তাহলে সময়মতো মালামাল বুঝে পাবেন না ভেবে নেন। আর বাংলাদেশে তো ক্রেতাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সেসব ছবি ও সংবাদ খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। ক্রেতারা এখানে পরিদর্শনে আসতে চাইলে আমরাই এখন বলি, এখন এসো না, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না। তাঁদের এ পরিস্থিতির ব্যাখ্যাও দিতে হয়। ক্রেতারা তাঁদের এম্বাসির মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করেন। ফলে তাঁরা কম্বোডিয়ায়, ভিয়েতনামে ৫০ সেন্ট বেশি দিয়েও কাজ নিতে কোনো আপত্তি করবেন না। কেননা, এতে তো ক্রেতাদের পকেট থেকে অর্থ যাচ্ছে না। আল্টিমেট তা ভোক্তার পকেট থেকেই যাচ্ছে। তা ছাড়া আমাদের এখানে এখন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরিও ৭৬ ভাগ বেড়ে গেছে। ফলে বাজার হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা তো এমনিতেই আছে।আবার পাকিস্তান এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওয়ান স্টেজ বা এক ধাপ উৎপাদনের মাধ্যমে জিএসপি পাচ্ছে। মিয়ানমারকে সব সুবিধা দিতে প্রস্তুত সবাই। তারা আমাদের বড় প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত হবে।প্রায় প্রতি মাসেই আমি চীনে যাই। সেখানে কাজ খোঁজার একটা উদ্যোগ আমার আছে। দেশে একটা বড় বিনিয়োগ আসার কথা চলছিল। চীন এখন উচ্চমূল্যের কাজ করে, এগুলো কাজ কম। আর যেসব কাজ বেশি, মূল্য কম, সেগুলোর বাজার ধরতে তারা বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছিল। সেটা হাতছাড়া হয়ে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাচ্ছে।প্রথম আলো: এখনি যদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়, তাহলে কি যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানো সম্ভব হবে?কুতুবউদ্দিন আহমেদ: তা সম্ভব। সুযোগ পেলে আমাদের উদ্যোক্তারা ডানা মেলে বেরিয়ে পড়বে। ক্রেতাদের যেভাবে পারে, বুঝিয়ে আনবে। ঠিকই রাজি করিয়ে ফেলবে।প্রথম আলো: ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে রকম পরিস্থিতি আসবে বলে মনে করেন? না হলে কী দাঁড়াবে?কুতুবউদ্দিন আহমেদ: দেশ ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে আটকে পড়বে। ২৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি, এরই ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি। ফলে ব্যাংক, বিমা, বন্দর, পরিবহন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। রপ্তানি আটকে পড়লে নতুন বিনিয়োগও হবে না। তাতে কর্মসংস্থানও হবে না। আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়বে। রাজনীতিবিদদের যদি চৈতন্য না হয়, তাহলে আর কী বলার আছে। রাজনীতিবিদদের এখন প্রমাণ দিতে হবে, তাদের কাছে দেশ বড় কি না।[সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনজুর আহমেদ] |
বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ২০১৩-১৫ কার্য বছরের জন্য মুহাম্মদ আইউব সংগঠনের সভাপতি ও মেহেদি আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।কমিটির নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি সৈয়দ জাভেদ আহসান, কোষাধ্যক্ষ মিয়া আহমেদ কিবরিয়া এবং পরিচালক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মতিন সরকার, এন নুরুজ্জামান, মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া, এস কে মো. সামিউল ইসলাম, কামালউদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আবদুল হাই, ফরহাদ হুসেন খান ও শেখ মুহাম্মদ আলী। বিজ্ঞপ্তি।ঢাকার আশপাশের নদীগুলোতে দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ দেখা না গেলেও কমতি নেই নদী নিয়ে পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের। সম্ভাব্য বিপর্যয় রোধে নদী রক্ষায় যেসব উদ্যোগ আছে, সেগুলোও খাপছাড়া। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দূষণের ধারা চলতে থাকলে আক্রান্ত হবে মেঘনার মতো বড় নদী, অসহনীয় হয়ে উঠবে রাজধানীর নগরজীবন।২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত ‘নদীদূষণ প্রতিরোধ কমিটি’র এক প্রতিবেদনে দূষণের জন্য তিনটি বিশেষ শ্রেণীকে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো: ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান (শিল্পপ্রতিষ্ঠান), সরকারি সংস্থা (ঢাকা ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ) এবং সাধারণ জনগণ। বলা হয়, দূষণের ৬০ ভাগই করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঢাকা অঞ্চলে কতগুলো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে, সেই হিসাব চাইতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা রাখা তাদের দায় নয়।তবে ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ঢাকার আশপাশে সাত হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯৯৮ সালের ঢাকা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির প্রতিবেদনে এই অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ২০০। বছরে ৪ শতাংশের বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই অঞ্চলে। ঢাকা নগর ও আশপাশের নয়টি প্রধান শিল্প এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন বের হওয়া ৯০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পড়ছে পাঁচটি নদীতে। এই গতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে আগামী পাঁচ বছর পর এই শিল্পবর্জ্যের পরিমাণ হবে এক লাখ ৩০ হাজার ঘনমিটার।ঢাকায় পয়োবর্জ্যের পরিমাণ প্রতিদিন ১৩ লাখ ঘনমিটার। এর মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার পরিশোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াসার পাগলা পয়োবর্জ্য পরিশোধনাগারটি এখন মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার পরিশোধন করতে পারে। বাকি পৌনে ১৩ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। আজ থেকে ১০ বছর পর এই বাড়তি জনসংখ্যার অপরিশোধিত বর্জ্যের পরিমাণ হবে প্রায় ২২ লাখ টন।ঢাকায় প্রতিদিন চার হাজার ২০০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। সিটি করপোরেশন এর মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ সংগ্রহ করে। বাকিটা উন্মুক্ত জায়গায়, নিম্নাঞ্চলে পড়ে থাকে। শেষ গন্তব্য নদী। বর্জ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট কনসার্নের হিসাবে, ১০ বছর পর এই বর্জ্যের পরিমাণ হবে সাড়ে আট হাজার টন।প্রায় অনুচ্চারিত থাকা আরেকটি দূষণের এলাকা হলো ঢাকা সদরঘাট। সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, এখান থেকে প্রতিদিন ৪০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এসব মানুষের বর্জ্য, ৩০টি নৌযান ধোয়ার পর তেলসহ নানা বর্জ্য পড়ে নদীর পানিতে।দূষণের সমস্ত উৎস থেকে যে হারে নদীতে বর্জ্য ঢালা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতের ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর চেহারা প্রসঙ্গে পানি বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের কথা, ‘স্থির, বদ্ধ, দূষিত পানির জলাধার। এগুলোকে আর নদী বলার কোনো কারণ থাকবে না।’দূষণের মূল এলাকাগুলো থেকে নদী ভাটির দিকে যত যেতে থাকে, তত দূষণের মাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথা, প্রবাহ কমে যাওয়া এবং নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার জন্য এই ক্ষমতা আর থাকবে না। আবার জৈব বর্জ্য যতটা সহজে পরিশোধন করা যায়, অজৈব দ্রব্য তা করা যায় না।নদী রক্ষায় একটি বড় পরিকল্পনা হয় ২০০৮ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত নদীদূষণ প্রতিরোধ কমিটি (আরপিএমসি) ৫০টি সুপারিশ করেছিল। কমিটি স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে। দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে স্বল্পমেয়াদি এমন পরিকল্পনার প্রথমটি ছিল ‘নদী পরিচ্ছন্ন কর্তৃপক্ষ’ নামের একটি কর্তৃপক্ষ তৈরির। এটি এখনো হয়নি।আমার এই অভিজ্ঞতা কোরবানি ঈদ নিয়ে। প্রতিবার দেখা যায়, কোরবানির মাংসের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন নানা বয়সের নারীরা। তাঁরা হয়তো কোরবানি পর্যন্ত অপেক্ষা করে আশপাশেই থাকেন। তাঁদের সঙ্গে থাকে বেশ কিছু শিশুও। মাংস বিতরণের সঙ্গে সঙ্গে কাড়াকাড়ি লেগে যায়।ওই নারীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, দিনের শেষে তাঁরা ১০ থেকে ১২ কেজি মাংস নিয়ে ঘরে ফেরেন। স্বামী-সন্তানেরা এই মাংসের অপেক্ষায় থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী অর্ধেক মাংস বাজারে বিক্রি করে দেন। বাকিটা স্ত্রীকে রান্না করতে বলেন। যদিও মাংস বিক্রির টাকা কখনো স্ত্রী পান না। তবে এই টাকা হাতে পেয়ে স্বামী কিছুদিন স্ত্রীকে টাকার জন্য চাপ দেন না। এটি ভেবে সারা দিনের অর্জনকে তাঁর কাছে স্বস্তির মনে হয়।অবশেষে দক্ষিণ জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের মার্কিন বিমানঘাঁটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে টোকিও। এর মধ্য দিয়ে এ ঘাঁটি স্থানান্তর নিয়ে কয়েক বছরের অচলাবস্থা দূর হলো।সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওকিনাওয়ার উত্তরাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত কম জনবসতিপূর্ণ নাগো এলাকায় নতুন বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন গভর্নর হিরোকাজু নাকাইমা।গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আহ্বান জানানোর পর নাকাইমা নতুন বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে সম্মত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওকিনাওয়া দখলের সময় থেকে সেখানে মার্কিন সেনা রয়েছে। বর্তমানে দ্বীপটির ফুতেনমা বিমানঘাঁটিতে ২৬ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছেন। জাপানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সমঝোতার আওতায় তাঁরা সে দেশে আছেন। তবে দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ আছে। বিবিসি। |
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চান তিনি।গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুহানি বলেন, তাঁর মতে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক সহজ করার ‘প্রথম পদক্ষেপ’।রুহানি আরও বলেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তাঁকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছেন।বিতর্কিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প নিয়ে ইরানের গতকালই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন এবং জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। নিউইয়র্কে ওই আলোচনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ অন্য পাঁচটি দেশের কূটনীতিকদের অংশ নেওয়ার কথা।গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রুহানি বলেছিলেন, পরমাণু বিষয়টি নিয়ে ‘সময় নির্দিষ্ট করা’ এবং ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত।রুহানির এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায়। ইরানকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে।২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচটি সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান তাদের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে।পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এ কারণে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশটিকে। এতে ইরানের অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে।তবে ইরান দাবি করে আসছে, তাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নয়, বরং দেশের জ্বালানির ঘাটতি পূরণ এবং চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘যত কম সময়ের মধ্যে চুক্তি হয়, ততই সবার জন্য ভালো। যদি তিন মাসের মধ্যে চুক্তি হয়, তবে তা ইরানের জন্য মঙ্গলজনক। ছয় মাসের মধ্যে হলেও মন্দ নয়। বিষয়টা হওয়া উচিত কয়েক মাসের, কয়েক বছরের নয়।’১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর পরও রুহানি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তিনি যদি আলোচনায় বসেন, তাহলে দুজনেই ভবিষ্যতের দিকে তাকাবেন।রুহানি বলেন, ‘আমাদের (ওবামার সঙ্গে) মধ্যে যেসব চিরকুট ও চিঠি বিনিময় হয়েছে, সেগুলো সম্পর্ক সহজ হওয়ারই ইঙ্গিত বহন করে। আর তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের শুরুর পদক্ষেপটি নেওয়া প্রয়োজন। আর তা হতে পারে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা। এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে আর বেগ পেতে হবে না।’ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইরনার এক খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানির নীতিগত কোনো সমস্যা নেই। দেশের স্বার্থে যেকোনো কাজ করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।অগ্রগতি নেই বর্তমান সরকারের নেওয়া উদ্যোগেরও। সরকার ক্ষমতায় আসার পর নদী ও জলাধারের দখল ও দূষণ রোধ করতে গঠিত নদী দূষণ ও অবৈধ জমি দখল-সংক্রান্ত সংসদীয় উপকমিটি ‘ঢাকার চারপাশের নদীগুলো ও অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের দূষণ প্রতিরোধ কৌশল’ নামে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে। ২০১০ সালে করা এই প্রতিবেদনে নীতিগত, ব্যবস্থাপনামূলক ও কারিগরি—এই তিন ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে জড়িত সরকারদলীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সত্যি বলতে খুব বেশি অগ্রগতি নেই।’ নদীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একাধিক প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জড়িয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সাবের চৌধুরী।জেলা প্রশাসন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয় সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কোনো না-কোনোভাবে নদীর সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে নেই সমন্বয়। সমন্বয়হীনার কথা স্বীকার করে খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম রব্বানী বললেন, যেখানে সবার দায় থাকে সেখানে কারও দায় নেই।এই দায়হীনতার মধ্যে নদীর দূষণ রোধে এখন পর্যন্ত গঠিত বড় কর্তৃপক্ষ হলো সরকারের আটটি মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কমিটির প্রধান। এর কাজ নিয়েও হতাশ পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা।এ যাবৎ টাস্কফোর্সের সবচেয়ে বড় কাজ হলো ঢাকার পাঁচ নদীর সীমানা নির্ধারণ। অনেক শোরগোল তুলে এই কাজটি করা হয়, কিন্তু পরিবেশবাদীসহ নদী বিশেষজ্ঞরা এই সীমানা পুনর্বিন্যাসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদীকে বৃত্তে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। নদীর পাশের প্লাবন সমভূমিও যে নদীর অংশ, এই বোধটা নেই সরকারি কর্তৃপক্ষের।২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার তলদেশ পরিষ্কারের কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। স্থপতি ইকবাল হাবীব বলেন, বুড়িগঙ্গা থেকে উঠানো বর্জ্য আবার সেখানেই গেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাঁর এই দাবি অবশ্য মানেন না শাজাহান খান। তিনি বললেন, কিছুটা হলেও নদীর হাল ফিরেছে।ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক। তাঁর সন্তান জুবায়ের জামান খান। পেশায় আলোকচিত্রী। আজকের অধুনায় আমরা জেনে নেব এই দুই প্রজন্মের পছন্দ-অপছন্দ।১. কোন রং বেশি পছন্দ করেন?হামিদুজ্জামান খান: লাল রং আমার বেশি পছন্দ।ছেলে: আমার পছন্দ কালো।২. যে কাজ করতে ভালোবাসেন?হামিদুজ্জামান খান: ভাস্কর্য নির্মাণ আর জলরঙে ছবি আঁকতে ভালো লাগে।ছেলে: ছবিকে ফ্রেমে ধরে রাখতেই বেশি ভালোবাসি অর্থাৎ ছবি তুলতে বেশি ভালো লাগে।৪. পছন্দের সিনেমা...হামিদুজ্জামান খান: পথের পাঁচালী। এখনো দেখি আর মনে হয়, এটা অভিনয় না বাস্তব।ছেলে: আমার পছন্দের সিনেমা হলো তারেক মাসুদের রানওয়ে।৫. পছন্দের শহর কোনটি?হামিদুজ্জামান খান: দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল।ছেলে: ঢাকা শহরই আমার বেশি পছন্দ।৬. কোন পোশাক পরতে পছন্দ করনে?হামিদুজ্জামান খান: একটু ঢিলা আর ইস্তিরি না করা পোশাক। বেপারি শার্ট ভালো লাগে।ছেলে: পোশাকে আমার পছন্দ জিনস আর টি-শার্ট।৭. প্রিয় ঋতু কোনটা?হামিদুজ্জামান খান: বর্ষা। এই সময়েই বাংলার প্রকৃত রূপ ফিরে আসে।ছেলে: শীতকাল বেশি ভালো লাগে।৮. যেটা না হলে চলেই না...হামিদুজ্জামান খান: আমার স্কেচ খাতা।ছেলে: আমার ক্যামেরা।সাক্ষাৎকার: হাসান ইমামবিতর্কিত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে বন্দীদের স্বদেশের কারাগারে স্থানান্তরের বিষয়ে কিছু কড়াকড়ি শিথিল করেছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে এ বিষয়ে রাজনীতিকদের আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামা গত বৃহস্পতিবার ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের জন্য জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃত্ব আইনে সই করেন। এরপর তিনি জানান, বিদেশি বন্দীদের কেন্দ্রীয় সরকারের আদালতে বিচার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এখনো বাধা রয়েছে। কেননা, এ-সংক্রান্ত বিধিগুলো বহাল রেখেছে কংগ্রেস। হাওয়াইয়ে অবকাশে থাকার সময় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওবামা বলেন, ‘গুয়ানতানামো বের বন্দীদের কখন এবং কোথায় বিচারের মুখোমুখি করা হবে, তা নির্ধারণের কর্তৃত্ব অবশ্যই নির্বাহী বিভাগের কাছে থাকতে হবে।’ আল-জাজিরা। |
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্র হস্তান্তর করার চুক্তির ব্যাপারে তাঁর দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিরিয়ার প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘে পরাশক্তিগুলো একটি প্রস্তাব পাশের কাছাকাছি রয়েছে, এমন সময়ে তিনি এ মন্তব্য করলেন।প্রেসিডেন্ট বাশারের সাক্ষাৎকারটি গত বুধবার ভেনেজুয়েলার টেলিভিশন চ্যানেল টেলিসুরে প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারে বাশার বলেন, দামেস্ক রাসায়নিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার যে পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের পথে ‘কোনো প্রতিবন্ধকতা’ তিনি দেখছেন না।টেলিসুর চ্যানেলকে বাশার বলেন, সিরিয়া যে রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে (সিডব্লিউসি) সই করেছে, তার প্রতি তাঁর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে। বাশার বলেন, ‘সিরিয়া যেসব চুক্তিতে সই করে, তার প্রতি সাধারণত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।’বাশার বলেন, দামেস্ক এরই মধ্যে তার রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডারের বিস্তারিত তথ্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণবিষয়ক সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) কাছে পাঠাতে শুরু করেছে। সংস্থাটি এসব তথ্য পর্যালোচনা করছে।ওপিসিডব্লিউর পরিদর্শকেরা সিরিয়ায় পরিদর্শনে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাশার বলেন, ‘(ওপিসিডব্লিউর) বিশেষজ্ঞরা এসব অস্ত্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসন্ন দিনগুলোতে সিরিয়ায় আসবেন। সিরিয়ার সরকারের ক্ষেত্রে এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা নেই।’ তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিশেষজ্ঞদের যাওয়ার পথে ‘সন্ত্রাসীরা’ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে বাশারের সরকার।দামেস্কের কাছের একটি এলাকায় গত ২১ আগস্ট সারিন গ্যাস হামলায় শত শত মানুষ প্রাণ হারায়। এ ঘটনার জন্য বাশারের সরকারকে দায়ী করে সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থনকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। সিরিয়ার সরকারকে এ জন্য শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে সামরিক হামলার দিকে এগোচ্ছিল। বাশার সরকার মিত্র রাশিয়ার মধ্যস্থতায় রাসায়নিক অস্ত্র পরিত্যাগ করতে সম্মত হয়ে আপাতত সেই হামলা ঠেকিয়েছে। তবে রাসায়নিক হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।প্রেসিডেন্ট বাশার বলেছেন, পাশ্চাত্যের ‘আগ্রাসনের’ আশঙ্কা সব সময়ই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ের অজুহাত হচ্ছে, রাসায়নিক অস্ত্র। এর পরে অন্য কোনো অজুহাত খোঁজা হবে।’নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে অগ্রগতি: সিরিয়া যাতে তার রাসায়নিক অস্ত্র পরিত্যাগ-সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করে, তা নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে কাজ চলছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের ব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে গেছে।পশ্চিমা কিছু কূটনীতিক জানিয়েছেন, প্রস্তাবটির ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। একজন জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত হতে যাওয়া একটি প্রস্তাবের ‘প্রধান পয়েন্টগুলোর’ ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। ওই কূটনীতিক আরও জানান, সিরিয়া যদি মার্কিন-রুশ পরিকল্পনাকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়, তবে জাতিসংঘ সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ওই প্রস্তাবে। অবশ্য রুশ কর্মকর্তারা এ ধরনের সম্ভাব্য কোনো অবরোধের বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার খবর নাকচ করেছেন।সিরিয়ায় অস্ত্র পরিদর্শকেরা: সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে আরও তদন্ত করতে জাতিসংঘের পরিদর্শকদের একটি দল দামেস্কে পৌঁছেছে। দামেস্কের কাছে ২১ আগস্ট সারিন গ্যাস হামলার প্রমাণ পাওয়ার পর দলটি এবার আরও ১৪টি স্থানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করতে তথ্য-উপাত্ত ও নমুনা সংগ্রহ করবে।‘রাশিয়া প্রস্তুত’: প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ও কারখানাগুলো যখন ধ্বংস করা হবে, তখন সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের স্থানগুলোর নিরাপত্তা দিতে রাশিয়া প্রস্তুত। রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের বরাত দিয়ে গতকাল এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো।মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে উদ্বাস্তু হওয়া কয়েক লাখ মানুষকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাজ্য বুধবার ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগের দিন যুক্তরাষ্ট্র ৩৪ কোটি ডলার অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন: সিরিয়ার ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামপন্থী সংগঠন বলেছে, তারা সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনসহ (এসএনসি) বিদেশভিত্তিক কোনো বিরোধী গ্রুপকে স্বীকৃতি দেবে না। এসএনসির সদর দপ্তর তুরস্কে অবস্থিত। সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) এবং আল-কায়েদার অনুসারী আল-নুসরা ফ্রন্ট এই ১৩টি গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে। এএফপি ও রয়টার্স।‘ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে...।’ টাইপের গানগুলো শুনলে কী যে ভালো লাগে, তা বোঝানো যাবে না। স্বদেশি শিল্পীরা তাঁদের দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের গানে গানে। অথচ সে গানের একটু কদরও আমরা করছি না, দিচ্ছি না তাঁদের মূল্য। জনৈক শিল্পী তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী আছেন, যাঁরা চাইলে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রকাশকেরা তৎপর নন। তাঁদের অনীহা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাঁরা শিল্পীদের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারছেন না...।’এ বক্তব্যের আলোকে একজন প্রকাশক মন্তব্য করেন, ‘শিল্পীদের সব সময়ই আমরা শ্রদ্ধা করি। তাঁদের নিয়েই তো আমাদের ব্যবসা। তাই তাঁদের শ্রমেরও যথার্থ মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করি। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমরা যে লাভের আশায় গানগুলো প্রকাশ করি, সে লাভটাই দূরে থাক, মূলধনটাও খুঁজে পাই না। কারণ, গান প্রকাশের কয়েক মিনিট পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গানগুলো ইন্টারনেটে দিয়েছেন এবং মিনিট দশেকের মধ্যেই সব গান ডাউনলোড করে নেন সাধারণ মানুষ। সিডিগুলো অবিক্রীত অবস্থাতেই থেকে যায়। এখন আপনারাই বলুন, কীভাবে আমরা ব্যবসাটা করব? বক্তব্য শুনে ভাবি, আসলেই তো! তাঁরা যদি তাঁদের মূলধনটাই খুঁজে না পান, তাহলে নতুন গান প্রকাশে শিল্পী কীভাবে উৎসাহী হবেন? শিল্পীদের মূল্যায়নও কীভাবে করবেন?তাই আসুন, আমরা ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড না করে সিডি কিনি। যাঁরা অনেকে কষ্টের সীমা পেরিয়ে গানগুলো আমাদের উপহার দেন, তাঁদের যথার্থ মূল্যায়ন করি। আর সজাগ-সচেতন হয়ে সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান করি।মো. সাকিব হাসানলোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘অভিবাসন আইন সংস্কার এ সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় নাগরিক অধিকার। রোববার এবিসি টেলিভিশনের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।২৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ার বলেন, ‘আমি জানি, বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিকই এটা চান। এ দেশে এক কোটির বেশি মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছে। তারা এ দেশে এসেছে, কারণ তারা শুধু কাজ করতে চায়। তারা তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু বৈধ না হওয়ায় তাদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কাজেই আমি চাই অভিবাসন আইনের সংস্কার হোক।’জাকারবার্গ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অনেক শিশুকে তাদের মা-বাবা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসেছেন। এসব শিশু জানে না এর বাইরে আর কোনো দেশ আছে কি না। কিন্তু আমাদের শিশুরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তা ওই শিশুরা পায় না। এসব দেখলে আমার হূদয় ভেঙে যায়। কিন্তু আমি আশাবাদী যে একদিন না একদিন এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।’সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত ওয়েবসাইট হেলথকেয়ার ডট গভ ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারির বিষয়ে কথা বলেন। নজরদারির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আমার মনে হয় না মার্কিন সরকার কাজটি খুব ভালোভাবে করছে। এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।’মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের নিয়ে এফডব্লিউডি ডট ইউএস নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। বাইরের দেশ থেকে আসা দক্ষ কর্মীরা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।—দি ভার্জ অবলম্বনে রোকেয়া রহমানপাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ বলেছেন, পারভেজ মোশাররফের প্রতি সহানুভূতি থেকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁর মাকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান বা অ্যাম্বুলেন্স বিমান পাঠাতে প্রস্তুত আছেন। এতে করে মোশাররফ তাঁর ৯৫ বছর বয়সী অসুস্থ মাকে নিজের কাছে রেখে চিকিৎসা করাতে পারবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পারভেজ মোশাররফের মায়ের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে দেবে। সাবেক স্বৈরশাসক মোশাররফ কয়েকটি মামলার আসামি। তাঁর দেশত্যাগ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন সিন্ধু হাইকোর্ট ২৩ ডিসেম্বর নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারি করা বিবৃতিতে সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ বলেন, ‘স্বাধীন বিচারকেরাই পারভেজ মোশাররফের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।’ ডন। |
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নন্দিত নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ) নজরদারির আওতায় ছিলেন। সরকারি গোপন দলিলপত্রে এ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। এসব দলিল গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলার সময় মার্টিন লুথার কিং ও বক্সিং কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলী এবং নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একাধিক সাংবাদিক ও দুই সিনেটরের ওপর এনএসএর নজরদারি ছিল। তাঁদের প্রত্যেকে প্রকাশ্যে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। ছয় বছরব্যাপী ওই নজরদারি কার্যক্রম চলে। দলিলে বলা হয়, সরাসরি অবৈধ না হলেও ওই নজরদারির ব্যাপারটি ছিল নিন্দনীয়।গোপনীয় দলিলগুলো প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। সরকারি একটি প্যানেলের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র অবশেষে প্রকাশ করা হয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভ মার্কিন সরকারের গোপনীয়তা নিয়ে গবেষণা করছে।দেশের অভ্যন্তরে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী জোরালো অবস্থানের নেপথ্যে বিদেশি মদদ রয়েছে কি না তা অনুসন্ধানের জন্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ১৯৬৭ সালে নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন। এনএসএ ও অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তখন ওই যুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টেলিফোনে বিদেশি কলের ওপর নজরদারি শুরু করে। ১৯৬৯ সালে রিচার্ড নিক্সন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরও ওই নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর ফ্রাংক চার্চ ও রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর হাওয়ার্ড বুচওয়াল্ডের টেলিফোনে তখন আড়ি পাতা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এলিয়ট রিচার্ডসন ১৯৭৩ সালে এনএসএর ওই কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। কারণ তখন একাধিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিল নিক্সন প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকদের ওপর এনএসএর ওই নজরদারির বিষয়টি প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এএফপি ও বিবিসি।সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয়শিল্পী। আজ মাছরাঙা টেলিভিশনের শুরু হচ্ছে তাঁর অভিনীত নতুন ধারাবাহিক পিঞ্জর। নাটকটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ।‘পিঞ্জর’ নাটকে যে চরিত্রে অভিনয় করছি...নাটকটিতে অভিনয় করছি রানু চরিত্রে। যার স্বামীর নাম মানিক মিয়া। মানিক ১১ বছর জেলে থাকে। তার পরের তিন বছর মানিক মিয়ার কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। হঠাৎ একদিন সে বাড়ি ফিরে আসে। ঠিক সেদিনই তার মেয়ের বিয়ে। এভাবেই ঘটনা এগোতে থাকে।নাটকের দৈর্ঘ্য...১০৪ থেকে ১৫০ পর্ব পর্যন্ত হওয়ার কথা। বদরুল আনাম সৌদ সব সময় দারুণ চিত্রনাট্য লেখেন। এ নাটকেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।পরিচালক হিসেবে বদরুল আনাম সৌদের যে তিনটি দিক সবচেয়ে ভালো লাগে...সিনিয়র-জুনিয়র—সব বয়সী অভিনয়শিল্পীকে সৌদ সমান সময় আর মনোযোগ দেয়। খুব ডিটেইল কাজ করে। পারফরমারের মেধা বুঝে কাজ আদায় করে নেওয়ার গুণটা তাঁর উল্লেখযোগ্য।নতুনের আবাহন...আমরা অর্থাৎ সাতকাহন প্রোডাকশন, সৌদ আর আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি। এই নাটকেও বেশ কয়েকজন নতুন শিল্পী অভিনয় করছেন। তাঁদের মধ্যে নোলক, আনিলা ও নাজিবা বাশারের কথা বলতে হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু এই নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করছেন। আমাদের প্রোডাকশনের কাজের বেলায় আমরা এটা মেনে চলি যে ছোট পরিসরে হলেও আমরা ভালো অভিনয়শিল্পীকে দিয়ে কাজটা করাতে চাই।সফল ধারাবাহিকের গোপন মন্ত্র...সব সময় ভালো কাজ করার চেষ্টা তো আছেই, সততা একটা বড় বিষয়।মাহফুজ রহমানসাবেকুন নাহার (২৮) একজন সফল ব্যবসায়ী। নিজ হাতে তৈরি করেন নানা ধরনের হস্তশিল্পপণ্য। বিক্রি করেন নিজ এলাকায়। এলাকার সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেক মেয়েই এখন চায় তাঁর মতো হতে। তিনি এখন সবার কাছে একটি উদাহরণ।কিন্তু সাবেকুন নাহারের অবস্থা সব সময় এমন ছিল না। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এ অবস্থানে এসেছেন তিনি। ২০০২ সালে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার আলির জাহাল এলাকার বাসিন্দা নাহারের বিয়ে হয় একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। বিয়ের সময় জাহাঙ্গীর ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে নাহারের মা-বাবা এতে রাজি হন। দাবি অনুযায়ী যৌতুক দেওয়াও হয়।বিয়ের পর প্রথম এক বছর ভালোই কাটে জাহাঙ্গীর ও নাহারের দাম্পত্য জীবন। এরপর জাহাঙ্গীর আবার নাহারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে বলেন। কিন্তু নাহারের দরিদ্র বাবার পক্ষে আর যৌতুক দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যৌতুক না পেয়ে নাহারের স্বামী তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করেন। মারধরের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও চলতে থাকে। তাঁকে চরিত্রহীনা বলে অপবাদ দেওয়া হয়। স্বামীর সঙ্গে নির্যাতনে যোগ দেন নাহারের শাশুড়ি ও ননদও। দিনরাত পরিশ্রম করে সংসারের সব কাজ করে দিতেন। তাও কারও মন পেতেন না। তাঁকে ঠিকমতো কাপড় ও খাবারও দেওয়া হতো না। এরই মধ্যে পরপর দুটি মেয়ে হয় নাহারের। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নাহার সব নির্যাতন মুখ বুজে সয়ে আসছিলেন।নাহারের মা-বাবা যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও যৌতুক চাওয়া বন্ধ হয় না জাহাঙ্গীরের। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে একদিন নির্যাতনের মাত্রা চরমে ওঠে। জাহাঙ্গীর নিষ্ঠুরভাবে মারেন নাহারকে এবং একপর্যায়ে ঘর থেকে বের করে দেন। দুচোখে অন্ধকার দেখতে থাকেন নাহার। এ সময় নাহার এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অর্থায়নে পরিচালিত নারী সহায়তা কেন্দ্রের কথা জানতে পারেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নারী সহায়তা কেন্দ্রে আসেন নাহার। সেখানে তাঁর জীবনের করুণ কাহিনি শুনে সহায়তা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাঁকে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর তারা তদন্তে নামে। মধ্যস্থতার জন্য সালিস বৈঠকে বসতে তারা নাহারের স্বামী ও অন্যদের নোটিশ পাঠায়। এই সময়ের মধ্যে নাহারের মনের জোর বাড়ানোর জন্য নারী সহায়তা কেন্দ্র থেকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি হস্তশিল্পপণ্য তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে।গত ৬ অক্টোবর নাহার ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে একটি সালিস বৈঠক বসে। সেখানে নাহারের সমস্যা সমাধনের চেষ্টা করা হয়। বৈঠকে নাহার ও জাহাঙ্গীর উভয়ে সংসার করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে নাহার সংসার শুরু করার জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেন। শর্তগুলো হচ্ছে, অর্থ রোজগারের জন্য তাঁর স্বামীকে নিয়মিত কাজ করতে হবে, যেকোনো কারণে তাঁর ওপর স্বামী নির্যাতন চালাতে পারবেন না এবং তাঁর ও তাঁর সন্তানদের নিয়মিত ভরণপোষণ দেবেন।নাহারের স্বামী জাহাঙ্গীরও নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি স্ত্রীর সব শর্ত মেনে নেন।নাহার স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। ঘরদোর ও বাচ্চা সামলানোর পাশাপাশি তিনি এখন নানা ধরনের হস্তশিল্পপণ্য তৈরি করেন এবং তা বিক্রি করেন। তাঁর স্বামীও তাঁকে এ কাজে সহায়তা করেন। শুধু তা-ই নয়, এ থেকে পাওয়া অর্থ সংসারেও দিচ্ছেন নাহার। ফলে এসেছে সচ্ছলতা। আর পরিবারের সবার কাছে নাহারের গুরুত্বও বেড়েছে।তথ্যসূত্র: ইউএনএফপিএপ্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। আইন বিভাগ এরই অন্তর্ভুক্ত। আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে এর রয়েছে যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি। এ বিভাগে এলএলবি (সম্মান), এলএলএম, এমফিল এবং আইন ডক্টরেট এলএলডি অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আইনে কলেজগুলোর এলএলবি ডিগ্রিধারীদের জন্য স্বতন্ত্র এলএলএম কোর্স এর আগে দীর্ঘদিন চালু থাকলেও আইন কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে গেলে প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ফলাফল প্রাপ্তিতে স্বল্পতার অজুহাতহেতু অদৃশ্য ইশারায় স্বতন্ত্র এলএলএম প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মাস্টার্স প্রোগ্রামসহ আইবিএ এবং বাণিজ্য অনুষদের এমবিএ প্রোগ্রামে সর্বশ্রেণীর ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়ে আসছেন।ফলাফলের অজুহাত দেখিয়ে এলএলবি ডিগ্রিধারীদের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বতন্ত্র এলএলএম প্রোগ্রাম চালু না রাখা নিতান্তই অযৌক্তিক এবং অমানবিক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব ও অহংকার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিন দিন সম্প্রসারিত হলেও এলএলবি ডিগ্রিধারীদের জন্য চালু থাকা এলএলএম প্রোগ্রাম বন্ধ থাকা জাতির জন্য বিরাট হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।জাতির আইন শিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বশ্রেণীর ফলাফলপ্রাপ্ত এলএলবি ডিগ্রিধারীদের জন্য অনতিবিলম্বে স্বতন্ত্র এলএলএম প্রোগ্রামটি আবার চালু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও যথেষ্ট অবদান রাখার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।মো. তাজুল ইসলাম খানসতীশ সরকার রোড, গেন্ডারিয়া। |
চট্টগ্রামের আনোয়ারার কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) চালু হওয়া কর্ণফুলী সুজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (কেএসআইএল) ১০টি ইউনিটে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।সম্প্রতি বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় কোম্পানিটি এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ২০১২ সালে কেএসআইএলের ১০টি ইউনিট নির্মিত হলেও বিদ্যুৎ-সংযোগের অভাবে এত দিন উৎপাদনে যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।বিদ্যুৎ-সংযোগের অভাবে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকে ইউনিটগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কেইপিজেডে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় কেএসআইএলে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।কেইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক আফতাব উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় জুতা কারখানার জন্য শ্রমিক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’কেইপিজেড সূত্রে জানা যায়, কেএসআইএলে চার ধাপে সর্বমোট ১৬টি ইউনিটে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে চারটি ইউনিটে শ্রমিক নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে বাকি ইউনিটগুলোতে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। ২০১৪ সালের মার্চের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।বর্তমানে কেএসআইএলে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। নতুন নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রতিষ্ঠানটিতে জনবলের সংখ্যা হবে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার।ভারতের বিহারে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদির সভার কাছে দফায় দফায় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৮৩ জন আহত হয়। গতকাল রোববার বিহারের রাজধানী পাটনা শহরে মোদির জনসভার আগে এসব বিস্ফোরণ ঘটে।পুলিশ জানায়, সকালে সভাস্থল গান্ধী ময়দানের আশপাশে অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে। আর পাটনা রেলস্টেশনে একটি বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। সেখান থেকে আরও দুটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী।প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে ঘটনাটির দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিং বলেন, তাঁরা বিহারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন।বোমা বিস্ফোরণ সত্ত্বেও বিকেলে পাটনার গান্ধী ময়দানে বিজেপির নির্ধারিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন মোদি। তিনি তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বিহারের দুই ভাষা ভোজপুরি ও মৈথিলিতে কথা বলে সমবেত ব্যক্তিদের খুশি করে তোলেন।বিজেপির নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি সভায় বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোদির জনসভায় যোগ দেওয়া থেকে তরুণদের কেউ বিরত রাখতে পারবে না। জনগণ কংগ্রেস ও এর সহযোগী দলগুলোর হাত থেকে মুক্তি চায়। বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে।নীতিশ কুমার সরকারের সমালোচনা করে সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বিহারের মুসলমানরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু গুজরাটের সবচেয়ে দ্রুত সমৃদ্ধি অর্জনকারী অঞ্চলগুলোর কয়েকটিতে মুসলমানদের আধিপত্য রয়েছে।বিহারের জনতা দলের (জেডি-ইউ) নেতা নীতিশ কুমারের পক্ষে স্থানীয় মুসলমানদের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে। একসময় জেডি-ইউ ও বিজেপির রাজনৈতিক মৈত্রী ছিল। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর মোদির সঙ্গে নীতিশের দূরত্ব বেড়ে যায়।আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে দেশজুড়ে সভা-সমাবেশসহ প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছে। গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদি উল্লেখযোগ্য রকম অর্থনৈতিক সাফল্য পেয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন বলে অনেকে মনে করছেন। তবে তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। গুজরাটে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় তাঁর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ওই সহিংসতায় অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়, যার অধিকাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। তখনো গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকা মোদি এ জন্য ভুল স্বীকার করেননি। ওই সহিংসতাকালে তাঁর ‘নিষ্ক্রিয় ভূমিকার’ সমালোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এএফপি, এনডিটিভি ও পিটিআই।সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে আগামী জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় শান্তি সম্মেলন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বা উগ্রপন্থী বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাবিয়াস এক ফরাসি বেতার চ্যানেলকে বলেন, সিরিয়া নিয়ে অলস সময় কাটানোর মতো কোনো আলোচনা করা জেনেভা-২ সম্মেলনের লক্ষ্য নয়। এটি হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট আসাদ ব্যতীত দেশটির প্রতিনিধি এবং মধ্যপন্থী বিরোধীদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার একটি আলোচনা।সিরিয়ার বহুধাবিভক্ত বিদ্রোহীদের মধ্যকার জঙ্গিদের দিকে ইঙ্গিত করে ফ্যাবিয়াস আরও বলেন, এটা খুবই কঠিন। কিন্তু এটাই একমাত্র সমাধান।দীর্ঘ বিলম্বের পর সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব ঘোষণা করেন, ২২ জানুয়ারি জেনেভা-২ নামের ওই শান্তি সম্মেলন হবে। সেদিনই এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জোরালো সমর্থন জানায়। এর এক দিন পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বক্তব্য দিলেন।সিরীয় সংকট সমাধানে কয়েক মাস ধরেই এ সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। কিন্তু বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকায় এত দিন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি বলেছেন, শান্তি আলোচনায় সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের তালিকা এখনো তৈরি হয়নি।২০১১ সালের মার্চে আসাদের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরুর পর সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক। এএফপি।দেশের চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন শুরু হয়েছে গত নভেম্বর মাস থেকে। মজার ব্যাপার হলো, গত মৌসুমের অবিক্রীত চিনিতে চিনিকলগুলোর গুদাম বোঝাই। অনেক চিনিকলের গুদামেও ঠাঁই নেই। এ অবস্থায় চিনিকলগুলোতে উৎপাদন শুরু হওয়ায় উৎপাদিত চিনি কোথায় রাখবে, এটিই এখন কর্তৃপক্ষের প্রধান চিন্তার বিষয়।সমস্যার জন্য দায়ী চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা উৎপাদিত চিনির মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করে, যাতে বাজারে তা বিক্রি না হয়। এরপর চাষিদের আখের দাম বাকি পড়ে। মিলের কর্মীদের বেতন-ভাতায় অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়, ব্যাংকঋণের বোঝা বাড়ে, কিন্তু গুদামের চিনি আর বিক্রি হয় না। তারপর যখন সবকিছু বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তখন বাজারদর থেকে কম দামে চিনি বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এতে ক্ষতির শিকার হয় চিনিকলগুলো। যাদের কারণে এটি হয়, তারা অদৃশ্য কারণে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়।চিনির দাম কেন বাজারমূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয় না। কেন মৌসুম শুরুর আগেই আগের বছরের চিনি বিক্রি করে গুদাম খালি করা হয় না। কেন চিনিকলগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় না—এ প্রশ্ন আমার, সবার।আখতারুল আলমলোহাগড়া, নড়াইল। |
দেশের হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদনের মানকে ক্রমান্বয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করার তাগিদ দিয়েছেন হিসাববিদেরা।হিসাববিদেরা আরও বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশের ভেতরে হিসাবরক্ষণ, হিসাব নিরীক্ষণ ও আর্থিক প্রতিবেদনের মানের যে ঘাটতি, তা দূর করা সম্ভব হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার ‘সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন—সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক আর্থিক অনিয়ম দেশের হিসাব ও নিরীক্ষণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে জনগণ আরও বেশি কিছু দেখতে চায়। এখন দরকার সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন, যা প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।সেমিনারে আইসিএবির সাবেক সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আইসিএবির সভাপতি আবদুস সালাম, সাবেক সভাপতি এ বি এম আজিজুদ্দিন প্রমুখ।সিন্ধু নদের পানি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনা করতে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানাতে পারে ইসলামাবাদ। গত শুক্রবার পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী খাজা আসিফ এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।দক্ষিণ এশিয়ার চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু নদের পানির বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৬০ সালে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছে, বাঁধ দিয়ে পাকিস্তানে পানির প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত।পাকিস্তানের পানিমন্ত্রী আসিফ বলেন, চুক্তি পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পানিপ্রবাহে বাধা দেওয়ার জন্য ভারত সিন্ধুর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন নদীতে বাঁধ তৈরি করেছে।সিন্ধুর পানিবিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার সিরাজ মেমন বলেন, ভারতের সাতটি প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ রয়েছে। পিটিআই।অবশেষে আলোর মুখ দেখছে এইচটিসির তৈরি সোনার স্মার্টফোন। ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি বিশেষ এ স্মার্টফোনটির ব্যাপারে অনেক আগে জানা গেলেও এত দিন এর দেখা পায়নি কেউ। এবার সেটি হাতের নাগালে এল। এইচটিসি ওয়ান নামের বিশেষ এ স্মার্টফোনটি এবার এসেছে কিছুটা ভিন্নভাবেই।১৯৯৬ সালে মিউজিক ভিডিওতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মিউজিক অব ব্ল্যাক অরিজিন’ থিমে ‘মোবো অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের মোবো নামের সংস্থার চালু করা এ পুরস্কারটি চলতি বছর ১৮ বছরে পা দিয়েছে।আর তাই এবারের এ উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতেই সোনা দিয়ে পাঁচটি স্মার্টফোন তৈরি করেছে এইচটিসি।এবারই প্রথম এত দামি স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে এসেছে এইচটিসি। তবে শুধু সোনাই নয় নতুন এ স্মার্টফোনেও রয়েছে নানা সুবিধা। ৪.৭ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোনে আছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর, দুই গিগাবাইট র্যাম, ৩২ গিগাবাইট মেমোরি ইত্যাদি। এইচটিসির বিশেষ আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা আছে এতে।এইচটিসি জানায়, সব মিলিয়ে দারুণ এক স্মার্টফোন এইচটিসি ওয়ান। বৈশিষ্ট্য আর ব্যাতিক্রমের দিক দিয়েও স্মার্টফোনটি তৈরিতে ব্যবহারকারীদের পছন্দের বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বেশি।পুরস্কারের ১৮ বছর হওয়ায় ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি স্মার্টফোনটিতে চলতি বছরটি স্মরণীয় করে রাখতে ‘মোবো ১৮’ লেখাও যুক্ত করা হয়।—সিনেট ও এইচটিসি অবলম্বনে কাজী আলমএটিএন বাংলাবেলা ৩-০৫ ঢাকাইয়া পোলা বরিশালের মাইয়া (শাকিব খান, শাবনূর, সাদেক বাচ্চু)।চ্যানেল আইদুপুর ১-৩০ শিরি ফরহাদ (রিয়াজ, শাবনূর)।একুশে টিভিবেলা ১১-৩০ ভাত দে (শাবানা)।দেশ টিভিবেলা ৩-০০ রিক্সাওয়ালার প্রেম।বাংলাভিশনদুপুর ১-০৫ সমাজকে বদলে দাও (মান্না, শাবনূর, রাজ্জাক)।বৈশাখী টিভিসকাল ৮-২০ জামাই শ্বশুর।মাছরাঙা টিভিবেলা ২-৩০ ক্ষত বিক্ষত (মান্না, পূর্ণিমা)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ ফুলের মত বউ।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩০ সীমাবদ্ধ (শর্মিলা ঠাকুর, বরুন চন্দ, হারাধন ব্যানার্জি)ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ ভালোবাসার দিব্যি (মুকেশ খান্না, প্রিয়াঙ্কা, বিনায়ক)।জলসা মুভিজসকাল ৮-০০ চোখের বালি (প্রসেনজিৎ, রাইমা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই)। ১০-০৫ অধিকার (তাপস পাল, লাবনী, সৌমিত্র)। ১-২০ রণক্ষেত্র (প্রসেনজিৎ, শতাব্দী রায়, রঞ্জিত মল্লিক)। ৪-২০ কলকাতা ফুটবল লিগ। সরাসরি। ৬-৩০ দ্বিরাগমন (শতাব্দী রায়, দিলীপ রায়)। ৯-৩০ রান (রাহুল, প্রিয়াঙ্কা)জি টিভিদুপুর ১-০০ গড তুসি গ্রেট হো (অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া)। ৪-০০ কোম্পানি (অজয় দেবগন, বিবেক ওবেরয়, মনীষা কৈরালা, অন্তরা মালি)।জি সিনেমাসকাল ৮-২৭ অন্যায় হি অন্যায়। ১১-০৪ ডিলার দ্য ডেয়ারিং (চিরঞ্জীবি, নম্রতা)। ২-০৬ আফলাতুন (অক্ষয় কুমার, ঊর্মিলা)। ৫-১৯ নায়ক (অনিল কাপুর, রানী মুখার্জি, অমরিশ পুরি, পরেশ রাওয়াল)। ৯-৩০ রাজা হিন্দুস্তানি (আমির খান, কারিশমা কাপুর)।জি প্রিমিয়ারসকাল ১০-০০ সাই বাবা। ১-৩০ উফ কেয়া জাদু মোহাব্বত হ্যায় (সমীর, পূজা)। ৫-৩০ খতরোঁ কে খিলাড়ি (ধর্মেন্দ্র, সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, নীলম)। ৮-৩০ আকাশ বানী (নুসরাত, কিরণ কুমার, গৌতম, প্রাচী শাহ)।সেট ম্যাক্সবেলা ১১-০০ হধ করদি আপনে (গোবিন্দ, রানী মুখার্জি)। ১-৩০ যব তক হ্যায় জান (শাহরুখ কান, ক্যাটরিনা কাইফ)। ৪-০০ চার্লিস অ্যাঞ্জেলস: ফুল থ্রটল (ক্যামেরন ডায়াজ, লুসি লিউ, ড্রিউ ব্যারিমোর)। ৯-৩০ থ্রি ইডিয়টস (আমির খান, কারিনা কাপুর, শরমান যোশি, আর মাধবন)।ফক্স মুভিজসকাল ৮-৫৫ দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড: জুরাসিক পার্ক (জেফ গোল্ডব্লাম, জুলিয়ান মুর)। ১১-০৫ জুরাসিক পার্ক ৩ (স্যাম নিল, টি লেওনি)। ১২-৪০ লাইফ অব পাই (ইরফান খান, সুরজ শর্মা, আদিল হুসাইন)। ২-৫০ দ্য ডে আফটার টুমরো (ডেনিস কোয়াইড, জ্যাক গিলেনহাল)। ৪-৫৫ প্রমিথিউস (শার্লিজ থেরন)। ৭-০০ ড্রেড। ৮-৩৫ সেফ (জেসন স্ট্যাটহ্যাম)। ১০-১০ স্টোলেন (নিকোলাস কেজ)। ১১-৪৫ ওজি দ্য গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল।এইচবিওসকাল ৮-০৬ টোয়াইলাইট (রবার্ট প্যাটিনসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট)। ১০-৩২ অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (জনি ডেপ)। ১২-৪২ দ্য হ্যাংওভার ২ (ব্র্যাডলি কুপার)। ২-৩৮ দ্য ফাইটার (মার্ক ওয়ালবার্গ)। ৪-৫২ হোয়াইট ভেনজেন্স। ৭-৩৬ গোস্ট রাইডার (নিকোলাস কেজ)। ৯-৩০ ন্যাশনাল ট্রেজার (নিকোলাস কেজ, ডায়ানে ক্রুগার)। |
কিছুদিন ধরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন নেলসন ম্যান্ডেলার অবস্থা এখন অনেক ভালো। তিনি এখন বিছানায় উঠে বসতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই নেতার নাতি এমবুসো ম্যান্ডেলা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন।তিন মাস হাসপাতালে থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকেরা ম্যান্ডেলাকে তাঁর জোহানেসবার্গের বাড়িতে পাঠান। সেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে।এমবুসো ম্যান্ডেলা দ্য নিউ এজ পত্রিকাকে বলেন, ম্যান্ডেলা এখন বিছানায় উঠে বসে আশপাশে তাকাতে পারেন। গত মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিনে পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। এমবুসো বলেন, ‘আমি আবার তাঁকে বুধবার দুপুরের খাবারের সময় দেখেছি। তিনি এখন ভালো আছেন।...আমরা সবাই তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছি।’এমবুসো জোর দিয়ে বলেন, ম্যান্ডেলার অবস্থা আগের তুলনায় ‘অনেক ভালো’ এবং তিনি এখন আর পুরোপুরি শয্যাশায়ী নন।নতুন করে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হলে ৯৫ বছর বয়সী ম্যান্ডেলাকে প্রিটোরিয়ার মেডি-ক্লিনিক হার্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৮৬ দিন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল। এএফপি।যানজটে অতিষ্ঠ এক নগর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। নগরবাসীর প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কেটে যায় রাস্তায়। এ অবস্থাকে সহনীয় করতে রাজধানীবাসী সহায়তা নিচ্ছে প্রযুক্তির।যানজট এড়াতে জাকার্তার বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। এ জন্য তারা মূলত বেছে নিয়েছে খুদে বার্তা আদান-প্রদানের সাইট টুইটার।জাকার্তাবাসী যখনই রাস্তায় বের হচ্ছে, তখনই যানজটের পরিস্থিতি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটে টুইট পোস্ট করছে। এতে করে অন্য টুইটার ব্যবহারকারীরা ওই রাস্তার সর্বশেষ যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে সহজেই জানতে পারছে। যখন কেউ জানতে পারছে, সে যে রাস্তায় যেতে চাইছিল, সেই রাস্তায় প্রকট যানজট, তখন সে অন্য রাস্তা খুঁজছে। তাছাড়া কোনো হাঙ্গামার কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পথচারী ভার্চুয়াল মানচিত্রে রাস্তার ওই স্থানে বিশেষ পতাকা উড়িয়ে দিচ্ছে।জাকার্তায় যানজট নিরসনের এই উদ্যোগটা শুরু হয়েছিল বছর চারেক আগে। উদ্যোক্তাদের একজন যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হেন্দ্রি সোয়িলিস্তো। তিনি একটি ওয়েবসাইট চালু করেছিলেন, যার নাম ‘লিওয়াতমানা ডটকম’। লিওয়াতমানা শব্দটির অর্থ ‘কোথা থেকে কোথায়’। তিনি তাঁর ওয়েবসাইটটির সঙ্গে টুইটারের সংযোগ স্থাপন করেন। ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাকার্তার পথচারীরা রাস্তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে টুইট করার সুযোগ পায়।সোয়িলিস্তো বার্তা সংস্থা এফপিকে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার মানুষ তাদের ফেসবুক বা টুইটারে নিয়মিত সর্বশেষ অবস্থা জানায়। কাজেই আমরা চিন্তা করলাম, রাস্তায় যানজটের অবস্থাটি সেভাবে নিজেদের মধ্যে জানাজানি হলে কেমন হয়?’‘লিওয়াতমানা ডটকমে’ প্রথম দিকে প্রতি মাসে ১৪ হাজারের মতো টুইট আসত। এখন তাদের টুইটার অনুসরণকারীর সংখ্যা দুই লাখের মতো। এএফপি।কয়েকটি দৃশ্য প্রায়ই আমরা দেখতে পাই। কিন্তু এসব যে ভদ্রতারই অংশ তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এই যেমন আপনার মা, বোন, স্ত্রী বা কোনো মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছেন। অনেক সময় আমরা খেয়াল রাখি না, তিনি সমানতালে হাঁটছেন কি না। তাঁকে পেছনে ফেলে হয়তো হনহন করে হেঁটে যাই। ছোট বিষয়। কখনো হয়তো আপনার মনেই হয়নি এটি আমলে নেওয়ার মতো কিছু। কিংবা সৌজন্যতার পরিচয়। যখন জানলেন, তখন অবশ্যই তিনি যে গতিতে হাঁটছেন আপনিও সেভাবে হাঁটবেন। তাঁর হাতে কোনো ভারী ব্যাগ থাকলে অবশ্যই নিজে নিয়ে নেবেন। এই সামান্য সৌজন্যতায় তিনি খুশিই হবেন।আরেকটি বিষয় দেখা যায়, কোনো একজন নারীর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছেন। গাড়ি থেকে নামতে বা উঠতে অনেক সময় গাড়ির দরজা খুলে দিই না। কেউ কেউ ভাবেন, এটি গাড়ির চালকের কাজ। তা নয়। কোনো নারী আপনার গাড়িতে থাকলে তাঁকে ওঠা বা নামার সময় দরজা খুলে দেওয়া সৌজন্যতারই পরিচয়।অনেকে বাড়ির স্ত্রী, কন্যা বা গৃহপরিচারিকার সঙ্গে উচ্চকণ্ঠে কথা বলেন। নারীর সঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। অপরিচিত কাউকে শুরুতে তুমি সম্বোধন করা ঠিক নয়।এমনকি কর্মক্ষেত্রে নারী সহকর্মীর অস্বস্তির কারণ হবে, এমন কোনো কাজ বা কথা বলা উচিত নয়। ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে এসব শিক্ষা দিতে হবে। শুধু প্রতিষ্ঠিত হলেই হবে না, এসব না থাকলে অমায়িক বিনয়ী হতে পারবে না।সঙ্গী নারী বলে, তাঁর কোনো কথাকে গুরুত্ব দেবেন না। এসবও ঠিক নয়। সঙ্গী কোনো মতামত দিলে তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এরপর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাঁর মতামত ভেবে দেখতে হবে।বাসে বা অন্য কোনো গণপরিবহনে নারী বিশেষ করে কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে নিজের আসন তাঁকে ছেড়ে দেওয়াও ভদ্রতা। এসব ছোট ছোট বিষয় প্রতিদিন চর্চা করলে দেখবেন জীবন কত সুন্দর।লেখক: মানবাধিকারকর্মীতথ্য ও বিনোদনপ্রেমরোগকথাবন্ধু শারমীন ও লাভ সিক বিপির সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস[দুপুর ১২টা-বেলা তিনটা]এবিসি খবর[সকাল ০৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়] |
চট্টগ্রাম বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে আটকে যাওয়া জাহাজ এমভি গ্লাডিসকে বহির্নোঙরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত ভোররাতে জোয়ারের সময় এটি সরানো হয়।গত বুধবার বিকেলে বহির্নোঙর থেকে জেটিতে ভেড়ানোর পথে বন্দরের প্রবেশমুখের অদূরে জাহাজটির তলদেশ মাটিতে আটকে যায়। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জাহাজটি সাগর থেকে জেটিতে না আনতে মতামত দিয়েছিলেন বন্দরের দুজন পাইলট।এ জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক কাজী শহীদ মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন বহির্নোঙরে জাহাজটি থেকে কিছুসংখ্যক কনটেইনার অন্য একটি জাহাজে খালাস করা হবে। এর পরই জেটিতে ভেড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করব।’ এর আগে গত ৩০ জুলাই মিয়ানমারের উপকূলের কাছে আন্দামান সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় জাহাজটির। ১৪ সেপ্টেম্বর জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায়। জাহাজটিতে ৩৩৮টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা ৮৪৯ কনটেইনার পণ্য আছে।প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে বিশ্ব। এই যুগে রূপকথার বই পড়ার চেয়ে মাউসে ক্লিক করতেই বেশি ভালোবাসে শিশুরা। রং-তুলি নিয়ে ছবি আঁকার চেয়ে ভালোবাসে গেমস খেলতে। আর লেখালেখির চেয়ে বেশি উৎসাহ ইন্টারনেটে উঁকিঝুঁকি দেওয়ায়। এতে শিশুদের কল্পনার বর্ণিল রাজ্যটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন হূতিক রোশন। শিশুদের আরও বেশি লেখালেখির পরামর্শ দিয়েছেন বলিউডের সুপারহিরো ‘কৃষ’।১ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে কৃষ থ্রি। এই ছবির প্রচারণা করতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানিয়েছেন হূতিক। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিবেক ওবেরয় ও কঙ্গনা রনৌত। আইএএনএস।জাতীয় জরিপ বলছে, দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ আয়োডিনস্বল্পতায় ভুগছে। এই স্বল্পতা শহরের চেয়ে গ্রামে এবং শিশু ও নারীর মধ্যে বেশি। অন্যদিকে আয়োডিন বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতারও অভাব আছে।জাতীয় অনুপুষ্টি জরিপ (২০১১-১৩) শিরোনামের জরিপটি করেছে সরকারের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), ইউনিসেফ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গেইন। আইসিডিডিআরবির পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা কেন্দ্রের পরিচালক তাহমিদ আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার আয়োডিনস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র তৈরিবিষয়ক কর্মশালায় জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইনিশিয়েটিভ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করে।তাহমিদ আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সী এক হাজার ৩৫০ জন শিশু এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী দেড় হাজার নারীর (শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান না এমন নারী) প্রস্রাবের নমুনা বিশ্লেষণ করে আয়োডিনের এ তথ্যা পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রি হয় এমন ৭৫ শতাংশ লবণে প্রয়োজনীয় মাত্রায় আয়োডিন আছে। শহরে ও গ্রামে এই হার যথাক্রমে ৯২ ও ৭০ শতাংশ। কৃষিনির্ভর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রা কম দেখা গেছে। অন্যদিকে শহরের বস্তি এলাকায় এর পরিমাণ বেশি দেখা গেছে। এর কারণ হয়তো এই যে, বস্তির মানুষ প্যাকেটের লবণ বেশি খায়।অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আয়োডিনের স্বল্পতার কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আয়োডিনস্বল্পতার কারণে মানুষ গলগণ্ড রোগে আক্রান্ত হয়। কর্মশালায় অন্যান্যের সঙ্গে পুষ্টিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লবণ মিল মালিক সমিতির কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বিসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একাধিক অংশগ্রহণকারী বলেন, প্রায় দুই দশক ধরে আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চললেও এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।আয়োডিনযুক্ত লবণ বিষয়ে মানুষের সচেতনতার বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে। জরিপের এই অংশটি উপস্থাপনের সময় গেইনের কর্মকর্তা সাবুক্তাগিন রহমান বলেন, ২৭ শতাংশ খুচরা দোকানদার লবণ আইন সম্পর্কে জানেন। ৬৯ শতাংশ পরিবার আয়োডিনযুক্ত লবণের কথা শুনলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে ৬৪ শতাংশ। খাওয়ার সময় পাতে যাঁরা লবণ নেন, তাঁরা আয়োডিনস্বল্পতায় কম আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগে আক্রান্ত মানুষের জন্য করণীয় নির্ধারণে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হওয়া দরকার—এমন মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।খুচরা দোকানের লবণে আয়োডিনের পরিমাণ পরিবারে ব্যবহার করা লবণের চেয়ে বেশি পেয়েছেন গবেষকেরা। এর কারণ, পরিবারে লবণ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, লবণ খোলা পাত্রে রাখলে বাতাসে আয়োডিন উবে যায়। অধিক আলো ও তাপে আয়োডিনযুক্ত লবণ রাখলে আয়োডিনের পরিমাণ কমে যায়।সুপারিশে আয়োডিন বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে যুক্ত করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষসহ নীতিনির্ধারকদের বোঝাতে হবে, লবণে আয়োডিন মেশালে দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিদ্যমান আইন যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। স্কুলপর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞরা।জাতীয় জাদুঘরফেলে আসা দিনের গান। আয়োজন করেছে সৃজন। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র, গুলশানজেমস ও নগরবাউলের গান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিশিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজন। জয়নুল আবেদিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী ‘শিল্পাচার্যের প্রসারিত শিল্পাঙ্গন’। চলবে।বেঙ্গল লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউকাশেফ মাহবুব চৌধুরীর স্থাপত্যকলা প্রদর্শনী ‘ধীর জন্মেই জীবন’। চলবে।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড্ভালোবাসা আজকাল ও উধাও। সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০ ও বিকেল সাড়ে চারটায়। স্পিড: বেলা একটা ৪০ ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা ১১টা ১০, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য হাঙ্গার গেমস: সকাল ১০টা ৫০, বেলা পৌনে দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। |
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেছেন, ‘জীবনের প্রতি হুমকির’ কারণেই তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাননি। তাঁর পরিবর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিয়াস জানু জাতিসংঘে গেছেন।চীন সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন মাদুরো। এরপর তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, চীন থেকে ফেরার পথে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে পৌঁছে তিনি দুটি ‘মারাত্মক প্ররোচনার’ তথ্য জানতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জাতিসংঘ সফর বাতিল করে সরাসরি দেশে ফিরেছেন। মাদুরো বলেন, ‘আমি ভ্যাঙ্কুভারে পৌঁছে বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্য পাই। এরপর নিজের জীবন রক্ষার্থে আমি দেশে ফিরে এসেছি।’ তিনি বলেন, দুটি প্ররোচনার একটি হলো তাঁর জীবননাশের ষড়যন্ত্র এবং অন্যটি তিনি নিউইয়র্কে গেলে সেখানে সহিংসতার পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র এসব পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানে বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। তিনি বলেন, ‘এ জন্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাকের ডগায় এসব ঘটতে পারছে।’চলতি মাসের শুরুর দিকে এক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর মাদুরো দাবি করেন, খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে হোয়াইট হাউস ভেনেজুয়েলার সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।মাদুরোর পূর্বসূরি জনপ্রিয় বিপ্লবী নেতা প্রয়াত হুগো চাভেজও প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ করতেন। এএফপি।জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুঠোফোনে সম্ভবত ২০০২ সালেই আড়ি পাতা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১০ সাল থেকে এই নজরদারির বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে জানেন। গতকাল রোববার জার্মানির গণমাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে।এদিকে মার্কিন সরকারের গোপন নজরদারি প্রকল্পের বিরুদ্ধে গত শনিবার ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে।জার্মানির পত্রিকা বিল্ড আম জনটাগ-এর এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) প্রধান কিথ আলেকজান্ডার ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে জার্মান চ্যান্সেলরের মুঠোফোনে আড়ি পাতার বিষয়টি জানান। কিন্তু ওবামা তা বন্ধ করতে না বলে বরং চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানান।জার্মানির বহুল প্রচারিত সাময়িকী ডের স্পিগেল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০০২ সালে আড়ি পাতার জন্য যেসব ফোনের তালিকা করেছিল, তাতে ম্যার্কেলের মুঠোফোনও ছিল। তখন থেকে শুরু করে গত জুনে ওবামার জার্মানি সফরের কয়েক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ম্যার্কেলের মুঠোফোনে নজরদারি করা হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির বরাত দিয়ে ডের স্পিগেল এসব বিষয় প্রকাশ করে।চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ফোনে মার্কিন গোয়েন্দাগিরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ জার্মানি বিষয়টি তদন্তের জন্য ওয়াশিংটনে পাঠাচ্ছে তাদের গোয়েন্দাপ্রধানকে। তবে এর আগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা সুসান রাইস বলেন, ওবামা জার্মান চ্যান্সেলরের ফোনে নজরদারির বিষয়ে কিছুই জানতেন না।যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে নেতৃবৃন্দের ওপর নজরদারি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে বিশেষ করে আলোচনায় এসেছে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের নাম।পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, জাতিসংঘে জার্মানি ও ব্রাজিলের প্রতিনিধিরা অতিরিক্ত মার্কিন নজরদারির বিরুদ্ধে প্রস্তাবের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জাতিসংঘের কয়েকজন দূত জানিয়েছেন, ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে ওই প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।কোনো দেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানতে বাধ্য নয়। তবে এই পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মহলে নৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।ইতালির ফোনে নজরদারির অভিযোগ: ইতালির ফোনকল ও অনলাইন তৎপরতায় বিশাল আকারে নজরদারি করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। স্নোডেনের বরাত দিয়ে ইতালির সাপ্তাহিক এল’এসপ্রেসো এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেত্তা মার্কিন ও ব্রিটিশ নজরদারিকে ‘অমার্জনীয় ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।নতুন ১৩টি টিভি চ্যানেলের অনুমোদনের বরাতে এই সরকারের আমলে টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স বিতরণের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১। এর বাইরে রয়েছে ১৪টি রেডিওর লাইসেন্স দেওয়ার ঘটনাও। সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে সুবিধা বিতরণের নাম এখন গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান।পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরের প্রথম দশকেও দুর্নীতির প্রধান ক্ষেত্র ছিল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সুবিধা বিতরণ তথা লাইসেন্স পারমিট বিতরণ। সে সময় একে পারমিট-ব্যবসা হিসেবেও অভিহিত করা হতো। ব্যবসার লাইসেন্স পারমিট দেওয়ার ক্ষমতা যিনি রাখেন, আর যাঁরা সেগুলো পেতেন; উভয়ই সাধারণত এক দলের হতেন। পাশাপাশি এই বিতরণের মধ্যে অর্থ ও সুবিধার লেনদেনের একটা ব্যাপার ছিল। অতীতের এই ব্যাধি সংক্রমিত হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি স্তরে।সরকারের শেষ সময়ে এবং নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের নাম ব্যবহার করে এভাবে মন্ত্রী-সাংসদ-নেতাদের সুবিধা প্রদান দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর সংবাদ দেখাচ্ছে, নতুন ১৩টি টিভি চ্যানেল ও ১৪টি রেডিওর লাইসেন্স যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত। যেখানে নির্বাচনকালীন সরকারের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে যাওয়ার কথা নয়, সেখানে এভাবে অকাতরে লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে না। এটা কেবল ক্ষমতার অপব্যবহারই নয়, এভাবে লাইসেন্স কেনাবেচার গর্হিত তৎপরতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সুস্থ ধারার প্রতিযোগিতামূলক গণমাধ্যমের পরিবেশ নষ্টও করা হচ্ছে। দলের লোকদের গণমাধ্যম-ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির চেয়েও মন্দ ব্যাপার হলো, সরকার এভাবে গণমাধ্যমজগতে দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিশ্চিত করতে চাইছে।অযোগ্য, অদক্ষ ব্যক্তিরা মালিকানার জোরে গণমাধ্যমশিল্পকে পকেটে পুরতে পারছেন রাজনীতিবিদদের সহযোগিতায়। রাজনীতি আর ব্যবসা-বাণিজ্যের যোগসাজশে রাজনীতি ও ব্যবসা উভয়ই কলুষিত হচ্ছে। একইভাবে ব্যবসা ও রাজনীতিকে গণমাধ্যমের বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অস্ত্র হচ্ছে বাছবিচারহীনভাবে লাইসেন্স দেওয়ার এই ঘটনা। এটাই কি তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ? আমরা এ ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। টিভি ও রেডিওর অনুমোদনের ব্যাপারে যে সুবিধাবাদী নজির স্থাপন করা হলো, তা পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।১ উইকেটে ১৮১। ফুরফুরে মেজাজেই ডারবান টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছিল ভারত। বিজয় মুরালির চোখে ঝিকমিক করছিল শতক হাঁকানোর স্বপ্ন! চেতেশ্বর পূজারার চোখও তখন বড় ইনিংসের দিকে। আর ভারত? অবশ্যই আরেকটি রানের পাহাড় গড়ার লক্ষ্য। না, কিছুই হয়নি। মুরালি পারেননি শতক হাঁকাতে, পূজারা যেতে পারেননি খুব বেশি দূর। আর ভারতেরও গড়া হয়নি রানের পাহাড়!১ উইকেটে ১৯৮ থেকে ৩৩৪ রানে অলআউট। শেষ ১৩৬ রানেই পড়েছে নয় উইকেট! ভারতের এত বড় সর্বনাশ কে করল? নামটি ডেল স্টেইন! প্রথম ইনিংসে ভারতীয়রা ভালোই ভুগিয়েছিল তাঁকে। ডারবানে সেটিরই যেন শোধ তুললেন আজ। গতি, বাউন্স, সর্পিল সুইংয়ে রীতিমতো নাকের জল, চোখের জল এক করে ছেড়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। পূজারা ৭০ রানের মাথায় স্টেইনের যে বলে আউট হলেন, সেটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। অফস্টাম্পে মাপা বল। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে সূক্ষ্ম গড়বড়। ব্যস, তাতেই কম্ম সারা! ব্যাট ছুঁয়ে বল আশ্রয় নিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের গ্লাভসে।কিংবা মুরালি বিজয় যে বলটিতে আউট হলেন সেটিও কি কম ভয়ংকর! গায়ের ওপর উঠে আসা শর্ট বল কোনোমতে ঠেকাতে গিয়ে নিজ হাতে খুন করলেন অসাধারণ ইনিংসটিকে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতক থেকে মাত্র তিন রান দূরে থাকতেই নিজের মূল্যবান উইকেটটি তুলে দিলেন স্টেইনের হাতে। এভাবে ডেল স্টেইনের আগুনে পুড়ে খাক হলো ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।অজিঙ্কা রাহানে অবশ্য শেষ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে সহায়তা করার মতো কেউ ছিলেন না। আসলে স্টেইন আর মরকেলের তোপে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া করার কিছু ছিলও না ভারতের। ৩৩৪ রানেই থামে ভারতের প্রথম ইনিংস। স্টেইনের ঝুলিতে পড়ে ৬টি, মরকেলের ৩টি ও ডুমিনির ১টি উইকেট।দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুটা হয়েছে বেশ। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ ১৩.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪। পিটারসেন ২৪ ও স্মিথ ৩০ রানে ব্যাট করছেন। |
বিসিকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিটি) নতুন ও বিদ্যমান শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করছে।‘উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের কৌশল’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কোর্স ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় নির্ণয়, ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্র ও কৌশলসমূহ বিশ্লেষণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রান্তিক ব্যয় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপায় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।যোগাযোগের ঠিকানা: স্কিটি, প্লট ২৪/এ, সড়ক ১৩/এ, সেক্টর ৬, উত্তরা, ঢাকা। ফোন: ৮৯১১৯৬৯, ০১৭৩৮৯০২৪০৮। বিজ্ঞপ্তি।‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাব...’—পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ছবির গানটি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন চন্দন সিনহা। কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন কৌশিক হোসেন। আর পর্দায় গানটির সঙ্গে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও জয়া আহসান।চন্দন সিনহা এর আগে প্রয়াত পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের শীর্ষবিন্দু, জোয়ার ভাটা ও এক জনমে ধারাবাহিক নাটকের শিরোনাম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সব কটি গানই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন চলচ্চিত্রের গানেও।পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এবার ঈদুল আজহায়। তার আগেই এসেছে ছবিটির গান নিয়ে অডিও অ্যালবাম। ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাব...’ গানটি জনপ্রিয় হওয়ার পর চন্দন সিনহা বলেন, ‘গানই আমার প্রাণ। সংখ্যা নয়, আমি ভালো গান গাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাসী। “আমি নিঃস্ব হয়ে যাব...” গানটি শ্রোতারা শুনছেন, অনেকের কাছ থেকেই প্রশংসা পাচ্ছি। এতটা জনপ্রিয় হবে, আগে ভাবিনি। গানটি অসংখ্য দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছে, তাই ভালো লাগছে।’প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার হুমকি দিয়ে চলেছে, তখন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোমবার সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন। ফলে আগামী ৫ জানুয়ারি ঘোষিত নির্বাচনটি একতরফাভাবেই সম্পন্ন করার প্রয়াস স্পষ্টতর হলো। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এটি বাড়তি উদ্বেগ যোগ করেছে। কেননা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (প্রনিক) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ‘আনন্দঘন পরিবেশে’। যেকোনো জাতীয় নির্বাচন ঘিরে গোটা জাতির আশাবাদ এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এখন বাস্তবতা উল্টো। বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোট এই ‘একতরফা’ নির্বাচন প্রতিহত করতে পূর্ণ মাত্রায় তৎপর হলে কী বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা ভেবে আমরা যারপরনাই উদ্বিগ্ন।কিন্তু সত্যিই আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হতো, যদি প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিত। যদিও নির্বাচন কমিশনের এমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই যে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর পরেই কেবল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়, তবু অবস্থাদৃষ্টে আমাদের বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে পারত। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রথম বিবেচনা হওয়া উচিত একটি সর্বজনগ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যে নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিযোগী দলের একটি অনুপস্থিত থাকে, সেটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশ্বের ইতিহাসে তো নয়ই, বাংলাদেশের ইতিহাসেও এমন নজির নেই। আওয়ামী লীগের বর্জনের মুখে বিএনপি সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য একতরফা নির্বাচনের একটি বড় দৃষ্টান্ত।সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মনে রাখা উচিত, তাদের যেকোনো পদক্ষেপের সাংবিধানিক ও আইনি বৈধতার (লিগ্যালিটি) চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের জনগণের কাছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা (লেজিটিমেসি)। স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যার ফলে মনে হতে পারে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।তবে তাদের হাতে এখনো সপ্তাহ দুই সময় আছে। সময় আছে সরকারের হাতেও, এবং আমরা বিশ্বাস করি, সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে এই সময়ের মধ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে পারে। সরকারকে প্রথমে এই আন্তরিকতা দৃশ্যমান করে তুলতে হবে যে তারা সব দলের অংশগ্রহণে একটি সবর্জনগ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়; আওয়ামী লীগ সত্যিই চায় যে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এই চাওয়া প্রকৃত চাওয়া হলে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অনিষ্পন্ন বিরোধের একটা মীমাংসা খুঁজে পাওয়া এখনো সম্ভব।শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকারেরও বোঝা উচিত যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন দেশে-বিদেশে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হওয়া সম্ভব নয়।চলতি ওয়ানডে সিরিজে পরপর তিন ম্যাচে টসে জিতেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। টসভাগ্য ভালো হলেও সিরিজ ভাগ্য ভালো নয় লঙ্কান অধিনায়কের! সিরিজ নিষ্পত্তি হয়েছে গত ম্যাচেই। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ তাই শুধুই নিয়ম রক্ষার। আর আজ টসভাগ্য ফিরল পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের। টসে জিতে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।পাকিস্তান ইনিংসে উইকেটের পতন শুরু মাত্র ৩০ রানে, লাকমলের বলে আহমেদ শেহজাদ (১৭) ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। ৭০ রানে পাকিস্তানের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান সজঘরের রাস্তা ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে শারজিল খান (১৮) ও সোহেব মাকসুদের (৭) উইকেট। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ আজও বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি ‘দ্য প্রফেসর’। বিপজ্জনক হওয়ার আগেই হাফিজকে ফেরান ম্যাথুস। করেন ৪১। চলতি সিরিজের আগে সর্বশেষ ছয় ম্যাচে ৮৮ রান করা হাফিজ দুর্দান্তভাবে বদলে ফেলছেন নিজেকে। চলতি সিরিজে তাঁর রান দাঁড়িয়েছে ৪৪৮, গড় ১৪৯.৩৩!দল বিপদে পড়লেই মিসবাহ হাজির হবেন ত্রাণকর্তা হিসেবে, তুলে নিবেন অসাধারণ এক অর্ধশতক! এ যেন পাকিস্তানের ইনিংসের নিত্যচিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজও তা-ই হলো! ‘মিস্টার ফিফটি’ তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম অর্ধশতক। মালিঙ্গার বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৫১।১৭৬ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের ২০০ পেরোবে কি না, সংশয় ছিল। যাবতীয় সন্দেহ-সংশয় ফুত্কারে উড়িয়ে বোলার আনোয়ার আলী হাজির হলেন ‘ব্যাটসম্যান’ হিসেবে! মূলত আনোয়ারের ৩৮ বলে ৪১ রানের সুবাদেই পাকিস্তানের ইনিংস ভদ্রস্থ হয়। ৪৯.৩ ওভারে পাকিস্তান অলআউট হয় ২৩২ রানে। লঙ্কানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মালিঙ্গা, নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এ ছাড়া লাকমল ৩টি, ম্যাথুস ও মেন্ডিস পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। |
ময়নাতদন্ত, লাশ বহন আর সৎকারের কাজ করে থাকেন ডোম সম্প্রদায়েরা মানুষেরা। ভারতীয় সমাজে অন্ত্যজ হিসেবে পরিচিত তাঁরা। তবে তাঁদের মধ্যে যাঁরা লাশকাটা ঘর বা মর্গে কাজ করেন, তাঁদের এখন থেকে আর ডোম না বলে ‘মর্গ অ্যাটেনডেন্ট’ বলা হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর। এখন ডোমদের সরকারিভাবে ময়নাতদন্তের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাঁদের নতুন নাম দেওয়া হবে মর্গ অ্যাটেনডেন্ট বা প্রসেকটর। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কারাগারের নামও বদলে রাখা হয় সংশোধনাগার। কলকাতা প্রতিনিধি।শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল গাভাস্কার, লিওনেল মেসি ও ম্যারাডোনা—ক্রিকেট ও ফুটবলমাঠের একেকজন মহাতারকা। তাঁদের মধ্যে আরেকটা মিল হলো উচ্চতার দিক থেকে তাঁরা সবাই ‘ছোট’। তবে প্রতিভা আর পরিশ্রম দিয়ে আকাশছোঁয়া উচ্চতায় নিয়ে গেছেন নিজেদের। এই তালিকায় আছেন আমাদের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। আর নতুন করে নাম লেখালেন মুমিনুল হক। দুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর যেভাবে ছড়ি ঘোরালেন, তাতে করে মুমিনুলকে ধন্যি মানছে সবাই।নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তো স্বীকারই করলেন, দেখে আন্দাজই করতে পারেননি মুমিনুল কী করতে পারেন আর পারেন না! টেস্ট সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার গেছে মুমিনুলের ঘরে। তাই ম্যাককালামদের চিন্তার শেষ নেই। মুমিনুলের ব্যাটিং পর্যবেক্ষণের জন্য রীতিমতো গবেষণাই করতে হচ্ছে তাঁদের। দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নিউজিল্যান্ড দলকে এই গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি দিলেও দিতে পারে। মুমিনুল অবশ্য এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না। না ঘামানোই উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুমিনুলকে মুমিনুলের মতো খেলতে দাও, ও নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছে।তবে বিপাকে পড়েছে গুঁড়া দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে গুঁড়া দুধের বিজ্ঞাপনে দেখানো হতো, ‘অমুক দুধ খেলে আপনার সন্তান বেড়ে উঠবে দ্রুত।’ কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। মুমিনুলকে দেখার পর থেকে উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় দেশের কিশোর-তরুণেরা। তাই গুঁড়া দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিজ্ঞাপনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। অচিরেই হয়তো তারা বলবে, ‘অমুক দুধ খেলে আপনার সন্তান হবে মুমিনুলের মতো!’বিয়ের পর বাবার বাড়িতেই সংসার গেড়েছেন। ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকেই ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে এখানেই অভিষেকের সুখের সংসার। এ বাড়িতেই ঘর আলো করে এসেছে আরাধ্য। কিন্তু ঐশ্বরিয়া নাকি আর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে রাজি নন। চাইছেন আলাদা সংসার! মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকতে চান বলেই ঐশ্বরিয়ার দাবি মেনে অভিষেক নতুন বাড়ি খুঁজছেন বলেই খবর।শোনা যাচ্ছে, শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। ঐশ্বরিয়ার স্বাধীন চলাফেরায় জয়া নাকি খবরদারি করেন। এমনকি ঐশ্বরিয়ার পেশাগত জীবনের সব বৃত্তান্তও জানাতে হয়। বউ-শাশুড়ির চিরন্তন যুদ্ধ মেনেই আলাদা সংসার! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাহারায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নির্বাচন কমিশন যৌথ বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করেছে। খবর ইউএনবির।শনিবার সকালের মধ্যে ৫৯ জেলায় ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্র।সচরাচর পুলিশ পাহারায় নির্বাচনী সামগ্রী রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার কারণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির প্রধানদের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাওয়া হয়।নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ১৪৬টি নির্বাচনী এলাকার চার কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার ভোটারের জন্য চার কোটি ৩৮ লাখ ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এক হাজার অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়েছে।১৫৪ আসনে একক প্রার্থী থাকার কারণে দেশের নয় কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৭ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় চার কোটি ৮৩ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন না। দেশের পাঁচ জেলা শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, জয়পুরহাট এবং রাজবাড়িতে ৫ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে না একক প্রার্থীর কারণে।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের আগে ও পরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো এবং নিয়ে আসতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে হেলিকপ্টার চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ৫ জানুয়ারি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দল। নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। |
যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও তাঁর স্ত্রী বারবারা গত শনিবার এক সমকামী নারী দম্পতির বিয়েতে অংশ নিয়েছেন। মেইন অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত এ বিয়েতে তাঁরা সাক্ষী ছিলেন। সমকামী বিয়ে বৈধ যুক্তরাষ্ট্রের এমন মাত্র ১৩টি অঙ্গরাজ্যের একটি মেইন। বুশের এক মুখপাত্র গত বুধবার জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী মেইনের কেনেবাঙ্ক শহরের বাসিন্দা সমকামী নারী বনি ক্লেমেন্ট ও হেলেন থরগালসেনের বিয়ের অনুষ্ঠানে সাক্ষী হিসেবে যোগ দেন। কেনেবাঙ্ক থেকে প্রায় চার মাইল দূরেই কেনেবাঙ্কপোর্ট শহরে জর্জ ডব্লিউ বুশের জমি রয়েছে। সমলিঙ্গের বিয়ে জোরালোভাবে সমর্থন করেন—এমন অন্য উল্লেখযোগ্য রিপাবলিকান নেতার মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি এবং ওহাইওর সিনেটর রব পোর্টম্যান। রয়টার্স।হনুলুলুর খুব সাজানো-গোছানো এক শহর, নামটা খুব সম্ভবত...থাক বাদ দিন। হবে কিছু একটা। সেখানে বাস করত এক চোর। বাংলাদেশি বংশোাদ্ভূত হনুলুলিয়ান এক চোর। বেশ খ্যাতিমান চোর ছিল। ধারণা করা হয়, চোর মুলুকে যেকোনো তালা কিংবা পাসওয়ার্ড ভাঙায় এখন পর্যন্ত তার বিকল্প নেই। তার জীবনদর্শন ছিল, চুরি হচ্ছে একধরনের শিল্প, ইটস অ্যান আর্ট। এটা উপলব্ধি করার বিষয়। অন্তরে ধারণ করার বিষয়। তাই রাতের আঁধারে নো চুরি-চামারি। যা হবে সব দিনের আলোর মতো পরিষ্কার থাকতে হবে। বুঝতেই পারছেন, সেই চোর চুরি করত পরিষ্কার দিনের আলোয়।অন্যদিকে দেশে, মানে বাংলাদেশে বাস করতেন সেই প্রভাবশালী চোরের মা। স্বভাবতই তিনি জানতেন না তাঁর ছেলে হনুলুলুতে কী কাজ করে। তবে এটুকু বুঝতেন যে ছেলে ভালো একটা জব করে এবং তাকে প্রতি মাসেই বেশ মোটাসোটা কোনো নেকলেস পাঠায়। গুড, খুবই ভালো কথা। তবে নেকলেস পাঠায় কেন? অন্য কিছু নয় কেন? হোয়াই?ঘটনা হচ্ছে, ছোটবেলা থেকেই চোরের মায়ের গলা কিঞ্চিত বড়। খুব যে বেশি বড়, তা নয়। জাস্ট সাড়ে ৭ ইঞ্চি লম্বা। আর এ কারণে গলার যেকোনো অলংকারে তাঁকে খুব মানাত। তাঁর জীবনের অন্যতম একটি শখ ছিল, গলাভর্তি গয়না পরা। সেই শখ পূরণ করতেই ছেলে তাঁকে প্রতি মাসে টাকাপয়সা ছাড়াও একটা করে নেকলেস পাঠাত। তবে ছোট্ট একটা ঝামেলা হচ্ছিল। গয়নায় মন ভরছিল ঠিকই, কিন্তু গলা তো ভরছিল না। দিন যায়, মাস যায়, মাসের পর বছর যায়, কিন্তু গলা তো আর ভরে না।এমন সময় কোথায় যেন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাঁর ছেলে। জব্দ করা হয় তার সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট। চোরের মাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পড়ে হনুলুলুতে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশি হাইকমিশনারের কাঁধে। সোজা চোরের গ্রামে চলে যান তিনি। খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন, এই এলাকায় চোরের মাকে কেউ চেনে না। তবে ওই যে, ‘প্রবাসীর বড় গলাওয়ালা মা’ বলতেই সবাই চিনে ফেলল। কথিত আছে, তখন থেকেই নাকি বাংলাদেশে এক নতুন প্রবাদের জন্ম হয়—চোরের মায়ের বড় গলা।প্রতিবছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম অ্যাগেইনস্ট জেন্ডারবেজড ভায়োলেন্স’ শীর্ষক এক কর্মসূচি পালন করে সারা বিশ্ব। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং এ ব্যাপারে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিকভাবে এ কর্মসূচি ১৯৯১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এ বছর জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ সরকার ও কমিউনিটি পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অন্য উন্নয়ন-সহযোগীদের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ। দেশটিতে নারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি। আর্থসামাজিক উন্নয়ন সূচকে গত এক দশকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। গত এক দশকে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে নারীর প্রবেশ ঘটেছে।তবে দুর্ভাগ্যক্রমে এ অগ্রগতির যাত্রায় একটি ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ । এদেশের নারীরা এখনও নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১১-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ দেশের ৮৭ শতাংশ নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হন। লিঙ্গভিত্তিক অসমতার সূচকে ১৮৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬।বাংলাদেশে নারীর ওপর এ নির্যাতন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা দেশটিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, নারীর ওপর নিপীড়নকে উৎসাহিত করছে এবং নারীর প্রজননস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ তার সাড়ে সাত কোটি নারী ও কন্যাশিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, যাতে তারা দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে।এ বছর ‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম’ কর্মসূচি চলার সময় ইউএনএফপিএ নারীর প্রতি সহিংসতা অবসানে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেন এনগেজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করছে। ইউএনএফপিএ গণমাধ্যমের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করছে। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষ ও বালকদের ভূমিকাকে আরও জোরদার করার জন্য এ সংস্থাটি তাদের নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি যুবসমাজকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়েও উদ্যোগ নিয়েছে।‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়াও ইউএনএফপিএ বছরজুড়েই নারীর প্রতি সহিংসতা অবসানে কাজ করে যাচ্ছে। সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাশিশুদের সমর্থন ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ইউএনএফপিএ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া সংস্থাটি নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহের ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় থানাকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।পোশাকশিল্পে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ইউএনএফপিএ তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং আইন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া নারীর ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে ইউএনএফপিএ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম’ হতে পারে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের লক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচির একটি মাধ্যম। পৃথিবীতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা আর একটিও যেন না ঘটে, নারী ও কন্যাশিশুরা যাতে একটি নির্যাতনমুক্ত ও ভয়হীন পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ইউএনএফপিএ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে।তথ্যসূত্র: ইউএনএফপিএরাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮৬ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।আজ শুক্রবার ইউএনবির এক খবরে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ ভোর ছয়টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও আছে। মিরপুর, দারুস সালাম, রূপনগর, কাফরুল ও পল্লবী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। শুধু পল্লবী এলাকা থেকেই ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার মো. কামাল।পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। তিনি জানান, কাফরুল থেকে অস্ত্র, মিরপুর এলাকা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যানার পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল আটক হওয়া এসব ব্যক্তির।এদিকে এই অভিযানে ভোলা থেকে বিরোধী দলের ২৯ জন, জয়পুরহাটে ১৪ জন, সিরাজগঞ্জে ২৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৮ জন, চাঁদপুরে ১৭ জন, লক্ষ্মীপুরে চারজন, চট্টগ্রামে ১২ জন, খুলনায় ২৩ জন, সাভারে সাতজন, সাতক্ষীরায় তিনজন, সিলেটে দুজন এবং গাজীপুর, মৌলভীবাজার ও শরীয়তপুরে একজন করে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।গত বুধবার রাত ১২টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে পোশাকধারী পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। |
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হানা দিয়ে লাখ লাখ সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গোপন তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। হ্যাকারদের এই আক্রমণে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাসহ অনেক ব্যক্তির আইডির বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। গোপন তথ্যের একটি অনলাইন বাজার পরিচালনাকারী সাংবাদিক ব্রায়ান ক্রেবসের অনুসন্ধানে হ্যাকিংয়ের এ বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই ওয়েবসাইটটি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি যেসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির গোপন তথ্য ফাঁস করেছে, তাঁদের মধ্যে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ছাড়াও রয়েছেন বিল গেটস, বিয়ন্স নোলস, জে-জেড, অ্যাশটন কুচারের মতো ব্যক্তিরা। বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে গত শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার নাগরিক সরকারের গোয়েন্দাগিরির প্রতিবাদ জানায়।সমাবেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতা ফাঁস করার জন্য এডওয়ার্ড স্নোডেনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এক শর বেশি নাগরিক অধিকার সংগঠন যৌথভাবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের সামনে দিয়ে শোভাযাত্রার সময় জনতা প্রতিবাদী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে। ‘ধন্যবাদ এডওয়ার্ড স্নোডেন’, ‘গোয়েন্দাগিরি বন্ধ করো’, ‘গোপন বিচার বন্ধ করো’—এসব স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। একদল বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়।শনিবারের এ বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক ও রক্ষণশীলদের যৌথ উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সাধারণত নাগরিক অধিকারের আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের দেখা মেলে কদাচিৎ। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কট্টর রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত সারাহ পেলিন ছাড়াও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইক লি, টেড ক্রুজ উপস্থিত ছিলেন।উদারনৈতিক সংগঠন ‘ফ্রি প্রেসে’র প্রতিনিধি ক্রেগ অ্যারোন সমাবেশে বলেন, ডান-বাম নয়—এ আন্দোলন হচ্ছে নৈতিকতা ও অনৈতিকতার।অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট, কাউন্সিল অব আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ বড় নাগরিক সংগঠনের নেতারা এ সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশ থেকে সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতা বন্ধের জন্য একটি স্মারকলিপি আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো হয়।সমাবেশে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা এডওয়ার্ড স্নোডেনের একটি বিবৃতিও পড়ে শোনানো হয়। জেসেলিন রাডেক নামের এক নারীনেত্রী স্নোডেনের বিবৃতি থেকে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের আইনপ্রণেতারা বলে থাকেন আড়ি পাতা নাকি গোয়েন্দাগিরি নয়।’ সমাবেশ জুড়ে তখন ‘শেম শেম’ ধ্বনি ওঠে।নাগরিকদের ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সরকারের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের আড়ি পাতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। এ ধরনের কার্যক্রম সে দেশে ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় চরম হস্তক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত। আড়ি পাতা আইন করে বন্ধ করারও দাবি উঠেছে।গণভোটকে সামনে রেখে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার রূপরেখা প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান অ্যালেক্স স্যামন্ড। যুক্তরাজ্যের শাসন থেকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার রূপরেখায় সামাজিক নীতিতে ‘বৈপ্লবিক’ পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার বিষয়ে আগামী বছর ১৮ সেপ্টেম্বর গণভোট হবে। বিবিসি।খুলনায় প্রকাশ্যে গুলি করে দুই বন্ধুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের আড়ংঘাটা থানার বরইতলা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন রিপন সরদার (২৭) ও মিঠুন শেখ (২৬)। তাঁদের বাড়ি নগরের দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তরপাড়ায়। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রিপন ও তাঁর বন্ধু মিঠুন আড়ংঘাটা থানার যোগীপোলের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর হাফিজের তেলিগাতির বিলডাকাতিয়ার ঘেরে মাছ ধরতে যান। সাড়ে চারটার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন যুবক ওই ঘেরে যান। এ সময় যুবকেরা তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলে রিপন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মিঠুন মারা যান। তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এলাকাবাসী জানান, বরিশালে রিপনের ক্লিনিক রয়েছে। আর মিঠুন একটি মিলের শ্রমিক।আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হাই বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায় হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। |
সন্ত্রাসী হামলা বা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন চাপা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উপস্থিতি জানা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে আসছে নতুন একটি বহনযোগ্য রাডার যন্ত্র। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) একদল গবেষক ওই রাডারের নমুনা তৈরি করেছেন। মহাকাশে বহু দূরের বস্তু শনাক্ত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, নতুন রাডারটিতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নাসার গবেষকেরা ওই রাডারের নমুনা গণমাধ্যমকর্মীদের দেখিয়েছেন গত বুধবার। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহযোগিতায় ফাইন্ডার নামের ওই রাডার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি ধ্বংসস্তূপের ২০ ফুট নিচে আটকে পড়া মানুষকেও শনাক্ত করার ক্ষমতা রাখে। আর খোলা জায়গায় প্রায় ১০০ ফুট দূরের কোনো মানুষের উপস্থিতিও শনাক্ত করবে ফাইন্ডার। এএফপি। বুটেবল ডিস্ক বা বুট ডিস্ক: তত্ত্বাবধায়ক/নির্দলীয় নিরপেক্ষ/অন্তর্বর্তী/নির্বাচনকালীন সরকার। যখন কোনো অপারেটিং সিস্টেম ফেল করে, তখন সেই সিস্টেম সচল করে এটি দিয়ে। অফলাইন: অফ যান। থামিয়ে দেওয়া অর্থে। মাউস: লম্বা লেজবিশিষ্ট ইঁদুরবিশেষ, যা সাধারণত কিলিকবাজি করে থাকে। সিডি: করপোরেট চাকতি, আদতে চরকি (চাকুরেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। ফ্লপিডিস্ক: বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি; যা আধুনিক কোনো সিস্টেমে খাপ খায় না।ঘোষণাটি আগেই দেওয়া ছিল। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। গতকাল মঙ্গলবার সেই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই ব্র্যাকের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেওয়া হলো হেলথকেয়ার ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড।ব্র্যাক সমন্বিত মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্যাকেজের আওতায় উদ্ভাবনী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এ স্বীকৃতি পেয়েছে। লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচাতে গ্লোবাল জিএসকে ও সেভ দ্য চিলড্রেনের অংশীদারির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ব্র্যাককে ‘ওয়ান মিলিয়ন ডলার হেলথকেয়ার ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য তিন লাখ মার্কিন ডলার।গতকাল জিএসকে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের দেশীয় পরিচালক মাইকেল ম্যাকগ্রাথ ব্র্যাকের হেলথ, নিউট্রিশন ও পপুলেশন প্রোগ্রামের পরিচালক কাওসার আফসানার হাতে অ্যাওয়ার্ডের বাঁধাই করা সনদপত্রটি তুলে দেন।অনুষ্ঠানে আজিজুল হক এবং মাইকেল ম্যাকগ্রাথ ব্র্যাকের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তাঁরা অ্যাওয়ার্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।উন্নয়নশীল বিশ্বের ২৯টি দেশ থেকে জমা হওয়া প্রায় ১০০টি আবেদনের মধ্যে পুরস্কারের জন্য বাছাই করা পাঁচটি সংস্থার একটি হচ্ছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।‘পাশ্চাত্য এবং অনেক ইরাকির চোখে তিনি নিষ্ঠুর একনায়ক আর ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে ফাঁসির রশিতে ঝোলানোর আগ পর্যন্ত তাঁর মনোবল ছিল অটুট। ছিল না কোনো অনুশোচনা।’ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে এ কথা বলেছেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়াফফাক আল-রুবাই। সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। মার্কিন অভিযানে পতনের কয়েক বছর পর ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।সাত বছর আগের সেই দিনটির স্মৃতিচারণা করে মোয়াফফাক বলেন, ‘দরজায় আমিই তাঁকে (সাদ্দাম হোসেন) স্বাগত জানাই। আমাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না...কোনো বিদেশি না, এমনকি কোনো মার্কিনও না।’বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মোয়াফফাক বলেন, ‘তাঁর (সাদ্দাম) পরনে ছিল সাদা শার্ট ও জ্যাকেট। মানসিকভাবে তিনি ছিলেন স্বাভাবিক, নিরুদ্বিগ্ন। ভয়ভীতির কোনো চিহ্ন আমি তাঁর মধ্যে দেখতে পাইনি।’মোয়াফফাক বলেন, ‘অবশ্যই, কেউ কেউ আমার মুখে শুনতে চান যে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অথবা চেতনানাশক ওষুধের কারণেই তিনি নির্জীব ছিলেন। কিন্তু আমি যেটা বলছি সেটাই আসল। আমি তাঁকে অনুশোচনা করতে দেখিনি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে দেখিনি। শাস্তি মওকুফের জন্য কারও কাছে অনুরোধও করতে দেখিনি তাঁকে।’ফাঁসির মুহূর্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সাধারণত এসব মুহূর্তে একজন মানুষকে “আমার অপরাধ মাফ করে দাও আল্লাহ...আমি তোমার কাছেই ফিরে আসছি” বলতে শোনা যায়। কিন্তু তিনি এর কিছুই বলেননি।’দুই দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর হাতে ইরাক শাসন করেছেন সাদ্দাম হোসেন। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সামরিক অভিযানে তাঁর পতন হয়। সাদ্দামের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে দাবি করে ওই অভিযান চালানো হয়, যদিও পরে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয় সাদ্দামকে। ১৯৮২ সালে দুজাইল গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের ১৪৮ জন লোককে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। মার্কিন সরকারের সমর্থনপুষ্ট এই বিচার কার্যক্রমকে অনেকেই লোকদেখানো মনে করেন বলে তা বিতর্কিত। |
মার্কিন প্রকৌশলীরা এবার একটি পরমাণুর সমান পুরুত্বের কার্বন ন্যানোটিউব থেকে কম্পিউটার তৈরি করেছেন। অতি ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক যন্ত্র তৈরির প্রয়াসে এটি একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে কম্পিউটার হিসেবে যন্ত্রটি নিয়ে বিশেষ উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটির গতি সেই ১৯৫৫ সালের কম্পিউটারের চেয়ে বেশি নয়। নেচার সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।কার্বন ন্যানোটিউব বা সিএনটি হচ্ছে কার্বন পরমাণুর গোটানো এক স্তরের পাত। মানুষের একটি চুলের বিস্তারের মধ্যে এক লাখ সিএনটি অনায়াসে জায়গা হয়ে যায়। এই সিএনটি অত্যন্ত নমনীয় এবং ওজনের তুলনায় এদের দৃঢ়তা বা শক্তির অনুপাত অন্যান্য পদার্থের তুলনায় অনেক বেশি। সিলিকন একটি ভালো অর্ধপরিবাহী হলেও এটিকে সিএনটির মতো সরু পাতে রূপান্তর করা যায় না। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সিএনটি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহে উন্নতি হবে, ট্রানজিস্টরের গতি বাড়বে এবং যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বাড়বে এবং জায়গা অনেক কম লাগবে। তবে আণুবীক্ষণিক সূক্ষ্মতার কারণে ন্যানোটিউবের যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরির কাজটি কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অধ্যাপক শুভাশিস মিত্র এই সিএনটি কম্পিউটার তৈরির গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, মানুষ এখন সিএনটির যন্ত্রপাতির নতুন যুগ সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেছে। পরিপূর্ণ ডিজিটাল ব্যবস্থায় সিএনটির ব্যবহার সম্পর্কে এবার একটি বাস্তব প্রমাণ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। স্ট্যানফোর্ডের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণাগারে তৈরি কম্পিউটারটির আকার মাত্র কয়েক বর্গমিলিমিটার। এটি ১৭৮টি ট্রানজিস্টরের (প্রতিটিতে ১০ থেকে ২০০টি ন্যানোটিউব রয়েছে) সাহায্যে মৌলিক গণনার মতো কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তবে এই কম্পিউটারের গতি বর্তমান যুগের কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুণ ধীর। কারণ এটির প্রসেসরের ক্ষমতা মাত্র এক কিলোহার্টজ। তবে গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা সিএনটি ব্যবহার করে আরও গতিশীল কম্পিউটার তৈরি করতে পারবেন। এ জন্য প্রসেসরের সামর্থ্য বাড়াতে হবে।স্ট্যানফোর্ডের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ও নকশাকার নরেশ শানবাগ বলেন, সিএনটি অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করে শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরি করতে আরও বহু বছর লাগতে পারে। তবে বর্তমান উদ্যোগকে প্রাথমিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএমের টমাস জে ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সুপ্রতীক গুহ বলেন, সিএনটিকে এখন রাসায়নিক গবেষণাগার থেকে বাস্তব পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন কম্পিউটারটির ট্রানজিস্টরগুলোকে আরও ছোট আকারের (আট মাইক্রোমিটার বা এক মিটারের ১০ লাখ ভাগের এক অংশ) মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এএফপি ও বিবিসি।অপ্রত্যাশিত ফোনকল বলিউড তারকারা ঘন ঘনই পেতে শুরু করেছেন। বনি কাপুর, করন জোহর, রাম গোপাল ভর্মা ও সনু নিগমের পর ফোনে মৃত্যুহুমকি পেয়েছেন অক্ষয় কুমার। পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকা সন্ত্রাসী রবি পুজারির নাম করে এক ব্যক্তি অক্ষয়কে এই হুমকি দিয়েছে। অবশ্য পুলিশের অনুমান, পুজারির নাম করে অন্য কেউ এই কাজটি করছে।টাকাপয়সা চেয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়নি। কদিন আগে অক্ষয় এক গৃহকর্মীকে বরখাস্ত করেছেন। এর পরই ফোনে হুমকি-ধমকি পেতে শুরু করেন। বলা হয়, সেই গৃহকর্মীকে ছাঁটাই করে মস্ত বড় ভুল নাকি করেছেন অক্ষয়! এ ব্যাপারে অক্ষয়ের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে কেউ ফোন ধরেনি। ফোন ব্যাপারটিই হয়তো অক্ষয়ের কাছে এখন আতঙ্কের! পিটিআই।স্কুল-কলেজে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনো কোনো স্কুলে হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নেই। বিশেষ করে মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের কথাই বলি। সেখানে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক কিন্তু হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নেই। ইসলাম ধর্মের শিক্ষক আছেন। অন্য বিষয়ের শিক্ষকেরা হিন্দু ধর্মের ক্লাস নেন। এ বছর দশম শ্রেণীতে তিন দিন হিন্দু ধর্মের ক্লাস হয়েছে।গত ২০ অক্টোবর প্রথম আলোর শিরোনামে দেখলাম, সংখ্যালঘু নিপীড়নে কোনো প্রতিকার নেই। সংখ্যালঘুরা সব দিক থেকে অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করছে। শিক্ষার দিক থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য ধর্মের শিক্ষক নেই। শিক্ষক নেই বলে হিন্দু ধর্মে মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে কোনো ছাত্রছাত্রী নবম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা ২০১২ সালে জিপিএ-৫ পায়নি। তাই যে স্কুলে হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নেই, সেখানে হিন্দুধর্মের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।অমিত রায়,মধুখালী, ফরিদপুর।জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, ‘এরশাদ ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে নিজেই ক্যাচ আউট হয়েছেন। তিনি পুতুল নাচের রাজা হয়ে একেক সময় একেক ভানুমতির খেল খেলছেন।’ আজ শুক্রবার গুলশানে ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত কর্মী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফর আহমদ এসব কথা বলেন।এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দাবি করা এই নেতা বলেন, ‘এরশাদ দাবি করেছেন তিনি আটক, অথচ এই আটকাবস্থায় তিনি গলফ খেলছেন। যাকে খুশি দল থেকে বাদ দিচ্ছেন। আবার পদোন্নতি দিচ্ছেন।’কাজী জাফর আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ভেতরে থেকে দীর্ঘ দেড় বছর আমরা আদর্শগত সংগ্রাম করেছি। আমরা পার্টির তত্কালীন চেয়ারম্যানকে মহাজোট ছেড়ে আসার জন্য বলেছি। তিনি বলেছেন, তিনি নাকি সৈনিক। তিনি জানেন কখন কী করতে হয়। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গেছেন আমিও একজন রাজনীতিবিদ। আমিও জানি কখন কী করতে হয়। মাটিতে পা দিয়ে জনগণের মনের ভাষা বলতে পারি।’বিএনপি ও ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ সফল করার আহ্বান জানান কাজী জাফর।এইচ এম এরশাদকে উদ্দেশ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এরশাদ সাহেবকে বহিষ্কার করতাম না। কিন্তু করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি (এরশাদ) বলেছিলেন ‘‘সব দল অংশ না নিলে আমি নির্বাচনে যাব না। কাউকে ক্ষমতায় নিতে আমি নির্বাচন করব না। নির্বাচনে গেলে জনগণ আমার মুখে থুতু দেবে। আমাকে বেইমান বলবে।’’ এর কিছুদিন পরই তিনি ইউটার্ন নিলেন। মহাজোট ছেড়ে আবার ১০ মিনিটের মাথায় তথাকথিত মহাজোট সরকারেই যোগ দিলেন। এর ১৪ দিনের মাথায় তিনি আবার দ্বিতীয় দফায় ইউটার্ন নিলেন। বললেন “আমি নির্বাচনে যাব না।” পৃথিবীর ইতিহাসে এভাবে বারবার ইউটার্নের আর কোনো নজির নেই।’এরশাদের পক্ষ থেকে তাঁদের করা কাউন্সিলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি উল্লেখ করে নিজেদের কমিটিকে বৈধ বলে দাবি করেন কাজী জাফর। কাজী জাফর আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি একটিই থাকবে এবং আমাদের পার্টিই হবে মূল জাতীয় পার্টি।’ |
জাপানে খারাপ আবহাওয়ার সঙ্গে মানুষের আত্মহত্যার সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা বলছেন, দেশটিতে আবহাওয়া কিছুদিন খারাপ থাকলে রেলপথে মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যায়। জার্নাল অব অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার্স সাময়িকীতে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শিগা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিরোশি কাদোতানি ও তাঁর সহযোগীরা আত্মহত্যা বা সে রকম চেষ্টার ৯৭১টি ঘটনা পর্যালোচনা করেন এবং পূর্ববর্তী তিন থেকে সাত দিনের আবহাওয়ার তথ্য নেন। তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বা টানা বৃষ্টির কারণে সূর্যের আলোর অভাব ছিল। এএফপি।আমাদের পাশের বাসায় থাকেন সুলতানা খালা। সেদিন বিকেলে এলেন আমাদের বাসায়। আমাকে দেখে প্রায় আর্তনাদ করে উঠলেন, ‘বাবা, দেশের এ কী অবস্থা!’আমি বললাম, ‘খালা, পুরাই অস্থির অবস্থা!’: প্রধানমন্ত্রী তো সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। ওদিকে বিরোধীদলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ইলেকশনে যাবেন না! বলো দেখি বাবা, কী জটিলতা!: খালা, মহা জটিলতা!মুখে পানের একটা খিলি চালান করতে করতে খালা বললেন, ‘তবে এই জটিলতা-অস্থিরতা কাটানোর একটা বুদ্ধি আছে আমার কাছে।’আমি নড়েচড়ে বসে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী বুদ্ধি?’: আমাদের সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন আছে না?: আছে।: সেই আসনে নারী সাংসদ কতজন জানো?: কত হবে, ৫০-৬০?: দেশের খোঁজখবর দেখি কিছুই রাখো না! নারী সাংসদ আছেন ৪৫ জন।আমি মাথা চুলকে বললাম, ‘তো এই নারী সাংসদদের দিয়ে কী করবেন?’খালা পিচিক করে পিক ফেলে বললেন, ‘এই ৪৫ জন থেকে ১০ জন নারী সাংসদকে যদি পদত্যাগ করানো হয়, তাহলে ১০টা আসন ফাঁকা হবে কি না?: হ্যাঁ, হবে।: সেই ফাঁকা আসনে নতুন আরও ১০ জন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নারীকে নির্বাচিত করলেই ঝামেলা গন ইলেকশন অন! প্রধানমন্ত্রীর সংবিধানও থাকবে, বিরোধীদলীয় নেত্রীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও গঠন হবে।আমি চোখ বড় বড় করে বললাম, ‘কীভাবে?’: তুমি দেখি রাজনীতির কিছুই বোঝো না!আমি বোকা বোকা হেসে মাথা নাড়লাম, ‘কিন্তু এই ১০ জনকে কারা নির্বাচিত করবেন?’: কেন, সাংসদেরাই করবেন। এই আসনের সাংসদেরা তো আর ১০ জন সাংসদের মতো নন। সাধারণ একটা সংসদ সদস্যপদ বাতিল হলে নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে নির্বাচন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই ঝামেলা নেই। সাংসদেরাই কাজটা সেরে ফেলতে পারেন।: কিন্তু ব্যালান্স হবে তো?: হবে না কেন?: ১০ জন নিরপেক্ষ-নির্দলীয় নারীকে সমঝোতার ভিত্তিতেই নির্বাচিত করা হবে।: বেশ।: এ ছাড়া আমাদের এখনকার প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের প্রধান নারী, সংসদের স্পিকারও নারী। এখন নির্বাচনকালীন সরকারের ১০ জনও হবেন নারী!খালার কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে রইলাম। বুদ্ধি তো চমৎকার! একেবারে নারীস্থান! সুলতানা খালার স্বপ্ন। সুলতানা আন্টিস ড্রিম!রাজনীতি শুধু ‘রাজত্ব’ করার নীতি নয়। রাজত্ব করার কূটকৌশলও নয়, সেবার প্রীতিময় নীতির নাম রাজনীতি। রাজনীতিও শিল্প, এ শিল্পের নাম সেবা। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন এর মূলমন্ত্র। ফন্দি-প্রবঞ্চনা এর সঙ্গে যায় না। কৌশলের কানাগলি দিয়ে এ শিল্প হাঁটে না। কল্যাণের রাজপথ দিয়ে প্রকাশ্যে এ শিল্পের চর্চা করতে হয়। চোরাগলিতে গেলে তা চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। তখন জনতা রুষ্ট হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভেঙে পড়ছে শিক্ষাব্যবস্থা, ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, হরতালের আগুনে পুড়ছে শিশুসহ নিরীহ মানুষ পোকামাকড়ের মতো। হতভাগা দেশের কথা কেউ ভাবছে না।রাজনীতিশিল্পের অন্যতম অনুষঙ্গ কম্প্রোমাইজ বা সমঝোতা। এ দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে সমঝোতার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। কেউ চাচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়া, তা যেভাবেই হোক আর কেউ বলপ্রয়োগের মাধ্যমে গদিতে টিকে থাকার ফন্দি করছে। রাজনীতিবিদদের পথে পথে সাধারণ্যের বিছানো সম্ভাবনাময় স্বপ্নের সফল রূপায়ণ চায় তারা। গণমানুষের স্বপ্নের ওপর দিয়ে হাঁটতে হয় আলতো পায়ে, মৃদু পদে, ভারসাম্য রেখে। কারণ, জনগণের স্বপ্নভঙ্গের অপর নাম সর্বনাশ। ডব্লিউ বি ইয়েটসের মিনতি, আই হ্যাভ স্প্রেড মাই ড্রিমস আন্ডার ইওর ফিট; ট্রেড সফ্টলি বিকজ ইউ ট্রেড অন মাই ড্রিমস।মো. ওয়াসিম,কালীকচ্ছ, সরাইল।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে ক্ষমতার দম্ভ দেখানো সহজ। কিন্তু জনগণের ‘ন্যায়সংগত’ আন্দোলনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য ছাড়া রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা তার চেয়ে অনেক কঠিন।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালে সরকারি ঘোষণা ও বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ১৮ দল।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার কতিপয় সদস্য ও আওয়ামী নেতারা কর্মসূচিটিকে বন্ধ করার জন্য যেভাবে ধমকের সুরে কথা বলছেন তাতে তাঁদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাম্ভিকতা, সীমাহীন আস্ফাালন, অগণতান্ত্রিক আচরণ জাতিকে এক চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে যৌথ বাহিনী দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে বিরোধী দল নিধনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধী নেতা-কর্মী ছাড়াও তাদের পরিবার-পরিজনকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।’‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ যেকোনো উপায়ে বন্ধ করতে সরকারের ‘একগুঁয়ে আচরণকে’ ন্যক্কারজনক আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ।‘সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে’ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মনে হয় আমরা যেন এক মগের মুল্লুুকে বাস করছি। ক্ষমতালোভী বর্তমান সরকার ক্ষমতার সীমারেখা অতিক্রম করে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সারা দেশে বিভীষিকাময় এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমাদানের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সরকার বৈধ অস্ত্র জমাদান নিষিদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে গোটা জাতিকে এক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। এ ধরনের ঘোষণা এটাই প্রমাণ করে যে, বিরোধী দল ও জনগণকে দমনে সরকার দলীয় বাহিনীর অস্ত্রের শক্তি বলবত্ রাখল, এতে করে বোঝা যায় জনগণের শক্তির ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই।’মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শামিম পারভেজের স্ত্রী ও দুই সন্তান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসানের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই কন্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজশাহীতে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ চার শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে। তিনি এসব মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। |
কবরী। বিশিষ্ট অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৪০ বছর। এখন তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে তোলা ২০০টি আলোকচিত্র আর তাঁর অভিনীত বিভিন্ন ছবির গানের ভিডিও ক্লিপিংস নিয়ে জাতীয় জাদুঘরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রদর্শনী ‘আমারে তুমি অশেষ করেছ’। উদ্বোধন হবে বিকেল চারটায়।চলচ্চিত্র থেকে স্থিরচিত্র...দুটি থেকে দুরকম ভাবের উদয় হয়। চিত্র। সেটা চলমান হোক বা স্থির হোক, দেখতে বসলে অনেক কিছু মনে পড়ে। স্থিরচিত্রের মজাও অন্য রকম। একেকটা ছবি একেকটা গল্প।‘আমারে তুমি অশেষ করেছ’, যে ভাবনা থেকে এ আয়োজন...আয়োজন করেছে গ্রিনভ্যালি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি মূলত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে। আমিও তাদের সঙ্গে আছি। গত ৪০ বছরে আমার সংগ্রাম, চলচ্চিত্রে অভিনয়, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ—এই দীর্ঘ পথচলাকেই আয়োজকেরা প্রদর্শনীতে তুলে ধরতে চাইছেন। জীবনে কতটুকু সফলতা পেয়েছি জানি না, তবে শুরু থেকে লড়াই করেছি। উদ্দেশ্য হলো এসব দেখিয়ে প্রতিবন্ধী শিশু আর তাদের অভিভাবকদের অনুপ্রাণিত করা। তাঁরা যেন এই বিশ্বাসটুকু পান, পৃথিবীতে যখন এসেছি, তখন টিকে থাকার জন্য যুদ্ধ করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের সময় আকাশবাণীতে প্রচারিত আমার বক্তব্য...আকাশবাণীতে আমাকে নিয়ে যাওয়ার পর বলা হলো, আপনাকে কিছু বলতে হবে। আমি বললাম, আমি তো রাজনীতিবিদ নই, আমি কী করে বক্তব্য দেব। তাঁরা বললেন, আপনি অভিনেত্রী হিসেবেই কথা বলবেন। বললাম। ‘আমার দেশের নারী-পুরুষদের ওরা নির্বিচারে হত্যা করছে। বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান, আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান...।’ এসব বলতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম!আমার কাছে যিনি ‘সত্যিকারের নায়ক’...বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে মানুষটা বলতে পারেন, ‘আমার ভালোবাসাই আমার রাজনীতি’, তাঁর চেয়ে বড় নায়ক আর কে হতে পারেন? ভীষণ সুদর্শনও ছিলেন। হাসি, কণ্ঠস্বরে কোনো ছদ্মবেশ ছিল না। সত্যিকারের নায়ক তো তিনিই!অভিনয় এবং রাজনীতি—দুটোর মধ্যে যেভাবে সমন্বয় করি...আমি কিন্তু রাজনীতিবিদ নই, সংস্কৃতিসেবী হিসেবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রাজনীতি আর অভিনয়ের স্থান ভিন্ন। রাজনীতিতে কখনো অভিনয় করিনি, আবার অভিনয়জীবনেও কখনো রাজনীতিকে স্থান দিইনি। দুটি কাজই করেছি মানুষকে ভালোবেসে আর মানুষের ভালোবাসার জন্য।মো. সাইফুল্লাহসিলেট ক্যাডেটে বাংলার এক স্যার ছিলেন। কবি কবি চেহারার। তিনি বলতেন, আমি আর কী লিখব? সবই তো রবিঠাকুর লিখে ফেলেছেন। অথচ ক্লাসে এসে আমাদের ঠিকই নানা বিষয়ে লিখতে দিতেন। আমরাও মন খুলে লিখতাম আর ভাবতাম, রবিঠাকুর এখনো তাহলে কিছু লেখা বাকি রেখে গেছেন আমাদের জন্য!স্যারের কথায় আমরা অনেক কিছুই লিখেছি, কিন্তু কেউ কখনো একটা জিনিস লিখতে পারিনি। সেটা হলো শুদ্ধ লেখা। যে যা-ই লিখুক না কেন, তাতেই স্যার ভুল ধরতে পারতেন। একদিন নাজমুলের একটা লেখা দেখে স্যার বললেন, ‘এগুলো তুই কী লিখেছিস? কিছুই তো হয়নি, তুই তো এত গাধা নারে! সত্যি করে বল, কারটা দেখে লিখেছিস?’ নাজমুল ভয়ে ভয়ে বলল, ‘স্যার, বইয়েরটা দেখে লিখেছি।’ আমরা শব্দ করে হেসে উঠতেই স্যার একটা রাম ধমক লাগালেন, সবাই চুপ করে গেলাম। স্যারও নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘যা সিটে যা, আর শোন, তোর বইয়ে কী সব ভুলভাল লিখে রেখেছে, সামনের ছুটিতেই বাড়ি গিয়ে নতুন বই কিনে আনবি।’বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ক্যাডেটদের ছুটি। অবশ্য ছুটির আনন্দ সবার কপালে সমানভাবে সয় না। যাই হোক, সেদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ আমার রুমে এল বন্ধু সাব্বির, ‘দোস্ত, তোর রং পেনসিলগুলো দে তো, সিনিয়র এক ভাই প্র্যাকটিক্যাল খাতা আঁকতে দিছে। ছুটিটাই মাটি হয়ে গেল!’তিন-চার দিন পর ওকে দেখলাম ওই সিনিয়র ভাইয়ের রুমের দিকে যাচ্ছে। বলল, ‘আমার আঁকা ভাইয়ার খুব ভালো লাগছে। এখন নাকি আমাকে কী দেবে বলে ডেকে পাঠাইছে।’আমি বললাম, ‘আমার রং পেনসিল দিয়া আঁকছিস দোস্ত, ভুইলা যাইস না; যা-ই পাস আমারে অর্ধেক দিস কিন্তু।’ ও বলল, ‘আচ্ছা।’কিছুক্ষণ পর সাব্বির রুমে ফিরে আসতেই আমি বললাম, ‘দে দোস্ত, আমাকে আমার ভাগেরটা দে।’ সাব্বির নিজের কাছে দুইটা প্র্যাকটিক্যাল খাতা রেখে আমার দিকেও দুইটা বাড়িয়ে দিল, ‘এই নে দোস্ত, তোর ভাগেরটা—আগের আঁকা ভালো হওয়ায় এবার চারটা খাতা দিয়েছে, তিন দিনের মধ্যে এঁকে দিতে হবে।’ক্যাডেট জনির সঙ্গে কথা বলছিলেন একজন করপোরাল, ‘তুমি তোমার জুনিয়র জাভেদকে এমন করে পেটালে অথচ তুমি বলছ তুমি সুশৃঙ্খল ক্যাডেট!’ জনি বলল, ‘ভুল কিছু তো বলিনি স্টাফ।’ করপোরাল তো অবাক, ‘তাহলে তুমিই বল এমন করে পেটালে কেন?’জনি অকপটে জবাব দিল, ‘শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্টাফ। ও তখন খুব বিশৃঙ্খল আচরণ করছিল, তারপর দিলাম দু-চার ঘা, ব্যস চুপ করে পড়ে গেল। বিশ্বাস করেন, ও রকম সুশৃঙ্খলভাবে আমি ওকে আর কখনো পড়তে দেখিনি।’ক্যাডেট কলেজের খাওয়ার টেবিলে সবাইকে সব সময় নিজেদের নির্ধারিত জায়গায় বসতে হয়। ক্যাডেট শুভর পাশে তারই এক বন্ধু তারেক বসত। খাওয়ার আইটেমগুলো আগে তারেকের কাছে আসত, তারপর পেত শুভ। সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা হলো, তারেকের সাইজ একটু বেশি বড় হওয়ায় খাবারও বেশি নিয়ে নিত। শুভর ভাগে তাই কিছুটা কমই পড়ে যেত। সেটা ও সহ্য করে নিচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো একদিন, যেদিন সবাইকে একটা করে পিঠা দেওয়া হলো। শুভর আবার পিঠার প্রতি দুর্বলতা ছিল একটু বেশিই। সবশেষে পিঠা যখন মাত্র দুটিই রইল, তারেক নিয়ে নিল বড় পিঠাটা। পড়ে রইল আধভাঙা একটা পিঠা। বেচারা শুভ সেদিন আর রাগ না করে পারল না, ‘দোস্ত, তুই কিন্তু খুব অভদ্র।’তারেক বলল, ‘দোস্ত অভদ্র হলাম কী করে? তুই আগে নিলে কোন পিঠাটা নিতি?’: অবশ্যই ভাঙা পিঠাটা।: তাহলে আর সমস্যা কী! ভাঙাটাই তো পেয়েছিস!ইন্টার হাউস টুর্নামেন্টে আমাদের হাউসের একজন লাল কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেল। ১০ জন নিয়ে আমরা কিছুতেই পেরে উঠছিলাম না। ৩-০ গোলে আমরা হেরে বসলাম। রাতে হাউসের শহিদ স্যার অফিসে ডেকে নিয়ে আমাদের ঝাড়ি দিচ্ছিলেন। স্যার প্রথমে মাসুদকে বললেন, ‘এই ছেলে, এমন করে কেউ হারে?’ মাসুদ বলে, ‘আমার কোনো দোষ নেই স্যার। আমি লাল কার্ড খেয়ে মাঠ থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা কোনো গোলই খাইনি।’স্যার বললেন, ‘আবার মুখের ওপর কথা বলে! তোমাদের লজ্জা করল না এত বাজেভাবে হারতে?’মুরাদ আমতা আমতা করে বলল, ‘স্যার, মাসুদ লাল কার্ড পাওয়ায় আমরা ১০ জন হয়ে গিয়েছিলাম তো...।’: আবার কথা বলে? লজ্জা করে না?তখনি কেউ একজন মিন মিন করে বলে উঠল, ‘স্যার, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’সবাই হেসে উঠল। স্যার, ‘কে? কে?’ করে চেঁচালেন ঠিকই, কিন্তু আজ পর্যন্ত জানতে পারলেন না, কে? দ্য হু!বাংলাদেশ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির’ দেশ হিসেবে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় (রামুসহ তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, পাবনা, বরিশাল ইত্যাদি) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নানা হামলা এই সুনামকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়েছে। কিন্তু এসব হামলা-সহিংসতার পেছনের ঘটনা তলিয়ে দেখলে দেখা যায়, প্রশাসনের সঠিক নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং গুটি কয়েক মানুষের হিংসা-বিদ্বেষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ছোট ঘটনা বিশাল আকার ধারণ করেছে।হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান—এসব পরিচয় ছাপিয়ে বড় পরিচয় হলো আমরা ‘বাঙালি’। এই দেশটাকে ভালোবেসে একাত্তরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীন করেছি। এমন একটি সোনার দেশে কেন আমরা এসব প্রশ্রয় দেব? তাই ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব বাঙালির প্রতি অনুরোধ, আসুন, দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে হূদয়ে দেশকে ধারণ করি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাই দেশ ও জাতিকে— বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে।সাবিনা পারভীন,ঢাকা।চ্যাম্পিয়নস লিগে নকআউট পর্বে যেতে পারেনি নাপোলি! ছয় ম্যাচের চারটিতে জিতেও চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইতালির ক্লাবটিকে। ১২ পয়েন্ট নিয়েও গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার ঘটনা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এই প্রথম! দলকে পরের রাউন্ডে না নিতে পেরে কী যে কষ্ট পেয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েইন, তা বলে বোঝানো যাবে না! ম্যাচ শেষে বুকে দলা পাকানো সেই কষ্ট অশ্রু হয়ে বেরিয়েছে।হিগুয়েইন দলের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা এতেই স্পষ্ট। নাপোলি-অন্তঃপ্রাণ এ হিগুয়েইনকেই কিনা ছোঁ মারতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন চেলসি ম্যানেজার হোসে মরিনহো! বোমাটা ফাটিয়েছে ইংলিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’। মরিনহো পাখির চোখ করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের ওপর। হিগুয়েইনকে তাঁর চাই-ই চাই!চেলসি-মালিক আব্রামোভিচকে এরই মধ্যে নিজের ‘চাহিদা’র কথা জানিয়েছেন। এটা নিশ্চয়ই জানা, শিরোপার জন্য জলের মতো টাকা ঢালতে আপত্তি নেই রুশ ধনকুবেরের! জানুয়ারির দলবদলে হিগুয়েইনকে কিনতে চেলসি নাকি ৬ কোটি পাউন্ড খরচ করতেও রাজি।হিগুয়েইনের ঝাঁজ ভালোই জানা রয়েছে মরিনহোর। রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময়ই হিগুয়েইনের জাত চিনেছেন মরিনহো। এই মৌসুমেই রিয়াল ছেড়ে নাপোলিতে এসে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন হিগুয়েইন। এই মৌসুমে ২১ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল। চেলসিও ভুগছে স্ট্রাইকার সংকটে। জানুয়ারিতে একজন স্ট্রাইকার কেনা তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। সব মিলে গেলে সেটাই হবেন হিগুয়েইন। এখন মরিনহো যতই আগ্রহী হয়ে উঠুক না কেন, চলতি বছরে নাপোলিতে যোগ দেয়া হিগুয়েইন আসলেই ইতালি ছাড়বেন কি না, সেটিই দেখার। অবশ্য ভালো টাকা পেলে নাপোলি যে দলের সম্পদ বেচতে রাজি, সেটা পিএসজিতে এডিনসন কাভানিকে বেচেই বুঝে দিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। |
এমন দাবি যে উঠবেই, তা তাঁর জানা; তাই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বন্ধ রেখে তিনি ‘সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদীদের’ চাল সফল হতে দেবেন না।নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে এমন বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ভারতের বিরোধী দলসহ বিদেশনীতি প্রসঙ্গে কট্টরপন্থীদেরও যে আলোচনা বন্ধের দাবিকে উৎসাহিত করে তুলবে, প্রধানমন্ত্রী তা জানতেন। হয়েছেও ঠিক তা-ই। বৃহস্পতিবার কাকভোরের এ হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি, সমাজবাদী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রাক্তন সেনা ও বিদেশনীতির পরিচিত কট্টরপন্থীরা অবিলম্বে আলোচনা বন্ধের দাবি জানাতে থাকেন। বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং কটাক্ষ করেন, প্রধানমন্ত্রীর কী এমন তাড়া যে, এখনই আলোচনার টেবিলে বসতে হবে? যশোবন্ত সিনহার মন্তব্য, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যখন আলোচনার পক্ষে নয়, তখন প্রধানমন্ত্রী কেন এত ব্যগ্র? প্রবীণ মুরলি মনোহর যোশিরও দাবি, অবিলম্বে আলোচনা বন্ধ করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হোক। বিদেশ থেকে মনমোহন সিং কালক্ষেপণ না করে বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, ‘শান্তির বিরুদ্ধে যারা, এটা তাদেরই আরেক বর্বরোচিত হামলা। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান যারা চায় না, তাদের লক্ষ্য সফল হতে দেব না।’মনমোহন সিং আলোচনার পক্ষে এবং পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে ভারতের সমর্থনের পক্ষপাতী। সরকারের বিদেশনীতি তা-ই, গণতন্ত্রী পাকিস্তানকে শক্তি জুগিয়ে তাদের দিয়ে ভারতবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করা। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্রের কথায়, ‘পাকিস্তানও তো সন্ত্রাসের শিকার। সেখানেও নিত্যদিন মানুষ সন্ত্রাসের বলি। তা ছাড়া এটা ভুললে চলবে না যে, পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং সেই দেশে তালেবানের উপস্থিতি প্রবল।’পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাঁর অধিষ্ঠান পোক্ত করতে পারেননি। ছয় বছর ধরে তাঁর দেশের সেনাবাহিনীর যিনি প্রধান, সেই জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির মেয়াদ ২৮ নভেম্বর শেষ হতে চলেছে। শরিফকে নির্ঝঞ্ঝাটে একজন অনুগত সেনাপ্রধান নিয়োগ করতে হবে। এটা খুবই কঠিন একটা কাজ। গত কয়েক মাসে দুই প্রধানমন্ত্রীর নিযুক্ত দুই দূত সতীন্দর লাম্বা ও সারতাজ আজিজের ‘ট্র্যাক টু ডিপ্লোম্যাসি’র ফল নিউইয়র্কে দুই প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বৈঠক। পাকিস্তানের রাজনীতিতে এ-যাবৎ যা হয়নি, দেশের সেনাবাহিনীকে রাজনীতিমুক্ত করা, শরিফ তা করতে চান। নওয়াজ শরিফকে সেই সুযোগ মনমোহন সিং দিতে আগ্রহী।সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ককেশাস অঞ্চলের পাশ্চাত্য-সমর্থিত এই দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এই নির্বাচনের মাধ্যমে জর্জিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্কিন মিত্র মিখাইল সাকাশভিলির উত্তরসূরি বেছে নেবে জর্জিয়ার মানুষ। মনে করা হচ্ছে, সাকাশভিলির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বিদজিনা ইভানিশিভিলির এক মিত্র নির্বাচনে জিততে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ইভানিশিভিলি ভোটের পরপরই পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।মতামত জরিপগুলো বলছে, বিদজিনা ইভানিশিভিলির জর্জিয়ান ড্রিম জোটের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গিওর্গি মার্গভেলাশিভিলি (৪০) জয়ী হতে যাচ্ছেন। তাঁর বিপরীতে প্রেসিডেন্ট সাকাশভিলির ইউনাইটেড ন্যাশনাল মুভমেন্টের (ইউএনএম) প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার ডেভিড বাক্রাদজে। এই দুজনসহ মোট ২৩ জন প্রার্থী জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।জর্জিয়ার নিয়মানুসারে, নির্বাচনে জয়ী হতে কোনো প্রার্থীকে মোট ভোটের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পেতে হবে। জর্জিয়ান ড্রিম জোটের প্রার্থী মার্গভেলাশিভিলি দাবি করেছেন, তিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাচ্ছেন, এটা নিশ্চিত। তা না হয়ে ভোট যদি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়, তবে তিনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।তবে প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থী সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার নিনো বুরজানাদজের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। এ ছাড়া মতামত জরিপ অনুযায়ী, ভাসমান ভোটারের হার ২০ শতাংশ। তাই নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।প্রেসিডেন্ট সাকাশভিলির অধীনে জর্জিয়া ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার ওপর জোর দেয়। এসব পদক্ষেপ এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মার্গভেলাশিভিলি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাতে আস্থা রাখছেন জর্জিয়ার ভোটারদের অনেকে। এএফপি।বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। বিশেষ করে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নারীর জীবনের সার্বিক উন্নতি ঘটাতে প্রয়োজন আরও সচেতনতার, আরও উদ্যোগের। প্রয়োজন শাসনতন্ত্রের ধারার আলোকে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডও) পূর্ণ বাস্তবায়ন। এসব বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম।প্রথম আলো: দেশে বর্তমানে মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন?আয়েশা খানম: সত্যিকার অর্থে দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এখানে গণতন্ত্রের চর্চা সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশেই জনগণের স্বার্থ, চিন্তা দেশের রাজনীতিতে প্রতিফলিত হয়। এখানে সেটা কম। এখানে দেখা যায় জনগণের চেয়ে দল বড়, নেতা দলের চেয়েও বড়। বহু রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা, আজ তা বাধাগ্রস্ত। জনগণের ভোটে সাংসদ নির্বাচন হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সংসদ বর্জন করেন। সংসদীয় প্রথাকে অনুসরণ করা হয় না। এখানে কী করে উন্নত মানবাধিকার আশা করতে পারি। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। নাগরিক সমাজের কথার কোনো গুরুত্ব্ব দেওয়া হচ্ছে না। মোট কথা, গণতন্ত্রের চর্চা প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে, পরিবারে, বিচার বিভাগে, নাগরিক সমাজে করতে হবে। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ার গুণগত পরিবর্তন হলে অন্যান্য বিষয়েও পরিবর্তন ঘটবে। আর তার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।প্রথম আলো: নারীর মানবাধিকারের পরিস্থিতি কী রকম? নারীর প্রতি বৈষম্য কি দূর হয়েছে?আয়েশা খানম: যেখানে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি সংকটে, সেখানে এককভাবে নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো হতে পারে না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নারীরা সংকটের মধ্যে রয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হলেও এবং সভ্যতার অনেক উন্নতি সত্ত্বেও রাষ্ট্র ও পরিবারে নারীর প্রতি বৈষম্য বিরাজমান। লিঙ্গীয় সমতা এখনো আকাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সর্বত্র সমানভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী অর্জিত হয়নি। নারীর জীবনের মানবিক বিকাশ ও তার জীবনের নিরাপত্তা এখনো সংকটমুক্ত নয়। ঘরে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে, রাষ্ট্রে নারী দৈহিক, মানসিক ও অন্যান্য প্রকার নির্যাতনের শিকার। বর্তমান সময়ে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নারীকে মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে। যারা বলছে নারীর কাজ করার দরকার নেই, নারী ঘরেই থাকবে, স্বামীর সেবা করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। যারা এ ধরনের কথা বলে তারা কখনোই সমাজের প্রগতিকে বিশ্বাস করে না। তাই আমাদের সবগুলো রাজনৈতিক দলের কর্তব্য হচ্ছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র হবে না। আর নারীর মানবাধিকার প্রশ্নটি উপেক্ষিত হবে।সমাজে এখনো পিতৃতন্ত্র আছে। পরিবারে, সমাজে, প্রতিষ্ঠানে, রাজনৈতিক দলে পিতৃতন্ত্রেরই জয়গান। সেখানে নারীর মর্যাদা প্রশ্নটি অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। এই পরিস্থিতিতে নারীর মানবাধিকার ব্যাহত হবেই। নারীর নিজস্ব আন্দোলন রয়েছে, নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। আমরা দাবি করে আসছি নির্বাচনে নারীর সরাসরি ভোটে নির্বাচন। একই সঙ্গে সংসদের এক-তৃতীয়াংশ সাংসদ হবেন নারীরা। শুধু হ্যাঁ ভোট দেওয়ার জন্যই যেন নারীদের রাখা না হয়। আমরা বলছি নারীকে সংরক্ষিত আসনে নয়, সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।প্রথম আলো: দেশে সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন কি হয়েছে?আয়েশা খানম: আমাদের দেশে সিডও সনদের অনুচ্ছেদ ২ ও ১৬-এর ১/ক সংরক্ষিত রেখে বাকিটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক দেশই এর পুরোটা অনুমোদন করে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক দেশ বাস্তবায়নও করেছে। তবে, আশার কথা হলো আমাদের দেশে সিডও সনদের অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে। নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছেন। কূটনৈতিক পদ, কেবিনেটে নারীরা অংশগ্রহণ করছেন। আমরা মহিলা পরিষদ থেকে সিডও সনদপূর্ণ সনদ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর আন্দোলনের মাধ্যমে সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হবে। আর তার ফলে দেশে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে। নারী তার পূর্ণ মর্যাদা আর অধিকার পাবে।প্রথম আলো: নারীর অধিকার বাস্তবায়নে নারী সংগঠনগুলো কী ধরনের ভূমিকা রাখছে?আয়েশা খানম: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ যেসব নারী সংগঠন রয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই নারীর অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নারীসমাজকে সংগঠিত করা, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি লবি, প্রশিক্ষণ প্রদান—এ ধরনের বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছে। এ ছাড়া সেমিনার, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়েই এই সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। আর তার ফলে বিভিন্ন ইস্যুতে সফলতাও এসেছে। সমাজে নারীর অবস্থান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। উন্নতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আবার বাংলাদেশে প্রচলিত বৈষম্যমূলক আইনের সংস্কার ও নারীর মানবাধিকারের পক্ষে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে। কিন্তু সংকটের দিক হলো বাস্তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। অবশ্য মহিলা পরিষদ ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে আসছে। জাতিসংঘ সিডও কমিটিতে প্রথমে একক ও পরবর্তী সময়ে যৌথভাবে অনেক সংগঠন একত্রে লিখিতভাবে ছায়া প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠিয়েছিল। সিডও বাস্তবায়নের আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বাংলাদেশের নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের রয়েছে বলিষ্ঠ ভূমিকা।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: সুচিত্রা সরকারআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনকালীন সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা বিরোধী দলের নেই। তিনি বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা তো এত অবরোধ দিলেন, এত কর্মসূচি দিলেন, নির্বাচন কি বন্ধ করতে পেরেছেন?’আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদ বিরোধী দলের ডাকা রোববারের কর্মসূচি প্রতিরোধ করার জন্য ’৭১ সালের মতো ব্যূহ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সময় আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে তফসিল ১০ দিন পিছিয়ে দেব। আপনারা নির্বাচনে আসুন। কিন্তু তাঁরা বললেন, “না। তফসিল স্থগিত করতে হবে।” আমরা প্রস্তাব দিলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসুন। কিন্তু উত্তর এল, “না”। তাঁরা বললেন, “শেখ হাসিনার অধীন ছাড়া “ক” “খ” যে কারও অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব”।’তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই শেখ হাসিনার অধীনে তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে আসেননি।’ বিরোধী দলের চলমান সহিংসতার কঠোর সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, ‘এসব নৈরাজ্য সহিংসতা বন্ধ করুন। আপনাদের পরিণতি ভালো হবে না।’আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আওয়ামী লীগের নেতা মোজাফফর হোসেন প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী। |
ভারতে তিনটি কনসার্টে গান করছেন বাংলাদেশের শিল্পী ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, পার্থ বড়ুয়া ও বাপ্পা মজুমদার। কনসার্টগুলো আয়োজন করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পার্থ বড়ুয়া। সফরের প্রথম কনসার্টটি আজ অনুষ্ঠিত হবে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর কনসার্ট হবে বিহারের পাটনায়, আর শেষ কনসার্ট হবে ৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের বারানসিতে। সাংস্কৃতিক এ দলটি দেশে ফিরবে ৫ অক্টোবর।সব সময় সত্য কথা বলাই সর্বোত্তম পন্থা। যদি না আপনি একজন অসাধারণ মিথ্যাবাদী হন।জেরোম কে জেরোম, ব্রিটিশ লেখকআমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা পাই যে অভিজ্ঞতা থেকে কেউ কিছু শেখে না।জর্জ বার্নার্ড শ, আইরিশ নাট্যকারসে হয়তো দেখতে বোকার মতো, কথাও বলে বোকার মতো। তাই বলে এসব দেখে আপনি বোকা বনে যাবেন না। সে আসলেই একটা বোকা।গ্রুশো মার্ক্স, মার্কিন কৌতুক অভিনেতাপ্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনজন ব্যক্তি প্রয়োজন। একজন স্বপ্নবাজ, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন বদমাশ।পিটার ম্যাকআর্থার, মার্কিন আইস হকি খেলোয়াড়গ্রন্থনা: আলিয়া রিফাতসূত্র: ব্রেইনিকোটস ডটকমপ্রয়াত সংগীতশিল্পী মান্না দেকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মবিভূষণ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় মান্না দেকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। জানা গেছে, প্রয়াত বিশিষ্টজনকে মরণোত্তর এই সম্মান দেওয়ার বিধান নেই। কিন্তু মান্না দের ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় এই মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মান দেবে। ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিন ভারতে এই রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘কোনো শক্তিই ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারবে না।গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য এই কর্মসূচি অবশ্যই পালন করা হবে।’ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান এ কথা বলেন।মঈন খান বলেন, ‘আমরা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে অনুমতি চেয়েছি।পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা লিখিত কোনো উত্তর পাইনি।আশা করছি, পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এ অনুমতি পাব।’এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, রোববার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়া গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।খালেদা জিয়ার কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর গত বুধবার বিএনপি ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত ও তা পালনে সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) দুটি চিঠি দেয়। |
ইতিহাস গড়ে আবারও চ্যান্সেলর হলেন আঙ্গেলা মেরকেল। এটা নির্বাচনী টানা তৃতীয় বিজয় তাঁর। এবার জয়ের সম্ভাবনা ছিলই, কিন্তু এ রকম সাফল্যের দুয়ারে পৌঁছাবেন, সে ব্যাপারে কিছুদিন আগেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেননি।জার্মানির রাজনীতিতে এক প্রায়-অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মেরকেল। আগে এটি করতে পেরেছিলেন আর মাত্র দুজন। মেরকেলের দলেরই দুই সাবেক চ্যান্সেলর কনরাড আডেনআওয়ার ও হেলমুট কোল। বিশেষ করে একজন নারী হয়ে তিন দফা চ্যান্সেলর পদে বিজয়ী হওয়া সত্যিই ঐতিহাসিক ঘটনা। তা ছাড়া জার্মানির নির্বাচনী ইতিহাসে হেলমুট কোলের পুনরেকত্রীকরণ নির্বাচনের পর সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছেন তিনি।জার্মানির সংবাদমাধ্যম বলছে, ৫৯ বছর বয়সী মেরকেলের জনপ্রিয়তা এমনিতেই উল্লেখযাগ্য। তার ওপর এবারের নির্বাচনে ব্যক্তি মেরকেলের ভাবমূর্তি বিশেষ করে সহজ-সরল ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। যেসব ভোটার অর্থনীতি আর রাজনীতির জটিল বিষয় বুঝতে চান না, তাঁরা আঙ্গেলা মেরকেলকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছেন।এবারের নির্বাচনে আঙ্গেলা মেরকেলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল তাদের ইশতেহারে ক্ষমতাসীন সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছিল, আট বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও ধনী আর গরিবদের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দূর, ন্যূনতম মজুরি বা অবসরভাতা, গৃহায়ণ-সমস্যা ও গৃহায়ণ-ভাতার ক্ষেত্রে পুরোনো সমস্যাগুলোর কোনো সুরাহা করেননি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন কাঠামো বা পরিবেশ বিষয়ে তাঁরা ততটা উৎসাহী নন। কিন্তু তাঁদের কথা ভোটারদের খুব প্রভাবিত করতে পারেনি, ফলই তা বলে দেয়। নির্বাচনে জেতাটা হয়ে গেছে, এবার মেরকেলের সামনে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ—কার্যকর জোট গঠন। মেরকেলের সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যালিস্ট ইউনিয়ন ভালো ফল করলেও ক্ষমতাসীন জোটের আরেক শরিক ফ্রি ডেমোক্রেটিক দল মূল ভোটের ৫ শতাংশ পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন পার্লামেন্টে যেতে পারছে না। ফলে ঠিক পুরোনো জোট নিয়ে এবার ক্ষমতায় যাচ্ছেন না আঙ্গেলা মেরকেল। তা ছাড়া পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ক্ষমতার বলয়ের পরিবর্তন ঘটবে। কিছুটা ছাড় দিয়ে অথবা শরিকদের দাবি মেনে সরকার গঠন ও পরিচালনা করতে হবে মেরকেলকে। এ ক্ষেত্রে জার্মানির বড় দুই দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের ২০০৫ সালের মডেলে মহাজোট সরকার গঠিত হতে পারে। অথবা জার্মানির রাজনৈতিক সমীকরণে এই প্রথম ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের সঙ্গে পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টির জোট সরকার গঠিত হতে পারে।নির্বাচনের পরের দিন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। চ্যান্সেলর মেরকেল সেদিন জানান, জার্মান গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি কার্যকর সরকার গঠনে বিরোধী দলগুলোরও সমান দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী পেয়ার স্টাইনব্রুক জোট গঠনের প্রশ্নে বলেছেন, বল এখন আঙ্গেলা মেরকেলের কোর্টে। তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামী চার বছর তিনি কোন শরিকদের নিয়ে দেশ শাসন করবেন।হামবুর্গে জন্মগ্রহণকারী আঙ্গেলা ডরোথিয়া মেরকেল জন্মের পরপরই তাঁর সমাজতান্ত্রিক ধারণায় বিশ্বাসী ধর্মযাজক পিতার সঙ্গে পশ্চিম থেকে পূর্ব জার্মানিতে চলে যান। ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে যখন পূর্ব জার্মানির বহু বছরের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা হচ্ছিল, তখন সেখানে গণতান্ত্রিক জোটের মুখপাত্র হয়েছিলেন মেরকেল। ১৯৯০ সালে পূর্ব জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী লোথার ডে মেসায়ারের সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পদার্থবিদ্যার কৃতী ছাত্রী মেরকেল সেই বছরই হেলমুট কোলের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। চ্যান্সেলর কোলের মন্ত্রিসভায় ১৯৯১ সালে পরিবারবিষয়ক এবং ১৯৯৪ সালে পরিবেশবিষয়কমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৮ সালে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০০ সাল থেকে দলের সভানেত্রী। রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলে অনেক ঝানু রাজনীতিক থাকলেও, মেরকেল প্রতিভা আর কৌশলের জোরে সবাইকে পাশ কাটিয়ে দেশের রাজনীতিতে নিজ অবস্থান গড়ে নেন।আপনি জানেন কি ‘বর্ণবৈষম্য’ শব্দটি প্রথম কোত্থেকে আসে? বিশ্বাস না করলেও সত্য যে বর্ণমালা থেকেই প্রথম বর্ণবৈষম্য ধারণাটি আসে। বর্ণে সিরিয়াল মানতে গিয়ে কিছু বর্ণ আগে, কিছু বর্ণ পরে আসে। বর্ণমালার এই বৈষম্যই বর্ণবৈষম্য। আসুন দেখি, বর্ণবৈষম্যের বিস্তারিত।লেখা: কাসাফাদ্দৌজা নোমান আঁকা: জুনায়েদবাংলা বর্ণমালাকে প্রথমে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়েছে—স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ নামে। কী নিষ্ঠুরতা! স্বর-ব্যঞ্জনের ক্ষমতাশীল চেয়ারম্যান আ; যদিও বাচ্চাদের বাধ্যতামূলক অ দিয়ে পড়া শুরু করতে হয়। পরবর্তী সময়ে অ আ-কারের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে আ হয়ে শোষণ শুরু করে। আ-এর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে একটি বর্ণমালা ‘ঐ’ বলে উচ্চারণ করতে হয়। ঐ বলতে আ-কে হুজুর, মহাশয় নির্দেশ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আ-এর অত্যাচারে ‘উ’ নামক একটি বর্ণ ব্যথা-বেদনার প্রকাশ হিসেবেই পরিচিত। তারচেয়ে বেশি ব্যথা পেয়ে চিৎকার করে যাচ্ছে ‘ঔ’।‘ক’ ব্যঞ্জনবর্ণের কিং, আর চন্দ্রবিন্দু ( ঁ) সমাজের একদম নীচু শ্রেণীর। ‘ক’-এর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ‘খ’ মাস্তানি করে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। কিছু বললেই খুন করার হুমকি দেয়। ব্যঞ্জন শ্রেণীর একদম নিচের দিকের বর্ণ ৎ, ং, ঁ বরাবরই ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। চন্দ্রবিন্দু ( ঁ) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে লেখে, ‘আঁমাঁকেঁ কোঁনোঁ অঁধিঁকাঁরঁ দেঁওয়াঁ হঁয়ঁনিঁ। আঁমিঁ নিঁজেঁ কোঁনোঁ শঁব্দঁ উঁৎপাঁদঁনঁ কঁরঁতেঁ পাঁরিঁ নাঁ। আঁমাঁকেঁ পঁরঁজীঁবীঁ কঁরেঁ রাঁখাঁ হঁয়েঁছেঁ! স্ট্যাটাসটিতে ৎ, ং লাইক দিয়েছে। এ ছাড়া কমেন্টস করেছে, ‘এখানে আসুন, বর্ণহীন সমাজ গড়ি!’চন্দ্রবিন্দুর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তার স্ট্যাটাসের নিচে ‘গ’ কমেন্টস করে, ‘তুই নীচু জাত, তুই চামার। তোকে সুযোগ দিলে মাথায় উঠে বসিস।’ মধ্যম শ্রেণীর ‘জ’-এর কমেন্ট, ‘জীবন তো চলে যাচ্ছে, কথা বলে আর কী হবে!’‘য়’ এ বিষয়ে মন্তব্য করে, ‘য়ামি চাইলে আ-এর মতো করে শব্দ বানাতে পারি। তবে মানুষ পাত্তা দেয় না। কারণ, য়ামি উঁচু শ্রেণীর নীচু জাত। আপনার সঙ্গে আছি, ভাই!’‘হ’ বলে, ‘হইছে অফ যা!’‘ম’-এর পেছনে ঘুরঘুর করেও পাত্তা পায়নি বলে কিছু না বলে লগ আউট করে দিয়েছে ‘চ’।সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো ‘বর্ণবৈষম্য’ শব্দটিতে একদম নীচু শ্রেণীর কোনো বর্ণ নেই। হায় সেলুকাস!তবে যতই উঁচু-নীচু জাতপাতের বিচার করুক না কেন, কাজের সময় কিন্তু কীভাবে যেন সব এক হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বাক্যে। ভালোবাসার শক্তি আন্দাজ করে স্বর-ব্যঞ্জন একসঙ্গে মিলেমিশে বাক্যটিকে তৈরি করেছে! আহা কী দারুণ সম্প্রীতি!বাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-১০ ১ ২ ৩ সিসিমপুর।৬-৩৫ মাটি ও মানুষ।৭-০০ বনফুলের গান।৭-২৫ ম্যাকগাইভার।৮-৪০ শেষ বিকেলের পাখিরা।৯-০৫ নিঃসঙ্গ পানকৌড়ি।৯-৩০ আঙিনায় জোছনাতে।১০-২৫ ডা. মিলন স্মরণে।১০-৫০ গানের ঝরনাতলায়।এটিএন বাংলাসন্ধ্যা৬-১৫ কথামালা।৮-০০ প্রজ্ঞা পারমিতা।৮-৪০ ঠিকানা জানা নেই।৯-২০ কালান্তর।১০-৫৫ বিবেকের কাছে প্রশ্ন।১১-৩০ ট্রাম্পকার্ড।চ্যানেল আইবেলা৩-০৫ যিনি মেড ইন জিঞ্জিরা।৫-৩০ চলচ্চিত্র তারকাদের নিয়ে।৬-০০ বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব৬-২০ দেশ-বিদেশে রান্না।৭-৫০ ১৯৭১ সেই সব দিনগুলো।৯-৩৫ অ্যাডাল্ট হুড।১১-৩০ খোলা আকাশ।একুশে টিভিবিকেল৫-৩০ নীল পায়রার গান।৬-০৫ একুশের তারুণ্য সন্ধ্যা।৭-৫০ কুজিন নেভিগেটর।৮-২০ চার কন্যা।৯-৩০ সংসার সীমান্তে।১০-১০ একুশের সংলাপ।এনটিভিসন্ধ্যা৬-৪৫ পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার।৮-১৫ ফ্যামিলি ফিস্ট।৯-০০ যে গান গৌরবে বহমান।৯-৪৫ নীল রঙের গল্প।১১-৩০ ইয়েস বস নো বস।দেশ টিভিসন্ধ্যা৭-৪৫ বাংলাদেশে সাথে আড্ডা।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ বিন্দু থেকে বৃত্ত।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিসন্ধ্যা৬-০৫ স্বপ্নের পাঠশালা।৭-৩০ থানার নাম শনির আখড়া।৮-১৫ চোরকাঁটা।৯-০৫ যৈবতী কন্যা।৯-৫০ অপরাজিতা।১১-২০ গোলটেবিল।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-২৫ ফ্রন্ট লাইন।৮-১৫ লঙ্গরখানা।৯-০৫ অ-এর গল্প।১১-২৫ মিউজিক ক্লাব (চন্দনা মজুমদার)।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-২০ প্রেমতলীর কথা।৮-০০ প্রেমের নাম বেদনা।৮-৩৫ গ্ল্যামার গাইড।৯-২০ নাট বল্টু।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ নায়িকা উপাখ্যান।মাছরাঙা টেলিভিশনদুপুর১২-০০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাই: হংকং বনাম নেপাল। সরাসরি।৪-০০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাই: আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ড। সরাসরি।৮-০০ মুম্বাসা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ রূপকথা।১১-০০ মিউজিক ডাইজেস্ট।১১-৩০ দলের চেয়ে দেশ বড়।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৬-৩০ আপন আপন খেলা।৭-৪০ মানি আওয়ার।৮-২০ মনসুন রেইন।৯-১০ তুমি আমি সে।১০-২০ হ্যাকার্স।১১-০০ বিটস আনলিমিটেড।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ ওয়ারিশ।৮-৫৫ আজকের রান্না।১১-০০ কমেন্ট্রি বক্স।১১-৩০ ওয়ার্ল্ড উইক।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৭-৪০ প্রতিপক্ষ।৮-২০ বিশাখা।৯-০০ স্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড।১০-০০ মন যে কিছু বোঝে না।১০-৪৫ এশিয়ান মিউজিক।এসএ টিভিরাত৮-০০ বাংলাদেশি আইডল।৮-৩০ কাম টু দ্য পয়েন্ট।৯-০০ অন্তরে মম।৯-৩০ তখনো নামেনি বৃষ্টি।১১-০০ খোঁজ।১১-৩০ লেট এডিশন।অস্ট্রেলীয় অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করতেই সবচে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে জানালেন অস্কারজয়ী হলিউডের অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান। সম্প্রতি তাঁদের বিপরীতে কাজের অভিজ্ঞতাকেই সবচে চমত্কার বলে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন এ অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে ৩২ বছর বয়সী এ তারকার ভাষ্য, ‘মার্কিন অভিনেতাদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার অভিনেতারা অনেক বেশি আন্তরিক ও খোলা মনের অধিকারী। তাঁদের অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় আমার কাছে। অস্ট্রেলিয়ার অনেক কাজ করেছি আমি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, অস্ট্রেলীয় অভিনেতারা অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। তাঁদের সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা। এক কথায়, আমি তাঁদের কাজে মুগ্ধ। আমি তাঁদের অনেক পছন্দ করি।’ জানিয়েছে সান অনলাইন। ‘স্টার ওয়ারস’ ও ‘দ্য আদার বলিন গার্ল’ ছবিগুলোতে অস্ট্রেলীয় অভিনেতা জোয়েল এজারটন ও এরিক বানার সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে নাটালি পোর্টম্যানকে। |
আদিবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। এটি দেশটির সুবিধাবঞ্চিত আদিবাসীদের বঞ্চনা হ্রাসে কাজ করবে। ইন্ডিজেনাস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল নামের এই পরিষদের মূল নজর থাকবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনকল্যাণব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ হলেও সুবিধাবঞ্চিত হওয়ার কারণে দেশটির আদিবাসীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দারিদ্র্যপীড়িত রয়ে গেছেন। বিবিসি।ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি তাঁর সাবেক মধ্য-ডানপন্থী দল ফরজা ইতালিয়ার কার্যক্রম শুক্রবার নতুন করে শুরু করেছেন। বেরলুসকোনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁর পিপল অব ফ্রিডম পার্টির (পিডিএল) দলের নেতারা এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রেখে ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ আগের নামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৮ ডিসেম্বর পিডিএল নেতাদের এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেবে দলটির জাতীয় কাউন্সিল।উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনো আলফানোসহ দলের কয়েকজন নেতা বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বিভেদ স্পষ্ট হয়েছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পুরোনো নামে নতুন করে দলের যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে বেরলুসকোনি দলের অধিকতর রক্ষণশীল অংশের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চাইছেন। বিবিসি।শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্য বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো রাগপ্রধান বাংলা গানের আসর। একাডেমীর চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিল্পীরা পরিবেশন করেন ২০টি রাগপ্রধান বাংলা গান।শুরুতেই বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের পরিচালক সোহরাব হোসেন। শিল্পী অভীক দেব শুরুতেই বসন্ত রাগে পরিবেশন করেন ‘বাসন্তী হে ভুবন মোহিনী’ গানটি। এরপর তিনি নটমল্লার রাগে ‘সুখহীন নিশিদিন’ গানটি পরিবেশন করেন। এরপর বিজন মিস্ত্রী কলাবতী মিশ্র রাগে ‘ঝানানা ঝানানা বাজে’ ও বসন্ত বাহার রাগে ‘দখিনা বাতাস আজি বহে মৃদু মন্দে’ গান দুটি পরিবেশন করেন। মাহমুদুল হাসানের কণ্ঠে শুরুতেই বেহাগ রাগে পরিবেশিত হয় ‘ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান’ ও পরে ভৈরবী রাগে পরিবেশন করেন ‘তুমি আমার সকাল বেলার সুর’। মো. শোয়েবের কণ্ঠে শুরুতেই রাগ পিলুতে গীত হয় ‘যমুনা সিনানে চলে’ গানটি। লীনা তাপসী শুরুতেই মিশ্র খাম্বাজ রাগে পরিবেশন করেন ‘আসিয়া কাছে গেলে ফিরে’ গানটি। এরপর রাগ জৈনপুরীতে পরিবেশন করেন ‘মধুর মিনতি শোন ঘন শ্যাম’ গানটি। সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শিল্পী খায়রুল আনামের কণ্ঠে। শুরুতেই রাগ খাম্বাজে তিনি পরিবেশন করেন ‘কোয়োলিয়া গান থামাও এবার’। একই শিল্পীর কণ্ঠে রাগ বেহাগে ‘আমায় বোলো না ভুলিতে বোলো না’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ সরকারের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে পুলিশের চলন্ত গাড়িতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া হাতবোমায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়। রাতে সেখানেই মারা যান সিদ্ধার্থ।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, অবিলম্বে বোমা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান। |
হূতিক রোশন কিংবা রণবীর সিং নন, শেষমেশ স্বামী অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধেই অভিনয়ে ফিরছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ছবির নাম হ্যাপি অ্যানিভার্সারি। বিবাহিত দম্পতিদের জীবনের নানা রসায়ন নিয়েই নির্মিত হবে ছবিটি, পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কর। ছবিটির জন্য নাকি রাত-দিন খেটে নিজেকে প্রস্তুত করছেন ঐশ্বরিয়া। ওজন কমিয়ে একদম আগের চেহারায় ফিরতে চান তিনি। প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশি জানিয়েছেন, ধুম ২ ছবিতে ঐশ্বরিয়া যেমন ছিলেন, হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ছবিতেও তাঁকে তেমনই দেখা যাবে।হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ছবির বাজেট ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি রুপি। ছবির শুটিং হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আগামী বছর মুক্তি পাবে ছবিটি। হিন্দুস্তান টাইমস। পানি না ছুঁয়েই মাছ ধরার ধৃষ্টতার প্রতিবাদস্বরূপ দেশের সব কটি অ্যাকুরিয়ামে মাছবন্ধন। কর্মহীনতা উদ্যাপনে আকাইম্মা গ্রুপের খই ভাজা উৎসব। পান থেকে চুন খসার প্রতিবাদে পানের বরজে চুনকাম কর্মসূচি। উঠোন বাঁকা হওয়ার প্রতিবাদে নাচের দল ‘ডিস্কু ড্যান্সার’-এর ড্যান্স ডিরেক্টর খলিলের উঠোনে আমরণ অনশন। ন্যাড়া বেলতলায় যাওয়ার অপরাধে প্রতিবাদস্বরূপ ন্যাড়ার শাস্তির দাবিতে বেলতলায় বেল পাড়া কর্মসূচি তিলকে তাল করার কারচুপির প্রতিবাদে তালতলায় বিক্ষোভ মিছিল ও গণতিলের খাজা ভক্ষণ।ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল লাইনের গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় আজ মঙ্গলবার রাতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।এলাকাবাসী ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর থেকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ঢাকার কমলাপুরে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাত্ বিকট শব্দে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের বগিতে থাকা কয়েকজন যাত্রী আহত হন। তাঁরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিত্সা নিয়েছেন। ওই সময় থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, অবরোধ সমর্থকেরা ওই এলাকায় রেল লাইনের কিছু অংশ উপড়ে ফেলে। এর কারণে ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।টঙ্গী রেল স্টেশনের মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক মো. দাদন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।রাজধানীর সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও প্রেসক্লাব এলাকায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই মিছিল বের করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান তাঁরা। এসব ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ৩২ জনকে আটক করেছে।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল হিযবুত তাহরীরের।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষ হতে না হতেই সেগুনবাগিচা মসজিদ থেকে বের হন মিছিলকারীরা। তাঁরা ব্যানার হাতে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটান। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ধাওয়া দিলে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আশপাশের ভবনে লুকিয়ে পড়েন। এরপর অভিযান চালিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) পাশের একটি ভবনে লুকিয়ে থাকা ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেগুনবাগিচার আশপাশের এলাকা থেকেও আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। একই সময় বিজয় নগরের সামনে দিগন্ত টেলিভিশন চ্যানেলের গলি থেকে হিজবুত তাহরীরের আরও একটি মিছিল বের হয়। সেখান থেকেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ‘প্রথম আলো’কে জানান, আটক হওয়া মোট ২৪ জনকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছে কাফনের কাপড়, ব্যানার, লিফলেট পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটজনকে আটক করে পল্টন থানায় আনা হয়েছে। |
জাপানের দুর্ঘটনাকবলিত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিঃসরণ প্রতিরোধে যে বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল, তাতে একটি ছিদ্র শনাক্ত করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ফুকুশিমার নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এএফপি।বন্ধ হয়ে যাওয়া জনপ্রিয় ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর আড়ি পাতা কেলেঙ্কারির ঘটনায় আজ সোমবার আটজনের বিচার শুরু হচ্ছে। ওই আটজনের মধ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সাবেক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বন্ধু রেবেকা ব্রুকসও আছেন।অভিযুক্ত আটজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টেলিফোনে আড়ি পাতা, তথ্যের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া ও বিচার বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর মালিক মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডকের ‘পঞ্চম কন্যা’ বলে পরিচিত ব্রুকস ছাড়া অন্য যাঁদের বিচার হচ্ছে তাঁরা হলেন পত্রিকাটির আরেক সাবেক সম্পাদক ও ডেভিড ক্যামেরনের সাবেক মুখপাত্র অ্যান্ডি কুলসন, রেবেকা ব্রুকসের স্বামী চার্লি ব্রুকস, ব্রুকস দম্পতির সহকারী শেরিল কার্টার, নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক স্টুয়ার্ট কার্টনার, সংবাদপ্রধান ইয়ান এডমুন্ডসন, রাজপরিবারবিষয়ক সম্পাদক ক্লিভ গুডম্যান ও নিউজ ইন্টারন্যাশনালের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান মার্ক হানা।আসামিরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বর্তমানে জামিনে আছেন। আড়ি পাতা কেলেঙ্কারির জেরে ২০১১ সালের জুলাইয়ে ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। এএফপি।বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ছয় নাগরিক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁরা এ উৎকণ্ঠার কথা জানান।সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিক বঙ্গবভনে পৌঁছান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক তিন উপদেষ্টা আকবর আলি খান, জামিলুর রেজা চৌধুরী, সুলতানা কামাল, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠক শেষে পৌনে আটটার দিকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।বৈঠক শেষে আকবর আলি খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখানে আসার উদ্দেশ্যে ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের এবং জাতির উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা নিবেদন করা। তাঁর কাছে নিবেদন করেছি দেশে বর্তমানে যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি চলছে, এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত। আমরা সবাই এই পরিস্থিতি হতে পরিত্রাণ চাই। রাষ্ট্রপতি আমাদের জানান, তাঁর সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ সংকট নিরসনের জন্য তিনি সচেষ্ট আছেন এবং সচেষ্ট থাকবেন। আশা করব, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।’কোনো অনুরোধ বা প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আকবর আলি বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ ছিল না। তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন কি না, এমন এক প্রশ্নের তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন।কোন কোন বিষয়ে উদ্বেগ উত্কণ্ঠা জানিয়েছেন প্রশ্নে আকবর আলি বলেন, ‘নির্বাচন যে পরিবেশে হতে যাচ্ছে, সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ। দেশে বর্তমানে যে অবরোধ, হরতাল এসব চলছে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্ কী ঘটতে যাচ্ছে, কি হতে পারে এসব বিষয় নিয়ে।’রাষ্ট্রপতি কী করতে পারেন প্রশ্নের জবাবে আকবর আলি বলেন, ‘তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই করতে পারেন না। অনানুষ্ঠানিকভাবে কথাবার্তা বলে সংশ্লিষ্টদের বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন, অভিভাবকেরা যেটা করার চেষ্টা করেন।’তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মূল বিষয় হল উদ্বেগ। আমরা মনে করি প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন হলে পরে সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সে জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখতে হলে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা চাই।’রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপের পর উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছিল, সেটা আছে কি না এবং রাষ্ট্রপতি কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নে আকবর আলি বলেন, ‘উনি আশ্বাস দিয়েছেন তিনি সচেষ্ট আছেন এবং সচেষ্ট থাকবেন। এটা মনে রাখতে হবে সমাধান শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে নয়। এ ব্যাপারে প্রধান জোটগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। সে জন্য শুধু রাষ্ট্রপতিই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, সেটা মনে হয় না। তবুও তাঁর যে প্রচেষ্টা সেটা অব্যাহত রাখলে হয়তো আমরা কিছু ফল পেতেও পারি।’প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে যাবেন অপর প্রশ্নে আকবর আলি বলেন, ‘এ ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা নাই। প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী হলেন দুটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। কাজেই প্রতিপক্ষের কাছে আলাপ করে সমাধান করা সম্ভব না।’ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের মানুষের মধ্যে একটা ঐকমত্য আছে। তাঁরা গণতন্ত্রকে বজায় রাখতে চায়, শান্তি চায়, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাই বলেছি নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। জনমত গঠন হয়েছে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকট থেকে উত্তরণ হয়েছে অতীতে। এবারও সেই আশা নিয়ে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যাব।’সুলতানা কামাল বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে আমাদের একটা রাজনৈতিক সত্তা আছে। সেটার যতটুকু অধিকার আছে, যে দায় দায়িত্ব আছে, আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে আমরা তা পালন করে যাব। আমরা আশা করতে পারি, কাজ করলে নিশ্চয়ই একটা ফল আমরা কখনো না কখনো পাব।’বিশ্বকাপে যেন আর্জেন্টিনা আর নাইজেরিয়ার সম্পর্ক একই সুতোয় গাঁথা। তা নাহলে ভাগ্যের খেলা কেন বারবার একই গ্রুপে এনে ফেলবে দুই দলকে? আগামী বছরের ব্রাজিল বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো আর্জেন্টিনার গ্রুপসঙ্গী হয়েছে নাইজেরিয়া। আগের তিনটি মুখোমুখি লড়াইয়েই সুপার ইগলদের হারের স্বাদ দিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে এবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মনে করছেন নাইজেরিয়ার তারকা ফুটবলার চিনেদু ওবাসি। কারণ তাঁর মতে, আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিই যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।আর্জেন্টিনা যে বিশ্বকাপ মিশনের রণকৌশল মেসিকে কেন্দ্র করেই সাজাবে, সেটা সবারই জানা। আর মেসিকে যদি নিষ্প্রভ করে রাখা যায়, তাহলেই আর্জেন্টিনা-বধের কাজটা সহজে করে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন ওবাসি। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে শালকের এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার সবকিছু মেসিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে। আর মেসি ইতিমধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’আর্জেন্টিনা বরাবরই নাইজেরিয়াকে হারালেও প্রত্যেকটি জয়ই ছিল ন্যূনতম ব্যবধানের। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আর নাইজেরিয়া প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। সেবার ম্যারাডোনা-ক্যানিজিয়াদের কাছে সুপার ইগলরা হেরেছিল ২-১ গোলে। দ্বিতীয়বার ২০০২ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১-০ গোলে। গত বিশ্বকাপেও এই একই ব্যবধানের জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।একটু এদিক-ওদিক হলেই যে ম্যাচগুলোর ফলাফল অন্যরকম হতো, সেই পরিসংখ্যান থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন ওবাসি। বলেছেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে আর্জেন্টিনা আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী। আর তারা বরাবরই আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এবার আমরা সেটা কোনোভাবেই হতে দেব না। আমি সত্যিই মনে করছি যে আগামী বছর আমরা তাদের আধিপত্য রুখে দিতে পারব।’ |
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির অভিজাত বিপণিকেন্দ্র ওয়েস্টগেটে নজিরবিহীন ধরনের রক্তক্ষয়ী হামলার দায় স্বীকার করেছে সোমালিয়ার জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠী আল-শাবাব। তারা বলেছে, সোমালিয়ায় কেনীয় সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে এ হামলা চালানো হয়েছে। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি হুমকি দিয়েছে, কেনিয়া অবিলম্বে সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে তারা আরও হামলা চালাবে। কেনিয়া অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে তারা আল-শাবাবের হুমকিতে কান দেবে না। আল-শাবাবকে দমনে সহায়তা করতেই সোমালিয়ায় ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে সেনা পাঠিয়েছিল কেনিয়া।ওয়েস্টগেট বিপণিকেন্দ্রে এ ভয়াবহ হামলার ঘটনায় কেনিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনা কেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার জন্য স্পষ্টতই বিব্রতকর। মাত্র গত এপ্রিলে তিনি দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে এই ঘটনা তাঁকে ব্যাপক চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার পর পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কেনিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা যে জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়বে, তা সামলাতে প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তাকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। ২০১১ সালে কেনিয়া প্রায় চার হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল সোমালিয়ায়। এর পরপরই কেনিয়ায় বেশ কয়েকটি বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালায় আল-শাবাব। এতে ৩০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছিল। কেনিয়া সরকার সে দেশে বেশ কয়েকটি অপহরণের ঘটনার জন্যও আল-শাবাব জঙ্গিদের দায়ী করে।অনেকের ধারণা, ওয়েস্টগেটে এই ‘সফল’ হামলা আল-শাবাব ও তার সমর্থকদের কেনিয়ায় আরও হামলা চালাতে সাহস জোগাতে পারে। নাইরোবির ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক করওয়া আদার বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই আল-কায়েদা ও আল-শাবাব একই ধরনের হামলা আবারও চালাবে। বিশেষ করে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে। এখন এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের উচিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া।’কেনিয়ার জাতীয় পরিষদের কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যে গোয়েন্দা বিভাগ ও অভিবাসন বিভাগের কার্যক্রম ফের খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের অসাবধানতার কারণেই আল-শাবাবের জঙ্গিরা দেশটিতে ঢুকতে পেরেছে।কেনিয়া ও তার প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়াকে পাশ্চাত্যের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বহু দিন ধরেই কেনিয়ার সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ও সন্ত্রাস দমনবিষয়ক তথ্য বিনিময় করে আসছে। ১৯৯৮ সালে নাইরোবিতে মার্কিন দূতাবাসে আল-কায়েদার বোমা হামলার পর এই তথ্য আদান-প্রদান শুরু হয়। মার্কিন দূতাবাসে ওই হামলায় ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওয়েস্টগেট হামলার পর এসব দেশের উচিত হবে কেনিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেশটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।রোকেয়া রহমান, সূত্র: বিবিসিবাংলাদেশ টেলিভিশনসন্ধ্যা৬-১০ গীতিমাল্য।৬-৩৫ আলোর পথযাত্রী।৭-০০ মুখোমুখি।৭-২৫ বাঁকখালির বাঁকে।৮-৪০ কৃষি দিবানিশি।৯-০৫ ত্রিমোহনী।৯-৩০ সোনালী আলো।১০-২৫ এইসব দিনরাত্রি।১১-০০ অনির্ধারিত।এটিএন বাংলাবিকেল৫-১৫ লাইফ অ্যান্ড বিউটি।৬-২০ মারলিন।৮-০০ থার্ড আই।৮-৪০ নীড় খোঁজে গাংচিল।৯-২০ ডিবি।১০-৫৫ নির্বিকার মানুষ।১১-৩০ যে কথা কেউ বলেনি।চ্যানেল আইসন্ধ্যা৬-০০ ট্রাভেল অন।৬-২০ মন ও চোরাগলি।৭-৫০ বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ।৯-৩৫ বধু কেন বোঝে না।১১-৩০ পাতালপুরির রাজকন্যা।একুশে টিভিসন্ধ্যা৬-৩০ দেশজুড়ে।৭-৫০ মিউজিক স্টেশন।৮-২০ থ্রি কমরেডস।৯-৩০ চতুরঙ্গ।এনটিভিসন্ধ্যা৬-৪৫ অগ্রজ।৮-১৫ তবুও জীবন।৯-০০ স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ডস।৯-৪৫ ভালোবাসার চতুষ্কোন।১১-৩০ অ্যাডভেঞ্চার ম্যান।দেশ টিভিসন্ধ্যা৬-০০ কল্পলোকের গল্পকথা।৬-৩০ ওয়ার্ল্ড মিউজিক।৭-৪৫ সিনেমা এক্সপ্রেস।৯-৪৫ রেডিও চকলেট রিলোডেড।১০-৩০ সিক্রেট সার্ভিস।১১-৪৫ সোজা কথা।আরটিভিবিকেল৫-০০ সিনেমার গান।৭-৩০ আর মাত্র কয়ডা দিন।৮-১৫ চোরকাঁটা।৯-০৫ যৈবতী কন্যা।৯-৫০ ব্রাইডল শো।১১-২০ আওয়ার ডেমোক্রেসি।বাংলাভিশনসন্ধ্যা৬-২৫ ফ্রন্ট লাইন।৮-১৫ নিজগৃহে পরবাসী।৯-০৫ রেড সিগন্যাল।১১-২৫ বিজনেস ভিশন।বৈশাখী টিভিসন্ধ্যা৬-১৫ সাতকাহন।৮-০০ নিসর্গ।৮-৩৫ লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট।৯-২০ ফলস আইটেম।১১-০০ সংঘাত।১১-৩০ ডাবল ফোর টোয়েন্টি।মাছরাঙা টেলিভিশনবিকেল৫-৩০ মিস্টার মেকার।৬-৩০ বিনোদন সারাদিন।৭-৩৫ খেলার মাঠে।৮-০০ বিল্টু মামা।৮-৪০ ক্ষণিকালয়।৯-২০ দেশঘরের গান।১১-০০ পিঞ্জর।১১-৩০ সাঁইজীর বারামখানা।চ্যানেল নাইনসন্ধ্যা৬-৩০ দ্য গ্রেট মামা সেন্টার।৭-৪০ হাতের কাছে পথের খাবার।৮-২৫ চন্দ্রাবতী।৯-১০ শিউলীতলার প্রেম।১০-২০ গেম।১১-০০ মনের রঙে রাঙ্গাব।জি টিভি (গাজী টিভি)রাত৮-১০ রংতুলি।৮-৫৫ ভালোবাসি গান।৯-৩৫ নায়িকা সংবাদ।১১-০৫ আপনি কিছু বলুন।এশিয়ান টিভিসন্ধ্যা৬-০০ গান বাজনা।৬-৪০ গোল্ডেন আওয়ার।৭-৪০ বড় পর্দার গান।৮-২০ নাটাইপাড়া বনাম ঘুড্ডিপাড়া৯-০০ জীবন সংসার।৯-৪০ সেকেন্ড ইনিংস।১০-২০ বলিউড টলিউড।১১-০০ এশিয়ান মিউজিক।এসএ টিভিরাত৮-০০ চায়ের কাপে ঝড়।৮-৩০ নাটক।৯-০০ শাইন অন।৯-৩০ সংশয়।১১-০০ কর্পোরেট আইকন।১১-৩০ লেট এডিশন।টাইফুন আক্রান্ত ফিলিপাইনে ত্রাণ তত্পরতা চালাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গতকাল সোমবার ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নতুন চুক্তির মধ্য দিয়ে সাবেক উপনিবেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু সুবিধা আদায় করবে এবং সে দেশে আরও কয়েক বছর মার্কিন সেনারা অবস্থানের সুযোগ পাবে।মধ্য ফিলিপাইনে টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে বিধ্বস্ত অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণের কাজ করছে। তবে ফিলিপাইনের এমন দুর্বল মুহূর্তেও দেশটিকে কোনো ছাড় দিচ্ছে না মার্কিনরা।রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক বছর ধরে ফিলিপাইনকে নতুন নিরাপত্তা চুক্তিতে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে আসছিল। এ চুক্তির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপনিবেশটিতে মার্কিন সেনাদের আরও বেশি করে এবং বেশি দিনের জন্য অবস্থানের আইনগত ভিত্তি তৈরি করা। নতুন চুক্তির বলে ফিলিপাইনের ভূখণ্ডে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে মানবিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেশি মাত্রায় ত্রাণ এবং নৌ অভিযানের জন্য বেশি অস্ত্রশস্ত্র ও উপকরণ গুদামজাতের অধিকার লাভ করবে যুক্তরাষ্ট্র।দেশ দুটি গত মাসে চারবার বৈঠকে বসলেও ফিলিপাইনের আইন ও সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই দেশের সরকারই চুক্তি করতে বদ্ধপরিকর ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ওবামা সরকারের দাপট আরও বৃদ্ধি পাবে।ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রসচিব আলবার্ট ডেল রোজারিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাইফুনের আঘাতে মধ্য ফিলিপাইনে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যাওয়ায় আমাদের ত্রাণ, উদ্ধার তত্পরতার মতো যেসব সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে, সেগুলো ঠিকঠাক মতো পেতেই আমাদের এ কাঠামোগত সহযোগিতা চুক্তিটি করতে হচ্ছে।’১৯৯০-এর দশকের শুরুতেও ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি ছিল। ওই ঘাঁটিগুলোকে আরও কয়েক বছর থাকতে দিতে ফিলিপাইন সরকারের ওপরে চাপ তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সে সময় ফিলিপাইন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সাবেক উপনিবেশটি ছাড়তে হয়।ঝড় ও বন্ধুত্ব ৮ নভেম্বরের ঝড়টিতে ফিলিপাইনের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, উদ্বাস্তু হয়ে যায় ৪৪ লাখ মানুষ এবং ফসল ও বাড়িঘরের ক্ষতি হয় প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি পেসো (প্রায় চার হাজার ২৬২ কোটি টাকা)।ঝড়ের পরেই দুর্গত এলাকায় খাবার, পানি ও অন্যান্য সহযোগিতা দিতে এবং সড়কপথ, নৌ ও বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার কাজে হাত লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০টি জাহাজ ও বেশ কিছু যুদ্ধ বিমান পাঠায়।এ জন্য ওয়াশিংটন ম্যানিলাকে ত্রাণ ও আবাসন উপকরণ এবং অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য পাঁচ কোটি ২০ লাখ ডলার (৪০৩ কোটি টাকা) ঋণ দিয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাত দিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হবে তিন কোটি ডলার (২৩৩ কোটি টাকা)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে দেশটিতে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন ও কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়েছে।ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রসচিব আলবার্ট ডেল রোজারিওর সঙ্গে বৈঠকের পর নিউজার্সির কংগ্রেস সদস্য ক্রিস স্মিথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঝড়টি আমাদের সবাইকে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে।... আমরা বুঝতে পারছি, এটা বন্ধুত্বের সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন। যেকোনো মূল্যে এটিকে রক্ষা করতে হবে। আমার মনে হয়, এর প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে অনেক দিন ধরে আটকে থাকা আরও বহু বিষয়ে আমরা দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব।’জাতিসংঘের জনহিতকর দপ্তর বলছে, ফিলিপাইনে খাবার, পানি ও বাসস্থানের মতো জরুরি মানবিক ত্রাণ এখনো খুবই অপ্রতুল এবং এগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা আজও হয়নি। দপ্তরটি বলছে, দেশজুড়ে ত্রাণ তত্পরতা চালানোর জন্য এ খুব দ্রুত ৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের (প্রায় দুই হাজার ৭০৩ কোটি টাকা) তহবিল প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, হয়রানি ছাড়া বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মেধা ও শ্রম ব্যয় করতে তিনি বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান।আজ শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের বর্ধিত ভবন মিলনায়তনে বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বার্ষিক ওই সম্মেলনের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।প্রধান বিচারপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত ব্যবহারের ফলে জনগণ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। এর ফলে জনগণ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বিচার বিভাগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পোষণ করে। বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে বিভ্রাট ঘটলে বিচারপ্রার্থী জনগণ বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করতে পিছু হটে না। বিচার বিভাগকে এ রকম সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখতে নিয়মনিষ্ঠ, সত্ ও পরিশীলিত আচরণের অধিকারী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের সুসংবাদ আমাকে আনন্দিত করে। দুঃসংবাদ ব্যথিত করে।’ বিচার বিভাগের জন্য সম্মানহানিকর এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিচারকদের সমাজের চোখে আদর্শবান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, যাতে কেউ বিরূপ মন্তব্য না করে।সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় সারা দেশের ২৫০জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। |
প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব এস এম সোলায়মানের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ‘রঙ্গমাতন সোলায়মান মেলা’ আয়োজন করেছে থিয়েটার আর্ট ইউনিট। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এই মেলা শুরু হবে বেলা তিনটায়। এতে অংশ নিচ্ছে থিয়েটার আর্ট ইউনিট, আরণ্যক নাট্যদল, সুবচন নাট্য সংসদ, প্রাচ্যনাট, প্রাঙ্গণেমোর, স্বপ্নদল, বটতলা, ঐকিক থিয়েটার ও তীরন্দাজ। এই নাট্য সংগঠনগুলোর স্টলগুলোতে হবে নাট্যবিষয়ক নানা প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় হবে আলোচনা অনুষ্ঠান ‘এস এম সোলায়মানকে নিয়ে নাট্যকর্মীদের জিজ্ঞাসা’। এরপর হবে বৈঠক। বৈঠকের বিষয় ‘বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ: নাট্যকর্মীর দায়বদ্ধতা’। এবার ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা’ পাচ্ছে কমলগঞ্জ হবিগঞ্জের মণিপুরী থিয়েটার। সবশেষে থিয়েটার আর্ট ইউনিট পরিবেশন করবে গীতিনাট্য জনম দুঃখী মা এবং এস এম সোলায়মানের রচনা থেকে বিভিন্ন পরিবেশনা।অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত বাংলাদেশের জন্য ১৫ দফা কর্মপরিকল্পনার ১৩টি বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ২৭ জুন বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য জিএসপি ফিরে পেতে তৈরি পোশাক খাতে শ্রম-অধিকারবিষয়ক ১৫টি পদক্ষেপ নিতে একটি কর্মপরিকল্পনা গত জুলাইয়ে বাংলাদেশকে তৈরি করে দেয় বাংলাদেশি পোশাকের প্রধান আমদানিকারক এ দেশটি।যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওই কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা করবে। এরই মধ্যে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কী কাজ হয়েছে বা কী এখনো হয়নি—সেসব তথ্য ইউএসটিআরকে জানাতে হবে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল রোববার ‘যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে জিএসপি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’ ইউএসটিআরের কর্মপরিকল্পনার অন্যতম হলো শ্রম, অগ্নি ও ভবনসংশ্লিষ্ট পরিদর্শক নিয়োগ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পরিদর্শন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা। বাস্তবে এখন পর্যন্ত পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চারজন। ৭২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। পরিদর্শক বৃদ্ধিসহ ফায়ার সার্ভিসের নতুন কাঠামো তৈরির প্রস্তাব নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সিডিএর পরিদর্শক বৃদ্ধির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।বাংলাদেশ সেন্টার ফর উইমেন সলিডারিটি এবং সোশ্যাল অ্যাকটিভিটিজ ফর দ্য এনভায়রনমেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। শিল্প পুলিশদের শ্রম বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইপিজেডে শ্রম আইন বাস্তবায়নে একটি কমিটি কাজ করছে।তথ্যভান্ডার ও অভিযোগ কেন্দ্র গঠন নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।তবে শ্রমিক অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তার ও বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাবুল আক্তার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের ইউএসটিআরকে জানিয়েছে যে আমার ও কল্পনা আক্তারের মামলা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। বাস্তবে মামলা এখনো ঝুলছে। সরকারের বোঝা উচিত যে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউএসটিআর যখন আমাদের কাছে জানতে চায়, তখন আমরা সত্যি কথাটাই বলি। ’তবে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। কল্পনা আক্তার ও বাবুল আক্তারের মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর একটি বৈঠক ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দিনই তা নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা।আমিনুল ইসলাম হত্যার বিষয়ে সন্দেভাজন আসামি মুস্তাফিজকে ধরতে দুবার পুরস্কার ঘোষণাসহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে এবং মুস্তাফিজের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখাচ্ছে সরকার।ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি মদন বি লকুরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।দিল্লির একটি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুনানি না হয়ে মামলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।ফেলানীকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যা করার অভিযোগ আছে বিএসএফ কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে। এই হত্যার বিরুদ্ধে মামলা হলে বিএসএফের বিশেষ আদালত বিচারে কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। এরই বিরুদ্ধে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার চাওয়া হয়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়।চরম গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গত ১৩ আগস্ট থেকে কোচবিহারে শুরু হয় ফেলানী হত্যার বিচার। কোচবিহার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সোনারীতে বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে বিশেষ আদালতে চলে এই বিচারকার্য। ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম এবং মামা আবদুল হানিফের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া সাক্ষ্য নেওয়া হয় বিএসএফ কনস্টেবল অমিয় ঘোষ সহ হত্যাস্থলের আশপাশ এলাকার মানুষজনের সাক্ষ্য ।১৫ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি কিশোরী ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি তাঁর বাবা নুর ইসলামের সঙ্গে দিল্লি থেকে বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিল। তাঁদের কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট না থাকায় তাঁরা দালালের মাধ্যমে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া বাঁশের মই দিয়ে পার হওয়ার উদ্যোগ নেন সকাল ছয়টার দিকে। ফেলানীর বাবা কাঁটাতারের বেড়া পার হতে পারলেও আটকে পড়ে ফেলানী। ওই সময় টহলরত বিএসএফের সদস্য ফেলানীকে দেখে গুলি চালান। ফেলানী গুলি খেয়ে ঝুলে পড়ে তার গায়ে থাকা সোয়েটারের সঙ্গে আটকে পড়ে। পরে সে মারা গেলেও চার ঘণ্টা পর্যন্ত ওইভাবে তার দেহ ঝুলে থাকে।ওই ঘটনার পর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কড়া প্রতিবাদ ওঠে দেশ বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে। এরপরই বিএসএফ ফেলানী হত্যার একটি মামলা দায়ের করে। গঠন করে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট। সেখানেই বিচার হয় ফেলানী খাতুন হত্যাকাণ্ডের।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আনা নিন্দা ও শোক প্রস্তাবে বিরোধীদলীয় নেত্রী মর্মাহত হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। তিনি আসলে ওই কারণে মর্মাহত হয়েছেন, নাকি কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে এ কারণেই মর্মাহত হয়েছেন। তাঁর কণ্ঠ শুনে আমার মনে হয়েছে, তিনি কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন।’আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ভোট দিতে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। যাঁর ভোট তিনি দেবেন। যারা ভোট প্রদানে বাধা দেবে, তাদের সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে।’রাজশাহীতে বোমা মেরে পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা হলে, আরেক পুলিশ তো বসে থাকতে পারে না। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি জানান।শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়। তিনি বলেন, যে দল স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে, ত্যাগ স্বীকার করে, জেল-জুলুম ভোগ করে, তাদেরই ক্ষমতায় থাকা উচিত। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। আজকে বাংলাদেশের মানুষ তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। আর এ জন্য আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য ১৯ বার ক্যু হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের মানুষ অবহেলিত ছিল। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের উন্নতি হয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তিনি বিরোধী দলের নেতাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে আরাম-আয়েশ করেন। আর দেশবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁদের আন্দোলন ধ্বংসের জন্য। তাঁরা মানুষ হত্যা করে সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। আমরা পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগাচ্ছি, আর তাঁরা আন্দোলনের নামে লক্ষ লক্ষ গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছেন।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপির সময় দেশে বিদ্যুতের নাজুক অবস্থা ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করেছি। ৫৪টি বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করেছি। ৩৪টির কাজ সমাপ্তির পথে। এগুলোও দ্রুত উত্পাদনে যাবে। আবার ক্ষমতায় এলে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করব। তখন দেশে আর বিদ্যুত্ঘাটতি থাকবে না।’এ সময় সেখানে সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুত্ফর রহমান, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। |
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দিলেন বারাক ওবামা। গুরুত্বপূর্ণ এ ভাষণটিকে অনেকে তাঁর সেরা কূটনৈতিক ভাষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে বেশি কথা বলা হচ্ছে ওবামা ও ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির করমর্দন নিয়ে।না, ওবামা ও রুহানির মুখোমুখি দেখা হয়নি, ফলে করমর্দনও ঘটেনি। তবে দুটোই হতে পারত। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব সাধারণ পরিষদের বার্ষিক বিতর্কে অংশ নিতে আগত বিশেষ অতিথিদের সৌজন্যে যে মধাহ্নভোজ দিয়েছিলেন, ভাবা হয়েছিল, সেখানেই দুই নেতার ‘হাই-হ্যালো’ হবে, চাই কি করমর্দনও হয়ে যেতে পারে। এর আগে ওবামা এক পত্রে নির্বাচনে বিজয়ের পর রুহানিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তাতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রশ্নে ইরানের সঙ্গে বিবাদ মেটানো সম্ভব হবে, এমন আশাবাদ ছিল। জবাবে রুহানিও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। সেই থেকে আমেরিকার পত্রপত্রিকা ওবামা ও রুহানিকে একে অপরের ‘পত্র মিতা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া শুরু করেছে। দীর্ঘদিন থেকে এ দুই দেশের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণেই ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। মধ্যপন্থী রুহানির নির্বাচনের পর এই দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় এই দুই নেতার যদি দেখা হয়েই যায়, মন্দ কী!কিন্তু সাক্ষাৎ যে হলো না, তার কারণ অবশ্য ওবামা নন, রুহানিই। আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যায় ইরান জানিয়েছে, মধ্যাহ্নভোজে সুরার ব্যবস্থা ছিল। ইসলামিক ইরানের প্রেসিডেন্ট সে কারণে ভোজসভা এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু অপর অঘোষিত ব্যাখ্যা হলো, ‘দ্য গ্রেট স্যাটান’ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একই ফটোতে যদি ইরানের প্রেসিডেন্টকে দেখা যায়, আয়াতুল্লাহ খামেনির ইরানে তা হয়তো গুরুপাক ঘটাতে পারে। রুহানির সঙ্গে করমর্দনের ছবি ছাপা হলে তা ওবামার জন্যও কম বিব্রতকর হতো না। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ লবি অনেক আগে থেকেই ইরান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারে অনাগ্রহের কারণে ওবামাকে কাপুরুষ ও দুর্বলচিত্ত বলে গাল দিয়ে আসছে। ওবামার পররাষ্ট্রনীতির মূলে রয়েছে ‘আত্মসমর্পণ’—এ কথা তো এই লবির লোকজন হরহামেশাই বলে আসছেন। পল উলফোভিৎস, ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে যিনি একসময় সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করে বসেছেন: ইরানের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা বৃথা। হাসান রুহানির কোনো ক্ষমতা নেই; সে দেশের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কথার বাইরে একচুল নড়াও তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। উলফোভিৎস যুক্তি দেখিয়েছেন, ইরানের অর্থনীতি এখন প্রবল চাপের মুখে। এই অবস্থায় জান বাঁচাতেই কূটনীতির কথা বলছে ইরান। তার আসল লক্ষ্য হলো পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য কালক্ষেপণ।ইরানের সঙ্গে সংলাপের বিরুদ্ধে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ হলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করেনি, সে ইঙ্গিতও দেয়নি। এ অবস্থায় আগ বাড়িয়ে ইরানের সঙ্গে কোলাকুলি করা মস্ত ভুল হবে। তাঁর মতে, ইরান যতক্ষণ না তার পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করছে, বিশেষত তার অতি-গোপনীয় ও সুসংরক্ষিত ফরদো আণবিক কেন্দ্র ভেঙে না ফেলছে, ইরানের সঙ্গে সংলাপে ফল হবে উল্টো।ওবামা সিরিয়া প্রশ্নেও একই সঙ্গে কূটনীতি ও সামরিক শক্তি ব্যবহারের যে নীতি অনুসরণ করেছেন, সে জন্যও তিনি আমেরিকায় তোপের মুখে আছেন। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহূত হলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে, এ কথা তিনিই আগ বাড়িয়ে বলেছেন। কিন্তু একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি প্রয়োগ করুক, দেশের ভেতরে বা বাইরে অধিকাংশ মানুষ তা চায় না। কংগ্রেসে সমর্থন নেই, এক ফ্রান্স ছাড়া অন্য কোনো নিকট মিত্রেরও সমর্থন নেই। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হামলা চালায়, তার কোনো ফল হবে না বলেই অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত। ক্রুজ মিসাইল দিয়ে আঘাত হানলে আসাদের গায়ে বড়জোর কুটোটি লাগবে, তার বেশি নয়। এই বিরুদ্ধ অবস্থায় ওবামা যদি সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাহানি হবে। ওবামা নিজে অপদস্থ হবেন। এমন এক জটিল সময়ে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছে। ফলে আশু বিপদ কাটিয়ে উঠে ওবামা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের মতো কাজটিই করলেন। জাতিসংঘে গিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, সিরিয়ার প্রশ্নে কূটনৈতিক পথই তিনি অনুসরণ করবেন।ইরানের ব্যাপারে ওবামার উল্টো-হাঁটা আরও স্পষ্ট। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁর প্রশাসনের অবশিষ্ট বছরগুলো তিনি ইরানের সঙ্গে সংকট সমাধানে কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করবেন। সে উদ্দেশ্যে অনতিবিলম্বে ইরানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরুর জন্য তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে ইরানের সন্দেহ ও অবিশ্বাস একদম অযৌক্তিক নয়, এমন একটা কথাও বলে বসলেন ওবামা। ১৯৫৩ সালে ইরানের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল, ফলে তখন থেকেই ইরান ওয়াশিংটনের ব্যাপারে গভীরভাবে সন্দিহান। তাঁর এ কথায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ লবি নাখোশ হলেও ওবামা যে ইরানের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ঠ, আংশিক হলেও তার পরিচয় মিলল।ওবামার ভাষণের তৃতীয় উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ফিলিস্তিন-ইসরায়েল প্রশ্নে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য। তিনি বললেন, শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সে লক্ষ্যে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। এর আগে প্রতিবছরই ওবামা তাঁর ভাষণে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন, কিন্তু প্রতিবারই সে কাজে ব্যর্থতার দায়ভার চাপিয়েছেন ফিলিস্তিনের ওপর। ইসরায়েল তার ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাকে ও ফিলিস্তিনকে তিনি একই পাল্লায় মাপতে সম্মত ছিলেন না। এবার মনে হলো ওবামার সুর যেন কিছুটা ভিন্ন। ইসরায়েলকে ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ হিসেবে বর্ণনা করলেন বটে, কিন্তু ফিলিস্তিনের সঙ্গে তুলনায় তাঁর নৈতিক অগ্রাধিকার রয়েছে, এমন কথা শোনা গেল না। এর আগের বছরগুলোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভারসাম্য রক্ষার কোনো চেষ্টা তাঁর ছিল না। এবার তাতে একটি প্রচ্ছন্ন পরিবর্তন ধ্বনিত হলো। সম্ভবত, ভোটের রাজনীতির ওপর তিনি আর নির্ভরশীল নন, তাঁর পরিবর্তিত অবস্থানের সেটি একটি কারণ।মোদ্দা কথা হলো, বহুপক্ষীয় কূটনীতিকে ওবামা তাঁর বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারে প্রস্তুত, এ কথা তিনি বিশ্বসভায় ঘোষণা করলেন। সামরিক শক্তি ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার তিনি বাতিল করছেন না, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র তার জাতীয় স্বার্থরক্ষায় সব পথই অনুসরণ করবে, এমন কথা তার সব পূর্বসূরির মতো ওবামাও বলেছেন। কিন্তু যে ভাষায় ও প্রতীকী পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি সে কথা বলেছেন, তাতে এমন ভাবা অযৌক্তিক নয় যে শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী এই প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজের ও পূর্বসূরিদের ভুল শোধরাতে আগ্রহী।ওবামা যে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে একটি মোড় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সে কথা কারও কারও নজর এড়ায়নি। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ওবামার মতাদর্শে পরিবর্তন আসছে, সঙ্গে সঙ্গে একটি ‘ওবামা ডকট্রিন’-এর রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে আসছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কূটনীতির অধিক ব্যবহার। শুধু সামরিক শক্তি ব্যবহার করে পূর্ণ বিজয় অর্জন সম্ভব নয়, গত দেড় দশকের অভিজ্ঞতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সে কথা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। এই অনুধাবন থেকেই ওবামা কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহারে ইতস্তত করেননি। আফগানিস্তানে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছেন, আল-কায়েদা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চালকবিহীন ড্রোনের ঢালাও ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছেন, লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু সামরিক শক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার সত্ত্বেও কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। ওবামার নিজের ‘ইমেজ’ও এখন টুটাফাটা। তার চেয়েও বড় কথা, একই সঙ্গে একাধিক যুদ্ধ চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রায় দেউলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক সে দেশের জনগণ তা চায় না। ফলে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা স্বীকার করেই যুক্তরাষ্ট্রকে ভিন্ন পথ ধরতে হবে।এই ভিন্ন পথটি যদি কূটনীতি হয়, তাহলে বিশ্বের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারে।হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।শিক্ষিকা (হুকুমের সুরে):—খাতা খোলো সবাই। পাতার ওপরে লেখো রচনার বিষয় ‘রাশিয়ায় গণতন্ত্র’। লিখেছ? এখন পাতার নিচের অংশে স্পষ্ট করে নিজের নাম লেখো, তারপর খাতা বন্ধ করে আমার কাছে জমা দাও।পেছনের বেঞ্চ থেকে কণ্ঠ:—আর রচনা?শিক্ষিকা:—কথা বন্ধ! আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক মার্ক টালি ৭৮ বছর পর নিজের জন্ম সনদ হাতে পেলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার পৌর করপোরেশনের মেয়র শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় মার্ক টালির হাতে তুলে দেন এই জন্ম সনদ।কলকাতার টালিগঞ্জের রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় মার্ক টালি জন্মেছিলেন ১৯৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর। এত দিন তাঁর জন্মের নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পৌর করপোরেশনের আর্কাইভ থেকে খুঁজে পাওয়া যায় টালির জন্ম সনদ। মার্ক টালির বাবা ছিলেন একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী। তিনি থাকতেন কলকাতায়। বিবিসির সংবাদদাতা হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অবিস্মরণীয় রিপোর্ট করে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করে নেন টালি। তিনি ১৯৬৪ সালে বিবিসিতে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারত সংবাদদাতা হিসেবে দিল্লিতে আসেন। বিবিসির ৩০ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ২০ বছর ছিলেন বিবিসির দিল্লি ব্যুরোর প্রধান হিসেবে। ১৯৯৪ সালে তিনি বিবিসি থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ এবং ২০০৫ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হন মার্ক টালি।অভাবের জ্বালা সইতে না পেরে ভারতীয় এক দম্পতি চার কন্যাসন্তানসহ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার ঐতিহাসিক তারাপীঠের একটি আশ্রমের অতিথি নিবাসে উঠেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।আত্মহত্যার আগে গুজরাট রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা ওই দম্পতি চিরকুটে লিখে গেছেন—আর্থিক অনটনের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের বাড়িঘর, জমিজমা, টাকা-পয়সা কিছুই নেই। গত ২৪ ডিসেম্বর চার মেয়েকে নিয়ে এই দম্পতি তারাপীঠের কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে স্থানীয় একটি আশ্রমের অতিথি নিবাসে উঠেছিলেন। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত অতিথি নিবাসের কক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ।পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে। লাশগুলোর পাশে কীটনাশকের বোতল ও চিরকুট পাওয়া যায়। উদ্ধার করা হয় ওই দম্পতির ভোটার পরিচয়পত্র।ওই ভোটার পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, দম্পতির নাম বিজয় মিশ্র (৪৭) ও কালিন্দী মিশ্র (৪৫)। বাড়ি গুজরাটের সুরাটে। তবে সন্তানদের নাম জানা যায়নি। তাদের বয়স দেড় থেকে ১২ বছরের মধ্যে।আশ্রমের অতিথি নিবাসের রেজিস্টারে এই দম্পতি তাঁদের ঠিকানা বিহারের পাটনার খেমিনিচকের বাসিন্দা বলে জানিয়েছিলেন। |
রবীন্দ্রসংগীতের শিল্পীদের নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। নাম ‘বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংসদ’। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি সুধীন দাশ, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হোসেন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের প্রবীণ ও নবীন শিল্পীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সংগঠনটি প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘অজানারে করেছি সন্ধান’।এখন থেকে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর পরিচালনা পর্ষদকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও তা পরিপালনের বিষয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে বিষয়ে পর্ষদ দায়বদ্ধ থাকবে।সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫, ১৫খ ও ১৫গ ধারার ব্যাখ্যায় এসব বিষয় স্পষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ থেকে গতকাল রোববার জারি করা এক সার্কুলারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনায় নির্ধারিত ব্যবসায়িক ও অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্য-ব্যর্থতার বিষয়টি বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, মঞ্জুরি ও বিতরণ এবং ঋণ আদায়, পুনঃ তফসিলীকরণ ও অবলোপনের নীতি-কৌশল পর্ষদের অনুমোদনক্রমে করতে হবে। পর্ষদ ব্যাংকের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কী পরিমাণ ঋণ বিতরণ করতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেবে।এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের চাকরি বিধি, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, প্রণোদনাসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত নীতিমালা পর্ষদ থেকে অনুমোদিত হতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা পরিচালকদের কেউ কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হতে পারবে না। শুধু প্রধান নির্বাহীর নিচে দুই স্তর পর্যন্ত এসব ক্ষেত্রে পর্ষদ দেখভাল করবে।একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত আগে জারি করা সব সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে।এছাড়া গতকাল বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকে প্রধান নির্বাহীর যোগ্যতা, দায়দায়িত্ব ও ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে সব ব্যাংককে বিদ্যমান প্রধান নির্বাহীসহ নতুনভাবে নিয়োগ কিংবা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ থেকে গতকাল জারি করা এক সার্কুলার লেটারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নতুন নির্দেশনা অনুসারে প্রধান নির্বাহী হতে হলে কোনো ব্যক্তি কোনো ফৌজদারি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ম-বিধি ভঙ্গের কারণে দণ্ডিত হতে পারবেন না। এমনকি নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল হয়েছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকাও অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। কোনো করখেলাপি বা ঋণখেলাপি বা আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে এই পদের উপযুক্ত হবেন না।প্রধান নির্বাহীকে ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে এবং এই পদে নিযুক্তির ঠিক আগে কমপক্ষে দুই বছর প্রধান নির্বাহীর অব্যবহতি নিচের স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।প্রধান নির্বাহীর বয়স ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। তিন বছর মেয়াদের জন্য প্রধান নির্বাহী নিয়োগ পাবেন। তিন বছর পরে যাবতীয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে পুনর্নিয়োগ পেতে পারবেন।প্রধান নির্বাহীর বেতন-ভাতা সুনির্দিষ্টভাবে টাকার অঙ্কে নির্ধারণ করতে হবে। অন্যান্য সুবিধাও (যেমন: গাড়ি) যথাসম্ভব অর্থমূল্যে রূপান্তর করতে হবে। চাকরির মেয়াদে বেতন-ভাতার শর্ত অপরিবর্তনীয়। প্রধান নির্বাহীর আয়কর ব্যাংক প্রদান করবে না, অন্য কোনো সুবিধাও (কমিশন, ক্লাবের চাঁদা) ব্যাংক দেবে না। ব্যাংকের মুখ্য আর্থিক সূচক উন্নতি সাপেক্ষে তাঁর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হবে।প্রধান নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিতসহ প্রস্তাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া তাঁকে বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না।নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ১৮ দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরেন রিজভী। তিনি দাবি করেন, অবরোধের প্রথম দিনে সারা দেশে ১৮ দলের তিনজন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি এবং চার শর বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। চার হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশন জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে তাচ্ছিল্য, অপমান ও উপহাস করেছে। এই তফসিল ঘোষণা বর্তমান অবৈধ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের যৌথ পরিকল্পনার জাতীয় তামাশা।’সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি এখনো সংলাপ-সমঝোতায় আগ্রহী। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে তারা সে ধরনের কোনো আভাস পাচ্ছেন না। সরকার ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলে এখনো ইতিবাচক আলোচনার সুযোগ আছে।আরেক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আছেন। তিনি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।প্রধানমন্ত্রীর ‘নীলনকশা’ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার সব কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধের ছায়াকে আরও প্রলম্বিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে ‘মাত্রাতিরিক্ত আচরণ’ করছেন তাঁদের সব তথ্য বিএনপির কাছে আছে। এঁদের সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।পরীক্ষার জন্য কর্মসূচি প্রত্যাহারে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এই অনুরোধ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে করলে পারতেন। নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেওয়া হলে এ কর্মসূচি দেওয়া হতো না।বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর সাজা বিষয়ে ইমরান খানের অবস্থানে বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে কিছু লোককে। পাকিস্তানি জামায়াত, পাকিস্তানি মুসলিম লিগের কথাবার্তা যেমন-তেমন। কিন্তু ইমরান খানের অবস্থানে তাঁরা নাকি আসমান থেকে পড়ে যাচ্ছেন। কিংবা মাথায় আসমান ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। ইমরান খানের রাজনীতির ব্যাপারে আগে থেকে খোঁজখবরে থাকলে অবশ্য আসমান নিয়ে টানাটানি পড়ার কথা নয়।পাকিস্তানকে সমর্থন জানানোর বাসনা থেকে যাঁরা খেলার মধ্যে রাজনীতি আনা ঠিক না বলে থাকেন, তাঁদের আগেই বলে রাখা যাক যে খেলোয়াড় ইমরান খান নয়, রাজনীতিক ইমরান খান নিয়ে এখানে কথা হচ্ছে। আর এ কারণেই ছাত্রজীবন ও খেলোয়াড়ি জীবনে ইমরান খানের নানা কীর্তিকলাপ, যেগুলো বিশেষত ভারতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে বাংলার ঘরে ঘরে ঢুকে আছে, সেগুলোর উল্লেখ বাংলাদেশি যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির বিরুদ্ধে তাঁর আস্পর্ধার আলোচনায় জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে এই ব্যক্তির রাজনীতির ধরনটা বোঝা।জেনেও না-জানার ভানকারীদের কথা আলাদা। কিন্তু যাঁরা ইমরান খানের খবরাখবর রাখার প্রয়োজন মনে করেন না, তাঁদের জানানো যাক যে দেড় দশকের বেশি আগে তেহরিক-ই-ইনসাফ নামক দল নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নামা ইমরান খানের বর্তমান বাজার বেশ ভালো। মে মাসের জাতীয় নির্বাচনে ভালোই ফল করেছে তেহরিক। আর প্রাদেশিক পরিষদে বেশি আসন পাওয়ার সুবাদে ধর্মীয় উগ্রবাদী-অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোয়ালিশন সরকারের প্রধান শরিক হয়েছে তেহরিক। ইমরানের দলের নেতৃত্বাধীন সরকারের আরেক প্রভাবশালী শরিক হচ্ছে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি। চোখ কচলানোর কিছু নেই—পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি।আরও আছে, ইমরান খান মনে করেন যে তালেবানরা একটি ‘ধর্মযুদ্ধ’ করছে। গত বছরের অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখে পেশোয়ার শহরে একটি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান সুস্পষ্ট ভাষায় এই মত দেন। তালেবানদের অবস্থানকে তিনি ‘বৈধ’ হিসেবেও চিহ্নিত করেন। উল্লেখ্য, খানসাহেবের পরিদর্শনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই হাসপাতালটিতেই তালেবানের গুলিতে বিদ্ধ মালালা ইউসুফজাইকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তালেবানের প্রশংসা করার জন্য ঠিক এই হাসপাতালটিই কেন বেছে নিতে হয়েছিল? এ জন্যই, সম্ভবত পাকিস্তানের উদারপন্থীরা ইমরান খানকে ‘তালেবান খান’ ডাকে।আরও স্মরণ করা যেতে পারে যে ২০০৯ সালে সোয়াত অঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত এক রফার প্রতি সর্বপ্রথম সমর্থন জানানো রাজনীতিক ছিলেন ইমরান খান। অবশ্য ইমরান খান মাঝেমধ্যে, বিশেষ করে পশ্চিমা মিডিয়ার সামনে কথা বলার সময় ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ব্যাপারে কোমল থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আবার ধর্মীয় উগ্রবাদীরাও খানসাহেবকে একজন ‘উদারনীতিক’ হিসেবে চিহ্নিত করে মেরে ফেলার হুমকি-টুমকি দেয় মাঝেমধ্যে। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যায়? সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনের মৌসুমটির কথা ধরা যাক। পাকিস্তানজুড়ে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের টানা হামলার মুখে বলতে গেলে নির্বাচনী প্রচারণা করতেই পারেনি সে সময় ক্ষমতাসীন পিপিপি ছাড়াও আওয়ামী ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এএনপি) কিংবা মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) মতো খানিক উদারপন্থী দলগুলো। কোনো কোনো দলের গায়ে ফুলের টোকাও লাগেনি? শরিফের মুসলিম লিগ এবং অবশ্যই ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। লক্ষণীয় ব্যাপার, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর সাজা নিয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে আদবহীনতার সময় পক্ষ-বিপক্ষের দলগুলোর বিন্যাসও এভাবেই ছিল।সেনা এস্টাবলিশমেন্ট ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ইমরান খানের বিশেষ সম্পর্কের ব্যাপারটিও পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে আলোচিত। বর্তমানে ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিল একসময়। সময়টা ২০১১ সালের একেবারে শেষের দিকে—পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) তখন ক্ষমতায়। হঠাৎ করেই দেড় দশক ধরে টিমটিম করতে থাকা ইমরান খানের দলের পক্ষে বেশ জোশ দেখা যেতে শুরু করে; তেহরিকের জনসভাগুলোতে এন্তার জনসমাগম শুরু হয়। এই ব্যাপারটি মধ্যপন্থী পিপিপির চেয়ে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগকে বেশি ভাবিয়ে তোলে। কেননা, নতুন-ডান তেহরিক পুরোনো-ডান মুসলিম লিগের ঘাঁটিগুলো দখল করে ফেলার মতো একটা অবস্থা তৈরি করতে শুরু করেছিল। এমনকি মুসলিম লিগের মূল ঘাঁটি পাঞ্জাবেও বড় বড় অনুষ্ঠান করতে শুরু করে তেহরিক। লাহোরে, করাচিতে ইমরান খান সাহেবের জনসভায় প্রচুর মানুষ দেখা যেত তখন। এমন পরিস্থিতিতেই সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তেহরিকের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে শুরু করে মুসলিম লিগ। একদিকে ভোটব্যাংক বেহাত হয়ে যাওয়ার ভয়, অন্যদিকে, সেনা এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক’ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে মুখ খোলে মুসলিম লিগ। দলটি অভিযোগ আনে যে তহবিল জোগানো, জনসভায় লোক ভরানো থেকে শুরু করে সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কিউ) থেকে লোক ভাগিয়ে তেহরিকে ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজগুলো গোয়েন্দা সংস্থা করে চলেছে। শরিফের দল এই আক্ষেপও করে যে প্রধান সেনাপতি জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিকে এ ব্যাপারে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি।ইমরান খানের দলের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষের সাহায্য-সহযোগিতার ব্যাপারে শরিফের দল এতটাই তেতে ওঠে যে তারা কেবল ব্যক্তি রাজনীতিক নয় বরং দলের আয়-ব্যয়, দলের নেতাদের স্থানে স্থানে ভ্রমণ ব্যয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পরিষদে একটি বিল উত্থাপন করার হুমকিও দেয়। ইমরান খান ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে একবার গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি—পাকিস্তানি রাজনীতি ও পাকিস্তানি মিডিয়ার উদারনীতিক অংশটির কাছে তিনি এস্টাবলিশমেন্টের পেয়ারের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত। এবং তাঁর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো কখনো কখনো সরকারকে আঘাত করলেও এস্টাবলিশমেন্টকে কখনোই নয়। এই তো মাত্র মে মাসে আহমদিয়াদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষিত হয়ে থাকার পক্ষে শক্ত শক্ত কথা বলে এস্টাবলিশমেন্টের পক্ষের আরেক দফা অবস্থান নিয়েছেন ইমরান খান।জামায়াতের সঙ্গে প্রদেশে সরকার গঠন, তালেবানদের ব্যাপারে উদারতা, সেনা-ঘনিষ্ঠতা—এত সব ‘বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত’ ব্যাপক ডানপন্থী ইমরান খানের বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে সঠিক অবস্থানে দাঁড়ানোটাই হতো আশ্চর্যের। পাকিস্তান জানে যে, আজ হোক কাল হোক, একাত্তরের অপরাধসমূহের জন্য পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামরিক নেতৃত্বের বিচারের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ। আর কাদের মোল্লার সাজার ব্যাপারে তাঁদের চুপ থাকার অর্থ হতো একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ-মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারটি মেনে নেওয়া। দেয়ালের লিখন পড়তে না পারলে যে ভুল হয়, ইমরান খান তথা পাকিস্তানি কায়েমি স্বার্থবাদীরা সেই ভুলই করছে।কিন্তু বাংলাদেশে যাঁরা ইমরান খানের ভূমিকায় ব্যথা পেয়েছেন, তাঁদের তো ব্যথা পাওয়া চলবে না। জানা থাকতে হবে যে পাকিস্তানের ইমরানের তো এটাই করার কথা। ইমরানে ইমরানে কত তফাত। পাকিস্তানি ইমরান যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। আর বাংলাদেশের ইমরানরা গণজাগরণ মঞ্চ বানায় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষ না করে ঘরে না ফেরার কথা বলে।শান্তনু মজুমদার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। |
সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ধ্বংসের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তরে রাজি হওয়ায় আপাতত মার্কিন সামরিক হামলা এড়ানো গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তার উল্লেখযোগ্য অংশ:প্রশ্ন: সিরিয়া গণবিধ্বংসী অস্ত্র রোধ চুক্তিতে সেই করেছে। এখন কেন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হলেন?বাশার: এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে আমরা এখন রাজি হয়েছি, বিষয়টি তা নয়। ১০ বছর আগে ২০০৩ সালে সিরিয়া যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ছিল, তখনই মধ্যপ্রাচ্যকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত করতে জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তুলেছিলাম আমরা। যুক্তরাষ্ট্রই সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। আমরা সব সময়ই এই অঞ্চলকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত রাখতে চাই।প্রশ্ন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আপনি মিথ্যা কথা বলেছেন। এর আগে সিরিয়ার কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন আপনি।বাশার: ওবামা ও কেরির বক্তব্য সূত্রে বলতে চাই, রাসায়নিক অস্ত্র থাকা না-থাকার বিষয়ে আমরা কখনো ‘না’ বলিনি। আসলে আমরা কখনোই সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনোটাই বলিনি। রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা সব সময় ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করেছি। ‘যদি’ হলো আমাদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতেও পারে, না-ও পারে।প্রশ্ন: কেউ কেউ এ চুক্তিতে যোগ দেওয়াকে সন্দেহের চোখে দেখছে। একে আপনার কৌশল বলে মনে করছে।বাশার: কোনো চুক্তিতে সই করলে আপনাকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই চুক্তি মেনে চলতে হবে। সিরিয়া চুক্তি করেছে কিন্তু তা মেনে চলেনি, এমন নজির নেই।প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকে রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনা পরিদর্শন করতে দিতে আপনি প্রস্তুত?বাশার: আমরা এই চুক্তি আংশিকভাবে নয়, পুরোপুরি মেনে চলব। চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি ও নথিপত্র পাঠিয়েছি।প্রশ্ন: রাসায়নিক অস্ত্রগুলো কি দ্রুত ধ্বংস করতে পারবেন? না পারলে কেন পারবেন না বলে মনে করছেন?বাশার: রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা প্রযুক্তিগতভাবে বেশ জটিল কাজ। এ জন্য অনেক অর্থেরও প্রয়োজন। সিরিয়ার অস্ত্রগুলো ধ্বংস করতে ১০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হতে পারে। সেটি একটি বিষয়। আর আমরা বিশেষজ্ঞ নই। বিশেষজ্ঞরাই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।প্রশ্ন: রাশিয়ার সঙ্গে কি সিরিয়ার নিরাপত্তা চুক্তি রয়েছে? আপনি জানেন যে রাসায়নিক অস্ত্র ত্যাগ করার পর কোনো কোনো দেশ হামলার শিকার হয়েছে।বাশার: এখানে রাশিয়ার ভূমিকা মূলত রাজনৈতিক। তারা দক্ষতার সঙ্গে সেই ভূমিকা পালন করেছে। গত আড়াই বছরে নিরাপত্তা পরিষদে তিনবার সিরিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে দেশটি। তারা মূলত সিরিয়াকে রাজনৈতিকভাবে রক্ষা করেছে।প্রশ্ন: জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের তদন্তে সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় সারিন গ্যাস ব্যবহূত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো সরকারি বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?বাশার: সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়। প্রথমত, আপনি নিশ্চয়ই আপনার সেনাদলকে ঘটনাস্থলের কাছে রেখেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন না? তাতে আপনার সেনাবাহিনীও আক্রান্ত হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা যখন পর পর কয়েকটি স্থানে বিদ্রোহীদের পরাজিত করেছি, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করব কেন? তৃতীয়ত, গত বছর যখন আমরা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিলাম, তখনো এই অস্ত্র ব্যবহার করিনি।প্রশ্ন: সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন?বাশার: বিরোধীদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করব। কিন্তু সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়। এটা আমি আড়াই বছর ধরেই বলে আসছি।ভাষান্তর: মাহফুজার রহমানষাঁড়ের সঙ্গে খরগোশের দেখা নদীর পাড়ে।‘কোথায় চললে তুমি?’ জানতে চাইল খরগোশ।‘নদীর ওপারে যেতে চাইছি,’ ষাঁড় জানাল। ‘নদীর অগভীর অংশটা কোথায়, বলতে পারো?’‘অগভীর অংশের কী দরকার! ওই যে ওখানে একটা সেতু আছে তো!’‘আমি তাতে উঠলে ভার সইতে না পেরে যদি ভেঙে পড়ে!’ বলে ষাঁড় তাকাল নদীর দুই পাড় সংযোগকারী সেতুর দিকে।‘নির্ভয়ে যাও,’ পরামর্শ দিল খরগোশ। ‘শুধু তুমি কেন, তোমার চেয়ে বেশি ওজনও তা সইতে পারবে।’সেতুর ওপরে পা রাখল ষাঁড়। মাঝ অবধি না পৌঁছাতেই তা ভেঙে পড়ল হুড়মুড় করে।‘এ তুমি কী করলে!’ নদীর পাড়ে উঠতে উঠতে ষাঁড় বলল। ‘এই তোমার পরামর্শ! আর একটু হলেই পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকতাম!’‘আজব ব্যাপার তো!’ কাঁধ দুই পাশে ঝাঁকিয়ে বলল খরগোশ। ‘আমি তো দিনভর এপার-ওপার করি! কই, কখনো কোনো সমস্যা হয়নি তো!’১১ উপদেষ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার পাঁচজন উপদেষ্টার পদত্যাগ আজ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শিক্ষা উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান।আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলো ডটকমকে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বাকি উপদেষ্টারা হলেন গওহর রিজভী, মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, শফিক আহমেদ, দিলীপ বড়ুয়া ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।প্রধানমন্ত্রীর ১১ উপদেষ্টার মধ্যে সাতজন পাঁচ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এইচ টি ইমামকে নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেই নানা নেতিবাচক প্রচার আছে। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ছিলেন বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয়ের মূল হর্তাকর্তা। কুইক রেন্টাল নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। আলাউদ্দিন আহমেদ শারীরিকভাবে সুস্থ নন। তাঁর কাজ শুধু অফিসে যাওয়া-আসার মধ্যেই সীমিত। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারির কারণে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হন সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।এদিকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর ১১ জন উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিল চেয়ে আজ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ওই ১১ জন উপদেষ্টার বরাবরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠানো হয়।নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে ওই ১১ জন উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিল ও তাঁদের আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৮ দলের ৩৫০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে।মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বিশেষ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরের বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে একটি হত্যা ও অপরটি বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা। গতকাল রাতে র্যাব ও পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে। এ নিয়ে গতকাল দুপুরের এ ঘটনার পর থেকে ৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।গতকাল দুপুরে রাজশাহী নগরে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে কনস্টেবল সিদ্ধার্থসহ তাঁর সহকর্মীদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালান। এতে সিদ্ধার্থসহ নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। সিদ্ধার্থের আঘাত ছিল গুরুতর। চিকিত্সকদের পরামর্শে হেলিকপ্টারে করে তাত্ক্ষণিক তাঁকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে শেষ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ১৮ দলের অবরোধ শেষ হওয়ার পর রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশের গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।বোমা হামলায় পুলিশ নিহতআহত পুলিশের দুঃসহ জীবন |
এটিএন বাংলাবেলা ৩-০৫ নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি (রিয়াজ, শাবনূর, পূর্ণিমা, রাজিব)।একুশে টিভিবেলা ১১-৩০ স্বামী ছিনতাই।আরটিভিবেলা ২-১৫ চাঁদের মতো বউ (রিয়াজ, শাবনূর)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ খেয়া ঘাটের মাঝি।এশিয়ান টিভিবেলা ২-২০ ফুল নেব না অশ্রু নেব (শাকিব খান, শাবনূর, আমিন খান)ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩৫ ভুমিপুত্র (তাপস পাল, ইন্দ্রানী হালদার, যীশু)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ হংসরাজ (সন্ধ্যারানী, কামু মুখার্জি, কালী ব্যানার্জি, জহর রায়)।সনি আটসকাল ১০-৩০ বিষ্ণু নারায়ণ (তাপস পাল, চিরঞ্জিৎ, ইন্দ্রানী হালদার, ঋতুপর্ণা)। বিকেল ৪-৩০ মুজরিম (মিঠুন, মাধুরী দীক্ষিত, নূতন)।জলসা মুভিজসকাল ৯-৪০ প্রাণ সজনী (তাপস পাল, অঞ্জু ঘোষ)। ১-০০ পাগলু (দেব, কোয়েল মল্লিক, রজতাভ দত্ত)। ৪-২০ কলকাতা ফুটবল লিগ। সরাসরি। ৬-৩০ সূর্য (প্রসেনজিৎ, অনু চৌধুরী, রঞ্জিৎ মল্লিক)। ৯-৩০ এরই নাম প্রেম (মৃণাল, অনুভব, কোয়েল মল্লিক)।জি সিনেমাসকাল ৯-০৯ আগ কা গোলা (গৌতম, শ্রীদেবী, রঘুবরন)। ১২-১২ লাল বাদশা (অমিতাভ বচ্চন, মনীষা কৈরালা, শিল্পা শেঠি)। ৩-২৬ মেরা বদলা (ভেনকাটেষ, আনুশকা শেঠি)। ৬-৩০ দুলহান হাম লে যায়েঙ্গে (সালমান খান, কারিশমা কাপুর)। ৯-৩০ মর্দ (অমিতাভ বচ্চন, অমৃতা সিং)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-৩০ নকশা (সানি দেওল, বিবেক ওবেরয়, সমিরা রেড্ডি)। ১১-২০ মেন ইন ব্ল্যাক ২ (টমি লি জোনস, উইল স্মিথ)। ১-২০ সনম বেওয়াফা (সালমান খান, চাঁদনী)। ৪-৫৫ ধুম ২ (অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই, হূতিক রোশন, বিপাশা বসু)। ৮-৩০ এক থি দাইয়ান (এমরান হাশমি, কঙ্কনা সেন শর্মা, কালকি)। ১১-২০ দ্য সুপার খিলাড়ি।ফক্স মুভিজসকাল ৮-৪৫ রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ক্লেয়ার ডেনস)। ১০-৪৫ সিটি স্লিকারস (বিলি ক্রিস্টাল)। ১২-৪০ দ্য ক্রনিকলস অব রিডিক (ভিন ডিজেল, থান্ডি নিউটন)। ২-৪০ ওয়ান্স আপন এ টাইম। ৩-৩০ স্টোলেন (নিকোলাস কেজ)। ৫-১০ হোয়াইট চিকস। ৭-০০ দ্য বুক অব এলি (ডেনজেল ওয়াশিংটন, মিলা কুনিস)। ৯-০০ দ্য এক্সপেন্ডেবলস (সিলভেস্টার স্ট্যালোন)। ১০-৫০ দ্য মমি: টুম্ব অব দ্য ড্রাগন এম্পায়ার (ব্রেনড্যান ফ্রেজার, জেট লি, মিশেল ইয়ো)।এইচবিওসকাল ৯-৩৭ দ্য আইল্যান্ড (ইওয়ান ম্যাকগ্রেগর, স্কারলেট জোহানসন)। ১২-১৪ স্কেরি মুভি ৩। ১-৪৭ জার্নি ২ (ডন জনসন)। ৩-৩৭ দ্য হাউজ বানি। ৫-১৯ হ্যাপি ফিট ২। ৭-২১ ট্রান্সপোর্টার ৩ (জেসন স্ট্যাটহ্যাম)। ৯-৩০ দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (ক্রিশ্চিয়ান বেল, গ্যারি ওল্ডম্যান)।চীনের নিউ এক্সপ্রেস পত্রিকা তাদের আলোচিত সাংবাদিক চেন ইয়ংঝুর পক্ষ সমর্থন করা থেকে সরে গিয়ে উল্টো ক্ষমা চেয়েছে। একটি নির্মাণসামগ্রী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তার হওয়া চেন ইয়ংঝু এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাঁর ভুল স্বীকার করেন।গুয়াংডং প্রদেশের নিউ এক্সপ্রেস পত্রিকার সাংবাদিক চেন সম্প্রতি আংশিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নির্মাণসামগ্রী প্রতিষ্ঠান জুমলায়নের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন লেখেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, চেন ঘুষ নিয়ে ওই সব মিথ্যা প্রতিবেদন লিখেছেন।প্রথমে চেনকে সমর্থন দিলেও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি ‘ভুল স্বীকার’ করার পর অবস্থান পাল্টিয়েছে নিউ এক্সপ্রেস। গতকাল রোববার পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ছাপানো এক বিবৃতিতে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এতে প্রতিবেদনগুলো যথাযথভাবে ‘যাচাই করতে ব্যর্থতার’ কথা স্বীকার করা হয়েছে।জুমলায়নের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে চেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর মুক্তির আহ্বান জানিয়ে নিউ এক্সপ্রেস প্রথম পৃষ্ঠাজুড়ে আবেদন ছাপায়, যা চীনে নজিরবিহীন এক ঘটনা।তবে সাংবাদিক চেন চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে ভুল স্বীকার করেন। গত শনিবার তাঁর এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি অর্থ ও যশের পেছনে ছুটতে গিয়ে এটা করেছি।’সাংবাদিক চেনের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। বিবিসি।কন্যা আরুশিসহ জোড়া খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেলেন দন্ত চিকিত্সক দম্পতি রাজেশ ও নূপুর তালওয়ার। দিল্লির অদূরে গাজিয়াবাদে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) বিশেষ আদালতের বিচারক শ্যামলাল আজ মঙ্গলবার বিকেলে দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর তাঁর রায় জানান।সাজা ঘোষণার আগেই রাজেশ ও নূপুর তালওয়ারের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা এলাহাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবেন। আপিলের জন্য তাঁদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।আরুশি হত্যাকাণ্ড ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অপরাধের ঘটনাগুলোর একটি। সাড়ে পাঁচ বছর আগে দিল্লির লাগোয়া উত্তর প্রদেশের নয়ডায় রাজেশ ও নূপুর তালওয়ারের বাড়িতে তাঁদের একমাত্র সন্তান আরুশির গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়।১৪ বছরের আরুশির মাথায়ও ভারী ও ভোঁতা বস্তুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। বাড়ির পরিচারক হেমরাজের (৪৫) খোঁজ না মেলায় প্রথম দিকে তাঁকেই হত্যাকারী বলে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু পরে বাড়ির ছাদে হেমরাজের গলাকাটা লাশ খুঁজে পাওয়ার পর তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। এ হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। কেউ বাইরে থেকে এসে খুন করে পালিয়ে গেছে, এ রকম প্রমাণও পাওয়া যায়নি।প্রথম দিকে তালওয়ার দম্পতি ছাড়া পেয়ে গেলেও সিবিআই নতুন করে তদন্ত শুরু করলে পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ওপর নির্ভর করে আদালত এ দম্পতিকে অপরাধী সাব্যস্ত করেন। ৪৫ বছর বয়সী পরিচারকের সঙ্গে আরুশির সম্পর্কের কথা জানতে পেরে পারিবারিক সম্মান রক্ষা করতে তালওয়ার দম্পতি এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে সিবিআইয়ের দাবি।আজ দুপুরে বিচারপতি শ্যামলালের এজলাসে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চরমতম সাজা ফাঁসির দাবি জানানো হয়। বলা হয়, অপরাধীরা শুধু একজনকে নয়, ঠান্ডা মাথায় দুজনকে হত্যা করেছেন। ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নালি কাটা হয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপ করারও চেষ্টা তাঁরা করেছেন। তালওয়ার দম্পতির আইনজীবী পাল্টা আবেদনে বলেন, কেবল পারিপার্শ্বিক প্রমাণের নিরিখে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া তালওয়ারদের অপরাধের অন্য কোনো রেকর্ডও নেই। তাই তাঁদের যেন কম সাজা দেওয়া হয়।পাঠকদের কাছে ক্ষমা চাই। কারণ, এই কলামে লিখেছিলাম, নির্বাচন নিয়ে দেশে কোনো অচলাবস্থা দেখা দেবে না, দিলেও সেটা ভয়ংকর কিছু হবে না। বাংলাদেশের মানুষের আছে সৃজনশীলতা, তারা এমন একটা উপায় বের করে নেবে, যা থেকে একটা সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে। আমার সেই ভবিষ্যদ্বাণী চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে, আমার আশা হয়ে গেছে গুড়ে বালি।আমরা পড়েছি ভয়াবহ সংকটে। এত মৃত্যু, এত ধ্বংস, এত আগুন! জীবন ও জীবিকার ওপরে এমন নিষ্ঠুর আঘাত। প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা, চাকরি—প্রতিটা ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; এবং সবচেয়ে বড় কথা, সংকট থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না, বরং সামনে আরও হানাহানি, আরও আগুন, আরও প্রাণহানি, আরও সম্পদহানির আশঙ্কা ধেয়ে আসছে। এবং রাজনৈতিকভাবে দেশ একটা কানাগলিতে ঢুকে পড়তে যাচ্ছে, যেখান থেকে বেরোনোর উপায় আমাদের জানা নেই।সমস্যার মূলে অবশ্যই জেদ। এখন এ কথা সহজেই বলে ফেলা যায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল, বিএনপিকে তারা নির্বাচনের বাইরে রাখবে। আমরা বলেছিলাম, আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আওয়ামী লীগের চাওয়া পূরণ করার দায়িত্ব তো বিএনপির নয়। তাই বিএনপির উচিত নির্বাচনে আসা। নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করলে একটা পক্ষে জোয়ার চলে আসবে, সেই জোয়ারে কারচুপির চক্রান্ত খড়কুটার মতো ভেসে যাবে। অরণ্যে রোদন করলে তা কে শুনবে বনের পশু-পাখি-বৃক্ষলতা ছাড়া। কেউ শোনেনি। এখন এ কথাও বলে ফেলা যায় যে বিএনপির নেতৃত্বও আসলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চান না, তাঁরা চান ১৯৯৬ ও ২০০৭ সালে তাঁদের যেভাবে অপমানজনকভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল, সেই তেতো অভিজ্ঞতার স্বাদ শেখ হাসিনার সরকারকে পাইয়ে দেওয়া।দুই পক্ষের মনের ভেতরে মীমাংসা না করার জেদ প্রবল, আপনি-আমি কথা বলে কী করতে পারব? আর উভয় পক্ষই শুধু নিজেরটাই বুঝছে, দেশের মানুষের জীবন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা, দেশের ভবিষ্যতের কথা ঘুণাক্ষরেও কেউ ভাবছে কি? তার চেয়েও ভয়াবহ কথা হলো, উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে তাদের ক্ষমতা গ্রহণ বা ক্ষমতা দখল করে রাখার মধ্যেই কেবল নিহিত রয়েছে দেশের মঙ্গল, এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ। যদি উভয় পক্ষই এটা ভাবতে থাকে যে আমি ক্ষমতায় না থাকলে দেশ শেষ হয়ে যাবে, তখন আপনি কী করতে পারেন। আমরা শুধু উভয় পক্ষকে বলতে পারি, এই চিন্তার নাম ফ্যাসিবাদী চিন্তা।আর আওয়ামী লীগ কেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে ভয় পেল? কার পরামর্শে? বছর দুই আগে যখন সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রথা তুলে দেওয়া হয়, তখন তো শাসকদের জনপ্রিয়তায় এতটা ধস নামেনি। বরং সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে বলে বিভিন্ন জরিপে যা বলা হচ্ছে, তার একটা অন্যতম কারণ মানুষের এক দিনের রাজা হওয়ার সুযোগটা রদ করে দেওয়া। শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি, দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়াবাড়ি—এসব তো আছেই। আছে সাংসদ-মন্ত্রী-নেতাদের অনেকের সম্পদ ফুলে-ফেঁপে ওঠা। যেটা এখন নির্বাচনী হলফনামায় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। একজন নেতা জানান, তিনি প্রায় ১৫ কোটি টাকা আয় করেছেন মাছের চাষ করে। মানে বছরে তিন কোটি টাকা। প্রতি কেজি মাছে তাঁর ১০ টাকা লাভ হলে বছরে ৩০ লাখ কেজি মাছ তাঁকে উৎপাদন করতে হয়েছে। তার মানে প্রতিদিন দুই ট্রাক করে মাছ তাঁর খামার থেকে বাজারে এসেছে। তাই তো বলি, দেশে মাছের অভাব দূর হলো কীভাবে? সব ঢাকায় বসে থাকা মন্ত্রী-সাংসদেরা উৎপাদন করেছেন।তবু আওয়ামী লীগ সরকার অনেক ভালো কাজও তো করেছিল। সেসবের কথা মানুষ যে বিবেচনা করবে, সেই অবকাশই তো তাকে দেওয়া হলো না। কল্পনা করুন, যদি উচ্চ আদালতের দেওয়া সুযোগ অনুসারে আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রচলিত থাকত, তাহলে আজ বিএনপি আন্দোলন করত কী নিয়ে? আজ জামায়াতের আন্দোলন আর বিএনপির আন্দোলন একাকার হয়ে যেতে পারত না। এমনকি সরকার তো জাতীয় পার্টিকেও নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। শেখ হাসিনার একসময়ের মন্ত্রী আ স ম আবদুর রবও এখন বিএনপি জোটের আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ তো ‘পলিটিকস’টাও ঠিকভাবে করতে পারছে না। এবং পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ মনে করেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক চালেও ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, রাজনীতি রাজনীতিকদের হাতে নেই। অরাজনৈতিক গোষ্ঠী যখন রাজনীতি চালানোর চেষ্টা করে, তার ফল এ রকমই হয়ে থাকে।১৮-দলীয় জোট খুবই কৌশলী একটা চাল দিয়েছে। দিনের পর দিন অবরোধে দেশের যখন নাভিশ্বাস উঠে গেছে, তখন তারা দিয়েছে ঢাকা চলো কর্মসূচি। এত দিন আমরা দেখলাম বিরোধী জোটের অবরোধ, এরপর দেখব, সরকারি অবরোধ। সরকার এবার ঢাকা আসার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দেবে। আমাদের পরিত্রাণ নেই।কী হবে ২৯ ডিসেম্বর? কী হবে এরপর? হানাহানি হতেই থাকবে। এই নির্বাচন তো আসলে ঠেকানোরও কিছু নেই, যে নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন না, তার তো কোনো মানেও নেই আসলে। সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে না, ৫ জানুয়ারিটা পার হয়ে গেলে শপথ গ্রহণ করে নতুন সরকার চেপে বসতে চাইবে জুতমতো। আর বিরোধী জোটই বা তা মেনে নেবে কেন? তারাও খালেদা জিয়ার ভাষায় ‘প্রাণক্ষয়ী’ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সরকার দমন-নিপীড়ন বাড়িয়ে দিতে থাকবে। জুলুম বাড়বে, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করা হতে থাকবে। উফ্, আমি কল্পনাও করতে পারছি না, সামনের দিনগুলোয় আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে?যে আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সাল থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসছে, তারা কি ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগকেই একমাত্র উপায় হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে?বলা হয়ে থাকে, আওয়ামী লীগ সরকার সামনের দিনগুলোয় অনেক ভালো কাজ করবে, জনপ্রিয়তা ফিরে পাবে, তখন নির্বাচন দেবে। জনপ্রিয়তা ফিরে পাবে কী করে? আরও আরও মৎস্য চাষ করে? ভালো কাজ করলে যদি জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, তাহলে গত পাঁচ বছর তারা তা না করে একপক্ষীয় নির্বাচনের পরে করার কথা কেন ভাবল? আচ্ছা, আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা ফিরে পেল, নির্বাচন দিলেই তারা জয়লাভ করবে, তখন নির্বাচনটা হবে কোন পদ্ধতিতে? আবারও সেই বিষচক্র। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া অন্য কিছু বিরোধীরা কেন মানবে? আর কোনো একটা পক্ষ কোনো একটা ছাড় যদি দেয়ই, তাহলে তা তারা এখন দিচ্ছে না কেন? আর কতজন মারা গেলে আমরা বলব, মানুষ মারা গেছে? আর কজন পুড়লে আমরা বলব, এটা বর্বরতা ছাড়া আর কিছু নয়?একটা জাতির ইতিহাসকে এক দিন, দুই দিন, এক বছর, দুই বছরের পাল্লায় মাপতে হয় না। তাই আমি আবারও বলব, আজ থেকে ২০ বছর পরের বাংলাদেশটা নিশ্চয়ই একটা উন্নত-আলোকিত স্বদেশই হবে। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতের কথা যদি আমাকে বলতে বলেন, আমি ভালো কিছু দেখছি না। ‘এখন প্রকৃত আশাবাদীর পক্ষে আর কিছুই করার নেই, কেবল হতাশ হওয়া ছাড়া।’অরণ্যে রোদন হলেও আমাদের কথা আমাদের বলে যেতেই হবে। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই। নির্বাচনে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন চাই। এবং নির্বাচন করতে হলে বিবদমান জোটগুলোর মধ্যে একটা ন্যূনতম মতৈক্য চাই, সমঝোতা চাই, মীমাংসা চাই। বাংলাদেশে তা-ই হয়, যা বিএনপি আর আওয়ামী লীগ একযোগে চায়। দেশে শান্তি আসুক, এটা বিএনপি আর আওয়ামী লীগকে একযোগে চাইতে হবে। তা না হলে আমাদের কারোরই স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি থাকবে না। আমরা কতটা বর্বর হয়েছি যে কেবল মানুষ হত্যা করছি, তা নয়, আমরা বৃক্ষ নিধন করে চলেছি; আমরা কেবল মানুষ পুড়িয়ে মারছি, তা নয়, আমরা এখন গরু পোড়াতে শুরু করেছি। আমরা কি মানুষ পদবাচ্য নই?আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। |
তথ্য ও বিনোদনগিটার নেভার লাইজসাজ্জাদ আরেফিনের গিটার গাইডেন্স[রাত ১১.২০-২.০০]হাওয়া বদলকথাবন্ধু শারমীন ও মাহবুব পিয়ালের সঙ্গে[বেলা তিনটা-সন্ধ্যা ছয়টা]হরতালের অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে নতুন করে প্রস্তাব দেয়নি। এ কারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের গতকাল রোববারের নির্ধারিত সভায় মজুরি নিয়ে কোনো আলোচনা কিংবা মতৈক্য হয়নি।মালিকপক্ষ প্রস্তাব না দেওয়ায় বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায় আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগামী বেঠকের সময়সূচি ঘোষণা করেন। তাঁর প্রত্যাশা, ওই দিন মালিকপক্ষ সংশোধিত প্রস্তাব দেবে।শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাকে হয়তো পুঁজি করতে চাইছে বিজিএমইএ। এমনটি করলে আবার শ্রমিক অসন্তোষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।’সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হবে, এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই গত মাসে শ্রমিকেরা কাজে ফিরেছিলেন। এর উল্টোটা হলে তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’ নভেম্বরের মধ্যে মজুরি ঘোষণার দাবি জানান তিনি।মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে গতকাল বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে এ কে রায়ের সভাপতিত্বে বোর্ডের সপ্তম সভা শুরু হয়। তখন সিরাজুল ইসলাম ও শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন। ১০ মিনিট পর সভায় যোগ দেন মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি আরশাদ জামাল ও নিরপেক্ষ সদস্য মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত হননি।১৫ মিনিট পর সভা শেষ হলে এ কে রায় সংবাদ বিফ্রিংয়ে বলেন, মালিকপক্ষের সংশোধিত প্রস্তাব না দেওয়ায় মজুরি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।এ প্রসঙ্গে আরশাদ জামাল বলেন, ‘প্রস্তাব নিয়ে সভায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু হরতালের কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হই।’ তিনি বলেন, ‘আমরাও নভেম্বরের মধ্যেই নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা চাই। এ ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের সভায় অবশ্যই প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।’দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ আয়োডিনের স্বল্পতায় ভুগছে। এই স্বল্পতা শহরের চেয়ে গ্রামে এবং শিশু ও নারীর মধ্যে বেশি। অন্যদিকে আয়োডিন বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতারও অভাব আছে। এক জাতীয় জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।জাতীয় অনুপুষ্টি জরিপ (২০১১-১৩) শিরোনামের জরিপটি করেছে সরকারের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), ইউনিসেফ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গেইন। আইসিডিডিআরবির পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা কেন্দ্রের পরিচালক তাহমিদ আহমেদ আজ মঙ্গলবার আয়োডিনের স্বল্পতা নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র তৈরিবিষয়ক কর্মশালায় জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইনিশিয়েটিভ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই কর্মশালার আয়োজন করে।তাহমিদ আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সী এক হাজার ৩৫০ জন শিশু এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী দেড় হাজার নারীর (শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ায় না এমন নারী) প্রস্রাবের নমুনা বিশ্লেষণ করে আয়োডিনের এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রি হয় এমন ৭৫ শতাংশ লবণে প্রয়োজনীয় মাত্রায় আয়োডিন আছে। শহরে ও গ্রামে এই হার যথাক্রমে ৯২ ও ৭০ শতাংশ।অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আয়োডিনের স্বল্পতার কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আয়োডিন স্বল্পতার কারণে মানুষ গলগণ্ড রোগে আক্রান্ত হয়। কর্মশালায় অন্যান্যের সঙ্গে পুষ্টিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লবণ শিল্প মালিক সমিতির কর্মকর্তা, বিসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আয়োডিনযুক্ত লবণ বিষয়ে মানুষের সচেতনতার বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে। জরিপের এই অংশটি উপস্থাপনের সময় গেইনের কর্মকর্তা সাবুক্তাগিন রহমান বলেন, ৬৯ শতাংশ পরিবার আয়োডিনযুক্ত লবণের কথা শুনলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে ৬৪ শতাংশ। খাবার সময় পাতে যারা লবণ নেয়, তারা আয়োডিন স্বল্পতায় কম আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগে আক্রান্ত মানুষের জন্য করণীয় নির্ধারণে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হওয়া দরকার এমন মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।খুচরা দোকানের লবণে আয়োডিনের পরিমাণ পরিবারে ব্যবহার করা লবণের চেয়ে বেশি পেয়েছেন গবেষকেরা। এর কারণ পরিবারে লবণ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, লবণ খোলা পাত্রে রাখলে বাতাসে আয়োডিন উবে যায়। অধিক আলো ও তাপে আয়োডিনযুক্ত লবণ রাখলে আয়োডিনের পরিমাণ কমে যায়।সুপারিশে আয়োডিন বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে যুক্ত করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। বলা হয়, বিদ্যমান আইন যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। ইনটেলের কোর আই৫ প্রসেসর নির্ভর হিউলেট প্যাকার্ড বা এইচপি ব্র্যান্ডের নতুন একটি নোটবুক দেশের বাজারে এসেছে। এইচপি ১০০০-১৪১৬টিএক্স মডেলের ল্যাপটপটিতে রয়েছে চার গিগাবাইট ডিডিআর থ্রি র্যাম, উন্নত গ্রাফিকসের জন্য রয়েছে এক গিগাবাইট ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড।১৪ ইঞ্চি মাপের এইচডি পর্দার নোটবুকটির তথ্য ধারণ ক্ষমতা ৫০০জিবি। ২.২ কেজি ওজনের ল্যাপটপটিতে এইচডি ওয়েবক্যাম রয়েছে।দেশের বাজারে এইচপির ১০০০-১৪১৬টিএক্স মডেলের নোটবুকটি বিপণন করছে কম্পিউটার সোর্স। বিপণনকারী সূত্রটি জানিয়েছে, এইচপির নোটবুকটির দাম ৪৭ হাজার টাকা। যাঁরা গ্রাফিকস নিয়ে কাজ করেন এই ল্যাপটপটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপযোগী বলেই বিপণনকারী সূত্র দাবি করেছে। |
বিখ্যাত রায়বেঁশে, কাঠি ও লাঠিনৃত্যের পরিবেশনা দিয়ে দর্শকদের চমকিত করলেন ব্রতচারী প্রশিক্ষণার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ব্রতচারী বাংলাদেশ সপ্তাহব্যাপী ব্রতচারী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী উপলক্ষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রতচারী বাংলাদেশের সভাপতি কামাল লোহানী, আলোচনা করেন একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, খুশী কবির ও প্রশিক্ষক ভারতের কেন্দ্রীয় ব্রতচারী নায়েকমণ্ডলীর সচিব বৈদ্যনাথ পাল। কর্মশালায় ২০ জন অংশগ্রহণ করেন।দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের পরিবেশনায় ‘ব্রতচারীর পঞ্চব্রত’, ‘ব্রতচারীর পণ’,‘রায়বেঁশে’, ‘কাঠি ও লাঠি’সহ বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশনা।প্রোলিংক পিআরটি ৭০০৬ এইচ মডেলের নতুন রাউটার বাজারে এসেছে।এইএসপিএ+ নেটওয়ার্ক-সমর্থিত এবং ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করা যায় এ রাউটার দিয়ে।এর ডেটা গতি ২১.৬ এমবিপিএস।মডেমটি দিয়ে একসঙ্গে ১০ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।রয়েছে ১৫০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, সিম স্লট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট, মাইক্রো-ইউএসবি পোর্ট ইত্যাদি। কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের বাজারে আনা রাউটারটির দাম ছয় হাজার ৫০০ টাকা। —বিজ্ঞপ্তিশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমীন হক। আজ দুপুরে তাঁরা দুজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নাল আবেদীন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, জাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছিলেন। কর্তৃপক্ষেরও এ বিষয়ে সায় ছিল। কিন্তু নতুন এ পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক পদত্যাগপত্র জমা দেন।ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক জানিয়েছেন সমন্বিত পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে কাছের মানুষদের বিরোধিতা তাঁদের ব্যথিত করেছে। বিরোধিতার সূত্রপাত করে বামপন্থী এবং জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং পরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এতে সায় দেয়। একপর্যায়ে অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীও পদ্ধতিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।শিক্ষক দম্পতি লিখেছেন সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য তাঁদের চিঠিতে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা জানান, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্বকীয়তা পুরোপুরি বজায় রেখে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। শুধু এক দিনে এক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে এবং দেশের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের ছোটাছুটি করতে হবে না। তাঁরা লিখেছেন, ‘যাঁরা আমাদের স্বজন, যাঁদেরকে পাশে নিয়ে কাজ করে এসেছি—তাঁরা যদি আমাদের পাশে না থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে।’পদত্যাগের পর জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উপন্যাস লিখবেন। সময়ের অভাবে শিশু-কিশোরদের চিঠির উত্তর নিয়মিত দিতে পারছিলেন না। এখন থেকে চিঠির উত্তর দিতে পারবেন। ইয়াসমীন হক নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কাজ করবেন। এই শিক্ষক দম্পতি বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের একটি পরিপূর্ণ জীবন উপহার দিয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন—এমন ৪৮ জন প্রার্থীর আয় গড়ে ৫৮২ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আয় বেড়েছে হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর। এই বৃদ্ধির হার ৩২ হাজার ৯৮৫ শতাংশ।আজ শুক্রবার টাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এই হিসাব তুলে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদের এসব তথ্য দিয়েছে তারা।সুজনের তথ্য অনুযায়ী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর আয় বেড়েছে ৪ হাজার ৪৩৫ শতাংশ। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ আবদুস শহীদ ও হুইপদের আয় বেড়েছে গড়ে ৩ হাজার ০৭১ শতাংশ। মন্ত্রীদের আয় ২৪৩ শতাংশ ও প্রতিমন্ত্রীদের ৪৬৪ শতাংশ বেড়েছে । প্রধানমন্ত্রীর আয় বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ।সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ উপনেতা, চিফ হুইপ ও অন্যান্য হুইপ যারা দায়িত্বপালনরত অবস্থায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আয়, সম্পদ, দায়দেনা, আয়কর-সংক্রান্ত তথ্য এবং পারিবারিক ব্যয়ের তথ্য সুজন বিশ্লেষণ করেছে। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, নিবার্চন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা এ কথা হলফ করে বলতে পারি যে, নিশ্চয়ই অনেকের অনেক তথ্য আমাদের বিস্মিত করেছে।’সুজনের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয় বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ।সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এসব ব্যক্তির অনেকেই সংবিধান লঙ্ঘন করে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। সংবিধান লঙ্ঘন করার অপরাধে এঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা যেতে পারে।আয় হ্রাস-বৃদ্ধির চিত্র২০০৮ সালে তাঁর আয় ছিল চার লাখ ৪৮ হাজার টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না। ২০১৩ সালে এই হুইপের নিজের ও নির্ভরশীলদের মোট আয় গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ৮৮৭ টাকায় অর্থাত্ আয় বেড়েছে ৩২ হাজার ৯৮৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের আয় বেড়েছে ৮ হাজার ৪২২ শতাংশ, মো. মাহবুবুর রহমানের ৮ হাজার ০০৭ শতাংশ, বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ২ হাজার ০৩৬ শতাংশ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমিনের ২ হাজার ৪৮০ শতাংশ। |
শিল্পী গৌতম চক্রবর্তীর পঞ্চম একক শিল্পকলা প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির গ্যালারি কায়াতে।দীর্ঘ ১৬ বছর পর একক প্রদর্শনী হচ্ছে গৌতম চক্রবর্তীর। বিচিত্র বিষয়ে কাজ করেছেন তিনি তেলরং, জলরং, চারকোল ও সেরিগ্রাফ মাধ্যমে। এবার মোট শিল্পকর্ম ৬৭টি। এর মধ্যে একটি সিরিজও রয়েছে ‘রাগী বেড়াল’ নামে। প্রদর্শনীর নাম ‘আমি’।আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট শিল্পী মুর্তজা বশীর। সম্মানিত অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট শিল্পী সমরজিৎ রায়চৌধুরী ও শিল্প-সমালোচক শামসুল ওয়ারেস। প্রদর্শনী চলবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা।পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা আগের চেয়ে জোরদার হয়েছে বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের এক নথিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর আগে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করে ওয়াশিংটন।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গত সপ্তাহে তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরের পর দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তার বিষয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র।হোয়াইট হাউসের ওই নথিতে বলা হয়, পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং এর কৌশলগত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান রাসায়নিক অস্ত্র সনদ (সিডব্লিউসি) ও জীবাণু অস্ত্র সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক উদ্যোগেরও অংশীদার।পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে সফল পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর অল্প কয়েকটি দেশের তালিকায় স্থান করে নেয়। শুরু থেকেই দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র, কৌশল ও প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন আইনপ্রণেতা, গণমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি ঘটতে থাকলে একসময় দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে।পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বিভিন্ন ফোরামে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্র সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ। এরপরই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিল ওয়াশিংটন। ডন।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের এক সপ্তাহ আগে বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় আওয়ামী সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।সংসদীয় বোর্ডের সদস্যসচিব স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংসদীয় বোর্ডের সব সদস্যকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।দলটির উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ ও সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হতে পারে দলটির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। এর আগে দলের সংসদীয় বোর্ডের বিশেষ আমন্ত্রণে ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তাঁরা।পুলিশ ধাওয়া দিলে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আশপাশের ভবনে পালিয়ে যান। রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশের একটি ভবন থেকে লুকিয়ে থাকা ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর সেগুন বাগিচা মসজিদ থেকে ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন হিযবুত তাহরীরের শতাধিক যুবক। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল ছোড়েন। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে আশপাশের বিভিন্ন ভবনে তাঁরা লুকিয়ে পড়েন। এ সময় রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশের একটি ভবন থেকে ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছে কাফনের কাপড়, ব্যানার, লিফলেট পাওয়া গেছে। |
অ্যাপল কম্পিউটারের নতুন কোনো পণ্য বা সেবার নতুন সংস্করণ মানেই যেন চমক, যার অপেক্ষায় থাকে গোটা প্রযুক্তিবিশ্ব। সম্প্রতি অ্যাপল উন্মুক্ত করেছে আইফোন, আইপ্যাড ও আইপড টাচের জন্য অপারেটিং সিস্টেমের সাম্প্রতিক সংস্করণ আইওএস ৭।নতুন রঙে নতুন ঢঙেদৈনন্দিন কাজে যেসব অ্যাপসের নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে, সেগুলো সহজে এবং দ্রুত ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে আইওএস ৭-এ যুক্ত হয়েছে কন্ট্রোল সেন্টার ফিচারটি। আইফোন ‘লক স্ক্রিন ’ অবস্থায় থাকলেও সরাসরি প্রবেশ করা যাবে এই কন্ট্রোল সেন্টারে। ক্যামেরা, ফ্ল্যাশলাইট, ওয়াই-ফাই চালু বা বন্ধ করা, পর্দার উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণসহ নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে এই কন্ট্রোল সেন্টারে। আইওএস ৭-এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নোটিফিকেশন সেন্টার। নতুন আসা ই-মেইল, মেসেজ কিংবা মিসড কলের খবর ছাড়াও যেকোনো ধরনের রিমাইন্ডার বা অন্যান্য নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে এই নোটিফিকেশন সেন্টারে। লক স্ক্রিন থেকে এই সেন্টারেও সরাসরি প্রবেশ করা যাবে। মাল্টিটাস্কিং সুবিধাটি আগের চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে এই সংস্করণে। হোম বোতামটি পর পর দুবার চাপলেই ফোনে চালু থাকা সব অ্যাপস দেখা যাবে। আইওএস ৭-এ ক্যামেরার অ্যাপেও অ্যাপল বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করেছে।প্যানারোমিক এবং বর্গাকৃতির ছবি তোলার নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে এতে। যুক্ত করা হয়েছে নানা ধরনের ফিল্টার। ফোন থেকে ফোনে ছবি বা অন্যান্য ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য যুক্ত হয়েছে এয়ারড্রপ নামের আরেকটি সুবিধা। এর মাধ্যমে কোনো ধরনের ই-মেইল কিংবা মেসেজের সহায়তা ছাড়াই সরাসরি একটি আইওএস যন্ত্র থেকে অন্য একটি আইওএস যন্ত্রে যেকোনো ফাইল আদান-প্রদান করা যাবে। সিরি নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপ্লিকেশনটি এবার এসেছে পূর্ণ সংস্করণে।বিং, উইকিপিডিয়া কিংবা টুইটারের মতো ওয়েবসাইটে কথা বলে তথ্য খোঁজার (ভয়েস সার্চের) সুবিধা যুক্ত হয়েছে এতে। এ ছাড়া প্যানডোরার বিকল্প হিসেবে অ্যাপল আইওএস ৭-এ যুক্ত হয়েছে আইটিউনস রেডিও। এর মাধ্যমে পছন্দের সব গান স্ট্রিমিং করে শোনার সুবিধা রয়েছে।যেসব যন্ত্রে চলবেসম্প্রতি বাজারে আসা আইফোন ৫এস ও ৫সি মডেলের আইফোনের সঙ্গে আইওএস ৭ উন্মুক্ত করা হলেও বেশ কয়েকটি অ্যাপল পণ্যে এই সংস্করণ হালনাগাদ করা যাবে। তবে আপনার অ্যাপল যন্ত্রে আইওএস ৭ চলবে কি না, সেটা নিশ্চিত হয়েই হালনাগাদ করবেন। আইফোন ৩এস বা তার আগের মডেলগুলো, আইপ্যাডের প্রথম প্রজন্মের মডেলটি আর আইপড টাচের চতুর্থ প্রজন্ম বা তার আগের মডেলগুলোতে আইওএস ৭ চলবে না।কোথায় পাবেন?আইটিউনস স্টোর থেকে বা অ্যাপল ডিভাইসের সেটিংসে গিয়ে আইওএস ৭ হালনাগাদ করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে হালনাগাদ করার আগে অবশ্যই আপনার অ্যাপল পণ্যটিতে যথেষ্ট চার্জ আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিন। আপগ্রেডের সময় পণ্য থেকে তথ্য একেবারে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা কম হলেও ডিভাইসটির পূর্ণ ব্যাকআপ রাখুন।অ্যাপল ও সিনেট অবলম্বনে৬০ ঘণ্টার টানা হরতালের প্রথম দিনে গতকাল রোববার দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। এর ফলে হরতালের কোনো নেতিবাচক প্রভাবই দেখা যায়নি বাজারে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার এই হরতাল গতকাল থেকে শুরু হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৩ শতাংশ বা ১১০ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচকও ৩ শতাংশ বা ৩৫৭ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতসহ মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণেই মূলত সূচকে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। গতকাল তালিকাভুক্ত কয়েকটি ব্যাংক, গ্রামীণফোনসহ মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগেরই আয় বেড়েছে।ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই ছিল সূচকের ঊর্ধ্বগতি। যদিও গত বৃহস্পতিবার বড় দরপতন দিয়েই বাজারে লেনদেন শেষ হয়েছিল। সেই হিসাবে গতকাল শুভসূচনা ঘটেছে। দেশের রাজনীতিতে কিছুটা সমঝোতার বাতাস বইতে শুরু করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ কেউ। তবে এই ধারা বজায় থাকবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।এদিকে অতীতের মতো গতকালও হরতালের মধ্যে বাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কারণ, হরতালে বাজারে যাতে বড় ধরনের দরপতন না ঘটে সে জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় থাকে।ঢাকার বাজারে গতকাল ২৮৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল সাতটির দাম। এদিন ডিএসইতে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকার সাতটিই ছিল ব্যাংক। সাধারণত ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে তা সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।ঢাকার বাজারে গতকাল রোববার দিন শেষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি।চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেন হওয়া ২০৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৬৯টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ২৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল নয়টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা বেশি।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে তিন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। ১৮ দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কেউ আশপাশের ভবন থেকে ককটেল ছুড়ে মেরেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিকেরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সাজেদা সুইটি, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেন্ডেন্টের ক্যামেরাপারসন চন্দন ও এস এ টিভির ক্যামেরাপারসন মাহমুদ আহত হন।এঁদের মধ্যে সাজেদা সুইটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চন্দনকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়।সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় নেতা-কর্মীদের দেখা না গেলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় তিন দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।প্রথমবারের মতো মাতৃত্বের স্বাদ নিতে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের দাপুটে নায়িকা শাবনূর। এরই মধ্যে ভর্তি হয়েছেন হাসাপাতলেও। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় সকালে ওব্যান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।শাবনূরের স্বামী অনীক মাহমুদ অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবকিছুই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। চিকিত্সকের পরামর্শে আজ সকালে সিডনির ওব্যান হাসপাতালে শাবনূরকে ভর্তি করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল সকালের মধ্যে সবাইকে সুখবরটা দিতে পারবো বলে আশা রাখছি। সবাই আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’অনীক বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল সন্তানের জন্মের সময় পাশে থাকব। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে যেতে পারছি না। তাই মনটা খুব খারাপ।’শাবনূর জানান, ‘খুব মজা লাগছে। এটা আসলে একেবারেই অন্যরকম অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। একেবারেই অন্যরকম জীবন। আমার বোনেরও বাচ্চা হবে। সবমিলিয়ে পুরো পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় আছি। সবাই আমার অনাগত সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত কিছু আশা কিছু ভালোবাসা। এই ছবিতে শাবনূর ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী এবং ফেরদৌস প্রমুখ। নতুন বছরের মার্চে শাবনূরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এসেই তিনি আবারও নতুন করে ছবির কাজ শুরু করবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজনে দিনব্যাপী শরৎ উৎসব হচ্ছে আজ। যন্ত্রসংগীত দিয়ে সকাল সাতটা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই পর্বের এই উৎসবের প্রভাতি অধিবেশনে থাকবে শরৎ কথন, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।তথ্য ও বিনোদনকুয়াশাসত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়েকথাবন্ধু শারমীনের সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]খবরএবিসি খবর [সকাল ৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়]সারা দেশে ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় সহিংসতায় বিজিবি সদস্য, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। বগুড়া, ফেনী ও চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ময়মনসিংহ, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, চাঁদপুর ও যশোরে রেলপথে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:কুমিল্লাবিজিবি ১০ ব্যাটেলিয়নের সদস্য রিপন ১৮-দলীয় সমর্থিত নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নগরের মনোহরপুর এলাকায় গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলকর্মী ও অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হোসেন মিছিলে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। আজ বিকেল ৩টার দিকে তাঁর লাশ তালতলা চৌমুহনী এলাকার নিজ বাসায় নেওয়া হয়। এ সময়ে পুলিশ দ্রুত লাশ দাফনের জন্য তাগিদ দিলে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা তালতলা চৌমুহনী এলাকায় যান। এ সময়ে উত্তেজিত জনতা তাঁদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এক পর্যায়ে তাঁরা বিজিবি ও পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় বিজিবির সদস্য রিপন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। রিপনসহ পুলিশের সদস্য মাহমুদুল হাসানকে গুরুতর আহত আহতাবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রিপন মারা যান।এদিকে লাকসাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন দুয়ারী দাবি করেন, লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে জামায়াত-শিবিরের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশাচালক বাচ্চু মিয়া নিহত হন।সাতক্ষীরাকলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের পিকেটারদের হামলায় দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান ওরফে বাবু নিহত হন।৩৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ফারুক আহমেদ জানান, কলারোয়ার দেয়াড়ায় বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের পিকেটারেরা বাড়িতে ঢুকে দেয়াড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।সিরাজগঞ্জপৌর এলাকার জগাইমোড়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সাকমান হোসেন নামে এক পথচারী নিহত হন।শহরের রেলগেট এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রদলের কর্মীরা। সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাতি বেইলি ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক ও কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট বাজারে একটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়।বগুড়াসহকারী পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, জেলার শাজাহানপুর থানার লিচুতলায় এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ছোড়ে। এরপর ঘটনাস্থলকে থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল থেকে মহাস্থান পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে।দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাতে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের সরকারি বাসভবনে ককটেল হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে বাসভবনের সামনে থাকা শিক্ষার্থী পরিবহনের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। জেলা জজদের বাসভবন কমপ্লেক্সে এলাকায়ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।গতকাল রাতে ঢাকা থেকে নওগাঁ ফেরার পথে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের এরুলিয়ায় নওগাঁ-৪ আসনের সাংসদ এমাজউদ্দিন প্রামাণিকের গাড়িতে হামলায় তিনি, তাঁর ছেলে ও গাড়ির চালক আহত হন।টঙ্গীটঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করতে সাবেক সাংসদ হাসান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা যোগ দেন। হাসান উদ্দিনের পিঠে রাবারের তিনটি গুলি লাগে। তিনি অভিযোগ করেন, সকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মূল ফটক, জানালার কাচ ভাঙচুর এবং সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে।নারায়ণগঞ্জআড়াইহাজার থানার ওসি মো. আলমগীর জানান, সকাল নয়টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় যুবদলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থকেরা ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা সাত-আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা চালালে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পাঁচজন আহত হন।সকাল আটটার দিকে হাইজাদি ইউনিয়নের ইলুমদি বাজারের সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন সাবেক সাংসদ আতাউর রহমানের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান।ঈশ্বরদীঈশ্বরদী রেল থানার ওসি এনামুল হক জানান, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের লোকো এলাকায় সিরাজগঞ্জগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে গতকাল রাত একটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা আগুন দেয়। এতে একটি বগি সম্পূর্ণ ও দুটি বগি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।কসবা ইমামবাড়ি রেলস্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান মণ্ডল জানান, কসবা উপজেলা সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় ও বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদী এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ইমামবাড়ি স্টেশনে থেমে থাকা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগিতে সকালে আগুন দেওয়া হয়।ময়মনসিংহগৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. তারেক জানান, ভোরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বিএনপির কর্মীরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলেন। এতে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী ‘হাওড়’ এক্সপ্রেস ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-বিরিশিরি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।মাদারগঞ্জজামালপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, সকাল পৌনে নয়টার দিকে জামালপুর কোর্ট স্টেশনের কাছে জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জে চলাচলকারী একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা।রাজশাহীরাজশাহীতে সকাল পৌনে সাতটার দিকে তিনটি স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরের মালোপাড়া এলাকায় সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।মেহেরপুরমেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ভোর থেকে অবরোধ করে রাখেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে, আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শহরের কায়েমকাটা মোড়ে প্রায় ৫০টি, রাজনগর সড়কে প্রায় ৪২টি ও বন্দর সড়কে প্রায় ২৯টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২৩টি গুলি ছুড়ে বলে মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবদুল জলিল।ফেনীগতকাল রাতে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কার্যালয়ের একটি কক্ষের কাগজপত্র পুড়ে গেছে।গাজীপুরগাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে সকাল সাতটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা বাজারে ১০-১২টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ড্রেসম্যান সোয়েটার কারখানার কর্মীবাহী দাঁড়িয়ে থাকা বাসে নেতা-কর্মীরা পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়। শ্রীপুর উপজেলার আনসার রোড এলাকায় নেতা-কর্মীরা সাত-আটটি যানবাহন ভাঙচুর এবং একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেন।নোয়াখালীসকালে পুলিশের গাড়িতে হামলার জের ধরে শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ আজাদ দাবি করেছেন, তাঁদের ২০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে সুধারাম (সদর) থানার ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, পুলিশের গাড়িতে হামলার পর নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাঁরা ফাঁকা গুলি করেছে। এতে কেউ আহত হওয়ার কথা তাঁর জানা নেই।চাঁদপুরসকাল আটটার দিকে শহরের আক্কাছ আলী এলাকায় পিকেটাররা রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া পিকেটাররা রেললাইনের স্লিপার তুলে সেগুলো দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের বাকিলায় আধা কিলোমিটার এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় বিএনপি ও শিবিরের কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী মিছিল করছেন। পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।চুয়াডাঙ্গাসদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গতকাল রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।চট্টগ্রামচট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোরশেদ জানান, অবরোধ ও হরতাল চলাকালে উত্তর জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ছালামত আলীসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।পটুয়াখালীসকালে তেলিখালী ব্রিজ এলাকার পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবস্থান নেন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে ওই সড়কে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস ও বাঁধঘাট এলাকায় একটি টমটম ভাঙচুর করা হয়।খুলনাশহরের পাওয়ার হাউজ মোড়ে ১৮ দলের সমাবেশ চলাকালে শিবিরের এক কর্মীকে আটক করলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তাঁরা ইটপাটকেল ও কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। এ সময় গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে স্টেশন রোড থেকে বের হওয়া মিছিলের শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান আহত হন।সরিষাবাড়ীদুপুরে উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে পিকেটারেরা একটি অটোবাইক ভাঙচুর এবং চালক বাবু মিয়াকে মারধর করে। ভাটারার পারপাড়া এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ও মহাদানের কদুল্লায় নছিমন ভাঙচুর করা হয়েছে।ফরিদপুরজেলার সহকারী পুলিশ সুপুর (সদর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের পেয়ারপুর এলাকায় পিকেটারদের লাগানো আগুনে আহত হন ট্রাক চালক আব্দুল খালেক (৩২)। তাঁর দুই পা ঝলসে গেছে। তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পঞ্চগড়পঞ্চগড় সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, পিকেটিংয়ের অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ইরানকে আটক করে পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পিরোজপুরভৈরমপুর এলাকায় পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কে ও শহরের মধ্যরাস্তা এলাকায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের তিনটি শেল ও শর্টগানের ৩৭টি গুলি ছুড়েছে বলে পিরোজপুরের সহকারী পুলিশ সুপার এম এন মোরশেদ জানান। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের ৫৭টি জেলায় সেনাবাহিনী ও দুটি জেলায় নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করার পাশাপাশি ছয়টি মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। তাঁরা ১১ জানুয়ারির মধ্যে সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবেন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে গতকাল দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন।তিন বাহিনী মোতায়েন উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলা ছাড়া অন্য সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী থাকছে। এর মধ্যে ভোলা ও বরগুনার নিরাপত্তায় থাকবে নৌবাহিনী। আর তিন পার্বত্য জেলার নিরাপত্তা দেখভাল করছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া যেকোনো মুহূর্তে উড্ডয়ন-সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে গতকাল থেকে বিমানবাহিনী প্রস্তুত আছে।সেনাসূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-পাটুরিয়া-যশোর ও খুলনা, ঢাকা মাওয়া-খুলনা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নিরাপত্তা সেনাসদস্যরা দেখভাল করছেন। এর মধ্যে শুধু খুলনা-মংলা সড়কের নিরাপত্তা দিচ্ছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। তবে নির্দেশনা অনুসারে ২৫ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও ২১ ডিসেম্বর থেকে সেনাসদস্যরা দেশের কয়েকটি মহাসড়কে টহল দিতে শুরু করেছেন। এ সময় তাঁরা যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন এবং মহাসড়কে অবস্থান নেন।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলায় সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। তাঁদের প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তাঁরা মজুত বাহিনী (স্ট্রাইকিং ফোর্স) হিসেবে থাকবেন। ভোট গণনা ও ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সতর্কতায় থাকবেন। সূত্র জানায়, প্রতি জেলায় কমবেশি এক ব্যাটালিয়ন (৮০০ জন) করে সশস্ত্র বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়। সেখানে তারা ক্যাম্প স্থাপন করেছে। আর প্রতিটি উপজেলা বা থানায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বা এক কোম্পানি (জনবল ১৩০ জন) করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে না, সেখানে ভ্রাম্যমাণ থেকে দায়িত্ব পালন করা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনো ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটকক্ষে ঢুকবেন না।গতকাল পর্যন্ত ৫৭ জেলায় কতসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে জানতে চাইলে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েনের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ-সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজন পড়েনি। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মজুত রাখা হয়েছে।সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা পর্যায় ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে একটি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণকক্ষকে জানাতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে সর্বশেষ তথ্য জানাতে হবে। প্রত্যাহারের ১৫ দিনের মধ্যে নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। |
ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গনের জননন্দিত অভিনয়শিল্পী সারাহ বেগম কবরীর বিভিন্ন সময়ের আলোকচিত্র নিয়ে ‘আমারে তুমি অশেষ করেছ’ নামে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ। জাতীয় জাদুঘরে বিকেল চারটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। উদ্বোধন করবেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক।এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে ২০০টি আলোকচিত্র ছাড়াও থাকবে কবরী অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্রের গানের ভিডিও ক্লিপিং। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্রিন ভ্যালি ফাউন্ডেশন। প্রদর্শনী ২ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা।চেক প্রজাতন্ত্রে মাসব্যাপী অনিশ্চয়তার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো পরিষ্কার বিজয়ী পাওয়া যায়নি। গত শুক্র ও শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।সর্বশেষ ভোট গণনায় গতকাল রোববার এগিয়ে ছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিএসএসডি)। তবে তাদের প্রাপ্ত ভোট মোট গণনা হওয়া ভোটের ২০ শতাংশের সামান্য বেশি। দলটি সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এএনও পার্টি ১৯ শতাংশ এবং কমিউনিস্ট পার্টি পেয়েছে ১৫ শতাংশ ভোট।মনে করা হচ্ছে, দেশটিতে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হতে পারে। গত জুনে এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জেরে মধ্য-ডানপন্থী পিটর নেকাসের সরকারের পতন হয়। বিবিসি।সারদা গোষ্ঠীর অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আজ মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে ওঠে। বামপন্থী বিধায়কেরা অধিবেশনে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনেন। তবে বিধানসভার স্পিকার তা অগ্রাহ্য করে দেন।বাম বিধায়কদের দাবি, সাবেক তৃণমূল সাংসদ কুনাল ঘোষ সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত যে ১২ ব্যক্তির নাম ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে সারদার অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) দিয়ে তদন্তের দাবি জানান। এসব দাবিসংবলিত মুলতবি প্রস্তাব স্পিকার খারিজ করে দিলে বাম দলের বিধায়কেরা বিধানসভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তাঁরা সেখান থেকে ওয়াক আউট করেন।এর আগে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপিসহ সব বিরোধী দলই সারদা কাণ্ড সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে বিরোধী দল গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। তারা জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করছে। তাদের হাত থেকে গবাদি পশুও রেহাই পাচ্ছে না।আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শহীদ মিনার চত্বরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। এই নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না। যাঁরা নির্বাচন বানচালের স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জনগণ প্রতিহত করবে। আবার ক্ষমতায় গেলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।বিস্তারিত আসছে........ |
নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও রিফাত-বিন-সাত্তার (বাংলাদেশ); বিশ্বনাথন আনন্দ (ভারত); ববি ফিশার ও নাইজেল শর্ট (ইংল্যান্ড), কাসপারভ ও কারপভ (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) এরপর আপনার নাম লেখাতে চান? তাহলে আপনার জন্য গেম হচ্ছে ক্লাসিক চেজ। দাবা খেলার এ গেমটি পুরোপুরিভাবে পারিবারিক আবহে তৈরি করা হয়েছে।দাবা যদি গেমার আগে না খেলেন বা খুব একটা দক্ষ না হলেও সমস্যা নেই। কারণ, একেবারে শুরু থেকে শিখে শিখে খেলতে পারবেন। সাদা ঘুঁটি সর্বদা প্রথম চালানো হয়। এর পর থেকেই একটি ঘুঁটির পর অন্য দলের ঘুঁটি চালানো হয়। ব্যতিক্রম হিসেবে ক্যাসলিংয়ের সময় দুটি ঘুঁটি পরিচালিত হয়। খালি জায়গায় ঘুঁটি চালাতে হয় অথবা প্রতিপক্ষের ঘুঁটি দখল করে ঘর থেকে বাইরে উচ্ছেদ করা হয়। যদি কোনো কারণে ঘুঁটি পরিচালনা করা না যায়, তাহলে খেলা শেষ হয়েছে অথবা চেকমেটের সাহায্যে খেলা শেষ করা হয়।প্রতিটি দাবার ঘুঁটির নিজস্ব চলাচলের শর্ত রয়েছে। রাজা বা কিং শুধু তার ঘরের সঙ্গে সংযুক্ত যেকোনো একটি ঘরে যেতে পারে। তবে বিশেষ শর্তে নৌকা বা রুকের সঙ্গে ঘর পরিবর্তন করতে পারে, যা ক্যাসলিং নামে পরিচিত। প্রতিপক্ষের রাজার বিরুদ্ধে কিস্তি বা চেকমেট দেওয়ার পর যদি রাজা চেক সরাতে না পারে এবং পরবর্তী সময়ে যদি নড়াতে না পারে, তবে কিস্তিমাত হয়ে খেলা শেষ হবে। পরিচিত দাবার ঘুঁটিগুলোকে বিভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যাবে গেমসে। উত্তেজনাপূর্ণ গেমসটিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের বোর্ড নির্ধারণ করে খেলা শুরু করতে পারেন। অনেকে মিলে খেলার জন্য অবশ্যই টুর্নামেন্ট মুডে খেলতে হবে। তাহলে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে পারবেন। দাবা প্রতিযোগিতা হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব সিনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, করেসপন্ডেন্স দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব কম্পিউটার দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ অন্যতম।খেলতে যা যা প্রয়োজনঅপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ৯৮, ২০০০, এমই, এক্সপিপ্রসেসর: ২৫৬ মেগাহার্টজভিডিওকার্ড: ৪ মেগাবাইটসিডি-রম ড্রাইভ: ১২ এক্সর্যাম: ১২৮ মেগাবাইটডাইরেক্ট এক্স: ৮.১হার্ডডিস্ক: ১৬.৫ মেগাবাইট খালি জায়গাবাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা এক বছরের জন্য বা পরামর্শক দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া যাবে। উপদেষ্টা পুনর্নিয়োগযোগ্য হলেও সাধারণভাবে পরামর্শক পুনর্নিয়োগযোগ্য হবেন না।বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকে উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ-সংক্রান্ত সংশোধিত বিধিবিধান জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে এসব কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ থেকে গতকাল জারি করা এক সার্কুলার লেটারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, উপদেষ্টাকে ১৫ বছরের ব্যাংকিং বা প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। করখেলাপি, ঋণখেলাপি, দেউলিয়া ঘোষিত, বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তি এই পদের অযোগ্য হবেন। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে বর্তমানে বহাল আছেন বা ওই ব্যাংকে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি উপদেষ্টা হওয়ার জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না।ব্যাংকের কোনো সাবেক পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য কোনো কর্মকর্তা অবসর বা অব্যাহতি গ্রহণের এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর একই ব্যাংকের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন।সুনির্দিষ্ট বিষয়েই উপদেষ্টা পরিচালক পর্ষদ বা প্রধান নির্বাহীকে পরামর্শ প্রদান করবেন। আর্থিক, প্রশাসনিক বা পরিচালনাগত বিষয়সহ অন্য কোনো বিষয়ে তিনি কোনো প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না, উপদেষ্টা নিযুক্তির জন্য যৌক্তিকতা ব্যাখ্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। উপদেষ্টার অনুকূলে থোক পারিশ্রমিক, যানবাহন ও টেলিফোন-সুবিধা ব্যতীত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনুরূপ বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া যাবে না।অন্যদিকে সাধারণভাবে ট্যাক্স, আইন ও মামলা, প্রকৌশল ও কারিগরি, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি বিশেষায়িত প্রকৃতির কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক নিয়োগ করা যাবে। যেসব কাজ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে করানো সম্ভব, সেসব কাজে পরামর্শক নিয়োগ যত দূর সম্ভব পরিহার করতে হবে।উপদেষ্টার মতো তাঁরও নিয়োগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে হতে হবে। পারিশ্রমিক ব্যতীত অন্য কোনো সুবিধা তিনি প্রাপ্য হবেন না। দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি কোনো কাজ অসম্পন্ন থাকে, তাহলে তা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করা যাবে। এ জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে।নির্বাচনী আমেজ আনতে ঢাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে আনন্দ মিছিল করে দলটি।মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তবে আজকের মিছিলে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা, ‘নৌকা’ এবং ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান মুখর করে রাখে পুরো এলাকা। তবে আনন্দ মিছিলে দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম।‘তফসিল ঘোষণার সঙ্গে আনন্দ মিছিলের সম্পর্ক কী’ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ছিল। তফসিল ঘোষণার পর সেই সন্দেহ আর থাকল না। যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় আমরা ইসিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছি। এর মাধ্যমে সমগ্র দেশে নির্বাচনী আমেজ ফিরিয়ে এসেছে।’এদিকে আনন্দ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। এখন সমগ্র দেশে আনন্দের সুবাতাস বইছে।’ তিনি বলেন, তারা (বিরোধী দল) রাজনৈতিক কর্মী নিয়ে নয়, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে।সমাবেশে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এবারও নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। দেশব্যাপী সন্ত্রাসের তাণ্ডব শুরু করেছে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে ভাত চাই—এই স্লোগানে ’৭০ সালে নির্বাচন ভাসানী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনিও লাভবান হতে পারেননি। আর আপনারা (বিএনপি) সহিংসতা করে আঁঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’ বিএনপিকে সহিংসতা ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান সাবেক এই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।সমাবেশে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন করতে সমগ্র জাতির সঙ্গে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। কিন্তু একটি গোষ্ঠী তা বানচালের অপচেষ্টা করছে, তারা লাভবান হবে না।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগমের নতুন রেকর্ডটা বেশ ঘটা করেই উদযাপন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ৭০ হাজারেরও বেশি দর্শক। কিন্তু গতকালের মতো আজ স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা; বরং দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে হতাশা নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ২৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রান সংগ্রহ করতেই যে ৯ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই যেন মরিয়া হয়ে গেছে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ হারের লজ্জা মেনে নিতেই হয়েছে, এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই লড়ে যাচ্ছে সফরকারীরা। দুর্দান্ত বোলিং করে যেন ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তাই দিচ্ছেন ইংলিশ পেসাররা। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও টিম ব্রেসনানের ত্রিমুখী তোপের মুখে বেশ চাপের মুখেই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ক্রিস রজার্স আর ব্র্যাড হাডিন ছাড়া কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানই গড়তে পারেননি প্রতিরোধ।৬১ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে রজার্স যখন সাজঘরে ফিরেছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ১১২ রান। তাঁর আগেই সাজঘরমুখী হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার (৯), শেন ওয়াটসন (১০), মাইকেল ক্লার্ক (১০) ও স্টিভেন স্মিথ (১৯)। অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে ৫০ থেকে ৫৮ ওভারের মধ্যে। এ সময় মাত্র ১২ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এই বিপর্যয় আর শেষ পর্যন্ত সামলে উঠতে পারেনি মাইকেল ক্লার্কের দল। মাত্র ৫৪ রানে শেষ সাতটি উইকেট হারিয়েছে তারা।ব্যাটিং বিপর্যয় এড়ানো যাবে না অনুমান করেই বোধ হয় দ্রুত রান সংগ্রহের দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলেন হাডিন। ৪৯ বলে ৪৩ রান করে দিন শেষে অপরাজিতই আছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু সংগ্রহটা সম্মানজনক একটা অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো সঙ্গীই পাননি হাডিন। উইকেটের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে একের পর এক সতীর্থদের আসা যাওয়াই দেখতে হয়েছে তাঁকে। ইংল্যান্ডের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রড ও অ্যান্ডারসন। দুটি উইকেট গেছে ব্রেসনানের ঝুলিতে। এর আগে আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস খুব দ্রুতই গুটিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল জনসন। ইংল্যান্ডের শেষ চারটি উইকেটের তিনটিই পেয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে পাঁচটি উইকেট সংগ্রহ করেছেন এই বাঁ হাতি পেসার। এই সিরিজে এরই মধ্যে ২৮ উইকেট ঝোলায় পুরেছেন তিনি।দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান টিম ব্রেসনান ও পিটারসেনকে ফিরিয়ে দেন। তিন ওভার পরে স্টুয়ার্ট ব্রডও জনসনের শিকার। আর মন্টি পানেসরের উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ২৫৫ রানেই গুটিয়ে দেন নাথান লায়ন। গতকালের ২২৬ রানের সঙ্গে আজ মাত্র ২৯ রানই যোগ করতে পেরেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। পিটারসেন শেষপর্যন্ত আউট হয়েছেন ৭১ রান করে। |
‘অজানারে করেছি সন্ধান’ নামে আজ রবীন্দ্রসংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংসদ। শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল পাঁচটা ১৫ মিনিটে। প্রধান অতিথি থাকবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বিশেষ অতিথি থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।জনতা ব্যাংকের দুবাই শাখায় সাড়ে ১২ লাখ ডলারের ঋণপত্র জালিয়াতিতে প্রধান অভিযুক্ত ব্যাংকের সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।অথচ দুই দফা তদন্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।জানা গেছে, আজ সোমবার ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। এতে প্রধান অভিযুক্তকে কৌশলে ছাড় দিয়ে অন্য দুজন কর্মকর্তার ওপর পুরো দায় চাপানোর চেষ্টা রয়েছে।রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করতে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি নাগরিক প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গেছেন।নাগরিক প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য হলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আইনজীবী শাহদীন মালিক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জামিলুর রেজা চৌধুরী, সুলতানা কামাল ও আকবর আলি খান। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা ১২ মিনিটে তাঁরা বঙ্গভবনে যান।নির্বাচনের আগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এই বিশিষ্ট ছয় নাগরিক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুর, পল্লবী, কাফরুল, সেনপাড়া পর্বতাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।কল্যাণপুর, কাফরুল ও সেনপাড়া পর্বতা থেকে ৮০ জনেরও বেশি ও পল্লবী থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।পুলিশের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার কামাল হোসেন প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। তিনি জানান, কাফরুল থেকে অস্ত্র, মিরপুর এলাকা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ব্যানার পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল আটক হওয়া এসব ব্যক্তির।গত বুধবার রাত ১২টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে পোশাকধারী পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। |
প্রগতি সরণির অ্যাথেনা গ্যালারিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘ইউনিটি অব সোল’ নামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে শিল্পীদের যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। বিশিষ্ট শিল্পী মনিরুল ইসলাম সন্ধ্যা ছয়টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) পথে বড় ধাপ সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচি (স্কিম), স্টক এক্সচেঞ্জের সংশোধিত সংঘবিধি ও সংঘস্মারক এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিষয়টি গ্রহণ করা হয়েছে।গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত সিএসইর বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) উল্লিখিত বিষয়গুলো বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এতে সিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি অতিক্রম করল।সিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান।সিএসই আরও জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ইজিএমে ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচিসহ তিনটি বিষয় বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ সাজিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনে ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচি অনুমোদনপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে ইজিএম সম্পন্ন করা, শেয়ারধারীদের মধ্যে শেয়ার বণ্টনসহ আরও বেশ কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।’এদিকে প্রথম ৩০ দিন ও তৎপরবর্তী করণীয় শেষে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত নতুন পরিচালনা পর্ষদের হাতে বর্তমান পর্ষদকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সিইসি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার ঘোষিত তফসিল স্থগিতের জন্য বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সমঝোতা যদি হয়, তবে সব ধরনের সুযোগ আছে।সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠক বৃহস্পতিবারনির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেছেন, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। প্রয়োজনে বেশি সময় ধরে সেনা মোতায়েন হবে।আজ বিকেলে কমিশন কার্যালয়ে জাবেদ আলী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।গতকাল সোমবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সরকারের ‘রুটিন ওয়ার্ক’ বলে অভিহিত করেন জাবেদ আলী। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।জাবেদ আলী জানান, নির্বাচনী প্রচার উপকরণ অপসারণ এবং সভা-সমাবেশ না করার ব্যাপারে নোটিশ দেবে কমিশন। তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচারের উপকরণ অপসারণ করতে হবে। নইলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।একাধিকবার সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলা শেষে চলতি বছরের জুন মাসে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন কানাডীয় পপগায়ক জাস্টিন বিবার এবং মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। বিচ্ছেদের প্রায় ছয় মাস পার হলেও এখনো বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না সেলেনা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাঁর পেশাজীবনেও। কাজে একদমই মনোযোগী হতে পারছেন না তিনি। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় স্টারস ড্যান্স কনসার্ট ট্যুরে যাওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি তা বাতিল করেছেন ২১ বছর বয়সী সেলেনা।এ প্রসঙ্গে সেলেনার কাছের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে শোবিজস্পাই জানিয়েছে, বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা এখনো ভোগাচ্ছে সেলেনাকে। এই মুহূর্তে তাঁর মানিসক অবস্থা বেশ খারাপই বলা যায়। তিনি কাজে একদমই মনোযোগ দিতে পারছেন না। মনকে শান্ত করার জন্য কাছের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তিনি।সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সেলেনার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মানসিক চিকিত্সা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিত্সা-প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আগলে রাখার জন্য সব সময় তাঁর পাশাপাশি থাকছেন।নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া ট্যুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেলেনা। ১৩টি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি তা বাতিল করেছেন সেলেনা। এ জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে সেলেনা বলেন, ‘আমার কাছে ভক্তরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি কখনোই তাঁদের আশাহত করতে চাই না। বছরের পর বছর ধরে আমি আমার কাজকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। কিন্তু ইদানীং আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এখন নিজের পেছনে সময় দেওয়াটা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে আমার জন্য। নিজের পরিশুদ্ধির জন্যই এটা করতে হবে আমাকে। আমি ভক্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমার বিশ্বাস, আপনাদের প্রত্যেকের মূল্য আমার কাছে কতটা বেশি তা আপনারা ভালো করেই জানেন।’সেলেনার সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেম করলেও শেষতক তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাননি বিবার। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তাঁরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁদের প্রেম ভেঙে গেলেও তিন মাসের মাথায় গত এপ্রিলে তাঁদের পুনর্মিলন ঘটে। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মাথায় আবার তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। |
একটি সিম্ফোনি ডব্লিউ১৫ ও একটি নকিয়া ৩১১০সি-এর বদলে একটি ওয়ালটন প্রিমো ডব্লিউ১ চাই।তাওহীদখুলনা।ফোন: ০১৭৪৪২২৪১৯১একটি বাংলালায়ন পোস্টপেইড মডেমের বদলে একটি টেলিটক বা বাংলালিংক মডেম চাই।চয়নউত্তরা, ঢাকা।ফোন: ০১৭৩৮২৯৯০১৪সরকার মুখে সংলাপের কথা বললেও তাদের ‘অন্তর্গত স্বচ্ছতা’ নিয়ে সন্দিহান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ রোববার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম ১১ ঘণ্টার মাথায় সংবাদ সম্মেলনে হরতাল পরিস্থিতি তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ৬০ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সকাল থেকে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সংলাপের কথা বললেও সরকার বিরোধী দল দমনে এখনো আগের মতোই দুর্বিনীত ও অপরিণামদর্শী আচরণ করছে। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন, সংকট নিরসনে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় সরকারের আলোচনার আহ্বান বিশ্বাসযোগ্য হবে না বলে তিনি দাবি করেন।মির্জা ফখরুল দাবি করেন, হরতালের প্রথম ১১ ঘণ্টায় সারা দেশে তাঁদের তিনজন নেতা-কর্মী নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ি ও গণমাধ্যমে ককটেল হামলার জন্য ‘সরকারি এজেন্টদের’ দায়ী করেন মির্জা ফখরুল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি অভিযোগ করেন, ১৮ দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ধ্বংস করতে সরকারি এজেন্টরা এসব কাজ করছে। কারা এ কাজ করছে, তা চিহ্নিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।মাঠের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে তো বটেই, মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যও একইভাবে আলোচিত ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। খেলোয়াড়ি জীবনে দীর্ঘদিন ছিলেন মাদকের সংস্পর্শে। অত্যধিক মাদক গ্রহণের জন্য ২০০৪ সালে একবার মৃত্যু আশঙ্কাও ভর করেছিল তাঁর ওপর। নিজে যে ভুল করেছেন, সেটা এখনকার তারকা খেলোয়াড়েরা করুক, এটা কোনোভাবেই চান না ম্যারাডোনা। সে কারণেই এখন মাদক গ্রহণের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে সতর্ক করে দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা।১৯৮০-র দশকের শুরুতে বার্সেলোনায় খেলার সময় থেকেই মাদক আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পর সেটার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। ২০০০ সালের পর ব্যাপকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তখন থেকে কয়েক দফা চিকিত্সার পর ২০০৭ সালে পুরোপুরি সুস্থ হতে পেরেছেন ম্যারাডোনা। তার পর থেকে আর কোনো ধরনের মাদকই স্পর্শ করেননি। আর এখন তরুণ প্রজন্মও যেন তাঁর পথে পা না বাড়ায় সেই পদক্ষেপও নিচ্ছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। সম্প্রতি দুবাইয়ে ‘ক্রীড়া বনাম অপরাধ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে মাদক গ্রহণের ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি এটা নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পাই না। আমি এটার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছি। আর সে জন্য আমি খুবই খুশি। আমার জীবন এখন অনেক ভালো হয়েছে। আমি কোনোভাবেই চাইব না যে এখনকার তরুণ প্রজন্মও মাদকের পাল্লায় পড়ুক।’মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ম্যারাডোনার সঙ্গে ছিলেন আরেক বিতর্কিত অ্যাথলেট বেন জনসনও। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই স্প্রিন্টারও সবাইকে সতর্ক করেছেন মাদক গ্রহণের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে, ‘২৫ বছর আগে, আমি একটা ভুল করেছিলাম। কোচের কথা শুনে শক্তি বর্ধনকারী ড্রাগ গ্রহণ করেছিলাম। এ জন্য আমাকে হারাতে হয়েছিল অলিম্পিকের সোনা। এখন আমি তরুণ প্রজন্মকে বলব, আমি যে ভুল করেছি সেটা যেন আর কেউ না করে।’যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঝড় ও বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঝড়ের কারণে এসব এলাকার হাজারো মানুষ বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসির অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাজ্যের কেন্ট, সাসেক্স, সারি, হ্যাম্পশায়ার এলাকার এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব অঞ্চলের অধিকাংশ নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৫০টি এলাকায় বন্যা-সতর্কতা জারি করা হয়েছে।দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সাত হাজার ৫০০ স্থাপনা বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেশ কিছু সংযোগ দেওয়া হলেও এখনো ২৪ হাজার মানুষ বিদ্যুতের আওতার বাইরে রয়েছে। প্রকৌশলীরা জানান, কমপক্ষে এক সপ্তাহের আগে এসব স্থাপনায় নতুন করে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে কাজ করতে তাঁদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল ও পিছিয়ে পড়ায় পশ্চিম সাসেক্সের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে কয়েক হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। বন্যার কারণে বিমানবন্দরটির উত্তর টার্মিনাল বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিমানবন্দরটির এক মুখপাত্র মন্তব্য করেন, এমন অবস্থা আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি।বেসামরিক বিমান পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।দেশটির আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে বয়ে আসা আরও একটি ঝড় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারের মধ্যে যুক্তরাজ্যে আঘাত হানতে পারে। এ সময় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেড়ে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। |
মুরাকামির নতুন উপন্যাসআর কদিন পরই সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। বাজির দরে পয়লা নম্বরে আছে বিশ্বখ্যাত জাপানি লেখক মুরাকামি হারুকির নাম। সম্প্রতি জাপানে প্রকাশিত হয়েছে শিকিসাই ও মোতানাই তাজাকি সুকুরু তো, কারে নো জুনরেই নো তোশি (কালারলেস সুকুরু তাজাকি অ্যান্ড হিজ ইয়ারস অব পিলগ্রিমেজ) নামের উপন্যাস। ৬৪ বছর বয়সী এই লেখকের সাম্প্রতিক উপন্যাসটি ইতিমধ্যেই লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর এর ইংরেজি তরজমা প্রকাশিত হওয়ার কথা।সূত্র: আসাহি শিম্বুনম্যাগনা কার্টা প্রদর্শনীভেড়ার চামড়ার পার্চমেন্টে ১২১৫ সালে লাতিন ভাষায় লেখা ম্যাগনা কার্টার মূল দলিলের টিকে থাকা চারটি কপি ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে শোভা পাবে শিগগিরই। ম্যাগনা কার্টার ৮০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনের এই প্রদর্শনী আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে।সূত্র: রয়টার্সরফিক-উম-মুনীর চৌধুরীএল ক্লাসিকো অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছেন। গোল করে, করিয়ে ম্যাচের নায়ক নেইমারই। ব্রাজিলের এই বিস্ময়-প্রতিভা ভিজছেন প্রশংসার বৃষ্টিতে। তবে যোগ্য দল অন্তঃপ্রাণ খেলোয়াড়ের মতো নেইমার নিজে কৃতিত্বটুকু ভাগ করে নিচ্ছেন সতীর্থদের সঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর বাড়ানো থ্রু পাস থেকে চিপ করে অ্যালেক্সি সানচেজ যে গোলটি করেছেন, সেটিকে নেইমার বলছেন ‘গোলাজো’। সাধারণত বিস্ময়কর গোল বোঝাতে ফুটবলাররা এই বিশেষণটি ব্যবহার করেন।কাল ম্যাচ শেষে নেইমার বলেছেন, ‘আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ছিল একটা গোলাজো।’২১ বছর বয়সী নেইমার নিজের প্রথম বড় ম্যাচটা দারুণভাবেই উপভোগ করেছেন বলে জানালেন। এ-ও বললেন, যোগ্যতর দল হিসেবেই ম্যাচটি জিতেছে বার্সা, ‘যে ম্যাচটি খেলা সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন, তেমন এক ম্যাচে গোল করতে পারা আবেগময় একটি ব্যাপার। আমি স্পেশাল এই গোলটি করতে পেরে ভীষণই খুশি। তবে আমরা তিনটি পয়েন্ট পেয়েছি—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’এই প্রথম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও মুখোমুখি হলেন। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? নেইমারের উত্তর, ‘আমি অনেক এল ক্লাসিকো দেখেছি। তাই নিজে এর একটির অংশ হতে পারা দারুণ কিছু। ভীষণ কঠিন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা মোটেও সহজ কিছু ছিল না। ক্রিস্টিয়ানো তো গ্রেট একজন খেলোয়াড়। তবে আমাদের দলেও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। আমি দলের জয়, দল এবং আমার গোল নিয়ে অনেক খুশি।’চিপ করে গোল, মেসির পা থেকে প্রায় সময়ই দেখা গেলেও বাকিদের জন্য এ ধরনের গোল করা স্বপ্নের মতোই একটা ব্যাপার। এমন একটা গোলের পর সানচেজ নিজেও তাই ভীষণ উচ্ছ্বসিত, ‘আমি গোল এবং ম্যাচ নিয়ে খুব খুশি। লক্ষ করেছিলাম ডিয়েগো লোপেজ অনেক সামনে এগিয়ে এসেছিল। আমি তাই চেষ্টা করেছি বল ওর মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠাতে। এটা খুবই সুন্দর একটা ম্যাচ, সবাই এমন ম্যাচে খেলতে চায়। রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোও চাট্টিখানি কথা নয়।’সারা দেশে ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সহিংসতায় সাতক্ষীরা, কুমিল্লার লাকসাম, বগুড়ায় ও সিরাজগঞ্জে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মাহমুদ হাসান ওরফে বাবু ও দেয়াড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে রিকশাচালক বাচ্চু মিয়া, সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার জগাইমোড়ে পথচারী সাকমান হোসেন। বগুড়ায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সাতক্ষীরাজেলার কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর এলাকায় বেলা ১১টার দিকে পিকেটারদের হামলায় দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান ওরফে বাবু (৩২) নিহত হয়েছেন।নিহতের ভাই ও কলারোয়া উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্লাহ দাবি করেন, তাঁর ভাই মাহমুদ ছলিমপুরের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে কলারোয়া শহরে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের পিকেটাররা তাঁকে লাঠিপেটা করেন। প্রথমে তাঁকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক রবিউল ইসলাম যুবলীগ নেতা মাহমুদ হাসানের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিহতের ভাইয়ের এই দাবি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মোল্লা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা জড়িত নন।কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কারা তাঁকে মারধর করেছে, এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।৩৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপ-অধিনায়ক মেজর ফারুক আহমেদ জানান, কলারোয়ার দেয়াড়ায় বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বাড়িতে ঢুকে দেয়াড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লাকসামপ্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেন। তাঁরা কয়েকটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটান। বাধা দিলে পুলিশের ওপর তাঁরা হামলা চালান। হামলার মুখে পুলিশের সদস্যরা দুটি দোকানের ভেতর আশ্রয় নিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ অবস্থায় অবরোধকারীরা দূরে সরে যান।অবরুদ্ধ পুলিশের সদস্যরা বেরিয়ে এলে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এতে অন্তত ১০ পুলিশ আহত হন। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশাচালক বাচ্চু মিয়া (৩০) মারা যান। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।লাকসাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন দুয়ারী দাবি করেছেন, জামায়াত-শিবিরের গুলিতে ওই রিকশাচালক নিহত হয়েছেন।সিরাজগঞ্জপুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের পৌর এলাকার জগাইমোড়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা চালান। সেখান থেকে পুলিশ জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর কায়েমকে আটক করে। এ ঘটনার জের ধরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে একজন পথচারীসহ ১০ জন আহত হন।সাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে পথচারী সাকমান হোসেনের বুকে কাঁদানে গ্যাসের শেল লাগে। এরপর তিনি পাশের পুকুরে পড়ে যান। সকাল পৌনে নয়টার দিকে স্থানীয় মঈনুদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই হাসপাতালের চিকিত্সক আবদুল আজিজ সরকার তাঁর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিহত সাকমান হোসেন জেলার সদর উপজেলার মাছুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। লোকমানের গায়ে শেলের আঘাত লাগতে পারে। আমরা তো দেখিনি।’ তবে কাঁদানে গ্যাসের শেলে নয়, পানিতে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।বগুড়াপুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলের দিকে বগুড়া শাজাহানপুর থানার লিচুতলায় এলাকায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা চালান। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুঁড়ে মারে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় একজন নিহত হন। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।সহকারী পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে। এরপর ঘটনাস্থলকে থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক সাতক্ষীরা ও সিরাজগঞ্জ, বগুড়া প্রতিনিধি এবং লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি)বার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম টাইজেননির্ভর স্মার্টফোন বাজারে এনে চমক দিতে যাচ্ছে স্যামসাং। অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান।প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েডের ওপর নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন বা এফসিসিতে ‘এসসি-০৩এফ’ নামের একটি স্মার্টফোনের নিবন্ধন করেছে স্যামসাং।টাইজেন ইন্দোনেশিয়ার এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এসসি-০৩এফ’ নামের স্মার্টফোনটি দেখতে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ৪ স্মার্টফোনের মতো। কোয়ালকমের ২.৩ গিগাহার্টজের স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর নির্ভর স্মার্টফোনটি শুরুতে জাপানের বাজারে আসতে পারে।স্যামসাংয়ের লিনাক্সভিত্তিক মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম টাইজেননির্ভর স্মার্টফোনটি ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে দেখাতে পারে স্যামসাং।স্মার্টফোনটি সম্পর্কে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। |
সারা বিশ্ব তন্ন তন্ন করে খুঁজে প্রিয়ার হাতে হয়তো তিনি তুলে দিতে চেয়েছিলেন এক শ নীলপদ্ম। কিন্তু তাঁকে নামতে হয়েছে ভিন্ন খোঁজে। ৭৭ বছর বয়সে চড়া রোদে হেঁটে হেঁটে তিনি খুঁজেছেন তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি কিডনি।যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাকচালক উইলিয়াম ল্যারি সুইলিং স্ত্রী জিমি সুর হাত ধরেছিলেন ৫৫ বছর আগে। জিমি জন্মেছিলেন একটি কিডনি নিয়েই। প্রথম সন্তান জন্মের সময়ই জানতে পারেন তা। চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন জিমি মা হতেই পারবেন না। কিন্তু একে একে তিন সন্তান আসে তাঁদের ঘরে। মাথার ওপর শঙ্কার ছায়াটা অবশ্য ছিলই জিমির। গত বছর তাঁর একমাত্র কিডনিটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এখন প্রয়োজন কিডনি প্রতিস্থাপন। ল্যারি যদি পারতেন নিজের দুটো কিডনিই জিমিকে দিয়ে দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁর স্বামী ও সন্তান কারও সঙ্গে তাঁর রক্তের মিল নেই। তাঁর প্রয়োজন ছিল বাইরের কোনো কিডনিদাতা।‘সেই রাতে ঘুমানোর আগে জিমি আমাকে বলল, “এখন কী করব আমরা?” আমি বললাম, আমি এখন জানি না, কিন্তু কোনো না কোনো উপায় ঠিকই বের করে ফেলব। আর সেটা আমার মাথায় আসে মাঝরাতে।’ বলেছেন ল্যারি।পরদিন কাজ থেকে তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে নেন ল্যারি। তারপর বেরিয়ে পড়লেন তাঁর নিজের শহর অ্যান্ডারসন, সাউথ ক্যারোলিনার রাস্তায়।‘আমি প্রায় সাড়ে ১৫ মাইল হেঁটেছি, প্রচণ্ড গরমে, হাঁটুতে ভাঙা কার্টিলেজ নিয়ে। মানুষ আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে কিন্তু আমি তাদের বলেছি টাকা আমার চাই না, আমার দরকার একটি কিডনি।’ বলেছেন ল্যারি। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয় ল্যারির খবর। আর তার পরই যোগাযোগ করতে থাকে প্রচুর মানুষ। কিন্তু তাদের কারও রক্তের গ্রুপই মিলছিল না জিমির সঙ্গে। ল্যারি আবার বেরিয়ে পড়েন। এবার এক দিনে প্রায় ৫৪ মাইল হাঁটেন তিনি।‘আমার বাবার এই পরিকল্পনার কথা জানতে পারি মায়ের কাছ থেকে। আমি এবার পানি নিয়ে যাই তাঁর জন্য।’ বলেছেন ল্যারি জুনিয়র।ল্যারির এই চেষ্টায় অবশেষে সাফল্য মেলে। ভার্জিনিয়ার কেলি উইভারলিং এই খবর পড়ে ল্যারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর সঙ্গে মিলে যায় জিমির রক্ত। ৪১ বছর বয়সী এই নারী নিজের একটি কিডনি দেন জিমিকে। এ মাসেই হওয়া এই অস্ত্রোপচার সফলও হয়েছে। সুস্থ আছেন তাঁরা দুজনই। এর বিনিময়ে অবশ্য কেলি কিছুই নেননি এই দম্পতির কাছ থেকে। ‘মানুষের জন্য কিছু করা আর তাদের আশা জাগিয়ে রাখার অনুভূতি খুবই ভালো।’ বলেছেন কেলি।রুহিনা তাসকিনসূত্র: ইয়াই শাইন, নিউজ ডট কম/ অস্ট্রেলিয়া।জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন মহাজোটের সাংসদেরা। তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া সরকার ও সংসদকে অবৈধ বলে অসাংবিধানিক সরকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।সাংসদেরা এ বিষয়ে স্পিকারের রুলিং দাবি করলে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলেন, যার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। আমরা সংবিধান মেনে চলব।’গত শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, ২৭ অক্টোবর থেকে সরকার অবৈধ।আজ রোববার জাতীয় সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর জাসদ নেতা মইনুদ্দীন খান বাদল পয়েন্ট অব অর্ডারে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান।এ সময় আমির হোসেন আমু বলেন, জামায়াতের হাতে বিএনপি জিম্মি। তারা গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন চালিয়ে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র আফগানিস্তান ও ইরাক বানাতে চায়। আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়।তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ দেশবাসী ব্যাপক সমর্থন জানাচ্ছে এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।’ তিনি বলেন, ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিরোধীদলীয় নেত্রী দুদিনের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ না নিলে হরতাল পালনের কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।খালেদা জিয়ার উদ্দেশে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী তাঁকে আমি বলব না। তবে “লিমিটেড ল্যাংগুয়েজ” নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না।’ সংবিধানের ২১ ও ৭ (ক) অনুচ্ছেদের দিকে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ করেছেন। তিনি সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন। সংসদের মেয়াদ প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর অর্থাত্ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর নতুন নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বর্তমান সরকার তার দায়িত্ব পালন করবে।’খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সংবিধান, সরকার ও জাতীয় সংসদকে তিনি অস্বীকার করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি নিজেকেও অস্বীকার করেছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। কারণ তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা।’ সরকারকে অস্বীকারের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া কী চাচ্ছেন—এ প্রশ্ন তুলে মেনন বলেন, ‘তিনি কি “কাউন্টার রেভেল্যুশনের” চেষ্টা করছেন? এর উপাদান জড়ো করছেন?’মইনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘এ দেশে রাজতন্ত্র না থাকলেও কাউকে কাউকে রানি বানিয়ে ফেলেছি, যাঁরা আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে। বিষয়টির দিকে সংসদের নজর দেওয়া উচিত।’অনির্ধারিত আলোচনায় আরও অংশ নেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।সমঝোতার আগেই তফসিল ঘোষণা চলমান সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলনকক্ষে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন সম্পর্কে অবস্থান ও বক্তব্য তুলে ধরতে সিপিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ঘোষিত তফসিলে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ নির্বাচন সম্ভব নয়। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচন করা হলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সিপিবি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেটা না হলে অগ্রহণযোগ্য পাতানো নির্বাচনে সিপিবি অংশগ্রহণ করবে না।সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি আরও বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আবার সবার অংশগ্রহণে যাতে নির্বাচন না হয়, তার জন্য নানা অপশক্তি তত্পর।সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দুই জোটের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাশুল দিতে হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষকে। বিপন্ন হচ্ছে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সুযোগ নিয়ে বিদেশিশক্তি নানাভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে চলেছে এবং দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে থেকে বিভিন্ন সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। টিকফাসহ দেশবিরোধী নানা চুক্তিতে বাংলাদেশকে আবদ্ধ করা হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, মাহবুবুল আলম, ফজলুল রহমান, আবদুল কাদের, শাহীন রহমান, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, জলি তালুকদার প্রমুখ।অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহে মরিয়া হয়ে উঠছে। সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইল থেকে শুরু করে মেইল ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পিছু তাড়া করছে তারা। অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতাদের গোপনে গোয়েন্দাগিরির বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।আপনি ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, গুগল প্লাসে যখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য লিখছেন, তখন অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতারা কিন্তু বসে নেই। বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনার ওপর গোপন নজরদারি করছে তারা। অনলাইনে আপনি কখন কী করছেন, ফেসবুকে কী লিখছেন, কী টুইট করছেন, বন্ধুবান্ধবের কাছে কী মেইল পাঠাচ্ছেন—সবকিছু নজরদারিতে রেখে আপনার একটা প্রোফাইল তৈরি করছে তারা। আপনার তথ্য সংগ্রহ করার পর সে অনুযায়ী আপনাকে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করার লক্ষ্য তাদের।প্রশ্ন উঠেছে, শুধু কি বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে?ভারতের প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানান, অনলাইনে গোয়েন্দাগিরি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে শুধু বিজ্ঞাপন দেখানোতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন সাইবার প্রতারণার কাজেও এ তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে।প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানান, অনলাইন থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের এ পদ্ধতিটির একটি ভদ্রস্থ নাম হচ্ছে ‘ম্যাপিং’। অনলাইন ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণ করে সে তথ্য কাজে লাগানোর পদ্ধতি এটি।অবশ্য বাজার গবেষকেরা জানান, অনলাইন ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা দিয়ে অর্থ আয়ের পদ্ধতি বের করার ঘটনা অবশ্য একেবারে নতুন নয়। কিন্তু এ বিষয়টি ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৪ সালে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।ভারতের ইগনাইট ডিজিটাল সার্ভিসেস নামের একটি অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী অতুল হেজ জানান, ম্যাপিং সাধারণত দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। যেসব ওয়েবসাইটে শুধু ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট দেখতে যান, সেখানে কতক্ষণ থাকেন এবং কী ধরনের কনটেন্ট দেখেন, সে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। আর যে ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবহারকারী প্রোফাইল তৈরি করেছেন, সেখান থেকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অনেক সময় ব্যবহারকারীর ই-মেইল স্ক্যান করে এবং ই-মেইলে ব্যবহূত শব্দগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়।বাজার গবেষকেরা জানান, অনলাইনে কোনো ওয়েবসাইটের গ্রাহক আচরণ বুঝতে গিয়ে বিপণনকারীরা ম্যাপিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু করে ফেলছেন। ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের জন্য যেসব সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়, বেশির ভাগই তা ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অনেক ক্ষেত্রে এমন সব অ্যাডওয়্যার ব্যবহূত হয়, যা ব্যবহারকারীর অজান্তে ব্যক্তিগত সব তথ্য সংগ্রহ করে।এইচডিএফসি নামের অনলাইন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় ত্রিপাটি জানিয়েছেন, অনলাইন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্যাকেজ আকারে কিনতে পাওয়া যায়। অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ীরা অনেক সাইট থেকে এ ধরনের তথ্য নিলামে কিনে নেয়। কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অনলাইন ব্যবহারকারীদের আচরণ অনুযায়ী তারা বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু ডেটা বা তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়ে না ভেবে ডেটা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই বেশি ভাবেন।আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তা আপনার অগোচরে গোয়েন্দারা যেমন যেনে নিতে পারে। তেমনি আপনার সঙ্গে থাকা স্মার্টফোনটিও অগোচরে আপনার সব তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিতে পারে।আপনার পেছনে কোনো গোয়েন্দা না থাকলেও মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশনের লোকেশন ট্র্যাকিং বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় লোকেশন বা অবস্থান ট্র্যাক করার বিষয়টিতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন লোকেশন ট্র্যাকিং করে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করে।সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করার প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।এফটিসি জানিয়েছে, প্রায় এক কোটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়াই সংগ্রহ করেছে গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি নামের একটি অ্যাপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান।প্রযুক্তি গবেষকেরা জানিয়েছেন, গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি যা করেছে তা অধিকাংশ অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ঘটছে। জিপিএস ট্র্যাকিং করে ব্যবহারকারীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন ব্যবসা করছে তারা। |
ধাতব মুদ্রা দিয়ে চালিত ভেন্ডিং যন্ত্রের উদ্ভব হয় গ্রিসে। গ্রিক বিজ্ঞানী হেরনন এই ভেন্ডিং যন্ত্রের উদ্ভাবক। বিখ্যাত বিজ্ঞানী হেরনন ভেন্ডিং যন্ত্র আবিষ্কার করার আগে বাষ্পীয় ইঞ্জিন এবং স্বয়ংক্রিয় দরজার ধারণা দিয়েছিলেন। প্রথম খ্রিষ্টাব্দে হেরনন ধাতব মুদ্রা ঢুকিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানীয় ক্রয়ের ধারণাসংবলিত ভেন্ডিং যন্ত্র তৈরি করেন। তিনি তাঁর উদ্ভাবিত ভেন্ডিং যন্ত্রটির একটি কারিগরি ধারণা উল্লেখ করেছিলেন তাঁর গ্রন্থ নিউম্যাটিকায় । সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, হেরনন নিউম্যাটিকায় ভেন্ডিং যন্ত্রের যে নকশাটির কথা উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে বর্তমানকালে ভেন্ডিং যন্ত্রের নকশার তেমন একটা পার্থক্য নেই। হেরননের উদ্ভাবিত ভেন্ডিং যন্ত্রেও ধাতব মুদ্রা ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটির একটা অংশের মুখ খুলে পানীয়ের কাপ বা গ্লাস বেরিয়ে আসত।পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট অবলম্বনে নাইর ইকবালকেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আর্থিক হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে গ্রামীণ ব্যাংক বিল ২০১৩ আজ রোববার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।আজ রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।এর আগে গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বিলটি অনুমোদন করে। এই আইনটি পাস হলে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ বাতিল বা রহিত হবে।বিলে অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশীদারত্ব ২৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। বাকি ৭৫ শতাংশ থাকছে গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে। তবে সরকার প্রয়োজনে পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়াতে পারবে।প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন। ব্যাংকের পরিচালকদের মেয়াদ হবে তিন বছর। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে সরকারের নিয়োগ করা তিনজন এবং ঋণ গ্রহীতা অংশীদারদের দ্বারা নির্বাচনে নয়জন ব্যক্তির পরিচালক হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই বোর্ডের পরিচালক হলেও তাঁর ভোটাধিকার না থাকার বিধান রাখা হয়েছে।বিদ্যমান আইনে গ্রামীণ ব্যাংক কেবল সরকারকে আর্থিক প্রতিবেদন দেয়। বিলটি আইনে পরিণত হলে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংককেও আর্থিক প্রতিবেদন দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, কেউ মিথ্যে তথ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তিনি এক বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা থেকেই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১১ সালের মার্চে তাঁকে অব্যাহতি দেয়। এ নিয়ে ইউনূস আদালতে গেলে আদালত তাঁর বিপক্ষে রায় দেন।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর নিকট গ্রামীণ ব্যাংকের সেবামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণ, উক্ত ব্যাংকে সরকার ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মালিকানা বহাল রেখে ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের শেয়ার মালিকানা অর্জনের সুযোগ বাড়ানোর জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।এ ছাড়াও আজ ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিল ২০১৩ ও এশিয়ান রিইনস্যুরেন্স করপোরেশন বিল ২০১৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। উত্থাপনের পর বিলগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) বিল সংসদে উত্থাপন করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।বিলে বলা হয়েছে, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিপ্রধান এলাকা ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলা থেকে ইট তৈরির জন্য মাটি কাটলে অথবা অনুমোদন ছাড়া নদ-নদী বা হাওর, চরাঞ্চল এলাকা থেকে মাটি কাটলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা খুললে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পার্বত্য জেলার পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোনো স্থানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিল ২০১৩ উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে উত্কৃষ্ট মানের চাল, পদ্মার ইলিশ, টাঙ্গাইলের চমচম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, চা, চামড়া, জামদানি, নকশিকাঁথা ইত্যাদি তৈরি হয়। এই আইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্পন্ন এসব পণ্যকে চিহ্নিত ও নিবন্ধিত করা যাবে।এশিয়ান রিইন্সুরেন্স করপোরেশন বিল ২০১৩ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।এ ছাড়াও আজ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) বিল ২০১৩ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি মিয়া। এতে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে দলে তিন বছরের সদস্যপদ থাকার যে বিধান রয়েছে, তা বাতিলেও সুপারিশ করা হয়েছে।সব শেষে সংসদের অধিবেশন আগামীকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।দীর্ঘ ১০ বছর পর হুমায়ূন আহমেদের ধানমন্ডির দখিন হাওয়া বাসায় দেখা হলো ছোটবেলার দুই বন্ধু মেহের আফরোজ শাওন ও ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীর।সম্প্রতি শাওনের সঙ্গে দেখা করার আগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন শ্রাবন্তী।এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে শাওন বলেন, ‘“এটা কি তোর নাম্বার??? তুই বাসায় আছিস তো??? আমি আসতেছি।” এ রকম একটা এসএমএস পেয়ে চমকে গেলাম। অচেনা নাম্বার থেকে আসা এই এসএমএসের নিচে কোনো নাম লেখা নেই। জবাব দেব না দেব না ভেবেও জবাব দিলাম। ছোট্ট বেলার বন্ধুত্ব মনে হয় এমনই।’শাওন আরও বলেন, ‘দেখা হওয়ার পর শ্রাবন্তী বার বার জানতে চাচ্ছিল কত যুগ পরে আমাদের দেখা হলো? তখন আমি বললাম, ঠিক ১০ বছর পর তোর আর আমার দেখা।’শাওন ও শ্রাবন্তীর বন্ধুত্বের শুরুটা হয়েছিল যখন তাঁদের বয়স সাড়ে ছয় বছর। দুজনেই তখন নাচ শিখতেন শুক্লা সরকারের কাছে। তাঁদের এই বন্ধুত্বের তালিকায় আরও ছিলেন নাদিয়া, ঈশিতা, রিচি সোলায়মান প্রমুখ।শাওন জানান, ‘নতুন কুঁড়ির সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় আমাদের সবার মাঝে অন্যরকম একটা বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এখন আমরা এত বেশি ব্যস্ত যে কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের সুযোগই হয় না। আমি আমার সংসার আর শ্রাবন্তীও তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আমার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও শ্রাবন্তীর সঙ্গে কেন জানি দীর্ঘ সময় ধরে দেখা হচ্ছিল না। অনেক বছর পর দেখা হওয়ায় অনেক ভালো লেগেছে।’‘দুই দল মারামারি করে। হরতাল দেয়, অবরোধ দেয়। গাড়িতে আগুন দেয়। মারামারি করে হ্যারা, আর মরি আমরা সাধারণ মানুষ।’গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতের পোশাক (শার্ট) বিক্রেতা আবদুস সালাম বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে হারতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। এসব কর্মসূচিতে চলছে সহিংসতা ও নাশকতা। মাশুল দিচ্ছে সব শ্রেণীর সাধারণ মানুষ।বিরোধীদলীয় জোট আপাতত অবরোধের মতো কর্মসূচি স্থগিত করেছে। ২৯ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি দিয়েছে তারা। কর্মসূচি সফল করতে দল-মত, শ্রেণী-পেশা, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষ দেশের সব মানুষকে ওই দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকারও তা ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।এ নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীরা আরও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। এ কর্মসূচির পর ১৮-দলীয় জোট কী কর্মসূচি দেয় বা সরকার কী অবস্থান নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।এ ব্যাপারে আবদুস সালাম বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে দুই দল ক্ষমতায় যাইতে চায়। মানুষের জন্যই তো সংবিধান। তাই সংবিধানের কারণে মানুষ মরলে এটা দিয়ে কী হইব? তাঁরা তো সংবিধান সংবিধান করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা ভাঙা সুইটকেস নিয়ে আসে। ক্ষমতায় আইসা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়। আর আমরা সকাল-সন্ধ্যা দাঁড়ায় থাইক্যা হাঁড়ি জ্বালাতে পারি না। দেশের উন্নয়নে তারা কাজ করে না। তারা কেবল কাজ করে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য।’রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে অস্থিরতার কারণে বেচাকেনা না থাকায় এমন অবস্থা অনেকেরই। যে ব্যবসার ওপর ভর করে তাঁদের জীবিকার চাকা ঘোরে, হরতাল-অবরোধে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে সে চাকা। ব্যবসায় মুনাফা হবে কি, অনেকেরই পুুঁজি খোয়ানোর জোগাড়।এমন ভুক্তভোগী আরেক দোকানি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কেউ আমাগো কেয়ার করে না। আমাগো কথা কেউ শোনে না। রাজনীতি হলো পেশা। রাজনীতি মানুষের জন্য নাই। তাঁরা ব্যবসার জন্য যা-ইচ্ছা তা-ই করেন। এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা জমান। আর পেটের তাগিদে আমাগো রাস্তায় খাড়াতে হয়।’প্রায় ২০ বছর ধরে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের সামনের ফুটপাতে দোকানদারি করছেন হামিদ। শীতের টুপি, মোজা ও গেঞ্জি বিক্রি করেন তিনি। তিনি জানান, টানা অবরোধে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি করতেও কষ্ট হয়। তা ছাড়া দোকানে প্রতিদিন খরচ আছে ৩০০ টাকা। খরচা বাদ দিলে কিছুই থাকে না। তাই ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে বলে জানান এই দোকানি।পাশেই চাদর বিক্রি করছিলেন মো. সেন্টু মিয়া। ব্যবসা নিয়ে আতঙ্কের কথা জানালেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কখন কী হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছি। সব সময় চিন্তায় থাকতে হয়।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কেনাবেচা হলেও অবরোধের সময় বিসমিল্লাহ-বাট্টা করতেই কষ্ট হয় বলে জানান তিনি।মতিঝিলে ফুটপাতের আরেক দোকানি শীতের পোশাক বিক্রেতা মো. খালেক মোল্লার ভাষ্য, ‘দোকানে বিক্রি নাই, তাই কোনো রকমে ডাইল-ভাত খাইয়া আছি। সংসার চালাতেও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’মতিঝিলের পূবালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘অবরোধের কারণে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। যা কেনাবেচা হয়, তা দিয়ে কর্মচারীদেরও বেতন দিতে পারছি না। আর সংসারের কথা কী বলব।’ খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে সংসার চলছে বলে জানান তিনি।মো. আবু কাউসারের তিনটি দোকান মতিঝিলের দিলকুশা এলাকার ফুটপাতে। এসব দোকানে মোট নয়জন কর্মচারী ছিলেন। কিন্তু কেনাবেচা কমে যাওয়ায় তিনজন কর্মচারীকে বাদ দিয়েছেন তিনি। বাকি ছয়জনের মধ্যে এক দিন পর পর তিনজনকে কাজে লাগাচ্ছেন। আবু কাউসার বলেন, ‘কর্মচারীদের দেওনের পর কিছুই থাকে না। তাই চালান খাইতাছি। আবার ঋণ হইতাছি।’দুই দলকে এক জায়গায় বসে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে কাউসার বলেন, ‘আপনারা মারামারি বন্ধ করেন। দ্যাশে ভালো পরিবেশ করেন। ভালো পরিবেশ হইলে জনগণ চারটা ডাল-ভাত খাইয়া বাঁচতে পারব।’ |
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশুকন্যাকে আনতে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ তাসনুভা খানম। হাতে পাঁচ লিটারের একটি খালি জারিকেন। বললেন, এলাকায় অনেক দিন থেকে পানিতে দুর্গন্ধ। খাওয়ার পানিটা অন্তত বিশুদ্ধ চাই। তাই ফেরার পথে রামকৃষ্ণ মিশনের কল থেকে পানি নিয়ে আসবেন।শুধু তাসনুভা নন, গোপীবাগ, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, অভয় দাস লেন, পেয়াদাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরোতে হাতে খালি জারিকেন বা খালি বোতল হাতে নিয়ে বের হন। বিশেষ করে, গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপরীত দিকে অবস্থিত পেয়াদাপাড়া এলাকার প্রতিটি ঘরের মানুষকে বাইরে থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হাই বললেন, অনেক দিন থেকে ওয়াসার পানিতে এ রকম দুর্গন্ধ। এটা এখন এলাকাবাসীর জন্য নিয়তি।ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার সুনির্দিষ্ট বাড়ি দেখিয়ে দিলে তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ওই এলাকা থেকে ওয়াসা কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের ভিড়: গত সোমবার বিকেলে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথের ঠিক পশ্চিমে স্থাপিত কল থেকে পানি সংগ্রহে ভিড় করেছে নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর। পানি সংগ্রহ চলছে কলসি, বালতি, জারিকেনে। অনেকের হাতে এক বা দুই লিটারের মিনারেল ওয়াটারের পরিত্যক্ত ক্যান। দেখা গেল কেউ রিকশা ভ্যানে, এমনকি প্রাইভেট কারে করেও পানি নিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় বস্তিতে থাকে ১২ বছরের বালক অতনু। এক লিটারের ক্যানে পানি নিয়ে সেখানেই পান করে সে। তার উদ্দেশ্য আবার পানি সংগ্রহ করা। সে জানায়, আরেক বোতল পানি সংগ্রহের পর বাসায় যাবে। তার মায়ের জন্য নিয়ে যাবে।গোপীবাগ ১৬/২ নম্বর বাড়ির মরিয়ম বেগম এবং পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকমান হোসেন অকপটে জানান, এই মন্দিরের পানি ছাড়া তাঁদের গতি নেই। মাদারীপুর থেকে পেয়াদাপাড়া ছেলের কাছে বেড়াতে এসেছেন বৃদ্ধা কমলা রানী। পানির কারণে জন্য তাঁর পেট খারাপ হয়ে গেছে। তিনি বললেন, পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন তিনি মন্দিরে আসছেন। ৮/১ অভয় দাস লেনের একজন গাড়িচালক মো. লিটন জানান, ওয়াসার ট্যাপ খুলে কুলি করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, দুর্গন্ধযুক্ত ঝাঁজালো গ্যাসে মুখের ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে।সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহের কারণে এই অঞ্চলে ওয়াসার পানির সংকট আগের তুলনায় কমে এলেও ময়লা ও দুর্গন্ধের জন্য ওয়াসার পানি পান করা যাচ্ছে না।সেবা কাজের অংশ: পানির সমস্যা কমাতে ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ২০০৬ সালে গভীর নলকূপটি স্থাপন করে। মিশনের হিসাবে প্রতিদিন এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মানুষ মিশন থেকে পানি সংগ্রহ করে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পানি নেওয়া যায় এখানে থেকে।ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী বেদময়ানন্দ মহারাজ বলেন, মিশনের চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাসেবা, কারিগরি সেবার মতো পুরো এলাকার বাসিন্দাদের এভাবে পানি দেওয়াও সেবামূলক কাজের অংশ। বস্তি থেকে শুরু করে অভিজাত ভবনের বাসিন্দারাও এখানে থেকে পানি সংগ্রহ করে।ডিয়েগো কস্তাকে নিয়ে ব্রাজিল আর স্পেনের মধ্যে দড়ি টানাটানিটা শুরু হয়েছে পুরোদমেই। স্পেনের হয়ে অভিষেকের প্রহর গুনতে থাকা কস্তাকে ইতিমধ্যে ব্রাজিল দলেও ডেকেছেন কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি। অন্যদিকে স্পেনও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকারটিকে পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সমাধানে আসার জন্য বিষয়টি যদি আদালত পর্যন্তও গড়ায়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন বেশ স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে, কস্তার স্পেন দলে যাওয়াটা অবৈধ।২০০৭ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে স্পেনেই আছেন কস্তা। ইতিমধ্যে স্পেনের নাগরিকত্বও পেয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার। আর এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সবারই নজর কেড়ে নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। আগামী বিশ্বকাপে স্পেনের জার্সি গায়ে খেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।কিন্তু তেমনটা হলে সেটা অবৈধ হবে বলেই মনে করছে ব্রাজিল। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি হোসে মারিয়া মারিন। তিনি বলেছেন, ‘সভাপতি ভিলারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আর আমি তাঁকে খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি যে, ফেলিপে তাকে বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচন করতে চায়। আমরা মনে করি, কস্তাকে নিয়ে স্পেনের পদক্ষেপটা হবে একেবারেই অবৈধ।’স্পেন অবশ্য পুরো ব্যাপারটিই ছেড়ে দিয়েছে কস্তার সিদ্ধান্তের ওপর। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে একটি দেশের হয়ে খেলার পর অন্য কোনো দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পাবেন না কোনো ফুটবলার। এ বছরের শুরুতে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন কস্তা। কিন্তু সেগুলো ছিল প্রীতি ম্যাচ। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে তিনি ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেননি।কোনো রকম ঝামেলা না পাকানোর শর্তে স্বাক্ষর দেওয়ার পরই কেবল নিউজিল্যান্ডের ল্যাংহাম হোটেলে ওঠার অনুমতি পেলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কানাডীয় পপ গায়ক জাস্টিন বিবার।সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এই ‘টিন সেনসেশন’ তারকা। স্থানীয় ল্যাংহাম হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে হোটেলে ওঠার আগে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া এক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি এক খবরে এসব তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডেইলিস্টার ডটকম।বিভিন্ন শর্তের মধ্যে উল্লেখ ছিল বিবার কোনো মেয়েকে নিয়ে তাঁর হোটেল কক্ষে ঢুকতে পারবেন না। হোটেলের খাবার ঘরে খাওয়ার অনুমতিও তিনি পাননি। পার্টিতে মেতে উঠে কিংবা অন্য কোনোভাবে হোটেলের অতিথিদের বিরক্ত না করার শর্তও জুরে দেওয়া হয়।এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের ভাষ্য, ‘চুক্তির শর্ত না মানলে হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হবে বিবারকে। তিনি কে তা নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা নেই হোটেল কর্তৃপক্ষের।’ লিস্টারের কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে চলছিল ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। কিন্তু নাম কিং পাওয়ার হলে কি হবে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলো। আলো স্বল্পতার কারণে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধও করে দিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু দর্শকসারি থেকে হঠাত্ই জ্বলে উঠল শয়ে শয়ে মোবাইল ফোন। মুঠোফোনের আলোতেই তাঁরা যেন আলোকিত করে ফেলতে চাইলেন পুরো স্টেডিয়াম। রেফারির প্রতি আহ্বান জানালেন খেলা আবারও শুরু করার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সত্যিই মুঠোফোনের আলোতেই কিছুক্ষণ খেলা চালিয়েছিলেন রেফারি।গতকাল লিস্টার সিটি ও রিডিংয়ের মধ্যকার ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি চলার সময় ঘটেছে এ বিচিত্র ঘটনাটি। ম্যাচটা জিততে পারলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল লিস্টার সিটির সামনে। নিজেদের মাঠে ২১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলো। প্রথমার্ধের মধ্যেই এমন ঘটনা তিনবার ঘটার পর খেলা বন্ধ করে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন রেফারি। তখনই লিস্টার সিটির সমর্থকেরা ঘটিয়েছিলেন মোবাইল কাণ্ডটা। মুঠোফোনের আলো জ্বালিয়ে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘আমরা লিস্টার সিটি, আমরা অন্ধকারেও খেলতে পারি।’ রেফারিও মনে হয় উজ্জীবিত হয়েছিলেন দর্শকদের এই অভিনব চেষ্টায়। সত্যিই সেই মুঠোফোনের আলোতেই তিনি খেলা চালিয়েছিলেন কিছুক্ষণ। পরে অবশ্য জেনারেটরের মাধ্যমে আবারও জ্বালানো হয়েছিল ফ্লাডলাইটগুলো। খেলাটাও শেষ হয়েছিল নির্বিঘ্নেই।জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা এই দর্শকদের শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি। রিডিংয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লিস্টার সিটি। উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানেও। এভাবেই মৌসুমটা শেষ করতে পারলে আগামী মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লিস্টার সিটিভিডিও লিংক: |
নাইওর-ফিরতি কনের মতো মন খারাপ করা বিকেলে টুকু বৈদ্যবাড়ি পৌঁছায়—সে আর তার স্বামী। সকালেই যাত্রা করেছিল তারা। দুপুরে দাওয়াত ছিল আমির হোসেনদের বাড়িতে।টুকুকে এ বৈদ্যের খবর দিয়েছিল আমির হোসেন। তাদের পেছনের বাড়ি বৈদ্যের। টুকুর স্বামীর সঙ্গে বিদেশ থাকে সে। টুকু নয়, আসলে টুকুর স্বামীকেই খবরটা প্রথম দেয় আমির হোসেন।বৈদ্যবাড়িতে ঢোকার মুখেই চোখে পড়ে অনেকখানি নীলের মধ্যে এক টুকরো সাদা মেঘের মতো উঠোন। বৈদ্য অমল পারিয়াল বসে আছে উঠোনের এক কোনায়। সামনে টেবিল। টেবিলের পর রোগী বসার চেয়ার। হাতের ডান পাশে আরও লোকের বসার জন্য বেঞ্চি। টুকু বাড়িতে ঢুকেই বৈদ্যকে নমস্কার দেয়।নমস্কারের শব্দে ঘর থেকে দুজন মহিলা উঁকি দিয়ে দেখে তাকে। বৈদ্য টুকুকে তার সামনের চেয়ারে বসতে বলে। ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে দেখা মহিলাদের একজন পান নিয়ে আসে। পানের প্লেট তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বৈদ্য বলে, ‘পান খান।’ টুকু বলে, সে পান খায় না। পেকে ওঠা বেলের পেট-রং বিকেল বৈদ্যবাড়ির উঠোন ছাপিয়ে কোনার অর্জুনগাছের চুড়োয়।বৈদ্য টুকুকে বলে, ‘এটা পান না, ওষুধ মা।’সে পান না খেয়ে বৈদ্যের কাছে বাড়ি ঘুরে দেখার অনুমতি চায়। আর তার স্বামী বসে থাকে বৈদ্যের পাশে।২.উঠোনের পাশে যত্ন করে লাগানো তুলসীগাছ। টুকু তুলসীগাছ দেখে। পাতাগুলো হাতের পিঠ দিয়ে ছোঁয়। যে মহিলা প্লেটে পান এনেছিল, সে এসে তার পাশে দাঁড়ায়। তুলসীগাছের পাশেই গভীর নলকূপ। একটু দূরে কৃষ্ণচূড়াগাছ। তাতে পাশে দাঁড়ানো বউয়ের সিঁথির সিঁদুর রং—লাল ফুল ফোটা। লাল ফুল দেখে টুকুর খুব ভালো লাগে। সে ভাবে, তার বাড়িতে তিনটে গাছ লাগাবে পাশাপাশি—জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া। লাল, বেগুনি আর হলুদ ফুল ফুটবে চৈত্রে। ফুলের রং দেখে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে করতে ক্ষণিকের জন্য দাঁড়িয়ে পড়বে চলন্ত মেঘেরা। দাঁড়িয়ে পড়া মেঘেদের ছায়া পড়বে তার বাড়িতে। সে দিনগুলোতে তার সঙ্গে হয়তো দেখা করতে আসবে বীরু...।স্বামীর বাড়ি আসার প্রথম দিকে উঠোনে তার বাগান করার শখ ছিল। বর্ষায় লাগিয়ে ছিল জিনিয়া। বীরুই তাকে বিচি এনে দিয়েছিল। সারা বাড়ি যেন খলখল করে হাসছিল জিনিয়ার রং। এ সময় এক দেবর তাকে বলে, ‘বাগানে ফুল ফুটায়ে কী লাভ? নিজের ফুল তো ফোটে না!’শুনে বীরুর চোখ জল-ছলছল। টুকু ভাবে, বাড়িতে তিনটে গাছ লাগালে বাড়ির মানুষের মনও মেঘময় হবে। আকাশে ঘুরে বেড়ানো কোনো মেঘ হবে মন খারাপ করা, কোনোটা মন ভালো করা...আহা! তখন সে হয়তো উঠোনজুড়ে আঁকবে অনেক তরমুজ। চোখ বন্ধ করলেই সেই আঁকা তরমুজ চুরি হয়ে যাবে। আর চোরকে খুঁজতে খুঁজতে সে এসে দাঁড়াবে বাঁধানো ঘাটে।পুকুরের ভাবনায় অথবা বৈদ্যবাড়ির নলকূপ দেখে টুকুর খুব জল খেতে ইচ্ছে করে। নলকূপ থেকে হাতের আঁজলায় জল নিয়ে পান করে সে।জলপান শেষ হলে সঙ্গের মহিলা তাকে বাড়ি ঘুরিয়ে দেখায়। ঢুকতেই পূর্বদিকে বৈদ্যের পড়ার ঘর। তার উল্টো দিকে দুটো ঘরের একটা বন্ধ—স্টোররুম। পাশের ঘরের চৌকাঠে এক বুড়ো মহিলা বসে। টুকুর সঙ্গী মহিলা বলে, ‘বৈদ্যের মা।’ বাড়ি দেখতে দেখতে এবার সঙ্গের মহিলাকে পরিচয় জিজ্ঞেস করে টুকু। মহিলা বলে, সে বৈদ্যের বড় বউ।সারা বাড়ি ঘুরে দেখে টুকু। গোবরজলে নিকানো পরিষ্কার উঠোন। তার একদিকে ঢেঁকিছাঁটা চালের গুঁড়ি শুকাতে দেওয়া। নতুন কোথাও গেলে বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখতে খুব ভালো লাগে তার। ‘আপনার ছেলেসন্তান কয়জন?’—সঙ্গী বৈদ্যের বড় বউকে জিজ্ঞেস করে টুকু।মহিলার মুখে কালো তুলসীর মতো ছাইরঙের মেঘ ভর করে। কয়েক মুহূর্ত থাকে। তারপর মৃদু হেসে সে বলে, ‘ভগবান পাঠান নাই।’ টুকুর মন খারাপ হয়ে যায়। বৈদ্য অমল পারিয়াল চেয়ারে বসে পঞ্জিকা ঘাঁটছে।সারা বাড়ি ঘুরে বৈদ্যের পড়ার ঘরের সামনে দাঁড়ায় টুকু। ঘরের ভেতর অনেক বই। সে খোলা ঘরের ভেতরে ঢুকতে চাইলে বৈদ্যের ছোট বউ বলে, ‘বাইরের লোকের পড়ার ঘরে ঢোকার অনুমতি নাই।’টুকু ঘরে ঢুকে বৈদ্যের বই দেখে। বড় বউয়ের মনে হয়, এই মেয়েটা অন্য রোগীদের মতো মনমরা নয়।৩.অমল পারিয়াল ছেলেপেলে না-হওয়া দম্পতির চিকিৎসক। এ জেলা তো ও জেলা, বহু দূর থেকে তার কাছে লোক আসে।সারা বাড়ি ঘুরেটুরে এখন বৈদ্যের সামনে বসা টুকু। বৈদ্য তার দিকে তাকায়। মেঘের গায়ে সে সময় গাঢ় রক্তের লাল রং। প্লেটের পানটা এখনো টেবিলে রাখা।‘আপনের বিয়া হৈছে কয় বছর?’—বৈদ্য টুকুকে জিজ্ঞেস করে। তার চোখে চোখ রেখে হেসে দেয় টুকু। বলে, ‘সাত বছর।’‘ডাক্তার দেখাইছেন?’টুকুর ঘোরাঘুরির ফাঁকে তার স্বামী বৈদ্যকে সব বৃত্তান্তই বলেছে।টুকু বলে, ‘বুড়িগঙ্গায় নৌকায় ভাসা এক বেদেনি দেড় কেজি চাল নেবে বলে ওষুধ দিয়ে গেছে। ছয় মাসের গ্যারান্টি। ছয় মাস পর দেখা করে চাল নিয়ে যাবে।’বৈদ্য তার দিকে তাকিয়ে সামনের খোলা পঞ্জিকা বন্ধ করে। স্বামীকে বলে, ‘আপনের বউয়ের ওপর জিনের আসর আছে।’এবার সে টুকুকে টাকি মাছের রক্তে লেখা তাবিজ দেয়। ভাবলেশহীন মুখে বলে, ‘তাবিজটা কবরস্থানের মাটি দিয়ে ঘরে রাখতে হবে।’টুকু ভাবে, অনেক দিন সে টাকি মাছ দেখেনি। সে রান্না করা টাকি মাছ খায় না কিন্তু টাকির ভর্তা খায়।বৈদ্য স্বামীকে বলে যে ঘনিষ্ঠ কেউ টুকুকে বান মেরেছে। শোল মাছের মাথার ওপর সে বান কাটতে হবে। এ সময় সে শর্ত দেয়, ‘বান কাটানি আর রক্তে লেখা তাবিজ দিছি বলে শোল আর টাকি মাছ খাওয়া আজীবন হারাম।’ ‘আমি এমনিতেও শোল আর টাকি মাছ খাই না।’—টুকু বলে। বৈদ্য তাকে ৪১ দিনের গ্যারান্টি দেয়। সঙ্গে কিছু ওষুধ। পরপর তিন দিন খেতে হবে।৪.তারা যখন বৈদ্যের বাড়ি থেকে বের হচ্ছে, আকাশে তখন মেঘ জমেছে—দুধের ওপর সর জমার মতো।ধনমুড়ি আর তিলনারী—দুটো গ্রাম পেরিয়ে অনেকখানি পথ হাঁটে টুকুরা। দুই গ্রামেই অনেক চালতাগাছ। সব বাড়িতেই একাধিক। টুকুর চালতাগাছ দেখে ভালো লাগে, আবার মনও খারাপ হয়। এই গ্রামে এত চালতাগাছ আর তার বাড়িতে একটাও চালতাগাছ নেই। চালতা অথবা চালতার আচার খুব কার্যকর মেয়েলি অসুখের জন্য। সে মনে মনে বলে, এবার বৃক্ষমেলা থেকে বাড়ির জন্য একটা চালতাগাছ কিনব।ধনমুড়ি থেকে হাঁটতে হাঁটতে তিলনারী পেরিয়ে এলেও তারা কোনো রিকশা পায় না। টুকু সামনের দিকে তাকায়। আকাশে গাঢ় রক্তের লাল রং, সরের মতো জমে ওঠা মেঘ পেরিয়ে তার তখন বীরুর চোখ মনে পড়ে—বীরুর চোখ জল-ছলছল।পথের ধারে ঘাট বাঁধানো বড় একটা দিঘি। দিঘি দেখে টুকু থমকে দাঁড়ায়। তার খুব মুখ ধুতে ইচ্ছে করে। পাশে দাঁড়ানো স্বামীকে বলে, ‘আমি একটু মুখ ধুই?’লাফিয়ে লাফিয়ে ঘাটের সিঁড়ি টপকে টুকু একেবারে শেষ ধাপে যায়। তার মুখে জলের আর্দ্রতার ছোঁয়া। এ সময় নেমে আসা সন্ধ্যার আলোয় দিঘির টলটলে জলের দিকে তাকালে হঠাৎ তার মনে হয়, দিঘির জলে যেন বীরুর মুখখানি ভাসছে। জলে ভিজে ওঠে তার চোখ। টুকু দিঘির জলে নিজের ভেজা চোখ ধোয়। চোখমুখ ধুয়ে ঘাটের চাতালে তাকিয়ে স্বামীকে দেখে।এই সন্ধ্যা, দিঘির টলটলে জল, বৈদ্যবাড়ি অথবা এ পথ—কিছুই ভালো লাগে না তার। টুকু ভাবে, এ মুহূর্তে তার হয়তো এই জীবনটাকেই ভালো লাগছে না।অনেক দূর থেকে একটা রিকশা আসার শব্দ শোনা যায়। দেখা যায় হারিকেনের মৃদু আলো।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্তও আশা করছি, বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হবে। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে।’আচরণবিধি চূড়ান্ত না হওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে দরজা বন্ধ করে রাখাটা ঠিক হবে না। এখনো সময় আছে। আচরণবিধিতে সবার জন্য প্লেইং ফিল্ড সমান থাকবে। আচরণবিধি চূড়ান্ত হওয়া দুই-তিন দিনের ব্যাপার।’আজ রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি এ কথা বলেন।অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার আগে গণমাধ্যমের কর্মীদের সিইসি বলেন, ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে টেবিলে আলোচনা শুরু না হলেও আলোচনার যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। এটি ইতিবাচক এবং ভালো দিক।নির্বাচনের আগে ৯০ দিনের গণনা শুরু হলেও হরতাল, ককটেল, হত্যা গুমসহ বর্তমানে যে পরিবেশ বিরাজমান তাতে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। এটি প্রত্যাশিত বা কাম্য নয়। তবে আগে একেবারেই আশার আলো ছিল না, এখন এ ধরনের পর্যায় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বা এগিয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা করা, নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে কমিশনের যে ক্ষমতা তা কবে থেকে কার্যকর হবে ইত্যাদি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আচরণবিধি চূড়ান্ত হওয়ার আগে এ বিষয়গুলোতে কিছু বলা যাচ্ছে না। কেননা আচরণবিধিতেই সবকিছু বলা থাকবে।সংসদ নির্বাচনে কেউ কোনো দল থেকে প্রার্থী হতে চাইলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলে অন্তত তিন বছর সদস্য পদে থাকতে হবে। তবে বর্তমানে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে এ বিধান তুলে দিয়ে বিল চূড়ান্ত করা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ সার্বভৌম। এখানে বিচার বিবেচনা করেই সব কিছু করা হবে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এ বিধান তুলে দিলে ভালো বা মন্দ হবে, তা নিয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।৩০ সেপ্টেম্বর আরপিও সংশোধন বিল, ২০১৩ সংসদে উত্থাপিত হয়। এরপর বিলটি যাচাইবাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।আরপিওতে তিন বছরের বাধ্যবাধকতাসহ অন্যান্য বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনা পরিষ্কার ছিল এবং আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয় ছাড়া অন্যান্য যেসব বিষয়ে মতামত চেয়েছে, কমিশন সেসব বিষয়ে মতামত দিয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ তো থাকেই। তারপরও ব্যক্তিগত টুকিটাকি, সামাজিক যোগাযোগের সাইট, সার্চ সবমিলিয়ে নিজের কাজও যে থেমে থাকে তা নয়। কিন্তু অফিসে আপনার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কম্পিউটারটি থেকে কি যা খুশি তাই করতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়েবে দীর্ঘদিন কোনোকিছুই গোপন রাখা যায় না। অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছুটা সাবধানতা জরুরি। চাকরি বাঁচাতে অফিসের কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি সে সংক্রান্ত বেশ কিছু সুপরামর্শই দিয়েছেন গবেষকেরা। অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কিত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ। সতর্ক থাকুন পাসওয়ার্ডেঅফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখার অভ্যাস। কম্পিউটার বন্ধ করার আগে বা কম্পিউটার ছেড়ে ওঠার আগে অবশ্যই লগ আউট করবেন। কম্পিউটারের জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড ঘনিষ্ঠ কাউকে শেয়ার করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অফিস কর্তৃপক্ষও যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। অফিসের কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় প্রাইভেসি মোড ব্যবহার করুন ।সামাজিক যোগাযোগে সতর্ক থাকুনঅফিসের কম্পিউটার থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। অফিসের কম্পিউটার থেকে অপ্রয়োজনীয়, আজেবাজে মেইল পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আজেবাজে চ্যাটিং থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আপনার কাছ থেকে ছড়ানো কোনো বাজে মেইল বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজ অনলাইনে রেকর্ড হয়ে থাকে বলে যেকোনো সময় বিড়ম্বনায় পড়ে যেতে পারেন।অফিসে ‘সেলফি’ নয়গবেষকেরা বলছেন, ২০১৩ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ হিসেবে অক্সফোর্ড অভিধানে ঠাঁই পেয়েছে ‘সেলফি’। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও নিজের ছবি তোলার ক্ষেত্রে যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহূত হয় তা থেকেই ‘সেলফি’ শব্দটির উত্পত্তি। অফিসে কাজের সময় নিজের ছবি তুলে বা সেলফি অনলাইনে পোস্ট করার বিষয়টিতে সতর্ক থাকুন। এ ধরনের সেলফি শেয়ার করার সময় সতর্ক না হলে আপনি যাঁদের কাছে তা লুকাতে চান তাদের কাছে চলে যেতে পারে এবং আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে।পরিচয় গোপন করার সময় সতর্কতাঅফিসের কম্পিউটার থেকে পরিচয় গোপন করে কোনো মন্তব্য করার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ অফিসের কম্পিউটার থেকে পরিচয় গোপন করে মন্তব্য করা হলেও তা খুঁজে বের করতে পারে কর্তৃপক্ষ।জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য নয়এখন অনলাইনে খুব সহজেই চাকরিপ্রার্থীর বা কর্মীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব। তাই চাকরিতে যোগদানের সময় জীবনবৃত্তান্তে ভুয়া তথ্য দেবেন না। অতীতে কাজের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা বিষয়ক তথ্যের ক্ষেত্রে এখন অনলাইনে সহজেই তথ্য পরীক্ষা করা সম্ভব বলে মিথ্যা থেকে দূরে থাকা উচিত।দেবযানী খোবরাগাড়ে নামটি এখন প্রথম আলোর পাঠকদের কাছে বেশ পরিচিত। দেবযানী-কাণ্ডকে ঘিরে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘মিত্র’ ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই এ পরিচিতি। তবে এ ঘটনা একটি জটিল, বহুমাত্রিক বিষয়কে সামনে এনেছে, যা এই ভারতীয় উপমহাদেশের বিচারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গৃহকর্মীর সঙ্গে ‘আর্থিক’ লেনদেন যথাযথ না হওয়ার কারণে নিউইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার, হাতকড়া পরানো, বিবস্ত্র করে তল্লাশি, ডিএনএ সংগ্রহ এবং কারাগারে মাদকাসক্তদের সঙ্গে একই কক্ষে রাখার মতো নিন্দনীয় ঘটনা গোটা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করেছে। সংগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘দাদাগিরি’ কোনোভাবেই মানতে পারেননি ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে সফররত মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সব ধরনের সাক্ষাৎ বাতিল করে দেন ক্ষমতাসীনেরা। দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সব ‘ব্যারিকেড’ এবং বাতিল করা হয় দূতাবাসে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তাদের বিমানবন্দরে ঢোকার বিশেষ পাস। প্রতিবাদের কোরাসে গলা মেলান রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত সর্বস্তরের রাজনীতিকেরা। রাজনৈতিক এই পেশিশক্তির (পড়ুন গলা) ব্যবহারে মুছে যায় ডান-বাম-মধ্য ভেদাভেদ, যা এ দেশে অনেককে এই ভাবনায় ভারাক্রান্ত করে যে ‘জাতীয় স্বার্থে কেন আমরা এমন এক হতে পারি না’! ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বয়ে যায় মার্কিনবিরোধিতার সুনামি। প্রথিতযশা একজন সাংবাদিক তাঁর টুইটার বার্তায় লেখেন, ‘দিল্লির মার্কিন দূতাবাসে কোনো সমকামী কর্মকর্তা আছেন কি না, খুঁজে বের করে আমাদের আইন অনুযায়ী বিচার করা হোক।’ এই ভারতীয় ‘অস্মিতা’র লক্ষ্য একটাই, মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে এটা বুঝিয়ে দেওয়া ‘কিল খেয়ে কিল হজম করার দিন শেষ’।মুদ্রার অপর পিঠ হলো, ভারতীয় বন্ধুদের দাবির মুখে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দেবযানী-কাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনা বা দেবযানীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহারের ভারতীয় দাবি নাকচ করে দেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সে দেশের একজন আইন কর্মকর্তা বলেছেন, দেবযানী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ করেছেন তা আদৌ সত্য না। বরং ‘আটক’ দেবযানীকে কফি খাওয়ানো থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ-সুবিধাই দেওয়া হয়েছে, যা সচরাচর মার্কিন নাগরিকদেরও দেওয়া হয় না। সময়ের পরিক্রমায় দুই বন্ধু দেশের এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের তরজা ও উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেবযানী। কিছুটা হাঁফ ছেড়ে সুসম্পর্ক আরও জোরদার করার কাজেই মনোনিবেশ করেছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন।নিউইয়র্কে দেবযানীর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি এই প্রশ্নকে সামনে এনেছে যে, কূটনীতিকদের সুরক্ষা বিধি ভিয়েনা কনভেনশন কি তবে যুক্তরাষ্ট্র মানবে না? না মানলে দেশটির বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না? ১৯৬৩-এর ভিয়েনা কনভেনশনের আর্টিকেল ৪৩-এ বলা হয়েছে, ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ এবং যথোপযুক্ত বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া কনসুলার কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা যাবে না।’ দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৃহকর্মীকে যে প্রতিশ্রুত বেতনের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে সহায়তা করেছিলেন, তা তিনি রাখেননি। এককথায় তিনি ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু এই জালিয়াতি ভয়ংকর অপরাধ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, বিদেশি কূটনীতিকদের সে দেশে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মেনে চলার বিষয়টি বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত করে ভারতীয় গণমাধ্যমে একটা কথা বারবার বলা হচ্ছে, দেবযানীর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা কি কোনো চীনা বা ইউরোপীয় কূটনীতিকের সঙ্গে করার সাহস দেখাত যুক্তরাষ্ট্র? এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবে না, নারী সহকর্মীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে আইএমএফের সাবেক প্রধান দোমেনিক স্ত্রস কান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রেই। কান যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র ফ্রান্সের নাগরিক।যে দেবযানীকে নিয়ে ভারতের উচ্চবর্গীয় (রাজনীতিক, সংবাদকর্মীসহ) সমাজ এত উচ্চকিত তাঁর অতীত আসলে কী বলে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সাবেক কর্মকর্তা উত্তম খোবরাগাড়ের মেয়ে দেবযানী চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করলেও ব্যবহারিক জীবনে আর ওই পথে হাঁটেননি। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে বাবার মতো ‘ফরেন ক্যাডারে’ যোগ দেন ১৯৯৯ সালে। প্রভাবশালী পিতার অদৃশ্য হাত থাকায় এই অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ দূতাবাসে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁর চেয়ে মেধা-যোগ্যতায় এগিয়ে থাকা একই ব্যাচের মহাবীর ভি সিংভিকে ডিঙিয়ে জার্মানিতে নিয়োগ পান দেবযানী। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ করার অভিযোগে চাকরি যায় মহাবীরের। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে চাকরি ফিরে পান মহাবীর। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ জন্য আড়াই লাখ রুপি জরিমানাও করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ব্যক্তিগত জীবনে দেবযানী বিয়ে করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অধ্যাপক আকাশ সিং রাঠোরকে। এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের আদর্শ হাউজিং সোসাইটির গল্পটা বলা দরকার। সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবাসনের সুবিধা করে দিতে মুম্বাইয়ের কেন্দ্রস্থলে ‘মহার্ঘ’ জমি পানির দামে বরাদ্দ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই আবাসন প্রকল্পে একটি কাঙ্ক্ষিত ফ্ল্যাট পেতে কোনো আদর্শের ধার ধারেননি বেশির ভাগ আবেদনকারী। এই কেলেঙ্কারি শেষ পর্যন্ত মুম্বাই হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে সিবিআই। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তিন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর নাম। এই মান্যবরদের সঙ্গে একই তালিকায় উঠে আসে উত্তম খোবরাগাড়ে ও তাঁর মেয়ে দেবযানীর নাম। নথি থেকে দেখা গেছে, আদর্শ হাউজিংয়ে ফ্ল্যাটের জন্য করা আবেদনে দেবযানী তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক লাখ ৮০ হাজার রুপি! অথচ ফ্ল্যাটের মূল্য হিসাবে এক বছরে তিনি পরিশোধ করেন এক কোটি ১০ লাখ রুপি। তীব্র জাতীয়তাবাদের আবেগে ভেসে যাওয়া ভারতীয় গণমাধ্যমে এ সব তথ্যও উঠে এসেছে।আর ‘কাজের লোক’ নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের সমস্যা তো নতুন নয়। কিছুদিন আগে নিউইয়র্কের সাবেক ভারতীয় কনসাল জেনারেল প্রভু দয়াল কাজের লোক নিয়ে একই ধরনের সমস্যার মুখে পড়েন, যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের বাইরে ৭০ হাজার ডলার দিয়ে মিটমাট করতে হয়। দেবযানীও বিষয়টি জানতেন। এত সব জানা-বোঝা সত্ত্বেও ঘণ্টায় সাড়ে ৯ দশমিক ৭৫ ডলার দেওয়ার কথা বলে কাজের লোককে তিনি দেন ৩০ হাজার রুপি (যা বর্তমানে ৫০০ ডলারেরও কম)। আর দেবযানীর বিরুদ্ধে কাজের লোকের বেতন কম দেওয়ার অভিযোগ তিন মাসের (গত সেপ্টেম্বর) পুরোনো। কিন্তু ‘ক্ষুব্ধ’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো পাত্তাই দেয়নি। সবকিছু ঘটে যাওয়ার পর গেল গেল রব পড়ে গেছে।আর ‘কূটনীতিক’ দেবযানীকে ঘিরে ভারতীয় ভাবাবেগের যে চিত্রনাট্য রচিত হয়েছে, তার কেন্দ্রীয় চরিত্র সেই ‘কাজের লোক’ সঙ্গীতা রিচার্ডের কথা সবাই বেমালুম ভুলে গেছে। অথচ তিনিও একজন ভারতীয়। এখন সঙ্গীতার নামটাই মুখে আনতে চায় না জাত্যভিমানে আত্মগর্বী উচ্চবর্গীয় ভারতীয় সমাজ। তাদের কাছে ‘প্রতারিত’ সঙ্গীতার কোনো অভিযোগই পাত্তা পায় না কূটনীতিক দেবযানীর কারণে। ভাবখানা এমন যে না হয় কটা টাকাই কম পেয়েছ, তাই বলে বিদেশের মাটিতে এভাবে দেশের নাম ডোবাবে! মার্কিন আইন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরও এই উচ্চবর্গীয় সমাজ একবারও বলল না, কাজের লোক সঙ্গীতাকে ঠকিয়ে দেবযানী অন্যায় করেছেন। শ্রেণীতত্ত্বের কুৎসিত রূপ এখানে প্রকাশ্য। সঙ্গীতাকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর চর বলতেও বাধেনি দেবযানীর বাবার। শ্রেণীবৈষম্যের এ কথাটাই উঠে এসেছে অনন্যা ভট্টাচার্যের কথায়। নিউইয়র্কে ভারতীয় গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করা অনন্যা বলেছেন, ‘ভারত সরকার শুধু তার কূটনীতিকের বিষয়টি তুলে ধরছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে একবারও তারা গৃহকর্মীর বিষয়টি মুখে আনছে না। আর সুযোগ পেলেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আওড়াচ্ছে। এটা সেই চিরায়ত সামন্ততান্ত্রিক ভারতের প্রভু-ভৃত্য সম্পর্কের প্রকাশ। এই মানসিকতা কী ভারতে, কী বিদেশে—সর্বত্র বিরাজমান।’ নিউইয়র্ক ল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক চৌমতুলি হকের মতে, ভারত সরকারকে বিষয়টির দিকে মানবিক দৃষ্টিতে তাকাতে হবে। ভোটের বাজারে (মে ২০১৪, লোকসভা নির্বাচন) জাতীয়তাবাদের মাদক বিপণনে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো কি তাঁর এ কথা কানে তুলবেন? মনে হয় না। দিন যাবে, দেবযানীর মামলার গতি শ্লথ হবে। তিনি আরও কূটনৈতিক সুরক্ষার বর্ম নিয়ে জাতিসংঘে ভারতের মুখ আলো করবেন। তরজা থামিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের কর্তাব্যক্তিরা বহুমাত্রিক বন্ধুত্বের আবাহনে গলাগলি শুরু করবেন। আর এসবের ভিড়ে হয়তো বা একদিন তলিয়ে যাবে কঠোর মার্কিন আইন। আর সঙ্গীতা রিচার্ড স্বামী-সন্তান নিয়ে নিউইয়র্কের কোনো কানাগলিতে কোনোমতে দিন গুজরান করবেন।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া. ইকোনমিক টাইমস ও এনডিটিভি |
রাতের বেলার ভূতভয়ংকর খুব,নখ তার বড় এবংধারালো খুব।ভূতের নাচানাচিদেখে ভয় লাগেভূতের হাসাহাসিদেখেও ভয় জাগে।ভূত তাড়াব ভূত তাড়াবআমরা সবাই ভূত তাড়াব।দ্বিতীয় শ্রেণী, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলপাওয়ার এবং অটোমেশন প্রযুক্তি সেবাদাতা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এবিবি টার্বো সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি গাজীপুরে পূর্ণাঙ্গ টার্বোচার্জার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে এটি এবিবি টার্বো সিস্টেমসের দ্বিতীয় সার্ভিস সেন্টার। গাজীপুরের টঙ্গীতে এই সার্ভিস স্টেশনটি অয়্যারহাউস কাম অ্যাসেম্বলি ফ্লোরসমৃদ্ধ।নতুন এই স্থাপনার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সার্ভিস রলফ সুইজার এবং বাংলাদেশে এর কান্ট্রি ম্যানেজার রাজর্ষী ব্যানার্জি।রলফ সুইজার জানিয়েছেন, ৫০০ কেভিওয়াট থেকে ৮০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির টু অথবা ফোর স্ট্রোক ডিজেল অথবা গ্যাস ইঞ্জিনের টার্বো চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এবিবি। একজন গ্রাহক এবিবি থেকে ইঞ্জিনের বিশেষ ধরনের পাওয়ার আউটপুট ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খরচ ১০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবেন। পাশাপাশি, কার্বনসহ নানাবিধ গ্যাসদূষণের হাত থেকেও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।রাজর্ষী ব্যানার্জি জানান, এবিবির টার্বোচার্জার বিদ্যুত্ সাশ্রয় করে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে প্রথম সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করে এবিবি। এবার গাজীপুরে স্থাপিত হলো দ্বিতীয় সার্ভিস সেন্টার। এখান থেকে এবিবির বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রি ও বিল্ডিং সিস্টেমস অ্যাপ্লিকেশনের নানা সেবা দেওয়া হবে।সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাকমান নামের একজন নিহত এবং জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর কায়েম সবুজকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান এ ঘোষণা দেন।এদিকে কুমিল্লায়ও বৃহস্পতিবার আধা বেলা ও রাজশাহীতে কাল বুধবার আধা বেলা হরতাল ডাকা হয়েছে।সিরাজগঞ্জ: হারুন অর রশিদ খান ঘোষণায় বলেন, নিহত সাকমান সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পুলিশ তাঁকে হত্যা করেছে। একই সময় জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর কায়েম সবুজকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দলীয় সিদ্ধান্তে ২৮ নভেম্বর ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা সিরাজগঞ্জ জেলায় হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে নিহত সাকমানকে যুবদলের নেতা দাবি করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী নন, তিনি একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।রাজশাহী: মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগরের সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু এ হরতালের ডাক দেন। তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ মিছিলের পেছনে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও শফিকুল হক মিলনসহ অন্তত ৭০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। এসব প্রতিবাদে আগামীকাল রাজশাহীতে আধা বেলা হরতাল ডেকেছে মহানগর বিএনপি।কুমিল্লা: শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে আটক এবং ছাত্রদলের কর্মী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি।দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া আজ বিকেল সোয়া চারটায় প্রথম আলো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এই ফেব্রুয়ারিতে বয়স হবে ৭০। গেন্ডারিয়া থেকে প্রতিদিন স্কুটারে উত্তর বারিধারা যান কোচিং করাতে। ফুটবল-অন্তঃপ্রাণ মানুষটি এত কষ্ট স্বীকার করেও শুরু থেকেই আছেন উত্তর বারিধারা ক্লাবের সঙ্গে। আজ পেশাদার ফুটবল লিগে দলের অভিষেক ম্যাচের জন্য অনুশীলনের ফাঁকে নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন কাল উত্তর বারিধারার কোচ মোহাম্মদ আলমগীর জন্ম থেকেই উত্তর বারিধারা ক্লাবের সঙ্গে থাকার প্রেরণাটা কী?মোহাম্মদ আলমগীর: এই ক্লাবের প্রেমে পড়ে গেছি। ২০০৪ সালে ক্লাবটা তৃতীয় বিভাগে প্রথম চ্যাম্পিয়ন। এরপর দ্বিতীয় বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আমার অধীনেই। প্রথম বিভাগে সুপার সিক্সে ওঠে। তখনো আমি কোচ। পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসাও আমার কোচিংয়ে। আপনার বয়সী কোচ তো এখন আর তেমন নেই বাংলাদেশে। কোচিংয়ে এই বয়সকে বাধা মনে করেন না?আলমগীর: বয়স কোনো বাধা নয়। আমার চেয়ে বেশি বয়সী বোধ হয় এখন একজনই আছেন, ওয়াজেদ গাজী ভাই। কোচিং করাতে হলে মনের শক্তি আর খেলার প্রতি ভালোবাসাই আসল। যেটা আমার আছে। আপনার দীর্ঘ কোচিং-জীবনে সেভাবে আলোচনায় তো আসেননি।আলমগীর: আমি নীরবে তৃণমূলে কাজ করেই বেশি আনন্দ পাই। নাম-খ্যাতির পেছনে কখনো ছুটিনি। চলন্তিকা টিম একেবারে শেষ হয়ে গেল, এটা আমার হাতে গড়া। ৩১ বছরের কোচিং-জীবনে ইস্ট এন্ড ক্লাবের সঙ্গে অনেক দিন ছিলাম। এই দলের ভাঙাগড়ার সাক্ষী আমি। এই বয়সেও গেন্ডারিয়া থেকে উত্তর বারিধারা এসে কোচিং করান। আপনার ক্লান্তি লাগে না?আলমগীর: না, আমি মোটেও ক্লান্ত নই। আমার একটা খারাপ অভ্যাস, বাসে উঠতে পারি না। স্কুটার না হয় রিকশা। আপনাকে এই সুযোগে আমার ইতিহাসটা বলি। আমার শিকড় কিন্তু কলকাতার খিদিরপুরে। সেখানে আমার ছেলেমেয়েরা এবং স্ত্রী থাকে। আমিই আছি বাংলাদেশে। ’৬৫ সালে আমরা এখানে চলে আসি। পরে আমি থেকে যাই। আপনি তো নিজেও ফুটবল খেলেছেন। সেসব স্মৃতি মনে পড়ে?আলমগীর: কত মনে পড়ে! আমি ’৬৬, ’৬৭,’৬৮-তে খেললাম ভিক্টোরিয়ায়। তারপর দিলকুশা। তখনকার শীর্ষ ফুটবলে কাটিয়েছি অনেকগুলো বছর। জাতীয় দলে কখনো খেলেছেন?আলমগীর: স্বাধীনতার পর ’৭৩ সালে যে বছর ফিফার সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ, ওই বছর কুয়ালালামপুরে মারদেকা কাপগামী জাতীয় দলে ডাক পাই। বিমানে ওঠার এক ঘণ্টা আগে আমি বাদ পড়ে যাই দল থেকে। কারণ চোট ছিল একটু। পরের বছর ঢাকায় রাশিয়ার ডায়নামো ক্লাব এল, আমি ছিলাম জাতীয় দলের সদস্য। তখনকার কোনো স্মরণীয় ঘটনা...আলমগীর: অনেক আছে। ওই সময় বাংলাদেশে ৯ জন প্রথম সারির লিংকম্যান ছিল। আমি তাদের একজন। জাতীয় দল গড়তে আমাদের সর্বশেষ ট্রায়াল হলো এখনকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। নান্নু (প্রয়াত), কায়কোবাদ, সলিমুল্লাহ, অমলেশ, আলীম, বাটু (প্রয়াত) আমিসহ আরও দুজন ছিল। শেষ ট্রায়ালে টিকলাম আমি, নান্নু আর কায়কোবাদ। এত বছর আপনি পর্দার আড়ালে থেকে ফুটবলে যুক্ত, আপনার প্রাপ্তি কী?আলমগীর: প্রাপ্তি কিছুই না। এসব নিয়ে ভাবিওনি। টাকাপয়সাও তেমন পাই না। তবু আনন্দ লাগে এই ভেবে, আমার হাত দিয়ে অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে। বড় লিটন, গাউস, স্বপনসহ অনেকেরই নাম বলতে পারি। আপনি খুব হাসিখুশি মানুষ। খেলার বাইরে কী করতে বেশি পছন্দ করেন?আলমগীর: আমি প্রচুর সিনেমা দেখি। এখন বেশি দেখি হিন্দি। আর মেহদি হাসানের গজল ভালো লাগে। তবে সবকিছুর ওপর আমার প্রেম উত্তর বারিধারা ক্লাব। |
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ২৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।এই সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে টাকার খেলা, পেশিশক্তি ও সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধ করা দরকার। দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল জনগণের কথা ভাবে না।নেতারা বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে অনুষ্ঠেয় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।মাঠে মারিও বালোতেল্লিকে সামলানো বেশি কঠিন, নাকি মাঠের বাইরে! এটা একটা প্রশ্ন বটে। মাঠের লড়াইয়ে বালোতেল্লির ওপর সতর্ক দৃষ্টি থাকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। কারণ, মাত্র ২৩ বছর বয়সেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণটা বেশ ভালোমতোই দিয়েছেন এই ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু মাঠের বাইরে একের পর এক কাণ্ডের জন্ম দেওয়া বালোতেল্লিকে চোখে চোখে রাখবে কে? এ নিয়েই চিন্তায় পড়ে গেছে তাঁর দল এসি মিলান। বালোতেল্লির পাগলামিসুলভ আচরণ সামাল দেওয়ার জন্য তাই আলাদাভাবে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকেই নিয়োগ দিতে যাচ্ছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটিতে থাকার সময় প্রায়ই বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে আলোচনায় এসেছিলেন বালোতেল্লি। ইংল্যান্ডে পা রাখার এক মাসের মধ্যেই ঘটিয়েছিলেন গাড়ি দুর্ঘটনা। অনুশীলনরত তরুণ খেলোয়াড়দের দিকে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে মারার দায়ে একবার গুনেছিলেন এক লাখ পাউন্ড জরিমানা। তবে নিজ দেশ ইতালিতে ফিরে আসার পর বালোতেল্লির আচরণের অনেক পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মিলানের প্রধান নির্বাহী আদ্রিয়ানো গালিয়ানি। তার পরও হয়তো নিশ্চিত হতে পারছেন না মিলানের কর্মকর্তারা। এ কারণেই খ্যাপাটে এই ফুটবলারকে সামলে রাখার জন্য নেওয়া হচ্ছে নতুন এই পদক্ষেপ।সত্যি সত্যিই এই ব্যবস্থা নেওয়া হলে নিজের আচরণ নিয়ে বেশ সতর্কই থাকতে হবে বালোতেল্লিকে। কারণ, তাঁর ওপর নজরদারির করার ভার দেওয়া হতে পারে ইতালির সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফিলিপ্পো ফেরিকে, ২০০১ সালে জি-৮ সম্মেলনের সময় প্রতিবাদকারীদের আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করার জন্য যাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। কারণ আন্দোলনকারীদের ওপর একটু বেশিই চড়াও হয়েছিলেন তিনি! বর্তমানে তিনি পালন করছেন মিলানের নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব।তবে এ ধরনের কিছুই হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বালোতেল্লির এজেন্ট রাইওলা। ইতালিয়ান গণমাধ্যম ইচ্ছে করেই এ ধরনের গল্প বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘ইতালিতে আমরা কথা বলি শুধু রাজনীতি আর মারিওকে নিয়ে। পাতা ভরানোর জন্য তারা এই ধরনের গল্প ফেঁদে বসে। আর এটা খুবই জঘন্য ব্যাপার। মারিও আশেপাশে থাকলেই বেরিয়ে পড়ে অনেক অনেক গল্প। তার গাড়ি নিয়ে, আয় নিয়ে, বাড়ি নিয়ে।’গণমাধ্যমের এই বাড়তি উত্সাহ বালোতেল্লির ওপর চাপটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাইওলা, ‘সবারই একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে। মারিও নিজেকে শুধরে নেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা করছে। কিন্তু মিডিয়া তার ওপরে আরও চাপ বাড়াচ্ছে।’১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার রেলপথ ঘিরে নাশকতার ঘটনায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রেন চলাচলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলপথে যোগাযোগ কার্যত বন্ধ রয়েছে।পাবনার ঈশ্বরদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ময়মনসিংহ, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, চাঁদপুর ও যশোরে রেলপথে নাশকতা ও সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে।রেলওয়ের বক্তব্য: রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ইমামবাড়ি রেলস্টেশনের কাছে রেললাইন উপড়ে ফেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনীসহ বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীবাহী আটটি এবং মালবাহী চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে।এ ব্যাপারে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক তাফাজ্জল হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ ও নাশকতার কারণে পূর্বাঞ্চলে রেল চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে বা যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সর্দার শাহাদাত আলী প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবরোধকারীরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ, ময়মনসিংহ-বিরিশিরি ও গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।তবে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।সর্দার শাহাদাত আলী বলেন, রেলপথে নাশকতার কারণে ট্রেন চলাচলের কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ধীরে ধীরে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগছে।মন্ত্রীর বক্তব্য: দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে যান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২১টি ট্রেনের মধ্যে ১৭টি ট্রেন ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে এবং ১৮টির মধ্যে ১৩টি ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।সকাল থেকে ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয় হয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বিপর্যয় হয়নি। এটি খুব সামান্য বিষয়। আগামী দু-এক ঘণ্টার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’মুজিবুল হক বলেন, ‘রেলপথে নাশকতা ঠেকানোর জন্য আমি রেলমন্ত্রী, রেলের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রেল মন্ত্রণালয়সহ পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে বিরতিহীনভাবে রেললাইন পাহারা দিচ্ছি। আমরা একদম অ্যালার্ট, কিন্তু এর মধ্যেও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে একটি মহল আমাদেরকে বিব্রত করা চেষ্টা করছে এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রেলের অনেক ইঞ্জিন, বগি নষ্ট করেছে অবরোধকারীরা। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে তারা। জনগণের কাছে আমার বিচার রেললাইন, বগি ইঞ্জিন কার ক্ষতি করেছে।’ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, সিরাজগঞ্জগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি জংশন স্টেশনের লোকো এলাকায় ধোয়ামোছার জন্য রাখা ছিল। রাত একটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা ট্রেনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে একটি বগি সম্পূর্ণ ও দুটি বগি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): জেলার কসবা উপজেলা সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় ও বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদী এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ইমামবাড়ি স্টেশনে থেমে থাকা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগিতে সকাল নয়টা ২০ মিনিটে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রেলের লোকজন এবং পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল সুমন আহত হন। নবীনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শফিউর রহমানের নেতৃত্বে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ইমামবাড়ি রেলস্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান মণ্ডল জানান, রাতের বেলায় সিগনাল পোস্টগুলো নষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল ছয়টায় ২০ মিনিটে ওই স্টেশনে আটকা পড়ে। সোয়া নয়টার দিকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কুটি চৌমুহনী ও তিনলাখকীর এলাকায় গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে।ময়মনসিংহ: রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বিএনপির কর্মীরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলেন। এতে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী ‘হাওড়’ এক্সপ্রেস ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-বিরিশিরি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. তারেক বলেন, লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।মাদারগঞ্জ (জামালপুর): সকাল পৌনে নয়টার দিকে জামালপুর কোর্ট স্টেশনের কাছে জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জে চলাচলকারী একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। জামালপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।চাঁদপুর: পুলিশ জানায়, সকাল আটটার দিকে শহরের রেললাইনে আগুন দিয়েছেন পিকেটারেরা। শহরের আক্কাছ আলী এলাকায় পিকেটাররা রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া পিকেটাররা রেললাইনের স্লিপার তুলে সেগুলো দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।যশোর: যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, সিঙ্গিয়া রেলস্টশন কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেন ‘রকেট মেইল’ নওয়াপাড়ায় আটকা পড়েছে। এ ছাড়া রূপদিয়া এলাকার রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় ঢাকাগামী ট্রেন ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ সেখানে আটকা পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে আধা ঘণ্টা পরে ট্রেনটি যশোর ছেড়ে যায়। (প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন ঈশ্বরদী (পাবনা), মাদারগঞ্জ (জামালপুর), কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), চাঁদপুর প্রতিনিধি; ময়মনসিংহ ও যশোর অফিস) লুইস সুয়ারেজের হয়েছে বিপদ। মেয়ে দেলফিনার কথাগুলো আজকাল ‘গ্রিক ভাষার’ মতো মনে হয় তাঁর কাছে। হড়বড় করে দেলফিনা কী বলে সেটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না লিভারপুল স্ট্রাইকার। কিন্তু এমন হচ্ছে কেন? মজাটা এখানেই। সুয়ারেজ লিভারপুলে খেলছেন তো প্রায় দুই বছরের ওপরে হতে চলল। তিন বছর বয়সী দেলফিনার বেড়ে ওঠা বলতে গেলে ইংল্যান্ডেই। আর স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে মার্সিসাইডের উচ্চারণরীতিটাও আত্মস্থ করে ফেলেছে পুরোপুরি। এখন তাই দেলফিনার ইংরেজি বোঝাটাই দায় হয়েছে ‘ভিনদেশি’ বাবার। সুয়ারেজকে বোধ হয় একজন দোভাষী খুঁজতে হবে! ওয়েবসাইট। |
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।স্বাস্থ্যকর্মীদের পদমর্যাদা দেওয়া, ভ্রমণ ভাতা বাড়ানো, বেতন-বৈষম্য দূর, পরিদর্শকদের পদোন্নতি এবং পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীরমর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এম হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফারুক হোসেন, ওয়াজেদুর রহমান প্রমুখ।দেশের অন্যান্য স্থানেও এসব দাবিতে মানববন্ধন পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর যোগ্যতা, দায়দায়িত্ব ও ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে সব ব্যাংককে বিদ্যমান প্রধান নির্বাহীসহ নতুনভাবে নিয়োগ কিংবা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ থেকে আজ রোববার জারি করা এক সার্কুলার লেটারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নতুন নির্দেশনা অনুসারে প্রধান নির্বাহী হতে হলে কোনো ব্যক্তি কোনো ফৌজদারি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ম-বিধি ভঙ্গের কারণে দণ্ডিত হতে পারবেন না। এমনকি নিবন্ধ বা লাইসেন্স বাতিল হয়েছে, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকাও অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।প্রধান নির্বাহীকে ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে এবং এই পদে নিযুক্তির ঠিক আগে কমপক্ষে দুই বছর প্রধান নির্বাহীর অব্যবহিত নিচের স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে অর্থনীতি, ফিন্যান্স বা ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চতর ডিগ্রি বাড়তি যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।কোনো করখেলাপি বা ঋণখেলাপি বা আদালত কর্তৃক দেউলে হলে এই পদের উপযুক্ত হবেন না। কোনো দেনা পরিশোধে ব্যর্থতা কিংবা নিজ পেশায় অবৈধ কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হলে সেটাও অযোগ্যতা হবে।প্রধান নির্বাহীর বয়স ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। তিন বছর মেয়াদের জন্য প্রধান নির্বাহী নিয়োগ পাবেন। তিন বছর পর যাবতীয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে পুনর্নিয়োগ পেতে পারবেন। তবে বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হতে তিন বছরের কিছু কম সময় থাকলে ওই সময়ের জন্য তাঁকে নিয়োগ করা যাবে।প্রধান নির্বাহীর বেতন-ভাতা সুনির্দিষ্টভাবে টাকার অঙ্কে নির্ধারণ করতে হবে। অন্যান্য সুবিধাও (যেমন গাড়ি) যথাসম্ভব অর্থমূল্যে রূপান্তর করতে হবে। চাকুরির মেয়াদে বেতন-ভাতার শর্ত অপরিবর্তনীয়। প্রধান নির্বাহীর আয়কর ব্যাংক প্রদান করবে না, অন্য কোনো সুবিধাও (কমিশন, ক্লাবের চাঁদা) ব্যাংক দেবে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উত্সাহ বোনাস প্রদান সাপেক্ষে প্রধান নির্বাহীও এই বোনাস পাবেন, যা কোনোভাবেই ১০ লাখ টাকার ওপরে যাবে না। তিনি পর্ষদ সভায় উপস্থিতির জন্য কোনো সম্মানী প্রাপ্য হবেন না। ব্যাংকের মুখ্য আর্থিক সূচক উন্নতি সাপেক্ষে তাঁর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হবে।প্রধান নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিতসহ প্রস্তাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া তাঁকে বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না।প্রধান নির্বাহীর দুই ধাপ অধস্তন ব্যতীত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ-পদোন্নতি, বদলি-শাস্তি প্রধান নির্বাহীর ওপর ন্যস্ত থাকবে। এসব কাজে তিনি ব্যাংকের অনুমোদিত চাকরিবিধি ও মানবসম্পদ নীতি অনুসরণ করবেন।পরিচালনা পর্ষদ ও পর্ষদ কর্তৃক গঠিত কোনো কমিটির সভায় ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃক স্মারক উপস্থাপনকালে উত্থাপিত কোনো বিষয়ে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধানের ব্যত্যয় বা লঙ্ঘন থাকলে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রধান নির্বাহী কর্তৃক স্মারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইভাবে তিনি ব্যাংক কোম্পানি আইন বা অন্য কোনো আইন বা বিধি লঙ্ঘনবিষয়ক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রদান করবেন।ডা. শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদাত বার্ষিকীতে এই প্রথম দাওয়াত করা হয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। ১৯৯০ এ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর থেকে গত ২২টি বছর মিলন দিবসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অতিথি হয়ে এসেছেন। আর এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আছেন স্বৈরশাসক এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ।শহীদ চিকিত্সক মিলনের মা সেলিনা খাতুন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘এই সময়ে রওশন এরশাদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা মানে আমার মিলনকে অপমান করা। এটা তো পুরো চিকিত্সক সমাজেরই অপমান। এবার আমি কোথাও যাব না। আমি একাই আজ ওর কবর জিয়ারত করে এসেছি।’বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এম ইকবাল আর্সালান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আগামীকাল বুধবার ডা. মিলনের স্মরণসভায় আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেন। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের চিকিত্সকেরা পুরোভাগে ছিলেন। মিলন শহীদ হয়েছিলেন। এ আন্দোলনে যাঁরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদেরকে সঙ্গে করে দিনটি আমরা পালন করি।’বিএমএ স্মরণসভার যে কার্ড ছাপিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, গণপূর্ত, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু।১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে প্রায় এক দশক জুড়ে চলা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পায়। গণ-অভ্যুত্থানের ভয়ে ভীত এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া ক্যাডাররা এই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে গুলি করে হত্যা করে বিএমএর যুগ্ম সম্পাদক মিলনকে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএমএর তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।স্বৈরশাসকের পতনের পর থেকে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল শহীদ মিলন দিবস পালন করে আসছে। দুই দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া বাণী দিয়ে থাকেন। বাণী দেন রাষ্ট্রপতিও। যদিও নির্বাচনের আগে দুই দলই এরশাদকে দলে টানার চেষ্টা করে আসছে।ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মুস্তাক আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এ সময়ে এমন একজন ব্যক্তিকে (রওশন এরশাদ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বসানো খুবই লজ্জাজনক।জয়ে উল্লসিত, পরাজয়ে হতাশ। নিউজিল্যান্ড সফরে এসে আনন্দটা ভুলতে বসেছিল আমুদে ক্যারিবীয়রা। সফরের প্রথম এক মাসে শুধু হতাশাই যাদের সঙ্গী ছিল সেই দলটি শেষ পর্যন্ত একটু হাসল। বক্সিং ডেতে কাল প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটা ২ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অল্প রানের ম্যাচটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বেশ। নিউজিল্যান্ডকে ১৫৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর নিজেরাও ডুবতে বসেছিল ক্যারিবীয়রা। ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটি জিতেছে টেস্ট অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির ব্যাটে ভর করে।স্যামি ক্রিজে এসেছিলেন ২১তম ওভারে, ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর। ২৮তম ওভারে দলকে জিতিয়ে যখন ফিরলেন, তাঁর নামের পাশে ৪৩ রান, সেটাও মাত্র ২৭ বলে। ১৪৭ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর অবশিষ্ট ১০ রান ম্যাকলেনাহানের টানা দুই বলে ছয় ও চার মেরে নিয়েছেন স্যামি। নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিল এই ম্যাকলেনাহানের কারণেই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।হোক কম ব্যবধানে, জিততে পেরেই খুশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো, ‘ব্যাটিং নিয়ে কিছু কাজ করার আছে। তবে জয় জয়ই, এটা আমাদের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।’টস হেরে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটা আসলে ম্যাককালামময়। ১৫৬ রানের ৯৮ রানই করেছেন দুই ভাই ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (৫১) ও নাথান ম্যাককালাম (৪৭)। ১১২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ম্যাকলেনাহানকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটিতে নাথান একাই করেছেন ৪০ রান।পরশু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ নেপিয়ারে। এএফপি।সংক্ষিপ্ত স্কোরনিউজিল্যান্ড: ৪২.১ ওভারে ১৫৬ (গাপটিল ২, রাইডার ০, উইলিয়ামসন ৮, টেলর ৩, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৫১, অ্যান্ডারসন ১৩, রনকি ৭, নিশাম ১০, নাথান ম্যাককালাম ৪৭, মিলস ৩, ম্যাকলেনাহান ৩*; হোল্ডার ২/২১, রামপল ২/২৭, স্যামি ০/৩০, নারাইন ১/২৮, ডোয়াইন ব্রাভো ৪/৪৪)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৭.৩ ওভারে ১৫৭/৮ (চার্লস ৯, পাওয়েল ৪, ড্যারেন ব্রাভো ১৪, সিমন্স ৩৪, ডোয়াইন ব্রাভো ১২, দেওনারায়ণ ৬, রামদিন ২, স্যামি ৪৩*, হোল্ডার ২০, নারাইন ০*; মিলস ২/৩৭, ম্যাকলেনাহান ৫/৫৮, নিশাম ১/৩৫, অ্যান্ডারসন ০/১৯)। ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ড্যারেন স্যামি। |
তৈরি পোশাকশিল্পে চলমান অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক, নাগরিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বর্তমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানায় সংগঠনগুলো। একই সঙ্গে এই দাবির বিপক্ষে মালিকদের অবস্থানের সমালোচনা করেছে তারা।বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের (ডব্লিউএফটিইউ) বাংলাদেশ কমিটি গতকাল এক বিবৃতিতে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শ্রমিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ জানায়। গত বুধবার সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় গ্রিসের এথেন্স থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যূনতম মজুরি, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের বিষয়ে সরকারের উদাসীনতার জন্য এই খাতে বহু শ্রমিক নিহত ও আহত হচ্ছেন। সরকার ধনিকশ্রেণী ও বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থরক্ষায় কাজ করছে। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) গতকাল এক সভায় আট হাজার টাকা মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। মালিকপক্ষ ও সরকার যুক্তিসংগত ও ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেওয়ায় বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে স্কপের সভায় মন্তব্য করা হয়। সফিউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সহিদুল্লাহ চৌধুরী, ওয়াজেদুল ইসলাম, শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ।পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি সাত হাজার টাকা করার দাবি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সভাপতি আয়শা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন। মালিকপক্ষ, সরকার, রাষ্ট্র সবাইকে যথাযথ সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাঁরা।বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) বিবৃতিতে বলেছে, সরকার মুনাফালোভী মালিকদের লাঠিয়াল হিসেবে মাঠে নেমেছে। সংগঠনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস শ্রমিকদের মোট মজুরি ১৮ হাজার টাকা করার দাবি করেন।দেশের চলমান সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বসম্মত উপায় খুঁজে বের করতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে গঠনমূলক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ অভিমত দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।মজীনা বলেন, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে একটি সর্বসম্মত উপায় খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে গঠনমূলক সংলাপে বসার জন্য অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে টেলিফোন আলাপসহ সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অনুপ্রাণিত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই ইতিবাচক অগ্রগতির ফলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর একটি গঠনমূলক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, যাতে করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।ড্যান মজীনা বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এই বার্তা দিচ্ছে যে, সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ নয় ও তা গ্রহণযোগ্য নয়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো যদিও মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার, তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সহিংসতা কখনোই কোনো কিছুর জবাব হতে পারে না। সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশের সব জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশের আহ্বান জানাই। তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমরা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাই।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় করা মামলায় তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ভূঁইয়া শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার জাপান দূতাবাসের সামনে থেকে হান্নান শাহকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভাটারা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলা নম্বর ২৪। ওই মামলায় হান্নান শাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁর রিমান্ড চেয়ে আজ তাঁকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।জ্যাক ক্যালিসের বিদায়ী টেস্ট। বিদায়বেলায় সতীর্থকে ভালো একটা স্মৃতি উপহারই দিতে চান গ্রায়েম স্মিথরা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা যে ভন্ডুল হতে চলেছে ভারতীয়দের হাতে। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই শেষ হয়ে যাওয়া ডারবান টেস্টের প্রথম দিনটার নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতের হাতেই। জোহানেসবার্গের ব্যাটিংটাই যেন ডারবানেও নিয়ে এসেছে ধোনির দল। প্রথম দিনে খেলা হতে পেরেছে মাত্র ৬১ ওভার। শুধু শিখর ধাওয়ানের উইকেটটি হারিয়েই ভারত তুলে ফেলেছে ১৮১ রান।১৪০ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন মুরালি বিজয় ও চেতেশ্বর পূজারা। বিজয় অপরাজিত ৯১ রানে, ২৯ ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ না হলে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিটা হয়তো কালই পেয়ে যেতেন। নিউ ওয়ান্ডারার্সে ১৫৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা পূজারাও পেয়ে গেছেন ফিফটি। ভারত ধাওয়ানকে হারায় প্রথম সেশনেই, দলের রান তখন ৪১। এরপর ধৈর্য ও প্রয়োগক্ষমতার পরীক্ষা দিয়েই দিনটা পার করেছেন দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।এই ম্যাচে যাঁর খেলা নিয়েই সংশয় ছিল সেই মরনে মরকেলই পেয়েছেন একমাত্র উইকেটটি। ধাওয়ানকে তৃতীয় স্লিপে আলভিরো পিটারসেনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে না-পারা এই ফাস্ট বোলার। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল ৭-১০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে, কিন্তু মরকেল ফিরলেন এই টেস্টেই।ডারবানের খটখটে ব্যাটিং পিচে টস জিতেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। স্কোরই বলে দিচ্ছে ভুল করেননি ভারত অধিনায়ক। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করছিলেন ধাওয়ান ও বিজয়। সফরে বাঁহাতি ধাওয়ান তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসটিতে মেরেছেন চারটি চার। ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে বিজয় ফিফটি পেয়েছেন ১০২ বলে। তাঁর প্রথম ৫০-এর ৪৪ রানই বাউন্ডারি থেকে। পূজারা ফিফটি ছুঁয়েছেন ৯৭ বলে।রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাইরে রেখে ভারত এই ম্যাচের একাদশ সাজিয়েছে। তাঁর বদলি হিসেবে দলে ঢুকেছেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। ইমরান তাহিরকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়েছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার রবিন পিটারসনকে। তথ্যসূত্র: টেন স্পোর্টস। |
শিশুকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সফল হতে পারে না। তাই সংবাদপত্রে শিশুদের বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুরা যে গল্প, কবিতা ভালোবাসে, তা ছাপাতে হবে। তাদের জন্য বরাদ্দ পাতার ওপর নজর দিতে হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) আয়োজিত শিশু পাতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ কথা বলেন। পিআইবি ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির বলেন, শিশু প্রতিভাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদপত্র বড় ভূমিকা রাখতে পারে।বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘শিশু পাতা রঙিন করতে হবে এবং তাতে শিশুদের লেখা ছাপতে হবে। তাহলে পত্রিকায় শিশু পাঠকপ্রিয়তা বাড়বে।’অনুষ্ঠানে ২৬টি আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্য থেকে দুটি পত্রিকাকে পুরস্কৃত করা হয়। সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেটের ডাক ও রংপুর থেকে দৈনিক দাবানল এ বছর ‘পিআইবি-সেভ দ্য চিলড্রেন শিশু পাতা’ পুরস্কার পেয়েছে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তা লিয়ানা জে জারটেস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, দৈনিক যুগান্তর-এর প্রধান সহ-সম্পাদক রফিকুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথককরণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের স্কিম সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সিএসইর সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ইজিএমে স্কিম গ্রহণ ছাড়া সংঘ স্মারক ও সংঘবিধির পরিবর্তন এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।সিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান ইজিএম পরিচালনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম কে এম মহিউদ্দিন, এ এস এম শহিদুল্লাহসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।রাজধানীর গাবতলীতে আমিনবাজার এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশ ও ১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থক পিকেটারদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। তবে রাজধানীর অন্যত্র রাজপথে অবরোধ সমর্থকদের তেমন তত্পরতা চোখে পড়েনি। তবে জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার।গাবতলী: ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাবতলী ব্রিজের পশ্চিম পাশে হিজলায় প্রধান সড়কে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে পিকেটারদের ওপর জলকামান থেকে গরম পানি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। একপর্যায়ে সাঁজোয়া যানে পিকেটাররা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ এলোপাতাড়ি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাসের এই শেল আবাসিক এলাকায় গিয়েও পড়ে। ঘটনাস্থলে সকালে বিজিবির সদস্যরা থাকলেও পরে তাঁরা চলে যান। এরপর অবরোধকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে। অপর দিকে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় অবরোধবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।তত্পরতা নেই: বেলা ১১টা পর্যন্ত মিরপুর, মহাখালী, ফার্মগেট, নয়াপল্টন, দিলকুশা এলাকা ঘুরে রাজপথে অবরোধকারীদের কোনো তত্পরতা চোখে পড়েনি।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়: বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের গলির মুখে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এরপর কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।সকাল নয়টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো নেতা-কর্মী নেই। কার্যালয়ের মূল ফটকে ভেতর থেকে তালা দেওয়া। বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান করছেন।পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নয়াপল্টনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাজপথে টহল দিচ্ছেন।যান চলাচল: সকালের দিকে রাজধানীর রাজপথে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাজধানীর মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আজ সকালে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতু দিয়ে খুব কম যানবাহন চলছে।ঢাকা নদীবন্দর: সকাল আটটা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে ২৭টি লঞ্চ এসেছে। চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পাঁচটি লঞ্চ। তবে যাত্রী ছিল খুব কম। অবরোধের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।প্রস্তুত পুলিশ: নাশকতা ঠেকাতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রমনায় ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে বা জনগণের চলাচলে বিঘ্ন তৈরি করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের আইনগত অধিকার রয়েছে।’সারা দেশে আজ ভোর ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। ‘প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার’ প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যাদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা আমার আত্মীয় হতে পারে না।’প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তাসংলগ্ন বালুর মাঠে তাঁর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন। শুরুতে তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে দুটি জনসভায় ভাষণ দেন। পরে সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জিটি স্কুল মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন। তিনি দুপুর ১২টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার জনসভাস্থলে আসেন।ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহ। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী। সংসদের হুইপ নূর-এ আলম চৌধুরী তাঁর ভাই। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফুতো ভাইয়ের ছেলে। পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় নিক্সনের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ঘটনায় দুদক যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা আমার আত্মীয় হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে খুনিদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আমি ও আমার বোন রেহানা, আমাদের সন্তান, নাতি-নাতনি ও জামাই ছাড়া আমার আর কোনো আত্মীয় নেই। এর বাইরে কেউ যদি আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দেয়, আমি তা বরদাশত করব না।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘তারা এত টাকা কোথা থেকে পেল?’শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজে এ পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা খরচ নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। কারও শক্তি নাই, এই নির্বাচন বানচাল করে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সবাই সাহস করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, আবার সরকার গঠন করতে পারলে প্রত্যেক উপজেলা ও জেলায় একটি করে কেন্দ্রীয় মসজিদ তৈরি করা হবে। হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড করা হয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে সেখানেও টাকা দেওয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সারা বাংলাদেশের মানুষ চায়, শুধু চান না বেগম খালেদা জিয়া। তাই তিনি হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ খুন, মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো কাজ করে চলেছেন। গরু-ছাগল কিছুই রেহাই পাচ্ছে না।টুঙ্গিপাড়ায় বক্তব্য শেষে তিনি জাতির পিতার সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে মোনাজাত করেন। আজ শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকার অপর উপজেলা কোটালীপাড়ায় জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম শেখের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মির্জা আযম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ কবীর হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।ভাঙ্গায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কাজী জাফরউল্লাহ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। |
প্রিয় হ্যারি পটার সিরিজটি শেষ হয়ে গেছে বলে যারা মন খারাপ করে বসে আছ, তাদের জন্য সুখবর! তোমাদের কথা ভেবেই নতুন করে নতুন গল্প লিখতে শুরু করেছেন হ্যারি পটার-এর লেখিকা জে কে রাওলিং। তবে নতুন এই গল্পে থাকবে না হ্যারি পটার, রন, ম্যালফয় কিংবা হ্যামিওনি। ভাবছ, ‘ধুৎ! তাহলে আর মজা থাকল কী?’ ভুল! হ্যারি পটার না থাকলেও থাকবে হ্যারির জাদুর দুনিয়া!ব্যাপারটা একটু খোলাসা করেই বলি। তোমরা তো জানো, হ্যারি পটার চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছিল জে কে রাওলিংয়ের লেখা হ্যারি পটার উপন্যাস থেকে। তবে এবার আর উপন্যাস নয়, সরাসরি সিনেমার জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন জে কে রাওলিং। এবারও ছবিটি প্রযোজনা করবে হ্যারি পটার-এর নির্মাতা ওয়ার্নার ব্রস পিকচারস। ছবির কাহিনি সম্পর্কে এখনই খুব বেশি কিছু বলতে নারাজ জে কে রাওলিং আর তাঁর দল। তবে যতটুকু জানা গেছে, এবার গল্প গড়ে উঠবে হগওয়ার্টস স্কুলের পাঠ্যবইটিকে কেন্দ্র করে। মনে আছে? জাদুকরদের স্কুল হগওয়ার্টসের পাঠ্যবই, ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম। কল্পিত চরিত্র নিউট স্ক্যামেন্ডার একজন জাদুবিশেষজ্ঞ। তাঁর লেখা এই পাঠ্যবইতে আছে অদ্ভুত সব প্রাণীর গল্প। সেসব বিচিত্র প্রাণী আর তাদের কাণ্ডকীর্তি নিয়েই সম্ভবত এবার গল্প ফাঁদবেন রাওলিং। ডক্সি, পিগমি পাফের মতো কাল্পনিক প্রাণীগুলোর খেলা দারুণ জমবে বলেই মনে হচ্ছে! পুরোনো চরিত্রদের মধ্যে বোধ হয় শুধু হগওয়ার্টস স্কুলের ‘হেডমাস্টার’ ডাম্বেলডোরের দেখা পাবে তোমরা।ছবির প্রযোজক ডেভিড হেইম্যানের মন্তব্য প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও বেশি! তিনি বলেছেন, ‘নতুন এই ছবিটি হবে খুবই অসাধারণ।’ লেখিকা জে কে রাওলিংও যেন তোমাদের মতোই বেশ উত্তেজিত। সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে তিনি বলেছেন, ‘হ্যারি পটারের জাদুর দুনিয়ায় আবারও ঘুরে বেড়াব, ভেবেই আমার ভালো লাগছে!’ রাওলিং জানান, হ্যারি পটার-এর সময়কালের ৭০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে এগোবে ছবির গল্প। নতুন এই সিরিজে আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে, কে জানে!মো. সাইফুল্লাহ, সূত্র: ডগোনিউজইরাকের রাজধানী বাগদাদের আশপাশে শিয়া এলাকাগুলোতে এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলে একদল সেনার ওপর গাড়িবোমা হামলার ঘটনায় আজ রোববার অন্তত ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।রয়টার্স বলছে, এখনো কোনো দল বা পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আল কায়েদাপন্থী সুন্নি মুসলিম সংগঠনগুলো শিয়া মুসলমানদের ওপর এসব প্রাণঘাতী হামলা চালানোর জন্য দায়ী। গত এক বছরে সুন্নিরা বহুবার শিয়াদের ওপর এ ধরনের হামলা চালিয়েছে।ইরাকের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে সুন্নি সংগঠনগুলো অহরহই সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর এ ধরনের হামলা চালায়।আজ সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনাটি ঘটেছে মসুল শহরে। পুলিশ জানায়, সেনারা যখন মাসের বেতন তোলার জন্য একটি সরকারি ব্যাংকে লাইন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি গাড়িতে বিস্ফোরক ভরে ওই স্থানে গিয়ে নিজেকেসহ উড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে ১২ ব্যক্তি প্রাণ হারায়।বাগদাদের আশপাশের এলাকাগুলোতে বোমা হামলায় বাকি ৩৭ ব্যক্তি মারা গেছে। নাহরাওয়ান শহরের এক ব্যস্ত বাজারে দুটি গাড়িবোমা হামলায় সাত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে।বালাদিয়াত এলাকাতে মারা গেছে তিন ব্যক্তি। সেখান থেকে সুয়াদ আহমেদ নামের এক নারী বলেন, ‘আমি নাশতা করছিলাম। হঠাত্ বোমাতে ভবনটি কেঁপে উঠল, জানালাগুলো ভেঙেচুরে গেল আর পুরো খাবার টেবিল কাচের টুকরায় ভরে গেল। মারাত্মক ভয় পেয়েছিলাম। পাশের বাড়ির মহিলা ও শিশুদের আর্তনাদ শুনতে পেলাম। কান্না পেল। খুব বেশি করে মৃত্যুভয় পাচ্ছিল।’ইরাক বডি কাউন্ট নামের একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ইরাকের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি ২০১৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সিলেটের শাহজালাল ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো একই প্রশ্নে, একই দিনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে। তবে এ বৈঠকে কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন একই প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা হলে পরীক্ষার দিন হরতাল ডাকার হুমকি দিলে কর্তৃপক্ষ আজ বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করেন। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে তিনটা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। বৈঠকে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন পরীক্ষা স্থগিতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কবে ও কী পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।রাজশাহীতে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলায় আট সহকর্মীর সঙ্গে সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারও আহত হন। তবে তাঁর আঘাত ছিল গুরুতর। চিকিৎসকদের পরামর্শে হেলিকপ্টারে করে তাৎক্ষণিক তাঁকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে শেষ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো গেল না। রাজশাহী নগরে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে সিদ্ধার্থসহ তাঁর সহকর্মীদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্র জানায়। এতে সিদ্ধার্থসহ নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন আনন্দ কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান, শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, রায়হান, রাফি, আবদুল মজিদ ও সোহেল। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, সিদ্ধার্থের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়ায়। তাঁর স্ত্রী দীপ্তি রানী সরকারও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ১৮ দলের অবরোধ শেষহওয়ার পর রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশের গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার পর গাড়িতে লোহার পেরেক, মাছ ধরার জালে ব্যবহূত লোহার কাঠি, পাথরের টুকরা ও টিনের কুচি ইত্যাদি পাওয়া গেছে। এটা বোমা, নাকি ককটেল—এ বিষয়টি তাঁরা বলতে পারবেন না। তবে বিস্ফোরকটির ভেতর থেকে যে ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ও অন্যান্য জিনিস বের হয়েছে, তাতে এটা ককটেলের চেয়ে বেশি কিছু বলে মনে হচ্ছে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার অসীম সরকার জানান, পুলিশের সদস্য সিদ্ধার্থের বুকের ডান পাশে ফাঁক হয়ে ফুসফুস বেরিয়ে গেছে। এ ধরনের অস্ত্রোপচার করার যন্ত্রপাতি এখানে না থাকায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তৌহিদের দুই চোখে বোমার স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। শাহরিয়ারের চোখ থেকে টিনের টুকরো অপসারণ করা হয়েছে। বোমায় আসাদুজ্জামান বাহু ও পিঠ, সোহেল বাঁ হাত ও আনন্দ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ঘটনার সময় পুলিশের গাড়িতে থাকা কনস্টেবল আলমগীর বলেন, বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি গাড়িতে তাঁরা টহল দিচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জন এবং ট্রাকে তাঁরা ১৪ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। দুটি গাড়ি হেতেমখাঁ মোড় হয়ে মালোপাড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিল শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। গাড়িটি রাজাহাতা এলাকার লোকনাথ স্কুলের মোড়ে পৌঁছলে ট্রাকে একটি শক্তিশালী বোমা এসে পড়ে। বোমাটি সিদ্ধার্থের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ওপর পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তবে আলমগীর ট্রাকের পেছনের দিকে থাকায় তাঁর দেহে আঘাত লাগেনি।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘আমাদের মিছিলে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে কারা হামলা চালিয়েছে, জানি না। ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের এজেন্টরা এটি করতে পারে।’প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নগরের ভুবনমোহন পার্কে জড়ো হচ্ছিলেন ১৮ দলের সমর্থকেরা। লোকনাথ স্কুলের সামনে একটি অটোরিকশার কাচ ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। এ খবর জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে সমাবেশে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল গরের সোনাদিঘী, সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, গণকপাড়া ও মালোপাড়া ঘুরে পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপু সাড়ে ১২টার দিকে নগরের রাজাহাতা মোড়ে পুলিশের ট্রাকের সামনের দিক দিয়ে একটি বোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ট্রাকে বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মিছিল শুরুর আগেই ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা লোকনাথ স্কুলের সামনে একটা অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। গাড়িতে হামলার পরও সেখান থেকে আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
সঠিক প্রশ্নোত্তর অংশ-১৭প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞানের ১ নম্বর প্রশ্ন অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায়লেখ’ দেওয়া হলো। তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়বে।অধ্যায়-৭১০। কোন মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়?ক. স্ত্রী অ্যানোফিলিস খ. পুরুষ অ্যানোফিলিসগ. কিউলেক্স ঘ. এডিসউত্তর: ঘ. এডিস১১। বাতজ্বরের লক্ষণ কী?ক. বমি হওয়া খ. মাথাব্যথাগ. হাত-পায়ের গিঁটে ব্যথাঘ. নাক দিয়ে পানি পড়াউত্তর: ঘ. নাক দিয়ে পানি পড়া১২। রোগীর রক্ত ও লালা পরীক্ষা করে কোন রোগের সংক্রমণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়?ক. সোয়াইন ফ্লু খ. গোঁদ রোগগ. ডেঙ্গুজ্বর ঘ. বাতজ্বরউত্তর: ঘ. বাতজ্বর১৩। কোন রোগের চিকিৎসায় অবহেলা করলে হূৎপিণ্ড ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে?ক. জন্ডিস খ. বাতজ্বর গ. এইডস ঘ. টাইফয়েডউত্তর: খ. বাতজ্বর১৪। কোন রোগের কারণে ঘন ঘন জ্বর ও গলাব্যথা, দেহের ওজন কমতে থাকে?ক. বাতজ্বর খ. জ্বর গ. টাইফয়েড ঘ. সোয়াইন ফ্লুউত্তর: ক. বাতজ্বর।১৫। শিশুর জন্মের ছয় থেকে দশ বছর পর্যন্ত বয়সকে কী বলা হয়?ক. শৈশব খ. বাল্যকাল গ. বয়ঃসন্ধিকাল ঘ. যৌবনউত্তর: খ. বাল্যকাল১৬। বয়ঃসন্ধিকালে অনেক ছেলেমেয়ে ঘাবড়ে যায় কেন?ক. দ্রুত লম্বা হয় বলে খ. ওজন বৃদ্ধি পায় বলেগ. শারীরিক পরিবর্তন হয় বলেঘ. বড়রা বকা দেয় বলেউত্তর: গ. শারীরিক পরিবর্তন হয় বলে১৭। কখন ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায়?ক. শৈশবকালে খ. বাল্যকালেগ. বয়ঃসন্ধিকালে ঘ. পূর্ণবয়স্ককালেউত্তর: গ. বয়ঃসন্ধিকালে১৮। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স কখন?ক. ৮-১০ খ. ১০-১৪ গ. ৮-১৩ ঘ. ৯-১২উত্তর: গ. ৮-১৩।১৯। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স কখন?ক. ১০-১৫ খ. ১৫-১৮ গ. ১৮-১৯ ঘ. ১১-১৬উত্তর: ক. ১০-১৫২০। বাতজ্বর হলে কী করতে হবে বলে তুমি মনে করো?ক. খাবার খেতে হবে খ. স্যালাইন খেতে হবেগ. ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেঘ. অপেক্ষা করতে হবেউত্তর: গ. ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।অধ্যায়-৮১. বিপুলসংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে কী তৈরি হয়?ক. নীহারিকা খ. নক্ষত্র গ. মহাবিশ্ব ঘ. সৌরজগৎউত্তর: গ. মহাবিশ্ব২. কোথায় অসংখ্য নক্ষত্র আছে?ক. সৌরজগতে খ. ছায়াপথে গ. গ্রহে ঘ. উপগ্রহেউত্তর: খ. ছায়াপথে৩. চাঁদ, সূর্য, তারা—এগুলো একনামে তুমি কী বলবে?ক. গ্রহ খ. নক্ষত্র গ. জ্যোতিষ্ক ঘ. নীহারিকাউত্তর: গ. জ্যোতিষ্ক৪. সূর্যের প্রধান উপাদান কোনটি?ক. হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন খ. হাইড্রোজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ. নাইট্রোজেন ও হিলিয়ামঘ. হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামউত্তর: ঘ. হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামসহকারী শিক্ষকপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের সংরক্ষিত নথি শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেলা পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।সিএমএম আদালতের নাজির মাহবুব আলম বলেছেন, পৌনে দুইটার দিকে কে বা কারা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আদালতের কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।সংরক্ষিত নথি শাখায় ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র জমা থাকে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে এসেছেন পুলিশ সদস্যরা। মামলার প্রস্তুতি চলছে।‘অনেক আশঙ্কা, আতঙ্ক নিয়ে এসেছি। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় খরচ হয় তিনগুণ। আমাদের কথা কি কেউ ভাবে?’নিজের দুরবস্থার কথা এভাবে প্রকাশ করেন সরকারি কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ। রাজধানীর কাকরাইলের এক সড়কে আজ দুপুরের দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা। পাশেই তাঁর কর্মস্থল। শনির আখড়া থেকে প্রতিদিন অফিসে আসেন তিনি।১৮-দলীয় জোটের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ রাজীবের মতো এমন অনেকেই দুরু দুরু মনে রাজধানীর কর্মস্থলে কাজ করতে আসেন। তাঁরা জানান, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে অত্যন্ত অসহায় বোধ করেন।শুধু কর্মজীবী মানুষই নন, এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও উদ্বেগের মধ্যে কাটান। চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে আজ কোনো পরীক্ষা ছিল না। কাল বুধবার বিজ্ঞান পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক সালমা সুলতানা সন্তানের পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা কোমলমতি শিশুদের কথা ভাবেন না। ভাবলে এই সময়ে অবরোধের কর্মসূচি দিতেন না।’ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাঈদ ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় বিএনপি নেবে না বলে দলটির এক নেতা গতকাল মন্তব্য করেছেন। তাঁদের দাবি, সরকারের কারণেই তাঁরা এটা করতে বাধ্য হচ্ছেন।’ এই অভিভাবকের প্রশ্ন, ‘আমাদের সন্তানদের এই অনিশ্চিত অবস্থার দায় আসলে কে নেবে? এর দায় কী আমাদের?’এদিকে বেশির ভাগ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। একজন অভিভাবক বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘অবরোধ কর্মসূচি আর হরতালের চাপে আমরা, আমাদের সন্তানেরা পিষ্ট হচ্ছি। অবরোধের সময় কী কী অবরোধের আওতায় থাকবে, আর বাইরে থাকবে, সেটাও আন্দোলনকারীরা জানাননি। আমরা বাধ্য হয়ে সকালে স্কুলে গিয়ে নোটিশ দেখে ফেরত এসেছি। হরতালে স্কুল চলবে না—এটা আগে থেকেই জানা ছিল। অবরোধের বিষয়ে গতকাল রাতে স্কুলে ফোন দিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’রাজধানীর বেশির ভাগ বিপণিকেন্দ্রে দোকানপাট আজ খোলা। তবে ক্রেতা খুব কম। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের উল্টোদিকে গাজী ভবনের কয়েকজন দোকানি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা এমনিতেই খারাপ, তার ওপর অবরোধ-হরতালে মাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় দোকান বন্ধ থাকে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের লোকসান দিয়ে পথে বসতে হবে।বেইলি রোডে গিয়ে দেখা গেল, ক্রেতা না থাকায় দোকানের কর্মচারীরা রাস্তায় ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত।রাজধানীতে যান চলাচল নেহাত কম নয়। দূরপাল্লার যানবাহন তেমন ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছে পরিবহন কোম্পানির সূত্রগুলো। রেলওয়ের কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও সময়সূচি নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সদরঘাট নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।যাচ্ছিলাম ভোটের প্রস্তুতি দেখতে। ভেবেছিলাম, ভোটভিক্ষার বা ভোট বর্জনের কোনো না কোনো মিছিল দেখা যাবে। হাতে তো আর ১০ দিনও সময় নেই। সব ভাবনা যে বাস্তবের সঙ্গে মেলে না, এই বাস্তবতার জ্ঞান লাভ হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের দুটি উপজেলা ঘুরে। তবে এই হাড়কাঁপানো শীতে মোটরসাইকেলে করে এক শ কিলোমিটারের মতো চষে বেড়ানোর ক্লেশ যে একেবারে বিফলে গেল, তা-ও নয়। প্রাপ্তিযোগ আছে। ভোটের মিছিল দেখা না গেলেও দৃষ্টি সার্থক হলো বিশাল এক গরুর মিছিল দেখে।এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে কেবল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনেই নির্বাচন হচ্ছে। গোমস্তাপুর, রহনপুর ও নাচোল—এই তিনটি উপজেলা নিয়ে নির্বাচনী এলাকা। ভোটার দুই লাখ ৪৪ হাজার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনজন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রহনপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। দলের প্রতীক নৌকা পেয়েছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মু. খুরশিদ আলম নির্বাচন করছেন আনারস প্রতীকে। এর জন্য তাঁকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তৃতীয়জন বিএনএফ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন টেলিভিশন মার্কা নিয়ে।গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে রওনা দিয়ে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে গোমস্তাপুর ও রহনপুর এলাকা ঘুরে দেখেছি। কথা বলেছি ভোটপ্রার্থী, ভোটার ও ভোট বর্জন করে প্রতিরোধের অবস্থানে থাকা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু নির্বাচনের আমেজ নেই। নির্বাচনী পোস্টার দেখার শখ থাকলে যেতে হবে বাজার, পথের তেমাথা বা চৌমাথায়, নয়তো উপজেলা, পৌর বা ইউপি সদরে। দেখা যাবে পথের ওপর দড়িতে ঝোলানো সাদাকালো গুটিকয় পোস্টার পলিথিনে মোড়ানো। নৌকা ও আনারসের উপস্থিতি চোখে পড়লেও টেলিভিশন দেখা যায়নি।রহনপুরের বাড়িতে গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে এবং তিনি বিপুল ভোটে জিতে যাবেন। তাঁর মতে, শতকরা ৫০ ভাগ ভোটার যাবেন ভোট দিতে। আওয়ামী লীগের ভোটই আছে শতকরা ৪৬ ভাগ।গোলাম মোস্তফা ভোটারদের বোঝাচ্ছেন, পৌরসভার মেয়র হিসেবে জনসেবাই হোক আর উন্নয়নই হোক, খুব বেশি কিছু করা যায় না। সাংসদ নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করবেন। পানীয় জলের সমস্যা আছে, তা মেটাবেন ইত্যাদি।আগের সাংসদও তো এসব কিছু করেননি—এমন প্রশ্নে গোলাম মোস্তফা বললেন, কিছু করেছেন, কিছু বাকি আছে। জানালেন, অচিরেই জোরেশোরে মাঠে নামবেন। মিছিল, জনসভা—সবই হবে।সুদূর ফিনল্যান্ড থেকে ‘এমপি’ হওয়ার বাসনা নিয়ে এসেছেন মু. খুরশিদ আলম। তিনি নিজেই তা জানালেন। গোমস্তাপুরের চৌডালা গ্রামের তাঁর বাড়িতেই কথা হলো। সাংসদ হওয়ার জন্য তাঁর ত্যাগ অনেক। ফিনল্যান্ডের নাগরিকত্ব, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ, পরিবারের সঙ্গ—সব জলাঞ্জলি দিয়েছেন। উদ্দেশ্য, ওই ‘জনসেবা’।খুরশিদ আলম ১৯৮৯ সালে ফিনল্যান্ডে যান। পরিবার সেখানেই আছে। সাংসদ হওয়ার জন্য ২০০০ সালে দেশে ফিরে সেই থেকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। প্রথম চেষ্টা ২০০১ সালে। বিএনপিতে ছিলেন। দলের মনোনয়ন পাননি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্রভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোটে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন। এবার তাঁরই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার কথা চাউর ছিল এলাকায়। শেষে দাবার ছক পাল্টে যায়।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ আসলে তাঁর ভাষায় ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’। এ পদে থেকে কিছু করার নেই। ফিনল্যান্ড থেকে তিনি যে অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন, তা কাজে লাগাতে হলে সাংসদ হওয়া চাই। তিনি শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সহজে স্বল্প খরচে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবস্থা করতে চান।খুরশিদ জানালেন, ভোটে তাঁরই জিত হবে। কারণ, তাঁর ৪৫ হাজারের মতো ‘সলিড’ ভোট আছে। তাঁরও ধারণা, শতকরা ৫০ ভাগ ভোট পড়বে। তিনি ভোটারদের বোঝাচ্ছেন, ভোট বর্জন করে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। কাজেই প্রতীক দেখে ভোট দিয়ে লাভ নেই। তার বদলে প্রার্থী দেখে যে যোগ্য, তাঁকেই ভোট দেওয়া উচিত।তবে এবারই খুরশিদ আলমের শেষ চেষ্টা। বললেন, ‘এটাই আমার ফাইনাল খেলা।’অন্য প্রার্থী মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে পাওয়া গেল না। মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।কথা হচ্ছিল রহনপুরের কলেজ মোড়ের মুদিখানা বর্ষা স্টোরের মালিক নাজমুল হুদার সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘এই ভোট তো আর সে রকম ভোট না। গেলেও হয়, আবার না গেলেও চলে। পরিস্থিতি শান্ত থাকলে ভোট দিতে যেতেও পারি।’ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে সবার মধ্যেই এই গা ছাড়া ভাব দেখা গেছে।একই অবস্থা বিরোধী দলেরও। গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বায়রুল ইসলাম বললেন,‘ এখানে তো হচ্ছে পাতানো নির্বাচন। তবু আমরা ভোটারদের বলছি ভোট দিতে না যেতে।’কম হোক বেশি হোক, পোস্টার তবু কিছু চোখে পড়ল। কিন্তু ভোটের এলাকায় এসে যদি মিছিলেরই দেখা না মেলে, তবে বড় বেখাপ্পা লাগে। শুরুতেই বলেছিলাম, সেই অন্য রকম এক মিছিল দেখার কথা। মহানন্দা নদীর কিনার ঘেঁষে গেছে গোমস্তাপুরে যাওয়ার পাকা রাস্তা। হোগলা বলে একটি জায়গায় এসে আটকে যেতে হলো। সামনের পুরো রাজপথজুড়ে চলছে বিশাল এক গরুর পাল। শত শত। একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে কয়েক ডজন বাছুর। পালের পেছনে, মাঝে, পাশে, সামনে বাঁশের কঞ্চি হাতে নিয়ে বেশ কয়েকজন রাখাল এই বিশাল পাল তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে চড়াতে। বেশ খানিকটা পথ তাদের অনুসরণ করার পর সামনে একটা প্রশস্ত জায়গা পাওয়ায় পালটিকে পাশ কাটানোর সুযোগ হলো।এক রাখাল জানালেন, পালে আছে দুই শর বেশি গরু। ওয়েস্টার্ন বইতে ‘ক্যাটলড্রাইভের’ বর্ণনা পড়েছি। বাস্তবে চোখে দেখিনি। পালের সামনে হূষ্টপুষ্ট কয়েকটি ষাঁড় রাজসিক চালে রাজপথ বেয়ে দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে। মনে হলো, যাক, অন্তত দৃষ্টি ও শ্রম সার্থক হলো রাজপথে এই গৃহপালিত চতুষ্পদের মিছিল দেখে। |
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মুক্তি না দিলে প্রতিনিধি সম্মেলন থেকে হরতাল ডাকার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। তখন আরেকটি ৫ মে ও শাপলা চত্বর সৃষ্টি হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে দলটি।গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তের নেতারা এ হুমকি দেন।মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের মুক্তির দাবিতে দলের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ, আগামীকাল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণসংযোগ, ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।জমিয়তে ইসলামের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ওয়াক্কাসকে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে। তিনি পাঁচটি মামলায় ১৫ দিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এরপর মতিঝিল থানার আরেকটি মামলায় তাঁর আরও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে ওয়াক্কাসকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তাঁর দল অভিযোগ করেছে।‘কী বলেন ভাই, ২৫ বছর হয়ে গেল!’ ফোনের অপর প্রান্তে আমিনুল ইসলামের কণ্ঠে অবিশ্বাস। তাঁর শুরুর সময়টা থেকে যে ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে, সেটা যেন বিশ্বাসই হতে চাইছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের।আজ ২৭ অক্টোবর। আজ থেকে ২৫ বছর আগে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। এ দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আজ রজতজয়ন্তী। ১৯৮৮ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে উইলস এশিয়া কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে যে পথচলার শুরু, আজ তার ২৫ বছর পূর্তি। পুরো বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে দেশের পক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও দারুণ স্মৃতিকাতর। অস্ফুট স্বরে তাঁর মন্তব্য, ‘সময় কীভাবে যে চলে যায়!’ ২৫ বছর আগে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী দিনেই দেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আমিনুল ইসলামের। প্রথম আলো ডটকমের পক্ষ থেকে সেই দিনটি সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর তিনিও যেন হারিয়ে গেলেন স্মৃতির পৃষ্ঠায়। এত দিনের জমে পড়া ধুলো সরিয়ে মেলেও ধরলেন স্মৃতির সেই ডালি। বললেন, ‘আজ দেশের ক্রিকেট কোথায় চলে গেছে! এই সময়ে দাঁড়িয়ে ২৫ বছর আগের ওই দিনটির কথা ভাবতে খুব ভালো লাগছে। সত্যিই ক্রিকেটে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি আমরা।’ স্মৃতিকাতর আমিনুলের কাছে ২৫ বছর আগের স্মৃতি যেন এখনো উজ্জ্বল, ‘জানেন, খুব উত্তেজিত ছিলাম আমরা ওই সময়। দেশের মাটিতে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলব, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দল আমাদের প্রতিপক্ষ। বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের নিজেদের মাঠে মোকাবিলা করব—সবকিছুই আমাদের কাছে ছিল স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো। আমার উত্তেজনাটা ছিল আরও বেশি। অভিষেক হতে যাচ্ছে; আসলে ওই সময়ের অনুভূতিগুলো ঠিক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’আমিনুলকে সব সময় নাড়া দিয়ে যায় যে স্মৃতি, সেটাও ওই সময়কার, ‘মনে আছে ২৭ অক্টোবর এশিয়া কাপ শুরু হয়েছিল, তার আগের দিন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার শফিকুল হক হীরা ভাই আমাকে আর আকরামকে (আকরাম খান) জাতীয় দলের ক্যাপ দিলেন। ক্যাপ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আজ আমাদের কাছ থেকে নিলে, এবার আমাদেরকে কিছু দাও।”’ শফিকুল হক হীরার এই কথাটি আমিনুলকে আজও ছুঁয়ে যায়।আজ থেকে ২৫ বছর আগে অনেক কিছুই ছিল এ দেশের ক্রিকেটের জন্য নতুন ঘটনা। এশিয়া কাপের আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম (তখন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম) আর চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে (তখন চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম) বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছিল আন্তর্জাতিক মানের উইকেট। ওই সময় ভালো উইকেট তৈরির বিষয়টি জানার মতো লোকও এ দেশে বিশেষ কেউ ছিলেন না। পাকিস্তান থেকে কিউরেটর এনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তৈরি করা হয়েছিল উইকেট।এশিয়া কাপেই প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট দল পেয়েছিল পৃষ্ঠপোষক। বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার’ সেদিন জাতীয় ক্রিকেট দলকে সরবরাহ করেছিল ক্রিকেটের সরঞ্জামাদি।নিজের অভিষেক ম্যাচটি আমিনুল খেলেছিলেন চট্টগ্রামে। সেটাও এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর স্মৃতি তাঁর কাছে, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলাটা ছিল। ভারতীয় দলের বোলিং লাইনআপ তখন কপিল দেব, সঞ্জীব শর্মা, মনিন্দর সিং আর আরশাদ আইয়ুবের সমন্বয়ে গড়া। কপিল দেবের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। মনিন্দর সিং তখন ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁ হাতি স্পিনার। তাঁদেরকে প্রথমবারের মতো মোকাবিলা করে আমরা সবাই রোমাঞ্চিত ছিলাম।’ নির্ধারিত পুরো ৪৫ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল সর্বসাকল্যে ৯৯ রান। ৮ উইকেট হারিয়ে ওই ৯৯ রানই সেদিন দারুণ আনন্দ দিয়েছিল চট্টগ্রামের দর্শকদের। বাংলাদেশের প্রতিটি রানই বিপুল করতালি আর হর্ষধ্বনিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন সবাই। আমিনুল নিজে সেদিন করেছিলেন ১০ রান। দুই অঙ্ক ছোঁয়া সংগ্রহে তাঁর ছিল একটি চারের মার। ব্যাপারটি মনে করিয়ে দিতে রসিকতা করলেন তিনি, ‘দশ রান করেই সেদিন আমি পরের ম্যাচে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছিলাম।’ সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছিল মিনহাজুল আবেদীনের ব্যাট থেকে। আতহার আলী খান করেছিলেন ১৬ রান।আজ ক্রিকেট যে পর্যায়ে এসেছে, ওই দিনের কথা ভাবলে অবাকই লাগে আমিনুলের, ‘সেদিন দর্শক আমাদের প্রতিটি রানকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। আজ তাঁরা জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারেন না। আসলেই আমাদের ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। পথচলার শুরুটা আমরা করেছিলাম। ভাবতে ভালোই লাগে।’আমিনুলের উত্তরসূরি সাকিবরাও একদিন সময়ের হাত ধরে ‘সাবেক’ হয়ে যাবেন। তাঁরাও এমন স্মৃতিচারণা করবেন ২০-২৫ বছর আগের কোনো ঘটনার। আমিনুলের প্রত্যাশা, সাকিবদের সেই স্মৃতিচারণায় যেন উঠে আসে, ‘২৫ বছর আগে বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল, ভাবা যায়!’শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবেই। কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।নির্বাচনকালীন সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবেই। তা ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বর্তমানে ছবিসহ ভোটার তালিকা রয়েছে। তাই কোনোভাবে নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না।’প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে। তাই জ্বালাও-পোড়াও করে, রাতের আঁধারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে কেউ নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।প্রধান বিরোধী দলের উদ্দেশে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আপনারা নির্বাচনে আসুন। খোলা মন নিয়ে আলোচনা করুন। তফসিল ঘোষণা হলেও আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’দুই দলের মহাসচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা স্বীকার করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দুই মহাসচিবের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের বিষয়টি গোপন রাখার কথা ছিল। কিন্তু মিডিয়ার কল্যাণে এটা মানুষ জানতে পারে।’ এ ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি।শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিরোধী দল এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নেই। তাঁদের কাছে এই দাবি গৌণ। তাঁদের প্রধান দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে সরে যেতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ৯০ শতাংশ সাংসদের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এ ছাড়া সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কেবল একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তাই সরকারপ্রধানের পদ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরে যাওয়ার সুযোগ নেই।এর আগে এক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বিএসটিআইয়ের ছয়টি মান গবেষণাগারকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেন। ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মাদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ প্রমুখ।একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ আলোকচিত্র সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যার পেছনে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক কবিরকে সন্দেহ করছে পুলিশ ও নিহতের পরিবার।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা থানায় কবিরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি থানার পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।পুলিশ সূত্র জানায়, আফতাব আহমেদ হত্যার ঘটনায় তাঁর সাবেক দুই গাড়িচালক অলি ও নাজমুলকে গতকাল ডিবির কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গাড়িচালক কবিরকে গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী গাজীপুরে অভিযান চালানো হয়।গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর আফতাবের গাড়িচালক পলাতক। পুলিশের সন্দেহ, অর্থের লোভে গাড়িচালক কবির এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কবির চাকরির সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, তা ছিল ভুয়া।গত বুধবার দুপুরে পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের নিজ বাড়ির শোবার ঘর থেকে হাত-পা ও গলা বাঁধা অবস্থায় আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার আগে তাঁকে কিছু খাইয়ে অচেতন করা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত হতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তিন বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে একা থাকতেন।গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের হিমঘর থেকে আফতাবের লাশ ওয়াপদা রোডের বাসার সামনে নেওয়া হয়। রামপুরা জামে মসজিদে জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁর মরদেহ মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী করবস্থানে দাফন করা হয়। আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা লুট করতেই হত্যা করা হয় বাবাকে। গাড়িচালক কবির প্রধান সন্দেহভাজন। কারণ, ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। আমার সন্দেহ, কবির এককভাবে এ ঘটনা ঘটায়নি। খণ্ডকালীন গৃহকর্মী নাসিমা ছিল বাবার বিশ্বস্ত। ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার সময় তার কাছে বাবা একাধিকবার বাড়ির চাবি রেখে যেতেন। হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।’ |
অধ্যায়-৩ প্রিয়শিক্ষার্থী, আজ চারু ও কারুকলা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।১. বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার লোগো করেছিলেন কে?ক. শিল্পী হাশেম খানখ. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনগ. শিল্পী ইমদাদ হোসেন ঘ. শিল্পী রফিকুন নবীউত্তর: ক. শিল্পী হাশেম খান২. ‘উপকরণই প্রথম নয়, ছবি আঁকার ক্ষেত্রে অদম্য ইচ্ছাই যথেষ্ট’—উক্তিটি কোন শিল্পীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?ক. শিল্পী পাবলো পিকাসো খ. যামিনী রায়গ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘউত্তর: খ যামিনী রায়৩. কৃষ্ণলীলার শিল্পী কে?ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরগ. যামিনী রায় ঘ. নন্দলাল বসুউত্তর: গ. যামিনী রায়৪. রং তৈরিতে কোন শিল্পী আদিম মানুষদের কৌশল বেছে নিয়েছিলেন?ক. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘ খ. পাবলো পিকাসোগ. নন্দলাল বুস ঘ. যামিনী রায়উত্তর: ঘ. যামিনী রায়৫. তিন নর্তকী ছবিটির শিল্পী কে?ক. পাবলো পিকাসো খ. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘগ. নন্দলাল বসু ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরউত্তর: ক. পাবলো পিকাসো৬. কোন দিন শিল্পী পাবলো পিকাসো জন্মগ্রহণ করেন?ক. ৩০ অক্টোবর খ. ২৫ অক্টোবরগ. ২০ অক্টোবর ঘ. ২৩ অক্টোবরউত্তর: খ. ২৫ অক্টোবর৭. শিল্পী পাবলো পিকাসো কত বছর বয়সে প্রথম ছবি আঁকেন?ক. ৬ বছর খ. ৪ বছর গ. ৩ বছর ঘ. ৫ বছরউত্তর: গ. তিন বছর৮. শিল্পী পাবলো পিকাসো কোন দেশে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন?ক. স্পেন খ. মালগা গ. জার্মানি ঘ. ফ্রান্সউত্তর: ঘ. ফ্রান্স৯. পাঠ্যবইয়ের গুয়ের্নিকা ছবিটি দেখে তোমার কী মনে হয়?ক. আনন্দের মুহূর্ত খ. ভয়ানক কোনো দৃশ্যগ. সাধারণ কোনো দৃশ্য ঘ. বর্ণনামূলক দৃশ্যউত্তর: খ. ভয়ানক কোনো দৃশ্য১০. তীব্র হতাশায় ক্রমেই উন্মাদনায় পৌঁছালেন কোনো শিল্পী?ক. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘ খ. পাবলো পিকাসোগ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. যামিনী রায়উত্তর: ক. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘ১১. শিল্পচর্চার শুরুর প্রথমে দেবদেবীর মূর্তিসহ পুতুল তৈরি করতেন কোনো শিল্পী?ক. যামিনী রায় খ. নন্দলাল বসুগ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরউত্তর: খ. নন্দলাল বসু১২. কোনো শিল্পী শেষজীবনে ছাপচিত্রের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়েছিলেন?ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরগ. নন্দলাল বসু ঘ. যামিনী রায়উত্তর: গ. নন্দলাল বসু১৩. পাঠ্যবইয়ের ক্ষীরের পুতুল কোনো শিল্পীর আঁকা?ক. নন্দলাল বসু খ. যামিনী রায়গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরউত্তর: ঘ. অবনীন্দনাথ ঠাকুর১৪. ঠাকুরবাড়িতে বিচিত্রা সংঘ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?ক. ১৯২৭ সালে খ. ১৯১২ সালেগ. ১৯১৬ সালে ঘ. ১৯০২ সালেউত্তর: গ. ১৯১৬ সালে১৫. নৃত্যরত রমণী কোন শিল্পীর আঁকা?ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. পাবলো পিকাসোগ. ভিনসেন্ট ভ্যানগঘ ঘ. যামিনী রায়উত্তর: ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।১৬. শিল্পী যামিনী রায় মৃত্যুবরণ করেন—ক. ১৯৭২ সাল খ. ১৯৭৪ সালগ. ১৯৬৯ সাল ঘ. ১৯৭১ সালউত্তর: ক. ১৯৭২ সাল।সিনিয়র শিক্ষক, বাংলাদেশ ব্যাংক আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকাপ্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রথম আলো ডটকমকে জানান মন্ত্রণালয়টির সচিব আবদুস সোবহান সিকদার।এ ব্যাপারে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ‘আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ লাভজনক। আর লাভজনক পদে থেকে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। তাই আমি নিজেই পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই হিসেবে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তবে এর আগে ৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের তৃণমূল বৈঠকে হানিফ এই পদটিকে ‘অলাভজনক’ বলে দাবি করেছিলেন।৯ অক্টোবরের বৈঠকে হানিফের কিছু কর্মকাণ্ডে ‘ক্ষুব্ধ হয়ে’ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ করে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের কথা বলেছিলেন।আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ায় হানিফের ওপর বিরক্ত ছিলেন। কেন এ কমিটি ভাঙা হলো, বিষয়টি হানিফের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে বিরক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।৯ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে হানিফকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান। তাঁরা বলেন, হানিফের নেতৃত্বে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ বলেন, এ আসনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ আসনে হানিফ একমাত্র জনপ্রিয় প্রার্থী।তখন শেখ হাসিনা বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ) অনুযায়ী হানিফ নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে আছেন। জবাবে হানিফ বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশন থেকে জানতে পেরেছেন পদটি লাভজনক নয়। তাঁর নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই। শেখ হাসিনা হানিফকে বলেন, ‘তোমাকে আমি এখানে এনেছি। পদত্যাগ করে নির্বাচন করে দেখ, তুমি কয়টা ভোট পাও।’ জবাবে হানিফ বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি পদত্যাগ করব।’ শেখ হাসিনা তত্ক্ষণাত্ বলেন, ‘তুমি পদত্যাগ কর।’ এ ঘটনার পর হানিফকে গণভবনে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছিল, যেকোনো সময় তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আজই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।সম্প্রতি কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির গবেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন ‘র্যানসম’ নামের একটি ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাত্ এবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে এই ভাইরাসটি। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।র্যানসম ভাইরাসটির কার্যকলাপকে বিশেষজ্ঞরা চাঁদাবাজির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁদের মতে, ধরনের র্যানসমওয়্যারের ভেতরে এক ধরনের এনক্রিপটর থাকে। এই এনক্রিপটর কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভের তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করতে পারে। এরপর বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে বলে।ম্যাকাফির গবেষকেরা জানান, সাইবার দুবৃর্ত্তরা অর্থ গ্রহণ করতে অপরিচিত বিভিন্ন পেমেন্ট গ্রহণ করে। এ ছাড়াও অর্থ পরিশোধের পর কম্পিউটার থেকে ভাইরাস সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা সরিয়ে ফেলে না।ম্যাকাফি জানিয়েছে, এ বছরের গত কয়েকটি প্রান্তিক জুড়েই র্যানসামওয়্যার সমস্যা তৈরি করছে যা এই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। কম্পিউটারের ভাইরাসের পাশাপাশি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ম্যালওয়্যার বাড়ছে বলেও সতর্ক করেছেন ম্যাকাফির গবেষকেরা।এর আগে যুক্তরাজ্যের কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, ‘র্যানসম’ নামের একটি ভাইরাস লাখ লাখ কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইন্টারনেটে দুর্বৃত্তরা মেইলে ধোঁকাবাজির মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ছড়াতে পারে, যা একবার কম্পিউটারে ইনস্টল হয়ে গেলে কম্পিউটার লক হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহারকারীকে এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য বলে।এ প্রসঙ্গে গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, স্প্যাম মেইলগুলোর অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক না করা এবং হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’হেফাজতে ইসলামের সহিংস ঘটনায় পুলিশ সদস্য শাহজাহান হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।অন্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। গত ৮ নভেম্বর মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা ওই মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় হুকুমের আসামি এবং মদদদাতা হিসেবে পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান আগামী ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।এর আগে ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও হান্নান শাহকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। গতকাল তাঁদের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।৫ মে রাতে মতিঝিলে হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সকাল থেকেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেন হেফাজতের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীরাও যোগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সহিংস ঘটনায় ৬ মে ভোরে পুলিশ সদস্য শাহজাহান মারা যান। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা করা হয়।একই ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলায় ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়ার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ৬ ডিসেম্বর ভোর সোয়া চারটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।সাখাওয়াত ও শাম্মী কারাগারে: গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় বিএনপির নেতা সরদার সাখাওয়াত হোসেন ও শাম্মী আখতারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এই আদেশ দেন। শুনানি শেষে আদালত সাখাওয়াত হোসেনকে আট কার্যদিবস ও শাম্মী আখতারকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।গতকাল রাজধানীর ভাটারা থানার এপ্রিলে দায়ের হওয়া মামলায় সাখাওয়াত হোসেনকে পাঁচ দিন এবং জানুয়ারিতে বনানী থানায় হওয়া মামলায় শাম্মী আখতারকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।গত বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে থেকে শাম্মী আখতার ও সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। |
সঠিক প্রশ্নোত্তর অংশ-১৫প্রিয় সমাপনী পরীক্ষার্থী, আজ দেওয়া হলো ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১ নম্বর প্রশ্নটি অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’-এর ওপর প্রশ্নোত্তর।অধ্যায়-২৬৪. মুসলমানদের বিশ্ব সম্মেলন কোনটি?ক. বিশ্ব ইজতেমা খ. হজগ. শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত ঘ. ঈদুল ফিতরউত্তর: খ. হজ।৬৫. জাতীয় জীবনে হজ কী সৃষ্টি করে?ক. বিশ্বভ্রাতৃত্ব খ. সবার প্রতি মায়াগ. কাজের মনোভাব ঘ. মুসলমানদের ভালোবাসাউত্তর: ক. বিশ্বভ্রাতৃত্ব।৬৬. হজ মানুষের কোন ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়?ক. দেহের ময়লা খ. অতীত জীবনের গুনাহগুলোগ. কৃপণতার ময়লা ঘ. অর্থ-সম্পদের ময়লাউত্তর: খ. অতীত জীবনের গুনাহগুলো।৬৭. হজের প্রধান কাজ কী?ক. সাম্য বজায় রাখা খ. ঐক্য স্থাপনগ. ইহরাম বাঁধা ঘ. ভ্রাতৃত্ব স্থাপনউত্তর: গ. ইহরাম বাঁধা।৬৮. ‘কোরবানি’ শব্দের অর্থ কী?ক. উৎসর্গ খ. দাসত্ব গ. সংকল্প করা ঘ. ইচ্ছা করাউত্তর: ক. উৎসর্গ।৬৯. কোরবানি করা কী?ক. ফরজ খ. ওয়াজিব গ. সুন্নত ঘ. নফলউত্তর: খ. ওয়াজিব।৭০. কোরবানি আল্লাহ তাআলার কোন নবীর নিষ্ঠা ও অপূর্ব ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে?ক. হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরত আলী (রা.)খ. হজরত ইসমাইল (আ.)ও হজরত দাউদ (আ.)গ. হজরত নূহ (আ.) ও হজরত ইব্রাহিম (আ.)ঘ. হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)উত্তর: ঘ. হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)।৭১. কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য কী?ক. কোরবানির মাংস ভক্ষণ করাখ. পাড়া-প্রতিবেশীকে দেখানোগ. গরিব-মিসকিনকে দান করাঘ. পশুত্বকে হত্যা করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলাউত্তর: ঘ. পশুত্বকে হত্যা করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলা।৭২. কী রকম পশু কোরবানি করতে হয়?ক. স্বাস্থ্যবান ও ল্যাংড়া খ. স্বাস্থ্যবান ও সুদর্শনগ. স্বাস্থ্যহীন ও সুদর্শন ঘ. যেকোনো পশুউত্তর: খ. স্বাস্থ্যবান ও সুদর্শন।৭৩. কোরবানির গোশত সাধারণত কয় ভাগ করা যায়?ক. তিন ভাগ খ. চার ভাগ গ. পাঁচ ভাগ ঘ. ছয় ভাগউত্তর: ক. তিন ভাগ।৭৪. কোরবানির গোশত কত ভাগ নিজেদের জন্য রাখা যাবে?ক. এক ভাগ খ. দুই ভাগ গ. তিন ভাগ ঘ. চার ভাগউত্তর: ক. এক ভাগ।৭৫. হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে কী দেখলেন?ক. স্ত্রী হাজিরাকে জনমানবশূন্য মরুভূমিতে রেখে এসেছেনখ. শিশুপুত্র ইসমাইল পানিতে ডুবে মারা গেছেনগ. প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতেঘ. তাঁর স্ত্রী ও পুত্র গভীর বিপদে পতিত হয়েছেউত্তর: গ. প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতে।শিক্ষক, বিএমটিটিআই, গাজীপুরপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন আজ রোববার সূচকের বড় উল্লম্ফন লক্ষ করা গেছে দেশের শেয়ারবাজারে। বেলা আড়াইটায় দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে দুই বাজারে।এ দিকে হরতাল চললেও নির্ধারিত সময়ে অর্থাত্ সকাল সাড়ে ১০টায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। হরতালের কারণে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। তবে অনেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বাজারের খোঁজখবর নেন এবং লেনদেন সারেন বলে একাধিক হাউস সূত্রে জানা যায়।প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে আজ ২৫০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। আজ সিএসইতে ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন এই বাজারে ১৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়।এদিকে ডিএসইতে লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি সূচকের বড় ধরনের উত্থান লক্ষ করা গেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক প্রায় তিন শতাংশ অর্থাত্ ১১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯০৯ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইর পাশাপাশি সিএসইতেও সূচক বেড়েছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৩৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে।আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৯টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে নয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।এদিকে ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এনভয় টেক্সটাইল, আরগন ডেনিমস, ইউসিবিএল, গ্রামীণফোন, মালেক স্পিনিং, অ্যাকটিভ ফাইন, গোল্ডেন সন, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, এনবিএল প্রভৃতি।বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার (জিএসপি) সঙ্গে টিকফা চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।গতকাল সোমবার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম (টিকফা) চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সম্মেলনকক্ষে চুক্তিটি সই হয়। এ বিষয়ে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই হওয়া টিকফা চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছর ধরেই টিকফা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যবিষয়ক আলোচনার জায়গা তৈরির জন্য একটি ফোরাম গঠনের দরকার ছিল। সে ফোরাম গঠনের জন্যই টিকফা চুক্তি করা হয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘একক কোনো দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান রপ্তানি গন্তব্যস্থল। সেই দেশে কীভাবে আরও পণ্য রপ্তানি করা যায়, এখন সেই চেষ্টা করা হবে।’গত ১৭ জুন বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। টিকফা চুক্তির ফলে সেই জিএসপি সুবিধা এখন পাওয়া যাবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকফার সঙ্গে জিএসপির কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় টিকফা ফোরামের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে জিএসপির সুবিধা বহাল রাখার দাবি তুলে ধরা হবে।’গতকাল এই চুক্তিটি হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের স্বাগত জানানোর বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানান ।দেশে সব দলের অংশ গ্রহণের নির্বাচন হবে কি না, এমন বিষয় নিয়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে তখন টিকফা চুক্তি করা হয়েছে কোন বিবেচনায়? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে কোনো রাজনৈতিক বিষয় কাজ করেনি। জনগণের কল্যাণের জন্য এটা করা হয়েছে।গত ২৭ জুন এটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে, প্রক্রিয়া শেষ হতে এতটা দেরি হয়ে গেছে।সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সই হওয়া টিকফা চুক্তির অনুলিপি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা সই হলোরাজধানী পুরানা পল্টন মোড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে বেপরোয়া গতির ট্রাক কেড়ে নিয়েছে কলেজছাত্রসহ দুজনের প্রাণ। নিহত দুজন হলেন ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র পারভেজ আহমেদ (২৩) ও তাঁর খালাতো ভাই আবদুস সালাম (২৫)।পুলিশ জানায়, ভোর পাঁচটার দিকে একটি ট্রাক পল্টন মোড়ে পেছন থেকে একটি রিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই রিকশার যাত্রী পারভেজ ও সালাম গুরুতর আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।পারভেজের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের পূর্ব দপ্তরপাড়ায়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পারভেজ ছিলেন বড়। সালাম মা-বাবার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরের ব্যাটারিঘাট বড়গ্রামে থাকতেন। তিনি রেস্তোরাঁর ব্যবসা করতেন। সালামের মা সানোয়ার বেগম জানান, পারভেজ তাঁদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন। পাঁচ দিন আগে সালামকে নিয়ে পারভেজ জামালপুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ট্রেনে গতকাল ভোরে কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে দুই ভাই রিকশায় কামরাঙ্গীরচরের বাসায় আসছিলেন।পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় রিকশাচালকও আহত হন। |
সঠিক প্রশ্নোত্তর অংশ-১৫প্রিয় সমাপনী পরীক্ষার্থী, আজ দেওয়া হলো ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১ নম্বর প্রশ্নটি অর্থাৎ ‘সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ’-এর ওপর প্রশ্নোত্তর।অধ্যায়-২৬৪. মুসলমানদের বিশ্ব সম্মেলন কোনটি?ক. বিশ্ব ইজতেমা খ. হজগ. শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত ঘ. ঈদুল ফিতরউত্তর: খ. হজ।৬৫. জাতীয় জীবনে হজ কী সৃষ্টি করে?ক. বিশ্বভ্রাতৃত্ব খ. সবার প্রতি মায়াগ. কাজের মনোভাব ঘ. মুসলমানদের ভালোবাসাউত্তর: ক. বিশ্বভ্রাতৃত্ব।৬৬. হজ মানুষের কোন ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়?ক. দেহের ময়লা খ. অতীত জীবনের গুনাহগুলোগ. কৃপণতার ময়লা ঘ. অর্থ-সম্পদের ময়লাউত্তর: খ. অতীত জীবনের গুনাহগুলো।৬৭. হজের প্রধান কাজ কী?ক. সাম্য বজায় রাখা খ. ঐক্য স্থাপনগ. ইহরাম বাঁধা ঘ. ভ্রাতৃত্ব স্থাপনউত্তর: গ. ইহরাম বাঁধা।৬৮. ‘কোরবানি’ শব্দের অর্থ কী?ক. উৎসর্গ খ. দাসত্ব গ. সংকল্প করা ঘ. ইচ্ছা করাউত্তর: ক. উৎসর্গ।৬৯. কোরবানি করা কী?ক. ফরজ খ. ওয়াজিব গ. সুন্নত ঘ. নফলউত্তর: খ. ওয়াজিব।৭০. কোরবানি আল্লাহ তাআলার কোন নবীর নিষ্ঠা ও অপূর্ব ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে?ক. হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরত আলী (রা.)খ. হজরত ইসমাইল (আ.)ও হজরত দাউদ (আ.)গ. হজরত নূহ (আ.) ও হজরত ইব্রাহিম (আ.)ঘ. হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)উত্তর: ঘ. হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)।৭১. কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য কী?ক. কোরবানির মাংস ভক্ষণ করাখ. পাড়া-প্রতিবেশীকে দেখানোগ. গরিব-মিসকিনকে দান করাঘ. পশুত্বকে হত্যা করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলাউত্তর: ঘ. পশুত্বকে হত্যা করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলা।৭২. কী রকম পশু কোরবানি করতে হয়?ক. স্বাস্থ্যবান ও ল্যাংড়া খ. স্বাস্থ্যবান ও সুদর্শনগ. স্বাস্থ্যহীন ও সুদর্শন ঘ. যেকোনো পশুউত্তর: খ. স্বাস্থ্যবান ও সুদর্শন।৭৩. কোরবানির গোশত সাধারণত কয় ভাগ করা যায়?ক. তিন ভাগ খ. চার ভাগ গ. পাঁচ ভাগ ঘ. ছয় ভাগউত্তর: ক. তিন ভাগ।৭৪. কোরবানির গোশত কত ভাগ নিজেদের জন্য রাখা যাবে?ক. এক ভাগ খ. দুই ভাগ গ. তিন ভাগ ঘ. চার ভাগউত্তর: ক. এক ভাগ।৭৫. হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে কী দেখলেন?ক. স্ত্রী হাজিরাকে জনমানবশূন্য মরুভূমিতে রেখে এসেছেনখ. শিশুপুত্র ইসমাইল পানিতে ডুবে মারা গেছেনগ. প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতেঘ. তাঁর স্ত্রী ও পুত্র গভীর বিপদে পতিত হয়েছেউত্তর: গ. প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতে।শিক্ষক, বিএমটিটিআই, গাজীপুরপরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালআওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা আজ রোববার রাতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ ও সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় বোর্ডের সচিব আশরাফুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।এদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ১৪-দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী।ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং অক্সিজেন মোড় থেকে আজ মঙ্গলবার ২৮ কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সোনার দাম প্রায় ১৩ কোটি টাকা।ঢাকা: বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার ওয়াজেদ আলী আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কুয়ালালামপুর থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৬০টি সোনার বার উদ্ধার করেন। এগুলোর ওজন ১৮ কেজির বেশি, যার দাম প্রায় আট কোটি টাকা।সম্প্রতি ‘প্রথম আলো’র অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত দুই বছরে এক রতি সোনা আমদানিরও শুল্ক পায়নি সরকার। অথচ বাজারে সোনা সরবরাহের কমতি নেই। এই ব্যবসার পুরোটাই এখন পাচারের ওপর নির্ভরশীল।চট্টগ্রাম: বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ আল জামান জানান, দোহা-দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় উড়োজাহাজের যাত্রীদের হাতব্যাগ রাখার স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৬০টি সোনার বার পাওয়া যায়। কে বা কারা এসব স্বর্ণবার নিয়ে এসেছে, তা শনাক্ত করা যায়নি। এসব সোনার ওজন প্রায় সাত কেজি, যার দাম প্রায় তিন কোটি টাকা।কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, এটি নিয়ে চলতি মাসে ছয়টি চালানে প্রায় ৪০ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে।বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দেওয়ান নগর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ২৬টি সোনার বার নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নগরের কোতোয়ালি যাচ্ছিলেন। অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে সোনার বারগুলো উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন তিন কেজি, যার দাম দুই কোটি টাকা। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় মামলা হয়েছে।গত শনিবার নগরের রেলস্টেশন এলাকায় বইয়ের ভেতর রাখা অবস্থায় পাঁচটি সোনার বার আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শফিকুর রহমান নামের এক যুবককে আটক করা হয়।জরুরি ভিত্তিতে দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দক্ষিণ সুদানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শান্তিরক্ষী পাঠানোর বিশেষ অনুরোধ করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব জরুরি ভিত্তিতে একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি সামরিক হাসপাতাল ইউনিট, সামরিক পরিবহন বিমান এবং সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। সেই অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ সুদানে সেনা ও সরঞ্জামাদি পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী। |
বিপিন বাবুর দোকানটা যে দেখতে ভারি ময়লা,খদ্দেররা এসে বলে, ‘কী খেতে দিয়েছ, কয়লা?’বিপিন বাবু চমকে উঠে জিবে দেন কামড়,ভুল শুধরে খেতে দেন মজার মজার পাপড়।বিপিন বাবু বসলেন একদিন দোকানের ক্যাশেবেচারা বিপিন থাকেন রাতে সস্তা এক মেসে।পাড়ার ছেলেরা দুষ্টু ভীষণ, রাগাতে চায় তাঁকেহোটেল থেকে ফেরার পথে ঢিল ছোড়ে এক ফাঁকে।খদ্দেররা খেয়ে চলে যায় দাম না মিটিয়েধরতে পারলে বিপিন দেন আচ্ছামতো পিটিয়ে।সে কারণে বিপিন বাবুর হোটেলটা আজ খালিবাবুর্চি বসে মুড়ি দিয়ে ভাজে রাস্তার বালি!নবম শ্রেণী, বরিশাল মডেল স্কুল ও কলেজগত আগস্টে মুক্তি পাওয়া ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই দোবারা’ ছবিতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহীমের ছায়া অবলম্বনে শোয়েব খান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘খিলাড়ি’ তারকা অক্ষয় কুমার। এবার মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে ফোনে মৃত্যুর হুমকি পেলেন তিনি। পলাতক গ্যাংস্টার রবি পূজারি পরিচয় দিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলিউডের এ তারকা অভিনেতাকে।চাঁদা দাবি করে বলিউডের তারকাদের ফোনে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি মোটেও নতুন কিছু নয়। অক্ষয় ঠিক কী কারণে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে। কারণ, পরপর কয়েকটি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয়ের কল্যাণে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জন করেছেন ৪৬ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পরপরই বিষয়টি মুম্বাই পুলিশকে জানানো হয়। এর মধ্যেই অক্ষয়ের পক্ষ থেকে জুহু পুলিশ স্টেশনে লিখিত একটি আবেদনও পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অক্ষয়কে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি তদন্তকাজ শুরু করে মুম্বাই পুলিশ। প্রকৃত অপরাধীকে ধরার জন্য সব ধরনের তত্পরতা চালাচ্ছে পুলিশ।অক্ষয়ের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে ফোনে হুমকি পেয়েছেন প্লেব্যাক গায়ক সনু নিগম, নির্মাতা-প্রযোজক করণ জোহর, রাম গোপাল ভার্মা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুর।থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনে চাপের মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল সোমবার রাজধানী ব্যাংকক ও আশপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গতকাল সরকারবিরোধীরা দেশটির অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ইংলাক জরুরি অবস্থা জারি করেন।রাজধানী ব্যাংকক ও এর আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন) জারি করার পর প্রধানমন্ত্রী ইংলাক বলেন, ‘সরকার যখন কোনো আইন জারি করে, তখন তা জনগণের ওপর প্রয়োগ করার জন্য করে না। সরকার জনগণকে কোনো অবৈধ আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার ও আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে।’শত শত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী গতকাল প্রথমে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, পরে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় এ দুই মন্ত্রণালয় চত্বরে প্রায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা ছিল না।ইংলাকের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইংলাক তাঁর ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের আকাশ নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী বিমানবাহিনী গঠনের বিকল্প নেই। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে শীতকালীন কুচকাওয়াজে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী, পেশাদার ও আধুনিক বিমানবাহিনী অপরিহার্য।বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকসহ মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিমানবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত তরুণ কর্মকর্তাদের আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।’রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বিমানবাহিনী ২০২১ সাল নাগাদ অত্যাধুনিক শক্তিশালী ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে। বাসস। |
পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ওই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা। গত কয়েক দিনের ওই বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে অনেক লোক হতাহত হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার একটি সম্পাদকীয় ছেপেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। প্রথম আলো ডটকমের পাঠকদের জন্য সেই সম্পাদকীয়টি প্রায় হুবহু বঙ্গানুবাদ করা হলো।পোশাকশিল্পে তিন বছর আগে বাড়ানো ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সম্প্রতি অসংখ্য শ্রমিক বিক্ষোভ করেছেন। সরকার শ্রমিকদের দুর্দশার প্রকৃত চিত্র আমলে না নিয়ে বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার মধ্য দিয়ে।সরকারের এই বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পোশাকশিল্পের সমস্যার প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির নেতাদের নিস্পৃহতার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।অনবরত মুদ্রাস্ফীতি থাকা সত্ত্বেও ২০১০ সাল থেকে সরকার পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৩৮ ডলার থেকে বাড়ায়নি। ২০০৬ সালে প্রথম ওই বেতন বাড়ানো হয়েছিল। শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যূনতম মজুরি প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে ১০০ ডলারে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন। আর কারখানার মালিকেরা প্রস্তাব দিয়েছেন ৪৬ ডলার। কিন্তু তাঁরা (মালিকেরা) বেশি দিতেই পারেন। কারণ চীনে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বেশি হওয়ায় ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করছে। এতে করে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।গত বছর বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি করে ১৯ বিলিয়ন ডলার (এক হাজার ৯০০ কোটি) আয় করে, যা দুই বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ।বিশ্বে শ্রমিকদের কম বেতন দেওয়া দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। সাড়ে ১৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটির অনেক অদক্ষ লোক গ্রামে থেকে দারিদ্র্য ভোগ না করে পোশাক কারখানাগুলোতে চাকরি নেন। কিন্তু সরকার তাঁদের কম মজুরি পেতে ভূমিকা রেখেছে। আর বাংলাদেশের আইনপ্রণেতারা (সাংসদ বা মন্ত্রী) মালিকদের সঙ্গে মিলে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন, যাতে করে শ্রমিকেরা মজুরি বাড়ানোর চেষ্টা না করতে পারেন।শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর জন্য দর-কষাকষি করতে সমন্বিত চুক্তিও (আইন) খুব কম। সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া শ্রম আইনও শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে খুব একটা ভূমিকা রাখবে না। যথাযথ আইন না থাকায় শ্রমিকেরা কেবল কম বেতনই পাচ্ছে না, তাঁদের কর্মপরিবেশও কম নিরাপদ হচ্ছে।চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর অদূরে একটি দুর্বল ভিত্তির কারখানা (সাভারে রানা প্লাজা) ধসে এক এক হাজার ১০০-র বেশি শ্রমিক মারা যান। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন শত শত শ্রমিক।এ অবস্থায় শ্রমিকেরা রাস্তায় নামলে বিস্ময়ের কিছু থাকে না। সাম্প্রতিক ওই বিক্ষোভে দুই লাখের বেশি শ্রমিক যোগ দিয়েছেন এবং তাঁদের অনেকেই সহিংস আচরণ করেছেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা একজনের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক আহত হন।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশ উভয়েরই সংযত আচরণ করা উচিত। তবে বেশির ভাগ নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীকে শান্ত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে হাসিনা সরকারের উচিত তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রবার বুলেট ব্যবহার বন্ধ করা। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের (সরকার) উচিত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন (শ্রমিক সংঘ) করার সুযোগ দেওয়ার পথও সহজ করতে হবে সরকারকে।কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে তাগিদ দিতে শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেওয়া উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ প্রক্রিয়া (কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন) আসন্ন মাসগুলোতে শুরু করা দরকার।সুইডেনের খুচরা পোশাক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএমসহ কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে সরকারকে তাগিদ দিয়েছে। আরও পশ্চিমা কোম্পানির উচিত এইচঅ্যান্ডএমকে অনুসরণ করা। বাংলাদেশের কারখানায় শান্তি আনতে তাদের (পশ্চিমা কোম্পানি) সবারই ভূমিকা আছে যেটি (শান্তি) বেতন বাড়ানো ছাড়া নিশ্চিত হবে না।বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে আজ রোববার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল। হরতাল শুরুর আগে ও পরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় হরতালকারীরা বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও মিছিল করেছে। পুলিশ এসব ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করেছে। গাবতলী: ভোর চারটার দিকে গাবতলী বিআরটিসি বাস ডিপোতে থেমে থাকা দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাস দুটির আসনগুলো পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করে দারুস সালাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের মিরপুর বিভাগীয় উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বিআরটিসির কোনো কর্মচারী এ ঘটনার জন্য জড়িত বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। ডিপোর পাশে উঁচু দেয়াল। সেটা টপকে বাইরের কারও পক্ষে আগুন দেওয়া কঠিন। এ কারণে সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির নাম বলতে পারেননি তিনি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা নীলুফার ইয়াসমিন জানান, এতে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।মিরপুর: ভোর ছয়টার দিকে মিরপুর প্রশিকা ভবনের মোড়ে ব্যানার নিয়ে মিছিল করে ছাত্রশিবির। পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের এই এলাকায় বড় কোনো নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ পেট্রলবোমা ও লিফলেট পাওয়া যায়।তেজগাঁও: ভোর ছয়টার দিকে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের গলিতে ব্যানার হাতে মিছিল করে যুবদল। সেখানে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ছাত্রদলের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী নাবিস্কো মোড়ের উত্তরপাশে মিছিল বের করেন। তাঁরা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে।এদিকে শ্যামলী রিং রোডে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগীয় পুলিশের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।সবুজবাগ: র্যাব-৩-এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, র্যাব-৩-এর কমান্ডার মেজর আলী আহসানের নেতৃত্বে একটি দল আজ ভোরে সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মো. রূপচান হোসেন, মো. জাকির ওমেদ আলী ও মো. মামুন নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল, চার লিটার পেট্রল ও ছয়টি কাঁচের বোতল উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কেরানীগঞ্জ: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে আটটার দিকে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর কাছে ছয়-সাতটি যানবাহন করে এসে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুপন মিয়া, যুবদলের সদস্য মিরাজ হোসেন, ছাত্রদল নেতা মো. সেলিম। তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন হরতালে ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও চারজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমি ওই এলাকায় ছিলাম না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’এদিকে ভোর ছয়টার দিকে ঢাকা-মাওয়া রুটের আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হরতালকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক: ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের মধ্যে আজ রোববার রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক (সিআই) মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল রাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে।মতিঝিল-পল্টন: এদিকে হরতাল চলাকালে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে এসব এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সড়কগুলোতে বাস চলাচল অন্য হরতালের তুলনায় কম লক্ষ করা গেছে। তবে রিকশা, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটো রিকশা চলাচল করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।পুলিশের মতিঝিল থানার ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক (পিআই) শেখ আবুল বাশার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মতিঝিলের বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ব্যাংক ও শেয়ারবাজার: হরতালের মধ্যে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। মতিঝিলের দিলকুশা ব্যাংকপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক বন্ধ থাকলেও বিকল্প পথে গ্রাহকেরা সেবা নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে হরতালের কোনো প্রভাব নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম বলে একাধিক হাউস সূত্রে জানা গেছে।নাশকতায় বিরোধী দলের যেসব নেতা মদদ দেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবরোধবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সাংবাদিকদের হানিফ এ কথা বলেন।হানিফ বলেন, ‘সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এতে বিরোধী দলও অংশ নেবে বলে আমি আশা করি। নির্বাচন ঠেকানোর সুযোগ, অধিকার ও সক্ষমতা কারও নেই।’বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘অবশ্যই। বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেও এখন দেশবাসীর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। জনগণ বিরোধী দলের নাশকতা চায় না। তারা নির্বাচনী তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে। আজকের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তারই প্রমাণ।’এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বন্ধ গণমাধ্যম চালু ও আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তিসহ কয়েকটি দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি। |
১১ বছরের শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে নির্যাতন করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহানকে আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আদুরি রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে নওরীনের বাসায় কাজ করত। তাকে গত রোববার বিকেলে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিনে অর্ধমৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণমাধ্যমে খবর বের হওয়ার পর আজ সকালে আদুরির মা সাফিয়া বেগম হাসপাতালে আসেন। তাঁর কাছ থেকে আদুরির কর্মস্থলের খোঁজ পায় পুলিশ।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কর্মকর্তারা আজ গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহানকে গ্রেপ্তার করেই। এরপর তাঁকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নওরীন গৃহকর্মী আদুরিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, দুই মাস আগে আদুরি টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। এরপর তাঁরা কোনো খোঁজ করেননি। থানায় কোনো মামলা বা জিডিও করেননি। তাঁর এ বক্তব্য অসত্য ও অবিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, নির্যাতিত শিশুটির ভাষ্যমতে, তাকে গৃহকর্ত্রী নওরীন, তাঁর বোন পুষ্পিতা ও মা ইশরাত জাহান মারধর করতেন। গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন, ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে দিতেন। তবে শিশুটিকে কেন এভাবে নির্যাতন করা হলো, তার বিশদ ঘটনা এখনো জানা যায়নি। তবে গৃহকর্ত্রীর নিজেরও দুটি শিশুকন্যা রয়েছে।ফাতিমা ইয়াসমিন জানান, আজ সকালে আদুরিকে ওয়ার্ড থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই আদুরির মা সাফিয়া বেগম কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে সেখানে আসেন।আদুরির মা জানান, তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠিতে। কয়েক মাস আগে পটুয়াখালীর ঠিকাদার চুন্নু মিয়ার মাধ্যমে আদুরিকে ঢাকায় কাজে পাঠানো হয়।পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া নওরীনের স্বামী সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ কথিত এমএলএম (বহু ধাপ বিপণন) ব্যবসা করতেন। প্রতারণার অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই পলাতক।এদিকে ‘ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মানবতা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন আজ ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত হয়েছে।ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মানবতাস্বাগতিক দেশ হিসেবেও যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ না পাওয়া যায়, এর চেয়ে বড় আক্ষেপ আর কী হতে পারে! এমন এক আশঙ্কার সামনে বাংলাদেশ। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে হয়তো না-ও খেলতে পারে বাংলাদেশ। কারণ স্বাগতিক দেশ হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না বাংলাদেশের। চূড়ান্ত লড়াইয়ে জায়গা করে নেওয়ার জন্য আগে খেলতে হবে প্রথম পর্ব, আগেই সেটা জানা গিয়েছিল। এ নিয়ে স্বাগতিক দর্শকদের হাহাকার আরও বাড়ল আজ ঢাকার একটি হোটেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সময়সূচি ঘোষণার সময়।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১২টি দল নিয়ে। এবারই প্রথমবারের মতো এখানে অংশ নিতে যাচ্ছে ১৬টি দল। তবে শিরোপা জয়ের মূল লড়াইটা হবে ১০টি দলের মধ্যে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটটি দল সরাসরিই অংশ নেবে এই সুপার টেন পর্যায়ে। র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের বাকি দুই দল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে পেরিয়ে আসতে হবে প্রথম রাউন্ডের বাধা। প্রথম রাউন্ডে আটটি দলের এই লড়াইটা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ২১ মার্চ। এই পর্বের খেলাগুলো হবে সিলেটে।বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ছাড়া বাকি কোন ছয়টি দল এই রাউন্ডে খেলবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে ১৬টি দল। এর থেকেই সেরা ছয়টি দল উঠে আসবে প্রথম রাউন্ডে। আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এই বাছাইপর্ব।বিশ্বকাপের মূল পর্বের ১০ দলের আটটি অবশ্য এরই মধ্যেই নিশ্চিত। এই আট দলকেই দুটো গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। সুপার টেন পর্যায়ে একই গ্রুপে পড়েছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও পাকিস্তান। ২১ মার্চ মিরপুরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের খেলা দিয়েই শুরু হবে চূড়ান্ত পর্বের লড়াই।কক্সবাজারকে ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা বাদ দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই বিশ্বকাপ। এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও সিলেটকে রাখা হয়েছে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে। স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য বাংলাদেশকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আইসিসি। এই কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।প্রস্তুতি নিয়ে অনেকের সংশয় থাকলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপটা বেশ ভালোভাবেই আয়োজন করতে পারবে বলে আশাবাদী আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাম্পবেল জেমিসন। পূর্ব অভিজ্ঞতাই সাহস জোগাচ্ছে জেমিসনকে। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) আয়োজন করেছে। আর খুব সম্প্রতি, ২০১১ সালে বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। এ ছাড়াও ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশ আরও একবার বিশ্বমানের একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারবে।’সুপার টেন গ্রুপ:গ্রুপ ১: শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ১ নম্বর বাছাইগ্রুপ ২: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ২ নম্বর বাছাই‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তারকা আমির খানের ছেলে আজাদ রাও খানের বয়স মাত্র দুই বছর। কিন্তু এই বয়সেই ট্যাপ ড্যান্সের মতো কঠিন নাচের মুদ্রা রপ্ত করে আমিরকে বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছে ছোট্ট আজাদ। তার এই প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে একটু বড় হলেই সে চাইলে তাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আমির।কিছুদিন আগে আমিরের স্ত্রী কিরণ রাও অরুণাচল প্রদেশে ছুটি কাটাতে গেলে আজাদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আমির। তাঁর শুটিং কিংবা মহড়ার সময় পাশেই থাকত আজাদ। ট্যাপ ড্যান্স শিখতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আমির। নাচটি যথেষ্ট কঠিন হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে বাড়িতে এবং ছবির সেটে ঘন ঘন এর চর্চা করতেন তিনি। তখন বাবার এই নাচ খুব মনোযোগ দিয়ে দেখত আজাদ।আমিরের ট্যাপ ড্যান্স দেখতে দেখতে এর কয়েকটি মুদ্রা রপ্ত করে ফেলে ছোট্ট আজাদ। এ প্রসঙ্গে আমিরের কাছের একটি সূত্রের বরাতে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানিয়েছে, আমির হঠাত্ একদিন লক্ষ করেন, তাঁর মতো করেই নাচার চেষ্টা করছে আজাদ। ট্যাপ ড্যান্সের মতো কঠিন নাচের কয়েকটি মুদ্রা সে রপ্ত করে ফেলেছে। প্রবল উত্সাহে আজাদকে নাচতে দেখে বিস্ময় ও আনন্দে অভিভূত হয়ে যান আমির। তিনি হাততালি দিতে থাকেন। প্রচণ্ড আনন্দে সেই হাততালি যেন থামছিলই না। আজাদের এই নাচের আগ্রহ দেখে তাকে নাচ শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। একটু বড় হলেই তাকে নাচের স্কুলে ভর্তি হতে বলবেন আমির। তবে ছেলের ওপর কোনো কিছুই জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন। আজাদ চাইলেই কেবল তাকে নাচ শেখার সুযোগ করে দেবেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিরের মুখপাত্র। রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোকেয়া বেগম ওরফে মিতা (৩৮) নামের এক নারী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। রান্না করার সময় গ্যাসের চুলা থেকে তাঁর শরীরে আগুন ধরে যায়। বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, তাঁর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। |
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালা মিলনায়তনে উদ্বোধন হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ বইমেলা।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত ওই বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।উদ্বোধনী ভাষণে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বইমেলা আমাদের দুদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরও দৃঢ় করবে।’ তিনি ওই বইমেলা আরও বড় পরিসরে করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকায় বাংলাদেশের একটি স্থায়ী বইকেন্দ্র স্থাপনের।এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের পাঁচ হাজার বই এসেছে। এর মধ্যে দুই হাজার নতুন শিরোনামের বই এসেছে। বাংলাদেশের প্রকাশকেরা জানান, ওই বইমেলা কলকাতার বইপ্রিয় মানুষের মন জয় করায় পরবর্তী বইমেলা আরও বৃহত্ আকারে এবং আরও বড় পরিসরে করার উদ্যোগ নেবেন তাঁরা। এবারের বইমেলায় যোগ দিয়েছে বাংলাদেশের ২৮টি প্রকাশনা সংস্থা। মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশের সংস্কৃতিসচিব রণজিত্ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইর প্রধান নির্বাহী ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার আবিদা ইসলাম, কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।বাংলাদেশ থেকে যোগ দেওয়া প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অনন্যা, অন্য প্রকাশ, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, অনুপম প্রকাশনী, অনিন্দ্য প্রকাশ, আগামী প্রকাশনী, আহমদ পাবলিশিং হাউস, এ এইচ ডেভেলপমেন্ট পাবলিশিং হাউস, কথা প্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, বিদ্যা প্রকাশ, বেঙ্গল পাবলিকেশনস, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, প্রথমা প্রকাশন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস, বাংলা প্রকাশ, ভাষাচিত্র, মাওলা ব্রাদার্স, নবযুগ প্রকাশনী, নালন্দা, সময় প্রকাশন, সন্দেশ, সংঘ প্রকাশন, স্বর প্রকাশনী, সাহিত্য প্রকাশ, বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে হরতালের প্রথম দিনে হাসান আলী নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে হরতালকারীরা।আজ রোববার ১৮-দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে বেলা ১১টার দিকে কানসাট ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।হাসান আলী শ্যামপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন জানান, কানসাট ব্রিজ এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মী হাসান আলী ও হারুনের ওপর হামলা চালান শিবিরের কর্মীরা। এ সময় তাঁরা হারুনকে মারধর করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসান আলীর পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তবে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এটি কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। স্থানীয় বিরোধের জের ধরে তাঁকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।এর আগে হরতালকারীরা শিবগঞ্জ উপজেলার ব্র্যাক অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী মোতারফ হোসেন।এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা মোড় থেকে সকাল সাতটার দিকে একটি মিছিল বের করেন শিবিরের কর্মীরা। মিছিল শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন মিছিলকারীরা। পরে বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা পালিয়ে যান।তবে হরতালে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল আলম জানান, জেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ থেকে আজ মঙ্গলবার ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। এসব সোনার ওজন প্রায় সাত কেজি, যার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।দুপুর ১২টার দিকে দোহা-দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজে তল্লাশি চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ আল জামান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দোহা-দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় উড়োজাহাজের যাত্রীদের হাতব্যাগ রাখার স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৬০টি সোনার বার পাওয়া যায়। তবে কে বা কারা এসব স্বর্ণবার এনেছে, তা শনাক্ত করা যায়নি।কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে এই মাসে ছয়টি চালানে প্রায় ৪০ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে।সাতক্ষীরা শহর থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাট। অথচ সেখানে যাওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবরোধ-হরতালে সেখানে যাওয়ার পথ ছিল অবরুদ্ধ। ১৬ ও ২৫ ডিসেম্বর যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েও ফিরতে হয়েছে।মাঝে ১৯ ডিসেম্বর সকালে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাঁকাল চেকপোস্টের কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছে। তখন এক শুভ্যানুধায়ী মুঠোফোনে জানান, আগের রাতেও দেবহাটার ঈদগা বাজারে তিনটি দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পথে পথে চলছে চোরাগোপ্তা হামলা। ফলে আর এগোনো যায়নি।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দেবহাটার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে শহরে কথা হয় ওই উপজেলার কয়েকজনের সঙ্গে। যাঁরা আতঙ্কে গ্রামছাড়া। তাঁরা বললেন, তাঁদের মতো আরও অনেকে গ্রামছাড়া। ওই আতঙ্ক এখনো কাটেনি। অবরোধ-হরতালের সময়ের মতো গাছ কেটে সড়ক অবরোধের চেষ্টা এখনো থামেনি। গত বুধবার রাতেও পথের কোথাও কোথাও গাছ কাটা হয়েছে। ভোরবেলায় যৌথ বাহিনী গাছগুলো সরিয়ে নিয়েছে।সহিংসতা প্রতিরোধে ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে গাজীরহাট এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। জেলা জামায়াতে ইসলামী বিবৃতিতে বলেছে, অভিযানে গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারছেন না। অভিযানের ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগের লোকজন তাঁদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালাচ্ছে।অন্যদিকে হামলা-সহিংসতা আতঙ্কে দেবহাটা ছেড়ে সাতক্ষীরা শহরে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, দেবহাটায় নিজেদের বাড়িতে ফেরার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি।দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা বুধবার শহরে আলাপকালে জানান, এখনো শতাধিক পরিবার বাড়িছাড়া। তিনিও বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ১৩ ডিসেম্বরের পর একবার গ্রামে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে বলে আতঙ্কিত বৃদ্ধা মা একরকম জোর করে তাঁকে শহরে পাঠিয়েছেন।বাড়ি যেতে পারছেন না দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমানও। শহরে আলাপকালে তিনি বলেন, উপজেলার সাংবেড়িয়া এলাকার পাশেই রয়েছে তথাকথিত পাকিস্তানপাড়া। গড়ানবেড়িয়া, নাংলা ও বেজোড়হাটি—এ তিন গ্রামের মানুষ নিজেদের পাকিস্তানপাড়ার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। এ তিন গ্রাম কেন্দ্র করে উপজেলায় নাশকতা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ওই গ্রামগুলোতে যাওয়া হয়নি।সকালে দেবহাটায় রওনা দেওয়ার সময় গাজীরহাটের দেবীশহর গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ ঘোষ মুঠোফোনে জানান, কয়েক দিন ধরে তিনি গ্রামের বাড়ি দেবীশহরে যাচ্ছেন না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি। একসময় আওয়ামী লীগ করতেন। পরে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে আলাপকালে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মরে গেলে এতোকাল পর এমন অপমান সহ্য করতে হতো না।অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান সুভাষের মাছের ঘের ও গাজীরহাটে মাছের আড়ত আছে। এখন আড়ত বন্ধ। ঘেরে মাছ আছে কিন্তু ধরতে পারছেন না। বললেন, ১৯৯১ সালে পুরোনো বাড়ি ভেঙে দোতলা বাড়ি তৈরি করেন। সেখানে তাঁরা পাঁচ ভাই পরিবারের ২১ জন সদস্যকে নিয়ে বাস করতেন। কিন্তু জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর দিন ১৩ ডিসেম্বর সকালে হামলাকারীরা গান পাউডার ছড়িয়ে আগুন দিয়ে বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। চোখের সামনে বাড়িটি পুড়ে গেল। বাড়ি ছেড়ে আসার সময় পরিধানের বস্ত্র ছাড়া তাঁদের আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না।সুভাষ ঘোষ বলেন, ‘কবে যে গ্রামে যেতে পারব তার নিশ্চয়তা নেই।’ তাঁদের গ্রামের তিনটি পরিবার এরই মধ্যে ভারতে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানি না, আমার নিয়তি কী হবে? যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে?’সুভাষের সঙ্গে কথা বলে বেলা ১১টার দিকে দেবীশহর গ্রামে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়ক থেকে কয়েক শ গজ দূরে সুভাষদের বাড়িতে গেলে ফটক খুলে দেন তাঁর ছোট ভাই যোগেশ ঘোষ। ১৩ ডিসেম্বর সকালের পর গতকালই প্রথম বাড়িতে এসেছেন। পুড়ে যাওয়া বাড়িটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টার পরও সর্বত্র ধ্বংস চিহ্ন। উঠানে পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেলের অংশবিশেষ। যোগেশ জানান, সেদিন বাড়িতে থাকা চারটি টেলিভিশন, ছয়টি ফ্রিজ, তিনটি ল্যাপটপ, খাট-পালঙ্ক, ৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুই মন কাসার থালাবাটি, নগদ ১০ লাখ টাকার কিছুই রক্ষা পায়নি। সিলিং ফ্যানগুলোর কয়েকটি খুলে নেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দিয়েছে। ওই সময় তিনি গোসল করতে বেরিয়েছিলেন। পুকুরঘাট থেকে দেখেন বাড়িতে আগুন দিয়েছে। গামছা কাঁধে খালি গায়েই তিনি পালান। পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে, ঘরবাড়ি বসবাসের যোগ্য করে আবার ফেরার চেষ্টা করবেন।দেবীশহর গ্রামেরই মনোরঞ্জন মুখার্জি ১৩ ডিসেম্বর থেকে গ্রামছাড়া। তাঁর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া গেল না। পরে শহরে ফিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মনোরঞ্জন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি। তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়ের পর থেকে দেবহাটায় হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জন্য আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেবহাটায় আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। |
‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সবার কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ। আমাদের দেহগুলো দয়া করে কাটতে দেবেন না। পাশাপাশিই আমাদের কবর দেবেন। আর সবাই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরা একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। বেঁচে থাকতে তো কেউ আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তাদের মনেও কষ্ট দিতে পারব না। তাই এই পথ বেঁচে নিতে বাধ্য হলাম দুজন। ইতি: রমজান + সুখী।’পাঠক, এটি একটি সুইসাইড নোট। দুই তরুণ-তরুণীর আত্মহননের আগে এই চিরকুট লিখে গেছেন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার চৌধুরীহাটে ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর আগে অভিভাবকেরা তাঁদের সম্পর্ক মেনে না নিলেও পাশাপাশি হয়েছে শেষ আশ্রয়। বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে শুয়ে আছে এই জুটি। এখনো তাজা কবর। কবরে গুঁজে দেওয়া খেজুর গাছের ডাল দুটিও সতেজ।রমজান আলী (২০) ও সুখী আকতার (১৬)। চৌধুরীহাটের বারইপাড়া গ্রামে সামনাসামনি দুজনের বাড়ি। দূরত্ব বড়জোর ৫০ গজ। সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইনও (তালতো ভাই-তালতো বোন)। রমজান নোয়াপাড়া কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সুখী নোয়াপাড়া মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পাশাপাশি থাকার সুবাদে কাছাকাছি আসে একে অপরের। একসময় দুটি তরুণ মন স্বপ্ন দেখে ঘর বাঁধার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বও আরেকটি প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে। তিন বছর আগে রমজানের বড় ভাই আজগর আর সুখীর বড় বোন লাকী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। এ সম্পর্ক এখনো মেনে নেয়নি দুই পরিবার। এই বিষয়টি বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে দুজনের মাথায়। কী করবেন তাঁরা। পরিবার, না সম্পর্ক—এই টানাপোড়েনে মুষড়ে পড়েন রমজান ও সুখী। শেষ পর্যন্ত জীবনকে ছুটি দিয়ে দিলেন এই দুই তরুণ-তরুণী। মরণেও দুজন দুজনকে ছাড়া ভাবতে পারেননি কোনো কিছু। সেখানেও সহমরণ। সুখীদের বাড়ির পেছনের পুকুরপাড়ে একটি জামগাছের ডালে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন দুজন একসঙ্গে। একে অপরকে কোমরে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁদের মরদেহ। নিশ্চিত হওয়া গেছে, সুইসাইড নোটটি সুখীর হাতের লেখা।গত মঙ্গলবার চৌধুরীহাটে সুখীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের দাওয়ায় বসে আছেন মা জোবেদা খাতুন। মুখে কথা নেই। শুধু এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন। মেয়ের জন্য এখনো বিলাপ করে চলেছেন বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিস। বাড়ির ভেতরে সুখীর কক্ষে পড়ার টেবিলে থরে থরে সাজানো পাঠ্যবই রসায়ন, বাংলা...। খাতাও পড়ে আছে টেবিলের ওপর। শুধু সুখী নেই।তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট সুখী। ভাইদের বড় আদরের ছিল সে। বোনের মৃত্যুসংবাদ শুনে ওমানের মাসকাটে থাকা দুই ভাই ছুটে এসেছেন এক নজর শেষ দেখা দেখতে। ভাইদের জন্য মরদেহের গাড়িতে লাশ রেখে দেওয়া হয় দুদিন। তাঁরা আসার পর দাফন করা হয়।বাবা ইদ্রিস বলেন, ‘আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি ও (সুখী) এ কাজ করবে। শান্তশিষ্ট, পড়ালেখায়ও ছিল ভালো। ছেলেটিও (রমজান) ছিল শান্ত। আমাদের মাথায় ছিল না তারা দুজন এমন করবে।’ মাসকাট থেকে আসা সুখীর ভাই মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল তাঁকে ডাক্তারি পড়াব। এখন সব শেষ।’ রমজানের বাড়িতেও শোকের মাতম। ছয় ভাই একবোনের সবার ছোট রমজান। তিনি চলে গেলেন সবার আগে। বাবা সালেহ আহমেদ থাকেন সৌদি আরবে। ছেলের মৃত্যুসংবাদ শুনে তিনিও মুষড়ে পড়েছেন।এ ঘটনা মানতে পারছেন না সুখীর বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও। কথা বলার সময় শ্রেণী শিক্ষক ফণী ধর দাশের গলা ধরে আসছিল। বললেন, ‘সে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়ে এসেছে। কিন্তু নবম শ্রেণীর শেষ দিকে এসে সে প্রায়ই বিষণ্ন থাকত। যার প্রভাব পড়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে। রোল নম্বর হয় ১১। আমি নানাভাবে তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি কি হয়েছে। কিন্তু কিছু বলেনি।’বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা প্রতিটি শ্রেণীতে কাউন্সেলিং করেছি। শিক্ষার্থীদের বলেছি, এ ধরনের ঘটনা হলে পারিবারে বলতে না পারলেও যেন শিক্ষককে জানায়। আর অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’ রমজানের বন্ধুরা জানান, তিনি প্রায় সময় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে হতাশ থাকত। বলত, ‘দেখিস, একদিন সব ছেড়ে চলে যাব।’ এ যাওয়া যে শেষ যাওয়া হবে, তা বোঝেননি বন্ধুরাও।আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়মোহিত কামাল, মনোরোগ চিকিৎসকতরুণ-তরুণীদের এ ঘটনা নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামালের সঙ্গে। তিনি তিনটি ভাগে ভাগ করে এ ঘটনাটি বিশ্লেষণ করেছেন। প্রথমত: তরুণ প্রজন্ম ও মানসিকভাবে বিষণ্ন নারী-পুরুষদের বলতে চাই, আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। আত্মহত্যা মানে নিজেকে খুন করা। ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক বিধিনিষেধ না মেনে আইন লঙ্ঘন করা। রমজান ও সুখী সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ, তাঁরা সমস্যা দেখে নিজেদের খুন করেছেন। তাঁরা খুনি।দ্বিতীয়ত: অভিভাবকেরা তাঁদের অবেগটা বুঝতে পারেননি। এটি তাঁদের বড় ব্যর্থতা। রমজান ও সুখীর আবেগের মধ্যে কোনো শঠতা ছিল না। তাঁদের ভালোবাসার টানটা ছিল তীব্র। তরুণ বয়সের প্রথম প্রেম এ রকম হয়। সবকিছু ছাপিয়ে সম্পর্কটা তাঁদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। একে অপরকে না পেলে জীবন শেষ হয়ে যাবে, এমন ধারণা হয়। কিন্তু অভিভাবকেরা তাঁদের আবেগ না বুঝে পুরোনো বিরোধ জিইয়ে রেখেছেন। যার ফলে চলে গেল দুটি প্রাণ।তৃতীয়ত: অভিভাবকদের বলতে চাই, তরুণ-তরুণীদের এ ধরনের সম্পর্ক দেখলে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের আবেগকে মূল্য দিয়ে সুযোগ দিতে হবে বিষয়টি শেয়ার করার। সময় নিয়ে তাদের বোঝাতে হবে। বাড়াতে হবে মমত্বের হাত। তাহলে বাস্তবতা বুঝে তারা নিজেরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কিন্তু তা না করে আমাদের সমাজে প্রথমেই তাদের ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। তা কখনোই সমস্যার সমাধান নয়। বাধা পড়লেই তারা পালিয়ে যায়, আত্মহত্যা করে কিংবা জড়িয়ে যায় মাদকের জালে। সংকট উত্তরণে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তাদের মনোরোগের চিকিৎসা দেওয়া উচিত।যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর বে এলাকায় বিশালাকার একটি ভাসমান নৌযানে গোপন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে গুগল। প্রযুক্তি গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই নৌযানে বিশালাকার ডাটা সেন্টার তৈরি করতে পারে বিশ্বের বৃহত্তম অনুসন্ধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটে প্রকাশিত একটি ব্লগ পোস্টে গুগলের গোপন এ প্রকল্পের বিষয়ে জানানো হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বিশাল নৌযানে ঠিক কোন প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে নারাজ গুগল। তবে এ নৌযানে যে বিশাল অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, তা স্থানীয়রা শনাক্ত করতে পেরেছেন। অনেকেই একে গোপন প্রকল্পও বলছেন। চারতলা উচ্চতা সমান এ কাঠামোর বেশির ভাগ তৈরি হচ্ছে আধুনিক কার্গো কনটেইনার ব্যবহার করে। এ প্রকল্প ঘিরে কড়া নিরাপত্তা-ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সিনেটে প্রকাশিত ওই ব্লগ পোস্টে আরও বলা হয়েছে, যেসব স্থানে কুলিং সিস্টেম চালু রাখতে খরচ কম হয়, গুগল সেখানে ডাটা সেন্টার তৈরি করে। এ হিসাব বিবেচনা করলে এবং ভাসমান নৌযানটির অবস্থান বিবেচনা করলে ধারণা করা যায়, গুগল ভাসমান ডাটা সেন্টার তৈরিতে কাজ করছে।তবে এর আগে ইন্টারনেট বেলুনের মতো নতুন উদ্ভাবনী ধারণার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও কাজ করেছে গুগল। সে অর্থে এই ভাসমান নৌযানটি নতুন কোনো প্রকল্পও হতে পারে। এ নৌযানটির অবস্থান সান ফ্রান্সিসকোর বের অকল্যান্ড ও কৃত্রিম দ্বীপ ট্রেজার আইল্যান্ডের মাঝামাঝি। নৌযানটি ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের। প্রসঙ্গত প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করেন ‘এক্স ল্যাব’ নামে গোপন একটি পরীক্ষাগার রয়েছে গুগলের, যেখানে সৃজনশীল বিভিন্ন ধারণা বাস্তব উপযোগী করতে কাজ করেন গুগলের প্রকৌশলীরা। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় গতকাল সোমবার আশপাশের এলাকা থেকে ১৮ হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।আজ মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, গতকাল থেকে ওই আগ্নেয়গিরি প্রচুর লাল তপ্ত গ্যাস ও উত্তপ্ত নুড়ি উদগীরণ শুরু করে। এ ঘটনায় সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরির বলয় থেকে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে থাকতে বলা হয়।ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র জানান, গতকাল সিনাবাং আগ্নেয়গিরি থেকে আগের চেয়ে ছয় গুণ বেশি লাভা উদগীরণ শুরু হয় ও দুই হাজার মিটার উঁচু পর্যন্ত ছাইমেঘ ছড়িয়ে পড়ে।সিনবাং ইন্দোনেশিয়ার জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের আন্দোলন ও সেই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের সহিংস কর্মকাণ্ডের মধ্যে রাজশাহীতে বার বার আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে পুলিশের ওপর হামলা আরও বেড়েছে।জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষের সময় অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের মাথা থেঁতলে দিয়েছেন, কারও পা ভেঙে দিয়েছেন। তাঁদের ছোড়া ককটেলে কেউ বা হারিয়েছেন কবজি। টাকার অভাবে এঁদের একজনেরও উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানা চালাচ্ছেন স্ক্র্যাচে ভর করে। এ রকমই কয়েকজনের দুঃসহ জীবনের চিত্র তুলে ধরা হলো:অর্থের অভাবে মকবুলকে সিঙ্গাপুর নেওয়া যাচ্ছে নারাজশাহী নগরের রানীবাজার এলাকায় গত ৩১ মার্চ শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের শিক্ষানবিশ এসআই মকবুল হোসেনের ডান কবজি ও বাঁ হাতের কয়েকটি আঙুল উড়ে যায়। ক্ষতবিক্ষত হয় মুখমণ্ডল, দুই বাহু ও ঊরু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ঘুরে ২৩ মে থেকে তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আছেন। তাঁর বাবা আনসার আলী পুলিশের হাবিলদার ছিলেন।আনসার আলী বলেন, পাঁচ মাস আগেই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে তাঁর আর চিকিৎসা নেই। বাঁ হাত সচল করতে সিঙ্গাপুর নিতে হবে। তিনি জানান, তাঁর মতো গরিব মানুষের পক্ষে রোগী নিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়া সম্ভবই না। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ৯০ লাখ টাকা চেয়ে আবেদন করে পেয়েছেন মাত্র এক লাখ টাকা। এবার ২৫ লাখ টাকা চেয়ে ফের আবেদন করেছেন।দাঁড়াতে পারেন না জাহাঙ্গীরনগরের শালবাগান এলাকায় গত ১ এপ্রিল এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে শিবিরের কর্মীরা মাথা থেঁতলে অস্ত্র কেড়ে নেন। তাঁকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল ও পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এক মাস চিকিৎসার পর এখন তিনি ভদ্রা এলাকায় নিজ বাসায় থাকছেন।গত সোমবার জাহাঙ্গীর বলেন, হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যথায় ডান হাতে এখনো কোনো কাজই করতে পারেন না। মাঝেমধ্যেই মাথা ঘোরে। তখন উঠে দাঁড়াতে পারেন না। অনেক সময় মাথায় কোনো কাজ করে না। পুলিশের কল্যাণ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছিলেন। তবে সরকারি অনুদান পাওয়ার কথা থাকলেও পাননি। এ অবস্থায় আগামী জুলাইয়ে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যাবেন।খুঁড়িয়ে চলেন শরীফরাজশাহী বেতার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকালে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রাতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন কনস্টেবল শরীফ উদ্দিন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে ফেলে যায়। বাঁ ঊরু ধারালো অস্ত্র দিয়ে চিরে ফেলা হয়। তাঁকে প্রথম রাজশাহী মেডিকেল ও পরে জাতীয় হূদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শরীফ জানান, একটু জোরে হাঁটতে গেলেই পায়ে টান লাগে।স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে থানা চালান মজিদ নগরের বিনোদপুর বাজারে ১০ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ। শিবিরের কর্মীরা এক কনস্টেবলের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পিটিয়ে তাঁকে (আবদুল মজিদ) জখম করেন। এতে তাঁর ডান পায়ের হাড় কয়েক টুকরা হয়ে যায়। ডান হাতের দুটি আঙুলও ভেঙে যায়। চিকিৎসা শেষে গত শনিবার কাজে যোগ দেন।মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) শাহ্ গোলাম মাহ্মুদ বলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে হয়তো তিনি কথা বলতে চাচ্ছেন না। স্ক্র্যাচে ভর করেই থানা চালাচ্ছেন।হাসপাতালের শয্যায় শামসুজ্জামাননগরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় ২ ডিসেম্বর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন রাজপাড়া থানার কনস্টেবল শামসুজ্জামান। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগে। কয়েক দিন আগে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। এখনো তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। |
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা এবং দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের পৃথক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সভা সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদর দপ্তরে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান জাবেদ পাটোয়ারি, পুলিশের অপরাধ বিভাগের প্রধান (সিআইডি) মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) বেনজীর আহমেদসহ ছয় বিভাগের কমিশনার, সব রেঞ্জের ডিআইজি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় সবাই যাতে শান্তিপূর্ণ, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা এবং শারদীয় দুর্গোত্সবে উদযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করে কোনো অশুভ চক্র যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখা এবং চামড়া যাতে পাচার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাগিদ দেন তিনি।পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সভায় ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করাসহ রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টির তত্পরতা রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ বিশেষ তত্পর থাকবে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে আর্থিক লেনদেন এবং জালনোট শনাক্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।বগুড়ার গাবতলীতে হরতালের সমর্থনে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-সমর্থিত পৌর মেয়র মোরশেদ মিলটন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মেয়রের পক্ষের লোকজনের ছুরির আঘাতে প্রতিপক্ষের শাহজাহান আলী (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।আজ রোববার হরতাল চলাকালে বেলা আনুমানিক একটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য একপক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করছে।হরতাল চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের পক্ষের এক নেতা অন্যপক্ষের লোকজনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। তবে পৌর মেয়র মোরশেদ মিলটনের সমর্থকদের হামলায় প্রতিপক্ষের শাহজাহান আলী (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন মারা যাওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করেছে।উপজেলা চেয়ারম্যান দাবি করেন, নিহত শাহজাহান উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা সদরের তিনমাথা মোড় থেকে হরতালের সমর্থনে দুপুরের দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোরশেদ মিলটনের পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় উপজেলা সদরের স্টেশন সড়কের তিনমাথা মোড়ের একটি বিপণি কেন্দ্রের সামনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকেরা পৃথক মিছিলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু আগের মিছিলটি সেখানে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান-সমর্থিত নেতা সাজেদুর রহমান ওরফে ‘পিস্তল মোহন’ প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। মিলটন-সমর্থিতরাও পাল্টা হামলা চালায় প্রতিপক্ষের ওপর। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণ। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন শাহজাহান আলী। তাঁকে প্রথমে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।তবে সাজেদুর দাবি করেছেন, তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। কিন্তু সংঘর্ষের সময় তাঁর কাছে পিস্তল ছিল না।গাবতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুত্ফর রহমান জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানাবে পুলিশ।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে আজ এ তথ্য জানান।গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার জাপান দূতাবাসের সামনে থেকে হান্নান শাহকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানেই আছেন।মাসুদুর রহমান জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভাটারা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলা নম্বর ২৪। ওই মামলায় হান্নান শাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ তাঁকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানাবে পুলিশ।এশিয়া কাপের তো নয়, ৪ জানুয়ারি লেখা হতে পারে বাংলাদেশেরই ক্রিকেট-ভাগ্য। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজন কতটা নিরাপদ, কলম্বোয় অনুষ্ঠেয় এসিসির সভায় অবধারিতভাবেই সেই আলোচনা উঠে আসবে। আসতে পারে বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাবও। এমন একটা সভার ‘উইকেট’ বিসিবির প্রতিকূলে থাকাটাই স্বাভাবিক। সেই উইকেটে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের ‘ভালো ব্যাটিং’ই এশিয়া কাপের ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশের ভাগ্য ঠিক করবে অনেকখানি।নাজমুল হাসানের একটা সুবিধা হলো, যে এসিসির সভায় তিনি বাংলাদেশকে এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে নিরাপদ প্রমাণের পরীক্ষা দেবেন, সেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও বাংলাদেশেরই—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক। ব্যক্তিগত সফরে ঢাকায় এসে কাল বিসিবি সভাপতি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। কিছু পরামর্শও কি দিলেন? সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কথায় সে আভাস, ‘আশরাফুল ভাই আমাদের বললেন নিরাপত্তার বিষয় যৌক্তিকভাবেই এসিসির সভায় আসতে পারে। কাজেই আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া ভালো।’বিদেশি কিছু সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিকল্প ভেন্যু খুঁজতে শুরু করেছে। কেউ কেউ তো ভারতের দু-একটা শহরের নামও বলে দিচ্ছে সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যু হিসেবে। কিন্তু বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কারও কথা হয়নি। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটার আমি কোনো কারণও দেখি না।’ বাংলাদেশ থেকে খেলা সরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও এখনো সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে অবশ্য এও বলেছেন, এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্টের বিকল্প ভেন্যু থাকতেই পারে। একটি সূত্রে জানা গেছে আসন্ন টুর্নামেন্টটির জন্য বিকল্প ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিবেচনায় রাখছে এসিসি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যুর তালিকায়ও নাকি আছে দেশ দুটি।তবে এসিসিকে যাতে বিকল্প ভেন্যুর চিন্তা না করতে হয়, সে জন্য আটঘাট বেঁধেই কলম্বো যাবেন বিসিবির কর্মকর্তারা। ‘৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র একটা নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করব এবং এসিসির সভায় সেটা নিয়ে যাব। যে দেশগুলো এখানে খেলতে আসবে, তাদেরও এটা পাঠাব’—বলছিলেন নাজমুল হাসান। নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নই শুধু নয়, প্রয়োজনে সেটা যাতে ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করা যায়, বোর্ড সভাপতি জোর দিচ্ছেন তার ওপরও। সাহায্য চেয়েছেন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোরও, ‘নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। তাদের মুখ থেকে যদি দেশগুলো শুনতে পারে, তাঁরা এটাকে সমর্থন করবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন, তাহলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।’নিরাপত্তার প্রশ্নে দলগুলোকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি আরেকটা কাজও করবে বিসিবি। জানুয়ারির শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ক্রিকেট আয়োজনের জন্য সাহায্য চাইবে প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। বিসিবির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দু-এক দিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানালেন সভাপতি, ‘বিরোধী দলকে আমরা একটা চিঠি দিচ্ছি। আমরা অনুরোধ করব যেন খেলার সময় তারা কোনো কঠিন কর্মসূচি না দেয়। তবে যেহেতু এটা একটা লম্বা সময়, যদি কোনো কারণে কোনো কর্মসূচি পড়েও যায় অন্তত ক্রিকেটকে যেন কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখেন।’ আজকের মধ্যে দেখা করার সময় মিললে বিসিবির প্রতিনিধিদল তাঁর নেতৃত্বেই খালেদা জিয়ার কাছে যাবেন বলে জানালেন নাজমুল হাসান। তবে তিনি যেতে না পারলেও প্রধান বিরোধী দলের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সিনিয়র বোর্ড পরিচালকদের সমন্বয়ে একটা শক্তিশালী দলই যাবে।বিসিবির আগেই অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল হক। কাল নাজমুল হাসানের পাশে দাঁড়িয়েই এসিসির প্রধান নির্বাহী বললেন, ‘১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপের সময় ক্রিকেটকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখার ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছিল। তখন ক্রিকেট এত জনপ্রিয় ছিল না। এখন এটা অনেক বেশি জনপ্রিয় খেলা। এখন তো তারা (রাজনৈতিক দল) আরও বেশি করে করবে এটা। কারণ দেশের মানুষ এটা চায়। আমার আশা, রাজনৈতিক দলগুলো বিসিবিকে নিরাশ করবে না।’আইসিসি-এসিসির সভায় যোগদান বেশির ভাগ সময়ই বিসিবির জন্য হয় আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এবারের সভার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই ভবিষ্যৎ। সৈয়দ আশরাফুল হকের আশাটা তাই পূরণ হলেই ভালো। না হলে কলম্বো থেকে দুঃসংবাদ পেতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট। |
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘সুন্দরবন প্রকৃতিসৃষ্ট বন। এই বন আমাদের মায়ের মতো আগলে রাখে। ঝড়-ঝঞ্ঝাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৈব-দুর্বিপাক থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই আমার মাকে হত্যা করার এ আয়োজন আমরা সমর্থন করতে পারি না।’আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের মধুখালীতে লংমার্চ উপলক্ষে আয়োজিত এক পথসভায় আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। পথসভায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মধুখালী শাখার সভাপতি মালেক সিকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।শেখ মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সুন্দরবনের কাছে আমাদের অনেক ঋণ। যেকোনো মূল্যে সুন্দরবনকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কর্মসূচি প্রতিহত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ভারতীয় কোম্পানি রামপালে ৩০ বছর মেয়াদে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে, সেই কোম্পানি প্রতিদিন সাড়ে আট কোটি টাকা মুনাফা করবে। সেই হিসাবে ৩০ বছরে সুন্দরবন ধ্বংস করে ওই কোম্পানি এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা লুটে নেবে।সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ -বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চের কাফেলা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী হয়ে গতকাল রাতে ফরিদপুরে অবস্থান করে। আজ সকালে ফরিদপুরের মধুখালীতে পথসভা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় গড়াই সেতু পার হয়ে মাগুরা জেলায় প্রবেশ করে।জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার আগেই ২০০২ সাল থেকে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মুঠোফোনে গোপনে নজরদারি করছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। প্রভাবশালী জার্মান সাময়িকী ‘ডের স্পিগেল’-এর বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন আজ রোববার এ খবর জানিয়েছে।‘ডের স্পিগেল’ দাবি করছে, তারা এনএসএর গোপন নথি দেখেছে। নথিতে ২০০২ সালের মুঠোফোন নম্বরের তালিকায় অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নম্বরও দেখা গেছে। ওই সময় মেরকেল জার্মান চ্যান্সেলর ছিলেন না। চলতি বছর মার্কিন নজরদারিতে থাকা ব্যক্তিদের নামের তালিকায়ও মেরকেলের নাম আছে।‘ডের স্পিগেল’ জানায়, এনএসএর গোপন নথি থেকে মেরকেলের মুঠোফোনে নজরদারি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছু জানা সম্ভব হয়নি।আগামী সপ্তাহে মার্কিন গোপন নজরদারির বিষয়ে আলোচনা করতে জার্মান গোয়েন্দাপ্রধানেরা ওয়াশিংটন যাবেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে ইউরোপজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার জার্মানি ও ফ্রান্স জানায়, তারা আশা করছে এ বছরের শেষেযুক্তরাষ্ট্র আর কোনো গুপ্তচরবৃত্তি না করার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবে। মেরকেলের ফোনে আড়িপাতার পাশাপাশি এনএসএ জার্মানি ও ফ্রান্সের কয়েক লাখ নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতে বলে দাবি করেছে ‘ডের স্পিগেল’।মাও সেতুংকে বলা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা পিতা। দেশে সমাজতন্ত্রের সাম্য প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। এ কারণেই ৩৭ বছর আগে মারা গেলেও এখনো তিনি দেশের অগণিত মানুষের মনে জাজ্বল্যমান। এর উজ্জ্বল উদাহরণ হেনান প্রদেশের নানজিকুন গ্রাম। ওই গ্রামে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরোটা সময় দীপ্যমান থাকেন মাও সেতুং।এ নিয়ে বিবিসি অনলাইনে আজ সোমবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রোদ-বৃষ্টি যা-ই থাকুক না কেন, প্রতিদিন সকাল সোয়া ছয়টায় চীনের সাবেক নেতা মাও সেতুংয়ের স্তবগান বাজে। সবার কাছে মাওয়ের সে গুণগান পৌঁছাতে রাস্তার প্রতিটি বাতির খুঁটিতে লাগানো হয়েছে লাউড স্পিকার।নানজিকুনে গেলে মনে হবে, হয় সেখানে মাও সেতুংয়ের সময়টা থমকে আছে অথবা গ্রামটা সেই ফেলে আসা সময়ে চলে গেছে। মাওয়ের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি শাসকেরা রাষ্ট্রের মালিকানাধীনে নেওয়া এখানকার জমি গত শতকের আশির দশকে কৃষকদের কাছে ফিরিয়ে দেন। তবে কৃষকেরা জমিগুলো গ্রাম কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে সবার অংশীদারত্ব আছে।এ ব্যবস্থায় চাষাবাদ করায় গ্রামবাসী উপকৃত হয়েছে, দ্বন্দ্ব-দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে। সমষ্টিগতভাবে গ্রামের সবারই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এক সময়ের বস্তি ঘরগুলোর জায়গায় হয়েছে আধুনিক ভবন। গ্রামের বিরাট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সেসব দেখছে মাও সেতুং, লেনিন ও স্তালিনের বড় ভাস্কর্যগুলো। চারদিকে ঝুলছে লাল ব্যানার।বাইরের বিনিয়োগে এখানে গড়ে ওঠেছে নুডলস, বিয়ার আর ওষুধ তৈরির কারখানা। স্থানীয় লোকজনের খবরের তৃষ্ণা মেটাতে আছে একটি পত্রিকা অফিস। বিনোদনের জন্য রয়েছে একটি বেতারকেন্দ্র, সেখান থেকে প্রতিদিন সকালে মাও সেতুংয়ের গান প্রচার হয়।টেলিভিশন স্টেশনটি জনপ্রিয় অনেক অনুষ্ঠান প্রচার করে। নানজিকুনে ব্যক্তিগত গাড়ি নেই বললেই চলে। আছে কিছু ইলেকট্রিক স্কুটার আর তিন চাকার ট্রাক।এখানকার মানুষের মূল বেতন খুবই কম, মাসে মাত্র ৩২ ডলারের মতো। তবে সামাজিকভাবে দলবদ্ধ এসব মানুষ বিনা ভাড়ায় ভবনগুলোতে থাকেন। খাদ্যপণ্য, শিক্ষাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।সমাজতন্ত্রের মূল চেতনা ধারণ করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন নানজিকুনের বাসিন্দারা। তাঁরা যৌথভাবে জমির মালিক, যে জমিতে তাঁরা আবাদ করেন, অন্যদের কারখানা স্থাপন করতে দিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন, সবাই মিলে যৌথভাবে জীবনমানের উন্নয়ন করেন।ঝকঝকে পরিপাটি বাসায় সুন্দরভাবে টাঙানো ছবি, ফ্ল্যাট স্ক্রিন টেলিভিশন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফোন—সব মিলিয়ে যেন মাওয়ের স্বপ্নের সুখী সংঘের বাসিন্দা নানজিকুনের বাসিন্দারা।গত ১০ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৬৫ হাজার গাছ নিধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য (শুধু কাঠের দাম) ৩৫ কোটি টাকা। ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের তথ্যাদি উপস্থাপন’ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই হিসাব তুলে ধরে পরিবেশবাদী এই সংগঠনটি।রাজধানীর কলাবাগানে পবার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ২৪টি জেলায় গাছ নিধনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও লক্ষ্মীপুরে সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হয় বলে জানানো হয়। নিধন হওয়া গাছগুলোর মালিক বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং কিছু বেসরকারি সংগঠন।যত গাছ কাটা হয়েছে এর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ২০ থেকে ৩০ বছর সময় লাগবে বলে দাবি করা হয় প্রবন্ধে। এই গাছ নিধনে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যদি একটি গাছের পূর্ণ জীবনকালে দেওয়া সেবাগুলো ধরা হয় তবে নিধন হওয়া গাছগুলোর প্রকৃত মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বলে দাবি করেন পবার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান। একটি গাছের আয়ুষ্কাল, এই সময়ে এর কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা, পানির সংরক্ষণে ভূমিকা, গাছের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণির জীবন—এসব বিষয় বিবেচনা করে তিনি এই হিসাব তুলে ধরেন।আলোচনায় পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় সড়ক অবরোধের নামে মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, জেলা, উপজেলা ও গ্রামীণ সড়কে যেভাবে গাছ কাটা হয়েছে তাকে নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কাছে অনুরোধ জানান তিনি। |
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক তাজুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তিনি আদালতে ২১ আসামির কে, কীভাবে বিশ্বজিৎ দাসকে মেরে ও পিটিয়ে জখম করেছিলেন, তার বর্ণনা দেন। গণমাধ্যমে বিশ্বজিৎ দাসকে মারধরের ও পেটানোর প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করেন তিনি।আদালত আসামিপক্ষের সাক্ষ্য ও জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আগামী ১ অক্টোবর। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. নুরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় আট আসামি কারাগারে আটক আছেন। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, এমদাদুল হক, জিএম রাশেদুজ্জামান, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও রাজন তালুকদার।পলাতক ১৩ আসামি হলেন ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, মীর মো. নূরে আলম, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন।গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা করেন। এ মামলায় ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি।রাজধানীর আজিমপুরের বটতলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসা থেকে ১৭টি ককটেল, ২০টি কাচের খালি বোতল ও গান পাউডার, মারবেলসহ আধা কেজি বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে লালবাগ থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।স্টাফ কোয়ার্টারের এই ফ্ল্যাটে থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের নিরাপত্তা কর্মচারী খোরশেদ আলম। তবে তিনি আড়াই মাস আগে অন্যত্র চলে যান। তিনি ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে তা খালি পড়ে আছে। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কর্মচারী বিশু চন্দ্র দাস এই ফ্ল্যাটের বরাদ্দ পান। তিনি আজ রোববার সকালে ফ্ল্যাটে গিয়ে ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দেখতে পেয়ে লালবাগ থানার পুলিশকে জানান। পুলিশ সেখানে গিয়ে সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মুত্তাকিন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ওই ফ্ল্যাটে পুরোনো একটি তালা লাগানো ছিল। হয়তো সেটা ভেঙে কেউ সরঞ্জামগুলো রেখে গিয়েছিল। যে সরঞ্জাম পাওয়া গেছে, তা দিয়ে প্রায় ১০০টির মতো বোমা বানানো সম্ভব।কমনসেন্স বা সাধারণ বুদ্ধি সম্পন্ন কম্পিউটার তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ছবি বিশ্লেষণ করে কমনসেন্স রপ্ত করার এ গবেষণা প্রক্রিয়ায় কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ যেভাবে সাধারণ জ্ঞান রপ্ত করে সেভাবে কম্পিউটার প্রোগ্রাম সাধারণ জ্ঞান রপ্ত করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়েই এ গবেষণা।বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, গবেষকেদের তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রামটির নাম ‘নেভার এন্ডিং ইমেজ লার্নার’ বা নেইল। এ প্রোগ্রামটির জন্য অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং গুগল।নেইল প্রোগ্রামের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন মাস থেকে ৩০ লাখ ছবি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ ছবি বিশ্লেষণ করে তার মধ্যে এক হাজার ৫০০ ছবিতে নির্দিষ্ট বস্তু শনাক্ত করার পাশাপাশি ১০ লাখ ছবির মধ্যে এক হাজার ২০০ ছবিতে নির্দিষ্ট দৃশ্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে এ প্রোগ্রামটি। এখন পর্যন্ত নেইল প্রোগ্রাম যা শিখেছে তার মধ্যে রয়েছে-এয়ার বাস ৩৩০-এর সঙ্গে অ্যারোপ্লেনের মিল রয়েছে, অ্যান্টিলোপ ও হরিণের মিল রয়েছে, চাকা গাড়ির অংশ প্রভৃতি।নেইল প্রোগ্রামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা আশা করছেন, এ প্রোগ্রামটিকে আলাদা করে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। অর্থাত্ কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারবে কম্পিউটার।গবেষকেরা বলেন, কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি বা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বস্তু কম্পিউটার শনাক্ত করতে সক্ষম। তবে বস্তু শনাক্তকরণে নেইল প্রোগ্রামটি তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে। কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস ইনস্টিটিউটের গবেষক অভিনব গুপ্তা জানিয়েছেন, বাস্তব জগতের কিছু সাধারণ জ্ঞান শেখার ক্ষেত্রে ছবি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে। মানুষ যেমন ছবি দেখে সাধারণ জ্ঞান রপ্ত করে তেমনি নেইল প্রোগ্রামও তা করতে সক্ষম হবে। তবে কম্পিউটার শেখার ক্ষেত্রে যে ভুল করবে তা শোধরানোর জন্য মানুষের নির্দেশনা প্রয়োজন পড়বে।বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন অভিযোগ করেছেন, ‘সাম্প্রতিক বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের নামে সরকার বিভিন্ন জেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, যৌথ বাহিনীর অভিযানের আড়ালে আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী বিরোধী দলের অনেক নেতা-কর্মীর গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যা করেছে। অধিকাংশ অভিযান চালানো হচ্ছে রাতের বেলায়। চলছে টার্গেটেড কিলিং।’গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ অভিযোগ করেন।ব্যানারে অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবী নেতৃবৃন্দ লেখা ছিল।লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মাহবুব অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী মতের অসংখ্য গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদী কায়দায় বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। অন্যান্য স্বাধীন গণমাধ্যমকে প্রচণ্ড হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের রোষানলের ভয়ে সত্য ঘটনা আড়াল করছে।নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আপনারা একদলীয় নির্বাচন আয়োজনের পথ থেকে সরে আসুন। সরকারের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করবেন না। আপনাদের একতরফা তফসিল ঘোষণার কারণে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, তফসিল ঘোষণার পর সহিংসতায় সারা দেশে ১১৫ জন নিহত হয়েছে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।’বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব জানান, ‘সহিংসতার প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে দেশের নিরপেক্ষ সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হবে।’সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় পরে মতবিনিময় সভা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় একতরফা নির্বাচন পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না। ৫ জানুয়ারি সরকার একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।মতবিনিময়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন। |
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার সিলেট সার্কিট হাউসে এ সৌজন্যসাক্ষাত্ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাত মিনিট স্থায়ী সাক্ষাত্কালে এরশাদ ও আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় নির্বাচন ও সিলেটে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির সিলেট জেলার আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।গতকাল বিকেলে সিলেটের এক জনসভায় এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি না গেলে জাতীয় পার্টিও নির্বচনে অংশ নেবে না। এরশাদের এই মন্তব্যের পরই আজ এই দুই নেতার এই বৈঠক হলো।এরশাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে—সার্কিট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহাজোটে এরশাদ আছেন কি না, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। এরশাদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টিও যাবে না। আমরাও চাই সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক।’ শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।মার্কিন নাগরিকদের ওপর সরকারের নজরদারি ও গোয়েন্দা তত্পরতার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার রাজধানীর সড়কে নেমে আসা হাজারো জনতা সরকারের গোয়েন্দাবৃত্তির প্রতিবাদ জানায়। সমাবেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোয়েন্দা তত্পরতার খবর ফাঁস করার জন্য অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। শতাধিক নাগরিক অধিকার সংগঠন যৌথভাবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে। ক্যাপিটল হিলের সামনে দিয়ে শোভাযাত্রার সময় ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ছিল প্রতিবাদী স্লোগান লেখা সব প্ল্যাকার্ড। এতে লিখা ছিল ‘ধন্যবাদ অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন’, ‘গোয়েন্দাগিরি বন্ধ করো’, ‘গোপন বিচার রন্ধ করো’।বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক ও রক্ষণশীলদের যৌথ উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সাধারণত নাগরিক অধিকারের আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের দেখা মেলে কদাচিত্। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইক লি, টেড ক্রুজসহ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পেলন উপস্থিত ছিলেন বিক্ষোভ সমাবেশে।‘ফ্রি প্রেস’ নামে উদারনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ক্রেগ অ্যারোন সমাবেশে বলেন, ডান-বাম নয়, এ আন্দোলন হচ্ছে নৈতিকতা ও অনৈতিকতার। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট, কাউন্সিল অব আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ বড় বড় নাগরিক সংগঠনের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশ থেকে সরকারের গোয়েন্দা তত্পরতা বন্ধের জন্য একটি স্মারকলিপি আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো হয়।জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগে এক সময়ে কর্মরত ঠিকাদার অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যাপক গোয়েন্দা তত্পরতার তথ্য প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। সরকারের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার এড়াতে স্নোডেন এখন রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য মার্কিন সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ফাঁস করা তথ্যে জানা গেছে, দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারপ্রধানদের ফোনে আড়িপাতার কাজটিও করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতাদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।ওয়াশিংটনে নাগরিকদের প্রতিবাদ সমাবেশে স্নোডেনের একটি বিবৃতি পাঠ করে শোনানো হয়। এতে ফোন ও ইন্টারনেটে আড়িপাতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন পালিয়ে বেড়ানো স্নোডেন।জেসেলিন রাডেক নামের এক নারী নেত্রী স্নোডেনের বিবৃতি থেকে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের আইন প্রণেতারা বলে থাকেন আড়িপাতা নাকি গোয়েন্দাগিরি নয়।’ সমাবেশজুড়ে তখন ‘শেম’ ‘শেম’ ধ্বনি ওঠে। সরকারের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের আড়িপাতা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। নাগরিকেরা বিষয়টিকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন। ফোন ও ইন্টারনেটে আড়িপাতা আইন করে বন্ধ করার দাবি উঠেছে। শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে একদল বিক্ষোভকারীকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।ভারতের আসন্ন নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মূল চালিকাশক্তি হবেন তরুণেরা। ভারতের মোট ভোটারের ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম। এই তরুণ ভোটারদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, সংখ্যায় যাঁরা ১১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি। এ অবস্থায় ভারতীয় রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য ফেসবুক, টুইটারসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।‘ইন্ডিয়ান টুডে’ সাময়িকী বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতজুড়ে ১৬০টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্ম। গুগলের জরিপে দেখা যায়, শহুরে ভোটারদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ। তাঁদের অনেকে কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে এখনো মনস্থির করতে পারেননি।এই অবস্থায় তরুণদের কাছে টানতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিভাগটি গঠন করেছে ‘সাইবার হিন্দু’ নামের ডানপন্থী ইন্টারনেটভিত্তিক সংগঠন। এ সংগঠনটির বেশির ভাগ তথ্য ও বক্তব্য বর্তমান কংগ্রেস সরকার ও সংখ্যালঘুবিরোধী এবং কটূক্তিপূর্ণ। এটি মনে করে, সংখ্যালঘুদের প্রতি কংগ্রেসের সমর্থন ‘কপট ধর্মনিরপেক্ষতা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সম্পর্কে সাইবার হিন্দুর সদস্য সুব্রমানিয়াম স্বামী বলেন, ‘কংগ্রেস যদি আমাদের (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুসলিমদের সংহত করে, আমাদের উচিত হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং মুসলিমদের মধ্যে ভাঙন ধরানো।’সাইবার হিন্দুর সদস্য তাজেন্দর সিং টুইটারে লিখেছেন, ‘বিজেপি বলেছে প্রধানমন্ত্রী চোর। এজন্য দলটির মাফ চাওয়া উচিত। কোনো চোর কি এক হাজার ৭৬০ কোটি রুপি বা এক হাজার ৮৬০ কোটি রুপি চুরি করতে পারে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী বরং ডাকাত।’ এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ‘বিষকন্যা’ নামে পরিচিত করা শুরু করেছে।সাইবার হিন্দুদের ইন্টারনেট কর্মকাণ্ডে আরও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যও লক্ষ করা যায়। যেমন:১. ‘গর্বিত’ শব্দটি তাঁরা হিন্দু, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী ইত্যাদি শব্দের আগে ব্যবহার করে২. ধর্মনিরপেক্ষতা, লিবারেল ও কংগ্রেস শব্দের শেষে ‘ঘৃণা করুন’ শব্দটি ব্যবহার করে৩. অখণ্ড ভারত, ভারতীয় ও ব্রাহ্মণ শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি থাকে৪. বিজ্ঞাপনে মোদির প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি মুসলমান ও খ্রিষ্টানবিরোধী মন্তব্য থাকে৫. প্রোফাইল পিকচারে হিন্দু দেব-দেবীর ছবি থাকেকটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য সম্পর্কে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, বিজেপি ও স্বাধীন ইন্টারনেট শাখাটির একাংশ আক্রমণাত্মক ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য দিতে রাজি নয়। তাই তাঁরা যেকোনো বিষয়ে সুস্থ বিতর্ককে প্রাধান্য দিতে চান।এ ধরনের প্রচারণার মাধ্যমে বিজেপি ইতিমধ্যে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে ‘ইন্ডিয়ান টুডে’ মোবাইলের মাধ্যমে প্রতীকী লোকসভা নির্বাচনের আয়োজন করে। ভোটের কারচুপি রোধে প্রত্যেক মোবাইল থেকে পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে একটি মাত্র ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ৪০ দিন ধরে চলা এই প্রক্রিয়ায় মোট পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬০ জন ভোট দেন। এর মধ্যে বিজেপি একাই পায় তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪০১ ভোট।কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বিজেপির ইন্টারনেট কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, প্রোপাগান্ডা এভাবেই কাজ করে। গত বছর পর্যন্ত কংগ্রেসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অবস্থান ছিল নগণ্য। এ কারণে বিজেপি তথ্য ও চিত্র দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। তবে অপপ্রচার নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়া চলছে। অগ্রগামীদেরকে এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অতি দ্রুত জবাব দেওয়া যায়।এখন দেখার বিষয় হলো, কংগ্রেস কীভাবে এই সাইবার-যোদ্ধাদের মোকাবিলা করে।হেফাজতে ইসলামের সহিংস ঘটনায় পুলিশ সদস্য শাহজাহান হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।অন্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। গত ৮ নভেম্বর মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা ওই মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। |
সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে কর্মসূচিআগামী শনিবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ওই দিন বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল, বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবং প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আখতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।মনে হতেই পারে রবার্ট ডি নিরো অভিনীত এটি কোনো নতুন ছবির নাম, যার শ্যুটিং হচ্ছে চীনে। কিন্তু বিষয়টি একবারেই ভিন্ন। চীনের সাংহাইয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে নতুন একটি প্রোজেক্টের কাজ হাতে নিয়েছেন অস্কারজয়ী হলিউডের অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো। নতুন এই প্রোজেক্টের অংশ হিসেবে সেখানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, হোটেল এবং রেস্তরাঁ তৈরি করা হবে। নতুন এ প্রোজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রোজেক্ট ১৭৯’। এ প্রসঙ্গে ৭০ বছর বয়সী ডি নিরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি স্থাপনা তৈরি করতে চাই যেখানে সাংহাইয়ের রোমাঞ্চকর ইতিহাসের প্রতিফলন পাওয়া যাবে। সেভাবেই স্থাপনাটির নকশা করা হবে। এর মাধ্যমে সাংহাইয়ের ঘটনাবহুল ও সমৃদ্ধ অতীতকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই আমরা।’ জানিয়েছে হলিউড রিপোর্টার। অভিনয়ে সাফল্যের পাশাপাশি নিজেকে ঝানু ব্যবসায়ী হিসেবেও প্রমাণ করেছেন ‘দ্য গডফাদার’ তারকা রবার্ট ডি নিরো। চলচ্চিত্র ও টিভি ও প্রযোজনা সংস্থা ট্রাইবেকা প্রোডাকশনসের কর্ণধার তিনি। ট্রাইব্রেকা এন্টারপ্রাইজ নামেও একটি প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। নবু হসপিটালিটি গ্রুপ কিংবা ট্রাইবেকা গ্রিলের মতো হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছেন ডি নিরো। এ ছাড়া ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর ট্রাইব্রেকা চলচ্চিত্র উত্সবের আয়োজন করে আসছেন প্রখ্যাত এ মার্কিন অভিনেতা।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছু দিন আগে পর্যন্ত নতুন প্রকল্প অনুমোদন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী গত অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ১৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১২১ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে। প্রকল্প উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে এসব প্রকল্পকে এলাকাবাসীর জন্য তাঁর সরকারের উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এসব প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরকারের রুটিন কাজ হলেও নৈতিকতার দিক থেকে এটাকে দৃষ্টিকটু হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এর মাধ্যমে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির পথ বন্ধ হয়ে যায় বলে মনে করেন তাঁরা।সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার বাইরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় সারোয়ার জাহান পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় কলাপাড়া পায়রা সমুদ্রবন্দর, পটুয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, পটুয়াখালী শিশু একাডেমী কমপ্লেক্স, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কলাপাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু, পটুয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়, বাউফল থানা ভবন, বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটির। ওই দিনই বরগুনার তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা সার্ভার স্টেশন, তালতলী উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়াখালী এসইএসডিপি নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও ট্যাংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধিকরণ কাজের। সেখানে বসেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নতুন করে তৈরি তালতলী উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, বরগুনা সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বরগুনা-তালতলী-সোনাকাটা সড়কের বরগুনা জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বরগুনা জেলার আমতলী থানা ভবন, গোলবুনিয়া প্রতিরক্ষামূলক কাজের আমতলী-তালতলী-সোনাকাটা সড়কের ৮২০০ মিটার চেইনেজে ৬৬ মিটার (কচুপাত্রা) গার্ডার ব্রিজ, ইসিআরআরপির আওতায় দক্ষিণ সওদাগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, আমতলী চৌরাস্তা বক্স কালভার্ট ও আমতলী উপজেলাধীন লোচা প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের।এ ছাড়া নভেম্বর মাসে রাজবাড়ী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, মাদারীপুরের শিবচর, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া বাগেরহাটের মংলা, রামপাল, গাজীপুরের কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ৬৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ৭৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর গত অক্টোবরে করেছেন ১১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।এদিকে গত ৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকার ১৫টি প্রকল্প। এর আটটিকেই নির্বাচনমুখী বলে উল্লেখ করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্থানীয় সরকার, যোগাযোগ, শিল্প, স্বাস্থ্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব প্রকল্প উদ্দেশ্যমূলকভাবেই নেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। বাস্তবে এর সুফল পাওয়া যাবে না বলেই তাঁদের ধারণা। এদিকে ১২ নভেম্বরের পরের বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার ১৭টি প্রকল্প। এর কয়েকটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।২৭ অক্টোবর থেকে নির্বাচনী আবহাওয়া চলে আসায় এরপর প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যে নির্বাচনী প্রচার করছেন, সেটাকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান এ বিষয়ে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হয়ে গেলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো কাজ করা ঠিক না। সাধারণভাবে নির্বাচনের সময়সীমার বিষয়টি নির্ধারিত হয় সংসদ ভেঙে দিলে কিংবা সংসদের পাঁচ বছর পূর্তির ৯০ দিন আগে। এই সময়ে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে বা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কথা বলা উচিত নির্বাচন কমিশনের এবং যাঁরা নির্বাচন করবেন তাঁদের। এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে আপত্তির কথা শোনা যায়নি। তিনি আরও বলেন, এই সময়ে এমন কোনো রুটিন বা নীতিনির্ধারণী কাজ করা ঠিক না, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বা পরবর্তী সরকার অগ্রাহ্য করতে পারে। এ বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও এই রীতি নীতি মেনে চলা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, ২৭ অক্টোবর থেকে নির্বাচনী কাউন্ট ডাউন শুরু। সে সময়ের পরও প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলের জন্য ভোট চাইছেন। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কেন পদক্ষেপ নিল না, আমার মাথায় আসে না। নির্বাচনকালীন সরকারের কাজ হলো “নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” বা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। কিন্তু এটা তৈরির জন্য যে সময় ছিল, তার অর্ধেকটাই চলে গেছে।’ এখন যে আচরণবিধি রয়েছে, তা দিয়ে কতটা সমান সুযোগ করা সম্ভব তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে নেতিবাচক বলা যাবে না। কিন্তু রাজনৈতিক এবং নৈতিক অবস্থান থেকে এটা অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনকে সামনে রেখে এটাকে ভোট চাওয়ার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা অনৈতিক ও দৃষ্টিকটু। তিনি আরও বলেন, নৈতিকতা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় অবস্থান ব্যবহার করে উদ্বোধনের সংস্কৃতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়। এ ক্ষেত্রে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে একই সময়ে রাজনৈতিক জনসভা এবং ভোট চাওয়া নৈতিকতার দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।২৯ ডিসেম্বর রোববার ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন। জোটের নেতারা বলছেন, কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন তাঁরা। এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ডাকা ঢাকা অভিমুখে যাত্রা প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের এই কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে আজ শুক্রবার থেকে মাঠে নামবে বলে গতকাল দলের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর ভোর ছয়টা থেকে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মোটরচালক লীগ। ‘অরাজকতা’ সৃষ্টির কর্মসূচি রুখে দিতে সংগঠনটি গতকাল গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এই হরতালের ডাক দেয়। গত মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি ওই দিন সব সক্ষম মানুষকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা এই কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার কর্মসূচিতে বা দলীয় চেয়ারপারসনকে নয়াপল্টনে আসতে বাধা দেওয়া হলে ওই দিন ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দল ও জোটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির সমন্বয়ে যুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি করতে দেবে না বলে তাঁরা ধরে নিয়েছেন। তেমনটা হলে ওই দিন সারা দেশে বড় ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ওই দিন জেলা-উপজেলায় প্রতিরোধের জন্য পৃথকভাবে একটি অংশকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ সফলতা আঁচ করতে পেরে সরকার কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত ও ভন্ডুল করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে।প্রতিরোধের ডাক আওয়ামী লীগের: বিরোধী দলের এই কর্মসূচি প্রতিরোধ করার ডাক দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে পাকিস্তানিদের দোসর, নরঘাতক, রাজাকার, আলবদর, আলশামস এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকাকে নতুন করে অবমাননার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২৯ ডিসেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া লাঠি হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রার আহ্বান জানিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পরে পাকিস্তানের আইনসভায় আনা নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যারা নীরব, তাদের হাতে আমাদের গৌরবের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা শোভা পায় না। তারা লাঠি হাতে পতাকা মিছিলের কথা বলে পতাকার অবমাননা করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘এই যাদের মানসিকতা, স্বাধীনতাবিরোধী সেই অশুভ শক্তির আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তাদের সর্বাত্মক প্রতিরোধ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’এ ছাড়া গতকাল এক জরুরি বর্ধিত সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়ার ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মসজিদে ও মন্দিরে অপরিচিত কাউকে দেখলে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। ওই দিন ঢাকা শহর থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। ওরা যে লাঠি নিয়ে আসবে আমাদের সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে।’ তিনি বলেন, আজ শুক্রবার থেকে ঢাকা মহানগর থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। আজ বিকেলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মিরপুরে এবং কাল শনিবার বেলা তিনটায় ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত ১০০টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিয়নে পতাকা হাতে মিছিল করবে আওয়ামী লীগ। বিরোধী নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা শুরু: ঢাকায় যাঁদের থাকার জায়গা আছে, বিরোধী দলের এমন অনেক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দিতে আগেভাগে আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানান, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, বগুড়া, গাজীপুর ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে গেছেন। জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার থেকেই চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। চট্টগ্রামের বিএনপির অপর একটি সূত্র জানায়, সেখান থেকে পাঁচ হাজারের মতো নেতা-কর্মী ঢাকার কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন। তাঁদের নিজ উদ্যোগে ঢাকায় অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সচ্ছল নেতা-কর্মীরা নিজেদের খরচ বহন করবেন।বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন দাবি করেন, দুই দিন আগেই বগুড়া থেকে ৫০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছাবেন। তিনি বলেন, যেখানেই বাধা আসবে সেখানে অবস্থান নিতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা শহরে ঢুকতে শুরু করেছেন। পুলিশ নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা ঠেকাতে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে। গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, যেসব নেতা-কর্মীর ঢাকায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে, তাঁরা গতকাল থেকেই ঢাকায় অবস্থান শুরু করেছেন। বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর দল ঢাকায় ২০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ।আসছেন হেফাজত কর্মীরাও: কুষ্টিয়া থেকে বিএনপির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল থেকে ঢাকা আসতে শুরু করেছেন। হেফাজতের কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নেতা-কর্মীরা বাস-ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছেন। কুষ্টিয়া থেকে তাঁদের প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বিএনপির কর্মসূচিতে হেফাজত কেন যাচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আলেমরা অভিযাত্রায় যাচ্ছে।’কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন দাবি করেন, তাঁর জেলা থেকে প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। [প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, বগুড়া, গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা] |
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) নিবন্ধিত না করার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদা।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লেখা এই আবেদনপত্রটি তিনি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিকের কাছে হস্তান্তর করেন।নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন দলটিতে নেই। আমি বিএনপিতেই আছি। বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্তি দূর করতে দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি। ইসিকেও নিবন্ধন না দিতে অনুরোধ করছি।’বিএনপির নেতা নাজমুল হুদা আরও জানান, বিএনএফের কোনো কমিটিতেই না থাকায় তাঁর আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হবে কি না, তা ইসির ওপর নির্ভর করছে। তিনি নিজেকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য বলে দাবি করেন।চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজার ও আশপাশ এলাকায় ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হরতালের সময় বিএনপি-জামায়াত জোট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা বিরাজ করায় হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা আফরোজ আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ আদেশ জারি করেন বলে পুলিশ সুপার আমির জাফর জানিয়েছেন।এদিকে হরতালকারীরা চাঁদপুর শহরের নতুন বাজারে দুটি হাসপাতাল, তিনটি বাড়ি ও ১৫টি দোকান ভাঙচুর করেছে। বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া ভাঙচুর করে সিএনজিচালিত ছয়টি অটোরিকশা ও সংবাদপত্রের গাড়ি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড ও চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের বাবুরহাট এলাকায় টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে হরতাল-সমর্থকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন।বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে কিছু পিকেটার শহরের হকার্স মার্কেটের সামনে সংবাদপত্রবহনকারী একটি গাড়ি ভাঙচুর করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে তারা শহরের নতুন বাজার গিয়ে মিডল্যান্ড ও প্রিমিয়ার হাসপতালে ভাঙচুর চালায়। সেখানে তারা আরও তিনটি বাড়ি ও ১৫টি দোকান ভাঙচুর করে। পুলিশ ধাওয়া দিলে হরতালকারীরা পালিয়ে যায়।অন্যদিকে হাজিগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।হরতালে পিকেটিং করার সময় বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে একটি বগি সম্পূর্ণ এবং দুটি বগি আংশিক পুড়ে গেছে।ঈশ্বরদী রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, সিরাজগঞ্জগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি জংশন স্টেশনের লোকো এলাকায় ধোয়ামোছার জন্য রাখা ছিল। রাত একটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা ট্রেনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে একটি বগি সম্পূর্ণ এবং দুটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। এ ঘটনায় রেল থানায় মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।তখন সবে নিজেকে চেনাতে শুরু করেছেন বিশ্বমঞ্চে। রিয়ালে আসেননি তখনো, খেলতেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। টগবগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দেখে সে সময় ইউনাইটেডের সহকারী কোচ কার্লোস কুইরোজ বলে ওঠেন, ‘সে একদিন ফুটবলের মাইকেল জর্ডান হবে।’ কুইরোজের কথায় হয়তো আপনমনে হেসেছিলেন কেউ কেউ।এত দিন পর দেখা যাচ্ছে কুইরোজ বেশি বাড়িয়ে বলেননি। মাইকেল জর্ডানকে বাস্কেটবলে সর্বকালের সেরা হিসেবেই মেনে নেন সবাই। সর্বকালের সেরা না হোন, অন্তত নিজের সময়ের অন্যতম সেরা তো রোনালদো।সাবেক পর্তুগাল কোচ কুইরোজের প্রশংসাপত্র, ‘রোনালদো আমার কোচিংয়ের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ফুটবলারদের একজন। ফিটনেস, সামর্থ্য, টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল বিচারে। আমার মনে হয় সে এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি পরিণত, অনেক বেশি অভিজ্ঞ। শেষ দুই বছরে সে আরও বেশি পরিণত হয়েছে। অবশ্য সবকিছুই তার আগে থেকেই ছিল। ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদোর ছায়া আছে একটু, গতি ও হেডিংয়ে আছে ফিগোর ছায়া। দুই পায়েই সে দুর্দান্ত শ্যুট করতে পারে। তার ফ্রি-কিক, ড্রিবলিং ও পাসিং দুর্দান্ত।’ ওয়েবসাইট। |
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই ও সিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের ৪৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।কোম্পানিগুলো হলো লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকার, রহিমা ফুড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, মুন্নু স্টাফলার, মডার্ন ডাইং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, হাক্কানি পাল্প, ইনটেক অনলাইন ও আলহাজ টেক্সটাইল।বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ দিনে যেসব স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কক্সবাজারের চকরিয়ায় আজ রোববার বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে র্যাব-পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।চকরিয়া পৌরসভায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে গত শুক্রবার থেকে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। শুক্রবার বিকালে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করলে বিজিবি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএনপির দুই কর্মীর মৃত্যু হয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথম আলো ডটকমকে জানায়, আজ ভোর ছয়টা থেকে হরতাল-সমর্থকেরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশের একাধিক স্থানে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। সকাল ১০টার দিকে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে স্থানীয় দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষ আবারও মুখোমুখি অবস্থান নেয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা আবারও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গেলে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ মো. জাকেরকে (৫০) চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত্ বড়ুয়া সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ-র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম দাবি করেন, আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা হামলা চালায়। গুলিবর্ষণের ঘটনায় তাঁদের ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে।পঞ্জিকার পাতায় শীত এখনো না এলেও তার আগমনীটা তো টের পাওয়া যাচ্ছেই। একটু একটু হিমেল এই আবহাওয়া বড়দের জন্য বেশ উপভোগ্য, কিন্তু বাড়ির ছোট্ট সদস্যকে কিন্তু তা বিড়ম্বনায় ফেলছে। শিশুদের ত্বক বড়দের ত্বকের চেয়ে একদমই আলাদা। পাল্টে যাওয়া আবহাওয়ায় শিশুর মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়। তাই বাড়ির অন্য সদস্যদের সচেতন হতে হবে শিশুর যত্নআত্তিতে। এই আবহাওয়ায় শিশুর ত্বকের যত্নে করণীয়গুলো জেনে নিন এখনই। এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী। শীতে শিশুর শরীরে যাতে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি না হয়, সে জন্য বারবার পানি খাওয়াতে হবে শিশুকে। তাতে ত্বক ভালো থাকবে শিশুর। শিশু যে ঘরে থাকে, সেই ঘরের তাপ ধরে রাখতে দিনের বেলায় দরজা-জানালা খুলে দিয়ে রোদ আসতে দিন। রাতে শিশুর প্রয়োজন মেনে শীত বস্ত্র পরাতে হবে। এতে শিশুর ত্বক জলীয় বাষ্প হারাবে কম এবং ত্বক সুস্থ থাকবে। শিশুর ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে নারকেল তেল ব্যবহার করা ভালো। নরম হাতে তেল দিয়ে মালিশ করিয়ে দিতে পারেন শিশুকে। যেদিন বেশি কুয়াশা থাকবে, সেদিন শিশুর গোসলের সময় কমিয়ে দিন। হালকা উষ্ণ পানিতে শিশুকে দ্রুত গোসল করিয়ে ফেলুন। গোসল শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিন। ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার আগেই চটজলদি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। শিশুকে সকালের নরম রোদে খেলতে সুযোগ দিন। সকালের রোদ শিশুর ত্বকে ভিটামিন ডি-এর জোগান দেবে। বাজার ভরে উঠছে শীতকালীন ফলে, শিশুকে নিয়ম করে কমলা খাওয়ান। কমলার রস শিশুর ত্বকের জন্য খুব দরকারি। শিশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন। চেষ্টা করুন প্রতিবেলা খাবারে শাকসবজি রাখতে।দুটি মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানি নিয়ে রোববার আদেশের দিন ধার্য করেন।বিএনপির এই পাঁচ নেতা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ার এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। গত ৮ নভেম্বর রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।এ দুই মামলার একটিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ২৪ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় ৮-১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে থাকা চালকদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের নির্দেশ ও পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলায় ৫ নভেম্বর হরতাল চলাকালে ১৮ দলের একটি মিছিল থেকে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টির নির্দেশ ও পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। এ দুই মামলায় ২৮ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে ও জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে তাঁরা পৃথক আবেদন করেন। |
সুন্দরবনের পাশে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া লংমার্চে ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক সংহতি জানিয়েছেন। ওই প্রকল্পটিকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ওই বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা মারাত্মক দূষণকারী একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁরা এই সমর্থন জানান। যাঁরা সংহতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা হলেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাবেক উপদেষ্টা এম. হাফিজ উদ্দিন খান, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবির, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক এম এ মতিন, পরিবেশ বাঁচাও (পবা) আন্দোলনের আবু নাসের, প্রিপট্রাস্টের আরমা দত্ত, নিজেরা করির নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চটি ঢাকা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর রওনা হয়ে আগামীকাল রামপালে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটিকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ওই বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বিবৃতিতে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের মতো একটি নাজুক পরিবেশগত ব্যবস্থার পাশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মারাত্মক দূষণকারী একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন রোধে জনমত গড়ে তুলতে লংমার্চ আয়োজনকে সমর্থন জানিয়ে ওই ১২ বিশিষ্ট নাগরিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে লংমার্চ পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে লংমার্চের আবেদন উপেক্ষা করে আগামী ২২ অক্টোবর রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের যে ঘোষণা জ্বালানি উপদেষ্টা দিয়েছেন, তা জনমত অবজ্ঞার শামিল এবং অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক হিসেবে মন্তব্য করেছেন ওই নাগরিকেরা।সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে হরতাল-সমর্থকেরা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও কাউন্টারের কাচ ভেঙে ফেলে তারা। আজ রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।আতঙ্কে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে ২০-২৫ জন যাত্রী আহত হন। কাচের আঘাতে আহত আবদুল মজিদ নামের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি পাঁচবিবি থেকে নিজ জেলা পাবনা যাচ্ছিলেন।ট্রেনের যাত্রী আছিয়া বেগম, মিলন খান ও আবদুর রহিম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, জয়পুরহাট স্টেশনে ঢোকার পথে ট্রেনে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়ে মিছিলকারীরা। এরপর ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ালে এক-দেড় শ যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে ট্রেনের বগি ও গ্লাস ভাঙতে শুরু করে।ট্রেনে হামলার খবর পেয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্টেশনে যায়। তবে এর আগেই হরতাল-সমর্থকেরা পালিয়ে যায়।জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে জানান, হরতাল-সমর্থকেরা ট্রেনের একটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বগি নম্বর চ-৫২৫৫। আগুনে বগির একটি সিট পুড়ে যায়। তবে যাত্রীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। হরতাল-সমর্থকেরা সাতটি বগির জানালার কাচ ভেঙে ফেলে। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হলে ট্রেনের চালক পালিয়ে যান। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চালককে এনে এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ যাত্রী জয়পুরহাট স্টেশনে নেমে পড়েছেন। আতঙ্কের কারণে তাঁরা নিজেদের গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সাহস পাননি।কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার ইব্রাহিম হোসেন জানান, ট্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে সান্তাহার জিআরপি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।দিনের অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকা। কাজ থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা, কখনো কখনো সহকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের কথা বলে মন হালকা করা। এভাবেই সম্পর্কটা একসময় বন্ধুর মতো হয়ে যায়। আবার কাজ করতে করতে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব কাজের ওপর পড়ে। কেননা কর্মক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরন কেমন, তার ওপর কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নির্ভর করে। সহকর্মীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির রেশ বেশি দিন থাকলে কাজের পরিবেশও বিঘ্ন হয়। কেউ কেউ চাকরিও ছেড়ে দেন।তবে চাকরি ছেড়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। এমনটাই মনে করেন গ্রো এন এক্সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুখ্য পরামর্শক এম জুলফিকার হোসেন। তিনি বলেন, ‘কাজ করলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এতে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দীর্ঘ সময়ে একসঙ্গে থাকলে মতের, পছন্দের পার্থক্য হতে পারে। বিশেষ করে যখন শুনলেন, অফিসে অমুক আপনাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। হয়তো আপনি এর কিছুই জানেন না। সে ক্ষেত্রে রাগ বা অভিমান মনের মধ্যে পুষে না রেখে সরাসরি বলাই ভালো। তাহলে দেখবেন সমস্যা অনেকখানি কমে গেছে।’এখন দলগতভাবে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। দলের সদস্যদের একেকজনের মানসিকতা ও কাজের ধরন একেক রকম হবে। এতে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে কেন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে।অপর পক্ষকে সরাসরি কথা বলার জন্য রাজি করাতে হবে। তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাঁর কথার মধ্যে কোনো বাধা তৈরি করবেন না। এরপর আপনার কোনো কথা বলার থাকলে সেটি বলতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, আবার যেন তর্ক না বেধে যায়। তাতে সম্পর্কের উন্নতি তো হবেই না, অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।ভেবে দেখুন যাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো যায়। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য কোনো সহকর্মী বা বন্ধুসুলভ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা নিতে পারেন। এমন কারও সহযোগিতা নেবেন না, যিনি উল্টো কথা গিয়ে তাকে বলবেন।আরেকটি কথা মনে রাখবেন, কারও বিষয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য বা পরচর্চা করা যাবে না। হোক তাঁর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে। অফিসে এমন অনেক ব্যক্তি থাকেন, যাঁরা পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন। কখনো সেসব ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা পেলে, কৌশলে তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভালো।১৩ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে পিছিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আরেকটি পরাজয় তখন উঁকি দিতে শুরু করেছে দৃষ্টিসীমায়। কিন্তু ওয়েইন রুনি থাকতে ইউনাইটেড সহজে হার মেনে নেয় কীভাবে?গত মৌসুমে যেটা নিয়মিতই হতো, অনেক দিন বাদে কাল সেটা করে দেখাল ইউনাইটেড। হাল সিটির সঙ্গে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি জিতল ৩-২ গোলে।ইউনাইটেডের এই প্রত্যাবর্তনে রুনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সবার সামনে থেকেই। ১৯ মিনিটে রুনির ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ক্রিস স্মলিং। ২৬ মিনিটে রুনি সমতা ফেরান বক্সের বাইরে থেকে করা অসাধারণ এক ভলিতে। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে জেমস চেস্টারের আত্মঘাতী গোলে জয়সূচক গোলটা পায় ইউনাইটেড। ওয়েবসাইট।কাল বক্সিং ডেতে প্রথম পিছিয়ে পড়েও আর্সেনাল ৩-১ গোলে হারিয়েছে ওয়েস্ট হামকে। জোড়া গোল করেছেন থিও ওয়ালকট। লুকাস পোডলস্কি করেছেন শেষ গোলটি। এডেন হ্যাজার্ডের ২৯ মিনিটের গোলে চেলসি ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সোয়ানসিকে। |
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশপুর গ্রামে পাটকাঠির গাঁদার নিচে চাপা পড়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মনিকা নামের এক বছর বয়সের এক মেয়েশিশু মারা গেছে।শিশুটির বাবা জাহিদুল মোল্যা জানান, বাড়ির আঙিনায় পাটকাঠির গাঁদার পাশে খেলা করার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনিকার ওপর পাটকাঠির গাঁদা ভেঙে পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা মোকসেদুল মোমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহতমাগুরা শহরের নতুন বাজারের ছানার বটতলা এলাকায় আজ সকালে টেম্পোর নিচে চাপা পড়ে মিরাজ হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি শহরের পারনান্দুয়ালি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, মিরাজ ওই কোম্পানির মালামাল নিয়ে টেম্পোতে করে মাগুরা শহর থেকে বাটিকাডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে বেলা ১১টার দিকে ছানার বটতলা এলাকায় টেম্পোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উলটে যায়। এ সময় টেম্পোর নিচে চাপা পড়ে মিরাজ ঘটনাস্থলে মারা যান।মাগুরা সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে কোনোমতেই তুলনা চলে না তাঁর। তবে একটা জায়গায় জেরার্ডো মার্টিনো ফার্গির সুরেই কথা বললেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জেতার পরও বার্সেলোনা কোচ যেন পুরো তৃপ্ত নন। শিষ্যদের প্রশংসা করতে হাতে টিপে খরচ করছেন। শুধু তা-ই নয়, এই ম্যাচে দলের মূল তারকা লিওনেল মেসির খেলা যে মনে ধরেনি, সেটাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টাটা। এমনকি গোল করে-করিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হওয়া নেইমারের প্রশংসা করতেও যেন কার্পণ্য তাঁর!ম্যাচ শেষে মার্টিনো বলেছেন, বার্সেলোনা ও মেসি উভয়েরই পারফরম্যান্স ছিল নিম্নমুখী, ‘আমরা শুরুতে ভালোই খেলছিলাম। কিন্তু এর পরই পিছিয়ে পড়তে শুরু করি। মেসির ক্ষেত্রেও এই কথা সত্যি। অবশ্য ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমি ওর পারফরম্যান্সও যথেষ্ট মূল্যায়ন করি।’চোট থেকে ফেরার পর মেসি এখনো পুরো ছন্দে যে ফেরেননি, সেটা তাঁকে দেখেই বোঝা গেছে। তবে মার্টিনো আশাবাদী, শিগগিরই পুরো ছন্দে ফিরে আসবেন এই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ১২ ম্যাচে ১২ গোল করা দলের এই প্রাণভোমরা।মেসি নিজের মতো খেলতে না পারলেও বার্সার জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। বার্সার নতুন নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন নেইমার। একটি গোল করেছেন, আরেকটি গোলে অবদান রেখেছেন দুর্দান্ত এক থ্রু পাস দিয়ে। তবে তার পরও নেইমারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত নন মার্টিনো, ‘নেইমার দুর্দান্ত খেলেছে বটে, তবে আমি ওকে এর চেয়েও ভালো খেলতে দেখেছি। ক্লাসিকোতে ওর গোলটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমি ওর কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো খেলা দেখেছি।’মার্টিনো বার্সায় আসার পর সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন নিঃসন্দেহে অ্যালেক্সিস সানচেজ। ইতালিয়ান লিগে আলো ছড়ানো সানচেজ বার্সায় এসে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেই সানচেজ ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেছেন। মার্টিনোও মনে করেন, সানচেজের সঙ্গে এর আগে অন্যায়ই হয়েছে, ‘গত মৌসুমের শেষ থেকেই ও ভালো খেলছে। সমর্থকদের সেটার প্রাপ্য বাহবা দেওয়া উচিত।’বার্সার হয়ে ১৪ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে এখনো হারেননি। প্রথম এল ক্লাসিকোই পেলেন জয়। তার পরও খুশি নন মার্টিনো? আর্জেন্টাইন কোচের উত্তর, ‘যদি আমরা আজ একটা ট্রফি জিততাম, আমি অবশ্যই উত্সব করতাম। কিন্তু আমরা কেবল একটা ম্যাচই মাত্র জিতেছি।’ওদিকে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি দুষছেন ভাগ্যকে। রিয়াল একটি পেনাল্টি পায়নি বলে দাবি তাঁর। তা ছাড়া করিম বেনজেমার একটি শটও বারে লেগে ফিরে এসেছে। আনচেলত্তি বলছেন, পুরো ম্যাচে বার্সার চেয়ে রিয়ালই বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল, ‘দ্বিতীয়ার্ধ তো দুর্দান্ত ছিল। আমরা বেশি চাপ তৈরি করেছি, ভালো খেলেছি। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল, রেফারি ছাড়া বাকি সবাই তা দেখেছে।’এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি বলেও ভক্তদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন রিয়াল কোচ। লিগে মাত্রই ১০টি ম্যাচ হলো। আর ২৮টি ম্যাচই বাকি। গ্যারেথ বেলকে কিনে হাজার কোটি টাকা গচ্চা গেল কি না—সমর্থকদের এমন ভাবনার সঙ্গেও একমত নন তিনি।সেদিন ছিল প্রবারণা পূর্ণিমা। আকাশজুড়ে শুধুই চাঁদের আলো। চারপাশটা আলোয় ভেসে যাচ্ছে। চাঁদের এত আলো আমি কি কখনো দেখেছি? পূর্ণিমা কি কখনো এভাবে অনুভব করেছি? শান্ত নদী, দুই পাশে গভীর অরণ্য, জোছনা, দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর, রাতজাগা পশুপাখিদের অপরিচিত কোলাহল—সবকিছু মিলে এমন পরিবেশ আমি বা আমরা কখনো অনুভব করিনি।সুন্দরবন দেখতে গিয়ে এ রকম দুটি রাত পাওয়ার পর মনে হলো, শুধু এই জোছনা রাতকে নিজের করে পাওয়ার জন্য আমরা আবার আসব। আমাদের প্রিয় মানুষগুলোকে পাশে নিয়ে আবার এই আনন্দলোকে, মঙ্গলালোকে ফিরে আসতেই হবে।আসলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য একেক সময় একেক রকম। সূর্যোদয়ের সময় অজানা সব পাখির ডাক, তাদের ওড়াউড়ি, আঁধার কেটে বেরিয়ে আসা দু-একটি নৌকা, শিশিরভেজা জঙ্গল মনের সব দুঃখ ও মলিনতা ঘুচিয়ে দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তাপ বেড়ে যায় বলে অনেকেই মনে করেন শীতকালে এখানে আসা উচিত। তাহলে সুন্দরী কেওড়ার বনে সারা দিনের ঘোরাঘুরিতে ক্লান্তি আসে না। বিদ্যুতের সরবরাহ অপর্যাপ্ত বলে নৌকায়ও গরমকালে বেশ কষ্ট হয়। তবে অভিযানপ্রিয় দল রয়েছে, যাদের কাছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, রোদ ও কাদা কোনো সমস্যাই নয়। সুন্দরবনকে দেখাই তাদের লক্ষ্য। বনের যত ভেতরে যাওয়া যাবে, তত বেশি পশুপাখির দেখা পাওয়া যাবে। যাঁরা গভীরভাবে সুন্দরবনকে দেখতে চান, তাঁদের সঙ্গে নিতে হবে দুরবিন, হাঁটার জন্য ভালো জুতা, কাটাছেঁড়ার মলম, ব্যান্ডেজ, ছাতা, সানগ্লাস এবং সর্বোপরি একটি ভালো ক্যামেরা।বিকেলটাও সকালের মতো অপূর্ব। তখন পাখিদের ঘরে ফেরার পালা। চিল, মাছরাঙা, ঘুঘু, মদনটাক, টিয়া, সারস ও বকেদের দল নীড়ে ফেরার আগে শেষবার খাবারের খোঁজ করছে। এ সময় চোখে পড়তে পারে ভোঁদড়, কাঠবিড়ালি, হরিণ। সারা দিনের মধ্যে কপাল ভালো থাকলে একবার কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখা যেতে পারে।সুন্দরবন দেখব বলে আমাদের ১৫ জনের যে দলটি আটঘাট বেঁধে বেরিয়েছিলাম, আমরা ঠিক সে রকম অভিযাত্রী দল নই বলে এমন একটি লঞ্চ ভাড়া করেছিলাম, যেখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ছিল, থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা ছিল। যাঁরা যেভাবে যেতে চান, সেভাবেই সুন্দরবনে যেতে পারেন—বড় দল নিয়ে, ছোট দলে নিজেদের মতো করে, অথবা একা একা অন্যদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়ে। খরচটাও হবে সেই অনুপাতে।সুন্দরবন না দেখার কষ্ট ও লজ্জা আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমাদের দেশের এত বড় একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, এত বিশাল যার অস্তিত্ব, অপরূপ যার সৌন্দর্য—সেটা কি একবার না দেখলে চলে? কিন্তু একবার দেখার পর এখন বারবার দেখতে মন চাইছে। এ দেখায় কোনো ক্লান্তি নেই। তবে সেদিনও হতে হবে পূর্ণিমার রাত।যেভাবে যাবেনবিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুন্দরবন যাওয়াই ভালো। দেখে নিন, বন বিভাগের যথাযথ অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার নর্দমা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাইম বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাত সদস্যের একটি বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল বোমাটি চিহ্নিত করে অকেজো করে দেয়।স্থানীয় লোকজন চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি নর্দমায় বোমাসদৃশ কিছু দেখে পুলিশে খবর দেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ বোমাটি উদ্ধার করে। বোমা পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বোমাটি উদ্ধারের পর বিকেল সাড়ে চারটায় এটিকে অকেজো করা হয়।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন মীর জানান, নাশকতা করার জন্য বোমাটি রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের সহকারী পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি টাইম বোমা। বোমাটি দেখে ও এটি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বোঝা গেছে, এটি দক্ষ কারিগরের হাতে তৈরি। |
বিদেশে চাকরির জন্য নাম নিবন্ধনের সময়সীমা দুই দিন করে বাড়িয়েছে সরকার। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক জাহিদ আনোয়ার আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান।জাহিদ আনোয়ার বলেন, মালয়েশিয়ার পর এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাকরির জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধন শুরু করেছে সরকার। আগে একেক বিভাগে নিবন্ধনের জন্য সাত দিন করে সময় দিলেও এখন নয় দিন করে সময় দেওয়া হচ্ছে।বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, আগে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে নিবন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে নিবন্ধন শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। তবে ৪ অক্টোবরের বদলে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ অক্টোবর। আগে ১০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।অর্থ পাচার মামলায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মামুনের পক্ষে ১৪ জন সাক্ষী হাজির করা-সংক্রান্ত তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়েছে।ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোতাহার হোসেন শুনানি ও সাফাই সাক্ষীর তালিকা গ্রহণ করছেন।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের অক্টোবরে মামলা করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগ আছে।জলপাই উঠেছে বাজারে। তবে আচার-খাট্টার পাশাপাশি আরও নানা পদ তৈরি করতে পারেন জলপাই দিয়ে। দেখে নিন কল্পনা রহমানের রেসিপিগুলো। জলপাই ডিম-গমের খিচুড়িউপকরণ: আধা ভাঙা গম ১ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, নানা রকম ডাল মেশানো ১ কাপ, হলুদের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচি ৪টি করে, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, ডিম ৬টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ৩ টেবিল চামচ, কলাপাতা প্রয়োজনমতো, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ, ছোট আলু ১ কাপ।প্রণালি: পেঁয়াজ মিহি কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, এক চিমটি হলুদ ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ডিম ফেটে রাখতে হবে। কলাপাতা দিয়ে খিলি বানিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকে নিতে হবে। ৫-৬টি খিলি করতে হবে। গম ভিজিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল ও ডাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরাতে হবে। আলুগুলো সেদ্ধ করে ছিলে নিয়ে সামান্য তেল ও লবণ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে গরম মসলা তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি একটু ভেজে আদা, রসুন বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে কষাতে হবে। মসলায় সুন্দর ঘ্রাণ বের হলে চাল, ডাল ও গমের দ্বিগুণ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভেজানো চাল, ডাল ও গম দিতে হবে। একটু পর ভালোভাবে নেড়ে গরম গরম অর্ধেক খিচুড়ি তুলে নিতে হবে। এবার বাকি খিচুড়ির ওপর জলপাইয়ের আচার ছড়িয়ে দিয়ে তার ওপর কিছু খিচুড়ি দিতে হবে। এভাবে দুই স্তরে জলপাইয়ের আচার দিতে হবে। এবার ওই খিচুড়ির ওপরে চামচ দিয়ে হালকা করে কলাপাতার খিলিগুলো বসিয়ে ওই খিলিতে ডিমের মিশ্রণ সমপরিমাণ ঢেলে দিতে হবে। সামান্য আচারের তেল দিতে হবে। একটি বড় পাতা দিয়ে খিলিগুলোর ওপর বাকি খিচুড়ি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ওপরে আরও একবার জলপাইয়ের আচারসহ তেল ছড়িয়ে দিয়ে অল্প আঁচে ১৫ মিনিট দমে রাখতে হবে। এবার প্রয়োজনের সময় পরিবেশন করা যাবে।আগের দিন দুটি রুপা জিতেছিল বাংলাদেশের আবির হাসান ও বৃষ্টি। কলকাতায় চতুর্থ আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কাল এসেছে সোনার পদক। ব্যক্তিগত কাতায় সোনা জিতেছেন হাসান খান (সান)। |